নি লি » জু 2০7 $ 6 সন ১২৯ সাজে :. পথ

তষ্টিত 4

চি ঠা

8 5 রর রর চটি তায় সভা? ডি ব্ছ খ্য নে ডল

1৮ চি চে শর, রা সারি... / শা রর লন িদিটানিস৩,৮০ 8৮০ ২১ ০সলনের 01 রঃ ্ি

|,

ললুদ্ছে্য 1

সপ এপ্এলানীরাটট হাটি রা...

/রামদাম সেন-প্রণীত।

দ্বিতীয় সংস্করণ |

সখ ০৯ সি পি স্টি তি পি পপি আসি পবিস

প্রকাশক প্রীমণিমোছন সেন, বহরমপুর |

লন ১৩১৬ সাল

[প্রণ্টার :--এ, ব্যানাজি, মেট্কাফ্‌ প্রেস্‌, ৭৬নং বলরাম দে স্ট্রাট, কলিকাতা] !

ভ্গাম্সভ্ড-ম্ক্রন্ন £

রা রা রর ঢু

চু ৮৯ ন্ টি টি হি, ৮০৬7 / ন্‌ এপার শীং রং বা

শি রি 92 + ৪৯ পুনিউা ১৮৭ / জি হু বং তি লে শি চাবি দ..

৭, নে র্‌ প্এপ মু টু, খু হু চি

উঠ ৬“ রী চা শচ ৯৯০ £ কি শি রর শিবের ইউএস

পাশা

না

৬4৭

... বরকপপরাউরা দি গা 1018৯

টি রি

নি শু সন ১২৯৩

ই. সপে 7938৩ 0 গা ভঘটাতিষা [0]1010

৭1) ৬৬৯1২141817 091 0148 ৬০6 13 [০১1)-৯৩ ৪, মু. ৯5, 1677/0) 7701/1571, 77 276 09£671161 4৫60176771)7 274,১27 ০,

ভারত-রছুস্য।

পথম ভাগ শ্রীরামদাস মেন প্রণীত

শ্রীনিমাইচরণ মুখোপাধ্যায় কর্তৃক

বহরমপুরে প্রকাশিত

পাপ কা

'শ্রলাহ্ময দিলহী মালা উপ মালা: দিলালপ্কাঁ; | নল ঘাঘান্‌ না লান নল মন্ছুল্‌ লহ্চ্ঘিন ॥”

কলিকাতা বাল্ীকিযন্ত্রে মুদ্রিত

১২৯২ লাল

বিষয়। সোমযাগ আধ্য-জাতির যুদ্ধানত ধনুর্ব্বেদ অসি দেবষান রাজস্যু-ষজ্ঞ অশ্বমেধ পুরুষমেধ-ধজে রাজ্যাভিষেক পদ্ধতি ভারতীয়-যুদ্ধ রহত্ত মুন্ধ-ধন্ম্ন

মুক্তা

মাতঙ্গ মুক্ত। ব। গজমুক্তা সর্পম্ি বা কাঁণিসুভ্তণ মীনজমৃক্তু।

বরাহমুক্তা হ। শুকর-মতি বেণুজ-মুক্ত।

শঙ্ঘজ-মুক্তা! জীমুত-সু্ধ।

দছু'র-মুক্ত।

সূচী

স্্পতিকি১

ভারত-রহহ্থয |

পৃষ্ঠ1।

১৩ ৩৯

১৩১

১১২ ১১৭ ১১৯ ৯৩৩

১৬১

27 আছ ৩৩০

১৩ ১৪ ৯৭

বিষয়। শুক্তি-মুক্তা শুক্তিজ-মুক্তার আকার বেধকাধ্য ঝ। বিদ্ধ করিবার বিধি মাঁণক্য বাপদ্মরাগ মণি বৈদধ্য-মণি গোঁমেদ-মণি বস্তু হীরক দোষ গুণ বিচার বিদ্রম ব! প্রবল পুষ্পরাগ মরকত-মণি ইন্দ্রনীল ককেতন মণি স্কটিক উপরস্ধ রুধিরাখ্য তীম্ম রত পুলফমণি সমস্ত কমি কৌস্তভমি রত্বালঙ্কার ধাতু সুবর্ণ রজত তাত পৌহু

5০.

পৃষ্ঠ। ১৭ ১৮ ৪৩

৬৭

১৫৯ ১৬২ ১৬৫ ১৬৭

১৬৭

৮/৩

বিষয় পষ্ঠা। অগস্তিমতম্‌ নাম রত্রশীস্ত্রমূ অগন্তিমতং নাম রত্বশাস্ত্রম্‌ রি '। মথ পদ্মরাগ পরীক্ষা টি ১৮ অথ উন্ত্রনীল পরীক্ষ! ** রর ২৪ অথ মরকত পরীক্ষ। দঃ 88 ১৮ অথ প্রকীর্ণকম্‌ ৩৪ অগ রত্ব সংগ্রহ নী 555 মথ মগি পরীক্ষা রা ৩৮ বুদ্ধদেব

প্রথম পরিচ্ছেদ-_.

(বৃদ্ধদেষের আবিভাব ক।ল--শাকাবংশের উৎপত্তি_শ।কা নামের কারণ--. কপিলবস্ত্ নগব তাহাব ইতিযৃন্ত। ) রা টহ রত

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ -__ ( শাকাসিংহের মাতামহকুলের ইতিহাস-_শাকাদিংহেল জন্ম বাঁলাজীবন -- মুর্তি,

অঙ্গগঠন লিপিশিক্ষ। |) "১. 2 ৯8৪০৯ তৃতীয় পরিচ্ছেদ__ (শাক্যসিংহের কৌমার জনের অপর একটী কথা এবং বিবাহ )... ৩৯:৫৩ চতুথ পরচ্ছোদ-_- (শাকাসিংহের প্রতি পুর্ব বুদ্ধগণের অথব| দেখগণের সঞ্চোদনা-_শুদ্ধোদনের স্বপ্নদর্শন--শ।কাসিংহের উদ্য।ন যাঁত্র। বৈরাগ্া কাঁরণ। ) .১. ৫৩৬৫

পঞ্চম পরিচ্ছেদ... ( শাকাগণের ছুনিমিত্ত দর্শন--গোপার স্বপ্ন-শাকাদিংহের নিকষ, মচিস্ত।- শুদ্ধোদনের সহিত কথোপকথন-_অন্তঃপুরের অবস্থ।--পুর পরিত্যাগ ছন্দক সংষাদ |) ৬৫--৮৬ ষষ্ঠ পারচ্ছোদ-- 'শাকাসিংহের বৈশালী গমন--মগধ প্রবেশ -রাজগৃহনগরে বাস-বিশ্বিলার রাজার সহিত সাক্ষাত-_পুনর্বৈশালী গমন--মগধে পুনরাগমন এবং মগব বিহার ' ) ৮১৭৬ সপ্গুম পাচ্ছে.

( শাকাসিংহের রামপুত্র রুদ্রকের নিকট গমন-_-শিষালাত _রাঞ্জগৃহ তা'গ করিয। গয়ায় গমন-_কর্তব্যচিস্তা-জ্ঞনসোপান--উরুবিল্প গমন --তাৎকালিক ধঙ্মভাব বর্ণনা ) ১১ ৯৪১৭

বিষয়। পৃষ্ঠা ঝষ্টম পরিচ্ছেদ-__ (শাক্যসিংহের তপন্তা--ধোঁধিমুলে গমন--ধ্যানযোগ - মীর বিজয়--নির্ব্বাণ লীভ

স্পধর্মপ্রচারচিত্ত।--আহার গ্রহণ। ) ** ১২০-১৯৮ নবম পরিচ্ছেদ-_ ( শাক্যসিংহের বেধিবৃক্ষমূলে গমন-_-মারবিজয়--ধ্যানযোগ নির্ববাণ-জ্ঞান- লাত ।) **. রে রি রঃ ০০৯১৯৮০৮১১৮ দশম পরিচ্ছেদ _-

( বোধিবৃক্ষতলে বাঁদ--দেবগণের আনন্দ--পুনর্ধবার মার সন্দর্শন-_মুচিলিন্দনাগ ভরনে গমন-__তারায়ণ বনে ভ্রমণ-- তথায় বিহার--বণিক্ক সংবাদ--ধর্্া- প্রচারের ইচ্ছা--বনদে বতাগণের উক্তি--মগধভ্রমণ- -বারাণসী গমন-_শিষ্য- লাভ ধন্মপ্রচার |) ৬? রর ১৯৭ ১১৮শাদ১জ,

একাদশ পরিচ্ছেদ্---

(বুদ্ধের ধর্ম প্রচার--শিষাসংগ্রহ--মগধবিহার--কপিলধস্তনগরে গমন-_ পুজ্র- কলত্রাদির সহিত সাক্ষাৎ--শাক্যপরিবারে বৌদ্ধধন্মগ্রহণ-_ মগধদেশে পুনরাগমন-_শ্রীচ্জীগমন-_শুদ্ধোদনের মৃত্যু-বুদ্ধকর্তৃক তাহার সৎকার _-সন্ন্যাসিনীদল স্থাপন-_শিষ্যগণের প্রতি শেষ উপদেশ বুদ্ধের নির্ববাণ

লা ।) **' রা ড় ১, ১৩১-7১৩৭ ছাদশ পরিচ্ছেদ-_ (ধশ্মসংগ্রহ বা বৌদ্ধধর্দের মূলসুত্র 1)... রঃ .. ১৩৯-7১৫৯ পরিশিষ্ঠ-_ (বৌদ্বধর্ণ সংক্রান্ত নানাকথ|। 1) **, রর রি ১, ১৫১-7১৬৬

ভূমিকা

পিভৃ-পিতামহগণ ইহছুলোক পরিত্যাগ করিলে পুত্র পৌন্রগণ তাহাদের ধন, মান, গৌরব পদমর্যাদা প্রভৃতির উত্তরাধিকারী হঈয়। সে-সকল রক্ষার্থ যত তৎপর হন, ইহা দেশের চিরাভ্যন্ত প্রথা এই চিরন্তনী প্রথাই আমাদের জাতি প্রবাহ,দ্ধর্মশ প্রবাহ, কুলপ্রবাহ এবং শ্রেনী প্রবাহ অগ্ভাপি অক্ষত রাখি" য়াছে) সম্কর হইতে দেয় নাই কশ্ঠপ মুনি কোন্‌ কালে জন্িয়া! ছিলেন তাহার ঠিকানা নাই, অথচ আমরা কাশ্তপ ( কশ্ঠপের বংণ বা সন্তান )। কণ্তঠপ ব্রাহ্মণ ছিলেন; তাই ভ্াহার উত্তরাধিকারিহত্রে আমরাও ব্রাঙ্গণ। কশ্ঠপ হিন্দু ছিলেন; তাই তত্বংশীয় আমি হিন্দু। এরূপ উত্তরাধিকারিত। অন্ত কোন দেশে আছে কিন। সন্দেহ; অথব! থাকিলেও অন্তদেণের লোক উহা অব্যাহত রাখিতে জানে কি না তাহা! সংশয়

মন্মযোর সুষশ) পদমমধ্যাদা ধর্াখ্যাতি স্বর্ণ রৌপ্য, প্রভৃতি ভৌমসম্পত্তির ন্য!য় নশ্বর বা ক্ষণতঙ্ুর নহে উভ1 রাখিতে জানিলে যুগযুগান্তকাল থাকে, রাখিতে না জানিলে এক নিমেষে লয় হইয়| যায়। পুর্বকালের হিন্দুসস্তানের! অএবা আধ্যসস্তানের আপন আপন বংশপুরুষের জান, ধন্ম, পদমর্ধ্যাদ। স্ুযশ বজার় রাখিতে জানিতেন ; তাই এদেশে আজপর্য্স্ত একই ধর্ম, একই জ্ঞান, একই অভিজ্ঞতা, একই নীতি একই আচার ব্যবহার অচ্ছিনপ্রবাছে দীর্ঘ- দূপি দীর্ঘকাল চলিয়! আসিয়াছে কিন্তু হায়! আর তাহা চলে না; চলিবে ন। ; চলিবাএ সম্ভাবনাও নাই। আচার, ব্যবহার, ধর্ম আভিজাত্য বজায় রাখ! দুরে থাকুক, বিব্চেন! হয়, ষেন অচিরে এই বিস্তীর্ণজাতির চিহ্ন পর্য্য্ত গ্রলুণ্ত হইয়। যাইবে।

ধাহার। যথার্থ বংশধর সন্তান) ধাঠার! যথার্থ সৎপুঞ্জ, তাহাদের আস্তরিক বিশ্বাস এই ষে কুলপুরুষের পূর্ববমহিম! স্মরণ করিলে যেন শ্তীাঙ্কাদদের শরীর মন পবিত্র হয়; অঙ্গ পুলকিত হয়; অধিকস্ব অতুতপূর্ধ আনন্দরসের সঞ্চার হয়।

4 9

ীন্নপ শিতৃভক্ত প্রেমিক হিন্দু সন্তানদিগের সন্তোষার্য আমি পূর্বে আধা- জাতির পূর্বমহিমান্মীরক কতিপয় প্রবদ্ধ এ্রীতিহাসিক-রহস্ত'” নাম দিয়া প্রচারিত করিয়াছিলাম; সম্প্রতি শাঁবার “ভাবরত-রহন্ত' নাম দিয়া ভারতের ূর্ববজ্ঞান, ভারতের ূর্বরধর্ম, ভারতের পূর্ব্বাচার, ভারতের পূর্বব্যবহার, তাঁরতের সমর-বিজ্ঞান, ভারতের যুদ্ধান্্ এবং তাঁরতের পূর্ব ভক্ষ্য পূর্ববপরিচ্ছদ প্রভৃতি অবশ্ত কর্ত '; ক'তপয় বিষয় সাধারণের গোচর করিলাম

পূর্বে ভারতবামী খষির! কি প্রকারে যাগ যজ্ঞ করিতেন; কিরপ প্রণালী অবলম্বন করিয়া যুদ্ধ করিতেন, যুদ্ধের উপকরণ বা অস্ত্র শক্ত প্রভৃতি কিন্ধপ ছিল? দকল প্রশ্নের প্রকৃত প্রত্যুত্তর প্রকৃতত্তাব আদ্গ কাল জনসাঁধা- রণের অবিদ্দিত প্রায় হইয়া আছে? স্ৃতরাং ধর সকল তথ্যের অববোঁধক এতৎপুস্তকের “রহন্ত”ঃ নাম দেওয়া বোধ হয় নিতান্ত অসঙ্গত হয় না

গ্রাচীন ভারতের জ্ঞান; ধন, ধর্ম নুষ্ঠান প্রকার, নীতিসেবা, সমাজ ব্যবস্থা, যুদ্ধ প্রণালী প্রতৃতি অগুসন্ধান করায় সঙ কোন সুফল হউক, মনের বিস্ফীর আনন্দ অবশ্তই হইবে এবং ধর্তমীন-সমাজ-সংস্করণেচ্ছার অনেক আগুকুলা হইবে ধাহার। অনস্তকালের সামাজিক-ব্যবস্থার পরিবর্তন সংশোধন করিতে ইচ্ছুক; স্তাহাদের পক্ষে ইহা অবশ্তই অন্গুকুল অবলম্বন হইবে; কেন না, প্রাচীন ব্যবস্থার মর্ম ইহাতে ।বশদ রূপে উদবাটিত হইয়াছে। পূর্বধ্যবস্থায় পাণ্ডভ্য জন্মিলে অবস্তই পূর্বণ্য বষ্ঠার পরিবর্তন সংশোধন সহজ হইয়। মাঁদিতে পারে; এইরূপ বিবেচনা করিয়াই আমি পুরে প্প্রতিহাসিক'রহন্ত' প্রচার করিয়াছিলাম ; এক্ষণে আবার তাহীর শাখান্বন্বপ "ভারত-রহন্থ” প্রচার করিলাম ইহার বারা যদি কাছার অভ্যল্ল আনন্দ, অত্যপ্প জ্ঞান অত্য্ উপকার হয়, তাহ হইলে আমি আমার ব্যয়ের উৎকট পরিশ্রমের

ঘথোচিত সাফল্য অন্গভব করিব।

বিজ্ঞাপন

প্রথম ভাগ “ভারত-রহস্ত” মুদ্রিত প্রচারিত হইল | ইহার প্রস্তাবগুলি পূর্বে “ভারতী” “আধ্যদর্শন+ “পাক্ষিকসমালোচক” “নব্যভারত'* নামক বিখ্যাত মাপিক পত্রিকায় মুদ্রত প্রকাশিত হইয়াছিল। সেই সকল প্রবন্ধ ইহাতে অবিকল মুদ্রিত করা হয় নাই; সংশোধিত পরিবন্ধিত কর! হইয়াছে স্বলবিশেষে পরিবর্তন, স্থল বিশেষে নৃতন অংশের সংঘোঁজন এবং সংশোধন করা হই ছে।

এই পুস্তকের অনেক স্থানে অনেক বরাতী কথা আছে; অর্থাৎ ইহাতৈ “ইহার বিস্তৃত বিবরণ পরে বলিব।” এবং *“পশ্চাৎ ব্যক্ত হইবে ।” এইরপ অনেক কথ| পাইবেন। সে সকল কথার বিস্তৃত বিবরণ ইহার দ্বিতীয় ভাগে দেখিতে পাইবেন। দ্বিতীয় ভাগ শীঘ্র মুদ্রিত প্রচারিত হইবে

বিষয়গুলি লিখিতে হস্তলিখিত নাগরাক্ষরের পুরাতন পুস্তক সংগ্রহ করিতে হইয়াছিল। সেই সকল:পুস্তক অপাঠাতম অশ্তদ্ধতম। ততকারণে ইহার সংস্কৃত প্রমাণগুলিতে যতকিঞ্চিৎ অশুদ্ধ থাকিবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা আছে। অতএব প্রার্থনা এই যে, বিজ্ঞ পাঠকগণ তাহ! আপন আপন বিবেচনা শক্তির সাহায্যে শুদ্ধ করিয়া পাঠ করিবেন

আমি যখন «“ভারত-রহন্কের” জন্ত প্রবন্ধ লিখিতে ব্যাপূত ছিলাম, আমার

স্কতাধ্যাপক মাঁননীয়তম পণ্ডিত শ্রীযুক্ত কালীবর বেদাস্তবানীশ ভট্টাচার্য্য

মহাশয় আমাকে ততৎকালে অনেক বিষজে উপদেশ দ্বিয়া উপকৃত করিয়াছিলেন এবং ইহার সংশোধন ভার লইয়াও আনন্দিত করিয়াছেন

ডাক্তার শ্রীরামদাস সেন। বহরমপুর

মোমযাগ |

ভা:্রক্স পূর্ব্বমহিমা অনুসন্ধান কর! নিষ্ষল নহে। আমরা জানি, অনুসন্ধান দ্বারা আমাদের পুর্বপুরুষগণের অত্যন্প মহিমা! জানিবামাত্র কেমন এক অনির্বচনীর় জাতীয় প্রেম উচ্ছলিত হর সেই জন্যই আমি, “ভ[রত-রহন্ত”* নম দিয়া পুরাতন ইতিবৃন্ত প্রকাশে উৎসুক হইয়াছি। প্রথমতঃ তীহাদের যাগষজ্ঞ প্রভৃতি ধর্মকাধ্যের ইতিবৃত্ত ইতিকর্তব্যতা ( প্রণালী ) বর্ণন করিব, পৃশ্চাৎ '্ন্তান্ত রহস্ত, যাহা! এখন লুপ্ন প্রা হইয়াছে, সে গুলির বর্ণনা করিব।

বৈদিক সময়ে ছুই শ্রেণীর যজ্ঞ ছিল। দধি, দুগ্ধ, ম্বত, এবং পুরোডাঁশ প্রভৃতি পিষ্টক আছতি দিয়া এক প্রকার ; আর সোমরস আঁহুতি দিয়! দ্বিতীয় প্রকার প্রথম প্রকারের নাম “হবিতবধজ্ঞ»? দ্বিতীয় প্রকারের নাম “সোম-যজ্ঞ” বা “সে।মযাগ”।

হবিধরজ্ঞের পরে সোম-বজ্ঞ আবিষ্কৃত হয়। ইহার প্রমাণ অথর্ধবেদে আছে। অথর্ধ বেদের গোঁপথ ব্রাঙ্গণে লিখিত আছে, ভৃগু অঙ্গিরা খধিই প্রথমে লোম-বজ্ঞ মনোনীত করেন

হবিষষজ্ঞ অনেক প্রকার, এবং সোম-যক্ঞও অনেক. প্রকার। কৃষ্ণ যন্তুর্ধ্বেদের প্রথম কাণ্ডে যজ্ঞদমূহের নাম আছে এবং খ্ী বেদে ততাবতের বিধিও আছে।, কিন্তু ব্রাহ্মণ-ভাগে যাহা আছে তাহা কিছু বিস্পষ্ট। ক্ষল, যজুর্কেধের প্রচার সময়েই সমুগ্ধায় যক্তের প্রাহূর্ভাব হয়, খণ্থেদের লময়ে কেবল অঙ্কুর মাত নাঃ প্রাচীন লোকের! সেই জন্তাই প্ঠঠতায়াঁং হই উচ্যতে” বনিক গ্লাকেন। .. |

ভারতণ্রহস্ত

ুষ্ণ য্ুর্ব্বেদের কাণ্ড ষষ্ঠ প্রপাঠিক, অন্থুবাকে যক্জের নাম সুতির কথা আছে যথ1---

খপ্রজাগতির্যজ্ঞানঙ্ছজত | অগ্রিহোত্রং চাগ্িষ্টোমঞ্চ পৌরর্মাসীধেশকৃথধণমাবা- স্াথশতিরাত্রং-_” ইত্যাদি ইন্যাদি।

প্রথমে যে হ্বিরষজ্ঞের কথা বলিয়াছি তাহা প্রধানতঃ প্রকার। যথা অগ্ন্যাঁধেয, অগ্নিহোত্র, দর্শপৌর্ণমাস, আগ্রয়ণী, চাতুর্মম্ত, পশুবন্, সৌনত্রামণী।

সোম-যজ্ঞও প্রধান কল্পে প্রকার। অগ্রিষ্টোম, অত্যগিষ্টোম, উকৃথ, যোড়শী, বাজপেয়, অতিরাত্র আপ্তোধাম ) এবং রাজ-সুয় অশ্বমেধ যঞ্ঞও এই সোমযাঁগের মধ্যে গণ্য, কিন্তু ইহা! ব্রাহ্মণেরা কবিতেন ন!।

এই সোম-যন্ছেব অন্তঃপাততী অনেক প্রকার যাগ আছে। যত প্রকারই গাঁকুক, প্রথমোল্লিখিত অথ্িষ্টোমই সকলেব প্রকৃতি সুতরাং বিশেষ বিশেষ প্রকারের অগ্রিষ্টেম যজ্ঞ, বিশেষ বিশেষ সংজ্ঞায় উক্ত হইত। সোমরস ছারা সাধিত হইত বলিয়া! ইহাকে সোমধাগ বলিত।

এবজ্প্রকার সোমষাগ আবার প্রকার। “অহীন” “সত্র” এবং “একাহ”। যাহা! একদিনে সমাধ! হয় তাহা! “একাহ”।

হইতে ১২ দিন পর্য্যস্ত যজ্ঞ হইলে তাহার নাম “অহীন |”

পক্ষ কি বহুকাল-ব্যাগী হইলে সেই যজ্ঞের নাম “পত্র”

সত্র আবার অনেক প্রকার ““দীর্ঘসত্র” ইত্যাদি

সত্রের একটা বিশেষ লক্ষণ পরে বলিব। অগ্িষ্টোম যজ্ত করিবার ফাল গ্রহরধপ নির্ণীত আছে। যথা »-“ব্সম্তেহিষ্টোমঃ 1৮ কাত্যায়ন শ্রৌতশ্ুত্র “বসন্তে ;জ্যেভিষ্টেমেন যজেত” আপন্তস্বস্ত্র | ) সুতরাং বসন্ত কালই সোমযাগ করিবার কাল, বসম্তু কালেই প্রচুরতর সোম পাওয়া যাইত, সুতরাং বসস্ত কালেই খবিরা সোমধাগে গ্রবৃন্ত হইতেন

সোমযাগের দেবতা অগ্নি। অগ্রিরই স্তব করা যাইত বলিয্া। অস্সিষ্টোশ (অথেঃ স্তোমঃ স্তবনং ইত্যমিষ্টোষঃ |) অখ্ির স্্টাত্র পুজা করাই প্রধান উদেক্ট, আনুষজিক অন্যান্য বছ দেবতারও পুঙ্জা কর! হইত।

এই ষঙ্ঞ সম্পাদনের জন্য যক্ত-কার্খ্যে কুপটু প্রধান প্রধান ব্রীক্গণেরাই নিযুক্ত . হ্ইতেন। |

প্রথমে, ফোন .পুণ্য বক্ষণ-সুক্ত দ্ুমি বজ্জ-ক্ষেত্রর জন্তা অন্দেষণ করিয়া:

সোদবাগ। ভাহাতেই ঘজ্ঞ হই যেখানে সেখানে হইতন!। পরে, ক্রেমে, যেখানে বেদ ্রাঙ্গণ পাওয়া যায়, সেই স্থানই যজ্ঞের উপযুক্ত বলিয়া বিধি প্রচারিত হইয়ছিল। ইহ! শতপথ ব্রাঙ্গণের তৃতীয় রুণ্ডে উল্লিখিত আছে।

“তদহোবাচ যাজ্ঞবস্ক্যে। বাক্মণয় দেববজনং জোধযিতুমৈম তৎ সাত্যযঙ্জো- ত্রবীৎ, সর্ব্বা £ব1। ইয়ং "পৃথিবী দেবজনং যত্র বা অন্তে কক চবজ্ুষৈব পরিগৃহ যাজয়েতি।৮

ইহার অর্থ এই যে, যাজ্ঞবন্ধ্য খষি বলিলেন যে, আমর! একসময়ে বানম্মের জন্ত যক্ঞোপযুক্ত স্থান অন্বেষণ করিতেছিল!ম, পথে সাত্যযজ্জের সঙ্গে দেখা হইলে তিনি বলিলেন, সকল স্থানেই যজ্ঞ হয়, তোমরা যথ! ইচ্ছা, যেস্থানেই মন্ত্রলাভ হইবে সেই স্থানেই তোমার বাত্মকে লইয়া যক্জঞ কর।

এইরূপ স্থান নিশ্যয় হইলে তথায় প্রথমতঃ একটী মণ্ডপ নির্মাণ করা হইত। তাহা চারিদিকে সমান প্রত্যেক দিকে ১২ অরত্বি প্রমাণ (কনুই হইতে হস্তের কনিষ্টাঙ্থুলির মূল পধ্যস্ত অরত্ধি শব্দের অভিধেয়। যাঁহাকে আমরা প্মুটুমহাত” বলি; অথাৎ এক হাঁত পূর্ণ নহে, সেই মুষ্টিবদ্ধ হস্তই অরত্বি)। এই মণ্ডপটার নাম *গ্রাচীন বংশ ।” ইনার চারিটা দ্বার থাকে, সুতরাং ইহাকে চতু্বর মণ্ডপও বলে। এই মগ্ডপের চারিদিক তৃণাচ্ছা্দিত কর! হয়।

এইরূপে প্রাচীন বংশ মগ্ডপের নির্মাণ সমাপ্ত হইলে এবং যঞ্জীয় তাবদ ব্যের আয়োজন পুর্ণ হইলে খাত্বিক্‌ অর্থাৎ পুরোহিতের! যজমানকে সেই গৃহে লইক্না গিয়। দীক্ষিত করান যেঞ্ঞ-বিষস্কক উপদেশ দেন, যজমানও তাহা স্বীকার করেন )। সোমধাগে কত গুলি পুরোহিত বা খত্বিক্ক আবশ্তক হইত, তাহা এস্থলে বলা আবশ্তক হইতেছে। |

সকল যজ্ঞে সমান খত্বিকি আবশ্তাক হয় না। অগ্র্যাধোয় ফাগে অগ্মি- হোত্রে ১, দর্শপৌর্পম!স প্রভৃতি যাগে ৪, জাতুর্মান্ত যাগে ৫, পশুবন্ধ যাগে ৬, সো মযাগে ১৬।

এই ১৬ জন খত্বিকের ভিন্ন ভিন্ন নাম কার্য আছে। নাম যথা "-*ত্রঙ্গা “উদগাতা* “অধ্বরু” *হোতা” পত্রা্মণাচ্ছংদী” পপ্রক্তোতা” “মৈত্রাবকণ” প্রতি-প্রস্থতা” *পোতা* পপ্রতিহত্ভীস পক্জচ্ছাবাকত গলে” গআমিত্র নুতদ্ষণ্য" *গ্রাবস্তৎ” এবং “উদন্নেতা”।

আঁপস্তঘ বলেদ “্পদক্”ও লীগে ।' তাহা হইলে দোষঘাগের “১৭ জন

'ভারত-র্হন্ঠ |

পুরোহিত, ইহাদের মধ্যে ৪'জন প্রধান, অবশিষ্ট শ্রী জমের সাহাষ্যকারী। হোতা, উদগাতা, অধবর্যূ, ব্রহ্মা, এই জনই প্রধান।

কে কাহার সাহায্যকারী তাহা বলা যাইতেছে অধ্বধূর সাহায্যকারী ?প্রতি-প্রস্থাতা” এনেষ্টা” উন্নেতা” এই জন।

হোতার সাহাধ্যকারী “মৈত্রাবরুণ'। এঅস্থাবাক” এবং গগ্রাবস্তুৎ” শ্রই তিন জন।

উদশগতার সাভাব্যকারী “গপ্রস্তোতা” “প্রতি-হর্তী'” এবং “ন্কুত্রহ্গণ্য'* এই জন।

দেবতার স্তব আহ্বান করা হোতার কাধ্য। দেবতার সন্তেষজনক সাম গান করা উদগাতার কাধ্য। কর্মম-বিশেষে অনুমতি দেওয়। এবং সকলের কাধ্য পধ্যবেক্ষণ করা এবং জপ করা ব্রঙ্গার কাধ্য।

যজমান এই সকল খত্বিক ব্রণ করিতেন ইহারা যজমানকে হস্তে ধরিয়া সেই যজ্ঞমগ্ুপে লইয়! গিয়া দীক্ষিত করিতেন

দীক্ষা! গ্রহণ কালে যজমান অগ্রে ক্ষুরকন্ম, পরে গান, নববন্ত্র পরিধান মাঙ্গল্য দ্রব্য ধারণ করিবেন। পশ্চাৎ জ্ঞাতি কুটুম্বের সহিত 'মহা আনন যক্ঞ-শাঁলায় উপনীত হইবেন। খত্বিকেরা দর্ভপিঞ্জলী অর্থাৎ কুশ-গুচ্ছ লইয়া যজমানের সর্বাঙ্গ মাজ্জন কত্িবেন। বেদ-মন্ধ পাঠ করিতে কব্দিতে যজমানকে সেই প্রাচীনবংশ নামক যজ্ঞমণ্ডপের পূর্বদ্র দিয়া তন্মধ্যে প্রবেশ করাইবেন। প্রবেশের পরেই যজ্জে দীক্ষিত করাইবেন। দীক্ষিত করান কি না একটী মাত্র ক্ষুদ্র হোম করান। সেটী আরম্ত-ন্ুচক। ইহার নাম “্দীক্ষণীয্ ইষ্টি” এই ইষ্টিতে বিষণ দেবতার উদ্দেশে এক্ষাদশ্টা পুয়োডাশ হোম করা! হয়।

এইরূপ দীক্ষা-কাধ্য সামাধা ছুইলে, প্রথমতঃ অধ্বূ্ উচ্চৈঃন্বরে দেবতা মনুষাদিগকে শুনান, যে “অনীক্ষিষ্টাহয়ং ব্রাক্গণ:” অর্থাৎ এই ব্রাক্মণ দীক্ষা গ্রহণ করিলেন ক্ষত্রিয় বৈশ্য হইলেও ব্রাহ্মণ বলা হইত। পরে দীক্ষিত যজমনি নিজে একটী “*প্রাণেন্টি' নামক ক্ষুদ্র যাগ করেন। এই যাগে চকু পাক করিয়া তগ্থারা অধিতি এব স্বতের দ্বারা অগ্নি, সোম ুষধ্য দেবতার হোম করা হয়। এই ইস্তি'ফরা হইলেই প্রক্কত প্রন্তাবে যক্ঠের আরস্ত হইল! ইহার পরে প্রতিপ্রস্থাতা নামক খত্বিক্‌ “উপরব” প্রর্থেশে (উপরব কাহাকে বলে, তাহ! গস্চাৎ ব্যক্ত হইব্কে ) এক খানি বুষ-চর্থ বিস্তর করেম, তছপরি কুশ বিছাইর! দিয় তাহার উপর সোমলতার ভার অর্থাৎ বোখাটি স্থাপন ফরেন পরে

সোমযাগ।

সোমবিক্রেত! সোমের অংশু অর্থাৎ তস্ত সকল পরীক্ষা করিতে থাকে এবং পরি” বার করিতে থাকে পরে ১৭ জন খত্বিক সম্ভিব্যাহারে জমান তথায় আগমন করিয়া! ভাহা ক্রয় :করেন। অন্ত কিছু দিয়া ক্রয় করিলে হইবে না, একটা অরুণ-বর্ণ পিক্গলচক্ষু এক বৎসরের গোবৎস দিয়া ক্রয় করিতে হইব্কে। এতাদৃলী গাভীটী উপস্থিত করিয়া প্রথমতঃ অবধ্বধূর সঙ্গে সোম-বিক্রেতার ক্রয় বিক্রয়ের কথ! হয়। সেই কথা গুলি বড় আশ্চর্য্য | যথা-_

প্রথমে অধ্বযু্ বলেন, “অয়ি তো বিক্রেতব্যস্তে সোমো৷ রাজ ?” রাজা সোমষকে কি তুমি বিক্রয় করিবে ?

সোম-বিক্রেতা। “অস্তি বিক্রেতব্য*” “হা বিক্রয়্ করিতে হুইবে ।?

অধব। “গো: কলয়! মূল্যেন ক্রীণীমঃ”” এই গাভীর বেল অংশের এক অংশ মূল্য দিয়া! আমরা কিনিব।

সোম-_“ইতোহপি ভূয়ঃ সোমো রাজাইরছতি” রাজা সৌম ইহা! অপেক্ষা অধিক মূল্য পাইবার যোগ্য

অধব। “সত্যং গোরপি বিশিষ্ট মহিমা পয়ঃ ক্ষীরসারঃ দধ্যামিক্ষ। নব- নীতমুদশ্থিৎ ঘ্বতম্‌ ইত্যেবমাদীনি সংসারোপযে(গিবস্তজাতানি গৌভ্যঃ সমুদ্তবস্তি 1” সত্য বটে যে, সোঁম অধিক মূল্যবান; কিন্তু গাভীরও বিশিষ্ট মহিমা আছে! তুমি দেখ, দুগ্ধ, ক্ষীর-সাঁর অর্থ/ৎ সর বা মালাই, দধি, আমিক্ষা অর্থাৎ ছানা, নবনীত, উদস্থিৎ অর্থাৎ তত্র বা ঘোল, ঘ্বৃত ইত্যার্দি অনেক প্রকার বস্ত গাভী হইতে পাওয়। যাঁয়। * *

সোমবি--“অস্ত তৎ তথাপি গেঃ যোঁড়শাংশাদধিকং সোমো৷ রাজাহ্থতি ।% সত্য বটে, তথাপি রাজ সোম গাভীর ষোড়খ1ংশের অধিক মুল্যের যোগ্য

ক্রমে অধ্বঘু ভাগের এক ভাগ মুল্য দিয়া কিনিতে চাহেন। পরে ভাগের এক ভাগ দিয়া, ক্রমে অর্ধেক, ক্রমে সেই সম্পূর্ণ গাভীটা দিতে স্বীক্কত হন, তখন সোমবিক্রেতা বলেন, পবিক্রীতো ময়া সোম: পরস্ত বঙ্জা্দিকং পারিতোধিকমপ্যহং লব্ধ,মিচ্ছামি।” আমি সোমবিক্রয্প করিলাম, পরস্ত পাি- তোবিক পাঁইতে ইচ্ছা! করি; পরে বিক্রেতাকে পারিতোধিক দিয়। বাজ! সেমকে শকটে উঠাইয়া! সেই প্রাচীন-বংশ নামক বাগ-গৃহে* পুর্ব্ব দ্বার দিয়া আনিয়া! 'আহ্বনীক়' নামক অসি-কুণ্ডের দক্ষিণ দিকে এক খানি কাষ্ঠপীঠের (পিঁড়ি)

* ছেনক প্রস্তুত করিবার দিয়ম বৈদিক, কাল হইতে প্রচলিত আছে। “তপ্তে প্রন বধ্যানয়তি বৈশদেব্যামিক্ষ।” এই আতিই তাহার প্রমাণ

ভারজরহক্চ। উপর সুচী বিছাতয়। তাহার উপর বাখা হয়?. ' এই সমন্কে একটা “আতিথোষ্টি বাক ক্ষুত্র যাগ করা হয়। অর্থাৎ রাজ! সোম যেন গৃহে অতিথি হইয়াছেন হ্ুতরাং যখোচিত অতিথি সৎকার কর! উচিত, এই ভাবেই সেই ইঞ্টিটি কর! হস এবং ত্বাহ! ঠিক লৌকিক রীতিতে সম্পাদিত হয়।

পরে সৌম-যাগের বিদ্বকারী অন্ুর্দিগের পরাভব কামনায় যজমান দিন পর্যন্ত 'উপসদ' নামক একটা ক্ষুদ্র যন্তের অনুষ্ঠান করেন। ইহাতে প্রাতঃ মায়ংকালে সোম বিষ দেবতাবু উদ্দেশে ঘ্ৃতাহুতির দ্বারা হোম কর! হয়। তৈত্তিরীয় কৃষঃ যন্জুঃসংহিতায় এই ( উপনদ ) যজ্ঞ সম্বন্ধে একটা আখ্যায়িক| আছে, তাহা উদ্ধত কর! নিশুয়োজন

ছিনত্রয্নব্যাপক উপঈন” যজ্ঞের মধ্য দিনে সৌমিকী বেদী নির্মাণ করা হয়। ইহা পূর্বোক্ত প্রাগ্শশালার সপ্ুখ ভাগে পাদত্রয়-পরিমিত তৃভাগ ত্যাগ করিয়া পুর্বপশ্চিমে আয়ত বিস্তৃত

এই বেদৌটার উপরিভাগও চতুর্দিক বিতান দ্বারা আচ্ছাদিত করা হন) ইহার মম্ুখভাগের নাম “অংদ”, আর পশ্চাৎ ভাগের নাম “শ্রেনি”। এই বেদীর অংস প্রদেশের ভাগে আম্ততনে ১* পদ পরিম্মিত একটা বেদী রচনা কর! হয়। ইহা অগরিহোত্রবেদীর সদৃশ। ইহার নাম প্উত্তর রেদী”। এই বেদীর অংস গ্রদেপের উত্তর তাগে পূর্বপশ্চিমে পদ আয়ত এক বেদী নির্দিত হয়। ইহার আকার আঅধিহোত্র রেদীর সদৃশ অর্থাৎ কৃশমধ্য। অনন্তর মহাবেদীর মধ্যভাগে শেনি-রেখা টানা হয়। মধ্য হইতে অংস পর্য্যন্ত ধেই স্ুব্যক্ত রেখার নাম পৃষ্টা অপিচ মহাবেদীর উত্তরাংশের পশ্চাৎ ভাগে পদ দূরে একটা গর্ত খনন কর! হয়। ইহ)কে বৈদিকের! চাত্বালক” বলেন। এই চাত্বালক গর্ত হইতে ৯২ পদ দুরে অপর একটা গর্ভ করা স্ুয় তাহার নাম “উৎ্কর”।

এই সমস্ত নির্মাণের পর, অধর প্রতিপ্রস্থাতা “হবিধধান” নামক ছুই খানি শকট (গাড়ী) সেই উৎকর গর্তে ধৌত করিয্া পশ্চিম ধার দিয়! মহা বেদীতে আনয়ন করতঃ শ্রেনীর নিকটে রাখেন এবং সেই পৃষ্ঠা! নামক রেখার দক্ষিণ পার্থে একখানি শকট মধ্যে রাখিয়া দক্ষিণ উত্তর ক্রমে অরদ্ধি এবং পশ্চিম দিকে অরদ্ধি পরিমিত কৌণ| ) চতুর এবং চারিটী স্তত্ত যুক্ত এক মণ্ডপ দির্ঘ্াণ করেন। এই মণ্ডপের নাম পহবির্ধান” মণ্ডপ। পূর্বে পশ্চিমে হট থর থাকে.। বীরণ অর্থাৎ শ্র-প্রের কট (মাদুর ) দিয় চারিদিক আ|চ্ছাবিত্ত ফন হক়্।

খলামযাগ! রড

অগ্নিকোণসশ্থিত-)' প্রকোষ্ঠের মধ্য-স্থলে হস্তপ্রমাণ 'সমচতুরশর (স্কোয়ার ) রেখা কল্পনা! করিয়া, প্রত্যেক কোণের প্রান্ত প্রদেশে বিস্তারে অর্থ হস্ত এবং গতীরতায় এক হস্ত, এরূপ চাঁরিটা গর্ত করা হয়। গর্ভের মুখে বরণকাষ্ঠের অর্থবা যজ্ঞ- ডুমুর কাঠের চারি খানি ফলক দ্বারা পুটিত অর্থাৎ আঁবদ্ধ করিয়া তদুপরি বৃষ- চশ্ম তুপরি শিলাপট্র (পাথরের পাঁট! ) রাখা হয়। ইসা রিরোন নিমিত্ত সোম পেষণ করা হইয়া খাঁকে। |

“বিধান” মণ্ডপের সম্মুখে “পৃষ্ঠ্যা” নামক স্থানের দক্ষিণে পহবির্ধান” মও্পের স্তায়, "সদৌমণ্ডপ” রচনা করা হইয়া থাকে। এই'মগুপ দশ অরতধি প্রমাণ পুর্ববায়ত, নয় অরত্ি দীর্ঘ, চতুরত্্, স্তস্তস্থুশোভিত এবং স্থুপরিষ্কত করা হয়। প্রতাদৃশ সদৌমগুপের ঠিক মধ্যস্থলে যজমানের তুল্যপ্রমাণ একটা গম্বরী স্থণা (যক্জডুমুর কাণ্ঠের খেটা ) (প্রোথিত করা হইয়া থাকে 'পশ্চীৎ আগ্মিএশালার নির্মাণ এবং তাহ! সর্দোমগ্ডপ হবিরধান মওপ এই ছয়ের উত্তর ভাগেই হইয়া থাকে। ইহার আয়তন বিস্তারাদি প্রায় পূর্বের মত পূর্বপল্চিম দীর্ঘ। ইহার এক অর্ধাংশ বেদীর প্রান্ত প্রদেশে প্রবিষ্ট, এবং অপর অর্থ. বেদীর বাহিরে নিংস্যত থাকে। ইহার ছুইটা দার থাকে, ষিপ দিকে অফটা উ. পূর্বদিকে একটা |

উল্লিখিত সবোমণপে বা আত্মিপ্রশীলাঙ ' সুততিকা কীকরের হস্ত প্রমাণ থে সকল বেদী নির্মাণ করা হয়, যাজ্ভিকগণ সে গুলিকে “ধিষ্য” বলিয়া উল্লেখ করেন। তন্মধ্যে আগ্নিধশালাঁর টুইটী দধিষ্ঠ* অর্থাৎ দক্ষিণ ভাগে একটা (ইহার নাম মার্জালীয় ) উত্তর' ভাগে একটা ( ইহার নাম আগ্মিত্রীয় )। অপিচ হোতার জন্য ১, মৈত্রীবরুণের জন্ত ১, প্রশাস্তার জন্য ১, ব্রান্মণাচ্ছতখীর জন্য ১, পৌতার জন্য ১, নেষ্টীর জন্য এবং অচ্ছাবাকের জন্য ৯, এই সাতটা ধিফ্যি সদোমণ্ুপ মধ্যে নির্শিত হইয়া থাকে |

' মহাবেদীর সন্ুখভাগে এবং আহবনীয কুণ্ডের সন্নিকটে যস্ীয় যুপস্তস্ত উচ্ছি.ত বর

রর % তীয় বুপ সকল অট অ্াৎ, আট পোকসালে কর! হইত। বজবিশেষে ইহার উদার, তীঁরভয়্য ছিল বহামযাগে ঘুপের' উদ্ধৃত) পঞ্চ তরি হইডে পঞ্চাশ নি হা এখং সি কানের স্থারা অভাবে পলাশ কাঠের সার বিবি, হইত.

ার়ত-রহন্ত। :. মহাবেদীর নির্মাণ লমাধ! হইলে, বৈসর্জন-নামক- হোমের পরে, “অগ্িষ্টো ীর” পগুযাগের প্রারস্ত হয়। এই যাঁগটা সোম-যাগের পুর্বাঞ্গ। এই সময়েই . প্রাখংশ্শালার় উত্তরব্দৌস্থিত সোমলত। সকল আনীত হইয়া! হ্বিধধান মণ্ডপে ; স্থাপিত করা হয়। পরে যভীয় পশুকে পবিভ্রজলে স্লান করাইয়া! যুপের সম্মুখে পশ্চিমাভিমুখে স্থপন করতঃ কুশপিঞ্জলীযুক্ত শরক্মশাখার দ্বারা উপাকরণ অর্থাৎ মন্ত্পূত করা! হয়। উপাকরণ কার্য সমান্তড হইলে সংজ্ঞপন অর্থাৎ বধ করা পর্যান্ত যে সকল ক্রিয়্াকলাপের অনুষ্ঠান করা হইত সেই সমুদায়ের নাম পশ্থলস্তন।

জাতদস্ত, অবির্লুতাজ, রোগশুন্ত এবং বিশেষরপে পুষ্ট, এতাদৃশ ছাগ পণ্ডই মন্্কার্য্যে' গৃহীত হইত।

কথিত প্রকারের পশু যখন বধ্যস্থানে নীত হয়, খাত্বকেরা তখন উচ্চৈঃস্বরে বেদ্মন্ত্র গান করিতে থাকেন। সেই গীয়মান মন্ত্রের অর্থ এই রূপ প্হে ব্যাপক ইন্্রিয়সমূহ ! এই পশুর ইন্দ্রিয়াধিষ্ঠাত্রী দেবতার সহিত অর্থাৎ প্রাণ- বাধু প্রভৃতি জীবাত্মার সহিত তোমর! আমাদের “হবি” অর্থাৎ হোম দ্রব্য প্রদ্নানকর। পশ্চাৎ এই পশুর ভবিষ্যৎ-দেব-শরীরের সহিত সংযুস্ত হও 1” সংঞ্ঞপন * কাঁধ্য সমাধা হইলে তাহার নিশ্নলিখিত অঙ্গ সকল উতৎকর্তন করিয়। লইয়! «শামিত্র" নামক অগ্রিকুণ্ডে তাহা পাক করিয়া মন্ত্রগান করতঃ আহুতি প্রদান করা হইত। হৃদয়, জিহ্ব!, বক্ষঃ, যকত, বৃদ্ধ, বাম হস্ত, পায়, দৃক্ষিণশ্রোণী, পাবুনাল, বপা এবং বস! প্রহৃতি আরও কয়েকটী অঙ্গ ছেদন করি) তন্বারা হোম কর! হইত। এতদস্ত কাধ্য-কলাপের নাম অগ্রিষ্টোমীয় পণ্ু-যাগ”। | ইহার পরেই পুরোহিত ক্রাঙ্ষণেরা চাত্বাল উৎকর ভূমিব উত্তরভাগে অবস্থিত বহমান জলাশয় হইতে জল আহরণ করিয়া যক্রশালায় স্থাপন করেন সেই 'শাহৃত জলের বৈদিক নাম “বসতীবরী”। এই দিবসের রাত্রিতে জমান জাগরণ পূর্বক ত্রাঙ্মণগণের নিকট নানা প্রকার পুরাতন ইতিহাস দেবচরিত্র অবগ করিয়া খাকেন; সেই কারণেই এই দিনের নাম “উপবসথ””।

* কই সংজ্ঞগন কার্য ঘে কোন ব্যক্তি নির্ধধাহ করিতে পারেন। এখন যেষন খড্োর একাদথাতে পণ্ড বধ করার প্রথা প্রচলিত আইছে, পূর্ন গ্রুপ ছিল ন। ুষ্ট্াধাত গ্রস্থৃতি নিঠ,রর উপায়ে যত পণ বিনষ্ট কর! হইত। তাদৃশপ্রকারে বিনাশ করার নাম “সপোন” $

সজাগ | সি

| টহল বাসা রিজগর্ তঙ্গিনের -প্রাতে অধ্বযুঃ টর্চ ব্রাহ্মণের! কৃত্ান কৃতাক্তিক হইয়! এই দিবসের বৈধকার্য সক অনুষ্ঠান করিতে প্রবৃত্ত হন 1 ' যথী-_. |

প্রথমতঃ হবির্ধান শকট হইতে পোষ * আহরণ করিয়া উপসব স্থলে স্থাপিত করা হয়। অধ্বর্ধট অতি প্রত্যুষে উঠিয়া হোতাকে “গ্রেষ-মন্ত্রে” উদদধ করেন। ছেতাঁও প্রাতরন্ুবাক পাঠ করতঃ অশ্বিনী-কুমারকে স্তর করিতে থাকেন, আগ্রিঞ্ক পুরোডাশ প্রভৃতি প্রস্তুত করিতে আরমন্ত করেন, উন্লেতা সোঁম- পাত্র কল সজ্জিত করিতে থাকেন 1

অনস্তর হবিরধান শকটের অক্ষ প্রদেশে ছই খানি শুর্ণ বস্ত্র অর্থাৎ মেষলোম- চিত কম্বল, সোমরস শোধনের ইীকিবার ) জন্য স্থাপন করা হয়। তাহার একখানি প্রাদেশ-পরিমাণ এবং দ্বিতীয় খানি অরত্বি-পরিমাণ

অপিচ দক্ষিণ হবিধান-শকটের নিয়ে মৃদ্ময় দ্রোণকলস স্থাপনা করা হয়। এবং উত্তর হবিধান শকটের উপরে অন্ত ছুইটা বৃহৎ কলস তাহার একটার নাম উপ- ভৃত এবং অপরটার নাম আধবনীয়। পুনরপি উত্তর শকটের নিয়ে ১* খানি কা্ঠময় চমস এবং মৃষ্ঠয় ৫টী ঘট রক্ষা করা হয়! এই জমন্ত' কার্ট উন্লেতাই করিয়া! থাকেন।

অনস্তর অধ্বুর অনুজ্ঞ| ক্রমে যজমান, পত্তী এবং চমসাধরু উল্লিখিত ঘট-

আমরা মৌমলতা। সম্বন্ধে বিস্তারিভ বিবরণ এতিহাসিক রহস্য হয় ভাগের হেব প্রস্তাথে লিখিয়াছি। তাহাই এক্ষণে কোঁন কোন বশোনুন্ধ ব্যক্তি অবিকল বা কিঞ্চিৎ দ্বপান্তর হরিকক। অস্তাবাস্তরে ব৷ গ্রন্থাস্তরে প্রকাশ কত্রিয়াছেন। আমরা স্পষ্ট লিখিতেছি যে, সৌমলভা সন্বস্থীক্ যে সকল বৈদিক প্রমাণাদি আমীদিগের বেদ-প্রন্তাষে প্রকাশিত হইয়াছে সে গুলি গু্বেধ ইউরোপীয় পণ্ডিত ব! বঙ্গদেশীয় কোন ব্যক্তির গ্রস্থে সঙ্কলিত হয় নাই।

সোঁমলতী- যাহা এক্ষণে যজ্ঞ-কাধ্যে ব্যবহার হয় ভাহী £50101855 20012 01 ৪০৪১ 'মিসেদ ম্যানিং কহেন ইহ। গীঁইট যুক্ত লতা বিশেষ এবং স্গ্রন্থে ইহার এক প্রতিকৃতি প্রক্কাশ করি- কীছেন। কেহ কেহ ইহাকে 92509505775 81117915 বলেৰ ইহ “হাড়যোড়া” গাছেছে খ্যায় ডাটা বিশিষ্ট এবং অল্প অল্প পল্জযুক্ত। ইহার পুণ্প ক্ষুপ্র চুত্র খেতবর্ণ এবং হুগন্ধমুক্ত রক্বর্ . ্ষহেন ইহার ডটায় ছুগ্ধ নির্গত হক এবং তাহার আম্বাদ ঈবৎ অগ্। ইহা গঞ্জাবের স্থান বিশেষে, বৌলন গাশে, পুলা এবং চেল মণডলে জঙ্গিয়। থাকে! নি

,ক লোম পাত্র ছই:প্রকার। গ্রহ স্থালী।. গ্রহ গুলি কাষঠ গ্ষচিত বং বাদি বুক ির্িত। এই পান ভিত তির আকারে গিকরিখার বিধি আছে... |

টা

খরা জল আহক করেন। টরিপৃরিরিনল না তাহার নাম ধ্একধন” এবং পত্থী যাহা আনয়ন করেন, তাহার নাম. “পানলেজন”। অধবধুঠ দেই ছুই প্রকার জল পূর্বোক্ত রসভীবরী জলের সহিত মিশ্িত করিয়া লন। পরে মজমান' প্রতি প্রস্থাতা, নেষ্টা, এবং অধ্বধূ্য এই কএকজন খিক সেই. সোমাভিষব ফলকের নিকটে উপবিষ্ট হইয়৷ উপলখণ্ড (নোড়া) গ্রহণ পূর্বক অনু্ঞা বাক্য উচ্চারণ করেন। অনন্তর অধ্বমুঠ পাঁচ সুটো৷ সোম সেই প্রস্তর ফলকে স্থাপন করেন, প্রতি প্রস্থাত। সেই সোনপুঞ্জ হইতে ছয়টা সোম অংশ গ্রহণ করিয়া শ্রী অন্ুলিসন্ধিতে আবদ্ধ করিয়! রাখেন, পরে সকলে একত্রিত হইস্স! তাহার পেষণ কর। হয়। এই রূপে সোমরস নিষ্ষাশন করার নাম সৌমাভিষব, ইহা। দিনে তিন- বার মাত্র করা হয়, প্র(তঃকালীন সোমাভিববের নাম প্রাতঃ সবন, মধ্যে মধ্যাহ্ন সবন, সায়ংকালে সায়ং সবন। অভিম্থত সোমরস আহুতি প্রদত্ত হয, অবশিষ্ট ভাগ পানার্থ স্থাপিত থাকে এই সোমাভিষব বৌধক শ্রুতিতে প্রসঙ্গ ক্রমে বা দৃষ্টান্ত বিষয় পুরুষ-পশুর উল্লেখ দুষ্ট হয়। * আঁুতির উপযুক্ত সোমাভিষব সমাপ্ত হইলে, পুরোহিতগণের ছারা তখন

. এ্রকটা মহাভিষব অর্থাৎ প্রচুর পরিমাণে সোম পেষণ আর্ত কর! হয়। প্রতি- প্রস্থা। প্রভৃতি সকলে একত্র হইব পিষিতে থাকেন, অধ্বযূয তাহাতে জলসিঞ্চন . ক্বরিতে থাকেন। উত্তমরূপে পেষণ কর! হইলে, তাহ! আধবনীষ্ধ কলসে ফেলিয়া

আলোড়ন করিতে থাকেন, অনন্তর তাহা বস্কের দ্বারা নিস্পীড়ন করিয়া লওয়া হয়। সেই রস ক্রমে পগ্রহ” প্চমস” “কলসে+, পূর্ণ কর! হয়, নান! প্রকার মন্ত্র স্তুতি পাঠ হয়, এবং ভিন্ন ভিন্ন দেবতার উদ্দেশে আছতি প্রদত্ত হয়| .. সোম-যাগের দেবতী_্থধ্য, অগ্ি, ইন্দ্র, বায়ু, মিত্র, বরুণ, অশ্বিনী-কুমার, বিশ্বদেব, ইন্দ্র, মহেন্দ্র, বৈশ্বানরা প্রি, চৈত্রাদি চতুর্দশ মাসের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা, 1 ইন্দ্র গ্সি মরুদগণ সহিত ইন্দ্র, তব, সহিত 'অগ্রিপত্থী স্বাহা বা অগ্থায়ী।

পোপ উপ পাটি সস পা এর

* “কল্ধাৎ সত্যাৎ ত্রয়ঃ পশুনা হস্তাদানাঃ_-পুরুষে। হত্তী মর্কট£” ইতি) এই মন্ত্রে পুরুষের পণ উক্তি থাকায় এবং "ব্রাহ্গণে ্রাঙ্গণমালভেত” এই ত্রাহ্গণবাক্যে শপষ্টরূপে প্রাহ্মণীলঙনের বিবি বাঁকা এবং গুনঃশেফ উগাধ্যানে পুরুষালস্তনের বর্ণন! থাকায়, পূর্ব্বকাঁলে অশ্বমেধযজ্ঞের

গায় নরামধবজ আনুষ্িত হইত, ইহ! অন্মাম করা যাইতে পারে | কী প্রকৃত মার ছবাদশ এবং ছুই প্রকাঁর মলমাস; এইরূপে ১৪ মাসের গণনা আছে। ইহার | কারা নিট দুখ যাইতেছে যে, বৈদিকসময়ে জ্যেতিগর্ণনাও সউন্নত হইয়াছিল...

রনি | ॥.. * 4 নাঃ সোমযাগ ** টা / চা /

এব্প্রকার অনুষ্ঠানের পর পুরোহিতের এবং যজমাঁন সোমরস শাঁনের পর 'আত্মাকে কৃতকৃতীর্থ মনে করিতেন।* পুরোহিতের যজমানের সোমপাঁন বিধানের প্রভেত্দ আছে প্রভেদ এই যে, পুরোহিতের প্রত্যেক সবনেই অব- শি্ট সোম পান করিতেন ; বজমান কেধল সায়ংসবনে পান করিতেন

যাগ সমাপ্ত হইলে যমান পূর্বোল্লিখিত সদোমগুপে গিয়া পুরোহিত্রগণকে দক্ষিণ! দান করিতেন অগ্রিষ্টোম বজ্জের দক্ষিণাবিভাগ ক্রুষে ১২০০ দ্বাদর্শ শত গাভী +, এবং সুবর্ণ, বস্তু, অশ্ব, অশ্বতর, গর্দিভ, মেষ, ছাঁগ, অল্প, যব মাসকলাঁয় দিবার বিধিও আছে

যে যে পুরোহিতকে বে বে প্রকারে দক্ষিণাদীনের বিধি আছে, তাহা নিয়ে লিখিত হইল ্রহ্মাকে ১২ ( গাভী ) কিঞ্ৎ পরিমাণে সুবর্ণ ইত্যাদি

উদ্দগাত!কে শর

হোঁতাকে ত্র হী

অধ্বর্ুকে পর

্রহ্মণাচ্ছিংসীকে ৯টা (গাভী ) কিঞ্চিৎপরিমাণে সুবর্ণ প্রভৃতি

প্রস্তোতাঁকে শর রী

মৈত্রাবরুণকে পর

প্রতিপ্রস্থাতাকে না.

পোঁতাকে অদ্ধেক অর্থাৎ ৬টা (গ্বাভী ) এবং কিঞ্চিৎ পরিমাণে সুবর্ণ প্রভৃতি |

প্রতিহর্ভীকে প্র রী

অচ্ছাবাককে রী

নেষ্টাকে শী তরী *

অগ্বিপ্রকে চারি ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ৩টা (গাভী ) কিঞ্চিৎ পরিমাণে: ইত

টিনা রি রর লব ইত্যাদি।

গ্রাবস্তৎকে তঁ

উন্নেতাকে রব রী

* গোপথত্রাহ্মণের উত্তর ভাগ-গত দ্বিতীয় প্রপাঠকে উল্লেখ আছে, 'ষে বাতির সকল অ্া। “ানথক্ষতি প্রচরত প্রাতর্বাবাহদ্যাহং সোমং সাস্থাপয়ামি” এই মন্্ারথ স্মরণ রাখি সোম পাঁন করে, “নাঁপ্য দোমং হ্বম্নতি"' তাহার সোম ক্ষরিত হয় না) সোম-রদ ভূমি-পতিত হইপ্সে. সাফি দোষ.

হইয়া থাকে। 1 অভাবে শত গাভী, তদভাবে মূল্য দেওয়ার বিধিও আছে).

.... অবশিষ্ট গো এবং হিরণ্যা্দি অনা লাহাধ্যকারী ত্রানগদিগকে অর্থাৎ চম” লাধ্বযু্ট সন্ত গ্রস্ৃতি'কে যথা শান্্র বিভাগ করিয়! দেওয়া হইয়া থাকে

:, এই সময়ে অনান্ত প্রার্থী অনাহ্ভ ব্রাহ্মণ অন্ধ, পদ্গুঃ অনাথ প্রভৃতি দীন ছুীকে অন, বন্ধ সুবর্ণদি ( শক্তযনূসারে ) বিতরণ করা হয়

: হজ্ঞ সমাপ্তির পর আর একটা কাধ্য করিতে হয়; তাহার নাম অবভূথ সীন। এই ক্নান-কার্ধ্টা মহাসমারোহে সম্পন্ন কর! হয়। পুরোহিত, বন্ধু, বান্ধব, জ্হৎ এবং তাহাদের পত়ীবর্স, সকলে সমবেত হইয়া যজমানকে লইয়া স্নানার্থ কোন 'শ্রক মহানদীতে, অভাবে পুণ্যঙ্গলীশয়ে গমন করিতে থাঁকেন। গমনকাছল প্রস্তোত। নামক পুরোহিত অগ্রে অগ্রে সামগান করিতে করিতে যান, আর বজমান প্রভৃতি পুরুষেরা এবং তৎপত্থী প্রভৃতি স্রীলোকেরা পম্চাৎ পশ্চাৎ তাহার নিধন বাক্য গাইতে থাঁকেন। * জল-সন্গিধানে উপস্থিত হইলে অগ্রে একটা হোম করা হয়, পরে মহাঁসমারোহের সহিত জলব্রীড়ায় প্রবৃত্ত হন। এই অবড়ৃত শাঁনটী সমস্ত বৃহৎ বৃহৎ যজ্ঞের অঙ্গ এই স্নানে নাকি ব্রহ্মহত্যাদি সমস্ত পাপ অপনীত হইয়া থাকে |

ধাক্দংহিত। গ্রত্ৃতি বিবিধ বেদশান্ত্ের সাধারণ অংশ গ্রহণ করিয়া এই সোমষাগ প্রস্তাব্টী প্রকাশ করা গেল। বস্ততঃ প্রত্যেক শাখাধ্যায়িদিগের লোমযাগানুষ্ঠান বিষয়ে কোন কোন অংশে বিশেষ ভাব আছে তাহ! বিচক্ষণ পাঠকগণ বৌধায়নী অগ্বিষ্ঠোম পদ্ধতি এবং সাঁমবেদীয় অগ্নিষ্টোম পদ্ধতি প্রত্থৃতি পাঠ করিলেই বুঝিতে পারিবেন মি অপিচ এই প্রবন্ধ বিমলভট্রের পুক্র. ভট্ট যজ্েম্বরের বিরচিত গ্রন্থ, গোপথ

্াঙ্ণ, কৃষণযভূর্বেদসংহিতা, অধ্যাপক হৌগ প্রকাশিত এতরেয় ব্রাহ্মণ বিবিধ অগ্রিষ্টোম পদ্ধতি, এবং ইংরাজী মিসেস্‌ ম্যানিং ক্কৃত প্রাচীন ভারতবর্ষের বিবরণ অবলম্বন করিয়া লিখিত হইল

০০০০০০৮১পপপপপপসপপপপপপপশপপ পপ

* গানের প্রত্যেক পথ্যায়ে বেটা সমানরূপে গীত হয়। সামণীনের সেই ভাঁগকে নিধন বলে। 'ব্মাস্কীতিফ কৌলিক গানের “ধুয়া” তাহারই পরিণাম ব। অন্বকরণ। ইংরানিচত ইহার নাথ

1 রি এ. নত ৮30৮ $ ? ঠা ১18, রি

ঢিবি

আর্ধযজাতির যুদ্ধান্ত্র।

আধ্্যেরা যখন ভারতবর্ষে আধ্বিপত্য ব্লিস্তার করিয়ছিলেন, তখন তাহাদের যে সমূহ উন্নতি হইয়াছিল, এবং কি শিল্প, কি যুদ্ধ,কি বাণিজ্য সকল বিষয়েই যে তাহার! পারদর্শী ছিলেন, তাহা আধ্য শাস্ত্র দেখিলেই অনুভূত হয়। তাহারা সর্বদা যাঁগ যজ্ঞ জপ হোমাঁদি পাঁরলৌকিক কাধ্য করিতেন বটে, কিন্তু সংগ্রাম উপস্থিত হইলেই অমনি লৌহময় কবচে আবৃত-সর্ববা হইয়া অন্তরশ্ত্রা্দি গ্রহণ পূর্বক শত্রু জয়ার্থ বহির্নত হইতেন। সৈশ্য, সেনাপতি, ইযুত ধনু, অস্ত্র, শস্ত, রথ, সারথি, ইত্যাদি বহু সাংগ্রামিক শব্দ খগ্থেদ মধ্যে দৃষ্ট হয়। সুতরাং তৎ- কালেও যুদ্ধবিদ্তার উৎকর্ষ ছিল ইহা! সহজেই অন্মিত হইতে পারে। রুমায়ণ, মহাভারতাদির সময়ে এই বিদ্ভার সমধিক উন্নতি হ্ইয়াছিল। বামায়ণাদি গ্রন্থে যে সকল. যুদ্ধাস্ত্রের উল্লেখ দৃষ্ট হয়, তাহা এক্ষণে কাঁল-কবলে কবলিত হইয়াছে নে সকল যে কিরূপ ছিল, তাহা আর এক্ষণে জানিবার উপায় নাই। ধনুর্বেদ, শুক্রনীতি, বৈশম্পায়ন-নীতি অগ্নিপুরাণ, ফামন্দক প্রভৃতি প্রাচীন রাজনৈতিক গ্রন্থের দ্বারা এক্ষণে কতিপয়মাত্র অস্ত্রের স্বরূপ জানা যাইতে পারে? : কিঞ্চিৎ আমোদ আছে বলিয়া অদ্ক আমর! সেই লুপ্ত যুদ্ধান্ত্ের স্বরূপাঁি বর্ণন করিতে ইচ্ছুক হইয়াছি।

ধন্গ, ইযু ভিন্দিপাল, শক্তি, ক্রুঘণ, তোমর, নলিকা, ( নাল, নালিক, এই ছুই. নামও আছে, ) লগুড়, পাশ, চক্র, দস্তকণ্টক, ভু্ততী, পরশু, গোশীর্ঘ, . অসি, কুস্ত, লবিত্র, স্থুণ, প্রাস, পিণাঁক, গণ, মুদগর, সীর, মুদল, পটিশ, পরিঘ, ময়খী, শতদ্রী, দও, দণডচক্র, ধর্মচক্রু, -কালচক্র, পরন্দ্রক্র, শূল, ব্রহ্গশির, মৌদকী,, বরুণপাশ, বাযু-অস্ত্র, ক্রৌধ্যন্ত্, হয়শির, বিষ্ভা, অবিস্া, গার, নন্দন, বর্ষণ, শোষণ, প্রস্থাপম, প্রশমন, সন্তাপন, বিলাপন, নাগা, গার্ড়াজ, নারীচ, : জস্তণ প্রভৃতি পত শত গ্মস্ত্রের নাম শুন! যাক, -কিস্ত তত্তীবতের. আকার প্রকার. ব্যবহার প্রণালী কিছুই : জান! যার না।.. যাহা জান। যায়, তাহা. বাজে প্রদর্গিত হইতেছে!

৯৪ ভারত-রুহ্হ্ক

ধু, এটা অস্ত্র নহে ইহা অস্ত্ক্ষেপক যন্্র। হহার বৃত্তান্ত ধুর্ধেদ-নামক গ্বতগ্্র প্রস্তাবে বল যাইবে ইবু--ইহা একটি ধনুঃক্ষেপ্য অঙ্কের সাধারণ নাম যাহা তীর বঙ্িয়। প্রসিদ্ধ তাহাই ইযু। ইহার বাঁণ, শর, খগ শায়ক প্রভৃতি অনেক নাম আছে। পুর্ধকার লেখ! দেখিলে জানা যায় যে, ইহা ৪০০ হস্ত পরিমাণ দূরে সবেগে যাইত। “নল্লামাত্রগতিস্ত সঃ” [নীতি-প্র-৪ ] বাণের ৪০* হাত গতি হওয়া বড় সহজ নহে; অনেক বন্দুকের গতিও ৪০ হাত হয় কি না সন্দেহ। শাঙ্গধর লিখিয়াছেন বে, শিক্ষান্ন সময় ৬০ ধন্ত, ৪০ ধন্গু, অথবা ২০ ধনু পরিমিত দূরে লক্ষ্য ররখিয়া তাহা বিদ্ধ করিতে শিথিবেক যথা প্যষ্টিধ্বস্তবে লক্ষ্যং জ্যোষ্ঠং লক্ষ্যং প্রকীষ্ডিতম্‌। চত্বারিংশন্মধ্যমঞ্চ বিংশতিশ্চ কনিষ্ঠকম্‌ ভিন্িপাল-_ইহা এক প্রকার হস্তক্ষেপ্য অস্ত্র। ইহার আঁকার কিরূপ? ভাহা এক্ষণে বোধগম্য হইবার লহে। বৈশম্পায়নোক্ত ধনুর্কেদে ইহার গঠন- প্রণালী,সম্বদ্ধে যে একটি কবিতা! আছে তাহা! এই-- ভিগ্ডিবালস্ত বক্রাঙ্গে! নমশীর্ষোবৃহচ্ছিরাঃ | হস্তমাত্রোৎষেধযুক্তঃ করসন্মিতমগুলঃ 1 “ভিঙডিবাল,” ৭ভন্দিবাল, পভিন্দিপাঁল,» এই তিন পাঠই দৃষ্ট হয়। ভিস্তিবাল বা ভিন্দিপাল নামক শঙ্্ের শবীবটী বাকা, মাথাটা নোয়ান, মস্তকটা যেমন নম্র তেমনি শরীর অপেক্ষা বৃহৎ ইহার উচ্চত| এক হস্ত অর্থাৎ হস্তপরিমিত লঘা এবং করপরিমিত অর্থাৎ মুঠ! কবিয়। ধা যায় এপ ভাবের গোল গঠন। এই বর্ণনার দ্বারা অনুভব হয় যে, ভিন্দিপাল অস্গটা মাধুনিক সৌটার স্ঠায় হইলেও হইতে পারে। এই শক্রঘাতী আমুধ'কে পদাদি সৈশম্তেরই ব্যবহার করিত। অন্যুন তিনবার ঘুবাইয়! ইহাকে ছুড়িয়া ফেলিছে হয়। জিদামণং বিসর্গশ্চ বাঁমপ[দপুরঃসরম্‌। রর পাদঘাতাৎ রিপুহনোধার্ধ্য: পাদ[তমগ্ুলৈঃ ॥৮ 'অন্সিপুবাণোক্ত ধন্ুর্কেদে ভিন্দিপাল ব্যবহারেব্র প্রণালী ইহা অপেক্ষা অন) রূপ লিভ হইয়াছে যথা *সংশ্রান্তমথ বিশ্রান্তং শীবিসর্শং সুূ্ধরম। 'ভিন্দিপালস্ত কন্মীণি লগুড়গ্ত চ.তন্তিপি . শক্তি--খ্রই অন্ত্রের আকার সন্ধে যেন বর্ণন! দৃষ্ট হয় তাহাও লিখিতেছি।

আধ্ধ্যগাতির যুদ্ধাস্ত। ৯9

"্শক্তির্ন্তদবয়ৌৎসেধা তিধ্যক্‌ গতিরনাকুল| | তীক্ষজিছ্বোগ্রনখয়! ঘণ্টানাদভয়ঙ্করী | ব্যাদিতান্তাতিনীলা শক্রশোণিতরঞ্জিত1। অন্ত্রমালা পরিক্ষিপ্ত। সিংহান্তা ঘোরদর্শনা বৃহৎসরদূররগমা পর্বতেন্্রবিদরিণী | ভুজদ্বরপ্রেরণীয়া যুদ্ধে জয়বিধাস্মিনী 1”

বর্ণনা দেখিয়া শক্তির প্রকৃত গঠন বা! আকার স্থির করা যাঁয় না। এক্ষণে আমর! যেরূপ ভাবের সংস্কৃত অবগত আছি, তদন্ুরূপ প্রথায় ইহার বঙ্গানুবাদ করিলাম ? যদি কেহ পারেন বুঝিয়া লইবেন।

শক্তি অনধিক ছুই হাত লম্বা। সিংহের স্তাঁধ মুখ জিহবা আছে, তাহা অতি তীক্ষ। নখর আছে, তাহাও তীক্ষ। বৃহৎসরু অর্থাৎ ধরিবার মুট্‌ বা স্থানটা বৃহৎ। দেখিতে অতি ভীষণ, ঘণ্টানাদের দাবা ভয় জনক, শত্ররক্তে রঞ্জিতাঁজ, অন্ত্রজলে বিজড়িত, গাঢ় নীলবর্ণ, অত্যন্ত দৃবগাঁমিবী, তির্ধ্যক্গতিযুক্ত, এবং পর্রবতেন্ত্র হিমগিরিকেও বিদীর্ণ করিতে সক্ষম, বুদ্ধে জয়দায়িনী, এতত্দ্রপিণী শক্তিকে ছুই হস্তে উঠাইয়! প্রেরণ করিতে হয়।

এই ঘোরবূপিণী শক্তি ছয় প্রকার মার্গ অর্থ/খ ক্রিয়ার আশ্রিত। প্রথম ক্রিয়া উত্তোলন, দ্বিতীয় ভ্রামণ অর্থাৎ ঘুবাঁণ, তৃতীয় বল্‌গন অর্থাৎ আস্কালন, চতুর্থ নামন অর্থাৎ উদ্ধে আক্ষ/লিত করিয়া নীচুবাগে ধরা, পঞ্চম মোচন অর্থাৎ লক্ষ্েপরি নিক্ষেপ, ষষ্ঠ ভে্ন অর্থাৎ লক্ষ্যের অঙ্গ ভেদ। এই ছয় প্রকার

শক্তিকা্ধ্য বৈশম্পায়নোক্ত ধনুর্ধেদেও লিখিত আছে। বথা--- তোলনং ভ্রামণঞ্রৈব বুল, নং ন।মনং তথ!

মোঁচনং ভেদনঞ্েতি যন্মগ1ঃ শক্তিসংশ্রিতাঃ ক্রণ-__এই অস্ত্টী ছুই প্রকার। ক্রুঘণ বলিলে সাধাবণ্ঃ মুদ্গর বিশেষ বুঝায়, কিন্তু বৈশম্পায়নোক্ত ধনুর্কে্দের বচন পর্যালোচনা কালে ইহা এক প্রকার পরণু অর্থাৎ টাজী হা কৃঠারাস্্ম বলিয়৷ নিণাত হয়। যথা-- জ্রঘণস্থায়স।ঙ্গঃ স্ত।ৎ বক্রগ্রীবেবৃহচ্ছিরাঃ | পঞ্চাশদঙুলীতসেধো মুষ্টিসম্মিতমগ্ুলঃ জঘণ অ্্রটালৌহময় ইহার গ্রীবাস্থ/নটী ব।ক1, শীর্ষস্থান প্রশস্ত, ৫* অন্কুল চ্চ অর্থাৎ লঙ্খা এবং মুষ্তিপরিমিত মৃণডুল অর্থাৎ থোল। এই ত্রঘণ অস্ত্রের চানি প্রকার ক্রিয়া নির্দিষ্ট আছে। যথা__

“উল্লামনং প্রপাতশ্চ স্ফোটনং দারণং তথা | চত্বাধ্যেতানি ক্রঘণে বলগিতাঁনি শিতানি বৈ 1 উদ্ধে উঠান, প্রপাতন ( ফেলিয়া মার! ), স্ফোটন অর্থাৎ ফুটান, এবং দারণ অর্থাৎ বিদীণীকরণ। এই চারি প্রকার কার্ধ্য ক্রুঘণের আশ্রিত। তোমর--এই তোমরান্ত্র সম্ব্ধে তিন প্রকার উল্লেথ দেখা যার়। বৈশষ্পায়ন মুনির ধনুর্ধেদ অনুসারে ইহ! এক প্রকার লৌহফলক কাষ্ঠদওযুক্ত তীর। শাঙ্গ ধরসংগৃহীত ধনুর্কেদের মতে ফলবিশিষ্ট শলাকাকাঁর লৌহতীর এবং অগ্থি- পুরাণোক্ত ধনুর্ধেদের মতে সরলপক্ষযুক্ত তীর। ফল সকল মতেই ইহা ধনুঃ- ক্ষেপ্য তীরই হইতেছে ইহার আকার সম্বন্ধে প্রথমোক্ত ধনুর্বেদে যাহা লিখিত আছে, তাহা এই-- “তোমরঃ কাষ্ঠকায়ঃ স্তাৎ লৌহশীর্ষঃ স্ুপুচ্ছবান্‌। হস্তত্রয়োননতাঙ্গশ্চ রক্তবর্ণস্ববক্রগঃ ॥* তোমরের শরীরটি কাষ্ঠিনির্মিত, তাহার শীর্ষক অর্থাৎ ফলা লৌহময়, হস্ত- ্রশ্পপরিমাঁণ লম্বা, রক্তবর্ণ পুচ্ছ-ধারী। ইহার গতি অবক্র অর্থাৎ সরল। এই মর্ম ব্জায় রাখিয়! শাঙ্গধর একট! অতিরিক্ত কথ! বলিয়াছেন। যথা সফণব্ৎ শীর্ষদেশঃ স্তাতোমরস্বায়সম্তথা ৷” অর্থাৎ ফণিফণাকার ফলাযুক্ত লৌহতীরের নাম তোমর। অগ্নিপুরাণোক্ত ধনুর্যেদে ইহার আকার বা গঠন ভঙ্গী লিখিত হয় নাই, কিন্তু ক্রিয়াগুলি সমস্তই লিখিত হইয়াছে ধা | দদৃষ্টিঘাতং ভূজাঘাতং পার্খ্ঘাতং দ্বিজোতম। খভুপক্ষেযুণ! পাতং তোমরক্ত প্রকীন্তিতম্‌ ॥” বৈশল্পায়ন মুনির লিখিত তোমরাস্ত্ের কাধ্যও তিন প্রকার প্উদ্ধানং বিনিযুক্তিশ্চ ব্ধনঞ্চেতি তস্ত্রিকম্‌। বল.গিতং শন্ৃতব্বজ্ঞাঃ কথয়ান্তি নরারিপাঃ | শঙ্গৃতত্রজ্ঞ বাঁজারা বলেন যে, তোমরের তিন প্রকার কাধ্যা প্রথমে উদ্বান (উদ্ধীকরণ), দ্বিতীয় বিনিযুক্তি অর্থাৎ প্রয়োগ এবং তৃতীয় ব্ধেন অর্থাৎ লক্ষ্য

শরীরের ছিত্রী করণ। নলিকা ।--এই অস্ত্রের নলিকা, নালীক, নাল এই তিনটী, নাম আছে

বৈশস্পায়ন সুনির ধনুর্কেদ, অস্ুরাচাধ্য শুক্র খষির নীতিশাসজ, শঙ্িধর-সংগৃহীত ধনুকের বীরচিস্তামপি গ্রস্থৃতি পুরাতন গ্রন্থে ইহার বিল্পষ্ট রিব্রণ পাওয়! যায়,

195 রি খচগ রঃ টা সৌমখাগ ? $গ খই

এবং বিশ্বামিত্র-প্রণীত ধন্ুর্ধেদের যধ্েও ইহার ঘৎকিঞ্তি আনান পাওয়া! যায় মহাতারতের অনেক স্থানেই এই নলিকান্ত্রের উল্লেখ আছে, * রামায়ণেও ইহার উল্লেখ দৃষ্ হয় 1; তাহাতে লিখিত আছে যে, পুর্ব -অস্থরেরা- এই অন্তর ব্যবহার করিত। এই অস্মের আকার প্রকার বর্ণনা দেখিলে আঁধুনিক বন্দুকের আকার প্রকারের সহিত বড় অধিক ভিন্নতা থাকে না। যথা

“নলিকা খজুদেহ স্তাৎ তন্বঙ্গী মধ্যরন্ধিকা।

ম্মচ্ছেদকরী নীলা __-__---%”

[বৈশম্পায়নোক্ত ধনুর্বেবদ | ] ণ* নলিকান্ত্ের কায়! ঠিক সোজা সরু (নলের ন্যায় গঠন: বলিয়া! নলিক! )। ইহার মধ্যে রন্ধ, আছে, বর্ণ কাল, এবং ইহা ,হইতে অয়ঃকণ অর্থাৎ ক্ষুদ্র লৌহ- গুলিক। তীরের ন্যায় সবেগে প্রেরিত হইয়া! শত্রুর মর্খঙ্ছেদ করিয়া থাকে এই বর্ণন।র দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যাইতেছে যে, ইহা এক প্রকার বন্দুক ভিন্ন আর কিছুই নহে। ইহার ক্রিয়। পর্য্ালোচন! রুরিলেও বন্দুক বলিয়া প্রতীত হুইবে। যগা-- *গ্রহণং ধবাঁপনং চৈব স্যতঞ্চেতি গতিত্রয়ম্‌ তামাশ্রিতং বিদিত্বা তু জেতাসন্নান্‌ রিপুন্‌ যুধি ॥” প্রথমে গ্রহণ, পরে ধ্বাপন অর্থাৎ প্রজলিত করণ, পশ্চাৎ শ্যাত অর্থাৎ বিদ্ধকরণ। এই ত্রিবিধক্তিয়া নদ্দকার আশ্রিত, ইহা জানিলে আসরশক্রকে অনায়াসে জয় করা যায়। শাঙ্গ ধর-সংগৃহীত ধনুর্েদে ইহাকে পালীক- পক উর্েখ করা হইয়াছে! তাহাও এই নলিকা। বাঁ বন্দুক ভিন্ন অন্ত কিছু নহে বলিক্বাই.বোধ হয় তি - “নালীকা। লঘবে বাঁণা নলযস্ত্রেদ নোদিতাঃ। অতুযচ্চদুরপাতেযু দর্যুদ্ধতু তে মতা: 7 নালীক বাণ লঘু অর্থাৎ, ছোট, ব| সর্ু। এই পারের, বাশ নলের দ্বারা নিক্ষিপ্ত হয়। ইহা উচ্চ দূরলক্ষা স্থলে এবং দুর্গযদ্ধে গুয়োজনীয়

* বনপর্বব প্রস্ততি প্রত্যেক পর্েবেই “ততে। না'লীকনারাঁচৈ১”, ইত্যাদি প্রকার পাঠ, আছে এবং রামায়ণের উত্তরকাঁণ্ডে রাবপদিস্বিজয়বর্ণনাস্থলে "নালীকৈপ্তাড়িক়্ামাস”.এইরপ উল্লেখ আছে।.

+- ইহ! নীতিপ্রকাশিকষার এক অংশ | মহর্ষি বৈশল্পাযন স্বকৃত লীতিগ্রকাশিকায় বে খসুধেরধধের বিষরণ সংগ্রহ করিয়াছেন. ভাবাই আমরা এছলে. তছুক্ত বন্থুরে্দ খলিরা! হণ কিাদ। সংস্তশাকরবিশারদ ডাক্তার গা ওপা্. মহোদর, উরলিতিক...সথপ্লানি, কপ ০০ করিয।/ জার্ঘসুধাজের বিসেয/ হরর ।ৃইয়াছের ৭... ডাহা, লিখিত ভুমিকা, হইতে. আমর! কতিপয় বৈদিকজীযাগ অহ করিলাম:

৮৮ ভারত়-রহস্ত বা গ্রশস্ত। কৌন কোঁন পুস্তকে পলধবঃ শাণ! নলঘন্ত্রেণ এইযর়প পাঠ আছে। এই পাঠ গ্রা্থ করিলে ব্যাখ্য।! করিলে, শাখাখির দ্বারা ছুড়িতে হয়, এই অর্থও গাঁওয়! যায় ; সুতক্নাঁং শাঙ্গ ধরের ন'লিকাস্্র আর বন্দুক এক বন্ধ বলিয়া আাহা।

এই নালিকান্ের বৈদিক নাম “নুন্মী। ততকালের অন্ুুরের! হুম্্রী লইয়! দেবতাদের সহিত যুদ্ধ করিত। অনেক বৈদিক গ্রন্থে দৃষ্টান্তবিধায় ইহার উল্লেখ আছে। আধুনিক কোথগ্রন্থে “মুন্মী” শব্দটা লৌহ-প্রতিযুন্তি অর্থে নিবিষ্ট দেখ! যায়; কিন্ত বৈদিক গ্রন্থের উহা! লৌহ-স্থণ! ব! স্রণাঁকার যন্ত্রবিশেষ অর্থে ব্যবস্থত হইতে দেখা যাঁয়। ( তান্ত্িকদিগেব মতে প্রতিম! যন্ত্র এই ছুই শবের অর্থ 'অতিন্ন ; অর্থাৎ তাহারা পুজার আধারকে যন্ত্র বলেন, প্রতিমাও বলেন) সুতরাং হুক্ী শবটা লৌহ্যন্ত্র-অর্থে ব্যবহাঁব কব! অসঙ্গত নহে )।

কৃষ্তযজুর্ববেদে (১। ৫1৬1৭ সুম্্ী শব আছে, তাহার ভট্ভাস্করকৃত ব্যাখ্যা দেখিলে ম্প্টই প্রতীত হইবে যে, পূর্বে দেশেব অন্থরেবা দেবতাবা এক প্রকার বন্দুক ব্যবহার কবিভেন। সে বন্দক এখনকাঁব মত আকাব বিশিষ্ট নহে ; অন্ত এক সামান্য আকার বিশিষ্ট মথ1-_

"এষ! বৈ হুমী কর্ণকাবত্যেতয়া হন্ম বৈ দেবা অস্থবাঁণাং শততর্ছা সুহস্থি ষদেতয়া সমিধমাদধাঁতি বজমেবৈভচ্ছতদ্রীং ষজমানে। ভ্রাতৃব্যায় প্রহবতি 1৮

[ কষ্তযভুর্কেদ ১। ৫1৬1 ৭1 দেখ]

অত্র ভাষাম্‌স্মপজলভ্তী লৌহমধী স্থৃণা সুন্মা। গৌবাদিত্বাৎ ভীপ। কর্ণকা- বতী অন্তঃস্ষিরবতী অন্তর্জলন্তী চেহ্যর্থ; | সাংহিতকং দীর্ঘত্বম। তৎসদৃশা খগিত্যর্থঃ। দেবা এতয়া অন্থরাণ!ং মধ্যে শততর্থান্‌ এক প্রভারেণ শতন্ত হস্তূন্‌। ভূংহস্তি স্বস্তি স্ম। ভূহ হিংসীয়াং রৌধাদিকঃ | তশ্মাদেতয়া খচ! সমিধমাদধাঁতি ষজ- মানঃ বন্রম্‌ ইন্দ্রাযুধসদৃূশমেব এতৎ শতরীং পূর্বোক্তাং হুম্মীং ভ্রাতৃব্যায় শত্রবে ভৃংহস্তি প্রহিণোতি।

এন্লে সাক্সনাচার্য্যের ব্যাখ্য। এইরূপ--

জলভ্ী লৌহুমরী স্ুণা-কুশ্পী। সা কর্ণকাবতী ছিন্রুবতী। অতঞ্এ জলক্রীত্যর্থঃ। তৎসমালেয়মূক | একেন প্রহারেণ শতসংখ্যকান্‌ মারযন্তঃ শুয়াত শতততর্থাঃ। অন্ুরাগাং মধ্যে তাদৃশান ম্যাম) এতক্ব! খা দেবা হিংনজ্তি। অনয! সমিদাধালেন শতক্ীমেদাং গং হজং কতা বৈদ্বিণং হয়া গুহ” |

' লোমবাগ। ৯৯ অর্থ এই থে, সেই শৌহমরী। ফুণা__যাহার অভ্যন্তরে ছিদ্র,স্্তন্মধ্যে প্রচলিত হৃতাশন, যাহা বহিরাগত হয় তাহাও জলস্ত। এই গ্ক্‌ মনটা সেই লৌহমর়ী জলস্ত স্থণার ন্যায় জানিবে। অঙ্গরগণের মধ্ো যাহারা শর্মার ছার! যুদ্ধ করে,__ এক আঘাতে শত শক্র বিনাশ করে,--দেবতার1ও তেমনি তাহাদিগকে খারিবার জন্য শতত্বী বজ্ প্রয়েগ করিয়া থাকেন। এই খক্‌ মন্ত্র সেই শতগ্রীবজজের ব৷ সুগ্্রীর তুল্য যে যজমান অর্থাৎ বে ষজ্ঞকর্তা, এই খকের ছারা সমিদ্।ধান ( অগ্নিতে আছতিদান ) করেন, তিনিও এই শতরী অর্থাৎ শতশক্রনশক বস্ত্র বা ুম্্ী উদ্ধৃত করিয়া! শত্রুর প্রতি খক্‌ ঝা! যমন্ত্ররপ প্রহ্রণ প্রহার করিতে সমর্থ হন। এতগ্িন্ন অর্ববেদের (১। ১৬1 ৩। ৪1) এক স্থলে, একটী উদ্বাহরণ আছে, তাহাতে দীসকণদবারা শত্রবিনাশের কথা আছে। যথা_-

“সীসায়াধ্যাহ বরুণঃ সীসায়াগ্লিরপাবতি |

সীসং ইন্তরঃ প্রায়চ্ছৎ তদঙ্গ যাতু চাতনম্‌

যদি নে! গাং হংসি যগ্যশ্বং যদি পুরুষম্।

তং হত্বা সীসেন বিধ্যামো যথা নোংসৌ অবোরহা৷

এখন বিবেচনা করুন, লৌহনির্ষিত স্থূণা অর্থাৎ লম্বা খোঁটা, তাহার মধ্যে সুষির বা রন্ধ, তাহা হইতে প্রজ্লিত পদার্থ বহিরাগত হয়, তাহা আবার এক কালে শত শক্র বিনাশ করে ; আবার সীসকের দ্বারা শত্রু বিনাশ এবপ বর্ণনার দ্বারা বন্দুক ঝা কামান ভিন্ন আর কি উপলব্ধি হইতে পারে? এই বর্ণনা কেখিয়াঁ যদি সুমী বা নালিকাস্ত্েরে আকার কল্পনা করা যায়, তাহা হইলে

(2222 এইরূপ আকার হয় কি না, দেখুন। এরীন্বপ আকার

দেখিলে বন্দুক ভিন্ন আর কি মনে হইতে পারে; অত্তএব বোধ হয়, এই সুক্মী ঝা! ন[লিকাস্ের ক্রমিক উৎকর্ষেই আধুনিক বন্দুক কামান হইয়াছে ? সুতরাং বন্দুককে ব! কামানকে সম্পূর্নিপে নবাবিষ্কৃত বলা যায় না। ইহা যে কত পুরাতন--তাহা নির্ণয় করা ছুঃসাধা। কেননা” অন্থরগুর মহষি শুক্র এরই নলিকাস্রের বিষয় বিশেষরূপ বর্ণনা! কর্ধিয়। গিয়াছেন। তাহা দেখিলে আর কোন সংশয়ই, থাকে না। কোনরূপ কল্না করিতেও হয় না। বৈধিক স্থের ও. স্সাদের ধস কপ দে দি অনেক পুন

ন্‌ : ভারত-ষ্ট:

দতস দিবিধংজেয়ং নালিকং লাক তথা।

যদা তু মান্ত্রিকং নাস্তি নাঁলিকং তত্র ধারয়েৎ

নাঁলিকং স্থিবিধং জ্ঞেয়ং বৃহৎকষুদ্রবিভ্তেদতঃ | :

ভিষ্যগৃর্ধছিত্রমূলং নালং পঞ্টবিতস্তিকম্‌

সূলাগ্রয়োলবন্ষযভেদি-তিলবিন্দূঘুতং সদা!

ন্ত্রাধাতা ্িকৃৎগ্রীবচূর্ণধুক কর্ণমূলকম্‌।

সুকাষ্ঠোপাঙ্গবুরঞ্চ মধ্যানুলবিলাস্তরম্।

্বাঙ্েহগ্িচুর্ণসন্ধাতৃ-শলাকাসংযুতং দুঢ়ম্‌

লঘুনীলিকমপ্যেতৎ প্রধাধ্যং পত্তিসাদ্দিভিঃ

যথা যথা তু ত্বক্সারং যথা স্থুলবিলান্তরম্‌

যথাদীর্ঘং বৃহৎ গোঁলং দুরভেদি তথা তথা

মূলকীল গ্রমাল্লক্ষ্য-সমসন্ধনভাজি ব।

বৃহন্নালিকসংজ্ঞন্তৎ কী্বুপ্নবিবর্ডিতম্‌

প্রবাহং শকটা দ্যৈন্ত নুযুক্তং বিজয়প্রদম্‌ ॥” [ শুক্রনীতি ৪।

অস্ুুরগুকু উশনার নীতি শান্ত,_যাহার উল্লেখ মহাভারতেও আছে,-সতাহার

অধ্যায়ের ৭ম প্রকরণে নালিকাস্ত্রের উত্তমরূপ বর্ণনা দৃষ্ট হয়। অস্ুরাঁচার্্য শুক্র বলিতেছেন যে, যুদ্ধান্ত্র প্রধানতঃ ছুই প্রকার। নালিক মীন্ত্রিক। যাহাঁদিগকে মস্ট্রোচ্চারণ পূর্বক নিক্ষেপ করিতে হয়, তাহারা মান্ত্রিক মাস্ত্িকাস্ত্র না থাকিলে নালিকান্ত্র বাবহার করিবেক। নালিকাজ্জ কি রূপ? তাহা বলা যাইতেছে নালিক ছই প্রকার। এক বৃহম্নালিক, অপর লঘু ব! ক্ষুদ্রনালিক। লঘুনালিকের লক্ষণ এইরূপ ;_পঞ্চ-বিতস্তি-পরিমাণ (৪ হাত লম্বা) একটা নাল ব! নল ( লৌহনির্্িত " তাহার মূলে তিধ্যক দিকে ( আড়ভাবে ) একটী ছিত্র, মুল হইতে উদ পর্যাস্ত অস্তস্থবির (গর্ভ ), মূলে অগ্রভাগে লক্ষ্য ঠিক্‌ করিবার উপধুক্ত তিলবিন্দু ( মাছী ), যন্ত্রের আঘাত পাইব মাত্র অগ্সি নির্গত হয় এক্সপ প্রস্থরখওযুক্ত, সেই স্থানে অগ্ি চুর্ণের ( বারুদের.) আধার ্বর্ূপ একটা কর্ণ, উত্তম কাঠের উপাঙ্গ.ও বুঝ অর্থাৎ ধরিবার মুট,-এতজপ মালাস্তের মধ্যগর্থের পরিমাণ মধ্যমাুলী, অর্থাৎ তর্জনীনামক অঙ্কুলিটা প্রবেশ করিতে পারে এপ্ধল শ- - তীঁছার কোড অগ্িচর্ণ প্রোথিত করণের দৃঢ় শলাকা এরূপ নালাঙ্্ের নাম, লথুনীবি 1: এই লধুনালিক পথ্তি লৈ 2৪ অঙ্ারোহী, লৈয়োনাইি বাধহারি

সোৌশিধাগ 1 ই.

ুক্রাচার্য-প্রোজ্ত নালিকান্ত্রের এতন্্রপ বর্ণনা দেখিলে -সাবেক বন্দুকের আকার মনে আইসে. কি. না, তাহা পাঠক মাত্রেই বুঁষিতে পাঁরিবেন। পূর্ব- কালের বন্দুক আর অতিপূর্বকালের লব্ুর্টলিক এবং এক্ষণকার কামান আর অতিপূর্ধবকালের বৃহন্নালিক সমান। মহর্ষি শুক্রাচার্ধ্য খে তিনটা গ্লোকের দ্বারা বৃহন্নালিকের বর্ণনা করিয়াছেন, তাহা পাঠ করিলে আধুনিক কামান ভিন্ন অন্ত কিছুই মনে হয় না ঘথা-- উক্ত নালিকাস্ত্রের ত্বক যত কঠিন হইবে, উহার আয়তন যত বড় হইবে, তাহার গর্ভ যত স্থুল ( মোটা ) হইবে, তাহার গোলা যত বড় হুইবে,--সে তত্তই দূরভেদী হইবে। তাহার মূলদেশে কীলক, এবং কাষ্ঠ বুপ্ন অর্থাৎ কাষ্ঠনির্মিত ধরিবার মুট নাই, শকট উষ্র প্রড়তির ছারা তাহা বাহিত হয়। ইহা উপযুক্ত- রূপে স্থাপিত হইলে যুদ্ধে জয়প্রদ হয়। ইহার নাম বৃহন্নালিক এক্ষণে বিবেচন! করিয়! দেখুন যে, শুক্রাচার্যের এই বৃহন্নালিক আরহএক্ষণকার কামান সমান কি না অপিচ, নালাস্ত্বের ধারণ, পরিচালন প্রয়োগপদ্ধতি পর্যালোচন। করিলে উহাকে আধুনিক বন্দুক কামান না বলিয়া থাক! যায়, না যথ1-- “নাঁলাস্ত্রং শোধয়েদাদে দদ্যাভত্রাগ্রিটর্ণকম্‌। 'নিবেশয্বেত্ত, দণ্ডেন নালমুলে যথাদৃঢ়ম্‌ ততঃ স্থগোলকং দদ্যাৎ ততঃ কর্ণেহগ্সিচূর্ণকম্‌।

যশ্চর্ণাগ্লিদানেন গোলং লক্ষ্যে নিপাতয়েৎ . লক্ষ্যভেদে! যথা বাণো ধনুর্জ্যাবিনিত ভবেতথা তু সন্ধায় ॥% ইত্যাদি।

প্রথমে নালাস্ত্রের সংশোধন করিবেক। পরে তাহাতে অথিচুর্ণ অথাৎ বারুদ, প্রদান করিবেক অসস্তর দণ্ডের দ্বার! সেই প্রদত্ত বারুদকে দৃঢ়রূপে প্রোথিত. করিবেক পরে তাহাতে গুলিকা বা গোঁলা প্রধান করিবেক। অতঃপর কর্ণ, প্রদেশে অগ্নিচুর্ণ স্থাপন করিয়া তাহাতে প্রস্তর সংযোগপুর্বক ব্রা | গুলি/কে গক্্ স্থানে পাঁতিত করিষেক।

উল্লিখিত অগ্গিচুর্ণ যে, “বাকুদ”” তথিষয়ে কোন লা মাই) কেন না কিছ অক্থিচণ ্রস্তত করিতে হয়, কির়পে বা গুলি প্রস্তত, করিতে হয়, মহ, ভাহাও: বলিক্কাছেন। নে সকল 'দেখিলে,নালাস্্্ বন্দুক . এবং অধিক, প্বািদ* না বলিয়া থাকা বাক্স না1 হা...

ঘর শন টি 3 জি ইহ | | ভারত-রহ্ত্য + লি

নবচিনবশাৎ পঞ্চনলানি গন্ধকাৎ পলম্‌ | অস্তধূমবিপন্ধকর্ম,হাদাক্গারতঃ পলম্‌॥ + শুদ্ধাৎ সংগৃহাসঞ্চ পয সন্ধীল্য প্রপুটেন্রসৈঃ | হকীপাং রসোনন্য শোষয়েদাতপেন | পিষ্ট শর্করবচ্চৈতদশ্িচুরণং ভবেৎ খলু ॥” প্রকারান্তরম্‌। “ম্ুব্চ্চিলবণীৎ ভাগা ষফড় বা চত্বার এব বাঁ। নালাক্জার্ঘগ্রিচুর্ণেড় গন্ধাঙ্জারৌ তু পূর্ব্ববৎ 1৮ প্রকারাস্তরম্‌। “অল্লারন্তৈব গন্ধস্ত সুবর্চিলবণস্ত চ। শিলায়া হরিত'লস্ত তথা সীসমলন্ত চ॥ হিন্ুলস্ত তথা কান্তরজসঃ কপুরিস্ত চ। জতোনীল্যাশ্চ সরল-নিধ্যাসম্ত তগৈব সমন্যুনাধিকৈরংশৈ-রগিচুর্ণান্তনেকঃ | কল্পয়স্তি তদ্ধিদ্যাশ্চন্দ্রিকভাদিমস্তি চ1% ইহার অর্থ এই যে, সুব্্চিলবণ অর্থাৎ সোক্সারা পল, গঞ্ধক পল, অস্তরধূমবিপরু ন্নহী অঙ্গার অথবা আকর্গার * পল সংশোধন পূর্বক পৃথক্‌ পৃথক্‌ চূর্ণ করিবেক। পশ্চাৎ একত্রিত করিয়! তাহা এরূপ ভাঁবে পেষণ করিবেক, যেন পরম্পর মিশ্রিত হইয়া যায়। অনন্তর সেই চূর্ণে, সিজ বুক্ষের জ্বাটা বা রস র্গুনের রস দিয়া পেষণ করিবেক। অনন্তর তাহাকে রৌরে গু করিয়া _ পুনর্ধার পেষণ করিবেক। পেষণ করিলেই শর্কর! অর্থাৎ বালুকার স্তায় অশ্নিচুণ শ্স্তত হইবেক

দ্বিতীয় প্রব্্+..

গদ্ধক পূর্বোক্ত প্রকারের অঙ্গার সমভাগে লয়! তাহাতে বাঃ ভাগ রি লবণ অর্থাৎ সোয়ারা মিশ্রিত.করিয়া পূর্বে কত প্রণালী অনুসারে নালান্ত্ের | নিমিত্ত অপিচর্ প্রস্তুত করিবেক। | 5 লিজ বৃক্ষের নাষ জুহী। আকলোর নাম অর্ধ সিজ-ৃঙ্গে কাঠ কি ভি অথন্না তশ্রাপ হালক। :অন্ট কোন কাঠ অগনিত দগ্ধ করিয়! ধুম বাছির হইয়। মাযার একপ-

ভাবে ভাহাকে নিরবরগিভ করিবে। ফোন ্রয্যের ধায়: ঢাবি! ফিলেই আঙ্গারগাঁদী ধু বিপক্ষ ছইযে |

উনি আপস পপ পপি

লোমযাগ। ২৩ তৃতীয় প্রকার

তৃতীয় বিধিতে বল! হইয়াছে যে, অঙ্গীর, গন্ধক, সোয়ারা, মন্ছাল; হরিতাল, নীসকের মল, হিঙ্গুল, উত্তম লোহার মল, কর্পুর, জতু বা গালা, নীলী, ধুনা, এই সকল দ্রব্যের কোন কোন দ্রব্য সমভাগে, কোন কোন দ্রব্য অল্প ভাগে এবং কোন কোন দ্রব্য অধিক ভাগে গ্রহণ পূর্বক অনেক প্রকার অগ্রিচর্ণ অর্থাৎ বারুদ প্রস্তুত করা যাইতে পারে যাহারা অগ্নিচর্ণ প্রস্তৃত করণে পণ্ডিত, তাহার! উল্লি: খিত দ্রব্যের ভাগবিশেষ অবলম্বন করিয়া নানা প্রকার আভাষুক্ত বা নানাবর্ণের অগ্িচুরণ প্রস্তুত করিয়া থাকেন। * এখন বিবেচন। করিয়! দেখুন যে, অগ্নিচূর্ণ আর বারুদ, একই বস্ত কি না। গোলা গুলিকা প্রস্তুত করণের সম্বন্ধে মেরূপ উপদেশ আছে তাহীও বলিতেছি 1: «গোলোলোহমযো গর্ভধুটিকঃ কেবলোহুপি ব!। সীসম্ত লঘুনালার্থে হান্যধাতুভবোহিপি বা লৌহসারময়ং বপি নালাস্্ং ত্বস্তধাতুজম্। নিত্যসম্মার্জন স্বচ্ছ-__-----70 ইহার অর্থ এই যে, বুৎ নালিকের জন্য লৌহের গোল প্রস্তুত করিবেক। তাঁহ। সগর্ভ অথব! কেবল অর্থাৎ নিরেট উভয়বিধই করিবেক। সগর্ভ গোলের গর্ভে কষুদ্রগুলিকা প্রভৃতি পুর্ণ কর! যাইতে পারে। আর লঘু নাঁলিকের জন্ত সীসকের কি অন্য কোন ধাত়র দ্বারা নালছিড্ের উপযুক্ত গুলিকা প্রস্তত করি- বেক। নালাস্ত্র গুলি লেহসার ছারা কি অন্ত কোন কঠিন ধাতুর দ্বার! নির্মাণ করা আবশ্তক। 1 দাঁনবণডরু শুক্রাচার্যের নালিকান্্ যখন ব্যাসের মহাভারতে

* এই বিখি অনুসারে রঙদার আলোক বারুদ প্রস্তুত হয়! অঙ্গারের তাগ না দিলেই তাহা উম আলোক প্রত হইবে *

+ এই সকল দেখিয়াও হযত অনেকের মনে ইহার সবে বিশাস হইবে লন সেজন্য '

নিয়ে আরও ব্ব.একটি প্রমাণ প্রদত্ত হইল।

০০৯০-১ সপ্জপ? প্রকার বর্ধিত আছে যথা

তষু দু্গযুদ্ধেযু তে মতা; €” | |

পনুনািফ বাদ অর্থাৎ হরনীলিফাত সকল অলাফার হস্তরের দ্বার বনিক হর) উচ্চ দুস্থ লক্ষ্যের দুর্গন্ধের উপধুক্ত।

মহাতারতের ভি ভিন্ন স্থানে ইহা সির ভিরনামে' লিখিত আরে]. বসপব্যীয় হির্পাপুর

খংসপ্রকরণে “নাবিক”, এই বিস্পই নাস স্দাছে |. হি!

খ্ডি ভারত-রহস্ত

আছে, তখন ইহা কথনই আধুনিক নহে মহাভারতের অন্ঠ স্থানে এই নালিকাস্ত ““অয়ঃকণপ* পকণপ” নামে উল্লিখিত হইতে দৃষ্ট হয় ; যথা __ ইকণপ-চজা শ্ম-ভূষত্যুদ্যতবাহবঃ। ক্কষ্ণপার্থে জিঘাংসস্তঃ ক্রোধসন্মচ্ছিতৌজসঃ৮ আদি পর্ব ২২৫, ২৫।

টাকাকার নীলক%ভট্ট এই “অয়ঃকণপ” শবকে নাঁজিক শব্দের পর্যায় বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন তশল্লিখিত ব্যুৎ্পত্তি এই রূপ-_-

“অয়ঃকণান্‌ লৌহগুলিকা পিবতীতি তততথাবিধলৌহময়ং যন্ত্র যেন আগ্নেয়ৌধধবলেন গর্ভসস্ত তা লৌহগুলিকাঃ ক্ষিপ্যন্তে 1”

এতন্তিন্ন রামায়ণেও এই নালিকাক্ত্রের প্রয়োগ দেখ! যায়। যথাঁ--

“্নালীকৈস্তাড়য়ামাস।” [ উত্তরকাণ্ড, রাঁবণের দিগ্রিজয় | ]

সকল আলোঁচন! করিলে, বন্দুকের পূর্ববাস্তিত্ব পক্ষে বুদ্ধির গতি উপস্থিত হয় কি না তাভা বিবেচনা করিয়! দেখুন। বীরচিন্ত/মণি, বৈশম্পায়নোক্ত ধন্গু- বেদ, মহাভারত, রামায়ণ, গুক্রনীতি প্রড়ৃতি প্র+চীন 'প্রাচীন গ্রন্থে যখন নাঁলি- কাঙ্পের বর্ণনা আছে, তথন আর ইহাকে কি বলিয়! আধুনিক বলিতে পারি? সম্বন্ধে আমর! এই পর্যান্ত বলিতে পারি বে, পুরাকাঁলে ইহ! সকলে জানিত না। দেবতারা প্রধান প্রধান আচাধ্যেরা উত্ত অস্ত্রের ছার! যুদ্ধ করায় কোন বিশেষ- রূপ পুরুষত্ব নাই বলিয়! এবং কুট যুদ্ধের উপকরণ বলিয়া উহাকে অত্যন্ত খ্বণ! করিতেন। ব্যাসশিষ্য বৈশম্পায়ন খবিকে স্বর্ূুত ধনুর্ধেদের অধ্যায়ে ইহার ব্যবহার সম্বন্ধে দ্বণ! গ্রকাঁশ করিতে দেখা যাঁয়। যথ__

প্যক্ত্রীণি লৌহসীসানাং গুলিকাক্ষেপকাঁণি চ। তথা চোপলযন্তরাণি কৃত্রিমান্তপরাণি চণ॥ কৃটঘুদ্ধসহায়ানি ভবিধ্যন্তি কলৌ নৃপ। ধর্মবৃদধ্যা চৈতানি ভবিষ্যস্ত্যত্তবোস্তরম্‌ ॥৮

হে মহারাজ জন্মেজয়! কলিকাঁলের পৌরুষহীন অধার্শিক রাজাদিগের িিিটিাশিটাশিীটা -77্ধিটিটেিিটটাটা

“ততোনালীকনারাচৈর্জলৈত শক্ত ষ্টিতোষরৈঃ | ' | প্রতা্ন্‌ দানরেজা। মং তুসধন্তীতুপরাক্রমাঃ %":

শর খিদে হে রাজ? পরে সেই ছিপুরধানী ্রভৃতপর়াক্রম জুন্ধ ানবর আমাকে নী, 'দারাচ, ভা, শক্তি, ঘটি ও. তোমর পুতি অথের সায়া আহত করিতে আপিল 1 ..

আর্ধাজাতির মুকধাস্তর। হট সময় মহুক্ত গুলিকাক্ষেপক যন, প্রস্তরক্ষেপক বন্ত, এবং অপরাপর ক্কত্িম ন্্: সকল কুট যুদ্ধের উপকরণ হইবে। যতই অধর্শের বৃদ্ধি হইবে, ততই লোক কুট- দ্ধ তযুপযুকত প্রহরণের আশ্রয় লইবেক ুর্ব্কালের বীরেরা কুটুদ্ধ করিতেন না বলিয়া অস্ত্র তহাদের নিকট পরি- তাক্তপ্রায় ছিল, কিস্তু বৃহৎ বৃহৎ ছূর্গের মস্তকে রথের ভিত্তিতে বৃহন্নালিক সকল রক্ষিত থাঁকিত, এরূপ বর্ণনা দৃষ্ট হয়। রাঁমায়ণৌক্ত রাবণের ছূর্গবর্ণন, মহাঁভারতোক্ত ইঞ্জরপ্রস্থ ছ্বারকার ুর্গবর্ণন দেখিলে পাঠিকমাত্রেরই সংশয়চ্ছেদ হইবার সম্ভাবন! বৃহনালিক অর্থাৎ আধুনিক কামানের ন্যায় আধ্েয়যন্ত্র যে পূর্বে ছিল, তাহা বনপর্কোক্ত মাতলি-আগমন প্রস্তাব পাঠ করিলেই সপ্রমাণ হইবেক। এই বৃহন্নালিক অন্তরটি তথায় “তুলাগুড়া” নামে লিখিত আছে যথা-_- “তখৈবাশনয়শ্চৈব্‌ চত্রযুক্তাস্তলাগুড়াঃ। বায়স্ফোটাঃ সনির্থাত! মহামেঘস্বনাম্তথা ॥” অর্জুন যুধিষ্টিরের নিকট আপনার স্বর্গ গমন ত্বত্ত বর্ণন করিতেছেন মহাঁ- রাজ! অতঃপর মাঁতলি সেই অন্ভুত জৈত্র-রথ গ্রহণ পূর্বক মৎসকাশে সমাগত .. হইলেন সেই রথে অসি, শক্তি, গদা, প্রাস, অশনি অর্থাৎ বজ্জ, বাযুস্ফোট যন্ত্র, * প্রভৃতি অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত ছিল! . ব্যাখ্যাকার নীলকণ ভট্ট এই “তুলাগুড়া” শব্দের যেরূপ অর্থ করিয়াছেন তাহাতে তুলাগুড়াকে কামান ভিন্ন আর কিছুই বলা যাঁয় নাঁ। যথা “তুলাগুড়াঃ ভাগগোলকাঃ। ভাগানি আগখেয়দ্রব্যবলেন গোলনিক্ষেপ" পাত্াণি "তুলান্” “বন্দু ইত্যাদি শ্লেচ্ছতাষাপ্রসিদ্ধানি। বাঁমুস্ফোটাঠ বেগবশীাৎ বাঁধুং জনয়ন্ত্য: সনির্থাতাঃ অশনিধ্বনিযুক্তাঃ মহামেঘন্বনাশ্চি।” | ভাবিয়া দেখুন যে, পূর্বকাঁলের তুল! নামক প্রিমাথ-দণ্ডের এ-০৬এতজপ আকার বিশিষ্ট খ্ৌলকনিক্ষেপ একটি পার, তাহ! আবার আগেযদ্রব্যবলে নিক্ষিপ্ত হয়, বায়ু উৎপাদন করে, বন্জধ্নির স্যার বা মেহগর্জনের স্তায় শব হয়। তাহ! আবার চক্রযুক্ত অর্থাৎ চাকাওয়াল! )-এনপ বর্ণন শুনিলে তাহাকে. কামীন ভিন আর কি অনুমান করা! যাইতে পারে? যাহাই হউক, উল্লিখিত শুক্রনীতি ্রন্থধানি কত পুরাতন, সে সম্ব্ধে ছুই একটি কথ! বল! আবস্তক হইতেছে। : ট্

রি প্র 5 রব চা বট ১৭ বু রে রর ] 7 / ১) ্া রঙ কু ৯. নি রন টন রি রা নু না ৬৮২ টড | , ১:18.) .. হার, খন, ১8 বাধ কৌলং ১৯০০০৪৬ থান, বজ, 'ইকধ্রে ”) ৮ম 51515111 8 চা

| ' ভারত-্বহ্ট |

শুক্রনীতি সম্বন্ধে যেরূপ প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহাতে উক্ত শ্রস্থথানি মহাভারত - অপেক্ষাও পুত্নাতন। কেন না মহাভারতের শত শত স্থানে “গুক্রের নীতি+ "্টক্রের বাক্য” পগুক্রের উক্তি” এইরূপ বলিয়া পশ্চাৎ যে সকল শ্লোক লিখিত হইয়াছে, সে সমক্ত্ই আমরা এই গ্রন্থে দেখিতে পাই। ইচ্ছা হইলে পাঁঠকগণ মিলাইয়া! দেখিতে পারেন দিক্প্রদর্শনের নিমিত্ত আমরা তাহার ২।৪টা প্রতীক মাত্র উদ্ধৃত করিলাম

“অশিষ্টনিগ্রহোনিত্যং নিত্যং শিষ্টন্ত পাঁলনম্‌। এবং শুক্রোহ্ত্রবীদ্ধীমানাপৎস্থ ভরতর্ষভ ॥*, “উশনাশ্চৈব দ্বে গাথে প্রহ্লাদায়াত্রবীৎ পুরা 1” “অপিচোশনস! গীতঃ শ্রয়তেহয়ং পুরাতিন্ঃ 155 “শাস্ত্রং চোশনসা প্রোক্তমিদং শৃণু ময়েরিতম্‌ 1” “ইত্যেতান্যুশনঃপ্রোক্তাঃ 1 “কাব্যাং নীতিং শণোষি 1”

[ সভা, বন উদ্তোগ পর্ববোস্ত বিছ্ুর বাক্য সকল দেখ ]

শুক্র বৃহস্পতি এই ছুই মহর্ষিই নীতিশাস্ত্রের আদি গুরু। শ্তক্রকূত বৃহস্পতিকৃত নীতিশান্ত্রের অনেক বচন মহাভারতে অন্তান্ত পুরাণে সংগৃহীত হইয়াছে উপরোক্ত প্রতীকগুলির দ্বারা শুক্রাচার্যের নীতিশাস্ত্র থাকা সপ্রমাঁণ হইতেছে। প্র সকল প্রতীক উচ্চারণের পরেই 'ষে সকল নীতিকথা তত্ততস্থানে লিখিত হইয়াছে, সে সকল কথা শুক্রনঈতিতে অবিকলরূপে লিখিত আছে। সুতরাং গ্রস্থথানিকে মহাভারত অপেক্ষা নবতর বিবেচনা করা যায় নাঁ। বিষয়ে আমর! এতদধিক বাক্যব্যয় করিতে চাহি না। এক্ষণে প্ররুত প্রস্তাবের অন্থসরণ রুর যাউক।

লগুড়। ইহার পাদপ্রদেশ 'সরু, মস্তক স্থুল, স্বন্ষ মোটা, অগ্রভাগটি লৌহের স্থারা আবন্ধ। অধিক লক্বা নহে, পরস্ধ উপযুক্ত রূপ মোটা ইহার সর্ধাজঃলোহার দণ্ড অত্যন্ত দৃ়। ইহা লদ্ঘে ছুই হস্ত পরিমিত হইয়া থাকে যথা . ন্‌ | “লাগুড়ঃ নুক্পাদঃ স্তাৎ পৃথৃংসঃ স্থুলশীর্ষকঃ লৌহ্বন্ধাগ্রভাগশ্চ ভপ্থদেহঃ স্লীবন্ত দর্ডাকারোদুচ়া্স্চ তথা হযারয়োর্তঃ 1

আর্ধাজাতির যুদ্ধাস্। ২৭

এই লগুড়ান্ত্রের ক্রিশ্না চারি প্রকার যথা প্উতানং পাতনষ্ৈব পেষণং পোথনং তথ! চতন্রোগতযন্তস্ত পঞ্চমী নেহ বিস্কতে। দুঢ়কায়ঃ পত্ভিবর্গো! তেন যুদ্ধযেত শত্রভিঃ উত্থান, পাঁতন, যাহাতে পড়িবে তাহার পেষণ পোথন। লগুড়ের এই চভুর্ধিধ ক্রিয়া! ভিন্ন পঞ্চমী ক্রিয়া নাই। মিনির পাতি রিজাদি হারনার। যুদ্ধ করিয়া থাকে। পাশ বৈশম্পা়নোক্ত ধনুর্ধেদে পাশান্ধ সন্বন্ধে যেরূপ বর্ণনা দৃষ্ট হয়, আগ্নেয় ধনুর্ষে্দে তাহার সম্পূর্ণ প্রভেদ আছে উক্তবর্ণনাদয়দ্বারা অনুমান হয়, যে, পাঁশান্ত্র দুই প্রকার ছিল। মহাঁভারতাদি গ্রস্থেও বরুণ পাশ পাশ, এই দুই পুথক্‌ পাশের উল্লেখ আছে। বৈশম্পায়নোক্ত ধন্ুর্বেদের পাশ এইরূপ-্ “পাঁশঃ সুস্থক্মীবয়বোলৌহ্ধাতুক্ত্রিকোণবান্‌। প্রাদেশপরিধিঃ সীসগুলিকাভরণাঞ্িতঃ 1১ পাশ অতি সুক্ষ সুঙ্মু লৌহের দ্বারা নিশ্দিত, ত্রিকোণধুক্ত, প্রার্দেশপরিমিন্ভ পরিধিধুক্ত সীদক-গুলিকার দ্বারা সুশোভিত এতৎ সম্বন্ধে আগ্মেয় ধন্ুর্ধেদের মত এইরূপ-_ “দশহস্তোভবেৎ পাশে বুত্তঃ করমুখস্তথা | গুণকার্পাসমুঞ্জানাং মর্কন্নায়ব্চ্মণীম্‌ অগ্ঠেষাং সুদূঢানাঞ্চ সুককৃতং পরিবেষ্টিতম্‌। তথা ব্রিংশৎসমং পাঁশং বুধঃ কুর্য্যাৎ স্বন্তিতম্‌ ॥৮ বৃত্ত অর্থাৎ গোল লম্বায় ১* ছাত, এরূপ পাশ গুণ রজ্জ, কার্পাস রজ্জু, মুত নামক তৃশের রজ্জু, পশুবিশেষের জাযু, আকন্দদ্বকের সুত্র চম্মীবিশেষের দ্বারা প্রস্তুত হ্ইয়া থাকে এত্ত অন্ঠান্ত দৃঢ় অথচ তর প্রস্তত হস, এরূপ পদার্থের দ্বারাও হইতে পাঁরে। সুক্ষ ৩০ তন্ত একত্রিত ন্ুবস্তিত করিস, অর্থাৎ উত্তমরূপে পাক দিয়! প্রস্তুত করিতে হয়। এই পাশান্ের ক্রিস! এইরূপ-_ কর্তব্য শিক্ষকৈস্তন্ত স্থানং বক্গানু বৈ সদা বাসহন্তেন সংগৃহধ দক্ষিণেনোদ্ধবেভতঃ 1). পর মোনা দ্তকোপরি ] | ক্ষিপেধ,১.. 25) ভি হাত বাতি,

২৮ ভারত-রহন্য। বল্গিতে প্র,তে চৈব তথ প্রব্রজিতেষু সমযৌগবিধিং জ্ঞাত্ব। প্রযুঞ্ীত নুশিক্ষিতঃ বিজিত্য তু বথান্তায়ং ততৌবন্ধং সমাচরেৎ। কট্যাং বন্ধ! ততঃ খজ্জাং বামপার্থীবলম্ষিনম্‌। দৃঢ়ং বিগৃহ্থ বামেন নিষর্ষেদক্ষিণেন ॥১, অর্থাৎ ইহা! কক্ষপ্রদেশে রাখ। হয়, প্রয়োগের সময় কুগুলারুত্তি করিয়! মন্তকের উপর একবার ঘুরাইয়া প্রক্ষেপ করিতে হয়। এই অস্ত্রপ্রয়োগের তিন প্রকার গতি আছে। তাহাদের নাম বল্গণ, প্লবন প্রত্রজন। ইহার দ্বার! ইচ্ছানুরূপ বন্ধন পূর্বক স্বমকাশে আকর্ষণ করিয়া পশ্চাৎ কপাণ হবার! বধ করিত হয়। প্রতত্িল্ন ২৫০ অধ্যায়ে অন্তরূপ ক্রিয়া লিখিত আছে। যথা-_- “পরাবৃত্তমপাবৃত্তং গৃহীতং লঘুসংজ্ঞিতম্‌। উদ্ধক্ষিপ্তমধঃক্ষিপ্বং সন্ধারিতবিধারিতম্‌ শ্রেনপাত্তং গজপাতং গ্রাহগ্রান্ং তখৈব চ। এব্মেকাদশবিধা জ্ঞেয়াঃ পাশবিধারণাঃ ॥৮ বৈশম্পায়নোক্ত পাশ, যাহা! প্রথমে উল্লেখিত হইয়াছে, তাহার কাধ্য এইরূপ-_ | "প্রসারণং বেষ্টনঞ্চ কর্তনঞ্চেতি তে ত্রয়ঃ। যোগাঃ পাঁশাশ্রিতাঃ লোকে পাশাঃ ক্ষুদ্রসমাশ্রিতাঃ ॥৮ অগ্রে প্রসারণ, পশ্চাৎ তদ্বীর! শক্রকে বেষ্টন, অনস্তর অস্ত্াস্তর দ্বার! কর্তন পাশের এই তিন প্রকার প্রয়োগ আছে এবং ইহা ক্ষুদ্রযোদ্ধার আশ্রিত। “খজায়তং বিশালঞ্চ তির্ধ্যগ্ভ্রামিতমেৰ চ। পঞ্চকর্ছ বিনির্দিষ্ট ব্যস্তে পাশে মহাত্মভিঃ 1৮. অন্ত এক প্রকার পাশ আছে, মহাত্মগণ তাহার পাঁচ প্রকার কাধ্য নিশ্চয় করিয়াছেন। সে পাঁচ প্রকার প্রায় প্রথমোক্তের তুল্য চক্র--এই অস্ত্র কুগুলাকার অর্থাৎ গোঁল। প্রান্তভাগ উত্তম কোণযুক্ত ক! ধারাল। নীলস্জলের ন্যায় বর্ণ এবং মগ্ডল। পরিমাণে ছই প্রাদেশ অর্থাৎ এক হস্ত। বখা- প্চক্রেন্ধ কুঙডলাকারমন্তে শ্বশরিসমন্গিতম্‌ | :.. সীর্লীসলিলবর্ণ, তত প্রাদেশঘয়ষণলম্‌।”

আর্ধাজাতির যুদ্ধান্্। ২৯

ইহার ফাঁধ্য পঞ্চবিধ যথ।--

«গ্রন্থনং ভ্রামণং চৈব ক্ষেপণঃ পরিবর্তনম্‌ দলনঞ্চেতি পঞ্চেব গতয়স্চক্রসংশ্রিতাঃ 1৮

গ্রন্থন, ভ্রামণ অর্থাৎ ঘুরাঁণ, ক্ষেপণ, কর্তন দলিত করণ। চক্রের এই পঞ্চবিধ কাধ্য আছে।

আগেয়*ধনুর্ধেদে এতৎ সম্বন্ধে এইরূপ লিখিত আছে যথা-_

*“ছেদনং ভেদনং পাতোভ্রামণং শমনত্তথা। | বিকর্তনং কর্তৃনঞ্চ চক্রকর্ম্েদমেব

চক্রের কধ্য ছেদন, ভেদকরণ, নিপাতন, ভ্রামণ, শমন্‌ বা শায়ন অর্থাৎ শায়িত করা, বিকর্তন কর্তন।

দণ্ডকন্টক---ইহার গঠন সম্বন্ধে এইরূপ বর্ণনা আছে। যথা--

প্রগুকণ্টকনামাতু লৌহকণ্টকদেহবান্‌। অগ্রে পৃথুঃ সঙ্পুচ্ছ-শ্চাঙ্গারসন্নিভাকৃতিঃ বাহ্ননতঃ স্ুৎসরশ্চ দগডাকারোগ্রলোচনঃ। পাঁতনং গ্রস্থনং চেতি দ্বে গতী দগুকন্টকে ॥”

অর্থাৎ ইহার কায়া বা শরীর দগাঁকার, তাহার সর্ধাঙ্ে লৌহের কাঁটা, আগ! মোটা গোড়া সরু বাহুপরিমাঁণ লম্বা, ধরিবার মুষ্টি অতি সুন্দর, এবং বর্ণ অঙ্গারতুল্য কৃষ্ণবর্ণ। ইহার নিক্ষেপ গ্রন্থন অর্থাৎ গঁথিয়া ফেলা, এই ছুই কার্য আছে।

ভূস্ুপ্তী--এই অস্ত্রের আকার প্রকার কাধ্য এইক্প--

পতুন্থণ্তী তু বৃহগ্রস্থি বৃহদ্দেহঃ সুসৎসরুঃ বাছত্রয়সমুখসেধঃ কষ্ণসপ্পৌগ্রবর্ণবান্‌। পাঁতনং ঘুর্ণনঞ্চেতি দে গতী তৎসমাশ্রিতে ॥৮

অর্থাৎ ইহা বাহত্রয় পরিমাণ লম্বা, বড় বড় গ্রস্থি অর্থাৎ গাঁট আছে, স্থুলকায়, মুষ্টিদেশ উত্তম এবং ইহার বর্ণ ক্কষ্ণসপ্পের ভ্তায় উগ্রদর্শন। পাঁতন ঘুর্ন এই গৃতিঘ্য় ইহার অনুগত

পর্যযস্ত যে কয়েকটি অস্ত্রের কথা বল! হইল, সমন্তই মুস্তাস্তর অর্থাৎ সমস্তই ফেলিয়া! বা ছুড়িয়া মারিতে হয়। যাহ! অমুক্ত অর্থাৎ যাহা ফেলিয়া ব! ইড়িয়! মারিতে হয় ন1,--সেই লকল অযুক্ত অস্তের 'র্ন! এক্ষণে শ্রবণ করুন অমুক্ত অস্ত্রের মধ্যে ব্ধুই সর্ধপ্রধান। বজ্জ কি? তাহা উতমরূপ বুঝা স্বাস্থ না,

রি ভারত-রহ্হ্য | সুতরাং বুঝানও যায় না তথাপি তছ্বোধক বাক্য গুলি অন্য, প্রবন্ধে বলা হইবে। এক্ষণে “ইলী” প্রভৃতি কএকটা অমুক্ত অস্ত্রের বর্ণনা করা যাউক। ইলী-_-ইহা উচ্চে ছুই হাত, ইহার অগ্রে তুপ্ন অর্থাৎ কোল কুঁজা, লৌহ ফলক আছে, তাহার বিস্তার অঙ্গুলি, বর্ণ শ্তাম, মুষ্টিদেশ করত্র-বর্জিত। ( তরবারি প্রদৃতির মুষ্টিতে যে হস্তবেষ্টনার্থ এক প্রকার বেষ্টন বা প্যাচ থাকে, তাহার নাম করত্র ) ইহার কার্য সম্পাত, সমুদীর্ণ, নিগ্রহ প্রগ্রহ যথা-_ “ইলী*হস্তঘয়োৎথসেধ। করত্ররহিতৎসরুঃ | শ্যাম! ভূগ্নাগ্রফলকা পধশঙ্থুলিম্বিস্তৃতী সম্পাতং সমুদীণঞ্চ নিগ্রহপ্রগ্রহৌ তথা ইলীমেতানি চত্বারি বল্গিতানি শ্রিতানি বৈ» পরণ্ড-- বৈশম্পায়নীয় ধন্ুর্বেদে ইহার যেরূপ বর্ণনা দৃষ্ট হয়, তদনুসারে ইহাকে এক প্রকার টাঙ্গী বলিলেও বল! যায বথা-_ “পরশু: সুন্সযষ্টিং স্তাৎ বিশালাশ্তঃ পুরোমুখঃ | সরুপাধঃ সশিখরোবাহুমাত্রোন্নতাকুতিঃ পাতনং ছেদ্বনৎ চেতি শুণৌ পরশুমাশ্রিতৌ ॥” অর্থাৎ একটি যষ্টির মন্তকে অর্ধচন্দ্রীকাঁর লৌহফলক, তাহার আস্ত বিস্তৃত, সম্মুখে সুখ, মুখ চক্চকে, কিন্তু অঙ্গ মলিন। মূলদেশে ৎসরু অর্থাৎ সুটু আছে, এবং মন্তকে শিখা আছে। ইহার পরিমাণ বাহু অর্থাৎ বছিপরিমিত লম্বা! পরশুর কাধ্য পাতন ছেদন। কিন্তু আগ্রেয়-ধনুর্ব্েদে ইহার আরও কএকটি কাধ্যের উল্লেখ আছে যথা-_ “করালমবধাতঞ্চ দংশোপপ্লতমেব চ। ক্ষিগুহস্তং স্থিরং শৃন্তাং পরশোস্ত বিনির্দিশেৎ |” গোঁশীর্ষ- ইহার আকার সম্বন্ধে এইরূপ লিখিত আছে। | “গোশীর্ষং গোঁশিরঃপ্রখ্যং প্রসারিতপদঘ্বয়ম্‌। অধস্তান্দারুযন্ত্রাচ্যং:উদ্ধয়ঃফলকাঞ্চিতম্‌ নীললোহিতব্্ণং তৎ ত্রিরশ্রি সুসৎসরু | যোড়শাঙুলানতঞ্চ তীক্ষাপ্রং পৃথুমধ্যকম্‌ সতকৃত্য মনবে দত্তং মহেন্দ্রেণ সমুদ্দিকম্‌। ১. ভৃগ্কন্ুচকে লোকে বাজাৎ গোশীর্ধসুদ্রিকে 1 রা যে, দেখিতে গোমস্তকড়ুল্য গোঁশীর্ষ নামক অঙ্গের দুইটি পদ আছে।

আর্যজাতির যুদ্ধান্্। ৩১ তাহার নীচে কাষ্ঠনি্শিত যন্ত্র সংলগ্ থাকে এবং তাহার উর্ধকাঁয় লৌহফলকে আবদ্ধ থাকে মধ্যাঙ্জ ত্রিরশি অর্থাৎ তে-শিরে, এবং তাহার ধারণের মুট, অতি সন্দর। তাহার বর্ণ কৃষ্তরস্ত। ইহার উচ্চতা ১৬ অঙ্কুল অর্থাৎ কিঞ্চিদ্যন এক হস্ত। ইহার মধ্যতাগ স্থল, কিন্তু অগ্রভাগ অতি তীক্ষ। পুর্বে মহেন্দ্র এই অস্ত্র এবং এতদ্বিধ মুদ্রিকা নামক অস্থ মনকে শিখাইয়াছিলেন। পরে তাহা! এই মানবলোকে আসিয়াছে যে বাজার এই অস্তরদ্বয্র থাকে, ইহলোকে তাহার প্রভৃত্ব বিস্তার হয়। ইহার ক্রিয়া এইরূপ-_

“মুষ্টিগ্রহঃ পরিক্গেপঃ পরিধিঃ পরিকুস্তনম্‌। চত্বা্যেতানি গোশীর্ষে বল্গিতানি গ্রচক্ষতে |” ুষ্টিগ্রহ অর্থাৎ মুটধর!, পরে পরিক্ষেপ, পরিধি পরিকুস্তন বা পরিকুস্তন | কুস্তন পক্ষে বিদ্ধকরণ, কৃম্তন পক্ষে ছেদন করা, এইরূপ অর্থ হয়। অসিধেনু খড়াপুত্রিকা_ ইহার আকার প্রকার ক্রিয়া এইবূপ-_ “অসিধেনুঃ সমাধ্যাতা হস্তৌব্রত্য প্রমাণতঃ। অতলত্রৎসরুযুত! শ্ঠাঁমা কো টিত্রয়াশ্রিতা অঙ্গুলিঘয় বিস্তীর্ণ! হাঁসন্নরিপুঘাতিনী মেখলাগ্রথিনো সা তু প্রোচ্যতে খড় গপুত্রিক। ুষ্টযগ্রগ্রহণং চৈব পাটনং কুস্তনং তথ! বল.গিতত্রয়বত্যেষ! সদা ধাধ্যা নুপোভিমৈই ॥৮ মর্থাৎ অসিধেন্ু নামক অস্ত্রটি হস্তপ্রমাণ লম্বা, তলত্ররহিত কিন্তু ৎসরু অর্থাৎ মুটু আছে। বর্ণশ্ঠাম। ত্রিধার বিস্তীর্ণতায় ছুই অঙ্ুল। ইহার দ্বারা আসন্ন অর্থাৎ নিকটাগত শত্রু বিনষ্ট কর! যাঁয়। 'শই অসিধেনু যদি মেখলায় প্রথিত ( মেখলা -চেইন্‌ ) থাকে, তাহা হইলে তাহাকে খঙ্জাপুত্র বলা যায়। এই ছই অস্ত্রের ক্রিয়া ব্রিবিধ। মুষ্টিগ্রহণ, বিদারণ বিদ্ধকরণ। প্রধান প্রধান রাজারা ইহা ধারণ করিয়! থাকেন লঘিত্র--এই অস্ত্রটির আকার প্রকার ক্রিয়া এইরূপ-_- “ল্ঘিত্রং ভূগ্নকায়ং স্তাৎ পৃষ্ঠে গুরু পুরঃশিতম্‌ স্টামং পঞ্চাঙ্গুলিবা?সং সার্ঘহস্তসমুন্নতম্‌ তসরুণা গুরুণ। নদ্ধং মহিযাঁদি-নিকর্ভনষ্‌। : বাহুছদ্নোদ্তমোৎক্ষেপো;লধিজে বল.গিতে মতে 1 লঘিত্রের কাকি ভূগ্ন অর্থাৎ বক্র ( কোলকুঁজে! )1 পৃষ্ঠভাগ স্থল গুরুভাঁর-.

ভারত "বহন যুক্ত সম্মুখ ভাগ তাক্ষ অর্থাৎ ধারাল। ইহার ব্যাস অক্কুল, এবং বর্ণ কাল ইহার মুট অতি বৃহৎ এবং ইহার দ্বার! মহিষ প্রসৃতি কত্তিত করা যাঁয়। ছুই হাতে উঠান প্রহার, এই ছুই ক্রিয়! ভিন্ন ইহার তৃতীয় ক্রিয়া নাই। আস্তর--ইহার পদদেশ গ্রন্থিল, মস্তক দীর্ঘ, কর অর্থাৎ পাতা বিস্তীর্ণ, হস্ত,

উদর মস্তক বক্র, বর্ণ কৃষ্ণ, পরিমাণ ছুই হস্ত। ঘ্রাণ, আকর্ষণ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করণ, এই কএক প্রকার ক্রিয়া ইহাতে সাধিত হয়। ইহার দ্বার! যুদ্ধে শত্রু বিনাশ করিবেক এবং অশ্বারোহী পদীতি সৈন্টেরাই ইহা ধারণ করিবেক। যথা--

“আস্তরোগ্রন্থিপাঁদঃ স্তাৎ দীর্ঘমৌলিবু'হৎকরঃ |

ভূগ্নহস্তোদরশিরঃ শ্তামবর্ণোদ্বিহস্তকঃ

ভ্রামণং কর্ষণংচৈব ভ্রোটনং তৎ ত্রিবন্সিতম্‌।

জ্ঞাত্বা শক্রন্‌ রণে হন্তাৎ ধার্্যঃ সাদিপদাতিভিঃ ॥৮

কুত্ত-_এই অস্ত্রের সর্বাঙ্গ লৌহময়, শৃঙ্গ অর্থাৎ অগ্রভাগ অত্যন্ত তীক্ষ, ষড়শরি

অর্থাৎ ছয় পোয়ালে। হাত লম্বা এবং পদদেশ বৃত্ত অর্থাৎ গোল এবং দেখিতে ভীষণ। উড্ডীন, অবড়ীন, নিড়ীন, ভূমিলীন, তির্যযকৃলীন, নিখাত অর্থাৎ খনন,-এই ছয় প্রকার ক্রিয়া ইহার আত্রিত। উজ্ভীন নিডীন প্রভৃতি সঞ্চরণ বিশেষের নাম.। এই অস্ত্রের দ্বারা বুদ্ধ করিতে হইলে বিবিধ পক্ষিজাতির ন্তায় গতি অবলম্বন করিতে হয় বথাঁ_

পকুস্তত্বয়ো য়া স্তাৎ তীক্ষশূঙ্গঃ ষড়শ্রিমান্‌।

পঞ্চহস্তসমুখসেধো৷ বৃম্তপাদোভয়ঙ্করঃ

উড্ডীনমবভীনঞ্চ নিডীনং ভূমিলীনকম্‌।

তির্যযক্লীন নিখাতঞ্চ বগ্মার্গাঃ কুস্তমাশ্রিতাঃ ॥%

অস্গুরাচার্ধ্য শুক্রও শ্বরত নীতিগ্রন্থে ইহার আকার প্রকারের বর্ণনা করিক্বা- ছেন। কিন্তু তাহ! ইহা! হইতে স্বতন্ত্র শু ক্রপ্রোক্ত কুস্ত আর বর্ষা বা বড়শা সমান বথা-_

“শহস্তমিতঃ কুস্তঃ ফালাগ্রঃ শব্কুবুপ্নকঃ ॥+

লপ্বে হাত এক গাছ বাশ-_তাহার্‌ মন্তকে লোহার তীক্ষ ফলা,--মূলে হুগ তীক্ষ লৌহ শলাক।, ফলের নীচে মূলে রেশম স্তবকে স্থশোভিত। এতজ্জপ কু্ত অস্ত্রের প্রকার ক্রিয়া! আছে। * আকর্ষণ; বিকর্ষণ, ধূনন অর্থাৎ ইতন্ততঃ “পবিচালন, পশ্চা্জ বিদ্ধকরণ যথা র্‌

আর্ধ্জাতির যুদ্ধান্ত্।

“প্রাসম্ত সপ্তহস্তঃ স্তাদৌন্গত্যেন তু বৈণবঃ.। লৌহশীর্যস্তীক্ষপাদঃ কৌ শেয়স্ববকাঞ্চিতঃ আকর্ষশ্চ বিকর্ষশ্চ ধূননং বেধনং তথা চতন্্র এত গতয়োরক্ত গ্রাসং সমাশ্িতাঃ ॥%, শুক্রাচাধ্যের গ্রন্থেও প্রাস অস্ত্রের বর্ণনা আছে তাহার সহিত ইহার প্রায় এক্য আছে বথা_ : | “প্রাসাস্স্ত চতুহ্ক্তোদ গুবুরঃ ক্ষুরাননঃ ॥” অর্থাৎ প্রা অজ্্ লম্বে হাত, তাহার দাণ্ডি বেণুদগুনির্টিতি এনং মুখ ক্ষুরধার। পিণাঁক--ইহ! শুলাস্ত্রের নামান্তর মাত্র যাহাকে আমর! ত্রিশুল বলি, তাহাই পিণাক | ষথা-- | "পিণাকস্ত ত্রিশীর্ষ: স্তাৎ সিতাগ্রঃ ক্রুরলোচনঃ | কাংস্যকায়োলৌহশীর্ষশ্চতুরহস্তপ্রমাণবান্‌॥ ধূননং প্রোতনঞ্চেতি ত্রিশুলং দ্বেশ্রিতে গতী ॥” অর্থাৎ ইহার কায়া কাংসদণ্ডে নির্মিত, মস্তকে ত্রিশীর্য লৌহফলক, তাহার প্রান্ত বা অগ্রভাগ স্থশাণিত এবং তাহার চক্ষু অতি ক্রুর। ভন্গুকের লোমের স্তবকাদির দ্বার! তাহার সর্ধাঙ্গ সুশোভিত ইতস্ততঃ সঞ্ধালন প্রোতন অর্থাৎ ফুঁড়িয়া ফেল! তাহার কাধ্য উক্ত ছুইটী মাত্র ক্রিয়া ত্রিশূলের আশ্রিত। আগ্নেযধনুর্ধেদে ইহার অন্ত কএকটা ক্রিয়ার উল্লেখ দৃষ্ট হয়। বথা_ “আস্ফোটঃ ক্ষেড়নন্তেদঃ গ্রাসান্দোলিতকৌ তথা শুলকর্শীণি জানীহি যষ্টমাখাতসংজ্িতষ্‌ ॥৮ গা --গদ| নামক শস্ত্রের আকার ক্রিয়া এইক্প। অষ্ঠাশ পৃথুবুধা। তু গদ। হৃদযন্মিত। ॥৮ অর্থাৎ মুষ্টিস্থান স্কুল অবয়ব অষ্টাশ্র অর্থাৎ আট পৌঁয়ালে এবং হৃদয় পরিমাণ লম্বা এতস্তিন্ন বৈশম্পীয়নোক্ত ধনুর্বেদে অন্য এক প্রকার ধোরদর্শন গদার বর্ণনা আছে। থা “গদা শৈক্যায়দমরী শতারপৃথুশীর্ষকা শঙ্কুপ্রাবর়ণ৷ ঘোরা চতুহস্তসমুল্নভা . রখাক্ষমীত্রকায়! "৮ কিরীটাঞিতমন্তক! স্থখণৃমেখখলাগুপ্ত। গজপর্বভভেদিনী, |

ডারত-্রহস্ত।

মগ্ডলানি বিচিত্রাণি গতপ্রত্যাগতানি চ।

অত্র যন্ত্রাণি চিত্রানি স্থানাঁনি বিবিধানি

পরিমোক্ষং প্রহারাণাং বর্জনং পরিধাবনম্‌

অভিভ্রবণমাক্ষেপমবস্থানং সবিগ্রহম্‌

পরাবৃত্বং সঙন্নিবৃত্তমব্ল,তমুপপ্ল তম্‌ ।”

দক্ষিণং মগ্ডলঞ্চেব সব্যং মগুলমেব

আবিদ্ধঞ্চ প্রবিদ্ধঞ্চ স্ফোটনং জালনস্তথ |

উপন্তত্ত মপন্স্তং গদা মার্গাশ্চ বিংশতিঃ ॥%

এই লৌহমরী গদা শিকার দ্বারা বাহিত হয়। ইহার শরবদের স্থল গাল্র

শতার অর্থাৎ শতপোয়াল-বিশিষ্ট। ক্ষুত্র ক্ষুদ্র লৌহ কণ্টকে ইহার সর্ধাঙ্গ আঁচিত, লন্বে হাত এবং স্থলতায় রথচক্রের নাভির তুল্য দেখিতে ভয়ঙ্কর, মন্তকে কিরীট অর্থাৎ পাগড়ীর ন্যায় বেড় থাকে, এবং ইহা স্বর্ণ শঙ্খলে রক্ষিত বা গ্রথিত। ইহা গজ পর্বত চূর্ণ বিচর্ণ করিতে সক্ষম ইহার দ্বারা যুদ্ধ করিতে হইলে বিবিধ গতি শিক্ষা করিতে হয় সে সকল গতির অর্থাৎ নিজের সঞ্চরণ গদার পরিচালন বিংশতি সংখ্যক যর্থা--বিচিত্রমণ্ুল, গতি প্রত্যাগতি, পক্বি- মোক্ষ, বর্জন, পরিধাবন, অভিদ্রবণ, আক্ষেপ, নিগ্রহযুক্ত অবস্থান, পরাবর্তন, সন্নিবর্তন, অবপ্ল,তি, উপপ্ল,তি, দক্ষিণমণ্ডল, বামমগুল, আবিদ্ধ, প্রবিদ্ধ, ক্ফোটন, জালন» উপন্যাস অপন্যাস। মহাভারতোক্ত ভীমের গদা আর এই বৈশ- স্পায়নোক্ত গদা তুল্য বা এক বলিয়া! অন্কুমিত হয়। 'এতদছরিন্ন আগের ধন্ুবের্ধদে যে গদার উল্লেখ আছে, তাহাও এইরূপ এরূপ গদার সগ্যবহাঁর অত্যন্ত বলসাধ্য।

“মুদগরঃ সুস্ষ্পাঁদঃ স্তাঁৎ হীনশীর্ষস্থিহত্যবান্‌।

মধুবণঃ পৃথৃস্ন্ধশ্চা £ভারগুরুশ্চ সঃ

সৎসরুর্বর্তলোনীলঃ পরিধ্যা করসম্মিতঃ।

ভ্রামণং পাতনঞ্চেতি দ্বিবিধং মুদগরে শ্রিতম্‌ ॥৮

মুদগরের মূলদেশ ₹শ' স্বন্ধদেশ স্থুল, মস্তকে শীর্ষক থাকে না। লব্ষে হাত গুরুত্বে অগ্ভার | * সক অর্থাৎ মুটযুক্ত, আকা বর্তল বা গোল। ইহার

রর * ২৭ তোলা ৮** তোলায় এক “ভার?” পরস্ত এষ্থলে চা ভোলা অর্থই ্রান্থ. তাহার গুপে ২* মৌগ। ২* মো লোহার সঙ্গ! লইয়া যুদ্ধ করিত, বারি “ইলা ভ্যু। |

লা এ৪

রি

০, রা হে

টা শনি রি আত

আর্ধ্যজাতির বৃদ্ধান্র। | তক

পরিধি এক হস্ত ইহার ঘূর্ণন নিপাতন এই ভুইটা মাত ক্রিম আছে। পরস্ত আগ্নেয় ধনুর্বেদে ইহার প্রকার ক্রিয়ার উল্লেখ আছে। যথা “তাড়নং ছেদ্বনং বিপ্র ! তথা ঘূর্ণনমেবচ ! | সুদগরন্ত তু কর্ম্মাণি তথা প্রবনঘাতনম্‌ ॥৮ হে ব্রাহ্মণ ! তাড়ন, ছিন্নভিন্নকরণ চর্ণিতকরণ প্রবনাধাঁত,-_ মুদগরের এই চতুবিবধ কার্য জাঁনিবে। সীর-_ $ “সীরোদ্ধিবক্রোবিশিখেলৌহপাদমুখঃ কষন্‌। * পুম্প্রমাণঃ স্নিপ্ববর্ণ স্বাকর্ষ বিনিপাঁতবান্‌ ॥» সীর ব! লাঙ্গল অস্ত্রটী দ্বিবন্র অর্থাৎ ঢুই স্থানেই বকা শিখাশৃন্য মূলদেশ মুখ লৌহবদ্ধ। সার্ধত্রিহস্তপরিমিত দীর্ঘ এবং ক্সিপ্ধ। আকর্ষণ নিপান্তন এই ক্রিয়াছয় ইহাতে প্রযুক্ত হইয়! থাকে বাল, “মুসলম্তক্ষিশীর্ষাভ্যাং করৈঃ পাদৈর্ববিবর্জিতঃ। মূলে চীস্তেহতিসন্বদ্ধঃ পাতনং পোথনং ছয়ম্‌ ॥” মুপলের চক্ষু, মস্তক, হস্ত পদ কিছুই নাই। অর্থাঞ্, সর্ধাঙ্গ সমান এবং ইহার নিপাতন পৌথন এই দুইটী মাত্র ক্রিয়া আছে। পটিশ--ইহ! একপ্রকার তরবারি বিশেষ আগ্মেয় ধনুর্বেদ, বৈশম্পায়নীয় ধন্র্ব্েদ শুক্রনীতি, এই তিন পুস্তকেই সমান বর্ণনা দৃষ্ট হয় যথা-_ “পঞ্টিশঃ পুষ্প্রমাণঃ ্যাৎ দ্বিধারস্তীক্ষশূঙ্গকঃ হস্তব্রাণসমাযুক্রমুষ্টিঃ খড়গাসহোদরই বৈশম্পায়ন। ) | অর্থ এই যে, পটিশ নামক আন্টা খক্সোর সহোদর অর্থাৎ প্রায় খড়গাকার। ইহা! পুরুষ-প্রমাণ লম্বা, ছুই দিকেই সমান ধার, অগ্রভাগ অতি তীক্ষ, ইহার মুষ্টি অর্থাৎ মুট, হস্তত্াণ যুক্ত শুক্রনীতির বর্ণনাও এই রূপ। যথা | “পডিশসোহসি সমে। হস্তবুপ্নশ্চোভয়তো মুখঃ 1৮". শুক্রনীতি ) ইহার ক্রিয়া খড়গক্রিকার স্তান্স অনেক*বিধ |. / মৌছটিক-_ এই মৌস্িক অঙুটী কেবল বৈশস্পা়নোক্ ধনু্কোদেদৃষ্ হয় যথা.

চা | ভাঁরত-রহন্ড |

“মৌষ্টিকং স্ৎসরুজ্ঞেযং প্রাদেশোন্নতিভূষণ্ম্‌। সিতাগ্রমুন্নতগ্রীবং পৃথুদরসিতং তথ। ॥” মোষ্টিক অস্ত্রের সরু অর্থাৎ মুষ্টিস্থান অতি উৎকৃষ্ট ইহার উচ্চত! প্র(দেশ অর্থাৎ অধ্ধহস্ত। অগ্রভাগ তীক্ষ বা শাণিত এবং গ্রীবাদেশ কিছু উচ্চ। উদর প্রদেশ স্কুল স্ুশাণিত। এই মোৌষ্টিকাস্ত্ের কার্ধ্য খজ্জাকার্যের ন্যায় বিচিত্র বহুব্ধি। পরিঘ-_ '“পরিঘোবর্ভূলাকীরস্তালমাত্রঃ সতারবঃ | বলৈকসাধ্যসম্পাতস্বশ্মিন্‌ ভ্ঞেয়ো বিচক্ষণৈঃ 0৮ পরিধ্ অস্ত্রটা বর্ত অর্থাৎ স্বুগোল লন্বে পুরুষপ্রমাণ অর্থাৎ সাদ্ধ ত্রিহস্ত। ইহা কেবল ব্লপুর্র্বক নিক্ষেপ করিতে হয় মযুখখী--এ অন্ত্রের অন্ত নাম কি? তাহা জানি না) ফল, বৈশম্পায়নেক্ত ধনুর্বেদ ভিন্ন অন্য কোন গ্রন্থে নাম দৃষ্ট হয় না উল্লিখিত গ্রন্থে ইহার যেরূপ বর্ণনা আছে, পাঠকবর্গ তাহা দৃষ্ট করুন। “ময়ুখী কৃতযষ্টিঃ স্তাৎ মুষ্টিযুক্ত। নরোন্নতা কিস্ছিণীসবূ তা! চিত্রা ফলিকাসহকারিণী আঘাতঞ্চ প্রতীঘাতং বিঘাতং পরিমৌচনম্‌। অভিদ্রবণমিত্যেতে মমূখী পঞ্চ সংশ্রিতাত ॥% পুরুষ প্রমাণ এক দীর্ঘ যষ্টি, তদগ্রে ফলা তদগাত্রে কি্কিণীজাল এবং ইহার মুষ্টি আছে। আঘাত, প্রতিঘাত, এবং. বিঘাত, পরিমোচন অভিদ্রবণ, এই পাঁচ কার্য ইহার আশ্রিত। শতত্রী- এই শতঘ্বী সম্বন্ধে অনেকে অনেক প্রক।র কল্পনা করিয়! থাকেন। কেহ বলেন, আঁধুনিক কামান আর পূর্বকালের শতন্বী একই বস্ত। কেহ বলেন, পূর্বকাঁলে এক প্রকার প্রস্তর-নিক্ষেপক কা্ঠমন্ত্র ছিল, তাহাই তৎকালের শতদ্ী। বস্তুতঃ এই ছুই মতের কোন মতেরই পোধক প্রমাণ পাঁওয়! যায় না। পরস্ত “শতন্্ী” এই নামের ব্যুৎপত্তি প্রতি দৃষ্টি করিলে উক্ত উভয় মতই যথার্থবাী বলিয়া গণ্য হইতে পারে। নীলক% ভট্ট মহাভারতের টীকায় উক্ত উভয় মতই গ্রহণ করিয়াছেন, কিন্তু ্ামায়ণের টাকাকার রামানুজ স্বামী ইহাকে কন্টকময়ী বৃহৎ: মুদগর বলিয়া ব্যাখা করিয়াছেন বৈশম্পানোক্ত ধুর্কেদের ৪ম ভৃধ্যান্ে আমরা রামানুজের মতের পোষক প্রমাণ দেখিতেস্ছি; ধা...

আ'র্যজাতির যুদ্ধান্ত্র। | ওপ “শতত্বী কণ্টকযুতা কালায়সমন দৃঢ় মুদগরাভা চতুহস্তা বর্ত,লাৎসরুণা যুতা গধাবল্গিতবত্যেষ! ময়েতি কথিত! তৰ ॥৮ (ময়েন কথিত ভূবি, এরূপ পাঠও আছে ) কণ্টকাচিত, লৌহসাব নিশ্মিত, মুদগরকল্প, সুদৃঢ় বর্ত,ল শত্তত্বী নামক আম্মু ধের প্রমাণ হাতি এবং তাহার ৎসরু অর্থাৎ মুট আছে। গদাবুদ্ধের বল্পন 'মর্থাৎ প্রয়োগ কালীন আশ্ফালন যেরূপ, ইহ্নারও বল্পন সেই রূপ বৈশম্পায়নের এই ব্চন শতত্বীকে মুদগরবিশেষ বলিয়া প্রতিপন্ন করিলেও তন্না- মক আগ্নেয়-অন্ত্রবিশেষ যে ছিল না, এরূপ সিদ্ধান্ত কর! যায় না €ুকন না ইহার দ্বারা এককালে শত পুরুষের হনন সিদ্ধি হয়না! এবং অগ্নিপ্রদীন্তও হয় না। সুতরাং শতন্বী নামক অন্য কোনরূপ আগ্নেক্সাস্ব ছিল বলিয়াই অনুমিত হয় মহাভারতের অন্ত একটী বচন আছে, তদ্দষ্টে অনুমান নিঃশক্লিত হইতে পারে। যথা-- “্মুদ্গরৈঃ কুটপাশৈশ্চ শুলোলুখলপর্বতৈঃ | শতদ্বীভিশ্চ দীপ্ত ।ভির্দ গুরপি সুদারুণৈহ 0৮ এবচনে মুদগর হইতে ভিন্ন এক প্রকার প্রদীপ্ত শতত্্রী পাওরা যাইতেছে এততপ্তিন্ন মহাভারতের মধ্যে একধপ শত শত বাক্য আছে, যাহার অর্থ তাঁৎপধ্য পর্যযালোচন। কৰিলে মুদগরকল্প শতঘ্বী হইতে ভিন্ন অন্ত একরূপ আগ্মের-শতদ্বী ছিল বলিয়া নিণির হইতে পারে সেই জন্যই টীকাকার নীলকগ ভট্ট ইহাকেও সেই সেই স্থানের শতত্বীকে মাগ্রেয়দ্রব্যবলপ্রযোজ্য “কামান” বলিয়া ব্যাখ্য। করিয়াছেন! ফল, (শতত্বী-শব্দের দ্বারা কামানের পূর্ববাস্তিত্ব সিদ্ধ না হউক, পূর্বে ষে সকল প্রমাণ প্রদত্ত হইয়াছে, তত্দারা কামানের পূর্ববাস্তিত্ব প্রতিপন্ন হইয়াছে, সন্দেহ নাই প্ৃণ-_স্ুণস্ত রক্তদেহঃ স্তাঁৎ সমীপদৃ়পুর্ব্বকঃ 1 পুষ্প্রমাণ খজুত্তশ্মিন্‌ ভ্রামণং পাঁতনং ছয়ম্‌ ॥৮ রক্তবর্ণ, ঘনগ্রস্থিল, পুরুষপ্রমাণ লম্বা খজু অর্থাৎ সোজা রিটা নাম স্থপ। ইহার ভ্রামণ নিপাতন এই ছুইটি মাত্র ক্রিয়া! আছে। বৈশম্পায়ন মুনির ধনুর্বেদে এতস্তিন আরও কতকগুলি দেবাস্ত্র অর্থাৎ ম্তযুক্ত অস্ত্রের উল্লেখ আছে* দে লকলের স্বরূপ কি? তাহা বর্শিতি হয় লাই, সুতরাং কেধল মার্র নামের উল্লেখ করায় ত্রস্থারা কোন: রূপ: জান

৮০২86

৬৮ ভারত-রহহট |

লাভের বা-আক্কৃতি কল্পনার সস্তাবনা নাই; কাষেকাযেই সে সকল উদ্ধত হইল না। | মধুস্থদন সরম্বতী, স্বকৃতপ্রস্থান ভেদ গ্রন্থে বিশ্ব।মিত্রকৃত ধনুর্কে্দের অর্থ সংগ্রহস্থলে বলিয়াছেন যে, মন্তরমুক্ত অন্ত্র সমূহের আকার, মন্ত্র তাহার সিদ্ধি বা সাধন।-প্রকার উত্ত-বেদের ৩য় অধ্যায়ে উপদিষ্ট আছে। কিন্তু সেগ্রস্থ আমর! পাই নাই। স্থতরাং মন্তরযুক্ত অস্ত্রসন্বদ্ধে আমর! কোন কথাই বলতে পারিলাম না। বৈশম্পায়নপ্রোক্ত ধনুর্ষেদের সর্বশেষে লিখিত আছে যে, ষে সকল অস্ত্রের কথা বল! হইল, সকল ষুগে যুগে বিকৃত হইয়া যায়। তাহার কারণ এই যে, কালের পরিবির্ভনে মন্গুষযের দেহের, শক্তির বুদ্ধির পরিবর্তন হইয়া! থাকে দেহের, শক্তির বুদ্ধির বিকার বশতঃ লৌহ গুঁলকা কিন্া সীসক গুলিকার নিক্ষেপক লৌইহাঁদিনির্মিত যন্ত্র সকল এবং উপল যন্ত্র অর্থাৎ প্রস্তরনিক্ষেপক যন্ত্র সকল এবং অন্তান্ত বি'বধ প্রাণিসংহারক ঘন্ত্রপকলের দ্বার! কলিকালের লোকের কুটধুদ্ধ কর্ধিবেক বথা-- “এতানি বিকৃতিং যাস্তি যুগপধ্যায়তোনৃপ দেহ্দাঢ ঢানুসারেণ তথ। বুদ্ধযনুসারতঃ যন্ত্রীণি লৌহসীসানাং গুলিকাক্ষেপকাণি চ। তথা চোপলযন্ত্রাণি কুত্রিমাণ্যপরান্তপি কুটযুদ্ধসহাকানি ভবিষ্যস্তি কলৌ নৃপ তপ্ততৈলং সঙ্গরসো গুড়লালো গ্রবালুকা মধুমাশীবিষঘটাঃ শালকানি, গৃহচ্ছিলা ক্রুকচ। ধূমগ্ডলিক। শুদ্ধাজরাদিকং তথ। অধর্মববৃদ্ধয। চৈতানি ভবিষ্যস্ত্যব্তরোভরম্‌। সাধনানি মহীপাল কুটযুদ্ধাভিকাজ্িণাম্‌ হুণাঃ পুলিন্নাঁঃ শবরাঃ বর্ধরাঃ পহলবাঃ শকাঃ মালবাঃ কোঙ্ছনাহ হ্ান্ধাশ্চোলাঃ পাঞ্ডাঃ সকেরলাঃ জলে! গোঘোনয়শ্চান্তে চণ্ালাঃ শ্বপচাঃ খশাঃ। মাবেল্লকা ললিখাশ্চ কিরাতাঃ কুক্কুরাস্তথা পাপা স্থেতে কথং ধর্মাং বেৎস্তস্তি বিযোনয়্ঃ | | মাৎসধ্যদোঘনিরত। ভূবিষ্যস্যধমে যুগে ॥” : মহাভারত রামাযণানি গ্রন্থে, এত্ত নান! অন্্নাম আছে। মে লকলের .

ঘনগুোর্ধ | ৩৯ ভাৎপর্য্য এক্ষণে বুঝা যায় না ফল, প্রত্যেক অস্ত্রের ২৩ বা ততোধিক নাম

আছে, ইহ! জানা আবগ্তক। নচেৎ নান! স্থানে নানা নাম দেখিয়! তাভাদের প্রত্যেককে স্বতন্ত্র অস্ত্র বলিয়৷ ভ্রম হইবে

ধনুর্ব্বেদ

ধন্ুর্বিগ্া-বোঁধক শান্তের নাম ধনুর্বেদ, এক্ষণে ইহা সর্ধভক্ষক কালের করাল জঠরে ভম্মীভূত কুইয়াছে আমরা মনে করি, ভীল, কোল, সাঁওতালেরা যেমন তীর ধনুক লইয়া! এলো-থেলো যুদ্ধ করে-__ আমাদের পূর্বপুরুষেরও তেমনি পুর্বে তীর ধনুক লইয়৷ এলো থেলো! যুদ্ধ করিতেন-_তাহাতে কোন বিগ্যা-সংযোগ- ছিল না_পরস্ত নিপুণতার সহিত পধ্যালোচন! করিয়া দেখিলে সপ্রমণ হইবে “যে, উহাতে বিলঙ্গণ বিদ্যা-সংযোগ ছিল |” এই বিদ্যা অতি আদিমকালে রখনা গাশ্বপত্তীণা” যোধাং শ্চাশ্রিত্য কীন্তিতম্‌ রথারোহী, হস্ত্যারোহী, অশ্বারোহী পদাতি যোদ্ধাদিগকে অবলম্বন করিয়া! রচিত হইয়াছিল তত্কালে রাজা, রাজ- পুল এবং অন্ঠান্তি বীরপুরুষেরা বহুকাল-সাধ্য ব্রহ্মচর্য-ব্রতে অবস্থিত থাঁকিয়। গুরুর নিকট এই বিদ্যার উপদেশ গ্রহণ করিতেন স্থানে স্থানে এই বিদ্যার রীতিমত মঠ ছিল। নানাস্থানসমা'গত ছাত্রের! তথায় থাকিয়া রীতিমত অধ্যয়নও করিত। মধ্যে মধো পরীক্ষাও গৃহীত হইত শিক্ষা সমাপ্ত হইলে গুরু বাঁজাদিগের ব্যষ়ে “বঙ্গবাট” নিন্মীণ করাইয়। শুভ দিনে রাজা, রাজপুত্র মান্ত গণ্য পঞ্ডিতর্দিগকে আহ্বান করিতেন। সভা! দর্শকবুন্দে পরিপূর্ণ হইলে কুমারগণ অত্যান্ত ছাত্রগণ তাহাদের সমক্ষে যথাসাধ্য শিক্ষিত বিদ্যার অভিনয় প্রদর্শন করিতেন মহাভারতস্থ কুরু-গুরু দ্রোণাচাধ্য কুর-বালকগণের ইতিবৃত্ত পাঠ করিলেই ইহা! সপ্রমাণ হইবে। পূর্বে ক্ষত্রিন্নগণ যে বিদ্যার বলে মাত্র ধন্থুকের সাহায্যে শত শত সহস্র সহস্র বীর মানবের সহিত যুদ্ধ করিশ্তে লমর্থ হইতেন-__সে বিদ্যা কি তুচ্ছ? ন! মিথ্যা? সে ধন্থুকপ্রক সাওতালদিগের ধনুক? না তাহাতে অন্ত কিছু রহস্ত আছে? ভাবিতে গেলে মস্তিফ বিকল হয়” বুদ্ধিমোহ উপস্থিত হয়, মন্ক অন্ধকারে পূর্ণ হইয়া বায়। এখন আর সে ব্যাস নাই, সে বৈশম্পায়ন নাই, সে রাম নাই, সে পরগুরাম নাই, সে বিশ্বামিত্র নাই, দ্রোণ নাইি,অশ্বখাম! নাই, ক্ক্প নাই, অঞ্জুনও নাই, কেহই লাই। তবে.আর আমাদিগকে কে উহ! বুঝাইয়া ধিরে? ক্ষার

8০ ভাষত-রহস্য |

ধন্ুর্ধেদ লাই শিবের ধনুর্কোদ নাই, বিশ্বামিত্রের ধন্ুর্ষ্বেদও নাই। তবে আর কোন্‌ পুম্তকের ছ্বারা আমরা উহার মর্মগ্রহ বা রহন্ত শিক্ষা অন্বেষণ করিব? কাষেকাষেই সে সকল এখন আমাদিগের নিকট উপকথা বা রূপক কাব্য বলিয় নিণীত হইতেছে যদি বলেন, তবে চাপল্য কেন ? প্রবন্ধ শীর্ষে “্ধনুর্বেেদ” মুকুটাপণ করাই বা কেন? ইহাতে আমার বক্তব্য এই যে, মনের আবেগ বহুকাল হইতে আমার চিত্তে যে আবেগ উপস্থিত হইয়াছিল তাহা কথঞ্চিৎ উপশম করাই চাপল্যের বা ধনুর্ধেদ-শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশের উদ্দেস্ত

আমি বাল্যকালাবধি ধনুর্কেদের অনুসন্ধান তৎপুস্তক লাভার্থ বনুব্যয় স্বীকার করিয়া অবশেষে ষে কিছু অত্যন্প গ্রন্থ তন্নিহিত জ্ঞাতব্য সংগ্রহ ; করিয়াছি, দ্য সন্ধদয় পাঠকগণকে সে গুলি উপহার দিয় সেই চিরসঞ্চিত সংকল্পের উদযাপন করিব।

ধনুর্বেদ নামক স্বতন্ত্র গ্রন্থ এক্ষণে পাওয়া যায় কি না সন্দেহ। পরস্থ ধনুর্ধেদের সংগ্রহকারক আচাধ্যগণ বলেন যে, প্রথমে ব্রক্ধা মহাদেব এই বেদ প্রচার করেন, সুতরাং ব্রহ্মার কৃত ধনুর্ধেদ 'ও শঙ্করকৃত ধনুর্ধেদ পূর্ব্ে ছিল বলিয়া অনুমিত হয় তৎপরে বিশ্বামিত্র মুনি ব্যাস তাহার সংক্ষিপ্ত সার সংগ্রহ করিয়া! ছুইখানি ধন্ুর্ধেদ রচন! করিয়াছিলেন তৎপরে আর কেহ নিরবচ্ছিন্ন ধনুর্বের বলেন নাই ধ'হারা ধ্হারা বলিয়াছেন, তাহারা প্রসঙ্গ ক্রমে অত্যন্প কথাই বলিয়াছেন সেই প্রাসঙ্গিক সংগ্রহ গুলিই এক্ষণে পাওয়া যায়, আমি যাহা সংগ্রহ করিয়াছি, তাহার নাম এই-_

মহধধি উশন! কৃত নীতিসার, বৈশম্পায়নোক্ত ধনুর্বেদ, আগ্নের ধনুর্কেদ, ৃদ্ধশাঙ্গধর, বীরচিস্তামণি, লব্ুবীরচিস্তামণি, কামন্দক, নীতিময়ূখ যুদ্ধ জয়ার্ণব। এতস্ডিন্্ মহাভারত রামায়ণের সঙ্কলনও আছে

মধুন্ছদন সরস্বতী কৃত প্রস্থানভেদ পাঠে জানা যাঁয় বে, বিশ্বামিত্ররুত মূল ধনুর্ধেদ তিনি দেখিয়াছিলেন কেননা উক্ত গ্রন্থে যত অধ্যায় আছে তাহা তিনি বলিয়াছেন এবং প্রত্যেক অধ্যায়ে যে সকল বিষয়ের উপদেশ আছে, তাহা তিনি শ্বরুত গ্রস্থানভেদে বর্ণন করিয়াছেন * 225 25555

* সধুশ্ধন কৃত প্রস্থান ভেদে যাহ! লিখিত আছে, তাহ! এই--- ৬৫ ধনুরবেদঃ পাদতুষটযস্থকো। রিহ্বামি প্রণীতঃ | ভত্র প্রথমোদীক্ষা- | দ্বিতীয়; সংগ্রহপাদত | তৃতীয়ঃ সিদ্ধিপাদঃ। চতুর্থ: প্রয়োগপাদঃ | তত্র ডি রো কি অধিকারিনিরূপধঞ্চ কৃততম। তর ধনুংশবশ্চাপে রূচোহপি চতুরবিবধাযুধবাচো বহে

ধুর্ষ্দ | ৪১ রথ না দেখিলে তিনি কৌন ক্রমেই শ্রতীদৃশ সংকলন করিতে সমর্থ হইতেন না। মধুক্দনের আমু এক্ষণে অনধিক ৬** বৎসর। অতএব ৬** ব্ৎসর সময়ে যদি বিশ্বামিত্রের ধনুর্কেদ থাঁক! সত্য হয়, তবে তাহা এখনও ফোঁথাও ন! কোথাও আছে বলিয়! অনুমান কর! যাইতে পারে। পরস্ত আমর! বহু চেষ্টাতেও উহার অস্তিত্ব ম্থানে সমর্থ হই নাই। কাধে কাষেই উল্লিখিত গ্রন্থ নিচ এক- ত্রিত করিয়া ধঙ্র্েদের অধিকার যতদূর বেখান যাইতে পারে তাহা এতৎ প্রবন্ধে প্রদর্শিত হইবে। মহর্ষি বৈশম্পায়নের মতে খড়ীস্ত্রই সর্বাদিম। ধনুক তৎক্ষেপ্য বাণাি তাহার পরে, বেণপুক্র পৃথু রাঁজার সময়ে আবিষ্কৃত হয়। চতুম্মুথ ব্রহ্মা আদি রাজ! পৃথুকে ধনুর প্রদান করিলে তিনিই তাহা লোক মধ্যে প্রচারিত করিয়া- ছিলেন। যথ!--- শসিঃ পূর্ব ময়া স্থষ্টো ছৃষ্টনিগ্রহকারণাঁৎ। ভবাদৃশসমীপস্থো লোকান্‌ শিক্ষন্‌ চরতাসৌ ধন্ুরাদ্যাযুধব্যক্তো ত্বমেবাদিঃ স্বৃতো। ময় তন্মাৎ শঙ্সাণি চান্ত্রাণি দানি তব পুজ্রক ॥৮ রঙ্গ পৃথ্‌ সমীপে আবিভূতি হইয়া বলিলেন, পূর্ব্বে আমি ছুষ্টদমনের নিমিত্ত অসির স্ঙ্টি করিয্লাছিলাম। সেই অসি তোমার স্তায় ব্যক্তির নিকট থাকিয়া দুষ্ট লোকদ্দিগকে শিক্ষা দান করিতেছে এক্ষণে আমি মনে করিয়াছি, তোমাকে আমি ধনুক প্রভৃতি আম্ুধ প্রচারের আদি কারণ করিব। হে পুত্র! সেই হেতু তোমাকে আমি অস্ত্র শস্ত্র সকল প্রদান করিব।

রাঁজশান্ত্রের আদি বস্ত1 প্ব্রহ্মা মহেশ্বরঃ স্বনদশ্চেন্দ্ঃ প্রাচেতসে। মনুঃ। বৃহস্পতিশ্চ শুক্রশ্চ ভারদ্বাজে! মহাতপাঁঃ

তচ্চ চতুর্ববিধম্‌। মুক্তমমুক্তং মুক্তামুক্কং যন্্মুক্তধ তত্র মুজং চক্রাদি। অমুত্ঞ্থ খড় দি মুক্তামুক্তং শল্যার্াস্তরতেদাদি | যন্ত্রমুক্তং শর়াদি। তত্র মুক্তমন্ত্রমিতাচাভে অমুক্তং শন্ত্রমিতা- চাড়ে। তদপি-জাক্গ বৈষব পাশুপত শ্রাজাপতাগ্নের়াদি ভেদাদনেকরিধষ্। এবং সাধিদৈবতেষু সমস্য চতুর্িধায়ুখেযু যেধামধিকারঃ তরিযকুমরাপাং তদনুযািনাঞ্চ তে দর্বে চতুর্বিধাঃ |

পদাতি রুখ গজ তুরগারটাঃ। . এবং দীক্ষাভিষেকশাকুন মঙগলকরণাদিকঞ্চ সর্থসপি প্রথমে পারছে: নিকষপিতম্‌ র্ধামন্্স্রবিপেষাশীং আচীরযত লক্ষণপুদরবকং সংখহখ: সংগ্রহপাঁদে দ্বিতীয় ধর্দিত্‌) গরুসন্প্রদারসিদ্ধানাং শ্রধিশ্ধোগাং পুনং গুনরভ্যাসো স্্দেবতা সিদ্ধিকরপািকষ তৃতীয়. গাদে। গং দেবতার্চনাভ্যাসাদিতিঃ মিদ্ধানাং অন্্পস্থবিশেযাপাং প্রয়োগস্চতুর্ষেপাদে নিক পিং $%

স্তহ। | | .. গারউি-হন্ত। খের্যাসম্চ ভগবাদ্‌ তথা গৌরশিরা।সুনিঃ।.. তি হি রাজশাস্তাণাং প্রণেতারঃ পরস্তপাঃ 1 এবমন্তেহপি, ঘুনয়ো বছব্ঃ পরিকীত্তিতাঃ আঁদিদের বদ্ধা, মহেশ্বর, দেবসেনাপতি কার্ডিকেয়, দেবরাজ ইন্্র, প্রচেতা, . মনু, বৃহস্পতি, শুক্র, ভরহাজ খষি, বেদব্যাস্‌, গৌরশিরা,__এবং অন্তান্ত মুনিগণও রাজশাস্ত্রের উপদেষ্ট। বলিয়! খ্যাত আছেন। ধকুর্বেদও সেই সকল রাজশাস্্ের অন্তর্গত তাহাতে ধনুক কি? এবং তৎসন্বন্ধে কি কি বিধি আছে, তাহ! বথাক্রমে প্রদর্শিত হইতেছে ধনুর লক্ষণ যন্থারা বাণ কি প্রস্তর খণ্ডাদি নিক্ষিপ্ত হয় তাহার নাম ধন্ু। ইহার অন্য নাম চাপ, ধন্ব, শরাসন, কোনও, কান্দুক, ইত্যাস, গুণী, শরাবাপ, ভ্রিণত। তৃপতা অস্ত্র। গুলি সাধারণতঃ শরানক্ষেপক যন্ত্রের নাম। এতঙ্তিন্ন বিশেষ বিশেষ নামও আছে সে সকল নাম তাহাদের লক্ষণ বর্ণিত হইতেছে। *্প্রথমং যৌগিকং চাপং যুন্ধচাপং দ্বিতীয়কম্‌। নিজবাহুবলোন্মানাৎ কিঞ্দুনং শুভং ধনুঃ বরং প্রাণোধিকো ধন্য! তু প্রাণাধিকং ধন্থুঃ | ধনুষা লীড্যমনস্ত ধন্বৌ। লক্ষ্য পশ্ঠতি 1 (বৃ, শা, ধ। প্রথমে শিক্ষা ধনু; পশ্চাৎ যুদ্ধ ধন্থু গ্রহণ করিবেক। যে ধনুক নিজের বাছি- বলের পরিমাণ অপেক্ষ! কিঞ্িৎ ন্যনবল সেই ধন্তই উত্তম। অর্থাৎ যাহ সহজে ব্যবহার করা ধা তাহাই ভাঁল। ধনুকর বল অপেক্ষা ধন্গ্ধারীর বল অল্প হইলে ধন্্ধারী তদ্বারা কাতর বা ক্রষ্ট হইন্সা পড়েন? সুতরাং তাহার লক্ষ্য ভঙ্গ হইয়। যায়! তা নিজবলোম্ম।নং চাপং স্তাৎ শুভকারকম্‌ ॥” দশা, খ। পে 'আপন বলের শন্ুক্ূপ ধনুই গুভদায়ক হয়। বস্ততঃ ধ্গুক : আকর্ষণ করিতে যদি কষ্ট উপস্থিত হয়, ভবে তন্ন দ্ধ করা! ছুঃলাধ্ ছইনা পড়ে। আবার ধনুকের বল নিতান্ত অর হইলেও বাশের ব্গে রা সনির : বাঁধের বেগ অল্প হইলে তন্থার! ছেদভেদও যথাযোগ্য হইবে না)

ব্ র্‌ র্‌ | রি |. উদ খই ন্‌ হন টা ,্

দ্ধ ্বিবিধ। দৈব মাঁনক। দৈব ধর্জু অপেক্ষ। মানব-ধন কিঞ্চিত নৃনে পরিমাণ দৈষ-ধন্গ সম্বন্ধে যে কিছু কথা আছে, সে স্মস্ত পরিত্যাগ করিয়া মাঁনবধনুর পরিমাণাদি বর্ণনা করা যাইতেছে

ধনুর প্রমাণ

_ প্তর্কিংশানুলোহনতপচতুহত্তং ধনু্ৃতম্‌। তত্তবেন্মানবং চাপং সর্বলক্ষণসংযুতম্‌ ॥» ২৪ অগ্ুল পরিমাণে হস্ত পরিমাণ হয়। তাহার চারি হাত লম্বা মানব ধনুর ছত্তম পরিমাঁণ। তাহা! লক্ষণান্বিত হইলেই গ্রাহ্া। ৮টী যব সারি সারি সাঁজাইলে যে পরিমাণ হয়, সেই পরিমাণকে অঙ্তুল পরিমাণ বলে। এবং ২৪ আর্গুলিতে এক হস্ত। ণ্চতুহন্তং ধর্নুং শরেং ত্র সার্ন্বমধ্যমম্। কনিষ্স্ত ত্রপনঃ প্রোজ্তং নিদ্যমেৰ পদ্াাতিনঃ ॥'? [ আপগেয় ধচুর্যেদ | হাত পরিমাণ ধন্থুই উত্তম হাত ধনু মধ্যম। এবং তিন হাত ধনু অধম। এই সুত্র ধনু পদীতি সৈন্ঠর নিত্য ব্যবহাধ্য

ধনুকের জাতি বা প্রকার ভেদ

“ধনুস্ত দ্বিবিধং প্রোক্তং শাঙ্গ বাংশং তখৈৰ্‌ চ।” ্‌ [ যু, কল্প। যুদ্ধধনথ দ্বিরিধ। এক শার্স অর্থাৎ শুঙ্গরিকার-জাত, দ্বিত্থীয় বাংশ অর্থাৎ বাশের দ্বারা নির্দিত। এই দ্বিবিধ ধুর আকার একরূপ নহে। (৯) “শাঙ্গিকং ভ্রিশঙং প্রোক্তং বৈণবং সর্জানামিতষ্‌ 1৮ ( ধনুর্বেদ | শার্লিক অর্থাৎ শুঙ্গজাত ধন্ক ব্রিণত অর্থাৎ স্থান নত বা ঝাফান এবং বৈণক বা বংখজত ধন্ছু সর্বান!মিত অর্থাৎ সর্বস্থানে আমন বা বাঁকান। -

01 মহিযাদির শুঙ্গ গলাইয়! পশ্টাৎ তাহা জাটি কিয়! তন্দার। থে ধনুক নাত হইত, শানে তাহ! পার্জ ধনু নাম খাতি।. “এক্ষণে যাহ! কাচকাড়। নাছে খ্যাত কেই স্তর হারাই পুর্বে রা প্রত হইত .ইহাও আত্যন্ত আশ্চখের বিষয় নেবে, এদেশীয় খুরাতন নোকেরা

বারা ইচ্ছামত খাবহাধ বত দিদা কসিতে জাদিত |. টু

রর ভ'রত-বহ্ত।

পুরাণাদি শাস্ত্রে বিষ্ুর শীজ নু ছিল বলিয়। বর্ণিত আছে। পক্শস্ব সেশজ ধনুঃ মছুযোর হুত্র।প্য হুধণধ্য মানবদিগের শাঙ্গ ধনু তদপেক্ষা অনেক নিরুষ্ট। থা-... “শাজ পুনধ্নুর্িব্যং তদ্ধিষ্ণোঃ পরমারুধম্‌। বিতন্তি সপ্তমং মাণ' নিদ্রিতং বিশ্বকর্ধণা। স্বর্গে নচ তালে ভমৌ কল্তচিৎকরে। ত্ধনূর্বশমাদ্গাতি ত্য ভ্ু।কং পুকষো ত্বমম্‌ পৌরুষেয়ন্ত যচ্ছাঙ্গং বহুবৎসরশোভিতম্‌্। « বিতন্তিভিঃ সার্ধষড়ভি-রিমিত্তং ধন্টচোহধমম্‌॥ প্রায়ো যোজ্াং ধনুঃ শাঙ্গং গজযোধাশ্বসাদিনাম্‌। রথিনাঞ্চ পদাতীনাং বাংশং চাপং প্রকীষ্তিতম্‌ (বু, শাঙগ। ইহার অর্থ এই যে, দৈব শাঙগ ধনু বিষুব পরমাস্ত্। তাহাব প্রমাণ বিতস্তি। কনিষ্ঠান্গুলিবজিত হস্তকে বিতস্তি বলে। ইহার লৌকিক ভাষা মুটুম্হাত। ইহা বিশ্বকর্মার নিশ্মিত। ইহা বিষণ, ব্যতীত স্বর্গ, পাতাল পৃথিবী, এই ভ্রিলোক মধ্যে কোন ব্যক্তিরই বশীভূত হয় না। যাহ! মনুষ্যের নিমিত্ত, তাহার পরিমাণ বিতন্তি। এই খন্ু প্রায় গজারোহী অস্বীরোহীর ব্যবহার্য রী পদ[তি সৈম্তের জন্য বাংশ ধনুই শ্রেষ্ঠ বলিয়া কথিত আছে।

বাংশ ধনুর বিবরণ।

প্রথমতঃ বাঁশ ধনুর গ্রন্থি অর্থাৎ গ1ইট গুলি পরীক্ষা করা আবশ্তাক | “ত্রিপর্ববং পঞ্চপর্ববং বা সপ্তপর্ধ* প্রকী্তিতম্‌। ন্বপর্বঞ্চ কোদগুং চতুর শুভকারণম্‌ চতুষ্পর্বংধ ষট পর্ববং অষ্টপর্বং বিবর্জায়েৎ [ বৃ, শার্গ। ধন্থকের বাঁশটাতে ৩১ ৫১ ৭, ৯টা গাইট থাকিলে ভাল হয়। ৪,৬৩৮ পর্ব অর্থাৎ গাইট থাকিলে তাহা পরিত্যজ্য। “অতিীঘ্মপকঞ্চ জ্ঞাতিঘৃষ্ং তখৈব চ। বং ছিদ্রং কর্তব্য বাহ্যাভ্স্তরহস্তকম্‌।

ধুর্ব্ের ৪৫

গুণহীনং গুণাক্রাত্তং বাস্তদেোযসমন্থিতম্‌। গৃলগ্রস্থির্ন কর্তব্য তলমধ্যে তখৈব চ।৮ (বুশা।

অতিভীর্ণ, অপক জ্ঞাতিত্ব্ট বাশের ধন্থুক ভাল নছে। বাহিরেই হউক, আর মত্যন্তরেই হউক, আর হস্ত স্থানেই হউক, তাহ! দ্ধ কি ছিদ্রিত থাকিবে না। ধনুক+কে গুণহীন বা গুণাক্রাস্ত করিবেক না বাস্তদোষ বা কাগুদোষ না থাকে, গলগ্রস্থি তলগ্রন্থি রাঁখাও কর্তব্য নহে।

এপ ভঙ্গমায়াতি অতিজীর্ণন্ত কর্কশম্‌। জ্ঞাতিথষ্টস্ত সোদ্ধেগং কলহো বান্ধবৈঃ সহ দগ্ধেন দহাতে বেন্ম ছিদ্রং যুদ্ধবিনাশনম্‌। বাহে লক্ষ্যং লভ্যেত তখৈবাভ্যন্তরেহপি চ॥ হীন তু সদ্ধিতে বাণে সংগ্রামে ভঙ্গকারকম্‌। আক্রান্তে তু পুনঃ ক্কাপি লক্্যং প্রাপ্যতে ছুঢ়ম্‌ ॥” এগলগ্রস্থি তলগ্রস্থি'ধনহানিকরং ধন্ুঃ। এভিদে ধৈর্বিনিষু'ক্তং সর্ধ্বকা্যকরং স্মৃতম্‌

(বৃ, শার্গ।

অপক বাঁশের ধনুক ভায়া যাঁয়। অতিপক্ক বাশের ধনুক কর্কশ হয় অর্থাৎ তাহার উপযুক্ত স্থিতিস্থাপক গুণ থাকে না| জ্ঞতিথষ্ট অর্থাৎ যাহা! অন্য বাশের দ্বারা ঘ্ষ্ট হইয়া! গিয়াছে, সেবপ বাঁশের ধনুক উদ্বেগ কলহজনক | দগ্ধ ধন্থক ধারণে গৃহদাহ হইবার সম্ভাবন।। ছিদ্রিত বা রম্ধযুক্ত বশের ধন্থুকে যুন্ধহানি হয়। অর্থাৎ তন্থারা তুমুল যুদ্ধ করা যায় না ( নীরেট, বাশের ধনুকই ভাল।) বাহাহম্ত অভ্যন্তরহস্ত ধনুকে লক্ষ্যের ব্যাঘাত হয়। হীন হইলে বাপ সন্ধান কালে ভঙ্গ হইবার সম্ভাবনা! গুণাক্রাস্ত হইলে লক্ষ্যলাভ হয় না। ধনুকের গলদেশে কি তলম্থানে গাইট থাঁকিলে ধনহানি হয়। অতএব, যাহাতে এই সকল দোষ নাই-.লেই ধন্থকই উত্তম কা্যসাধক হয়। বস্ততঃ--

রর “কোঁমলং রর্ণদৃঢ়ত। তয়োগুখ উদাহতঃ।”

উত্তম রঙঘার অর্থাৎ সুপক, কোমল অথচ দৃঢ় অর্থাৎ উপযুক্ত স্িতি স্থাপক- শৃন্তি-বিশিষ্ট হইলেই কাছা শাঙ্গ'ও বৈণব ধনুর দ৭ বলিষ! উক্ত হয়

ইন পু তার-ইত। : উপলক্ষেপক যু অর্থাৎ গুলতী বাশ!

ন্উপলক্ষেপকং চাপং বৈণবং তদৃঘ্বিরজ্জকম্‌। ত্রিহস্তোৎদেধসহিতং দ্বান্ুলীবিস্বৃতং তু তৎ॥" উপলক্ষেপক ধনুক অর্থাৎ যন্্ার! ক্ষুদ্র পায়াঁশ বর্ষণ করিতে হল, সে ধনুক হাত লম্বা এবং দ্বিরজ্জু অর্থাৎ * অঙ্গুল কি তাহার কিঞ্চিৎ অধিক বিশ্কৃত হয় এরূপ নিয়মে রজ্জুদ্ধম় যোজিত করিতে হয়। যে ধনু লইয়া! এক্ষণকার ব্যাধেরা বাটুল চলায় তাহ! এক্ষণে গুলী বাশ নাষে প্রলিদ্ধ। এইরূপ ধনুকের দ্বাঝ। তৎকালে ক্ষুদ্র পাষাণ বর্ষণ করা হইত পূর্বকালের লোক সকল কিরপা্িলশালী ছিল-__তাহাঁও এই ধন্ুলক্ষণের দ্বারা এক প্রকার জ্ঞাত হওয়া" যায়। নিরেট, আস্ত বাশের ধনুক আকর্ষণ করা সামান্য বলের কাঁধ্য নহে এক্ষণকার স'ও- তাঁলেরাও অখণ্ড অর্থাৎ আস্ত বাঁশের ধনুক নোয়াইতে পারে না। তাহারা এক্ষ:ণ বাঁশ, চিরিয়া আন্দাজ তাহার ভাগের ভাগ দ্বারা ধনুঃ প্রস্তত করে। তাদৃশ খণ্ডিত বাশের ধনুকের সাহায্যে তাহারা তীর দ্বারা ছোট ছোট বৃক্ষকেও ভেদ করিতে সমর্থ হয়। এক্ষণকাঁর খণ্ডিত বাশের ধন্থুকের বলের সহিত পুর্ববকাঁলের অথণ্ডিত নিরেট বাঁশের ধনুকের বলের তুলন! করিস্া দেখিলে পূর্ববকালের লোক সরল কিরূপ অসাধারণ বলবীর্ধ্শালী ছিল এবং তাদৃশ ধনুকের বেগ এক্ষণকার . সাঁমান্ত বন্দুকের বেগ অপেক্ষা কত অধিক ছিল-_তাহা সহজেই. অনুমিত হইতে পাবে।

গুণরজ্জু বা! ধনুর. ছিল *গ্ুণানাং লক্ষণং বক্ষ্যে যাদৃশং কারয়েদৃগুণম্‌। পউনথত্রৈঃ গুণঃ কাধ্যঃ কনিষ্ঠামানসম্মিতঃ ধনুঃপ্রমাণো নিঃসদধিঃ শুদধৈজ্িগুণতত্তুতিঃ | বন্তিতঃ স্তাদৃণ্ডণঃ ্ক্ষঃ সর্ব্বকম্মসহো যুধি ॥৮ (বৃশা। পাটের তার, দ্বারা বনিষ্ঠাঙ্গুলিপরিমিত স্থুল ( মোটা) ধঙগঃ প্রমাণ ল্ঘা অর্থাৎ ধনুকের সমান লন্বা বা ছিলা! প্রস্তুত করিবেক। উহা! নিঃসন্ধি

.+* পুঁটি শাবের অর্থ রেপম।: কেহ. বলেন, ফুলংপৌকার, ওটার, সী 1 কের লেন, সি গাচ্ছের ছাঁলের ন্ুত]। টগর জীদি রাত ক্প্র. জ্ঞাথু টৌন।

ধনুর্বেদ ) ৪8৭

অর্থাৎ উহাতে যোড় %কিবে না। শুদ্ধ অর্থাৎ বর্তিত, মাঁজ্জিত নিঃসন্ষিত হুইযে। তিনটা তত্ত একত্রে বর্তিত করিয়৷ ( তেতার করিয়! ) সক্ষ মোটা না হয়, অথচ মস্থণ কনিষ্ঠানুলিসন্মিত স্থল হয়, এটরূপ গুণ বা ছিল! প্রস্তুত করিবেক। এই ছিলা যুদ্ধকালে সর্কপ্রকার ক্রিয়া সহ্য করিতে সমর্থ।

অন্বপ্রকার অভাবে প্টহুত্রস্ত হারিণো নাযুরিষ্যতে। গুণার্থমপিব! গ্রাহা! স্নায়বো মহিষে[গবাম্‌ তত্কালহতগো * * * চর্ম! ছাঁগলেন বা। নিলোমতন্তনত্রেণ কুর্ধ্যাঘা গুণমুত্তম্‌ ॥%, পট্টস্ত্রের অভাবে পশুর স্নাঘু চর্মের দ্বারাও উত্তম গুণ প্রস্তত হইতে পারে। গুণের নিমিত্ত হরিণের লবায়ু, মহিষের স্নায়ু বুষের স্নাষু গ্রাহথ। সদ্যোহত গাভির ছাগের চর্ম লোমশ্ন্ত করিয়া তাহার সুত্র বা তন্ত (ভাইত) প্রস্তত করণ পূর্ব্বক তদ্বারা উল্লিখিত প্রকারের গুণ প্রস্তুত করিবেক। এই ন্নায়ব চারশ গুণ অতি উৎ্কুষ্ট।

প্রকারাস্তর | “পক্কবংশত্বচঃ কার্যোগ্ুণস্তথা বরোদৃঢ়ঃ। পউস্থত্রেণ সননন্ধঃ সর্বকর্সহোযুধি ॥% (বৃ, শা। পাঁকা বাশের দ্বক্‌ ( চাচাড়ী) লইয়া তন্দ্রা উল্লিখিত প্রণালীর গুণ প্রস্তুত করাও যায়। পরস্ত তাহার সর্ব্বাঙ্গ পট্ট হত্রের দ্বার! সন্নদ্ধ করিতে হয়। এই বাশের ছালের ছিলা অভি দৃঢ় সর্বপ্রকার আকর্ষণ বিকর্ষণাদি ক্রিয়া সহ করিতে লর্থ, সুত্তরাং উতকষ্ট। প্রকারাস্তর | “প্রাপ্ত ভাঙপদে মাসে ত্বগর্কান্ত প্রশস্থাতে | তন্তাত্তবগুণং ফাধ্যঃ পহিত্রঃ স্থাবযোদৃড়ঃ বৃড়ার্কসুত্রততৃলাং ইস্তাঘষ্টাদশঃ স্বতাঃ। তদুভং ব্রিগুণং কাধ্যং প্রমাণোহ্য়ং গুণংস্থতঃ 1 এরং মুরর্ব্চতজাতোগুণঃ স্তাদ্‌গণবদ্গূঢঃ 1৮” (দশা

ভনিহস্র্রন্ত

ভাদ্র মাদে আকন্দ বৃক্ষের স্বক'সুপক হয় সেই লষয়ে ভাঁহার ছাল লইয়! ভিবাধা হইতে শুষ্ষ শুজ সকল বাহির কল্ধিবে। সেই সুত্রের হারা পূর্বেক্ত নিয়মে গুণ ঘা ছিল প্রস্তত করিবে ইহাও স্থায়ী দৃড়। মূর্ববা অর্থাৎ হুচমুখ নামক ' ক্ষুপের পত্রে যে শ্ত্র পাওয়া যায়, তথ্বারাঁও উক্তরূপ গু৭ প্রস্তত কৃরা যায়। ইহার নাম জ্যা। ইহাও মন্দ নহে।

শর বিখি।

ধনুক, ধনুকের জ্যা বা ছিলার বিধান বলা হইল। এক্ষণে শরবিধান শ্রধণ কর “অতংপরং প্রবক্ষামি শরাণাং লক্ষণং শুভম্‌। সলঞ্চ নাতি সুক্ষঞ্চ পককং কুভূমিজম্‌ হীনগ্রস্থিং স্ুপকঞ্চ পাওরং সময়াহৃতম্‌। হীনগ্রন্থি বিদীর্ণ বর্জয়েতীদৃশং শরম্‌ (বু, শা। অন্ভঃপর ভীরনিম্্াণের শর অর্থাৎ ব্বনামপ্রসিদ্ধ তৃণ বিশেষের উত্তম লক্ষণ সকল ঘলিতেছি। অধিক স্থুল না হয়, অধিক সুক্ষ বা সরু না হয়, অপৰ না৷ হয়, ন্ুপন্ধ হয়, অথচ কুৎসিত মৃত্তিকায় উৎপন্ন না হয়, গ্রন্থি না থাকে, পাকিয়। পাওর বর্ণ হয়, এরূপ শর, ( ইহা! খড়ী কাটার স্তায় এক প্রকার বৃহৎ তৃপ ) উপযুক্ত সময়ে আহরণ করিবে। (যে সময়ে উহা স্থুপক হয় বর্ষা না থাকে, সেই সময়েই শর উত্তোলনের সময়। ) হীন-গ্রন্থি ফাটা এরূপ শর আহরণ- করিবে না। “কঠিনং বর্তলং কাণ্ড: গৃহীয়াৎ হুপ্রদে শজম্‌ ।৮ কঠিন বর্থ,ল অর্থাৎ সুগোল, এবং উত্তম স্থানে উৎপন্ন ( জলব্হুল, তৃণবহল ছায়াবহুল প্রদেশে যে শর জন্মে--তাঁহ! এত দৃঢ় হয় না এবং কীটাকুলিত হয়। বৌদ্রবনুল অল্পবালুক উর্করক্ষেত্জে যে শর জন্মে--তাহাই সর্ধাদনুন্দর হয়। ) ; এইরূপ কাণ্ড অর্থাৎ শর, তীর নির্মীগার্থ গ্রহণ করিবেক। *ঘ্বৌ হস্ত মুষ্টিনা হীনো দৈর্ধে স্ৌল্যে কনিটিকা 1 বিধেয়। শরমাণেষু খান্তেঘাকর্ষয়েততঃ ॥” (বশা। উদ্নিখিত প্রকারের উত্তম শর 'াহয়প করিয়া, হাত কিন্বা এক-ম্ নন

ধন্থবের্ধদ | . ৪০৯.

হা খা স্ুলভায় কনিষ্ঠাঙ্ুলি পরিমাণ এপ শর গ্রহণ করিবেক। বদি কোথাও বক্রতা থাকে, তবে তন্নাশার্থ যন্ত্রে আকর্ষণ করিবেক। অর্থাৎ শরগুলি ২হাতের অধিক লম্বা, কনিষ্ঠাঙ্ুলি অপেক্ষা মোটা হইবে না, এবং সরল অর্থাৎ ঠিক সোজ| হওয়া! আবশ্যক | ছুই হাতের অধিক লম্বা না হইবার ক!রণ এই ষে, মুষ্টিবদ্ধ বামহস্ত প্রসারিত করিলে মুষ্টির অগ্রভাগ হইতে দক্ষিণ কর্ণের মূলদেশ পধ্যস্তের পরিমাণ বা মাঁপ ছুই হস্তের অধিক নহে, বরং কিঞ্চিৎ অল্প সুতরাং মুষ্টিহীন হাঁত বাণ ধ্নুকে সংযোজিত করিলেই আকর্ণ আকর্ষণ সহজে সম্পাদিত হয়। অপ্রিক লম্বা হইলে আকর্ষণের দোষ জন্মে এবং তন্নিবন্ধন তাহার গতিভঙ্গ- তাও জন্মে। অপিচ, বাঁণ ছাড়িয়া দিলে বাষু তাহার গতির বক্রতা জন্মাইতে ন! পাঁরে, এজছ্ তাহার মূলে পাখীর পালক সংযুক্ত করিয়! দিতে হয়। তাহার নিয়ম প্রণালী এইবূপ।

*"কাঁকহংসশশাদীনা মৎন্তাদিক্রৌঞ্চকেকিনাম্‌।

গৃধানাং কুররাণাঞ্চ পক্ষা এতে সুশোভনাঃ

একৈকস্ত শরস্তৈব চতুঃপক্ষানি যোজয়েৎ।

ষড়ঙ্ুলি প্রমাণেন পক্ষচ্ছেদঞ্চ কারয়েৎ

দশীস্ুলিমিতিং পক্ষং শাঙ্গ চাপস্ত মার্গনে প্র যোজা! দৃঢ়াশ্চতুঃসংস্থ( সন্রদ্ধাঃ সাযুততস্তভিঃ বৃ, শা। পক্ষযোজন। ব্যতীত বাঁণের ঠিক সরল গতি হয় না। পক্ষ সংযোগ করায় বাতাঁস কাটিয়া যায়, সুতরাং বাঁণও ঠিক সোজা যাঁয়, কোঁনে। দিক্‌ বাকিয়া যায় না। শর যদি বাঁকিয়া না যায়, ঠিক সোজা! যায়, তাহা হইলে ঠিক লক্ষ্যে গিয়! পড়িতে পারে, নচেৎ লক্ষ্যচ্যুত হইয়া! যায়। এই সুক্্ বিজ্ঞান্টা নিতাস্ত সহজ-বোধ্য নহে। ফল, বাণের সরল গতির নিমিত্ত যে তদগ্রে বা তন্সংলে পক্ষ যোজনা করিতে হয়, তৎসন্বদ্ধে এইরূপ বিধি নির্দিষ্ট আছে। কাক, হংদ, শশ. মাচ্রাঁঙ্গা, বক, মধুর, গৃপ্র কুরর”-_-এই সকল পক্ষীর পক্ষই উত্তম। প্রত্যেক শরে ৪টী করিয়া পালক সেমাস্তর করিয়া) সংযোজিত করিবে। পালকগুলি ঠিক্‌ অঙ্গুল প্রমাণে লইবে। যে সকল বাণ শার্গ ধনুকের নিশ্সিত্ত প্রস্তুত করিবে, কেবল সেই সকল বাণে ১৭ অঙ্কুল পরিমাণ পক্ষ যোজন! করা আবস্তক। বৈণব ধনুর নিমিত্ত অঙ্গুল প্রমাণ এবং শাঙ্গ ধনুর নিমিত্ত ১* অঙ্তুল প্রমাণ গৃগ্রাদি পক্ষীর পক্ষ লইয়া (ঠিক সমান আকার ওজনে) তাহার ৪টী

ভারত-রহ্ট |

কবিরা পক্ষ ( সমাস্তরাল নিয়মে ) প্রত্যেক শরে স্বাধু তন্তর দ্বারা দৃঢ় আন্ছ করিবেক ধনু নির্মাণ শর কল্পনার কথা বল! হইল। ইহার শেষ ভাগে বলা হইয়াছে

ধে, বাঁণের নিমিত্ত স্ুপক্ক শর আহরণ করা কর্তব্য। মুষ্টি নুন ছুই হস্ত পরিমাণ লন্ব কনিষ্ঠাঙ্গুলি তুল্য স্থল পর্ব বা গাঁইট গুলি সন্ত থাকা আবশ্তক। পাক্ষি- পক্ষ সংযোজিত তাদৃশ শরের অগ্রভাগে ফল! পরাইতে হয়। নচেৎ তাহা যুদ্ধো- পযোগী হয় না। যে শরের অগ্রভাগ স্কুল অর্থাৎ আগার দিকটা! মোটা-_-ধনুর্বিৎ প্ডিতের! তাদুশ শরকে “স্ত্রী” জাতীয় বলিয়া বর্ণনা করেন। আর পুঙ্খদেশ যদি স্থল হয়--তবে তাদৃশ শর “পুরুষ” জাতি বলিয়া উক্ত হয় এবং যাহার অগ্র পম্গাৎ সকল ভাগই সমান-_তাঁহ! “নপুংস্ক” জাঁতি বলিয়া গণ্য নারীজাতীয় শর অধিকতর দূরগামী হয়। পুরুষ জাতীয় শর দূর বস্ত ভেদের যোগ্য এবং নপুংসক জাতীয় শর লক্ষ্য সাধনার্থ প্রযেজ্য। এই সকল বিধান কেবল বৃদ্ধ শাঙ্গ ধর গ্রন্থে ৃষ্ট হয়। যথ!-_

“শ্রাংশ্চ ত্রিবিধা জেয়া স্ত্রীপুমাংশ্চ নপুংসকাঁঃ |

অগ্রে স্থূল! ভবেন্নারী পশ্চাৎ স্থুলো৷ ভবেৎ পুমান্‌

সমং নপুংমকং জ্ঞেয়ং তল্লক্ষ্যার্থং নিষোজয়েৎ।

দূরপাতং যুবত্যাঞ্চ পুরুষো ভেদয়েদদঢুম্‌ ॥৮

ইহার বঙ্গানুবাদ উপরে প্রদত্ত হইয়াছে, দেখুন ল-কল্পনা

পূর্বোক্ত প্রকারের স্ুলক্ষণ সম্পন্ন শরের অগ্রভাগে যে ফল পরাইতে হয়-- তাহার বিধান এইরূপ 2--

“ফলস্ত শুদ্ধলৌহস্ত সুধারং তীক্ষমক্ষতম্। যোজয়েৎ বজ্বলেপেন শরে পক্ষাগুমানতঃ 1” (বৃ, শা।

*অসি” নামক প্রবন্ধে নানাবিধ লৌহের বর্ণন করিব। শুদ্ধ। ব্জ কান্ত শ্রর্ৃতি নাম তব্তাবতে্ লক্ষণ বা পরীক্ষ! গ্রকারও বর্ন করিব। সেই সকল লৌহের মধ্যে শুদ্ধ এবং বজ এই ছুই প্রকার লৌহ অস্ত্র নির্শ(ণের উপযুক্ত এজন্য শুদ্ধ লৌহের দারা বিবিধাকার ফলা? প্রস্তত করিবেক। সে সকল ফলা সুধার, 'ীক্ষ, অক্ষত হওয়া আবশ্াক। ফলা প্রস্তত হইলে ভদগাত্রে ণ্বজলেপ”

ধনুর্বেদ | ৫৯ প্রধান কর! উচিত। ফলাগুলি পক্ষ প্রমাণের অনুরূপ প্রমাণ বিশিষ্ট করিতে হয়। পশ্চাৎ তাহ! প্রোক্তলক্ষণাক্রান্ত শরে সংযোজিত .করিতে হয়। শরের ফল! নানা প্রকাঁর। ভিন্ন ভিন্ন আকারের ফলের ভিন্ন ভিন্ন নাম প্রয়োজন আছে। যথা

“আরামুখং ক্ষুরপ্রঞ্* গোপুচ্ছং চাদ্ধিচন্ত্রকম্‌। কুচীমুখঞ্চ ভল্লঞ্চ বৎসদস্তং দ্বিভল্লকম্‌ কর্ণিকং কাকতুগঞ্চ তথান্তান্তান্তনেকশঃ | ফলানি দেশ দেশেবু ভবস্তি বহুরূপতঃ |, আরামুখ, স্ফুর প্র, গেপুচ্ছ, অর্ধ চন্দ্র, স্চীমুখ, ভল্ল, বৎসদস্ত, দ্বিভল্ল, কর্ণিক কাকতুণ্ড ইত্যাদি অনেক আকারের এবং ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন আকারের ফলা প্রস্তত হয়। *

প্রয়োজন।

ফলের আকার গত বৈলক্ষণ্যের বিশেষ প্রয়োজন আছে নিশ্রয়োজনে বা সুদৃশ্ততার জন্ত আকারের - ভিন্নত৷ সাধিত হয় না। যে যে আকারের বাণ দ্বারা যেষে কাধ্য সাধিত হয়, তাহার ২1৪টি নিদর্শন দেখান যাঁইতেছে। “«“আরামুখেন কবচং অদ্ধচন্দ্রেন মন্তকম্‌। আরামুখেন বৈ চর্ম ক্ষুরপ্রেণ কান্দু'কম্‌ ভল্লেন হৃদয়ং বেধ্য দ্বিভল্লেন গুণঃ শরা লৌহঞ্চ কাকতুণ্ডেন বেধ্যং ত্রাঙ্থুলসম্মিতম্‌ অন্যৎ গোৌঁপুচ্ছকৈ জেয়ং .১. ,.. .১, মুখে লৌহকণ্ঠেন বিধ্যমন্থুলসন্মিতম্‌ ১, €বৃঃ শা। আরামুখ নামক শরের দ্বারা কবচ অর্থাৎ বর্ম বা সাজোয়া ভেদ করা যাঁয়। অর্ধচন্র বাণের দ্বারা প্রতিযোদ্ধার মস্তক ছেধন সাধিত হয়। আরামুখ অথবা সুচীমুখ বাঁণের দ্বারা চ্্দ বা ঢাঁল বিদ্ধ কর! যায়। কান্মুক অর্থাৎ ধনুক ছেদন করিবার জন্য ক্ষুরপ্র নামক বাণ প্রস্তত করিতে হয়। হৃদয় বিদ্ধ করিবার জন্ত তল্প অস্তই প্রযোজা। ধন্থকের গুণ আগম্যমান শর কাটিবার জন্য দ্বিতল নামক

* আয়া-_চর্ঘ ভোক শুষ্মাগ্র শলাকার যস্্। “টেকে” ইতি ভাধা।

ভারগ্ত-রহ্ন্য |

বাণই উত্তম। কাকতুগ্ডাকার ফলার দ্বারা তিন অঙ্গুল পরিমিত লৌহ বিদ্ধ কর। যায়। গোপুচ্ছাকার শরের দ্বারা অগণ্য অনেক কাধ্য সাধিত হয় এবং লৌহকণ্টকমুখ শরের দ্বারা অঙ্গুলত্রয় পরিমিত ছিদ্র উৎপাদন করা যায়।

ফলপাঁয়ন অর্থাৎ ফলায় পাঁন দিবার বিধি

ছেদ ভেদাদি বহুবিধ কার্যের উপযুক্ত বহুবিধ আকারের ফলা প্রস্তুত করিয়! তাহাতে অস্ত্রবিদ্ভার মতান্ুসারী পান্‌ দিতে হয়। পানের গুণের অস্ত্রেই ধার উত্তম হয়, আবার পানের দোষেই তাহার ধার মন্দ হয়, ইহা বোধ হয় সকলেই জ্ঞাত আছেন। পরস্ত কিরূপ পান দ্বিলে অক্সের ধাঁর ভাল হয়, দৃঢ়ভেদী হয়, তাহা হয়তে৷ এক্ষণকাঁর শস্ত্রকারগণের অবিদ্িত আছে। ফল, অবিদিত থাকা উচিত নহে। যাহাই হউক, বৃদ্ধ শাঙ্গধধর প্রোক্ত পায়ন বিধিটী বঙ্গভাষায় আনীত কর! উচিত বোঁধ হইতেছে তরবারি অন্ঠান্ত অস্ত্রের পায়ন বিধান গুলি আমরা «“অসি” নামক প্রবন্ধে লিখিব, এক্ষণে তীরের ফলার্‌ পাঁয়নবিধিটা এতত্প্রবন্ধে ব্যক্ত করিব। তৎসন্বন্ধে এইরূপ বিধান আছে ;-- “ফুলন্ত পায়নং বক্ষ্যে বনৌষধিবিলেপনৈঃ। যেন দুর্ভেগ্ভবন্দীণি ভেদয়েৎ তরুপর্ণবৃ (বৃ, শা। উৎকৃষ্ট ওষধি ( উদ্টিজ্জ) লিপ্ত করিয়া যে ফলপাঁয়ন বিধান আছে,-যষে বিধানে পান দিলে ছূর্ভেদ্য লৌহবন্মরকেও বুক্ষপত্রের স্তায় ভেদ কর! যাঁয়,__-সেই বিধানটাই বলিতেছি। “পিগ্ললী, সৈদ্ধবং কুষ্ঠং গোমুত্রেণ তু পেষয়েৎ। অতিশীতমনাবিদ্ধং পীতং নষ্টং তথৌষধম্‌ আনেন লেপস্নেচ্ইন্ত্র লিপ্তং চাঞগ্লো প্রতাপর়েৎ। ততো! নির্বাপিতং তৈলে লৌহং তত্র বিশিধ্যতে পঞ্চভিল বণৈঃ পিষ্টং সধুসিক্তঃ সদর্যপৈঃ। এভিঃ প্রলেপয়েচ্ছন্ত্ লিপ্তং চা্মৌ প্রতাঁপয়েত শিখিগ্রোবানুবর্ণাভং তপ্তপোতং তখৌষধম্‌ ততস্ত বিমলং তোয়ং প্াঁয়য়েচ্ছস্্রমুত্তমম্‌ ॥৮ _ পিপুল, সৈন্ধব লবগ, কুড় (বণিক দ্রব্য), এই তিন-দ্রর্য গোমুত্রের সহিত

ধনুরবেদ পিষ্ট করিবে। এরূপ পিষ্ট করিবে যে ওঁধধগুলির অবয়ব যেন নষ্ট ভইয়া যাঁয়। তাদৃক্‌ পিষ্ট হইলে শীত গুণবিশিষ্ট, অনাবিদ্ধ পীতবর্ণ হইবে। অনন্তর তাহার দ্বারা শরের ফলা কি অন্য কোন শস্ত্র প্রলিপ্ত করিবে। অনন্তর তাহা অগ্রিতে প্রতপ্ত করিবে অর্থাৎ উত্তমরূপে দগ্ধ করিবে। পশ্চাৎ অগ্রিকুণ্ড হইতে উঠাইয় শস্তের দৃষ্ত অগ্নি যখন নির্ব্বাপিত হইবে, অথচ উত্তাপ সম্পূর্ণ থাকিবে, তখন তাহ! তৈলে নিক্ষিপ্ত করিবে। এইরূপ প্রক্রিয়।র দ্বারা শস্ত্রের লৌহে স্বাভাবিক শক্তি অপেক্ষ। বিশেষ শক্তি উৎপন্ন হইবে।

দ্বিতীয় প্রকার

পঞ্চ লবণ, * সর্ষপ মধু এই সকল দ্রন্য উত্তমরূপ পিষ্ট করিয়া শস্্রকার

তাহাতে প্রলেপ দিবেন, পরে সেই প্রলিপ্ত শস্্রকে অগ্নি দগ্ধ করিবেন। যখন তাহাতে ময়ূর পুচ্ছের রঙ, দেখা যাইবে, তখন জানিবেন যে, শক্স মেই এঁষধ পাঁন করিয়াছে ইহার পরেই তাহাকে নির্মল জল পান করাইবেন অর্থাৎ শ্বচ্ছসলিলে নিক্ষিপ্ত করিবেন। এতছিন্ন বৃহৎ্সংহিতা নামক গ্রন্থে আরও কএক প্রকার শস্তর- পাঁয়নের বিধান আছে তাহাঁও এস্থলে সন্নিবিষ্ট কর' গেল।

“বড়বো ট্টকরেণুছুপ্ধপানং

যদি পানেন সমীহতেহ্থসিদ্ধিম্‌।

ঝষপিতৃমুগাশ্চ বস্তহ্গ্ধৈঃ

করিহস্তছিদয়ে সতাল গর্ভৈঃ

আর্কং পয়ে! হুড়, বিষাঁণমসীনমেতং

পারাবতাখু শকৃতা যুতং প্রলেপঃ।

শস্তুন্ত তৈলমথিতন্ত ততোহস্ত পানং

পশ্চাচ্ছিতন্ত :ন শিলাস্ু ভবেছিযাতঃ

ক্ষারে কবল্যা ;মখিতেন খুক্তে

দিনোধিতে পাঁয়িতমায়সং যৎ।

%* “সৌবর্চলং সৈদ্ধবঞ্চ খিড়মৌভ্তিদমেব সামুদ্রেন সহৈতানি পঞ্চ গ্যল 'বণানি ॥** ( ধৈদ্যক। স্বৌবর্চল--সচর লবণ। সৈন্ধব--ম্বনাসপ্রসিদ্ধ লবণ উত্ভিদ-_ক্ষারী লবণ অর্থাৎ টি দ্ধ করিয়। যাহ! প্রস্তুত হয় সামুদ্র-্্পামর লবণ

কু, ভারত-রইস্য |

সম্যক শিতং চাশ্বনি নৈতি ভঙ্গং চান্তলৌহেঘপি তশ্ত কৌগ্যম্‌ ॥৮ ব্ড়বা--ঘোটকী। উদ্-উট। করেণুহস্তিনী। এই সকল পশুর ছুগ্ধ পাঁন করাইলে তীরের ফলায় অতি উৎকৃষ্ট ধার হয়। মাছের পিত্ত, মৃগীর ুর্ঘ, কুকুরের ছুগ্ধ ছাগী ছুগ্ধ পান করাইলে হস্তিওও ছেদন করিবার উপযুক্ত ধার হয়। অর্কক্ষার অর্থাৎ আকন্দের আটা, হুড়ু শৃঙ্গের অঙ্গার, পায়রার ইন্দুরের বিষ্ঠা, এই সকল দ্রব্য একত্রিত করিয়া (পেষণ পূর্বক ) তন্বারা অস্ত্রের সর্ববাজ লিপ্ত করিবেক। পশ্চাৎ তাহাতে তৈলসেক পূর্বক দগ্ধ করিবেফ এবং পূর্ববোস্ত বিধানে পান দিবেক। অন্তর তাহাকে শাণিত করিবেক। এইরূপ করিলে সে অস্ত্র প্রস্তরে ভাজিবে না। প্রত্যুত প্রস্তরই তন্দার! বিদীর্ণ হইবেক। লৌহ নির্মিত অস্ত্র কদলী ক্ষারে প্রলিপ্ত করিয়া এক দিন পরে পান দিয়! উত্তম শাণিত করিলে তাহ। কিছুতেই ভাঙ্গিবে না এবং অন্য লৌহেও তাহার ধার ৰা তীক্ষতা নষ্ট হইবে না।

নারাচ নালীক।

শর বিধান বলা হইল। পরস্ত নারাচ নালীক, এই ছুই বাণ উহার অন্তর্গত নহে। সুতরাং এই ছুই বাঁণের কথা স্বতন্ত্র বলা আঁবগ্তক। “সর্বলৌহাস্ত্ যে বাণ! নারাচান্তে প্রকীন্তিতাঃ। পঞ্চভিঃ পৃথুলৈঃ পঙ্ৈঃ যুক্তা$ সিধ্যস্তি কণ্ত চিৎ ॥% (বু শা। ষে সকল বাঁণ সর্বলৌহ অথাৎ যাহার সর্বাঙ্শ লৌহময়, সেই সকল বাণের নাম “নারাচ” | শরের বাণে যেমন ৪টা পক্ষ আবদ্ধ থাকে, এই নাঁরাচ বাপে তেমনি ৫ট! পক্ষ আবদ্ধ থাকিবে পক্ষগুলি শরবাণ অপেক্ষা মোটা বড়। এই নারাচ বাণ সকলে আয়ত্ত করিতে পারে না।

নালীকান্ত্রি।

“লখবো নালিকা বাঁণা নলযস্ত্রেণ নোদিতাঃ |

অত্যুচ্চদূরপাতেষু ছর্গবুদ্ধেযু তে মতাঁঃ ॥”

ধের ৫৫

লঘু নালীক নামক বাণ সকল নলাকার যন্ত্রের ছার! প্রক্ষিপ্ত হয়। এই

নালিক বাণ উচ্চ, দূর, দুর্গে থাকিয়! যুদ্ধ করিবার কালেই প্রশস্ত এই নালিক

যে আধুনিক বন্দুক অস্ত্রের অনুরূপ তাহা! আমর! “আধ্যজাতির যুদ্ধান্ত্র” নামক . প্রবন্ধে সপ্রমাণ করিয়াছি।

বিবিধ ধনুক বিবিধ শরনিন্মীণের পদ্ধতি বর্ণিত হইল, এক্ষণে তছুভয়ের

ব্যবহার প্রণালী বলা আবশ্তক প্রথমতঃ স্থান, পরে মুষ্টি, পশ্চাৎ আকর্ষণের কথ। বলিব।

স্থান

স্থান শবের অর্থ অবস্থান। কখন দীড়াইয়!, কখন বক্র হইয়া, কখন বা নত হইয়া, যুদ্ধ করা আবশ্তক হয়। এজন্য আবশ্তক অনুসারে দাড়াইবার, বসিবার, বক্র হইবারঃও নত হইবার বিশেষ বিশেষ নিয়ম, কৌশল, “কাঁএদ।” আছে। সেই সকল কায়দার নাম *স্থান”। এই স্থান নামক কাএ্দ। গুলি আয়ত্ত অভ্যস্ত করিতে হয়, নচে যুদ্ধ করা যায় না। “কাদায়” না থাকিলেঃ শরীর বিচলিত হইয়া গিয়া; লক্ষ্যভেদ প্রভৃতির ব্যাঘাত জন্মায় শীঘ্রই শ্রাস্ত হইতে হয়। এজন্ ধনুর্যোদ্ধার পক্ষে অগ্রে স্থানগুলি অভ্যাস করা মত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সেই স্থান যুদ্ধ শাঙ্গধরের মতে আট প্রকার যথা-_ আলী, প্রত্যালীঢ়, বিশাখ বা বিশাল, সমপদ বা সমপাঁ, বিষমপা্, দর্র- ক্রম, গরুডক্রম পল্মাসনক্রম ইহার অন্য নাম স্থানক। স্থানকের লক্ষণগুলি যথাক্রমে বর্ণন কর! যাইতেছে। আলীড়--- “অগ্রতো৷ বামপাদঞ্চ দক্ষিণঞ্চানুকুঞ্চিতম্‌। 'আলী়্ত প্রকর্তব্যং হস্তঘয়স্বিস্তরম্‌ ॥৮ বা পা সম্মুখে রাখিয়া দক্ষিণ বা পিছুদিকে কুঞ্চিত করিয়! আলীঢ় নামক স্থানে অবস্থান কর! কর্তব্য পরস্ত তাহা যেন পদঘয় পরিমাণ অপেক্ষা অধিক বিস্তৃত ন! হয়। প্রত্যালীড----- প্রত্যালীচং প্রকর্তব্ং সব্য্ৈবানুকুঞ্চিতম্। দক্ষিণত্ত পুরস্তঘবৎ'দুরপাতে ধরবশিষ্যতে ॥” 'আলীঢ়কে বুতক্রম করিলে তাহ! প্রত্যালীঢ় হইবে এই প্রত্যালীচ়ে করিতে

চি ভারত-রহশ্র

হন্ধকি? না বা পা পিছুদিকে কুঞ্িত দক্ষিণ পা সম্মুখে হস্তদ্বয় পরিমাণ বিস্তারে স্থাপন। এই প্রত্যালীঢ় স্থানটী দূরে শরনিক্ষেপ করিবার বিশেষ উপযোগী বস্ততঃ একভাবে অধিক্ষণ থাঁকিলে শরীর শ্রান্ত হয় বলিয়! ভিন্ন ভিন্ন আকারে স্থিতি করিতে হয়। সেই জন্তই যুদ্ধতত্ববিৎ পণ্ডিতগণ বিবিধ স্থান ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন। যিনি যত অধিক স্থান অভ্যন্ত করেন--তিনি তত অধিক কাল বিনা শান্তিতে যুদ্ধ করিতে পারেন বিশাখ__ পাদৌ সুবিস্তরৌ কাধ্যোৌ সমৌ হস্তপ্রমাণতঃ। বিশীথস্থানকং জ্ঞেয়ং কুটলক্ষ্যস্য বেধনে ॥৮ ছুই প1 সমায়ত হস্তপ্রমাণ অন্তরিত করিয়া ঈাড়াইলে তাহা বিশাখ নামক স্থান বলিয়া! জাঁনিবে। কুট লক্ষ্য বিদ্ধ করিবার সময় এইরূপ স্থানই উৎকষ্ট। সমপদ--- «সম্পদে সমৌ পাঁদৌ নিষ্ষম্পৌ স্ুসংগতৌ চিনির মিল থাকে অথচ না কাপে এইরূপ ভাবে দঈীড়াইলে সমপদ বা অন্গপাদ নামে খ্যাত হয়। বিষমপদ-- “অসমঞ্চ পুরো বামং হস্তমাত্রেণ তং বিছুঃ বামপদ্দ যদি হস্তমাত্র পরিমিত অন্তরে নিশ্চলরূপে বিভ্তস্ত রাখা যায় তাহ! হইলে তাহ! অসম পদ্দ বিষমপদ আখা। প্রাপ্ত হয়। ঘরূক্রম__ “আকুঞ্িতার ছো যত্র জান্ুভ্যাং ধর্ণীং গতৌ। দর্দ,রক্রমমিত্যাছঃ স্থানকং দৃঢ়ভেদনে ॥” যে অবস্থানে ছুই উরু আকুঞ্চিত জান্ুদ্ধ় ভুতলে ন্যস্ত করিতে হয়, ধনুর্বেদবিৎ পণ্তিতগণ তাহাকে দর্দূরিক্রম বলিয়া ব্যাখ্যা করেন। দৃঢ়লক্ষ্য ভেদ কালে এইরূপ অবস্থান বিশেষ উপযোগ প্রাপ্ত হইয়! থাকে গরুড়ক্রম-_ “সব্যং জান্ুগতং ভূমৌ দক্ষিণঞ্চ সুকুঞ্চিতম্‌। অগ্রতে৷ যত্র দাতব্যং তং বিদ্যাৎ গরুড়ক্রমম্‌ ॥% বামজানু ভূপাতিত করিয়া, দক্ষিণজাম্ু কুঞ্চিত করতঃ সম্মুথে রাখিলে, তাহাতে যে অবস্থান নিম্পন্ন হইবে তাহাঁকে গরুড়ক্রম বলিয়া! জানিবে।

ধনুর্বেধে ১৬ পঞ্মাসনক্রম-_ | “পদ্ম(সনং 'প্রসিদ্ধং স্যাৎ উপবিষ্ত যথাক্রমম্‌। ধন্থিনাং তত্ব, বিজ্ঞেয়ং স্থানকং শুভলক্ষণম্‌ ॥”” পদ্মসন কি? তাহা সকল ব্যক্তিই জানেন। ধনুধ [রী যদি সেই স্থুপ্রসিদ্ধ আসনের নিম্নমে উপবিষ্ট হন, তাহা হইলে তাহা পদ্/সন ক্রম বলিয়া জানিবে। আগ্রেয় ধনুর্কেদে এই স্থান সম্বন্ধে অন্য রূপ বিধি দৃষ্ট হয়। এস্থলে সে গুলিও প্রদর্শিত হইল, পাঠকগণ দৃষ্ট করুন| সমপদ্দ-- “্অসুষ্ট গুল্ফপাঞ্/জবঃ শ্রিষ্টাঃ সাঃ সহিতা যদি। ৃষ্টং সমপদং স্থানমেতল্লক্ষণতস্তথা ॥৮ অঙ্গুষ্ঠ, গুল্ফ অর্থাৎ পায়ের গোড়, পাঞ্চি পদ ছি একত্রিত প্রশ্লিষ্ট হয় তবে তাহা “সমপদ” নামক স্থনি। | বৈশাখ * বৃদ্ধান্্ুলিস্থিতৌ পাঁদৌ স্তবজানুবলাবুভে। ত্রিবিতস্ত্ন্তরা স্থানমেতদৈশাথমুচ্যতে ॥৮ জানুছয় স্তব্ধ এবং পাদছয় বৃদ্ধ্ুলির উপর নির্ভর করিয়! তিন বিতস্তি অন্তরে স্থাপন করিয়া বসিলে কি দীড়াইলে তাহাকে বৈশাখ নামক স্থান বল! যাঁয়। মণ্ডল-_ “হংসপও্ত্যাক্কতিসমৌ দৃশ্ঠেতে ঘত্র জাঙ্ুনী চতুবিতস্তিবিচ্ছিননে তদেতন্মগুলং স্থতম্‌ ॥৮ মধ্যে যদি চারি বিতন্তি বিচ্ছেদ থাকে এবং জানুদ্য় যদি হংসশ্রেণীর গ্ঠায় দৃষ্ট হয়, তাহা হইলে, তাৃশ স্থিতিকে মণ্ডল সংজ্ঞায় অভিহিত কর! যাঁয়। আলীঢ়-_ “হুলাকৃতিময়ং যচ্চ স্তবূজানুরুদৃক্ষিণম্‌ বিতক্ত্যঃ পঞ্চ বিস্তারে তদালীঢ়ং প্রকীত্তিতম্‌ ॥% দক্ষিণ জানু উর্‌ স্তব্ধ করণ পুক্ধক লাঙ্গলারুতি রূপে স্থিত হইলে তাহা 'অ।লীঢ় নামে কথিত হয়। প্রত্যালীড়-_ | “এতাদেব বিপধ্স্তং প্রত্যালীচং প্রকীর্তিতম্‌।॥, এই আলীঢ় যদি বিপরীতব্রমে কৃত হয় তবে তাহরি নাম প্রত্যালীঢ় হইয়া! থাকে।

4৮ ভারত-ররহুগ্) “তির্য্যগ্ভুতো ভবেদ্বামোশ্দক্ষিণোহপি ভবেদরুঃ | গুল্‌ফো পাঞ্চিগ্রহৌ চৈব স্থিতৌ পঞ্চাুলাস্তরৌ স্থানং দণ্ডং ভবে্দেতৎ ছাদশান্ুলমামতম্‌ ॥+” বামপদ বক্রীকৃত এবং দক্ষিণ পদ খজু অর্থাৎ সোজা! করিবে গুলফ ঘিয়ও অঙ্গুলি অন্তরে স্থাপিত করিবে এইরূপ করিলে তাহাকে দণ্ড নামক স্থান বলিবে। বিকট-_ “অথবা দক্ষিণং জানু কুজং ভবতি নিশ্চলম্‌ , দণ্ডায়তো ভবেদেষ চরণঃ সহ জাননা এবং বিকটমুদ্িষ্টং দ্বিহস্তাস্তরমায়তম্‌ ॥। দক্ষিণ জানু কুজ (কুঁজে!) নিশ্চল করতঃ বামজান্র বামপদ যষ্টির শ্ায় আয়ত করিবে। এইরূপ করিলে তাহা বিকট নামক স্থান হইবে। সম্পুট-_ “জান্ুনী দ্িগুণে স্তাতা-মুস্তানৌ চরণাবুভৌ অনেন বিধিযোগেন সম্পুটং পত্রিকীর্ভিতম্‌ ॥৮ জাহুদ্য় দ্বিগুণ অর্থাৎ ভুগ্ন করিবে এবং চর্ণদ্বয়ঠউত্তান করিবে। করিলে তাহা সম্পুট নামক স্থান হইবে স্বত্তিক-__ | “কিঞ্চি বিবন্তিতৌ পাঁদৌ। সমদগ্য়তৌ স্থিরে পৃষ্টমেব য্থান্তায়ং যোড়িশাঙুলমায়তম্‌। গ্স্তিকেনাত্র কুব্বীত প্রণামং প্রথমং দ্বিজ ॥+ পদ্রদবয় কিঞিৎ বি্বপ্তিত করিয়া সমান দণ্ডাকারে স্থাপন পূর্বক তাহা নিশ্চল রাখিবে। তাহ! হইলে তাদৃশ স্থিতি শ্বস্তিক বলিয়! গণ্য হুইবে। স্বস্তি- কাখান্থানকে স্থিত হইয় প্রথমতঃ প্রণাম করিতে হয়।* এতত্তিন্ন বৈশম্পায়নীয় ধনুর্কেদে অন্ত পচ প্রকার স্থানকের উল্লেখ আছে যথা--

কস উপ পপ পপ পপ পা সস রাস পি কট

* আগ্নেক ধনুর্যেদের শ্লৌকগুলি উত্তমরপ্প বোধগম্য “করিতে না পারার খখাগ্রত বঙ্গানুখাদ প্রদপ্ত হইল, উত্তমরূপে বুঝাইতে পারিলীম না

খ্হ্র্ব্বেদ। ৫৯ প্রত্যালীডক-মালীঢ়ং তথ! সমপদ্ং স্বৃতম্‌। . বিশাঁলং মণ্ডলং চেতি পঞ্চ ধানুক্ষবৃত্তয়ঃ ॥৮ প্রত্য।লীঢ়, আলীঢ়, সমপদ, বিশাল বা বিশাখ মণ্ডল,-_ এই পাঁচ প্রকার, ধনুর্যোদ্ধার বৃত্তি অর্থাৎ যুদ্ধাবস্থানের নিয়ম বিশেষ পরস্ত উক্ত পাঁচ প্রকার ' স্থানের লক্ষণ গুলি সমস্তই বর্ণিত হইয়াছে

মু্টি।

মুষ্টি শব্দের অর্থ “মূট” অর্থাৎ ধরিবার নিয়ম বা “কাএদা”। ধনুর্যন্ধে যেমন দাড়াইবার কাঞ্চা আছে, তেমনি, ধনুক বাণ ধরিবারও কাঁএদা আছে। তন্মধ্যে গুণে অর্থাৎ ধনুকের ছিলায় বাণ স্থাপন করিয়!, তাহ! যেরূপ কাঁএদায় ধরিতে হইবে, সে সমস্তই ধনুর্বেদে বর্ণিত আছে দক্ষিণ হস্তের অঙ্গুলির দ্বার! ধন্থুকের ছিলা বাণের পুঙ্খ একযোগে ধৃত করিবার নিয়মের নাম *গুণমুদ্রি” এবং বাঁম হস্তে ধন্গুকের মধ্যভাঁগ ধারণ করিবার নাম প্ধনুমুষ্টি”। এই মৃষ্টির লক্ষণ নাম এইরূপঃ-- “পতাঁক। বজ্তমুষ্টিশ্চ সিংহকর্ণস্তঘৈবচ। মতসরী কাকতুণ্ডী যোজনীয়। ষথাক্রমম্‌ ॥, (বৃশা।) গুণ মুষ্টি পাঁচ প্রকার। পতাকা মুষ্টি, বজজ মুষ্টি, সিংহকর্ণ মুষ্টি, মৎসরী মুষ্টি কাকতু্তী মুষ্টি। এই সকল মুষ্টি যথাযোগ্য কার্যে যোজনা! করিবেক।

পতাকা মুষ্টি। “দীর্ঘ তু তর্জনী যত্র আশ্রিতাঙ্ুষ্ঠমূলকম্‌। পতাক। সা বিজয়া নলিকা দূরমোক্ষণে ॥” যে স্থলে তর্জনীকে বৃদ্ধাঙ্থুলির মুল দেশ অবলম্বন পূর্ব্বক দীর্ঘ বা আয়ত রাখিতে হয়, সে স্থলে তাদৃশ মুষ্টির নাম পতাকা” এই পতাকা মুষ্টি নালি- কান্ত প্রয়োগ কালে দূরনিক্ষেপ কালে বিশেষ উপযোগী

বসত মুস্টি।

“তজ্জনী মধ্যম! মধ্যমন্তৃষ্ঠে। ন্বিশতে যদি। বজ্জমুগ্িত্ত সা জেয়া স্কুলনারাচমেক্ষিণে 8:

শু৪ ভুরত-রহস্তয | তর্জনী মধ্যম! এই অঙ্গুলিঘবয়ের অন্তরালে বৃদ্ধাঙ্গলি প্রবিষ্ট করতঃ মুষ্টি

* বন্ধন করিলে তাহ! “বসত মুষ্টি” বলিয়া অভিহিত হইবে। এই মুষ্টি স্থুল বাণ নারাচ বাণ পরিত্যাগ কালে বিধেয়।

সিংহ কর্ণ। “উত্তানানষ্ঠমূলেন সর্বাঙ্থুলাঃ প্রপীড়িতাঃ | কুঞ্চিতাঃ সিংহকর্ণ; স্তাৎ ধন্তুঃ সম্পীড়নে স্থৃতঃ ॥* বৃদ্ানষ্ঠকে সিংহ কর্ণের ন্যায় উত্থাপিত করিয়া তাহার মূলদেশ দ্বার! সমুদয় অঙ্গুলি কুঞ্চিত সম্পীড়িত অর্থাৎ চাপিয়া ধরিবেক। এতাদুশ মৃষ্টির নাম সিংহ কর্ণ এবং ইহা! ধনুক ধারণ কালে প্রশস্ত কেহ কেহ বলেন ইহা গুণাকর্ষণেই প্রযোজ্য |

মৎসরী। “অন্গুষ্ঠনখমূলে তু তর্জন্যাং সুসংস্থিতম্‌। মৎসরী স| বিজ্ঞেয়া চিত্রলক্ষ্যস্ত বেধনে ॥” বৃদ্ধান্থুলির নথের মুলস্থানে তর্জনীর অগ্রভাগ শুদৃঢ়রূপে সংস্থাপন পূর্বক মুষ্টি প্রস্তুত কৰিলে তাহ “মৎসরী” নাম প্রাপ্ত হয়। এই মুষ্টি চিত্র লক্ষ্য বেধ কালে বিধেয়। (চিত্র লক্ষ্য কি? তাহা পশ্চাৎ ব্যক্ত হইবে 1)

কাকতুণ্তী। “অস্তুষ্ঠাগ্রে তু তর্জন্য। মুখমেব নিবেশিতম্‌। কাকতুণ্তী সা জ্রেয়া সুঙ্ষুলক্ষোযু যোজিতা ॥% বৃদ্ধানগুলির অগ্রতাগে তর্জনীর মুখ যদি দৃঢ় সন্গিবিষ্ট হয়, তাহা হইলে তাহা কাকতুণ্তী নামক সুষ্টি হয়। এই মুষ্টি গুণ ধারণ কালে সুক্ষ লক্ষ্য বেধকালে প্রযোজ্য ধনুমুটি গুণ ধারণ মুষ্টির ন্যায় ধনুধরণের মুষ্টির£ুনিয়ম অর্থাৎ বিশেষ *কাএদা? আছে। ধন্ুধধারণের মুষ্টিগুলি বাম হস্তের দ্বারা দ্িধেয় এবং তাহা তিন প্রকার তাহার নামাস্তর ধন্ুমুপ্ট সন্ধান। যথা-_-

ধঙ্ুর্বেরবোদ | ৬১

সন্ধানং ভ্রিবিধং প্রোক্তং অধঃ উর্ধাং সমং সদা

যোগয়েৎ ত্রিপ্রকারং হি কাধ্যেঘপি ষর্াক্রমম্‌

অধশ্চ দুর পাতিত্বে সমং লক্ষ্যে স্ুনিশ্চলে।

দৃঢ়াক্ষোটে প্রকৃবর্বাত উদ্ধং সন্ধানযোগত্ডঃ ॥৮

(বু, শা। যোগ্যতা! অনুসারে মুষ্টি সন্ধান তিন প্রকার অধঃসন্ধান, উর্ধসন্ধান

সমসন্ধান। এই তিন প্রকার সন্ধান যথাযোগা;কারধ্যে যোজনা করিবে দুর- পাতন কালে অধঃসন্ধান নিশ্চললক্ষ্য স্থলে সমসন্ধান এবং দৃঢ়[ক্ফোটকালে উর্ধা- সন্ধান প্রয়োগ ক্ষরা কর্তব্য |

ব্যয় বা শরাকধণপ্রণালী

শরের পুঙ্খ দেশটি ধনুকের ছিলায় বসাইয়! দিয়া তাহার কায়াটী ধনুকের মধ্যগাত্রে ধৃতস্থানের পার্খে শায়িত রাখিয়া আকর্ষণ করিবেক। যতই আকর্ষণ করিবে, ধনুক ততই নম্র হইয়! আসিবে। প্রসারিত ধাম হন্ডের মুষ্টি স্থির বা অবিচলিত অর্থাৎ যেমন তেমনই থাকিবে পরন্ত দক্ষিণ হস্তের দ্বার! ধুত শর- পুঙ্খ 'ও জ্যা ক্রমে আকর্ধিত:হইয়! কর্ণ পর্য্যন্ত আসিবে। আকুষ্ট গুণ কর্ণ পথ্যস্ত আসিলেই শরের দীর্ঘতার শেষ হয় এবং ধনুকেরও বক্রুতা পূর্ণ হইয়া অর্ধ চন্্রাকার ধারণ করে। এতন্রপ ধনুরাকর্ষণের নাম “ব্যয়” এই বায় নামক আকর্ষণ ক্রিয়াটি সমধিক বলসাধ্য ধনুধ্ধরী বীর এই ক্রিয়ায় দক্ষ হইলেই বাণ যুদ্ধে পারগতা লাভ করিতে পারেন। পরস্ত এই ব্যয় অথব। আকর্ষণ ক্রিয়ার বিশেষ বিশেষ নিয়ম বা কাঞাা আছে। সেই সকল বিশেষ বিশেষ নিয়মের ব1| কাদার নাম “কৈশিক” “পান্বিক” “বৎসকর্ণ” “ভরত” “স্কম্ধণ। এই পঞ্চবিধ ব্যয় বা ধনুরাকর্ষণ পঞ্চবিধ বুদ্ধেরঃউপযোগী। যথা-_ কৈশিকঃ কেশমূলে বৈ শরঃ শৃঙ্গে সাত্বিকঃ1+ শববণে বৎসকর্ণশ্চ গ্রীবায়াং ভরতো ভবেৎ ₹শকে স্বন্ধনীমা ব্যয়ঃ পঞ্চ প্রকীত্তিতাঁঃ। কৈশিকশ্চিত্রযুদ্ধেু অধোলক্ষ্যেযু সাত্বিকঃ তির্ধাক্লক্ষ্যে বৎসকর্ণো ভরতো:দৃঢ়ভেদনে দৃঢ়ভেদে দুরে স্বদ্ধনামানমিষ্যতে ॥+ (বুশাি

৬২ ভারত-্রহ্স্থা

অর্থাৎ কেশমূল পর্যাস্ত শরাকর্ষণ করিলে তাহার নাম 'কৈশিক*। শৃঙ্গ পর্য্ত্ত শরাকর্ষণ “দাত্বিক”। শ্রবণে অর্থাৎ কর্ণস্থান পধ্যস্ত আকর্ষণ করিলে, তাহ! “বৎসকর্ণ। শ্রীবার দিকে আকর্ষণ করিলে তাহা “ভরত” অংশ অর্থাৎ সন্ধসংলগ্ন আকর্ষণের নাম "স্কন্ধ” | ধন্ধর্ষিদ্গণ এই পাঁচ প্রকার ব্যয় অর্থাৎ আকর্ষণ প্রণালী বলিয়া গিয়াছেন। আরও বলিয়াছেন, যে চিত্রযুদ্ধকালে কৈশিক ব্যয় আবশ্তক। লক্ষ্য যদি অধ:ম্থ হয়, তবে সাত্বিক ব্যয় গ্রাস্থ। তির্য্যক্‌ লক্ষ্যস্থলে বৎসকর্ণ এবং দৃঢ়-বেধন-কালে “ভরত” দুঢ় ভেদন দূর পাঁতন স্থলে পস্দ্ধ” নামক ব্যয় অবলম্বন করিবে উল্লিখিত প্রকারে আকর্ষণ পূর্বক তাহ! লক্ষ্যের উপর পরিত্যাগ করিতে হইবেক সুতরাং বাণ পরিত্যাগ সম্বদ্ধেও কএক প্রকার বিধান লিখিত হই- য়াছে। বামহন্তে যে ধক ধরিতে হইবে এবং দক্ষিণ হস্তের দ্বারা যে বাণের পুঙ্খ অর্থাৎ গৌড়াটা ধরিতে হইবে, সে সন্বন্ধেও কএক প্রকার উপদেশ আছে। বথা-- “ধনুর্বেদবিধানেন নাম্য বামকরেণ তৎ। দক্ষিণেন জ্যয়। যোজ্য পৃষ্ঠে মধ্যচ গৃহৃতৎ বামানুষ্ঠং তছ্দরে পৃষ্টে তু চতুরম্বলীঃ। পুঙ্ঘমধ্যে জয়া যোজ্যং স্বাঙ্ুলোবিবরেণ তু আকর্ণন্ত সমাকুষ্য দৃষ্টিং লক্ষ্যে নিবেশ্ত চ। লক্ষ্যাদন্তান্ঠিংস্ত কতপুঙ্খঃ প্রয়োগবিৎ যা মুঞ্চেৎ শরং বিধ্যেৎ কৃতহস্ত মুদৌচ্যতে এবং বাণাঃ প্রয়োকজ্জব্য। স্যাত্ম। রক্ষ্য প্রযত্ততঃ ॥৮ | : ( বৈ, ধনু। ধনুর্ধেদেক্ত বিধি অনুসারে, বাম হস্তের দ্বারা ধন্থুক নত করিয়া! অর্থাৎ চাপিয়৷ ধরিয়া, দক্ষিণ হস্তের দ্বারা তাহাতে জ্যা অর্থাৎ গুণ যোজন! করিবেক অনস্তর ধনুকের পৃষ্ঠদিক অবলম্বন করি! মধ্যস্থলটী ধারণ করিবেক | ধনুকের পৃষ্ঠদেশে ৪টা অঙ্গুল তাহার উদরে অর্থাৎ কোলের দিগে বৃদ্ধা্থুল দৃঢ় বা নিশ্চলরূপে থাকিবেক। বাম হস্তের দ্বারা এতজ্রপ মুষ্টিবন্ধনে ধনুধণারণ পুর্ববক দক্ষিণ হন্ডে শর গ্রহণ করতঃ তাহার পুঙ্খ দেশটা জ্যায় অর্থাৎ ছিলায় বসাইবেক, এবং তাহা এন্সপ ভাবে ধরিবেক যে, যেন* তাহা অন্ধুলির 'অস্তরালে থাকে অর্থাৎ

বাণের পুঙ্খ ওক্টীগুফের ছিলা যেন অঙ্ুলীর মধ্যে থাকিয়া! দৃঢ়নিক্পীড়িত হয়।

ধনুর্যবেদ | ৬৩, পশ্চাৎ তাহ! কর্ণপ্ধ্ন্ত আকর্ষণ করিয়া লক্ষ্যের উপর মন দৃষ্টি রাখিয়া, সেই বাণ প্রয়োগ করিবে এবং যত্ব পূর্বক মাত্মরক্ষা করিবে। যখন দেখিবে যে দৃষ্টি মন লক্ষ্য ভিন্ন অন্য কিছুতে যাঁয় না, তখনই জাঁনিবে, ধন্বা কৃতহস্ত হইয়াছেন

ধনুক, শর, শরের ফলা, জ্যা, মুষ্টি ধনুকের ছিল! বা! বাণ-প্রয়োগ-প্রণলী প্রভৃতি বিবিধ শিক্ষিতব্য বা জ্ঞাতবা বিষয়ের বর্ণনা করা হইয়াছে, এক্ষণে ধরিবাঁর পদ্ধতি, লক্ষ্য শ্রমক্রিপ্সা প্রভৃতি কতিপয় ধাঁনুফবেদ্য বস্তুর বর্ণনা করিব।

লক্ষ্য বা বেধ্য।

শর দ্বার যাহা! নিদ্ধ করিতে হইবে তাহাই লক্ষ্য যাহাকে বিদ্ধ করিবার ইচ্ছ। করিবে তাহাও লক্ষ্য যুদ্ধকালে নান! প্রকার লক্ষ্য বিদ্ধ করিতে হয়। কোন বস্ত চক্রবৎ ঘুরিতেছে ; তাহাকে বিদ্ধ করিতে হইবে। কেহ বাধষুবেগে দৌড়িতেছে-_তাহাকেও বিদ্ধ করিতে হইবে। কোন বস্ত অত্যন্ত কঠিন--তাহারও ভেদসাধন করিতে হইবে কোন পদার্থ অতি বৃহৎ তাহাকেও ছিন্ন ভিন্ন করিতে হইবে। কেহ লুক্কায়িত হইয়া! যুদ্ধ করিতেছে অর্থাৎ বাণ পরিত্যাগ করিতেছে অথচ দেখ! যাইতেছে না-_-এইরূপ ব্যক্তিকেও বিদ্ধ করিতে হইবে সকল ছুঃসাধ্য কার্যে সহজে সিদ্ধ হওয়া যায় না, অনেক ষত্বে অনেক পরিশ্রমে উক্তবিধ কার্যে দক্ষত! লাভ কর! যায়। ভবিব্যৎ যুদ্ধে উত্তবিধ বিবিধ লক্ষ্য সমুদ্রে অবগাহন করিতে হইবে জানিয়! অগ্রে তাদৃশ সমুদ্র হইতে উত্তীর্ণ হইবার জন্য স্তরণ শিক্ষা করা আবশ্তক ধনুর্েদবিৎ পণ্ডিতগণই তাহার উপধুক্ত শিক্ষক তীহাদের নিকট, তাদের কৃত গ্রন্থের নিকট লক্ষ লক্ষ লক্ষ্য-সমুদ্র সম্তরণের প্রণালী শিক্ষা করিবে ধন্ুব্বেদবিৎ ম্মাচার্ধ্যগণের গ্রন্থে দেখা যাঁয় যে, শিক্ষাকালে চারি প্রকার মাত্র লক্ষ্য অবলম্বন করিয়। তাহাদের বেধ শিক্ষা করিতে হয়। সেই লক্ষ্যে নৈপুণ্য লাভ করিলে সমুদধায় লক্ষ্যই আয়ন্ত হইতে পারে। যথা “অবিচাল্যঞ্চ হৃক্ষর্চ সুকুমারমথো গুক। চাডুবিবধ্যঞ্চ লক্ষ্যন্ত ধনুর্বেদবিদে! বিছুঃ ভূভৃত্তেরশ্চবিচাল্যং ুষ্সং গুঞাদিভেদনম্‌। কুকুটাস্তোদকুস্তানাং ভেদনং স্থুকুমারকম্‌। রক্ষোগজাদিদেহানং পাতনঞ গুরুরল্টাতে। এব লক্ষ্যবিবৃতিবিজেয়া নীতিমত্তরৈঃ ॥” (বৈধ

৬৪ ভারত-র্হস্ত |

অবিচালা অর্থাৎ স্থির; যেমন পাষাণ প্রভৃতি ২ন্ুক্স) যেমন গঞ্জ অর্থাৎ কুঁচ সর্ষপ প্রভৃতি সুকুমার অর্থাৎ কোমল ; যেমন ডিন্ব জলপুণ কলস প্রভৃতি গুরু অর্থাৎ বুহৎ$; যেমন রাক্ষপশরীর হস্তিশরীর প্রভৃতি

প্রথমে স্থির স্থুল লক্ষ্য অভ্যাস করিতে হয়। ক্রমে যত অভ্যাস দৃঢ় হইবে, ততই সুঙ্ম কোমপণ লক্ষ্যে যাইয়া! তাহাতে নিপুণ হইবার চেষ্টা করিতে হয়। দূরে একটা ডিম্ব রাখিয়া তাহাকে কন্তিত করা আর? কঠিন কাধ্য। দূরে একটা জলপুর্ণ ঘট রাখিয়া তাহাকে ছিদ্র করা তদপেক্ষাও .দুরূহ জানিবে। আগ্নেয় ধনুর্ববেদেও প্রধান কলে চাবি প্রকার লক্ষ্যের কথ! আছে যথা-_

“লক্ষ্য, যোজয়েত্তত্ত, পত্রিপত্রগতং দৃঢ়ম্‌। ্রান্তং প্রচলিতঞ্ষেব স্থিরং ষচ্চ ভবেদিতি ॥%

ধন্ুবিদ্যখিগণ দূরে চতুরশ্র মণ্ডল করিয়৷ তাহাঁতে পক্ষচিহ্নিত দু, ভ্রান্ত, প্রচলিত স্থির, এরূপ বেধ্য স্থাপন করিবেন। এস্থলে ভ্রান্ত শব্দের অর্থ ঘূর্ণমান, আর প্রচলিত শব্দের অর্থ সরল গতিবিশিষ্ট বুদ্ধ শাঙ্গধর শিবোক্ত ধনূর্ববেদের উল্লেখ করিয়! প্রধানকল্পে চারি প্রকার বেধ্যের বা লক্ষ্যের উল্লেখ করিয়াছেন, পরস্ত প্রোক্ত লক্ষ্য হইতে (বিভিন্নবিধ, যথা

“লক্ষ্যং চতুধিধং ক্তেয়ং স্থিরঞ্চেব চলন্তথ | চলাচলং দ্বয়চলং বেধনীয়ং ক্রমেণ তু ॥'”

[শক্ষ(কালের লক্ষা বা বেধ্য চারি প্রকার জানিবে। স্থির, সচল, চলাচল য়চল। এই চারিপ্রকার লক্ষ্য বথাক্রমে আয়ত্ত করিতে হয়। প্রথমে স্থির লক্ষ্য, স্থির লক্ষ্য আয়ত্ত হইলে পশ্চাঁৎ চল লক্ষ্য, তাহাতে সুপ্রসিদ্ধ হইলে চলাচল লক্ষ্য এবং সর্বশেষে দ্বয়চল লক্ষ্য শিক্ষা করিবে

“আত্মানং সুস্থিরং কৃত্বা লক্ষ্যঞেব স্থিরং বুধঃ | বেধায় ত্রিপ্রকারস্ত স্থিরবেধঃ উচ্যতে ॥”

ঈশ্মুথে কোঁন এক স্থির অর্থাৎ নিশ্চল বন্ধ স্থাপন করিবে, আপনিও স্থির অর্থাৎ নিশ্চল হইয়া ঈীড়াইবে। অনন্তর ক্রমে তাহা তিন প্রকারে বিদ্ধ করিবে। তিন প্রকার কিকি? তাহা পশ্ঠাৎ বলিব। ) যখন সেই অচল তাদৃশ লক্ষ্য অভ্যন্ত হইয়াছে, তখনই জানিবে যে, তুমি স্থিরবেধী হইয়াছ।

“লং যো বে্ধষদ্ধেধ্যং আত্মনা স্থিরসংহিতঃ | চললক্ষ্যস্ত তৎ প্রোক্তং আচার্র্যেণ জুধীমতা ॥৮ স্থিরবেধিতা! সিদ্ধ হইলে পশ্চাৎ্ড অদুরে ক্রমে দূরে কোন এক সচল লক্ষ্য

ধনুর্ব্বেদ, |

( সরলগতি যুক্ত, কিনব! ত্রমিযুক্ত ) স্থাপন করিবে পরস্ত নিজে তাহার সম্মুখে স্থির ভাবে দীড়াইবে। স্থিরভাবে দীড়াইয়া আচার্যের উপদেশক্রমে নেই চল লক্ষ্য বিদ্ধ করিবে। এই চল লক্ষ্য যখন আয়ত্ত হইবে, তখন তুমি চলবেধী বলিয়া গণ্য হইবে। | :

ঘধন্বী তু চলতে ত্র স্থিরলক্ষ্যে সমস্ততঃ |

চলাঁচলং ভবেত্তত্র অপ্রমেযমচিত্তিতম্‌। :

ধনুধ রণ পূর্বক কোন এক স্থির লক্ষ্যের চতুর্দিকে পাঁদচারেই হউক আর

অশ্বারোহণেই হউক ভ্রমণ করিবে। ভ্রমণ করিতে করিতে সেই স্থির লক্ষী বিদ্ধ করিবে এইরূপ লক্ষ্যের নাম “চলাচল” এবং ইহা অচিস্তনীয় ব্যাপার চল লক্ষ্য বেধ উত্তম আয়ত্ত না হইলে এই চল(চল লক্ষ্য আয়ভ করা মাষ না।

“উভাবেব চলো যত্র লক্ষ্যঞ্চাপি ধনুধপ্র | তছিজ্ঞেয়ুং ছ্য়চলং শ্রমেণ বহু সাধ্যন্তে ॥৮

যখন দেখিবে যে, চলাচল লক্ষ্য অভ্যস্ত হইয়াছে; তখন এই ঘ্য়চল লক্ষ্যে শ্রম করিবে। ছয়চল লক্ষ্য কি? তাহা শুন। বেধ্য বস্তটা প্রবল বেগে ঘুরিতেছে, ধন্ীও প্রবল বেগে ঘুরিতেছেন, এমত অবস্থায় ধ্সী সেই চলমান লক্ষ্য বলদ্বারা বিদ্ধ করিবেন। ইহার নাম দ্ধ়চল। এই ঘয়চল লক্ষ্য বহুপরিশ্রমে বহুকাল অভ্যাসের পর আয়ত্ত হয়। শ্রমের বা অভ্যাসের অসাধ্য কিছুই নাই। অভ্যাসযোগে না শৃশ "সত কার্ষ্যই নাই। ধনুর্কেদবিৎ আচার্য শঙ্গ ধর বলিয়াছেন যে,_- *শ্রমেণাম্থলিতং লক্ষ্যং দূরঞ্চ বছভেদনম্‌। শ্রমেণাম্মলিতাকৃষ্টিঃ শীত্রসন্ধানমাগ্দ্যতে শরমেণ চিত্রযোধিত্বং প্রাপাতে শ্রমতো! জয়ঃ। তণ্মাৎ গুরুসমক্ষং হি শ্রমঃ কার্যে বিজানতা৷ ॥” শ্রম বাঁ অভ্যাস করিলেই লক্ষ্য অক্থলিত হয়, দূর লক্ষ্য বিদ্ধ করা যাঁয় এবং বছ লক্ষ্যও যুগপৎ বিদ্ধ করা! ঘায়। অভান্ত হইলেই জ্যা আকর্ষণ স্মলিত হয় না এবং তাহাতে শীঘ্র শীঘ্র বাণ যে(জনা বণ পারত্যগ কর! যায়। শ্রম বা অভ্যাস রাই মনুষ্য চিত্রযে'ধি হয় এবং শ্রমের দ্বারাই মনুষ্য সংগ্রামে জয় লাভ করে। এক্জন্য, সকল বিষয়ই উত্তমরূপ জ্ঞাত হুইর! গুরুর সমক্ষে শ্রম বা শিক্ষিতব্য বিষয়ের অভ্যাঁস করিবে চিত্রধুগ্ধ' কিরূপ তাহ! পশ্চাৎ বলা হইবে। পরস্ত তিন প্রকার লক্ষ্যাত্যাস কি কি ? অগ্রে তাহাই বলা আবগ্তক।

৬৬ ভারত-রহস্ত |

প্রথমতঃ বাম হস্ত রা» পরে দক্ষিণ হস্ত দ্বারা, অনস্তর উভয় হস্তদ্বার বাণ আকর্ষণ, যৌজন পরিত্যাগ করা শিখতে হয়। অথবা প্রথমতঃ দক্ষিণ হস্ত, পশ্চাৎ বাঁমহস্ত, অনস্তর উভয় হস্ত বশীভূত কর! কর্তব্য যাহার বামহস্ত দক্ষিণ হস্তের তুল্যবল তুল্য।ভ্যাসবুক্ত হয়, সে ব্যক্তি “সব্যসাচী” আখ্যা প্রাপ্ত হয়। পরস্তু সব্যসাচী হওয়া সকলের ভাগ্যে ঘটে না ভারতযুদ্ধের সময় একমাত্র অঙ্ছুনই সব্যসাচী ছিলেন, অন্তে নহে সব্যসাচী না হইতে পারিলেও হইবার চেষ্টা কর! আবশ্ঠক। আচার্য শাঙ্গ ধরও এইরূপ বলিয়াছেন যথা

“প্রথমং বামহস্তেন যঃ শ্রমং কুরুতে নরঃ | তশ্ত চাঁপক্রিয়! সিদির্বিবাদেন জায়তে বামহন্তে তু সংসদ্ধে পশ্চাদ্দক্ষিণমারভেৎ। উভাভ্যঞ্চ শ্রমং কুর্য্যাৎ নারাচৈশ্চ শবৈস্তথা ॥” বামেনৈব শ্রমং কুর্ধ্যাৎ সুসিদ্ধে দক্ষিণে করে। বিশেষেণ।সমেনৈব তথা ব্যয়ে কৈশিকে। সব্যনাপি করেণৈব সচিতুৎ ক্ষমতে যতঃ সব্যসাচীতি বিভ্ভেফে! ধনুর্যেদবিশারদৈঃ ॥৮

যে ব্যক্তি প্রথমে বামহস্তে শরনিক্ষেপ করিতে অভ্যাস করে, নীঘ্বই তাহার ধনুযুদ্ধ সিদ্ধ বা আয়ন্ত হয়। বামহপ্ত উত্তমরূপ আয় হইলে পর দক্ষিণ হস্তে শর নিক্ষেপ করা আরন্ধ করিবে। অনন্তর উভয় হস্তের ছারা নার[চ শর নিক্ষেপ বিষয়ে শ্রম করিবে দক্ষিণ হস্ত উত্তমরূপ বশীভূত হইলে, পুনর্বার বামহস্তের দ্বীরা পরিশ্রম করিবে বিশেষতঃ কৈশিক নামক আকর্ষণ ক্রিয়াটী সম বিষম উভয় প্রকাঁরেই অভ্যন্ত করিবে। যিনি বামহস্তকে দক্ষিণহস্তের সমান করিতে পারেন, দক্ষিণহস্তের স্যয় বামহস্তেও নারাচাদি বাণ নিক্ষেপ করিতে পারেন, ধনুর্বিদ্যানিপুণ যোদ্ধুগণ তাহাকে সব্যসাচী বিয়া জানেন।

লক্ষ্যস্থাপন বিধি

শিক্ষাকালে যেরূপ বিধানে লক্ষ্য বা! বেধ্য স্থাপন পূর্ব্বক্ক তাহার বেধশিক্ষা করা উচিত-_তাহাও এন্থলে বক্তব্য। তৎ্সপ্বন্ধে এইরূপ বিধান দৃষ্ট হয়। “উদিত ভাস্করে লক্ষ্যং পশ্চিম্ধয়াং নিবেশয়েৎ। অপরাহ্ণ তু কর্তব্যং লক্ষাং পুর্ববিগাশ্িতম্‌

সদ

ধনুর্ববেদ।

উত্তরেণ সদাক।ধ্/-মবশ্ঠমবরোধকম্‌। সংগ্রামেণ বিনা লক্ষ্যং কাধ্যং দক্ষিণ!মুখম্‌ ॥” (বৃ শা। যে দিন প্রাতঃকালে শরাভ্যাস করিবে--সে দিন পশ্চিম দিকে লক্ষ্য গ্বাপন করিবে এবং ঘে দিন অপরাহ্তে শরাভ্যস করিবে,--সে দিন পূর্ব দিকে লক্ষ্য স্থাপন করিবে, পরন্ত উন্তরদ্বিকটী উভয় সাধারণ; অর্থাৎ কি প্রাতঃকাল কি বিকাল উভয়কালেই উত্তরদিকে লক্ষ্যস্থাপন করা যাঁয়। অপিচ, সংগ্রামকাল ব্যতীত অন্ত সময়ে দক্ষিণ-দিকৃস্থিত লক্ষ্যে শর নিপাতন অবৈধ অ(পনার স্থিতি-স্থান হইতে কতদুরে লক্ষ্য স্থাপন কর! উচিত তাহাঁও বিবেচা | তৎসম্বদ্ধে শ্ঙ্গধির যাহা বশিয়াছেন, তাহা এই-_ “্ষষ্টিধ্ন্তরে লক্ষ্যং জোষ্ঠং লক্ষ্য প্রকীন্তিতম্‌। চত্বারিংশন্মধ্যমঞ্চ বিংশতিশ্চ কনিষ্ঠকম্‌ ॥৮ হত পরিমাণকে ধনু বলে,* সুতরাং ৬০ ধন্ুতে 5৪০ হাত। এই ২৪০ হাত দূরে স্থাপন করিয়া বিদ্ধ করাই শ্রেষ্ঠ ৪০ ধনু অর্থাৎ ১৬* হাত দুরে রাখিয়! বিদ্ধ করা মধ্যম। আর ২০ ধনু অর্থ(ৎ ৮০ হাত দূরে রাখিয়া বিদ্ধ করা অধম। শরবেধ্য লক্ষ্য সম্দ্ধেই এই দৃরত্ব নির্দিষ্ট হইয়াছে কিন্তু নারাচবেধ্য লক্ষ্য সম্বন্ধে কিছু প্রভেদ আছে। যথা “শরাণাং কথিতং হ্বেতৎ নারাচানামথোচ্যতে চত্বারিংশত্তথা ত্রিংশৎ যোঁড়শৈব ভবেভ্ৃতঃ ॥” শর সম্বন্ধে উক্ত দূরত্ব বলা হইল, এক্ষণে নারাচ নব্ব্ধীয় দূরত্বের কথা বল! যাইতেছে যে বাঁণ সর্বলৌহ--তাহ। নারাচ নামে খ্যাত। সেই নারচ সমধিক ভার বলিয়! তাহার শরের ন্যয় দূরগতি হইবার সম্ভাবনা নাই। সুতরাং তাহার গতি-পরিমাণ অনুসারেই তথ্ধেধ্য লক্ষ্যের দুরগত উত্তমাধম মধ্যম ভাব ব্যবস্থিত হয়। নারাচ দ্বারা লক্ষ্য ভেদ শিক্ষা কালে ৪৭ ধন্ধু অর্থাৎ ৯৬০ হাত অন্তরে লক্ষ্য স্থাপন করাই উত্তম, ৩০ ধনু বা ১২০ হাত দুরে স্থাপন করা মধ্যম এবং ১৬ ধন্থু বা ৬৪ হাত দুরে স্থাপন করা অধম। ২৪* হাত দূরে লক্ষ্য রাখিয়! তাহ! বিদ্ধ করিতে শিখিবে এই বিধির দ্বার!

* “চতুর্ধিংশীনুলো হস্ত-স্তচ্চতুঞ্ধং ধনুঃ স্মৃতম্‌)” ইতি জ্যোতিষম্‌।

৬৮ ভারত-রহৃশ্ '

পূর্বকালের প্লোকের শারীর বল তাহাদের বাঁণের বেগ কত অধিক ছিল একথ৷ পাঠক মাত্রেরই ভাবিয়া দেখা উচিত। সেই সকল বীরপুরুষের হস্তনিক্ষিপ্ত তীর ২৪০ হস্ত দুরে গিয়াও সবেগ থাকিত-_-এ বড় সাধারণ কথ! নহে অন্ত এক স্থানে লিখিত আছে “নাল্লমাত্রগতিস্ত সঃ।” তীর ৪০৭ শত হাত পর্য্যস্ত যাঁয়। যে ৪০০ হাত যায়--সে যে ২৪* হতি স্থ(নে অবস্থিত লক্ষ্য বিদ্ধ করিয়া পর প।রে যাইবে - তাহা আর বিচিত্র কি? এক্ষণে সামান্য বন্দুকের গুলি বোধ হয় ৪০০ হাঁত যায় না, কিন্তু তাহাদের বাহুবল প্রেরিত বাণ ৪০৭ হাত যাইত, ইহা মনে করিলেও হ্ৃংকম্প উপস্থিত হয় কতক্ষণ পর্যন্ত লক্ষ্যবেধে পরিশ্রম করিতে হইবে তাহাও বিধিবদ্ধ হইয়াছে যথা-_

'চতুঃশতৈশ্চ ক্ষাস্তানাং যো হি লক্ষ্যং বিসঙ্জয়েৎ।

সুর্য্যেদয়ে চাংশুময়ে জোষ্টো ধন্বিনাং ভবেৎ।

ভ্রিশতৈম ধ্যমে! বাণৈ দ্বিশত।ভ্য।ং কনিষ্ঠকঃ 1,

পুর্ববাহ্কে অপরাহ যে ৪০০ শত বার বিদ্ধ করিয়া লক্ষ্য পরিত্যাগ করে,

অর্থাৎ শ্রমক্রিয়া হইতে বিরত হয়, মে উত্তম ধন্ধ্পরী হয়। ৩০০ বাণ ত্যাগের পর ক্ষান্ত হইলে সে মধ্যম এবং ২০০ বাণ তাগ করিয়। নিবৃত্ত হইলে সে অধম। ফল, “তাবদেব শ্রমঃ কুর্যযাৎ যাবন্নায়সসম্ভবঃ” ততক্ষণ পধ্যস্ত শ্রম করিবে-- যতক্ষণ শরীরে মনে ক্লান্তি না জন্মে

লক্ষ্যের পরিমাণ

শিক্ষ(কালে যে পরিমাণ উদ্চে লক্ষ্য বিস্ত করিতে হইবে--তাহার এবং

তাহার অবান্তর বিধান এইরূপ-_ “লক্ষ্যঞ্চ পুরুষোন্মনং কুত্্য।চচন্তরকসংযুতম্” (বু, শা।

পুরুষ-প্রমাঁণ অর্থাৎ ৩।০ হাত উচ্চ কাষ্ঠ-নির্ষিতি অথবা! লৌহনির্মিত দণ্ডের মন্তকে চন্দ্রক অর্থাৎ চন্দ্রবং গোলাকার কাষ্ঠফলক যোঁজিত করিবে» ত্গ্রে কিংবা তগ্মধ্যে বেধ্য বন্তটা স্থাপন পুর্ব্বক দূর হইতে তাহা বিদ্ধ করিতে শিখিবে। অথব! সেই চন্দ্রকযুক্ত পুরুষোম্মান লক্ষ্যের উদ্ধ নাভ পাদদেশ বিদ্ধ করিতে

থাকিবে | উদ্ধাবেধে। ভবেচ্ছেক্টো নাঁভিবেধো মধামঃ।, ঘঃ পাদবেধো লক্ষস্ত সু কনিষ্ঠঃ-স্থৃতে! বুধৈঃ ॥* (ক শা।

' ধনুর ৬১

তন্মধ্যে উর্ধাবেধী শ্রেষ্ঠ, নাভিবেদী মধ্যম এবং ধিনি লক্ষের পাদবেধী তিনি কনিষ্ঠ ইহ! জানিতে হইবে

চিন্রবেধিতা

যুদ্ধকালে কখন কিরূপ লক্ষ্য বিদ্ধ কর! হইবে তাহ পুর্ধ্বে জানা যায় না। নিমিত্ত শিক্ষা কালে নানা প্রকার চিত্রলক্ষ্য প্রস্তত করিয়া তাহাতে চিত্রবেধিতা শিক্ষা করিতে হয়। পরস্ত চিত্রবেধিতায় সিদ্ধ ওয়]! সমধিক কষ্টসাধ্য নানা- প্রকার উপায়সাধ্য। সেই সকল বহু উপায়ের মধ্যে শাঙ্গ ধরপ্রোক্ত অগ্নি- পুরাঁণধূত কতিপয় উপায়ের উল্লেখ করা হইল | যথ!-_

““ব[ণভঙ্গং কৃতাবর্ভং কষ্টচ্ছেদনমেব চ। বিন্দুকং গোঁলকধুগং যোবেতি যুগী ভবেৎ |"

বাণ ভঙ্গ, কৃতাবর্ত, কষ্টভেদন, বিন্দুক গোলকধুগ,_ইহা! যে জানে সে ধুগী হয়। বাণ ভঙ্গ কি? তাহ! শুনুন

ণ“লক্ষাস্থানে ধূতং কাণ্ড সন্মুখং ছেদয়েত্ততঃ | কিঞ্চিনুষ্টিং বিধায় স্বাং তিষ্যক্‌ দ্বিফলকেষুণা | সম্মুখং বা সমায়াতি তির্য্যক্বাণেন সঞ্চরেৎ। শরুং শরেণ যশ্ছিন্দ্যাৎ বাণছেদেো জায়তে ॥*

ধনুকে যেরূপ ভাবে বাণ যোজিত হয়, সেইরূপ করিয়া পূর্বোক্ত চন্দ্র কযুক্ত লক্ষ্যদণ্ডের মন্তকে বাণ স্থাপন করিবে বাঁণের ফলাটী যেন স্খুখ হইয়া থাকে অনন্তর আপনার মুষ্টি অত্ন্প পার্থ বক্র করিয়৷ দ্বিফলক বাঁণ দ্বারা তাহা ছেদন করিবে ধনুমুষ্টি গুণমুষ্টি যদি ঠিক মোৌজ! থাকে, কিঞ্চিৎ বক্র ন। হয়, তাহা হইলে উল্লিখিত বাণ ছিন্ন হইবে না। হয় মুখোমুখি ঠেকিয়া বাণটা ব্যর্থ হইবে, না হয় ঠেকিবা মাত্র বাকিয়া যাইবে *.

অন্ধ প্রকার

লক্ষ্য দণ্ডের মধ্য হইতে দ্বিতী সস ব্যক্তি বাণ পরিত্যাগ করিলে বাণ যখন সম্মুখে আসিতে থাঁকিবে তখন আপনি তির্ধ্যক্‌ হইয়া আপনার বাণটা তিষ্যক করিয়া তন্বারা তাহ! ছিন্ন কন্ধিবে। ' প্রকারাস্তর।-_-এক ব্যক্তি সম্মুখবত্তী হুইয়! বাঁণ ত্যাগ করিবে--অন্ ব্যক্তি তাহা বাণ দ্বারা কাটিক্না ফেলিবে। ধিনি ক্রমে এই তিন প্রকার ক্রিগনা অভ্যত্ত

দ* ভারত-রহস্। করিতে পাবেন, তিনি বাণচ্ছেদী হন। ক্ৃতাবর্ত নামক চিত্রলক্ষ্য অনেক প্রকার বটে ; কিন্ত তন্মধ্যে বরাটিকাবর্ত নামক প্ররক্রিয়াটীর লক্ষণ বলা যাইতেছে “কাষ্ঠং সকেশং সংযম্য তত্র বন্ধ! বরাটিকাম্‌। হস্তেন ভ্রাম্যমাণাঞ্চ যে! হস্তি ধন্ুদ্ধরঃ ॥৮ এক খণ্ড কাষ্টের অগ্রভাগে কেশবদ্ধন পূর্বক তদগ্রে একটী বরাটী অর্থাৎ একটা কড়ী বাধিয়া তাহাকে ঘৃর্ণিত করিতে থাকিবে যিনি সেই দূর্ণমান কড়িটা বিদ্ধ করিতে পারেন তিনিও উত্তম ধনুরধধর।

অন্যপ্রকার “লক্ষাযস্থানে স্তসেৎ কাষ্ঠং সান্দ্রং গে।পুচ্ছদন্নিভম্‌ ? ষশ্ছিন্দ্যাৎ তৎ ক্ষুরপ্রেণ কাষ্ঠচ্ছেদী জায়তে ॥” লক্ষ্যবিস্থ।স স্থানে এক খণ্ড গোপুচ্ছারূতি আদ্রকাষ্ঠ রাখিবেক। অনস্তর তাহ! দূর হইতে ক্ষুরপ্র নামক বাণের ছর! ছেদন করিতে শিখিবেক। উক্তবিধ কাষ্ঠ ছেদন করিতে করিতে ক্রমে কাষ্ঠচ্ছেদী হওয়া যায়। যুদ্ধকালে রথাদির ধ্বজদগাঁদি চ্ছে্দন কর! আবশ্ঠক হয়ঃ তজ্জন্ত এতদ্রপ অভ্যাস করা শ্রেয়স্কর জানিবে।

অন্যপ্রকার চিত্রবেধিত্ব |

“লক্ষ্যে বিন্দু হ্সেৎ শুত্রং শুভ্রবদ্ধুকপুষ্পবৎ | হস্তি তং বিন্দুকং যস্ত চিত্রবেধী জায়তে ॥” লঙষস্থানে বা লক্ষোর গাত্রে শ্বেত বাধুলী ফুলের ন্যায় একটা শ্বেতব্ণ কা নির্মিত বিন্দু প্রোথিত করিবেক। অনন্তর সেই বিন্দুটী বিদ্ধ করিতে শিখিবেক। থে ব্াক্তি তাদৃশ বিন্দু বেধ করিতে পারে -_সেই ব্যক্তিই চিত্রবেধী হয়। অন্য প্রকার কাষ্ঠগোলধুগং ক্ষি প্রং দুরমূর্ধং পুরঃ স্থিতৈঃ অসম্প্রাপ্তং শর' ম্পুশ্তেৎ তৎ গোপুচ্ছমুখেন হি যো হস্তি শরযুগ্েন শীন্রসন্ধানযোগতঃ। সঃ স্তাৎ ধন্থুভূতাং শ্রেষ্টঃ পুজতঃ সর্ধপাথিবৈঃ॥ দুরে সম্মুখে থাকিয়া! এক জন কাষ্ঠনির্মিত ছুইটা গোলা প্রক্ষিপ্ত করিবেক। ধনুদ্ধর সেই ছুই গোঁল। নিকটে না আঁসিতে আসিতে গোপুচ্ছাক্কতি বাণ দ্বার! ম্পশ

ধনুর্বেদ | ৭১

করিবেন অথব৷ শীঘ্র সন্ধানপূর্ববক পৃথক ছুই বাঁণে পৃথক পৃথক ছুইটী গোলককে বিদ্ধ করিবেন। এতদ্রপ গোঁলকাভ্যাস করিতে পাঁরিলে ধনুদ্ধারীদিগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হওয়! যায়। এই ধন্ুদ্ধর সকল বাজার পুজ্য।

“বুথস্থেন গজস্থেন হয়স্তেন পর্তিন।। ধাবত। বৈ শ্রম: কাধ্যো লক্ষ্যং হস্তং সুনিশ্চিতম্‌ ॥৮

উক্ত প্রকারের শ্রমক্রিয়! অর্থাৎ বাণাভ্যাসাদ্দি কেবল দণ্ডায়মান হইয়া শিখিবে না। কখন রথস্থ হইয়া, কখন গজারে।হী হইয়া, কখন অশ্বারোহী হইয়া, কখন বা পদাতি হইয়া অভ্যাস করিবেন। কখন স্থির বা অচল থাঁকিয়া, কখন ব1 ধাবমান হইয়া, লিখিত প্রকারের বাণাভ্যাস বা শ্রম ক্রিয়া করিবেন। তাহার কারণ এই যে, বুদ্ধকালে সকল প্রকারই আবশ্তক হইতে পারে; সুতরাং সর্ব বিষয়ে নিপুণ হওয়াই ভাল

শব্দবেধিত। |

রাজা দশরথ শব্দভেদী বাঁণের দ্বারা গজভ্রমে অন্ধ মুনির পুত্র সিন্ধু নামক শিশুকে বিনাশ করিয়াছিলেন রাবণপুল্র মেঘনাদ মেঘের অস্তরালে থাকিয়৷ বাণ বর্ষণ আরম্ভ করিলে, লক্ষ্মণ তাহাকে শব্বভেদী বাণের ছ।র! তাড়ন! করিয়াছিলেন রামায়ণ পাঠকালে আমরা যখন এই সকল কথ! পাইতাম, তখন মনে করিতাম যে শবভেদী বাণ ন। জানি কত ছুজ্ঞের় কত আশ্চর্য্য অথবা উহ অমানব কাধ্য ;কিস্ত আজ আমরা ধনুর্বেদ অনুসন্ধননে প্রবৃত্ত হইয়! দেখিলাম, উহ! অমানব কার্য্য নহে উহা কেবল অভ্যাসের প্রভাবেই সম্পাদিত হয়। তবে কিনা ইহা! অনান্য শিক্ষা অপেক্ষা কিছু অধিক কঠিন। বুদ্ধ শাঙ্গধির-কৃত ধনুর্বেদ- গ্রহ মধ্যে ইহার একটা স্থুগম উপদেশ আছে। শব্দভেদী বাণ কোন স্বতন্ত্র পদার্থ নহে সকল বাণই শব্দভেদ্ীী হইতে পারে। শিক্ষার কৌশল অভ্যাসের প্রভাব একত্র হইলেই প্রত্যেক বাণকে শব্দভেদী কর! যাঁয়। শব্দবেধের শিক্ষা কিরূপ? তাহা মনোযোগ পুর্বক শ্রবণ করুন।

“লক্ষ্যস্থানে ম্ভসেৎ কাংসপাত্রং হস্তদ্য়ান্তরে | তাড়য়েচ্ছকরাভিস্তৎ শব্ধঃ সঞ্জায়তে ততঃ যত্রৈবোৎপদ্যতে শবঃ সম্যক তত্র বিচিন্তয়েৎ। কণেন্দিয়মনোষোগাৎ লক্ষ্যং নিশ্চয়তাং নয়েৎ।

দই ভারত-রহস্ত।

পুনঃ শর্করয়া তচ্চ ভাড়য়েচ্ছবহেতবে |

পুননিশ্চয়তা নেয়া শবস্থানাসুসারতঃ ॥”ঃ

“ততঃ কিঞ্চিৎ কৃতং নিত্যং দূরে নিতাং বিধানতঃ

লক্ষ্য, সমভ্যসেৎ ঘাতে শবধবেধনহেতবে ততো বাণেন হন্তাৎ তৎ অবধানেন তীক্ষ্বীঃ |. এতচ্চ হুষ্ষরং কর্্মাভ্যাসাৎ কশ্ত।পি সিধ্যতি ॥» যে স্থানে লক্ষ্য স্থাপিত আছে, তাহার ছুই হাত দূরে একটা কাঁংস্তপাত্র স্থাপন কর। দ্বিতীয় ব্যক্তি তথায় থাকিয়া সেই কা-স্তপাত্রের গাত্রে শক্করা অর্থাৎ কীকরের আঘাত করুক আঘাত করিব! মাত্র শব্ধ উৎপন্ন হইত্বক। যেস্থানে শব উৎপন্ন হইল তুমি কেবল্‌ সেই শবৌৎপত্তির স্থান্টাতে মনোনিবেশ করিবে। অতঃপর তুমি সেই স্থাপিত লক্ষ্যকে না দেখিয়া কেবলমাত্র কর্ণেন্দিয়ের সহিত মনের শ্রক্য বিধান করত লক্ষাকে অর্থাৎ বেধ্য বস্তকে নিশ্চয় করিবে। দ্বিতীয় ব্যক্তি পুনর্ধীর সেই কাংস্ত পাত্রে শর্করাঘাত করুক। পুনর্বার শব্দ হউক তুমিও স্থাপিত লক্ষ্য না দেখিয়া সেই উখিত শবের স্থান অনুসারে লক্ষ্য নিশ্চয় কর। ক্রমে বখন ছুই হাত অন্তরের লক্ষ্য স্থির দৃট়ীভ্যন্ত হইয়া আসিবে, তখন তাহাকে তদপেক্ষ! কিঞিৎ 'অধিক দুরে স্থাপিত কর। ধনুর্বেদ শাস্ত্রের বিধি অনুসারে এইরূপে নিত্য নিতা অভ্যাস কর এবং নিত্য নিতা শব্দকারক কাংস্ত পাত্রকে দূরে দূরে স্থাপিত কর শব্বেধ শিক্ষার নিমিত্ত নিত্য নিত্য উক্ত প্রকারের ঘাত শিক্ষা কর। ক্রমে সেই শব্দানুমেয় লক্ষ্যের প্রতি বাগ প্রয়োগ করিতে থাক তাহ! হুইলে ক্রমেই তোমার শব্ববেধিত। আক্রত্ত হইবে তখন তুমি অদৃষ্ট লক্ষ্যকে অনায়াসে শব্দের দ্বারা অন্থমান করিয়! বিদ্ধ করিতে পারিবে পরস্ত এই কার্য্যটী সহজে আয়ত্ত হইবার নহে। এই ছুঃসাধ্য শিক্ষাটী সকলের ভাগ্যে আত হয় না, কোন কোন ভাগ্যবানের আয়ত্ত হয়। মহাভারতপাঠে জান! যায়, কুরুব(লকেরা মহ।মতি দ্রোণের নিকট অস্ত্র শিক্ষা

করিতেন তাহার শিষ্যবৃন্দের মধ্যে অজ্জুন সমধিক বুদ্ধিশ!লী, কৃতান্ত্র, ক্ষিপ্রকারী পরিশ্রমী ছিলেন। .. তজ্জন্য গুরু তাহার প্রতি অতীব সন্তুষ্ট ছিলেন বটে; কিন্ত অশ্বখামাকে তিনি পুভ্রতাবিধায় অর্জুন অপেক্ষাও ভাল বামিতেন। সেই জন্তই তিনি কখন কখন অশ্বখামাকে গোপনে কৌধলে কোন অস্ত অন্তের অজ্ঞাতে প্রদান করিতেন। “অজ্জুনকে সমধিক প্রতিভাশালী দেখিয়! তাহার মনে মনে শঙ্কা হইত যে, অর্জুন নুচ্যগ্রে আমার গোঁপনশিক্ষা জানিতে

অপি | শ৩ পারিলেই বুঝিয়া লইবে। একদিন তিনি পাচক ব্রাঙ্মণকে আহ্বান করিয়! বলিয়া দিলেন, “দেখ, অজ্জুনকে তুমি কখনও অনালোক স্থানে অন্ন প্রধান করিও না» পাচক আজ্ঞা প্রাপ্ত হইয়া সর্বদ! সাবধানে অন্ন পরিবেশন করে। একদিন অর্জুন আহার করিতেছেন, এমন সময় প্রবল বায়ু উখিত হইয়া, তত্রস্থ দ্বীপ নির্বাপিত করিল। অজ্ঞুন দীপ প্রজ্ালনের অথবা দীপাস্তর আনয়নের প্রতীক্ষা না করিয়াই আহার করিতে লাগিলেন অন্ধকারে আহার করিতেছেন, আর ভাবিতেছেন, একি? আমার হস্ত যে ঠিক মুখেই যাইতেছে? এবং প্রত্যেক ব্ঞ্জন।দি দ্রব্যের দিকেও যাইতেছ ? ইহার কারণ বোধ হয় অভ্যাস। অভ্যাস হইলে, বে।ধ হয় তখন আর দেখিবার আবশ্তক হয়না অদৃষ্ট লক্ষ্যকেও বিদ্ধ করা যায়। ইহা ভাবিয়! তিনি সমধিক আনন্দিত হইলেন এবং তদবধি প্রতিদিন রাত্রে উঠিয়! নিণীথ কালের অন্ধকারে লক্ষ্যাত্যাস করিতে লাগিলেন এবং ক্রমে তিনি অন্ধকারে লক্ষ্য ভেদ করিতে শিখিয়াছিলেন। অজ্জুনের অন্ধকারে লক্ষ্য ভেদ শিক্ষা আর শবধভেদ শিক্ষা! প্রায় তুল্য কার্্যকারী জানিবে এবং অভ্যাসের দ্বারা না হয় এমন কার্য্যই নাই, ইহাও জানিতে হইবে।

অসি।

এই অন্ত্রটা সর্বদেশ-সাধারণ এবং ইহার প্রচার বাবহার অগ্ঠাপি সমভাবে বর্তমান আছে প্রাচীন জনশ্রুতি ধনুর্ধেদের লিপি পর্যালোচনা করিলে বোধ হয় যে, পুর্বকালে যেরূপ তীক্ষধার অসি উৎপন্ন হইত-_-এখন আর সেরূপ শৃক্তিসম্পন্ন তীক্ষ অসি কোন শিল্পীই প্রস্তত করিতে পারেন না। শুনা গিয়াছে এবং ধনুর্বেদেও লিখিত আছে যে, অসির আঘাতে গ্রস্তর-স্তস্তও কর্তিত হয়। পাঁথরে আঘাত করিলেও ধার থাকে, ভাঙ্গিয়া যায় না, এরূপ অনি আর এখন নাই। কেন নাই? তাহা জানি না। এক্ষণকার অসি যেন্ধূপ হয় হউক, পরস্ত পূর্বকালে কত প্রকার অসি ছিল, কিরূপ লোহায় কোন্‌ প্রদেশে প্রস্তত হইত, কিরূপ পায়ন অর্থাৎ পান দিয়া তাহার ধার বাধা হইত এবং কিরূপ কৌশলেই বা তাহ! ব্যবস্থত হইত ; অগ্ভ আমরা এই সকল বৃত্তান্ত বিবিধ সংস্কৃত গ্রন্থ হইতে সম্কলিত করিয়! পাঠকগণের অক্ষিসমক্ষে অর্পণ করিব। - যদিও এইব্নপ প্রস্তাবে কিছু শিক্ষিতব্য থুকে না_তথাপি ইহার দ্বার কুতুহল বৃদ্ধি ূর্ববপুরুষদিগের মহিম! অনুভূত হইতে পারে; তৎপক্ষে কোন সন্দেহ নাই।

দ৪. ভারত-রহস্ত

এই অস্ত্র অতি পুরাতন। অতি পূর্বকাঁলে ইহার আটটা মাত্র নাম ছিল। যথা--অসি, বিশমন, খড়া, তীক্ষবর্থা, দুরাঁসদ, শ্রীগর্ভ, বিজয় ধর্মপাল বা ধর্দমমাল। অনন্তর ইহার আরও কয়েকটা নাম বৃদ্ধি হইয়াছিল। যথা-_নিক্সিংশ, চন্দ্রহাস, রিষ্ঠী; কৌক্ষেয়ক, মগ্ডলাগ্র, করপাল, করবাঁল, তরবার তরবারি। ছোট বড় গঠনের তারতম্য অনুসারে ইহার আরও ছুই চারিটা নাম আছে। সে সকল ক্রমে ব্যক্ত হইবে।

ধনুর্ধেদ শাস্ত্রে অসি সম্বন্ধে বিব্ধি পরীক্ষা লিখিত আঁছে। তাহা হইতে প্রথমে আমরা লৌহ পরীক্ষা্টা বিবৃত করিব। ঘঅগ্রে লৌহ পরীক্ষা, পশ্চাৎ তাহার দোষ গুণের পরীক্ষা করাই উচিত।

অসির উপযুক্ত লৌহ প্রথমতঃ দ্বিবধ। নিরঙগ সাঙ্গ। প্রথমোক্ত নিরঙ্গ লৌহ আবার অনেকবিধ। সেই সকল ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণাক্রাস্ত লৌহকে কাঁঞ্ধী- প্রস্ৃতি নাম বার! ব্যক্ত কর! হয়। সেই সকল লৌহই অসি নির্মাণের উপযুক্ত এবং বিবিধ ব্যাধির বিনাশক | যথা _

“লৌহানাং লক্ষণং বক্ষ্যে যখোক্তং মুনিপুজবৈঃ

নিরঙ্গসাঙ্গভেদেন তে লৌহ! বিবিধ! মতাঃ

নিরঙ্গাঃ কাঞ্চিগাণ্।দিভেদাৎ বছুবিধা মতাঃ।

অসিকর্মস্্‌ তে শস্তা নান।ব্যাধিবিনীশন|ঃ ॥”

বীরচিস্তামণি। খড় ভন্ান্তি অস্ত্র শস্ত্র প্রঃয়খ:ই সাঙ্গ লৌহের দ্বারা নির্শিত হয়, এজন

সেই সাঙ্গ লৌহের ভিন্ন ভিন্ন নাম চিহ্ন সকল ব্যক্ত করাই কর্তব্য। বীর- চিন্তামণি ও. শান্ধর পদ্ধতি নামক গ্রন্থে এতদন্ুরূপ একটা বচন আছে, তাহা এই--

“বক্ষ্যন্তে প্রায়শে। যন্াৎ সাঙ্গাঃ খড়গাদি কর্ন নামভেদেন চিহ্ন'নি লৌহানামভিদখুহে 1 খঙ্গাদি অন্ত্রশস্ত্রের উপাদান প্রধান প্রধান সাঙ্গ লৌহের নাম দশটা। যথা রোহিণী, নীলপিও, মমুরগ্রৈবক, ময়ূরবজ, তিত্তিরাঙ্গ, ভুবর্ণবজজ, শৈবল. মালান, মৌয়লবজ্ত, কর্গেলবজ্জ বান্বর্ণক গ্রস্থিব্জ। এতই্রিশ্ন আরও কয়েক প্রকার লৌহ আছে, তাহ সাম্মান্ত বলিয়৷ উপেক্ষিত হইয়াছে। সকলের লক্ষণ বা চিহ্ধ উক্ত গ্রন্থে অতি বিম্পষ্টরূপে লিখিত হইয়াছে যথা-_

অসি। রোহিণী।

'ক্ষিদ্রাজং সুদৃঢ়ং যন্ত নীলমীষৎ প্রতীয়তে রোহিণীং তাং বিজানীয়াৎ তত্ক্ষতে বহুবেদনা! ॥৮ যাহার অবয়ব ক্ষুদ্র (ক্ষুদ্র কাকরের স্টার আকার বিশিষ্ট ) অথচ অত্যন্ত কঠিন, এরূপ লৌহে যদি অল্প নীলবর্ণ দুষ্ট হয়, তবে তাহাকে রোহিণী বলিয়া! জাঁনিবে। এই রোহিণী লৌহের দ্বারা ক্ষত হইলে ক্ষত স্থানে অত্যন্ত বেদন৷ জন্মে। নীলপিগু পনীলপিগসমাজঞ্চ নীলপিওং বিছ্বু্ধাঃ ॥% যাহা নীলপিও অর্থাৎ নীল বড়ীর স্ায় তাহা নীলপিও বলিয়া জানিবে

ময়ুরগ্রেবক। “মযুরকঠঠসংস্থানমঙ্জং যস্ত প্রতীয়তে। ময়ুরাগ্রোবকং লৌহং তং বিছুমুনিপুজবাঃ॥% যাহ।র আঅবয়ন ময়ূরের ক% তুল্য__তাদশ লৌহকে মুনিগণ ময়ুরট্রেবক ৰ্লিয়! জানেন। ময়ুরবজজক “নাগকেশরপুষ্পাভমঙ্গং যন্ত প্রতীয়তে ময়ুরবজ্কং প্রান্র্লো হশীস্্বিদে৷ জনাঃ ॥৮ যাহার অঙ্গে নাগকেশর ফুলের আভা দৃষ্ট হয়--লৌহতত্ববিৎ পণ্ডিতের! তাহাকে ময়ুরবজ নামে উল্লেখ করিয়া থাকেন।

তিতিরাঙ্গ। “তন্মিং স্তিত্তিরপক্ষাভমঙ্গং লৌহে প্রতীয়তে ছুলভং তন্মহামূলাং তিত্তিরাঙগং সুপাঁকজম্‌ ॥%৮ . যে লৌহ্বের অঙ্গ তিভ্িরপক্ষীর পক্ষের ন্যায় দৃষ্ট হয়--সেই লৌহই তিথ্তিরাঙ্গ নাঁমে বিখ্যাত এই তিত্তিরাঙ্গ লৌহ অতি ছুললভ অতি মুল্যবান এবং ইহ! অতি সুপাকজাত অর্থাৎ সুধাতু লৌহ। এই স্ুুধাতু লৌহের দ্বার যে কোন অ্্ নির্শিত হয়, সমস্তই উত্তম গুণবান্‌ হয়।

অত ভাবত-র্হস্থ |

স্থবর্ণ বজুক।

স্বর্ণ সদৃশাকার! অঙ্ভূমিঃ প্রতীয়তে। জুবর্ণবজকং বিদ্যাৎ বহুমূল্যং মহাগুণম্‌ ॥”

যাহার অঙ্গে স্বর্ণাকার চিন্ত প্রতীত হয়--সে লৌহকে স্ুবর্ণবজ বলিয়! জানিবে। এই স্থবর্ণবজ্ নানক লৌহও বনুমূল্য গুণবান্‌।

শৈবালমালান

“অবিচ্ছিন্নং স্ুস্ুক্মাঙ্গং দৃর্ববাভাঙগমপাঁকজম্‌ যন্মিন শৈবলমালানমাহুত্তং মুনিপুঙ্গ বাঃ |

মুনিগণ বলিয়াছেন যে, যে লৌহে অবিচ্ছিন্ন সুস্গ্ম (আস্‌) থাকে এবং তাহার আভা যদি দুর্বাদলের ন্যায় হয়, 'তবে তাহাকে শৈবালমালাঁন আখ্যা প্রদান করিবেক। মৌষলবজ্ব শুরুং পার্্বধয়ং যস্ত) মৃধ্যে স্বর্ণময়াঙ কম্‌। ধূমবৎ সোমসংস্থানং মৌষলং বজকং বিছুঃ ॥৮

যাহার পার্খঘয়ে শ্বেতাভা স্ষ,রিত হয়, মধ্যে ন্বর্ণরেখা দৃষ্ট হয়, সংহত করিলে ঘাত স্থান ধুত্রবর্ণ হয়, তাদৃশ লৌহুকে মৌষলবজ্রক বলিয়া জানিবে।

কঙ্গোলবজ বা ন্বর্ণক | "মুণালনীলপ্রতিমং বিবরৈরগ্রসংস্থিতৈঃ। কক্কোলবন্কং প্রাহুঃ স্বর্ণকং লৌহচিন্তকাঃ॥৮

লৌহতত্ব অনুসন্ধায়ীরা বলিয়! থাঁকেন যে, যাহাকে ভাঙ্গিলে তদগ্রভ।গে মুণালের ন্ায় সুক্ষ ছিদ্র সকল দেখা যায়--তাহাকে কঙ্গে(লবজক অথবা স্বর্ণক বলিয়া জানিবে। গ্রন্থিবজ্ “অঙ্গং প্রতীয়তে যত্র বহুগ্রস্থিসমন্থিতম। দুর্লভং তম্মহামৌল্যং গ্রস্থিবন্ক কমুচ্যতে | যাহার সর্ধাঙ্গ গ্রন্থিল' আর্থাৎ যাহার অনেক স্থানে গঁইট আছে বলিয়! প্রতীতি হয়, তাহার নাম গ্রস্থিৰজ এই গ্রন্থি লৌহও ছুলতভ মহামূলয।

অসি। ণ্খ

এতসডিন্ন নিরঙ্গ লৌহও অনেক প্রকার আছে। তাহাদের নাম চিহ্ন সকল লোইহীর্ণৰ গ্রন্থে বিবৃত আছে রোহিণী, পাঁণ্য কুঝ্স, এই তিন প্রকার মাত্র নিরঙ্গ লৌহ অস্ত্রের উপযুক্ত কষ বাঁ কান্ত লৌহ নিরঙগমধ্যপাতী। আজ কাল ইংলিশ লৌহে দেশ পরিপূর্ণ হইয়াছে; তজ্জন্য আর কেহ কষ্টলভ্য বছমূল্য দেশী পৌহ আহরণ করেন ন!। এমন কি, দেশীয় লোকের! প্রায় দেশী লৌহের স্বরূপ, চিহ্ন, গুণাগুণ সমন্তই ভুলিয়৷ গিয়াছেন। ভারতবর্ষে লৌহের আকর আছে কি ন!, তাহাও কেহ জ্ঞাত নহেন ব! অনুসন্ধান করেন না করিবারও প্রয়োজন নাই। কারণ, এখন কেবল অলাবুচ্ছেদনের উপযুক্ত বঁটি নির্মাণের জন্ত কিঞ্চিন্মাত্র লৌহের প্রয়োজন হয়-_পরস্ তাহ অল্প মূল্যের মৃৎ্কল্প ইংলিশ লৌহের দ্বারাই সুপম্পন্ন হইতে পারে। পূর্বে দেশে ইংলিশ লৌহের আগমন ছিলনা! এবং মেষ, মহিষ, হয়, হস্তী, কাষ্টষষ্টি, লৌহযষ্টি, অস্থি প্রভৃতি বৃহৎ সরবান্‌ বস্ত-ছেদনের উপযুক্ত অস্ত্রশস্ত্র প্রয়োজন ছিল স্থতরাং তদ্পযুক্ত লৌহেরও প্রয়োজন হইত। প্রয়োজন বুঝিয়া কুশলী পরীক্ষক পুরুষেরা দেশে দেশে এবং ভারতের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে গিয়৷ লৌহের অনুসন্ধান, হগ্রহ পরীক্ষা করিতেন। এখন আর কিছুই করিতে হয় না, চারিটি পয়স। ফেলিয়া দিলেই দিব্যি এক খানি প্রস্তুত বঁটা পাওয়া যাম্ন। ফল, সকল প্রসঙ্গাগত কথায় প্রয়োজন নাই, এক্ষণে প্রকৃত কথায় মনোনিবেশ করুন। উল্লিখিত লক্ষণাক্রাস্ত কোন এক লৌহের দ্বার! অসি নিম্নীণ করিবেক। অসি নির্মাতার যদি নৈপুণ্য না থাকে, তবে উত্তম লৌহ পাইলেও তিনি উত্তম অসি প্রস্তুত করিতে সমর্থ হইবেন না কোন্‌ লৌহান্্র কিরূপ প্রকারে কতবার পৌঁড় দিয়! পিটিতে হয়, তাহ! জান! আবশ্তক ; পরন্ত পায়ন অর্থাৎ পা”নের গুণেই তাঁহার ধার তীক্ষ দৃঢ় হয়। এজন্য শিল্পীকে অগ্রে অস্ত্রের পায়ন কাধ্যে বিশেষ অভিজ্ঞ হইতে হয়। পাঁয়ন কাঁধ্যটা যদি উত্তম বা! সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়, তবেই অন্দ্রের উত্তমতা জন্মে, নচেৎ সমস্তই বিফল হয়। পায়ন কার্যের পাঁকটী লিপির দ্বার! শিক্ষা কর! যায় না। তাহা প্রত্যক্ষ দর্শন স্বহস্তে তৎকার্ধ্য সাধন--এই ছুই প্রক্রিয়ার দ্বারাই শিখ। যায়, অন্ত কোন প্রকারে শিক্ষা কর! যায় না। তথাপি, পঞ্ডিতের! পায়নের দ্রব্য প্রক্রিক্না গুলি যথ|সাধ্য লিখিতে ক্রটী করেন নাই বৃহৎসংহিতাপ্রোক্ত অসির পায়ন, বিধিটা স্থলে পাঠকবর্গের জুগোচরার্থে উদ্ধৃত করিলাম

পর ভারত-রহস্ত |

পাঁয়ন অর্থাৎ পান দিবার বিধি

অসি প্রস্তুত হইলে তাহা পরিষ্কত করিয়! ধারের মুখে লবণ কি অন্ত কোন ক্ষার, মৃত্তিকাদ্রবে মিশ্রিতকরণপূর্ববক প্রলেপ দিয়া, সেই প্রলিগ্ত ধারটা অগ্নিতে দগ্ধ করিয়! পশ্চাৎ তাহাকে জল, কি অন্ঠান্ত দ্রবদ্রব্য পান করানকে পাঁর়ন বলে: দগ্ধ করিয়! জলে কি অন্য কোন তরল দ্রব্যে নিক্ষেপ করিলেই তাহা! পাঁন করান হয়। অসিকে যে যে দ্রব্য পান করাইলে উত্তম হয়, মহর্ষি উশনা অর্থাৎ অন্ুর- গুরু শুক্রাচার্্য তাহ! বলিয়! গিয়ছেন যথা

'ইদমৌশনসঞ্চ শল্পানং

রুধিরেণ শ্রিয়মিচ্ছতঃ প্রদীপ্তাম হবিষ! গুণবৎ সুতাভিলিগ্দোঃ

সলিলেনাক্ষিয়মিচ্ছতশ্চ বিভ্তম্‌ বড়বোষ্্রকরেণুছ্প্ধপানং

যদি পাপেন সমোহতেহ্থ সিদ্ধিম্‌। বষপিত্ৃমুগাশ্ববস্তুদ্ধেঃ

করিহস্ঞচ্ছিদয়ে সতালগর্ভৈঃ মার্কং পয়োহুড়ব্ষাণমলীসমেতং

পারাবতাখু শকৃতা ঘুতং প্রলেপ£। শন্্শ্ত তৈলমথিতত্ত ততোহস্ত পাঁনং

পশ্চাচ্ছিতন্ত শিলাস্থ ভবেদিঘাতঃ ক্ষারে কদল্যা মথিতেন যুক্তে

দিনোষিতে পায়িতমায়সং যত সম্যক দিতং চাশ্মনি নৈতি ভঙ্গং

চান্তলৌহেঘপি তস্ত কৌঠ্যম্‌ ॥%

অর্থ এই যে, যিনি শ্রীবুদ্ধি ইচ্ছা করেন, তিনি শস্ত্রকে রুধির পাঁন করাইবেন। অর্থাৎ শক্ের ধারা দগ্ধ করিয়া রুধিরে নিক্ষেপ করিবেন ০১) আর যিনি গুণ” বান্‌ পুক্র লাভ করিতে ইচ্ছুক তিনি শন্রকে ঘ্বত পান দিবেন, €২) এবং যিনি অক্ষয় ধন কাঁমনা করেন, তিনি অসিকে জলপান করাইবেন (৩)। এইরূপ প্রয়োজন সিদ্ধির নিমিত্ত অসিকে থেট হ্লীর দুগ্ধ, উষ্টের ছুপ্ধ, হস্তিনীর ছুগ্ধও পাঁন করাইবেন। ৪16৬) আর যদি হস্তীর শু কাটিবার ইচ্ছা থাকে; বে তিনি

অসি। ৭৯ অস্ত্রকে মতস্তের পিত্ত, মৃগীর ছুগ্ধ, কুক্ধুরের ছুপ্ধ ছাগীর ছপ্ধ পান করাইব্ন 1 (৭1৮1৯।১০ (জনশ্রুতি আছে যে, মহারাণা প্রতাপসিংহের নাকি এভভ্রপ তরবারি ছিল )। আকন্দের আটা, হুড়,বিষাণ (?), কয়লা, পারাবত ইন্দুরের বিষ্ঠা একত্র মদ্দিত করিয়। তৈল মথিত শস্ত্রের ধারে প্রলেপ দিবেক। অনস্তর তাহাকে পূর্বোক্ত কোন দ্রব্য পান করাইবেক। পরে তাহাকে সুশাণিত করিবেক এইরূপ করিলে সে অন্ধ প্রস্তরেও কুন্টিত হইবে না অর্থাৎ পাথরে চোট মারিলেও তন্মধ্যে প্রবিষ্ট হইবেক ; ভঙ্গিয়া যাইবে না। (১১) অপিচ অস্্স কদলীক্ষারে অক্ষত করিয়। এক দিন এক রাত্র রাখিবেক। পশ্চাৎ তাহাতে পা+ন্‌ দিয়! উত্তমরূপে শাণিত করিবেক। এইরূপ করিলেও সে অস্ত্ প্রস্তরে ভাঙ্গিবে না এবং অন্ত লৌহেও কুষ্ঠিত হইবে নাঁ। (১২) এইরূপ আরও কয়েক প্রকার পায়ন বিধি আছে, পরস্ত সে সকল তীরের ফলার জন্য বিহিত বিষ কিংব! বিষবং দ্রব্য পান করাইলে অস্ত্র অতি ভীষণ ক্ষমতা ধারণ করে বি্ষপায়িত অস্ত্রের দ্বারা অত্যল্প রক্তপাত ঘটনা! হইলেই তাহা প্রাণসংহারক হইয়া উঠে। অস্ত্রে পা'ন্‌ দিবার সময় ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের গন্ধ বহির্গত হয়। সেই সকল গন্ধের দ্বার! অস্ত্রের ভবিষ্যৎ শুভাশুভ জানা যাঁয় বলিয়া বর্ণিত আছে। এবং পা*নের সময় অন্ত্রকে যে দগ্ধ করিতে হয়, তৎকালের যে বর্ণ বা রঙ হয়, তাহা দেখিয়াও ভবিষ্যৎ শুভাশুভ অনুমিত হয়। যথা «করবীরে!ৎপল গজমদ দ্বতকুক্কুমকুন্দচম্প কসগন্ধঃ | শুভবোহনিষ্টো গেমুত্র পক্ষভেদঃ সদৃশগন্ধঃ কুম্মবস।স্ক্‌ ক্ষারোপমস্চ ভয়হঃখদেো ভবতি গন্ধঃ। বৈদৃষ্যকণকবিছবাত্প্রভো জয়ারোগ্যবৃদ্ধিকরঃ ॥% করবীর, উৎপল, হস্তিমদ, ঘ্বৃত, কুস্কুম, কুঁদফুল চাপাঁফুলের ন্যায় গন্ধ নির্গত হইলে জানিবে যে, সে অক্ত্র শুভদায়ক হইবে আর ষদি গোঁমুত্র কিংবা পন্ন, মেঘ, কুম্দ, বসা, রক্ত, কিংব!-ক্ষীর তুল্য কোন গদ্ধ বহির্গত হয়, তবে জানিবে যে, সে অস্ত্র অগুভদায়কু। .দাহকাঁলে যদি বৈদুধ্য, কনক কি বিছ্যুতের ন্তায়

ভারত-রহস্ত।

প্রত। বহির্গত হয়, তাহা হইলে সে অস্ত্র জয় আরোগ্য বুদ্ধি করিবে। নচেৎ অগুভ বৃদ্ধি করিবে সকল কথা সত্য কি.মিথ্য। তাহা নিণয় করিবার সাধ্য নাই, পরস্ত প্রাচীনদ্দিগের মত।মত বর্ণন করিবার জন্যই সকল সম্কলন করি- লাম। অপি আস সম্বন্ধে আরও কয়েকটী লক্ষণানুযায়ী নাম আছে, তাহাও এন্থলে উদ্ধত করা গেল। ধবল গিরি। রূপ্যায় তসম! ভূমিরঙ্গং খেতং প্রতায়তে তং ধবলগিরিং পাগ্যং পাগিজ্ঞাঃ প্রবদস্তি হি ॥'” পণ্ড লৌহজ্ঞ পণ্ডিতের! বলিয়াছেন যে, যাহার ক্ষেত্র রূপার স্তায় অবয়ব

শুভ্র, তাহ পাগ্ডা লৌহ সমুদ্ভব এবং তাহার ন।ম ধবলগিরি।

কাল গিরি। “তন্বী পত্রাবলী কালাঃ সৌবণাঙ্গ সিপত্রিকা প্রাস্থঃ কালগিরিং পাঙ্ডিলৌহশ্ত্রবিশার্দাঃ ॥৮ যাহার অঙ্গে সুপ সুক্ষ সুবর্ণাকার অথব! কৃষ্ণাভযুক্ত পত্রভঙ্গাকার চিহ্ন দেখ যায়, তাহার নাম কালগিরি ; ইহা লৌহ শান্তজ্ঞ পণ্ডিতের! বলিয়! গিয়াছেন। কজ্জল গাত্র। “ধারা শুভ্রা ভবেৎ যস্ত মধ।ং কজ্জবলসন্নি ভম্‌। কষ্ণরঙ্গশ্চিতং গাত্রং বিদ্যাৎ কজ্জলগা ব্রকম্‌ ॥৮ যাহার ধার গুভ্রবর্ণ, মধ্যে কজ্জল বর্ণ, সর্ব ন্গে কাল দাগ, তাহাকে কঙ্জল

গাত্র বলিয়া জানিবে। কুটীরক।

“শুঙ্ষুং রজতপত্রাভমঙ্গং কৃষ্ণাসিপত্রিক! | কুটারকঃ সমাখ্যাতাস্তৎক্ষতে শ্বয়ধুর্ভ বেৎ ॥” যাহার অঙ্গে সুঙ্জ স্থস্থা রজতপত্রের চিহ্ন থাঁকে অথচ কৃষ্ণব্ণ; এতাদৃশ অসিপত্রিকা কুটারক নামে খ্যাত। এই কুটারক অসিবু দ্বারা ক্ষত হইলে শরীরে শ্বয়থু অর্থাৎ শোথ জন্মে। কেতকী বজ্জ। “কেতকী পত্রসদৃশমঙ্গঃ যন্ত প্রতীয়তে বিদ্যা কেতকবজং তৎ-_+- ॥” ঘদঙ্জে কেতকী পত্রাকার চিহ্ন থাকে-সে অসির নাম কেতক বজ্র

আঁস। ৮১:

কান্তিলৌহ ব! নিরঙ্গ “নিরঙ্গং বৌপ্যপত্রাভমীষ্নীলনিভঞ্চ যৎ। ছূর্লভং তন্মহামূল্যং কাস্তিলৌহং প্রচক্ষতে ॥”

যাহ। কান্ত লৌহের দ্বার! নিশ্মিত বদঙ্গে রৌপ্য পত্রাকার চিহ্ন দৃষ্ট হয় এবং বর্ণ অন্ন নীল-_ এরূপ অসি ছুলভ মহামূল্য। দমন বক | 'অঙ্গং দমনপত্রভমঙ্গে যন্মিন্‌ প্রতীয়তে বিদ্যাদ্দমনবক্তুস্ত তীক্ষধ।রং মহ গুণম্‌ য[হার অঙ্গে দমন পত্র অথাৎ দে।ন। ন।মক বৃক্ষের কিম্বা কুন্দ বৃক্ষের পত্রাকার চিহ্গ:জন্মে--তাহার নাম দমন বক্ত। এই দমন বক্ত, আস প্রায়ই তীক্ষধার মহাগুণশালী হয়। কাল খড়গ “কৃষ্ণভু মিস্ব্র্াভমীষৎ বজ্াঙ্গ-সঙ্গতম্। ডাহুনীবজ্রকং বিদ্য/ৎ কালসংজ্ঞমথপরে যাহার ক্ষেত্র কাল, পরন্ক তাহ।র আভ। যদি স্ুব্র্ণ বর্ণ হয়, আর যাঁদ তাহাতে অল্প বজ্র চিহ্ধ থাকে, তবে তাহাকে “ডাহুনা বজ্জ” বালয়৷! জানিবে কেহ বলেন, এতক্রপ লক্ষণাক্রাস্ত খড্োর নাম “কালখড়গ” |

নকুলাজ £উদ্ধগং কপিল।(ভাসমঙ্গং ষস্মিন্‌ প্রতীয়তে। নকুলাঙ্গত্ত তং বিদ্যাৎ স্পর্শে যস্যাহিনাশনম্‌ ॥% যাহার অঙ্গে উদ্ধগামী কপিল ছ্যতি দৃষ্ট হয়-_তাহার নাম নকুলাঞ্গ। এই নকুলাঙ্গ অসির স্পর্শে সপও প্রাণত্যাগ করে। ১০ ্ষুদ্রে বজ্জ “আসীক! মালিকা বন্ত ক্ষুদ্রাঙ্গং কুগুলীরুতম্‌। কুদ্রবঞ্জকনামানং প্রাহ নাগার্জনো মুনিঃ ॥৮ যাহার শরীরে কুগলীরুত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসীকামাল! দৃষ্ট হয়-নাগাজু'ন মুনি

তাহাকে ক্ষুদ্র বঙ্জ নামে প্রখ্যাত করেন। ৯৯

ভারত-রভ্ন্ত

১১ মহ

“অস্তর্গাঢ়ং চিহ্হীনং বিশালং

মধ্যে স্থুলং স্থুলধারাতিতীক্ষম্‌।

রক্ষোবক্ষঃ চ্ছেদনার্থং মহাস্তম্‌

কত্বা৷ খড়াং দেবরাজোহতি হ্ৃষ্টঃ ॥৮

যাহার অন্তর্ভগ অতি গাঢ় অর্থাৎ কঠিন, গাত্র সর্বপ্রকার চিহ্ন বঞ্জিত,

মধ্যদেশ স্থুল, ধারও স্থল কিন্তু অত্যন্ত তীক্ষ,_-দেবরাজ ইন্দ্র রাক্ষলগণের নিমিত্ত এতজপ মহান্‌ খড়গ নির্মাণ করিয়! হষ্ট হইয়াছিলেন

১২ বামনাক্ষ “বামনাক্ষং মহাস্তন্ত যেন তত্বর্ন জায়তে। ছেদে গ|ঢ়ং চিন্বুহীনং প্রান্ছঃ খড়গীং বিচক্ষণাঃ ॥" পণ্ডিতগণ বলিয়া থ|কেন যে, অত্যন্ত গাঢ় অথচ যে মহান্‌ খড্গা ছেদকালে ছেস্ত বস্ততে তস্ত স্ঙ্টি করে না, ( থেতড়ে যায়না) এবং যাহার অঙ্গে কোন চিহ্ন থাকে না, তাদৃশ খড্োর নাম বামনাক্ষ | ১৩ মহিষাথ্য | “এরগুবীজ 'প্রতিমমঙ্গং যন্মিন্‌ প্রতীয়তে। মহিষাখ্যঃ বৈ খড়েগ। নীলমেঘসমচ্ছবিঃ ॥% যে খড়োর গাত্রে এরগুবীজের স্তায় চিহ্ন লক্ষিত হয় এবং যাহার দীপ্তি নীল মেঘের স্ায়, এতাদৃশ খড়োর নাম মহিষাখ্য | ১৪ অঙ্গপত্র | শ্ুষ্টে বন্সিন্‌ ভবেত, খড়েগ শরীরং প্রতিবিথ্িতম্‌ অঙ্গপব্রাভিধং জং প্রাস্থঃ খঙ্জাবিচক্ষণ!; ॥৮ খড়গীকে মার্জন করিলে যদ্দি তাহ! দর্পণের স্ায় শরীর প্রতিবিষ্ব ধারণ করে__ তবে তাহাকে খঙঞ্জাতন্ব নিপুণ পণ্ডিতের! অঙ্গপত্র নামে উল্লেখ করেন। ১৫ গজবজ্

পযন্ত সলরেখা ধন্মস্থণরুচিঃ সবতো ব্যাপ্য 'তিষ্টেৎ ধারা ভীক্ষাতিস্থক্ী প্রবিশতি রুধিরম্পর্শমাত্রেণ খড়

অসি। ৮৩

যস্াস্তঃ পীয়মানং শময়তি নিখিলং ব্যাধিমাধিং সমগ্রাং বৈরিশ্রেণাং* * প্রবদতি গিরিশো বজ্মেততৎ গজাদি ॥+

যাহার অঙ্গে স্থুলরেখা, অঙ্গরুচি অতি ঘন মস্যণ ধার অতি তীক্ষ সু রক্ত স্পর্শ মাত্রে যাহ! অভ্যন্তর প্রবিষ্ট হয়, যাহার অঙ্গধৌতজল পান করিলে অ।ধিব্যাধি বিনষ্ট হয়, দ্বাদিদেৰ গিরিশ তাহাকে গজবজ নামে অভিহিত করেন।

বিভিম্নদেশীয় অসির গুণাগুণ

অমি সকল দেশে সমান হয় না। ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণাক্রাস্ত অপি উৎপন্ন হয় পুর্বে ভারতবর্ষের যে ষে দেশে যে যে প্রকারের অসি নির্মিত হইত, তত্তাবতের তালিকা এই-- গলৌহ্‌ং প্রধানং খজ্গার্থং প্রশস্তং তদ্িশেষতঃ। থটী থট্রের খধিক বঙ্গ শূর্পারকেষু বিদেহেষু তথাঙ্গেষু মধ্যমগ্রামবেদিযু। সহগ্রামেযু চীনেষু তথা কালঞ্জরেষু ॥৮

অনেক প্রকার লৌহ আছে, পরস্ত তন্মধ্যে ষাহা প্রধান অর্থাৎ উৎকৃষ্ট, তাহাই খড়োর নি'মত্ত প্রশস্ত। খড়া নিম্মাণের লৌহ ওঁষধার্থ লৌহ হইতে স্বতন্ত্র এবং তাহার উৎকষ্টতাপকুষ্ঠতা বিচারও পৃথক বিশেষতঃ খটী, খট্রের, খষিক, বঙ্গ, শূর্পারক, বিদেহ, অঙ্গ, মধ্যমগ্রাম, বেদী, সহগ্রাম, চীন, কালগ্র, এই সকল স্থানে যাহ! উৎপন্ন হয়, তাহা অত্যন্ত প্রশস্ত খ্টা খটে,র জাতা যে দর্শনীয়াস্ত তে মতাঃ থটী খট্টের দেশজাত অসি সকল অত্যন্ত সুদৃশ্ত জানিবে।

““কায়চ্ছিদন্তর্ষিকা যে মর্মমজ্ঞা গুরবস্তখ! ৷” খষধিক দেশ প্রভব অসি শরীরচ্ছেদ করিতে সমর্থ এবং গুরুভারযুক্ত | খধিক দেশ হিমালয়ের উত্তরভাগে ছিল। “তীক্ষাচ্ছেদসহ! বঙ্গ! দৃঢ়াঃ শূর্পার কোস্তবাঃ।৮

ব্গদেশ জাত অসি তীক্ষ চ্ছেদ ভেদে পটু এবং শূর্পারক ধেশীয় অসি সমধিক

কঠিন লৌহিত্য নদীর পশ্চিমে অঙ্গ দেশের পূর্বে বঙ্গদেশ প্রতিষ্ঠিত ছিল।

এক্ষণে উহার ব্যতিক্রম হইয়াছে। বর্তমানু দ্বারকার উত্তর পশ্চিম ভাগে শূর্পারক দেশ অবস্থিত ছিল )।

১৮৪ ভারত-্রহন্য | অসহাশ্চৈব বিজয়া প্রভাবস্তে! বিদ্বেহজা১।” “অঙ্গদেশোবাস্তীক্ষাঃ বিদেহদেশ জাত অলি প্রভাবশালী অসহ তেজস্বী। বর্তমান ব্রিহত দেশকে বিদেহ বলিত। অঙন্গদেশ জাত অসি তীক্ষ দৃঢ়। বর্তমান ভাগলপুর জেলা চম্পারণ প্রভৃতি স্থান পূর্বে অঙ্গ নামে প্রসিদ্ধ ছিল। “লঘব্শ্ তথা তীক্ষা মধ্যমগ্রামসস্ভবাঁ১1% মধ্যমগ্রাম সম্তৃত অসি লঘুভার তীক্ষ। এই মধ্যমগ্রীম এক্ষণে কোথায় তাহ! নিনীত হয় না )।

শপ |?

“অসার লঘবস্তীক্ষ! বেদিদেশসমুদ্ভবাঃ ॥৮ ব্দৌদেশ প্রভব খড়গ হাঁলকা, তীক্ষ, কিন্ত সারহীন। (পঞ্জাব কনোজ, প্রভৃতি দেশের অংশ বিশেষকে বেদীদেশ বলিত। )

“সহগ্রামোস্তবাঃ খড়গাঃ স্ৃতীক্ষা লঘবস্তথ| ॥% সহগ্রামজাত খড়গ অত্যন্ত তীক্ষ, লঘু অর্থাৎ হাক্কা। সহগ্রাম এক্ষণে অপরিচিত অবস্থায় আছে। 'নিব্র্ণা নিম লাস্তীক্ষাশ্টীনদেশসমুস্তবাঃ 1৮ চীনদেশীয় খড়ণ অতন্ত নির্মল তীক্ষ। চীনদেশ আজিও সমভাবে পরিচিত আছে। “কালগ্জরাঃ কালসহাস্তীক্ষান্তে লক্ষণান্বিতাঃ ॥'?

কালগ্রুর পর্বতের সন্নিহিত দেশে যে সকল খড়া উৎপন্ন হয়, তাহ দীর্ঘকাল স্থায়ী, তীক্ষ সুলক্ষণযুক্ত। কাঁলঞ্জর পর্ধত প্রয়াগের অনেক দূর দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত আছে।

পরিমাণ

অঙ্গুলি পরিসর ৫. অশ্ুল লম্বা অসি শ্রেষ্ঠ এবং ইহার অদ্ধ পরিমাণ হইলে তাহা মধ্যম। ২৫ অঙ্গুলের ন্যুন হইলে তাহাকে অসি না বলিয়া! অসিপুত্র বলা যায়। এইরূপ বিস্তারে অঙ্গুলের ন্যুন হইলেও তাহ৷ অসি নামে গণ্য হইবে না বৃহৎ শাঙ্গধর, আগ্নেয় ধনুর্কেদ বৈশম্পায়নোক্ত ধনুর্কেদ,-_ সক- লেই এই নিয়ম ব্যক্ত করিয়াছেন। "যথা-_ *

অসি। ৮৫

“শতার্দমঙ্গুলীনাত্ব খঙ্জাংশ্রেষ্ঠং প্রকীর্তিতম্‌ তদর্ধং মধ্যমং জ্ঞেয়ং ততো! হীনং কারয়েৎ॥" “পঞ্চা শদন্থুলোত.সেধচতুরঙ্কুলবিস্তৃতঃ ॥'* কেহ কেহ বলেন যে, ৩০ অঙ্ুলের অধিক দীর্ঘ অসি নিংক্তিংশ নামে খ্যাত তাহাই উত্তম। বৃহৎ সংহিতা গ্রন্থেও এইরূপ লিখিত আছে। যথা

“অঙ্ুলশতার্দমুত্ম উঃ স্ত।ৎ পঞ্চবিশতিং খড়গাং।%

গঠন

পদ্ম পুষ্পের পাব্‌ড়ির অগ্রভাগ যেরূপ, অসির অগ্রদেশ যদি সেইরূপ গঠনের হয়, তবে সে অসি উত্তম এবং করবীর পত্রের তুল্যাকার হইলে, তাহা তদপেক্ষা উত্তম। যাহার অগ্রভাগ মণ্ডলাকার অর্থাৎ স্থুগেল কিম্বা কিঞ্চিৎ বক্র__সে অসি তত প্রশস্ত নহে যথা--

“খড়গঃ পল্মপলাশাভো মগলাগ্রঞ্চ শস্ততে করবীরপলাশা গ্রসদৃশশ্চ বিশেষতঃ 1৮

মগ্ডলাগ্র অসি এক্ষণে “বগী* নামে খ্যাত। কোন কোন অস্ত্রবিৎ যোদ্ধা ইহাঁকেও প্রশংসা! করিয়া থাকেন। বৃহৎ সংহিতা গ্রন্থেও ইহার এবং অন্তান্ত প্রকার খঙ্গের প্রশংস! আছে। যথা-_

£,গোঁজিহ্বাসংস্থানে! নীলোৎপল বংশপত্রসদৃশশ্চ। করবীরপত্র শুলাগ্রাঃ প্রশস্তাঃ শ্ত,: 01, গোজিহ্বা সুদী নাইল, ফুলের পাঁবড়ি, বাশের পাতা, করবীর ফুলের পাতা শূলের অগ্রভাগের তুল্যাকার খড় মগুলাগ্র প্রশস্ত অর্থাৎ উত্তম।

ধ্বনি

আঘাত করিলে যদি কাক*স্ববের ন্যায় কর্কশ ধ্বনি বা শব্দ উখিত হয় কিন্বা অং-ইত্যাকার *ব হয়, তবে সে তরবারি রাঁজ।দিগের পরিত্যাজ্য পরস্ত যাহার শব মধুর, কিছ্িণী ধ্বনি সদৃশ অর্থাৎ কন্কনে এবং দীর্ঘ অর্থাৎ বহুক্ষণন্থায়ী, --সেই খজ্গাই শেষ্ঠ খড়গ, এবং রাজার! তব্রুপ খঙ্গাই ধারণ করিবেন। যথা

“আহতে ত্র থড়েগ সাত, ধ্বনিঃ কাকম্বরোপমঃ | যত্র অংকার ধ্বনিব?ন্তাত. বর্জেনা নরপুজবৈঃ

৮৬ ভারত-রহহ্ত | “ীর্ঘং সুমধুরং শবে যন্ত থড্গান্ত ভার্গব। কিন্কিনীসদৃশস্তস্ত ধারণং শ্রেষ্টমুচ্যতে 1৮ এতস্তিন্ন বিষু ধন্মোত্তর, অগ্রিপুরাঁণ কল্পক্রমধূত যুক্তি কল্পতর গ্রন্থে খড়গ সন্বন্ধে কতগুলি সুচিহব কুচিহ্বের কথ! আছে, তাহ। পশ্চাৎ বলা যাইবে তৎপশ্চাৎ খা যুদ্ধের সঞ্চরণ মার্গ অর্থাৎ গতি সকল বলা যাইবে। এক্ষণে বৃহৎ সংহিতার

লিখিত বর্ণাদি দোষ এবং শাঙ্গধরের লিখিত খড়ের কোষ তাহার পুজা প্রভৃতি কয়েক প্রকার অবাস্তর বিষয় বল৷ যাইতেছে।

“অন্গু লমাসাড্য জ্ঞেয়ো ব্রণঃ শুভো বিষমপব্থঃ 1৮ এ্রীবৃক্ষোবদ্ধমানাতপত্রশিবলিঙ্গ কুগুলাজানাম্‌। সদৃশাঃ ব্রণাঃ প্রশস্তা ধবঙ্গাধুধস্বম্তিকানাঞ্চ ॥” “কুকলাস কাক ক্রব্যাদিকবন্ধ বৃশ্চিকাঁকৃতয়ঃ। থঙ্জো ব্রণা শুভদা বংশান্ছগাঃ প্রভূতাশ্চ 7” “স্ফুটিতহ্স্থঃ কুষ্ঠী বংশচ্ছিন্নে'নদূউ মনোনগতঃ। অন্বন ইতি চানিষ্টঃ প্রোক্তে! বিপধ্যন্ত ইষ্টফলঃ ॥% কণিতং মরণায়োক্তং পরাজয়ায় প্রবর্তনং কোশাত। জয়মুদগী৭ে যুদ্ধং জলিতে বিজয়ো ভবতি খড়েগী ॥৮

“নাকারণং বিবৃণয়াত, ঘটয়েচ্চ |

পন্তেন্ন তত্র বনং বদেচ্চ মূল্যম্‌ ॥'”

“দেশং চাস্ত কথয়েৎ প্রতিমানয়েচ্চ।

নৈব স্পূশেৎ নৃপতিরপ্রযতোহসিযষ্টিম্‌ ॥, “নিষ্পন্ে! নাচ্ছিছ্ছে। নিষ্ষষৈঃ কার্ধ্যঃ প্রমাণযুক্তঃ সঃ মূলে স্রীয়তে স্বামী জননী তন্তাগ্রতশ্ছিন্নে ॥” “কাকোলুক সবর্ণাভা বিষমাস্্লিসংস্থিতাঁঃ। বংশানুগাঃ প্রশস্তাম্চ শস্তান্তে কদাচন।*

“থজাং প্রশন্তং মণিহেমযুক্ত

কোষে সদ! চন্দনচুর্ণযুক্তম্‌।

ংস্থাপয়ে ভূমিপতিঃ প্রধত্বাৎ রক্ষেৎ তথা শ্বশরীরবচ্চ ॥'%,

অসি। ৮৭

“শ্রীবিষণ ধর্মোন্তরভাধিতানি

চিহ্বানি খড়ান্ত শুভাশুতানি বিজ্ঞায় ভূমিপতয়ঃ সদৈব সর্ব সন্ধারয়েহমুং স্বমুদে কৃপাণম্‌ ॥+

অর্থাৎ পঞ্চবিংশতি অন্গুল হইতে শতাদ্ধ অঙ্গুল পর্য্যস্ত খড়ণ নিম্মীণ করিলে, বদি তাহাতে ব্রণ অর্থাৎ চিহ্ন বিশেষ উৎপন্ন হয়, তবে তাহার শুভাশুভ লক্ষণ অঙ্গুলি পরিমাণ ছার! নির্ণয় করিবেক। বিষমাঙ্ুলি স্থানে চিহ্নুপাত হইলে, তাহা অশুভ বলিয়! স্থির করিবেক চিহ্ন অনেক প্রকার হইতে পারে, পরস্ত তন্ধ্যে শ্রীবুক্ষ, বর্ধমান, পর্বত, ছত্র, শিবলিঙ্গ, কুস্তল, পদ্ম, ধ্বজ কোন প্রকার অস্ত্র স্বস্তিক অর্থাৎ ত্রিকোণ তুল্য চিহ্নই শুভদায়ক। আর কৃকলাস ( গিড়গিটে ) কাক, কক্কপক্ষী, মাংস।শী জন্ত মস্তকশূন্য জীব ভয়দীয়ক হয়। স্কংটিত ( ভাঙ্গা) অথবা সছিদ্র-হুন্য, কু% এঁবং দে।খতে কুদৃশ্ত মনের বিরক্তিজনক শববঞ্জিত,-_ এরূপ খড়গ অনিষ্টকারী হয়। থড়েগ যদি অকম্মাৎ শব্ধ জন্মে, তবে জানিবে যে তাহ! মরণের উপদেশ করিতেছে খড়গ যদি আপন! আপনি কোষ হইতে বহিরাগত হয়, তবে জানিবে ষে নিশ্চিত পরাজয় হইবে। খড়ী ষদি বিনা কারণে উদগীর্ণ হয়, তবে জানিবে যে শীঘ্বই যুদ্ধ উপস্থিত হইবে এবং খড়গ যদি আপনা আপনি অত্যন্ত প্রজ্জলিত হয়, তবে জানিবে যে যুদ্ধে জয় হইবে।

বিন! কারণে অিকে উলঙ্গ করিবে না। বিনা কারণে অসিকে ঘর্ষণ করিৰে না। খড়গগাত্রে আত্ম প্রতিবিম্ব অবলোকন করিবে না। উত্তম বিশ্বস্ত ব্যক্তি কর্তৃক জিজ্ঞাসিত না হইলে বিনা গ্রয়োজনে অসির মূল্য ব্যক্ত করিবে না কোন্‌ দেশের অসি তাহাঁও বলিবেক না। কোনও সময়েই অসিকে অসম্মান করিবেক না। রাজ! অগুচি হইয়া অসি বষ্টি স্পর্শ করিবেন না। নির্মাণের পর বিষমাঙ্গুলি হইল দেখিয় সমাঙ্গুলি করিবার জন্য তাহাকে ছিন্ন করিবেন না। নিম্মীণের পর সমাস্ুলি করিতে হইলে শাণযন্ত্রের দ্বারা ইচ্ছামত প্রমাণযুক্ত করিবে। যর্দি মূল ভাগ ছিন্ন কর! হয়, তবে সে অসি ধারণ করিলে মৃত্যু হইবে। যদি অগ্রভাগ ছিন্ন করা হয়, ভবে সে অসি ধারণ করিলে জননীর মৃত্যু দেখিতে হইবে কাক, উলুক, কি বসার স্তায় আভাযুক্ত, বিষমাঙ্গুলি পরিমাণ ( বিষোড় অর্থাৎ ৪৯, ৪৭ ইত্যাদি) বংশানগ অসি €কোন কার্যেই গুতদায়ক হয় না। উত্তম অসিকে মখি সুবর্ণ ভূষিত চন্দনচ রক্ত করিয়া সদ! সর্বদা! কোষ মধ্যে রক্ষা করি-

৮৮ ভারত-র্্ম্য |

বেক। যেরূপ নিজের শরীর যত্রপুর্বক রক্ষা করিতে হয়, রাজা সেইরূপ যত্ে অসির রক্ষণ(বেক্ষণ করিবেন। শাঙ্গধর পন্ধতি যুক্তিকল্পতরু প্রভৃতি গ্রন্থে খড়া- সম্বন্ধে এইরূপ অনেক কথাবার্তা আছে। এই দকল কথ! তত্তাবতের সার- সংগ্রহমাত্র।

অবান্তর কথা এই স্থানেই শেষ করা গেল। অন্ত স্থানে ইহার অবশিষ্ট কার্ষ্য অর্থাৎ ঘুদ্ধকালে ইহা কিরূপে ব্যবহৃত হয়, সেগুলি বর্ণন কর! যাইবেক।

অস, খড়গ তরবারি;-_-এ সকল পধ্যায় শব্দ। এইজন্তই আমর! *অসি” শাষক প্রবন্ধে কখন খঙ্গা, কখন বা তরবারি শব্দের উল্লেখ কারতোছ। ইতি পুর্বে এতংসম্বন্ধে আমরা যে প্রথম প্রস্তাব লিখয়াছি, তাহাতে সকল বক্তব্য পর্যাপ্ত হয় নাই। এজন্য আমরা এতৎসম্বদ্ধে দ্বিতীয় প্রস্তাব (লখিতে বাধ্য হইলাম। প্রথম প্রস্তাবে শুক্রনীতি, আগ্নেয় ধনুর্েদ, বীরচিস্তামণি, বুৃহৎ্সংহিতা বৃহৎ শাঙ্গধর প্রভৃতির প্রম'ণ তাহার বলগানুবাদ প্রদত্ত হইয়াছে। পরস্ত কল্পদ্রম অভিধানে যে যুক্তকল্পতরু খড়গপরাক্ষ।! নামক গ্রন্থের সংগ্রহ আছে, তাহার অত্যন্ন বাক্যও উদ্ধৃত করি নাই। সেই ভ্রটী পরিহার করিবার জন্যই এই দ্বিতীয় প্রস্তাবের আরম্ভ প্রথমে ইহার কল্পদ্রমধূত খড়ীপরীক্ষার একটা বঙ্গানুবাদ এবং ইহার শেষভাগে খড্াক্রিয়! অর্থাৎ খঙ্গীবুদ্ধের সঞ্চরণ প্রণালী বর্ণন করিলাম। কল্পদ্রম গ্রন্থে যে সকল সংস্কৃত গ্লেক আছে, সেগুলিকে স্ুপ্রাপ্য বলিয়। পরিত্যাগ করিলাম তন্বার! যে জ্ঞানলাভ হয়, তাহাই বঙ্গভাষায় গ্রথত করিলাম।

খুড়োর পরীক্ষা! আট প্রকারে নিপ্ন্ন হয়। সেই জন্তই খড়গবিজ্ঞান অষ্টা্ বলিয়! বিখ্যাত। খড়ের প্রথম বিজ্ঞেয়্ অঙ্গ, দ্বিতীয় রূপ, ৩য় জাতি, ৪র্থ নেত্র, ৫ম অরিষ্ট, ৬ষ্ট ভূমি, ৭ম ধ্বনি এবং তাহার ৮ম পারমাণ

খড়েগর অঙ্গ কি? তাহা শুগুন। খড়গ গঠিত হইলে তাহু।র শরীরে যে নানা প্রকার চিহ্ন বা দাগ (রেখাকার কি ব্রণাক।র প্রস্ততি ) উৎপন্ন হয়, সেই সকল চিনহ্ুই খড়াশান্জ মতে তাহার অঙ্গ অঙ্গ সর্বসমেত (১০০) এক শত প্রকার হতে পারে, আঁধক নহে।

খড়োর রূপ কি? জাতি কি? নেত্র কি? অরিষ্ট কি? ভুমিকি ? ধ্বনি কি? এবং পরিমাণই বাকি রূপ? সমস্তই যথাক্রমে বর্থন করা যাউক। রুপ --খড়েগ ঘে নীল রঙ, কি কাল রঙ কি অন্য কোন রঙ. দৃষ্ট হয়, সেই দৃশ্যই তাহার রূপ

অলি। ৮৯

জাতি --অঙ্গ নামক চিহ্ন থাকায় তন্বরা ষে এক প্রকার নেত্র-গ্রীতিকর প্রতীতি জন্মে, তাহাই খড়গগত জাতির লক্ষণ।

নেত্র--মাহাত্মযচ্ছচক চিহ্বের নাম নেত্র

অরিষ্ট-__অপকৃষ্ঠত| বা অশুদ্ধত। বোধক চিহ্ের নাম অরিষ্ট।

ভূমি--অঙ্গার্দির লক্ষণধারণের নম ভূমি ( ক্ষেত্র )।

ধ্বনি-_-নখাঘাত কি কাষ্টিকাঘাত করিলে যে শব হয়--সেই শব্দই তাহার ধ্বনি

মান-_-তুলন! বা দীর্ঘত। বিশেষের নাম মান।

খড্গা সন্বন্ধী্ এই আট প্রকার জ্ঞানের নাম খা বিজ্ঞান ইহার মধ্যে প্রথমোক্ত অর্থাৎ অঙ্গ, রূপ, জাতি, নেত্র অরিষ্ট, এই পাঁচ লক্ষণ কৃত্রিম হইতে পারেঃ পরন্ত শেষোক্ত অর্থাৎ ধ্বনি মান এই ছুইটী লক্ষণ স্বাভাবিক ভিন্ন কৃত্রিম হইবার সম্ভবনা নাই অতএব, বিচক্ষণ খড়গতত্ববিৎ পণ্ডিত উহা অতি বিচক্ষণত।র সহিত পরীক্ষা করিবেন

খড়ীশাস্ত্রে ইহাঁও লিখিত আছে যে, খডেগের অঙ্গ শত প্রকার, রূপ চারি গ্রকার। রূপ চারি প্রকারের ন্যায়, জাতিও চতুর্বিধ, নেত্র ত্রিংশং, অরিও সেই পরিম|ণ, ভূমি ছুই প্রকার, ধবনি আট প্রকার, এবং মনও প্রধানতঃ হুই প্রকার

শত প্রকার অঙ্গ বা চিহ্ন যাহা লৌইহার্ণব গ্রন্থে বর্ণিত আছে, তাহা! এই--.

রৌপ্যরেখা, স্বর্ণরেখা, গজশুগাকার চিহ্ন, দমন অর্থাৎ দোন! নামক বৃক্ষের পত্রপদূশ চিহ্ন, শুল্র স্থুল রেখা» কৃক্ুবর্ণ রেখা, সুম্মম অরুণ রেখা, মুল হইতে অগ্র- পর্যান্ত তিনটা সুক্ম শুভ্র রেখা, পদ্মদলাকার রেখা, গদাচিহু, পিপপলী তুল্য চিহ্ন, গ্রন্থি অর্থ(ৎ গাট চিহ্ধ, শালপানপত্রাকার তিতির পক্ষীর পক্ষতুল্য চিহ্ন, মাল! চিহ্ন, জীরক চিহ্ন, ভ্রমর চিহ্ন, উদ্ধগাঁমী কপিলবর্ণ শিখা চিহ্ন, মরিচ চিহ্, ফণিফণাকার চিহ্ন, অশ্বক্ষুর চিহ্ন, মযুর:পচ্ছ(কার চিহ্ন, সর্বশরীর কৃষ্তবর্ণ ধার গুত্রবর্ণ, মধুবুদ্ধদাকার চিহ্ন, কুগুলীরুত তো যুক্ত ক্ষুদ্র চিহ্‌, মক্ষিকাচিন্ন, ভুযা- কার চিহ্ন, ষবাঁকারি চিহ্ন, ধান্তাকার চিহ্ন, তীসিনামক বীজের স্তায় চিহ্ন, সর্ষপ- বীজচিহ্ন, সিংহাঁকার চিহ্ন, তওুলচিহ্ন, শির! চিহ্ন, শিবলিঙ্গাকার্‌ চিহ্ন, ব্যাত্র নখা- কার চিহ্ন, গোক্ষুর চিহ্ন, মকর পুচ্ছ।কার চিহ্ু, নেত্রাকার চিহ্ন, কেশ চিহ্ন, স্থুল- প্রকৃতি নিশ্চিন্ধ, তীক্ষধার নিশ্চিহ্ধ, কাকপদাকার চিহ্ন, কপাল চিহ্ন, পত্র।- বলী চিহ্ন, অথব! পক্ষি-পক্ষ চিহ্ন, ভুবরী ন্মমক শস্তের আকার 'বিশিষ্ট চিহ্ন, বিশ্বী- ফলাঁকার চিহ্ন, প্রিয়গী সদৃশ চিহ্ন, র্ষপপুস্পাকার চিহ্ন, নীলিরস তরঙ্গের সায় চিহ্ন?

৯২

৭৬ ভারত-রহস্ত |

বুক্তরর্ণ ত্রিরেখ! চিহন,যব পত্রাকার চিহ্নঃলগুন তক তুল্য চিহ্ন;নিশ্চিন্ন নির্মল প্রক্কৃতি, মঞ্তিষ্ঠালতাকার চিহ্ন ব! রেখা, শমীপত্রাকার রেখা,রোহিত মৎস্তের শন্কাকার রেখা, শফরীশক্কাকাঁর রেখা, ম।রিষ পত্রাকার রেখা॥ ভূঙ্গরাজ পুষ্পবৎ চিহ্ন, খুরবৎ ধার

নিশ্চিহ্ন, ধারস্থান কখন তীক্ষ, কখন বা মুছু এবং ভূমি সকল, কখন বা নির্মল, জলতরঙ্গের গ্ঠায় দৃশ্তমানতা, ধারমোটা! অবয়ব নিশ্চিহ্ন, গুঞ্জফলাকার চিহ্ন, সুক্ষ সক্ষম বাঁণ চিহ্ন, হূর্ববাদলবর্ণ ধার তীক্ষ, বিল্লপত্রাকার দাগ, মস্থর পত্রাকার দাগ, শোণপুষ্প তুল্য রেখা বিশিষ্ট, শঠী পত্রাকার দাঁগ, বিড়াল লোমাকার চিহ্ন, কেতকী পত্রীকার দাগ মুর্ব্বা (স্থচী মুখ নামক ক্ষুদ্র বৃক্ষ) তন্ত্র স্ায় দাগ, অর্থাৎ আশ আশ চিহ্ন অত্যন্ততীক্ষ অল্প লৌহের ছেদক, কলাক় পুষ্পাকাঁর চিহ্ন, চম্পক কুস্থমাকার চিহ্ন, বলানামক লতার পত্রাকার চিহ্ন, বটের নামনার হ্যায় দাগ, বাঁশের স্তায় নীলবর্ণ, শ্বেত কৃষ্ণবর্ণ, পত্রশিরাকার রেখা, জ্যেষ্ঠীসদৃশ চিহ্ন, জালাকারচিন্ু, পিপীলিকাঁকার চিহ্ন, নলপত্রাকার চিহ্ন, ঘর্ষণ করিলে কণা বাহির হয় এরূপ গুণবিশিষ্টতা, কুম্মাণ্ড বজীবৎ দাগ, লোমবৎ চিহ্ন, সিজ বৃক্ষের কণ্টকাঁকার চিন্ন, ব্দরী পত্রাকাঁর চিহ্ন, বকুল পুষ্পাকার চিহ্ন, কাঁজির শ্তায় ঢৃশ্ত অর্থাৎ নানা প্রকার (মশ চিহ্যুক্ত, নিশ্চিহ মহিষের সায় কৃষ্ণবর্ণ, স্বাভাবিক নির্মল, নৈর্মাল্যের উপর উদ্ধ রেখা বক্র রেখা

এই সকল লক্ষণ যদি স্বাভাবিক. অর্থাৎ খড়োশোর গঠনের সঙ্গে সঙ্গে উৎপন্ন হয়, তবেই তাহা গ্রাহ্ নচেৎ রুত্রিম করিলে অগ্রাহ্থ। উল্লিখিত শত চিত্রের মধ্যে কতকগুলি উৎকৃষ্টতা বোধক এবং কতকগুলি নিকষ্টতা জ্ঞাপক। যে সকল চিহ্রের দ্বারা খড়েগির উত্তমতা! জানা- যায়, সেগুলি বিশদ করিয়া বল। যাইতেছে

. রৌপ্যাঙ্গ স্বর্ণ রেখাঙ্গ,--এই ছুই খড়গী উত্তম। গজশুগাঙ্গ খড় উত্তম,-পরস্ত ইহার দ্বিতীয় লক্ষণ এই যে, রক্ঞম্পর্শ মাত্র ইহ! শরীরে প্রবিষ্ট হয় এবং ইহা! ধোৌঁত করিলে যে জল নিঃস্যত হয়, তাহা পাঁন করিলে অনেক ব্যাধি শাস্তি হয়। রক্তবীজ চিন্ববুক্ত থড়ীও উত্তম। দমন পত্রাঙ্গ খাও উত্তম, পরস্ত ইহার অন্ত এক পৰীক্ষা এই যে, ইহাতে জল রাখিয়া! দিলে একদিন পরে সে জলে দমন পত্রের গন্ধ উৎপন হইবে। স্থুলাঙ্গ খড়গিও উত্তম, পরস্ত ইহার দ্বারা ক্ষত হইলে সর্ব শরীরে শোথ জন্মে। অরুণাঙ্গ খড়াও ভাল, পরস্ত ইহার দ্বিতীয় লক্ষণ এই ষে, সুর্ধয-কিরণ স্পর্শে ইহা হইতে এক প্রকার তেজ নিঃস্থত হয় এবং ইহার সহিত পল্পকোরক একত্রিত রাখিলে তাহা রাত্রিকালেও ফুটিয়! থাকে। তিলাজ,

অসি। ৯১

খড়গও উত্তম, পরস্ত তাহার অন্য এই এক লক্ষণ আছে যে, ভত্দারা ক্ষত হইলে, ক্ষত স্থান হইতে তিলতৈলবত বসা নির্গত হয়। অগ্রিশিখাঙ্গ খড়োর পরীক্ষা এই যে, তছুপরি শীতল জল রাখিলে তাহ ততক্ষণাৎ উঞ্ হইয়া যাইবে। মাঁলাঙ্গ চিন্বযুক্ত উত্তম খড্জোর অন্য এক পরীক্ষা এই যে, তৎপ্রক্ষালিত জল সুগন্ধ ইহার তৃতীয় লক্ষণ এই যে, ইহার উপর তগ্ত জল রাখিবামাত্র শীতল হইয়| যাঁকস। এই খড়গ আবার পিভ্তরোগের ওষধ বিশেষ জীরকাঙ্গ খড়ের দ্বারা ক্ষত হইবামাত্র জর হইয়। থাকে এবং ভ্রমরাঁঙ্গ খড়েগর দ্বারা ক্ষত হইলে তৎক্ষণাৎ তাহার বিলুচিকা রোগ জন্মে? ল[ঙ্গলাঙ্গ খড়ণও উত্তম, পরন্তধ তৎস্পর্শে সর্প মরিয়! যায় মরিচাঙ্গ খড়েগর দ্বার! ক্ষত হইলে শরীরের রক্ত সমুদয় কটু অর্থাৎ ঝাল আম্বাদ হইয়া যায়, এবং ইহার ক্ষালন জলের ঘর! গীনস্‌ রোগ নষ্ট হয়। সর্পফণাঁজ - খঙ্জোর দারা ক্গত হইলে শরীরে বিষ-বিকার উপস্থিত হয়, এবং ইহার স্পর্শমাত্র ভেকেরা' প্রাণত্যাগ করে অশ্ব খুরাঙ্স খড়গও উত্তম, পরস্ত তাহার স্পর্শে অশ্বগণের ব্গেগতি জন্মে এবং তাহা দ্বারা অনেকবিধ রোগ নষ্ট হয়। সর্ষপ পুষ্প চিহ্বযুক্ত থজ্গাও উত্তম। ইহ! এত কোমল যে, ইহাকে কুগুলীকৃত করা যাঁয় এবং ছাড়িয়া দিলে আবার যে সেই হয়, অর্থাৎ ইহাতে স্থিতিস্থাপক গুণ অতি প্রবলরূপে থাকে। মধুর পিচ্ছাঙ্গ খড়ও উত্তম। কোনও সর্প ইহাঁর স্পর্শ সহা করিতে পারে না এবং ইহার দ্বারা ক্ষত হইলে নিরন্তর বমি হয়। ক্ষৌদ্রাঙ্গ খডগও উত্তম। ইহার অন্ত এক লক্ষণ এই যে, সর্ধদাই ইহাতে-মধুমক্ষিকা বসিতে চাহে। মক্ষিকাঙ্গ খোর গাত্রে তৈলনিক্ষিপ্ত করিলে তাহ! তৎক্ষণাৎ শু হইয়া ঘায়। সিংহাঁঙ খড্েগের দ্বারা ক্ষত হইবামাত্র মনুষ্য উন্মত্ত হইয়! পড়ে। তও্ডুলাঙ্গ খজ্জী অতি উত্তম। ইহার পরীক্ষা! এই যে, ইহাতে জল পধু্/ধিত হইলে তাহা ;তখুলোদকের ন্যায় দৃশ্ঠ হইয্কা যাঁয়। মকর পুচ্ছচিহ্নযুক্ত ডোর এই এক অদ্ভুত শক্তি আছে যে, তৎস্পর্শে মতস্ত মাতেই মৃত হয়। নেত্রাঙ্গ খঙ্জোর এই এক আশ্চধ্য গুণ থাকে যে, তৎধৌত জলের দ্বারা রাত্রযদ্ধতা নষ্ট হয়। বিশ্ব ফলাঙ্গ খড়োর পরীক্ষা এই যে, তাহাতে জল রাখিলে তাহা! তিক্তান্বাদ হইয়! যায়। সেই জলের দ্বার! পিত্ৃশ্লেক্সা বিকার নষ্ট হয়। লশ্ুনাঙ্গ খড় ধৌত জলের বার! আমবাত রোগ নষ্ট হয়। প্রোগীশক্ক চিহ্বযুক্ত খড়েগর এই এক মহৎ গুণ আছে ষে, উহ! জলে ভাসে এই খড্া অতি ছুর্লভ। চম্পক পুষ্পাঙ্গ খড়োর জলও তিক্তাম্থাদ হয়। লোম চিহ্নযুক্ত খোর দারা ক্ষত হইলে সর্ধরশরীরে ব্রণ হয়। সিজ, পত্রাকার গাত্র দিজকণ্টকাকার চিহ্ন এরূপ খঙ্জোর দ্বারা ক্ষত হইলে দীচ,

৯২ ভারত-রহন্ত

ভূষ্জ। মৃচ্ছ? হুয় এবং ইহার অন্ত এক আশ্চধ্য ক্ষমতা এই যে, যদি ইহাকে সর্প ফণার উপর স্থাপন কর! যায়, তাহ! হইলে তৎক্ষণাৎ সেই সর্পফণ৷ বিদীর্ণ হুইক্া ায়। এই খঙ্জোর ধৌত জলের দ্বারা কুষ্ঠরোগ উপশাস্ত হয়। বকুলাঙ্গ থড়েগর এই এক অপাধারণ লক্ষণ আছে যে, শাণঘর্ষণের সময় উহা! হইতে বকুল পুষ্পের গন্ধ নির্গত হয়।

এখনকার খড়ে আর সকল লক্ষণ প্রায় দৃষ্ট হয় না। তাহার কারণ আর কিছু না, কেবল লৌহতত্বঙ্ঞ পণ্ডিতের অভাব। লক্ষণাক্রান্ত লৌহ এখন কেহ চিনেন না, স্থতরাং লক্ষপাক্রান্ত খড়ণিও জন্মে না। পূর্বকালের লোকের! সকল বিষয়ে নিপুণ ছিলেন, সন্দেহ নাই। সুতরাং পুরাতন কালের সকল কথ নিতাত্ত অলীক ব। গল্প কথা নহে সে যাহা হউক, শত প্রকার চিহ্বের মধ্যে কোন্‌ কোন্‌ চিহ্ন তৎকালে পররত্যাজা বলিয়া নিণীত হইয়াছিল, সেগুলি9 বল! যাউক।

যবচিহ্ৃ, গোক্ষুর চিহ্ন, শিরা চিহ্ন, উপল চিহ্ন, কাঁকপদ চিহ্ন, কপাল চিহ্ন, তুবরী ফলচিহন, ভূঙ্গরাজপুষ্পচিন্ন, খুর চিহ্ন, জলতরঙ্গ চিহ্ন, মার্জার রোম চিহ্ন, বটারোহ ( বটবৃক্ষেক্র নামনা ব। শিকড়) চিহ্ন, জ্যেন্টী ( গিভ্গিটে ) চিহৃ, জাল- চিহ্ন (শাণ দিলে যদি রক্তবর্ণ শিখ! বহির্গত হয়, তবে চিহনও ভাল বলিয়া গণ্য ), নিশ্চিনব, স্থলধার আঘাত সহ, কর্কন্দু অর্থাৎ বদরী পত্রের পৃষ্টের স্তায় চিহ্ন; খড়ীশাস্ত্ে এই সকল চিহ্ুচিহ্নিত খড়গ পরিত্যাজ্য বলিয়া! উক্ত হইয়াছে পূর্বের যে চারি প্রকার রূপের কথা বলা হইয়াছে, এক্ষণে সে সমুদায়ের গ্রভেদ বর্ণন! করা বাউক। | |

রূপ

নীলরূপ-_ধাঁহার ভূমি অর্থাৎ খে নীলরস, কলায় পুণ্পের কান্তি, গৃগুন অর্থাৎ গাজোর পুম্পবৎ আঁভাধুক্ত, নীলম্‌ বা নীলকাচের স্ত।য় আভাষুক্ত। অথবা! মরকত মণির স্তাঁয় কান্তি,-_তাহার সেই সেই কাস্তির নাম নীলরূপ।

কৃষ্ণরূপ-_-খঙ্জোর ক্ষেত্রে যি কাল মেঘ, মপীরস অর্থাৎ সেহাই, কাঁলসর্পের অন্ন, অন্ধকার, কেশকলাপ, কিম্বা ভ্রমরাকার বর্ণ দৃশ্ঠ হয়, তবে তাহা খড়েগর কষ্চরূপ। |

পিঙ্গলন্বপ--খড়েগর ভূমিতে বা গারে যদ্দি'নব বর্ষার ভেফের রঙ অথবা গেমেদ মণির রঙ প্রতিভাত হয়, তবে তাহ! তাহার পিঙ্গলরূপ।

অসি। ৯৩

ধৃতররূপ-- খড়েগ ধদ্দি অনতিগাট ধূমপটলের কিন্বা শিরীষ পুষ্পের বর্ণ প্রতিভাত হয়_-তবে তাদৃশ বর্ণ তাহার ধূত্ররূপ।

নাগাজুনি বলিয়াছেন যে, উল্লিখিত চারি প্রকার রূপ ভিন্ন মিশ্ররূপও হইয়া থাকে

জাতি।

পুর্ব্বে যে অসির জাতি বিভাগের কথা বল! হইয়ছে, সে সকল কথা এক্ষণে সবিস্তারে বর্ণন কর! যাউক।

বি প্রজাতি-_খডগতত্ববিৎ নাগাজুনি বপ্য়াছেন যে বিশুদ্ধ চিহ্ুযুক্ত, নিশুদ্ধ বর্ণযুক্ত, উত্তম নেত্রধুক্ত, উত্তম ধ্বনিযুক্ত, কোমলম্পর্শ, উত্তম গঠন, উত্তম- ধারযুক্ত খড়গ ব্রঙ্গণ জাতি বলিয়া গণ্য। ইহার দ্বার! 'ত্যল্প ক্ষত হইলেই সর্ববাঙ্গে ঘোর যন্ত্রণা শোথ উপস্থিত হয়। মুচ্ছ্ণ, পিপ।সা, দাহ জরাভিভূত হইয়! শীঘ্রই প্রাণ বিষুক্ত করে। ইহার অন্য এক অদ্ভুত লক্ষণ এই যে, হরিতকী, আমলকী, বহেড়া, এই তিন দ্রধা কুটিত করিয়! তাহা! ধীরে ধীরে উল্লিখিত খড়েশর উপর এক দিবারাত্র রাখিয়া দিলে তাহার কষায় রসে উহা মলিন হইবে ন1, বরং অধিক পরিষাঁর হইবে। ইহাঁর আরও এক পরীক্ষা আছে। যথা নবে।দিত সুর্য কিরণে শুফ তৃণপুঞ্জের উপর এই ব্রাহ্মণজাতীয় অসিকে যদি কিষ়ংক্ষণ স্থাপন কর! যাঁয়, তাহ! হইলে তৃণগুলি দগ্ধ হইয়া যাইবে। এই খড়গ সুলভ নহে ইহা স্বর্গীয়। পৃথিবীর মধ্যে স্বর্গতুল্য কুশদ্বীপ হিমালয় প্রদেশে ইহা কখন কখন পাওয়া যায়।

ক্ষত্রজীতি--ধূমবর্ণ, সারযুক্ত তীক্ষধার, কর্কশধ্বনিযুক্ত, আঘাত সহাকারী,-- এরূপ খঙ্জী ক্ষত্রজাতি বলিয়া গণ্য ইহার দ্বারা ক্ষত হইলে দাহ, তৃষ্ণ); মলমৃত্র খিষ্টস্ত, জর, মুচ্ছ1 মৃত্যুও হইয়া থাকে। ইহা শাণযন্ত্রে ধরিলে বহু বহ্িকণ! নিঃস্হত হয় এবং বিন সংস্কারে দীর্ঘকাল নির্মল থাকে

বৈশ্তজাতি--যাহ! নীল কৃষ্ণবর্ণ যুক্ত, সংস্কার করিলে অত্যন্ত নির্মল হয়, এবং শাঁণ ন। দিলে খর্তা জন্মে না, এরূপ খড়গ বৈশ্তজাতি বলিয়া! গণ্য

শ্দ্রজাতি_ মেঘের ন্ায় বর্ণ, ধার মোটা, ধ্বনি মুছু, সংস্কার করিলেও মলিন যায় না, শাণ দিলেও খরতা! জন্মে না, ক্ষত:হইলে অত্যন্ত বেদনাদায়ক হয় না, এতত্রূপ অসি শূদ্রজাতীয় এবং ইহা দ্বুরে পরিত্যাজ্য

খড়েগ যদি জাতিঘয়ের লক্ষণ দৃষ্ট হয়, তবে তাহাকে জারজ বা দ্বিজাতি খঙ্গ

৯৪. ভারত-রহস্ত

বলিয়। জানিবে। তিন জাতির লক্ষণ থাকিলে ত্রিজাতি এবং উল্লিখিত চারি জাতির লক্ষণ দৃষ্ট হইলে তাহাকে জাতি-সঙ্কর ব্লিয়! গণ্য করিবে

নেও্র।

ইতিপুর্কবে আমর! অদ্দির নেত্র আছে এবং তাহ! ত্রিংশৎ প্রকার বলিয়া উল্লেখ করিয়ছি। এক্ষণে সেই ত্রিংশৎ নেত্র কি? তাহ! পরিফার করিয়া বলিব

নেত্র শব্ের অর্থ অন্ত কিছু নহে, ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের চিহ্ন ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের লৌহ একত্রিত করিয়া অসির গঠন নিষ্পন্ন হয়। তাহাতে অসির কায়ায় ভিন্ন ভিন্ন চিহ্ন ব1 দাগ জন্মে। সেই নকল চিহ্ন বিশ্যের নাম নেত্র। খড়গতত্ব- বিশারদ পণ্ডিতের! বলিয়াছেন যে, নেত্রচিহ্ব ত্রিশ প্রকারের অধিক হয় না। কিরূপ চিহ্ন হইলে তাহা নেত্র বলিয়া গণ্য, তাহা ক্রমণঃ উদ্দান্ৃত হইতেছে।

চক্র--অসি অঙ্গে চক্রাকার চিহ্ব থাকিলে তাহা চক্রনেত্র ইহ শুভ।

পদ্ম--পদ্ম/কার কিম্বা পদ্মদলাঁকার চিহ্রের ন।ম পদ্মনেত্র ইহাও ভ।ল।

গদা- উর্ধগামী স্থল গদাকার রেখার নাম গদা নেত্র।

শঙ্খস্পখড়াগ মধ্যে শঙ্খকার চিহ্ন থাকিলে তাহ। শঙ্খনেত্র।

ডমরু--ডমরু তুল্য চিহ্ন তন্নামক নেত্র

ধন্ুঃ---ধনুরাকার চিহ্ন ধন্থনেত্র।

অন্কুশ-_অস্কুশ ( ডালশ ) সদৃশ চিহ্ন অস্কুশ নেত্র।

ছত্র- ছত্রাকার চিহ্ন ছত্রনেত্র

পতাকা-পতাকাকার চিহ্ন পত।কা-নেন্ত্র।

বীণা-_-বীণাক্কৃতি চিহ্ন বীণা-নেত্র।

ম্স্ত--মত্স্ত কিন্ব। মৎস্তপুচ্ছু চিহ্ন মত্স্ত-নেত্র।

শিব--শিবলিঙ্গাকার চিহ্বী শিব-নেত্র।

ধ্বজ- ধ্বজাকার চিহ্ন ধ্বজ-নেত্র |

এইরূপ অর্ধচন্ত্র, কলস, শুল,ব্যাদ্র-নেত্র, সিংহ, সিংহাসন, গজ, হংস, ময়ূর, জিহব।, দও, থড্গ, মনুষ্য-পুত্রিকা, চামর, শিখা, পুষ্পম(ল1, সর্প নামক নেত্রের লক্ষণ জগত হুইবে। কোন খড়েগর এক নেত্র, কোন খের দ্িনেত্র কোন খঙ্জাী বহুনেত্রও হইতে পারে, ইহাও জানিবে। ৃ্‌

অবিষ্ট ।--এই অরিষ্টও চিহ্ন বিশেষ। য়ে চিহ্ন থাকায় অসি অমঙ্গল ্রদ হয় €সই সকল চিত্তের নাম অরিষ্ট। এই অনিষ্ট চিচ্নু ৩০ প্রকার। নেত্র চিত্রের

সি 5৫

সহিত অরিষ্ট চিহ্নের প্রভেদ জ্ঞান নিতান্ত সহজ নহে। এজন্য অবিষ্ট চিত্রের লক্গণগুলি বিশেষ সতর্কতার সহিত পরীক্ষা! কর! কর্তব্য পরস্ত খড়গশান্ত্রবিশারদ পণ্ডিতেরা বলেন .যে, নেত্র চিত্রের স্থান-নিয়ম আছে, কিন্তু এই অরিষ্ট চিহ্বের কোন স্থান নির্দিষ্ট নাই। খড়েগর যে কোন স্থানে অরিষ্ট চিহু দৃষ্ট হইলে তাহ! পরিত্যাগ করা বিধেয় অবিষ্ট চিহ্নের লক্ষণগুলি এই-_

ছিদ্র।রিষ্ট-_ছিদ্রতুল্য চিহ্ু।

কাকপদ--কাঁকপদাকার চিহ্ন

রেখ1-_উদ্ধ বা তিধ্যক ভাবে রেখা চিহ্ন

ভিন্ন ভাঙ্গা বলিয়া! ভ্রম জন্মে এরূপ চিহ্ব।

ভেকশির- ব্যাঙের মন্তকাকার চিহু

মুষক-_মুষিকার চিহ্নু।

বিড়াল-নেত্র__বিড়ালের চক্ষুর ন্যায় চিহব।

শর্করা-_দেখিতে কিন্ব। স্পর্শ করিলে কাঁকরদার বলিয়! ভ্রম হয়, এরূপ চিন্নু।

নীলী-_নীল রসের দাগ লাগার স্তায় চিহ্ন।

মশক-_মশকাকার চিহ্ন-নিচয়।

ভূঙ্গমা-_-অনেক বিন্দু চিতব বা ভ্রমরপদ চিহ।

সুচী - উদ্ধ বা তির্য্যক্‌ ভাবের সথচিবৎ রেখা চিহ্ু।

বিন্দু-_উপরি উপরি বা অধঃ অধঃ বিন্দু ত্রয় বা বিষম বিন্দু সমুহের পউ.তি চিহ্নু।

কালিকা _ অধঃ অধঃ ত্রিবিন্দু পঙক্তির চিহ্ন

দরী-_-বুস্থানে বিন্দু চিহ্বু।

কপোত--কপোত পক্ষীর পক্ষাকাঁর চিহ্ব।

কাক--কাঁকাকৃতি চিহ্ন

খর্পরাকার-খর্পরাকার চিহ্ন দাগ (খর্পর--নরকপালাকার পাত্র )।

শকল-__থগুলৌহ সংলগ্ন আছে বলিয়া ভ্রম হয়, এরূপ চিহ্ন।

ক্রোড়_ শুকরাঁকার চিহ্ু।

কুশপত্রক--কুশ গুচ্ছাকার চিন্ধ।

জাল- মধ্যস্থল কিন্বা অন্য কোন স্থান নিয় বলিয়া জ্ঞান হয়, এবপ চিন্নু।

করা'ল--অগ্রভাগ দীর্ঘ অথচ পল্লপবিত, এরূপ ব্রেখা চিহু।

কক্ষপত্র--কঙ্ক পত্রাকার চিন্ত (*কঙ্ব--পক্ষী বিশেষ। )

খর্ছুর- খক্দুর-বৃক্ষাকার চিহ্ন

নি ভারত-রূহন্য।

শ্ঙ্গ--গোশ্ঙাকার চিহ্ন |

পুচ্ছ--গোপুচ্ছাকার চিহ্ন।

খনিত্র--খনিত্র ( খন্তা তুল্য চিহ্ন )।

লাঙ্গল--লাঙগলাকাঁর চিহ্ন

বড়িশ_-বড়িশাকার চিহ্ন ( বড়িশ_-মতস্ত বেধন - বড়শী )।

এই সমস্ত অবিষ্ট চিহ্ন উত্তমরূপে বিব্চেন! করিয়া দেখিবেক নচেৎ অবিষ্ট লক্ষণা ক্রাস্ত অসি হইতে ভর্তার বিবিধ বিপদ উখ্থিত হইয়! থাকে

ভূমি

অসির ভূমি আছে এবং তাহা দ্বিব্ধ, ইহা পূর্বে বল! হইয়াছে, পরস্ত তাহার কোন লক্ষণ বলা হয় নাই সুতরাং ভূমি জ্ঞানের নিমিত্ত এক্ষণে তছুভয়ের লক্ষণ নির্দেশ করা যাইতেছে

ভূমি শব্দের এক অর্থ ক্ষেত্র অর্থাৎ কায়া। এস্কলে সে অর্থ বলিবার কোন অভিপ্রায় নাই। উহার দ্বিতীয় অর্থ জন্মস্থান এস্থলে সেই অর্থই প্রতিপাদ্য পরস্ত কেবল খড়েগর জন্মস্থান নহে, লৌহের জন্মস্থানও বক্তব্য উৎপত্তি স্থানের গুণে খড়েগির ষে উত্তমাধম গুণ জন্মে, তাহাই এই ভূমি পরীক্ষায় বক্তব্য

খড়েগর ভূমি দ্বিবিধ। দিব্য ভৌম। স্বর্গ নামক স্থানে যে সকল লৌহ খড়গ জন্মে সে সমস্তই দিব্য এবং ভারতভূমিতে যে সকল লৌহ খড্গ জন্মে সে সকল ভৌম। এই দ্বিবিধ খড়েগর স|মান্ত লক্ষণ এই যে, পুরাকালে দেব্গণ দানবগণ হইতে প্রথমতঃ খঙ্জোর জন্ম হয়। তদনুরূপ খড়গ কোন কোন পুণ্য" স্থানে প্রতিষ্তিত আছে তন্মধ্যে যে সকল খঙ্া স্থুলধার, অত্যন্ত হালকা, নির্মল চিন্ন যুক্ত, সুন্দর নেত্রধুক্ত, অরিষ্টহীন, স্ুরূপ, সংস্কার না করিলেও নির্মল থাকে, দুর্ভেন্ক, ভাঙ্গিলে আর যোড়া দেওয়া যায় না, ধ্বনি উত্তম, যাহার দ্বারা ক্ষত হইলে দহ দ্ধ পাঁক জন্মে--সেই সকল খড়গ দিব্য বলিয়া জাঁনিবে। 'এই দিব্য খঙ্তা প্রাপ্ত হইলে জয় স্তীবৃদ্ধি হয়।

ভৌম খড়ৌর লক্ষণ পরিজ্ঞানার্থ অগ্রে লৌহ জ্ঞানের আবশ্তীক আছে। সে দশ্বন্ধে এইরূপ কিংবদন্তি আছে যে, পুর।কাঁলে মহাদেব যখন ব্ষি ভক্ষণ করিয়াছিলেন তখন সেই ভক্ষ্যমান বিষ, ধিশ্টু বিন্দু ক্রমে দেশে দেশে উৎক্ষিপ্ত হইয়াছিল। সেই দকল বিষ হইতে সেই সেই দেশে কালায়স অর্থাৎ কৃষ্ণ লৌহ বা ইসপাত জন্মিয়া- ছিল। আর তৎপুর্ব্বে যে অমৃত উৎপন্ন হয়, তাহা! দেবতা ক্্তৃক পীত হইয়াছিল,

অসি।

সেই পীয়মান অমৃতের বিন্দু যে ষে স্থানে পতিত হইয়াছিল দেই সেইস্থানে শুদ্ধ লৌহের জন্ম হইয়ছিল। বিষ-জন্ম! লৌহ সকল অত্যন্ত কুষ্ণবর্ণ কর্কশ এ-ল্লৌহ শরীরে প্রবেশ করিলে মুচ্ছা, দাহ, জ্বর, মলমুত্রবিষ্টস্ত, শোথ, হিন্কা বমি উপস্থিত হয়। আর যাঁহা অমৃতজন্মা-_তাহার বর্ণ কর্কুর স্পর্শ মুছ। লৌহের

দ্বারা শরীর দৃঢ়, পালিত্য নাশ, মাঁলিগ্ত নাশ, জর! ব্যাধি বিনাশ হয় এই শুদ্ধ লৌহ বারাণসী, মগধ, সিংহল, নেপাল, অজদেশ, স্ুরাষ্ট্র এবং অন্ত কোন কোন পু্যস্থানে উৎপন্ন হয়। বারাণসী-জাত শুদ্ধ লৌহের দ্বারা যে সকল অসি প্রস্তত হয়, সে সকল অসি সিদ্ধ, তীক্ষধার, সুচিহৃশা'লী, লঘু অর্থাৎ হালকা, সুসংশ্লিষ্ট অভেগ্ভ। মাগধ অসি সকল কর্কশ, স্থুলধার, গুঢ়চিন্বযুক্ত, গুরু অর্থাৎ ভারযুক্ত ছুঃসদ্ধেয়। নেপাল দেশজাত অসি নিশ্চিহ্ন, নিশ্চল, মলিন, লঘু স্ৃলধার-। কলিঙ্গ দেশীয় অসি গুরু অত্যন্ত কর্কণ। সিংহল দ্বীপ জাত অসি চাঁৰি প্রকার হয়া থাকে তন্মধ্যে কোন অপি স্থুচিহ্নযুক্ত, ভারি, কর্কশ ন্সি্ষধার। কোন অনি লঘু, ম্গিপ্ধ স্ুলধার। কোন কোন অসি মিশ্রলক্ষণাক্রাস্ত। ওঁড় কলিঙ্গ, ভদ্র, পাণ্ডি, অযস্কান্ত বজ্ত প্রভৃতি ব্হুপ্রকার শুদ্ধ লৌহ আছে। তন্মধ্যে এ$ মাত্র বব লৌহই অস্ত্রের উপযুক্ত, অবশিষ্ট লৌহ সকল ওষধের উপযে।গী।

ধ্বনি।

ধ্বনি অর্থাৎ শবের দ্বারা খঙ্জোর উত্তমাধম পরীক্ষা হইয়! থাকে দেই ধ্বনি অষ্ট প্রকার, ইহ! পুর্ব্বে বল! হইয়[ছে, কিন্তু কি কি প্রকার? তাহা পরিঞষার করিয়! বলা হয় নাই, এজন্য এস্থলে তাহাও বল! আবশ্তক হইতেছে।

খড়েগর ধবনি প্রথমতঃ দ্বিবিধ। ঘোর ভার। এই ছুস্বের অন্তর্গত প্রথমতঃ ৪।

খড়েগ নখাঘাত করিলে যদ্দি হংসকণঠধ্বনির চায় ধবনি বহির্গত হয়, তাহ হইলে তাহাকে হুংসধবনি বলা যায় হংসধ্বনি-যুক্ত খড়গ উত্তম বলিয়া গণ্য খড়েগ নখাঘাত করিলে যদি কাংস্ত-ধ্বনির স্তায় ধ্বনি বহির্গত হয়, তবে তাহাকে কাংস্যধবনি বলা যায়

অসিতে আঘাত করিলে যদি মেঘগম্ভীর-ধ্বনি উখিত হয়, তবে তাহাকে অন্র- ধ্বনি বলিব ইহাও ভাল

খড়েগ আঘাত করিলে খদি চক্কাধ্ঘনির স্যার রতি বহির্গীত রি সি চক্কাধবনি বলিব ইহাও ভাল

৯৩

৯৮ ভারত-রহশ্ |

অসিতে নখাঘাত করিলে যদি কাঁকশ্বরের স্যায় বিশ্বর বহির্গত হয়, ওবে ত্বাহাকে কাক ধ্বনি বলা যায়। ইহা! অত্যন্ত অধম।

নখাঘাত করিলে যদি তরবারি হইতে বীণাঁধবনির অনুরূপধবনি জন্মে, তাহা হইলে তাহ! তন্ত্রীধ্ঝনি বলিয়! গণা। ইহাঁও ভাল নহে।

নখাঘাত প্রাপ্ত অসির অঙ্গ হইতে যদি গর্দভের ন্যায় ভ্যাদ্ভেদে শব্ষ বহির্গত হয়, তবে তাহার নাম খরধ্বনি। ইহা! অত্যন্ত মন্দ।

আঘাত প্রাপ্ত হইবামাত্র খড়গ হইতে যদি প্রস্তরাঘাত তুল্য ধ্বনি জন্মে, তবে তাঙ্থাকে প্রস্তরধবনি বল! যাইবে ইহাও অত্যন্ত অধম।

কুষ্মানুসুক্মরূপে ধ্বনির তারতম্য বুঝিতে অক্ষম হইলে এই সামান্ত লক্ষণের অনুসরণ করিবে কি? না গভীর তার্ধবনি ভাল, এবং উত্তান মন্ত্রধনি মন্দ। ধ্বনি যদি উত্তম হয়, তবে অন্ত কোন সুচিহ্ন না থাঁকিলেও তাহা গ্রাহ্‌ উত্তম বলিয়! গণ্য যেমন অন্ধ 'ও কুরূপ মনুষ্য সুশ্বর স্ুগায়ক হইলে সে উত্তম বলিয়! মান্ত গণ্য হয়, এবং সর্ধন্ুলক্ষণ মনুষ্যও কুস্বর কুগাঁয়ক হইলে নিন্দ! প্রাপ্ত হয়, খড়ী সন্বন্ধেও সেইরূপ জানিবে। খড়েশর ধ্বনিশ-বিজ্ঞান সম্বন্ধে এইরূপ লিখিত আছে যে, অসিতে নখ, কঠিন ক্ষুদ্র দণ্ড, লৌহ শলাকা, লো কাঁকরের আঘাত করিবে। আঁঘাতটা যেন আল গোচে করা হয়, এবং খড়গকেও যেন অল গোচে রাখ! হয়। অতঃপর তাহা! হইতে যে ধ্বনি উথ্িত হইবে-_সেই ধ্বনির সহিত পূর্বোক্ত পদার্থের ধ্বনির তুলনা! করিবে। ুলনা কর! অত্যন্ত 'হইলে তখন অনায়াসেই ধ্বনির তারতম্য বা গ্রভেদ জ্ঞাত হইতে পারিবে।

মান।

অসির মান অর্থাৎ কায়ার দীর্ঘতা, খর্বতা ওজনের অল্লাধিক্য 'ীভূতি উত্তমাধম গুণের জ্ঞাপক। এজন্ত ছ্বিবিধ পরিমাণের প্রতিও দৃষ্টি করা আবশ্তক।

পরিমাণ প্রথমতঃ দ্বিবিধ। উত্তম অধম। যাহা বিশাল লঘু তাহ! উত্তম-যান এবং যাহ! খর্ব গুরু তাহা অধম-মান। ইহাও আবার ব্রিবিধ। আদি, মধ্য অন্ত্য। যাহার দীর্ঘত! ২৯ মুষ্টি, বিস্তৃতি অঙ্গুলি এবং ওজনে পল, তাহ! মধ্যম যাহা ১২। কি ৯.মুষ্টি আযত, উক্ত মানের এক চতুর্থ ভাগ নিষ্ৃতি এবং ওজনে তত পল, দে খডী ভাল নহে।

অসি। ৯৯. এসন্বন্ধে খজ্জীতত্ববিৎ নাগাজুনি যাহ! বলিয়াছেন, তাহাই খঙ্পোর উত্তমাধম পরিমাণ জ্ঞানের উতৎকষ্ট উপায় যথাঁ--- “যাবত্যো মুষ্টয়েো৷ দৈধ্যে তব্ধীঙ্কুলয়ো যদ! প্রসরে তচ্চতুর্থাংশমিতি ?ব মানমুত্তমম্‌ যাৰত্যো মুষ্টয়ো! দৈর্ঘ্যে 'প্রসরে তৃত্রিভাগকঃ। পলৈস্তদর্দ স্তলিতঃ খড়েগা মধ্য উচ্যতে যাবত্যো মুষ্টয়ো দৈর্ঘ্যে তুর্যযাংশঃ প্রসরৈস্ত তৎ। অধমঃ কীর্তিতঃ খড়গন্তৎসমে।বাধিকঃ পলৈঃ ॥৮ যত মুষ্টি দীর্ঘ, তত অন্গুলির চতুর্থ ভাগ বিস্তৃতি ওজন,--ইহাই খড়ের উত্তম পরিমাণ। যথা (২০ মুষ্টি দীর্ঘ, ২।০ অঙ্গুল বিস্তৃতি ২০ পল ওজন )। যত মুষ্টি দীর্ঘ, তত অর্ধ অঙ্কুলির তিন ভাগের এক ভাগ বিস্তৃতি এবং তাহার অদ্ধ পল ওজন,__ইহ।ই মধ্যম পরিমাণ যথা ২০ মুষ্টি দীখ, অঙ্গুলি বিস্তৃতি এবং পল ওজন যত মুষ্টি দীর্ঘ, তত অঙ্গুলির ভাগের একভাগ বিস্তৃতি এবং তাহার অর্ধ ! সমান ) বা অধিক পল ওজন। ইহ! অধম পরিমাণ। ভোজদেব খড্োর পরিম।ণ[দি সম্বন্ধে অন্তবিধ লক্ষণ ব্যক্ত করিয়াছেন যথা-- “দীর্ঘতা লঘুতা চৈব খরে! বিশ্তীর্ণতা তথা হুরভেদ্যতা সুমুখত খড়গ।নাং গুণসংগ্রহঃ থর্বত। গুরুত। চৈব মন্দতা তনুতা তথ|। স্ভেগ্ভতা দুর্ঘটত। খজ্গা।নাং দোষসংগ্রহঃ ॥৮ দীর্ঘ, লথু অর্থাৎ হাল্কা, তীক্ষ, বিস্তৃত, ছূর্ভেদ্য, স্থগঠন,--এই গুলিই খড়োৌর গুণ এবং খর্ব অথচ ভারি, নরম-ধার্‌, সরু, ভঙ্গপ্রবণ গঠন ভাল নহে»_ এই গুলিই খড়ের দোষ। এই সকল গুণ দোষ বিচার পূর্বক বাজ। গুণযুক্ত অসিই ধারণ করিবেন অসিই বাজাদিগের যুদ্ধ কালের প্রধান সহায়। এজন্য রাজাদিগের বা যোদ্ধাদিগের অসির ধারণ সঞ্চালন ক্রিয়। শিক্ষা অভ্যন্ত করিতে হয়। যুদ্ধ শাস্ত্রের লিখিত ৩২ প্রকার করণ অর্থাৎ সঞ্চালন ক্রিয়। ভ্রমণ মার্গ সকল জ্ঞাত হইয়! তাহা উত্তমরূপ অভ্যস্ত করিতে হয়। বাম হস্তে চন (ঢাল) উদ্যত করিয়৷ দক্ষিণ হস্তে তরবারি ধারণ পূর্বক বিবিধ প্রকার সঞ্চরণ মার্গে অবস্থান

১০ ভারত বহ্স্ত |

করতঃ ছে, ভে, ছিদ্রকরণ, ( ফুটান) বিদীর্ণ করণ প্রোথিতকরণ প্রভৃতির দ্বার! শত্র-বল নষ্ট করিতে হয়। ৩২ প্রকার করণের অর্থাৎ গতির সঞ্চালন ক্রিয়ার নাম এই /-_

ত্রান্তমুদ্ত্রান্তম।বিদ্ধম[প্,তং বিপ্লুতং স্যতম্। সংযাস্তং সমুদীর্ঘঞ্চ নিগ্রহ প্রগ্রহী তথ! পাদ্দাবকর্ষ-সন্ধানে শিরৌ ভূজপরিভ্রমৌ | পাশ পাদ বিবন্ধাশ্চ ভূমুদ্ভ্রমণকে তথা গত প্রত্যাগতাক্ষেপাঃ পাতনোখ্খনকে প্লতম্‌। লাঘবং সৌষ্টবং শোভা স্থিরত্বং দৃঢ়মুষ্টিত তির্যাৃদ্ধ প্রচরণে দ্বাত্রিংশৎ করণান্তথ

[ বৈশম্পায়নোক্ত ধন্ুর্ববেদ |

ভ্রান্ত, উদ্ভা্ত, আবিদ্ধ, আগ্ল,ত, বিপ্লুত, স্যত, সংযাস্ত, সমুদীর্ণ, নিগ্রহ, ১* প্রগ্রহ, ১১ পাঁদাঁবকর্ষণ, ১২ সন্ধান, ১৩ মন্তকভ্রামণ, ১৪ ভুজভ্রামণ, ১৫ পাঁশ, ১৬ পাদ, ১৭ বিবন্ধ, ১৮ ভূমি, ১৯ উদ্ভ্রমণ, ২৯ গতি, ২১ প্রত্যাগতি, ২২ আক্ষেপ, ২৩ পাতন, ২৪ উত্থানক, ২৫ গ্লুতি, ২৬ লঘুতা, ২৭ পসৌষ্ঠব, ২৮ শোভ/, ২৯ স্কৈর্ধয, ৩০ দৃঢ়মুষ্তিতা, ৩১ তিথ্যক্‌্প্রচার, ৩২ উর্ধগ্রচার 1 " কিরূপ কিরূপ ক্রিয়ার উপর এই সকল নাম সংযোজিত হইয়াছে সে সকল বর্ণনার ছার! বুঝা বুঝান যায় না। খড় যুদ্ধের ক্রিয়া গুলি চক্ষে না দেখিলে কেবল নামের দ্বারা উক্ত ক্রিয়। বোধগম্য হইবার সম্ভাবনা নাই। আগ্নেয় ধনুর্বেদেও ৩২ প্রকার খড়গ -ক্রিয়ার উল্লেখ আছে। যথা-_ রাস্তমুদ্ত্রাত্তম।বিদ্ধমাপ্ল,তং বিপ্ল,তং স্যতম্‌ সম্পাতং সমুদীর্ণচ শ্েনপাতমথাকুলম্‌ উদ্ধ, তমবধৃতঞ্চ সব্যং দক্ষিণমেব চ। অনালক্ষিতি বিস্ফোটো করানেন্্রমহারবৌ বিকরালনিপাতৌ বিভীষণভয়ানিকৌ৷। সমগ্রাদ্ধতৃতীয়ংশপাদপাদাদ্ধ চারিজ| প্রত্যালীঢ়মথালীঢ়ং বাঁরাহ্‌ং লুলিতং তথা। ইতি ছ্বাত্রিংশতো জ্ঞয়া খড্াচন্বিধৌ বরণে

দেবযান ১০৩ পূর্বোক্ত নামের মধ্যে কোন কোন নাম ইহাতেও চৃষ্ট হয়। পরস্ত ষে সকল নামের ক্রিয়া পূর্ববোজ্তি নামের ক্রিয়৷ এক রূপ কি তিন্ন রূপ তাহা নির্ণয় করিতে পাঁরিলাম না। ফল, খঙ্গা সঞ্চ।লন ক্রিয়া গুলি গ্রতাক্ষ দর্শন না করিলে প্রকৃত" রূপে বোধগম্য করান যায় ন।। আগ্নেয় ধনুর্ববেদের অন্ত স্থানে লিখিত আছে ধে, কপাণের দ্বার! হরনন, ছেদন, ঘাঁত, বলোদ্ধরণ, আয়তী করণ,_-এই পাঁচ প্রকার কাধ্য হয়। উক্ত ধনুরেরেদে আরও লিখিত আছে যে, অসি রাখিবার স্থান কটিদেশ। “কট্যাং বন্ধা ততঃ খড়গং বামপাস্বীবলঘ্বিনম্‌। দৃঢ়ং বিগৃহা ঝামেন নিফর্ষদ্ক্ষিণেন তৎ |” খড়ীকে বাম পাঁশ্বাবলম্বী করিয়া! কটিদেশে বন্ধন করিবেক | যুদ্ধের সময় তাঁভার কোষ বাম হস্টে দৃঢ় ধারণ করিয়া দক্ষিণ হস্তের ছারা তন্মধা হইতে অসিকে নি্ধাসিত করিবেক এত ছিন্ন পটিশ অসিপুত্রিকা প্রভৃতি ভিন্ন স্থিন্ন খড়েগর কার্য 'আর্্যজ।তির যুদ্ধা্ত্র” নামক প্রবন্ধে প্রকাশিত হইয়।ছে।

দেবযান।

মৃত্যুর পর, বা স্থুল দেহ পরিত্যাগের পর, আত্মা কিরূপে কোথায় যায়? এততপ্রসঙ্গে ভারত-বন্ধু সিনেট সাহেব 1550166170 73801019510 পুস্তক মধ্যে «দেবচান”. শষের উল্লেখ করিয়াছেন এই দেবচান শব্ের প্রকৃত অভিধেয় কি? তাহ! আমাঁদিগের ক্ষুদ্র বুদ্ধির গম্য নহে এবং তাহা কোন্‌ ভাষা হইতে গৃহীত তাহাও জানি না। বৌদ্ধ শান্জ আলোচনায়, দেবচান শব্দ পাই নাই; তবে তিব্বৎ দেশীয় বৌদ্ধ শাস্ত্রে শব্দ থাকিলেও থাকিতে পারে। যদি আধ্য-শাস্ত হইতে শব্দ গৃহীত, তবে তাহার প্রকৃত নাম, “দেবযান”। সংস্কত ভাষায় দেব্যান কি ? তাহ। বর্ণন করিতেছি সংস্কৃত ভাষায় যে দেবযান শব্ষ আছে, তাহার প্ররূত অর্থ কি? তাহ! ক্ষেপে বলিলে মনস্তাষ্টি না হইবারই সম্ভব, সুতরাং আমাকে বাধ্য হইয়া এতৎ বিষয়ক একটা ক্ষুত্র প্রবন্ধ লিখিতে হইতেছে . ংস্কৃত ভাষায় কোন্‌ গ্রন্থে দেবযান শব্দ আছে ? এই প্রশ্নের প্রত্যত্তরে আমরা!

১০২ ভারত -রহন্ত

বলি যে, সমস্ত অধ্যাত্ম শান্জেই শব বিরাজ করিতেছে বৈদিক আরণ্যক, উপনিষদ মহাভারতাদি গ্রন্থের প্রত্যেক রহস্তবিজ্ঞান অংশে শ্রী শবের উল্লেখ দেখা যাঁয়। যথা

“বেখ দেবযানস্ত বা পথঃ প্রতিপদ্বং

পিতৃষানন্ত বা যত কৃত্বা! দেবযানং

পন্থানং প্রতিপদ্যন্তে পিতৃযানং বা।

| আরণ্যকোপনিষদ্‌। বেখ পোদে বধানস্ত পিতৃষানস্ত ব| ব্যাবর্তিন। ইতি | ছান্দোগ্যোপনিষদ্‌ | ভারতবর্ষে যখন অধ্যাত্ম বিজ্ঞানের অতাপিক উন্নতি হইয়াছিল, যে সময়ে

শ্বেতকেতু, যাজ্ঞবন্ধ্য, ব্যাস এবং অন্তান্ত জন্মসিদ্ধ যোগ্সিগণ জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, দেবযান কি? তাহা সেই সময়ের মহাত্মারাই জা।নতেন। তীহাঁদের আর্ষ-বিজ্ঞানের নিকট কিছুই দুজ্ঞেয় ছিল না। মরণের উত্তরকাল, জীবের ভবিষ্যৎ্গতি, আত্মার নিন্মোক্ষ, সমস্তই তাহার! তৃতীয় চক্ষুর ঘার। (ইহ।র নামাস্তর যোগজ প্রজ্ঞা বা দিব্যচক্ষু ) দেখিতে পাইতেন। তাহারা বলিয়াছেন যে মরণের পর, বা স্থুলদেহ পরিত্যাগের পর, যাহারা ংকৃষ্ট জীব তাহাদের উদ্ধগতি হয় এবং যাহারা নিকট প্রাণী তাহার! এই পৃথিবীতেই থকে, তাহাদের আর উদ্ধগতি হয় না, 'প্রত্যুত ক্রমেই তাহাদের অধোগতি হইতে থাকে ধর্মকর্মপরায়ণ শুগ্কাত্মগণের উদ্ধ লোঁকে যাইবার ছুইটী পথ আছে তাহার একটী পথের নাম দেবযাঁন এবং অন্তর পথের নাম পিতৃঘ/ন। ধাহারা অত্যন্ত শুদ্ধাত্ম!, তাহারাই সেই উৎকষ্টতম দেব্যান পথে গমন করেন ; এবং ধাহারা অপেক্ষাকৃত কিঞ্চিৎ মলিন, তাহার! পিতৃধানে আনু হন। দ্েবযাঁন পথে গতি হইলে আর পৃথিবীতে ফিরিয়া আসিতে হয় না, অর্থাৎ মুক্তি হইয়৷ যায়; কিন্তু পিতৃঘান পথে গতি হইলে, ক্রমে নানাবিধ স্বর্লোক ভোগ করিয়া অবশেষে পুনর্ধার এই পৃথিবীতে আসিয়। জরা মরণাদি ভোগ করিতে হয় ধাহারা অত্যন্ত পাপী, অত্যন্ত মলিন, তাহারা এবং যাহারা ক্ষুদ্র প্রাণী তাহ।রা, উক্ত উভয় পথের কোন পথেই যাইতে সমর্থ হয় ন1। কেনন! তাহাদের উদ্ধ-গতি-শক্তি নাই, সুতরাং তাহার! এই স্থানেই জন্মিয়া মরণের পর পুনরায় এই স্থানেই বৃষ্ষান্থুরের ন্যায় উৎপন্ন হুইয়! ধ্বংস প্রাপ্ত হয় অন্ত কোন লোকে তাহাদের গতি হয় না। সেই জন্তই খধিরা এই পৃথিবীকে দেব্যাঁন ও. পিতৃয।ন ভিন্ন শ্বতন্ত্র একস্থান অর্থাৎ তৃতীয় স্থান বলিয়া কীর্তন করিয়াছ্ছেন।

দেবযান। ১০৩

বেদে ( আরণ্যকে উপনিষদে ) এততসন্বন্ধে একটী ক্ষুদ্র আখ্যায়িক আছে, তাহা বলিতেছি। অরুণ নামক খধির পৌল্র, শ্বেতকেতু নামক জনৈক খধিকুমার, পিতার নিকট অধ্যয়ন সমাপ্ত করিয়া আপনার বিগ্যাখ্যাতি বিস্ত/রার্থ, পঞ্চাল দেশীয় রাঁজসভায় গমন করিলেন সভাসদ্গণকে বিছ্যাবদে পরাভূত করিয়া অবশেষে রাজ।কে পরাজয় করিবার উদ্দেশে তাহার সমীপগামী হইলেন। রাজার নাম প্রবাহণ এবং তাঁহার পিতার নাম জীবল। রাজা প্রবাহণ ইতিপূর্বে খষিকুমারের বিদ্যাগর্ষের কথা শুনিয়াছিলেন, এক্ষণে তিনি আগমন মাত্রেই কুমারকে “ওহে বালক!” এতন্রপে সাঁবজ্ঞ সন্বে(ধন করিয়া বলিলেন, "তুমি তোমার পিতার নিকট শিক্ষিত হইয়া ?”৮ শ্বেতকেতু বলিলেন, “হা আমি শিক্ষিত হইয়াছি। যদ্দি তোমার কোন্‌ জিজ্ঞাস্ত থাকে ত, তাহা বলিতে পার।” প্রত্যুত্তর শুনিয়া, রাজা বলিলেন»-_ “বেখ যথেমাঃ প্রজাঃ প্রযাত্যেবি প্রতিপন্যন্ত। ইতি ?” এই সকল প্রজা মরণের পর যেরূপে যেখানে গমন করে. তাহা তুমি জান? *“নেতি হোবাঁচ।” শ্বেতকেতু কহিলেন, না, “তাহ! জানি না “বেখ যথেমং পুন্রাপদ্যন্তা ইতি ?” আচ্ছা, যেরূপে এই লে|কে পুনরাগত হয়, তাহা জান? «নেতি হৈ বোবাচ।” “বেখ যথা লোক এবং বন্ুভিঃ' পুনঃ পুনঃ প্রযডিরসম্পূর্ধ্যতা ইতি ?” বার বার বুজীব জন্মিতেছে, মরিতেছে; তথাপি সে লোক লোক পরিপূর্ণ হয় না কেন তাহ জান ? “নেতি হো বাঁচ।” *বেখ যতিথ্যাং আহুত্যাং হুতায়াঁং আপঃ পুরুষঃ বাচো ভূত্বা সমুখায়ো! ভবস্তীতি 1” আপ অর্থাৎ হোমীয় দ্রব্য সকল কতবার আহত হইয়া অবশেষে পুরুষাঁকারে পরিণত হয়, তাহ! তুমি জান ? «নেতি হৈ বোবাচ।” আমি তাহাও জানি না। “বেত দেবধানস্ত ব। পথঃ প্রতিপদ

৯5৪ ভারত-রহগ্ত |

পিতৃযানস্ত বা যত্রুত। দেববানং বা পশ্থানং প্রতিপদ্যন্তে পিতৃধাঁনং ব1 ?”% .' জীব যে-কন্দ্ম করিলে দেবযানপথে ব1 পিতৃানপথে গমন করে, তাহ! জান? “নাহ মত একঞ্চ না বৈদিক্তি হোবাঁচ'” এই পাঁচ প্রশ্নের একটীও জানিনা “অথমু কিং অনুশিষ্টোবোচথাঃ যোহি ইমান্‌ নবিদ্ভাৎ কথং অনুশিষ্টে।(হহমিতা ব্রবীৎ ?” তৰে তুমি কি হেতু বলিলে আমি শিক্ষিত হইয়াছি? যে ব্যক্তি এই সকল কথা জানে না, সেকি প্রকারে বলিতে পারে যে, আমি শিক্ষিত হইয়াছি? অতঃপর এতত্রপ সতিরস্কার বাঁক্যে লজ্জিত দুঃখিত হইয়া শ্বেতকেতু পুর্ধার পিতার নিকট গমন করিলেন এবং তাহাকে বলিলেন, “আপনি আমাকে কিছুই উপদেশ করেন নাই; অথচ বলিরাছিলেন, “আমি তোমাকে সমস্ত জ্ঞাতব্য উপদেশ করিলাম। আমাকে যে উত্তমরূপ শিক্ষা দেন নাই, তাহার প্রমাণ এই ষে, সেই দুবৃত্ত রাজা আমাকে পাঁচটা প্রশ্ন করিল আমি তাহার একটিরও সিদ্ধান্ত করিতে পারিলাম না1”” অন্তর তাহার পিতা ন'ললেন “বৎস, এই পাঁচ প্রশ্রের সিদ্ধান্ত আমিও জ্ঞাত নহি। জ্ঞাত থাকিলে অবশ্তই আম তাহা তোম।কে বলিতাম।” এই বলিয়া, তিনি সেই প্রবাহণ রাজার নিকট গমন করিলেন। রাঁজ। প্রবাহুণ মান্ততম খষিকে সমাগত দেখিয়া বখোচিত পুজা করিলেন, অনন্তর বলিলেন, “মহ্র্ষে! আপনি মনুষা ব্যবহার্য প্রচুর ধন প্রার্থন। করুন|” খাব বলিলেন “রাজন! তোমার মাজ্ষধন তোমার থাকুক, আমার তাহাতে প্রয়োজন নাই। তুমি যে আমার পুজ্রের নিকট প্রশ্ন করিয়ছ, তাহার প্রত্যুত্তর কি, কেবল তাহাই আমি জানিতে ইচ্ছ! করি অতএব তাহাই তুমি আমাকে উপদেশ কর।* রাজা এই কথা শুনিয়া মনে করিলেন, ব্রাঙ্গণকে প্রত্যাখ্যান করা যাঁয় না, সুতরাং বলিতেই হইবে। কিন্তু ইহা স্তায়পূর্ববক বলা! উচিত। ইহা ভাবিয়া তিনি বলিলেন, “তবে এখানে থাকিয়া! কিছুকাল ব্রহ্মচ্ধয করুন,

এলপি সাপ কাল

বিসিসি পি পাপ

* ছান্দোগা রিতে এই প্রশ্নটি অন্ত প্রকারে উক্ত হইয়াছে যথ।--“ঘেখ পথে দেবযা নস পিতৃহানন্তব। ব্যঘর্তল। ইতি ।” অর্থাৎ দেবযান পথ পিতৃখান পথ যে স্থানে গ্রিয়া বিচ্ছিন্ন হইয়াছে, তাহ! তুষি জ্ঞাত আছ 1? একসমনে ছুই ব্যক্তি ইহলোক ত্যাগ করিল, পরস্ত গমনকাঁলে তাহার . একজন দেবধান পথে অন্জন পিতৃযান পথে ধার ফৈন তাহ! জান? কোথা হইতেই ঝা তাহার! - পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয় তাছা জান! | |

দেবযান ১০২

ততপরে বলিব। একাল পর্যান্ত এই বিগ্ভা কেবল ক্ষত্রিয় জাতির মধ্যেই দিল, ব্রাঙ্মণের। ইহা জানিতেন না। আজ হইতে ইহা ব্রাঙ্গণের! জানিবেন, ইহ! বিবেচনা করিয়া আমার প্রতি আপনি অবশ্যই উক্ত বাক্যের নিমিত্ত ক্ষমা করিবেন ।” অনস্তর রাজা ঘথোচিত কালে খধষিকে আহ্বান পূর্বক প্রত্যেক প্রশ্রের সিদ্ধান্ত উপদেশ আরম্ভ করিলেন। সই সকল উপদেশ মধ্য হইতে আঁমব৷ কেবল “দেবধান”” পথটা সংগ্রহ করিলাম। অন্ত গুলি সেই স্থলেই থাকিল। রাজা প্রবাহণের মতে, দেবযান আর দেবলোক-প্রাপক পথ তুল্য কখা। সেই রূপ পিতৃধান আর পিতলোক-প্রাপক সমান ছুই পথের মধ্যে দেবযান পথটী বিবৃত কর! গেল যে চামী অরণ্যে শ্রদ্ধাং সত্যমু- পাসতে তে অচিরভিসম্ভবস্তি | অচিষোহহঃ | অহন আপুর্যযমাণ-

পক্ষম্‌। আপুর্য)মাণপক্ষাৎ মাসান্‌। ষন্মাসাং উদ্ক্‌ আদিত্য এতি তান্‌

মাসান্‌। তেভ্যো মাসেভ্যে। দেব- লোকং। দেবলোকাদাদিত্যম্‌।

আদিত্যাৎ বৈছ্যতম্‌। তান্‌ বৈহ্য- নান্‌ পুরুযষোহমানস * এত্য বঙ্গ

লোকান্‌ গময়তি | তেযু ব্রহ্ম লোকেষু পরাঃ পরাবতো৷ ভবস্তি

তেষাং পুনরাবৃত্তি এষ দেবযানঃ পদ্থাঃ |” এই শ্রুতির সংক্ষেপার্থ এই যে, যাহারা এই শরীরে জ্ঞান উপার্জন করিয়া- ছেন, ধাহার পরিব্রাজক অথবা বানপ্রস্থ ধর্মাবলম্বী হইয়া! তক্তি শ্রদ্ধা সহফারে মরণাস্ত পর্ষ্যস্ত সত্যের অর্থাৎ ব্রন্মের উপাসনায় রত হন, তাঁহারাই স্থল দেহ পরিত্যাগের পর, গ্রথমতঃ অচি নামক দেবতার অভিমুখে উপস্থিত হুদ অর্চি- দেবতা উত্তর মার্গ অর্থাৎ প্রেতাত্মার উত্তরদিক্‌ গমনের পথ বিশেষ অনস্তর তিনি তথ৷ হইতে অহঙ্দেবতার নিকট গমন করেন পরে অহর্দেবতা তাহাকে

সক পা পিক আপ আম পর পর ্াপখ উপ শি

পপ

“« ছজণগ্য আুতিতে মানস: পুরুষ; এভৎ পক্গিযন্ত আমনধঃ পুরুধঃ এগ্ডজপ পাঠ জাচছে। ৯৪

১৯ ভারত-রহস্ত) |

শুরু পক্ষাভিমাঁনিনী দেবতার নিকট সমর্পণ করেন। ক্রমে গুরুপক্ষ দেবত। তাহাকে বহন করতঃ নুর্য্যের উত্তরায়ণ গতির অধিষ্ঠাত্রী দেবতাগণের নিকট সমর্পণ করেন। উত্তরায়ণ মাসের সংখ্যান্ুসারে তাহাদের অধিষ্ঠাত্রী দেবতার ্যা হয়। অনন্তর তিনি সেই গমন দেব্ত! কর্তৃক অতিবাহিত হইয়৷ দেবলোক

প্রাপ্ত হন। দেব লোক হইতে আদিত্য লোক এবং তথ! হইতে তিনি বিদ্যুৎ লৌকে গমন করেন। বিদ্রাৎ লৌকে গমন করিলে পর, ব্রহ্ষলোকবাসী অমানব পুরুষেরা আগমন করতঃ তাহাকে সেই অক্ষয় অব্যয় ব্রহ্চলোকে লইয়া বাঁয় | * 'অনস্তর তিনি সেই স্থানে থাকিয়া ক্রমে সমধিক উৎকর্ষ লাভ করিতে থাকেন এবং অনেক কল্লাস্ত কাল বাঁস করেন।

ইহলোক হইতে ব্রহ্গলৌক গমনের যেরূপ ক্রম প্রদর্শিত হইল, মৃতাত্ার উন্নতির ব৷ উর্ধ গমনের সেই ক্রম-পারিপাট্যের নাম দেবযান। ইহার অন্ত নামও আছে। “অর্টি মার্”, “উত্তর মার্গ”১ “উত্তরগতি”, “উত্তরপথ”, “দেবমার্ণ”, ইত্যাদি।

ধাহারা কেবল যাগ, ষজ্ঞ, দান পুজা করেন, ধাহারা অধ্যাত্ম তত্বে অনভিজ্ঞ, ধাহারা পাপক্ষয়ার্থ কোন তপশ্চর্য্যা করেন না, পথটি তাহাদের জন্য নহে। কে।ন কালেই তাহারা পথে যাইতে পারেন না। তীহাদের জন্য দক্ষিণ মাগ অর্থাৎ পিতৃযান পথ নির্দিষ্ট আছে।

দেবধান পথে ব। উত্তরমার্গে আরূঢ় হইলে, তাহার। আর পৃথিবীতে প্রত্য- বর্তন করেন না। ইহ সংসারে আর তাহাদের জন্মগ্রহণ করিতে হয় না। কিন্ত ধাহার! দক্ষিণ মার্গে অর্থাৎ পিতৃযান পথে আরোহণ করেন, তীহারা ক্রমে চন্দ্র- লোক প্রভৃতি দেবলোক ভোগ করিয়া পুনব্বার এই পৃথিবীতে আসিয়৷ জন্মগ্রহণ করেন। আর যীহারা কোন প্রকার সতকর্মের অনুষ্ঠান করেন না,

পপ পপ পাপী পশিপ

পপ পপ পক পিপল পিট | পাপা পপ

পন সিস্টার কলা

*' খুষির| লেন যে, ব্রঙ্গলোকে ছুই শ্রেণীর অমীনব পুরুষ বাস করেন। বাহার জ্ঞান বলে, বিদ্যাবলে, তপন্তাবলে মাহীত্্য লাভ করিয়। তথায় গমন করেন, তাহার! ভিন্ন অন্ত এক শ্রেণীর অমানধ পুরুষ আছেন। তাহারা ব্রহ্মার মানস সষ্ট এবং নিত্যোদিত'মাহাত্ম্য অর্থাৎ ইহারা প্রাপ্ত- মহান্ব্য নহুন। তাঁদৃশ মাহাত্ম্য তাহাদিগের স্বতঃ সিদ্ধ

ছান্দো নয স্তাঙ্গণের মতে ধাহারা প্রাপ্তমাহাত্সা ; কপিলের মতে তাহার! দিদ্ধ-আত্ম! | থরে” সফিষ্ট ভ্রাতৃগণ বোধ হয় ইহাদিগকেই 4১06 1310115675 বলিয়া উল্লেখ করিয়া থাকেন। বিদ্যুৎ লোকে, অন্ভাবপক্ষে আদিত্য লোকে ন। যাইতে পারিলে ত্রচ্মলোকবাসী অমীনব পুরুষের সফি সাক্ষাৎ হুইবার সন্ভাবন! নাই তন্িম্বব্তী লোকে থাকিলে বা সিদ্ধাজ্মগণের নাহত ইহ্যলাফের যোগী পুরুষের সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবন! আছে।

দেব্যান ১০৭

আপনার আধ্যাত্মিক বল বা ক্ষমত। বৃদ্ধি করেন না, তাহার! উল্লিখিত ছুই পথের কোন পথই দেখিতে পান না তাহারা উক্ত পথগ্বশ্ন-ভ্রষ্ট হইয়! অনস্ত কালের জন্য এই স্থানেই-_-এই পৃথিবীতেই “শ্ষুত্রাণ্যসক্প্াবন্তীনি ভূতানি ভবস্তি'” ক্ষুদ্রতম প্রাণী হইয়া বাঁর বার জন্মেন বার বার মরেন। “ষ এতো পন্থানৌ বিছুঃ তত কীটাঃ পতঙ্গাঃ যদিদং দর্দশৃকম্‌* উক্ত উভয্ন পথ ভ্রষ্ট জীবেরাই এই পৃথিবীতে কখন কীট, কখন পতঙ্গ, কখন ব! দংশ মশকাদি রূপে জন্মিতেছে। ইহাদের পুনরদ্ধার ছুর্লভ। উদ্ধার ভয়! দুরে থাকুক, বরং ক্রমে “অনন্দ৷ নাম তে লোকা অন্ধেন তমসা বৃত12% তাহারা এমন নিম্ন লোকে যাইতে থাকে যে, সে সকল লোকে কিছু মাত্র আলোক, কিছু মাত্র জ্ঞান, কিছু মাত্র আনন্দ নাই,__নিরস্তরই সে সকল লোঁক অন্ধতমসে আবুত আছে সেই সকল পাপী আত্মার তামিশ্র, অন্ধতামিশ্র, রৌরব, মহাঁরৌরব, কাল স্রত্র, সঞ্ীবন, অবীচি মহাবীচি প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন নরক লোকে যাইতে থাকে, কিছুতেই তাহাদের নিস্তার নাই অতএব 'আঁমাদিগের, কেবল আমাদিগের নহে, প্রত্যেক মনুষ্যেরই সদা সর্ধদা সৎকর্ম রত থাক উচিত এই ভুর্লভ মানব জন্ম পাইয়া যদি আমর! আত্মোৎকর্ষ সাধন করিতে না পারি, উপাসনাদির দ্বারা আত্মার উৎকৃষ্ট শক্তি আহরণ করিতে না পারি, তাহ! হইলে আমাদিগের নিশ্চয়ই সেই অনন্দলোকে যাইতে হুইবে। এই হুর্লভ্য জন্ম পাইয়। যদি জন্মোচিত কার্যে পরাঁছ্ছুখ থাকি, কেবল পাঁশব পরিতুপ্তির জন্ট ব্যাপৃত থাকি, তাহা হইলে আর আমাদিগের জরা মরণাি যন্ত্রণাময় সংসার হইতে উত্তীর্ণ হইবার সম্ভাবন1 থাকিবেক না। |

শস্পীপাপপাটিলি | শি পপ সা পিশাশী

এই প্রধন্ধ বহরমপুর ঘিওসফিকেল সভার বাঁধিক অধিধেশনে পঠিত হইয়াছিল

রাজসুয় যজ্ঞ

রাজস্য় ষজ্ঞে সাধারণের অধিকার নাই। ইহ! গুণবান্‌ ধনবান্‌ ক্ষত্রিয় রাজা ভিন্ন অগ্ঠের অসাধ্য। কি প্রকার গুণসম্পন্ন রাঁজা যজ্ঞের অধিকারী হইতে পারেন, তাহ! মহাভারতের সভাপর্ব্রে সবিস্তরে বর্ণিত আছে।

শতপথত্রাঙ্গণে এই যজ্ঞের বিশেষ ব্যবস্থা আছে তন্মতে ইহার প্রধান অঙ্গ ইত্টি, পপ, সোম দবর্কী হোম। অগ্রে পবিত্র নামক সোম-যাগ, পরে অভি- ষেচনীয় যাগ, তৎপরে দশপয়যাগ কেশবপনীয়, তদনন্তর বৃযুষ্টি, তৎপরে দিরাত্র গ্লবং অবশেষে ক্ষত্রধৃতি নাঁমক যাগ

এই সাতটা যজ্ঞের সমষ্টিই রাজন্থয়। ''যো রাজস্য়েন যজতে দেবস্থষ্টোব৷ এস যজ্জঃ ক্রতুঃ--” ইত্যাদি ক্রমে চতুর্থ, পঞ্চম ষষ্ঠ কাণ্ডে বিবৃত আছে। এতদমুসাঁরে কাত্যায়ন শ্রৌতস্থত্রে রাজসুয়ের বিশেষ ব্যবস্থা বিধিবদ্ধ হইয়াছে যথা-_

“রাজ্ঞোরাজসথয়ঃ, ৫১) অর্থাৎ রাজস্য় যজ্জে রাঁজারই অধিকার “অনিষ্টি- নোবাজপেয়েন”'। (২) তাৎ্পর্য্য এই যে, ধিনি বাজপেয় নামক যজ্ঞ করেন নাই তিনি এই যজ্ঞের অধিকারী। “ইষ্টিসে'মপশবে ভিন্নতন্ত্রাঃ কালভেদাৎ” | 0৩) আন্ুমতি প্রভৃতি ইঞ্টি নামক যাঁগ, পবিত্র নামক সোমযাঁগ, পশুযাগ, এই যজ্ঞে ভিন্ন ভিন্ন কালে বিহিত আছে। ইত্যাদি।

আপক্তত্বস্থত্রে ইহার বিস্পষ্ট বিধি আছে “রাজা শ্বর্গকামোরাঁজন্থয়েন যজেত” অর্থাৎ স্বর্গকামী রাজা রাঁজহুয় নামক যজ্ঞ করিবেন।

অথর্ববেদের বৈতানস্ুত্র সপ্তম অধ্যায়ের প্রারন্তে ১৩টী সুত্র দারা ইহাঁর সক্ষিপ্ত ক্রম নিরণীত আছে! যথা-_

“অথ রাজসথয়” (১) “তৈষ্যাঃ প্ুরস্তাৎ পবিত্র! ৫) পৌষী পূর্ণিমার পূর্বে পবিত্র নামক সোমযাঁগ “মাসাস্তরেযু দশসংস্মপঃ” (€৩) মাসাস্তরে দশসংস্প নামক কাধ্য ।-“মাঘ্যাং অভিষেচনীয়ঃ৮ (৪) মাঘী পুর্ণিমাঁয় অভিষেচনীয় যাগ। “মরুত্বতীয়াছাহস্পত্ো্টি১” ৫) মরুত্বতীয় নামক কার্যের পর বৃহস্পতিসব নামক যাগ। “হবির্ধানযোঃপুরস্তাদৈযাপ্রং চন্দ” €৬) হবির্ধান নামক মণ্ডপের সম্মুখে ব্যাপ্রচন্ম স্থাপন। ইত্যাদি-_

রাজহুয়-যন্ঞ ! ১০৯

ফলতঃ এই যজ্ঞে বেদবিহিত হোম বলিদানাদি বারা দেবগণের পুজা, দ্যুত ক্রীড়া, দিখিজয়, শুনঃশেফীয় উপাধ্যান শ্রবণ, * পঞ্চবিধ সোম যাগ,+ প্রভৃতি অনেক গুলি ক্রিয়ার অনুষ্ঠান হইত। সুতরাং ইহ! বহুদিন সাধ্য

“পবিত্র” নামক সোমযাগটী ইহার প্রথম অঙ্গ। ইহ! বিধানানুসারে সমাপ্ত হইলে “্চাতুমান্ত'” যাগ করিতে হয় পরে ““দেবিকা” নামধেয় ইষ্টির অনুষ্ঠান, তৎপরে “অরত্বিহোম” নামক হোম করিতে হয়। এই সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যাগ স্বতন্ত্র প্রস্তাবে বিবৃত করা যাইবে )1 তৎপশ্চাৎ অভিষেচনীয়” নামক সোম- যাগ অন্ুঠিত হইয়া থাকে $ এই দিবসে সমুদ্র, নদ, নদী, পুণ্য সরোবর, পুণ্য হুদ, এবং বিবিধ তীর্থ হইতে জল আনীত হইয়া, তন্বারা চারি প্রকার কাষ্ঠময় পাত্র মন্ত্রপাঠি পূর্বক প্রপূরিত কর! হয়। পাত্রচতুষ্টয়ের মধ্যে একটি পলাশ কাষ্ঠের, একটি উড়ম্বর কাষ্ঠের, একটি অশ্ব কাষ্ঠের এবং একটি বট কাষ্ঠের দ্বার। গঠিত। এই তীর্থজল-পরিপুরিত চারিটা কাষ্ঠ-নির্মিত কলস চাতুরব্য সভার চারি দিকে স্থাপিত করা হয়। $

সভার মধ্যস্থানে থদির কাষ্ঠের অথব! উড়,ম্বর কাষ্ঠের মঞ্চ, তাহা! ব্যাপ্িচর্মের দ্বারা আচ্ছ।দিত এবং তদুপরি স্ুবর্ণ-নিন্মিত ফলক বা গীঠ স্টস্ত করিয়া তাহার উপরে সহত্র-ছিদ্র-যুক্ত এক সুবর্ণ কলস ( অভিষেকের নিমিত্ত ) স্থাপন করা হইত।

অনস্তর “একা” নামক পুরোহিত যজমানকে আগম্ী্র মণ্ডপের বাহিরে আনিয়া

চল পপ পপি পাপা পাপ শা পপ পপ পপ পাপা

& এই উপাখ্যান ধগ্বেদে আছে। তাহা পুনরায়ঃব্যাসদেব মহাভারতে ধিস্তার রূপে বর্ণন করিয়াছেন।

+ পধিত্র, চাতুন্বাস্য, দেবিক1, অরত্তি হোম এবং অভিষেচনীয়।

1 এই দ্বিবসে অর্থ দ্বারা সমাগত র/জগণের সৎকার করা হয়। ইহা “ততো ইভিবেচনীয়েইস্ছি ্রাহ্মণ। রাজভিঃ সহ। তঞ্চবেদীং প্রবিবিশুঃ সৎকারার্হ। মহ্র্যয়ঃ।” ইত্যাদি ক্রমে সতাপব্বায অর্থ্যাহরণ পর্বে উল্ত হইয়াছে এই উপলক্ষে শিশুপাঁল বধ হইয়াছিল।

$ রাজশুয় সভাগ্ন চারি বর্পেরই আগমন হইত। মহাভারতের বর্ণন। দৃষ্টে বোধ হয়, এই ঘজ্ঞে বন্ধিঝু অন্ত্যজ বর্ণেরাও স্ভ1 প্রবেশ করিত। যথা--“আমন্ত়ধ্ং রাষ্টেযু ত্রাক্মণান্‌ ভূমিপানথ। বিশশ্চ মান্তান্‌ শৃত্রাংস্চ সর্ব'ননিয়তেতি চ।” পুরুষশ্রেষ্ঠ যুধিষ্টির মহাঁত্বা সহদেবকে অনুমতি করিলেন, তুমি “রাজ্যন্ত ব্রাঙ্গণ, ক্ষত্রিয়, বৈগ্ঠ এবং মানাহ' শৃত্র সকলকে আমন্ত্রণ কর এবং আনয়ন কর” ইহা। বলিয়া দিলেন এবং দেশে দেশে দূত প্রেরণ করিলেন

১১৩ ভারত-র্গ্ত

কতকগুলি মন্ত্র পাঠ করাইতেন। সে সকল মন্ত্র কৃষ্ণ যজুর্ক্বেদের কাস্তীয় প্রপাঠকের ১২ অনুবাঁকে উক্ত আছে। তাহার একটা মন্ত্র এই--

মাতৃত মান্বস্তঃ ক্ষত্রস্তোলমসি ক্ত্রস্ত

মারিয়া রা রজার যোনিরন্তাবিস্নো অগ্নরিগু পি রাবিনন ইন্ো

| | | | বৃদ্ধশ্রবা আবিন্নঃ পৃষা বিশ্ববেদা আবিনৌ

| ] মিজরাবরুণাবৃতাঁবুধ[বাঁবিন্লে। ইত্যাদি

| |

ইহার তাৎপর্ধ্যার্থ এই রি অগ্নি যেমন যজ্ঞের ছারাই গৃহপতিত্ব প্রাপ্ত হইয়া- ছিলেন, ইন্দ্র যেমন ষজ্দের ছার! পূর্ণকীন্তি হইয়াছেন, পুষাদেব যেমন সর্বশিল্পজ্ঞানী, মিত্রাবরুণ নামক দেবতাদ্য় যেমন সত্যসন্ধ, পৃথিবী যেমন ধাঁরণ-শক্তি-সম্প্র। এবং অদ্দিতি যেমন সর্ধদেবন্বরূপিণী অর্থাৎ সর্ধদেব-মাতা হইয়াছেন, সেইরূপ অমুক রাজার পুত্র, অমুক রাজার পৌত্র, অমুক নামা এই যজমান, এই যজ্ঞের দ্বারা এই রাজ্যের সমস্ত প্রজার উপর মহাধিপত্য মহারাজ্য প্রাপ্ত হইলেন এবং এই রাজ্যের মধ্যে মহাকুন্ত্ব লাভ করিলেন।

স্বর সহকারে মন্ত্র পাঠ সমাপ্ত হইলে পর, রাজা হার অভিপ্রেতার্থ প্রকাশ করত বলিতে থাকেন যে, “বজ্ঞফলদাতু* পরমেশ্বরস্ত প্রসাদফলমিতি ভবস্ত্যঃ হুচয়ামি নত্বহং গর্বোক্তিং ভণামীতি বিদস্তু ভবস্তঃ' অর্থাৎ আমি গর্বোক্তি করিতেছি না; ইহা যজ্ঞফলদ্াতা পরমেশ্বরের অনুগ্রহের ফল, আমি ইহাই আপনাদ্িগকে জ্ঞাত করিতেছি

যাগপ্রবৃত্ত রাজ! এইরূপ বলিলে, তুক্ষা নামক খত্বিক সভাস্থ ক্ষত্রিয় প্রভৃতি ব্যক্তিসমূহকে সম্বোধন করিয়া বলিতে থাকেন»--ভে! ভারতাঃ অয়ং বঃ দর্কেষাং রাজা সোমোহম্মাকং ব্রাঙ্গণানাং রাজা 1” হে ভারতবাসিগণ ইনি আপনাদের সকলেরই রাঙ্গা, সোম (লতা) মাম।দের সকল ব্রাহ্মণের বাঁজা *

ধ- ইহাতে একটি গু অভিপ্রার বাক্ত হইতেছে! রাজ! রাঁজন্থয় যজ্ঞ দ্বারা সকল প্রজার উপর আধিপতা লাভ করিলেন কিন্তু ব্রাঙ্গণের! | তাহার অধীনত্ব স্বীকার করিলেন না এবং তাহাই ভাহারা কৌশল দ্বার! সভাস্থলে বাক্জ করিলেন।

রাজহুয়-ষজ্। ১৯১

অনন্তর রাজ। দিপ্বিজয়ার্থ গমনের ইচ্ছ। প্রকাশ করেন। * সমস্ত খত্বিক একত্রিত হইয়া যজমানের সর্বত্র রক্ষা এবং জয়াশীর্র্বাদ-সচক বৈদিক কাধ্যের অনুষ্ঠান করেন। অগ্রে অগ্নি প্রভৃতি দেবতার উদ্দেশে হোম, পরে তাহাদের নিকট প্রার্থনা, তৎপরে আশীর্বাদ দেবতা-প্রসন্নত1”বোধক কতিপয় বেদমন্ জপ করেন।

'এই কার্যের পর যজমান পত্বী-দমভিব্যাহারে পূর্বেলিখিত ন্নানপীঠে উপবিষ্ট হন। পরে “অধ্বর্ষ,” প্রভৃতি ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় প্রভৃতি সভাষদ্বর্গ একত্রিত হইয়! পুর্ববোস্ত জলপুর্ণ পাত্র গ্রহণ পূর্বক এক সহত্ছিদ্র অভিষেক-পাত্র ছারা তাহাকে অভিষেক করিতে থাকেন। এই অভিষেকের কতকগুলি বৈদিক মন্ত আছে, অনাবশ্তক (বিধায় তাহা এস্থানে উদ্ধত করা হইল ন!।

অভিবেক সমাপ্ত হইলে রাজা বিভব অনুস।রে বস্ত্র, মাল্য আভরণে ভুঁষিত হইয়া, যদি শত্রু থাকে তবে তাহ!কে জয় করিতে ইচ্ছুক হন এবং যে দিকে তাহার শত্রু বাস করে, সেই দিক লক্গা করিয়া সসৈম্তে গমন করেন। যুদ্ধ ঘটিলে তাহাকে জয় করিয়া মহাসমারোহে নিজ রাজধানীতে আনয়ন করেন। (শক্র ন! থাকিলে এই প্রয়াণ কাধ্যটার অনুষ্ঠান হয় না ।)

অনস্তর সভাব চতুদ্দিকে পঙউক্তি ক্রমে মঞ্চ সকল বিন্যস্ত করা হয়। মধ্যস্থুলে এক উন্নত সুবর্ণ পীঠ স্থাপন করা হয়। রাজ! সেই সৌব্ণ মঞ্চে উপবিষ্ট হন। ব্রাহ্মণ ক্ষত্রির প্রভৃতি উন্নত বিভিন্ন বর্ণেরা যথ।যোগ্য নিম্নতন প্রদেশে উপবেশন করেন এবং তাহার বিজয় প্রশস্তি বা যশোগান করিতে থাকেন। এই সময়ে দ্যুতক্রীড়া করিবার বিধান আছে। ইহার পণ “অন্ন”

এবম্প্রকারের রাজনুয় যজ্ঞটী যেমন পবিত্র নামক সোম যাগ দ্বারা আরম্ত হয়, সেইরূপ সৌন্রামনী নামক অপর একটা যাগ দ্বার! সমাপ্ত করা হয়। এই

সৌত্রামণী যাগের বিধি ব্যবস্থা কল্পহ্ত্রে আছে। সাধারণ সোমযাগ অপেক্ষা ইহাতে বিশেষ এই যে অশ্বনীকুষার, সরস্বতী, স্থত্বামা এবং ইন্দ্র ইহার প্রধান দেবতা কাষ্ঠনিম্মিত তিনটা “সোম-পাত্র”” এবং মৃত্তিকানির্মিত তিনটা “মরা-পাত্র” |

পিতৃউন্দেশে যাগ এবং যাগের পর স্থুরাপান বিহিত আছে। “সৌব্রামণ্যাং

* দিক সকল যদি পূর্বব হইতে বিজিত থাকে, তবে এখন কেবল ইচ্ছ। খাত্র প্রকাশ কর! হয় জবিজিত থকিলেই তাহার অনুষ্ঠান হইয়া থাকে ; যুখিষ্টির পূর্ব্বেই দিখিজয় করিয়াছিলেন

৯১২ ভারত-বছুহ

হুরাং পিবেৎ এই শ্রুতিবাক্য সফল করিবার নিমিত্ত সুরা পান করা হইত, আমোদ উপভোগের নিমিত্ত নহে।

পূর্বকালের রাজার৷ এরূপ রাজনুয় যজ্ঞ করিয়া আত্মাকে কৃতকৃতার্থ জ্ঞান এবং সম্ত্রাট-উপাধি ধারণ করিতেন মহাভারতে ষুধিষ্টিরের রাজস্থয়ও এবংবিধানে সমাপ্ত হইয়াছিল ইহার অভ্যন্তরে “অর্থ্যাহরণ” “সমাগত সৎকার” “রাজাহ্‌ণা» প্রভৃতি থে সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আছে, বাহুল্য ভয়ে গ্রথিত করা হইল না!

অশ্বমেধ

রাঁজস্য় অপেক্ষা অশ্বমেধ যগ্জটী সমধিক প্রাচীন বলিয়া অনুমিত হয়। কারিখ খগ্েদনংহিতা, যাহা ভট্টমোক্ষমূলার দ্বারা মুদ্রিত হইয়া প্রকাশিত হইয়াছে, তাহাতে বাজনুয়ের কোন প্রসঙ্গ নাই, কিন্তু অশ্বমেধের প্রসঙ্গ আছে *

বস্ততঃ আদ্িতম কালে সকল যজ্ঞের প্রচার ছিপ ন, শ্োত কালেই সকল আবিষ্কৃত হইয়াছিল এই জন্তঠই পৌরাণিক কালের খধির! বলিয়। গিয়াছেন “তপঃ পরং কতধুগে ভ্রেতায়াং বজ্মুচ্যতে |”?

রাজনুয়ের গায় অশ্বমেধেও রাজা ভিন্ন অন্ঠের অধিকার ন।ই। শুক্র যজুর্ক্ে- দের শতপথব্রাক্ষণের উত্তরভাগগত পাঁচটা অধ্যায়ে ইহার বিশেষ বৃত্তান্ত আছে.। ১৩ প্র, ১, ৩, ₹১ ব্রাহ্মণে “প্রজাপতিরম্বমেধমঙ্ছজত |” প্রজাপতি অশ্বমেধ যজ্ঞের সৃষ্টি করিয়াছেন। “প্রজাপতিরকাময়ত অশ্বমেধেন যজেয়মিতি” প্রজাপতি ইচ্ছ। করিলেন, আমি অশ্বমেধ যজ্ঞ করিব। “রাজা বা এষ ষজ্ঞানাং যদশ্বমেধঃ 1৮ এই যে অশ্বমেধ, ইহা সকল যজ্ডের রাজা ইত্যাদি মন্ত্রে, ক্রমে অশ্বমেধ ষজ্জের উৎপত্তি, ইতিহাস, ইতিকর্তব্যতা, এবং তাহার ফল প্রভাতি সমুদায় বৃত্তান্ত বর্ণিত হইয়াছে এতদনুসারেই অথব্ধবেদীয় বৈতান স্থত্র রচিত হইয়াছে।

| | | & ''অঙ্থমেধন্ত দানাং সোমা ইধ আম্শিরঃ'।

| |. 51 ইল্জাগী শতদাব্যাযেধে সুখীর্যং)

অস্বমেধ। ১১৩

শতপথব্রাঙ্ষণ যেরূপ ক্রমে বলিয়াছেন, বৈভানস্থত্রও সেই রূপ ক্রমে লিখিত আছে। যথা-_সপ্তমাধ্যায়ে “অথাশ্বমেধঃ ১৪। ফালগুন্য| ব্রদ্দৌদনমুধগাতৃ চতুর্থেভ্যে। দদ1তি | ১৫। হুতায়াং প্রাতরাহ্থতৌ ব্রন্ধণে বরম্‌। ১৬। আগ্নেবীষ্টিঃ পৌফ্ী চ। ১৭। বাতরংহ! ভবত্যশ্বম্‌। নিষুজ্যমানমনুমন্ত্রয়তে ১৮। ইত্যাদি।

কাত্যায়নীয় শৌত হ্ত্রের বিংশতিতম অধ্যায়েও এই যজ্ঞের বিষয় বর্ণিত হইয়াছে উপাধ্যায় কর্কাচাধ্য তাহার উত্তমবৃত্তি রচনা করিয়া গিয়ছেন। “রাজধজ্ঞোহশ্বমেধঃ সর্বকাঁমস্ত 1” এইটিই তাহার প্রথম স্ুত্র। অত্র কর্কাচার্য:-- রাজশব্দোহভিষেকবতি ক্ষত্রিয়ে বর্তৃত ইত্যুক্তং প্রদেশীস্তরে তথাচ ক্ষত্রিয়যজ্ঞং যদশ্বমেধঃ (১৩, ৪, ১, ২)। তম্মাদ্রা্পতিরশ্বমেধেন যজেতেতি (১১ ৬, )। রাজ্ে। যজ্ঞঃ রাঁজযজ্ঞঃ ত্রাঙ্গণবৈশ্তয়োরিতি অশ্বমেধ ইতি জিিরান্রস্ত বজ্জক্রতে* নণমবেয়ন্। সর্বকামস্ত ভবতি।” ইত্যাদি

অর্থাৎ রাঁজশব্দের অর্থ অভিষিক্ত ক্ষত্রিয় অশ্বমেধ তাহাদেরই বজ্ঞ, ব্রাঙ্গণ বৈশ্তের নহে “অশ্বমেধ”” এই শব্দটি যজ্ঞ বিশেষের নাম, অশ্ব থাকাতে নামের সার্থক্যও আছে। ইত্যাদি

যাহা এই যগ্ডের প্রধান অংশ তাহাই এস্থলে শতপথ ব্রাঙ্গণ, তৈত্তিরীয় যজুঃ- সংহিতা, বৈতান সুত্র, কাত্যায়ন সুত্র উজমিনীয়[শ্বমেধ, এই সকল গ্রন্থ হইতে উদ্ধার করিলাম উল্লিখিত গ্রন্থনিচয় হইতে উহার ক্রম-পরিপাটী প্রধান প্রধান দ্রব্য দেবতার বিষয় সংক্ষেপে পরিচয় প্রদান করিতেছি।

এই যজ্ঞের প্রধান পশু অশ্ব। তত্ভিন্ন ছাগ প্রভৃতি অন্তান্ত পশুও এই যজ্ঞে আবশ্তুক হইয়! থাকে। যজ্ঞমণ্পের দ্বারদেশে একবিংশতি যূপ উচ্ছিত কর! হয়। *

এই সকল যূপের মধাবর্তী যৃপস্তাস্তে যক্জীয় অশ্ব বন্ধন করা হয়। অন্যান্য পপ অন্তান্ত যুপে আবদ্ধ কর! হয়। অনন্তর কএকটি বেদমন্ত্রের ছারা সেই যক্জীয় অশ্বের সংস্কার সমাধা করিয়া যথেচ্ছ! সঞ্চরণের নি'মন্ত তাহাকে মহারাজের আজ্ঞা- ক্রমে মুক্ত করা হয়। রক্ষার নিমিত্ত অস্ত্রশক্রধারী বীর রাজকুমারগণ তাহার

* কৃষ্ণযজুঃ সংহিতায় কাণ্ডের প্রপাঠকে ৪৫ অনুবাকের ভাষ্যে লিখিত আছে “একো যুপো। বৈকাদশিনো ব। অন্যেষাং বজ্ঞানাং যুপ! ভবন্থি। একবিংশিন্যশ্চাখমেধস্য” ইত্যাদি অর্থাৎ অন্যান্য খজ্জে এক অথব! একাদশ য.্প আবগ্তক হয়, অশ্বমেধে একবিংশতি যপ লাগে।

৯৫

১১৪ ভাষত-রহহ্য

অন্ুগমন ফরেন। ধাহারা অশ্বরক্ষক হন, মহারাঁজ তাহাদিগের প্রতি এইরূপ 'হুজ্ঞা করেন যে, তোমরা এই অশ্বকে বাড়বানল, দাবানল, জল, বিবিধ “সহ্ঘট স্থান হইতে সাবধানে রক্ষা করিবে যখন পররাজ্যে সঞ্চরণ করিবে, তখন ঘর্দি কোন রাজ ইহাকে নিরুদ্ধ করে, তবে তোমরা তাহাকে পরাজন্ন করিয়া অশ্বের উদ্ধার করিবে যে যে ইহার বিরোধী হইবে, তোমরা তত্ক্ষণাঁৎ তাহাদের প্রতিবিধান করিবে। যজ্ঞাশ্ব রক্ষাকরার ফল আছে, যাও, তোমাদের কুশল হউক |”, |

অনন্তর রাঁজকুমারেরা সকল দিকেই অশ্বকে সঞ্চারিত করিয়া পুনর্বার যক্ঞস্থানে আনয়ন করেন। এই কাধ্যে অন্যান ছয় মস, অনধিক এক বৎসর কাল অতিবাহিত হয়। এক বশসরের মধ্যে ফিরিয়া আঁসাই বিধি, বিল্বক্রমে অধিক কাল হুইলে প্রায়শ্চিন্ত করিয়| যজ্ঞ সমাপ্ত করিতে হয় যিনি রাজাধিরাজ মহারাজ ক্ষত্রিয়চুড়ামণি, তিনিই এই যজ্জে প্রবৃত্ত হইয়া থাকেন। সুতরাং তাহার প্রতাপবলে ইহ। স্ুসম্পন্ন হইয়া থাঁকে। অশ্ব ফিরিয়া আসিলে সংজ্ঞপন ধর্ছে তাহাকে বধ এবং হোমকার্য্য সমান্ত করা হয়।

জৈমিনীয়াশ্বমেধ গ্রন্থে এতৎ, সম্বন্ধে যেরূপ বিধি ব্যবস্থ। আছে, তাহাও এস্থলে প্রদান করিতেছি। ]

যুধিষ্তির উবাচ। ্রাহ্মণাঃ কতিসংখ্যাকাঃ দক্ষিণা কীদৃশী ক্রতোঁঃ। হয়শ্চ কীদৃশো ভাব্যস্তন্মে ব্যাখ্যাতুমহসি ২৮

ব্যাস উবাচ। দ্বিজ! বিংশতিসাহআ। মখানৌ সম্প্রকীত্তিতাঃ। কুলীনাঃ সম্মতাঃ প্রাজ্ঞ বেদশাক্জার্থপারগাঃ | এটৈকন্মৈ দ্বিজায়াহত্র দক্ষিণাং প্রবদামি তে ৩৯ একোগজে! রথশ্চৈকো। হয়শ্চৈকঃ সকাঞ্চনঃ | প্রত্যেকং গোসহত্রঞ্চ বৃত্ত প্রস্থ, সকাঞ্চনম্‌ ৪০ ভারশ্চ কাঞ্চনস্যৈকঃ প্রদেয়! দক্ষিণা মথে। যশ্মিন্‌ দিনে হয়ে! রাজন্‌ মুচ্যতে প্রথম! হি সা ৪১ দক্ষিণ কথিতা৷ রম্য! তুরগং কথয়ামি তে। গ্রোক্ষীরসমব্ণঞ্চ কুন্দেন্দৃহিমসমিভম্‌॥ ৪২

অশ্বমেধ | ১১৫

পীতপুচ্ছং শ্তামকর্ণং সর্বতোঁগতিমুত্তমম্‌। শ্যামধশপি মহীপাঁল যজ্ঞেহন্সিন্‌ তুরগং বিছুঃ ৪৩ চৈত্রমাসস্য রাকায়াং মোচ্যোহ্য়ং তুরগে! বৃপ। বর্ষমাত্রং রক্ষণীয়ঃ সর্ধযোৌধৈম হাবলৈঃ ৪৪ পুত্রো বা! বান্ধবঃ শুরো। রক্ষণার্থং নিষুজ্যতে। স্বয়ং যঃ কুরুতে যজ্ঞমসিপত্রব্রতং চরেৎ ৪৫ নিয়তঃ রাজেন্দ্র নাত্র কার্ষ্যা বিচারণ!। ইষ্টভোগ।ন্‌ বর্ষমাত্রং সেবন্‌ নারীবিবঞ্জিতান্‌ ৪৬ | একত্র শয়নং কার্ধ্যং পত্থ্যা সহ ন্রাধিপ ! যাবদাগমনং তস্য পুনবেব গ্রজাপতে ৪৭ তাবৎ প্রযত্ববান্‌ কর্তা নিবসেৎ ধৈর্য্যসংযুতঃ | হয়ঃ পুরীষং মৃত্রং ব। কুরুতে ঘত্র ঘত্র চ॥ ৪৮॥ গোসহত্রং প্রদেয়ং হি কর্তব্যং হবনং দ্বিজৈঃ পুজনীয়াশ্চ তে খিপ্রা দক্ষিণাভির্ন সংশয়ঃ ৪৯ ললাটে তুরগস্তাপি পত্রং সংলিখ্য কাঞ্চনম্। বন্ধ। স্বনামসংযুক্তং স্বপ্রতাপসমন্থিতম্‌ ৫* কথনীরামদং বাক্যং ময়ায়ং তুরগোভমঃ | বিমুক্তোহসি নৃপঃ কশ্চিৎ প্রতিগৃহ্াতু, চেৎ বলী ₹১॥ যস্ত তং প্রতিগৃহ্াতি জেতব্যে। বলাৎ ন্বয়ম্‌। অনেন বিধিন! বীর ক্রতুরেষ প্রজায়তে ৫২ অসিপত্রব্রতষুতো বহুপুণ্যফল প্রদঃ | এবমেব পুরা শক্রশ্চক্রে হয়ক্রতোঃ শতম্‌ ৫৩ ( ইতি প্রথমঃ অধ্যায়ঃ ॥) ঘুধিষ্টির ব্যাসদেবকে দ্রিজ্ঞাসা করিলেন, এই অেশ্বমেধ) যজ্ঞে কতগুলি ব্রাহ্মণ, কিব্ূপ দক্ষিণ। এবং কি প্রকার অশ্ব আবশ্ঠক হয়, তাহা! বিশেষ করিয়া কীর্তন করুন। ৩৮। ব্যাস কহিলেন, এই যজ্ঞে বিংশত্যধিক সহত্্ ব্রাহ্মণের কথা কীন্তিত হইয়াঁছে। তাহারা সৎকুলসন্তূত, সকলের মান্ত, প্রাজ্ঞ, এবং বেদশান্ত্রে পাঁরগ। এই যজ্ঞ প্রত্যেকের উদ্দেশে যেরূপ দক্ষিণ! বিহিত আছে, তাহা! বলিতেছি। ৩৯। এক হুম্তী, এক রথ, এক কাঞ্চনভূষিত জম্থ, সহ গো; ( অথব! মূল্য) প্রস্থ-

১১৬১ ভারত-যহশ্ |

পরিমিত কাঞ্চনান্থিত বত্ব4 এবং কেবল স্ুবর্ণও দক্ষিণা প্রদান করিতে হয়। মহারাজ ! যে দিনে অশ্ব ত্যাগ কর হয়, সেই দিনের দক্ষিণ! প্রথম দক্ষিণা ৪১

হে মহীপাল ! এই যজ্ঞের দক্ষিণার কথা বলা হুইল, এক্ষণে মনোজ্ঞ অশ্বের কথা বলিতেছি। ছুগ্ধ, কুন্দফুল, কিংবা চন্দ্ররশ্মির সদৃশ বর্ণবিশিষ্ট, পীতপুচ্ছ, শ্তামবর্ণ, সর্বপ্রকার উত্তম গতিশক্তিসম্পন্ন অশ্ব আবশ্তক হয়। শ্তামবর্ণ অশ্ব হইলেও হানি নাই। ৪৩।

রাজন! চৈত্রী পুর্ণিম! তিথিতে অশ্ব মোচন করিতে হয়। এক বৎসর পর্য্যন্ত যুন্ধবিশারদ মহাঁবল ক্ষত্রিয় সমূহ দ্বার। তাহার রক্ষা করিতে হয়। ৪৪।

পুত্র কি অন্য কোন শুর বান্ধবকে অশ্ব রক্ষার্থে নিযুক্ত করিয়া যজ্ঞকর্তী স্বয়ং *“অসিপত্র” ব্রতের অনুষ্ঠান করিবেন। হে রাজেন্দ্র! সংযত থাঁকিয়া এই কাঁধ্য করিবেক, কোন প্রকার বিচারণা করিবেক না এই এক বৎসর নারী, ভোগ ব্যতীত অন্ঠান্ত অভীগ্সিত বস্তু ভোগ করিতে পারিবেক | ৪৬।

অশ্খের প্রত্যাগমন পর্য্স্ত ভোগ বিমুখ হইয়া নারীর সহিত এক শয্যায় শয়ন করিতে হইবেক। ইহা বড় সহজ ব্রত নহে। (ইহা খড়ীধারে শয়নের তুল্য বলিয়া অসিপত্র নামে খ্যাত )। ৪৭।

অশ্বের প্রত্যাগমন পর্যাস্ত অতিশয়িত যত্বর ধৈর্য অবলম্বন করিয়া বাঁস করিবেক। যে যেস্থানে অশ্ব পুরীষ অথবা! মুত্র পরিত্যাগ করিবেক, সেই সেই স্থানে গোদ্দান হোম করা কর্তব্য যাহারা হোম করিবেক, দক্ষিণা দ্বান দ্বারা তাহাদিগকে পূজা করা কর্তব্য। বিষয়ে সংশয় নাই। ৪৮--৪৯। অশ্বের ললাট প্রদেশে আপনার নাম প্রতাপ-চিহ্ন-যুক্ত কাঞ্চন-পন্তর বাঁধিয়! দিবেক। এবং এই বাক্য উচ্চারণ করিবেক যে, “আমি এই উৎকৃষ্ট অশ্ব বিমুক্ত করিলাম, যদি কেহ বলবান রাঁজা থাকেন, তবে তিনি যেন ইহাকে বলপুর্ববক গ্রহণ করেন।” ৫০--৫১। কিন্তু যে ব্যক্তি ইহা গ্রহণ করিবেক, তাহাকে বলপুর্ব্বক জয় করিতে হইবেক। হে বীর! এইরূপ বিধাঁনেই এই যজ্ঞ সম্পন্ন হইয়া থাকে “অসিপত্র* ব্রতযুক্ত এই অশ্বমে্ধ যজ্ঞে অনন্ত ফল হইয়া থাকে পূর্বকালে ইন্দ্র এইরূপ বিধানে শত অশ্বমেধ করিয়াছিলেন ৫৩।

উল্লিখিত বিধ।নে অশ্বমেধ যজ্ঞ সমাধা! করিয়া! ধজমাঁন মহাসমারোহে মান করিয়া থাকেন। এই স্নানের নাম “অবভৃধ””। সমস্ত মহাযজ্ঞেই এই স্নান বিহিত আছে। মহ্র্ষি মনু বলিয়াছেন+--

প্রর্ষমেধ-যজ্ঞ। ১১৭

“শিষ্ট। বা ভূমিদেবাঁনাং নরদেব-সমাগমে স্বমেনোহবভৃথে সত্ব হয়মেধে বিশুধ্যতি 1” ধত্বক যজমান একত্র মিলিত হইম্সা যখন অশ্বমেধ যজ্ঞের অবভৃথ স্নান করেন, তখন, অন্ত পাপীও তৎসঙ্গে ম্লান কৰিলে (আপনার পাপ খ্যাপন পূর্বক) বিশুদ্ধ হইতে পারেন প্রাচীন কালের অশ্বমেধ য্ঞ এইরূপ ; পরন্ত এতিন্ন ইহার অন্তান্ত অনেক- গুঁল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঙ্গ আছে। বাহুল্য ভয়ে সে সকল স্থলে গ্রথিত করিলাম না

পূরুষমেধ-যজ্ঞ।

ইহা! একটী ভয়ানক লোমহর্ষণ ব্যাপাঁর। প্রাচীন কালে ইহ! অনুষ্ঠিত হইত কি না, তাহা জানি না; কিন্তু শুরু যজুর্বেদে * বিষয়ের প্রথম উল্লেখ দেখা গায় অনেকে অনুমান করেন ন্রবলি তান্ত্রিক কাল হইতেই প্রচলিত; 'কিন্তু তাহা নহে; উহা বৈদিক কালের পুরুষমেধের রূপান্তর মাত্র। কারণ, মাধান্দিনী শাখার শতপথ ব্র/ক্ষণে এই ষজ্জের বিস্পষ্ট উপদ্দেশ আছে। যথা--“অথ যম্মাৎ পুরুষমেধে। নাম।

ইমে বৈলোকাঃ পুরুষমেব পুরুষে যোহ্য়ং পবতে সোহম্য।ং পুরিশেতে তস্মৎ পুরুষ- স্তস্থ যদেষু লোকেছন্নং তাস্থান্নং মেধঃ --*ইত্যার্দি-_

(িত্তরভাগের ধষ্ঠাধ্যায় দেখ)। অর্থ এই যে, থে কারণে যজ্ঞের “পুরুষমেধ” নাম, তাহা ব্যাখ্যাত হইতেছে। এই লোক পূর্ণ করিতেছেন বলিয়া “পুরুষ” এই যিনি বাহিরে পবিত্র করিতেছেন (অর্থাৎ বাযু) তিনিই এই পুরি অর্থাৎ শরীরে বস করিতেছেন এই হেতু ইহার নাম পুরুষ। এইরূপে ক্রমে “পুরুষ” শব্দের নিরুক্তি, “মেধ” শব্দের নিরুক্তি, যজ্ঞের উপর 'পুরুষমেধ” নামের প্রবৃত্তি, এবং এতাদৃশ যক্ঞে কি কি কার্ষ; করিতে হইতে সমন্তই এই অধ্যায়ে কথিত হইয়াছে। মহধি কাত্যায়ন তাহার শ্রোত হুদধে এই ঘজ্জের কার্য্যবিভাগ সমস্ত উত্তম রূপে নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন। যথা-_“পুরুষমেধন্ত্রয়োবিংশতিদীক্ষা তিষ্ঠা কাঁমস্য” (১)

* আমরা ইহার প্রমাণ আর্ধ্যসমপ্রদায়ের আচার ব্যবহার প্রস্তাবে উদ্ধত করিয়া! দিয়াছি।

১১৮ ভারত-রহণ্ু

“ত্রান্মণ-র।জনায়ো১+, (২) “অগিষ্টোমাবস্তরেণাতিরাত্র উকথাষজ্ঞঃঠ | (৩) “তাবৰ- স্তোহগ্রিষোমীয়াঃ (৪১। (ইত্যাদি একবিংশ অধ্যায় দেখ ।)

উল্লিখিত কাত্যক়্ন-সুত্র-নিচয়ের দ্বারা পুরুষমেধের এইরূপ সংক্ষেপার্থ

ংকলন করা যায়। “সকল প্রাণীর শ্রেষ্ঠ হইব” এইরূপ কামনা-বিশিষ্ট

পুরুষের! পুরুষমেধের অনুষ্ঠান করিয়া! থাকে ব্রাহ্গণ এবং ক্ষত্রিয় এই উভয় জাতিই এই যজ্ঞের অধিকারী বৈশ্ত শুদ্রের করিতে পারিবেন না। ইহ! এক প্রকার পঞ্চরাত্র যজ্ঞ। ইহার আগ্ভন্তে “অগ্নিষ্টোম”ঃ যজ্ঞ এবং মধ্যে “অতি- রাত্র” যজ্ঞ। এই যজ্ঞের পণ্ড ব্রাহ্মণ অথব| ক্ষত্রিয় হওয়া] আবশ্তক | যাঁজক ব্রাহ্মণ হইলে ব্রাহ্মণ পশু, ক্ষত্রিয় হইলে ক্ষত্রিয় পণ্ড *! এই যজ্ছের দক্ষিণা অশ্বমেধের সমান ; কিন্তু ব্রাহ্মণ যাঁজক হইলে তাহাকে সর্বস্থ দক্ষিণা দিতে হয়। পশ্চাৎ অরণ্য প্রবেশ অর্থাৎ সন্াস-ধর্দন গ্রহণ করিতে হয়।

অথর্ধববেদের বৈতান সত্রেও এই রূপ ব্যবস্থা দৃষ্ট হয়। যথা-_

“পুরুষমেধোইস্বমেধবৎ* (১০)পযজমানস্ত বিজিতং সর্বং সমৈত্বিতি জনপদমুচ্চৈঃ শ্রাব্য়তি” ( ১৩) পুকুষমেধ অশ্বমেধের বন্ম ক্রমেই অনুষ্ঠিত হইবেক। যাজকের সমন্তই জয় কর! হইয়াছে, পুরোহিত ইহ। জনপদবাসীকে শ্রবণ করাইবেন।

যাজক যদ্দি ব্রাঙ্গণ হন, তবে ব্রাহ্মণ পণ, এবং ক্ষত্রিয় হইলে ক্ষত্রিয় পপ, এবং অলাঁভ হইলে শক্র জয় করিয়! তাহাকেই পশ্ড করিয়া এই যজ্ঞ করিবেক। (১৬) তাহাকে স্নান করাইয়া, অলঙ্কার পরাইয়া, উৎসর্গ করিবেক, এবং ““সহশ্র- বাহু পুরুষ ইত্যাদি মন্ত্র পাঠ দ্বারা আমন্ত্রণ করিবেক, (১৯) ইত্যাদি ইত্যাদি সপ্তম অধ্যায় দেখ)।

« হুরিণীভিঃ শামিত্রে হিয়ম(ণম্‌» “হরিীতি, ইত্যাদি খক্‌ মন্ত্র পাঠ করিতে করিতে বধস্থানে লইয়া যাইবেক। এস্তৌনান্মৈ ভব পৃথিবী” ইত্যাদিক্রমে খক্‌ মন্ত্র দ্বারা নিপাতন এবং “সহশঅবাহুয়ায় সারম্বতৈঃ” ইত্যাদি মন্ত্র বারা সংজ্ঞপ্ত অর্থাৎ ব্ধ করিবেক।

এই যজ্জের অপর নাম প্রাজাপত্য ইচ্টি”। এরই ভয়ানক ষজ্জকাণ্ড বৈদিক কালেই লোপ হইয়াছিল

* কাত্যায়ন সৃত্রের বৃত্তিকার কর্কাচধ একটা শ্রুতি প্রমাণ দিয়া বলিত্বাছেন, যে, পুরুষ পণ্ড বধ করিতে হয় না, পধ্যগ্রিকৃত করিয়! উৎসর্গ মাত্র করিতে হয়। যথা..."কপিঞ্জলাদিবছুৎ- সৃজত্তি ব্রাক্দণাদীন্” (শ্রুতি) “গ্সিকৃতানুৎহ্জত্তীর্থ:।', (কৃতি) অর্থাৎ কপিঞ্জল পক্ষী প্রভৃতির স্তাঁয় ইহাকে কেখল মীত্র পথ্যগ্রিক্কৃত (অগ্নি প্রদর্শন) করিয়! উৎসর্গ (ত্যাগ) করিবেক।

রাঁজাভিষেক পদ্ধতি

রামায়ণ, মহাভারত অন্যান্ত পুরাঁণে প্রাচীন হিন্দুরাজাদিগের রাঁজাতিষেক সন্বন্ধে নানা কথ! শুন! যায় এবং তাহা কিরূপে অনুষ্ঠিত হইত তাহা জানিবার জন্ত অনেকেরই ইচ্ছ।৷ সমুড়ুত হইতে দেখা যায়। বস্ততঃ ততকালের হিন্দুরাজা- দিগের রাজাভিষেক পদ্ধতি জান! ন! থাঁকাতে অনেকেই সেই সেই প্রস্তাব পাঠে অতৃপ্ত হইয়া থাকেন, ইহা দেখিয়। আজ আমরা তাহাদের স্ুগোচরার্থ এই প্রবন্ধ লিখিতে বাধ্য হইলাম।

বর্তমান হিন্দুরাজগণ এই কাধ্য কিরূপে সম্পন্ন করিয়া থাকেন, তাহা আমর! স্থন্দররূপে জ্ঞাত নহি যাহাই হউক, বর্তমান রাঁজগণের অভিষেক-প্রণালী আমাদের বর্ণনীয় বস্ত নহে। প্রাচীন কালের আধ্য নরপতিগণ যেরূপে অভি- যিক্ত হইতেন, তাহাই প্রবন্ধে বর্ণিত হইবেক

অভিষিকের বিধি

হিন্দুরাজগণের মধ্যে কোন্‌ সময়ে অভিষেক বিধি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহা অন্ুসন্ধ(ন করিলে জান! যাঁয় যে, উক্ত বিধি বজুব্বেদের সময়েই সর্ববাদিসম্মত সর্বাঙ্গ সম্পন্নরূপে প্রতিষ্ঠিত হইয়ছিল। যজুর্ধেদে রাজন্থয় যজ্ঞের অধিকারী নির্ণয় প্রসঙ্গে “স এয মূর্ধাব্ষিক্তে! রাজা রাজ্জস্য়েন যজেত” এইরূপ লিখিত হইয়াছে অনন্তর য্জুর্েদোক্ত বিধির অনুসরণ করিয়া অথর্ববেদ তাহার প্রক্কৃত অনুষ্ঠান পদ্ধতি করিয়াছেন, ইহাও দৃষ্ট হয়। অতএব, রাজাভিষেক প্রথা বা ব্যাপারটা এদেশের বহু পুরাতন অথর্ববেদে ষে অনুষ্ঠানহথত্র লিখিত হইয়াছে, বিষুধর্দোত্র, দেবীপুরাণ অগ্নি পুরাণ প্রভৃতি তাহাই বিশদ বিস্তৃত করিয়া স্বতন্ত্র ্বতন্ত্র পদ্ধতি প্রণয়ন করিয়া গিয়াছেন।

অভিষেকের উপর ত্রাঙ্মণগণের কর্তৃত্ব

মহাত্মা! মন্ছর সময়ে, বাঁজ্যাভিষেকের সহিত ধর্শের সংস্থ্তা ব্রাহ্মণদিগের কর্তৃত্ব ছিল। যথা --

৯২৭ ভারত-রহস্ত

ণ্ব্রাঙ্গং প্রাণ্ডেন সংস্কারং ক্ষজিয়েণ যথাবিধি

সর্বস্তাস্ত ষথান্তায়ং কর্তব্যং পরিরন্ষণম্‌ |”

্রাঙ্মং সংস্কারং-_ব্রাঙ্মণৈঃ কৃতং অভিষেকম্‌।

অর্থাৎ ত্রান্মণেরা যে ক্ষত্রিয়কে বিধিবিধানক্রমে অভিষেক রোজ্যাধিকার দান)

করেন, সেই অভিষিক্ত ক্ষত্রিয়ই স্তায়ান্ুসারে এই সমস্ত প্রজার রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবেন, অন্তে নহে প্রজাপ!লন করাই অভিিক্ত ক্ষত্রিয়ের প্রধান ধন্দ্ন। এই মন্্ুর বচন দারা জানা গেল যে, পুর্বে ব্রাঙ্মণেরাই এদেশের হর্তা কর্তা বিধাত। ছিলেন, তাহারাই ক্ষত্রিযদিগকে রাজ্য।বিকার দান করিতেন

অভিষেকের কাল

চৈত্রমাস, মলমাঁস, বর্ষা খতুতে অভিষিক্ত হইবেক না। শনি মঙ্গল বার ভিন্ন বারে, চতুর্থী, চতুর্দনী নবগী ভিন্ন তিথিতে এনং শ্রবণা, অশ্বিনী, পুষ্যা জ্যোষ্ঠা নামক নক্ষত্রে রাজ্যাভিষেক প্রশস্ত। শুক্রাস্তাদি জন্য কালা শুদ্ধিতেও ইহাঁর নিষেধ আছে। এই কালনিক্ামক ব্যবস্থা সম্বন্ধে বিষুধর্মোভ্ভর বলেন যে, “মুতে রাজ্ভি কালস্ত নিয়মোহত্র বিধীয়তে। যদি পূর্ববরাঙ্জার মৃত্যু হওয়ার পর অন্ঠ রাজাকে অভিষেক কর! আবশ্তক হয়, তবে সেই অভিষেক্তব্য রাজা আপাততঃ সামান্ত নন (তিল সর্ধপাদির ছার! ) জয় ঘোষণা করিয়া অন্য এক সিংহাসনে উপবিষ্ট হইয়া রাজকাধ্য করিবেন, পশ্চাঁৎ উপযুক্ত শুভ দিনে যথাশাস্ত্ অভিষিক্ত হইবেন। আর মুল রাজা যদি জীবিত থাকিয়া কোন উপযুক্ত কাঁরণ বশতঃ অন্য কোন ব্যক্তিকে রাজা করিতে ইচ্ছা করেন, তাহ! হইলে আর অভিষেক্তব্য ব্যক্তিকে পুর্ব্বোন্ত বিধির অনুষ্ঠান করিতে হইবে না। তিনি একেবারে অভিষেক রাঁজাঁসন গ্রহণ করিতে পারিবেন

অভিষেকের দ্রব্যাদি

মন্ত্রী, পুরোহিত দৈবজ্ঞ কতিপয় 'প্রজা। যঞ্জীয় বেদী। স্বর্ণ কলশ। চারি বেদের পুরোহিত ব্রাহ্মণ পার্বত্য মৃত্তিকা, বলসীক মৃত্তিকা, গজদস্ত মৃত্তিকা, সরোবরের হদের মৃত্তিকা দেবালয় মৃত্তিকা, ইন্দ্র লয় মৃত্তিক,রাজপ্রান্গণ মৃত্তিকা, সমুদ্রসঙ্গম বা নদীসঙ্গম মৃত্তিকা, নদীকুল মৃত্তিকা! বেস্তাদ্ার মৃত্তিকা, গজবন্ধন স্থান মৃত্তিকা, অশ্ববন্ধন স্থান মৃভ্িকা, গোষ্টমৃত্তি কাঁ, রথ চক্র মৃত্তিকা, পঞ্চগব্য, ভদ্রাসন (ভদ্রাসন কি? তাহা! পশ্চাৎ বল! যাইবেক, ) স্বর্ণ কলশ, রৌপ্য কলশ, তাস কলশ, মৃত্তিকা কলশ, ( এই সকল কলশ যথাক্রমে ঘ্বত, দুগ্ধ দধি জল পরি-

রাজাভিষেক পন্ধতি। ১২১.

পুরিত থাকিবেক |) মধু, কুশা, সহস্র ছিদ্র যুক্ত কলশ, সর্বপ্রকার" সুগন্ধ, সর্ধব- প্রকার বীজ, পুষ্প, মাল্য, ফল, নব্রত্ু, নদীজল, সরোবরজল, কুপজল, চতুর্দিকস্থ চতুঃদমুদ্রের জল, অভাবে গঙ্গাজল, তদভাবে ব্রাক্মণেরা যে জল বলিবেন সেই জল, কিংবা যমুনার জল, নির্ঝর জল, ছত্রধারী, চামরধারী, বেত্রধারী, নান! প্রকার বাগ, সর্ববৌধধি মহোষধি, ক্ষীরী বৃক্ষের শাখা, দর্পণ, দ্বতকুস্তঃ উষ্তীষ, শুভ্র বন্, নান! প্রকার অলঙ্কার অন্ত, বিষণ ত্রহ্গপুজার দ্রবা, অষ্ট পষ্ট, ( অষ্ট পট কি? তাহা বল! যাইবেক ) বৃষাদি সপ্ত প্রকার পশু, অশ্ব, হক্তী, রথ, দানার্থ গাভী, তিল, স্বর্ণ, রৌপা, ছৃপ্ধ, দধি, ঘ্বত, মোঁদক মহাদান (অশ্ব, হস্তী প্রভৃতি ) মঙ্গলত্রব্য বাণ, ধনু, খড়গী এবং হোমের দ্রব্য

অভিষেকের পদ্ধতি | *&

অভিষেচ্য অর্থাৎ ভবিষ্যৎ রাজ! এই সকল দ্রব্য আয়োজন করিয়া শুভদিনে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্ঠু শুদ্র এই চতুর্রিধ গাজার দ্বার! অভিষিক্ত হইবেন অভি- ষেকের দিন অবধরিত হইলে তাহার পুর্বে কোন এক দিবসে পুরোহিতের দ্বারা পরন্দ্ী শাস্তি'” নামে এক প্রকার শাস্তি কার্ষ্য আছে, তাহার অনুষ্ঠান-ক্লুরিতে হয়। কিরপে পরন্দী শাস্ত করিতে হয়, এস্থলে তাহ।ও ব্যক্ত করা আব্যক বিধায় লিখিত হইল। 1

পাম

% অথর্ধ্ব বেদের গোপথ ব্রাক্গণে যে সংক্ষিপ্ত র[জাভিষেক পদ্ধতি উক্ত হুইয়াছে তাহ! এইরূপ--

“অথ রাজ্ঞো২ভিষেকবিধিং ব্যাখ্যাস্যামে৷ বিন্বপ্রভৃতীন্‌ সম্ভারসম্ভার(ন্‌ সম্ভ. ত্য ঘোড়শকলশান্‌ যোড়শবিল্বানি বল্মীকস্য মৃত্তিকাং সর্বান্নং সর্বরসাঁন্‌ সর্ববীজানি |

তত্র চত্বারঃ সৌধর্ণাশ্চতবারো৷ রাজতা শ্তত্বারস্ত।আশ্চত্বারো মৃন্ময় স্তান্‌ হদে সরসি বা উত্ধস্ততে। নামৈ নাম ইত্যুদকেন পূরয়িতব। বেদীপৃষ্টে সংস্থাপ্য কুস্তে বিল্লমেকেকং দদ্যাৎ। সর্বাননং সর্বরসান্‌ মর্নবীজানি প্রক্ষিপ্য উভয়ৈরপরাজিতৈরাযুষোঃ স্বস্তযয়নৈঃ সৌবর্ণেষু সম্পাতান্‌ সংশ্রাব্যে সংসিক্তোতৈশ্চ রাজতেষু ভেষজ্য বৈ রংহে। মুচৈন্তাঅেমু সংবেশ সংবর্গ্যাভ্যাং তাতীয়েঃ প্রাণসুক্কেন ম্ন্য়েষু। ততস্তান্‌ কলশান্‌ গৃহীত্বা স্তোত্রিয়ৈঃ পবিত্রিক্নৈ রলভিষ্টতৈঃ ' বাজানমভিষিকেত। ভূমিসিক্জরিকষঞ্চ ব্য ক্ষত্রিয়ং মে ইতি সিংহাঁলনমারূঢ়মভিমন্ত্রয়েৎ। এবমভিবিস্তত্ত রসান্‌ প্রাঙ্ীয়াৎ ছ্বিজেভাশ্চ দদযাৎ গোঁসহশ্রং সদস্যেভ্যঃ কর্তে, গ্র।মবরং ধিপুলং যশঃ প্রাপ্ধোতি ভূঙেস্ত ধরাং জিত- শক্রং সদা! ভবেৎ।”

এই অথর্ব বেদোক্ত পদ্ধতিচী পৌরাণিক পদ্ধতির মধ্যে নিবিষ্ট আছে ; স্থৃতরাং ইহার স্বতন্ত্র বঙ্গমুবাদ করিতে হইবেক না পৌরাণিক পদ্ধতির অনুবাদ দেখিলেই ইহার অর্থ প্রতীত হইবে টু

+ এই পরন্্রী শাস্তির বিধি অনুষ্ঠান পদ্ধতি ধিধুধর্থোত্িরোজ্ত রাজাভিষেক হুত্রে গুকাশ

৯৬

৯২২ ভারত-রহস্ত |

পুরোহিত অভিষেকের পুর্বে কোন এক শুভ দিনে মাস পক্ষ তিথ্যাদির উল্লেখ পূর্বক “করিষামাণ রাজ্যাভিষেকাঙ্গ পীন্দ্রী শাস্তিমহং করিষ্যামি” এইরূপ সংকল্প করিয়া গণপতি পুজা হোতা আ।চার্ধ্য ব্রহ্ম! সদস্ত এই চতুর্ব্বিধ খত্বিককে বরণ করিলেন। পরে, “অব্যদশ্চ ব্যসশ্চ বিনঘিস্তামী মায়য়।। তাভ্যামুদ্ধৃত্য বেদমথ কর্্মণি কৃম্মহে ।” এই মন্ত্র পাঠ করিতে করিতে দাত্র গ্রহণ করিবেক। পরে কতকগুলি কুশ! লইয়া “ওষঘ।ত দাঁতু পর্ববম্ঠ এই বলিয়! সে গুলির মূল- দেশ ত্যাগ করিয়া কিঞ্চিৎ উপরিভাগে ছেদন করিবেক। অন্তর *গ্রীন্মস্তে ভূমে বর্ধাণি_-», ইত্যাদি মন্ত্র পাঠ করত ভূমিকে নমস্কার করিয়! সেই স্থানে বেদী নির্মাণ করিবেক। এই বেদীর মধ্যে কুণগ্ড গুঝ্িল রচন। করিবেক এই বেদীর :উপরে অপর এক মহা বেদী প্রস্তত করিবেক ! কিরূপে বেদী নির্মাণ করিতে হয়, তাহ! অনাবশ্ঠক বোধে লিখিত হইল না ।) এই মহ! বেদীর মধ্যে “ত্রোধাস্তে ভূমে বর্ধাণি” ইত্যাদি মন্ত্র পাঠসহকারে একটা গর্ত খনন করিবেক। সেই গর্তটী রর মৃত্তিকাস্তর দ্বার! “যন্তে উনং তত্তে আয়ুঃ - ইত্যাদি মন্ত্রপাঠ করত প্রপূরিত করিবেক। অনন্তর এই মহাবেদীর উপরে 'ত্বমন্ত। বপনী জনানাং -* ইত্যাদি মন্ত্রপাঠ করিয়া বালুকা বিস্তৃত করিবেক। ইহাতেও কুণ্ড ঝা স্প্ডিল রচনা করিবেক। এবং প্রথম বেদীর মন্ত্র পাঠ পূর্বক রেখা রচ- নাও করিবেক। (ইহার প্রত্যেক ক্রিয়াই মন্্রপাঠ পুর্বক করিতে হয়। সে সকল মন্ত্র মনুষ্ঠান-প্রকার বর্ণন করিতে গেলে প্রস্তাব কর্কশ হইবে। নিশ্রয়োজনে প্রস্তাব বাহুল্য কর্কশ করা! অন্যায় বোধে সে সকল নিঃশেষরূপে উল্লিখিত হইল না এবং মন্ত্রের প্রথমাংশ মাত্র লিখিত হইল ।) রেখার্চন! তাহার সংস্কার কার্ধ্য সমপ্ত হইলে তাহাতে শরৎপক্ক ধান্ত যব ছড়াইয়া দিবেক। অন্তর “বেষেন ভূমিঃ পৃথিবী বৃতা _-”ইত্যাদি মন্ত্োচ্চারণ পূর্বক জল প্রক্ষেপ করিবেক এবং “থযস্তামন্নং ত্রীহিযবং যন্ত/ইমাঃ শঞ্চ কৃষ্টঃ | ভূমেই পর্জন্য পত্রে নমোহস্ত্র বর্ষমেধসে 1৮” এই বলিয়া পৃগিবীকে নমস্কার করিবেক। অন- স্তর *ত্বমণ্জে ভূগবে নিষস্তাং--১ ইত্যাদিমন্ত্রপাঠ সহকারে অগ্নি আনয়ন করি- বেক। কণ্ঠ মন্থন জাত আগ্ন উত্তম; অপছ্ভাব হইলে অনিষিদ্ধ অগ্নিই গ্রহণ করিবেক সেই অগ্নি কাংস্তাদি পাত্রে রাখিয়া তাহাতে মন্্পাঠ পূর্বক ব্রীহি যব

এপ - সস্পাীিপিপিসিাও ১০৩ এপ তশপস্শ সপ্ত | পাপী পা সপে কপ পাপী পে সা সপ পীর সক পপ পান সি | আপ

আছে। সেই দীর্ঘতম নুত্রটা আমরা! প্রস্ত(ব শেষ উদ্ধত করিব। অনেক সংস্কত কথ! একত্র

থাঁকিলে সংস্কৃতানভিজ্ঞ লে!কের প্রস্তাব পাঠে অন্ধ জন্ম বলিয়।ই আমরা সংস্কতাংশ অল্প পরিমাণে উদ্ধত করিলাম

বাজাভিষেক পদ্ধতি। ১২৩

প্রক্ষেপ করিবেক। অনন্তর দেই অগ্নি মন্ত্র পাঠ সহকারে বেদীতে স্থাপন করিবেক। অগ্নি যথাবিধি প্রজ্লিত হইলে তাহাতে “মম গ্নেধ্ব৮+-+"ইত্যাি মন্ত্র বারা তিনটা সমিধ প্রক্ষেপ করিবেক। ভবিষ্যৎ রাজা এই সময়ে সেই প্রজলিত যঙজ্ঞ'গিতে পব্রতপতে তব; ইত্যাদি মন্ত্র পাঠ করিয়া একটা সমিধ হোঁম করিবেন। পরে প্রজ্জলিত বহি ঈশন কোণে একটী স্থব্ণনির্মিত কিংবা রজত- নির্মিত অথব! তাত্রনিম্ম্িত জলপুর্ণ কলস স্থাপন করিয়৷ তাহা গন্ধ, পুষ্প, সর্কো- ষধি, দূর্বব1» পঞ্চ পল্লব, পঞ্চ ত্বক, পঞ্চ গব্য, পঞ্চা মৃত, সপ্ত প্রকার মৃত্তিকা, ফল, পঞ্চরত্, এক খণ্ড স্বর্ণ যুগ্ম বন্ধের ছারা অন্বিত করিবেন। এই সজ্জিত কলসটা যবপুঞ্জের কিংবা তুলপুঞ্জের উপরে স্থাপন করিতে হইবেক। ইহার সম্মুখে অগ্নির পুর্ববভাগে গোচম্মপরিমিত স্থান গোময় দ্বারা লিপ্ত করিয়। তাহাতে এক অচ্ছিন্ন বস্ত্র পাতিত করিয়া! তৃপরি পঞ্চ বর্ণ গুণ ক।র দ্বারা এক অষ্দূল পদ্ম রচনা করিয়া তন্মধ্য ভাগে স্থবর্ণনিম্মিত ইন্দ্র প্রতিম! স্থাপন পুর্বাক তাহাকে রাজার স্তায় উপচার সকল মন্ত্রেচ্চ।রণ পূর্বক অপণ করিবেক। এম্থলে উপচার শবের অর্থ পাদোদক, আসন, স্ানজল, মধুপর্ক, কুগ্ুল 'ও অন্থান্য অলঙ্ক(র, ছত্র, চ।মর, ধ্বজ পতাকা প্রভৃতি (এই সক্ষল উপচার বা দানীয় দ্রব্যের দানের এক একটা স্বতন্ত্র স্বতন্ধ মন্ত্র অছে, তাহা উল্লেখ করিবার কোন বিশিষ্ট ফল দেখ! যায় ন।। ক্রম জানিবার জন্ত লোকের কিঞ্চিৎ কুতৃহল দেখা যায় বলিয়াই অভিষেকের ক্রমমজ্র দেখান হইতেছে পুজা সম।প্ত হইলে পর যজমাঁন সমিধ গ্রহণ পূর্বক পঞ্চাহুতি প্রদ্ধান করিয়া ব্রন্গ স্থাপন করিবেন। ব্র্গ স্থাপনের প্রণালী এইরূপ-_

প্রথমে “খযীণাং প্রস্তরোহসি--” ইত্যাদি মন্ত্র উচ্চারণ পূর্বক এক খানি আসন প্রদান, পরে “অস্মিন বর্মণি ত্বং ভূপতে ভূবনপতে -” ইত্যাদি মন্ত্র পাঠ করিয়৷ তহুপরি পূর্বববৃত ব্রহ্জমাকে উপবেশন করাইবেন। অনস্তর ব্রহ্মা “অহং ভুপতিরহং ভূবনপতিঃ--+” ইত্যাদি মন্ত্র জপ করিবেন।

ইহার পর হোতি। (যিনি হোম কার্যে ব্রতী হইয়াছেন তিনি ) এক মুষ্টি কুশ। লইয়া, তাহ! অগ্নিকুণ্ডের চতুর্দিকে পতিত করিবেন ব্রন্গাও সেই আস্তরণ কালে “দেবস্য তব ইত্যাদি মন্ত্র পাঠ করিবেন 'এইরূপে কুশাস্তরণ, তাহার সংস্কার, জল প্রসেক পধ্যগ্রিকরণ প্রভৃতি কার্য সকল শেষ হইলে, যজ্জীয় পাত্র সকল মন্ত্র পাঠ পুর্্বক জল অগ্নির দ্বারা সংস্কৃত করিয়া লইবেন। পরে আহুতি দান আরম্ভ করিবেন। আ'ছুতি দানের নাম হোম, তাহা এস্থলে অনেক প্রকার।

5২৪ ভার্তস্রহস্য

প্রথম সপ্ত/ছতি। এই সপ্তাহুতির ৭টী খক মন্ত্র আছে। পরে উত্তর পুর্ব তৎপশ্চাঁৎ দক্ষিণ পর্ববদ্ধ হোম। তাহার পর অভ্যাতান নামক হোঁম। ইহাতে ১৭টা কমহুতি সুতরাং ১৭টা মন্ত্র। ইহার পর উত্তরাঙ্গ হেম। ইহাতে ৫টা আহুতি পাঁচটী মন্ত্র। পরে সমুদ্ধি হোম। সমুদ্ধি হোমের পর সন্গতি হোম সন্নতি হোমে আহৃতি মন্ত্র। পরে শ্বিষ্টিকৎ হোম। ইহাতে আনুতি একটী মন্ত্র। তৎপরে একাদশ মন্ত্রের ছবার। প্রায়শ্চিত্ত হোম অনন্তর স্থৃতি হোম। স্বৃতি হোমে পাঁচ আহুতি পরে সংস্থৃতি হোমে আছত। পরে স্বাুতিকে সমন হোম বলে। (এই সকল আছতি দান্রে পৃথক পৃথক্‌ মন্ত্র আছে--তাহা কম্মিন কালেও কাহারও আবশ্যক হইবার সম্ভাবনা! নাই বলিয়! লিখিত হইল না )।

আহুতি দান সমাপ্ত হইলে, হোত! সেই সকল পূর্বাস্ুত কুশা সকল উঠাইয়া তাহা অগ্নিকুণ্ডে (মন্ত্র পাঠ পুর্বক ) নিক্ষেপ করিবেন। ইহার নাম বহিহোম। পরে অবশিষ্ট দ্বতাদি দ্রব্যও বহ্ছিতে মন্ত্রোচ্চ।রণ পুর্ব্বক নিক্ষেপ করিবেন। ইহার নাম সংঅব হোম। পরে শ্রাব অর্থাৎ আহুতি দানের পাত্র ইন্ত্র প্রতিমা সম্গিধানে স্থাপন করিয়! পুনর্ধবার ইন্দ্রের পুজা করিবেন। পুজান্তে ইন্দ্রের তাহার পরি- বার বর্গের উদ্দেশে মষভক্তবলি নিবেদন করিয়! এই বলিয়া! প্রার্থনা করিবেন,-- *“তে। ইন্্র! দিশং রক্ষ বলিং ভক্ষ যজম।নস্য আধুষ্ষর্তী ক্ষেম কর্তা শাস্তিকর্তা ভব |, ইহার পর দশটা মন্ত্রের দ্বারা দশ দিকে দশ দিক্‌ পতির উদ্দেশে বলি নিবেদন করিবেক। পরে ক্ষেত্র পালের উদ্দেশে মহাঁবলি প্রদান করিবেক তাহার মন্ত্র এইরূপ---“ক্ষেত্রিয়া তথ! ক্ষেত্রস্য পতিমা ক্ষেত্রপালায় ভূতপ্রেতপিশাচরাক্ষস- শকিনীভাকিনীবেতালাদিপরিবারধুতায় নমঃ মন্ত্রো্চারণ দ্বার। বলি প্রদত্ত হইবামাত্র তাহা শুদ্র কি ছুত্রণঙ্ষণের ছ্বারা চতুষ্পথে কি তৎসদৃশ অন্ত কোন স্থানে স্থপিত করিবেক। অবশেষে গুচি হুইয় গ্রন্ত্রী শান্তির পূর্ণতা সিদ্ধির জন্ত পুর্ণান্থতি দান করিবেক। পূর্ণাহুতির ভ্রব্য-_-অজ্য, বস্ত্রবেষ্টিত চন্দনম্রক্ষিত নারিকেল ফল পুর্ণহোমের পর পুনর্ধবার সমিধ হোম পরে মুখমার্জনাদি কতিপয় কুর্য্যদর্শনাদি কতিপয় ক্রিয়! মন্ত্পূর্্বক অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে পরে অগ্নি বিস- জ্জন, ব্রক্ম উত্থাপন, উচ্ছিষ্ট মাজ্রন, নমস্কার দক্ষিণ! দান করিবেক।

এইরূপে শাস্তিকাধ্য সমাপ্ত হইলে রাজা পত়ীসমভিব্যাহারে উপবিষ্ট হইবেন, এবং কুটুঘমণ্ডল তাহাকে বেষ্টন করিয়া বদিবেন। তৎপ্রকারে উপবিষ্ট রাজকে পুরোহিতগণ শান্তিকলসস্থ জলের দ্বারা অভিষেক, পরে আশীর্বাদ করিবেন

রাজাভিষেক পদ্ধতি ১২৫

অভিষেকের মন্ত্র অনেক, সুতরাং 'তাহা না লিখিয়া, কয়েকটা সংক্ষেপ প্রতীক মাত্রের উল্লেখ করিতেছি “পবিত্রং শতধারং» *প্রধতেত পাপো লক্্মীঃ ইত্যাদি ৪টা মন্ত্র এবং হিরণ্যবর্ণাঃ” ইত্যাদি ১৬টী মন্ত্র।

এই অভিষেকের পর রা! সব্বোৌষধি-লিপঙ্গে পবিত্র জলে স্নান করিবেন, শুভ্র বস্ত্র শুভ্র মাল্যাদি পারধানপুব্ৰক সপত্বীক হইয়া আচার্য পুরোহিত দিগকে নমস্কার করিবেন এবং তাহাদিগকে বিবিধ দন দ্বারা পুজা করিবেন। দশ গভী ততোধিক বৃষ, লাঙ্গল, অশ্ব, গ্রাম বা ভূমি, এই সকল দক্ষিণ! দেয় বলিয়! বিহত আছে। অবশেষে ১১ একাদশ সবৎসা ধেন্ধু কোন সুতব্রঙ্গণকে দন করিবার উপদেশ আছে। হস্তী, অশ্ব বিবিধ রত্ধ দানের বিধিও দুষ্ট হয়। এই রূপে গন্দ্ী শাস্তি সমাপ্ত করিয়া প্রকৃত দিনে র/জ|ভিষেকের অনুষ্ঠ।ন করি বেন। সেই কাধ্য কিরূপে অনুষ্ঠিত হইয়। থকে, এক্ষণে তাহাই লিখিত হইতে চলিল।

* পুরোহিত অভিষেচ্য রাজা পুর্ব দিনে উপবাসী থাকিয়! অভিষেক দিনের প্রাতে গান সন্ধ্য। বন্দনাদ নিত্য ক্রিয়া করণাস্তে আভষেক মণ্ডপে উপস্থিত হইবেন। শুভ্র বস্্ শুভ্র মাল্যাদি-বিভাষত কুশহস্ত রাজা পুব্বাভিমুখে আসনোপর উপবিষ্ট হইয়া! দেবতাদিগকে নমস্কারান্তে পুজা সম।প্ত করিয়া মাস পক্ষ তিথ্যার্দির উল্লেখ পূর্বক “সকলরাষ্টবশ্ততাকামঃ অহং সান্বংসর-পুবো- হিতাভ্যামাভ্যাভিষেচয়িষ্যে” এইরূপ সংকল্প ক:রয়া গণেশ পুজা, স্বস্তিবাচন, মাতৃকা! পূজাদি আত্যদয়িকাস্ত কাধ্য সমাধা কাঁরলে, সাম্বৎসর অর্থাৎ দৈবজ্ঞ বা গণক পুরোহিত, তিন জন খণেদী বুর্বেবদী ব্রাঙ্গণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য অমাত্য, এক জন সমবেণী ব্রাহ্মণ অমত্যঃ কি যে কোন বেদেবেত্ত। ব্রাঙ্ষণা্দি বর্ণ অয় অমাত্যকে বরণ করিবেন। সেই ব্রতীদিগকে মধুপর্ক, কুগুলাদি অলঙ্কার, বস্তা পরিচ্ছদ প্রধান পূর্বক ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য শূদ্র এই চারি বর্ণের প্রধান প্রধান ব্যক্তিদিগের সমীপে দ্রান মানাদির দ্বার সংকার করিয়া নিকটে বসাইবেন। পরে পুরোহিত গুভ্রবন্ত্রাধত শুভ্রমাল্যাদি ভূষিত মন্তকে উষ্ীষ বন্ধন পূর্বক হোম স্থানে উপস্থিত হুইয়৷ হোমের আয়েজনাঘি করিবেন হোমকুণ্ডের উত্তরে কদলীবৃক্ষের তোরণ স্তম্তদ্বারবিভূষিত নান শালার মধ্যে কি যবপুঞ্জের উপর ৯টা কলস স্থাপন

সপ শিপ পপ পিপিপি আপি পিন পক পিন শিপ পি পপ পি পপ ভা পপ পাস পাপ

«. এই প্রারস্তের পূর্ব্বে দৈধজ্ঞ পুরোহিত, অভিযেক্তব্য রাজার “রাষ্ট্রে অয়ং রাজা” এই ধলিয়! জয় ঘোষণা সভামধ্য সর্বত্র করিবেন ইহার প্রমাণ বিক্ুধন্মোতিরে “যোঘয়িত্বা জয়ং চাম্য সাম্বংসয় পুরৌহিতৌ 1” ইত্যাদিত্রমে উক্ত হইয়াছে।

১২৬ ভারত-বুহস্থয |

করিয়৷ তাহ। তীর্ঘজলাদির ছারা প্রপৃরিত করিবেন। সেই সকল কলশে সর্বো- ফধি, সর্ববগন্ধ, সর্ধরত্রু, সর্বপ্রকার বীজ, ফল, ক্ষীরী বুক্ষের শাখা ক্ষীরিণী লতার পল্লব নিক্ষেপ করিবেন। অনস্তর তাহ! শুভ্র বস্ত্র শ্বেত মাল্যের দ্বারা বেষ্টিত করিবেন, সেই নব কলসের সমীপে একটি পঞ্চগব্যযুক্ত জলপরিপুর্ণ মৃত্তিকা কলস, একটি ঘ্ৃতপুর্ণ স্ুধর্ণ কলস, একটি ছুগ্ধ পূর্ণ রৌপা কলস, একটি দধি পুর্ণ তাঁম কলস এবং মধুপূর্ণ মুত্তিনা কলস স্থাপন করিবেন তৎপার্খে কুশোদক পূর্ণ মৃত্তিকা কলস, শতছিদ্রধুক্ত সর্ণ কলস, নদীজলপুর্ণ সরোবর জলপুরণ, কুপজলপুর্ণ চতুঃসমুদ্রোদৃকপুর্ণ কলস সকল স্থাপন করিবেন এই সকল কল- সের পরিমাণ উচ্চ ১৬ অন্কুল এবং ৫২ অঙ্গুল সুত্রের ছারা বেষ্টিত হয়, এইরূপ স্থুল হওয়া আবশ্তাক | এই সকল দ্রব্যসম্ভর অয়োজিত হইলে পুরোহিত অ।ণর্ধণ গুহ্বোক্ত প্রণালী অব্লম্বন করিয়। বহ্িস্থাপন করিবেন। পরে পূর্বোক্ত খরন্দ্ী শান্তি প্রকরণোক্ত সপ্তদশ আহুতি প্রদান করিবেন। অনন্তর শর্মগণ, বন্মগণ, স্বস্তযরনাধুষ্য, অভয়া, অপরাজিতা, এতননামধেয় মন্ত্র সমূহের দ্বারা ঘ্বৃতাহুতি প্রদান করিবেন এই পঞ্চগণ মন্ত্রগুলি আথব্ধণ গৃহ পরিশিষ্টে উক্ত আছে, নিশ্রয়োজন বিধায় সে সকল মন্ু উদ্ধত করিলাম না)। হোমকুণ্ডের নিকট যে কলস স্থাপিত হইয়াছিল, প্রত্যেক আহ্ুতির উৎস্ষষ্ট ভাগ সেই সকল কলসে নিক্ষেপ করিতে হইবে। পুরোহিত এবনপ্রকারে হে।ম করিবেন, রাজা তাহার দক্ষিণভাগে দৈবজ্ঞ, সদস্ত মন্ত্রী প্রভৃতির সহিত উপাবষ্ট হইয়া! সেই হয়মান অগ্থির সুলক্ষণ ছুর্লক্ষণ দেখিতে থাকিবেন। অগ্নির আবার সুলক্ষণ ছুলক্ষণ কি? যদি জানিতে ইচ্ছা হয়, এজন্য তাহার ছুই একটী কথ! বলিতেছি, তদ্থার! প্র/চীন হিন্দুদিগের বিশ্বাসে গতি কিরূপ ছিল তাহ! বুঝিতে পাব্রিবেন। *প্রসন্নাচি্মহাজালঃ ক্ষ .লিঙ্রহিতোহি সঃ। স্বাহাবসানে জলনঃ স্বয়ং দেবমুখং হুবিঃ | ঘদ| ভুউক্তে মহাভাগ ! তদারাজ্ঞোহিতং বদেত.। ইত্যাদি। হুয়মান আঁগ্নর যদি কোন ছুলক্ষণ দৃষ্ট হয়, তবে তৎস্থচক অনিষ্টনাশের জগ্ঠ অগ্ঠ এক স্বতন্ত্র শাস্তির অনুষ্ঠান করিতে হইবেক। প্রধান হোম সমাপ্ত হইলে এ্রন্দী শান্তিতে যে সকল হোমের উপদেশ আছে, সেই সকল হোমেরও অনুষ্ঠান করিবেন। হোম সমাপ্ত হইলে পর রাজ দানাদির ছার! শুদ্ধ হইয়া পূর্ধবকল্লিত াঁনশাপায় গমন করিবেন, পুরোহিত

বাজাভিষেক পদ্ধতি ১২৭

দৈবজ্ঞ তখন তাহাকে নিয়লিখিত প্রকারে অভিষেক করিবেন। পুরোহিত প্রথমে সেই রাজার মস্তকে “সহত্র শীর্াা-_,* ইত্যাদি মন্ত্রের দ্বার! পর্বত মৃত্তিক| প্রদান, পরে কর্ণ প্রদেশে বল্মীকমৃত্তিক1, ক্রমে এীবা, হৃদয়, হস্তঘয়, বাহুদ্বয়, পুষ্ঠ, উদর, পার্থ, কটি, _উরুদ্বয়, জান্ুদ্ধয়, জংঘাঘয়, পদদ্য় এবং অবশেষে সর্ববা্জে সেই সকল পূর্ববাহ্ৃত মৃত্তিকা মন্ত্রপুত করিয়া লেপন করাইবেন।

এইরূপে মৃত্তিক(নান সমাপ্ত হইলে সেই পূর্ব-স্থপিত কলসম্থ পঞ্চগব্য- মিশ্রিত জলের ঘ্বারা শান করাইবেন। (ইহার মন্ত্র ৬টী কিন্তু তাহা! পরিত্যাগ করা গেল)। অনন্তর রাজা সে আসন পরিত)াগ করিয়। পুব্বনির্শিত ভদ্র/সনে উপবিষ্ট হইবেন এই ভদ্রাসন স্বর্ণ কিংবা রৌপ্য 'অথব! তা কিংবা ক্ষীরী কাষ্ঠের দ্বারা নিশ্মিত হয় মাঁগুলিক হইলে ভদ্রাসনটার উচ্চতা একহস্ত এবং. বিস্তারেও এক হস্ত। রজা হইলে তাহা সপাদ হস্ত এবং মহ[|রাজ হইলে তাহা সাধ হস্ত পরিমাণে নির্মিত হইয়া থকে | *

অভিষেচ্য রাজ! ভদ্র।সনে বসিলে, পুরে।হি, পূর্বদিকে দীড়াইয়! পুর্ব স্থাপিত সেই ঘ্বত কুস্তের দারা 1র দাক্ষণ ভাগে দাঁড়াইয়া অভিষেক করিবেন। পরে ক্ষত্রিয়া জাতীয় 'অমাত্য সেই পূর্সংস্থপিত ছুগ্ধপূর্ণ রৌপ্য কলসের দ্বারা তাহার অভিষেক করিবেন। অনন্তর পুবশ্যামাত্য পশ্চিম দিকে দাড়াইয়। সেই দধিপূর্ণ তাঅকলসের দার স্নান করাই- বেন। পরে সামবেদী অমাত্য উত্তর দিকে অবস্থিতি কারয়! সেই মধুপুর্ণ মৃত্তিকা কলসের দ্বারা অভিষেক করিবেন এবং তিনিই সেই কুশেোদকপূর্ণ মৃৎকুস্তের দ্বারা তাহাকে সান করাইবেন। ইহাদের জন্যও স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র মন্ত্রের উল্লেখ আছে, এক্ষণে তাহার কোন প্রয়োজন নাই বলিয়! উদ্ধত করিলাম না।

অতঃপর পুরোহিত সবশ্তদিগকে “আগ্রিরক্ষার্থ যুষং অগ্রিং পরিরক্ষধবম্*, এইরূপে নিধুক্ত করিয়া হোমকালে যাহাতে আহুতির উচ্ছিষ্ট নিক্ষেপ কর! হইয়াছে, সেই স্ুবর্ণকলস লইয়া রাজহুয় যজ্ঞ অভিষেক মন্ত্র উচ্চারণ পূর্বক অভিষেন্ধ করিবেন রাঁজন্য় যজ্ঞের সময় যে সকল মন্ত্র খক যভুর্ধেদোক্ত

পা পত্র হা

* ভদ্রাসন নিশ্মীণের বিধি দেবীপুরাণে বিশদরূপে লিখিত আছে হৈমঞ্চ রাজতং তাশ্রং ক্ষীরিবৃক্ষময়ঞ্চ বা। ভদ্রামনঞ্চ কর্তধ)ং সার্দহস্তপমুচ্ছি তম্‌ সপাদহস্তমানঞ্ রাজ্যে মাগুলিকাভ্তর।ৎ |” ইত্যাদি। এতদৃতিন্ন ধরাহসংহিতাগ্রপ্তেও ইহার নিয়মাবলী প্রদর্শিত হইয়াছে

১২৮ ভারতত-রহস্ |

মন্ত্র উচ্চারিত হয় তাহা অনেকগুলি ; সুতরাং তাহার সকল ন! লিখিয় ছুই একটা মন্ত্র এন্থলে প্রদর্শনার্থ লিখিত হইল।

«সোমন্ত তব ছ্যন্মেনভিবিঞ্ামি অগ্নেত্রাজসা হুর্য্যস্ত বর্চসা ইন্দরস্তেকন্তিয়েণ ক্ষত্রাণাং ক্ষত্রপতি রেধ্যতি হি ছ্যুম্1 হিংসীঃ। ইমং দেবা অসপত্রং স্ুবধবং মহতে ক্ত্রায় মহতে জৈট্টায় মহতে জানরাজায় ইন্তরস্তেক্তিয়ায় ইমং অমুষ্যপুত্রং অমুষ্যৈ পুত্রমদ্মৈ বিশ এষ বছোমীরাজ। সোষে হন্মা কং ব্রাহ্গণ।ন।ং রাজা 1” ইত্যাদি

অনন্তর পুরোহিত অগ্নিকুত্খের নিকটে গমন করিবেন। অন্য কোন বেদজ্জ ব্র্ণ তখন সেই ভদ্রাসনোপবিষ্ট রাজাকে শতছিদ্র কুস্তে জলনিক্ষেপ পূর্ব্বক তন্বারা স্তাহাকে স্নান করাইবেন। পরে মন্ত্রপুত করিয়। সর্ববোৌষধি, গদ্ধোদক, বীজ, পুষ্প, ফল, বত্ব কুশ সংস্থ্ট জলের দ্বারা অভিষেক করিবেন। কান কোন পুরোহিতের বলেন, যে, এই সময়ে কুশ, তুর্ব্বা পল্লবের ছ্বার। সেই অভিষিক্ত রাজদেহ মার্জনা করা বর্তব্য। অনন্তর কেবল এক খণ্েদী আ্রাহ্গণ গোরোচনাধুক্ত গন্ধের দ্বার! রাজার মস্তক বিলিপ্ত করিবেন। এই সময়ে নিমন্ত্রিত প্রধান প্রধান ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্ঠ, শূদ্র শঙ্কর জাতীয় প্রজাগণ গঙ্গা যমুন। প্রভৃতি নদীর জল, সরোবর জল, কৃপজল, চতুঃসমুদ্রের জল '৪ নির্ঝর জল (মিনি যাহ! প্রাপ্ত হন তিনি তন্বর! ) কলসে লইয়া! অভিষেক করিবেন ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্তেরা মন্ত্র উচ্চারণ করিবেন, শুদ্র সঙ্কর জাতীয় ব্যক্তিরা মন্ত্র পাঠ করিবেন নী। এই সময়েই প্রধান অমাত্যেরা তাহার সমীপে রাজছত্র চাঁমর বেত্রহস্ত হইয়া ঈীড়াইবেন। বাদ্যকরের! বাদাধবনি করিবেন। বৈদ্ি- কের! বেদগাঁন স্কতিপ।ঠকের। স্ততিপাঠ করিব্নে। যাহারা উপায়ন আনিয়া- ছেন তাহারা এই সময়ে তাহা অর্পন করিবেন। এই উৎসব সমাধা হইলে পর দৈবজ্ঞ সমন্ত কুস্তের অবশিষ্ট জল এক স্থ্বর্ণ কুস্তে রক্ষা করিয়া কুশমুষ্টির দ্বারা তাহা উৎক্ষিপ্ত করিয়। রাজার শিরঃপ্রদেশে অভিনিক্ষেপ করিবেন এবং গনুরাস্তাঁমভিষিঞ্চস্ত” ইত্যাদি মন্ত্র পাঠ করিবেন। এই শেষ অভিষেক মন্ত্রের সংখ্যা ১৮০ €সই ১৮০টি মন্ত্র লিিয়! প্রস্তাব বৃদ্ধি করিবার আবশ্তুক নাই।

দৈবজ্ঞের অভিষেক শেষ হইলে রাজা সুগন্ধি তৈল সুগন্ধ উদ্বর্ভন অরক্ষণ করিয়া স্ুপরিষা জলে স্নান করিয়া মন্তকে শ্বেত উষ্ীষ, অঙ্গে শুভ্র পরিচ্ছদ হস্তে ঘন্ববর্বাণ কি কোন উত্তমান্ত্র ধারণ পুর্বক আদর্শে ঘ্ৃত পাত্রে আত্মপ্রতি' বিঘ্ব দর্শন করিবেন। দ্বতপাত্র সুবর্ণ দক্ষিণার সহিত ত্রন্ধণকে দান করিয়া চন্দন,

রাজাভিষেক পদ্ধতি ১২৯

কুস্কুম, দধি, দর্বা অন্তান্ত মঙ্গল দ্রব্য স্পর্শ করিয়া বিষুপুজা! করিবেন। পরে ব্রাহ্মণ, পুরোহিত দৈবজ্ঞকে বস্ত্রালঙ্কার ছারা পুজা করিবেন

এই অবকাশে দৈবজ্ঞ, রাজার ললাটোপরি পট্ট মুকুট পরাইবেন। * অনস্তর পট মুকুটধারী রাজাকে শুভ লগ্নে মঞ্চোপরি অথবা রাজাসনোপরি উপৰিষ্টঃকরাইবেন। সেই রাজাসন বা মঞ্চটা উপধু্পরি চন্দ ওবস্ত্রের দার! আচ্ছাদিত থাঁকিবেক অর্থাৎ মঞ্চের উপর প্রথমে বুষচর্খী পাতিবেক, তদুপরি মাজ্জার চম্, তহুপরি তরক্ষু চর্ম, তছুপরি সিংহচন্ম, তাহার উপর ব্যাপ্ব চ্ধ, তাহার উপর বনুমূল্য বস্ত্র পাঁতিত করিবেক। রাজা এতদ্রপ মঞ্চে উপবিষ্ট হইলে দ্বারপাঁল মথাক্রমে অমাত্য, পুরবাসী, বণিক প্রজাদ্দিগকে রাঁজদর্শন করাইবেক। তাহারা রিক্ত হস্তে রাজদর্শন করিবেন না, সকলেই কিছু না কিছু উপটৌকন দান করি- বেন। অনন্তর রাঁজা, পুর্ববোক্ত দৈবজ্ঞ, পুরোহিত, বৈদিক ব্রাহ্মণ অন্যান বেদবেত্ত! জ্যোতির্কেভাদিগকেও গ্রাম, বস্ত্র, হস্তী, অশ্ব, স্বর্ণ গো, অজ, মেষ গৃহদান দ্বারা সম্মানিত করিবেন এবং মোদ্রকাদি বিবিধ দ্ুবা ভোজন করাইবেন। অন্ান্ ব্রাঙ্মণদিগকেও ভোজন করাইয়া, তাহাদিগকে গাভী, বস্ত্র, তিল, রৌপ্য- মুদ্রা, বিবিধ অন্ন, ফল, সুবর্ণ, পুষ্প ভূমিদাঁন করিবেন। পরে মাঙল্য দ্রব্য স্পর্শ পূর্বক ধনুর্বাণহস্তে সেই যজ্জাগ্রি প্রদক্ষিণ করিবেন। গুরু প্রভৃতি নমস্ত-

শি চে শত *- পি শশিতিশিশপ শীশাীপাকপপপী পিপি

পট কি? তাহা বল। যাইতেছে দেবীপুরাণে সাঁমান্ততঃ পট লক্ষণ উক্ত হ্ইয়াছে , কিন্তু বিশ্বকন্মা তাহার নিশ্মাণ পদ্ধতি অতি ধিশদরূপে লিখিয়। গিয়াছেন। তাহার সারার্থ এই, ৮, ১৫, ২২, ২৯ কিংবা! ২৬ অঙ্গুলি পরিমাণ দীর্ঘ, দীর্ঘের অর্দ পরিমাণ মধা ভাগের ধিস্তার এবং ছুই প্রান্ততীগের বিস্তার তাহার অর্ধ পরিম+ণ একটা সুবর্ণ পত্র ;--ইহ! বৃত্তাকার অথধা চতুরত্র অর্থাৎ চৌকোন রূপে নিশ্দিত। ইহার মধ্যে বা গর্ভভাগে ৩টী কৃত্রিম পন্ম ; তৎ্সংঅবে বা তৎপাশ্বে শ্বীবংদ শিব, কি গণেশ, বৃষেভ বা ঘরাহেভ অর্থাৎ বুষদেহ হস্তিমুখ কিং! বরাহদ্দেহ গজমুখ ব্বস্তিকাদি চিহ্ন সকল অতি শুক্র পরিক্ষার রূপে শিল্পীর দ্বারা খোদিত করিবেক এই পষ্টের টী শিখর, যুবরাজের হইলে টা শিখর, রাজমহিষীর জন্য হইলে শিখরাকারে গঠন করিবেক। বিশ্বকর্া বলেন, পট কিংবা! ভূষণে ব্যাত্র সর্প হস্তী সিংহ অশ্ব উদ্ মহিষ বৃষ চিহ্ন খোদিত করিষেক না এবং কৃমিকীট পতঙ্গাদি চিহ্নও খোদিত করিবেক না। পষ্ট অষ্টাপদ অর্থাৎ ধিশুদ্ধ কাঞ্চনের দ্বার! নির্মিত হয় বলিয়া অষ্টাপদ পউ এবং পদ্ম, শ্রীবৎস, মস্ত ম্বম্তিক বিনায়ক প্রভৃতি পৃথক পৃথক আট প্রকার চিহ্বান্িহ পৃথক আট প্রকারের গঠন হয় ঘলিয়। অষ্টুপদ নাম দেওয়। হইয়। খাকে। অথব। আট প্রকারের চিহ্ক থাকে বলিয়! অষ্টপউ নাম। প্রথমোক্ত মতের সহিত ইহার বৈলক্ষণ্য এই যে, প্রথম মতে আট প্রকারের ষে প্রকার ইচ্ছা সেই প্রকার পট্ট গ্রহণ কন্ধিবেক কেহ ঘলেন তাহা! নহে, একাধারেই উক্ত আট প্রকার চিহ্ন খোঁদিত করিবেক। এই পট্ের প্রতিনিধি পট্টিক1 অর্থাৎ শুদ্র পউ। এই প্টিক। হইতেই টীক1 রাজটীকা নাম উঠিয়াছে। সংস্কৃত বচন গুলি অনাবগ্ক বোধে লিখিত হইল ন|।

১৩০ ভারত-রহ্ত্য

দিগকে নমস্কার করিয়া! এক মহাবৃষ সবৎসা গাভী সম্মুখে রাখিয়া! তাহার পৃষ্ঠদেশ স্পর্শ করিবেন। এই সময়ে পুরোহিত এক সর্বস্থুলক্ষণযুক্ত উত্তম অশ্ব এক মহ! হস্তী আনয়ন করিয়! মন্ত্রোচ্চারণ পূর্বক সর্কবোৌধধি কলম্থ জলের দ্বারা সেই ছুইটাকেও অভিষেক করিবেন। মন্ত্র গুলি অশ্বশান্তি ছাগশাস্তি পদ্ধতি হইতে গ্রহণ করিবেক। মন্ত্র গুলি শুনিতে মন্দ নহে, পরন্ত তাহা প্রস্তাব বাহুল্য ভয়ে পরিত্যক্ত হইল। পুরোহিত অশ্ব হস্তীকে অভিমন্ত্রিত করিলে রাজ! অশ্বের পৃষ্ঠদেশ স্পর্শ করিয়! অবশেষে সেই অভিমন্ত্রিত হস্ভীতে আরোহণ করিবেন। (ইহারই নাম রাজহস্তী ) প্রধান অমাত্য দৈবজ্ঞ পুরোহিতের অন্ত হস্তীতে আরূঢ হইবেন। সকলে একত্রিত হইয়! রাজপথে মবতীর্ণ হইবেন এবং কিয়ৎকাল নগর ভ্রমণ করিয়া দ্বোলয় সকলে গমন পূর্বক তথায় তাহাদিগকে পুজা দেবত্র দান করিবেন। পরে সকলে একত্রিত হইয়া পুরপ্রবেশ করিবেন। ভ্রমণকালে পুরপ্রবেশ কালে ত্তাহাদের অগ্রে বান্ধ চতুরঙ্গ সেন! অবস্থিত থাকিবেক। শিক্প প্রদর্শন অন্ান্ নাগরিক আনন্দোৎ” সবও অনুষ্ঠিত থাকিবেক। নব|ভিবিক্ত রাজা ব্রাহ্গণ, ন্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র অন্ঠান্ত নিমন্ত্রিত অভ্যাগত ব্যক্তিদিগকে ভোজন করাইয়া, দান, যথোচিত সৎকার করিবেন দীন, দরিদ্র, অনাথ অন্ধ পঙ্গু খঞ্জ কুকজ বামনা দুর্গত- দিগকে বথাশক্তি দান করিবেন। দান মান সৎকারাপির দ্বারা সকলকে বিদায় করিয়া অবশেষে সুহদ্গণের সহিত হুঈচিত্তে ভোজন করিবেন। রান্িকাঁল রাঁজমহিষীর সহিত একান্তে অতিবাহিত করিবেন। পুর্বরাজার সময়ে যদি কোন ব্যক্তি কারারুদ্ধ থাঁকে, তবে তাঁহাকে কারাবাস হইতে মুক্ত করিবেন ইহও একটী তৎকাঁলের কর্তব্য কেহ বলেন যে, এই কার্য অভিষেক আরম্তের পূর্বেই করিতে হয়। এতদূরে রাঁজাভিষেক-পদ্ধতি সমাপ্ত হইল। মনে যদি এরূপ সংশয় উপস্থিত

হয় যে, এই পদ্ধতিটী যথাশাস্ত্র যথাক্রমে লিখিত হইল কি না, তাহা আমরা জানিনা অতএব তাঁদুশ সংশয়িত ব্যক্তির সংশয়াপনোদ্নের নিম অমর ইহার প্রমাণসথত্রটী উদ্ধত করিতে বাধ্য হইলাম

“ইতি সম্ভূতসম্তারো রাজ্ঞঃ সান্বৎসরঃ শুভঃ

কালেইভিষেচনং কুর্য্যাৎ তং কাঁলং কথয়ামি তে

মৃতে রাজি কালন্ত নিয়মোঁহত্র বিধীয়তে

তত্রাস্য ক্নপনং কার্্যং বিধিবত্তিলসর্ষপৈঃ

রাজাভিষেক পদ্ধতি ১৩১

ঘোবয়িত্বা জয়ং চাঁস্য সাম্বৎসরপুরোহিতৌ অন্ঠাসনোপবিষ্টন্ত দর্শয়েতাং জনং শনৈঃ সান্তয়িত্বা তু জনং মুক্ত বন্ধনগং ততঃ দত্বাইভয়ধ্শসনস্থঃ কালাকাজ্জী ততো! ভবেৎ নাভিষেচে। নুপশ্ৈত্রে নাঘিমাসে ভার্গণ। প্রস্থপ্তে তথা বিষ্ৌ বিশেষাৎ প্রাবৃষি দ্বিজ ভৌমদ্দনে রাম চতুর্থাঞ্চ ততৈব চ। নবম্যাং নাভিষেক্তব্যশ্চতুর্দশ্ত।ঞ্চ ভাব ্ুবাণি বৈষ্বং শাক্রং দত্রপুষ্যৌ তাথেৰ চ। নক্ষত্রাণি প্রশস্যন্তে ভূমিপাপাভিষেচনে কারা পৌরন্দরী শাস্তিঃ প্রাগেবাস্ত পুরোধস।। প্রাপ্তেহভিষেকদদিবসে সোপবাসঃ পুরোহিতঃ সিতমাল্যোপবীতশ্চ সর্বাভরণভূবিতঃ বেদিমুল্লিখ্য মন্ত্রেণ হুত্ব। তু বিধিবত্ততঃ শন্মবন্দগণকৈব তথা স্বস্তযয়নং গণম্‌। আ'ঘুষ্যমভস্ঞৈব তখৈব চাপরাতিতম্‌ সংপাতবস্তং কলশং তথা কুধ্য[চ্চ কাঞ্চনম্‌। বহ্েদক্ষিণপার্খস্থঃ শ্বেতচন্দনভূষিতঃ শ্বেতান্ুলেপনঃ অ্বী সর্বাভরণভূষিতঃ | আসন্গ্কঃ সুখং পশ্যেৎ নিমিভ্তীনি হুতাশনে পশ্যেযুরন্তে তথ নৃসিংহাঃ দৈবজ্ঞবাক্যং নিপুণঞ্চ ভূয়ঃ সান্বংসরস্ত।থ সদন্যমুখ্যাঃ সদন্তমুখ্যাঃ পুরোহিতশ্চ প্রদক্ষিণাবর্তশিথস্তদ! জান্বনদপ্রভঃ | রখোৌঘমেঘনির্ধোষো বিপূমশ্চ ছুতাশনঃ অনুলোমঃ সুগন্ব্চ---_সনিভঃ ' বদ্ধমানাক্লৃতিশ্ৈব নন্দ্যাবর্তনিভক্তথা প্রসন্না্চির্মহাজালঃ স্ষ,লিঙ্গরহিতে৷ হি সঃ। শ্বাহাবসাঁনে জ্বলনঃ স্বয়ং দেবমুখো হবিঃ যদ! ভূঙ.ক্তে মহা ভাগ তদ1 রাজ্জে। হিতং বদেৎ।

» হুব্ষিশ্ঠ যদ1 বন্ধ স্তাচ্ছিষিশিমায়িতম্‌

৯৩২

ভারত-রহস্।

ব্রজেষুশ্চ মধ্যেন মাঞ্জারমৃগপক্ষিণঃ | পিপীলিকাশ্চ ধন্জ্ঞ তদ| কুর্ধ্যা্জয়ং হৃপে অঙ্গহারাঁদিলাভে তু বঙ্কৌ রাজ্ঞো জয়ং বদধেৎ। তখৈব জয়ং ক্রয়াৎ প্রক্তরস্তাপ্যদাহিনি শনানং সমারভেদ্র।জ্ঞে হোমকাধ্যাদনস্তরম্‌ বিরান স্বেচ্ছয়! ন্নতঃ পুন খগিভিঃ সমারভেৎ্ পর্বতাগ্রমৃদা তাবৎ মুদ্ধানং শোধয়েন্ন পঃ বল্ীকাগ্রমৃদ্। কর্পে বদনং কেশবাঁলয়াৎ ইন্দ্রালয়মুদ! গ্রীবাং হৃদয়স্ত নৃপাজিরাঁৎ। করিদস্তো দ্ধ তমৃদ! দক্ষিণত্ত তথ! ভূজম্‌ সরোমৃদ! তথ পৃষ্ঠং উদরং সঙ্গমান্স দ1। নদীকুলঘ্বয়মৃদ। পার্থ! সংশোধয়েত্ততঃ | বেশ্ঠাদ্বারমৃদ! রাঁজ্ঞঃ কটিশৌচং বিধীষতে | গজস্থানাৎ তখৈবোরু গোস্থানাজ্জন্ুনী তথা অশ্বস্থান[ভথা জজ্ঞে রাজ্ঞঃ সংশোধয়েছ,ধঃ | রথচক্রোদ্কু তমা তখৈব চরণদয়ম্‌ মৃৎ্পুতঃ সপনীয়ঃ স্তাৎ পঞ্চগব্জলেন তু ততো! ভদ্রাসনগতং মুখ্যামাত্যচতুষ্টয়ম্‌ বলপ্রধানং ভূপ(লমভিষিঞেৎ যথা বিধি পুর্বতোহেমকুস্তেন ঘ্বতপুর্ণেন বা ততঃ দক্ষিণে ক্ষীরপূর্ণেন রৌপ্যকুস্তেন ক্ষত্রিয়? দগ্সাচ তাত্রকুস্তেন বৈশ্তঃ পশ্চিমতো! দিজঃ | মাহেয়েন জলেনোদক্‌ শুদ্রামাত্যে(ভিষেচন্কেখ ততোহভিষেকং নৃপতের্বহ্বচ প্রচয়োদ্বিজঃ কৌবের্্যাং মধুনা রাম ! ছন্দোগোৎথ কুশোদকৈহ সম্পাতবন্তং কলশং তথাহুত্য পুরোহিতঃ বিধায় বহ্িরক্ষান্ত সদস্তেষু যথাবিধি রাজনুয়াভিষেকেতু ষে মন্ত্রাঃ পৰিকীত্তিতাঃ | তেস্ত দব্যান্মহাভাগ ! ব্রাহ্গথানাং স্বরেণ তু ততঃ পুরোহিতে। গচ্ছেৎ বেদিমূলং তদৈর তু &

ভাঁরতীয়-যুদ্ধরহস্ত ১৩৩

বিভূষিতত্ত রাজানং সংস্থিতং ভদ্র আসনে শতচ্ছিদ্রেণ পাত্রেণ সৌবর্ণেন যথাবিধি | অভিষঞ্চেত ধর্মজ্ঞঃ সম্যক বেদবিশারদঃ যা ওষধী রোষধিভিঃ মৃতাভিঃ সুসমাহিতঃ | রথে তিষ্ঠেতি গঙ্গৈশ্চ আব্রন্ধান্‌ ব্রাঙ্ষণেতি বাজৈঃ পুশ্পৈ স্তথা সোমং রাম ! পুষ্পবতীতি চ। তেনৈৰ চৈব মন্ত্রেণ ফলৈস্তমভিষেচয়েৎ

[ ইত্যাদি

ভারতীয়-যুদ্ধরহস্য।

ধনুর্বেদের প্রস্তাবে শ্রমবিধি বর্ণিত হইয়াছে। সেই সকল শ্রমক্রিয়া দটারিডিত পরেও অবিস্মরণের জন্ত মধ্যে মধ্যে অনুষ্ঠঠন করিতে হয়। বাহ অবিম্মরণের নিমিত্ত অনুষ্ঠান করিতে হয়, তৎসন্বদ্ধে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা আছে। সেই ব্যবস্থাটা শাঙ্গধর প্রো ধনুর্বেদ-রহস্তের মধ্যে উত্তমরূপে বর্ণিত হইয়াছে যথ।-_ “এবং শ্রমবিধিং কুধ্যাৎ যাবৎ সিদ্ধিঃ প্রজা য়তে | মে সিদ্ধে বর্ষা নৈব গ্রাহ্যং ধন্থং করে পর্বাভ্যাসম্ত শান্ত্রণ! মবিস্মরণহেতবে | ম[সদয়ং শ্রমং কুর্ধ্যাৎ প্রতিবর্ষং শরদৃতৌ। জাতে চাশ্বযুজে মাসে নবমীদেবতাদিনে পুজয়েদীশ্বরীং চত্তীং গুরুং শল্তাণি বাজিনঃ ॥” যতদিন ন1 অস্ত্রশিক্ষা' সমাপ্ত হয়, যতদিন না' অস্ত্র সকল সম্পূর্ণরূপে আয়ন হয়, তত দিন পূর্বোক্ত প্রকারে শ্রমবিধির অনুষ্ঠান করিবেক। শ্রম ক্রিয়া সুুপিদ্ধ হইলেও অর্থাৎ উত্তমরূপ শিক্ষালাভ হইলেও অভ্যস্তাস্ত্রের অবিশ্মরণের নিমিভ্ত বৎসরের মধ্যে দুই মাস করিয়! শিক্ষিতাস্ত্রের পরিচালন ক্রিয়ার অনুষ্ঠান করিবেক। প্রত্যেক বৎসরের শরৎকালে অর্থাৎ আশিন কার্তিক এই ছুই মাসে পূর্ববাভ্যন্ত শস্ত্রাদির শিক্ষান্থুরূপ পরিচালনাদি কর! কর্তব্য। অন্ত খতুতে কদাচিৎ অনুষ্ঠান করিও করিতে পারিবে $ পরস্ত বর্ষাকালে কদাচ ধন্ুধ্ণারণ করিবে না।

১৩৪ ভাঁরত-রুহস্ত |

আশ্বিন মাঁসের নবমী দিনে ঈশ্বরী চণ্ডী দেবীর গুরুর পুঁজা করা কর্তব্য এবং অস্ত্র শস্ত্রাদি অশ্ব/দির পরিচর্ষ। করাও কর্তব্য

সৈন্য বিভাগ

সেনাগণনার সেনাবিভগের প্রণালীটী নীতিপ্র কাশিক! নাঁমক গ্রন্থে উত্তম- রূপে বর্ণিত হইয়াছে | তাহাতে লিখিত আছে যে, সেন! গণনার প্রথম প্রতীক পত্তি। তৎপরে সেনামুখ, গুল্ম, গণ, বাহিনী, পৃতনা, চমৃঃ অনীকিনী, তৎপরে অক্ষৌহিণী। এই সকল পরিভাষায় অর্থাৎ সাঙ্কেতিক নামের অর্থ যথাক্রমে বর্ণিত আছে; তাহা এক একট করিয়া প্রদর্শিত হইতেছে

পণ্ভি। পত্তি £সন্যের তাহাদের পরিবারের অর্থাৎ রক্ষক সৈম্তদিগের বিভাগ

এইরূপ-- «একে! রথো গজশ্চৈকো নবাঁঃ পঞ্চ হয়াস্ত্রয়ঃ |

যস্যাং সা পত্তিরেতেধাং সহ।য়ন্‌ প্রজবেহধুন! ( বৈ, নীতি |) রথ, হস্তী, পদাতি, অশ্বারোহী, এই গুলি একত্রিত বা একযোগে [কিনলে পন্ভতি ন।মে কাঁথত হয়। ইহাঁধধের সাহাধ্যকারী সৈম্তের কথা পশ্চাৎ , বল! যাইতেছে সেনামুখ

“সেনামুখেতু শুণিতান্ত্রয়শ্ৈর রথা গজাঃ। ত্রংশাত্রলক্ষপদগাাভ্ত্রসহত্রং হি বাঁজিনঃ ॥” ( বৈ, নীতি |) ৩০ রথা, ৩০ হস্ত্যারোহী, ৩০০০০ পদাতি ৩০০* অশ্বারোহী সৈশম্তের লমবেতকে সেনামুখ বলিয়৷ গণ্য করা যায়

গুলা গুল নবরথাঃ প্রোক্তা নাগানাং নবতীং বিছুঃ অশ্বানাং নবসাহজং নবলক্ষাঃ পা তয়ঃ গুলু সৈন্যে রী, ৯০ হস্ত্যারোহী, ৯০০* অশ্বারোহী, ৯০০০০ পর্দা(ত সৈন্ত থাকিবেক |

ভারতীয় যুদ্ধরতস্ত ১৩৫

গণ “গণাখ্োতু শতাঙ্কানাং নরাণাং সপ্তবিংশতিঃ | স্তত্বেরমাণাং দ্বিশতং সম্ভতিং প্রাহুরাধ্য কাঁঃ সপ্তবিংশতি সাহস্র। গান্ধর্বাঃ পরিকীন্তিতাঃ। সপ্তবিংশতিলক্ষাস্ত স্মতাশ্চাত্র পদাতিয়ঃ ॥% ২৭ রী, ২০০ ভন্তী, ২৭০০ অশ্ব, ২৭০০০* পদাতি সৈন্তের নম গণ।

বাহিনী

“বাহিন্তাং স্তন্দনাঃ প্রোক্তা হ্যেকাশীতা নিয়েজিতাঃ |

দ্শোত্তর।ষটশতকাঃ পদ্িনশ্চাত্র কীর্ডিতাঃ

একাশীতি সহ স্ত তুরঙ্গঃ সম্প্রকীত্তিতাঃ |

একাশীতিকলক্ষ! বৈ বিখ্যাতাঃ পাদচারিণঃ

| ( বৈ, নীতি ) ৮১ বুথ, ৮১০ হস্তী, ২১০০ অশ্ব, ২১০০০০ পদাতি সৈম্তে এক বাহিনী “সন হয়, ইহ! যুদ্ধ শাস্ত্রে উক্ত হইয়াছে পুতনা

ত্রয়শ্চ চত্বারিংশচ্চ দ্বিশতং পৃতন। রথাঃ।

চতুঃশতঞ্চ ত্রিংশচ্চ দে সহত্রে দত্তিনাম্‌

তুর।ঙ্গাণাং সহশ্রাণি ত্রিচত্বারিংশদেবতু।

দ্বে লক্ষে চৈব রাজেন্দ্র দ্বে কোটী নুণাং ভবেৎ

(বৈ, নীতি ) পৃতন! সৈন্তে ২৪৩ রথ, ২৪০০ হস্তী, ৪০০০০ অশ্ব এবং ২০০০০০ পদাতি থাকিবেক। চমু ণচন্বাখ্যে সপ্তমব্যহে গণনাং বচ্মি বিস্তরাৎ।

চম্বাং সপ্ত শতং চৈকন্যুনত্রিংশদ্রথাঃ স্থৃতাঃ

সপ্তৈব সহস্রাণি দ্বে শতে নবতিস্তথা

গজানাং সপ্ত লক্ষাণি চৈকোনত্রংশদেবতু

সহআণি হয়ানাঞ্চ পদাতীনামথে। শুণু

সপ্ত কোট্যশ্চ চৈকোনত্রিংশল্ক্ষাণি ভূপতে ॥৮ (৬)

১৩৬ ভারত-দহন্য | চমূ নামক সপ্তম বিভাগের ৭২৯ রথ, ৭২৯০ হৃম্তী, ৭২৯০০০ কিংবা! ২৯৪০

অশ্ব এবং ৭০০০০০০ কিংবা ২৯০০০০ পদাতি সম্মিলিত থাকে অতঃপর অনীকিনী সৈন্তের বর্ণনা অভিহিত হইয়াছে

অনীকিনী “অনীকিন্যাং দে সহজে সপ্তাশীত্যধিকং শতৃম্‌। রথানামথ নাগানাং গণনাং বচ্মি তেহুনঘ একবিংশতি সহম্রাণি তথাচাষ্টশতং নুপ সপ্ততিশ্চেত্যথাশ্বন।ং সংখ্য।ং শুণু সমাহিতঃ একবিংশতি লক্ষাণি সপ্তাশীতিসহজঅকম্‌। একবিংশতি কোটাশ্চ পদাতীনাং নরগিপ সপ্ত।শীতিশ্চ লক্ষাণাং বিদ্ধি বুদ্ধিমতাং বর ॥” অনীকিনী নামক বিভাগে ২১৮৭ বুথ, ২১৮৭০ হস্তী, ২১৮৭০০০ অশ্ব এবং একবিংশতি কোটা সাতাশী লক্ষ পদ[তি থাকে

অক্ষৌহিণী “এতদ্দশ গুণ যা স্তাৎ তাং স্বমক্ষৌহিণীং শৃণু1% উক্ত অনীকিনীর দশ গুণ সৈন্য থাকিলে তাহাকে অক্ষৌহিণী বলিয়। জানিবে। বৃদ্ধ শাঙ্গধর কৃত ধনুর্েদসংগ্রহে অক্ষৌহিণীর পরিমাণ যাহা উক্ত হইয়াছে, এস্থলে তাহাও বল! যাইতেছে। শাঙ্গধর বলেন ষে»-_ “দ্যুয়ং স্বরবস্থেন্দুনেত্রৈরক্ষৌহিণা মতা 1৮ শৃন্দ্বয় (০০ ১, স্বর, (5), বস্থ (৮), ইন্দু(১) নেত্র (২), এই গুলি অন্ক বামগতি ক্রমে স্থাপনা করিলে যে সংখ্যা লাভ হয়, ততপরিমিত সৈন্ঠের নাম অক্ষৌহিনী। অর্থাৎ ২১৭৮০০ সংখ্যক সৈম্তের নাঁম অক্ষৌহিণী। ইহার বিস্তৃত ব্যাখ্যা এইরূপ £-- “'অক্ষৌহিণ্য।ং প্রদিষ্টানাং রথানাং ধর্মচারিণাঁং। খ্যা গণিততব্বজৈঃ সহআন্তেকবিংশতিঃ - উপর্ধ্যাক্টোশতান্তহস্তথা ভূপাশ্চ সপ্তুতিঃ। গজজানাস্ত পরীমাণমেতদেব বিনির্দিশেৎ জ্ঞেয়ং লক্ষ্য পদাতীনাং লহঅণি তথা! নব। শতানি ত্রীণি পঞ্চাশচ্ছ,রাণাঁং শস্ত্রধারিণাম্‌॥

ভারতীয় যুদ্ধর্স্ত | ১৩৭

পঞ্চষ্টিসহত্রাণি তথাশ্বানাং শতানি চ। দশোত্তরাঁণি যত্প্রানঃ সংখ্যাতত্ববিদো জনাঃ ॥৮ অক্ষৌহিণী সৈন্তের মধ্যে ২১৮০০ রথ, ৭০ রাজা (সামন্ত ), উক্ত সংখ্যক স্তী, ১০৯৩৫০ শস্্রধারী পদাতি এবং ৬৫১১০ অশ্ব বিদ্যমান থাকে মহাভারতেও অক্ষৌহিণী সংখ্যার নির্ণয় আছে।

চিহ্ৃকরণ

ভিন্ন ভিন্ন ব্যহিত সৈন্ঠের ভিন্ন ভিন্ন সাঙ্কেতিক চিহ্ন প্রধান করিবে ; যথা “পত্যাদ্ভিঙ্গে ধ্বজপটাঃ পুথক্‌ কার্য! বিশেষতঃ স্বসৈন্যস্ত শত্রোশ্চ বৈলক্ষণ্যসা দিদ্ধয়ে ॥”

পূর্বোক্ত পন্তি প্রভৃতি সৈম্তদ্লের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের ধ্ৰজপট অর্থাৎ পতাকা স্থাপন করিবেক। বুদ্ধকালে ব্য-রচন।র সময় সৈশ্ঠদলের ভিন্ন ভিন্ন কার্ধ্য করিবার বিধি থাকায় আপন সৈন্ঠের পরকীয় সৈম্তের বৈলক্ষণ্য-বোধক পতাকাদি চিহ্ন প্রদান করিবেক।

সেনাপতি “সর্বসেনাধিপঃ কাধ্যঃ কুলপুরে! জিতেক্দ্রিষঃ | দ্টাপদানো দক্ষম্চ রূপবান্‌ রাজবল্লভঃ লালাটিকশ্চেঙ্গিতজ্ঞঃ সেনানরবিশারদঃ | ৃষ্ট সারয়িতা চৈৰ স্বমযোধান।ং রণাজিরে ॥৮

যত প্রকার সৈন্ত থাকুক, রাজ! এক জন সদ্গুণান্বিত ব্যক্তিকে তত্তাবতের আঁধিপত্যে অভিষেক করিবেন। যিনি সৎকুলোভ্ভব, জিতেক্ত্িয় (অর্থাৎ লোভ- ক্ষোভাদি-রহিত ), যুদ্ধবিগ্ভায় যুদ্ধকাধ্যে পারদর্শী সুনিপুণ, সন্দরাকৃতি, রাজ- প্রিয়, ভাগ্যবান, ইঙ্গিত যোদ্ধা, সৈম্তনীতিতে অভিজ্ঞ, ছু্ধর্য, বুদ্ধক্ষেত্রে সৈম্তদ্দিগকে সাস্বন! করিতে সমর্থ, ঈদৃশ সৎপুরুষকেই রাজ! সর্ধসৈনাপত্য প্রদান করিবেন।

“অক্ষৌহিণীনাং পতয়ঃ পৃথক্‌ কাধ্যাস্তথাঁবিধঃ।

সেনাপতিবশে তেশপি তিষ্ঠেযুস্তেন পালিতাঃ

পত্তেঃ সেনামুখস্যাপি গুল্সসা গণস্য চ।

বাহন্যাঃ পুতনায়শ্চ চম্বাশ্চাপ্যধিপাঃ পৃথক্‌ ১৮

১৩৮ ভারত-রহস্য।

অনীকিন্যাশ্চ কার্ধ্যা বৈ বোঁধশিক্ষান্থ নিশ্চিতাঃ। ঘয়োস্ত্রয়ণাং পতয়ঃ কা্যাঃ কাধ্যানুসারতঃ

ধিনি সকল সেনার অধিপতি--স্তাহার নাম সেনাঁপতি। ততিন্ন অক্ষৌহিণী- পতি, পত্তিপতি, সেনামুখনেতা, গুল্সনায়ক, গণনায়ক, অনীকিনীপতি, চমুপতি, ইহারা স্থ স্ব সৈন্তের অধীশ্বর এবং ইহীরা সকলে সেনাপতি কর্তৃক পরিরক্ষিত পরিচালিত হইয়া তদীয় আজ্ঞাধীন থাকিবেন। রাজ! সেনাঁপতির স্তায় উপ- যুক্ত দক্ষ ব্যক্তিকে পত্তিসৈম্তের, সেনামুখসৈন্তের, গুলসৈন্ের, গণসৈন্তের, বাহিনীসৈন্তের, পৃতনাসৈন্তের, চমুসৈন্যের অনীকিনীসৈন্যের পৃথক পৃথক অধিপতি নিযুক্ত করিবেন। বাহার! শিক্ষা দিতে পারেন, তাদৃশ ব্যক্তিই সপ্তবিধ সেনাপতি পদের উপযুক্ত পাত্র। কাধ্যবিশেষে দুই ছুই তিন তিন সেনার উপর এক কিংবা ততোধিক অধিপতি নিযুক্ত কর! কর্তব্য শযাঁদৃক্‌ সৈনাধিপত্যে তু পুর্ববং যোহধিকৃতে। ভবেৎ। জ্যেষ্টভাবে নিয়তন্তৎপশ্চাদ্যস্ত তদ্বশে ॥% পুর্ব ধিনি যেরূপ সৈগ্তের আধিপত্য গ্রহণ করিয়াছেন, সেই সৈগ্ঠের প্রতিই তাহার স্বাতন্ত্য ; পরস্ত তিনি “জাষ্ট বিদ্ধমানে (তাহা অপেক্ষা উচ্চপদস্থ সেনাপতি বর্তমানে ) সেই জ্ঞোষ্ঠেরই ব্শবর্তী থাকিবেন। জোষ্ের অভাবে তন্রিয় সেনাপতিই জ্যোষ্টত্ব লাভ করিতে পারিবেন

প্পত্ত্যাদ্যঙ্গপতীনষ্টৌ অক্ষৌহিণ্যধিপান্থগান্‌। কৃত্বা জোষ্ঠান্ুসারেণ নিয়ম্যাঃ সর্ববসৈনিকাঃ ॥”

পত্তি প্রভৃতি আটজন অঙ্গপতি অর্থাৎ স্বল্প সেনাপতি আপন আঁপন জ্যোষ্ঠের অনুগত থাঁকিবেন। জ্যেষ্টানুস(রী থাকিয়া স্ব স্ব সৈম্দিগকে রক্ষণাবেক্গণারদি করিবেন। যিনি সর্ধসেনাপতি, তিনি সমুদায় সেনাপতিকেই আপনার অনুগামী করিয়া সৈন্দিগকে স্থুনিয়মে অনুশাসন করিবেন। “অধিপাঃ প্রতি সেনায় স্ত্রয়ঃ কার্যাঃ সুশিক্ষিতাঃ। উত্তমাধমমধ্যস্থা জোোষ্ঠাজ্ঞা-বশবর্তিনঃ পত্তি প্রভৃতি প্রত্যেক সৈম্ঠবিভাগে তিন জন করিয়া অধিপতি নিধুক্ত করা কর্ণব্য তাহার মধ্যে কেহ উত্তম, কেহ মধ্যম, কেহ বা অধম ( প্রথম, দ্বিতীয় তৃতীয় স্থানীয় )। ইহার! সকলেই আঁপন আপন জ্ঞোষ্ঠের ( প্রধানের ) আজ্ঞারীন থাকিবেন। |

ভারতীয়-যুদ্ধরহস্ত | ১৩৯

সাঙ্গত *।

সেনাপতিগণ আপন আপন সৈম্ত মধ্যে বিভাগক্রমে (অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন ক্রমে) প্রতিদ্দিন এক একটী করিয়! সাঙ্গত প্রচার ব! সঙ্কেত নির্ধারণ করিবেন। সেই সন্কেত কেবল সেনাপতিরাই জ্ঞাত থাকিবেন, কোন সেনা কি অন্ত কোন পুরুষ যেন তাহ! জানিতে না পরে।

সৈম্তপালের একটা প্রধান কর্তব্য |

“দিবসে দিবসে সেনাং পরিবত্ত্য প্রয়োজয়েৎ। একত্র সুস্থিতং সৈন্যং শঙ্কাং চাস্যাপি সাধয়েৎ ॥” সেনাপতিগণ আপন আপন সেন।দিগকে এক স্তানে বাখিবেন না এবং প্রতি- দিন তাহাদের পরিবর্তন করিয়া কাধ্যে নিযুক্ত করিবেন। কেন না সৈম্তগণ এক স্থানে অপরিবন্তিত থাকিলে শঙ্কার কারণ হইয়া উঠে।

বেতন পুরস্কার মহষি বৈশম্পায়ন স্ব্কত নীতি প্রকাশিক! গ্রন্থের ধনুর্ধেদ বিভাগে যোদ্ধগণের বেতনবিধি পুরস্কার দানের নিয়ম উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। তাহা দেখিলে এদেশে তৎকালে কিরূপ ধনোন্নতি ছিল, তাহা সহজেই অনুমান করা যাইতে পারে। পূর্বকালের ব্রাজারা' যোদ্ধাদিগকে কিন্ধূপ বেতন দিতেন, ইহা জানিবার জন্ত সময়ে সময়ে অনেকেরই কৌতুহল হইয়া থাকে এই ছুই কারণেই আমর! এই প্রস্তাবে বেতন পুরস্কার ঘটিত ব্চনগুলি উদ্ধৃত করিলাম “যুবরাঁজায় বর্বাণাং পঞ্চস।হত্রিকী ভতিঃ | সর্বসনা-প্রণেত্রে চতুঃসাহশ্িকী সা। ভৃতিশ্চাতিরথে দেয়! বর্ধাণাং ত্রিসহক্রকম্‌। মহারথায় সাহঅদয়ং রাজ্ঞাধিমীসিকম্‌ বেতনং রখিকায়াহ্থসাহত্রং গজযোধিনে। দদ্যাদর্ধরথায়াথ বেতনং শতপঞ্চকম্‌ একন্মৈ রথিকায়াথ তাদৃশে গজসাদিনে। নিফানাং ত্রিশতং দদ্যাৎ যতন্তৌ তৎ কুটুম্বিনৌ

স্পা সাপ পাপ

সপ জিও সিন

* ইউরোপীয় সৈগ্কগণের মধ্যে এই সঙ্কেত বাক্যের নাম ৪1015.

৯৪০ ভারত-রহণ্ত

সর্ববাশ্বাধিপতীরাজ্ত্ত্িসাহত্রং বা ইতি পাদাত।ধিপতিশ্চাঁপি দিসাহশ্রস্য ভাজনম্‌ পদাতানাং সহত্রস্য নেত্রে পঞ্চ শতং স্মতম্‌। তথা চাশ্বনহতেশে সহত্রং বেতনং ভবেৎ পদাতয়ে সুবর্ণানাং পঞ্চকং বেতনং ভবেৎ। শতপতাধিপে সপ্ত বব্বাণাং হয়চ।রিণে গজধযস্ত্রে সারথেশ্চ ধ্বজিনে চক্রপায় চ। পদাতিত্রিশত্েশায় পথিকো্রচরায় বাতিকাধিপতেশ্বাপি বেত্রিণাং পতয়ে তথা হুতমাগধবন্দীনাং পতয়ে বীবধাঁধিপে সেনায়! ভৃতিদাত্রে ভটানাং গণনাপরে মাসি মাসিতু বর্ধাণাং দশ পঞ্চ বেতনম্‌ তত্তৎ কাধ্যানুনারেণ কুলপধ্যায়তস্তথা ভটানান্ত ভূতিঃ কল্্যা তত্তৎ কালানুসারতঃ ॥৮, রাজ। যুবরাজকে মাসিক পাঁচ হাজার বর্ব * এবং প্রধান সেনাপতিকে মাসিক চারি হাজার বর্ধ বেতন প্রদান করিবেন। যিনি অতিরথ 1 রাজার নিকট তিন হাজার বর্ব মাসিক বৃত্তি পাইবেন এবং ধিনি মহারথ তাহাকে অন্যুন দুই সহ বব্ব মাসিক বৃত্তি প্রদান করা! কর্তব্য ঘিনি গজ-যোধী রথখা ? রাজা তাহাকে এক সহজ বর্বব এবং ধিনি অদ্ধ-রথা রাজ! তাহাকে পাঁচ শত বর্ধব বেতন দিয়! বাধ্য রাখিবেন। ধিনি কেবলমাত্র রথা, পরস্ত ক্রনিপুণ নহেন; তাহাকে এবং ধিনি গজযোধী পরন্ধ তদ্ধিষয়ে অন্নজ্ঞ, এরূপ ব্যক্তিকে মাসিক তিন শত নি্ষ প্রদ[ন করা কর্তব্য যিনি সমুদায় অশ্বারোহী সৈন্তের অধিপতি, তিনি মাসিক তিন হাজার নিকষ পাইবার যোগ্য এবং ধিনি সমস্ত পাতি সৈন্তের অধিনায়ক তিনি ছই হাজার

নিষ্ধ পাইবার যোগ্য | যিনি এক হাজার পদ্াতি সৈগ্ঠের নিয়স্তা; তীহার মাসিক বেতন পাচ শত

পপাপপপেীলিসপসপীশি পিট দিপা পাত পপ ০৯৭৯ পপ টস স্পা জা

* ইহা এক প্রকার প্রাচীন স্ববর্ণ মুদ্রা। + সর্বশ্রেষ্ঠ রথ-যোদ্ধাকে অতিরথ ধলে। ইহার পরিত।যাটা পৃথক স্থানে বর্ণন করা

ধাইবে।

ভারতীয়-যুদ্ধরহস্ত | ১৪১

নিষ্ষের অধিক নহে। যিনি সহস্র অশ্বারোহী সৈন্তের অধিনায়ক তাহাকে সহত্ত নিষ্চ বেতন প্রদান করা কর্তব্য শিক্ষিত কৃতযুদ্ধ পদাতি ?সগ্ঠের বেতন পাঁচ সুবর্ণ * এবং শত পদ্দতির অধিপতির বেতন বব্ধ হওয়া উচিত। অশ্বনায়ক, হস্তিশিক্ষক, সারথি, চিহ্ুনিয়মক, চক্ররক্ষক, তিন শত পদ্দাতি সৈম্তের অধিপতি, পথ প্রদর্শক পথাভিজ্ঞ, উষ্চর, বাত্তীজীবী ব! চরের অধিপতি, বেত্রধারীদিগের নিয়ন্তা, সত, মাগধ স্ততিপাঠকিগের অধ্যক্ষ, বীবধ, গজের নায়ক, সেন।গণের বেতনদাঁতা, সৈগ্ঠ গণনাকারক (যিনি সৈশম্ভগণের তালিকা রাখেন ),_-এই সকল ব্যক্তিকে প্রতি মাসে দশ পাচ অর্থাৎ পঞ্চদশ বর্ধ পর্য্যন্ত বেতন প্রদান করা উচিত যাহা বলা হইল তাহা একটা সাধারণ উল্লেখ মাত্র। বস্ততঃ কাধ্য, কুল, গ্দমধ্যাদা অবস্থা অন্সারেই পুর্বোক্ত ব্যক্তিগণের এবং অন্যান্তি সৈম্তগণের বেতন কল্পনা করা কর্তব্য বাঁলরা অভিহিত হইয়াছে এক্ষণকার গ্যায় পুর্বকালেও বৃর্তিৰান বা “পেন্সন” দিবার বীতি ছিল। প্রত্যেক রাজশান্ত্রে বিশেষতঃ নাতিপ্রকাশিকা নামক গ্রন্থে উহার বিশেষ ব্যবস্থা ৃষ্ট হয়। যথা-_ “যুদ্ধে স্বার্থং মৃতা যেচ শব্রভিত্তৎস্ববন্ধুবু। সেবয়া জীবিতা যে দেয়ং তেষাং হি জীবনম্‌ ঘৃতানাং গীবতাঞ্চাপি পুব্বং সেবাপরাত্মনাম্‌। তদীয়ানাস্ত তেষাং ব! পুর্ববমন্তা দ্রজীবনম্‌ গ্রামেহভিমুখাঃ কুন্ত। যুবানো মুতা ভটাঃ। রাজসেবাম্বশক্তা যে তেষাং পুর্ববার্ধজীবন্ম্‌ শত্রণামুপঘাতার্থং তস্য মন্মাণি যোহপয়েৎ। স্বশ্মৈ তন্তাপি বর্শণ্যা দ্বিগুণা পরিকীত্ডিতা শক্রসেনাবিভেত্বারং ছুর্গরোহণতৎপরম্‌। স্বরাজ্যবৃদ্ধিকর্তীরং যোজয়েৎ দ্রবিণোতকরৈঃ ॥" যে ব্যক্তি রাজার স্বার্থ সংসাধন করিতে গিয়া শত্রু কর্তৃক যুদ্ধে মৃত হইবে,

* ইহাঁও এক প্রকার মুদ্রা ৮* রতি'গওজনের মুক্ত্রিত কাঞ্চন খণ্কে পূর্ব্বে সুবর্ণ বলিত। নিও পুর্ববকালের বর্ণ মুদ্রা

১৪২ ভাঁরত-রহপ্তয।

রাজা তাহার বন্ধুকে অর্থাৎ স্ত্রী, পিতা মাতা অথবা পুত্রকে তীয় প্রাপ্য জীবিক। প্রদান করিবেন ( যেব্যক্তি যাহ! মাসিক বৃত্তি পাইত মেই মাসিক বৃত্তিই প্রদেয় ) যে ব্যক্তি দীর্ঘকাল রাঁজসেবা করিয়া! জীর্ণ হইয়াছে, কাধ্যক্ষম হইলেও রংজা তাহাকে সম্পূর্ণ বৃত্তি প্রদান করিবেন

ষে ব্যক্তি পূর্বে বিশেষরূপে সেবাতৎ্পর ছিল, ( অবাধে প্র।ণপণে কাধ্য করিয়া আসিয়াছে ), সে ব্যক্তি কাধ্য ত্যাগ করিয়া জীবিত থাকুক, অথবা মৃত হউক, তাহাকে অথবা তাহার স্ত্রী পুত্রকে অর্ধ-জীবিকা অর্থাৎ সে যাহ! পাইত তাহার অদ্ধ-পরিমাণ বৃত্তি দেওয়া অবশ্ত কর্তব্য

যে যোদ্ধ। সংগ্রামে প্রবৃত্ত হইয়া! শত্রু কর্তৃক বিনষ্ট হয়, মে যুব! বিনষ্ট ন! হইয়া! অধহত প্রযুক্ত কাধ্যকরণে অক্ষম জীবিত থাকে, সে ব্যক্তিকেও পুর্ব বেতনের অর্ধ পরিম।ণ বেতন দেওয়া কর্তব্য।

ষে ব্যক্তি রাজার শক্র বিনাশে উদ্ভত হইয়! শত্রুর মম্ম বিঘ।তে অর্থাৎ থে বাক্তি শত্রু বিনাশে কৃতকাধ্য হয়, হইয়া পুনশ্চ রাজসেবায় নিযুক্ত থাকে, সে ব্যক্তি দ্বিগুণ বেতন পাইবার উপযুক্ত।

যে ব্যক্তি শত্রসৈন্ত ভেৰ করিতে সনর্থ, হুর্প্রবেশে তৎপর, রাজ্যবৃদ্ধিকারী বাজা তাহাকে ভূর পরিমাণ অর্থের দ্বারা পরিতুষ্ট রাথিবেন।

পুরস্কার

* প্রতাগ্রে কন্মণ কৃতে শ্রাধানঃ কতা দরঃ | যোধেভ্যঃ পুর্ণপাত্রং হি দদ্যাদ্রাজা বিশেষতঃ ॥৮ [ বৈ, নীতি আজ্ঞানুরূপ কারা সম্পাদন করিয়া আপিলে, রাজ! তাহাকে সমাদর করিবেন, সর্ধসমক্ষে প্রশংসা করিবেন, তাহাকে এবং তাহার আজ্ঞাপালক যোধবর্গকে বিশেষরপ পূর্ণ পাত্র (পরিমিত ধন দ্রব্য ) প্রদান করিষেন। এই সাধারণ বিধির অন্তর্গত বিশেষ বিধি অর্থাৎ কিন্ধূপ কার্যের পুরস্কারার্থ কিরূপ পূর্বপাত্র প্রস্কারীয় ধন বা! দ্রব্য ) প্রদান কর! কর্তব্য তাহা নিয়লিখিতড শ্নোকে প্রকাশিত আছে প্দগ্যাৎ প্রহষ্ট নিযুতং বর্বাণাঁং রাজঘারঙিনে। তদদ্ধং ততস্থভবধে সেনাপতিবধে তথা

ভাঁরতীয়-যুদ্ধরহস্ত | ১৪৩

অক্ষৌন্কিণাপতিবধে তদর্ঘং পরিচক্ষতে | মন্ত্যমাত্যবধে চৈব তদর্নস্ত প্রদাপয়েৎ অনীকিনী চমুশ্চৈব পৃতনাবাহিনীগণঃ | গুলং সেনামুখং পতিরেতেষাং পতিঘাতিনে ক্রমাদদ্ধাংশাহইসেন তদদ্ধীনি প্রদাপয়েৎ। বেতনাদধিকং চৈতৎ প্রাপা কুর্ষ,্যশ্চ তেহধিকম্‌ অক্ষৌহিণ্যাঃ পতিং ভত্ব! দ্বিতীয়ং বা তৃতীয়কম। চন্বোরধিপতিটব পৃতনানাং পতিং তথা অনীকিনীপহা। যাবৎ তাবৎ প্রাপ্পোতি রাজতঃ | ইখমগ্রেহপি যোক্তব্যং সম্মানমধিপাপহে পলায়িতং সাযুধস্ত ধৃত! স্বভটদা়িনে। বর্বাণাং পঞ্চ বৈ দদ্যাৎ তশ্মৈ সত্কৃত্য ভূমিপঃ পলায়িতং সভ়তিকং বিশজ্জং দেহশোভিনম্‌। ধুত্ব। নিবেদিনে দদ্যাৎ বন্বাণাঞ্চ ভ্রিকং নুপঃ গজঞ্চ গজ্সাদিঞ্চ মহারথিকমস্তকম্‌। ছিত্বা নিবেদয়েদ্রাজ্ঞে দ্বিসাহত্রং বা ইতি হয়ারূঢ়বরং হত্বা পাদ্াতাঁধিপতিং তথা বর্ধাণাঞ্চ সহত্রস্ত যোগ্যো ভবতি রাজতঃ শত্রসৈন্যাৎৎ কুগজরং বা রথং বা যঃ সমাহরেৎ। পঞ্চাশঘর্বসম্মানং প্রাপ্পোতীহ রাজতঃ প্রতিপ্রয়াণং ভৃত্যানাং ভক্তং দেয়ং স্থিতৌ হি। মার্গায়াসং বিদিত্বৈষাং বেতনাদধিকং ত্বিদম্‌ অন্যেষু বা সাহসেখু বেতনাদাধিকং নৃপঃ। লোকসংগ্রহণার্থঞ দদ্ভাদৈ পার্িতোধিকম্‌ ভটেভ্যশ্চৈব বস্্াণি রজকাণাঞ্চ বেতনম্‌। তদ্বেতনেন কল্লানি নৌষধানি রোগিণাম্‌। পররাস্রীজিতং দ্রব্যমদ্ধং রাজ! বিভজ্য তু। ঘোধেভ্যোহদ্ধং প্রদেয়ং শ্য।দর্ধধ্ স্বয়মাহরে হয়ং বা শকটং বাপি হরে সোপস্কৃতং ভটঃ। তপর্দভূষ্যমংশস্ত লতেৎ রাজসতরুতঃ

১৪৪ ভারত-রহস্তয |

শিথিলানি শঙ্ত্রাণি লুন্টিতং শত্রভিযুধি | স্বযোধানাং নৃপে। দদাৎ বেতনং পরিহাপ্য চ॥

যে যোদ্ধ! শত্রু রাজাকে বধ * করে, রাজা তাহাকে .হৃষ্ট হইয়া! নিযুত সংখ্যক বর্ধ প্রদান করিবেন। যুবরাজ বধ করিলে তাহার অদ্ধ এবং প্রধান সেনাপতি বধ করিলেও অর্ধ পুরস্কার দান কর! কর্তব্য নীতিবিশারদ পণ্ডতগণ বলিয়া থাকেন যে, অক্ষৌহিনীপতি বধ করিলে তাহার অদ্ধ, মন্ত্রী প্রধানামাত্য বধ- কারীদিগকে তদদ্ধ পুরস্কার দেওয়। কর্তৃব্য।

অনীকিনী, চমু, পৃতনা, বাহিনী, গণ, গুল্ম, সেনামুখ পত্ভি,_এই সক- লের অধিপদ্দিগকে বধ করিতে পাঞ্জিলে থাক্রমে অদ্ধাদ্ধ পারিতোধষিক পাইবার যোগ্য হইবে ইহা তাহাঁদিগের অতিরিক্ত লাভ, বেতনের সহিত ইহার কোন সম্পর্ক নাই এবম্প্রকার বেতনা'ধক দান করিলে তাহারা অবশ্ঠই সাহস প্রকাশ করিবে, এতৎ কারণে রাজা উক্ত প্রকার পাবিতে'ষিক দান করিবেন

অক্ষৌহিণী প্রভৃতি সৈম্তগণের তিনটা করিয়া অধিপ থাকে, ইহা পূর্ব্বেই বলা হইয়াছে সেই পৃথক পৃথক সৈম্দলের (প্রধান অধিনায়কদ্িগকে বধ বন্ধনা্দি করিলে পুরস্কার প।উবে, ইহাও পুব্ বল! হইয়াছে এক্ষণে উহাঁও বল৷ যাইতেছে যে, সেই সকল সৈন্তদলের দ্বিতীয় তৃতীয় অধিপতিদিগকে বধ কিংবা ব্্ধনার্দি করিতে পাঁরিলে হাভারাও অ।পন রাজার নিকট যণ[যোগ্য পুরস্কার পাইবে এই রূপ যে কোন অধিপন্তিকে বধ বন্ধনাদি করিতে প।রিলেই পুরস্কার যোগ্য হইবে, ইহা রাজশাস্বসম্মত ব্যবস্থা জানিবে

কোন সৈন্ত অস্ত্র সমেত পলায়ন, করিতেছে, এমত অবস্থায় যদি কেহ তাহাকে অস্ত্র সমেত ধুত করিয়া তাহার দলাধিপতির নিকট প্রদান করে, তবে রাজা সেই ধৃতকারী ব্যক্তিকে পাঁচ বর্ষ পারিতোঁষিক প্রদান করিবেন এবং বিশেষ সম্মান করিবেন।

কোন সৈম্ত অস্ত্র পরিত্যাগ পূর্বক কেবলমাত্র দেহ লইয়া পলায়ন করিলে যদ্দি কেহ তাহাকে ধৃত করিয়া তদ্দলাধিপতির নিকট প্রদান করে, তবে, রাজা তাহাকে তিন বর্ধ পাঁরিতোষিক £ দান করিবেন।

মী

* বধ এই শব্দটা পারিভাষিক | “বধশ্চাষ্টবিধঃ স্বৃতঃ 1” বন্ধন. তাড়ন, অধমানন! প্রভৃতি আড প্রকার কাঁধ্যের উপর বধ এই পরিভান। স্থাপিত আছে সুতরাং বধ শব্দ দেখিয়া! সহস। প্রাণ বিনাশ অর্থ মনে হইবে ঘটে, পরন্ক এম্বলে সে অর্থ গ্রহণ ন। করিক়। ঘন্ধনাদি আট প্রকার অর্থই গ্রহণ করিতে হইবে

ভারতীয়-যুদ্ধরহস্ত ১৪৫

যে বাক্তি সৈন্য ভঙ্গকারী শক্রপক্ষীয় বৃহৎ গজ, গজযোধী মহাররীর মস্তক চ্ছে্ন করিয়! রাজার নিকট অর্পণ করে, নে ব্যক্তি রাজার নিকট ছুই সহজ স্বর্ণ মুদ্রা! পুরস্কার পাইবার যোগ্য

শক্রপক্ষীয় প্রধান অশ্বারোহী বিনাশ করিয়। এবং পদাতি সৈম্তের অধিপতি বধ কিয়! রাজার নিকট সহস্র বর্ব পুরস্কার পাইবার ঘোগ্য হয়।

যেব্যক্তি শক্র সৈম্তের মধ্য হইতে যুদ্ধকুশল হস্তী কি কোন প্রধান রথ কাঁড়িয়। আনে, সে ব্যক্তিও রাজার নিকট পঞ্চাশ বর্ধ পুরস্কার পাঁয়।

যত বার যুদ্ধযাত্রা! হইবে, তাহার প্রত্যেক যুদ্ধযাত্রীতেই রাজা সৈন্য ভূত্য- দিগকে ভক্ত অর্থাৎ আহারাচ্ছদন স্বকীয় কোঁষ হইতে প্রধান করিবেন ; কিন্ত স্থিতিকালে অর্থাৎ যখন কোন কার্য নাই, তখন তাহাদিগকে ভক্ত প্রদান করিবেন না, কেবল মাত্র বেতনই দিবেন (তাহার! তথন আপন আপন বেতনের দ্বারা আহার নির্ধাহ করিবে )। পথের গতিবিধি ক্লেশ বিবেচনা! করিয়। বেতনাধিক ভক্ত অর্থাৎ নিজ ফোঁষ হইতে আহারীয় ব্যয় প্রদান করিবেন। এইরূপ অন্যান্য সাহসিক কার্ষ্যেও বেতনাতিরিক্ত পৃথক প্রদান করা কর্তব্য এবং লোকসংগ্রহের নিমিত্ত রাজার পারিতোষিক দান করা কর্তব্য

স্থিতিকালে ঘোদ্ধ গণের বস্ত্র পরিচ্ছদ রজকদিগের বেতন রাজার অধীনে থাকিবে, পরন্ত তাহার ব্যয় তাহাঁদের নিজ নিজ প্রাপ্য বেতন হইতে কর্তিত হইবে। কোন সৈন্ত যদি পীড়িত হয়, তবে তাহাদের চিকিৎসাও রাজার অধীনে থাকিবে, পরন্ত ওষধের ব্যয় তাহার বেতন হইতে প্রদত্ত হইবে

পররাঁজ্য জয় হইলে, বাঁজা লুণ্ঠন দ্রব্য লুষঠনলব্ধ ধন সকল ছুই ভাগ করি- বেন। তাহার একভাগ যোদ্ধদ্িগকে এবং একভাগ ধনাগারে স্থাপন করিবেন।

কোন সৈম্তঠ যদি সপজ্জ অশ্ব কিংবা অলঙ্কৃত রথ আহরণ করে, তবে সে তাহার চতুর্থাংশ এবং রাজার নিকট সম্মান প্রাপ্ত হইবে

যদি কোন সৈম্ত আপনার অন্তর কিংবা শস্ত হারাইয়া ফেলে, অথবা তাহ শত্রু সৈন্তের দ্বার! লুস্তিত হয় ( অর্থাৎ শত্রু পক্ষীয়ের ষদি কাহারও অস্ত্র কাড়িয়া লয় ) তবে রাজা তাহাকে পুনব্বার অস্ত্র প্রধান করিবেন; কিন্তু তাহার মূল্য তাহার বেতন হইতে পরিগুহীত হইবে

ব্যুহ। ধনুর্ধ্বেদ যুদ্ধ-গ্রসঙ্গে বাহরচনার প্রণালী বর্ণন করা আবশ্তঠক হইতেছে। ১৯

১৪৬ ভারত-রহগ্য |

তজ্জন্ আগ্েয় ধনুর্কেদ, শুক্রনীতি, মহাভারত, নীতিমযুখ কামন্দকীয় নীতি- সার প্রভৃতি মহান্‌ নিবন্ধ হইতে 'এই ব্যৃহ প্রস্তাব সঙ্কলিত হইল।

যুদ্ধকালে অভিনির্ধাণকালে যে হয়, হস্তী, রথ, পদ্দাতিসৈন্দিগকে বিশেষ বিশেষ প্রণালীক্রমে বিশ্বস্ত করা হয় (সাজান হয় ), সেই বিন্যাস-পরি- পাঁটার নাম ব্যহ। এই ব্যৃহ অসংখ্য প্রকার হইলেও প্রধান কলে ছয় প্রকার। নীতিময়ূতগ্রস্থকার প্রধানকল্পের ছয়টী ব্যহ উল্লেখ করিয়া বলিয়াছেন যে, খস্প্যন্তে গরুড়াদয়ো ব্যহভেদেনোক্তান্তথাপ্যেতেযামন্ত ভাবা ষোটৈব ব্যহতেদা জ্ঞেয়া।” যদিও গরুড় প্রভৃতি অন্ঠান্ত বহুবিধ ব্যৃহ গ্রন্থান্তরে কথিত হই- মাছে, তথাপি সে সকল বাহ এই ছয় প্রকারের মধ্যেই অস্তভূতি হয়, সুতরাং ছয় প্রকার বৃাহই প্রধান, অন্ান্ত বাহ এঁ ছয়প্রকারের শাখা প্রশাখা মাত্র। উক্ত গ্রন্থকার প্রধান ছয্ধ প্রকার ব্যহের নাম বিনিয়োগ ব্যবস্থা বর্ণন করিয়াছেন যথা

“ব্যহস্বব মকর-শ্রেন-স্চী-শকট-বজ-সর্ববতোভদ্রভেদাৎ ষোঁঢ়া। তেষাং বিনিয়োগ উক্তো মহাভাঁরতে ॥%

ব্হ ছয় প্রকার। মকর (১), শ্তেন (২),স্থচী (৩), শকট (৪), বজ্র (৫), সর্বন্তোভদ্র (৬)। এই ছয় প্রকার ব্যহের বিনিয়োগ অর্থাৎ কিরূপ

স্থলে,বা কিরূপ অবস্থায় কোন ব্য করিতে হয়, তাহার ব্যবস্থা! মহাভারতে কথিত হইয়াছে যথা.

“যাধান্বযহেন মহতা। মকরেণ পুরোভয়ে শ্েনেনোভয়পক্ষেণ সুচ্যা বা ঘোরচক্রয়া পশ্চান্তয়ে তু শকটং পার্খয়োর্বজসজিতম্‌। সর্বতঃ সর্বতোভদ্রং ভয়ে ব্যহং প্রকল্পয়েখ ॥৮

যেস্থানে সম্মুখে ভয়, সে স্থানে মকরব্যহ রচনা করিয়া গমন করিবেক; অথব! শ্তেনবযুহ কিংবা সুচীব্যহ অবলম্বন করিবেক। পশ্চান্তাগে ভয়কারণ উপলব্ধ হইলে শকটব্যুহ এবং পার্্্বয়ে ব্তব্যুহ আশ্রয় করা কর্তব্য। আর যদি ভয়ের দিউ নির্ণয় না থাকে, সকল দিকেই ভয়সম্ভাবনা থাঁকে, তাহ! হইলে সর্ববতোভদ্র- বাহ রচন! করিবেক।

অগ্নিপুরাণোক্ত রণদীক্ষা! প্রকরণে কতকগুলি বুহের উল্লেখ আছে। . ধাঁ

ভারতীয়-ুদ্ধরহস্ত ১৪৭

“গরুড়োমকরবণহশ্চক্রুঃ শ্েনস্তঘৈব চ। অর্ধচন্দ্রশ্চ বজ্ঞশ্চ শকটব্যহ এব চ॥ মগ্ডনঃ সর্বতোভদ্রো! স্চীবযযহস্তথৈব চ॥৮ গরুড়, মকর, চক্র, শ্রেন, অর্দচন্দ্র, বজ্ত, শকট, মণ্ডন, সর্ব্বতোভদ্র সুচী, অগ্রিপুরাণের মতে এই দশ প্রকার ব্যুহ প্রধান বলিয়া গণ্য অগ্নিপুরাণ আরও বলিয়াছেন যে, “ব্যহাঃ প্রাণ্যঙরূপাশ্চ দ্রব্যরূপাশ্চ নেকধা| ॥৮ বুদ্ধকালে প্রাণীর অঙ্গের সাদৃশ্ত লইয়! এবং ভিন্ন ভিন্ন দ্রব্যের গঠন প্রকার অবলম্বন করিয়া অনেক প্রকার ব্যুহ রচিত হইয়া! থাকে বস্ততঃ ব্যহের সংখ্যা কল্পনা করা বা সৈম্তরচনাকে সীগাবন্ধ করা অসঙ্গত ভিন্ন সুসঙ্গত নহে তবে দিগ্রর্শনের নিমিত্ত, সৈন্যরচনার মর্য্যাদ! বুঝাইবার নিম, নীতবন্তগণ উত্ত প্রকার সীমাবদ্ধ কথা ব।লয্! গিয়াছেন। অগ্নিপুরাণের রণদীক্ষা প্রকরণোক্ত নিষ্বোদ্ধংত শ্লোকটার তাৎপধ্য পর্যালোচনা করিলে উহাই প্রতীত হইবে। যথা---

“দেশে ত্বদৃশ্ঠঃ শক্রণাং কুধ্যাৎ প্রকাতকল্পনাম্‌। ংহতান্‌ যোধয়েদল্পান্‌ কামং |বস্তারয়েদ্বতূন্‌ ॥৮৮ উপবুক্ত যুন্ধস্থান অবলম্বন করিয়া» শক্রগণের অজ্ঞাতসারে, আপনার সৈম্ত" বচনা করিবেক। অল্পসৈম্ত সমবেত হইয়া বহর সাহত, ইচ্ছ। হইলে সংহত অল্পের সহিত, আবশ্তকমতে বহুসৈম্তকেও বিস্তৃত করিয়৷ যুদ্ধ করিবেক ব্যুহরচনার সব্বন্ধে নীতিনার নীতিমযুখ গ্রন্থে লিখিত আছে যে, ব্যুহের সব্বাগ্রভাগে নায়ক অর্থাৎ সেন।পত অবস্থান করিবেন। অন্তান্ত বীরপুরুষ তাহাকে বেষ্টন কারয় যুদ্ধ করিবেন। পরন্ত তাহার! সকলেই সেনাপতির রক্ষণা- ব্ক্ষণ কাধ্যে নিবুক্ত থাকিব্নে। জ্ীলোক, কোষ অর্থাৎ ধনাগার, রাজ! আর ফন্তুসৈ্ত অর্থাৎ খাগ্ছদ্রব্যাদি তদ্রক্ষক,-_ইহার্দগকে ব্যুহের মধ্যস্থলে সংরক্ষণ কন কর্তবা। যথা-- “মায়কঃ পুরতো যায়াৎ প্রবীরপুরুষাবৃতঃ মধ্যে কলত্রং কোষশ্চ স্বামী ফল.গু যদ্ধলম্‌ ॥” হুত্ভী সৈম্ত, অশ্বারোহী, রথারোহী পর্দাতি সৈন্ত,-এই চতুর্তিধ সৈম্তই ব্যহে বিস্তম্ত হয়। পরন্ত যেকোন প্রকার বৃহ রচিত হউক, সমুধাক্স ব্যুহেই উক্ত সৈম্ত স্থাপনের এক সাধারখ বিধি আছে। বথা-_

১৪৮ ভারত-রহস্ঠ

“পার্থয়োরুভয়োরশ্বা বাজিনাং পান্বয়ো রথাঃ রথানাং পার্খয়োর্নাগ নাগানাধাটবী বলম্‌ ॥* ব্যুহের উভয় পার্খে অশ্বারোহী থাকিবেক। অসশ্বারোহীর পার্থে রথারোহী থাকিবেক রথের পার্থ হস্তযারোহী, এবং হম্তীর পার্খে পাতি সৈন্ত থাকিবেক। নীতিমযুখকার বলেন, প্রত্যেক ব্যহে ছই ছুই সেনাপতি থাকে একজন অগ্রণী এবং অন্ঠজন পশ্চান্নায়ক। ইহাদের একজন অর্থাৎ যিনি অগ্রণী, তিনি সম্মুখ, অন্তজন অর্থাৎ যিনি পশ্চান্নায়ক তিনি পশ্চাত্ভাগ রক্ষা করিয়! থাকেন। যথা _ “পশ্চাৎ্ সেনাপতিঃ সর্বং পুরস্কৃত্য কৃতো৷ বলম্‌। যায়াৎ সন্নদ্ধসৈন্যেতৈঃ খিননাংশ্চাশ্বীসয়ন্‌ জনান্‌ ॥৮ রণদক্ষ সেনাপতি চতুরঙ্গ বল অগ্রগামী ক্রিয়! যুদ্ধোপকরণবুক্ত সৈশ্ঠসমূহের পশ্চাভাগে গমন অবস্থান করিবেন এবং খেদপ্রাপ্ত, পলায়মান ভঙ্গোদ্যত সৈম্তব্বিগকে আশ্বাস প্রদান করিবেন এই শ্লোকের ব্য।খ্যাস্থলে ছুই ছুই সেনাপতি থাকার কথ! বিস্পষ্টরূপে উক্ত হইয়াছে যথা__ “পুর্ববং সেনাপতেরগ্রে যানমুক্তম্। অধুন! তু পশ্চাদ্যানম। অতো জ্ঞায়তে অগ্রে ধাতা পশ্চাঁদ্যাতাচেতি সেনাদয়মন্তীতি |” অগ্রিপুরাণীয় রণদীক্ষ! অধ্যায়ে উপদেশ আছে যে, রাজ! এককালে সমস্ত সৈন্ত ব্যুহে নিয়োজিত করিবেন না। পাচ ভাগ করিয়া তাহার ছুইভাগ পক্ষে, ছুই ভাগ অন্ুুপক্ষে এবং অবশিষ্ট এক ভাগ লুকায়িত রাখিবেন। আবশ্তক বিবে- চন! করিয়া, কাধ্যসঙ্কট বিবেচন। করিয়া, হয় একভাগ, না হয় ছইভাগ ছারা বুদ্ধ করিবেন। অন্ত তিন ভাগ তাহাদের রক্ষার্থে স্থাপন করিবেন। যিনি রাজা, তিনি বদি স্বপ্নং সৈনাপত্যে অবস্থিত ন! থাকেন, তবে তিনি কদাঁচ যুদ্ধক্ষেত্রে থাকিবেন না; অন্যুন একক্রোশ দুরে রক্ষিবর্গে পরিৃত হইয়া! পলায়মান যোগ্ধ।- দিগকে আশ্বীসদ্দানার্থ থ।কিবেন। যুদ্ধকালে যদি প্রধান সেনাপতি রণে ভঙ্গ দ্রেয়। তবে আর কাহারও রণে থাক! উচিত নহে সকলেরই আত্মরক্ষার্থে পলায়মান হওয়া! উচিত) কি প্রকার নিয়মে ব্যহমধ্যে সঞ্চরণ করিতে হয়. অগ্নি পুরাণ অপেক্ষা শুক্রনীতিগ্রন্থে তাহার বিশেষ ব্যবস্থা দৃষ্ট হয়। অগ্মিপুরাণীয় ব্যবস্থাটা এই 2-_ | “ন সংহতান্‌ বিরলান্‌ যোধান্‌ বহে প্রকল্পয়েখ আমুধানাস্ত সংঘর্ষ! যথা স্তাৎ পরস্পরম্‌

ভারতীয়-যুদ্ধরহন্ত ১৪৯

ভেত্,কামঃ পরানীকং সংহতৈরেব ভেদয়েৎ ভেদরক্ষা পরেণাপি কর্তব্য সংহতৈ্তথা ব্যুহং ভেদাবহং কুর্য্যাৎ পরব্যুহেষু চেচ্ছয়! গজন্ত পাঁদরন্ষার্থাশ্ত্বারস্ত তথ! ছিজ। রথন্ড। চাশ্বাশ্ত্বারঃ সমর্তস্ত চশ্বিণঃ ধন্বিনশ্চর্ষিভিস্থন্তাঃ পুরস্তাচ্চর্ম্মিণে! রণে পৃষ্ঠতোধন্বিনঃ পশ্চাদ্বন্থিনাং তৃরগ! রথাঠ রথানাং কুগ্জরাঃ পশ্চাদ্জ্ঞাতব্যাঃ পৃথিবীক্ষিতা পদ তকুঞ্জরাশ্বানাং ধন্মকাধ্যং প্রযতুতঃ শুরা: প্রমুখ্যতো 1" "স্বদ্ধমাত্র প্রদশনম্‌ কর্তব্যং ভীরুজ্ঘেন শব্রবিদ্রাবকার কম্‌ দারযন্তি পুরস্তাত্ত, দেয়া ভীরবঃ পুরঃ | প্রোৎসাহয়ন্ত্েব রণে ভীরন্‌ শুরাঃ পুরঃশ্থিতাঃ প্রাংশুশ্চ শুঁভনাসশ্চ যে চাজিন্দেক্ষণ( নরাঃ। সংহতত্রযুগাশ্চৈব ক্রৌধনা কলহপ্রিয়ঃ নিত্যন্ুষ্টাঃ প্রস্থষ্টাশ্চ শুরা জ্ঞেয়াশ্চ কামিনঃ | ংহতানাং হতানাঞ্চ রণাপনয়নক্রিয়া প্র।তযুদ্ধং গজানাঞ্চ তোয়দানাদিকঞ্চ যৎ। আধুধানয়নং চৈব পত্তিকম্মম বিধীয়তে রিপুণাং ভেত্ত,কামানাং স্বসৈম্তস্ত তু রক্ষণম্‌। ভেদনং সংহতা নাঞ্চ চর্পিণাং কন্ম কীত্তিতম্‌ বিমুখীকরণং যুদ্ধে ধন্িনাঞ্চ তথোচ্যতে দুরাপসরণং যানং স্থনৃতস্য তথোচ্যতে ভেদনং সংহতানাঁঞ্চ ভেদানামপি সংহতিঃ | প্রাকারতোরণাট্রালক্রমভঙ্গশ্ঠ দদ্গজৈঃ পত্তিভিবি্িষম। জ্ঞেয়া রখা শ্বস্ত তথা সম সকর্দম! নাগানাং যুদ্ধভূমির্দাহৃত এবং বিরচিতবযহুঃ কৃতপৃষ্ঠদিবাকরঃ। তথা নুলোমণ্ডক্রাকিদ্দিকৃপালো মৃছ্মারুতঃ | যোধানুৎসাহয়ে সর্বান্‌ নাঁম গোত্রার্দিনা ততঃ ॥”,

১৫৯ ভীরত-রহস্ত |

এই সকল শোকের তাৎ্পধ্যার্থ এই যে, ব্যুহমধো যোদ্ধাদ্দিগকে সংহত অত্যন্ত একত্রিত ) করিবেক না। বিরল অর্থাৎ অত্যত্ত ফাক থ।কিতেও দিবেক না। আন্ত্রসশালনের ব্যাঘাত ন! হয়, অন্দরে অস্ত্রে ঠেকাঠেকি না হয়ঃ এরূপ ভাবে যো্ধা- দিগকে পরিচালন করিবেক।

যখন পরসৈন্তের বাঁ পরক্ৃতব্যুহের ভেদ করিবার ইচ্ছা হইবে, বা! আবশ্তক হইবে, তখন সংহত হইয়! অর্থাৎ বনুসৈন্ত একত্রিত হইয়। আোতের ম্যায় হইয়! ভেদ্দ করিতে হইবে এবং পরসৈন্ত যখন আপন দৈস্তদিগকে অর্থাৎ আপনার ব্যৃহকে ভাঙ্গিবার উপক্রম করিবে, তখনও তাহা সংহত হইয়| রক্ষা করিতে হইবে।

এরূপ নিয়মে ব্যৃহ করিবে যে, ইচ্ছ! করিলে, তাহা ভিন্ন ভিন্ন ( একটা ভাঙগিয়া বহু ব্যহ ) করা যাইতে পারে। অথবা পরব্যহ ভেদ করা যাইতে পারে অপিচ হন্তিসৈন্টের চারিটী করিয়া পাদরক্ষক নিধুক্ত থাকিবেক, রথের জন্য চারিটা অশ্বসৈম্ত নিধুক্ত রাখিবেক, তাহাদের জন্য চারিটী করিয়। চন্মধারী, তাহাদের রক্ষণার্থ তাহাদেরই সমান ধলুধণারী নিযুক্ত থাকিবেক। রণমুখে অর্থাৎ বণাগ্রে চন্মী অর্থাৎ ঢালধারী সৈন্তের! ( সম্মুধে ) অবস্থান করিবেন

তাহাদের পশ্চত্তাগে ধন্ুধ্ণারী সৈম্ত থাকিবেক। ইহাদের পৃষ্ঠে অশ্বারোহী এবং অশ্বারোহীর পৃষ্ঠে রথ।রোহা থাকিবেক। এবং রথারোহীর পশ্চান্তাগে হস্তিসৈন্ত স্থাপন করিবৰেক।

পদ্দাতিসৈন্য, হস্তিসৈন্ত অশ্বসৈষ্কু, ইহারা বিশেষ যত্বের সহিত আপন আপন কর্তব্য করিবেন। যাহারা শূর অর্থাৎ উৎসাহী নিভীক, তাহাদিগকেই সকলের সম্মুখভাগে দেওয়। কর্তব্য। অনেক ভীরু একত্রিত হইলে ব্যহ ভয়! যায়, নিমিত্ত ভীরুদিগকে সম্মুখে দিবেক না এবং একত্রিত হইতেও দিবেক না।

যাহারা শুর, তাহার! সন্মুথে থাকিবে। কেন না তাহারা ভীরুদিগকে, নিভীক উৎসাহিত করিতে পারে। নিমিত্ত শুরদিগকেই দন্মুথে স্থাপন করিতে হয় ;

শ্রদিগের বাস্বিক আকার লক্ষণও এই যে, যাহার! প্রাংশু অর্থাৎ দীর্ঘকায়, ধাহাদের দৃষ্টি বক, যাহাদের ভ্রযুগল সংহত, যাহার! ক্রোধন স্বভাব কলহপ্রিয়, যাহার! সর্বদাই হষ্ট থাকে এবং বিপদকালেও যাহারা ক্ষুন্ধ হয় না, এমন সকল ব্যক্তিই শূর।

হত হইলে, আহত হইলে, তাহাদিগকে বখস্থল হইতে অপনয়ন করা! হুস্তি-

ভাক্বতীয়-যুদ্ধরহন্ত। ১৫১

দিগকে পানাদি করান, অস্তাদি আনিয়! দেওয়া, ইত্যাদি কার্ধযসমূহ পদাতিদ্িগের বর্তব্য বলিয়৷ বিছিত হইয়া থাকে চম্খধারীর! শত্রসৈম্তভেদ, সৈনম্তের রক্ষা, সংহতদ্দিগকে রি করা, ইত্যাদি ইত্যাদ্দি কার্য্য করিবেন এবং ধনুর্ণারীর! শক্রুদ্বিগকে বিমুখ করিবেন অর্থাৎ অগ্রসর হইন্ডে দ্বিবেন না এবং র্থীর! শক্রদিগের ত্রাস উৎপাদনে নিষুক্ত থাকিবেন। গজের দ্বারা সংহতের ভেদ, ভেদের সংঘাত একত্রীকরণ এবং প্রাচীর, তোরণ অষ্টাল প্রস্তুতির ভঙ্গসাধন কর! কর্তব্য বিষম অর্থাৎ বন্ধুর ভূমিতে পদাতিসৈন্তের দ্বার! সমতল স্থানে রথিসৈন্তের দ্বার, জলকর্দমাদিযুক্ত স্থানে গজসৈন্তের দ্বারা ষথ(যোগ্য যুদ্ধ করা কর্তব্য বলিয়! উক্ত হইয়াছে এবন্প্রকারে, ব্যুহরচনা পূর্বক সুধ্যদেবকে পশ্চান্ভাগে রাখিয়৷ এবং অনুকূল বায়ু অনুকূল গ্রহ অবলোকন করিয়া যুদ্ধারস্ত করিবেক এবং নাম গোত্র .উল্লেখ পূর্বক নানাপ্রকার উত্তেঙ্গক বাক্যে স্বসৈম্তদিগকে উত্তেজিত করিবেক ব্যহস্থসেনা সেনাপতিগণ কিপ্রকারে সঞ্চরণ করিবেন, কিরূপেই ঝা যুদ্ধ করিবেন ; ততাব্‌ৎ বৃত্তান্ত শুক্রনীতির সম্তুম প্রকরণ দেখিলে জানা যাক্ব | পাঠক- গণের সথথবোধার্থ এস্থলে তাহার কিয়দংশ উদ্ধৃত করিতেছি ; দেখিবেন, প্রাচীন সৈনিক পুরুষের! কিরূপে যুদ্ধকার্ধয নির্বাহ করিতেন “ব্যহরচনসন্কেতান্‌ বাঁদাভাষাসমীরিতান্‌। ্বসৈনিকৈর্ধিন৷ কোপি জানীয়াভৃথাবিধান্‌ নিয়োজয়েচ্চ মতিমান্‌ বাহান্‌ নানাবিধান্‌ সদা অশ্বানাঞ্চ গজানাঞ্চ পদাতীনাং পৃথক পৃথক্‌ উচ্চৈঃ সংশ্রাবয়েদ্,যহসক্ষেতান্‌ সৈনিকান্‌ নৃপঃ | বামদক্ষিণসংস্থোবা মধ্যস্থো বাথ সংস্থিতঃ শ্রত্বা তান্‌ সৈনিকঃ কাধ্যমন্ুশিষ্টং যথা তথা। সম্মীলনং প্রসরণং পরিভ্রমণমেব আকুঞ্চনং তথা যানং প্রয়াণমপষানকম্‌।

পর্ধায়েন পান্ুখ্যং সমুখ্খানঞ্চ লুষ্ঠনম্‌ ংস্থানধাইদলবৎ চক্রবদগোলতুল্যকম্‌। সুচীমুখং শকটবদদ্ধচন্ত্রং সমস্থ

৯৫২ ভারত-ররহস্ত

পৃ্থকৃভবনমল্লাল্লৈঃ পর্যযায়ৈঃ পঙ.ক্তিবেশনম্‌ 1 শস্তান্ত্রয়োধারণঞ্চ সন্ধানং লক্ষ্যভেনম্‌ মোক্ষণঞ্চ তথাস্ত্রাণাং শল্তাণাং প্রতিঘাতনম্। ভ্রাক সন্ধানং পুনঃ পাতো গ্রহোমোক্ষঃ পুনঃ পুনঃ স্গৃহনং প্রতীঘাতঃ শস্ত্রাস্ত্পদবিক্রমৈঃ দ্বাভ্য।ং ত্রিভিশ্চতুর্ভিব1 পঙক্তিতোঁগমনং ততঃ তথা প্র।গ্ভবনং চাপসরণং তূপসর্জনম্‌ অপশ্যত্যাঅসিন্ধর্থমুপক্ত্য বিমোক্ষণম্‌। প্রাগ্ভৃত্বা মোচয়েদস্্ং ব্যহস্থঃ সৈনিকঃ সদা আসীনঃ শ্ত।দিমুক্তাস্ত্রঃ প্রা্থ। চাপসরেৎ পুনঃ প্রাগাসীনং তৃপস্যতে। দৃষ্টেঘান্তং বিমোচিয়েৎ |” ব্যহরচনার জন্য বাদ্য অথব! ভাষার সঙ্কেত কল্পনা! করিবেক। ( অমুক প্রকার বাঁদ্য বাদিত হইলে অমুক ব্যহ হইবেক অথবা! অমুকশব্দ উচ্চারিত হইলে অমুক ব্যহ করিতে হইবেক ইত্যাদি )। সেই সাঙ্কেতিক বাদ্য অথব! সাঙ্ষেতিক ভাঁষ! কেবল স্বীয় সৈন্টেরাই জ্ঞাত থাকিবেক.; তাহা অন্ত কেহ জানিতে ন| পারে--এরপ নিয়ম করিবেক | বুদ্ধিমান্‌ রাজ অথবা সেনানায় বহুবিধ বুযহ্রচনা করিবেন। (উপবুক্ততা- অনুসারে ) অশ্বসৈস্তের, হস্তিসৈন্টের পদা তসৈম্তের পৃথক পুথক্‌ বা ভিন্ন ভিন্ন ব্যহ নির্মাণ করিনেন। রাঁজ! কিংবা রাজ প্রতিনিধি ব্াহ-সক্কেত সকল উচ্চরনে শুনাইবেন। বযহের বামভাগে, অথবা দক্ষিণভাগে, এবং ( সময় বিশেষে ) মধ্যস্থলে থাকিয়া এরূপ উচ্চরবে সাঙ্কেতিক শব্দ করিবেন, যেন ব্যহস্থ সমন্ত সৈনিকেই শুনিতে পায়। সৈনিকগণ সেই সেই সঙ্কেত ধ্বনি ব! সাঞ্কেতিক ভাষা শুনিয়া শিক্ষাকালে যেরূপ উপদ্দেশ পাইয়াছিলেন, ঠিক্‌ সেইরূপ কাধ্য করিবেন। সম্মিলন, .প্রসরণ, প্রভ্রমণ, আকুঞ্চন, যান, প্রয়াণ, অপযাঁন, পর্যায়ক্রমে সান্মুখ্য;, সমুখান, লুগ্ঠন, অষ্টদলাকারে অবস্থান, অথব! চক্রাকারে বেষ্টন, স্চীতুল্য, শকটাকাঁর, অর্দীচন্দ্রা- কার, পৃথক ভবন, ( পডক্তি ছাড়৷ হওয়া), অল্পে অল্পে পর্য্যায়ন্রমে পক্তি- প্রবেশ, ভিন্ন ভিন্ন প্রকারে অন্ত্রশস্জাদির ধারণ, সন্ধান, লক্ষ্যভেদ, অস্ত্রক্ষেপ, শন্ত্র নিপাত, শীপ্ব “সন্ধান, শীঘ্র অস্ত্রাধিগ্রহণ, শীপ্র' অস্ত্রনিপাঁত, শীঘ্র অস্ত্রক্ষেপ, শীগ্র আত্মরক্ষা অথবা খপনাকে লুকায়িত করা, অস্ত্রের দ্বারা শস্ত্রের ঘারা, অথবা

ভায়তীয়-যুদ্ধরহন্ত। ১৫৩

পাদসঞ্চার দ্বারা আত্মরক্ষা। পরকায় সৈম্তের বা প্রহরীর প্রতিঘ/ত করা, ছুই ছুই জনে, তিন তিন জনে, কিংবা চাবি চারি জনে এক ব্রত হইয়া! পওক্তিক্রমে গমন করাঃ পিছু হাটা, সন্মুখভাবে পলায়ন করাঃ পশ্চান্ভাগে সৈনিকগণের সন্কেত অনু- সারে পলায়ন কর1, অথবা শক্রর দিকে ধাবিত হওয়া, ইত্যাদি বহুবিধ কার্য পূর্রবশিক্ষ। অনুসারেই করিবেন, অন্তথাচরণ করিবেন না

বাহস্থিত সৈনিক অস্ত্রসিদ্ধির নিমিত্ত ( অব্যর্থতার নিমিত্ত) উপসরণ অর্থাৎ অগ্রে ( সম্মুখে ) ধাবিত হইবেন; পশ্চাঁৎ কিঞ্চিৎ.পিছু হাটিয়া অস্ত্র পরিত্যাগ করিবেন বিক্ষিপ্ত প্রায় সৈনিক বসিয়। পড়িবেন, অথবা পাছু হাটিয়া আসিবেন। বিপক্ষকে যখন উপবিষ্ট দেখিবেনঃ তখনই শামনি হৎসনীপবত্তী হইয়া অস্ত্র পরি- ভাগ করিবেন। শুক্লনীতি গ্রন্থে এইরূপ "আশ্চর্য্য যুন্ধকার্য্যসকল বর্ণিত হইয়াছে। অবশেষে কার্ষাসঙ্কট অনুসারে ক্রিয়। পরিবর্তন করিবার উপদেশ প্রদত্ত হইয়াছে। সে সকল ক্রিয়াকৌশল পর্দালোচনা করিলে জ্ঞান হয় যে, ইহা অপেক্ষ। গুরুন্তর কঠিন কার্ধ্য আর নাই। এই কার্যে বে কত মনোবল কত তৎপরত! লাগে, তাহা নির্ণয় কর যার না পুর্বে যে ক্রৌঞ্চ মকর প্রতৃতি ব্যুহের উল্লেখ করা হইয়াছে, শুক্রনীতি গ্রন্থে সে সকলের সঞ্চালন সন্বদ্ধে কয়েকটা উপদেশ আছে। ঘথা--- “এটককশে। ছিশোবাপি সঙ্ঘশো বো'ধতো৷ যথা ক্রোঞ্চানাং থে গতির্যাদৃক্‌ পঙক্তিতঃ সম্প্রজায়তে। তাঁদৃক্‌ সঞ্চারয়েৎ ক্রৌঞ্চব্যুহং দেশবলং যথ। সুঙ্্গ্রীবং মধ্যপুচ্ছং স্থুলপক্ষস্ত পঙ.ক্তিতঃ। বুহৎ পক্ষং মধ্যগল পুচ্ছং শ্বেনং মুখেন তু চতুষ্পান্মকরো দীর্ঘঃ স্থুলবক্তেছিরোষ্ঠকঃ | সুচী হুক্ষমুখোদীর্ঘ: সমদস্তাত্তরদ্ধ,বৃক্‌ চক্রব্যহশ্চৈকমার্ণে। হৃইধা কুগুলীকতঃ | চতুর্দিক্ষ ্প্িধিঃ সর্বতোভদ্রসংজ্ঞকঃ অমার্গশ্চাষ্টবলয়ে।গোলকঃ বর্বতোমুখঃ | শকটঃ শকটাকারো ব্যালো ব্যালারুতিঃ সদা ২০

১৫৪ ভারত-রহস্ত।

সৈন্তম্লং বৃহদ্ধাপি দৃষ্ট। মা্গং রণস্থলম্‌।

| ব্যুহৈবৃ্যহেন ব্যুহাভাং সাঙ্কর্যেণাপি কল্পয়েং ॥৮

রাজ! অথবা সেনাপতি যেমন সঙ্কেত প্রকাশ করিবেন, সৈনিকগণ তদনুসারে হয় একে একে, না হয় ছুই ছুই জনে কিংবা বহুজনে শিক্ষান্গুূপ সঞ্চরণে প্রবৃত্ত হইবেন। বলাকাঁসমূহ যেমন আকাশে পউ.ক্তিক্রমে গমন ব| ভ্রমণ করে, দেশ (ষুদ্ধস্থান ) সৈগ্তবল বিবেচনা করিয়া, সেইরূপ ক্রমে ক্রৌঞ্চব্যহ সঞ্চালন করিবেক। ক্রৌঞ্চ অর্থাৎ ব্ক। ইহা! তৎপড.ক্তি সঞ্চরণের ন্যায় সঞ্চারিত হয় বলিয়া! এই ব্যুহের নাম ক্রৌঞ্চ )।

পঙ.ক্তিক্রমে শ্রীবাদেশ সুক্ষ, পুচ্ছদেশ মধ্যম, পক্ষদয় স্কুল অর্থাৎ বিস্তীর্ণ করা আবশ্তক। শ্যেনবগহের পক্ষ বিস্তৃত, গলদেশ পুচ্ছ মধ্যম, মুখ শোন- পক্ষীর তুল্য

মকরবুাহ চত্ুম্পবাকাঁর, বক্তদেশ স্ুল দীর্ঘ, ওষ্ঠ দিগুণ। নুচীব্যুহ্র মুখ শৃগ্মু, দীর্ঘ সমদন্তাকার, এবং রদ্ধধুত্তু |

চত্রব্যহের মরন অর্থাৎ গ্রবেশযোগা পথ একটা, ৮টি কুশুলাকৃতি পঙক্কির দ্বার বেষ্টিত। সর্ধবতোভদ্র ব্যহের চতুক্িবে পরিধি, এত|বন্মার বিশেষ আছে ইন্,র প্রবেশযোগা দ্বার নাই, ব্লয়াকুতি ৮প্ধক্তর ছার! নিন্মিত গোল সকল দিকেই ইহার মুখ থাকে

শৃকটবহ শকটাক।র, ব্যলিবাহ সর্পাকার, এইরূপ ভন্যান্ত ব্যহও অন্যান্য জন্তর আকারবিশিষ্ট।

সৈন্য অল্প কি অধিক, তাহা পর্যবেক্ষণ করিয়া, রণভূমি কিরূপ তাহা নিণয় করিয়া, সঞ্চরণের পথ কিরূপ তাহ! দেখিয়া, হয় একটা, না হয় দুইটা অথব! ৩৪টা ব্যহ রচনা করিয়া যুদ্ধ করিবেক এবং রণভূমি, সৈন্যভ্রমণের পথ» ইতি পর্যবেক্ষণ করিয়। হয় কোন নির্দিষ্টবাহ রচন! করিবেক, অথবা সম্কর বা মিশ্র বাহ নিন্মাণ করিবেক।

ব্যহসন্বদ্ধে ইহার অতিরিন্ত কথা মহাভার'তর টাকায় সংগৃহীত আছে বিস্তার ভয়ে সে সকল উল্লেখ করিলাম না ফল, থাহা বল! হইল, তন্বার৷ ভারতবর্ষীয় প্রাচীন যুদ্ধপ্রণলীর এক প্রকার সামান্ত ছবি গ্রাদর্শিত হইল।

অতঃপর আমর! ধর্মযুদ্ধ কুটযুদ্ধের কতিপয় নিয়ম বর্ণনা করিয়া প্রবন্ধ শেষ করিব; সম্প্রতি ছুর্গ সম্বন্ধে ছু একটী কথ! বলা যাউক।

ভারতীয়শ্যুগ্ধরহ্ন্। ১৫৫

দুর্গ

রাজ।দিগের বহু শত্র, পররাজ্যের সহিত্ত তীহ[দের সর্ব্বধাই যুদ্ধ বিএহ হইবার সম্ভব, এনিমিত্ত তাহাদের এক একটী অন্তের ভূর্গম্য স্থান প্রস্তুত রাখা আবশ্যক সেহ সকল ছূর্গম্য দুর্ভেদ্য স্থানের নাম দুর্গ” | ইহা উহাদের একটা প্রধান সম্পদ, এনিমিত্ত শাস্ত্রকাবেরা রাজাপিগের ষষ্ঠ সম্পদের মধ্যে হুর্ণকে প্রধান সম্পদ বলিয়া! গণনা করিয়াছেন

মন্থ, ঘাক্ঞবন্ক্য, কমন্দক, ভোজ এবং অন্যান্ত সমস্ত রাজ-পান্স্-উ পদে গণ হূর্গী সম্পত্তির উল্লেখ করিয়! তাহার নিন্মাণ পদ্ধতি প্র টারভেদ বর্ণনা করি- ঘাছেন। বিখ টম্মসংহিতা বাজবল্লভ প্রভাত সমুদায় বাস্তশ।স্ে ইহার নিম্মাণ- বিধি স্থান পরীক্ষা প্রভৃতি লিখিত আছে। রাজ্য, রাজধানী দুর্স্থ'পন বিষয়ে কামন্দকেক্ত স্থ।ন পরীক্ষা এতৎপ্রস্ত।বের প্রথমে সংগ্রহ করা হইল

১ম, স্থান-পরীক্ষা

“ভূ গুণৈবদ্ধতে রাষ্্রং তদ্বৃদ্ধিনু পিবৃদ্ধয়ে

তন্মাৎ গুণবতীং ভূমিং ভূত্যৈ ভূপস্ত কারয়েৎ॥” “শন্ত/ করব্তী পুণ্যা খনিদ্রব্যসমন্দি তা

গোহিতা৷ ভূরিসলিলা পুণ্যের্জনপনৈবূ ত1॥% “রম্য সৎকুগ্জরবন! বারিস্থলপণান্িত। | অদেবমাতৃকা। চেতি শশ্ততে ভূর্বিভূতয়ে ॥”

( কামন্দক।

স্থানের গুণে রাজার সম্পত্তি বদ্ধিত হয় এবং রাজ্যসম্পত্তির বৃদ্ধিতেই রাজার উন্নত হয়; এজন্য রাজ আপনর এতর্ধ্য বন্ধনের নিমিত্ত প্রথমতঃ গ্রণব্তী ভূমি গ্রহণ করিবেন কিরূপ ভূমি গুণবতী ? তাহা বলা যাইতেছে

যেস্থান শন্তশ[লিনী, যেস্থানে আকর আছে, যে স্থান অতি পুণ্য অর্থাৎ পধিত্র (স্বাস্থ্যকর সুদৃশ্য ), যেস্থানে খনি আছে, যেস্থানে ব্যবহাধ্য দ্রব্য স্থলভ, যে স্থান গো অশ্ব প্রভৃতি বু পণ্ড রাখিবার উপযুক্তঃ যে স্থ(নে জলকষ্ট নাই, যাহার চতুর্দিকে উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট জন্পদ আছে যে স্থান স্থন্দর অর্থাৎ রমণীয়ঃ যে স্থানে বা যাহার নিকটস্থ বনে হস্তী পাওয়! যায়, যাহার নিকটে বন আছে, যে প্রর্দেশে জলপথ স্থলপথ উভয়ই বিদ্যম।ন, যে দেশ দেবমাতৃক নহে, অর্থাৎ

১৫৬ ভারতশ্রহশ্ঠ |

যে দেশের শস্ত উৎপাদন করিতে কেবল বুষ্টির জলের উপর নির্ভর করিতে হয় না, এরূপ দেশে উক্তবিধ স্থানই রাজাদিগের পক্ষে প্রশস্ত

২য়) নিষিদ্ধদেশ স্থান

“সশর্করা সপাষাণ! সাটবী নিত্যতস্করা রুক্ষ। সকণ্ট কবনা সব্যাল1 চেতি ভূরভূঃ ॥” যে স্থানে অত্যন্ত কাকর, অত্যন্ত প্রস্তর, নিবিড় বন, সর্বদ।ই দন্ুভয়,---লে স্থান উত্তম নহে যে স্থান রুক্ষ অর্থাৎ গুণ জলসেক করিলেও উত্তম শসা হয় না, যে স্থানে কন্টক বন নিবারিত হয় ন।, যে প্রদেশে অধ্ধিক সবিষ সর্প জন্মে, সে স্থানও বাসের হুর্গের অযোগ্য কামন্দকি আরও বলিয়াছেন যেঃ__ “স[জীব্যো ভূগুণৈযূক্তিঃ সানুপঃ পর্বতাশ্রয়ঃ | শৃদ্রকারুবণিক্প্রায়ো মহারন্তঃ কৃষীবলঃ সান্ুরাগো রিপুদেষে! করপীড়াসহঃ পৃথুঃ। নানাদেশ্যৈঃ সমাকীর্ণে! ধার্মিকেঃ পশুমান ধনী তং বদ্ধয়েৎ প্রষত্রেন ভন্মাৎ সর্ব 'প্রবর্তৃতে ॥”,

যে দেশে কন্দ (শরণ আলু প্রভৃতি) মূল ফল প্রত্ৃৃতি বহ্‌ পরিমাণে উৎপন্ন হয়, ষে দেশ পূর্বোক্ত গুণযুক্ত, যে দেশ আনূপ অর্থাৎ যে দেশে প্রচুর জল আছে, যে সকল দেশ পর্বত আশ্রয় করিয়া প্রতিষ্ঠিত, যে দেশে দাস, দাসী, শিল্পী ব।ণিজ্যকারী লেক অধিক, ষে দেশের কৃষকের! অত্যন্ত পরিশ্রমী মহা উদ্যোগী, যে দেশের লোকসকল স্বভাবতঃই প্রভুর প্রতি অনুর।ণী শত্রর প্রতি বিদেষ্টা, যে দেশের লোকের! কষ্টসহ করভার বহনে কষ্টবোধ করে না, যে দেশের লোকের। ব্লবান্, যে দেশ নানাদেশীয় লোকে সমাকীর্ণ, যে দেশের লোকের! স্বভাঁব্তঃই ধার্িক, পশুপোষণকারী ধনশালী, রাজ এরূপ দেশ ঘনত্ব পুর্ব্বক রক্ষা করিবেন ঘে হেতু তাদৃশ দেশ হইতেই রাজার সমস্ত অভিলাষ সিদ্ধ হয়।

৩য়, রাজপুরী হুর্গবাস।

“পৃথুমীমমহা খা তমুচ্চ প্রাকারগোপুরম্। “সম[বসেৎ পুরং শৈলং সরিন্মরুবনাশ্রয়ম্‌ ॥% চতুঃপার্থে মহাথাত ( গড়কাটা ), তত্প্রাস্ত অতুাচ্চ প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত,

ভারতীয় যুদ্ধরভস্ত | ১৫৭

বিস্তীর্ণ ্বারঃ--রাঁজা এরূপ পুরে বাস করিবেন। নিকটে কোন পর্বত, কি নদী, বন অথবা ভূমি থাঁকিলে ভাল হয়। মহর্ষি যাজ্ঞবন্ধ্য থাষি বলিয়াছেন যে,স্ “রম্যং পশব্যমাজীবং জাঙজলং দেশমাবশেৎ | তত্র হুর্গাণি কুব্বীত জনকোাস্ম গুপ্তয়ে ॥৮ রমণীয়, পণ্ড পোষণের উপযুক্ত, বিবিধ ভক্ষ্য দ্রব্যে উৎপত্তি ভূমি, জল পর্ধতশালীঃ--রাজ। এরূপ দেশে বাস করিবেন; এবং তাদৃশ স্থানে স্বজন বর্গ, ধনাগার আত্মরক্ষার্থ ছুর্গ নির্মাণ করিবেন। মহর্ষি মনু দুর্গবাসের উপকারিতা বর্ণন করিয়া গিযছেন যথা “এক? শতং যোধয়তি প্রাকারছ্থো দনুর্ধ রঃ | শতং দশ সহআঁণি তস্মাদদ,গঁং সমা শ্রয়েৎ ॥” যেহেতু এক যোদ্ধা দুর্গ প্রাকারে অবস্থিত থাকিয়া শত যোদ্ধার সহিত যুদ্ধ করিতে সমর্থ হম্স, এবং শত বোদ্ধা, দশ সহস্র যোদ্ধাকে পরাভব করিতে পারে, এই হেতু রাজারা ছুর্গ আশ্রর করত বাস করিবেন

৪র্ঘ, ছুর্গের সংখ্য। প্রকারভেদ

হুর্গ অনেক প্রকার তন্মধো মনুর মতে ৭, কামন্দকির মতে নববিধ হুর্গই প্রধান। মহর্ষি মনু প্রাধান্ত ক্রমে প্রকার দুর্গের উল্লেখ করিয়।ছেনঃ পরস্ত কামন্দক মহার্ষ ব্যাস তদপেক্ষা ছুইটী অধিক হর্গের ব্যবস্থা করিয়াছেন। মন্ত-মতা'নুষায়ী সপ্ত ছর্গ এই-- প্ধন্বতুর্গং মহীছুর্গ মব ছর্গং বাক্ষমেব চ। নৃদুর্গং গিরিদুর্ণঞ্চ সমাশ্রিত্যাবনেৎ পরম? যাহার নিকটবত্তী দিক সমুহে জলবঙ্জিত স্থান অর্থাৎ মরুভূমি বিগ্ধমান আছে, তাদৃশ হুর্গের নাম ধন্য ছুর্গ। মহীহর্ণ অর্থাৎ মৃত্তিকার দ্বারা সম্পাধিত ছূর্গ। অবৃদূর্গ অর্থাৎ জলদুর্গ। যাহার নিকটবত্তী দিক সমুহে মহাঁজল বিদ্ধমান আছে, তাহারই নাম জল তুর্গ। বৃক্ষের দ্বার| রচিত হছুগ বিশেষের নাম বাক্ষ হুর্থ ; যাহার চতুর্দিক নিবিড় ছুশ্ছেদ্য বৃক্ষে পরিব্যান্ত তাহাই বাক দুর্গ। নৃদূর্গ অর্থা যাহার আশ্রয়ে বহুতর বীরমন্ুুয্য বাস করে। গিরিহুর্গ অর্থাৎ ছুর।রোহ পর্বত যাহার চতুর্দিকে আছে। মনু এই ছয় প্রকার হুর্গের উল্লেখ করিয়াছেন $ পরস্ত কামন্দকী এতদপেক্ষা শ্রীরিণ নামক আর একটী অতিরিভ্ত, ছুর্গের কথা বলি- মাছেন। যথা. - |

১৫৮ তারতশ্রহস্ত

ওদকং পার্ধতং বাক্ষৎ মৈরিণং ধন্বমানবম্‌। প্রশস্তং শান্ত্রমতিভিঃ ছুর্ণং ছুর্গোপচিন্তকৈঃ ওদক অর্থাৎ জলছুগ। পাব্বত অর্থাৎ গিরিছর্গ। বাক্ষ অর্থাৎ বৃক্ষরচিত হুর্গ। এ্রারণ অর্থাৎ উষরস্থানরূপ দুর্গ ধন্থ অর্থাৎ জলবঞ্জিত ভুর্গ। মানব অথাৎ বীর মনুষ্য বেষ্টিত ছুর্গ। মহাভারতেও ছয় প্রক।র দুর্গের উল্লেখ আছে, তন্মধ্যে মহীছুর্ণ মুদ্দ,গ এই ছুইটার ভিন্নতা প্রতিপাদিত হইয়াছে বথ1-- “্ধন্নদুগ্বং মহীছুর্গং গিরিছুর্ং তখৈবচ। মন্ষ্যহুগং মৃদ্দ,গঁ মন্,দুর্গঞ্চ তানি যু এই ্লোকে মহীছগ্ণ মৃদ্দ,গঁ এই দুইটা পৃথক্‌ উল্লেখ থাকীয় বুঝিতে হইবে যে, যাভা স্বাভাবিক মৃত্তিকারচত স্থান, তাহাই মহীদর্গ এবং যাথ। মুস্তিকার দ্বার! হষ্টকের ছারা কি প্রস্তরের দ্বারা নির্মিত ছুর্গম স্থান, ত|হাই মৃদ, গ। নীতিমযুখ গরস্থে লিখিত আছে যে, “ুদ্ঁমত মাঠিকং পাধাণমৈষ্টকং বা” মদদ প্রকর,--মৃত্তিক।নিক্মিত, পাষাণ রচিত ইষ্টকগ্রথত। লিখিত বচনগুলির দ্বারা সর্ব সমেত নববিধ €৯ প্রকার : ছুর্গের ব্যবস্থ৷ পাওয়া যাইতেছে তর্যথা_

ধ্ষছুর্গ *** ১. রা মহীছুর্ণ ,*. ইহা অকাঁএম মৃত্তিকারচিত কৃত্রিম মৃদ্ধিত্তি নির্মিত এতক্রপে

জলদুর্গ ... 9) দিবিপ। মৃদ্ছিত্তি ভর্গের ভাবার প্রস্তর নির্মিত ইগ্টক বুক্ষদুর্গী '- নির্মিত এই ছুই প্রকার প্রভেদ আছে।

টিতে 7৫. ছি ৩8 ইহা বীরগণের দ্বারা বেষ্টিত থাকা এবং সৈশ্ত রচনার দ্বারা গিরিছুর্গ....

8 বেষ্টিত থাকা, এই ছুই -প্রকার।

রা বন্ধুতুর্গ ... ঠা,

রিণদুর্গ... শুর আত্মীয়গণের গুহের দ্বারা বেষ্টিত থাকা প্রান্তর

বেষ্টিত থাক।। এই নববিধ ছুর্গের মধ্যে মহীর্গেব দ্বিতীয়টা মর্থাৎড ঘৃদ্,গঁটা আবার ৩প্রকার। স্ত.পীকৃতমৃত্তিকরাশিবেষ্টিত, প্রস্তর গ্রাকার বেষ্টিত, এবং ইট্টকপ্রাকারবেষ্টিত। অপর, নুদুর্গ অর্থাৎ মন্ষ্যহূর্গও ছ্বিবিধ। বন্ধু দুর্গ ইতর মনুষ্য দুর্গ নীতি- মযুখে এই মনুষাতুর্গের নিয়লি খত লক্ষণ ব্যবস্থা! লিখিত হইয়াছে “বন্ধুদূর্ণং নাম সোদরাদিবদ্ধ,ন।ং রাজগৃহন্ত £পরিতঃ স্থানানি। এবং বন্ধু ছুর্গসস্তবে ইতরমন্ষ্যতুর্গং কুব্বীত |”

ভারতীয়-যুদ্ধরহস্ত। ১৫৯

্রাত্‌ প্রভৃতি বীর অন্তরঙ্গ স্বজনগণের ঘ্বারা বেষ্টিত রাজপুরীর নাম বন্ধহূর্গ বন্ধুবান্ধব না! থাকিলে বীর পুরুষের দ্বার পরিবেষ্টিত রাজ পুরীকে সামান্ততঃ মনুষ্য ছুর্গ বলিয়া উল্লেখ কর! যায়। পরক্ত যে স্থলে বন্ধুহূর্গের সম্ভাবনা! থাঁকে-_ সে স্থলে ইতর মনুষ্যহুর্গ করা কর্তব্য নহে। অন্থরাচাধ্য উশন! স্বকৃত নীতিসার গ্রন্থে উল্লিখিত ছুর্ণ সমূহের পৃথক্‌ নাম লক্ষণ বর্ণনা করিয়াছেন। যথা-_ ণ্ষষ্ঠং দুর্গ প্রকরণং প্রবঙ্গ্যামি সমাসতঃ | খাতকণ্টকপ[যাণৈছুষ্পং দুর্গমৈরিণম্‌ পরিতস্ত মহ।খ[তং পারিখং হুর্গমেব তৎ। ইষ্টকোপলমৃদ্ধিত্তি প্রাকারং পারিধং স্মৃতম্‌॥ মহাঁকন্টকরৃক্ষৌদৈববযাপ্রৎ তদ্বনদুর্গম্ম্‌। জলাভাবস্ক পরিতে। ধন্হূর্ণং প্রকীর্তিতম্‌ জলছুর্গং স্মতং তজ.জ্ঞৈ রাসমন্তাৎ মহাজলম্‌। সবারিপৃষ্টেচ্চগৃহং বিবিক্তে গিরছুর্গমম্‌ অভেদ্যং ব্যুহবিদ্ভিষ্যৎ ব্যাপ্তং তৎ সৈম্ত্র্মম | সহায়ছুর্গং তজংজ্ঞেয়ং শুরানুকুলবাদ্ধবম্‌ ॥৮

আমি তোমাদিগকে হুর্ণনামূক ষষ্ট প্রকরণ সংক্ষেপে বলি, শ্রবণ কর। খাত, কণ্টক পাঁষাণাদির দ্বারা ছর্গম স্থানের ন|ম এরিণ ছুর্গ। যাহার চতুদ্দিকে মভাগত, তাঁদৃশ ছুর্শের নাম পারিখ ছুর্থ। ইষ্টক, প্রস্তর মৃত্তিকার ছারা প্রাচীর দিলে তাহার নাম পারিঘ দুর্গ মহাঁকণ্টকযুক্ত বৃক্ষের দ্বার! ( বেউড় বাশ প্রভৃতির দ্বারা ) চতুর্দিক ব্যাপ্ত থ|কিলে তাহা বনছুর্ণ ঝা! বৃক্ষদুর্গ। ছুর্গের চতুর্দিকে অধিক দূর পর্যন্ত জলবজিত স্থান থাকিলে তাহা ধন্বছূর্গ হইবে। চতু- দিকে মহাঁজল (বৃহৎ নদী কি সমুদ্র ) তন্মধ্যে তুর্খ, এরূপ হইলে তাহা জলছুর্গ। মনুষ্যাবাস বজিত সজল প্রদেশে অথবা পর্ধতপৃষ্ঠোপরি অত্যুচ্চ গৃহ সমূহকে গিরিছুর্গ বল! যায়| ব্যৃহ-ং সৈম্তবিন্তাস ) ধেত্তা বীর সমূহে পরিব্যাপ্ত থাকিলে তাহাকে সৈম্তহুর্গ বলা যায়। বীর বন্ধু বান্ধব অনুকুল থাকিলে তাহ! সহায় ছুর্গ মাথ্য। প্রাপ্ত হয়।

এই সকল ছুূর্গের মধ্যে গিরিহুর্গ সহায়দুর্গই শ্রেষ্ঠ ছূর্গের শ্রেষ্ঠতা সম্বন্ধে মনু কামন্দক বলিয়াছেন যে.

১৬০ ভারত-রহন্য |

সর্কেণ তু প্রযত্রেন গিরিছুর্গং সমাশ্রয়েখ। এতেষাং বাহুগুণোন গিরিদ্রর্গং বিশিষ্যতে ॥++ এই সকল ছুর্গের মধো গিরি ছুর্গই বছগুণে উৎকৃষ্ট; অতএব রাজ! প্রযত্রের সহিত গিরিছুর্গ অবলম্বন করিয়া বাস করিবেন। বিষয়ে শুক্রাচার্ধ্য বলি*

ম্াছেন যে,” “পারিখাদৈরিণং শ্রেষ্ঠং পারিঘন্ত ততো বনম্‌।

ততোধন্বজলং তম্ম[দিসরিহূর্গং ততঃ স্মৃতম্‌।

সহায়ন্তেম্হর্গে ছেসর্বহুর্গীপ্রসাধকে |

তাভ্যাং বিনাহন্তুর্ণাণি নিচ্ষলানি মহীভূজাম্‌

শেষ্টস্ত সব্বহূর্গেভ্যঃ সেনাছুর্গং স্বৃতং বুধৈঃ |

তৎসাধকানি চান্তানি তদ্রক্ষন্নূপতিঃ সদ!

সেনাছুর্ণস্ত যস্য স্যাৎ তন্ত বস্তা তু ভূরিয়ম্‌।

বিনা তু সৈম্যছর্েণ দুর্গমন্যতত, বন্ধনম্‌

আপৎকালেহনাতর্গাণামা শ্রয়্চে ভুমোমতঃ।

পারিখ ছর্গ অপেক্ষা এ্ররিণ দুর্গ শ্রেষ্ঠ তাহা আপেক্ষা পারিঘ ছূর্গ উত্তম।

পাবিঘ অপেক্ষা বনদ্ুর্গ অর্থাৎ বুক্ষতূর্ণ ভাল। বৃক্ষছূর্গ হইতে ধন্বুর্গ এবং ধন্ন অপেক্ষা জলছুর্গ উৎরুষ্ট। জলছুর্গ অপেক্ষা গিরিছুর্গ উত্তম বলিয়া কথিত হই- পাছে এততিন সহায়ছুর্গ সৈগ্তর্গ এই দই ছুর্গ সকল দুর্গের সাধক; এবং পঁ সকল ছূর্গের মধ্যে সৈল্তাহ্র্গই শেষ্ঠ অগ্ঠান্ত মে কেন দুর্গ সমস্তই সৈম্ার্গের ছার! সাধিত হয়। একারণ বজ1 যত্রপুর্বক, সদাসর্বদ। সৈম্ঠররগ রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন। যে রাজার সৈম্তছুর্ণ উৎকুষ্ট খাকে ; এই পৃথিবী তাহারই বশীভূত হন। সৈন্চতুর্ণ না থাকিলে, অন্তান্ত সমস্ত দুর্গ বন্ধন স্বরূপ হইয়া! থাকে। অন্তান্ত ছুর্দী কেবল ব্পিদ্কাঁলের আশ্রয়, এজন্য তাহাঁও উত্তম বলিয়! গণ্য দুর্গ সম্বন্ধে মনু অন্ত 'এক কথ! বলিয়াছেন 1৮ ষথ।--

“তশ্ম(দাযুধসম্পননং ধনধান্য।জ্নাহানৈঃ |

্রাহ্মণৈঃ শিল্পিভিয্তৈর্যবসেনো দকেন্ধনৈঃ ॥%

দুর্গ সকল অস্ত্র সম্পন্ন থাকা আবশ্তক। ধনধান্ট (আহারীগ্ন দ্রব্য)

অশ্থদি বাহন তাহাতে রক্ষা করিবেক। ত্রাঙ্গণ (শাস্ববেস্তা বুদ্ধিজীবী মন্ত্রি সমুহ ), শিল্পী, বিবিধ মন্ত্র, যব অর্থাৎ অশ্ব প্রভৃতি পণ্ডর ভক্ষা», সেনা জল (পু্ধরিণী প্রভৃতি ১, কাঠ খাঁক1 অত্যাবশ্যক রি

যুদ্ধ-ধর্্ম | ১%%

মহ্াভারতেও প্রায় এইরূপ ব্যবস্থা দৃষ্ট হয়। যথা “শুরান্নজলসম্পন্ন ত্রন্মঘো ষাছুনাদিতম্‌ বশ্ঠামাত্যবলে! রাজ! তৎপুরং স্বয়মাবিশেৎ ॥£,

শুর অর্থাৎ বীরপুরুষে পরিপুর্ণ, বেদশব্ে নিনাদিত, বশীভূত অমাত্য সৈল্ত সমূহে পরিপৃর্ণণ এতাদুশ পুরে রাজা অমাত্য সহ বাঁ করিবেন।

পধ্যস্ত যতগুলি ছুর্গের উল্লেথ করা হইল» তৎসমস্তের মধ্যে মৃদ্দ,গই প্রায় প্রচলিত বিশেষ কৃত্রিম আজি পধ্যন্ত মৃত্তিক! ভিত্তির দ্বারা প্রশুর ভিদ্ভির দ্বারা ইষ্টক ভিত্তির দ্বার! তর্গ প্রস্তত হইয়! থাকে এক্ষণকার সেই সকল দর্গ কিরূপ কৌশল-সম্পন্ন তাহ! আমরা উত্তমরূপ জানি না। পরন্ত পুরাতন কালের ছূর্গনি্াণবিধি 'পর্য্যালে।চনা করিলে আধুনিক ছুর্ঘগুলির ব্যবস্থা-কৌশল মল্পপরিমাণে বোধগম্য করা যায়। রাজবল্লভ নামক বাস্তশাস্তের দ্বিতীয় অধ্যায়ে

সণ নিন্মীণ সম্বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা আছে। পাঠকগণের কুতুহল চরিতার্থ জন্য তাহার কতক অংশ আমর! প্রবন্ধাকারে অন্ত এক গ্রস্থাবয়বে প্রকাশ করিব।

যুদ্ধ-ধর্ম |

প্রাচীন ভারতের সকল কাঁষ্যেই ধর্ম-সংযোগ ছিল। আহার করিবে তাহাতেও ধর্ম, ব্যবহার করিবে তাহাতেও ধর্ম, বিহার করিবে তাহাতেও ধর্ম, যুদ্ধ করিবে তাহাতেও ধর্ম কোন কার্যাই অধর্মপুর্ধক করা বিধেয় নহে) সকল কাধ্যই ধর্পূর্বক করা কর্তব্য, এইরূপ দৃঢ়তর বিশ্বাস পুর্ববাচাধ্যদিগের মধ্যে গ্রাতিষ্ঠিত ছিল। যুদ্ধ যে এত নৃশংসের কার্য, পুর্বকালে তাহাও ধর্মের দ্বারা আবদ্ধ ছিল। মানুষ মারিব, কিন্তু ধর্ম ধা নিয়মপুর্বক মারিব,_-এরূপ ইচ্ছা, এরপ নিয়ম, এরূপ অভিপন্ধি, এপ সতর্কতা,-- ভাবিয়া! দেখিলে উহ! বীরসমাজের ভূষণ বলিয়া! পপ্রতীতি হয়।

কুরুক্ষেত্রে সর্বাস্তকর যুদ্ধ উপস্থিত হইল,__কুরুপাগুবসৈন্ত পুর্ণ উৎসাহে পরম্পর পরস্পরের বধার্থ উদ্যোগ করিল,--যুদ্ধারস্তের পুর্বে ধর্মনিয়ম প্রচার করাও হইল। উভয়পক্ষ হইতেই ধ্বনিত হইল যে, আমরা অধরা বা অন্তায় পূর্বক যুদ্ধ করিব না; আরব্ধ-যুদ্ধ সমাপ্ু হইলে, পুনর্বার আমাদের প্রীতি সংস্থাপিত

| টু

১৬২ ভারত-রহস্ত |

হইবে; দিন দিন দৈনিক যুদ্ধের অবসানে রাত্রিকালে আমাদের শক্ত! বিদুরিত থাকিবে; তুল্যযষোগ অতিক্রম, অন্যায়াচরণ কেহ কাহাকে প্রতারণ! কর্রিব ন। ব!গ্যুদ্ধকালে বাগ্যুদ্ধই হইবে, অস্তযুদ্ধকালে অন্ত্রযুদ্ধই হইবে। পলায়িত ব্যক্তিকে ব্যুহ-চ্যুত ব্যক্তিকে প্রহর করা হইবে না। বথা বীর সহিত, গজারোহী গজা- রূঢ়ের সহিত, অশ্বারোহী অশ্বারূটের সহিত, পদাতি পদাতির সহিত যোগ্যতা, উৎসাহ, বল অভিলা ষান্থসারে যুদ্ধ করিবে; তাহাতে কেহ প্রতিকূল কি প্রতি- ব্দ্ধক হইবে না। অগ্রেসতর্ক কারয়। পশ্চাৎৎ প্রহর কর! হইবে। বিশ্বস্ত ভয়বিহবল ব্যক্তিকে প্রহার করা হইবে না নিরন্তর হইলে, বর্মরহিত হইলে, কদাচ তাহাকে প্রহার করা হইবে না। সারথি, ভারবাহী, শস্ত্রনেতা দাস বাদ্যকর গ্রভৃতিকে বধ করা তইবে না। ভারত বুদ্ধে উত্যাদিপ্রকাঁর অদ্ভূত যুদ্ধধর্মের নিয়ম 'প্রতিষ্ঠাপিত হইয়।ছিল।

যুদ্ধে কি প্রকার কার্ধা করিলে ধশ্শরক্ষা হয়, ;তাহা মন্গুসংভিতা, নীতিময়ুখ, কামন্দকীয় নীতিসার, বৃদ্ধ শাঙ্গধর, নীতি প্রকাশিকা শুক্রনীতি প্রভৃতি গ্রন্থে সবিস্তর বর্ণত আছে। যথা

ভন্যাৎ স্থলারূঢং ক্রীবং কুতাঞ্জলিম্‌।

মুক্তকেশম[সীনং তবাস্মীতি বাদিনম্‌

নুপ্তং বিসন্নাভং নগ্নং নিরাযুধম্‌।

ন।যুধ্যমানং পন্ঠন্তং পরেণ সমাগতম্‌

ভীতং পরাবুন্তং সতাং ধর্মমমন্তস্মরন্‌ ॥৮

( নীতিমযুখধৃত মন্ুবচন ।) যে ব্যক্তি যান হইতে অবতরণ করিয়াছে, স্থলারূঢ় হইয়[ছে, তাহাকে আঘাত

বিধেয নহে ক্লীবকে আঘাত কর! কর্তব্য নহে! যে অঞ্জলি বদ্ধ করিয়! দাড়ায়, তাহাকে প্রহার করা কর্তব্য নহে। মুক্তকেশ ব্যক্তিকে, উপবিষ্ট ব্যক্তিকে এবং থে ব্যক্তি “মামি তোমার শরণাগত হইল[ম»; বলে, তাহাঁকে বধ করিতে নাই। নিত্রিত ব্যক্তিকে, যুদ্ধষেগ্য পরিচ্ছদ রহিত বাক্তিকে, নগ্র ব্যক্তিকে নিরিশ্ক ব্যক্তিকে আঘাত করিবে না। বে যুদ্ধ করিতেছে না, যে বুদ্ধ দেখিতে আসি়াছে, ধে অপরের সহিত সংগ্রাম করিতেছে, বে ভয়বিহবল হইয়াছে, যে পলাইবার উদ্যোগ করিয়াছে, যে পশ্চাঞ্ুখ হইয়[ছে, সাধুদিগের ধর্ম মনে করিয়া এই সকল ব্যক্তিকেও আঘাত কথা কর্তব্য নহে

যুদ্ধ-ধর্ম। ১৬৩

“বৃদ্ধো বালো হস্তব্যো নৈব স্ত্রী নেৰ যো ছ্বিজঃ তণপুর্ণমুখশ্চৈব তবাম্মীতি যো বদেৎ॥৮ বৃদ্ধ, বালক, স্ত্রী, ব্রাহ্মণ এবং যে তৃণ মুখে করিয়! “আমি তোমার” এইরূপ কথা বলে, তাভাকে কোন ক্রমেই বিনাশ কর! কর্তব্য নহে। ্‌ মহবি বৈশম্পায়নও স্বকৃত নীতিপ্রকাশিকা গ্রন্থে উক্ত প্রকার উপদেশ করিয়াছেন যথা_ €'ন কু'টের[যুধৈহ স্ভি।ৎ যুধ্যম।নে। রণে রিপুন্‌। দিদেরত্যুললগৈরক্ৈষন্বৈস্চৈব পুথগ্‌বিধৈঃ হন্যাদ্বুক্ষমারঢ়ং ক্লাবং কতাঙ্গলিম্‌। মুক্তকেশং নাসীনং তবান্মীতি বাদিনম্‌ প্রস্ুপ্তং প্রণতং নগ্রং নিরাধুধম্‌ নাবুদ্ধমানিং পশ্যন্তং পরেণ সমাগতম্‌। আধুধব্যসনং প্রাপ্তং নার্ভং নাতিপরিক্ষতম্‌ হীনং পরাবৃন্তং ব্লাকমাশ্রিতম্‌ | মুখে তৃণিনং হন্যাৎ স্ত্িয়োবেশধারিণম্‌ এতাদুশান্‌ ভটের্ধাপি ঘাতয়ন্‌ কিন্বিষী ভবেৎ ॥৮ নীতি প্রকাশিকার এই সকল বচন অতি সরল শব্দে গ্রথিত আছে বিশে- ষতঃ গুলির অর্থ প্রায় পুণোক্ত বচনাবলীর ছারায় গতার্থ হইয়াছে ফল, প্রথমোক্ত কুটাস্ত্বেন প্রকৃত ব্যাখা করিতে হইলে শতদ্রী প্রভৃতি আগ্নেয় অন্ত্র- গুলিকেই প্রধান কল্পে গণ্য করিতে হয় এক্ষণকার কামান্-যুদ্ধ অত্যান্ত কূট। কামানের ন্যার কুটান্্র আর কিছুই নাই ছিল ন| | আমর! পুর্কেই প্রতিপন্ন করিয়াছি বে, পুর্বকালে কামানের ন্যায় অথবা অন্ত এক আকারের কামান ছিল; কিন্ত তন্বার! তাহারা! যুদ্ধ করিতেন না। কাঁমা- নের দ্বারা যুদ্ধ করায় অধর হর এবং উহাতে কিছুমাত্র পৌরুষ নাই, এইরূপ বোধ থাকাতেই তৎকাঁলের ক্ষত্রবীরেরা কামান কি কোনরূপ যন্ত্রান্সির ছারা মনুষ্য বধ করিতে উৎসাহী হইতেন না) মহাভারতে উক্ত হইয়াছে যে,_- “তাবলুগেৎ গীড়য়েচ্চ শত্রোঃ প্ররুতয়ঃ স্বয়ম্‌। বশে জাতঃ পুনস্তাজু পিতৃবদ্বৃত্তিমাঁচরেৎ ॥» শত্রু যতকাল না বশীভূত হয়», ততকাল তাহার অনুগত প্রজা অমাত্য- দিগকে পীড়িত করিবেক এবং তাহার ধনও লুণ্ঠন করিবেক; পরন্ধ সে যখন

১৬৪ ভারত-্রহস্ত |

বশীভূত হুইবেক, তখন আর তাহার প্রতি কোন প্রকার অত্যাচার করিবেক ন।, প্রত্যুত তাহাকে পিতৃবৎ অর্থাৎ পিতাকে যেমন বৃত্তি প্রধান করিতে হয়, সেইরূপ তাহাকেও বৃত্তি প্রদান করিবেক।

ধর্মাযুদ্ধ সম্বন্ধে মন্থুর উক্তি এইরূপ বথা £--

“সমোত্তমাবমৈরাজা ত্বাহৃতঃ পালয়ন্‌ প্রজাঃ।

নিবর্তেত সংগ্রানাৎ ক্ষত্রধন্মমনুন্মরুন ॥%

''আহবেহু মিথোন্যো ন্যং জিদ্বাংসন্তে৷ মহীক্ষিতঃ |

যুধ্যম(ন।ঃ পরং শক্ত্যা স্বর্গং যাস্ত্যপরাও মুখাঃ ॥%

গ্রজা পালনকারী রাজ! সমান, মধ্যম উত্তমব্যক্তি কতৃক সংগ্রামে আহত

হইলে, ক্ষত্রধন্ম স্মরণ করতঃ যুদ্ধ হইতে নিধুশ্ড হইবেন না। পরম্পর পরস্পরের বধেচ্ছু রাজগণ সমধক শক্তি অব্লম্বন পুব্বক যুদ্ধ করিতে প্রবৃত্ত হইয় ধাহারা পরান্মুথ ন৷ হন, তাহার! স্বর্গে গমন করিয়া! থাকেন

উৎসাহ বাক্য

যুদ্ধকালে রাজ। সেনানায়ক উৎসাহবদ্ধক বাক্যের দ্বারা যোধগণকে উত্তেজিত করিবেন। ওঞোবাক্য বা উৎসাহ বাক্য কিরূপ তাহা মহাভারতাদি গ্রন্থে অধিক পরিমাণে আছে। নীতি প্রকাশিক। প্রভৃতি রাজনীতি গ্রন্থেও আছে মহাভারতাদি গ্রন্থ প্রায় সকল পাঠকেরই জানা আছে, এজন্য আমরা নীতিগ্রপ্থের উদ্দাহত কতিপয় ওজো-বাক্য আহরণ করিয়! প্রস্তব নমাণ্ত করিলাম | যথা--

*দ্বৈপায়নেন মুনিনা মনন! ধন্মা বুদ্ধেঘু বে নিগদিত। বিদিতাস্ত তে বঃ। স্বাম্যর্থ-গে।-দ্বিজহিতে ত্যজতাং শরীরং লোক। ভবস্তি স্গলভা বিপুলং যশশ্চ ॥%, *তপৃন্থিভির্য! সুচিরেণ লভ্যতে প্রযত্বতঃ সত্ভিভিরিজ্যয়! যা। প্রঙাস্ত তা মাশুগতিং মনস্ষিনে! রণাশ্বমেধে পশুতামুপাগতাঃ ॥৮ “ন্বরন্ত মার্ী বহবঃ প্রদিষ্টাঃ তে কৃচ্ছ সাধা। কুটিলাঃ সবিন্নাঃ |

যুদ্ধ-ধন্মী | ১৬৫ নিষেষমাত্রেণ মহাকলোহ্য়ং স্থখ*্চ পন্থাঃ সমরে ব্যচ্ুত্বম্‌ ॥” “সংরক্ষ্যমাণামপি নাশমুপৈত্যবশ্যং এতচ্ছরীরমপন্থায় সুহ্ৃতস্তার্থান্‌। তৎ কিং বরং প্রলপতাং সদৃশাং সমক্ষং কিং নিপ্রতঃ পরবলং ভূকুটামুখন্ত) 0৮ “হ] তাত মাতেতি বেদনার্ভঃ কিরন্‌ সকৃনুত্রকফ|নুলিপ্তঃ। বরং মৃতঃ কিং ভবনে কিমাজৌ সন্দষ্টদন্তচ্ছদভীমবক্তু,£ ॥'” “যস্ত তপো জন।ঃ কথয়ন্তি নোমরণং সমরে বিজয়ং বা। শ্রুতং দানম্হাধনতা বা তস্ত ভবঃ কৃমিকীটসমানঃ ॥৮ “লোকঃ শুভভ্তিষ্ঠতু তাবদন্তঃ পরাঙ মুখানাং সমরেষু পুং সাম্‌। পত্যোহুপ তেষাং হিয়া মুখানি পুরঃ সখীনামবলোকয়স্তি ॥৮ “শত্রসৈম্যমব্দাধ্য বর্ততাং যৎ সুখন্ত কথয়ামি তাদশম্‌। শৃঙ্ধতাং শ্ববশোসোপপল্লবান্‌ দিপ্বধূ ব্দনব্্ণপুরকান্‌ ॥৮” “নিপততি শিরসি দ্বিপন্ত সিংহঃ স্বতন্ুশতাধিকমাংসরাশিমুর্তিঃ | পিবতি তদস্যও অদেষ্টগন্ধং বদ্দনগভাংশ্চ শনৈঃ প্রমৃজ্য মুক্তান্‌ ॥৮ “চিত্রং কিমশ্মিন্‌ বদ সাহ্‌সং বা যৎস্বামিনোহর্থে গণয়স্তি নানুন্‌। ঘুদ্ধাৎ, প্রনষ্টে। বিদিতোহরিমধ্যে বদ্ধালিশস্তিষ্ঠতি সাহলং তত |

১৬৬ ভারত-্রহস্য।

“যদি সমরমপাস্ত নাস্তি মুত্যো

ভয়মিতি যুক্তমতোন্ততঃ প্রযাতুম্‌। অথমরণমবশামেব জস্তোঃ

কিমিতি মুধা মলিনং ষশ£ কুরুধ্বম্‌ | ১০

১। যোদ্ধাগণ ! তোমার ব্যামের মন্ত্র কথিত যুদ্ধধম্ম জ্ঞাত আছ। প্রভূর জন্ঠ, গোজাতির রক্ষণাবেক্ষণ জন্য ব্রাহ্মণের জন্য যাহার! যুদ্ধে শরীর পরিত্যাগ করে, তাহাদের স্বর্থলোক স্থলভ বিপুল বশে'লাভ হয়

২। তপস্থিগণ যাহ! দীর্ঘকাল তপস্তার পর প্রাপ্ত হন, যাজ্ঞিকেরা যাহা যত্ব- সাধ্য যজ্ঞের দ্বারা লাভ করেন, গ্রাশস্তচেতা বীরগণ যুদ্ধরূপ অশ্বমেবের পশু হইয়া তাহা ক্ষণকাল মধ্যে লাভ কারয়! থাকেন

৩। খাষিগণ স্বর্গগমনের বহুবিধ পথ উপদেশ করিয়াছেন, পরন্ত সে সকল পথ অতিশয় কষ্টগম্য, কুটিল বিদ্ পরিপূর্ণ; কিন্তু হুদ্ধে ঃপ্রাণপরিত্যাগরূপ পথটি খজু মহাফলদায়ক। আরও শ্রগমত! এই যে, এই পথের পথিক এক নিমেষের মধ্যেই স্বর্গ গমন করেন

৪। এই ভৌতিক শরীর ডি বক রক্ষা করিলেও ইহা রক্ষিত হইবে না। অবশ্তই ইহার পতন বা বিনাশ হইনে। অবশ্তাই ইহা! বন্ধু, বান্ধব, জী, পুত্র ধন,--এই সমস্তই পরিত্যাগ কিয় নী হইবে। 'এমত স্থলে বল দেখি, রোর্দ্যমান বন্ধুগণের চক্ষের উপর ইনার পতন ভাল? কি শক্রবলবিনাশকারী ক্রকুটাবদ্ধমুখ বীরপুরুবের সমক্ষে ইহার নিনাশ হওয়। ভাল 2

৫। হা পিতঃ ! হামাতঃ ! ইত্যাদি বিলাপ আর্তনাদ শুনিতে মৃত্র, বিষ্ঠা শ্লেম্মাক্ত কলেবর হইয়া গৃহে মরা ভাল? কি যুদ্ধে অধরদংশনপুর্বক শক্রগণের ভয়প্রদ্দ হইয়া মরণ লাভ কর! ভাল ? (ইহাও বিচার করিয়া! দেখ )।

৬। মানুষে যাহার তপন্ডা, যুদ্ধজয়, কিংবা যুদ্ধ মরণ ঘোষণা না করে, অথবা যাহার বিদ্য। (বেদাধ্যয়ন প্রভৃতি ১, দান 'ও মহাধনের যশঃ কীর্তন না! করে, তাহার জন্ম কমির কীটের তুল্য

৭। যে পুরুষ সমরে পরাজ্যুথ হয়, তাহার শুভলোক লাভ দূরে থাকুকঃ তাহার পতীগণও তাহার নিকট লজ্জায় মুখ দেখাইতে কুষঠিত হইয়া পুরবাসিনী সখীগণের মৃখপানে চাহিয়া থাকে

৮। যাহার! শক্রসৈন্ত বিদারণ পুর্ব্বক অরস্থান করে, যাহারা আপনার দিগন্ত* ব্যাপী ম্ুষশঃ শ্রবণ করে, তাহাদের যে কি সুথ তাহ! আমি পশ্চাৎ বর্ণন করিব।

যুদ্ধ-ধর্মমী। ১৬৭

৯। সিংহ আপনার অপেক্ষা শতগুণ অধিক মাংসরাশিমূত্তি হস্তীর উপর নিপতিত হয় এবং তাহার মদ্-গন্ধ রক্তও পান করে।

১০। বীরপুরুবেরা যে প্রভুর জন্ত সাহসিক কার্য করে, এবং প্র।ণকে তুচ্ছ জ্ঞান করেঃ তাহা আশ্চর্য নহে মূর্খেরা যে যুদ্ধক্ষেত্র হইতে পলায়ন পূর্বক শত্রু কর্তৃক বিজিত হইয়াও জীবিত থাকে, তাহাই আশ্চর্য এবং তাহাই তাহাদের আশ্চর্য্য সাহল।

১১। যুদ্ধ না করিলে যর্দি লোকের যৃত্যুভয় নিবারিত হইত, তাহা হইলে যুদ্ধ ক্ষেত্র হইতে পল।য়ন করায় ক্ষতি ছিল না, কিন্তু বখন যুদ্ধ না করিলেও মর্ণ হইবে, তখন অ।র যুদ্ধ পাণত্যাগ করিয়া কুষশঃ উপাজ্জন করিবার 'প্রয়েজন কি?

ইন্দ্র অন্বরীষ রাজাকে বলিতেছেন $--

৫০

ভর্ভ রর্থস্ত ঘঃ শুরে। বিক্রমেদবাহিনীমুখে। ভয়ানন বিনিবর্তেত তস্ত লোকা যথা মম ॥৮ ১৪ “বশ্চ নাপেক্ষ্যন্তে কর্চিৎ সহায়ং বিজয়ে স্থিতঃ | জীবগ্রাহং প্রগৃহ্রাতি তন্ত লোকা! যথ। মম 07 হ॥ পআহবে নিহতঃ শুলৈন” শোচে 5 কদাচন। অশোচ্যা হি যতঃ শুরঃ স্বর্গলোকে মহীয়তে ॥৮ “ন হি শৌরধাৎ পরং কিঞ্চিত ত্রিধু লোকেষু বিদ্যতে | শূরঃ সর্ববং প্রাপয়তি সর্্ং শুরে 'প্রতিষ্ঠিতম্‌ ॥” চরাঁণ।মচর! অন্নং অদংস্টা' দংষ্টি ণামপি। অপাণয়ঃ পাণিমতো| হৃনং শরস্ত কাতরা: ॥””

“সমানপুষ্ঠোদরপাঁণিপাদাঃ

পশ্চাৎ পুরং তীরয়োহুনুব্রজস্তি।

অতে! ভয়ার্তাঃ প্রণিপত্য ভূয়ঃ

কৃতাপ্রলীরুপতিষ্ঠন্তি শুর!ন্‌ ॥৮

১। যে নীর স্বামীর জন্ত শত্রসৈন্তে বিক্রম প্রকাশ করে, ভয়প্রযুক্ত বিনিবৃত্ হয় না, ভাহার লোক আমার সমান অর্থাৎ সে ব্যক্তিও ইন্দ্র লোকের প্রভূ হয়।

২। যেবীর বিজয়ে অবস্থান করতঃ সহায়মুখ প্রতীক্ষা না করে এবং শব্রর জীবন গ্রহণ করে, সে ব্যক্তিও মমলোক প্রাপ্ত হয়।

»। যুদ্ধে শুলাহত হইয়াও ষে ব্যক্তি শোক করে না, কাঁতরও হয় না, শোঁক-

১৬৮ ভারত-রহগ্ |

শৃগ্ হইয়া অর্থাৎ অকাতরে যে ব্যক্তি মৃত হয়, সেবার নিশ্চয়ই আনার নিকট আসিয়! পুজা প্রাপ্ত হয়।

৪। চর-জীবেরা অচর জীবের অন্ন অর্থাৎ ভোজ্য হয়। অদস্ত জীবের! দন্তর জীবের ভোগ্য হয়। হস্তবজিত জীব হস্তযুক্ত জীবের অন্ন হয়, আর কাতর ব্যক্তিরাই শুর পুরুষের অন্ন অর্থাৎ ভোগ্য হইয়া থাকে

৫। ভীরু ব্যক্তিরা পৃষ্ঠ, উদর, হস্ত পদ থাঁকিতেও শুর পুরুষের পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করে (ভয়ে তাহার অনুগত হয়, | ভয়ে কাতর হইয়া তাহারা বাঁর বার প্রণাম করতঃ কুতাঞ্জলিপুটে দণ্ডারমান থাকিয়া শুরের উপাসনায় নিষুক্ত থাকে। €কি আশ্চধ্্য ! ইহাদেরও হস্ত পদাদ্দি আছে অথচ তাহার! হস্তপদদির কার্য্য বিষয়ে অক্ষম )।

এইরূপ অনেক উত্তেজক বাক্য 'আঁছে, তৎসমুদায় একত্রিত করিতে গেলে একথানি বিস্তীর্ণ গ্রন্থ হইয়া পড়ে সুতরাং আমরা এই স্থানেই প্রস্তাব শেষ কবিলাম।

বত্র-রহগ্য |

শর রর লি . রর রি তে রি | মা ঠা 2 হু রঃ ৬০ 1৮ রে ডি সাদি তি ? হু 17 টু স্ রর বত ) গ্রদ হি স্ক |) দা রর বাঃ | 73

২২

জরিপ পু অক্বার তি

গে নস ছি এলি শক বাপ সপ, রি

খিল আলি

মটর রি ্ঘ শু শখ 1.0 পন ১২৯৯ 2 ঢু ঈ্জে ছু $ মি দে 8২ ধি। 0:8৩ চে 4

বত-নহণ)

নানাশাস্ত্র হইতে

শ্রীরামদাঁস সেন কর্তৃক সঙ্কলিত।

দ্বিপ-হয়-বনিতাদীনাং স্বগুণবিশেষেণ রত্বশবৌহন্তি ইহ তৃপলরত্বানামধিকারো বজ্্পূর্বাণাম্‌ ॥৮ বরাহমিহির।

€6079 85117020007) 17 55173001 00850 10%/68 01 0১৩ 20176721] 10200 11855 0997) 1১210 টিটো 06 ৮2 881711556 55558 21159 1) 06 10795018576 2770. 655 22096 10817 ১2005 0860105১ 5608080)125 50 008৮ £6705 76511958627 60159355895 5 01579 ০০০] 01871) %/1101) 080569 (1)67 69 06 ০০৮০/৫০+/--1 ১৪৪৮ আকন 00) মত 0,

[70

1, 1115010103219 7৯৮৭ 6৪)

1171১177122 ৬01778 ০৭

77২7201090১ ১10০2,

4৯০ 10155011951)

হা) 30001 ২0910180100 15106101010) নব 770০0788727 83 11017 1২50 4110)5

20

17৮ 4& 091

বিজ্ঞাপন।

এই রত্নরহস্তের যুক্তাসন্বন্ধীয় প্রথম প্রস্তাব অন্যান্ত রদ সন্বন্ধীয় প্রবন্ধের সহিত সংযোজিত হইয়া ১২৮৬ সালের অগ্রহায়ণ মাসের বঙ্গদর্শনে আধ্যদর্শনে যথাক্রমে প্রকাশিত হইয়াছিল? সেইগুলি এক্ষণে সংশোধিত পরিবর্ধিত করি! রত্বরহস্ত নামে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হইল।

বৃহৎসংহিতা, মণিপরীক্ষা, শুক্রনীতি, মানসোল্লাস, অমরবিবেক, হেমচন্দ্রকোষ, মুক্তাবলী, রাজনির্ঘণ্ট, অগ্রিপুরাণ, গরুড়পুরাণ, রাজ! রাধাকাস্ত দেব বাহাঁছরের কল্পদ্রম, এই সকল মহান্‌ নিবন্ধ হইতে ইহার প্রমাঁণাবলী সংগৃহীত হইয়াছে এবং ইহার শেষে মণিপরীক্ষা পুস্তকখানি ক্ষুদ্র টিপ্লনীসহ মুদ্রিত সংযোজিত করিয়া দেওয়! হইয়াছে

সম্প্রতি খ্যাতনাম। সঙ্গীতাচার্য শ্রীধুক্ত রাজ। সৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর (ডাক্তার অপ. মিউজিক ) মহোদয় “মণিমালা” নামক একখানি রত্বমশ্বন্ধীয় বিস্তীর্ণ পুস্তক মুদ্রিত করিয়! বিদেশীয় জনসমাজে প্রচারিত করিয়াছেন। উহা এদেশে অতীব বিরলপ্রচার, স্থতরাং তাহা! আমি দেখিতে পাই নাই ; এজন্ত উক্ত গ্রন্থ যে কি প্রণ।লীতে বিরচিত---তাহা! আমি জ্ঞাত নহি।

এই গ্রন্থে সমস্ত মহারত্ব, স্বল্পরত্র, উপরত্ব, রত্বালঙ্কার স্বর্ণা ধাতুসম্বদ্ধে স্থূল স্ুল অবশ্তাজ্ঞাতব্য বিষয়গুলি বণিত হইয়াছে; এক্ষণে এতৎপাঠে পাঠকগণের ব্কিঞ্চিৎ তৃপ্তি জন্মিলে আমি সমস্ত শ্রম সফল মনে করিব।

অবশেষে সকতজ্ঞ-হৃদয়ে বিজ্ঞাপন করিতেছি যে, আমার অধ্যাপক মাননীয়তম শ্ীধুক্ত পণ্ডিত কালীবর বেদাস্তবাগীশ ম্হাশর় আমাকে যথাযোগ্য সাহাষ্য দান করিয়৷ বাধিত করিয়াছেন ইতি

হান ] শ্রীরাদাস সেন সন ১২৯০ সাল।

যন্মুভ্পামনয়ো হব, ধেরধরতহ ক্ষিপ্তা মহ।বীচাভঃ পর্য্যস্তেযু লুঠস্তি নির্্মলরুচঃ স্পষ্টাট্হাস! ইব। তত্তন্তৈব পৰ্ীক্ষয়া জলনিধে্ীপাস্তরালপ্বিনে! রত্বানান্ত পরিগ্রহব্যসনিনঃ সন্ত্যেব সাংযাত্রকাঃ সমুদ্রেণাস্তস্থস্তটভূবি তরঙ্গ রকরুণৈঃ সমুত্ক্ষিপ্তে২সীতি ত্বমিহ পরিতাপং ত্যজ মণে। অবশ্য কাপি তদ্শুণপরিচয়।কৃষ্টহৃদয়ো- নরেক্রস্বাং কুধ্য[ন্লিজমুকুটকোটি প্রণয়িনম্‌ পৌরট্্তর্রাক্ষিণাত্যৈঃ ক্ষ,রদুরুমতিভিমিত্রপশ্চত্যসংৈ- বৌদীচ্যর্ধৎপরীক্ষ্) ক্ষিতিপতিসুকুটেহন্যাসি মাপণিক্যমেকম্‌। ষগ্েতশ্মিন্‌ কথপ্িৎ কথয়তি ক্ুপণঃ কোহপি মালিন্যমন্যে প্রক্ষাব্স্তস্তদা তং নিরবধিজড়তামন্দিরং সংগিরন্তে সিন্ধুস্তরঙ্গান্ুপকল্প্য ফেনৈ রহ্রানি পঙ্ৈর্মলিনীকরোতি তথাপি তান্যেৰ মহীপতীনাং কিরীটকোটীষু পদং লভস্তে

[ বৃহচ্ছাঙ্গ ধরপদ্ধতিঃ

২৬

শনি

রা 4 ধা

1 রী ৩৭৪ সি চর সুজিত 4 পিং ঠহ চে পনি প্ রা 1

এক খণ্ড ক্ষুদ্র হীরকের প্রভূত মুল্য কেন? ভাবিয়া দেখিলে তৎসমন্ধে সমৃদ্ধিশালিতার স্বভাব সভ্যতাভিমানের মহিমা! ভিন্ন অন্ত কোন কারণ দৃষ্ট হয় না। মানবমগ্ডলীর আদিম অবস্থা পর্যযালোচনার দ্বার! জান! যায় যে, আরিম মনুষ্যেরা প্রথমে ষত্র তত্র বাস, অকরুষ্টপচ্য শস্ত, শ্বচ্ছন্দজাত ফল মূল আরণ্য পশুর মাংস ভক্ষণ করিত, এবং বৃক্ষের ত্বক পশুর চর্ম পরিয়াই পরিতৃপ্ত থাকিত।--পশ্চাৎ, কালসহকারে তদ্বংশধরেরা ক্রমে স্থুসভ্য সমৃদ্ধ হইয়! মণি- মুক্তাদির গ্রাতি সমাদর স্থাপনপুর্বক আত্মার সুখাভিমান চরিতার্থ করিত। এক" জন নীতিজ্ঞ পণ্ডিত বলিয়াছেন যে, একদা এক ভীলকন্তা একটী রক্তঅক্ষিত গজমৃক্তা পাইয়! প্রথমে বদরীজ্ঞানে আহ্লাদিত হইয়াছিল--পরে যখন দেখিল, প্রাপ্ত বস্ত বদরী নহে”_-তখন সে বিষ হইয়া তাহা দূরে নিক্ষেপ করিল * অনভিজ্ঞ অসভ্য ভীল কন্তার নিকট যেমন গজমুস্তার অনাদর দৃষ্ট হয়-_ তেমনি আদিম মনুুষ্যের নিকটেও মণিরত্বের অনাদর ছিল, ইহ! সহজেই অনুন্ভূত হইতে পারে সমৃদ্ধিশালিতা আহাধ্যশোভাপ্রিয়তা যে সভ্যতার অনুগামী, তৎপক্ষে কোনও সংশয় নাই মনুষ্য যতই সভ্যাভিমানে পূর্ণ হয়, যতই সমৃদ্ধ হয়, ততই তাহাদের রুচি আহাধ্যশোভায় আসক্ত হয়; সুতরাং তখন তাহার! মণি-মাণিক্যের উপর রত্রতা স্থাপনপুর্বক আত্মাভিমান ব! সমৃদ্ধাভিমান চরিতার্থ করিতে থাকে অতএব, মণিমাণিক্যের সমাদর সমুদ্ধশালিতার একটি প্রধান জ্ঞাপক। মণিরত্বের সমাদর যদি সমৃদ্ধশালিতা সভ্যতার জ্ঞাপক হইল, তবে আমর! তন্দারা বিন! ক্লেশে একটী অভিনব অব্যভিচারী অনুমানের উল্লেখ করিতে পারি। তাহা কি? না পুরাকাঁলের সভ্যতা সমৃদ্ধিশালিতা যে দেশের লোকেরা সর্ধাগ্রে মণিরত্বের আদর করিতে শিখিয়/ছিল, সেই দেশই সর্বাগ্রে

আশা পাটি শি পল শপিশিপিল পাছাটা পপি পাপা

টক সস পপ আস বস

ধ* £সিংহক্ষুপ করীন্দ্রকুস্তপতিতং রক্তাত্তমুক্তাফলং কাস্তারে বদরীভ্রমাৎ দ্রুতমগাৎ ভিল্লীরপতী মু পাশিভামবগৃহা শুরুকঠিনং তত্বীক্ষ্য দুরে জহোৌ””

রঃ সং

শি পা পাপী

%/৩ অবতরণিকা |

সভ্য সমৃদ্ধ হইয়।ছিল, ইহা স্মখগ্ডনীয় অন্থমান। এই অনুমান বোধ হয় কোন কালেই অন্যথা হইবে না।

ভারতবর্ষই আদিম সভ্যস্থান, ইভ প্রতিপন্ন করিবার জন্ঠ অনেকে অনেক প্রকার প্রমাণের উল্লেখ করিয়া থাকেন? পরন্ত আমাদের বিবেচনায়, অন্য কোন্‌ প্রমাণের প্রয়াস না পাইয়া একমাত্র রত্রশান্জ দেখাইয়া! দিলেই তৎসম্বপ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ দেওয়! হয়। কেনন। বত্ের আদর, বত্ের প্রশংসা, রত্বের গুণদোঁষ্-নির্বাচন রত্বের পরীক্ষা, এই ভারতবর্ষ হইতেই অন্যান্ত দেশের লোকের! শিক্ষা করিয়াছে; ইহ! সম্পূর্ণরূপে সপ্রমাণিত করা যাইতে পারে। কোন্‌ দেশের কোন্‌ ভাষায় পঞ্চসহআধিক বর্ষের রত্রশাস্্র আছে ? যদি থাকে সে দেশ এই ভারতবর্ষ এবং সে ভাষ৷ এই ভারতবর্ষের সংস্কৃত

খণ্যেদ অপেক্ষা প্রাচীন গ্রন্থ আছে কি না, সন্দেহ। তাদৃশ খণ্েদকেও আমর! রূপক বিধায় দৃষ্টাস্তত্রমে রত্রের সমাদর করিতেছি * সুতরাং গগ্েদের সময়েও যে ভারতে সভ্যতার সমুদ্ধিশাপিত।র সঞ্চার হটয়াছিল, তৎপন্ষে কোন

ংশয় জন্মিতে পারে না। যোগশীস্ত্ের মধ্যে একটি সুত্র উষ্ট হয়। যথা “অপরিগ্রহস্থৈর্ সর্বরত্রোপস্থানম্‌।”

এই সুত্রটী বু পুরাতন উহার দ্বারাও সপ্রমাণ করা মাঁয় মে এদেশেব যোগ-চর্চার সময়েও রত্রশান্ের প্রচার ছিল।

মহাভারত এদেশের গতি পুরাতন বস্ত। সেই মহাভারতে ব্যাসদেব বৃহস্পতি অনুর-গুরু শুক্রকে প্রধান পুরাতন নীতিশান্্কার বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন 11 সেই বা1স-মান্ট পুরাতন শুক্রনীতি অন্যাপি বর্তমান আছে,

টি চি শশী পি পাাপাসপীকপাপশ পস আা | পাপা পিপিপি পপি পাভিপাদ পা শশী? তিশা শা সপ পাপী পশিপতিল পপি স০৯এ ৯০৯৪ স্পস্ট শা পা পা পাপ শাল

« “অগ্নিমোড়ে পুরোহিত যজ্ঞস্য দেবদৃতিজম্‌। হোতারং রত্বধাতমম্‌।” | ধগ্থেদ। “অন্নপাশেন মণিন। প্র।ণ সুত্রেণ পৃশ্সিনা [ খক্‌ “মশিন। রত্রতৃতেন আত্মনা ইতি তন্ভাষ্যম্‌!” 1 এবং শুক্রোৎব্রবীদ্ধীমানাপৎনু ভরতষভ 1?” “উশনাশ্চৈব গাথে ছে প্রহ্ঞাদায়াব্রবীৎ পুর। 1 “অপিচোশনসা গীতঃ শ্রয়তেইয়ং পুরাতনঃ 1৮ “গাঁথাশ্চোশনমা গীতা ইমাঃ শৃণু ময়েরিত। 1”

অবতরণিক1। তা

এব্‌ং তাহার একাংশে রত্বশান্ধের বিষয়গুলি অতি পরিষ্কাররূপে বর্ণিত আছে। এক্ষণে ভাবিয়া দেখ যে, রত্রশাস্ত্রটী এদেশের কত পুরাতন |

“অগস্তিমতম্” নামক সন্ত একখানি রডরশান্্র আছে, তালা অগস্ত্মুনি-কৃত বলিয়া প্রসিদ্ধ। মহমহোপাপ্যায় মল্লিনাথ এই গ্রন্থের প্রমাণ উদ্ধার করিয়াছেন। স্থৃতরাৎ উক্ত শ্রন্থখানিও বভ পুরাতন

অগ্রিপূরাণ, গরুড়পুরাণ শিষুঃপন্মোন্তর প্রভৃতি আধ্যগ্রন্থেও রত্বের গুণদোষ- নির্বাচন পরীক্ষ!- প্রণালা অভিভিত ভইযাছে। এই সকল গ্রন্থ আধুনিক নহে। হেমাদ্রি প্রভৃতি প্রাচীন নিবদ্ধক্কারেরাও উক্ত গ্রন্থের প্রমাণ সংগ্রহ করিয়া গিয়াছেন।

নৃহৎসংভিতা নামক এক জ্যোতিগ্রন্থ আছে, তাহার মধ্যে বত্বপরীক্ষা উক্ত হইয়াছে এই গ্রন্থথনি ১৪০০ শত বৎসরের পুরাতন

ভে।জরুত যুক্তিকল্প তরু গ্রস্থখানিও প্রাচীন প্রামাণিক এতৃগ্রন্থে অশেষ বিশেষ প্রকারে রহ্বতক্ক নিরূপিত ভইয়াছে রামায়ণ এবং মহাভীরতেও সর্ব- প্রকার রহ্ের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। এই সকল পর্যালোচনার দ্বার! স্থির হয় যে, মণি- শ[্র এদেশের বহু প্র।চীন এব" অন্যুন পঞ্চ মহশ্ন বৎসর পূর্ব্বে এদেশে সভ্যতা সমৃদ্ধিশ(লতা ছিল সমধিক উন্নতির দময় ব্যতীত যখন শান্সগ্রচার সম্ভব হয় না, তখন ইহ! অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবে যে, মণিশাস্্ প্রচারের অনেক পুর্বে এদেশ অন্ততঃ কিম্ৎপরিমাণে উন্নত ছিল।

রডরতব্রানুসন্ধায়ী খষির৷ যখন প্রস্তর পরীক্ষায় মনোনিবেশ করিয়াছিলেন, তখন এদেশ সমপিক উননত। তৎক!লে তাহারা দক্ষিণে সিংহল, পশ্চিমে তুর, উত্তরে হিমালর়-পার্ব প্রভৃতি সব্ধত্র ভ্রমণ কব্িতেন। তাহাদের বহুদর্শনের পর স্থির হইয়াছিল বে, সর্বসমেত চতুরশীতি প্রকার প্রস্তর জাতি আছে। তন্মধ্যে কতকগুপি প্রাণ্যঙক্জজ, কতক গুল উদ্টিজ্জজাত এবং অবশিষ্ট গুলি ভূমিজ। স্থ(নবিশেষের মৃত্তিকায়, বেণু (বাশ) প্রভৃতি উদ্ভিদ পদার্থে, এবং শঙ্খ শুক্তি প্রভৃতি প্রাণীর মঙ্গে প্রস্তর জন্মিয়। থাকে এই সকল প্রস্তরের মধ্যে যাহা ডি তাহাই রত্ব। অবশিষ্ট নগণ্য বা! সামান্ত পাথর মাত্র *

“ইত্যেত। হাশনোগীত। গাথা ধার বিশ্চিতা রা “কাব্যাং নীতিং মা শৃণোধ্যল্সবুদ্ধে ।' [ মহাভারত * “ভেকাদিযৃপি জায়ন্তে মণয়ঃ স্ষ টখচ্চসঃ 1” “্রত্রং মধিদ্দস্োরশ্মজাতৌ মুক্তাদিকেষপি 1

)* ' অবতরণিকা।

কোন শীস্্রকার স্বর্ণ রৌপ্য প্রভৃতি উংকৃষ্ট ধাতৃকেও বদ বলিয়! গণ্য করেন। দেই জন্যই আমরা পঞ্চরত্র নবরত্ব প্রভৃতির মধ্যে শ্বর্ণরৌপ্যের প্রবেশ দেখিতে পাই * : 7

বিষুধন্মোভর অগ্নিপুরাণের মতে ধারণের উপযুক্ত উত্রষ্ট প্রস্তর-যাঁহা বত আখ লাভের যোগ্য--তাহার সংখ্যা ৩৬ এবং সে সকলের নাম এই,_-বজ (১, মরকত (২), পদ্মরাগ (৩), মুক্তা (৪), ইন্দ্রনীল (৫), মহানীল (৬, বৈরূর্ধ্য (৭), গন্ধদংজ্ঞক (৮), চন্দ্রকাস্ত (৯), সৃর্য্যকাস্ত (১০), পুলক (১১১ কর্কেতন (১২), পুষ্পরাগ ০১৩), জ্যোতীরস (১৪), স্ষটিক (১৫), রজবর্ত বা রাজপট্ট (১৬), রাজ- ময় (১৭১, সৌগন্ধিক (১৮), গঞ্জ (১৯), শঙ্ঘ (২০), ব্রহ্মময় (২১), গোমেদক (২২১, রুধিরাখ্য (২৩), ভল্লাতক (২৪), ধুলীমরকত (২৫ তুথক (২৬), সীস (২৭), পীলু (২৮), প্রবাল (২৯), গিরিবজ (৩০), ভুজঙ্গমণি (৩১), বজ্মণি (৩২), তিক্তিভ (৩৩), পিত্ত বা পিস্তু (৩৪), ভ্রামর (৩৫), উৎপল (৩৬)। বিষুণধর্মোত্তর-গ্রস্থকার এই ৩৬ প্রকার প্রস্তরের উল্লেখ করিয়। ইনার প্রত্যেককেই “বজ্র” সংজ্ঞ। দিয়াছেন, কিন্তু অগ্মিপুরাণ ইহাদ্িগকে মাত্র রত্রসংজ্ঞাই দিয়াছেন, অন্য কোন আখ্যা দেন নাই 1

এই সকল প্রস্তরজাতির ভাধা নাম কি? তাহা আমরা সমস্ত জ্ঞাত নহি

সপ শপ শি ৯৩ পদ পাপী তি, স্ব পাদ পতি পপি শী পি কপ পা শপ পা সন গান ৭৯৯০ পাপ সপ সাপ সা ০৮ শত পল লাগ স্পা ৯৮৯ পপি লী পদ পলী।

. % “কনকং কুলিশং নীলং পল্সরাগঞ্চ মৌক্তিকম্‌।” এতানি পঞ্চরত্ৰানি রত্বশা স্্বিদে! জগুঃ 1” “কুঘর্ণং রজভং মুক্তা রাজাধর্তং প্রবালকম পঞ্চরতুকমাখ্যাতং শেষং বস্ত্র প্রচক্ষতে ॥” মুক্তাফলং হিরণ্যঞ্চ বৈদূর্যাং পদ্মরাগৰকস্‌ পুষ্পরগঞ্চ গোমেদং নীলং গারুত্মতং তথা প্রবালযুক্তা নুযক্তানি মহারক্নি, বৈ নব ॥” + “বভ্ুং মরকতঞ্চেব পদ্মর।গঞ্চ মৌক্তিকম্‌। ইল্নীলং মহা নীল" বৈদুধ্যং গন্ধসংজ্ঞকম্‌। চন্দ্রক।স্তঃ শর্ধাকাস্তং ক্ষটিকং পুলকং তথা কর্কেতং পুপ্পরাগঞ্চ তথ। জ্যোতীরনং দ্বিজ | স্রটিকং রাজবর্তঞ্ক তথ! রাজময়ং শুভষ্‌ সৌগন্ধিকং তথ! গঞ্জং শঙক্মং ব্রচ্গময়ং তখ।।

অবতরণিকা। 1/০

আধুনিক মণিকারের! অর্থাৎ জনুরীরাও সমস্ত প্রস্তরের ভাষা নাম জ্ঞাত নহেন। তাহারা যাহ! জানেন তাহা নিষ়্ে লিখিত হইল * উপরে ৩৬ প্রকার প্রস্তরের নাম লিখিত হইয়াছে, তন্মধ্য হইতে বৃহৎ" ংহিতাকার বজ, ইন্দ্রনীল, মরকত, কর্কেতন, পন্মরাগ, রুধিরাখ্য, বৈুর্ধ্য, পুলক বিমলক, রাজমণি ( রাজাবর্ত প্রভৃতি ) স্ফটিক, চন্ত্রকান্ত, সৌগদ্ধিক, শঙ্খ, মহা- নীল, পুষ্পরাগ, ব্রহ্মমণি বা বজ্রমণি জ্যোতীরস, সস্যক বাগন্ধসসাক, মুক্তা প্রবাল,--এই কয়েকটা রত্ডের নামোল্লেখ করিয়া তাহাদের প্রভেদ বর্ণন। করিয়াছেন 1 তিন্ন ভিন্ন রত্ুশাস্ত্রবন্তা এই সকলের মধ্য হইতে কেহ গাঁচটা, কেহ নয়টা, কেহ দশটী, কেহবা ১১টা একত্রিত করিয়া পঞ্চরত্, নবরত্ু, দশরত্র একাদশরত্ নাম দিয়াছেন এবং কেহ কোনটা মহারত্র, কেহ বা সেটাকে উপরত্র বলিয়া গণ্য করিয়াছেন। শুক্রনীতিকার বজ্ঞ, মুক্তা, প্রবাল, গোমেদ, ইন্দ্রনীল, বৈদূর্যা,

পল পপি পপ ৯০ পপি এছ পাপী সপ পপি পপ তাপ শিপ পন পপি শশী পিল শা পপ পাস পিপিপি আপি পি শপ অপ সা

গোমেদং রুধিরাখাঞ্চ তথ! ভল্লাতকং দ্বিজ্ ধূলীমরকতঞ্চেষ তুথকং সীসমেবচ। পীলুং প্রধালকঞ্ষেব গিরিবজু্ণ ভার্গব। ভূজঙ্গমমশিশ্চৈব তথ। বভ্রমণি: শুভঃ তিস্তিভঞ্চ তথ! পিস্তং ভ্রামরঞ্চ তখোঁৎপলং। বজাণ্যেতানি সর্ধাণি ধার্ধ্যাণ্যেব মহীভৃতা ॥”” বিষ্তধর্মোত্র। অগ্নিপুরাপোক্ত রত্বগণনার সহিত এই ধচনগুলির এক্য আছে। 4 * হীরা কমান্‌, হীরা ওলন্দীজী, হীরা পরব, ১। চুনী কড়া, চুনী নরম, চুনী শামখেৎ, চুনী মাণিক ২। পান্না পুরাতন থান, পান্ন। নয়াখান ৩। পোকরাজ তুরমণি ৫। নীল ৬। লেশনীয়া ৭। শোনেলা ৮। গোমেদক, ৯। ওপেল ১০ শংশেড়াণ ১১ শংগেশন্‌ ১২। হেকীক ১৩। নীরেষ্টোন ১৪1 জবরজৎ ১৫। সোলেমাঁনী ১৬। গৌরি ১৭। পীটোনীয়! ১৮। দাঁনে চিনি ১৯। ধনেল! ২*। পীরজ1 ২১। গৌদস্তা ২২। ত্রমনী ২৩। করকেতক ২৪। লজিবরৎ ২৫। মুগ ২৬। + “বজেন্ত্রনীল মরকত কর্কেতন পদ্মরাগ রুধিরাখ্া]ঃ। বৈদৃধ্য পুলক বিমলক রাজমণি ক্কটিক শশিকাস্তীঃ সৌগ্বদ্ধিক গৌমেদফ শঙ্খ মহানীল পুষ্পরাগাখ্যাঃ। রহ্মমণি জ্যোতীরস গন্ধসন্তক মুক্তা প্রবালানি

15০ অব্তরণিক1।

পুশ্পরাগ, পাঁচি অর্থাৎ মরকত মাণিক্য,-_এই কয়েকটাকে মহারত্ বলিয়াছেন *

মহধি অগন্ত্য পুষ্পরাগ, বৈদূষ্য, গেমেদ, স্ফটক প্রবালকে উপরত্ব বলিয়াছেন 1

এরূপ মতভেদের কারণ কি? এবং কিরূপ গুণাগুণ পইয়াই বা তাহার! রত্রের মহত্ব মধ্যমত্ব স্বগ্নত্ব নির্ণয় করিতেন, তাহা! আমণ জ্ঞাত নাহ। তৎসন্বন্ধে আমাদের অনুভব এই যে, যিনি ষাহাকে সুন্দর ব৷ ভাল বলিয়া জানিতেন, তিনি তাহাকে মহত্ব পদ প্রদান করিতেন

পৌরাণিক মতে এদেশে ছুইথানি মহারত্র ছিল। তাহার একখানির নাম £কৌন্তভ»৮ অপর খানির নাম ণম্তমস্তক” এই ছুই মহার্ত্বের বিষয় পশ্চাৎ অর্থাৎ প্রশ্নপরিশিষ্টে বণিত হইবে কেহ কেহ অগ্তম্ন করেন যে, বর্তমান '“কহিন্থুর” নামক হীরক পুব্বকালের '“ল্যমন্তক” অনুমান কতদূর সত্য তাহা বলিতে পারি না। প্রাচীন প্রাটান সংস্কৃত গ্রন্থে দেখা যায়, এঁ ছুই মহামণি সমুদ্রে পাওয়া গিয়াছিল। প্রথম্থানি অতি আদিম কালের সমুদ্রমন্থন হইতে উথ্িত হইয়া ভগবান্‌ বিষ্ণুর উরোদূষণ হইয়/ছিল; দ্বিশীয়খানি যুধিষ্ঠিরের সম- সাঁমায়ক রাজা সত্রাজিৎ সমুদ্রুতটে প্রাপ্ত হইয়াঁছিলেন |

অনেকেই মনে করিয়া থাকেন যে, পুব্বক।লের মণিঝ্।রের! হীরার পারকল্ম বা কর্তনক্রিয়া ( কট.) জ্ঞাত ছিলেন না। পরন্ভত নণিশাস্ত্রের আলোচনার দ্বার তাহাদের উল্লিখিত ভ্রম দূরীভূত হইতে পারে। প্রত্যেক মণিশাস্তেই রঙের পরিকন্্ম করিবার কথা আছে। মহষি অগন্তয, বহ্রের “ছেদন'” “উল্লেখন”। করণের কথা স্পষ্টাক্ষরে ব্যক্ত করিয়াছেন 71 সে সকল দেখিপণে কোন্‌ অঙ্ঞন্‌ ন! রত্রশিল্গের প্রাচীনতা স্বীকার করিবে ?

৫০ পবা পা চা শীল পতি শীট

বজং মুক্তা প্রবালঞ্চ গোমেদশ্চেন্ত্রনীলকঃ। বৈদূষ্যঃ পুম্পরাগম্চ পাচিম্মাণিক্যমেবচ মহারক্কানি চৈতানি নঘ প্রোক্তানি গুরিভিঃ “পুষ্পরাগঞ্চ বৈদৃষ্যং গোমেদংস্ফটিকপ্রভম্‌। পঞ্চোপরস্কমেতেষাং প্রধালং--1”

] “রিঙানাং পরিকম্মার্থং মূল্যং তম্ত ভবেল্লঘু | ছেদনোল্লেখনৈশ্চৈর স্থ'পনে শোভকৃৎ যথ| ॥”

' জগ্ক্মিমতম্‌।

অবতরণিক1 1৬/৬

মুক্তার বেধ রত্বের পরিকন্ বা পাকা পাথর কাট। সামান্য শিল্পের বিষয় নহে। ইচ্ছা করিলেই উহা! সম্পন্ন করা যায় না। কোন্‌ মহাপুরুষ যে সর্বাগ্রে মুক্তার বেধ পাঁকা পাথর কাটিবার কৌশল উদ্ভাবন করিয়াছিলেন, তাহা আর এক্ষণে জানিবার উপায় নাই। ফল, উক্ত কৌশল যে অন্যুন ছিসহত্র বর পূর্বের লোকের! জ্ঞাত ছিল, তদ্দিষয়ে সন্দেহ নাই। বুহৎসংহিতা৷ গ্রন্থে “টস্ক” নামক পাষাণ-বিদারণ-যন্ত্রের বর্ণনা আছে। সেই টক্ব-যন্ত্র অদ্যাপি প্রকারাস্তরে ব্যবহ্ৃত হইতেছে

ভরতথখণ্তীয় আর্ধ্য মহাঁপুরুষের! যে এক সময়ে স্ুসমৃদ্ধ, স্ুসভ্য শিল্পনিপুণ ছিলেন, তাহা এই রত্বশাস্ত্রের ছারা সপ্রমাণ হয়। যেশাস্্ের দ্বার! ভারত- ভূমির পুর্ববমহিম৷ বা প্রাচীন গৌরব প্রকাশ পায়, সে শাস্ত্রের আলোচনা ন! করা ভারতবাসীর্দিগের পক্ষে বিড়ম্বনার ব্ষিয় সন্দেহ নাই। ইহ ভাবিক়্াই আমি বহুব্যয় বন্ুপরিশ্রম স্বীকার করিয়া এই ক্ষুদ্র পুস্তকখানি প্রচারিত করিলাম

২৪

সন ১২৯৩ সাজে,

প্রতিতডিত

মুক্ত] |

এদেশে যখন একমাত্র দেবভাঁষ। সংস্কতের প্রাবল্য ছিল, তখন হইতে “রত্ন” শব্দটি চলিয়! আসিতেছে

সংস্কৃতশান্ত আলোচনার দ্বার! জ্ঞাত হওয়া! যাঁয় যে, পুর্বাচাধ্যের। ছুইপ্রকার অর্থে “ত্র” শব্দের সক্ষেত বন্ধন করিয়া গিয়াছেন এক, সামান্যতঃ উৎকৃষ্ট বস্তর উপর, দ্বিতীয়, উৎকুষ্ট প্রস্তরের উপর উক্ত দ্বিবিধ বস্তুর উপরেই বত্রের প্রস্বোগ দেখা যায়।

“জাতৌ জতৌ যছুৎকুষ্টং তদ্ধি রত্রং প্রচক্ষতে |”

প্রত্যেক জাতীয় বস্তর মধ্যে যেটা উৎ্রুষ্ট সেইটিই রত্ব। যথা-_স্ত্রীরত্ব, পুরুষরত্ব, অশ্বরত্র, বিদ্যারত্ু ইত্যার্দি। “"রত্রস্ত মণিভেদেস্ত/ৎ”, মণিবিশেষের সহিতও রদ্রশব্দের সঙ্কেত বাধা আছে বত্রশব্দের এই দ্বিতীয় অর্থের বিবরণ ব্যক্ত করাই আমাদের উদ্দেশ্ত এবং সেই জন্যই আমর! উপরে পরত্বরহস্য” মুকুট স্থাপন করিলাম এক সময়ে ভাঁরতবর্ষবাসিদিগের মনে যে কি পর্য্যস্ত প্রস্তরপরীক্ষাবিষয়ক অনুসন্ধিৎসা প্রবল হইয়াছিল, এই প্রস্তাব পাঠ করিলে পাঠকবর্গ তাঁহ। উত্তমরূপ অবগত হইতে পারিবেন।

অগ্রিপুরাণোক্ত রত্রপরীক্ষ/ প্রকরণে অনেক প্রকার রত্বের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। ঘথা__বজ্ব, মরকত, পদ্মরাগ, মৌক্তিক বা মুক্তা, ইন্দ্রনীল, মহানীল 'বৈদৃষ্য, গন্ধশস্য, চন্দ্রকাস্ত, স্ুর্য্যকাস্ত, স্টিক, পুলক, কর্কেতন, পুম্পরাগ জ্যোতীরস, রাজপট্ট, রা'জময়, সৌগন্ধিক, গঞ্জ, শঙ্খ, গোমেদ, রুধিরাখ্য, ভল্লাতক, ধূলী, তুখক, সীস, পীলু, প্রবাল, গিরিবজ, ভূজঙ্গমণি, বজমণি, টিট্রিভ, পিও, ভ্রামর উৎপল ( অখ্থিপুরাণ, ২৪৫ অধ্যায় দেখ 1) ফল, রত্বপদবাচ্চ যত প্রকার মণি আছে তনাধ্যে নয়টি প্রধান এই জন্য আমর! “ন বরতব” নামটি সর্ব! শুনিতে পাই তদ্যথা--.

্‌. বড়-রহস্ত |

“মুক্তা মাণিক্য বৈদুর্ধা গোমেদন্‌ বন্্রবিদ্রমৌ পৃশ্পরাগং মরকতং নীলঞ্চেতি যথা ক্রমাঁৎ তন্জস্টুর

পাঠকগণ ! বৈদূর্য্য কি? গোমেদ কি? বলিয়া ব্যস্ত হইবেন না, ক্রমে সমস্তই বলিব; অগ্রে মুক্তার বিবরণগুলি শুচুন।

মুক্তা বহুমূল্য রত্ব। ভারতবাসিগণের ন্যায় ইয়োরোপীয়গণও প্রাচীনকাল হইতে ইহার বিশেষ আদর করিয়! আসিতেছেন। পূর্বকালে রোমকগণ ইহা বনুবায়ে ক্রপ্ন করিতেন। একজন রোমক গ্রন্থকার তাহার সময় একছড়া মুক্তাহাঁর অষ্ট লক্ষ টাকায় বিক্রয়ের কথা উল্লেখ করিয়াছেন। পমশী মিথেটিডস্কে পরাজয় করিয়! তাহার বত্রাগারে স্ত.পাকার মুক্তা, মুক্তাবিজড়িত বিবিধ অলঙ্কার একখানি রাঁজপ্রতিমূর্তি দর্শন করিয়াছিলেন মিথেটিডসের এই প্রতিমূর্তি অতি বহুমূল্য মুক্তাঁয় খচিত ছিল। সেনেক! কহেন, রোমক অঙ্গনারা অতি বহুমূল্য নির্দোষ মুক্তার কর্ণাভরণ প্রস্তৃত করিয়া ব্যবহার করিতেন। পূর্ব্বতন পারস্ত, মিসর, এবং বাবিলন্‌ দেশীয় লোকের! মুক্তার অত্যন্ত সমাদর করিত। প্রসিদ্ধববূপবতী ক্লিওপেট। একটি অতি বহুমূল্য মুক্ত চর্ণ করিয়। মদ্যের সহিত পান করিয়াছিলেন, এবং ততোধিক বহুমূল্যের একটি মুক্তা দ্বিথণ্ড করিয়! রোমের প্রসিদ্ধ ভিনসের মৃত্তির কর্ণাভরণ করিয়! দেওয়া হইয়াছিল। আধুনিক সময়ে রাজ্জী এলিজেবেথের রাঁজ্যকালে তৎসমক্ষে স্তর টমাস গ্রেসাম একটী ১৫০০০০: টাক! মূল্যের মুক্তা চূর্ণ ক্রিয়া মদ্যের সহিত পাঁনকরতঃ স্পেন্দেশীয় রাজদূতকে চমত্কৃত করিয়াছিলেন মুক্তা এইরাপে সকল সময়ে সকল ০০ সমাদৃত হইয়। আসিতেছে।

আধুনিক বহুমূল্য মুক্তীর মধ্যে পারস্তাধিপতি সাহার ৬্ছয় লক্ষ টাকা মূল্যের একটা মস্কটের ইমামের তিন লক্ষ টাঁকার অধিক মূল্যের একটি মুক্তা আছে

ভারতের জ্যোতিষশান্ত্রে সুস্তার সমধিক প্রশংসা দৃষ্ট হয়। আচার্যের! ইহাঁর ধারণে মহাঁফল, গৃহে থাকিলে মহাফল, অধিষ্ঠাত্রী দেবতা চন্দ্র) এইরূপে গৌরব বৃদ্ধি করিয়! গিয়াছেন। বৈদ্যকশান্ত্রকারেরাঁও ইহার গৌরব করিতে ক্রুট করেন নাই ইহার গুণ, ওষধে উপযোগ উপকারিত। বিষয়ে রাঁজনির্ধন্ট ভাব্প্রকাশ প্রভৃতি বৈদ্যক গ্রন্থে অনেক কথা আছে।

মুক্তার ছায়া! বা বর্ণ, বিশেষ বিশেষ আঁকর ' ব! উৎপতিস্থান, 'ও বিশেষ বিশেষ

পরীক্ষ। প্রভৃতি অনেক রহস্ত কথা গরুড়পুরাঁণে আছে তততিন্ন অগ্নিপুরাণ, ৯৮%

বত্-র্হ্স্তা |

শুক্রনীতি, বৃহৎসংহিত! প্রভৃতি প্রাচীন প্রাচীনতর গ্রস্থেও ইহার ভূরি প্রমাণ" প্রয়োগ দৃষ্ট হয়। বিশেষতঃ ভোজরাজকৃত ““যুক্তিকল্পতরু” গ্রন্থে কিছু অধিক পরিমাণে দৃষ্ট হয়। স্তার রাজা রাধাকাস্ত দেব বাহাছুর এই যুক্তিকল্পতরু গ্রন্থ হইতে মুক্তাবিষয়ক অনেক প্রমাণ সংগ্রহ করিয়া কল্পদ্রম অভিধানে সন্নিবেশিত করিয়াছেন পাঠকবর্শের গোচরার্৫থ পুস্তকগুলির অগ্রে পরিচয় দিলাম, এক্ষণে মুক্তার আকর বা উৎপত্তিস্থান গুলি বলিব।

“মাতঙ্গোরগমীনপোত্রিশিরসম্তক্সা রশঙ্খান্ব.ভং।

গুক্তীনামুদরাচ্চ মৌক্তিকমণিঃ স্প্টং ভবত্যষ্টধা ॥৮

যুক্তিকল্পতরু।

(১) মাতঙ্গ- হস্তী। ২) উরগ--সর্প। ৩) মীন--মতস্য। €৪) পোত্রী-- শুকর (৫) ত্বক্সার--বাশ। (৬) শঙ্খ-শীখ। (৭) অন্ুভূৎ-মেঘ। (৮) শুক্তি-_বিন্ক।

ভাবপ্রকাশ গ্রন্থে এইবূপ লিখিত আঁছে-_

“শঙ্ঘেগজশ্চ ক্রোড়শ্চ ফণী মত্ম্তশ্চ দছুরিঃ | বেখুরেতে সমাখ্যাতা তজ জৈন্মৌক্তিকযোনয়ঃ ॥” ভাব্প্রকাশ।

(১) শঙ্খশাখ। (২) গজ--হন্তী। (৩) ক্রোড-_বিনুক (৪) ফণী-সর্প। (৫) মত্ম্ত--মাছ। (৬) দর্র--ভেক। (৭) বেণু--বাশ।

মল্লিনাথ অন্য একটি বচনের উল্লেখ করিয়/ছেন। যথা-_

“দ্বিপেন্ত্র জীমূত বরাহ শঙ্খ মৎস্যাহি শুক্ত-ন্তবৰেণুজানি। যুস্তাফলানি প্রথিতানি লোকে তেযাস্ত শুক্ত,ত্তবমেব ভূরি॥”

(১) দিপেন্ত্র-_জাত্যহত্তী। (২) জীমূত-_মেঘ। (৩) বরাহ--শুকর। (৪) শঙ্খ_-শীখ। ৫) মত্ন্ত---মাছ। (৬) অহি--দর্প। (৭) শুক্তি--বিনুক। ৮৮) বেণু--বাঁশ। এই সকল স্থানি হইতে মুক্তা জন্মে এইরূপ প্রসিদ্ধ আছে বটে পরস্ত শুক্ত-দ্তব মুক্তাই বহু উৎপন্ন হয়।

স্তার রাজ! রাধাকান্ত দেব অন্য আঁর একটী বচন উল্লেখ করিয়াছেন। যথা-_

“গজাহিফোলমতন্তাঁনাং শীর্ষে মুক্তাফলোভ্তবঃ | ত্বকসারশুক্তিশঙ্ঘানাং গর্ভে মুক্তীফলোত্তবঃ ॥৮ হব্তী, সর্প, শুকর মৎস্যের 'মন্তকে মুক্তামণি জন্মে এবং বাঁশ, ঝিণুক

শখের উদরে জন্মে। এই সকল বচনের মধ্যে মললিনাথের ধৃত বচনটীতেই ৯৭১

রত্ব-বহস্য।

আমাদের শ্রদ্ধা হয়। কেননা, বচনের একাংশে প্রকাশ করা হইয়াছে যে, ৭গুক্তিজাত মুক্তাই আমর! অধিক পাই। ( অন্ান্ত আকরের মুক্তা সকল কচিৎ কদাচিৎ অথব! লোকপ্রবাদ মাত্র ।) এই কথাই সত্য, প্রাচীনতম, এবং অতি প্রামাণিক বৃহৎ্সংহিতা-গ্রন্থেও এইরূপ মত দৃষ্ট হয়। যথা “দ্বিপভূজগ শুক্তিশঙ্খাভ্রবেণুতিমিশৃকর প্রস্থতানি মুক্তাফলাঁনি তেষাং বছ সাঁধু শুক্তিজং ভবতি ॥» দ্বিপ--হন্তী। ভূজগ--সর্প। শুক্তি--ঝিন্ুক। শঙ্খ-শাখ। অভ্র- মেঘ। বেণুবাঁশ। তিমি_মতভ্তবিশেষ। শুকর--শুয়ার। এই সকল হইতে মুক্তাফল উৎপন্ন হয় বটে, কিন্তু তন্মধ্যে শুক্তিজ মুক্তাই বহু উত্তম। গুক্রনীতি গ্রন্থেও ঠিক এইরূপ একটা বচন আছে। যথা_ “মত্স্তাহিশঙ্ঘবরাহবেণুজীমৃতশুক্তিতঃ | জায়তে মৌক্তিকং তেহু ভুরি শুক্ত[ছুবং স্মৃতম্‌ ॥+ ইহার বঙ্গানুবাদ দিবার আবশ্টাকতা নাই। পূর্বের সহিত ইহার অর্থের এক্য আছে, কেবল মাঁতঙ্গের কথাটী নাই

মাতঙ্গমুক্তা বাঁ গজমুক্তা

“মৌক্তিকং গজে গজে |” ( চাঁণক্য ) সকল গজে মুক্তামণি পাওয়া যাঁয় না। অর্থাৎ সকল হস্তীর মস্তকাভ্যন্তরে পাথরী জন্মে না কিরূপ হস্তীর মস্তকে জন্মে তাহ! বলিতেছি ।-_- ]

“মতঙ্গজা যে তু বিশুদ্ধবস্ঠান্তে মৌক্তিকানাং প্রভবাঃ প্রদ্দিষ্টাঃ উৎপদ্যতে মৌক্তিকং তেু বৃত্তং আগীতবর্ণং গ্রাভয়া বিহীনম্‌ ॥» যুক্তিকল্পতরু।

যে সকল মাতঙ্জ বিশুদ্ধ বংশে(ৎপন্ন তাহাদেরই মস্তকে মুক্তা-মণি উৎপন্ন হইয়া থাকে। সেই সকল জাত্যহস্তীর মধ্যে কোন কোন হস্তীতে যে মুক্তা জন্মে, তাহা৷ স্থুগোল, ঈষৎ গীতবর্ণ, এবং ছায়াবিহীন। মুক্তার ছায়া কি? তাহ! পরে বলা যাইবে

বুহৎ-সংহিত গ্রন্থে গজমুক্তার জন্মসত্ঘদ্ধে এইরূপ অভিমতি দেখা যায়। ষযথ।--

হগঞ

রত্ু-রুহ্স্ত। “এরাবতকুলজানাং পুষ্যশ্রবণেন্দু ুষ্্যদিবসেষু। যে চোত্তরায়ণভবা গ্রহণেহকেন্দোশ্চ ভদ্রেভাঃ তেষাঁং কিল জায়ন্তে মুক্তাঃ কুস্তেষু সরদকোষেষু। বহবে বৃহত্প্রম।ণা বছুসংস্থানাঃ প্রভা যুক্তাঃ নৈষামর্থঃ কাধ্যো বেধোহতীব তে প্রভাধুক্তাঃ | স্থতবিজয়ারোগ্য করা মহাপবিক্রা ধৃতা রাজ্ঞাম্‌ ॥৮, এরাবত বংশোৎপন্ন হস্তীদিগের মধ্যে যাহারা পুষ্যা নক্ষত্রে কি শ্রবণ! নক্ষত্রে এবং রবি সোমবারে জন্মগ্রহণ করে, কিংবা যাহার! উত্তরায়ণে জন্মে, অথব। যাহারা চন্দ্র হর্ধোর গ্রহণকাঁলে জন্মে, তাহাদের কুস্তের অভ্যন্তরে দস্তকোষে মুক্তা জন্মে--এরূপ প্রসিদ্ধি আছে এই মুক্তা অতি বুহৎ, নানা প্রকার গঠনের এবং সে সমন্তই প্রভান্বিত। নে সকল মুক্তার মুল্য নিপ্ধারণ বেধ বা ছিদ্রকার্ধ্য করিবে না। রাজ।কত্ক ধৃত হইলে তাহা সন্তান, যুদ্ধে জয় আরোগ্য প্রদ হয়। এই মুক্তা অতি পবিভ্র। “বক্ষ্যে গজপরীক্ষায়াং গজজাতিশ্চতুর্বিবধা মৌক্তিকং তেষু জাতং হি চতুর্ব্ধমুদীধ্যতে ॥৮ যুক্তিকল্পতরু হস্তিজাঁতির মধ্যে বিবিধ শ্রেণীর হস্তী আছে তন্মধ্যে জাত্যহস্তী চারি প্রকার শ্রেণীযুক্ত। সে সকল বৃত্তান্ত গজপরীক্ষা প্রকরণে বলিব। চারি শ্রেণীর জাত্য গজেই মুক্ত। জন্মিয়া থাকে, স্থতরাং তহুত্পন্ন মুক্তাও চারি জাতি ঝা চারি শ্রেণী। সেই চারি শ্রেণীর মুক্ত।র চারি প্রকার আখ্যা দেওয়া হইয়া থাকে। ধথা-ব্রাহ্গণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্ত শুদ্র। এই চারি জাতি মুক্তার লক্ষণ এইবূপ-_- “ব্রাঙ্গণং পীতশুর্ুত্ব ক্ষত্রিয়ং পীতরক্তকম্‌ পীত শ্তামস্ত বৈশ্যং স্তাৎ শূদ্রং স্তাৎ পীতনীলকম্‌॥৮ যুক্তিকল্পতরু প্রাঙ্গণজাতীয় মুক্ত! পীত-গুর্ুবর্ণ, ক্ষত্রিয় মুক্তার বর্ণ পীতরক্ত, বৈশ্তজাতীয় মুক্তার বর্ণ গীত-শ্তাম এবং শুদ্রজাতীয় গজমুক্তার বর্ণ পীত-নীল। এতঙ্ি্ কাম্বোজদেশীয় মাতঙ্গমণি বা গজমুক্তার কিছু বিশেষ লক্ষণ আছে যথা-_. “কান্মোজকুস্তসম্ত,তং ধাত্রীফলনিভং গুরু | অতিপিঞ্জরসচ্ছায়ং মৌক্তিকং মন্দদীধিতি 1”

যুক্তিকল্পতর | ১৭৩

রত্ব-রহন্ত |

কান্ষোজবেশীয় হস্তিকুস্তে যে মুক্তা জন্মে, তাহার আকার ঠিক গোল নছে। তাহার গঠন আমলকী ফলসদৃশ, ওজনে ভারী, পিঞ্জরবর্ণ, ছায়! বা কান্তি অতি অন্ন, অর্থাৎ কিঞ্চিৎ পরিমাণে ছায়া আছে এবং অন্পকিরণও আছে

অগ্নিপুরাণ বলেন যে, “নাগদস্তভবাশ্চ।গ্র্যাঃ* হস্তীর দস্তকোষসমুৎপন্ন মুত্তণ আত শ্রেষ্ঠ বস্ত।

সর্পমণি বা ফণিমুক্তা |

সকল সর্পের মস্তকে মণি উৎপন্ন হয় না কিরুপ সর্পের মস্তকে মণি হয়, তাহা বল! যাইতেছে। “ভুজঙগমান্তে বিষবেগতৃপ্তাঃ শ্রীবান্ুকের্বংশভবাঃ পৃথিব্যাম্‌ কচিৎ কদাচিৎ খলু পুণ্যদেশে তিষ্স্তি তে পশ্যতি তান্‌ মন্ুষ্যঃ ॥৮ ধে সকল সর্পের মস্তকে প্রস্তর হয়, তাহার৷ আপনার বিষবেগে পরিতৃপ্ত থাকে ইহারা বাস্থকি-নাগের বংশে উৎপন্ন পৃথিবীর কোন কোন পুণ্য স্থানে কথন কখন সেইরূপ সর্প মন্ুযোরা দেখিতে পায়। “তক্ষকবান্গুকিকুলজ]ঃ কামগমা যে পন্নগাঃ। তেষাং নিপ্ধা নীলহ্যতয়ো ভবস্তি মুক্তা ফণস্যাত্তে ॥৮ বুহতসংহিতা যে সকল সর্প বাস্থকি কি তক্ষকের বংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছে এবং ইচ্ছানুরূপ গম্নাগমন করিতে সক্ষম, তাহাদের ফণার প্রান্তপ্রদেশে নিগ্ধনীলবর্ণের মুক্তা জন্মে। লক্ষণ 'ফিণিজং বর্ত,লং রম্যং নীলচ্ছায়ং মহাহ্ছ্যতি পুর্ণাহীন। পশ্যস্তি বান্থকেঃ কুলসম্ভবম্‌ ফণিজাত মুক্তা দেখিতে অতি. সুন্দর, বর্ত,ল অর্থাৎ গোল, নীলাভ এখং অত্যন্ত দীপ্তিমান। অপুণ্যঝন্‌ ব্যক্তি বাস্থকিবংশীয় সর্প দেখিতে পাঁয় না?

সুতরাং তথ্ংশধর-ফণি-জাত-মুক্র। তাহাদের নিকট ছুলভ। ১৭৪

বত-রহন্ত | রি

দ্বিতীয় লক্ষণ

“শ্গালকোলামলকোলগুঞাফল প্রমাণাস্ত চতুর্বিবান্তে। থযত্র্ধবা হত্তববৈশ্তশৃদ্রসপেষু জাঁতাঃ প্রবরাস্ত সর্ব ॥৮ শগালকে।ল--শ্ঠাকুল প্রমাণে শ্তাকুল যত বড়--তত বড় হয়। আমলকী _ প্রমাণও হয়। গুঞ্জা অর্থাৎ কুচপরিমিতও হয়। কুলফলের মতনও হয়। এই চারি প্রকার মুক্ত! ব্রাঙ্মণদ্রি চারিজাতি সর্পে জন্মে। দে চাবিপ্রকার মুক্তাই প্রশস্ত ব1 শ্রেষ্ঠ রর ফলশ্রুতি _ পপ্রাপ্যাপি রত্বানি ধনং শ্রিয়ং বা রাজশ্রিয়ং বা মহতীং ছুরাপাঁম্‌। তেজোহন্িতাঃ পুণ্যকৃতো৷ ভবস্তি মুক্ত।ফলশ্টান্ত বিধারণেন ॥* ধন, রন্ন মহতী ঢুঙ্তা/পায। রাজশ্রী প্রাপ্ত হইয়া যদি এতজপ ফণিমুক্তা ধারণ করে, তাহা হইলে পার্ণকর্তার পুণ্যকন্ম্ে প্রবৃত্তি হয় এবং তেজোৌবৃদ্ধি হয়

তৃতীয় লক্ষণ।

*€ভৌজঙ্গমং নীলবিশুদ্ধবর্ণং, সর্ববং ভবেৎ প্রোজ্জলবর্ণশোঁভম্‌ ॥৮ ভূজঙগমমণি বা ফণিমুক্তা' সমস্তই নীলবর্ণ, বিশুদ্ধ কাস্তি এবং তাহার বর্ণ শোভা অতি উজ্জ্বল বৃহৎসংহিতা বলেন যে, ধর্ধি কেহ কোন প্রকার ক্কত্রিম নীলমুক্তা আনিয়া বলে যে, ইহা ফণিমুক্রা,-_তাহ! হইলে পরীক্ষা করা আবশ্তক। ফণিমুক্তা সন্বন্ধে এইরূপ পরীক্ষা! নির্দিষ্ট আছে। যথা। “শ্পস্তেহবনী প্রদেশে রজতময়ে ভাজনে স্থিতে ষদি। বর্ষতি দেবোইকম্মাৎ তজংজ্ঞেয়ং নাগসম্ভৃতম্‌ ॥% অনাবৃত পবিত্র স্থানে রজতময় পাত্রে স্থাপন করিয়া রাখিলে যদি বৃষ্টি উপ- স্থিত হয়__তাহা হইলে তাহা সর্পমণি, নচেৎ অন্ত কোন কৃত্রিম অপকৃষ্ট মনি। 'ভ্রমরশিখিকগবর্ণে দীপশিখা-সপ্রভে। ভুজঙ্গানাম্‌। ভবতি মণিঃ কিল মুর্ধনি যোহনঘেয়ঃ বিজ্ঞেয়ঃ ১৯৫ ২৫

রড়-বহস্ত |

মস্তং বিভর্তি মনজাধিপতি ন' তন দোষ! ভবস্তি বিষরোগকৃতাঃ কদীছিৎ। রাষ্ট্রে নিত্যমভিবর্ষতি তন্ত দেবঃ শন্রেংশ্চ নাঁশয়তি তস্য মণেঃ গ্রভাবাৎ ॥” বৃহত্সংহিত| তুজঙ্গের মস্তকে যে ভ্রমরবর্ণ ময়ুরকগবর্ণ দীপশিখারসদৃশ প্রভাযুক্ত মণি জন্মে, তাহা! অমূল্য যে রাজা সেই ভুজঙ্গমণি ধারণ করেন, কোন কালেও তাঁহার বিষভয় হয় না, এবং দেবতারা তাহার রাজ্যে যথাসময়ে বারি বর্ষণ করেন সেই মণির প্রভাবে তিনি শক্রবিনাশেও সমর্থ হন।

বই জউ

মীনজ-মুক্তা

মৎস্তবিশেষের মুখ প্রদেশে এক 'প্রকাঁর পাঁখর জন্মে, তাহ!কেই শাঞ্জকারেরা মীনজমুক্ত। বলিয়া থাঁকেন। ইহার সবিশেষ বৃত্ৰান্ত ক্রমে বর্ণন করা যাইতেছে “পাঠীনপৃষ্ঠস্ত সমানবর্ণাং মীনাৎ সুবৃত্তং লঘু নাতিসুঙ্ষাম। উৎপদ্ধতে বারিচরাননেষু মীনাশ্চ তে মধ্যচর।ঃ পয়োধেত ॥”+ পাহীন অর্থাৎ রোহিত বা বাট! মত্ম্ত। মীন হইতে যে মুক্ত! পাঁওয়। যায় তাহ! পাঠীন মৎস্ের পৃষ্ঠের বর্ণের স্তায়। সুগোল, লঘু ওজনে হাল.ক! ) এবং তাহা নিতান্ত সুক্ষ নহে। মীনমুক্ত!' যে সকল বারিচর অর্থাৎ মতম্তদিগের মুখে জন্মির। থাকে সে সকল মৎস্য সমুদ্রের মধ্যপ্রদেশে বাস করে। বৃহৎসংহিতাগ্রন্থের মতে তিমি মৎস্যে মুক্তা জন্মে যথা-_- “তিমিজং মৎস্তক্ষিনিভং বৃহৎ পবিজ্রং বহুগুণঞ্চ ।” তিমিমত্ম্তজাত মুক্তা আকারে বৃহৎ, দেখিতে মত্স্তচক্ষুর হ্যায়, পবিত্র বনু গুণযুক্ক লক্ষণ। *গুঞ্জাফলসমস্থৌল্যং মৌক্তিকং তিমিজং লঘু পাটলাপুষ্পসক্কাশং অল্পকাস্তি সুবর্ত,লম্‌।॥”, ১০

বুইশ্রুহন্ত | শী

মীনজমুক্তার লক্ষণ এই যে, তিমিমৎস্যজাত মুস্তাসকল স্থুলতায় গুপ্তা অর্থাৎ কুচের ন্যায়, লঘু অর্থাৎ হাঁল.কা, পাটলা পুষ্পের স্তাঁয় কাস্তিমান্, কিন্তু তাহার ছ্যুতি বা ছায়া অল্প। ইহার বর্ত,লতা অতি সুন্দর। মীনমুক্তারি স|মান্ট লক্ষণ এই বটে; কিন্ত মংস্যদিগের গ্ররুতিভেদ থাকায় তহ্ৎপন্ন মুক্তাফলে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ প্রভেদ হইয়া থাকে যথা “বাতপিত্তকফদ্বন্বসন্নিপাতপ্রভেদতঃ | সপ্তপ্রকৃতয়ে। মীন।ঃ সপ্তধা তেন মৌক্তিকম্‌ ॥৮ গরুড়'পুরাণ বায়ু, পিত্ত, কফ, এতভ্রয়ের ছুই ছুই তিন তিন ক্রমে মৎস্য সকল সপ্ত প্রকার প্রকৃতি সম্পন্ন হই! থাকে সুতরাং তদুৎপন্ন মুক্তাও সপ্ত প্রকার প্রভেদযুক্ত হয়, ইহা! নিণীত হইয়াছে সেই প্রভেদ এইরূপ-_ “লঘিষ্ঠমরুণং বাতাৎ আগীতং যুছু পিতুতঃ | শুরুং গুরু কফোদ্রেকাৎ বাতপিত্তান্মূছুলঘু। বাঁতশ্রেম্মভবং স্থলং পিত্তশ্রেক্মজমচ্ছকম্‌। সর্বলিঙ্গ প্রয়োগেণ সান্নিপাতিকমুচ্যতে | একজাঃ শুভদাঃ প্রোক্তান্তথ! বৈ সান্লিপাতিকাঁঃ ॥% বাতাধিক্য বশতঃ লঘু অরুণাভ হয়। পিত্ত প্রাধান্য হেতু মৃদু ঈষৎ গীতবর্ণ হয়। কক্ষের বাহুল্যে গুরু শ্বেতাঁভ হইয়া থাকে বাঁতিপিত্ত উভয়ের প্রাবল্যে মুছ অর্থাৎ কোমল ভাবাক্রান্ত এবং লঘুহয়। বাত, শ্লেম্স, উভয়ের প্রাবল্যে কিছু স্থুলাকার হয় এবং পিত্শ্নেম্সজাত হইলে ্বচ্ছত/র আধিক্য হয়। এক একটী ছুই ছুইটা প্রকৃতিতে যে সকল লক্ষণ £নির্দেশ করা! হুইল, ইহার নকল চিহ্ন যদি কিছু ন1 কিছু পরিমাণে দৃষ্ট হয়, তবে তাহা সান্নিপাতিকজ বলিয়। গণ্য করিতে হইবে। এই সকলের মধ সান্লিপাতিকজ এবং একজ মুক্তাই প্রশস্ত শুভদায়ক।

০১১

বরাহমুক্তা বা শুকরমতি

পুর্ব্বে বলা হইয়াছে যে, শৃকরও একটা মুক্তার আঁকর | পের ফণায়, নৎস্যের মন্তকে, হস্তীর দস্তকোষে যেমন পাথর জন্মে তেমনি শৃকরের দস্তকাষেও ১৭৭

১৩ বতুন্রুহস্ত |

পাথর জন্মে। দেই পাথর মুক্তার ন্যায় আকারবিশিষ্ট হয় বলিয়! যুক্তান!মে অভিহিত হয়। বৃহৎসংহিতায় লিখিত আছে যেঃ__ গ্রংষ্রামুলে শশিকাস্তিসম প্রভং বহুগুণঞ্চ বাঁরাহম্‌।*:

বরাহবিশেষের দন্তমুূলে যে মুক্তা জন্মে তাহার কান্তি চন্দ্রকিরণের ন্যায় শুভ্র এবং তাহার গুণও অনেক “বরাহভুজগাভ্রজীন্তিবেধ্য(নি* এই বরাহমুক্তাকে বিদ্ধ করিবেক না এবং *অমিতগুণত্বচচৈষামর্থঃ শাঞ্জে নিদদিষ্টঃ» অপরিমিত গুণ বিধায় শাস্ত্রে ইহাদের মূল্যের নির্দেশ নাই শরুড়পুরাঁণ বলেন যে-_ “বরাহদংস্টা প্রভবং বরিষ্ঠং তান্ডব দবস্াস্কুরতুল্যবর্ণম্‌। কচৎ কথঞ্চিৎ ভূবঃ প্রদেশে প্রজায়তে শুকরবদ্ধিশিষ্টঃ ॥৮ “ব্রন্গাদিজাতিভেদেন বরাহোহপি চতুর্ব্বিধঃ তেঘুজাতা ভবেন্ম,ক্তা সমাসেন চতুর্বিধা ্রাঙ্মণঃ শুরুবণস্ত শর্তে লক্ষতে। ক্ষত্রিয়োরক্তবণস্ত স্পর্শে কর্কশ এব ॥'ঃ “বৈশ্যঃ সৎ শুব্ুপাতস্ত কোমলঃ কোলসন্নিভঃ | শুদ্রঃ গ্াৎ শুরুনীলস্ত কর্কশঃ শ্যাম এব চ॥৯ “কোলজং কোলসদূৃশং তদ্দংঘ্রাসদৃশচ্ছবি অলভ্যং মনুজে রম্যং মৌস্তিকং পুণ্যবর্জিতৈঃ ॥৮ কল্পদ্রম।

সংক্ষেপার্থ এই যে, বরাইদস্তোৎপন্ন মুক্ত। অতি প্রশশ্ত। ইহাঁর বর্ণও নবোদগত বরাহদস্তের ন্যায় ইহা সকল সময়ে সকল স্থানে সকল শুকয়ে পাওয়! যাঁয় না, কখন কখন কোন কোন শুকরে ইহ! উৎপন্ন হুইখ। থাকে ্াহ্মণাঁদি চারি বর্ণের ন্যায় ধরাহেরও চারিবর্ণ আছে। স্তুতরাং তদুৎপন্ মুক্তারও ব্রাঙ্গণাঁদির ন্যায় চারি বর্ণ আছে। গুরুব্ণ বরাহ সকল ত্রা্গণজাতীয়, রক্তবণ বরাহ ক্ষত্তিয়জাতীয়, ইহাদের ১৭৮

রত্বশরহস্ত | ১১

স্পর্শ অতি কর্কশ। গুরুপীতবর্ণ বরাহ বৈশ্যজাতীয় এই মুক্তার গঠন কুলফলের নায় শুক্ুরুষ্ণ বর্ণ হইলে তাহ! শুদ্রজাতীয় মুক্তার বর্ণ নীল ওষ্পর্শ কর্কশ

কুলফলের ন্যায় গঠন নবোদগত বরাহদস্ততুল্য বর্ণবিশিষ্ট সুন্দর বরাহ-ুক্ত! অতি ছুলভ। অপুণ্যবান মনুষ্যের! ইহা পাঁয় না

(৬ কাতপাজাএসিআিউসড

বেণুজ-মুক্তা বেণু অর্থাৎ বাশ। ইহার অন্ত নাম ত্বকৃসার। এই ত্বকৃসার ঝা বাশে এক- প্রকার পাথর জন্মে। বাশে যে পাথর জন্মে তাহা। সপ্রমণ করিবার জন্য অধিক প্রয়াস পাইতে হয় না। শাঁগ সেগুন কাষ্ঠে যে প্রস্তর জন্মে তাহ! অনেকেই প্রত্যক্ষ করিয়াছেন শ!ল সেগুনে যেমন পাথর জন্মে তেমনি বাশেও পাথর জন্মে। সেই বেণুজ-প্রস্তরই মুক্তা নাম পাইয়াছে

লক্ষণ “বর্ষোপলানাং সমবর্ণশোভং ত্বক্সারপর্বপ্রভবং প্রদিষ্টম্‌। তে বেণবে। দিব্যজনৌপভোগ্যে স্থানে প্ররোহত্তি সার্বজন্ে কল্পদ্রম | ত্বকৃলার অর্থাৎ বংশের পর্বে অর্থ।ৎ গ্রন্থিপ্রদেশে যে মুক্তীফল জন্মে, তাহ। ব্র্ষোপলের €( শিলের ) ন্যয় বর্ণ শোভাবিশিষ্ট হয় মুক্তাকর বশ সকল স্থানে জন্মে না। কেহ কেহ বলেন যে, স্বর্গীয় পুরুষধিগের উপভে।গযেগ্য স্থানসমূহে জন্মিয়া থাকে কেহ কেহ *বংশলোচন”-কেই বেণুজ-মুক্তা বলেন, বস্তুতঃ তাহ! সত্য নহে। কেননা, বুহৎসংহিতা গ্রন্থে স্পষ্ট উল্লেখ আছে বে, বেণুজ-সুক্ত মুক্তার ন্যায়। থা «কপু'রক্ষটিকনিভং চিপিটং বিষমং বেণুজং জ্ঞেয়ম্‌ 1৮১ বেগুজ-মুক্তা কপূর স্কটিকের ন্যায় প্রভাুক্ত, পরস্ত কিছু চ্যাপউা। বিষম অর্থাৎ স্থগোল নহে। ঠিক .এইরূপ অর্থের অন্য একটী বচন কল্পদ্রমে উদ্ধৃত হইয়াছে « যথা-.. ৯৯৯

ি

রত্ু-্রহপ্তয |

“বংশজং শশিসঙ্কাশং ককোলফলম।দ্রকম্‌ প্রাপ্যতে বহুভিঃ পুণোস্তড্রক্ষ্যং বেদমন্ত্রতঃ ॥৮ “পঞ্চভূতসমুদ্রেকাঁথ বংশে পঞ্চবিধে ভবেৎ। মুক্তা পঞ্চবিধা তাসাং যথালক্ষণমুচ্যতে “পাথিবী গুরুবৎ সা তৈজনী তেঞজসা লঘুঃ। বায়বী মৃছুঃ স্ুলা গাগনী কোমলা লঘুঃ “আপ্যাঃ শিগ্ধা ভূশং শুরাঃ পঞ্চেতাঃ প্রবরা মতাঃ। আসাং ধারণমাত্রেণ ব্যাধিঃ কৌপি জায়তে ॥” গজাহিকোলমৎস্যানাং শীর্ষে মুক্তাকলোন্তবঃ ত্বকৃ্স।রশুক্তিশঙ্ান!ং গর্ভে মুক্তাফলে!দর়ঃ ॥"+ “ধারাধরেষু জায়েত মৌক্তিকং জলবিন্দুভিঃ | জীমূতে শুচিরূপঞ্চ গজে পাটলভান্বরম্‌ ॥৮ “মতন্তে শ্বেতঞ্চ নিস্তেজঃ ফণীন্দ্রে নীলভাস্বরম্‌। হরিচ্ছেতং তথ! বংশে পীতহ্থেতঞ্চ শুকরে ॥৮ “শঙ্খশুক্রদ্তবং শ্বেতং মুক্তা রডুমন্ু স্ব মম্‌।১

বংশজমুক্ত। চন্দ্রের ন্যায় অথবা! কপু:রের গ্ায় শুভ্রবর্ণ কক্কোল ফলের ন্যায় গঠন ন্গিপ্ধ। বনু পুণ্য না থাকিলে বংশজমুক্তা লাভ হয় না। প্রাপ্ত হইলে তাহাকে মন্ত্রপুত করিয়া! রাখিতে হয়।

পঞ্চভুতের ন্যুন।ধিকা অনুসারে বাশ সকল পাঁচ প্রকার। সুতরাং তজ্জাত মুস্তা সকলও পাঁচপ্রকার। তাহাদের কাহার কিরূপ লক্ষণ তাহাঁও বলিতেছি।

পৃথিবী ভূত-প্রাবল্যের বেণুজমুক্তা ওজনে ভারি হয়; তেজঃপ্রাবল্যে হালকা হয়) বায়ুর প্রাবল্যে সুদ স্থল হয় এবং আকাশের অধিক্যে কোমল লঘু হয় (ইহাই বোধ হয় বংশলে!চন জমাট বাঁধিলে মুক্ত! বা প্রস্তর নচেৎ বংশলোচন)।

জল-ভূতের আধিক্যে অত্যন্ত শুভ্র ক্িদ্ধগুণবিশিষ্ট হয় এই সকল মুক্ত! ধারণ কৰিলে কোন ব্যাধিই উৎপন্ন হয় ন!।

হস্তী, সর্প, শুকর 'মৎস্যের মস্তকে, আর ত্বক্সার, শুক্তি (ঝিনুক ) শঙ্খের উদরে মুক্তা জগ্দৌ।

ধারাঁধন্ন অর্থাৎ মেঘবিশেষে জলবিন্দু ছরা মুক্তা জন্মে। জীমূতে অর্থাৎ

২৬

বত -বহস্তা। ৬৩

মেঘবিশেষে যে মুক্ত। জন্মে তাহ। অতান্ত শুচি অর্থাৎ শুভ্রবর্ণ। গজমুক্তা! কিছু পাটলব্র্ণ কিস্তু ভাম্বর। মৎস্যজমুক্ত1 শ্বেতবর্ণ কিন্তু ভাহার কিরণ অন্ন। ফণিজ- মুক্তা নীলবর্ণ অথচ ভাম্বর। বংশোৎপন্ন মুক্তা হরিৎ শ্বেতের মিশ্রণে যে বর্ণ হয় সেই বণবিশিষ্ট হয়

শঙজ-মুক্ত।।

শঙ্খজম্নুভ্তা কিরূপ ? তাঁহাও বল যাইতেছে ।: *শঙ্ধোদুবং শশিনিভং বুত্তং ভ্রাজিষ্রুচিরম 1 বুহৎ্সংহিতা। শঙ্ঘোৎপন্ন যুক্ত! চন্দ্রকিরণের বা! কপুররের ন্তাফ় শুত্রবর্ণ, জুগোল, দীপ্বিযুক্ত মনোহর | “যে কথবঃ শাঙ্গ মুখাবমর্ষপীত স্য শঙ্খ প্রবরস্ত গোত্রে। ্তান্মৌক্তিকানামিহ তেষু জন্ম তল্লক্ষণং সম্প্রতি কীর্তয়ামঃ ॥৮ *স্বযোনিমধ্যচ্ছবিতুল্যবর্ণং শঙ্ঘাৎ বৃহৎকোলফলপ্রমাণম্‌।”

শঙ্ঘগর্ভে যে মুক্তা জন্মে তাভার বর্ণ শঙ্খের অভ্যন্তরভাগের বর্ণের ন্যায় এবং উহার প্রমাণ বৃহত্বদরীফলতুল্য ; অর্থাৎ ঝড় বড় কুলফলের ন্যায়। “বর্ষোপলসমং দীপ্ত্যা পাঞ্চজন্ঠকুলোস্ভবম্‌ কপোতাগুপ্রমাণং তৎ অতিকান্তি মনে।হরম্‌ ॥৮ যে সকল শঙ্খ পাঞ্চজন্ঠ নামক শঙ্খের বংশে জন্মিয়াছে তাহাদের গর্ভে যে মুক্তা জন্মে, তাহা কপোতপক্ষীর ডিন্বের ন্যায় বড় এবং তাহা বর্ষোপল অর্থাৎ করকার ন্যায় দীপ্তি বিশিষ্ট।

“স্বিন্তাদিকনক্ষত্রে যে জাতাঃ কন্ববঃ শুভাঃ। মৌক্তিকং তেষু জাতংহি সপ্তবিংশতিভেদভাক.॥৮ “শুক্লাশুক্র।; পীতরক্তাঃ নীল! লোহিতপিঞ্জরাঃ। আকর্বরা পাটলাশ্চ নব বর্ণা প্রকীর্ডিতাঃ ॥” “মহম্ধ্যলঘুন্মানৈঃ সপ্তবিংশতিধ! ভবেৎ। ব্রমতত্তেষু বিজ্ঞেয়ং নক্ষত্রেষু মনীধিভিঃ ॥»

১৮১

১৪ বত -বহহ

“যা মৌক্কিকানামিহ জাতয়োহষ্টৌ প্রকীর্তিত৷ রত্্ুবিনিশ্চয়জৈং। কন্ব-স্তবং তেষ্যহ্ধমং প্রিষ্টং উৎপদ্াতে যচ্চ গজেন্্রকুস্তাৎ |” শঙ্খজমুক্র [সম্বন্ধে এইরূপ আরও কএকটি বচন গ্রন্থাত্তরে আছে বাহুল্যভয়ে সেগুলি পরিত্যাগ করা গেল। উপরের লিখিত বচন কএকটার সংক্ষেপ অর্থ এই যে, অশ্বিনী প্রভৃতি ২৭ নক্ষত্রে মুক্তাকর শঙ্খ সকল জন্মগ্রহণ করে, এবং প্রত্যেক নক্ষত্রে মুক্তীকর শঙ্খ সকল জন্মগ্রহণ করে, এবং প্রত্যেক নক্ষত্রোৎপন্ন শঙ্খ হইতে নক্ষত্রের মংখ্যানুসারে মুক্তা সকলেরও ২৭ প্রকার ভেদ হইয়া থাকে। শুরু অশ্রু, গীত রক্ত, নীল লোহিত, পিঞ্জর, কর্ব,র পাল, এই বর্ণ এবং মহৎ, মধ্য, লু প্রভৃতি পরিমাণের ছারা ২৭ প্রকার হইয়া থাকে। রত্ততত্ববিৎ পণ্ডিতের আকর অনুসারে মুক্তার প্রকার জাতি ব্যবস্থা দেখাইয়া তন্মধ্যে এই শঙ্যোছ্ব মুত্তণকে সর্বাপেক্ষা অধম বলিয়াছেন মুক্তারত্রের কথা সমস্তই বলা হইল। এই মুক্তারত্ব অন্যান্ত রত্নাপেক্ষা অচির- স্থায়ী অর্থাৎ ইহা অল্নকালে জীর্ণ বিবর্ণ হয়; কিন্তু হীরকাদি রদ কম্মিন্কালেও জীর্ণ বা নষ্ট হয় না। ইহ! পরীক্ষ! করিয়! দেখিয়!ই পূর্বকালের পণ্ডিতের! বলিয়। গিয়াছেন যে, “ন জরাং যান্তি রত্বানি বিদ্রমং মৌক্তিকং বিন! |” শুক্রনীতি

জীমৃত-মুক্তা |

জীমূত-_মে্। তজ্জাত মুক্তার নাম জীমূতমুক্তা। এই আশ্চর্য কথার মর্!কি? তাহা আমর! বুঝি না। মেঘে বা আকাশে যে কিরপে প্রস্তর বা মণি জন্মে তাহা আমর! জ্ঞাত নহি। ইহা সত্য কি কবিকল্পনামাত্র, তাহাও আমরা নির্ণয় করিতে পারি না। কেননা সকল বত্বশাস্ত্রেই মেঘতমুক্তার উল্লেখ দৃষ্ট হয়, এবং সকলেই একবাক্যে বলেন যে, মেঘেও যুক্তামণি জন্মে। যথা-_ “মৃতস্তাহিশঙ্খবারাহবেণুজীমৃতশুক্তিতঃ | জায়তে মৌক্তিকং তেষু ভূরি শুক্তত্ভবং স্মতম্‌)৮ শুক্রাগধ্য। ৯৮২

ররররহগ্তয | ৯৫

গদ্ধিপভূজনশুক্তিশঙ্বা্রবেগুতিমিশুকর প্রস্থতানি মুক্তীফলানি তেষাঁং বহু সাধু শুক্তিজং ভবতি ॥” বরাহমিহির | “হুল্তিমস্তকদস্তৌ তু দংঘ্রা' শ্ববরাহয়োঃ। মেঘে ভুজঙ্গমোব্ণুমধিস্তোমৌক্তিকয়োনয়ঃ ॥+ বাচস্পতি।

ইনি আবার আর একটা অধিক স্থান বলিলেন, “্ৰংষ্টা শ্ববরাহয়ে।5 1১ বরাহের দস্তমুল এবং কুকুরের দত্তমূল। কুকুরের দস্তে মুক্তা- প্রস্তরের জন্মকথা আর কোথাও লিখিত নাই

এতস্তিন্ন গরুড়পুরাঁণ, অগ্নিপুরাণ যুক্তিকল্প তরু প্রসূতি গ্রন্থের অনেকগুলি উদ্দাহরণ পূর্ববে পরে প্রদত্ত হইয়াছে। যাহাই হউক, মেঘজ মুক্তা সত্য হউক বা না! হউক, শাস্তান্নারে ইহার বৎকিঞ্চিৎ বিবরণ লিপিবদ্ধ করা গেল। বৃহৎ-

ংহিত! বলেন যে,_- “বর্ষোগলবজ্জাতং বাযুস্কক্কাচ্চ সপ্তম দৃভ্রষ্টম্‌। হিয়তে কিল খাদ্িব্যস্ত ডিৎপ্রভং মেঘসম্ভৃতম্‌ ॥%

মেঘে যেমন বর্ষোপল অর্থাৎ করক! (শিল ) জন্মে সেইরূপ মুক্তা-প্রস্তরও জন্মো। বর্ষোপল যেমন মেঘ হইতে পতিত হয়, সেইরূপ সপ্তম বাঁযু স্কন্দ হইতে ( অস্তরীক্ষগত বাঁযু স্থান বিশেষ হইতে ) সেই করকাকার মুক্তাও ভ্রষ্ট হয়। কিন্ত তাহ! পৃথিবীতে আইসে না, আকাশ হইতেই অম।নব পুরষেরা তাহ! হরণ করিয়! লয়। সেই মেঘপ্রভবমুক্তা করকার সায় তাহার প্রভা বিছ্যতের ন্যায় রন্থাস্তরে দেখ। যায় যে,--

“ধারাধরেষু জায়েত মৌস্তিকং জলবিন্দুভিঃ হুল্নভং তন্মনুষ্য। নাং দেবৈস্তৎ হিয়িতেহন্বরাৎ ॥৮ - জলবিস্দুর পর্িপাঁকবিশেষদ্থারা মেঘেও মুক্তাফল জন্মে। কিন্ত তাহা মনুষ্যের ঢুলভ। ভ্রষ্ট হইবামাত্র তাহা দেবতারা হরণ করেন | “কুকুটগুসমং বৃত্তং মৌক্তিকং মিবিড়ং গুরু | ঘন্জং ভাঙ্সম্কাশং দেখভো গ্যমমানুষস্‌ ॥৮

মেঘজাঁত মৌক্তিক কুকুটাণ্ডের ন্যায় গোল, নিবিড়, ওজনে ভারি এবং হুর্য্য-

১৮৩

১৬ রত্ব-রহস্ত।

কিরণের গ্থায় দ্ীপ্তিশীল। ইহা দেবতাদিগের ভোগ্য মনুষ্যের! ইহা পাঁ় না। গরুড়পুরাণেও এইরূপ কথা আছে। যথা-_ *নাভ্যেতি মেঘপ্রভবং ধরিত্রীং বিয়ঙ্ঈতং তৎ বিবুধা হরস্তি। অটিঃপ্রভান[বৃতদি্িভগ-মা দিত্যবদ্ছুঃখবিভা ব্যবিষ্বম্‌॥” “তেজস্তিরষ্কৃত্য হুতাশনেন্দু-নক্ষত্রতা রা গ্রহসম্ভবশ্চ | দিবা যথা দীপ্তিকরং তখৈব তমোহবগ।ঢ।ঘপি তন্নিশ।স্ু “বিচিত্রবত্ুহ্যতিচারুতোয়-চতুঃসমুদ্রাভবনাভিরাম! | মূল্য, গ্তাদিতি নিশ্চয়োমে কতা মহী তস্য স্ুবর্ণপূর্ণা ॥৮ “হীনেহপি যস্তল্লভতে কথঞ্চিৎ বিপাঁকযোগাৎ মহতঃ শুভস্ত। মপত্রহীনঃ পৃথিবীং সমগ্রাং ভুনদ্কি তণ্ভিষ্ঠতি যাঁবদেব ॥” 'ন কেবলং তচ্ছুভকৃন্ন পন্ত ভাগ্যৈঃ গ্রজান।মপি জন্ম তস্য তদ্যে।জনানাং পরিতঃ শতশত সর্বাননর্থান্‌ বিমুখীকরোতি ॥৮ “জলজ্যোতির্ম কজ্জান।ং মেঘানাং ত্রিবিধং ভবেৎ। জল[ধিকেইধিকং স্বচ্ছং কো!মলং গুরু কাস্তিমৎ ॥% “জো।তিষং কাত্তিমদ্বৃত্তং ছুনিীক্ষ্যং রবিপ্রভম্‌। কাস্তিমৎ কোম্লং বৃত্তং মারুতং বিমলং লঘু ইহার সংক্ষেপার্থ এই যে,--মেঘ প্রভব মুক্তারত্ব পৃথিবীতে আইসে না, আকাশ হইতেই দেবতারা তাহা হরণ করেন) তেজ প্রতাঁর দ্বারা সমস্ত দিক্‌ উদ্ভাসিত করে এবং তাহা আদিত্যের সভায় ছুনিরীক্ষ্য ছতাশন, চন্দ্র, নক্ষত্র, গ্রহ তারাগণের তেজকে তিরঙ্ক'ওর করিয়া প্রকাশ পায় এবং দিবা গাঢ়ন্বকার রাত্র, উভয়ক্ত(লেই সমান দীপ্তিকর। ইহার মূল্য কত? তাহা নিশ্চয় করিয়া বলা যায় না। আমি বিবেচন। ধরি যে, এই চতুঃসমুদ্রা ভবনাদিযুক্তা নুবর্ণপুর্ণা সমগ্রা নি তাহার মুল্য হয় কি না সন্দেহ। নীচ ব্যক্তিও যদি উহ! কদাচিৎ সুমহৎ পুণ্যপুঞ্জবলে প্রাপ্ত হয় তবে সে ব্যক্তি নিঃশত্র হইয়া এই সম্গ্রা পৃথিবী ভোগ করিতে পারে উহ! কেব্ল রাঁজাদিগের শুভকারী এরূপ নহে। ইহ! তাহার প্রজার্দিগেরও সৌভাগ্যের কারণ। উহা চতুর্দিকে শত্ত যোজন পরিমিত স্থানের অনিষ্ট নিবারণ করে। ৯৮৪

রত্বুরহন্ত ১৭

মেঘ সকল জল, জ্যোতি বায়ু, এই তিনের সমষ্টিজাত। সুতরাং তজ্জাত- মুক্তাও তিন প্রকার। জলাধিক-মেঘজাত হইলে তাহা অত্যন্ত শ্থচ্ছ, কোমল অতিশয় কাস্তিযুক্ত হয়। জ্যেতির ভাগ অধিক থাকে এরূপ মেঘ হইতে যাহ! জন্মে তাহা স্ুগোল, জুকান্তি, হূর্ধ্যকিরণের স্তাঁয় কিরণশালী হয় স্থতরাং তাহ! ছুনিরীক্ষ্য।

বাঘুর ভাগ অধিক আছে, এরূপ মেঘ হইতে যাহ! জন্মে তাহাঁও স্ুকাস্তি, স্ুকোমল সুগে।ল হয়, অধিকন্ত সর্ধাপেশ। অ'ধক বিমল লঘু (হলিক1) হয়।

এতদ্রপ শান্ধীয় বর্ণনার প্রকৃত মন্মনকি? তাহ! পাঠকবর্গই বিবেচনা করি- বেন আমাদের বিবেচন।য় “নাই” বলা আর দেব্তারা হরণ করেন বলা সমান

দছু'র-মুক্ত! ভাবপ্রকাশকার বলেন যে, দছ্ুরি অর্থাৎ ভেকের মস্তকেও মুক্তা প্রস্তর জন্মে। যথা--- *শড্েংগজশ্চ ক্রেডড়শ্চ ফণী মত্স্তশ্চ দ্রঃ নেণুরেতে সমাখ্যাতাস্তজ দমে ্তিকয়োনিয়ঃ ॥৮ ধাহার! মুক্তাতথ্যবিৎ পণ্ডিত, তাহার! বলিয়। গিয়াছেন যে, শঙ্খ, হস্তী, বরাহ, সর্প, মহ্স্ত, দছু অর্থাৎ ভেক এবং বেণু অর্থাৎ বাশ। এই সমস্ত মুক্তার যোনি অর্থাৎ উতৎপততিস্থান। গ্রন্থান্তরেও একথার সংবদ পাওয়া যায়। যথা-_- “তেকা[(দ্ঘ।প জায়ন্তে মণয়োষে ক্ধ চিৎ কচিৎ। ভৌজঙ্গমমণেস্তল্যান্তে বিজ্ঞেয়া বুধোভুমৈই ॥৮ ভেক প্রভৃতি জন্তর মস্তকপ্রদেশে যে কখন কখন মণ জন্মে তাহারাও ভুজঙগ- মণির তুল্য আদরণীয়। ফল কথা এই যে, প্রস্তর অনেক পদার্থে জন্মে, তন্মধ্যে যে সকল প্রপ্তর গুণযুক্ত তাঁহারাই আদরণীয় গ্রাহা, অবশিষ্ট অগ্রাহথ।

শুক্তি মুক্তা অতঃপর শুক্তিজ মুক্তার কথা বলা যাইতেছে। এই মৃক্তাই সর্বত্র জুল 5। “তেষান্ত শুক্তয্গ্তবমেব ভূরি।” যত প্রকার মুক্ত আছে তন্মধ্যে শুক্তি মুক্তাই বহু, স্ুপ্র(প্য সাধু। ১৮

৬৮ বুত্ব রহ

রুদ্ধলণঞ্জ পঙ্িতের! বলেন, যে সামুদ্রশুক্তির গর্ভেই যুক্ত।ফল জন্মিয়! থকে বন্বতঃ তাহার কোন নিয়ম দৃষ্ট হয় না। পর্বত্রই সুক্তাশুক্তি থকিতে পারে ; কিন্তু তাহ! সমুদ্রেই অধিক বলিয়া সমুদ্রশুক্তিকে মুক্তাকর বল। যাঁয়। বঙ্গদেশের জলাস্থানের নদীর শুক্তিতেও মুক্তা পাওয়া যাঁয়। অপিচ তাহার! মুক্তোৎপাত্তির বৈজিকতত্ব সম্বন্ধে একটি আশ্চর্য্য কথা বলেন, তাহ। সত্য কি কল্পনামান তাহ! আমরা জ্ঞাত নহু। তাঁহার! কহেন ষে, বর্ষণবিশেষের জলধারাই মুক্তোৎপত্ভির কারণ। প্রবাদও আছে ষে, স্বাতি নক্ষত্রের জল শুক্তির গাত্রে লাগিলে তাহাদের গর্ভে মুক্ত! জন্মে ।* যথ1--. ্‌ “্যন্মন্‌ প্রদেশেহঘুনিধৌ পপ।ত জুচারু মুক্তামণিরভ্ুবীজম্‌। তন্মিন্‌ পয়স্তোয়ধরাঁবকীর্ণং শুক্তৌ স্থিতং মৌক্তিকতামবাপ ॥৮ «ন্ৰত্যাং স্থিতে রবৌ মেধৈর্ষে মুক্তা জলবিন্নবঃ। দীর্ণ।; শুক্তিষু জায়স্তে তে মুক্তা নির্মলত্বিষঃ 1” বৃষ্টিরপে আকাশের পড়ি চক্ষুজল, স।গরগর্ভেতে হয় মুকুতা সকল। মেঘ হইতে বিনির্মক্ত মুক্রাবীজন্বরূপ জল যে দেশে থে সমুদ্রে পতি হয় সেই দেশে সেই সমুদ্রে সেই জলধর-নিমুক্ত জল শুক্ততে স্থিতি লাভ করিয়া! মুক্তা পরিণত হয়। রবির স্ব(তিনক্ষত্রে স্থিতি কালে মেঘ হইতে যে মুক্তাবীজ-জল নিম্মুক্ত হয় তাহ! শুক্তিগত হইয়! মুক্তাফল জন্মায়। এই সকল মুক্তার দীপ্তি অতি নির্দল।

শুক্তিজ-মুক্তার আকর

বৃহৎসংহিতাঁকাঁর বলেন যে, শুক্তি-মুক্কার আকর বা উৎ্পত্তিষ্থান আটিটী অর্থাৎ গুক্তি মুক্তা আট দেশে বা স্থানে উৎপন্ন হইতে দেখ| যায়। যথা.

পার কাপ পাাজ

* ভাইওমকরিডেশ, এবং লিনি বিশ্বাস করিতেন যে, বৃষ্টিবিন্দশুক্তিগর্ভে পতিত হইলে তাহ! হইতে মুক্ত! উৎপন্ন হয়। কবিধর মুরও ইহাঁর স্পষ্ট উল্লেখ করিয়াছেন যখ|--. 44810 01501905 070 00895 00061798112 01010 010 545) 81710) 68017051060 065105 জও 1 ভি115 07 019 585০1 11901,

১৮

র্র-রহল্ত | ১৯

“সি:হলক-পারলৌকিক-সৌরাষ্টি ক-তাঅ্পাণ-পারশবাঃ। কৌবের-পাণ্-বাটক * হৈম। ইত্যাকরা হাষ্টো 1৮

সিংহল, পারলৌকিক, সৌরাষ্্র, ত'ম্রপর্ণী, পরাঁশব, কৌবের, পাও্য, বাটধান, হৈম, এই আট দেশে মুক্তার আকর আছে। এতদন্ুসারে মুক্তার শ্রেণী কল্পনা কর! হইয়া! থাকে গ্রন্থাস্তরেও ঠিক এইরূপ শ্লোক দেখা যাঁয়। যথা “সৈ'হলক-পারলৌকিক-সৌরাষ্টিক-তামপর্ণি-পারিশবাঃ। কৌবের-পাঁণ্-বাটক-হৈমা ইত্যাকর! হাষ্টো ॥%

সৈংহলিক, পারলৌকিক, সৌরিষ্টি ক, তাত্রপর্ণ, পরাশব, কৌরের, পাণ্ড, বিরাট, এই গ্রদেশে জন্মে বলিয়! মুক্তা সকল প্রকার পারলোৌকিক দেশীয় মুক্তা সকল কুষ্ণ, শ্বেত, গীতবর্ণবিশিষ্ট কাকর চিহ্নযুক্ত হয় এবং বিষম অর্থাৎ সুগোল হয় না। এইবপ প্রঙ্ঠেক প্রকারের আকার প্রকার, বর্ণ গঠনপ্রণালী ভিন্ন। নিয়লিখিত বচনাব্লীর দ্বারা প্রত্যেক প্রকার যুক্তাঁর লক্ষণ পরিজ্ঞাত হওয়া যায়। যথা

“স্থূল! মধ্যান্তথা সন্ধা! বিন্দুম।ন[নু(রতঃ | স্নিগ্ধ মধুরচ্ছায়ং মৌক্তিকং সিংহলো।দ্ুবম্‌ ॥"? যুক্তিকল্পতরু “বছসংস্থানাঃ ন্িগ্ধ। হংসাঁভ। সিংহলাকরাঃ স্থুলাঃ 1৮ বৃহৎসংহিত। | সিংহলদেশীয় মুক্তা স্থল, মধ্য, সুক্ষ, বিন্দৃ-পরিম।ণ ; সকল প্রকারই হয়। এই সকলের ছাঁয়! বা কান্তি মধুর স্সিগ্ধ। বৃহৎসংহিতার বচনটীর অর্থও এইরূপ বহুসংস্থান অর্থাৎ নান।প্রকার পরিমাণযুক্ত অর্থাৎ ছে।ট, বড়, মধাম, সকল প্রকার সাভ। অর্থাৎ মধুর শুত্রবর্ণ। বৃহৎসংগহতার মতে কোন কোন সিংহলীয় মুক্তা ঈষততাস্রবরণযুক্ত শুত্রবর্ণও হয় এবং অন্তান্ত দেশীয় যুক্ত! অপেক্ষা কিছু অধিক স্থল হয়। যথা

* কোন পুস্তকে “বিরাঁট' শবের পরিবর্তে বাটক শব্ধ আছে। খাটক বা বাঁটধ।ন নামক দেশ প্রাচীনকালে সমুদ্রতীরবর্তী ছিল, ইহ! মহাঁভারতাদি গ্রন্থে দেখ! ঘায়। অনেককানল হইতে মুর্শিদ।বাদের “চুনাখালিতে” মুক্তা জন্দিতেছে। |

৯৮৭

বত্ব-রহস্তয।

“ঈষত্তা মন্থেতাস্তমো বিযুক্তাশ্চ তাত্রাখ্যাঃ 1” প।রলৌকিক দেশীয় মুক্তার লক্ষণ যথা-_ “কৃষ্ণাং শ্বেতাঃ পীতাঃ সশর্কর।ঃ পাঁরলৌকিকা। বিষমাঃ 1৮ বুহৎসংহিতা

এতডিন্ন শব্খকল্পদ্রমে একটি প্রমাণ উদ্ধৃত হইয়াছে যথা *প|রলোৌকিকসন্ৃতং মৌক্তিকং নিবিড়ং গুরু। প্রায়ঃ সশর্করং ভেয়ং বিষমং সার্ববর্ণকম্‌॥% পারলৌকিক দেশীয় মুক্তা কিছু নিবিড় ( কঠিন বাঁ গাঢ় জমাট ) ওজনে ভারি হয়। কাল, শ্বেত, গীত এই তিন বর্ণ হয়। “গ্রায়শঃ সশর্করং অর্থ।ৎ প্রায়ই কাকরের দাগ থাকে এবং ব্ষিম অর্থাৎ উত্তমরূপ গেল হয় ন]। সৌরাই্রদেশীয় শুক্তিজ-মুক্তার লক্ষণ এই যে, “সৌরাছ্টি কভবং স্ুলং বৃত্তং স্বচ্ছং সিতম্‌ ঘনম্‌ ॥” দন স্থুলা নাত্যন্লা নবনীতনিভাশ্চ সৌরা স্রাঃ।% বৃহৎ্সংহিত|

সৌরা ই্রদেশীয় মুক্ত।ফল স্থুল, সুগোল, স্থন্দর, স্থনিম্মল, শুত্রবর্ণ ঘন কঠিন বা গাঢ় জমাট ) হয়। ইহার আকার স্থল নহে অর্থাৎ মধ্যম পরিমাণ ইহার আভা অথবা কান্ত নবনীতের সায় তাত্রপর্ণদেশীয় শুক্তিমুক্তার লক্ষণ এই যে,--“ত।ত্রপর্ণভবং তাশ্রং- তামপর্ণদেশে|দুব মুক্তা কিছু তাম।ভ হয়। ব্রণ ভিন্ন ইহার অন্তান্ত লক্ষণ সকল পারশব মুক্তার তুল্য। পাঁরশবদেশীয় মুক্তার লক্ষণ এইরূপ নিদি আছে। বথা-- “পীতং পারশবোভুব্ম্‌।* “জ্যোতিত্মন্তঃ শুভ্রাগুরবেহতিমহা গুণাশ্চ পরশবাঃ ।, বৃহতসংহিতা। বুহৎ সংহিতাঁর মতে পারশব মুক্ত! সকল শুভ্র, জ্যেতিত্মান, গুরু অর্থাৎ ওজনে ভারি হয়। পরস্ত কল্পদ্রমধূত প্রথমে।লিখিত প্রমাণ অনুসারে জ্ঞাত হওয়া যায়, যে, পারশব মুক্তা গীতাভ হইয়াঁও থকে কৌবের অর্থাৎ উত্তরদেশীয় আকরোৎপন মুক্তীফলের লক্ষণ এইবূপ। যথা-- ১৮৮

রত্ব-রহস্থ | ২১

“ঈষৎ শ্ঠামঞ্চ রুক্ষঞ্চ কৌবেরোদৃভবমৌক্তিকম্‌।” “বিষমং কৃষ্ণ, শ্বেতং লঘু কৌবেরং প্রম।ণতেজোবৎ।” বৃহৎ্সংভিত! |

কৌবের দেশীয় আকরোৎপন্ন মুক্তাফল ঈষৎ শ্টামবর্ণ অথবা কৃষ্ণখে তবর্ণ হয়। লঘু রুক্ষ হয়; কিন্তু গ্রমাণ তেজোহীন নহে অর্থাৎ নিতাস্ত ক্ষুদ্র হ্য় না, কিঞ্চিৎ জ্যোতিও থাকে

পাঞ্যদেশীয় মুক্তার লক্ষণ এই ঘে,_- “পও্াদেশোছবং পাঞ1% “নিম্বফল ত্রিপুট ধান্তক চুর্ণাঃ সুযুঃ পাণ্তা বাট ভবঃ 1” বুহৎসংহিতা | পাণ্ড বাঁ পাপ্যবাট দেশীয় মুক্তার বর্ণ পার এবং গঠন নিষ্ফল সদৃশ। ত্রিপুট ধান্ু।কার 'ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্রও হয়, অর্থাৎ তাহা! স্থগোল নহে

ব্রাটদেশীয় মুক্তার লক্ষণ যথা-_ “সিতং রুক্ষং বির।টজম্‌ শব্দকল্পদ্রম |

বিরাটদেশীয় মুক্তার বর্ণ শুভ্র এবং রুক্ষ অর্থাৎ লনণ্যহীন বুহৎ্সংহিতায় ইহার কোন গ্রপঙ্গই নাই।

এই নকল মুক্ত ভিন্ন বৃহৎ্সংহিতাগ্রচ্থে হৈম অর্থ।ৎ হিম প্রধানদেশীয় মুক্তার বিষয় লিখিত হইয়াছে যথা-_

“লঘু জর্জরং দধিনিভং বৃহৎ বিসংস্থানমপি হৈমম্‌।”

হৈম-মুক্ত। সকল লঘু ( হাল্কা), জর্জর অর্থাৎ জীর্ণপ্রায় দির গ্ঠাগ বর্ণযুক্ত 9 বড় বড় হয়, ছোট ছে।টও হয়।

“রুকাণী” নামক এক জাতি গুক্তি আছে। তাহাতে প্রায় মুক্তা জন্মে না। যদি জন্মে তবে তাহা সর্ধবোতরুষ্ট হয়। রড্র-তব্ববেতগণ এই জাতীয় মুক্ত।কে দুর্লভ বলিয়৷ বর্ণনা করিয়াছেন যথা

“রুবিণ্য।খ্য। তৃ য| শুক্তিস্তৎপ্রক্ুতিঃ স্হূর্লভা

তত্র জাতং সিতং স্বচ্ছং জাতীফলসমং ভবেৎ ১৮৯

র-হস্ঠ

ছায়াঁব্ছুলং রম্যং নির্দোষং যদি লভ্যতে অমূল্যং তদ্িনির্দিষ্টং রত্ুলক্ষণকোবিদৈঃ। দুর্লভং নৃপযোগ্যং শ্তাদল্লভাগোন লভাযতে ॥৮ গরুড় পুরাঁণ।

অর্থ এই যে, কক্সিণীন।ম| শুক্তিতে যে মুক্তা জন্মে তাহা ছুরলভ | কুক্মিণী- শুক্তিতে বে মুক্ত। জন্মে তাহা চন্দ্রকিরণতুল্য শুভ্র বর্ণ, স্বচ্ছ এবং প্রমাণে আকারে জাতীফল (জায়ফল তুল্য হইয়া থাকে রত্বলক্ষণজ্ঞ পণ্তিতের! বলিয়াছেন যে, তাঁহছ।র ছায়! উত্তম এবং কে।ন দেংষ থাকে না, দেখিতে রম্য যদ্দি তাহা বড় হয়ঃ এবং তাদৃশ রুঝিণীমুক্তা যদি কাহ।র ভাগ্যবশতঃ লাভ হয়, তবে তাহা অমুল্য। ফলতঃ এরপ মুক্ত। ছুর্নভ, রজার যোগ্য, অল্পভাগ্য মানবের! ইহা পায় না।

পুরাতন রজ্জতত্বণেতৃগণের মধ্যে ছুই দল ছিল। এক দলের পণ্ডিতেরা কথিত প্রকারে, দেশবিশেষে, মুক্ত(দকলের আকার প্রকার 'ও বর্ণ'দি ভিন্ন ভিন্ন হয় বলিয়। শ্বীকার করিতেন, কিন্তু অপর সম্প্রাদায়ের পপ্ডিতেরা তাহ! নিয়ম বলিয়া খ্বীকাঁর করিতেন না! এবং কভিতেন যে, সর্ধত্র সর্বগ্রক।র খুক্ত। উৎপন্ন হইতে পারে। যথা--

'সর্বস্ত তশ্ত।করজাবিশেষাৎ রূপপ্রম।ণে ঘথেব বিদ্বান্‌। নহি ন্যবস্থ।ইস্তি গুণাগুণেধু সর্বাত্র পর্ব।কুতয়োভন্তি ॥” শবাকরদ্রম | ইহার অর্থ স্থগম গ্রবং উপরে প্রায় ব্যক্ত হইয়াছে। মুক্তাধ।রণের শুভাশুভাদি কণ্পনকারী রত্নপরীক্ষকেরা মন্ুষ্যের গ্তায় শুক্তিরও টাঁরি প্রকার জাতি কল্পনা করিয়া! তছুৎপন্ন মুক্তা ফলেরও চারি প্রকার জাতি কল্পন! করিয়। গিয়াছেন। যথ1-- “রন্ধািজাতিভেদেন শুক্তয়োহপি টতুর্বিিধাঃ | তাস সর্বাস্থ জাতং হি মৌক্তিকং শ্তাচ্চতুর্বরিধম্‌ ॥/ এক্রাঙ্গণন্ত সিতঃ স্বচ্ছো-গুরুঃশুরুঃ প্রভান্বিতঃ | আরভঃ ক্ষত্রিয়ঃ স্থুলস্তথাকুণবিভান্বিতঃ ॥%

১7৬

রত্ব-রহস্ত | “বৈশ্বন্বাপীতবর্ণোহুপি গ্গিগ্ধঃ শ্বেতঃ প্রভাবিত:

শৃদ্রঃ শুরুবপুঃ হুঙ্মস্তথা স্থলোহসিতছ্যতিঃ ॥% শব্দকল্পদ্রুম |

শুক্তি সকল ব্রাঙ্গণাঁদি জাতিভেবে চতুর্বিধ ; অর্থাৎ ব্রাঙ্গণ ক্ষত্রিয়, বৈশ্ত শূদ্র এই চারিজতীয়। এই চারিজাতির শক্তিতে উদ্ভুত মুক্ত/ফলও সুতরাং চতু- ব্বিধ। যে সকল শুক্তি শ্বেত, নির্মল, ভারি, শুরু গ্রভাধুক্ত,-"তাহারা ব্াহ্ষণ- 'জাতীয়। যে সকল শুক্তি ঈষৎ রক্তবর্ণ, স্থল অরুণিমপ্রভা যুক্ত,-_তাহার৷ ক্ষত্রিয় আর যাহার! ঈষৎ পীতবর্ণ, স্সিদ্ধ শুত্র প্রভান্বিত,-তাহারা বৈশ্তজাতীয় এবং যাহার! স্থুল, যাহার! কষ্কবর্ণণ_সে সকল শুক্তি শুদ্রজাতীয়

শুক্তিজ-মুক্তা সম্বন্ধে আমাদিগের অনেক বক্তব্য আছে। সে সকল জ্রমেই লিখিব। এক্ষণে কেবল নির্দিষ্ট শ্রেণীর মুক্তার স্থুল স্থুল ব্ষয়গুলি বলা হইল। বুহৎসংহতি গ্রন্থে আরও এক কথা আছে। বৃহৎসংহিত1 বলেন, যে মুক্তার অধিষ্ঠাত্রী দেবতা আছে। তাহার ভাব এই যে, বিশেষ বিশেষ বর্ণের মুক্তা বিশেষ বিশেষ দেবতার প্রিয়। কিরূপ মুক্তা কোন দেবতার প্রিয় তাহা নিম্নলিখিত বচনগুলিতে ব্যক্ত আছে।

“অতসীকুন্ুমশ্তামং বৈষ্বমৈন্দ্রং শশান্কসঙ্কা শম্ হরিতাঁলনিভং বাঁরুণ-ম্সিতং যমদৈবতং ভবতি ॥” «“পরিণতদাঁড়িমশুলিকাগুঞ্জাতা ভ্রঞ্চ বাঘুদৈবতম্‌, নিধুমানলকমল প্রভঞ্চ বিজ্ঞেয়মাগ্রেয়ম্‌॥ বুহৎসংহিতা অতসী-শণ ব! মশিনা (যাহাকে তিশি বলে ) সেই শণপুণ্পের স্ায় শ্তামবর্ণ মুক্তাসকল বিষ্ুপ্রিয়। চন্দ্রকিরণসদৃশ শুত্রবর্ণের মুক্তাসকল পরন্দর অর্থাৎ ইন্তপ্রিয়। হরিতালনিভ যুক্তাঁসকল বাঁরুণ অর্থাৎ বরুণপ্রিয় কৃষ্ণবর্ণ মুক্তাফল সকল যমপ্রিক্স পাকা দাঁড়িম, কুচ, তাম্রের স্তায় আভা যুক্ত মুক্তার দেবতা বা অর্থাৎ তাদৃশ মুক্তা সকল বাহুদেবতার প্রিয় যাহা নিধুম বহি ঝা রক্তপন্ের হ্যায় কাস্তিযুক্ত-_তাহা আগ্রেয় অর্থাৎ অগ্রিপ্রিয় শান্্কারের। এইকূপে মুক্তা সকলের জাতি বেবতা নির্ণয় করিয়া! গিয়াছেন। এরূপ দেবতা নির্ণয়ের উদ্দেস্ত কি? তাহা আমরা! বুঝিনা যাহাই হউক, ৯১৯১ ২৭

২৪ | রত্ব-রহস্ত |

এক্ষণে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর মুক্তার যে সকল গুণাগুণ বর্ণনা! আছে, সে সকলের প্রতি মনোনিবেশ কর! যাউক। মুক্তার সাধারণ গুণ দোঁষ।

মত্্তপুরাণের মতে মুক্তাফলের গুণ প্রধনতঃ আটটী এবং দৌষও প্রধান কল্পে ১০টি। তন্মধো ৪টি মহাদোষ এবং ৬টি মধ্যম দে(ষ। ইহার মধ্যে অগ্রে গুণগুলির বর্ণনা কর! ঘ/ইতেছে। গুণগুলি বল! হইলে পশ্চ।ৎ দোষের বিষয় ব্ণিত হইবেক।

গুণ যথা--

“মুতারঞ্চ সুবৃত্তধ্চ স্বচ্ছঞ্চ নির্ম্মলন্তথ। ৪। ঘনং িগ্ধঞ্চ সচ্ছায়ং তথাহস্ফুটিত মেব চ। “অষ্টৌ গুণাঃ সমাধ্যাতা মৌক্তিকানামশেষতঃ 1৮ মত্ম্তপুরাণ। রতুতত্ব'বৎ পণ্ডিনেরা মুস্তাফলের থে ৮টি মহাগুণ নির্ণয় করিয়াছেন, তাহার প্রত্যেকের নাম এই-স্ুতার (১) সুবৃত্ত (২) স্বচ্ছ (৩১ নির্মল (৪) ঘন (৫) অিগ্ধ (৬) সঙ্ছায় ১৭) অস্ক,টিত ৮:। “ন্কতার" নামক গুণ কাহাকে বলে? তাহা শুন-- “তারকাছ্যতিসংকাশং স্থতারমিতি গছ্যতে 1” গগনমণ্ডলস্থ তারকার[জির স্ত।য় ছাতিবিশিষ্ট হইলে, মুক্তার সে গুণটির নাম “ম্তার |” এই স্ুতার মুক্তা অতি ছুর্নভ। সুবুত্তগুণ কি? তাহাঁও উক্ত হইয়াছে বথা-_ “সর্ব্বতোবর্ত,লং যচ্চ সুবৃত্তং তন্লিগগ্ভতে |” যাহ! সকল দিকে সমান সুগোল তাহ! “নমুবৃত্ত 1৮*% ন্বচ্ছ-গুণের লক্ষণ এই যে,-_“ন্বচ্ছংদে।ষবিনিন্ুক্তিং 1” অর্থাৎ চারি প্রকার মহাদোষ ছয় প্রকার মধ্যম দোষ না থাকিলে তাহা “হচ্ছ” আখ্যা প্রাপ্ত হয়। নিন্মলগুণ কি? তাহাও শুন-__“নিম্মলং মলবর্জিতং।* মলরহিত হইলেই তাহা *নিম্মল ;% ইহা সকলেই বিদিত আছেন।

* মুত্তণফলের গঠন নানাপ্রকীর (নিম্বফল, ছিপিটক, ধান্ত প্রভৃতি ) হইয়। থাকে, তন্মধ্যে স্ববৃত্তগুণের মুস্তা অতি মূল্যঘান্‌। ৯১৯২

বুত্রশ্রহস্ত |

ঘনগুণ যথা-_- “গুরুত্ব তুলনে যন্ত তদ্ঘনং মৌক্তিকং বরম্।% যাহা ওজনে ভারি তাহা “ঘন” এই ঘন গুণবিশিষ্ট মুক্তা সর্ব [পেক্ষা শ্রেষ্ঠ। শ্নিপ্ধগুণ যথা-_ “স্সেহেনৈব বিলিপুং যত্তৎ নিপ্ধমিতি গগ্চতে ।% যাহ! স্নেহ. (ঘ্ৃত তৈলাি) অক্ষিতের স্যায় দেখায়, তাহা “কিদ্ক” নামে খ্যাত সচ্ছায়গুণ যথ1-_ “ছ|য়াসমনিতং যচ্চ সচ্ছাঁয়ং তন্নিগঞ্ভতে |” যে মুক্তার কোন না কোন ছায়া কান্তি) বর্তমান থাকে, তাভা “স্বস্ছায়” নমে কথিত হয়। (মুক্তাফলের ছায়া কি? তাহা ছায়/পরীক্ষাস্তলে বল। যাইবে ।) অশ্ফুটিতগুণ যথা-_ “ত্রণরেখাবিহীনং ঘত্তৎ স্তাদস্ফুটিতং শুভম্‌।” যে মুক্তায় ব্রণ অর্থাৎ কোন প্রকর ছিদ্রাকার চিহ্ন নাই বা কেন প্রকার রেখা নাই, সেই (বেদ[গ)। মুক্তা “অস্ফুটিত” বূলিয়। গণ্য এবং তাহা অতীব শুভদায়ক। বস্ততঃ বেদাগ মুক্তাই মুল্যবান ছুশ্াপ্য। অগ্নিপুরাণের রত্রপরীক্ষা প্রকরণে মুক্তাফলের প্রধান কল্পে চাঁরিটী গুণের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। যথা এবুত্তত্বং শুরুত। ন্বচ্ছং মহত্তং মৌক্তিকে গুণাঃ।” বস্ততং এই চারি গুণের দ্বারাই মুক্তার মূল্যের তারতম্য নির্ধারণ করা হইয়া থাকে | মুক্তাসন্বন্ধীয় নির্দিষ্ট ৮টি গুণের কথা বল! হইল; বস্ততঃ এতডিন্ন আরও কয়েকটি মহাগুণ আছে যাহা থাকিলে রত্ুতস্ব-পরীক্ষকেরা তাদৃশ মুক্তাকে মহা- রত্ব বলিয়! বিবেচন1! করিয়া থাকেন। সেই কয়েকটি মহাগুণ এই-- "ত্রাজিষণু কোমলং কান্তং মনোজ্ঞং স্ফ-রতীব চ। স্ববতীব স্বত্বানি তন্মহ।রত্বসংজ্তিতম্‌ ॥৮” “শ্বেতকাচসমাঁকারং শুভ্রংশুশ হযোজিতম্‌।% “শশিরাজ প্রতিচ্ছায়ং মৌক্তিকং দেবভৃষণম্।” ১ল৩

১৯ রৃত-রহস্থা

ভাজিষু_দীন্তিবিশিষ্ট | কোমল লাবণ্যবুক্ত। কাস্ত-_ইচ্ছোদ্রেককীরি- গুণবিশিষ্ট। মনোজ্ঞ__মনোহর। বদ্দি এই সকল গুণ থাকে, আর ক্ফ,রণ থাকে অর্থাৎ যদি আলোক বহির্গত হওয়ার স্টায় অথব! তেজ গলিয়া! পড়ার স্তায় দেখায়, তবে তাদৃশ মুক্তা মহারত্ব বলিয়৷ গণ্য হয়। এবং যে মুক্তা স্বচ্ছ স্থশুভ্র কাচের সদৃশ নির্মল চন্দররশ্মিতুল্য প্রভাযুক্ত হয়, সে মুক্তা দেবভূষণ অর্থাৎ ছুল্পভ। ফলতঃ গ্রন্থাস্তরে উত্তম মুক্তার অন্তবিধ লক্ষণও নিরণীত আছে তগ্যথা-- *প্রমাণবদেগীর বরশ্িষুক্তং সিতং সুবৃত্তং সমনুক্মারন্ধ ম্‌। অক্রেতুরপ্যাবহতি প্রমোদং ষন্সৌক্তিকং তদগুণবৎ প্রদিষ্টম্‌॥৮ প্রমাণবৎ--নর্থাৎ "দেখিতে বড়। “গৌরব+-'অর্থাৎ ওজনে ভারি “রশ্মি -_অর্থাৎ তেজো ময়-লাঁবণ্য যর্দি এই কয়েকটা গুণ থাঁকে, আর বর্ণ শুভ্র, গঠনে স্থগোল, ছিদ্রে সমান সুক্তা থাকে, দেখিলে অক্রেতারও আমোদ উপস্থিত হয়, তাহা হইলে সে মুক্তাকে গুণবৎ বলিয়া গণ্য করিবে। মহর্ষি শুক্রপ্রোক্ত রত্বপরীক্ষায় নিয্ললিখিত প্রকারে মুক্তার ভাল মন্দ নির্ণয়

করার উপদেশ আছে। যথা-_ “কৃষ্ণ সিতং পীতরক্তং ছিচতুঃসপ্তপঞ্চকম্‌। ত্রিপঞ্চসপ্তা বরণ-মুত্তরো ততরমুত্তমম্‌। কুষ্ণং সিতং ক্রম(ৎ রক্তং পীতস্ত জরঠং বিছুঃ | কনিষ্ঠং মধ্যমং শ্রেষ্টং ক্রমাৎ শুক্ত,যদ্তবং বিঃ ॥৮ কৃষ্ণবর্ণ, শুভ্রবর্ণ, পাতরক্তবর্ণ, এবং ২। ৪| কুঁচ, ৩৫।৭ আবরণ হইলে পুর্ব পুর্ব প্রকার অপেক্ষা পর পর প্রকারের মুক্তা উত্তম। কৃষ্ণবর্ণ, শ্বেতবর্ণ, রক্তব্্ণ, শুক্তিমুক্তা যথাক্রমে কনিষ্ঠ অর্থাণ্ হীন, মধ্যম, শ্রেষ্ঠ ীতমুক্ত! জরঠ বা! জঠর বলিয়! গণ্য। “নক্ষত্রাভং শুদ্ধমতান্তমুক্ত: নিগ্ধং স্থুলং নির্মশলং নিব্র ণঞ্চ। ্স্তং ধত্তে গৌরবং যত্ত,লায়াং তিম্শাল্যং মৌক্তিকং সৌখ্যদায়ী ॥” যাহা দেখিতে নক্ষত্রের ন্যায়, অত্যন্ত পরিশুদ্ধ, নিগ্ধ, স্থুল, নির্মল, ব্রণরহিত, এবং যাহা তুলাযস্ত্রে স্থাপন করিলে, অধিকতর ভারি হয়, সে মুক্তা বহুমূল্য সুখপ্রদ রাসায়ণিক-গুণ। “মৌন্তিকঞ্চ মধুরং সুশীতলং দৃষ্টিরোগপ্রশমনং বিশ্বাপহম্‌। রাজংক্ষপরিকোপনাশনং ্ষীণবীর্্যবলপুষ্টবর্ধনম্‌ 1

৯৪8

রত্ব-রহশ্ত।

মুক্তা মধুররস শীতল-গুণবিশিষ্ট, চক্ষুরোগের উপকারী, বিষনাশক রাজযক্গ রোগের সমতাকারী এবং ক্ষীণ ব্যক্তির বলবীর্ধ্যপুষ্টিবৃদ্ধিকারী এই সকল গুণ ভিষকক্রিয়ায় উক্ত হইয়াছে ধারণের সহিত গুণের সম্পর্ক নাই।

রত্বশান্ত্রে এইরূপ মুক্তাসন্বঘ্ীয় বুতর গুণাগুণের বিচার দৃষ্ট হয়। গ্রস্থবৃদ্ধির ভয়ে সে সমুপায়ের উল্লেখ করা হইল না সুক্তাসন্বদ্ধীয় যে সকল দোষের উল্লেখ আঁছে, তন্তাবতের মধ্য হইতে অগ্রে গরুড়পুরাণে।ক্ত কয়েকটি প্রধান দোষের বণনা কর! যাইতেছে

মুক্তাসন্বন্ধে যে সমস্ত দোষ আছে, তন্মধ্যে ৪টি মহাঁদৌষ, ৬টি মধ্যম দোষ, তস্ভিন্ন ছুই একটি ক্ষুদ্র দোষও আছে যথা

“চত্বরঃ স্থামহাদোষাঃ ষন্মধ্যাশ্চ প্রকীন্তিতাঃ। এবং দশ সমাখ্য।তান্তেষাং বক্ষ্যামি লক্ষণ্ম্‌ ॥% “গুক্তিলগ্নশ্চ মত্শু/ক্ষোজঠরঞ্চ1তিরন্ত কম্‌। ত্রিবৃত্তঞ্চ চিপীটঞ্চ ত্র্যশ্রং কশকমেব চ। কৃশপার্খ্মবৃত্তঞ্চ মৌক্তিকং দৌববস্তবেৎ ॥*

মুক্তাসম্বদ্ধে চাঁরিটি মহাদোষ এবং ছয়টি মধ্যম দোষ আছে। সর্বসমেত দশটি দোষ বত্বপরীক্ষকগণ কর্তৃক সমাধ্য।ত হইয়াছে দেই দশটি দোষের নাম লক্ষণ যণাক্রমে বল! যাইতেছে।

শুক্তিলগ্ন, মত্স্ত।ক্ষ। জরঠ ব। জঠর অতিরক্ত ; এই চারিটি মহাদোষ বলিয়! গণ্য ত্রিবৃত্ত, চিপীট, ত্র্যশ্র, কূশ, কৃশপার্খ অবৃত্ত_এই ছয়প্রকার দোষ মধ্যম বলিয়া! খ্যাত। প্রথমোক্ত গুক্তিলগ্র মত্স্ত/ক্ষ প্রভৃতির লক্ষণ।দি কিরূপ, তাহা! সেই গরুড়পুরাণেই নির্দিষ্ট আছে যথা--

শুক্তিলগ্ন--

“যত্রৈকদশে সংলগ্রঃ শুক্তিখণ্ডে। বিভাব্যতে। শুক্তিলগ্নঃ সমাখ্যাতঃ দৌষঃ কুষ্ঠক।রকঃ ॥৮

যে মুক্তার কোন এক প্রদেশে বা কোন এক অংশে ভগ্নঞ্ুক্তিখণ্ড ( বিন্ুকের শব্ক ) সংশ্লিষ্ট থাকে, তাহ পগুক্তিলগ্র” নামে খ্যাত এবং তাহা কুষ্ঠরোগের

আকর্ষক। | ৯৯৫

২৮ রত রহ্স্তা |

মত্স্তাক্ষ-_ “মীনলোচনসক্কাশে দৃশ্ঠতে মৌক্তিকে তু যঃ। মত্ভ্াক্ষঃ তু দোষঃ সতত পুভ্রনাশকরৌঞ্জবম্‌ ॥” কোন কোন মুক্তায় মতন্তের চক্ষুর স্ায় এক প্রকার চিহ্ন ( বাঁ আভা) দেখা যাঁয়। সেই দৃশ্ঠের নাম মতস্তাক্ষ এই মতস্তাক্ষমুক্ত। ধারণ করিলে ধারণকর্তার পুভ্রনাশ হইয়। থাকে।

জরঠ বা জঠর। - “দীপ্তিহীনং গতচ্ছায়ং জরঠং তদদিদুরধাঃ | তন্মিন্‌ সন্ধারিতে মৃত্যুর্জয়তে নাত্র সংশয়ঃ ॥” যাহার দীপ্তি ছায়া ন[ই, তাহার নাম 'জর১", বা “জঠর ।৮ এই জরঠ- জ।তীয় মুক্তা ধারণ করিলে মৃত্যু হইয়।৷ থাকে অতিরক্ত--. “মৌক্তিকং বিদ্রমচ্ছায়মতিরক্তং বিদুবুর্ধা | দারিদ্রজনকং ঘম্ম(ৎ তশ্মাতৎ পরিবজ্জয়েৎ ॥” কোন কোন স্থানের মুক্তায় প্রবালের ন্যায় রক্াভা জন্মিয়। থাকে সেই সকল মুক্তা রত্রশীন্তে “অতিরক্ত'” নামে নির্বাচিত হয়। তাহা ধারণ করিলে দরিদ্রতা জন্মে ; সুতরাং তাহা বজ্জন করাই বিধেয়। ত্রিবৃত্ত-_ “উপধুণপরি তিষ্ঠস্তি বলয়োযব্র মৌক্তিকে। ত্রিবৃত্বং নাম তত্তে।ক্তং সৌভাগ্যক্ষয়কার কম্‌ ॥” যে সুক্তাঁয় উপধুর্ণপরি বলি অর্থাৎ স্তরের ন্যায় রেখা! দেখা যাঁয়, তাহার নাম এতরিবৃত্ত” এই ত্রিবৃত্ত-মুক্তা ধারণে সৌভাগ্য ক্ষয় হইয়! থাঁকে।

চিপীট--- “অবৃত্তং মৌক্তিকং যচ্চ চিপীটং তন্িগগ্তে | মৌক্তিকং ধিয়তে যেন তন্ত।কীন্তিভবেৎ সদ! ॥৮, যাহা অবত্ত অর্থাৎ সুগোল নহে, তাহা “চিগীট'” বলিয়া উক্ত হয়। যে মনুষ্য এই প্অবুভ্ত” বা চিলীট” (চ্যপ্টা ) মুক্তা ধারণ করে, সে সর্বদাই অযশোভাগী হয়। ১৭৩

রত-রহস্ত ২৯

ক্র্যশ্র--- দত্রিকো ণং ত্রাশ্রমাখ্য তং সৌভা গ্যক্ষ়কাঁরকম্‌ 1” ভ্রিকোণ।কারে ষে মুক্তার গঠন নিষ্পন্ন হয়, তাহ! “ক্র্যশ্র” নামে খ্যাত ত্র্যশ্র মুক্তা সৌভ[গ্যের হানিকর কৃণ-_ “দীর্ঘং যন্তৎ কণং প্রোক্তং প্রজ্ঞাবিধবংস কাঁরকম্‌ 1” দীর্থাকার মুক্ত! “কৃশ?” সংস্ঞা গ্রাপ্ত হয়। এই মুস্তা বুদ্ধিনাশক বলিষ৷ প্রসিদ্ধ, স্থৃতরাং ইহাঁও অগ্রাহ্য কৃশপার্খ_ “নির্ভগ্নমেকতো যচ্চ কুশপার্খং তদ্ুচ্াতে 1৮ যাহার কোন এক প্রদেশ বা অংশ ভগ্ন বা ভগ্রপ্রায় অথবা বক্র বা বন্ধুর, তাহাকে “কিশপার্থ বলা যায়। এই রুশপন মুক্তাও নিন্দনীয় ১০ অনুত্ত-_- “অবৃত্তং পিড়কোপেতং সর্ধসম্পত্তিহারকম্।” পিড়কাধুক্ত * মুক্তাকল “অনুত্ত+” ন।মে ব্যবহৃত হয়। এই অবুত্তমুক্তা ধারণ করিলে মকল সম্পত্তি নষ্ট হয়। “বছিচ্ছায়ং মৌক্তিকং বাঙ্গকায়ূম্‌ শুক্তিষ্পর্শং রক্ততাধ্।তিধত্তে মৃত্ন্াক্ষাঙ্কংরুক্ষমুস্তীননঅং নেতদ্ব।ধ্যং ধীমত দে ষদাঁয়ি ॥৮ যে মুক্তায় ছুই প্রকার ছায়া বা বর্ণ থাকে, যাহার অবয়ব বিকল, যাহার গাত্রে শুক্তির অংশ থাকে, যাহা অতি রক্তবর্ণ, যাহা মধ্শ্তচক্ষুচিহ্নে অঙ্কিত, যাহা রুক্ষ যাহ উত্তান অর্থাৎ উচু, যাহা নম্র অর্থাৎ নেওলা, বুদ্ধিমান ব্যক্তি এরপ মুক্তা ধারণ করিবেন না। যেহেতু উক্তরূপ মুক্তা ধারণ করিলে দোষ হয়। এরূপ মুক্তা সকল কেবল ওষধের জন্যই গৃহীত হয়, ধারণের জন্য নহে। অতঃপর বক্তব্য এই যে, মুক্তাসন্বন্ধে গুণ দৌষ-_যাহা পুরাতন বত্রতত্ববিৎ পণ্ডিতের! নির্বাচন করিয়া গিয়াছেন, তাহার সমুদয় সঙ্ধলন কর! ছুঃসাধ্য

পি

সং ফুসকুড়ির সায় চিহনকে পিড়কা বলে ১৯৭

৩৬ রড্ু-র্হল্য | নিশ্রয়ো্জন। বিধায় অবন্ঠ জ্ঞাতব্য স্কুল স্থুল বিষয়গুলি সংক্ষেপে ব্যক্ত করা হইল। পুর্বে যে, মধ্যে মধ্যে মুক্তাসম্বন্ধীয় ছায়া$ও কান্তির কথা বল! হইয়াছে, এক্ষণে তাহারই বর্ণনা করা আব্তক হুইতেছে। কান্তির ছায়ার প্রভেদ এই যে, যুক্তার লাবণ্যবিশেষের নাম পকান্তি* আর বর্ণবিশেষের নাম পছাঁয়া% | £“ভরতরস প্রকরণ” নামক গ্রন্থে মুক্তফলের কান্তির সহিত স্ত্রীশরীরের লাবণ্যের উপমা দিয়! কান্তিশব্দের অথ বুঝান হইয়াছে সেই গ্রন্থে ব্লা হইয়াছে যে, মুক্তাতে যে এক প্রকার টলউলে চিন্কণভাব তৃষ্ট হয়, তাহাই স্ত্রীশরারের লাবণ্য। অতএব, উক্ত দৃষ্টান্তের দ্বারা পাঠকগণ বুঝুন যে, মুক্তার কাস্তিকি। ফল ল।বণ্যের নাম কান্তি, আর বর্ণের নাম ছায়া সেই ছায়া চারি প্রকার ; যথা__ " *চতুধণ মৌক্তিকে ছায়! গীতা মধুর! দিতা

নীল| চৈব সমাধ্যাতা রত্বতত্বপরীক্ষকৈঃ ॥৮

“গীতা লক্ষ্মী প্রদ্ধা ছায়! মধুরা বুদ্ধিবদ্ধিনী |

শুরু! বশস্করী ছায়া নীল। সৌভাগ্যদ।য়নী ॥"

পৃস্তা ছায়া ভবেদিপ্রঃ ক্ষাত্রয়শ্চারকরশ্মিমান্‌।

গীতচ্ছায়া ভবেৎ বৈশ্ঠঃ শুদ্রঃ রুষ্তরচন্ম্তঃ ॥৮,

বর্ণের স্করণের নাম ছায়া সর্বস মেত মুক্তার চারি প্রকার ছায়া বা বর্ণ- স্করণ নির্দিষ্ট আছে। ীত, মধুর, ( পিঙ্গলপ্রায় ), শুভ্র নীল। রত্ুতত্ববিৎ পৃণ্ডিতেরা এই চারি প্রকার মুক্তাছায়া ব্লিয়! গিয়াছে তন্মধ্যে পীতচ্ছায়। স্ত্ী- সম্পত্তি আনয়ন করে। মধুর ছায়াটা বুদ্ধিবৃদ্ধি করে। শুক্লা যশঃ প্রদান করে; এবং নীল সৌভাগ্য দান করে। মুক্তাসম্বন্ধে প্রধান প্রধান বক্তব্য সকল বলা হইল, এক্ষণে “বেধকাঁধ্য”

“মূল্যকল্পনা'” বলিতে হইবে।

বেধকার্ধ্য ব! বিদ্ধ করিবার বিধি

মুক্তাকে এক প্রকার প্রস্তর বলিলেও বলা যাঁয়। মুক্ত! অতি কঠিন পদার্থ; সুতরাং তাঁহার বেধকার্ধ্য সহজপাধ্য নহে ইচ্ছ। করিলেই' যে ইচ্ছামত ছিত্র করিবে তাহা পারিবে না। গ্রে প্রক্রিয়া বিশেষ দ্বারা কোমল করিয়া লইতে হইবে পশ্টাঁৎ বিদ্ধ করিতে হইবেক। ঢোম়ল করিবার প্রণালী এইরূপ ।-- ১৯৮

রত্শ্রহন্ত | ৩৯

“কৃত্বা পচে স্পিহিতে স্থভদারভাণ্ডে * মুক্তীফলং নিহিতনৃতনশুক্তিকাগুম্‌। স্ফোটস্তথা প্রণিদধীত ততশ্চ ভাগ্ডাৎ -স্থাপ্য ধান্ঠ নচয়ে তমেকমাসম্‌ আদায় তত সকলমেব ততো ন্নভাগ্ুম্‌ 1 জম্বীরজাতরসযে(জনয়া বিপকম্‌। ৃষ্টং ততো! মৃছতনূকৃতপিগুমূলৈঃ কুর্য্যাৎ যথেচ্ছমিহ মৌক্তিকম।শু বিদ্ধম্‌ ॥৮ শুক্তিগর্ভ হইতে মুক্তা আহরণ বা উত্তোলন করিয়, অন্ত এক শুন্তাগর্ভ শুক্তির মধ্যে রাখিয়া পুটিত করতঃ “দার” নামক দ্রব্যের ঘ্বারা ভাগুরচনা করিয়! তন্মধ্যে রাখিবেক। যে পরিমাণ পাকে কিঞ্চিৎ স্ফোটতা ( উচ্ছ,নতা) জন্মে, সেই পরিমাণ প।ক হইলে মুক্তাসকল ভাগ হইতে বাহির করিবে অনন্তর তাহ! একমাস কাল ধান্তরাশিমধ্যে স্থাপন করিবে একমাস পরে সেই সকল মুক্তা অন্নযুক্ত অন্ত ভাগে জামির লেবুর রসসংযোগে পাক করিবে পরে মদনবৃক্ষমূলের দ্বার! সুক্ষ মৃছু কুচী প্রস্তত করিয়! তদ্দারা ঘর্ষণ করিবে এইরূপ করিলে মুক্তীকে ইচ্ছান্ুুরূপ বিদ্ধ বা ছদ্রিত করা যাইনে। এই প্রক্রিয়া কেবল শুক্তিজ মুক্তার প্রতিই বিহিত ভন্ঠান্ত মুক্তাকে বিদ্ধ করা যায় না, অথবা করিবার যোগ্য নহে বলিয়া বত্রশাস্ত্রে তাহার নিষেধ দৃষ্ট হয়। যথা-_- “শঙ্খ-তিমি-বেণু-বারণ-বরাহ-ভূজগাভ্রজাস্তবেধ্যানি অমিতগুণত্বাচ্চৈষামর্থঃ শানে নিদ্দিষ্টঃ ॥” বৃহৎ সংহিতা

এপ পাপা

» এই “দার” দ্রব্যের খাঙ্গাল! নীম কি? তাহা! আমরা জানি না। অভিধানগ্রন্থে দেখা যায়, “দার” নামে একপ্রকার ওষধি আছে। কেহ কেহ “দাঁকুভীণ্ডে” এরূপ পাঠ কল্পনা করিয়! কষ্ঠময় পাত্রে স্থাপন করিবার উপদেশ দিয়। থাকেন। যাঁহাই হউক, কাষ্ঠনির্দিত পাত্রে কিংঘ। কৌন বনজ ওষধিনিশ্মিত পাত্রে মে কিরূপে পাকক্রিয়। সম্পন্ন করিতে হয়, তাহ! আমরা জ্ঞাত নভি। অপিচ+_

কেহ কেহ ““ক্ষে।টং প্রণিদধীত' এই অংশের “ফুট”? দিবেক, একরপ অর্থ করিয়। থাঁকেন। কিস্ত কোন্‌ দ্রব্যের ফুট দিতে হয় তাহ! তাহারা বলিতে পারেন না।

+ “অন্নভাগু” পাঠের পরিবর্তে কোন কোন পুল্তকে “অন্তভাগুম্” এইরূপ পাঠ দেখ! যায়। কোন্‌ পাঠ যথার্থ, তাঁহ! আমর! নির্ণয় করিতে অসমর্থ | ধাহারা মুক্তার শোধনাদি কার্য করিয়া থাকেন, ভীহারাই এরূপ পাঁঠাপাঁঠের বিচার করিবার যথার্থ অধিকারী

১৯৯ ২৮

1 চে

৩২ বৃত্ব-রহন্য |

শঙ্খ, মতন, বাশ, মাতঙ্গ, বরাহ, সর্প মেঘ হইতে যে মুক্ত! উৎপন্ন হয় তাহা অবেধ্য এবং অপরিমিত গুণ বিধায় শাস্ত্রে উহাদের মুল্যেরও নির্দেশ করা হয় নাই। গ্রস্থাস্তরেও লিখিত আছে ঘে_ “বেধ্যস্ত শুক্ত,যস্তবমেব তেষাং শেষান্যবেধ্য।নি বস্তি তজজ্ঞাঃ 1৮ ফলকথা এই ঘে, শুক্তিজ মুক্তাই সুপ্রাপ্য জুখবেধ্য, অন্তান্ত মুক্তা ছুপ্রাপ্য কৃচ্ছবেধ্য। গরুড়পুরাণ বলেন যে,__ “স্বক্সারনাগেন্দ্রতিমি গ্রস্থতং বচ্ছঙ্খজং যচ্চ বরাহজাতম্‌। প্রায়োবিমুক্তানি ভবস্তি ভাস! শস্তানি মাঙগগল্যতয়া তথাপি ॥» বাশ, হস্তী মত্ম্ত-জাত মুক্তা, বরাহজ মুক্ত। শঙ্খজ মুক্তা প্রায়ই নিহ্যতি হয়; কিন্তু তাহা হইলেও সে সকল মুক্তা প্রশশ্ত মাঙল্যজনক বলিয়া গ্রাহ্‌।

শোধন-বিধি।

গুক্তিগর্ভে থাক! অবস্থায় মুক্তার ওজ্জল্য স্ুকাস্তি থকে ন। মণিকা বেরা প্রক্রিয়াবিশেষদ্বারা৷ তাহার মালিন্ দুর করিয়! অতি উত্তম কাস্তিযুক্ত করিয়া লয়। গরুড়পূরাণ যুক্তিকল্পতরু প্রভৃতি গ্রন্থে মুক্তার ওজ্জল্যবৃদ্ধি নির্মলীকরণসন্বদ্ধে এইরূপ উক্তি আছে। যথা--_ মুলিগুমৎস্তপুউম্ধ্যগতঞ্চ কৃত্বা, পশ্চাৎ পচেতৃন্থু ততশ্চ বিতানপত্যা ছগ্ধে ততঃ পয়সি তদ্বিপচেৎ স্ুধায়াং পক্ষস্ততোহপি পয়স! শুচি চিকণেন শুদ্ধং ততে। বিমলবন্ত্রনিঘর্ষণেন স্তান্ৌক্তিকং বিমলসদ্ৃগুণকা্তিযুক্তমূ। অর্থ এই যে, মুক্তাস কল মৃত্তিকা'লিপ্ত মতস্তপুটযন্ত্রের মধ্যে রাখিয়া উশীরমূলযুক্ত হপ্ধে পাক করিবে তৎপরে উষ্ণজলে প্রক্ষেপ, পরে সুধ! অর্থাৎ চুর্ণদ্রবে পাক তৎপশ্চাৎ পুনরপি কেবল জলে পাক করিবে অনন্তর নির্দল, শুভ্র শৃঙ্গ বস্তরের দ্বারা মার্জন করিবে। এইরূপ প্রক্রিয়ার! মুক্তীসকল নির্মল উত্তম

ওজ্জল্যমুক্ত হয়, এবং সদ্গুণ সুকান্তি ধারণ করে*।

যুক্তিকল্পতরুধৃত বচনের সংস্কৃতানুরূপ অর্থ ব্যক্ত কর! গেল; পরস্থ মুক্তাবাবসায়ীর৷ যে কিক্নপ করিয়। থাকেন তাহ! আসর! অনুসন্ধান করি নাই উক্ত বচনের " ধা? শবের পরিধণ্ডে “সরা” শব পাঠ করিতেও দেখা যায়।

২৪০৩

রতু-রহন্ |

কৃত্রিমতা-পরীক্ষ। মুক্তা অতি মূল্যবান সুন্দর পদার্থ। ভারতবাসীরা ইহাকে মহারত্ব বলিয়! আদর করিয়! থাঁকেন। আদর মূল্যের আধিক্য দেখিলেই ধনপিপ'ম্থাগণের লোভ বৃদ্ধি হয়। তংসঙ্গে তাহার কৃত্রিমতাঁও ঘটে মুক্তাও মুলাবান্‌ আদ- রের বস্তু বলিয়া ছুষ্টলোকের! তাহা কৃত্রিম করিয়া থাকে যুক্তিকল্পতরুকার ভোজদেব লিখিয়ছেন যে, দিংহলদেশের কৌশলী মনুষ্যেরা অতি আশ্চর্য্য কৃত্রিম মুক্তা প্রস্তত করিয়! ক্রেতাদিগের মনোহরণ করিয়া থাকে তাহার! কাচের ন্যায় শুভ্র “তার” অর্থাৎ রজতে ততশতাংশ হেম (স্তুবর্ণ ) যোগ দিয়া পাঁরদমধ্যে রঙ্গা- করতঃ এক প্রকার মুক্তা প্রস্তুত করিয়া থাকে সে মুক্তা দেহভূষণমাত্র, ফলা- ফল কিছু নাই* | যুক্তিকল্পতরু বলেন, মুক্তায় যদি কৃত্রিমত! সন্দেহে হয়, তবে তাহার পরীক্ষার্থ এইরূপ প্রক্রিয়ার আশ্রয় লওয়া আবশ্তক। যথা-_- “্যন্মিন্‌ কৃত্রিমসন্দেহঃ কচিদ্তবতি মৌন্তিকে উষ্ণে সলবণে স্নেহে নিশাং তদ্বাসয়েজ্জলে ব্রীহিভিন্মর্দিনীয়ং ঝ| শুধ্কবস্ত্রোপবেষ্টিতম্‌ যত্তু নায়াতি বৈবর্যং বিজ্ঞেয়ং তদরুত্রিমম্‌। যদি কোন মুক্ত! কৃত্রিম বলিয়া সন্দেহ হয়, তবে তাহ! জপ উঞ্ণ সলবণ স্নেহে অর্থাৎ লবণাক্ত তৈল কিন্বা ঘৃত প্রভৃতির মধ্যে একরাত্র রাঁখিয়! দেখিবেক | অথবা গুফবন্ত্রের মধ্যে রাখিয়া! ধান্যদ্বারা ঘর্ষণ করিবেক। এইরূপ করিলে যদি বিবর্ণ না হয় তবেই সে মুক্ত! অকৃত্রিম নচেৎ কৃত্রিম বলিয়া জানিবে। “ব্যাড়ির্গাদ জগতাং হি মহাপ্রভাবঃ সিন্ধোব্গ্জোহিততত্পরম! দয়ালুঃ 1৮ সিংহুলীয় শিল্পীরা যেমন নানা উপাদানে কৃত্রিম মুক্তা প্রস্তুত করিতে পারিত, তেমনি বাড়ি প্রভৃতি মুনিরা তাহার নানা প্রকাঁর পরীক্ষ! করিতে পারিতেন। কল্পক্রমধৃত যুক্তিকল্পতরণগ্রস্থে কৃত্রিম মুক্তাপবীক্ষাসম্বদ্ধে অন্ত কয়েকটি বচন লিখিত হইয়াছে কর্তব্যবোধে স্থানে সেগুলিও প্রদত্ত হইল। বথা-_

* “শ্বেতকাচসমং তাঁরং হেমীংশশতযোজিতম্। রসমধ্যে প্রধার্যেত মৌক্তিকং দেহতূষণম্‌॥ এবং হি সিংহলে দেশে কৃর্ব্বস্তি কুশল! জনা:”--ইত্যাদি গরুড়পুরাণ দেখ। ঞ৯

৩৪ র্ব-রহ্শ্তা।

“ক্ষিপেৎ গোমুত্রভাণ্ডে তু লবণক্ষারস ংঘুতে

স্বেদয়েদ্বহন। বাপি শুফবন্ত্রেণ বেষ্টয়েৎ

হস্তে মৌস্তিকমাদায় ব্রীহিভিশ্চোপঘর্ষয়েৎ।

কৃত্রিমং ভঙ্গমাঞ্পোতি সহজঞ্চাতি দীপ্যতে ॥৮

কৃত্রিম কি অকৃত্রিম, সন্দেহ হইলে তাহা! লবণ ক্ষারসংবুক্ত গোমৃত্রভাণ্ডে

ফেলিয়া রাখিবেক, অথবা বহ্ছিদ্বার! শ্বেদ ( তাপ ) লাগাইবেক। অনন্তর শুক্ষবন্তে বেষ্টিত করিয়। পশ্চাৎ তাহা হস্ততলে রাখিয়া ধান্যের সহিত মদ্দন করিবেক। যদি কৃত্রিম হয়, তবে ভাঙ্গিয়া যাইবেক, আর যাঁদ অকৃত্রিম হয়, তবে তাহা ভাঙ্গিবে না, প্রত্যুত নির্মল দীপ্তিযুক্ত হইবেক।

প্রকারাস্তর।

“লবণক্ষারক্ষোদিনি পাত্রেহজগোমৃত্রপুরিতে ক্ষিপ্তম্‌। মর্দিতমপি শালীতৃবৈর্ষদবিকৃতং তৎ জাত্যম্‌ ॥", লবণ ক্ষারচূ্ণযুক্ত পাত্রে ছাগমুত্র কি গোমৃত্রপুর্ণ পাত্রে ফেলিয়া রাখি- বেক। পরে তাহ! উঠাইয়া শালী ধানের তুষে মর্দন করিবেক। ইহাতে যদি বিকৃত প্রাপ্ত ন! হয় তবে তাহ! জাত্য মুক্তা, আর বিকৃত হইলে কৃত্রিম মুক্তা

প্রকারাস্তর।

“কুর্বন্তি কৃত্রিমং তদ্ৎ সিংহলদ্বীপবাসিনঃ |

তৎসন্দেহবিনা শার্থং মৌক্তিকং সুপরীক্ষয়েৎ

উষ্চে সলবণন্সেহে জলে নিশ্যুষিতং হি তৎ।

ব্রীহিভিমর্দিতং নেয়াৎ বৈবর্যং তদরুত্রিমম্‌

শুক্রনীতি। সিংহলঘ্বীপবাসীরা! কৃত্রিম মুক্তা প্রস্তুত করিয়! থাকে অতএব মুক্ত! দেখিলে, ক্রিম কি জাত্য? এরূপ সন্দেহ হয়। সেই সন্দেহভঞ্জনের নিমিত্ত মুক্তাকে উত্তমরূপে পরীক্ষা করিতে হয়। লবণীক্ত তৈল কি ঘ্ৃতকে উষ্ণ করিয়া তন্মধ্যে মুক্তাটা রাখিবেক পরে জলমধ্যে নিক্ষিপ্ত করিয়৷ রাত্রিবাসিত করিবেক অন- স্তর তাহাকে ধান্ের সহিত একত্রে মর্দিত করিবেক। ইহাতে যদি বিবর্ণ না হয় তবেই তাহা অকৃত্রিম বলিয়! জানিবে। ২০২,

রতুশ্রুহস্ত | ৩৫ মুল্যব্যবস্থ! |

যুক্তিকল্পতরু, গরুডপুরাণ, বৃহৎসংহিতা, শুক্রনীতি অগ্নিপুরাণ প্রভৃতি গ্রন্থে মুক্ত।র দোষ, গুণ, শোধন বিধি প্রন্ৃতি যেরূপ বিচারিত হইয়াছে, তাহা বল! হইল। এক্ষণে মূল্যের ব্যবস্থা কিরূপ? তাহা বলা যাইতেছে। পূর্বকালে ভার, তেজ, কাঁস্ত এবং অন্তান্ত গুণনিচয় (যাহা পুব্বে নির্ণীত হইয়াছে ) অনুসারেই মুক্তার মূল্য বধারণ কর! হইত। এখন আর প্রায় সেরূপ প্রথা দৃষ্ট হয় না। পূর্ববকালে যেরূপ আকারের মুক্তা যে পরিমাণ মুল্যে বিক্রীত হইত, তাহ! বৃহৎ্সংহিতা প্রভৃতি পূর্বোক্ত গ্রন্থাবলীর বচননিচয় আলোচনার ছার জানা যায় বথা-_ “ম।ষকচতুষ্টয়ধৃতস্তৈকস্য শতাহতা ত্রিপঞ্চাশৎ | কার্ষাপণ! নিগদ্িতা মুল্যং তেজোগুণযুতস্ত ॥৮ মাঁষক*্ পরিমিত অর্থাৎ ২০ রতি ওজনের মুক্ত! যদি সতেজ, সুতার স্ুবুন্ত ( সুগেল ) হয়, পুর্কোক্ত গুণনিচয়ে সুশে।ভিত হয়, তবে তাহার মূল্য শত- গুণিত ত্রিপঞ্চাশৎ কার্ধাপণ অর্থাৎ ৫৩০৯০ কাহন কড়ি। এস্থলে যুক্তিকল্পতরুর মত এইরূপ--- “একস শুক্তি প্রভবস্ত শুদ্ধমুক্তামণেঃ শাণকসম্মিতস্য মূল্যং সহস্রা'ণ কপন্দকানি ত্রিভিঃ শতৈরভ্যিকাঁনি পঞ্চ ॥% শুক্তিজাত বিশুদ্ধমুক্তামণি যদদি শাপ অর্থাৎ মাষা পরিমিত হয়, তবে তাহার একটির মূল্য অধিক তিনশত সহত্র কপর্দক। অপিচ-_ “যন্মাষকার্ধেন ততো বিহীনং চতুঃসহত্রং লভতেইস্ত মূল্যম্‌ 1” তাদৃশ গুণযুক্ত মুক্তা যদি ওজনে তদপেক্ষ। অদ্ধমাষা ন্যুন হয়, তবে তাহার মুল্য চারি সহম্র কপর্দদক হইবে। এস্থলে বুহৎসংহিতার মত এই রূপ--

পপ পাপন

% “মাধ” শব্দের অর্থ অনেক মাঁষশবে তন্নামক কলায় পরিমাগবিশেষ বুঝাইয়! থাকে পরিমাণসন্বন্ধেও নানা মত দুষ্ট হয়। এখানে মাধশবের অর্থ গুঞ্জ। পরিমাণ গ্রহণ করিতে হই- বেক। যেহেতু মণি মুক্তাসন্বন্ধে এরূপ পৰ্গিমাণ গ্রহণ করিবার জন্য যুক্তিকল্পতরুগ্রন্থে বিস্পষ্ট উক্তি আছে। যথা--“পঞ্চভিমধকো! জ্ঞেরো! গুপ্রাভিমীষকৈস্তথা চতুডিঃ শাণমাখ্যাতিং মাষ- কৈমণিবেদিভিঃ ॥”

২৩৩

সদ লিপি

৩৩ রতব-রহুস্ |

' মাধকদলহাগ্ঠাহতো দাত্রিংশৎ বিংশতিন্ত্রয়োদশ চ। অষ্টৌ শতানি শতত্রম্ং ব্রিপঞ্চাশত। সহিতম্‌ পূর্বোক্ত মাষা পরিমাণ হইতে যদি মাষকদল অর্থাৎ একমাষার এক চতুর্থাংশ হীন হয়, তবে তাদৃশ অর্থাৎ ৩। মাষা পরিমিত মুক্তার মূল্য ৩২২০১৩1৮*০।৫৩। কার্ঝাপণ। “যন্মাষকাংস্ত্ীন্‌ বিভূয়াৎ গুরুত্তে দ্বে তশ্ত মুল্য পরমং প্রদিষ্টম্‌।” যে মুক্তা গুরুত্বে মাষা পরিমাণ হয় তাহার মূল্য ছুইসহস্র কার্ষাপণ। পূর্ববক(লে এইরূপ নিয়মে কপর্দক অর্থাৎ কড়ির বিনিময়ে মুক্তারত্ব ক্রীত বিক্রীত হইত। যখন স্বর্ণ, রৌপ্য, কি তাআ্রাদি মুদ্রার বিনিময় আরম্ভ হইয়াছিল তখনও উল্লিখিত কার্ষাপণের নিয়ম ব্যতিক্রান্ত হইত ন1। ভিন্ন ভিন্ন ওজনের মুক্তার ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ অনুসারে রত্বশান্ত্রে যেরূপ মূল্য অবধারিত আছে, সে সমস্ত সঙ্কলন করা এক্ষণে নিশ্রয়োজন। যেহেতু এক্ষণে নূতন প্রথাই প্রবল। তথাপি প্রস্তাবের শেষে মুল্যজ্ঞপক কএকটী বচন তাহার যথাশ্রুত বঙ্গানুবাদ দেওয়া হইল। উীল্লাথত গ্রন্থে মূল্যনিয়ামক কতকগুলি পারিভাষিক শব দৃষ্ট হয় তাহাঁও এক্ষণে নিশ্রয়েজনীয়। কিন্তু সেগুলি এস্থলে ব্যক্ত করিলে “মুক্তা কত বড় হইবার সম্ভব ?” এই এক কুতুহল চরিতার্থ হয়। সেই জন্ত অর্থাৎ কুতৃহল চরিতার্থতার জন্ত এস্থলে সেগুলির উল্লেখ কর! হইল।

গুপ| *** কুচ বা রাত। [হন্কী ৮,৮৮০ ১৩ ধরণ। মাক বা মাষা ... ১১। দার্বিক ... ১৬ ১১ শীণ *., ২০ ১১ * সুপূর্ণ ০১১ ২৯ ১১ কৃষ্ণল গেজা) শিক্য ... ৩০ ১,। রূপক (০) সোম ১১:৪০ ১১|% ধরণ *** ২৪ রতি কলঞ্জ ..* ১০ বূপক।

(মতান্তরে ১০ রতি |)

পপ শাপলা পপ পাপা পাস এপ সস

শী পিসী পক পা

পিপশিশিসসপপীর পিপপাতি শপত পাশা সত শী

* বৃহত্মংহিত্তা যুক্তিকল্পতরুগ্রন্থে পরিমাণবোধক “নিকর” “শীর্ষক” “কুপ্য” *শুর্ণ” প্রস্ৃতি আরও কয়েকটি শব আছে। তদ্দারা অনুমান হয় যে, প্রাচীনকালে কেহ না কেহ উল্লিখিত পরি- মাণেক্ক বৃহৎ মুক্তা দেখিয়াছেন।

০৪

বত্ব"র্হস্য। ৩৭

বৃহৎসংহিত। অপেক্ষা “যুক্তিকল্পতর”” গ্রন্থে মূল্যস্ঘদ্ধে অনেক কথা আছে। রাজ! রাধাকাস্ত দেব বাহাছর শ্বরূত কল্পদ্রমে কেবল যুক্তিকল্পতরুর বচনমাল! সন্নিবেশিত করিয়াছেন, বৃহৎসংহিতাঁর একটি বচনও উদ্ধৃত করেন নাই। বৃহৎ- সংহিতাগ্রন্থে ক্ষুদ্র মুক্তার মৃল্যসন্বদ্ধে কোন নির্ধারিত বিস্পষ্ট নিয়ম না থাকিলেও “মাষক” পরিম।ণ হইতে মূল্যের অতি সুনিয়ম প্রদশিত হইয়াছে। “মাষক” হইতে “শাণ” পধ্যন্ত নামগ্রাহী মূল্য নির্দিষ্ট আছে, কোঁন এক সাধারণ নিয়ম নাই। “শাণ” হইতেই তাদৃশ সাধারণ নিয়ম আবদ্ধীকৃত হইয়াছে যথা--

“শাণাৎপরং মাষকমেকমেকং যাবদ্ধিবর্ধেত গুণৈরপীদম্‌। মূল্যেন তাবৎ ছ্িগুণেন যোগ্যমাপ্েত) হন বৃষ্টিহতেহপি দেশে ॥৮

“শাণ” পরিমাণের পর ওজনে যত মাষা অধিক হইবে, অনাবৃষ্টিহত অর্থাৎ ছতিক্ষ্য দেশেও তাহার 'প্রতোক অধিক মাষার মূল্যের দ্বৈগুপ্য স্থির থাকিবেক। “পঞ্চত্রংশং শতমিতি চত্বারঃ কৃষ্ণলা নবতি মুল্যাঃ | সাঞ্ধান্তিস্রগুঞ্জাঃ সপ্ততি মূল্যং ধৃতং রূপম্‌ ॥৮

বৃহৎ্সিংহত| |

কৃষ্ণল অর্থাৎ গুঞ্লাপরিমিত হইলে ৩৫০০।৯০ মুল্য সার্ধ ত্রিগুঞ্জা হইলে

সপ্তুতি রূপক মূল্য হয়। এইরূপ, “গুঞ্জাত্রয়স্ত মূল্যং পঞ্চাশব্রপকা গুণফুতন্ত | রূপকপঞ্চত্রংশৎ ত্রয়স্ত গুঞাদ্ধহীনন্ত ॥৮ পলদৃশভাগোধরণং তগ্চদি মুক্তানস্য়োদশ সুরূপাঃ। ত্রশতীসপঞ্চবিংশা রূপকসংখ্যাকৃতং মুল্যম্‌ ॥% *ষোড়শকম্ত ছিশতো৷ বিংশতিরূপস্য সপ্ততিঃ সশতা যৎ পঞ্চবিংশতধূতং তস্য শতং ত্রিংশতা! সহিতম্‌ ॥৮ “ত্রিংশৎ সপ্ততি মূল্য চত্বরিংশচ্ছতার্ধি মৃল্যা চ। যষ্টিঃ পঞ্চোনা ব। ধরণং পঞ্চা্টকং মুল্যম্‌ 1” “মুক্তাশীত্যস্ত্রিশৎ শতপ্য সা পঞ্চরূপকবিহীনা দবিত্রিচতুঃপঞ্চশতা দ্বাদশ ষট্পঞ্চক ত্রিতয়ম্‌ ॥৮ /'পিক্কা পিচ্চার্থাধ রচকঃ পিকৃথং ত্রয়োদশাগ্াানাম্‌ সংজ্ঞাঃ পরতোনিগরাশ্চ,া্চাশীতিপৃর্ববাপাম্‌।%

৩৮ রত রহস্য

“এতদগুণযুক্তানাং ধরণধৃতানাং প্রকীন্তিতং মুলাম্‌। পরিকল্পযমন্তরালে হীন গুণা নাং ক্ষয়ঃ কাধ্যঃ ॥৮ “কৃষ্ণশ্বেতকপীতকতাআ।ণমীষদপি ব্ষমানাম্‌। ত্র্যংশোনং বিষমকগীড়য়োশ্চ ষড়, ভাগদলহীনম্‌ ॥৮ তিন রতি প্রমাণ একটী গুণযুক্ত মুক্তীর মূলা ৫" রূপক; আর অর্দহীন তিন অর্থাৎ ২০ গুপ্তা পরি'মত একটা গুণান্বিত মুক্তার মুল্য ৩৫ রূপক ( এই রূপক তৎকালের এক প্রকার রৌপ্যমুদ্রা / | পলের ১০ ভাগের এক ভাগের নাম ধরণ এই ধরণ যদি ১৩ ভাগান্বিত হয় তবে তৎপরিমিত একটা সুন্বর মুক্তার (ওজনে) মূল্য ২৫ রূপক ইত্য।দি ক্রমে ওজনের ন্যনাধিক্য অনুসারে মূল্যের ন্যুনাধিক্য প্রদশিত হইয়াছে অব- শেষে বল! হইয়াছে যে, উত্তম গুণযুক্ত মুক্তার পরিমাণ ক্রমে কথিতপ্রকারে মুল্য নির্দিষ্ট করিবে। পরন্ত তাহার অন্তরাল অর্থাৎ মধ্যবন্তী পরিমাণগুলিতে উক্ত নিয়মের ভাগহা রক্রমে মূল্য কল্পনা করিবেক এবং গুণের হীনত! অনুসারে মূল্যেরও অল্পত। নির্দেশ করিবেক। কৃষ্ণ, শ্বেত, ( লাবণ্যহীন শ্বেত ), পীত, তাঁর বিষম ( অর্থাৎ যাহ! স্ুগোল নহে) মুক্তার মুল্য উত্তম মুল্য হইতে তিন ভাগের এক ভাগ হীন হইবেক এবং অপূর্ণ অল্পবিষম গীড়কাধুক্ত হইলে ভাগের এক ভাগ হীন মূল্য করিবেক। ভোজকৃত যুক্তিকপ্পতরু গ্রন্থে লিখিত আছে যে, “ুল্ষাতিসথক্ষোত্তমমপ্যমানাং ঘন্মৌক্তিক্ানামিহ মূলামুক্তম্‌। তজ্জাতিমাত্রেণ জাতু কাধ্যং গুণৈরহথীনস্ত হি তৎপ্রদিষ্টম্‌ ॥৮ মুক্ত বৃতুশান্ত্ে সুক্ষ, অতিনুঙ্ষা, উত্তম মধ্যমাদি মুক্তার যেরূপ মূল্যাবধারণ করা হইল, তাহা, যে সেযুক্তার জন্ত নহে। মুক্তার যেসকল গুণ বর্ণিত হইয়াছে, ষর্দি সেই সকল গুণ থাকে, তবেই সে মুক্তা নিদ্ধীরিত মূল্যে বিক্রীত হওয়ার যোগ্য “ঘভ্ড চন্দ্র শুসংকাশমীষদিম্বফলাকত। ব্বমূল্যাৎ সপ্গুমং ভাগমবৃত্তত্বল্লভেত তৎ ॥” যে মুক্তা চন্দ্রাংশু অর্থাৎ জ্যোত্গার ন্যায় মধুরগুত্রবর্ণযুক্ত, কিন্তু গারুতি ঈষৎ বিশ্বফলের ন্যায় অর্থাৎ সুগোল নহে, সে মুক্তার মুলা নিদ্দিষ্ট মূল্যের সপ্তম্নভাগের এক ভাগ।

০৬

বতু"র্হস্তা | ৩৯

পূর্ব্বেই বলা হইয়াছে যে, মুক্তার আঁকারগত বৈলক্ষণ্য অনেকবিধ হইয়া! থাকে। মুক্তার গঠন যতই বিলক্ষণ হউক, স্বৃত্ত অর্থাৎ সুগোল মুক্তারই মূল্য অধিক। গোলতার তারতম্যানুসারে বিষমগঠনের মুক্তার মুল্য নির্ণয় করিতে হয়। “গীতকম্ত ভবেদদ্ধমবৃত্তস্য ব্রিভাগতঃ বিষমব্যস্তজাতীনাং ষড় ভাগং মুল্যমাদিশেৎ ॥* গুণযুক্ত অবৃত্ত মুক্তা অপেক্ষ। গীতক জাতীয় মুক্তার অদ্ধ মূল্য হইয়! থাকে। আর বিষম ব্যস্তজাতীয় মুক্তার মুলা প্রকুতাবস্থ মুক্তা অপেক্ষা ছয়ভাগের একভাগ “অদ্ধরূপাণি সক্ফোটাৎ পঙ্কচুর্ণানি যানি চ। অসারাণি যানি স্যুঃ করকাকারবস্তি ॥৮ “একদেশপ্রভাবস্তি সকলাশ্লেষিতানি চ। যানি চাতকবর্ণ'নি কাংস্তবর্ণানি যানি চ। মীননেত্রসবর্ণানি গ্রন্থিভিঃ সংবৃতানি চ। সদ্দোষাণি যানি স্্যস্তেষাং মূল্যং পদাংশিকম্‌ ॥” যে মুক্তা স্ফেটিুক্ত, কি অর্ধরূপ, এবং যে মুক্তা পদ্বচুর্ণ অর্থাৎ চুর্ণবিন্বু- বিলিপ্তের ন্যায় দৃষ্ট হয়, যে মুক্তা সার-রহিত, যাহার আকার, করকার স্তায় যাহার একদেশমাত্র প্রভাযুক্ত, যাহাতে সুক্ষ শুক্তিথণ্ড আশ্নিষ্ট থাকে, যাহার বর্ণ চাতক- পক্ষীর বর্ণের, অথব৷ কাংস্তবর্ণের সদৃশ, যাহা মীননেত্রের স্তায়, যাহা! গ্রস্থিযুক্ত অথবা অন্ত কোন দোষে দুষিত, সে মুক্তার মূল্য প্রকৃত অপেক্ষা একচতুর্থাংশ হীন “পঞ্চভিমণষকোজ্েয়ো গুঞ্জাভিরমাষকৈস্তথা | চতুর্ভিঃ শাণমাখ্যাতং মাষকৈন্দরণিবেদিভিঃ ॥+,

মণিবেত্ারা বলেন যে, গুঞায় মাষা হয়, আর মাধায় এক শাণ হয় (কিন্তু গুক্রনীতির মতে গুঞ্জায় মাষা )।

“'অর্দীধিকদ্বৌ৷ বহতোহস্য মুল্যং ত্রিভিঃ শতৈরভ্যধিকং সহঙ্্ম্‌। দ্বিমাষকো ন্মাপিতগৌরবস্ত শতানি চাষ্টৌ কথিতানি সুল্যম্‌ ॥* ২৯৭ ২৯

৪০ বত রহস্য

শাণ ওজনের উত্তম শুক্তিজ মুক্তার মূলা, ১৩০৫ এবং অর্ধমাষা নান হইলে ৪০০০1 ২০ মাধা হইলে ১৩০০, মাষা হইলে ৭০০ পণ “অদ্ধাধিকংম।ষকসম্মিতস্য সপঞ্চবিংশং ত্রিতয়ং শতানাম্‌। ষন্মাকোন্ম(পিতমানমেকং তশ্ত(ধিকং বিংশতিভিঃ শতং স্তাৎ॥”' ১॥০ মাযা মুক্তার মুল্য ৩২৫, মাঁষ! পরিমিত তাদৃশ মুক্তার মূল্য উল্লিখিত মূল্য অপেক্ষা ১২০ অধিক। “গুঞ্জাশ্চ ষট, ধাঁরয়তঃ শতে দ্ধে মুল্যং পরং তস্য ব্দস্তি তজজ্ঞাঃ। গুঞ্জাশ্চতত্রো বিধুতং শতাদ্বীদদ্ধং লভেতাপ্যধিকং ভ্রিভিব! 1, গুপ্তা ওজনের মুক্তা ২০০ পণ এবং গুঞ্জা ওজনের মূল্য অধিক শতাদ্ধের অদ্ধ' “অতঃ পরং স্তাদ্ধরণ গ্রমাণং সংখ্যাবিনিদ্দেশনিনিশ্য়োক্তিঃ। ত্রয়োদশানাং ধরণে ধৃতানাং তিক্েতি নাম প্রবদান্ত তজজ্ঞাঃ। অধ্যর্ণমাত্রঞ্চ শতং কৃতং স্তাৎ মূল্যং গুণৈস্তস্য সমন্থিতপ্য ॥” “যদি ষোড়শ ভর্ভবেৎ স্ুপূর্ণৎ ধরণং তৎ প্রবদস্তি দাঁধিকাখাম্‌। অধিকং দণভিঃ শতঞ্চ মূল্যং সমবাপ্লোত্যপি বালিশস্য হস্তাৎ ॥” “যদি বিংশতিভিভবে স্্পুর্ণং ধরণং মৌস্তিকজং বদন্তি তজজ্ঞাঃ। নবসপ্ততিম।.য়াৎ স্বমূল্যং যাদ সাঁৎ গুণযুক্তিতোবিহীনম্‌ ॥৮

ত্রংশতা ধরণং পুর্ণং শিক্যেতি পরিকীর্ভ্যতে | চত্বারিংণদ্ পরং তস্য মুল্যমেষ বিনিশ্চয়ঃ ॥৮ “চত্বারিংশছ্ধবেৎ শিক্যা ত্রিংশন্ম,ল্যং লভেত সা। পঞ্চাশত্ত, ভবেৎ সোমস্তসা মূল্যস্ত বিংশতিঃ ॥% “যষ্টিনিকরণার্ষং স্ত।ৎ তশ্ত মূলাং চতুদ্দশ। অশীতিন বতিশ্চেতি কুপ্যেতি পরিকল্প্যতে ॥৮ “এক|দণ স্থযুন্ৰ তয়োমুল্যমন্ক্রমাঁৎ। শতমদ্ধধিকং ছে চুর্ণোহয়ং পরিকীন্তিতঃ | সপ্ত পঞ্চ ত্রয়শ্চৈৰ তেষাং মূল্যমনুক্রমাৎ 1৮

এই সকল বচনের বঙ্গানুবাদ করিবার প্রয়েজন নাই। যেহেতু ইহার সভিত সম্প্রতি-প্রচলত মূল্যের কিছুমাত্র ,এ্ক্য নাই। সুতরাং অন্থবাদের ২০৮

রুড়-রহস্ত। ৪১

প্রয়াস পাইয়! গ্রন্থ বাহুল্য করার প্রয়োজনও নাই। বস্তত্ঃ সকল বস্তরই মূলা সময় বিশেষে বিভিন্ন হইয়া থাকে মহধি শুক্র।চাধ্য বলিয়াছেন যে” “রাজদৌষ্ট্যাচ্চ রত্রানাং মূল্যং হীনাধিকং ভবেৎ।” রাজাদিগের ছুরভিসদ্ধিতে রত্ব সকলের মুল্যের অন্পতা আধিক্য হয়! থাকে “তুলা কল্পিতমূল্যং স্তাৎ রত্বং গোমেদকং বিনা ক্ষমাবিংশতিভীরতী রত্রানাং মৌক্তিকং বিনা। রতিত্রয়ন্ধ মুক্তায়শ্চতুঃকৃষ্ণচলকৈর্ভবেৎ। চতুর্কিংশতিভিশ্চাভীরত্রটস্বস্ত রত্তাভঃ | টঙ্বৈশ্চতুর্ভিস্তোলঃ স্ত1ৎ-77777-8% শুক্রনীতি। গোঁমেদ ব্যতীত সকল রত্রেরই ওজন 'আনুসারে মূল্য কল্পনা কর! ভইয়া থাকে মুক্ত! ভিন্ন অন্যান্য রহ সম্বন্ধে বিংশতি ক্ষুমায় এক রতি ধরা হয়। কিন্তু মুক্তার বেলা কৃষ্ণল অর্থাৎ কুঁচে তিন তি ধরা হয়। রব্রশান্সে তাহার ২৪ গু৭ ওজনকে রত্রটন্ক বলে এবং রত্রটঙ্কে এক তোল! ধরা ভ়্। যুক্তার পরিমাণ বা ওজন সন্বদ্ধে এইরূপ পরিভাবা 'অতি পুরাতনক1লে গীত হইত এক্ষণে তাহার অনেক ব্যতিক্রম হইয়াছে

রত্রশান্ত্রে মুক্তার পরীক্ষা মূল্যসম্মদ্ধে এতদ্রপ অনেক কথাবার্তা থাকিলেও এই স্থানেই প্রস্তাব শেষ করা গেল। যেহেতু এরপ প্রস্তাবের কুতুহল চরিতার্থতা ভিন্ন অন্ত কোন ব্যবহারযোগ্য ফল নাই।

আর এক কথা--কল্পদ্রম অভিধানে যুক্তিকল্পতরু গরুড়পুরাণের বচন ভিন্ন বুহৎসংহিতা 'ও মুক্তাঁবলি প্রভৃতি গ্রন্থের একটি কথাও লিখিত হয় নাই স্তুতরাং সেই সকল গ্রন্থ হইতে মুক্তাহারসন্বন্ধীয় ছই একটি প্রমাণ উদ্ধৃত করিয়া প্রস্তাব সমাঁপ করা বিধেয় বোঁধ হইতেছে হারের যে ভাগকে আমরা “নহর», বলি, তাহার সংস্কৃত নাম "লত।” | কোন কোন স্থানে “হরি” বলিয়াও উল্লেখিত হইয়াছে। বৃহৎসংহিতা বলেন, ভুষণবিৎ পণ্ডিতের পৃথক্‌ পৃথক নহরযুক্ত মুক্তা- হারের পৃথক্‌ পৃথক্‌ নাম দিয়! থাকেন, যথা--“ইন্দ্চ্ছন্দ'” “বিজয়চ্ছন্দ” “দেবচ্ছন্দ"” “অদ্বহার” “ভার” “্রশ্িকলাপ” এিচ্ছ” প্আদ্ধিগুচ্ছ” “মাণবক” “অদধ্ধমাণবক*

২৪৯

৪২ -. বত্বরহস্ত।

“মন্ধর”' “হারফলক” “নক্ষত্রমাল!” “মণিসোপান” “চাটুকার” «“একাবলী'” “্যষ্ট”। এই সকল হারের সঙ্গে বত্রান্তরের যোগ থাকিলে নামাস্তরও হইয়া থাকে। দীর্ঘে চতুর্স্ত এবং লতায় (নহর ) অষ্টাধিক সহম্র *; এরূপ যুক্তাহারের নাম “ইজ্চ্ছন্ন” ইহা দেবতাদের ভূষণ। ইহার অর্ধেক হইলে “বিজয়চ্ছন্দ” এবং অষ্টাধিক শতসংখ্যক নহরের মুক্তাহার “দেবচ্ছন্দ* নাঁমে কীর্তিত হয়। একাশীতি লতাধুক্ত হইলে “হার” এবং চতুঃষষ্টি লতায় “অর্ধহার ”॥ ৫৪ কিন্বা ৬৯ নহর হইলে “রশ্মিকলাপ” ৩২ লতা হইলে গুচ্ছ” এবং ২০৭ লতা হইলে “অর্ধগুচ্ছ” ১৬ লতায় “মাণবক” ১২ লতায় “অদ্ধমাণবক” লতায় “মন্দ” নহ্‌র হইলে “হারফলক”* ২৭ নহর হইলে “নক্ষত্রমালা”” অথবা “*মুস্তাহস্ত” তাহাঁতে মধ্যমণি এবং সুবর্ণগুলিক! থাকিলে “মণিসেপান” বলা যায়। উক্তরূপ হার যদি তরলফ অর্থাৎ মধ্যমণিযুক্ত হয়, তবে তাহাকে ““চাটুকাঁর” সংজ্ঞাও দেওয়া হয়। | ইচ্ছানুরূপসংখ্যক মুক্তাঁহারদ্বারা যে মণিহীন হস্তপরিমিত মালা প্রস্তৃন্ত হয়

তাহার নাম “একাঁবলী” আর সেই একাবলী মালার মধ্যস্থলে যদ্দি মণি থাকে, তবে তাহার নাম ণ্যষ্টি*। এই সংজ্ঞাসমূহ বৃহৎসংহিতার বচনসমূহে উক্ত 'আছে। যথা

“ুরভূষণং লতানাং সহত্রমষ্টোতরং চতুর্হ্তম্‌

ইন্দরচ্ছন্দোনায়৷ বিজয়চ্ছন্দস্তদর্দেন

শতম্টঘুতং হারো-দ্েবচ্ছন্দোহশীতিরেকযুতা

অষ্টাষ্টকোহর্দহারো! রশ্মিকলাঁপশ্চ নবষট.কঃ

দবাত্রিংশতা তু গুচ্ছে। বিংশত্যা কীঙ্িতোহর্ধ গুচ্ছাখ্যঃ

'যোড়শভির্মাণবকো-দ্বাদশ ভিম্টার্দঘমাণবকঃ

মন্দরসঙ্গোহষ্টীভিঃ পঞ্চলতা হারফলকমিত্যুক্তম্‌।

সপ্তবিংশতিভিমুক্তাহস্তোনক্ষত্রমালেতি

অস্তরমণিসংযুক্তো-মণিসোপানং স্ুবর্ণগুলিকৈবা।

তরলকমণিমধ্যং তজ.বিজ্ঞেয়ং চাটুকারমিতি

+ কেহ কেহ এরপ ব্যাখ্যা করিয়া খাফেন যে, অষ্টোত্তর সহম্র সংখ্যক “নহর” নহে, আষ্টোস্তর সহ “সা”

পবিস

১৩

রদ্ব-রহস্থা | ৪৩

একাবলী নাঁম যথেষ্টসংখ্য হস্তপ্রমাঁণ! মণিবি প্রযুক্তা সংযোজিতা৷ য| মণিন! তু মধ্যে যষ্টীতি সা! ভূষণবিস্তিকৃক্তা ইত্যাদি। এই স্থানেই রত্বরহস্তের “মুক্তা” প্রস্তাব সমাপ্ত হইল। শাস্ত্রান্তরে এতদপেক্ষা অধিক কথ! থাঁকিলেও তাহ! বাহুল্যভয়ে গ্রহণ কর! হইল না। মুক্তাবলী নামক গ্রন্থে মুক্তার অনেকগুলি নাম একত্র পর্যায়বদ্ধ হইয়াছে যথা-_ “অন্তঃসারং শৌক্তিকেয়মিন্দুরত্রঞ্চ মৌক্তিকম্‌ 1, »" এইবূপ হেমচন্দ্রও মুক্তার মুক্তাহাবের নাম সকল পধ্যায়বন্ধ করিয়া গিয়া- ছেন। সকল দেখিলে কাহার ন৷ বোধ হয়, যে পূর্ব্বে ভারতবর্ষীয়েরা 'প্রচুর ধনশালী ছিল? এবং মুক্তাকে অতি সমাদ্দরে সযত্বে বাবহার করিত? মুক্ত! যখন অতি মূল্যবান্‌ বস্ত, তর্খন ইহার গুণাগুণ অনুসন্ধান করা অবশ্ত কর্তব্য। অতি প্রাচীনকালে ইহার যেরূপ পরীক্ষাদি কর! হইত, তাহা প্রায় সমস্তই এই “মুক্তা” প্রস্তাবে বলা হইল। এক্ষণে অন্ান্ত র্রস্ধন্ধে পুরাতনী পরীক্ষা কিরূপ রীতিতে বর্তমান ছিল তাহার অনুসন্ধান করা যাউক

মাণিক্য বা পদ্মরাগমণি ক্* |

পূর্যবোক্ত নবরত্ববোধক কবিতার ক্রম অনুসারে অগ্রে যুক্তারত্ের বিবরণ লেখা হইয়াছে এক্ষণে মাণিক্য নামক রত্রের বর্ণনায় প্রবৃত্ত হইলাম

*এক মাণিক সাত রাজার ধন” এই নারী-প্রবাদ একবারে অসত্য মনে করিবেন না। পুর্বকালের অনেক রাজ| ( এক্ষণেও বটে) কেবলমাত্র শস্ত পশুসম্পত্তি লইয়াই রা'জাভিমান চরিতার্থ করিতেন। মণি মাণিক্য যে তাহাদের নিকট দুর্লভ ছিল, তাঁহ! বল! বাহুল্য এমন কি স্থুবর্ণও তাহাদের নিকট হুর্লভ

* অআমরসিংহ হেমচন্ত্র প্রভৃতি শাব্দিকাচাধ্যের। পন্মরাগ মাণিক্যকে এক পর্যায়ে উল্লেখ করিয়াছেন, সুতরাং পন্নরাগমণি ব! মাঁণিক্য একই বস্ত তবে যে তন্ত্রসারকাঁর, “মুক্তা-মাণিকা- বৈূর্যয-গোমেদান্‌ বজ্ধিদ্রমৌ পদ্মরাগং মরকতং নীলঞ্চেতি যথাক্রমাৎ।” বলিয়াছেন তাহার ভাব অন্তবিধ। পদ্মরাগ মাণিক্য এক বস্ত হইলেও বর্ণগত বৈলক্ষণ্য থাকায় ছুইটী স্বতন্ত্র নাম স্বীকার করা যায় শুস্রনীতিগ্রন্থেও “পগ্মরাগস্ত মাণিক্যভেদঃ কোকনদচ্ছবিঃ1” এইরূপ উক্তি আছে। অতএব মাঁণিক্য শব্ধটী সাধারণ নাম, বর্ণের পার্থক্য অনুসারে পন্মরাগ তাহার বিশেষ নাম তত্ভিন্ন উহার কুরুধিন্ব প্রভৃতি আরও নাম প্রভেদ আছে। দে সকল বিবরণ প্রস্তাবমধ্যে প্রকাশিত আছে

৯১

৮০৮০৪

৪$ বত"রহস্ত।

ব্ন্ত ছিল বলিয়া অনুমান হয়। সুতরাং এক মাণিক যে, সেরূপ সাত রাজার ধন হইবে, তাঁহা' আর বিচিত্র কি?

১৮০২ খৃষ্টাব্দে কৌন্ট বুরনন রুবি, সেফায়ার, প্রভৃতি নাম দ্বারা মাণিক্যের শ্রেণী বদ্ধ করেন। এক্ষণে মাণিক্য শ্ঠামদেশ, ভারতবর্ষ, সিংহল, ব্রেজিল, বোরনিও, সুমাত্রা; ফ্রান্স, প্রভৃতি স্থানে পাওয়া যায়; কিন্তু ব্রহ্মদেশের মাণিক্য সর্বোতকৃষ্ট। কথিত আছে যে, ব্রহ্মদেশের রাজার নিকট পারাবতের অগ্ডের হ্যায় একথাঁনি বুহৎ মাঁণিক্য আছে টাবরনিয়ার লিখিয়াছেন, যে তিনি দিলী- শ্বর মোগল সমাটের সিংহাসনোপরি ১০৮ খণ্ড বৃহৎ মাঁণিক্য সুশোভিত দেখিয়1- ছিলেন। তাহার প্রত্যেক খণ্ডের ১০ হইতে ২০০ শত রত্তিক পধ্যস্ত পরিমাণ - হইবেক। মার্কপলো কহেন, সিংহলেশ্বরের একখানি বৃহৎ মাণিক্য ছিল। কব. লাই খা এই বহুমূল্য প্রস্তর-খগ্ডের জন্য সিংহলাধিপতিকে একটা ক্ষুদ্র রাজ্য প্রদান করিতে চাহিয়াছিলেন ; কিন্তু তাহাতেও তিনি এই প্রস্তর বিক্রয় করেন নাই। টাবরনিয়ার তাহার ভ্রমণবৃত্তান্তে লিখিয়াছেন যে, বিশাপুরের রাজার একখানি উৎকৃষ্ট ৫০ রত্তিক ওজনের মাঁণিক্য ছিল। এক্ষণে আর তাদৃশ বৃহৎ মাণিক্য পাঁওয়৷ যাঁয় না, সকল রা'জ-ভাগারেই তাহা দুর্লভ হইয়াছে লুই নেপোলিয়ানের রাজমুকুটে কয়েকখানি উত্তম মাণিক্য ছিল। ১৮৬২ খুষ্টাবের মহা প্রদর্শনীতে আমাদিগের মহারাজ্জী এন্প্রেশ মহোদয়ার যে ছুইখাঁনি বুহত্মাঁণিকা প্রদণিত হইয়াছিল, তাহাও প্রশংসার যোগ্য রুশিয়ার রাজভাগারে একখানি বৃহৎ উৎকষ্ট মাঁণিক্য আছে। উহা! সুষঈটডেনের নৃপতি তৃতীয় গৃষ্টেভস উপটৌকন প্রদান

করিয়াছিলেন। ইহা ভিন্ন অস্্রীয়ার রাজমুকুটে কয়েকখানি বহুমূল্য মাণিক্য আছে। |

প্রাচীন ইতিবুত্তলেখকের! বুমুল্য মাণিক্য-মণির বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়! চিয়াছেন। থিওফ্রেসটুস্‌ এবং প্রিনি প্রজলিত দীপশিখার ন্যায় দীধিতি বিকাশক একখানি উৎ্কষ্ট মাণিক্যের উল্লেখ করিয়াছেন। ৫০৭ খুষ্টাবের পূর্বে গ্রীকগণ বৃহৎ মাণিক্যের উপর যে সকল স্তৃশ্ত প্রতিক্তি খোদ্িত করিতেন, তাহার কএকথান এপর্যন্ত বর্তমান আছে সে যাভা হউক, এক্ষণে প্রসঙ্গীগত সংবাদ।- £ব্লী পরিত্যাগ করিয়া! প্রথমে মাঁণিকোর ন।মগ্ডলি নির্ণয় করা যাঁউক। তাহা হইলে মাণিক কি? তাহা অনায়াসেই বোধগম্য হইবে

মাণিক্য-রদ্বের অনেকগুলি নাম আছে। অমরসিংহ ইহার শোঁণরত্ব।

১৭

রত্বশ্রহস্ত | ৪৫

লোহিতক পদ্মরাগ,_-এই তিন নামের উল্লেখ করিয়াছেন। হেমচন্দ্রও ইহার পদ্মরাগ, লোহিতক, লক্মীপুষ্প অরুণোপল,--এই চারিটা নামের উল্লেখ করিয়া ছেন এবং অন্[ন্ত কোষকারেরাও ইহার আরও কএকটা নাম পর্যায়ভুক্ত করিয়া উল্লেখ করিয়াছেন ন্ুতরাং ইহার সর্বসমেত চৌন্দটা নাম আছে। যথা

« মাণিক্য/ত ১, «শোণরত্ব” ২, “রত্বরাজ” ৩, “বিরত” ৪, “শূঙ্গারী? ৫, “রঙলগমাণিক্য” ৬, “তরুণ” ৭, “রাগযুক্ঠ” ৮১ এপদ্নরাগ”” ৯১ পরত” ১০১ *শোণো- পল” ১১/ “সৌগন্ধিক” ১২, “লোহিতক” ১৩, “কুরুবিদ্ধ” ১৪। কল্পদ্রম অভিধানে এই ১৪টা নামের উল্লেখ আছে।

রত্রশাস্ত্রোক্ত এই সকল নামের মধ্যে ২1৪1৬।৭1৮।৯।১১।১৩ নামগুলি বর্ণঘটিত। বিশেষ ৯১ অর্থাৎ শোণোপল নামটীতে উহার ব্রণ স্বরূপ স্পষ্টতঃ প্রকাশিত আছে। শেোণেপল অর্থাৎ রক্তবর্ণ প্রস্তর। ্রক্কবর্ণ প্রস্তরই মাঁণিক” এই কথা বলিলাম বলিয়া, যে সে বাঁঙ্গা পাথর ম|ণিক নভে। রত্বশান্ত্রে ইহার বিশেষ বিশেষ লক্ষণ পরীক্ষাদি নিণীত আছে। সেই সকল লক্ষণাদিযুক্ত প্রস্তর- বিশেষই মাণিক্য 1 রত্রশান্ত্রে মাণিক্য নামক রত্বের যেরূপ লক্ষণাদি নিণণীত আছে, তদন্থস(রে বোঁধ হয় যে, “চুণী” নামক প্রস্তরকেই পূর্বকালের লোকের! “মাণিক্য” নামে অভিহিত করিত *।

পুরাঁণ।দি শাস্ত্রে রত্বোৎপত্তির (বিষয় যেরূপ লিখিত আছে, তাহার অন্তস্তত্ব আমাদের বোধগম্য হয় না লিখিত আছে থে, বল নামে এক অস্ত্র ছিল, তাহার বিশ্ুদ্ধসত্বসম্পন্ন অবয়ব সকল রঙ্লোৎ্পত্তির কারণ। ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক প্রকার প্রল।পকল্প গল্প আছে সেই সকল প্রলাপকল্প গল্পের দ্বারা আমরা, রত্বোৎপত্তির মুলতন্্ব গ্রহণ করিতে অসমর্থ। কিন্তু রত্রশান্্রে এমন দুই একটা কথার উল্লেখ আছে যে, তদনুলারে অতি সামান্তাকারে রত্বোৎপত্তির বীজ-ভাব গ্রহণ করিতে পারা যাঁয়। রত্বোৎপত্তির মুলকারণনশ্বন্ধে রত্রশান্ত্রেতিন প্রকার মতের আভাস পাওয়। যায়। বথা--

* আধুনিক রত্রপরীক্ষকেরাও ( জহরীর| ) বলেন যে, চুণী মাণিক্‌ আর মাণিক্য এক বন্ত। তাহারা আরও ধলেন যে, চুণী নরম্‌, চুণী শ্ঠামক্মেত, চুণী কড়। চুণী মাণিক্‌, এই চারি রকমের চণী আছে। প্রাচীনকালে সংস্কৃত রত্বপরীক্ষা গ্রস্থেও পদ্মরাগ কুরুবিন্দ প্রভৃতি চারি প্রকার মাণিক্যের উল্লেখ দৃষ্ট হয়।

২৯৩)

৪৬ রত্ব“রহত্য।

“মহোদধো সরিতি বা! পর্বতে কাননেহপি বা . ততদাঁকারতাং যাতং-স্থানমাধেয়গৌরবাৎ ॥৮ যুক্তিকল্পতরু। “কেচিদ্বদস্তি ভূবঃ স্বভাবাৎ বৈকৃতাচ্চান্তোন্তেষাঞ্চ ভূতানাম্‌। প্রাহুর্ভবস্তি রত্বানি - সমুদ্রেই হউক, নদীতেই হউক, পর্ধত্েই হউক, কিন্বা অরণ্যে (অরণ্যস্থ সর্পাদি জন্ততে ) হউক, স্থান অর্থাৎ তত্বৎস্থানীয় বস্তবিশেষ, আধেয় অর্থাৎ আগন্তক কিংবা আকাশিক জেলাদি) বস্তর সংসর্গবলে সেই সেই রত্বের আকার প্রাপ্ত ক্য। কেহ বলেন, পাধিব্-স্বতাবের বলেই রত্ব সকল প্রাদ্ভূত হয়। অপরে বলেন, ভূত সকল অর্থাৎ ক্ষিতি, জল, বাযু তেজ, এই সকল ভূত পরম্পর পরম্পর-কর্তৃক অনুবিদ্ধ হুইয়! পৃথক পৃথক বিকারভাব প্রাপ্ত হয়, তদ্ধলে রত্ন সকল উৎপন্ন হয়। যাহা! হউক, দ্বিতীয় তৃতীয় মতটা আংশিক ভাল বটে। »৫. প্রিত্বানি বলাঁৎ.দৈত্যাৎ দধীচিতোহস্তে বদস্তি জাতানি। কেচিন্ভুবঃ স্বভাবাৎ বৈচিত্র্যং প্রাহুকুপলানাম্‌ ॥৮ বৃহৎসংভিতা। | কেহ বলেন ব্লাস্থরের অঙ্গ হইতে, কেহ বলেন দধীচিমুনির অস্থি হইতে, কেহ বলেন মৃত্তিকার শক্তিবিশেষ হইতে রত্ব সকল উৎপন্ন হইয়াছে যেকোন রত্ব হউক, অগ্রে আকার, তৎপরে বর্ণ, তৎপরে গুণ দোষ, পরে ফলাফল, পশ্চাৎ তাহার জাতি-বিজাতিপরীক্ষা, তৎপরে তাহার মূল্যাবধারণ " করিতে হয়। যথা-_. “আকারবর্ণেঈ প্রথমং গুণদোষৌ তৎফলং পরীক্ষ। চ। মলাঞ্চ রড্বকুশলৈর্বরিজেয়ং সর্বব শান্াণাম্‌॥” গরুড়পুরাণ। অতএব, আমর! মাঁণিক্যসম্বন্ধেও উক্ত নিয়মের বশবন্তী হইয়া অশ্রে আকার, পরে বর্ণ গুণদোধাদির কথ! বলিব।

দীন

খ্

টর আকার এস্থলে আকার লক্ষণ একই কথ ,অতএব রাজনির্থ-ট গ্রন্থে লক্ষণ শৰের

২১৪

সা

রতু-রহন্। ৬৭

উল্লেখে যে সকল আকারগত চিহ্কের কথ। বর্ণিত হইয়াছে, তাহাই এস্থলে সর্বাগ্রে উদ্ধৃত হইল। | এন্িগ্ধং গুরু গাত্রযুতং দীপ্তৎ স্বচ্ছং সমাজব্চ সুরঙঞ্চ |

ইতি জাতামাণিকাং কল্যাণং ধাঁরণাৎ কুরুতে ॥”

নিগ্ধ__অর্থাৎ স্নেহ গুণযুক্ত ( টলটলে ), গুরু গাত্রযুত অর্থাৎ দৃষ্তে বড় ওজনে ভারি ( অন্তান্ত সাধারণ কাচ পাথর অপেক্ষা ইহ! সমধিক ভারি )। দীপ্ত _দীপ্তিমান্। স্বচ্ছ-নুন্দর নির্মল সমাজ- গঠন সমান। স্রঙ্গ_ সুন্দর রাগ অর্থাৎ রঞ্জনকারী আভা এই গুণের বিষয় পরে ব্যক্ত হইবে )। এরূপ গুণযুক্ত হইলে তাহাকে জাতা অর্থাৎ প্রকৃত মাণিক্‌ বলা যায়। এই প্রকৃত ঝ! জাত্য মাণিক্‌ ধারণ করিলে মঙ্গল হয়। |

“স্ফটিকজাঃ পদ্মর(গাঃ কয রাগবস্তোহতিনিন্মলাঃ 1”

পল্মরাগমণি আর মাণিক্‌ একই বস্ত। ক্ষ্টিকের আকরে যে মাণিক্‌ জন্মে তাহা অত্যন্ত নির্মল রাগযুক্ত (€ রক্তবর্ণ ) হয়।

“বিরূপং রাগবিকলং লঘু মাণিক্যং ধারয়েদ্বীমান্।”

যাহার রূপ বিকৃত, রাগ অর্থাৎ রক্তত। বিকৃত বা মলিন, আকারে ওজনে লঘু, বুদ্ধিমান্‌ ব্যক্তি এরূপ মাঁণিক্য ধারণ করিবেন না। অর্থাৎ এরূপ মাণিক্য উৎকৃষ্ট নহে “মাণিক্যং কষঘর্ষণেহপ্যবিকলং রাগেণ জাত্যং জণ্ডঃ1” রাজনির্ঘন্ট

কষ অর্থাৎ কষ্টিপাথর কষ্টিপাথরে ঘর্ষণ করিলে যে মাণিক্য ক্ষয় প্রাপ্ত হয় না এবং স্বষ্ট স্থানের রাগ অর্থাৎ রক্তিম! নষ্ট হয় না, তাহাই জাত্য মাণিক, ইহা রত্ব- তত্বজ্ঞ প্ডিতেরা বলিয়। থাকেন জাত্য মাণিক্য কি? তাহ! পরীক্ষাস্থলে বর্ন করা যাইবেক | এক্ষণে ছুই চারিটা গুণ দোষের কথ! বলা! যাউক। বস্তমাত্রেরই ছুই শ্রেণীর গুণ আছে। এক রাসায়নিক গুণ, দ্বিতীষ শোঁভা- গত গুণ। রাসায়নিক বা ভৈষজ্যোপযেগী গুণ সকল বৈগ্ধশাক্সে পরিগৃহীত হুই- যাছে। সে সকল সংগ্রহ কর! প্রস্তাবের উদ্দেশ্ত নহে অতঞএৰ রক্শাস্তে যে, শোভাগত গুণের উল্লেখ আছে তাহাই এস্থলে সংগ্রহ করা যাউক। ০4

রত্-রহস্তা |

'“গুরুত্বং ন্নিত। চৈব বৈমল্যমতিরক্ততা! |” যুক্তিকল্পতরু |

গুরুত্ব অর্থাং ওজনে ভারি নিপ্ধতা অর্থাৎ স্নেহাক্তের ভাব। বৈমল্য অর্থাৎ নির্মীলতা। অতিরক্ততা অর্থাৎ অসাধারণ রক্তবর্ণের ভাব। এই রক্ত- বর্ণের ভাবটা ছায়।-জ্ঞান ব্যতীত বোধগম্য হইতে পারে না। পদ্মরাঁগ ব! মাণিক্য মণির ছায়া কি? তাহা পশ্চাৎ বলা যাইবে ফল, উপরোক্ত গুণ থাকিলেই তাহ! উৎকৃষ্ট মাণিক্য বলিয়া গৃহীত হইবে।

এই কযেকটী মণি-গু৭ গ্রন্থাস্তরে অতি স্পষ্টরূপে উক্ত হইয়াছে যথা-_

“বর্ণাধিক্যং গুরুত্বঞ্চ ন্িগ্ধতা তথাচ্ছতা। অঙ্চিম্মস্তা মহত্ত! মণীনাং গুণসংগ্রহঃ ॥% কল্পদ্রম বর্ণের আধিক্য অর্থাৎ সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্টবর্ণযুক্তত। | গুরুত্ব অর্থাৎ ভারগত আধিক্য। ন্গিধতা-_দৃশ্টে স্নেহআক্ষিতের স্তাঁয় অর্থাং লাবণ্যযুক্ত। অচ্ছতা-_ নৈর্শল্য। অঙ্চিগ্মত্তা--তেজ বা দীপ্তিমত্তাী। মহত্বা--বৃহতের ভাব। ( অর্থাৎ যে মণি যত বড় সে ততই উৎকৃষ্ট এই জন্ত মহত্ব একট প্রধান গুণ)। ইহাই মণি সকলের গুণের সংগ্রহ | অর্থাৎ এই সকল গুণ মণিমান্রেরই থাকা আবশ্তক। এতগ্ডিন্ন বিশেষ বিশেষ গুণ সকল প্রসঙ্গ ক্রমে ব্যক্ত হইবেক। বুহৎসংহিতাকার বলেন যে, «সৌগদ্ধিককুরুবিন্বক্ষটিকেভাঃ পদ্মরাগসন্থৃতিঃ | সৌগদ্ধিকজ। ভ্রমরাপ্জনাজজন্ুরসহ্যতয়ঃ কুরুবিন্দুভবাঃ শবল! মন্দছ্যুতয়শ্চ ধাতুভির্বিদ্ধাঃ স্কটিকভবা ছ্যুতিমন্তোনানাবর্ণা বিশুদ্ধাশ্চ সিদ্ধ প্রভানুলেগী স্বচ্ছোহঙ্চিত্ন।ন্‌ শুরুঃ সুসংস্থানঃ। অন্তঃপ্রভোহতিরাঁগে। মণিরত্বগুণাঃ সমস্তানাম্‌ ॥%

সৌগন্ধিক, কুরুবিন্দ স্ষটিক হইতে পদ্মরাগ মণি উৎপন্ন হয়। তন্মধ্যে সৌগদ্দিকজাত পন্মরাগ সকল ভ্রমর, অঞ্জন, অব জন্ভুরসের ন্যায় ছ্যুতিবিশিষ্ট এবং কুক্ুবিন্বভব পদ্মরাগ সকল অনছ্যুতি ধাতুবিদ্ধ হইয়া থাকে। আর স্ফটিকের পরিণামে যে পদ্মরাগ জন্মে তাহা! নানাবর্ণ 'বগুদধদীতিযুক্ত হয়। ২১৬

রতস্রহত্ি | ১৪৯

সম্প্রৃতি পূর্বোক্ত “জাত্য-মাণিফ্য" শবের অর্থ নির্বাচন পরীক্ষ প্রদর্শন করা যাইতেছে

মণিমাত্রেরই জাতি আছে। তাহা গুণ অনুসারেই অবধারিত হয়। কিকি গুণে জাতি ওকিকি গুণের অভাবে বিজাঁতি বল! যায়--তাহা! উদ্ধৃত করা যাইতেছে।

“মাণিক্যং কষঘর্ষণেংপ্যবিকলং রাঁগেণ জাত্যং জগ্ুঃ।* রাজনির্ঘন্ট। ইহার অর্থ পূর্ব্বে বল! হইয়াছে। যুক্তিকল্পতরু বলেন,-_-

'অপ্রণশ্ততি সন্দেহে শিলায়াং পরিঘর্ষযয়েৎ। দুষ্ট যোহত্যন্তশোভাবান্‌ পরিমাণং মুঞ্চতি জ্েয়ং শুদ্ধজাতিস্ত জ্েয়াশ্চান্তে বিজাতয়ঃ। স্বজাতকং সন্মুখেন বিলিখেৎ বা পরম্পরম্‌ বজবং বা কুরুবিশ্দং বা বিমুচ্যান্টোন্তকেন চেৎ। শক্যং লেখনং কর্ত,ং পদ্মরাগেন্্রনীলয়োঃ ॥৮

“যঃ শ্ঠ।মিকাঁং পুষ্যতি পল্পরাঁগে! যোঁব! তুষাণামিব চর্ণমধ্যঃ। স্েহপ্রদিগ্ে। যে! নিভাতি যোব প্রমুষ্টঃ প্রজহাতি দীঞ্চিম্‌। আক্রান্তমূর্ধা তথান্গলিভ্য।ং যঃ কালিকাং পার্খ্গতাং বিভপ্তি 1+

জাত্যমণি? না বিজাত মণি? এতদ্রপ সন্দেহ দূর না হইলে তাহা কষ- শিলায় ঘর্ষণ করিবেক ঘর্ষণ করিলে যদি শোভাঁর আধিক্য হয় এবং পরিমাণ নষ্ট না হয়, তাহ! হইলে তাহা জাত্য, নচেৎ বিজাত বলিয়া জানিবে।. এই এক প্রকার পরীক্ষা দ্বিতীয় প্রকার পরীক্ষা! এই যে, হীরক হউক, বা মাধিক্য হউক, স্বজাতীয় ছুইটী মণি মুখোমুখি করিয়! ঘর্ষণ করিবেক, অথবা একের দ্বারা অন্তের গাত্র বিলেখিত অর্থাৎ আঞ্চোড়িত করিবেক। জাত্য হুইলে কেহ কাহারও গাত্রে বিলেখন করিতে সমর্থ হইবেক না। তৃতীয় প্রকার পরীক্ষা এই যে, যে পদ্মরাগ মণি শ্তামিকার পুষ্টি করে, যে মণি তুষবৎ চুর্ণমধ্য, এবং যাহাকে স্গেহাক্তি দেখায় না, মার্জন করিলে যাহার দীপ্তি ন্যুন হয়, অঙ্গুলিদ্বয় দ্বার! বাহার মস্তক অর্থাৎ উর্ধভাগ ধারণ করিলে পার্থে কালিমা অর্থাৎ কাল আভা, (কাল দাগবা দীপ্তিহীন ছাতক ) প্রকাশ পায়, নিশ্চিত তাহা জাত্য মণি নহে, তাহা বিজাতি ২১৭

বত্ব-রহুত্য বলিয়া জামিবে। জাত্যমশিতে সকল ঘটনা হয় না। শব্বকল্পত্রমধৃত্ত যুক্তি-

কল্পতরু নামক গ্রন্থের অন্ত এক প্রমাণে চতুর্থ প্রকার পরীক্ষার কথাও আছে। যখা---

« তুল্যপ্রমাণন্ত তু তুল্যজাতের্ষো বা গুরুত্বেন ভবেন্ন তুল্যঃ।”

তুল্যজাতীয় ছুইটী মণি যদ্দি আকারগত প্রমাণে অথাৎ দেখিতে তুল্য হয়, পরস্ত তাহ! ষ্ধি গুরুত্বে অর্থাৎ ওজনে তুল্য না! হয়, তাহ! হুইলে যেটা লঘু সেই- টীই বিজাত। এতন্বার! এই সিপ্ধান্ত হইতেছে যে, তুল্যাকার অন্য মণির সঙ্গে ওজন করিয়া দেখিলেও জাত্য কি বিজাত তাহা জানা যায়। *€গুণোপপন্নেন মহাববন্ধো-মণিস্বজাত্যোবিগুণেন জাত্যঃ। সখং কুর্য্যাদপি কৌস্তভেন বিদ্বান বিজাতিং বিভূয়াঁৎ বুধস্তম্‌ “চণ্ডাল একোহপি তথাভিজাতাঁন্‌ সমেত্য দুরাদপহস্তি যত্রাৎ। তথা মণীন্‌ ভূরিগুণোপপন্নান্‌ শক্তোহতিবিদ্রাবয়িতুং বিজাতঃ ॥” গুণযুক্ত জাত্য মণির সঙ্গে নিগুণ বিজাতমণি ধারণ করিবে না। কৌস্ত্ভ মণির সঙ্গে বিজাত মাঁণ ধারণ করিলেও সুখের হানি হয়; এজন্য জ্ঞানবান্‌ ব্যক্তি কদাচ তাহ! ধারণ করিবেন না একজন চগ্ডাল যেমন বহু ভদ্র লোকের সহিত একত্রিত হইয়। তাহাদিগকে নষ্ট করিতে পারে, সেইরূপ, একটী মাত্র বিজাত মণি বহুগুণসম্পন্ন জাত্য মণিকে নষ্ট বা দোষাবহ করিতে পারে। পুর্বে বল! হুইয়াছে যে, মাঁণিক্যরত্ব রক্তচ্ছবি-বিশিষ্ট। মাণিক্যমাত্রেই রক্তবর্ণ বটে, পরন্ত তন্মধ্যে কিঞ্চিৎ প্রভেদ আছে; রক্রবর্ণতার প্রভেরর আছে। সেই প্রভেদ অনুসারে নামের ভিন্নতা মূল্যের তারতম্য হইয়া থাকে। উপরে যে জ]তি-গুণের উল্লেখ কর! হইয়াছে, &ঁ সকল জাতি-গুণ যদি বিভিন্ন বর্ণের প্রস্তরেও সামঞ্জন্ত লাভ করে--তবেই তাহাকে মাণিক বলা যাইবে, নচেৎ তাহা! প্রস্তরমাত্র কোন কোন মতে এই রত্ব রক্তবর্ণ ব্যতীত অন্ত বর্ণও হুইয়া থাকে। সেই বর্ণ অনুসারে মাঁণিক্য চারি জাতি বলিয়৷ গণ্য হয়। যথা-- ““তপ্রক্তং যদি পন্মরাগমথ তৎ পীতাতিরক্তং দ্বিধা জানীয়াৎ কুরুবিন্দকং বদ্রুণং স্তাদেখু সৌগদ্ধিকম্‌। তনীলং যদি নীলগদ্ধিক-মিতি জ্েঞয়ং চতুর্ধ1 বুধৈঃ ॥৮ _রাজনির্থন্ট।

১৮

রতু-্রহস্ঠ | €১

অর্থ এই যে, সেই মাণিক্য যদি রূক্তবর্ণ হয়--তবে তাহাকে “পদ্মরাগ”” নাম দেওয়! হইবে আর যদ্দি তাহ! পীতাভ কি অতিরক্ত হয়, তবে তাহ! ছুই প্রকার স্থির করিবে। যাহা অতিরক্ত--তাহা “কুরুবিন্দ”” এবং ঘাহা পীতাভ--তাহ। “সৌগদ্িক” নামে খ্যাত। এবং যাহা নীলাভ হয়--তাহা! *নীলগন্ধি” বলিয়! জানিতে হইবে। ““কলুষ। মন্দত্যুতয়োলেখাকীর্ণাঃ সধাতবঃ খণ্তাঃ। ছুবিদ্ধা মনোজ্ঞঃ সকর্করাশ্চেতি মণিদো যাহ ॥৮

বৃহৎ্সংহিতা কলুষ-_মাঁলিন্তবুক্ত মন্দছ্যতি--দীপ্তির অন্নতা। লেখাকীর্ণ_-দাগযুক্ত।

সধাতব--ধাতুলগ্ন। থণ্ড- ভগ্ন ছুবিদ্ব-_ভালরূপে ছিদ্র করা যায় না। অম- নৌজ্ঞ_দেখিতে ভাল নহে। সকর্কর অর্থাৎ কাকর-চিহ্নযুক্ত মণিমাত্রেই এই সকল দোষ থাকিতে পারে। সুতরাং মাণিক্যেও এই সকল দোষ থাকিতে পারে।

বত্রততত্ববিৎ পণ্ডিতের! মাণিক্যরত্বের ষে সকল দে।ষ গুণ বর্ণন করিয়! গিয়া- ছেন-_ক্রমে তাহাও উদ্ধৃত করা! যাইতেছে

“মাণিক্যস্ত সমাখ্যাতা অষ্টৌ দোষা মুনীশ্বরৈঃ |

ছিচ্ছায়ঞ্চ দ্বিরূপঞ্চ সম্ভেদঃ কর্করস্তথা

অশোভনং কোকিলঞ্চ জলং ঘুমাবিধঞ্চ বৈ।

গুণশ্ত্বার আখ্যাতাচ্ছায়া ষোড়শ কীর্ভিতাঃ ॥”

রত্বপরীক্ষক মুনিগণ মাণিক্যরত্বের আটটী দোষ (মহৎ দোষ স্থির করিয়া

গিয়াছেন। হুইটা ছায়াগত দোষ, ছুইটা রূপগত দোষ, সম্ভেদ দোষ এবং কর্কর দোষ। এতত্তিক্ন অশোভন, কোকিল, জল ধুম নামক আর চারিটী দোষ আছে-_তাহাও রত্রশান্ত্রে উক্ত হইয়াছে এবং চারিটী গুণ ১৬ প্রকার ছায়ার কথাও লিখিত হইয়াছে। ছায়া কি? এবং তাহা! ১৬ ষোল প্রকারই বা কেন? ইহা পশ্চাৎ ব্যক্ত হইবে। এক্ষণে পঘ্িচ্ছায়” “দ্বিরূপ+ “সস্তেব্” *অশোভন” “কোকিল?” “জল” প্ধৃ্”” “কর্কর”--এই আটটী দৌষ কিরূপ? তাহা বিবৃত করা যাঁউক।

“ছায়াদ্িতয়সন্বদ্ধাৎ দিচ্ছায়ং বন্ধুনাশনম্্‌।”

“দ্বিরূপং দ্বিপদং তেন মাণিক্যেন পরাভবঃ 1” ই১৯১

৫২ , খতু-রহত্য |

*্লস্ডেদোভিরমিত্যুজং শস্ত্রধাতবিধায়কম্‌ পকর্করং কর্করাযুক্তং পণ্ডবন্ধাবিনাশক্কৎ ॥” যুক্তিকল্পতরু |

যে মাণিক্যে ছুই প্রকার ছায়ার সম্বন্ধ থাকে--তাহ! ছিচ্ছায়দৌ গ্রস্ত সেই সবিচ্ছায় মাণিক ধারণ করিলে বন্ধুবিনাশ হয়। যাহাতে পদচিহ্ন থাকে---তাহা৷ দ্বিরপদোষদুষ্ট। পদ কি? তাহাও পশ্চাঁৎ ব্যক্ত হইবে। এই দ্বিরূপদোধগ্রন্ত মাঁণিক ধারণ করিলে পরাঁভব হয়। ভিন্ন অর্থাৎ ভালা হইলে সস্তেদ বলে। সম্ভেদ মাণিক্য ধারণ করিলে অন্ত্রাঘাতে মৃত্যু হয়। কর্কর অর্থাৎ কাকরদার। কাকরদার মাণিক ধারণ করিলে পণুনাঁশ, বন্ধন বংশনাশ ঘটনা হয়।

“ছুগ্ধেনেব সমালিগুমঘনীপুটমুচ্যতে | অশোভনং সমুদ্দিষ্টং মানিক্যং বহুছুঃথরুৎ ॥% “মধুবিন্দুসমচ্ছায়ং কোকিলং পরিকীর্তিতম্‌। আযু্লক্ষীর্যশোহস্তি সদোষং তন্ন ধারয়েৎ ।” “রাগহীনং জলং প্রোক্তং ধনধান্াপবাদরুৎ। ধূমং ধূমসমাকারং বৈছ্য তং ভয়মাবহেৎ্

অর্থ এই যে, যে পদ্মরাগ ছুগ্ধলিপ্টের ন্যায় দেখায়--তাহা অশোভন- দৌষাক্রীস্ত। এই অশোভন মাণিক ধারণে বনুপ্রকার ছুঃখ জন্মে যাহাতে মধুবিন্দুর ন্যায় অর্থাৎ মধুর ছিটার ন্যায় দাগ দুষ্ট হয়-_তাহা কোকিল। . কোকিল মাণিক্য ধারণে আমু, লক্ষ্মী যশ নষ্ট হয়; সুতরাং তাহা ধারণ করিবে না। যাহার রাগ ব| রক্ততা নাই অথবা অন্পরক্তিম--তাহার নাম জল। এই জল-মাণিক্‌ ধারণে ধন-ধান্যাদি নষ্ট হয়। যাহাতে ধূমের আভা দৃষ্ট হয় তাহা ধূম। এই ধুম্-মাণিক্য ধারণ করিলে বজ্ভয় হয়। গ্র্থাস্তরে অন্য প্রকার উক্তি আছে ; ধথ1-- “শোভাদ্বিতক্সবস্তে। যে মণয়ঃ ক্ষতিকারকাঃ উভয়ত্র পদং যেষাং তেন স্তাৎ পরাঁভিবঃ ভিন্নেন বুদ মৃত্যুঃ, স্তাৎ কর্করং ধননাশকৎ। হুপ্ধেনেব সমালিপ্ঃ পুটকে যস্ত সম্ভব্ৎ।

দুঃখরুৎ সমাখ্যাতে। নৃপৈ রক্ষণায়কঃ। হক

বতু-রহন্ট | £৩

মধুবিন্দুসম! শোভা কোকিলানাং প্রকীর্ভিত। | তেষাঞ্চ বহুভেদাঃ স্থ্যন্দ তে ধাধ্যাঃ কদাঁচন ॥» যে মণির বর্ণ বা ছায় দ্বিবিধ €( কোন দিকে অল্প কোন দিকে অধিক কিংবা এক দ্বিকে একপ্রকার অন্ত দিকে আর এক প্রকার )--তাহা হাঁণিজনক যাহার উভগ্ব দিকে পক্ষিপদাকার দাঁগ থাঁকে--তাহ! পরাভবের হেতু অন্তরে ভাঙ্গ! ব! ছিদ্র থাকিলে তাহা! যুদ্ধমৃতু/র কারণ এবং কর্কর অর্থাৎ কাকরদার হইলে তাহা ধনধান্যাদি নাশের হেতু এবং যাহা ছপ্ধলিপ্তের ন্যায় তাহ ছুঃখদায়ক বলিয়া গণ্য সেরূপ মাণিক রাঁজাদিগের রাখিবার অযোগ্য কোকিল নামক মাণিক্যে মধুর ছিটার ন্যায় দাগ থাকে এবং তাহা অনেক প্রকার হইয়। থাকে সে সকল মাণিক্যও ধারণের অযে|গ্য | পূর্ব্বে বল! হইয়[ছে যে, ছায়া অনুসারে একই মাণিক্য ভিন্ন ভিন্ন নামে ব্যবহৃত হয়; কিন্তু ছায়া! কি? এবং তাহার কোন সাদৃশ্য আছে কি না, তাহা বল! হয় নাই। এজন্য তাহা অগ্রে ব্যক্ত করিব, পশ্চাঁৎ তাহার দোষ, গুণ, পরীক্ষা এবং মূল্যাদির নিয়ম বথাক্রমে বিবৃত করিব ছায়া বা বর্ণ। মুক্তা কিংব৷ মাঁণিক্য অথব। অন্ত যেকোন রত্ব হউক অগ্রে তাহাদের বর্ণ বিশেষ ( রঙ.) নির্ণয় করা! আবশ্যক রত্বশাস্ত্ে তাহা “বণ” “ছায়া” পত্বিটিও, ভাস” «আভ।” শ্রভৃতি নানা নমে উল্লিখিত হইয়া থাকে পরস্ত বর্ণ ছা এই ছুইটি ঠিক এক নহে, কিঞ্চিৎ প্রভেদ আছে। সে প্রভেদ টুকু শুক্রনীতি গ্রন্থে বর্ণিত আছে। ফলতঃ, ব্যবসায়ী ভিন্ন অন্য ব্যক্তি তাহ! সহসা! বোধগম্য করিতে পারেন না। যথা--- “বর্ণাঃ প্রভাঃ সিতা রক্ত। পীতকষ্গাস্ত রত্রজাঃ | যথাবর্ণং বথাচ্ছায়ং রত্ুং যদ্দোষবজিতম্‌ শ্ীপুষ্টি কীর্তিশৌধ্যায়ুঃগ্রদমন্যাদসৎ স্বতম্‌। বর্ণমাক্রমতে চ্ছায়! প্রভা বর্ণপ্রকাশিনী ॥% . শুক্রনীতি। ইহার বথাশ্রুত অর্থ এই যে, রত্বজাত বর্ণ বা প্রভ! শুভ্র, রক্ত, পীত, কষ পীতমিশ্রিত রুষ্ণ,--এই কয়েক প্রকার হয়। বর্ণহান না হয়, প্রভাহীন না হয়, কোন প্রকার দোষ ন! থাকে, এরূপ রত ধারণ করিলে শ্রী, পুষ্টি, কীর্তি ২২৯

৫৪ বৃতু- বুহস্।

আমু বৃদ্ধি হয়; এবং তাদৃশ রত্লই সৎ, তত্তি্ন অসৎ। যাহা বর্ণ অর্থাৎ রঙ্‌কে আক্রমণ করিয়! অবস্থিত থাকে, অর্থাৎ যাহা বর্ণকে স্থায়ী করিয়। রাখে--তাহার নাম ছায়! এবং যাহা বর্ণকে প্রকাশ করে-_-তাহার নাম প্রভা ফল কথ! এই যে, বর্ণের স্থায়িত্বগুণটাই ছায়! এবং তাহার ওজ্জল্য টুকু প্রভ| রত্বতত্ববিৎ পণ্ডিতের! মাণিক্যরত্বের বর্ণসন্বন্ধে এইরূপ নিব্বাচন করিয়াছেন যে, মাণিক্যরত্বের বহুপ্রকার ছায়। বা বর্ণ থাকলেও তন্মধ্যে প্রধানতম বর্ণ ১৬ ষোলটী। সেই বর্ণ বা রঙ অনুসারে উহ! পৃথক্‌ পৃথক্‌ নাম প্রাপ্ত হয় এবং তাহাদেরই তারতম্য অনুসারে মাণিকারত্বের মূল্যাদির ভিন্নতা বা অল্লাধিক কল্পনা কর! হয়। ইহা বিষ্পষ্টরূপে ু্বাইবার জন্য কল্পদ্রমধূত যুক্তিকর্পতরুপ্রতৃতিগ্রস্থের প্রমাণ উদ্ধত করা গেল। “বন্ধু কগুঞাসকলেন্ত্রগোপ-জবাসমাস্মকসমবর্ণশোভাঃ | ভ্রাজি্বোদাড়িমবীজবর্ণাস্তথাপরে কিংশুকপুষ্সভাঁসঃ ॥৮ “সিন্দুপরন্মেখপলকুস্কুমান।ং লাক্ষারসপ্যাপি সমানবর্ণাঃ | সান্দে নিরাগে প্রভয়া স্ব়ৈব ভান্তি ম্বলক্ষ্য। স্ক,উমধ্যশোভাঃ॥৮ “কুন্ুস্তনীলীব্যতিমিশ্ররাগ-প্রত্য গ্ররক্তা ঘরতুল্যভাসঃ | তথাহপরেহ্রুস্করকণ্টকা রী-পুষ্পিষোহিঙ্ুলকত্বিষোহন্টে ॥৮ “চকোরপুংস্কো কিলসারসান।ং নেত্র।বভাসাশ্চ ভবন্তি কেচিৎ। অন্তে পুননণতবিপুশম্পিতানাং তুল্যত্বিষঃ কোকনদোদরাণাম্‌ ।+ মাণিক্যের পবদ্ধক” বাঁধুলিফুল (১) ৭গুঞ্জাসকল” গুঞ্জার্ধ অর্থাৎ কাল আদখ|ন! রক্তবর্ণ আদখান! (২ ) “ইন্ত্রগোপ” বর্ষাকীট বা মকমলী পোকা! (৩) “জবা” জবাফ্ুল (৪) “অস্যক্‌” শোণিত (৫ ) এই সকলের বর্ণের স্তায় বর্ণ দীপ্তিযুক্ত হয় এবং প্দাড়িমবীজবর্ণ” অর্থাৎ পাঁকা দড়িমের বীজের বর্ণ (৬) (ইহাও প্রায় রক্তবর্ণ ) “'কিংশুকবর্ণ” পলাশ ফুলের বর্ণ, (৭) “সিন্দুরঃ” (৮) “পদ্মোৎপল” রক্তপন্ন রক্তকন্বল নাইল ফুল (৯) “কুস্কুম” জাফরান (১০) “লাক্ষীরস” অলক্তকতুল্যবর্ণ (১১) “কুস্ুন্ত” কুন্থুমফুল “নীলী” নীলরস, এই ছুই বর্ণের বিমিশ্রণে ষে বর্ণ হয়--তঘর্ণ (১২) “রক্তান্বর” সায়ংকালের ক্তবর্ণ আকাশ অর্থাৎ সিঁদুরে মেঘের বর্ণ (১৩) “অরুফরপুষ্প” ভেলার ফুল (১৪) “কণ্টকারীপুষ্প” (১৫) “হঙ্থুল” হিউল ধাতুর বর্ণ বা ছায়া! (১৬) হইয়! থাকে। কেহ কেহ বলেন যে, মণিক্য “চকোর'” চকোর পক্ষী, পুংস্কোকিল সারস ই২২

বত ব্হস্য | ৪৫.

পগ্টীর নেত্রের নায় বর্ণযুক্তও হইয়। থাকে অগ্ঠান্য বত্ুতত্ববেস্তারা বলেন যে, অল্প প্রস্ফুটিত কোকনদ অর্থাৎ রক্ত নাইল ফুলের অভ্যন্তরস্থ বর্ণের স্তায় বর্ণও হইন্ন| থাকে

বর্ণ অনুসারে মণিক্যের নাম উত্তমাধমাদি ব্যবস্থা

“সিংভলে তু ভবেদ্রক্তং পদ্রাগননুত্তমম্‌ 1?” “গীতং কাঁলপুরোদৃভৃতং কুরুবিন্দমিতি স্মতম্‌ 1” *“অশোকপল্লবচ্ছাত্নমমুং সৌগন্ধিকং বিছুঃ 1", “তুম্ুরে ছায়য়৷ নীলং নীলগন্ধি প্রকীন্তিতম্‌ পউন্তমং পিংহলেদ্ভূতং নিরুষ্টং তুশ্বরো স্ইবম্‌।৮ “ম্ধ্যমং মধ্যজং জ্ঞেয়ং মাণিক্যং ক্ষেত্রভেদ তই 1৮, সিংহলদেশে ঘে ম।ণিক্য জন্মে, তাহা রক্তবর্ণ, নাম প্পদ্মরাগ”। ইহা অপেক্ষা উত্তম কুত্রাপি হয় ন1। কাঁলপুবদেশজাত * মাণিক্য “গীত” বর্ণ হয় এবং তাহা . প্কুরুবিন্দ” নামে বিখ্যাত। সেই একই মাণিক্য বদি অশোকপল্লবের কাস্তির ঈায় কাস্তিযুক্ত হয়, তবে তাহার «সৌগদ্ধিক” নাঁম জাঁনিবে। তুম্কুরদেশজাত মাণিক্য কিঞিৎ নীল।ভ হয়, তন্লিমিত্ত তাহা “নীলগন্ধি+ নামে প্রসিদ্ধ। ইসিংহলীয় মাণিক্যই অত্যুত্তম তুন্থুরদেশীয় (স্ষটিকের আকর যে দেশে আছে ) মাণিক্য অপম এবং কালপুরাঁদি মধ্যদেশোৎপন্ধ মাণিক্য মধ্যম। এইরূপ, ক্ষেত্র অর্থাৎ উৎপত্তিস্থানের ভিন্নতা অনুসারে মাণিক্যও বিভিন্ন রূপগুণাদিযুক্ত ্ইয়।৷ থাকে। “প্রভাবকাঠিন্য গুরুত্বমোগৈঃ প্রায় সমীনাঃ স্কটিকোছ্বানাম্‌। আনীলরক্তোৎপলচারুভাসঃ সৌগদ্ধিকাখ্যা মণয়েভ বস্তি ॥” | স্কটিকাঁকরে একপ্রকার মাণিক্য জন্মে। তাহা কি প্রভংবে, কি কাঠিন্টে, কি গুরুত্বে, সর্ব[ংশেই জাত্য মাণিক্যের তুল্য হইর়া থাকে সৌগন্ধিক নামক মণি ঈষৎ নীলাভাবুক্ত রক্তে ৎপলের ন্যায় মনোহর কাস্তিবিশিষ্ট হইয়। থাকে “যে মন্দরাঁজঃ কুকবিন্দকেধু এব জাতঃ স্ষটকোভ্ভবেষু। নিরচিষোহন্তর্বহুলীভবন্তি প্রভাব্বনস্তোহপি তৎ্সমনা ॥৮

পাশপাশি শপশপীশিশপিিশ শী পিশিীপীশি শপপিপপিপিগাপপিশাত পসপপিপিস্পিল লা পাস শীল পিপিপি লিপি তি শিশিলিপচাপিন | পাট শাল পপ পাপ পেজ পপ পপ পিএ, পাপন শিশিটি পানি পাশে শা পাশপাশি শী পাটি শপপাশিসীসিপিশীন পপ

* কালপুর £ না আধুনিক কাঁনপুর যদি কানপুর পাঠ হয় তষে ইহাই বুঝিতে হইবে, যে, এখন আর ততপ্রদেশে কোন বত্বই জন্মে না। ২২৩ ৩১

1 রত্র'রহসা।

“যে তু বাব্ণগঙ্গায়াং জায়ন্তে কুরুবিন্দকাঃ। পদ্মরাগ! ঘনং রাগং বিন্াণাঃ সম্টাচিষঃ | বর্ণ[নুযায়িনস্তেষ।মদ্ধ দেশে তথাপরে। জায়ন্তে তু বে কেচিৎ মুল্যলেশমবাগ্ন যুঃ | তাথৈব ক্ষ্টকোখানাং দশে তু রসংকজ্ঞকে | সধন্মাণঃ প্রজা রস্তে স্বর্নমূল্যা হি তে স্থৃতাঃ ॥” কুরুবিন্দের মধ্যে বাহার দীপ্তি মুছু তাহাই ক্ষটিকোছুব স্থানে জন্মে বাঁবণ- গা নামক স্কানে, যে সকল কুরুবিন্দ জন্মে, তাহার! নিবিড় রক্তবর্ণ পরিষ্কার প্রভাবুক্ত। অন্দ,দেশে অন্ত একপ্রকার প্ন্সরাগ জন্মে; তাহা রাবণগঙ্গাক্দাত পদ্মরাগের বর্ণের অনুরূপ বর্ণবুক্ত নহে এবং তাহার মুল্যও অন্ন। সেইরূপ, স্কটিকাকর তৃঘুরদেশোছব পদ্মরাগও্ অল্পমূল্য ; কিন্ত তাহা দেখিতে তৎসমধন্থী হইয়! থাকে মাণিকারত্বের জাতিনির্ণয়।

বত্রুতন্ববেত্ুগণ প্রায় সকল বত্বেরই চারি প্রকার জাতি কল্পনা করেন। তাহাও আবার ব্রাঙ্ষণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্ঠ শূদ্র,--এই চারি নামে নিদ্দি্ট। এরূপ জাতি- কর্নার মূল কি? তাহা আমরা জ্ঞাত নহি। চিন্তা করিয়াও বোধগম্য করিতে পাঁরি না। যাহাই হউক, ম[ণিক্যরত্রের জ।তি,_বাহী রত্রশান্তরে উল্লিখিত আছে_ তাহার কিয়দং এ্থলে উদ্ধৃত করিয়া পাঠকবর্গের কৌতুহল চরিতার্থ করিব।

“মাণিক্ন্ প্রবক্ষ্যামি যথা জাতিচতুষ্টয়ম্‌। বরন্মক্ষত্রিয়বৈশ্ঠযা শ্চ শুদ্রাশ্চাথ যথাক্রমম্‌ ॥৮ “রক্তশ্বেতো ভবেছি প্রস্থ তরক্তত্ত ক্ষত্রিয়ঃ | রক্তপীতোভবেদৈস্রে! রক্তনীলন্তথান্তাজঃ ॥" অর্থ এই যে, থে প্রকারে ম।ণিক্যরত্রের জাতিচতুষ্টয় নির্ণাত তয়, তাহা বলতেছি ব্রা্গণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য শূদ্র, এই চারি প্রকার জাতি। যাহা কুক্তশ্বেত অর্থ।ৎ অল্প রক্তিম--তাঁহ! ব্রাঙ্গণজাতীয় যাঁভা অত্যন্ত লোহিত--তাহা ক্ষত্রিয়জাতীয়। যাহা রক্তপীত অর্থাৎ গীতাভাধুক্ঞ রক্তবর্ণ_ তাহা 'িশ্তজতীয় এবং যাহা নীল-আভাদুক্ত রক্তিম_-তাহা অন্ত্যজ অর্থাৎ শূদ্রজাতীয় মাণিক্য। এই জাতিবিভাগসাধক ব্চনাবলির দ্বার! পর্বের লিখিত পীতাদি শব্দের অর্থ ২২৪

রত রহস্য &৭

ইহার অনুরূপ করিয়া লইবেন অর্থাৎ যেখানে শীতবর্ণ বলা হইয়াছে, সেখানে 'াহা পরিষ্কার গীত নহে, পীতাভ রক্তিম, এইরূপ অর্থ হইবেক। কেননা রক্তবর্ণ মণিউ যে মাণিক্য, ইহা “শে।ণোপল”' প্রভৃতি নামছার। ব্যাখ্যাত হইয়াছে ঘুক্ত- কন্পতরুগ্রন্থে এই জাতিনির্ববাচন সন্বন্ধে বিশেষ উক্তি আছে যথা-_ “পলার!গো ভবেদিপ্রঃ কুরুবন্দস্ত বাহুজঃ। সৌগান্ধকো ভবেছৈশ্যে মাংসখগুস্তথাপরে ॥৮ পূর্বোক্ত পন্নরাগমণিই বিপ্রজাতীয়। কুক্(বন্দনামক মাণিকা ঝাহুজ অথৎ ক্ষারয়জাতীয়। সৌগদ্ধি নামক মাণিক্য বৈশ্ঠঞ। [তীয় এবং মাংসথগডনামক মাপিক্য শুদ্রজ।তীয়। মাণিক্যের বর্ণের সাদৃশ্তা দি মাণিক্যরত্রের বর্ণের প্রভেদ থাকাফ উহা নানা নামে ব্যবহৃত হয় এবং তদন্ত. সানেই জাতি, বিজাতি মুল্যা্দর কল্পনা করা হয়। অতএব মাণিক্যপত সাধারণতঃ রক্তবর্ণ ইহা স্থির রাখিঝা, তাহার প্রভেদ বুঝাইবার জন্তঃ বণাস্তরের সাঁহত সংযোগের কথা বণিত হইয়াছে, ইহ বুঝিতে হইবে। যথা-_প্রভ্ত শ্বেতো- ভবেদ্ধি পঃ” ইত্যাদি সেই ম্শ্রবর্ণগুলির বার্থ ভাব অবস্থা বুঝাইবার জঙ্ত ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের রক্তিম-বস্তর সাঁহত তুলনা! করিয়া কোন্‌ মাণিক্যের কিরূপ রঙ. তাভা বুঝান হইয়াছে পর্ত রত্ুপরীন্ষা অভ্যস্ত না হইলে কেবল বচনা- বলির রা সে সকল প্রাভের অনুহৃত হইতে পারে না। মাণিক্য চেন! স্কিন ব্যবনাক়্া ব্যহীত সহস্র লেখ।পড়া জানিলেও মাণিকোর ভাল মন্দ নির্বাচনে সক্ষম ভওয়া যায় না। ফল, বচনগুলি উদ্ধৃত না করলে প্রস্তাব অসম্পূর্ণ পাঠকবগের কুভুহল বিচ্ছিন্ন হইবে, ইহ ভাবিরাই সেগুলি লিখিতে বাধ্য হইলাম। £শোণপন্পসমাকারঃ খাঁদরাজা রস গ্রভঃ | পদ্মরাগোছিজঃ প্রোক্ভশ্ছায়াভেদেন সব্বদ্া ॥৮ “গুঞ্জা-সিন্দুর বদ্ধ.ক-নাগরঙ্গসমপ্রভ | দাড়িমীকুন্থমীভাসঃ কুকবিন্দস্ত বাজঃ ॥৮ “হিঙ্গুল।ভ।শো কপুষ্পাভমীষত্পাতলোঠিভম্‌। রর বৈশ্াং সৌগন্ধিকং বিছুঃ ॥১ আরক্তঃ কান্তিহীনশ্চ চিক্কণশ্চ বিশেষতঃ মাংসবওসম[ভাসেহপ্তয 55 পপনাশন্ত ॥৮

৫৮ বত্র-রহম্য

শোণপদ্ অর্থাৎ রক্তোত্পল এবং খদিরাঙ্গার (জলন্ত কাষ্ঠ খদিরকাষ্ঠ ) সদৃশ ছায়াযুক্ত মাঁণিক্যের নাম “পন্ধরাগ” এবং তাহা ত্র/্গণজাতীয়।

কুচ, পিন্দুর, বাধুলিফুল, নাগ্রঙ্গ এবং দাড়িমপুষ্পের স্ায় দীপ্ডিযুক্ত হইলে তাহা “্কুরুবিন্দ” ক্ষত্রিয়জাতীন্ |

হিঙ্গল, অশোকপুষ্প কি ঈষৎ পীতুক্ত লোহিত, অথবা জবাপুষ্প কিংব! অলক্তকসদৃশ কা্তিযুক্ত হইলে তাহা “মৌগন্ধিক” এবং তাহা বৈগ্তজাতি।

অল্পলোহিত, কাস্তিবজ্জিত, কিন্তু (চন্কণপ্ুণযুস্তড মাঁংসথণ্ডের স্তায় আতা বুক্তু হইলে তাহা “মাংদখণ্ড” অথবা “নীলগদ্ধি”” নামে উক্ত হয় এবং তাহাই অন্ত্যজ অর্থাৎ শুদ্রজাতীয় বলিয়! গণ্য হয়।

“ভানোশ্চ ভাসামন্থবেধবে(গমাস।দ্যরশ্মি প্রকরেণ দুরম্‌। পার্খানি সর্বণানুরঞয়স্তি গুণোপপন্নাঃ স্কটিকপ্রস্থত।ঃ সূর্যের কিরণ লাগিলে ষে পন্নরাগ আপন রশ্মির দ্বারা পার্বস্থ বন্জরসমূহ রর্জত করে, সেই ক্ষ্টিক-প্রস্থুত পদ্মরাগমণি গুণধুক্ত বলিয়! গ্রাহথ। মাঁণিক্যরত্রের অটি প্রকার দোষ, প্রকার গুণ, ১৬ প্রকার ছায়া, সমস্তই বিবৃত কর! হইল। এক্ষণে সদোষ মাণিকা ধারণের আরও কয়েকটি ফলাফল বর্ণন করিয়! পশ্চাৎ পরীক্ষা মুল্যাদি নিরূপণ করিব। “যে কর্করাশ্ছিদ্রিমলো পদিপ্ধাঃ প্রভাবিমুক্ত।ঃ পরুষা বিবর্ণাঃ। তে প্রশস্তা মণয়ে! ভবন্তি সমাসতোজাতি গুণেঃ সমস্তৈঃ |” “দোষোপস্থষ্টং মণিমপ্রবোধাৎ বিভত্তি ঘঃ কশ্চন কঞ্চিদেকম্‌॥ তং বন্ধুদুঃখায় সবদ্ধবিভ্তনাশাধয়ো দোষগণা ভজন্তে |? “সপত্রনধ্যেহপি কতাধিঝ।সং প্রমদবৃত্তাবপি বর্তমানস্। পদ্মরাগন্ত মহাগুণন্ত ভর্ভারমাপৎ সমুপৈতি কাঁচি, 7৮ «দোষোপসর্গপ্রভবাশ্চ থে তে নোপদ্রবাস্তং সমভিদ্রবস্তি। গুঁণৈঃ সমুখোঃ সকলৈরুপেতং যঃ পন্মরাগং প্রযতোবিভ্তি ॥৮ কর্কর অর্থাৎ কাকরদার, সচ্ছিদ্র, মলিন, বা মললিপু, প্রভাহীন, কর্কশ বিবর্ণ হইলে সে মণি অপ্রশন্ত অর্থাৎ ভাল নহে। যে ব্যক্তি অজ্ঞান্বশতঃ একটি সদোষ মণ ধারণ করে, তাহাকে নানাপ্রকার আপদ আশ্রয় করে। ২২৬

রত্ব-বহস্ায। ৫৯ ধ্যেবাঁস করিলেও এবং অসাবধান অবস্থায় অবস্থান করিলেও গুণসম্পন্র

শব্রগ পদ্ধরাগমণির ধারণকর্তী কদাপি আপদগ্রস্ত হয় না হইয়া ধারণ করা! উপ

প্রধান প্রধান গুণবুক্ত পদ্মরাগ মণি যদি শুচি যত্রবন্‌ বাঁয়, তাহা হইলে দেব উৎপাতসস্তব কোন প্রকার আপদ্‌ উপস্থিত হইতে পারে না। “আন্তঃ প্রভত্বং বৈমল্যং স্ুসংস্তানত্বমেব চ। সুধাধ্য। নৈব ধাধ্য।স্ত নিশ্রাভা মলিনাস্তথা অগ্রিপুরাণ।

যাহার অভ্যন্তর হইতে গ্রভামগুল ছুরিত হয়, যাহা নিশ্মীল, যাহার গঠন স্থন্দর, সেই সকল মণি ধারণ করিবেক। যাহ।র প্রভা নাই, যাহ! মলিন, তাহ!

ধারণ করিবে না। পরীক্ষা আ্ুতরাং

পদ্মরাগ বা মাণিকাকে একপ্রকার হীরক বলিলেও বলা যায় হীরকপরীক্ষাকালে ইহার শন্ষানুশুক্ষম পরীক্ষা! প্রকটিত হইবে এক্ষণে স।মান্তাকারে কেবলমাত্র জাত্য বিজাতীয়, এই ছুই প্রকারের ভেদবোধক পরীক্ষা ব্যক্ত করা!

যাইতেছে। “বলাকককরমংস্পশাৎ যঃ শিখাং লোহিতাং বমেৎ।

রঞ্জয়েদ।শ্রযং বাপি মহাগডণ উচ্যতে ॥"

নবোদিত কুর্য্ের কিরণম্পর্শে যে পদ্মনাগ মণি রক্তবর্ণ শিখা উদ্বমন করে » কিংবা যাহার আধারস্থ।ন রক্তবর্ণে

এত যাহ হইতে রক্তিম আভা ছু রত হয়

রঞ্জিত হয়, সেই পন্মরাগমণি মহা গুণশ[লী “তুগ্ধে শতগুণে ক্ষিপ্তে! রঞ্জয়েৎ বঃ সমস্ততঃ।

বমেচ্ছিখাং লোহিতাঁং ব1 পদ্মরাগঃ উত্তম: ॥৮ শতগুণ দ্ধে নিক্ষিপ্ত করিলে যে পদ্মরাগমণি তৎসমস্ত হুপ্ধীকে রক্তবর্ণ করে

কিংবা রক্তবর্ণ শিখ। বমন করে, সেই পগ্মরাগই উতৎকৃষ্ট। “অন্ধকারে মহাঘোরে যে ভ্ম্তঃ সন্‌ মহামণিঃ

প্রকাশয়তি সু্যাভঃ শেষ্ঠঃ পদ্মরাগকঃ ॥£” যে মহামণি ঘোর অন্ধকারে রক্ষিত হইলেও হুধ্যবৎ প্রকাশ প্রাপ্ত হয় এবং

অন্ত বস্তকেও গ্রকাশ করে, সেই পদ্মরাগই শ্রেষ্ঠ।

২৭

৩০ বড-রহস্য।

'“পদাকোষে তু যো স্তন্তে বিকাশয়তি তৎক্ষণাৎ। পদারাগো বরোহ্োষ দেবানামপি ল্ল ভইঃ যাহা পদ্মোদরে স্থাপন করিলে পদ্মটি তন্ুহূর্তে বিকশিত হয়, সেই পদ্মরাগই শ্রেষ্ঠ দেবছুল'ভ | “ণচতারস্ত ময়োদিছ! গুণিনশ্চ যথোত্তরম্‌। সর্বাকিষ্ট প্রশমনাঃ সর্বসম্পন্ছিদায় কাঃ ॥৮ উল্লিখিত চারি প্রকার পদ্মর।গ আমি বর্ণন কৰিলাম, উতর! উদ্রোত্তর অধিক গুণযুক্ত এবং উহার! সকলেই অনিষ্টনাশক সকলেই সম্পন্ভিবুদ্ধিকারক। “বে! মণিদ শ্যিতে দূরাৎ জলদগ্রিসমচ্ছক্ঃ | বংশকান্তিঃ বিজ্ছেয়ঃ সর্বসম্পার্তকারকঃ ॥৮ যে মণি দূর হইতে জলন্ত অগ্নির ন্যায় দশ্ঠ হয়, তাভাঁর নম “বংশকান্তি” এই বং শীৃস্তি মণি ধারণ করিলে ধাঁরণকর্তার সব্ধ প্রকার সম্পন্তি বদ্ধি হয় “পঞ্চ সন্তু নববিংশতি রাগঃ ক্ষিপ্ু এব সকলং এলু বঙ্ধে। রঞ্জয়েছ্বমতি বা করজালমুত্তরোভ্তবমভ[গুণিনস্তে ॥৮+ “নীলীরসং দু্ধীরসং জলং বা যে রঞ্জয়ন্তি দ্বিশত প্রমাণম্‌। তে তে বথা পুর্ববমতি প্রশস্তাঃ সৌভাগ্যসম্পন্ভিবিপানদাম্নকাঃ ॥৮ যে মণি আঁপনার ওজন অপেক্ষা দুইশত গুণ পরিমাণ 'গসনের নীলরস, ছগ্ধ, অথবা জলকে রাগবান্‌ অর্থাৎ রক্তবর্ণ করে, সেই সকল মাণ পুনৰ পুর্ণ হইতে পর পর ক্রমে প্রশস্ত অর্থাৎ নীলরসরগ্ক অধিক উত্তম, ছুগ্ধরঞ্জক অপেক্ষাকৃত অনুত্তম। জলরঞ্জক তদপেক্ষ! অন্ধন্তম। ইত্যাদি

বিশেষ পরীক্ষা

পরীক্ষাসন্বন্ধে অনেক কথাই ইত্যগ্রে বলা হইয়াছে অবশিষ্ট কএকটি বচন-- যাহা বিশেষরূপে জ্ঞাতবা- এক্ষণে তাহাই বল! যাইতেছে “কেচিচ্চারুতরাঃ সন্তি জাতীন।ং প্রতিবপকাঃ। বিজাতয়ঃ প্রযত্ণেন বিদ্বংস্ত।চুপলক্ষয়ে ॥৮ রঃ “কলদপুরোভ্তবসিংহলতুষ্ব ুদেশোখমুক্তমালীয়াঃ | ্রীপর্নিকাশ্ড সদৃশ! বিজাতয়ঃ পন্মরাগাণাম্‌ ॥৮ ২১৮

বত -গহহ্য। শু.

“তুযোপসর্গাৎ কলসাভিধানমাতাঅ্রভ।বাদপি তুম্থুরোখম্‌। কাষ্ত 7াভথ। সিংহলদেশজাতং মুক্তাভিধানং নভসঃ স্বভাবাৎ ॥১, “শ্রীপর্ণিকং দীপ্তি,নরারুতিত্বাৎ বিজাতিলিঙ্গাশ্রয় এব ভেবঃ ॥"* দেখিতে ঠিক জাত্য মণির ন্যায় সুন্থন্দর__-এরূপ অনেক মণি আছে। রত ওত্রজ্ঞ ব্যাঞ্জি যত্রপূর্বক সে সকলকে পরীক্ষারূঢ় করিবেন এ. দেখিতে পদ্মরাগের ন্যায়, এরূপ বিজাত পদ্মরাগ পাঁচ প্রকার। ষথা--

কলসপুরেদ্ুব, সিংহলোখ, তৃষ্ুরোখ, মুক্তমালীয় শ্ীপণিক।

কলস পুরোদ্ভব নামক বিজাত পদ্মরাগের চিহ্ত এই যে, তাহা তুষের স্তায় দাগ- যুক্ত হয়। তুম্থুরোখের লক্ষণ এই যে, তাহাতে কিঞ্চিৎ তাত্রভাব লক্ষ্য হয়। পিংহলজাতত বিজাতীয় পদ্মরাগের চিহ্ন এই মে, তাহাতে কিঞ্চিৎ কৃষ্ণবর্ণতা থাকে আকাশের স্বভাব অনুসারে মুক্তমালীয় নামক বিজাত পদ্মরাগমণিতেঞ বজাতা- বেধক চিহ্ন থাকে এবং দ্রীপ্তিহীনতারূপ বিজাতীয় চিহ্ন, শ্রীপার্ণক নামক পদ্ম" রাগাকার প্রশ্তরে থাকে এই সকল বৈজাত্াাবোধক চিহ্ন, ভিন্ন ভিন্ন রত্রশান্ত্রে উক্ত হইরাছে। এতট্ছিন্ন সর্বজন প্রপিদ্ধ আরও কতকগুলে চিহ্ন আছে। যথা-_

“ম্নেহাপ্রবেহো মৃছতা লপুত্বং বিজাতিলঙ্গং খলু সার্ববজন্ন্‌।

যঃ শ্ট/মিকাং পুখ্যতি পন্মরাগো যে! বা তুষাণামিব চুর্ণমধ্যঃ

স্নেহপপ্রদিপ্ধো বো বিভাতি যো ব। প্রভৃষ্টঃ প্রজহাতি দীপ্তিম্‌।

আক্রান্তমুদ্ধা ভথ!হুপিভ্যাং যঃ কািকাং পার্খগতাং বিভন্তি

সন্প্রপ্য চোতক্ষেপপথান্থবুরিং বিভত্তি যত সব্বগুণানতীব

তুল্যপ্রমণস্য তুল্যজাতে ধো বা গুরুত্বেন ভবেন্ন তুল্যঃ

প্রাপ্যাপি রত্রাকরজাং স্বজাতিং লক্ষেদ্গুরুত্বেন গুণেন বিদ্বান্‌.”

আন্সগ্ধ অর্থাৎ রুকো!। মুগ্ধ অর্থাৎ নরম। লঘু অর্থাৎ হালকা এই

কয়েকটি সর্বজনপ্র সদ্ধ খিজাতীয়তার অন্ধুমাপক চিহ্ন যে পদ্মন্রাগে শ্তামিক! লক্ষিত হয় এবং যাহাব অভ্যন্তরে তুষের স্থাঁ় চুর্ণবিচুর্ণভাব দৃষ্ট হয়, যাহ! শ্নেহাক্তের ন্যায় অর্থাৎ টল্টলে দেখায় না, যাহাকে মাঁজিত করিলেই দীপ্তিহীন হয়, অন্গুলির দারা ধারণ করিলে যাহার পার্থে কাল ছায়া দৃষ্ট হয়, তাহা বিজাতীয় বলিয়া জনবে। এতত্তিন্ন অন্য এক পরীক্ষা এই যে, দেখিতে তুল্যাকার তুল্য প্রমাণ ঢইটি মণি লইগা ওজন করিলে বেটি লঘু হইবে-_রক্রবিৎ ব্যক্তি সেটিকে বিজাত

২৯

বন্ত-বহস্থয।

ব্লিয়া স্থির করিবেন। গুরুত্ব গুণ এই উভয় ছারাই মণির বৈজাত্য পরীক্ষা হইব থাকে সার কথ! এই যে,₹_ “জাত্যন্ত সর্বেইপি মণেন্ন জাতু বিজাতয়ঃ কাস্তিসমানবর্ণাঃ। তথাপি নানাকক্রণার্থমেবং ভেদপ্রকারঃ পরমঃ প্রদিষ্টঃ ॥” বিজাতীয্ব মণি সকল কি কাস্তিতে, কি বর্ণে, কোন অংশেই জাত্য মণির তুল্য হইতে পারে না। তথাপি ভিন্নতা বুঝাইবার নিমিত্ত উল্লিখিত ভেদপ্রণালীসকল উদ্দিষ্ট হইল। অপ্রণশ্ততি সন্দেহে শিলায়।ং পরিঘর্ষয়েৎ। ষ্টা যোহত্যন্তশে(ভাবান্‌ পরিমাণং মুঞ্চতি |”, মাণিক্য দেখিলেই তাহ! জাত্য কি বিজাতীয় ? অকৃত্রিম কি কৃত্রিম? এরূপ সন্দেহ হয়। সে সন্দেহ যদি অন্য কোন প্রকারে অপনীত না হয়, তবে, তাহ! অন্য এক জাত্যমাণিক্যে ঘর্ষণ করিবেক। ঘর্ষণ করিলে যদি শোভা বৃদ্ধি হয়, আর পরিমাণ অর্থাৎ ওজনে হালক! ন1 হয়, তাহ! হইলে তাহা_ “স জ্ঞেয়ঃ শুদ্ধজাতিস্ত জ্ঞেয়াশ্চান্তে বিজীতয়ঃ শুদ্ধ জাতি হইবে, নচেৎ তাহা বিজাতীয় বলিয়। স্থির করিতে হইবে। পরিমাণ মাণিক্যরত্বের আকারের ওজনের উচ্চসীমা কি, তাহা বলা যাইতেছে। দেখিতে কুঁচের সমন একটি মাণিক্য ওজন করিলে দশ কুঁচ, অর্থাৎ দশ রতি পধ,স্ত হইতে পারে এবং দেখিতে বিশ্বফল সমন একটি মাণিক্য ওজনে দশ তোলা পর্যন্ত হইতে পারে বুত্বতন্ববিৎ পণ্ডিতের! বলেন যে, কি আকারে কি ওজনে, এতদপেক্ষা অধিক হয় এন্সপ মাণিক্ট কেহ কখন লাভ করেন নাই। “গুঞাফল প্রমাণন্ত দশ সপ্ত ত্রিগুঞ্জকান্‌। পন্পরাগস্তলয়'ত যথাপুবঝ্বং মহাগুণহ 0৮ যে পদ্মরাগ দেখিতে গুপ্রা প্রমাণ, তাহা ১০,৭ গুঞ্ার দ্বার! তুলিত অর্থাৎ ওজন হইতে পারে। তাহা হইলে পুর্ব পূর্ব ওজনবুক্ত পন্মরাগই প্রশস্ত বলিয়া গণ্য অর্থাৎ একটি গুঞ্জাকার পন্নরাঁগ ওজন করিলে যদি ১০ গুঞ্জা পরি- মিত হয়, তাহা হইলে তাহ! যত ভাল, গুঞ্ার সমান হইলে তাহা তত ভাল নহে এইজপশ গুঞ্জার সমান হইলে তাহা অপেক্ষা অধম বলিয়া জানিতে হইবেক | | ২৩০

বৃ-রহস্য।

“এক্রো্ট কোলফলাকারো দ্বাদশাষ্টারিগুজকাস্‌। পদ্দুরাগন্তলপ্নৃতি যথাপুর্ববং মহাগুণঃ ॥৮ ক্রোষ্ট ,কোল অর্থ।ৎ শৃগালবধরী, যাহার বঙ্গভাঁষ! “শ্ঠাকুল+” সেই শ্য।কুলের সমান দশ; একটি পদ্মরাঁগ ৯২, ১০,৮, কি? গুঞ্লার সহিত তুলিত অর্থাৎ ওজণ হইতে পারে। তাহ! হইলে তাহারা পুর্ববপুর্বক্রমে মহাগুণ বলিয়া গণ্য হইবে। ওজনে ভারি হওয়াই যে একটি মহাগুণ তাহা পূর্বেই বল! হইয়াছে। “বদরীফলতুল্যে। ষঃ স্বরদিক্‌ বসুমাষক:। তথা ধাত্রীষ্লত্রিংশদ্বিংশতিদ্য্টমষকঃ ॥১, বদরী অর্থাৎ কুল। দেখিতে কুলের মত একটি মাণিক, ওজনে ১৪, ১০ ৮, মাষা হইতে পারে। এইরূপ ধাত্রী অর্থাৎ দেখিতে আমলকী ফলের মত একটি মাণিক ৩০ ১০ ১৬ মাষা! পধ্যন্ত হইতে পারে এখাঁনেও যে যত ভারি সে তত ভাল ইহা বুঝিতে হইবেক “বিস্বীফলসমাকারো বন্ুষটদশতোলকঃ | অতঃপর প্রমাণেন মানেন লভ্যতে ॥” প্যদি লভ্যেত পুণ্যেন তদা সিদ্ধিমবাপ্র,য়াৎ।” বিশ্বফলের সমানাকার একটি মাণিক্য গুরুত্বে ৮, ৬, দশ তোলা হইতে পারে। কি প্রমাণে কি মানে ইহার অধিক হয় এরূপ সাণিক্য লাভ হয় নাঁ। যদি কেহ কখন পুগ্যবলে লাভ করিতে পারেন, তৰে তিনি অষ্টসিদ্ধি লাভ করি- বেন, বল। যাইতে পারে উপরোক্ত বচননিচয়ে যে প্রমাণ মানের নির্দেশ কর! হইল, তাহা কেবল দিকৃদ্দশন মাত্র। ফল, উহার তারতম্যও হইয়া থাকে। বিশ্বফল যেমন ছোট বড় হয়, বিশ্বফলাকার মাণিক্যও তেমনি কিঞ্চিৎ ছে।ট বড়, এবং তাহাদের ওজন ৬, ১০ না হইয়া ৮॥০, ৬1০, ১০॥* কি তাহারও কিঞ্চিৎ ন্যুনাধিক হয়, ইহাও বুঝিতে হইবেক।

মূল্য এক্ষণে মূল্যের কথা বলিয়া প্রস্তাব শেষ করা যাউক। পরস্ত শাস্ত্রানুযায়ী মূল্যই লিখিত হইবেক। যে সময়ে ভারতবর্ষে রত্রশাস্তত সকল লিখিত হইগ্লাছিল; তৎকালে ফেপ্রকার মূল্যে ব্রীত বিক্রীত হইত, শাস্তকারের! তাহাই লিপিকন্ধ দহ৩১ ৩২

টু রতু-রহস্ত।

করিয়া! গিয়াছেন, কিন্তু এক্ষণে তাহার অনেক অন্যথা! হইয়া গিয়াছে এখন গরজ বুঝিয়া দর ; এবং যে যাহার নিকট যত লইতে পারে সে তত লয়। পুর্বে এরূপ অবস্থা ছিল না। প্রায় সকল বস্তরই এক একট! মূল্যের নিয়ম ছিল। পূর্বকালে কিরূপ নিয়মে কিরূপ মূল্যে মাণিক্যরত্বের ক্র বিক্রয় নিষ্পন্তি হইত, তাহা ক্রমে প্রদর্শিত হইতেছে “বালার্কাভমুখং কৃত্বা দর্পণে ধারয়েন্মণিম্‌। তত্র কাস্তিবিভাগেন ছায়াভাগং বিনিদ্দিশেৎ ॥” প্রাতঃকালে নবোদিত সুষ্যের অভিমুখে দর্পণের উপর মণিটি রাখিবেক। রাখিয়া মণির কান্তির প্রভেদ স্থির করিবেক 1 স্থির করিয়া ছায়া! বা কান্তি অনু- সারে নির্দিষ্ট মুল্যের তারতম্য নির্ণয় করিবেক। (এ নিয়ম আমরা বিশেষরূপে জ্ঞাত নহি এবং এক্ষণকার মণিকারেরাও জ্ঞাত আছেন কি না সন্দেহ |) নির্দিষ মূল্য কি? তাহা ব্যক্ত করা যাইতেছে যথা-_ *বস্তম্ত যত্তগুলসংখ্যয়ো ক্তং মূল্যং সমুন্ম(পিতগৌরবস্ত | তৎ পদ্মরাগস্ত গুণান্বিতন্ত স্তান্মাষকাখ্য। তুলিতন্ত মূল্যম্‌ ॥” অর্থ এই যে, এক তুল গুরু হীরকের যে মূল্য, এক মাধ! পরিমাণ উৎকৃষ্ট পদ্মরাগের সেই মূল্য

“যন্স,ল্যং পদ্মরাগন্ত সগুণন্ত প্রকীন্তিতম্‌। তাবম্মুল্যং তথা শুদ্ধে কুরুবিন্দে বিধীয়তে |”

গুণযুক্ত অর্থাৎ উত্তম পদ্মরাঁগের যে মুল্য বলা হইল, বিশুদ্ধ “কুরুবিদ্দ” মণিরও সেই মূল্য বিহিত আছে। “সপ্ুণে কুরুবিন্দে যাবন্ম,ল্যং প্রকীন্তিতম্‌। তাবন্স,ল্যচতুর্ঘাংশহীনং স্তাদ্‌ স্থগন্ধিকে ॥”

উৎকৃষ্ট কুরুবিন্দের যে মূল্য বলা হইল, “সৌগদ্ধিক” মাণিক্যের মূল্য তাহার এক চতুর্থাংশ ন্যুন হইবেক। প্যাবনসুল্যং সমাখ্যাতং বৈশ্তাবর্ণে স্ুরিভিঃ। তাবন্স,ল্যচতুর্াংশং হীনং স্তাৎ শৃদ্রজন্মনি ॥” বত্বতত্ববিৎ পণ্ডিতের “সৌগদ্ধিক” মণির যে মূল্য অবধারিত করিয়াছেন, শূদ্রবর্ণের মণি অর্থাৎ মাংসথণ্ড বা নীলগন্ধি মণির মূল্য তাহার এক চতুর্থাংশ হীন ২৩২

বত রহস্য। ৬৫

“পল্পরাগঃ পণং যস্ত ধত্তে লাক্ষারস প্রভঃ কার্ধাপণসহআণি ত্রিংশন্মল্যং লভেত সঃ॥৮ অলক্তাঁভ পদ্মরাগ যদি কর্ষ পরিমাণ গুরুত্ব ধারণ করে, তবে তাহার মূল্য '৪শ সহম্র কাষাপণ। “ইন্দ্রগোপকসস্কাশঃ কর্ষত্রয়ধূতোমণিঃ | দ্বাবিংশতিঃ সহস্রাণাং তস্ত মূলাং বিনির্দিশেৎ ॥৮ ইন্দ্রগোপ অর্থাৎ মকমলী পোকার সায় বিটিত্রচ্ছায় একটি মণি বর্দঘ কর্ষ ভাত্রি হয়, তবে তাহার মূল্য ছাবিংশতি সহজ্র কাধাপণ নিদ্দেশ করিবেক | “একোনে। নুয়তে যস্ত জবাকুন্থমসন্নিভঃ। কা্ধাপণসহআণি তস্য মূল্যং চতুর্দশ ॥% জবাপুষ্পের স্তায় আভাযুক্ত এক মণি যদি ওজনে পাদোন কর্ষ পরিমাণ হয়, তবে তাহার মূল্য চতুর্দশ সহস্র কার্ধাপণ। “বালাপিত্যছ্যতিনিভং কর্ষং যস্ত প্রতুল্যতে। কার্ধাপণশতানান্ত মূল্যং সপ্ভিঃ গ্রকীন্তিতম্‌ ॥” নবোদিত সুর্যের স্তায় অনতিগাঢ় লোহিত ছ্যতিযুক্ত একটি মাঁণিক যদি ওজনে. কর্ষ পরিমিত হয়, তাহা হইলে পণ্ডিতের বলেন যে, তাহার মূল্য একশত কাধাপণ। | “যস্তু দাঁড়িমপুষ্পাভঃ কর্ষার্ধেন তু সম্মিতঃ | কার্ষাপণশতানাস্ত বিংশতিং মুল্যমাদিশেৎ ॥% দাঁড়িমপুষ্পের আভার স্তায় আভাবুক্ত মণি বদি গুরুত্বে অদ্ধকর্ষ হয়, তবে তাহ।র মুল্য ছুই সহস্র কার্ষাপণ অবধারিত করিবেক “চত্বারো মাষকা যস্ত রক্তোত্পলদলপ্রভঃ | মূল্যং তন্ত বিধাতব্যং সুরিভিঃ শতপঞ্চকম্‌ ॥১ রন্তপন্মের দলের স্া।য় প্রভাবুক্ত মণি যদি ওজনে চারি মাষ! হয়, তবে বুবিৎ পাঁওতের! তাহার মুল্য পঞ্চশত কার্য।পণ স্থির করিবেন। “দ্বিনাষকো যস্ত গুণৈঃ সব্বৈরেব সমন্বিতঃ। তন্ত মূল্যং বিধাতব্যং দ্বিশতং তত্ববেদিভিঃ ॥* সর্বপ্রকার গুণসম্প্ন মণি যদি গুরুত্বে ছই মাষা পরিমিত হয়, তাহা হইলে

রত্ুতত্ববেত। পঞঙ্ডিতগণ তাহার ছুইশতু কার্ষাপণ মূল্য ব্যবস্থা করিবেন। ২৩৩

বত ছসা।

“মাষকৈকমিতো। যস্ত পদ্মরাগো! গুণান্বিতঃ | শতৈকপন্সিতং বাচাং মূল্যং রতরবিচকণৈঃ 1৮ যে খুণযুক্ত পদ্মরাগ ওজনে এক মাধ! পরিমিত হয়, রত্বতত্ববিচক্ষণগণ তাহার এক শত কার্যাপণ মুল্য বলিবেন। “অতোন্যুন প্রমাণাস্ত পন্পরাগা গুণোত্তরাঃ | ্ণদবিগুণমূল্যেন মূলাং তেষাং প্রকল্পয়েৎ |” উহা অপেক্ষা নুন পরিমাণ গুণযুক্ত পদ্মরাগের সবের দ্বিগুণ মূলা স্থির করি- বেক। অর্থাৎ একরতি সুবর্ণের যে মুলা, ১রতি পদ্মরাগের মূল্য তাহার দ্বিগুণ *। “অন্টে কুমুস্তপানীয়মঞ্জিষ্ঠোদকসন্নিভাঃ | কাধান্স! ইতি বিখ্যাতাঃ ক্ষটক প্রভবাশ্চ তে ॥" «“তেষাং দোষো গুণে! বাপি পন্মরাগবদাদিশেৎ। মূল্যমন্নস্ত বিজ্ঞেয়ং ধারণেহননফলং তথা ॥৮

অন্ান্ত যে সকল মণির রঙ কুম্ুমফ্ুলের বা মাজিষ্ঠোদকের ন্যায় তাহারা '্ষটিক হইতে সমুৎপন্ন এবং তাহাদিগকে “কাষায়” মণি বলে। তাহাদ্দগেরও দোবগুণ পদ্মবাগমণির হ্যায় বিচার্য্য, কিন্ত তাহাদের মূল্য অত্যন্ন এবং ধারণেও অন্ন ফল। ভোজরুত যুক্তিকল্পতরু গ্রন্থ অপেক্ষা বৃহৎস-হিতা গ্রন্থটি বহু প্রাচীন তাহাতে পদ্মরাগ মণি বা! মাঁণিক্য সম্বক্ধে এইরূপ নিয়ম উল্লেখ দৃষ্ট হয়; ঘখ|- “ড় বিংশতিসহজাণ্যেকস্ত মণেঃ পল প্রমাণস্ত কর্ষত্রয়স্য বিংশতিরুপবিষ্টা পন্মরাগস্য অর্দথপলস্য ছাদশ কষনস্যৈকস্য ষটসহশাণি। যচ্চাষ্টমাসকধৃতং তপ্য সহমত্রয়ং মূল্যম্‌ মাবকচতুষ্টয়ং দশশতত্রয়ং দ্ৌ তু পঞ্চশতমূল্যো। পরিকল্পযমন্তরালে মুল্যং হীনাধিকগুণান।ম্‌

৭. ৮* রতি কাঁঞনকে পর্ধবকালে সুবর্ণ বলিত। উহ্াই তৎকালের মুদ্রা সে অর্থ এস্বলে গুভীত হইবেক না। কার্ধীপণ শন্দে এন্কুলে পুরাণ গৃহীত হয়। যথা---'কার্ধাপণঃ সমখ্যাতঃ পুরাণদয়সশ্মিতঃ1” পুরাণ শব্দের অর্থ এক মতে পণ এবং এক মতে কাহ্‌দ।

২৩৪

বত-রহভ |

বর্ণন্যুনস্যার্ধং তেজোহীনস্য মূল্যমঞ্টাংশঃ। অল্পগুণো বছদোষে! মৃল্যাৎ প্রাপ্োতি বিংশাংশম্‌ আধুত্রং ব্রণবছলং ্বল্পগুণং চাপ্র য়াৎ দ্বিশতভাগম্‌। ইতি পদ্মরাগমূল্যং পুর্ববাচাধ্ৈঃ সমু'দিষ্টম্‌ |” পল পরিমাণ একটি পন্মপাগ মণির মূল্য ২৬** ( কার্ধাপণ )। কর্ষ পরি- মণ হইলে ২**** অর্ধপল পরিমাণ হইলে ১২০০০ 1 কর্ষ পরিমাণ হইলে ৬০০০ | ওজনে মাষা হইলে ৩০০০। মাষা ওজনে হইলে ১০০৩। মাষা ৫০০। এই ওজন মুল্য নির্দি্ হইল বটে; কিন্তু উহাদের অস্তরাল অর্থাৎ মধ্যবর্তী দশা দেখিয়া মূল্যের নুযনাধিক কল্পনা করিবেক। ওজনের গুণের আধিক্য দৃষ্ট হইলে মূল্যের আধিক্য এবং অল্পত৷ দৃষ্ট হইলে মুলো রও অল্পত। ভাগহারক্রমে ) কল্পনা করিবেক। পরস্ত বিশেষ ব্যবস্থা এই যে. বর্ণের বা ছায়ার নানতা দৃষ্ট হইলে সাধারণ মূল্যের অদ্ধীংশ এবং তেজোহীন দৃষ্ট হইলে ভাগের এক ভাগ প্রদান করিবেক। অন্ন গুণ দোষ অনেক, এরূপ হইলে নির্দিষ্ট মূল্যের ২০ অংশ প্রাপ্ত হইবেক। অল্প ধূমরবর্ণ ব্রণব্হুল অত্যান্ গুণযুক্ত হইলে তাহার মুল্য নির্দিষ্ট মুল্যের দশভাগের এক ভাগ স্থির করিবেক। পুর্ব চাধ্যের! পদ্মরাগ মণির এইরূপ মুল্যই অবধারিত করিয়া গিয়ছেন। কিন্তু মহর্ষি শুক্রাচাধ্য বলিয়াছেন যে» “রাজদৌষ্ট্াচ্চ রত্বানাং মুল্যং হীনাধিকং ভবেৎ।+ রাজাদিগের দৌষে রত্ব সকলের মূল্যের নানাধিক ঘটন! হইয়া থাকে।

বৈদূর্ধয |

এই বৈদূর্্য মণি মঙ্গারত্ব বলিয়া গণ্য কেহ কেহ বলেন যে, বিদূব দেশীয় পর্বতে উৎপন্ন হয় বলিয়া ইহার “বৈতূর্য্য” নাম হইয়াছে *। এই মণি অদ্ভি

স্পা পাপ পপ পপ

* “ধিরে ভঘং বৈদর্ধাং” এই বাৎপত্তি অন্রনারে কেহ কেহ বলিয়া! থাকেন যে, এই মণি বিদুর নামক দেশে অগব! যিদূর নামক পর্বতে উৎপন্ন হয়। আবার কেহ ষলেন যে ধিদুর নামক দেশ কিংবা বিদূর নামক পর্ধবত, কি তদ্দেশীয় পর্বতের কোন দিম্পঈ বিবরণ কোন সংন্ষতত গ্রন্থে পাওয়] যায় নাঃ কেবল জটাধর বিদুরাত্রি, শবের উল্লেখ করিয়াছেন; কিন্তু তাহার টাকাকাক

২৩৫

৬৮ ঈত্ব-রহস্য।

প্রাচীনকাল হইতে ব্যবহৃত হইয়া আমিতেছে। রামায়ণ মহাভারত প্রভৃতি সমুদায় প্রাচীন পুস্তকেই ইহার উল্লেখ দৃষ্ট হয়। ব্যবহারের বস্তু বলয়! বৈদৃষ্য মণির অনেক সংস্কৃত নাম পর্য্যায়-বন্ধ হইয়। গিয়াছে জৈনাচাধ্য হেমচন্দ ইহার ছইটি মাত্র নাম নির্দেশ করিয়াছেন। যথা--“বৈদূর্ধ্য বালবায়জমং”, কিন্তু রাজনির্থণ্ট প্রভৃতি গ্রন্থে ইহার “কেতুরত্র “কৈতব ৮, “প্রাবুষ্য” “অভ্ররোহ” “খরাব্দান্কুর” “বিদূররত্র” “বিদুরজ” নাম দৃষ্ট হয়। শুক্রনীতিকার বলিয়ছেন যে, “বৈদূর্যাঃ কেতুপ্রীতিকৎ 1৮ “বৈদূর্ধ্যং মধ্যমং স্থৃতম্‌।” এই বৈদূধ্য মণি কেতু" গ্রহের প্রীতিজনক এবং ইহা হীরকাদি উত্তম রত্রাপেক্ষা মধ্যমরত্র বলিয়। গণ্য এত- ভিন্ন রাজবল্লভ গ্রন্থে ইহার ভৈষজ্যোপযে।গী বিবিধ গুণ বর্ণিত হইয়াছে ; যথা-_ “মুক্তা বিদ্রমন্বজেন্্-বৈদূর্য-্ফটিকাদিকম্‌। মণি-রত্বং সরং শীতং কষায়ং শ্বাছু লেখনম্‌। চাক্ষুষ্যং ধারণাত্রচ্চ পাপালক্ষ্মীবিনাশনম্‌ ॥+ মুক্তা, বিদ্রম, হীরক, ইন্দ্রনীল, বৈদূর্ধ্য স্ষটিক প্রভৃতি মণিরত্ব সকল সারকগুণ-বিশি্, শীতল, কষায়রস, স্বাদ্ুপাকী, উল্লেখনকর, চক্ষুর হিতকারী এবং ধারণ করিলে উহার! পাপ অলঙ্ষমী বিনাশ করে। শান্্কারেরা য়াহাকে “বৈত্ধ্য-মণি” বলিয়া! গিয়াছেন, বঙ্গভাষায় তাহাকে “বৈদূ ধা” ভিন্ন অন্য কোন নামে ব্যক্ত করা যায় না; কিন্ত আধুননক জহরীর! তাহাকে “লহন্ুনীয়। বা “লেশনীয়। ৮» বলিয়া থাকেন। রাজনির্ঘণ্ট, গরুড়পুরাঁণ যুক্তি-কল্পতরু প্রভৃতি বহু গ্রন্থে এই বৈদূর্ধ্-মণির ছায়া, বর্ণ পরীক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে অন্কে কথ! লিখিত আছে

বল

“বিদুরদেশস্থ পর্ববতবিশেষ” এইরূপ ব্যাথা করিয়াছ্ছেন। অন্য এক সম্প্রদায় বলেন ষে, ভারতবর্ষের পশ্চিমোত্তরকোণে বিদূর নামক পর্বত ছিল ; এক্ষণে তাহার নামান্তর হইয়া গিয়াছে যদ্দি তন্ামক পর্বত সত্যসত্যই তৎস্তানে না থাকিবে, তবে কালিদ।ন মদ্রিনাথ প্রভৃতি মহামহোপাধ্যায়গণ নিম্নলিখিত প্রকার লিখিবেন কেন? স্থ|--""বিদূরভুমির্ ঘমেঘশব্দ1ৎ | (কালিদাস ) “বিদূরস্ত অদ্রেঃ প্রান্ততৃমি১” ( মল্লিনাধ ) “অবিদুরে বিদুরস্ত গিরেরন্্র,রোধসঃ।* (বুদ্ধ)। যাঁহাই হউক, বিদূওর নামক দেশ কিংবা! বিদুর নামক পর্বত নাই ধলিয়।ই আমাদের অনুভূত হয়, স্ুতর!ং বৈদূর্যা ঘ। বিদূরজ শব্দের অতিদূর দেশ-জাত অর্থ করিলেই ভাল হয় যোধ হয পুর্ব

উহা (বাখার! প্রভৃতি অতি দূর দেশ হইতে আধ্যাবর্তে আনীত হইত বলিয। আধ্যের। বৈদৃধ্য নামে উল্লেখ করিতেন।

২৩৬

বত রহসা। ৬৯

রাজনির্ঘন্টকারঠুবলেন যে, বৈদূর্যযমণি সাধারণতঃ কৃষ্ণ-গীতবর্ণ ; কিন্ত শুক্র- নীতিতে লিখিত আছে যে, “নীলরক্তত্ত বৈদুর্ধ্যং শরেষ্টং হীরাদিকং ভবে” ষে বৈদৃধ্য-মণি নীলরক্তবর্ণ সেই বৈদূধ্যই শ্রেষ্ঠ যাহাই হউক, ক্ষ্ণ-পীত বা নীল-রক্ত হইলেও তাহার ছায়৷ ব! কান্তিগত বিশেষ বৈলক্ষণ্য আছে সন্দেহ নাই। রাজ- নির্ঘন্টকার বংশপত্র প্রভৃতি বস্তুর সাদৃশ্ঠ দ্বার! বৈদূর্ধ্য-মণির স্বরূপগত কাস্তির বর্ণন করিয়। উহাকে সহজবোধ্য করিয়া গিয়াছেন ; যথা-_

*একং বেগুপলাশকোমলরুচা মায়ুরকগত্বিষা, মার্জারেক্ষণপিঙগলচ্ছবিজুষ! জেেয়ং ব্রিধা চ্ছায়য়া। যদগাত্রং গুরুতাং দধাতি নিতরাং মিগ্ধন্ত দোযোর্ছ তং, বৈদূর্য্যং বিশদং বদস্তি স্ুৃধিয়ঃ স্বচ্ছ তচ্ছোভনম্‌ ॥” উহার সংক্ষেপ অর্থ এই যে, বৈদূর্য্য-মণি তিন প্রকার ছায়ার দ্বার! ত্রিধা অর্থাৎ তিন প্রকার হইয়া থাকে এক প্রকার “বেণুপলাশ » অর্থাৎ কচি বাশের পাতার রঙ.। দ্বিতীয় প্রকার মযুরকণ্ঠের রঙ. তৃতীয় প্রকার “মার্জার” অর্থাৎ বিড়ালের চক্ষুর রউ.। তন্মধ্যে যাহা বিশদ স্বচ্ছ, তাহাই উত্তম। এই উত্তম বৈরূর্যয স্নিগ্ধ, ওজনে ভারী নির্দোষ বিচ্ছায়ং মৃচ্ছিলাগর্ভং লঘু কুক্ষঞ্চ সক্ষতম্‌। সত্রাসং পরুষং কৃষ্ণং বৈদূর্ঘ/ং দূরতাং নয়েৎ॥৮” যাহা বিচ্ছাঁয় অর্থাৎ বিবর্ণ ( অথব! দ্বিবর্ণ ১, যাহার অভ্যন্তরে মৃত্তিকা বা শিলা” চিহ্ন দৃষ্ট হয়, যাহা ওজনে হালকা, রুক্ষ, অস্িপ্ণ, ক্ষতযুক্ত, ত্রাসচিহ্নে চিহ্নিত, কর্কশ, কৃষ্ণভাতি, এরূপ বৈপূর্য্য দুরে নিক্ষেপ করিব্কে।

পরীক্ষা!

“গ্ৰঈং যদাস্বন। স্বচ্ছ স্বচ্ছায়াং নিকষাশ্মনি। স্কটং প্রদর্শয়েদেতদৈদূষ্যং জাত্যমুচ্যাতে 1, রাজনির্ঘণ্ট ইহার ভাবার্থ এই যে, কষ্টি-পাঁথরে ঘর্ষণ করিলে যাহার স্বচ্ছতা ছয়! পতি- স্ফুট হয়, সেই বৈদূরধ্যই জাত্য অর্থাৎ ভাল। গকড়পুরাণে বৈদূর্যসত্বদ্ধে এইনপ উক্তি আছে। বথা-- ২৩৭

রত -রহন্য |

«“বৈদৃধ্য-পুষ্পরাগাণাং কক্কে ত-ভীম্মকে বদে। পরীক্ষা ব্রহ্মণা প্রোক্তা ব্যাসেন কথিতা ছ্বিজ |” হেছিজ! “বৈদ্য” “পুষ্পরাগ” “কর্কেত”ঃ “ভীম্মক” মণির পরীক্ষা যাহা প্রথমে ব্রহ্ধ। বণিয়াছিলেন, পশ্চাৎ ব্যাস যাহ! বলিয়াছেন, আমি তাহাই বলিতেছি ; শ্রবণ কর। “কল্লান্তকাঁলক্ষৃভিতান্থু রাশি-নিহাদ কল্পাদ্দিতিজস্ব নাদাৎ॥ বৈদূর্্য মুৎপন্ন মনেকবর্ণং শোভাভিরামং দৃতিবর্ণবীজম্‌ ॥৮ দেই দৈত্যের মহা প্রলরক্ষুভিত সমুদ্রগঞ্জনের ন্যার্ন অথব! বজনিষ্পেষখবের ন্যায় শব্দ হইতে অনেক রঙের বৈদৃধ্য উৎপন্ন হইয়াছিল। সে সমস্তই শোভাযুক্ত, মনোহর, আভা বর্ণ-বিশিষ্ট “অবিদুরে বিদৃরস্ত গিরেরুত্ত,গরোধসঃ। কাম-ভূতিক-সীমান:মন্ু তশ্তাকরোহভবৎ বিদুর-নামক পর্বতের উচ্চ প্রদেশের নিকটে অর্থাৎ প্রাস্তদেশে কামভূতি নামক স্থানে তাহার আকর অর্থাৎ উৎপত্তি-স্থন আছে ।* “ত্য নাদসমুখতাদধাকরঃ সুমহাগুণঃ | অভূহুত্তারিতোলোকে লে।কত্রয়বিভূষণঃ ॥”, “তন্তৈব দানবপতেনিনদান্রূপ- প্রাবুটপয়োদবরদর্শিতচারুরূপাঃ। বৈদূর্ধ্য রত্রমণয়ো বিবিধাবভাসা- ্স্মাৎ স্কূলিঙ্গনিবহ! ইব সম্বভূবুঃ॥% দৈত্যধ্বনিসমুখখ ব্লিয়৷ তাহার আকর সুন্দর মহাগুণবিশিষ্ট হইয়াছিল। সেই মহাগুণ আকর হইতে উত্থিত » উৎপন্ন হওয়ায় তাহা ত্রিলোকের ভূষণ হইয়াছে। সেই দানবরালের গর্জনের অনুরূপ বর্যাকালের মেঘরাজের ন্যায় বিচিত্র। মনোহর বর্ণবিশিষ্ট নানা প্রকার ভাস অর্থাৎ দীস্তিবুক্ত বৈদূর্য-মণি সেই সকল আকর হুইতে অপ্রিস্ষ,লিঙ্গ-সমূহের ন্যায় আবিভুতি হইয়াছিল

* মিদাঁথসুরি কুমারসম্ভবের টাকায় বুদ্ধধচন বলিযী ''কামভূতিক-সীমানং ৮” পাঠের পরিধর্তে “কাক্ভালীয়মীমান্তে মণীনামাকরোৎ ভবৎ” পাঠ করিয়াছেন।

তা

বত রহস্ত | নও

'তেষাং প্রধানং শিখিকগনীলঃ যদ্বা ভবেছেণুদল প্রকাশম্‌। চাষাগ্রপক্ষপ্রতিমশ্রিয়ো! যে তে প্রশস্ত! মণিশাস্ত্রবিত্তিঃ ॥” বৈদূরধ্য বহুপ্রকার হইলেও ময়ূরকণ্ রঙের এবং বংশ-পত্র বর্ণের বৈদূর্যযই প্রধান বা উত্রুষ্ট। যাহার বর্ণ “চাষ” বা নীলক্ নামক পক্ষীর পক্ষাগ্রভ'গের গ্যায় সে বৈরূর্ধ্য-মণি উত্তম নহে। *গুণবান্‌ বৈদৃধ্যমণির্ষে। জয়তি স্বামিনং বরভাগ্যেঃ। দোষৈধুক্তোদোষৈস্তম্মাৎ যত্রাৎ পরীক্ষেত 1 যেহেতু গুণযুক্ত বৈদূর্ধ্-মণি ধারণকর্ভার প্রভুর সৌভাগ্য আনয়ন করে, আর দোষবান্‌ বৈদ্য দৌষ আনয়ন করে, সেইহেতু যত্বপূর্বক তাহাকে পরীক্ষা করিবেক। “গিরিকাচ-শিশুপালৌ কাঁচ-স্ফটিকাশ্চ ভূমিনির্ভিনাঃ | বৈদৃর্য-মণেরেতে বিজাতয়ঃ সন্নিভাঃ সস্তি ॥৮ *গিরিকাঁচ” “শিশুপাল” “কাচ” পক্ষটিক” ভূমিনির্ভিন্ন অর্থাৎ ভূমি ভেদ করিয়া! উৎপন্ন উক্ত কয়েক প্রকার বস্তই বৈদূষ্য-মণির সদৃশ বিজাতীয় অর্থাৎ উল্লিখিত নামীয় মণি সফল বৈরুর্ধ্-মণির ন্যায় দেখায় বটে, কিন্তু তাহা পরীক্ষায় তত্ত,ল্য নহে, সুতরাং তাহারা বিজাতীয় গিরিকাচ প্রভৃতির লক্ষণ এই ষে,-.. “লিখ্যাভাবাৎ কাঁচং লথুভাবাচ্ছিশুপালকং বিদ্যাঞ্থ। গিরিকাচমদীপ্তিত্বাৎ ক্ষটিকং বর্ণোজ্জলত্বেন ॥% লিখ্যাভাব অর্থাৎ প্রম[ণ-গত ক্ষুদ্রত। হেতু “কাঁচ” লঘ্ুভাব অর্থাৎ ওজনে হাল্‌্ক1 বলিয়! “শিশুপাল” দ্বীপ্তিহীনতা হেতু “গিরিকাচ”। বর্ণের ওজ্ছল্য থাকায় “স্ফটিক”৮। বিজাত বৈদূ্য এই চারি প্রকার লক্ষণাক্রান্ত হয়। ন্নেহপ্রভেদে! লঘুতা মৃহ্ত্বং বিজাতিলিঙ্গং খলু সার্ববজন্যম্‌। অন্তান্ মণির স্ায় বৈদূর্্য-মণিরও বিজাতি আছে। সমস্ত বিজাঁত মণিই জাত্যমণির সমানবর্ণযুক্ত হইয়া! থাকে! নানাপ্রকার উপকরণ দ্বারা তাহাক্দের প্রভেদ-মনুমানের পথ প্রদর্শিত হইয়াছে। বিদ্বান মনুষ্য সে সকলকে বিচার সুখে লক্ষ্মী করিয়া থাকেন। “ন্সেহ প্রভেদ”” অর্থাৎ লাঁবপ্যের ক্রি, “লঘুত|” 'অর্থ।ৎ ওজনে হাল্ক!, *মৃদুত্ব” অর্থাৎ অকঠিনতা, এই কয়েকটা বিজাতি-পরী-

সক্ষার সর্বজন-বিদ্িত চিহ্ন। অর্থাৎ এই কয়েকটা লক্ষণ দুষ্ট হইলেই তাহা জাত্য ২৩৯

৩৩

রতর-বরহ্য।

মনি নহে বলিয়া জানিতে হইবেক টা প্রতেদ পরীক্ষা স্থানাস্তরেও উক্ত হইয়াছে যথা সুখোপলক্ষ্যশ্চ সদা বিচার্য্যোহায়ং প্রভেদে বিছ্ষা নরেণ। ন্েহ-্প্রভেদো লঘুতা-মৃহ্ত্বং বিজাতি-লিঙ্গং খলু সাব্যজন্যম্‌ ৮”

মূল্য। “যদিক্রনীলস্ত মহাগুণস্ত সুবর্ণ-সংখা-কলিতন্ত মূল্যম্‌। তদেব বৈদূর্য্.মণেঃ প্র্িষ্ং পলদ্বয়ো ন্মাপিত-গৌরবস্ত ॥৮ এক সুবর্ণের দ্বার! যে পরিমাণ নির্দোষ “ইন্দ্রনীল” মণি লাভ হয়, ওজনে ছুই পল পরিমাণ বৈদৃ্য-মণির সেই মূল্য ; ইহা! রত্ শাক্ত্রবেন্তার৷ বলিয়া থাকেন। “কুশলাকুশলৈঃ প্রধুজ্যমানাঃ প্রতিবদ্ধাঃ প্রতিসৎক্রিয়াপ্রয়োগৈহ। গুণদোষসমুদ্ভবং লভত্তে মণয়োহর্থান্তরসূল্যমেব ভিন্নাঃ “ক্রমশঃ সমতীতবর্তমানাঃ প্রতিবদ্ধা মণিবন্ধকেন যত্্াৎ। যদি নাম ভবস্তি দোষহীন! মণয়ঃ ষড় গুণম প্র.বস্তি মূল্যম্‌।” “আকরান্‌ সমতীতানামুদধেস্তীরসন্নিধো। মূল্যমেতন্সণীনাস্ত সর্বত্র মহীতলে ॥৮ শাস্ত্রে যে প্রকার মণি-মূল্য উক্ত হইয়াছে, আকর স্থান অতিক্রম করিলে সে মূল্য পৃথিবীর স্থান-সাধারণের নিমিত্ত নির্দি্ট নহে। সমুদ্রতীরের নিকটবন্তী দেশে অপর স্থানের নিমিত্তই উল্লিখিত মূল্য নির্দিষ্ট হইয়াছে “নব্ণে মুন! যস্ত প্রোক্তঃ যোড়শমাষকঃ “তন্ত সপ্ততিমে!। ভাগঃ সংজ্ঞাবূপং করিষ্যতি ॥% “শীণশ্চতুম্ণষমানো মাষকঃ পঞ্চকুষ্ণলঃ | পলন্ত ঘশমো৷ ভাগে ধরণঃ পরিকীর্তিতঃ ॥৮ “ইতি মানবিধিঃ প্রোক্তো রতানাং মূল্য-নিশ্চয়ে ॥%৮ মনু ১৬ মাষা পরিমাণ কাঞ্চনকে সুবর্ণ সংজ্ঞ! দিয়াছেন ; তাহার ৭* ভাগ পর্য্যন্ত বিশেষ বিশেষ নাম উৎপাদন করে। মাধায় ১শাণ, মাষায়, কষ্ণল, পলের দশম ভাগ ধরণ নামে উক্ত হয়। রত্ব-সকলের মূল্য বধারণের ্িই এই সকল পরিমাণ উক্ত হইয়ছে। শকরাচার্য বলেন যে “চলতি হতো বৈদধ্য উততমং মুব্যমর্াত।” ত্রিশুত্র বৈরূয্য ২৪০;

রত বৃহস্ত। শত

অধিক মূল্যের যোগ্য ফল কথা এই যে, বৈদূ্যই হউক আর রত্বাস্তরই হউক, রমণীয় ছুলতভ হইলেই তাহার সেই ছুর্লত্যতাদি অনুসারে যথেচ্ছ মুল্য হয়, তাহাতে মান পরিমাণ অপেক্ষ। করে না।: যথা--. “অত্যন্তরমণীয়ানাং ছুর্লভানাঞ্চ কামতঃ | ভবেন্ম,ল্যং মানেন তথাতিগুণশালিনাম্‌।”” শুক্রনীতি।

যুক্তিকল্পতকমতের পরীক্ষাদি।

“সি তঞ্চ ধৃম্রসঙ্কীশমীষতকৃষ্চনিভং ভবেৎ। বৈদুর্ধ্যং নাম তত্রত্বং রতুবিদ্তিরুদান্ধ ুম্‌ ॥%, অল্প কৃষ্ণমিশ্রিত শ্বেতবর্ণ ধৃ্বর্ণ ষে মণি-_রত্ববেতৃগণ তাহাকে বৈদূর্যানামক রত বলিয়া থাকেন। গ্রন্গ-ক্ষত্রিয়-বিটশৃদ্রজাঁতিভেদা চ্চতুর্ব্বিধম্। সিতনীলো ভবেদিপ্রঃ সিতরক্তত্ত বাহুজঃ। গীতানীলস্তবৈশ্ঠঃ স্তাৎ নীল এব হি শৃদ্রকঃ ॥৮ | বৈদুর্যা-মণিও ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রির বৈশ্য শুদ্র,--এই চারি প্রকার ভেদ অনুসারে চারিজাতি। যাহা “সিত-নীল” অর্থাৎ শ্বেত কৃষ্ণ মিশিত বর্ণবান্‌, তাহ ত্রাহ্মণ জাতীর ! “সিতরক্ত” অর্থাৎ যাহা! ঈষতরক্-মিশ্রিত শ্বেতবর্ণ তাহ। ক্ষত্রিয় | “পীতরক্ত”” অর্থ(ৎ যাহা অল্পরক্তমিশ্রিত পীতবর্ণ তাহা বৈশ্তজ(তীয় এবং যাহ! কেবল কাল তাহা শূদ্রজাতীয়। *মার্জার-নয়ন-প্রখ্যং রসোন-প্রতিমং হি বা। কলিলং. নির্মলং ব্যঙ্গং বৈধূর্য্ং দেব-ভূষণম্‌ ॥% বিড়াল-5ক্ষুর স্তায় কিংবা লঙ্গুন্বর্ণের স্তাঁয় বর্ণযুক্ত, কলিলঃ নির্মূল ব্যঙ্গ- গুণ-বেশিষ্ট যে বৈদূর্য্--তাহা! দেবভূষণ অর্থাৎ দেবতারাও তাহ] ভূষণার্থ ধারণ করেন। শ্লোকস্থ “কলিল” প্ব্যঙ্গ” শব্দের অর্থ কি? তাহা বল! যাইতেছে-_ পদুতারং ধনমত্যচ্ছং কলিলং ব্যহ্ষমেবচ | বৈদ্রধ্যাণাং সমাখ্যাতা। এতে পঞ্চ মহাগুণাঃ ॥৮ “কৃতী” “ঘন” “অত্যচ্ছ'* “কলিল৮ পব্যঙ্গ” এই পাচটি বৈদূর্য্য-মণির মহা গুণ বলিয়া প্রসিদ্ধ আছে। ২৪২

পঃ বতু-সুহশ্রা।

“ম্ুতার'” গুণের লক্ষণ এই যে-_ “উদ্িগরন্লিব দীপ্তিং যোইসৌ সুতার ইতি গগ্চতে ॥” মণ যদি দীপ্তি অর্থাৎ তেজ বমন করিতে থাকে তবে তাহাকে “ম্থৃতার» নামক মহাগুণ বলা যায়। “ঘন” প্রভৃতি মহাগুণ কি? তাহাও বল! যাইতেছে-_ “প্রমাণতান্নং গুরু ষৎ ঘনমিতাভি ধীয়তে। কলক্কাদিবিহীনং তদত্যচ্ছমিতি কীত্তিতম্। ব্রহ্ম শূদ্রং কলা কারশ্চঞ্চলে। যন্ত্র দৃশ্াতে | কলিলং নাম তদ্রাজ্ঞঃ সর্ববসম্পত্তিকাঁরকম্‌ ॥৮ “বিশ্িষ্টা্ন্ত বৈরূরধ্যং ব্যঙ্গ মিত্যভিধীয়তে |” প্রমাণে অল্প, কিন্তু পরিমাণ-গুরু অর্থাৎ ওজনে ভারি এইরূপ হইলে তাহাকে “ঘন” গুণ বলা যার। কলঙ্ক প্রভৃতি দে'ষরহিত হইলে, তাহা “অত্যচ্ছ" গুণ বলিয়া কথিত হয়। যাহাতে চন্দ্রকলার স্তায় এক প্রকার চঞ্চলবৎ পদার্থ ৃষ্ট হয়, তাহাই “কলিল” এবং তাহ! রাজাদিগের সম্পত্তি-দায়ক। যাহার অবয়ব বিশ্লিষ্ট অর্থাৎ বিশেষরূপে অসংহত তাহা “ব্যঙ্গ”

দে।ষ।

যেমন পাঁচটা গুণ নির্দিষ্ট আছে, সেইরূপ পাঁচটা দোষও নির্ণাত আছে। যথ1-- “কর্করং কর্কশং ত্রসঃ কলঙ্গো দেহ ইত্যপি। এতে পঞ্চ মহাদোবা বৈদৃধ্যাণামুরীরতাঃ ॥৮ মণিশান্ত্বিৎ পঞ্ডিতগণ কহিয়াছেন যে, বৈরুর্্য মণির পাঁচটা প্রধান দোষ আছে যথা-_-“ককর'” “ককৃশ” “ত্রাস” কলঙ্ক, “দেহ” কিরূপ £ তাহাও বর্নিত হইতেছে। “শর্করযুক্তমিব প্রতিভাতি ককৃরম্।” যাহা দেখিবামাত্র শর্করাধুক্তের স্তায় (কীাকর-যুক্ত ) বোধ হয়, তাহাই লকর্কর” দোষ “ম্পর্শেহপি যত্তজজ্ঞেয়ং কর্কশং বন্ধুনাশনম্‌ '% স্পর্শ করিবামাত্র যাহা কাকরবুক্ত বলিয়া অনুভব হয়, তাহাই “কর্কশ” দোষ।

এই দোষ বন্ধুনাশ করিয়। থাকে। ১৬০০৭

রন্রি-রহস্য | ৪]

“ভিন্ন-ত্রাস্তিকরব্ত্রাসঃ কুর্যা।ৎ কুল-সংক্ষয়স্ ।”” যাহা দেখিবামাত্র ভাঙগ! বলিয়! ভ্রান্তি জন্মে, তাহাই “রস” নামক দৌষ। ত্র/সদোষদুষিত বৈদুর্ধ্য বংশবিন।শ করিয়া থাকে। “বিরুদ্ধবর্ণো যন্তাঙ্কে কলঙ্ক: ক্ষয়কারকঃ 1৮ যাহ'র ক্রোড়ে বিজাতীয় বর্ণ লক্ষ্য হয়, তাহার সেই দোষের নাম “কলঙ্ক” এই কলঙ্ব-ছুষ্ট মণি ধারণ করিলে বিনষ্ট হইতে হয়। “মলদিগ্জ ইবাভাতি দেহোদেহ-বিন।শনঃ 1৮ যাহা দেখিতে মল-বিলিপ্তের সায় তাহাও সদোষ। এই দোঁষকে দেহ” দেষ বলা যায়। এই দেহ-দোষ-ছুষ্ট বৈদূর্ধ্য শরীর ক্ষয় করিয়! থাকে, অর্থাৎ রোগ জন্মায় গরুড়পুরাণ প্রভৃতি গ্রন্থে বৈদূর্য্-মণির যেরূপ দোষগুণাদির বর্ণনা আছে তাহাই বর্ণিত হইল। বৈদূর্য্য (18015182011 ) পারস্ত, বেলুচিস্স্থান, চীন, বোখারা এবং সাই- বিরিয়া দেশে প্রাপ্ত হওয়া যায়। ইহা! ভিন্ন চীনদেশে এক প্রকার নিকৃষ্ট শ্রেণীর বৈতূর্য্ পাওয়া গিয়। থাকে অতি উৎ্কষ্ট বৈদুধ্য ইতালীয় এবং স্পেন-দেশীয় প্রাচীন ধর্ম-মন্দিরের বেদীর উপর সুশোভিত দেখিতে পাওয়া গিয়া! থাকে। রুসীয় জারফোসেনো! নামক রাজ-প্রাসাদের একটা হন্ম্যের ভিত্তি উত্তম বৈদূরধ্য দ্বারা সুশে।ভিত রহিয়াছে উহা দ্বিতীয় কাথারিনের সময় নির্মিত হুইয়াছিল। সাম্সুল্ওম্রার বংশধরগণের মধ্যে এক খান অতি বহুমূল্য বৈদৃষ্য ছিল, তাহার মূল্য লক্ষ মুদ্রা। দেই বৈ্যঘও এক্ষণে হাইন্রাবাদের নবাবের নিকট আছে। সম্প্রতি বিলাতের প্টাইমস্‌” পত্র দৃষ্টে জ্ঞাত হওয়! গেল, মেং ব্রাইশরাইট নামক একজন রত্র্পরীক্ষকের নিকট এক খণ্ড বৈরুর্য্যনির্মিত বিবিধ রত্র দ্বার! থচিত একটী শিবলিঙ্গ অছে। উহা অনুমান ১৭০০ বৎসর পুব্বে কোন হিন্দু- নূুপতির নিকট ছিল, তৎপরে দিল্লীর বাদসাহের হস্তগত হয়, রাইট্‌ সাহেব ১৮৫৭ খুষটান্দে সিপাহীবিদ্রেরহের সময় দিল্লীর কোন বেগমের নিকট হইতে উহা! ক্রুয় করিয়াছিজেন।

২৪৩

বত্ু-রহ্ন্ত ॥.

গোমেদএমণি

এই মণি বা রতু স্বনামখ্যাত। আধুনিক জহরীরাও ইহাকে *গোমেদক্‌” বলিয়া থাকেন। কেহ কেহ গীত মণিও বলেন। বস্ততঃ ইহা সম্পূর্ণ গীত নহে; কিঞ্চিৎ অরুণপ্রভাও আছে। যথা-_ “গোমেধঃ প্রিয়কৎ রাহোরীবৎ পীতারুণ প্রভঃ 1*” " শুক্রনীতি।

' সংস্কৃত অভিধানে ইহার ৫টী নাম দেখ! যায়। যথা--গোমেদ, রাহুরত্, তমোমণি, স্বর্ভানব, পিঙ্গশ্ষটিক। পিঙ্গস্ষটিক পীতমণি এই ছুইটা নাম গুণ দৃশ্ঠ অনুসারী ইহা এক প্রকার স্ষটিক বলিলেও বলা যায়। কেবল রঙের রাসায়নিক গুণের প্রভেদ থাকাতেই স্বতন্ত্রূপে পরিগৃহীত হইয়া! থাকে। স্কটিক স্বেতবর্ণ কিস্তু ইহা পিঙ্গলবর্ণ বা গীতবর্ণ হয় বলিয়া ইহাকে গীতমণি পিঙ্গম্ষটিক বল! ষায়। হিমালয় সিন্ধু প্রদেশে এই রত্ব অধিক পরিমাঁণে উৎপন্ন হইয়! থাকে তাহার প্রমাণ পশ্চাৎ প্রদত্ত হইবে।

রাঁজনির্ঘন্ট নামক বৈদ্শান্ত্রে ইহার ভৈষজ্যেপযোগী গুণ এইরূপ নির্ণাত হইয়াছে যথা___অম্নরস, উঞ্চবীধ্য, বাঁতনাশক, বিকারনাশক, উত্তেজক, আগ্ম- শুদ্ধিকারক জ্যোতিঃশান্ত্র মতে ইহা ধারণ করিলে পাপ নষ্ট হয়। শুক্রনীতি নামক প্রাচীন নীতিগ্রন্থের রত্বপরীক্ষাপ্রকরণে গোমেদমণি মহারত্ব মধ্যে পরিগণিত হই- যাছে। যথ!-- | “বস্ং মুক্ত। প্রবালঞ্চ গোমেদশ্চেন্্রনীলকঃ। বৈদৃধ্যঃ পুষ্পরাগশ্চ পাচিমণণিক্যমেব চ। মহারত্বানি চৈতাঁনি নব প্রোক্তানি সুরিভিঃ ॥৮, উল্লিখিত শ্লেকে যে সকল মহারত্বের উল্লেখ হইয়াছে, তাহাদের মধ্যে মুক্তা, মাণিক্য বৈদূধ্য-রত্বের বিষয় আমরা বর্ণন করিয়াছি, এক্ষণে গোমেদ-মণির বর্ণন করা যাউক। শুক্রনীতি প্রণেতা গোমেদ-মণিকে মহারত্ব মধ্যে পরিগণিত করিয়া! অবশেষে বলিলেন যে,-- “রিরশ্রেষ্ঠতরং বজং নীচে গোমেদবিদ্রুমে ।৮ ২৪৪

, 'রিত্ব'রিহস্ত |

তের মধ্যে বজ অর্থাৎ হীরকই শ্রেষ্ঠ আর গোমেদ বিদ্রমই অধম। শুক্রনীতিকার গোমেদ-মণির পরীক্ষার্দি সন্বন্ধে কোন বিশেষ কথ! লেখেন নাই, কেবল এইমাত্র বলিয়াছেন, যে-.. পু... পনারসোল্িখ্যতে বত্ুং বিনা মৌক্তিকবিদ্রমাৎ। পাষাণে চাপি প্রায় ইতি রত্ববিদোবিছুঃ ॥% রতৃতত্বব্তোর! জানেন ষে, মুক্তা বিদ্রম ভিন্ন কোন রত্ুই লৌহশলাকার ছারা উল্লিখিত (গাত্রে আচোড় দেওয়! ) করা যায় না। ন্ুতরাং গোমেদকেও লৌহের দ্বারা আঞ্চোড়িত পাধণে ঘ্ুটু করা মায় না; ইহা প্রায়িক জানিতে হইবে। মূল্যসন্বদ্ধেও কোন বিশেষ বিধান করেন নাই। সামান্তাকারে বলিয়।” ছেন যে,-- | “অত্যন্পমূলো। গোমেদো নোন্মানস্ত ষতোহহতি।”” “সংখ্য।তঃ স্বল্পরত্বানাং মূল্যং হ্াৎ--- শুক্রনীতি। অর্থাৎ গোমেদ মণির মূল্য অতি অল্প ; সেই হেতু উহা উন্মান অর্থাৎ ওজন করিবার যোগ্য নহে। গোমেদ অন্ঠান্ত স্বল্প রত্ব সকলের সংখ্যা অর্থাৎ গণ.তি অনুসারে মুল্য অবধারিত কর! কর্তব্য। তন্মধ্যে বিশেষ এই যে*_ “অত্যন্তর্মণীয়ানাং হূর্লভানাঞ্চ কামতঃ। ভবেন্ম.ল্যং মানেন তথাতিগুণশালিনাম্‌॥» শুক্রনীতি স্বল্পরত্ব হইলেও যদি দেখিতে সুন্দর হয় বা! ছুপ্র(প্য হয় তবে তাহার মূল্য ক্রেতা বিক্রেতার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে এবং অত্যন্ত গুণান্বিত মহারত্ের পক্ষেও এই নিয়ম আছে। পরস্ত রাজার দৌষে কখন কখন ব্যতিক্রম হইয়া থাকে। বর্তমানকালে স্বর্ণের মহার্থতা পর্যালে।চনা করিলেই উক্ত বাক্যের যথার্থত! সপ্রমাণ হইবেক। “রজতং ষোড়শগুণ্‌ং ভবেৎ স্বর্ন মূল্যক ম্‌।” পূর্ব্বে স্বর্ণের মূল্য রজতের ১৬ গুণ ছিল এক্ষণে উক্ক নিয়ম রাঁজার ছুরভি- সন্ধিক্রমে. ব্যতিক্রাস্ত হইয়া ১৬ গুণের পরিবর্তে ২০ গুণ হ্ইয়! ঈাড়াইয়াছে। রৌপ্যের মুল্য কম নুবর্ণের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় ভারতবর্ষের ক্ষতি বিলাতের

8.৫

৭৮৮ বতুস্রহহ্য |

বিলক্ষণ লাভ হইতেছে এরূপ ঘটনা পুরাতন কালেও কথন কখন হইত বলিয়া শুক্রনীতিকার স্পষ্টাক্ষরে বলিলেন যে-- “রাজনোৌষ্ট্যাচ্চ রত্বানাং মুল্যং হীন।ধিকং ভবে ।% সে ঘাহা হউক, এক্ষণে প্রকৃত বিষয়ের অনুসরণ করা যাউক 1 গোমেদ- মণির উৎপতিস্থান, বর্ণ, কান্তি, পরীক্ষা! মুল্যা্দির বিষয় অন্যান্য গ্রন্থ অপেক্ষা ফুক্তকল্পতরু গঞক্ড়পুরাণে কিছু অধিক লিখিত আছে। পরন্ধ গরুড়পুরাণের পাঠ এবং শবকল্পদ্রমধৃত বুক্তিকল্পতরগ্রন্থের পাঠ প্রায় একরূপ দেখা যায়। তন্মতের বিবরণ এইরূপ-_- আকর।

হিমালয় সিন্ধু প্রদেখশেই গোমেদ-মণির আকর বা উৎপত্তিস্থান। যথা-_- “হিমালয়ে বা সিদ্ধ বা গেমেদম্ণিসম্ভবঃ 1৮ পরীক্ষা

“পরীক্ষা বহ্নিতঃ কার্য্যা শাখে বা রত্রকোবিদৈঃ 1৮

রত্রুতত্ববিৎ পণ্ডিতের! অগ্নিতে অথবা শাণযন্ত্রে ইহার পরীক্ষা করিতে উপদেশ করিয়াছেন। টা :৪ পরীক্ষার প্রয়োজন “শ্কটিকেনৈৰ কুর্ববস্তি গোমেদপ্রতিনূপিণম্‌ 1”,

চতুর শিল্পীর! স্ফটিকের দ্বারা কৃত্রিম গোমেদ মণি প্রস্তত করিয়া থাঁকে এজন্ত পরীক্ষা! করা আবশ্তক

. বর্ণাদি

“ম্চ্ছকাস্তিগুক সিগ্ধো বর্ণাছে] দীপ্তিমানপি। বলক্ষঃ পিঞ্জরো ধন্ঠে! গোমেদ ইতি কীর্তিতঃ ॥৮ গোমেদ্দ মণির কান্তি অতি স্বচ্ছ এবং স্সিপ্ধ। ওজনে ভারি এবং বর্ণও গাঢ়! দীপ্তি অর্থাৎ তেজ বা আভাও আছে। কিঞ্চিৎ শ্বেত পিঞ্জর বর্ণও হয় এবং তাহ! ধন্য বলিয়া গণ্য

জাতি। রত্ততব্বঙ্ঞ পণ্ডিতের! বৈদূর্্যাদি মণির ন্যায় ইহারও চারি প্রকার জাতি কল্পনা

করিয়া থাকেন। যথা. | ২৪৬

রত্ব-বহস্য ! শি

প্চভুরধ জতিভেদস্ত গোমেদেশপি প্রকাশ্ঠিতে 1৮ “ব্রাহ্মণ শুর্ুবর্ণ; স্াৎ ক্ষত্রিয়ো রক্ত উচ্যতে। আপীতোবৈশ্তজাতিস্ত শুত্রস্বানীল উচ্যতে ॥” যাহা শ্বেতাভ তাহ! ব্রাঙ্গণ জাতি, রক্তের আভা থাকিলে ভাহ! ক্ষত্রিয় জাতি, কিঞ্ত পীত থাকিলে বৈশ্ত জতি, এবং নীল আতা! থাকিলে তাহা শুদ্র জাতি!

ছায়া?

অন্ত।ন্ত মণির ন্যায় ইহাঁরও চারি প্রকার ছায়া আছে। “ছায়া চতুর্বিধা শ্বেতা রক্তা পীতাহসিতা তথ! 17

শ্বেতছায়া, রক্তভায়া, পীতছায়া নীলছায়া। গোমেদমণির এই চারি প্রকার ছাঁয়। হয়; পরস্ত গীতের ভাগ প্রত্যেক ছাঁয়।য় অনুগত থাকে এবং পীতই অধিক বলিয়া ইহার নাম “গীতমণি” | মাংস প্রতব ধাতুবিশেষকে মেদ বলে। মাংস কায়।থির ছ্বা॥ পাক প্রাপ্ত হুইয়া মেদ উৎপাদন করে, তাহা মাংসেই আশ্রিষ্ট থাকে। গোম।ংসের মেদ যেরূপ পীতবর্ণ এই মণিও সেইরূপ পাতবর্থ। সুতরাং গোমেদ*নাম অযোগ্য হয় নাই।

দোষ।

“যে দোঁধা হীরকে জেয়ান্তে গোমেদমণাবপি হীরক-প্রকরণে হীরকের যে সকল দৌষ উক্ত হইয়াছে, গোমেধমগিতেও সেই সকল দৌষ জানিবে। হীরকের দোষ কি কি? তাহ! হীরক প্রস্তাবে বিশেষরূপে বিবৃত হইবেক। এক্ষণে স্থুলতর দোষের উল্লেখ করিতেছি “লবুর্বিরূপোহতিণরোহন্যম(নঃ স্নেহোঁপলিপ্তে মলিনঃ খরোহপি। করোতি গোমেদমণিবিনাশং সম্পত্তিভোগাবলবীধ্যরাশেঃ ॥৮ লঘু অর্থাৎ ওজনে হাল্কা, বিরূপ অর্থাৎ দেখিতে বিবর্ণ, অত্যস্ত খর অর্থাৎ কর্কণ, ক্সিগ্চতাসত্বেও মলিন, এরূপ গোমেদমণি ধারণ করিলে সম্পত্তি, ভোগ, বল বীধ্য বিনাশ হয়। ্‌

গুণ হুক্্ানুকুত্্ গু দকল হীরকপ্রস্তাব হইতে জ্ঞাতব্য) পরন্ত স্থলতর গুণ এই যে--- ২৪৭ ০৪

চিত রত-বহ্শ্ব।

“গুরুঃ প্রভা গ্ঘঃ সিতবর্ণরূপঃ নিগ্ধোমুছ্বাতিমহাঁপুরাণঃ | স্চ্ছস্ত গোমেদমণিরতোহয়ং করোতি লক্ষমীং ধনধান্তবৃদ্ধিম্‌ ॥” গুরু অর্থাৎ ওজনে ভারী, প্রভাঁপ রিপুর্ণ, শুভ্রবর্ণ, সিদ্ধ, মৃছ,অর্থাৎ কার্কশ্ঠ বজ্জিত পুরাতন অর্থাৎ উৎপত্তির পর দীর্ঘকালে উদ্ধত ( পাকা) এরূপ গোমেদমণি ধারণ করিলে লক্ষ্মীর কৃপা হয় ধনধান্য বৃদ্ধি হয়।

সূল্য। ইহাঁর মুল্য অতি স্বল্প। তথাপি তৎসম্বন্ধে নিশ্ন-লিখিত মূল্য নির্দিষ্ট আছে। যথা-- শুদ্ধস্ত গোমেদমণেস্ত মৃল্যং স্ুবর্ণতোদৈ গুণমাহুরেকে অন্তে তথা বিদ্রমতুল্যমূল্যং তথাইপরে চামরতুল্যমাহুঃ ॥৮ শুদ্ধ অর্থাৎ নির্দোষ গোমেদমণির মূল্য এক স্বর্ণ অপেক্ষা দ্বিগুণ! কেন বলেন যে, বিদ্রমের সহিত সমান মুল্য। অপরে বলেন যে, তাহাঁও নহে। উৎকৃষ্ট চামরের যে মূল্য, একখণ্ড গোমেদমণিরও সেই মুল্য। “চতুবিধানামেষান্ত ধারণে পরিসন্মতম্‌।* উল্লিখিত চতুবিধ গোমেদই ধারণের যোগ্য

বজজ ব' হীরক

প্রাচীন রত্রশান্ত্ে এই রত্বের যৎপরোনাস্তি প্রশংসা আছে অধুনাতনকালেও ইহার সমধিক মান্যের কিছুমাত্র ক্রটি হয় নাই পৃথিবীতে ষত প্রকার রত্ব আছে, সমুদায়ের মধ্যে হীরকই শ্রেষ্ঠ হীরক অপেক্ষা মূল্যবান রত্র আর নাই। হীরক কি পদার্থ, তাহার দোষ গুণ কিরূপ? পরীক্ষ/ কিরূপ? পুর্ব্বকালে কোথায় জন্মিত? এবং এখনই বা ইহা! কোথায় জন্মে; এই সকল পর্যালোচনা করাই হীরক-প্রস্তাবের উদেশ্ঠয।

হীরক বহুমূলা। ইহার বর্ণ শুভ্র ভাম্বর। প্রাচীন রত্বশান্ত্রে ইহার অন্যান্য বর্ণের কথা আছে বটে, কিন্ত সে সকল, প্রক্কত হীরকের ভিন্ন ভিন্ন নায় দেওয়। হইয়াছে এবং সে সকল বর্ণের হীরকের খনিতে একত্র জন্মে বলিয়া, সেই সেই নান! বর্ণের প্রস্তরকেও হীরক বল! হইয়! থাকে

২৪৮

বত্র-রহস্য। ৮৯

হীরকের অনেক নাঁম আছে। তন্মধ্যে হীর, হীরক, স্চীমুখ, বরারক, রত্বমুখ্য অভেদ্য, অশির, রত্ন, দৃঢ়, ভার্বক, ষট্ুকোণ, ব। সৎকৌণি, বহুধার শতকোটি-_ এই ১৩টী নাম এবং ব্রজ্রের যত নাম আছে সে সমস্তই হীরকের নাম। সকল শ[ন্রেই হীরকের বজ্জ কুলিশ প্রভৃতি নাম দেখা ধায়

উৎপতি-কারণ।

হীরক কি পদার্থ, এবং কি কারণে কি প্রকারে উৎপন্ন হয়, ইহা জানিবার জন্ঠ পূর্ব্বকালের পণ্ঙিতের। নানাপ্রকার অনুসন্ধান করিয়াও কোন ধশেষ নির্ণর করিতে সমর্থ হন নাই। আদিমকালের লোকের! বলিতেন যে, হীরক অন্যান্ত রত্ব সকল বলাস্থরের

হাড় হইতে উৎপন্ন ; অর্থাৎ বলনামে এক অনুর ছিল, ইন্্র তাহাকে বজ্ান্্ দ্বারা দগ্ধ করিলে, তাহার সেই অঙ্গারমর চর্ণিত অস্থি সকল পৃথিবীর যে ষে স্থানে পড়িয়াছিল, সেই সেই স্থানে সেই সেই দগ্ধাস্থি-সংকষ্ট মৃত্তিক1 হইতে কোন এক প্রকার অজ্ঞাতকারণে হীরক প্রভাতি রত্ব উৎপন্ন হইয়।ছিল। ইহার পূর্বে পুথিবীতে হীরক উৎপন্ন হইত না, বলাম্রের মৃত্যুর পর হইতেই উৎপন্ন হইতেছে কথা গরুড়পুরাণ প্রভৃতি মহাপুর।ণ বুহৎসংহিতা৷ প্রভৃতি জ্যোতিঃসংাহজ- গ্রন্থে বিস্পষ্টন্নপে লিখিত থাকা তৃষ্ট হয় যথা

“বচন পরীক্ষাং রত্রানাং বলো নাম।সুরোহভব্।

ইন্্াগ্া নিঞ্জিতান্তেন নির্জেতুং তৈন” শক্যতে।

বরব্যাজেন পশুতাং যচিতঃ স্থরৈমণথে 1

বলোদদৌ স্ম পশুতামতিসন্ত্রোমখে হৃতঃ।

পশুবৎ বিশে স্তন্তে স্ববাক্যাশনিষন্ত্রিতঃ ॥৮

“বলে! লোকোপকারায় দেবানাং হিতকাম্যয় 1

তস্ত সত্ববিশুদ্ধন্ত সুবিশুদ্ধেন কন্ণা

কায়শ্ত।বয়বাঃ সর্ব রত্রবীজতবমা প্ুযুঃ।

দেবানামথ ধক্ষাণাং সিদ্ধানাং পবনাশিনাম্‌।

রত্ুনীজময়ং গ্রাহঃ স্ুমহানভবভদা ॥৮

“তেধাস্ত পত্ততাঁং বেগাৎ বিমানেন বিহায়দ।।

যদ্‌ যৎ পপাত রত্র।নাং বীঞ্জং কচন কিঞ্চন। ২৪৯ রঃ

বত-রহসা 1

মানাদধে সরিতি বা পর্বতে কনিনেহপি বা। তত্তদাকরতাং যাতং স্থানমাধেয়গৌরবাৎ।

তেষু রক্ষোবিষব্যালব্যাধিন্বান্তঘহাঁনি চ। প্রাহুর্ভবস্তি রত্বানি তথেব বিগুণাঁনি চ। মহাপ্রভাবং বিবুধৈর্ষন্র।দজ্রমুদ।হৃতম্‌

বন্পুর্ববা পরীক্ষেয়ং ততোহন্মীভিঃ প্রকীর্ত্যতে ॥৮

হে খষে! রত্রসকলের পরীক্ষা বলিতেছি শ্রবণ কর। বলনামে এক অন্গুর ছিল। সে ইন্দ্রাদি দেবতাগণকে পরাজয় করিয়াছিল) পরস্ত দেবতারা তাহাকে জয় করিতে সমর্থ হন নাই। অনস্তর দেবতার! তাহাঁকে যজ্জীয় পশু হইবার অনুরোধ করায় সে আপনার পশুত্ব স্বীকার করিয়া! হত হইল। সে আপনিই আপনার বাক্যে নিয়ন্তিত হইয়া লেকের উপকার দেবতাদির হিতের জন্য পশুর ন্যায় হাঁড়িকাঠে মস্তক দিয়াছিল। পবে সেই বিশ্বস্ত বলাসুরের অবয়ব সকল তীয় শুভকন্মের ফলে রত্রেৎপত্তির মূল কারণ হুইয়। উঠিল। দেবতারা তাহার শরীর খণ্ড খণ্ড করিয়া কর্তন করিলে পর সেই রত্ববীজ সকল যে যে স্থানে পতিত হইল,--কি মহসমুদ্র, কি সরিৎ, কি পর্ধত, কি কানন, সর্বত্রই তত্তৎ স্থানে তত্তৎ সেই অস্থিময় আধেয়ের অনুরূপ সেই সেই রত সকল উৎপন্ন হইতে লাগল “তন্তাস্থিলেশো নিপপাত যেষু ভুবঃ প্রদেশেষু কথঞ্চিদেব ব্জাণি বজ্রাযুধনিজিণীষোর্ভবস্তি নানাকৃতিমস্তি তে 1” সেই বলান্রের অস্থির সুক্ষ সুঙ্মু অংশ সকল পৃথিবীর যে যে স্থানে নিপতিত হইয়াছিল--সেই সেই প্রদেশেই নান! আকারের বস্তু ব৷ হীরক সকল উৎপন্ন হইয়। থাকে কোন কোন পুরাণে লিখিত আছে যে, বিশ্বকর্ম। দধীচি মুনির অস্থি লইয়। বজ নির্মাণ করিলে, তদবশিষ্ট অস্থিখণ্ সকল মুত্তিকায় পতিত থাকিয়া কালক্রমে হীরক উৎপাদন করিয়াছিল*। আবার কোন খাষি বলেন, তাহা নহেঃ উহ!

পল শি সপ পপ স্তর “বউ সাপ স্পা পপ সা সপন

এঁ *দগ্ধ অস্থি বা কেবল অস্থি সংযুক্ত ভূ-বিশেষ হইতে হীরকের উৎপত্তিসম্বন্ধে কোন কার্ধ্য- কাঁরণভাব আছে কিনা, তাহা আমর! অনুভব করিতে পারি না আধুনিক বিজ্ঞানবিদগণ খলেন যে, হীরক ক্ষারবিশেষ হইতেই জন্মে। প্রাচীন ধিদিগের বলিবর ধরণ ছাঁড়ন এক্ষণকার অপেক্ষ!

২৫০

বত"রহ্ন্য। ৮৩

মৃত্তিকাঁর শক্তি বিশেষ দ্বারাই উৎপন্ন হয়। বুহৎসংভিতা গ্রন্থে উক্ত তিন মতেরই উল্লেখ আছে। যথা-- “রত্বানি বলাৎ দৈত্যাৎ দধীচিতোহন্তে বদস্তি জাতানি। কেচিদুবঃ স্বতাবাৎ বৈচিত্র্যং প্রাহুরুপলানাম্‌।%

আকর বা উত্পতিস্থান।

পুর্বে ভারতবর্ষের যে ষে প্রদেশে হীরকের আকর অর্থাৎ উৎপত্তিস্থান ছিল, এক্ষণে তাহর সকল স্থানে হীরক উৎপন্ন হয় না। না হউক, ভারতবর্ষে যে সময়ে রত্বের বিশেষ আদর ছিল। সেই সময়ে ভারতবর্ষে যতগুলি আকর ছিল, তাহ নিমশ্লোকে বর্ণিত আছে। “হৈম-মাতঙ্গ-সৌরাস্্বাঃ পৌগ্ু,-কালিঙ্গ-কোশলাঃ | বেম্বাতট!ঃ স-নৌবীরাঃ বজগ্ত/্টাবিহাকরাঃ ॥৮, হৈম--হিমালয় প্রদেশ মাতঙ্গ_-মতঙ্গ মুনির আশ্রম-চিহছিত দেশ। ( পূর্বে ইহা কিরাত জাতির আবাস ছিল। ইহ! দাক্ষিণাত্যের অন্তর্গত সৌরাষ্্র-_ নুরাট প্রদেশ ) পৌণডচন্দেল অথবা বেহার প্রদ্দেশ। কালিঙ্গ--কলিঙ্গ দেশ। কোশল-_অযোধ্য। গ্রদেশ। বেন্বাতিট__বেন্বানদীর উভয় তীরবর্তী দেশ। (ইহা এক্ষণে মহারাষ্ট্রের অন্তর্গত |) সৌবীর দেশ-__সিন্ধুনদনিকটব্তীঁ প্রদেশ। বৃহৎ্সংহিতাঁনামক গ্রন্থেও বেন্বতীর” “কোশলদেশ” “সৌরা ট্রদেশ” ন্র্প(রুকতীর্থ-উপলক্ষিত প্রদেশ” “হিমালয় প্রদেশ” “মতঙ্গাশ্রম-উপলক্ষিত দেশ'' “কলিঙ্গ দেশ'+ «পৌণ্, দেশ” এই সকল স্থানকে হীরকাকর বল! হইয়াছে।

বর্ণ ছায়া গরন্ড়পুরাঁণ, বৃহৎসংহিতা! উশনারুত নীতিশান্ত্রে লিখিত আছে যে, হীরা সকল বর্ণেরই হয় ; কিন্তু শুত্রবর্ণের হীরাই উৎকৃষ্ট মূল্যবান্। যথা-_

সম্পকে ্পাপপস্পসা

অনেক অংশে ধিভিন্ন তাহাদের সকল অভিপ্রায়ই বূপকাচ্ছন্ন সুতরাং দগ্ধাস্থি মুত্তিকা এই উভয়-সংযোগে যে হীরক জন্মিয়াছিল, একথ| নিতান্ত হেয় না হইতেও পারে। কেননা অস্থিতে চণ আছে, 'ইছ! তীহার! জ্ঞাত ছিলেন এষং দর্দাস্থিও ক্ষার বটে। 'ছুতরাং হীরককে অস্থিজ বলা অ।র ক্ষার বল! প্রায় তুল্য কথ! ৫.

ন&১

৮৪ সত্-রহসা।

“অতাস্তবিশদং বরং তারকাভং কবে; প্রিয়ম্‌ 1” শুক্রনীতি। অতিশয় শুরু ভাস্বর তারকাতুলা হীরক কবি অর্থাৎ শুক্রগ্রহের গ্রীতিপ্রদ। “আতাত্্রা হিমশৈলজাম্চ শশিভা বেস্বাতটীয়াঃ স্মুতাঃ | সৌবীরে তুষ্িতাজমেঘসদৃশাস্তাম্রাশ্চ সৌরা ই্উজাঃ। কালিঙ্গাঃ কনকাবদাতরুচিরাঃ পীতপ্রভাঃ কোশলে। শ্যমাঃ পুণ্ডভবা মত্গবিষযে নাত্যন্তগীত প্রভাঃ ৷» “বেস্থাতটে খিশুদ্ধং শিরীষ-কু হ্মোপমঞ্চ কৌশলকম্‌। সৌরাষ্ট্রকমাতামং কৃষ্ণং সৌর্পারকং বজ্ম্‌। ইষত্তাম্রং হিমবতি মতঙ্গজং বল্লপুষ্পসক্কাশম্‌। আপীতঞ্চ কলিঙ্গে শ্তামং পৌগ্ডে বু সম্ত,তম্‌॥৮” বৃহৎসংহিত।

হিমালয়সন্তৃত হীরক ঈষৎ তাত্রবর্ণ হয়, ইহা গরুড়পুরাণ বুহৎসংহিতা উভয় গ্রন্থেই লিখিত আছে। বেন্বাতটজাত হীরক চন্ত্র-কিরণ-তুল্য শুদ্ধ শুত্রবর্ণ হয়, ইহাও উভয় গ্রন্থ সম্মত। সৌবীরদেশজাত হীরক কৃষ্চজপ| কিংবা মেথের বর্ণ হইয়া থাকে বুহত্সংহিতে ক্তবচনেও “কুষ্ণং সৌর্পারকং» লিখত আছে। সৌরাক্্-দেশসম্ভৃত হীরক তাত্রবর্ণ হয়, আর কলিঙ্গ দেশীয় হীরক সুবর্ণের রড. হয়। বৃহৎসংহিতাঁও “আপীতঞ্চ কলিঙ্গে” বলিয়াছেন। কোশল-দেশার হীরকের বর্ণ গীত হয়। বুহত্সংহিতাতেও “শিরীষ-কুন্থমোপমধ্ত'” বলা হইয়াছে পুণগু, দেশোস্তব হীরক শ্তামবর্ণ হয়, একথায় উভয় গ্রন্থের সম্মতি আছে। মতঙ্গ দেশস্থ হীরকের বর্ণ অল্প পীত ; বৃহৎ্সংহিতৌক্ত বল্লপুষ্পের বর্ণও তরল পীত।

“বজেষু বর্ণযুক্ত্যা দেব।নামপি পরিগ্রহঃ প্রোক্তঃ। বর্ণেত্যশ্চ বিভাগঃ কার্যে! বর্ণাশয়াদেব ॥৮ *“হরিত-সিত-পীতপিঙগ-শ্ঠামাতাত্-স্বত।বতোরুচির1ঃ হরি-বরুণ-শক্র-হুতবহ-পিতৃপতিমরুতাং স্বকা বর্ণঃ ॥৮ বাঁজ্বর বর্ণযোগ থ/ফিলে তাহ! দেবতাঁদিগেরও শ্বীকাধ্য বলিয়! উক্ত হইয়াছে। এবং বর্ণ অনুসারেই বর্ণ অর্থাৎ ব্রাঙ্গণাদি জাতির অধিষ্ঠ।ত্রীদেবতার নির্ণয় করিবেক। ২৫২

রত বঃস্। ৮৫

স্বভাঁবতঃ মনোহর হরিদ্বর্ণ, শুত্রবর্ণ, পীতবর্ণ, পিঙ্গলবর্ণ, শ্ঠযা।মবর্ণ, ঈষভ্তাম- বর্ণের হীরার দেবতা যথাক্রমে নিধাধ্য। হরি (বিষুঃ ), বরুণ, শক্র (ইন্দ্র ), ভুতবহ (অগ্নি), পিতৃপতি (যম ) মকৎ (বায়ু), -এই সকল দেবতাদের আপন আপন বর্ণের অনুরূপ বর্ণের হীরাই প্রিয় এই বচনের সহিত বৃহতসংহি- তোক্ত বচনাবলীর ্ক্য আছে। এবং তন্বারা' অন্য একটা স্বতন্ত্র সিদ্ধাস্তও লব্ধ হয়। সে সিদ্ধান্ত কি? না গঠন। রঙ গঠনের নির্ণায়ক বচন কয়েকটা এইরূপ-- “এরীন্দ্ং ষড়শ্তি শুরুং যাম্যং সর্পাস্তরূপমসিতঞ্চ। কদ্লীকাগুনিকাশং বৈষ্বমিতি সব্বসংস্থানম্‌

বারুণমবলাগুহ্োপমং ভবেৎ কর্ণিকারপুষ্পনিভম্।

শূঙ্গাটকসংস্থানং ব্যাদ্র।ক্ষিনিভং হৌতভুজম্‌।

বায়ব্যঞ্চ যবোপমমশো ককুস্ম প্রভং সমুদ্দিষ্টম্‌ ॥”

ষড়শ্ি অর্থাৎ ষটকোণ। সংস্থ(নে ষট কোণ শুভ্রবর্ণ হীরকের অধিষ্ঠাত্রী

দেবতা ইন্দ্র। সর্পাস্ত অর্থাৎ ফণিফণার শ্তায় গঠন কৃষ্ণবর্ণ হীরকের দেবতা যম। কদগীকাণ্ডের স্তায় শুভ্রবর্ণ এবং গঠনে গোল, এরূপ হীরকের দেবতা বিষণ | অবলাগুহ্াকার রঙে কর্ণিকার পুষ্পসদূশ এরূপ হীরার দেবত। বরুণ। শুঙ্গাটক অর্থাৎ চতুষ্পথবৎ সংস্থানযুক্ত ব্যাপ্রনেত্রবর্ণের হীরার £দেবত! অগ্নি। যব কি ধান্ত।- কার অশোক পুষ্পবর্ণের হীরার দেবতা বাঁযু।

বর্ণান্ুষায়ী গুশ। র(জনির্ঘণ্ট গ্রন্থে জাত্য হীরকের ছায়া ব! বর্ণের বিশেষ গুণগুলি পরিঞাররূপে

লিখিত হইয়াছে যথা-_ |] “শ্বেত-লোহিত-পীতমেচকতয়! ছায়াশ্চতত্রঃ ক্রমাৎ। বিপ্রাদিত্যমিহাস্ত যৎ সুমনসঃ শংসান্ত সতাং ততঃ।

স্ফীতাং কীণ্ডিমন্থত্তমাঁং শরিয়মিদং ধন্তে যথা! সংস্কৃতম্‌ মঞ্ভ্যানামষথাষথন্ত কুলিশং পথ্যং হিতং জাত্যতঃ ॥*

“বিপ্রঃ সোহপি রসায়নেষু বলবানষ্টাঙ্গসিছধি প্রদো

রাজন্তাস্ত নুণাং বলীপলিতজিৎ মৃত্যু জয়েদঞ্জস। |

দ্রব্যাকর্ষণসিদ্ধিদস্ত সুতরাং বৈশ্টোহথ শৃর্বোভবেৎ

সর্বব্যাধিহরস্তদ্ষে কথিতো। বজ্তশ্ত বর্ণোগুণঃ ॥৮ ৫৩

রত্-রহস্য 1 মতাস্তরে

“স তু শ্বেতঃ ম্ুতোবিপ্রো লোহিতঃ ক্ষত্রিয়ো মতঃ

পীতে। বৈশ্রোহসিতঃ শুদ্রশ্চতুবর্ণাত্মকশ্চ সঃ ॥%

“রসায়নে মতে বিপ্রঃ সর্বসিদ্ধি প্রদায়কং।

ক্ষত্রিয়ো ব্যাধিবিধবং সী জরামৃতাহরঃ পরঃ ॥৮

«“বৈশ্তে (ধন প্রদঃ প্রোক্তস্তথ! দেহস্ত দার্টযকুৎ।

শুদ্রোনাশয়তি ব্যধীন্‌ বয়স্তস্তং করোতি ॥”,

গপুংস্ত্রী নপুংসকাশ্চৈতে লক্ষণীয়াঁনি লক্ষণৈঃ।

সুবৃত্তাঃ ফলসম্পূর্ণান্তেজোবুক্ত। বৃহত্তরাঃ ॥৮

“পুরুযান্তে সমাথ্যাত। রেখাঝিদুবিবর্জিতাঃ।

রেখাবিন্দুসমাধুক্তাঃ ষড়শ্রান্তে স্তিয়ঃ স্মৃতাঃ ॥%

"ত্রিকোণাশ্চ সুদীর্ঘ্চ তে বিজ্ঞয়। নপুংসকাঃ।

তেহপি স্থ্যুঃ পুরুষ!ঃ শ্রেষ্ঠ! রসবন্ধনকারিণঃ ॥,

“ক্তরিয়ঃ কুর্ববস্তি কায়ত্ত কাস্তিং স্্রীণাং সথপ্রদাঃ।

নপুংসকাস্তবীর্ধ্যা স্যুরকামাঃ সন্ববজ্জিতাঁঃ ॥৮

এস্তিয়ঃ স্ত্ীভ্যঃ প্রদাতব্য।ঃ ক্লীবং ক্লীবে প্রয়োজয়েৎ।

সর্ধ্বেভ্যঃ সর্বদ! দেয়াঃ পুরুষ! বীর্ধযবদ্ধনাঃ ॥'?

“অশ্ুদ্ধং কুরুতে বং কুষ্ঠং পার্শবব্যথাস্তথা |

পাওুতাং পন্গুরত্বঞ্ণ তম্মাৎ সংশোধ্য মারয়েত,॥%

ইছার সংক্ষেপ অর্থ এই যে, হীরকের শ্বেত, রক্ত, পীত কৃষ্ণ, এই চারি প্রকার ছায়া বা বর্ণ আছে। তন্মধ্যে যাহা শ্বেত তাহা ব্রাহ্মণ জাতি। যাহা রক্তবর্ণ তাহা ক্ষত্রিয় জাতি যাহা পীতবর্ণ তাহ! বৈশ্ত জাতি এবং যাহা! কৃষ্ণবর্ণ, তাহা শূদ্র'জাতি। ত্রাক্মণজাতীয় হীরক রসায়নকার্ষ্যে প্রশস্ত সিদ্ধিদায়ক ক্ষত্রিয় হীরক ব্যাধি জরানাশক। বৈশ্ঠ হীরক ধন শরীরের দৃঢ়তা প্রধান করে, এবং শুদ্র হীরক ব্যাধিনাশ বয়ঃস্তন্ত করে। অপিচ, লক্ষণ অনুসারে " ইহাদিগের মধ্যে আবার পুরুষ, স্ত্রী নপুংসক কল্পনা আছে'। যাহা সুগোল, তেজন্বী, সম্পূর্ণ বৃহৎ রেখাদোযরহিত-_তাহা পুরুষ। যাহ! ফড়ন্রি অর্থাৎ যটকোণ (ছয় পোরালযুক্ত ) রেখাদিযুক্ত--তাহা স্ত্রী। আর যাহা ব্রিকোণ ২৬৪,

: ঝুতবন্কাহনয |. ৯৮

লখখ! তাঙ্্ব নপুংসক্ষ অর্থাৎ ্লীব। এই জাতিত্রয়ের মধ্যে পুরুষ হীরকই শ্রেষ্ঠ পুরুষ হীরক ধারণে অনেক সুফল হয়। স্ত্রী হীরক ধারণে পুরুষের কোন সুখ নাই, কিন্তু নাপীর সুখ কাস্তি বৃদ্ধি হয়। নপুংসক হীরা ধারণ করিলে বীর্ধ্য কাম হানি হয়। এজন্ত স্ত্ীদিগকে স্ত্রী হীরা ক্লীবদিগকে ক্ীব হীরা ধারণার্থে প্রদান করিবেক। পরস্ত পুরুষ হীর! সকলেই ধারণ করিতে পারে হীরককে শুন্ধ সুত না করিয়া ওষধে ব্যবহার করিবেক না। করিলে কুষ্ঠ গ্রভৃতি নান! রোগ জন্মে। হীরককে যদি সংশোধনপূর্ধক মারিত করিয়! ওধধরূপে সেবা কর! যায়, তাহা হইলে তন্থারা অনেক শুভফল পাওয়! যায়। যথা-_

“আধুঃ পুষ্টিং বলং বীর্্যং বর্ণং সৌখ্যং করোতি চ। সেবিতং দর্বরোগন্রং মৃত্ং বজ্জং সংশয়ঃ 0 | ভাৰ গ্রকাশ।

মৃতবজ্ অর্থাৎ হীরকভন্মের সেবা করিলে আধু বৃদ্ধি হয়, ধাতু পুটি হয়, রীর্যা ্‌ বৃদ্ধি হয়, বর্ণ উজ্জ্বল হয়, স্বাস্থ্য স্থুখ জন্মে অশেষ বিশেষ রোগ নাশ হয়।

কেহ কেহ বলেন যে, পুর্বে হীরক কি অন্যান্ত মহারত্ব সকল কর্তন করিত, না। আকরজাত আকারটি বজায় রাখিয়া কেবল মাত্র ধমনকার্যের দ্বারা পরিস্কৃত করিয়াই ধারণ করিত কাটিবার প্রথা! না থাকায়, হীরকের কর্তন -প্রক্রিয়া কোনও রত্বশাস্ত্ে বিশিষ্টবূপে লিখিত নাই। এজন্য বুঝিতে হইবে যে, উল্লিখিত 'আকারগুলি স্বাভাবিক আকরিক অর্থাৎ কৃত্রিম নহে। একথা কতদুর সঙ্গত, তাহা আমরা বুঝতে পারি না পরস্ত আমরা বিশেষরূপ পর্যালোচনার দ্বার! জানিতে পারিয়াছি যে, পূর্ব্বকালের লোকেরাও হীরকের কর্তন প্রক্রয়। জ্ঞাত ছিল গ্রন্থের অবতরণিকায় আমর! এতৎসশ্বন্ধে বিশেষ প্রমাণ দেখাইয়াছি।

গুভাগশুভ লক্ষণ

রত্ববিৎ পণ্ডিতেরা বলেন যে, রত্বের গুণ-দোষ পরীক্ষা করিয়! পশ্চাৎ তাহা ধারণ করিবে। যেলেব্যক্তি যেসেরত্ট ধারণ করিলে, তাহা তাহাদের অনিষ্ট আনয়ন করিয়া থাকে। বিশেষতঃ .হীরক-ধারণের পক্ষে বিশেষ সতর্ক হওয়া উচিত। কিরূপ হীরক কোন্‌ ব্যক্তির ধারণ করিতে. হয়, তাহ! বৃহৎ-সংহিতাঁ, গরুড়পুরাণ ও. ুক্রনীতি গ্রন্থে লিখিত জাছে। বণ... ২৫৫.

৮৮ | রত্ব-রহস্ত। “রত্ন শুভেন শুভং ভবতি নৃপাণামনিষ্টমশ্তভেন যম্মাদতঃ পরীক্ষ্যং দোষং রত্বাশ্রিতং তজ জ্রৈঃ॥% বৃহৎসংহিতা। গুভলক্ষণান্থিত রত্র ধারণে শুভ হয়, অপ্তত লক্ষণাক্রান্ত রত্বে অণুভ হয়। অন্ত" এব রত্্তত্ববিৎ পণ্ডিতের দ্বার! রত্গত শুভাশুভ লক্ষণ সকল পরীক্ষা করিবেক। র্ক্তং পীতঞ্চ শুভং রাজন্তানাং সিতং দ্বিজাতীনাম্‌। শৈরীষং বৈশ্তানাং শুদ্রাণাং শস্ততেহসিনিভম্‌ ॥% বৃহৎসংহিত1 |

রক্তবর্ণ পীতবর্ণ হীরক ক্ষত্রিয় জাতির পক্ষে শুভদায়ক। ব্রাক্মণের পক্ষে ুক্ুবর্ণ, বৈশ্তের পক্ষে শিরীষপুষ্পবর্ণ, শুদ্রের পক্ষে খড়গ অর্থাৎ পরিষ্কৃত লৌহব্র্ণ রদ্বুই শুভদায়ক।

গরুড়পুরাণেও ঠিক্‌ এইরূপ উক্ত হইয়াছে যথা-.

“বিপ্রস্ত শঙ্ঘকুমুদস্ষটিকাবদাতঃ স্াৎ ক্ষত্রিয়ন্ত শশবত্রবিলে!চনাভঃ | বৈশ্স্ত কাগডকদলীদলসন্সিকাশ: শৃদ্রন্ত ধৌতকরবালসমানদীপ্তিঃ | গর্ড়পুরাণ। বৃহৎসংহিতা বলেন যে, সকল হীরক শুতদায়ক নহে মানব যদি ছুষ্ট-লক্ষণা- ক্রাস্ত হীরক ধারণ করে, তবে তাহার বন্ধুব।দ্ধব নাঁশ, শরীরক্ষয় ধনক্ষয় হয় এবং যদি শুভ লক্ষণ ক্রান্ত হীরক ধারণ কৃরে, তবে তাহার বিদ্যুৎ বা বজ্ভয় থাকে ন!, বিষভয়ও থাঁকে না, শুভ হয়, নানা প্রকার ভোগ্য বস্তু ভোগ হয় এবং শত্রভয় থাকে না যথ1--. “ত্বজনবিভবজীবিতক্ষয়ং জনয়তি বজ্মনিষ্টলক্ষণম্‌ | অশনিবিষভয়ারিনাশনং শুভমুরুভোগকরঞ্চ ভূভৃতাম্./ গরুড়পুরাণেও এরূপ লিখিত আছে। যথা “ব্য।লবহ্নিবিষব্যাপ্রতত্করাশুভয়ানি দুরাতিশ্ত নিবর্তস্তে কর্ম ণ্যাথর্বণানি ॥% মনুষ্য যদি নিদেষ হীরক ধারণ করে, তাহ! হইনে তাহার সর্পভিয়, বহিভয়, 2৫

রক্ঠ-রহ্ত্য। ৮৯

বিষভয়,ব্যাপ্রভয়, চৌরভয়, জলভম্ব থাকে ন! এবং অথর্বশাস্ত্োস্ত অভিচারজন্ ভয়ও থাকে না।,

গরুড়পুরাণ, বৃহৎসংহিতা নীতিসার গ্রন্থে যাহা ধারণের উপযুক্ত অনুপ-

যুক্ত বলিয়া! নিণীত হইয়াছে, নিয়ে তাহ! একত্র করিয়া! লিখিত হইল। যথা

৯৫৭

“অত্যর্থং লঘু বর্ণতশ্চ গুণবৎ পাশ্বেষু সম্যক সমম্‌ রেখাবিম্ুকলঙ্ককাকপদকনাস্[দিভিব জিতম্‌। লোকেখন্মন্‌ পরমাণুমাত্রমপি যৎ বজং কচিদরদৃশ্তুতে

তশ্মিন্‌ দেবসমা শ্রয়োহাবিতথন্তীক্ষ গ্রধারং যদি ॥% বজঞেছু বর্ণযুক্তে! দেবানামপি পরিগ্রহঃ €প্রাক্তঃ।

_বর্ণেভ্যশ্চ বিভাগঃ কার্ধ্ো বর্ণাশয়াদেব ॥»

“হরিতসিতপীতপিশষ্ঠ।ম।তামঃ স্বভ/বতেরিচিরা2 | হরিবরুণশক্রছতবহপিতৃপতিমরুতাং স্বকা বর্ণাঃ ॥৮

পদ্বৌ বজবর্ণো পৃথিবীপতীনাঁং সঙিঃ প্রতিষ্ঠৌ তু সার্বজন্তো। যঃ স্ু/দ্জবাবিদ্রমভঙ্গশোণো যে! বা হরিদ্রারসসন্নিকাঁশঃ ॥৮ “ঈীশত্বাৎ সর্ববর্ণানাং গুণবৎ সীর্ববর্ণিকম্‌।

কামতো। ধারয়েদ্রাজা ত্বস্তেহিন্তৎ কথঞ্চন ॥৮ “অধরোত্তরবৃত্তা। হি যাঁদৃক্‌ স্তাৎ বর্ণসঙ্করং।

ততঃ কষ্টতরো বজো বর্ণানাং সন্ধরো মতঃ ॥*

'ন মার্গবিভাগমী ত্রবৃত্যা! বিহষ! বজপরিগ্রহো বিধেয়ত। গুণবৎ গুণসম্পদাং বিস্ৃতিঃ বিপরীতোব্যসনে।দয়স্ত হেতুঃ ॥৮; «একমপি যস্ত শুলং বিদলিতমবলোক্যতে বিশীর্ণং বা। গুণবদপি তন্ন ধার্ধ্যং বজ্বং শরেয়ে।হর্থিভি্ভবনে ॥” “স্কটিতাগিবিণীর্ণশৃঙ্গদেশং মলবর্ণে পৃষতেরপেতমধ্যমৃ।

হি বজতৃতোহপি বজ্রমাণ্ড শ্রিয়মন্থা শ্রয়লালসাং কুর্য্যাৎ ॥৮ '্যন্তেকদেশঃ ক্ষতজাবভাসো যা ভবেল্লোহিতবর্ণচিত্রম্‌।

তন্ন কুর্য্যাৎ ধিয়মাণমাশ স্বচ্ছন্দমৃত্যে রূপি জীবিতাস্তম্‌ ॥৮,

“তীক্ষাগ্রং বিমলমপেতসর্বদোযং ধত্তে বং প্রযততম্ঃ সদৈৰ বজম্‌।

৯5 (রকধ-রহগ্থ | বৃদ্ধি গ্রতিদিনমেরতি'যা বায়ু: শ্রীসম্পৎসুতধনধান্যগোপশূনাম্‌1% ইহার অর্থ এই যে, অত্যন্ত লঘু অর্থাৎ ওজনে ছালকা, নির্দোষ বর্ণ, গুণযুক্ত, পার্খ্দেশ সমন, রেখা, বিন্দু, গামিকা ঝা কলঙ্ক, কাকপদ, তীক্ষধার ত্রাস গ্রভৃতি দোষশুন্ত, এরূপ হীরক পরমাণুপারমাণ হইলেও তাহাতে নিশ্চিত দেবতার অধিষ্ঠান থাকে অর্থাৎ উক্তন্ধপ গুণশালী অতি হুঙ্ষ হীরকও ধারণ করিবে। (১) দেবতা হইলেও বর্ণ-অনুসারে ধারণ করা কর্তব্য এবং বর্ণ-অনুলারেই ব্রাঙ্গণাদি বর্ণের ধারণ করা উচিত (২) হরিৎ অর্থাৎ সবুজ, দিত অর্থাৎ শুত্র, পীত, পিঙ্গ অর্থাৎ পিঙ্গল বণ, স্ত।ম অর্থাৎ কৃষ্ণ বর্ণ, আতাম্র অর্থাৎ অনল্প-লোহিত-বর্ণ অথচ নৈসর্গিক সুন্দর হীরক যথা ক্রমে হরি, বরুণ, ইন্্র, অগ্রি যম বাধু কর্তৃক অধিষ্ঠিত অর্থাৎ হরি প্রতি গেবগণ সেই সেই বর্ণের হীরকের অধিষ্টাত্রী দেবতা (৩) জবাপুপ্পের স্তায় রক্তবর্ণ কিংবা বিদ্রমাত্যন্তরের ন্যায় বর্ণ অর্থাৎ কোকনদসম বর্ণ হীরক কেবল রাজারাই ধারণ করিবেন। এই হই প্রকার হীরক সাধারণের ধার্য নহে ইহ! সাধুগণ ব্যবস্থা করিয়াছেন (৪) রাজ! সকল বর্ণের প্রভু নিমিত্ত কেবল রাজাই ইচ্ছাপূর্ববক যে কোন বর্ণের গুণযুক্ত হীরক ধারণ করিতে পারেন, অন্ত কোন বর্ণ অর্থাৎ ্রান্ধণীদি বর্ণ ইচ্ছানুরূপ বর্ণের হীরক ধারণ করিতে পারেন না। তাহারা শাক্সোক্ত ব্যবস্থান্ন- , 'জারেই ধারণ করিবেন। (৫) উত্তম অধম পরম্পর পরম্পরের বৃত্তি গ্রহণ করিলে, যেমন বর্ণ-সঙ্কর হয়, সেইরূপ সঙ্করহীরকও কষ্ট প্রদ হয়। (৬) শ্রানী ব্যক্তি কেবল বর্ণবিভাগ-অনুসারে হীরক ধারণ করেন না। গুণযুক হীরক ধারণ করিলে শষ বৃদ্ধি হয়, আর বিপরীত গুণের হীরক ধারণ করিলে বিপরীত ফলের কারণ হয়, ইহার প্রতিও লক্ষ্য রাঁখেন। (৭) যে হীরকের একটামাত্র শৃঙ্গ থাকে, তাহ। যদি দলিত কি শীর্ণ বিশীর্ণ হয়, তবে তাহা গুণযুক্ত হইলেও ধারণ করিতে নাই। (৮) টিত অগ্নি'র্জরিত-শৃঙ্গ হীরক যদি মঙগিন বর্ণ হয়, আর যদি তাহাতে ১০২ থাকে, তবে তাহার লালস! অর্থাৎ ধারণেচ্ছ! করিবেক না। (৯) হাহা এক প্রান্তে রকতাভা প্রকাশ পায়, কিছ! রক্তযুক্ত চিত্র চিত হুইতে ২৫৮

শস্ব-রত্গ্ক 1 .

খাকে, সে হীরক ধারণ করা! মুর থাকুক, গৃহে র।খিলেও, ইচ্ছা- ৃতা-ব্যজিরও মরণ হম্স। (১৭) যে ব্যক্তি গুচি শুনচিত্ত হইগা! সর্বদা তীক্ষাপ্র, নির্াপ সর্বপ্রকার দোষ- ঘর্জিত,হীরক ধারণ করে, দিন দিন তাহার শ্রী, সম্পত্তি, পুত্র, ধন, ধান্ত, গো ভন্তান্ পণ্ড সকল বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। (১১) | ভারতবষীয় বত্বশান্ত্রে জ্যোতিঃশান্মে এইরূপ অনেক কথা আছে রত ধারণের সঙ্গে শরীরের উল্লিখিত দোষগুণের সহিত যেকি সম্পর্ক আছে, তাহ! আমর! বুঝিতে পারি না। যাহাই হউক, শাস্ত্রের লেখাগুলিমাত্র বলিলাম স্্রীলোকেরা সকল রত্বই ধারণ করিবেন ) কিন্তু যে নাগীর সস্তানকাঁমন! থ।কিবে-- তিনি যেন হীরক ধারণ না করেন। যদ্দি করেন, তবে দীর্ঘ, চিপিট, ক্ষুপ্র গুণহীন হীরক ধাঁরথ করিবেন। প্রশস্ত হীরক ধারণ করিলে, তাঁহার সম্তানের ব্যাঘাত হুইবেক। যথা. “নার্ধ্যা বজমধাধ্যং গুণবদপি জুতপ্রস্থতিমিচ্ছস্ত্যা | অন্যত্র দী্ঁচিপিটহুস্বাৎ গুণৈবুক্তাচ্চ 0” বৃহৎসংহিতাতেও এই কথা আছে। বথা-- “বজ্র, কিঞ্চ্দিপি ধারয়িতব্যমেকে পুত্রার্থিনীভিরবলাতিরুশস্তি তজজ্ঞাঃ। শ্ঙ্গ(টচিপিটধান্তবৎ স্থিতং যৎ শেনীনিভঞ্চ শুভদং তনয়ার্থিনীনাম্‌ ॥৮ এতদৃভিন্ন শুক্রা চার্ধ্যপ্রেক্ত রত্বপরীক্ষ।প্র করণেও উক্ত হইয়াছে যে, *ন ধারয়েৎ পুজ্রকামা নারী বজ্ঞং কদাচন।৮ পুত্রকামা নারী কোন ক্রমেই হীরক ধারণ করিবেন নাঁ। পুত্রোৎপত্তির সঙ্গে হীরক-ধারণের ধে কি সম্বন্ধ আছে, তাহা আমর! বুঝি না। “অন্তত্তরতি য্বজং অভেস্তং বিমলঞ্চ যত, সংকোণং শক্রচ'পাঁতং লু চার্কনিভং শুভম্‌ ॥% *“অন্তঃপ্রভত্বং বৈমল্যং লুসংস্থানত্বমেব চ।” *ন্ুধাধ্যা নব খার্যযাস্ত নিশ্রভা মলিনান্বথা।% এখুবঃ সশর্করা যে তেহপ্যধার্া গুভেচ্ছুভিঃ 1৮ অগ্নিপুরাপ। .

২৫৯

৯২. রতু-রহস্ত |

যে হীরক জলে ভাসে, যাহ অভেদ্য, নির্ধ, সুন্দর কোণবিশিষ্ট, যাহাতে . ইন্্রধনূর হ্যায় আভা! বিকাশিত হয়, যাহা ওজনে লঘু হুর্য্েরস্তাঁ়্ কিরণাঁবৃত, সেই হীরকই শুভদায়ক উত্কুষ্ট। অভ্যন্তরে প্রভ। থাকা, নির্মল হওয়া, গঠনেও নুন্দর হওয়া, এই কয়েকটী গুণ থাকিলে সে মণি উৎকৃষ্ট বলিয়! গণ্য উক্ত প্রকার গুণশালী বত্বই ধারণ করিবে। যাহার প্রভ। নাই, যাহা মলদিদ্ধ, তাহা ধারণ কারবে না। যাহা খণ্ড অর্থাৎ অন্তর্ভগ্ন, কাকরদার, তাহাও ধারণ করিবে ন।।

দোষগুণ বিচার

হীরকের গুণ দোষ অনুসারে মুল্যের অল্পত| আধিক্য হইয়া থাকে এবং ধারণের যেগ্যাষো গ্য নির্ণয় হইয়।ও থাকে? স্থতরাং গুণ 'ও দোযগুলি ভাল করিয়া বলা আবশ্তক। গরুড়পুর!ণে প্রথমতঃ আকরিকগুণের, পরে অন্তান্ত গুণের উল্লেখ আছে। যথা “কোট্যঃ পার্খীনি ধাঁরাশ্চ ষড়ষ্টৌ দ্বাদশেতি চ। উত্ত গসমতীক্ষগ্র! বস্তস্ত। করজা গুণাঃ ॥”

চোঁটী অর্থাৎ প্রান্ত বা কে।ণ, পার্শ্ব, ৬৮ কিংবা ১২ রীধা র, উত্তল অর্থাৎ চ্যাপট1 নহে, সম, অগ্রভাগ সকল তীক্ষ। সফলগুলিই হীরকের আব- রিক গুণ অথ্।ৎ আকরবিশেষে সকল নৈসর্গিক গুণ হইয়া থাকে $ পশ্চাৎ ধমন, পরিকর্্ম ( পলিশ.) অশ্রীকরণ ( কটু )দ্বার৷ গুণাস্তর করা হয়। “ঘট কো টিশুদ্বমমলং পছুটতীক্ষধারং বর্ণাদ্বিতং লঘু স্ুপার্খবমপেতদৌষম্‌। ইন্্রাযুধাংশুবিস্যতিচ্ছুরিতা স্তরীক্ষং . এবংবিধং ভুবি ভবেৎ স্থুলভং বজ্জম্‌ ॥% ছয় কোট অথ কোণ যুক্ত, বিশুদ্ধ, নির্মল, সুপার, সুব্যস্ত তীক্ষধার- কত, লুন্দর বর্ণ, লঘু অথ ৭ৎ ওজনে হাক্থা, পাঁশ, গুলি সুন্দর, দৌধবজ্জিত, রাম" ধন্গরদ্তায় কিরণ বাহির হইতে থকে, এন্ধপ হীরক পৃথিরীঃত সুলভ নহে অথাৎ কখন..কখন পাওয়া যায়। | বির

বড় রহস্য! ৯৩

"অত্যর্থং লঘু বর্ণতশ্চ গুণবৎ পা্েষু সমাক্‌ স্থিতম্‌। রেখাবিন্দুকলম্ককাকপাদকত্রাস|দিভিব্জিতম্‌ ॥” অত্যন্ত লঘু, বর্ণ ভ!ল,পার্খদেশ উত্তম রেণাশৃন্য, বিন্দুবর্জিত, নিষ্কলঙ্ক, কাক- পদ ভ্রাসনামক দোষ ন| থ|ক1, এই মকল হীরকের গুণ এবং ইহার বিপরীত হইলেই দেোষ। বুহৎসংহিতাকার বলেন যে, থে হীরক, ভীর+ভিনন অন্যান্ত পদার্ধের দ্বারা অভেদ্য, লদ্ুং জলে ভাসে,চন্দ্ররশ্ির স্ত।য় সি, বিছ্যু্, অগ্নি বা ইন্দধন্ুর গ্তায় প্রভা! বিস্ত(র করে, সেই হীরকই উত্তম আর যাহ! কাকশদ নামক দোধধুক্তঃ মক্ষিল। কেশযুক্ত (এই ঢইটী এক প্রকার দোষ নামাগ্ন্রপ জানিবে) পাতিদুক্ত ককরবিদ্ধ ( কাকরের চিহ্ত ) চতুষ্কোণ, দিপ্ধ অর্থ।ৎ প্রলিপ্ত, মলাসুক্ত, ত্রান"্দোষে দূষিত, বিশার্ণ (ভাঙ্গার দ।গ ), এই সকল পোষ যাহাতে থাকে, তাহ! ভাল নহে এবং হা বুদ্ধদের স্তায়, দলিতের স্তায় ( অগ্রভাগ ভে ।ত! ), চ্যাপউ!, বাসা ফলের ন্যায় 1, এরূপ হীর্কও ভাল নহে যথা “সর্বদ্রব্য।ভেগযং লঘৃম্তসি তরতি বাঁশবৎ মির্ধিম্‌। তড়িদনলশক্রচাপোগমঞ্চ বন্্রং হিতায়োক্রম্‌ “কাকপদমক্ষিকীকেশধাতুযুক্তানি শকর[বিদ্ধম্‌ | দবিগুণা শ্রিদিগ্ধকলুত্রস্তবিশীর্ণননি শুভানি ॥%7 “যানি বুদ্,দদলিত গ্রচিপিটবাসদল গ্রদী্াণি ৮: 1১78 ৫, *্যগ্যপি বিশীর্ণকে।টিঃ সবিন্দ রেখ নিতে তদপি ধনধান্তপুজ।ন করে[তি £

পরের পরাক্রম ধ্বংস

৯৪ রতব-রহস্ত।

*স্থচ্ছং বিছাতপ্রভং স্িগ্ধং সৌন্দর্য্যং লখু লেখনম্‌। ঘড়ারং তীক্ষধারঞ্চ স্রশ্তামারং শিয়ং দিশেত ॥%? রাজনিখণ্ঠ। জুন্দর, স্বচ্ছ, বিছ্যাতের ন্যায় প্রভাবিশিষ্ট, নিপ্ধ অর্থাৎ নেহঅক্ষিত্মেল হ্যায়, মনোহর লঘু অথাৎ হাল্‌ক1, লেখন অর্থাৎ রত্বান্তরকে আঞ্চোড়িত করিতে সক্ষম, ষট.কোণ, তীক্ষধার,-_-এরূপ হীরক লক্ষ্মীভাগ্য আনয়ন করে। "ভশ্মাভং কাকপাদ্চ রেখাক্রাস্তঞ্চ বর্ত,লম্‌।”” আধারমলিনং বিন্দুসত্রাসং স্ক,টিতস্তথা ॥% *নীলাভং চিপিটং রুক্ষং তছজ্ঞং দোষলং ত্যজেৎ।”” রাঁজনির্থন্ট। ভন্মের স্তায় আভাযুক্ত, কাকপদ রেখাক্রাস্ত, বর্তল, আঁধার মলিন অর্থাৎ আকরিক-্মালিন্য-যুক্ত, বিন্দু ত্রাসদোষে ছুষ্ট, শ্কু'টত অর্থাৎ ফাট।, নীল আভা- যুক্ত, চয।প্টা, রুক্ষ,--এরূপ বজ্র দোষ বহন করে বলিয়া পরিত্যাজ্য রাজনির্ধন্ট প্রভৃতি বৈদ্যক-গ্রন্থে হীরকের উতৈষজ্যোপযেগী গুণ বর্ণিত আছে, তাহার কতিপয়, গুণের উল্লেখ করিতেছি প্হীরক ফড্রসধুক্ত, সর্ব-রোগন!শ ₹, সর্বানিষ্-নিৰারক, সুখজনক, দেহ-দৃঢ়- কারক, রসায়ন, সারক, শীতল, কষায়, স্থাহু, বমনকারক, চক্ষুর হিতকারী |” এই সকল গুণ মৃতহীরকের, ইহা বুঝিতে হইবে হীরকের জারণ মারণাদির প্রণালী কিরূপ? তাহা বর্ণনা গ্রন্থের উদ্দেশ্ত নহে বলিয়া পরিষ্.ক্ত হইল। তি ুল্যবান্‌ পদার্থ এবং উহা শিল্পকুশল ধূর্ত কল্যাক্তর! কৃত্রিম করিয়া | টির পর ক্রা আবস্ঠক। গরুড়পুরাপোক্ত রত্বপরীক্ষায়

রদ্'রুহ্হী |. ৯&. হীরক প্রস্তভ . করিয়া, থাকে, এজজন্ত বিচক্ষগ পরীক্ষক্থারা তাহ! পরীক্ষা, কর. আবশ্ঠক

: প্ষৎপাঁষাঁণতলে নিকাষনিকরে নোদ্দৃযতে নিষ্টুরে যচ্চান্টোপললোহ্মুদগরমুখৈর্লেথানন ধাত্যাহনম্‌। যচ্চান্তৎ নিজলীলয়েব দলয়েখ বৃক্রেণ বা ভিদ্ভতে তজ্জাত্যং কুলিশং ব্দত্তি কুশলাঃ শ্লাঘ্যং মৃহার্থঞ্চ তৎ। রাজনির্থন্ট। যাহ! অতি কঠিন নিষ্ঠর ব! কঠিন কষ্টিপাথরে ঘর্ষণ করিলেও ক্দাগ লাগে না, অন্য প্রস্তর কি লৌহ প্রভৃতির দ্বার যাঁহাকে উল্লেখিত ( আঞ্চোড়িত )বা ক্ষোদিত কর! যায় না, যাহ। অন্য প্রস্তরকে অনায়াসে বিদলিত বা বিদীর্ণ করিতে পারে এবং যাহা বজ্ঞ ভিন্ন অন্ত কিছুতেই বিদলিত হয় না, রত্জ্ঞ পঞ্ডিতেরা বলিয়া থাকেন যে, তাহাই জাত্য বজজ এবং তাহাই সমধিক মূল্যবান “ক্ষারোলেখন্শালাভিস্তেষাং কার্ধাং পরীক্ষণম্‌।” ক্ষার, উল্লেখন ( চাচা ) শালাকাধ্য, এই তিন প্রকার নি দ্বারা হী কের পরীক্ষা হুইয়। থাকে “পৃথিব্যাং যানি রত্বানি ষে চান্তে লোহধাতবঃ | সর্বাণি বিলিখেৎ বস্ং তচ্চ তৈর্নবিলিখ্যতে ॥৮ পৃথিবীতে যে কিছু রত্ব তৈজস ধাতু আছে, হীরক ছ্বার। সমস্তই উল্লেখিত হয়, ( উল্লেখন টাঁচ। কিংব! দশগ লাগান ) কিন্তু হীরক তাহাদিগের দ্বার! উল্লেখিত হয় না। *গুরুত] সর্বরত্বানাং গৌরবাধারকারপণম্‌। বজ্ে তত বৈপরীত্যেন ুরয়ঃ পর্িচক্ষতে 7৮. গুরুত্ব অর্থাৎ ওল্জনে তারি হওয়া সকল রত্বেরই গৌরবের কারণ; কিন্তু হীরকে তাহার বিপরীত অর্থাৎ তত পত্ভিতেরা বলেন যে, ওজনে ছানা হও. সাই হীরকের গৌরবের কারপ। “জানিযজাতিং বিলিখন্ি বজরুকবিষকাঃ। বৃজৈর্জং বিলিখতি নাস্কেন। লিখতে বজ্জম্‌ *: জাতামণির ছার। বিজাতমণির এবং হীরক কুরুনিিজার দ্বার) কমি ৬১১০০

রঙ রইস | হীরকৈয দ্বারা হীরকের উল্লেখন করা যাঁয়। অন্ত কোন পদার্থের দ্বারা হীরককে উর্লেখিত করা যায় ন1। "বজাণি মুক্তাযণয়ো যে কেচন জাঁতয়ঃ। তেষাং প্রতিবন্ধানাং ভা তবত্যুর্ধগামিনী তিষ্যক্‌ ক্ষতত্বাৎ কেষাঞ্চিৎ কথঞ্চিৎ যদি দৃশ্টাতে। তিষ্যগালিখ্যমানানাং পার্েঘপি হন্তাতে ॥* হীরক মুক্তা, এবং অন্ত যে কোন জাত্যমণি হউক না কেন, প্রতিবন্ধ থাকিলে তাহাদের দীপ্তি ব| প্রভ1 কোনক্রমেই উর্ধগামিনী থাকিবে না তির্ধ্যক্‌ উল্লেখিত অর্থাৎ ( বক্রকর্তনত। ব1 পার্থে বাক! করিয়! কাটা) হওয়ায় যদিও কোন কোন মণির প্রভা বহির্গত হইতে দেখা যায়, তথাপি তাহা পার্খদদেশেই আহত হইবে; ইহাও এক প্রকার পরীক্ষা ।* বৃহৎসংহিতাগ্রন্থে হীরকের পরীক্ষা -সন্বন্ধে এই মাত্র উক্তি আছে, “সর্ধদ্রব্যাভেগ্তং লঘস্তসি তরতি রশ্মিবৎ সিপ্ধম্‌” হীরক ভিন্ন অন্ত কোন পদার্থের দারা হীরক উল্লেখিত হুইবে না, অন্যান্ত রর অপেক্ষা! লঘু অর্থাৎ ওজনে হাঁল.কা' হইবে এবং জলে ভাসিবে, রশ্শিবুক্ত অথচ স্গিগ্ধ ( চেক্ণাই ) থাকিবে। নীতিসার-গ্রস্থের ৪র্থ অধ্যায়ের ২য় প্রকরণে হীরকের পরীক্ষা প্রশংসা সম্বন্ধে এইরূপ উক্তি আছে ণরত্ুশেষ্ঠতরং বজং নীচে গোমেদবিদ্রমে 1৮ “নায়সোলিখ্যতে রত্বং বিন! মৌন্তিক-বিদ্রমাৎ। পাঁষাণেনাপি প্রায় ইতি রত্ববিদো জণ্ডঃ ॥” “ন জরাং যাস্তি রত্বানি বিদ্রমং মৌক্তিকং বিনা তাবৎ শ্রেষ্ঠ রত্বের মধ্যে হীরকই শ্রেষ্ঠ এবং অধমের মধ্যে গোমেদমণি বিদ্রমই অধম। মুক্তা প্রবাল ভিন্ন অন্ত কোন শ্রেষ্ঠ রত্ব তীক্ষ লৌহের দ্বারা ঠাচা যায় ন৷

*€ কেহ কেহ বলিয়! থাকেন বে, প্রাচীনকালে হীরক ফি মাপিক্য কাটিয়া পরিক্ষার করিবার প্রথা ছিল ন| ; কিন্ত এতদ্রপ বচনাবলির মর্মস্থান পর্যযালোচন। করিলে কাটা হইত বলিয়াই অনুমিত হয়। কি প্রকারে কর্তিত হইত, তাহার কোন বিশেষ বিবরণ না৷ পাওয়ায়, বোধ হয় কাটিখার প্রথা ছিল ন। বল। হইয়া থাকে

৬৮৬০৯

হর

বত্ব-রহন্ত | ৯৭

এবং প্রায় অর্থাৎ সাধারণতঃ অনেক প্রকার পাষাণে ঘর্ষণ করিয়! ক্ষয় করাও যায় না। প্রবাল, বিদ্রম মুক্তা ভিন্ন অন্ত কোন রত্বই জরাগ্রস্ত হইয়। নষ্ট হয় না। ইহ ভিন্ন অন্তান্ত পরীক্ষাও আছে, তাহ! মাঁণিকা প্রস্তাবে বল! হইয়ছে।

মূল্য। হীরকের মূলাযসম্বন্ধে রত্বশান্ত্রে নানা কথ! আছে। তাহার কতিপন্ন প্রমাণের উল্লেখ করিয়া প্রস্তাবের উপসংহার কর! যাউক | গরুড়পুরাণ কল্পদ্রম-ধৃত যুক্তি- কলতরুশ্গ্রন্থে মূল্যসম্বন্ধে এইরূপ লিখিত আছে যথ!-_ “যদি বজমপেতসর্বদোষং বিভূয়াৎ তওুলবিংশতিং গুরুত্বে। মণিশান্ত্রবিদো। ব্দস্তি তন্ত দ্বিগুণং রূপক-লক্ষণমগ্র্যং মূল্যম্‌ ॥” সর্ধপ্রকার*দোয বর্ধিত হীরক যদি (২০) বিংশতি তওুল পরিমাণে গুরু হয়, তবে তাহার উচ্চ মূল্য মণিশাস্ত্বেত্তা পঞ্ডিতের মতে দ্বিগুণিত রূপক অর্থাৎ ছুই রূপক হইবে। এই শ্লোকের তওুল শব্দের রূপক শব্দের অর্থ পারিভাষিক মণিশান্ধে হীরকাদি-রত্বের গুরুত্বশ্নির্ণায়ক পরিমাণ-বোধক তুল শব্দের রি এইব্ূপ»-- “অষ্টভিঃ সধপৈর্গ রৈ-স্তগুলং পরিকল্পয়েৎ ॥”

আটুটি শ্বেত সর্ধপ.ওজন করিলে যে পরিমাণ হয়, সেই পরিমাণের নাম

“তও্ল”। বৃহৎসংহিতা-গ্রন্থেও এইরূপ লিখিত আছে যথা-_ £«সিতসর্ধপাষ্টকং তও্ুলে। ভবেত্তগুলৈস্ত বিংশত্যা তুলিতস্ত ছে লক্ষে মূল্যং দ্বিছ্ব্যনিতে চৈতৎ |”

শ্বেত সর্যপে এক তুল হয়, ওজনে তাদৃশ বিংশতি তুল পরিমাণ হইলে, তাহার মূল্য ছুই লক্ষ এই নির্ধারিত মুলোরও ওজনের ক্রমে ছুই ছই ভাগ হীন হইলে, এক এক ভাগ অবশিষ্ট থাকা, এবং তিন ভাগ প্রভৃতি হীন হইলে তদনু- রূপ মূল্য হাস হুওয়া বুঝিতে হইবেক। গনক্ুড়পুরাণেও এতজপ ব্যবস্থা দেখা যায়। যথা.

গ্যত্তগুলৈদ্বীদশভিঃ কতন্ত বজ্রন্ত মূল্যং প্রথমং প্রদিষ্টম্‌।

হবাভ্যাং ক্রমাৎ হানিমুপাগতন্ত ত্বেকাবসাঁনম্ত বিনিশ্চয়োহয়ম্‌ ॥”

“ব্রিভাগ-হীনাদ্ধ-তদর্ধ-শেষং ত্রয়োদশং ত্রিংশদতোর্ধভাগাঃ।

অশীতিভাগোহ্থ শতাংশভাগঃ সহশ্রভাগোহপি সমানযোগঃ ॥” ২৬৫

৯৮ বত্ধ-যভষ্ঠ |

হৃহৎসংহিতীও প্রায় এইযপ ব্যবস্থ! করিয়ীছেন, “পাদত্রাংশার্ধোনং ভ্রিভাগ পধ্গংশ যোড়শাংশাশ্চ। ভাঁগশ্চ পঞ্চবিংশঃ শতিকঃ সাহশ্রিকশ্চেতি ত্রিভাগহীনে অর্ধহীন, ত্রিংশৎ হীনে ত্রয়োদশ, অশীতি হীনে শতাংশ, এবং সহম্স ভাগে তদপেক্ষ৷ অল্প। এই রীতিতে, প্রথম নির্দিষ্ট প্রমাণের যেমন হীন বা অল্পত! হইবে, সেই সেই ক্রমে মূল্যেরও অল্পতা হইবে “অনেনাপি হি দোষেণ লক্ষ্যালক্ষেণ দূষিতম্‌। শ্বমূল্যাৎ দশমং ভাগং মুল্যং লভতি মাঁনবঃ ॥% উচিত ওজনের হীর। ঘদি পূর্বোক্ত দোষে দুষিত হয়, তবে বিক্রেতা মানব তাহার মূল্য, নির্দিষ্ট মূল্য অপেক্ষা দশ ভাগের এক ভাগ মাত্র পাইবেন «“এরকটানেকদৌ ষন্ত হ্বল্পন্ত মহতো হপি বা স্বমূল্যচ্ছতশোভাগে! ব্ন্ত বিধীয়তে ॥৮, “ম্পষ্টদে(ষমলঙ্কারে বজং যদ্যপি দৃশ্ততে। রত্বানাং পরিকন্মার্থং মূল্যং তশ্ত ভবেললঘু ॥” হীরক স্বল্প হউক, 'আআঁর বৃহৎ হউক, যদি তাহাতে অনেক দোঁষের প্রকাশ থাকে,তবে তাহার মূল্য প্রকৃত মূল্যের শত ভাগের এক ভাগ বিধান করাও কর্তব্য নহে। যদি অলঙ্কারে দোষযুক্ত হীরক থাকে, তবে তাহার মূল্য অল্প এবং হীরক কি অন্তান্ত রত্ত যদি পরিকম্্মীকূত ( পালিশ ) ন! হয়, তাহ হইলে, সেই অপরিকন্মীকৃত রত্বের পরিকম্ম করাইবার জন্য মুল্যেরও অল্পতা হইবে৷ এতত্তিন্ বুহৎসংহিতাঁকার বলেন যে, যে সকল হীরকে কাকপদ,মক্ষিক।, কেশ, ধাতুযুক্ততা, শর্করাবিদ্ধ, লিপ্ত ( কলুষিত, ত্রন্ত, বিশীর্ণ, বুদ্,দ, দলিতাগ্র, চিপিট, বাসাফলবৎ দীর্ঘত। প্রভৃতি দোষ থাকে, দে সকল হীরকের প্রকৃত অর্থাৎ নিদেশষ হীরকের মূল্য অপেক্ষা আট ভাগ ন্যুন মূল্য অবধারণ করিবে যথা “কাকপ্‌দ মক্ষিক! কেশঘাতুষুক্তানি শর্করাবিদ্ধম্‌। দিগুণাশ্রিপদগ্ধ কলুষ ত্রস্তবিশীর্ণানি গুভানি যানি যানি বুদ্বুদ্লিতাগ্রচিপিউবাসাফল প্রদীর্ঘাণি সর্বেষাং তেষাং মৃল্যাৎ ভাগেহি্ইমোহানিই ॥% অপিচ, মহধি শুক্রাচা্য স্বকৃত নীতিগ্রন্থের রড় প্রকরণে বলিয়াছেন যে, রাজা- দিগের দোষ-গুণেই রদ্ধ সকলের মুল্যের অল্পত]' বা আধিক্য হইয়া থাকে হি

ধ্ঠ-রইন ৯৯ [বিধেটনা করিয়া ধেখিলে, তাহার কথ! অতীব সঙ্গত বলিঞ্কা। বোধ হয় কফেনন! ফাল, দেশ পাত্র অঙ্থুসাপ়ে কেবল রত্ব নহে, সকল ভ্রব্যেরই মূল্যের তারতম্য ঘ্টন! হয়। তদীয় নীতিগ্রন্থের বত্বপরীক্ষার্গকরণে হীরকের মুল্যসম্বন্ধে যেক্প ব্যবস্থা আছে, অধুন। প্রায় সেই নিক্ষম অন্ুসাপ্জেই হীরক সকল ফ্রীভ- বিক্রীত হইয়। থাকে। বথ1__ “একন্তৈব হি বজ্জন্ত ত্বেকরত্তিমিতন্ত চ। স্ুবিস্ৃতদলস্তৈব মূল্যং পঞ্চ-স্বর্ণকম্‌ ॥* “রত্তিকাদলবিস্তারাৎ শ্রেষ্ঠং পঞ্চগুণং যদি যথা যথা ভবেন্নানং হীনমৌল্যং তথা তথা ॥৮ এক রত্তি ওজনের এক খানি নির্দোষ উৎকৃষ্ট হীরকের মূল্য £ পাঁচ স্বর্ণ (৮* রতি অর্থাৎ ॥/১* আনা ওজমের স্বর্ণ মুদ্রার নম সুবর্ণ ) ইহাই হীরকের মূল্যের উচ্চসীম। বা মুল্যকেন্দ্র। ইহ! অপেক্ষা যত রতি ওজনে অধিক, বিস্তারে অধিক উতরুষ্টতায় অধিক হইবে, ততই তাহার মূল্য প্রত্যেক রত্তি অনুসারে পাঁচ গুণ অধিক হইতে থাকিবে, এবং যেমন যেমন হীন হইবে, তেমনি তেমনি, মূল্যও হীন হুইবে। এই নিয়মটি এদেশে বহুকাল প্রচারিত আছে এবং অধুনাতন- কালেও প্রায় এই নিরমেই হীরকের ক্রুয্সবিক্রয় সাধিত হইয়া! থাকে। উল্লিখিত গ্রন্থে এই সাধারণ নিয়মের অতিরিক্ত কষ্পেকটি বিশেষ নিয়ম আছে, এস্থলে তাহাও উদ্ধত করিলাম “থা গুরুতঘং বজং তগ্মল্যং রত্তিবর্গতঃ। তৃতীয্মাংশবিহীনস্ত চিপীটন্ত প্রকীর্তিতম ॥” “তদর্ধং শর্করাভন্ত চোত্তমং মুল্যমীরিতম্‌।৮; “্রতিকায়াশ্চ দ্বে বজে তদদ্ধং মুল্যমহ্তঃ 1 “তদর্ধং বহবোধ্্হত্তি মধ্যাহীনা বথ! গুণৈ21% “উত্তমার্দং তদর্ঘং বা হীরক! গুণহীনতঃ | বর্গরত্তিষু সংধাধ্যং কলানাংঃনবকং পৃথক্‌ 1৮ দতথাংশপঞ্চকং পুর্ববং তিংশত্তিস্ততজেৎ ততঃ হীরকের যেরূপ যেরূপ গুরুত্ব অর্থাৎ ওজন হইবে, ' সেইরূপ সেইরূপ ওজনকে বর্শরতি অর্থাৎ কালী করিয়া রতির পরিমাণ বা সংখ্যা কনা করিবেক পম্চাৎ সেই বর্গ-রর্তির সংখ্যা! বা পরিমাণ অনুসারে মূল্য কল্পন! করিবেক। এর বর্গ-রতি ই৭ |

১০০ রস্ব-রহহ)।

পরিমিত উত্তম হীরকের যে মুল্য, এক বর্গ-রতি চিপীট হীরকের মুল্য তাহার শক দ্বৃতীয়াংশ হীন এবং এক শর্করাত্ হীরকের মুল্য তাহার অর্ধ। এক বর্গ-রতি গ্রক খণ্ড হীরকের থে মূল্য, ছুই খণ্ডে এক বর্গ-রতি হইলে তাহা তাহার অর্ধ-মুল্য এবং বনুথণ্ডে এক বর্গ-রতি হুইলে তাহা তদপেক্ষা অর্ধ-মূল্য হইবার যোগ্য। এইরূপ, গুণের অন্নত আধিক্য অন্ুসারেও মুল্যের উত্তমাধম-মধ্যমত। কল্পনা করিবেক অর্থাৎ অল্পগুগ হীরক সর্বগুণ-সম্পন্ হীরক অপেক্ষা অর্ধমূল্য এবং মধ্যম গুণযুক্ত হীরক মধ্যম মূল্য, ইত্যাদি ক্রমে নির্ণয় করিবেক। সমছিগুণিত রতির নাম বর্গ-রতি, যত ব্গ-রতিই হউক, তাহার উপর স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র নবকল৷ পাঁচ অংশ যোজন! করিবেক প্রথম স্থাপিত নব- কলাকে ৩* দিম্ব। ভাগ করিলে যাহা! অবশিষ্ট থাকে অথব৷ যত ভাগ হয়» ততকে কল! সংখ্যায় যুক্ত করিবেক। অনস্তর কল৷ সংখ্যার ২৬ অংশ অবলম্বন করিয়া মূল্যাবধারণ করিবেক | এই নিয়ম মৃক্তামূল্যের জন্য ব্যবস্থিত হইলেও হীরকের বর্ম-করন! ইহারই দৃষ্টান্তে কত হইত। অপিচ, রত্বের মূল্যসম্বত্ধে আর একটি নিয়ম আছে, তাহা সর্ধরত্ধ সাধারণ্যেই ব্যবহৃত হইয়! থাকে। সে নিয়মটি এই যে “সুল্যাধিক্যাক় ভবতি যত্রত্ং লঘু বিস্তৃতম্‌। শুর্ধল্পং হীনমৌল্যায় শ্যাদ্রতবং ত্বপি সদ্‌ গুণম্‌ ॥৮ গুক্রনীতি

রত্ব লঘু অথচ দেখিতে বড়--তাহার শ্থুল্য অধিক আর যাহা দেখিতে

ছোট অথচ ওজনে ভারি-_তাছা গুণযুক্ত হইলেও অল্প মূল্য হইবেক

উপসংহার

পুর্ব্বে ভারতবর্ষের চীনদেশের রত্ববিৎপঞ্ডিতেরা উত্তমরূপে কাটি! হীরকের দীপ্তি প্রকাশ করিতে অবগত ছিলেন প্রাচীন কালের ইউরোপীয়গণ খনি হইতে হীরক প্রাপ্ত হইলে; তাহা পরিষ্কত করিয়। অলঙ্কারে ব্যবহার করিতেন; কিন্তু হীরক কাটিয়া তাহার ওজ্জল্য*প্রকাশের নিয়ম পঞ্চদশ খুষ্টা্ধে লুই ভ্যান্‌ যর্গেন্‌ ছার! প্রকাশিত হয়।

ভারতবর্ষের গলকপগ্ডার হীরক গ্সতি পূর্ব্বকাল হইতে প্রসিদ্ধ। বোর্ণিও মলকায় যে হীরক প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহা উত্রুষ্ট শ্রেণীর নহে। অষ্টাদশ

৬৮

রদ রহ ১৬১ খৃষ্ঠাধ হইতে গ্রচুর-পরিমাণে ব্রেজিলে হীরক প্রাপ্ত হওয়া যাইতেছে ইহা ভিন্ন অধুনা ইউরেল পর্বত, উত্তর আমেরিকার কোঁন কোন অংশ, অক্ত্রেলিস়া আফি.কায় হীরক পাওয়া গিয়! থাকে পর্য্স্ত যত হীরক প্রাপ্ত হওয়! গিয়াছে, তাহার মধ্যে ভারতবষীয় হীরক উত্তম, সর্ব প্রসিদ্ধ ব্ুমূল্য। কিংবদক্তী আছে ধে, কোহিনুর নামক হীরক শ্রীকৃষ্ণের হস্তে শোভা বিস্তার করিয়াছিল।

ভাগবত্ত বিষুপুরাণ প্রভৃতি প্রাচীন আধ্যগ্রন্থে লিখিত আছে হে, শ্রীকৃষ্ণের সামস্তক নামক একথাঁনি উৎকৃষ্ট মণি ছিল। জৈনাঁচাধ্য হেমচন্দ্র লিখিয়াছেন যে

“মণিঃ স্তমস্তকোহন্তে ভুজমধ্যে তু কৌন্তভঃ

শ্রীকচের হস্তে স্যমস্তক মণি ছিল। বিষুপুরাণে লিখিত আছে যে, শ্রী, তাহ! অক্র.রকে প্রদান করেন। তৎসম্বন্ধে জন প্রবাদ এই যে, সেই স্যমস্তকমণিই বোহিনুর আখ্যা প্রাপ্ত হইয়াছে যাহাই হউক, কোহিনুর ধে স্যমস্তকমপি-_ তাহার কোন প্রমাণ নাই। স্যমস্তকমণির সংক্ষেপ বৃত্তাস্তটি পরিশিষ্টে লিখিত হইবেক। ইহার প্রাচীন ইতিবৃত্ত মার বিশেষ কিছুই জ্ঞাত হওয়া যায় ন1। ইহ! কোন এক অজ্ঞাত-ঘটনায় আলাউদ্দীনের হস্তগত হয় পরে, ১৫২৬ খৃষ্টাবে সুলতান বাবর ইহা বছহত্বে অঙ্গে ধারণ করিয়াছিলেন। ফরাশীশ, ভ্রম্শকারী টাবরূনয়ার আরঙ্গজীবের নিকটে কোহিনুর দর্শন করিয়াছিলেন। সময় হর্টন্‌ সিও বর্জিয্না ইহা! কাটিয়া সুদৃশ্ড করিতে গিয়া, তাহার দীপ্তির হানি করি- যাছিল, এজন্য নৃপতি আরঙ্গজীব তাহাকে অপমানিত করিয়! রাজ্য হইতে বহিষ্কৃত করিয়! দিয়াছিলেন। দিল্লী হইতে নাদির সাহা ইহ! লুণ্ঠন করিয়া লইয়। যান, তৎপরে তাহার বংশধরের নিকট হুইতে আহম্মদ সাহ প্রাপ্ত হইলে, তৎপুত্র সা গ্রজার নিকট হইতে উহা! মহারাজ রণজিৎ সিংহ গ্রহণ করি! স্ববাহুতে ধারণ করেন। ইংরাজ গবর্ণমেন্টের পঞ্জাব জয়ের পরে কোহিনুর ১৮৫০ খৃষ্টাব্দে মহা-॥ রাণী ভিক্টোরিয়ার নিকটে প্রেরিত হয়। ১৮৫১ খৃষ্টাব্বের ইং লণ্ীর মহা প্রদর্শনে উহা প্রদর্শিভ হুইয়াছিল। সে সময়ে আমষ্টার্ডম্‌ নগরবাসী কাষ্টার নামক এক* জন প্রসিদ্ধ রতরব্যবসারীর গার] উহার উত্তমরূপ অস্ত্ীকরণ পরিকন্ম সাধিত হইয়্াছিল। তৃমগ্লের রাঁজভাগ্ু।রে হত হীরক আছে, তাহার মধ্যে কোহিনুর সর্বোত্রুষ্ট। উহা! এক্ষণে মহারাজ্ভী এন্প্রেস্‌ ভিক্টোরিয়ার মুক্ুটে পরিশোভিত রহিষ়াছে।

২৯

১৭২ ১১১৬

মহারাজ, ভিক্টোরিক্কার আর একখানি বুমুজ্য হীরক আচে, ভাহার নাম কম্বারলাগ হীরক উহা! ডিউক্‌ অব্‌ কন্ারষ্যা্ডের অর্ধকারে ছিল৷

রুষিদবার সম্রাটের নিকটে বে “অর্লফণ', হীরক আছে, সেখানি অতিবহসূল্য ভাঁর্তবর্ষীয় হীরক উহা! নাছির সাহার “ময়ুর-সিংহাঁসন হইতে এক জন ফরাসী অপহরথ করিয়া আরে নিয়ায় এক বণিকের নিকট বিক্রয় করিস্সাছিল। ধী বণিক ১৭৭৪ খুষ্টীবে রুশিয়াঁর এক্প্রস্‌ দ্বিতীয় কাথারিনের নিকটে. উত্ত হীরক বিক্রয় করিয়াছিলেন। রুসিয়ার সম(টের আর ছুই খানি বহুমূল্য হীরক আছে, তাহার এক খানির নাম পোলারষ্টার,,, অপর খানির নাম “সা |

“সা হীরক খানি আব্বাস্‌ মির্জার পুত্র খসরু, সম্বাটকে উপঢৌকন দিয়া" ছিলেন? তাহাতে পারন্ত-ভাষান্ন নাম খোদিত আছে। তৃতীপ্দ নেপৌলিয়ান্‌ ভূপতির যে সকল ব্হুমুল্য হীরক ছিল, তাহার মধ্যে “পিট” “ইউজিনি" হারক সর্বোৎকৃষ্ট প্রথমোক্ত মণিখণ্ড গলকগ্ডার খনি হইতে প্রাপ্ত হওয়। পিয়াছিল।

রুসিয়ার একজন সন্তরান্ত ব্যক্তি আট লক্ষ টাঁকা মুল্যে “ন্যান্সি” হীরক ক্র করিয়াছিলেন এই হীরকখণ্ড ইউরোপে প্রথম অশীকৃত হইস্থাছিত।,

ফরাশীশ, গবর্ণমেণ্টের নিকট হইতে সম্প্রতি একজন ইংরাজ রত্ববর্ণিক্‌ চারি লক্ষ টাক! মুল্যে রিজেণ্ট হীরকথণ্ড ক্রয় করিতে চাহিয়াছেন। উহা! অতি বৃহ এবং উৎকৃষ্ট হীরক। এই হীরক প্রথমে একজন গলকণ্ডার জামল চাদ নামক বণিকের নিকট হইতে ক্রয় করেন, তৎপরে তাহ! ফ্রেঞ্চ গবর্ণমেন্টের হস্তগত হয়। সমর প্রথম নেপোলিয়ন ইহ! আসিকোষ উপরে ব্যবহার করিয়াছিলেন

বিদ্রুম বা প্রবাল।

বিদ্রম প্রবাল একই বস্ত। ইহার ভাষা নাম “পলা”, এবং হিন্দি নাম গমুক্কা” | সংস্কৃত শাক্ে ইহার আর ৬টি নাম আছে। যথা _অক্ারক মি, সস্তা ধিবল্লন্ভ।, ভৌমরড, রক্তাঙ্গ, রক্তাকার লতামণি। জেযোতিষশীস্ত্ বলেন যে, এই বদ্ধ ষঙ্গলগ্রহের অতিপ্রিষ়, তজ্জন্য উদ্থার নাম ভৌমরত্ব। ভৌমরত্ব ধারণ করিজে,্ঁপ নষ্ট হয়, অলন্্ীর দৃষ্টি থাকে না।

রত্বপ্রহহা ১৬৩. রাজনির্থপ্টকার বলেন, প্রবলিদ্বারা' অশেষবিধ ওধধ প্রস্তুত হয়, যেহেতু উহার নিম্নলিখিত গুণসমূহ আছে। মধুর, অশ্লরস, কফপিস্ার্দি দোষের নাশক, স্ীলোকের বীর্ধা কান্তি প্রদ। রাজবল্পভ বলেন, তত্তিক্স উহার আরও কয়েকটী গুণ আছে, তাহ! এই,-- সারক, শীতবীর্য্য,. কষায়যুক্ত, স্বাুপাকী, বমিকারক, চক্ষুর হিতজনক। শুক্র- নীতির মতে “নীচে গোমেদবিদ্রমে” | * প্র বিজ্রম রত্বটী অন্তান্ত রত্বাপেক্ষা হীন। অথব! ইহা শ্বনরত্ব বলিয়া গণ্য

আকর বা উৎ্পতিস্থান

গরুড়পুরাণে লিখিত আছে যে, প্রবালরত্র সনীসক, দেবক রোমক প্রভৃতি স্থানে উৎপন্ন হয়। গান্তান্ত স্থানেও উৎপন্ন হয়, কিন্তু সে সকল উৎকৃষ্ট নছে। তাহার সূল্যও শিল্পীর অধীন অর্থাৎ উৎকৃষ্ট শিল্পকাধ্যের গুণে তাহার মুল্যের আধিক্য হইতেও পারে। যথা-_ “সনীনকং দেবকরোমকঞ্চ স্বানানি তেষু প্রভব্চস্থরাগম্‌। অন্যত্র জাতঞ্চ তত্প্রধানং মূল্যং ভবেৎ শিল্পিবিশেষযে(গাঁৎ ॥৮ প্রবালমণির উৎপত্তিসম্বন্ধে কয়েকটী বিশেষ বচন আছে যথা “ম্বেতসাগরমধ্যে তু জায়তে বলরী তু যা। বিদ্রমানাম রত্বাখ্য। ছুর্লভ1 বজরূপিণী ॥৮ “পাঁষাণং প্রভজত্যেষা প্রযত্বাৎ কথিতা৷ সতী বিজ্রমং নাম তদ্রত্রমামনন্তি মনীষিণঃ ॥৮ শ্বেত সমুদ্রের মধ্যে বিদ্রম! নামে একপ্রকার লতা! জন্মে তাহাই বিদ্রমরদ্ব নামে খ্যাত। এই লতারত্ব অতি ছুলভ বজের সদৃশ গুণবিশিষ্ঠ। রত্বতত্ববেতা পঞ্ডিতগণ বলেন, যে উহা! ষে প্রস্তরের মত কঠিন হয়, তাহা তাহাঁর স্বাভাবিক নহে। যত্বপুর্বক জলের সহিত অগ্রিতে সিদ্ধ করিলে পর তাহা প্রস্তরের ন্যায় কঠিন হয়, নচেত প্রথমে উহা! ঘনীভূত মাংস-নির্যাস অর্থাৎ আঠার মত থাকে। ইউরোপীয় পরীক্ষকের! দেথিয়াছেন যে, প্রবাল এক প্রফ্ষার কীট তাহার বিস্ত/রিত বিবরণ বর্ণন কর! প্রস্তাবের উদ্দেশ্য নহে।

পরীক্ষা শুক্রনীতি গ্রন্থে লিখিত আছে তে+-- ২৭১ ৩৭

৯০৪ রদ্ব-রহহা।

"নায়সোল্লিখ্যতে রত্বং বিন! মৌক্তিকবিদ্রমাৎ 1” মুক্ত! বিদ্রম ব্যতীত অন্তান্ত রত্বে লৌহশলাঁকার দ্বারা! অচোড় পাড়৷ যায় না। অতএব উহ্থার উল্লেখন বাঁ কষ্টিতে নিকষণরূপ পরীক্ষা নাই। না থাকাই স্থপঙ্গত ; যেহেতু বিদ্রমে কৃত্রিম অকৃত্রিম সন্দেহ করিবার সম্ভাবিন! নাই। তবে ইহার ভাল মন্দ পরীন্ষণ আছে বটে; পর্ত তাহ! বর্ণও গুণের দ্বারাই হইয়া থাকে।

বর্ণ। প্রবালের বর্ণপরীক্ষা সম্বন্ধে শুক্রনীতিতে উক্ত হুইয়াঁছে যে, _ গলপীত রক্তরুক্‌ ভৌমপ্রিক্সং বিজ্রমমুত্তমম্‌।» অল্প পীতমিশ্রিত রক্তকান্তি বিদ্রমই উত্তম এবং তাহাই মঙ্গলগ্রহের প্রিয় এতস্িন্ন গরুড়পুরাঁণে ইহার বর্ণাদি বিশেষরূপে উক্ত হুইয়াছে। যথ1,-_

“তত্র প্রধানং শশলোহিতাভং গুঞ্জ! জব! পুষ্পনিভং প্রদিষ্টম্‌।*

“জব! বন্ধ,ক ফ্িন্দুর দাড়িমীকুন্ুমপ্রভম্‌ 1৮

“পল!শ কুন্থমাভাঁসং তথা! পাঁটলসঙ্নিভম্‌।%

''রক্তোৎ্পলদলাকারং---”

যে সকল পপ্রবালের বণ শশকের রক্তের সভায়, সে সকল প্রবাল প্রথম শ্রেণীর অর্থাৎ প্রধান। যাহ! গুঞ্জা অর্থাৎ কুঁচ, বাধুলিফুল, সিন্দুর, অথবা! দাড়িম্ব ফুলের বর্ণের ন্যায়, তাহার। ২য় শ্রেণীর প্রবাল। যাহা পলাশ পুষ্প, কি পাটলা পুষ্পের তায় বর্ণবিশিষ্ট তাঁহারা ৩য় শ্রেণীর বিদ্রম যে সকল প্রবাল কোকনদ-দলের রঙ. ধারণ করে--তাহ! ৪র্থ শ্রেণীর প্রবাল অর্থাৎ সর্বাপেক্ষা হীন।

জাতি গুণ।.

ঞ্প্রসন্নং কোমলং শ্সিপ্ধং স্থুরাগং বিজ্রমং হি তৎ। ধনধান্তকরং লোকে বিষার্তিভয়ন।শনম্‌ ॥৮ প্রসন্ন অর্থাৎ পরিষ্াঁর কান্তিযুক্ত, কোমল অর্থাৎ স্ুখবেধ্য,ঙ্গিগ্ধ অর্থাৎ দেখিতে দ্বৃত তৈলাদি অক্ষিতের স্তায়, স্থরীগ অর্থাৎ মনোজ্ঞ রউ.। এইরূপ গুণবিশিষ্ট বিদ্রমই সর্বোৎকৃষ্ট এবং ইহা! ধারণ করিলে ধনধান্ঘাদি বৃদ্ধি হয় এবং বিষভয় নষ্ট হয়। | হ্প২

রদ -রহক্য ১৪$৫ অন্ঠান্থ রত্বের হার বিদ্রমেরও চারি প্রকার জাতি আছে। থা,” প্রন্মাদি জাতিভেদেন তচ্চতুবিধমূচ্যতে অরুণং শশরক্তাখ্যং কোমলং সিপ্ধমেব চ॥ প্রবালং বিপ্রজাতিঃ স্তাৎ স্থখবেধ্যং মনোরমম্। জব! বন্ধ,ক সিন্দুর দাড়িমী কুহ্মপ্রভম কঠিনং ছূর্বেধ্যমন্গিগ্ধং ক্ষত্রজাতিং তদুচ্যতে পলাসকুস্থমাভাসং তথা পাটলসন্নিভম্‌ বৈশ্তজাতির্ভবেৎ শ্নিগ্ধং বর্ণাদ্যং মন্দ কান্তিমৎ। রক্তোৎপলদলাকারং কঠিনং চিরছ্যতি। বিদ্রমং শূদ্রজীতি স্তায়ুবেধ্যং ততৈৰ ॥৮ পূর্বোক্ত প্রথম শ্রেণীর প্রবালকে ব্রঙ্গণ জাঁতি বলা যায়। ব্রাহ্মণজাতীয় বিদ্রমই সুন্দর, সুখবেধ্য ধারণে শুভ প্রদ হয়। ২য় শ্রেণীর প্রবাল ক্ষত্রিয় জাতি বলিয়া! গণ্য, তাহ! অপেক্ষাকৃত কঠিন সুতরাং হুর্বেধ্য অঙ্গিগ্ধ। ৩য় শ্রেণীর বিদ্রম বৈশ্তঙ্জাতি মধ্যে গণ্য এই জাতীয় বিদ্রঘ নিঞ্ধ বটে, ইহার বর্ণও উত্তম বটে, কিন্তু ইহার লাবণ্য অল্প। ৪র্থ শ্রেণীর বিদ্রম শৃদ্জাতীয় বলিয়া পরিগণিত। শুদ্রজ(তীয় বিদ্রম অতি কঠিন এবং তাহার ছ্যতি অন্নকালেই বিনষ্ট হইয়! যাঁয়। “রক্ততা অিগ্ধতা দাধ্যং চিরছাতি সুবর্ণতা প্রবালানাং গুণাঃ প্রোক্তাঃ ধনধান্তকরাঃ পরীঃ ॥*

স্থরাগ, জুন্গিপ্, সুখবেধ্য, বছকালস্থায়ী লাবণ্য, সুনরবর্ণ, এই কয়েকটা প্রঝা- লের প্রধান গুণ। গুরণবান্‌ প্রবাল ধারণেই ধনধান্ত লাভ হুইয়! থাকে। “হিমাদ্রো বত্ত.সংজাতং তত্রক্তমতিনিষ্টুরম্‌। তস্ত ধারণমাত্রেণ বিষবেগঃ প্রশাম্যতি ॥”ঃ হিমালয় সর্বরদ্বের আকর, না হয় এমন র্ুই নাই। এতারদুশ হিমালয়ে যে এক প্রকার প্রবাল জন্মে, তাহা রক্তবর্ণ অতি কঠিন, তাহ! ধারণ করিলে বিষ নষ্ট হয়। “প্তন্ধং দৃঢ়ং ঘনং বুতং লিগ্বং গাত্রন্থরঙ্গ কম্‌। সমং গুরু সিরাহীনং প্রবালং ধারয়েৎ শুভম্‌ ॥” রাজনির্ঘপ্ট

বইও

“১৫৬ রত্ব-রহ্গ্ঠ |

বিশুদ্ধ অর্থাৎ শ্তামিকাদি দৌষরহিত, দৃঢ়, ঘন. অর্থাৎ সংহত, বৃত্ত অর্থাৎ নুগোল, নিগ্ধ, সর্ববাঙ্গজুন্দর জন্বরবর্ণবিশিষ্ট, সমান, ওজনে ভারি, সিরাশুন্ত,-- এপ প্রবাণ শুভজনক এবং এই গুভ প্রবালই ধারণ করিবেক। “ব্বর্ণত। তু খরত। প্রবাঁলে দৃষণদঘয়ম্‌ রেখ কাকিপদো বিন্দুর্যখা বঞ্জেু দোষকৃৎ। তথ! প্রবালে সর্বত্র বর্জনীয়ং বিচক্ষণৈঃ ॥% বিবর্ণ খর অর্থাৎ খশ.খশে, এই ছইটী প্রধান দোষ। তত্িন্ন রেখ! প্রভু আরও কয়েকটা দোষ আছে, তাহাও পরিত্যাজ্য ।_ পরেখা হন্তাৎ যশোলক্খ্মীমাবর্ভঃ কুলনাশনঃ | প্টলো রোগকৎ খ্যাতো বিন্দুধনিবিনাশরুৎ। ত্রাসঃ সপ্জনয়েৎ ত্রাসং নীলিক! মৃত্যুকারিণী ॥” রেখা থাকিলে সে প্রবাল ধারণে যশ লক্ষমীভাগ্য ধ্বংস করে। আবর্ত থাকিলে তাহা! বংশনাশক হয়। পষ্টল নামক দোষ (ইহা! হীরক-পরীক্ষায় বিবৃত হইয়াছে ) রোগ আন্য়ন করে। বিন্দু থাকিলে তাহ ধন বিনাশ কৰে। ত্রাস- নামক দোষ ( ইহা হীরকোক্ত দে(ষ ) ভয় উৎপাদন করে। নীলিক। দোষ থাকিলে তাহা মৃত্যুকর হয়। “ধারণেহস্ত(পি নিয়মো জাতিভেদেন পুর্ববব। বিরূপজাতিং বিষমং বিবণং খরং প্রবালং প্রবহস্তি ষে ষে। তে মৃভ্যুমেবাত্মনি বৈ বহস্তি সত্যং ব্বত্যেষ যতো! মুনীন্্রঃ ॥৮ অন্যান্ত রত্বের ন্যায় প্রবাল রত্ব ধারণেও জাত্যাদি নিয়ম আছে। যথা--বিবর্ণ, বিজাতি, বিষম ( উচ্চ নীচ), কর্কশ,-*যে যে ব্যক্তি এরূপ প্রবাল ধারণ করে_- সে ব্যক্তি আপনার মৃত্যু বহন করে, ইহা মুনিশ্রেষ্ঠ বলিক্সাছিলেন ; স্মুতরাং যে ইহা সতা। স্নাজনির্থন্টকার বলেন যে, “গৌরং রঙ্গং জলাক্রাস্তং বক্রং হুশ্মং সকোটরম্‌ | বক্ষং কৃষ্ণং লঘু শ্বেতং প্রবালমণ্ডভং তাজেৎ ॥” গৌরব, রঙ্গ জলভাবাপন্ন (ইহা বৈদূ্ধ্য প্রস্তাবে বলা হইয়াছে ), বক্র, ছা, কোটর অর্থাৎ ছিদ্রপ্রায় চিহ্যুক্ত, ক্ষ, কৃষ্ণবর্ণ, হাক্ষা, শ্বেতদাগযুক্ত,__-এরপ প্রবাল অগুভজনক, অতএব তাহা ত্যাগ করিবেক। . , নীতি শাস্তরকাঁর ভগবান্‌ শুক্রাচার্ধ্য ম্পষ্টাক্ষরে ব্ক্ত করিয্নাছেন যে, কেবল ১ইপ&

রত্বশ্রহ্ন্ঠ 1 ১৪. মুক্তা প্রবাল এই প্রকার রত্বই কালে জীর্ণতা প্রাপ্ত হয়, অন্তান্ত বদ্ধ জীর্ণ হয় না

জরাং কান্তি রত্বানি বিদ্রমং মৌক্তিকং বিন1 1),

মুল্য।

গুক্রনীতির মতে তোলা উৎকৃষ্ট প্রবাল এক স্বর্ণের অর্ধ মুল্য হুইবার যোগ্য এস্থলে সুবর্ণ শব্দের অর্থ তৎকাল প্রচলিত ৮* রতি পরিমিত হ্বর্ণমুদ্রা অথবা এন্প অর্থ হইতেও পরে যে, তোলা প্রবাল অর্ধ তোলা স্বর্ণের সমান) ষথা- “প্রবালং তোলকমিতং ন্বর্ণ/দ্ং মূলামহতি |” কিন্তু যুক্তিকল্পতরুর মতে-- “মূল্য শুদ্ধপ্রবালস্ত রৌপ্যদ্বিগুণমুচ্যতে 1% নির্দোষ পরীক্ষিত প্রবাল রূপার দ্বিগুণ মূল্য অর্থাৎ ছুই তোল! শুদ্ধ রৌপ্যের যে মুল্য--এক তোলা! প্রবালের সেই মূল্য। অতি পূর্ব্বকাল হইতেই পৃথিবীর সকল সভ্য জনপদে প্রবাল রত্ব অলঙ্কারের নিমিত্ত ব্যবহৃত হইত। থিওফ্রাস্টস্‌ তাহার গ্রন্থে প্রবালের বিশেষ উল্লেখ করিয়াছেন এবং প্রাচীন স্থুসভা গলজাতি ইহার অলঙ্কার ব্যবহার করিত। এক্ষণে উৎকৃষ্ট বক্তবর্ণ গ্রবাল-_যাহা অলঙ্কারের জন্য ব্যবহৃত হয়--তাহা ভূমধ্যসাগর লোহিতসাগর প্রভৃতি জলমধ্য হইতে প্রাণ্ড হওয়া যাঁয়।

কটেজ

পুষ্পরাগ |

আধুনিক রত্বপরীক্ষক অর্থাৎ জহ্রীরা ইহাকে "পুখ রাজ” আখ্যা? প্রদান করিয়া থাকেন। ভাব প্রকাশ অন্তান্ত কোগ্রন্থ অনুসন্ধান করিলে ইহার ৮টা নাম পাওয়। যায়। “মঞজুমণি” “বাচম্পতিবললভ' পপীত” *“পিঙ্গস্ষটিক” “পীত- রক্ত” “লীতাশ্া'” এগুরুরত্” 'লীতমণি” | রাজনির্ঘন্ট গ্রন্থে ইহার ভৈষজ্যো- পযোগী গুণ ধারণের ফলাফল বর্ণিত আছে। গরুডপুরাণের ৭৫ অধ্যায়ে ইহার বর্ণ, গুণ পরীক্ষা মৃল্যাদির ব্যবস্থাও লিখিত আছে। ২৭৫

১৬৬৮ রত-যহক্। সুলক্ষণ। রত্ববিৎ শুক্রাঁচার্য্য খষি ইহাকে মধ্যম শ্রেণীর রত্ব বলিয়াছেন, কেহ বা ইহাকে মহারত্ব-মধ্যে গণনা করিয়াছেন। কেহ নবপংখ্াক্‌ মহারত্রের মধ্যে গণনা ন। করিয়াঃ একাদশ রত্ব মধ্যে গণনা করিয়। ইহার স্বল্পত। জানাইয়াছেন। “মুচ্ছায়পীত গুরুগাত্রজ্রঙ শুদ্ধং নিপ্ধঞ্চ নির্লমতীব সুবৃত্তশীতম্। যঃ পুষ্পরাগসকলং কলয়েদমু্য পুষ্ণাতি কীর্তিমতিশৌধ্যনুখাঘুরর্থান্‌॥” সুন্দর পীত, ছায়। বা বর্ণাবশিষ্ট, ওজনে ভারি, সুন্দরকাস্তি এবং সর্বাঙ্গে সমান রড» পরি র, লিপ, স্বচ্ছ, স্থগোল স্শীতল»-_-যে ব্যক্তি এতন্রপ পুষ্পরাগ মণি ধারণ করে, তাহার কীর্তি শৌধ্য বীধ্য বৃদ্ধি হয়। সুখী, দীর্থাযু ধন" বানও হয়। কুলক্ষণ। “কৃষঃবিন্দস্কিতং রক্ষং ধবলং মলিনং লঘু। বিচ্ছায়ং শর্করাগারং পুষ্পরাগং সদোষকম্‌ ॥% কুষ্ণবিন্দুচিহ্নযুক্ত অর্থাৎ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কালীর ছিটার স্তায় দাগদার, কক্ষ, ধবল, মলিন, হাল্কা, বিকৃত বর্ণ, দ্বিবর্ণ ব1 ছায়াহীন, শর্কর! অর্থাৎ কাকরদার, এরূপ পুষ্পরাগ সদোষ। ব্্ণ।

“ঈষৎগীতঞ্চ বজ্জাভং পুষ্পরাগং প্রচক্ষতে ।৮ মানসোলাল। বত্ববিৎ পণ্ডিতেরা বলেন যে, পুষ্পরাগ অক্পপীতবর্ণ অথচ হীরকের স্তায় প্রভা- শালী হইয়া! খাকে গ্রকারাগ্তর

“শণপুষ্পসমঃ কাস্ত্ ব্বচ্ছভাবঃ সুচিকবণঃ |

পুক্রধন গ্রদঃ পুণ্ঃ পুষ্পরাগমণিরধ তিঃ ॥% শপপুষ্পের ন্যায় কাস্তি, শ্বচ্ছ ুচিক্ধণ,-_-এরূপ পু্পরাগ মণি ধারণ করিলে,

ধন পুত্র লাভ পুণ্য হয়। ২৭

বয় প্রহ্হা। ১৪৯

“দৈত্যধাতুসমুদ্ভূতঃ পুষ্পরাগমিদ্ধিধ পদ্মরাগাকরে কশ্চিৎ কশ্চিভাক্ষে্াপলাঁকরে ॥৫, “ইঈষৎগীতচ্ছবিচ্ছায়াস্বচ্ছং কান্ত! মনোহরম্‌। পুক্পরাঁগমিতি প্রোক্তং রঙ্গসোমমহীভূজা ॥/৮ “ত্রহ্মাদিজাতিভেদেন তদ্দিজ্ঞেয়ং চতুবিধম্‌। ছায় চতুবিধ! তন্ত সিত1 গীতাসিতাদিতা যুক্তিকল্পতরু। দৈত্যের ত্বক্‌ ধাতু হইতে সমুত্পন্ন পুষ্পরাগমণি ছুই প্রকার হইয়া থাকে। যাঁহা পদ্মরাগমণির আকরে উৎপন্ন হয়, তাহ! এক প্রকার, এবং যাহা ইন্দ্রনীল" আঁকরে উৎপন, তাহ! অন্য প্রকার রত্ুতত্ববিৎ রাজা রঙ্গসোম বলেন যে, যাহা! ঈষৎ পাতবর্ণ, নির্মল, ছাক়াযুক্ত মনোহরকাস্তি, তাহাই উৎকৃষ্ট পুম্পরাগ এই পুষ্পরাগমণির ব্রাহ্মণ(দি চারি প্রকার জাতি আছে। গুতরাঁং উহাদের ছাঁয়াও চারি প্রকার শুভ্র, তরলপীত, অল্পকৃষ্ণ কৃষ্ণ এই চতুর্বিধ ছায়ার দ্বার! চতুর্বিধ জাতির নির্ণয় হয়। গরুড়পুরাণে এতদপেক্ষা কিছু বিশেষ উক্তি আছে। যথা - “পতিতা যা হিমাড্রৌ হি ত্বচন্তম্ত সুরদ্বিষঃ প্রাহূর্ভবস্তি তাভ্যস্ত পুষ্পরাগ! মহাগুণাঃ ॥৮ সেই অসুরের চন্ম সকল হিমালয়ে পতিত হইয়াছিল, তাহা হইতেই মহাগুণ পুষ্পরাগ সকল প্রাহুভূতি হইয়/ছে “আগীতপাতুরুচিরঃ পাষ।ণং পুষ্পরাগসংজ্্ত | কৌরুণ্টকনামা স্তাৎ এব যদি লোহিতাপীতঃ ॥৮ «“আলোহিতস্ত পাতঃ শ্বচ্ছঃ কাষায়কঃ এবোক্তঃ | আনীলশ্ুর্লবর্ণ; নগিগ্ধঃ সোমালকঃ শ্বগুণৈ: | “অত্যনস্তলোহিতে। যং লস এব খলু পদ্মরাগসংজ্ঞঃ শ্াৎ। অপিচেন্দ্রনীলসঙ্গঃ এব কথিতঃ স্ুনীলঃ সন্‌ ॥৮ তরলগীত ব! পা কান্তিবিশিষ্ট নিন্মল প্রন্তরবিশেষ, পুষ্পরাগ নাম প্রাপ্ত হট্য়াছে। আবার সেই পাথর যদি রক্তবর্ণমিশ্রিত অল্প পীত রঙের হয়, তাহ! হইলে ভাহা পুষ্পরাগ না হুইয়! কুরুণ্টক নাম প্রাপ্ত হয়। আবার তাহাই যি স্বচ্ছ ২৭৭

১১৪ বৃত্বপ্রহদ্কা

অল্পরক্রযুক্ত পূর্ণপীতবর্ণ হয়, তাহ হইলে তাহাকে কাঁধায় বলিগ্ঈ! অভিহিত কর! যায়; এবং সেই বস্তই আবার অল্পনীল মিশ্রিত শুরুবর্ণ, সিপ্ধ গুপোৎপন্ন হইলে, উহ! সোমালক নাম প্রাপ্ত হইয়! থাকে। সেই একই প্রস্তর অত্ন্ত* লোহিতবণ হওয়ায় পল্মরাগ নাম ধারণ করিয়াছে এবং সুন্দর নীলবর্ণ হওয়ায় '্তাছাই আবার ইন্জরনীল আখ্যা প্রাপ্ত হইয়াছে

পরীক্ষা

“কর্কোস্তবং ভবেৎ পীতং কিঞ্চিত্রাম্রঞ্চ দিংহলে। বিন্দুত্রণত্রাসযূতং দহনৈর্দীপ্তিমদৃগুরু ॥” মণিপরীক্ষা কর্কস্থানোস্তৰ পুষ্পরাগ পীতবর্ণ হয়। সিংহলদেশে অল্প তাত্রবর্ণের পুষ্পরাগ জন্মে। কিন্তু তাহাতে বিন্দু, ব্রণ ত্রাস দোষ থাকে অগ্নি-সংযোগে ইহার দীপ্তি বৃদ্ধি হয় এবং শ্বভাবতঃই ইহা! ওজনে ভারি এুষ্টোবিকাশয়েৎ পুম্পরাগমধিকমাত্মীয়ম্‌। খলু পুষ্পরাগোজা ত্যতয়৷ পরীক্ষকৈরুক্তঃ 1” রাজনির্ঘন্ট। পুষ্পরাঁগমণি শণবস্ত্াদির ছার! দ্ৃষ্ট হইলে তাহার বর্ণের ওজ্জল্য বৃদ্ধি হয়। রদর- পরীক্ষকেরা এই মণির জাতি বিজাতি থাক! অর্থাৎ কৃত্রিম কি অকুত্রিম তদ্বিষয়ের পরীক্ষার কথা বলেন নাই। মূল্য ফলশ্রুতি। “মূল্যং বৈছ্ধ্যমণেরিব গদিতং হাস্ত বত্বশাস্্রবিদ্তিঃ। ধারণফলঞ্চ তথ্ধৎ কিন্তু স্ত্রীণাং স্তপ্রদোভবতি ॥৮ গরুড়পুরাণ। রত্বশান্ত্রবেতৃগণ বলিয়াছেন যে, বৈদূর্যমণির ন্যায় পুষ্পরাগমণির মুল্য করিত হইয়। থাকে ধারণ করিলে বৈদুধ্যমণির ন্যায় ফল হয়। পরস্ত স্ত্রীলোকের পক্ষে পুজরদাক়ক হয়। মূল্যসম্বদ্ধে শুক্রনীতির মত এই যে শররতিমাত্রঃ পুষ্পরাগোনীলঃ কবর্ণার্মর্তঃ।” এক রতি পু্পরাগ এক রতি নীলমণি সুবরণার্ধ মূল্য পাইিবার যোগ্য ৭৮

রু্-বহন্)। ১১১

মানসোল্লাস গ্রন্থকারের মতে রত্রের মূল্যের অবধারণা হইতে পারে না। তিনি বলেন যে, মূল্যের একটা সামান্যাকারে ব্যবস্থা আছে মাত্র। নচেৎ. | টে “নিজবর্ণসমুৎকর্ষাৎ কাস্তিমস্বাৎ মহার্খত1 ।” বর্ণের সউতকর্ষ, কান্তির আধিক্য মনোহারিত্ব অধিক হইলে সকল রক্তের অধিক মূল্য হইতে পারে।

9 উজ সিজারের

মরকত মণি

উজ্জল হরিছর্ণ মণি-বিশেষের নাম মরকত ”। আধুনিক জহরীরা ইহাকে “পানা” নামে অভিহিত করিয়া থাকেন। অমরসিংহের অভিধান গ্রন্থে ইহার “গারুত্ুত”” “অশ্মগর্ভ,” “হিরিন্মণি'ত এই তিনটি নাম দৃষ্ট হয়। শব্রত্রাবলী প্রভৃতি অন্যান্য কোষগ্রন্থেও *মরকত,» পরাজনীল” “গরুড়াঙ্কিত, «“রোহিণেয়,» *সৌপণণ,৮ পগরুড়োদণীর্ণ৮” “বুধরত্), গরুড়» “পাটি, প্রভৃতি নাম আছে। বৃহৎসংহিতা, আগ্রপুরাণ, গরুড়পুরাণ, শুক্রনীতি, মানসোলাস, রাজনির্থণ্ট, যুক্তি- কল্পতরু, অগন্তিমত মণিপরীক্ষ। প্রভৃতি পুরাতন গ্রন্থনিচয়ে এই রত্বের বণ, ছায়া, গুণ, দৌধ, পরীক্ষা মূল্যাদি নিরণাত আছে

বর্ণ লক্ষণ

“শুকবংশপত্রকদলীশিরীষকুস্ম প্রভং গুণোপেতগ্‌। স্থরপিতৃকার্য্যে মরক্তমতীব শুভদং নৃণ1ং বিধৃতম্‌ ॥* বুহৎসংহিতা শুকপক্ষীর পক্ষ, বংশপত্র (বাশের পাতা ), ক্লীপত্র শিরীষপুণ্পের ন্যায় বর্ণবিশিষ্ট, প্রভাশালী গুণযুক্ত মরকত মণি ধারণ করিলে, অত্যন্ত শুভ হয়। মযুরচাঁষপত্রাভা প(চিবুধহিতা হরিৎ।৮ শুক্রনীতি। মুর নীলকণ পক্ষীর পক্ষের ন্যায় আভাবুক্ত, হরিদঘর্ণের মরকত মণি বুধ- গ্রহের প্রীতিজনক। “গুকপক্ষনিভঃ নিগ্ধঃ কাস্তিমান্‌ বিমলম্তথ!। স্বণচুর্ণনিতৈঃ সুক্বৈর্মরস্তুশ্চৈব বিন্দুভিঃ ॥৮ | অগ্নিগুরাণ।

খন

১১৯২ র্র-রহন।

মরক্ত অর্থাৎ মরকত মণির বর্ণ, শুক পক্ষীর পক্ষের সদৃশ, শ্গিগ্ণ, লাব্ণ্যধুন্ত এবং সুনির্দল। ইহার অত্যন্তর যেন হুজ্সসুবর্ণচূর্ণ পরিপৃরিত রহিয়াছে বলিয়। জ্ঞান হয়। লক্ষণটি সকল পান্নায় থাকে না। ( কেহ কেহ লক্ষণকে ভাল বলেন না )।

“ইন্দ্যুধসগর্ভেণ হরিতেন সমপ্রভম্। কীরপক্ষসমচ্ছায়ং গরুড়োর£সমুদ্তবম্‌। বক্ষং মরকতং কাস্তং নলিকাগ্রদ্থল প্রভম্‌ ॥” মানসোল্লাস ইন্্ধনথুর গর্ভস্থ হরিঘর্ণের ন্যায় বর্ণ, নীলকণ বা ময়ূর পক্ষীর পক্ষের ন্যায় কাস্তিবিশিষ্ট, মনোহর কমনীয়কান্তি মরকত গরুড়ের বক্ষ হইতে উদ্ভূত হইয়া- ছিল। তাহা তুরুফদেশার নলিক! নামক তৃণের অগ্রভাগের প্রভার ন্যায় প্রভা- বিশিষ্টও হইয়। থাকে | “স্বচ্ছঞ্চ গুরু সচ্ছায়ং জিগ্ধগাত্রঞ্চ মাদ্দিবসমেতম্‌। অব্যঙ্গং ব্হুরঙ্গং শূঙ্গারীং মরকতং শুভং বিভৃয়াৎ ॥' রাজনির্ধন্ট। স্বচ্ছ অর্থাৎ সুঁনিশ্মল, ওজনে ভারি, ছায়াযুক্ত, স্িগ্গাত্র, অতীক্ষকাস্তি, অব/গ অর্থাৎ 'অঙ্গহীন নহে বা সুন্দর গঠন, শৃঙ্গারগুণবদ্ধক ;--এরাপ শুভ মরকত ধারণ করাই কর্তব্য

“শর্করিলকলিলরক্ষং মবিনং লঘুহীনকাস্তিকল্ম/যম্‌। ত্রাসধুক্তং বিক্ৃতাঞ্গং মরকতমমরোহপি নোপতভুজীত ॥» | রাঁজনির্ধন্ট। শর্করিল অর্থাৎ কীকরদার, কলিল অর্থাৎ আবিল, কক্ষ অর্থাৎ অন্গিঞ্ধ মলিন, ওজনে হাঁল.কা। হীনকাস্তি, কল্মাধবর্ণ, ত্রাসদো যুক্ত, বিকৃতাঙ্গ অর্থাৎ মন্দ গঠন, অমর হইলেও ঈদৃশ মরকত ধারণ করিবেন না। এতত্তিন্ন গরুড়পুরাণের ৭১ অধ্যায়ে ইহার উৎপত্তি, আকর, বর্ণ, ছায়া, দোষ, পরীক্ষা মূল্যাদি উত্তমরূপে £নির্ণীত হুইয়াছে। পাঠকগণের পরিতৃপ্তির জন্য তাহাও এস্থলে উদ্ধৃত কর! গেল। ২৮

৮২

রড -রছুন্। ১৯৩

সত উবাচ ! “দানবাধিপতেঃ পিভমাদায় ভূজগাধিপঃ | দ্বিধা কুর্বনিব ব্যোম সত্বরং বাস্ুকিবধঁষৌ তদ। স্বশিরোরত্রপ্রভাদীপ্তে নভোহমুধৌ ররাজ মহাঁনেকঃ খণ্ডসেতুরিবাবভৌ ততঃ পক্ষনিপাতেন অংহরন্নিব রোদসী। গরুজ্মান্‌ পনগেন্দরন্ত প্রহর্ভূযুপচক্রমে সহসৈব মুমোচ তৎ ফণীন্দরঃ স্থরসাহ্যক্ততুরস্কপাদ্দপায়াম্‌। নলিকাবনগন্ধবাসিতায়াঁং বরমাণিক্যগিরেরপত্যকায়াম্‌ তস্ত প্রপাতসমনস্তরকাঁলমেব তদ্বদ্বরাঁলয়মতীত্য রমাসমীপে স্থানং ক্ষিতেরপপয়োনিধিতীরলেখং তৎ প্রত্যয়ান্মরকতাকরতাং জগাষ তত্রৈব কাঞ্চৎ পততস্তব পিত্তাৎ উৎপত্য জগ্রাহ ততো! গরুতআ্মান্‌। মুচ্ছ(পরীতঃ সহসৈব ঘে।ণা ' রন্ধ দয়েন প্রমুমোচ সব্বম্‌ তত্রাকঠোরশুককগুশিরীষপুষ্প- থদ্যোতপুষ্ঠবরশাছলশৈবলানাম্‌। কহুলারশম্পকভূজঙ্গভূজাঞ্চ পত্র- প্রাপ্তত্িষে মরকতাঃ শুভদ। ভবস্তি “তদ্যত্র তো গীন্ত্রভূজা বিষুক্তং পপাত পিত্বং দিতিজাধিপন্ত তশ্তাকরশ্তাতিতরাং দেশো £খোপলভ্যশ্চ গুণৈশ্চ যুক্তঃ তশ্মিন মরকতস্থানে যৎকিঞ্চিহিপজায়তে | তৎ সর্বং বিষরোগাণাং প্রশমায় প্রকীর্তাতে

১১৩ রত্ব-রহস্ত |

সর্কমন্ত্ৌষধিগণৈর্যল্ল শকাং চিকিৎসিতুম্‌। মহাহিত্রংষ্টাপ্রভবং বিষং তত তেন শাম্যতি অন্তমপ্যাকরে তত্র যদ্দোষৈরপবর্জিতম্‌ দায়তে তৎ পবিভ্রাণাসুত্তমং পরিকীত্িতম্‌ অত্যন্তহরিঘ্র্ণৎ কৌমলমর্চিবিভেদজটিলঞ্চ। কাঞ্চনচর্ণেনাস্তঃ পূর্ণমিব লক্ষ্যতে যচ্চ যুক্তং সংস্থানগুণৈঃ সমরাগং গৌরবেণ হীনম্‌। সবিতুঃ করসংস্পশাৎ ছুরয়তি সর্বাশ্রমং দীপ্ত হিত্বা হরিতভাবং যন্তাস্তর্বিনিহিত! ভবেদীপ্তিঃ। অচিরপ্রভ। প্রভাহতনবশাদ্লসনিভ1 ভাতি মচ্চ মনসঃ প্রসাদং বিদধাতি নিরীক্ষিতমতিমাত্রম্‌ তন্মরকতং মহাগুণমিতি বত্ুবিদাঁং মনোবৃত্তিঃ যস্ত ভাস্করসংস্পর্শাৎ হস্তন্তস্তোমহামণিঃ | রঞ্জয়েদাত্সপাদৈস্ত মহাঁমরকতং হি তৎ॥ চতুধ? জাতিভেদস্ত মহামরকতে মণ ছায়াভেদেন বিজ্ঞেয়োচতুরবর্ণস্ত লক্ষণৈঃ ॥» সত খষ্গণকে বলিতেছেন, ফণিপতি বাস্থকি সেই দৈত্যপতির পিত্ত আচ্ছিন্ন করিয়া লইয়া আকাশকে যেন দ্বিখগ্ডিত করতঃ গমন করিতে লাগিলেন তিনি তখন স্বীয় মস্তকন্থ মাঁণর প্রভাসমূহে সমুজ্জবলিত আকাশ-সমুদ্রের মধ্যে যেন একথগ সেতুর ন্যায় প্রক।শ প[ইতে লাগিলেন অনস্তর পক্ষীন্দ্র গরুড় যেন আকাশকে সংক্ষেপ করতঃ সপ- রাজ বাস্থৃকিকে প্রহার ব1 গ্রাস করিবার উপক্রম করিলেন ফণিপতি বান্সুকি তৎক্ষণাৎ সেই পিগতরাশিকে সর্পগণের আদি মাত। স্ুরসা প্রভৃতির উজ্ভিক্রমে তুরফদেশের পাদপীঠ স্বরূপ ব৷ প্রত্যন্তপর্ববতের নলিকাবন-গন্ধ- গন্ধীরুত উপত্যকা-প্রদেশে নিক্ষেপ করিলেন ( নলিক1 এক প্রকার প্রবালাকতি জুগন্ধ দ্রব্য ইহা উত্তরাপথে পঠারী নামে প্রসিদ্ধ।) সেই পিতের পতনের পর, সেই পিভুরূপ কারণ হইতে তৎলমীপস্থ পৃথিবীর সমুদ্রতীরবর্তী স্থান সকল মরকতমণির আকর হইল।*

* পিদ্বর বর্ণ সবুজ, পালার বরণও সবুজ এই উপমা! উপলক্ষ্য করিয়! রপকশ্রিয় পৌরাশি- ৮২

রত্ুপ্রহ্ন্যা | ১১৫,

সেই পিত্বের পতনকালে গুড় তাহার কিয়দংশ গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং পুনশ্চ তাহা নাসারঘ্, দ্বার নিক্ষেপ করিয়াছিলেন

তাহা ক্হতেই অকর্কণ অর্থাৎ লাবণাযুক্ত, শুকপক্ষীর কণ্ঠচ্ছবি, শিরীষপুষ্প, খন্যোত-পৃ্ট) পিন্প, শৈবাল কহলার (স্'দী ফুল) পুষ্পের পাপড়ীর ন্যায় এবং মঘুরপুচ্ছের প্রাস্তভাগের ন্যায় আভাযুক্ত শুভদাঁয়ক মরকত সকল প্রাদুভূত হইয়া থাকে

গরুড় কর্তৃক প্রক্ষিপ্ত দৈত্যপতির পিত্ত, যে যে স্থানে পতিত হইয়াছিল, দেই সেই স্থানেই মরকত মণির আঁকর হইয়াছে মর্কতাকর স্থানগুলি হুর্গম গুণ যুক্ত

সেই মরকত স্থানে যাভ। কিছু উৎপন্ন হয়, সে সমস্তই বিষরোগের নাশক বলিয়৷ ভক্ত হইয়াছে

সমুদয় ওঁষধ মন্ত্র দার। যে সকল মহাসর্পের দস্তেৎপন্ন বিষের চিকিৎসা করা যায় না, মরকত দ্বারা সে সমস্ত বিষ উপশাস্ত হয়।

সেই আকরে অন্য যে কোন নিদেষ মণি বা! প্রস্তর উৎপন্ন হয়--সে সমস্তই উত্তম বলিয়া কীন্তিত হইয়া! থাকে

যাহা অত্যুজ্জল হরিঘর্ণ, অতীক্ষ। কিরণাবলি জড়িত, যাহার অভ্যন্তর কাঞ্চন- চূর্ণপূর্ণ বলিয়া বোধ হয়, যাহার গঠন পরিপাটী উত্তম গুণশালী, যাহার সর্বাঙ্গে সমান রঙ, ওজনে হাল.ক।, স্থ্ধ্য কিরণের যোগ হইলে যাহ! সমস্ত গৃহকে প্রভা- পরিপূরিত করে, যাহা হরিত ভাব পরিত্যাগ করিয়! অত্যন্তরস্থ দীপ্তি অভ্যন্তরেই নিহিত রাখে, যাহার অভ্যন্তর নিতান্ত হরিদ্বর্ণ নহে, অথচ যেন দীপ্তিপরিপূর্ণ এবং

পাশ পি পপ সাল স্পা পপ স্পা তি পাপন

কেরা অসুরের পিস্তে পান্নীর জন্ম হইয়াছে, এতব্রেপ বর্ণন৷ করিয়াছেন এবং তুরস্কদেশের সমুদ্রতীর- বর্তা পর্বত উপত্যকায় তাহার আকর আছে, ইহাঁও নির্ণয় করিয়াছেন। এই মতের সহিত অথন্তিপ্রোক্ত মণি-পরীক্ষা নামক গ্রন্থের মতের একা আছে যথা

“প্রভরষ্টং তন্ত তত পিত্তং মুখন্থং ধরণীতলে

পতিতং ছুর্গমে স্থানে বিষমে ছুর্গমেহপি &

তুরুত্কবিষয়ে স্থানে উদধেস্তীরসম্মিধো

ধরণীক্রগিরিস্তত্র ত্রিযু লৌকেযু বিশ্রুতঃ

তত্র জাতাকরাঃ শ্রেষ্ঠ মরক্তন্ত মহামুনে ॥*

২৮৩ |

রত্বস্মহক্য

যাহা বিহ্যতপ্রভা-প্রতিবিদ্বিত নৃতন তৃণের ন্যায় কাঁস্তিমান্, যাহ! দেখিবামাত্র মনোমধ্যে অত্যন্ত হর্ষ উৎপন্ন হয়, রত্রবিৎ পণ্তিতগণের মতে তাদৃশ মরকতই মহা- গুণণবিশিষ্ট। টি

যে মহামণি করতলে রাখিলে করপ্রাস্ত ু্ধ্য-কিরণ-সংসর্গে আঁ্বকশির দ্বারা নিকটস্থ বস্তুকে অন্ুরঞ্জিত করে, তাহ! মহাঁমরকত নামে অভিহিত হয় মহামর- কত-মণির ছায়া ব! বর্ণের ভিন্নত অনুসারে চারি প্রকার জাতির কল্পনা! কর! হইয়া থাকে

মরকতমণির ছায়।।

£“ভবেদষ্টবিধা ছায়া মণেম রিকতস্ত চ। বহিপুচ্ছমমাভাসা চাঁষপক্ষসমাপরা হরিৎক|চনিভা চান্তা। তথ। শৈবালসন্নিভ।। থদ্যোতপৃষ্টসংকাশ। বালকীরসমা তথা নবশাছ্লসচ্ছাঁয়৷ শিরীষকুনুমোপমা এবমষ্টৌ সমাখ্যাতাশ্ছায়া মরকতাঅয়াঃ ছাঁয়।ভিযুক্তমেতাভি: শ্রেষ্ঠং মরকতং ভবেৎ। পদ্মরাগগতঃ ন্দচ্ছে! জলবিন্দুর্ষথ। ভবেৎ। তথা মরকতচ্ছায়! শ্য(মলা হরিতাঁমলা ॥%

মরকতমণির আট প্রকার ছায়া দৃষ্ট হয়--ময়ূরপুচ্ছের ন্যায়, চাষ অর্থাৎ নীল- কণ্ঠ পক্ষীর পক্ষের ন্যাক্, হরিদ্রণণ কাচের ন্যায়, শৈঝলের ন্যায়, খদ্যোত ( জোনাক পোকার ) পুষ্টের ন্যায়, শুকশাবকের ন্যায়, নবদুর্বাদলের ন্যায় শিরীষ পুষ্পের ন্যায় মরকতের এই প্রকার ছায়া বা বর্ণ বিখ্যাত। এই সকল বর্ণের মকরতই শ্রেষ্ঠ। পদ্মরাগগত নির্মল জলবিন্দু যেরূপ, মকরতের ছায়াও সেইরূপ, উহ! অতি নিশ্দল হরিৎ বা শ্তামল।

গুণ দোঁষ। “ল্বচ্ছত! গুরুত। কাস্তিঃ সিপ্ধত্বং পিন্তকারণম্‌ হরিনিরঞ্জকত্বঞ্চ সপ্ত মারকতে গুণাঃ নির্মলত্ব, গুরুত্ব ( ভার ), কান্তিযুত্তত্ব, লিগ্ধত্ব, পিভৃকারণত্ব, হরিঘর্ণতা * ২৮৪

র্দ্ব-রহশ্ট। ১১৭

রঞ্লকতা,--মরকতমণিতে এই সাত প্রকার গুণ আছে। মতান্তরে সাতটি দোষ পাঁচটি গুণের উল্লেখ দৃষ্ট হয় যথ|-_

'” শপবোষাঃ সপ্ত ভবন্তান্ত গুণাঃ পঞ্চবিধ। মতাঁঃ1+ সেই মগ্ন মণির সাত প্রকার দোষ পাঁচ প্রকার গুণ আছে যথা

*অনিগ্ধং কক্ষমিত্যুক্তং ব্যাধিস্তন্মিন ধূতে ভবেৎ। বিশ্ফোটঃ স্তাৎ সপিড়কে তত্র শত্রইতির্ভবেৎ সপাষাণে ভবেদিষ্টনাশে। মরকতে ধৃতে। বিচ্ছায়ং মলিনং প্রাহুব।ধ্যতে তু ধাঁধ্যতে শর্করং কর্করাধুক্তং পুত্রশোক প্রদং ধৃতম্‌।

জরঠং কাস্তিহীনস্ত দংগ্টি,বহ্নিভয়াবহম্‌ কল্ম(ষবর্ণং ধবলং ততো মৃত্যুভয়ং ভবেৎ।

ইতি দোষাঃ সমাখ্য।তা৷ বণ্যস্তেথ মহাঁগুণাঁঃ ॥৮

রুক্ষ, বিস্ফোট, সপাঁষাণ, বিচ্ছাঁয়, শর্কর, জরঠ বা জঠর ধবল,--এই সাতটি মহাদোষ বলিয়া গণ্য রুক্ষ-_-অনিদ্ধ। রুক্ষ বা অক্গিপ্ধ মরকত ধারণ করিলে ব্যাধি জন্মে। বিশ্ফোট-_পিড়কাযুক্ত ( ফুসকুড়ির ন্যায় ক্ষ সুক্ষ বিন্দুমালায় আচিত )। এই বিস্ফোট মরকত ধারণ করিলে শঙ্জাঘাতে মৃত্যু হয়। সপাষাণ-_ অন্য প্রস্তরখগ্ুযুক্ত সপাঁধাণ মরকত ধারণ করিলে ইষ্টনাশ হয়। বিচ্ছায়--. মলিন অথব! বিক্ৃতবর্ণ। এই বিচ্জায় মরকত পরিত্যাগ করিতেই হয়, ধারণ করিতে হয় না শর্কর--কাকরদার। কাকিরদার মরকত ধারণ করিলে পুজ্রশোক উপস্থিত হয়। জরঠ-_কাস্তিহীন জরঠ বা কাস্তিবর্জিত মরকত ধারণ করিলে দস্তর (জন্তুর ) ভয় বহ্িভয় উৎপন্ন হয়। ধবল--কল্ম।ষ অর্থাৎ বিচিত্র ব! বিরুদ্ধ বর্ণযুক্ত। এই ধবল মরকত ধারণ করিলে মৃত্যুভয় জন্মে। মরকত মণির সাত প্রকার মহার্দোষ ব্যাখ্যাত হইল, এক্ষণে পাচ প্রকার মহাগুণের বর্ণনা করিব।

“নিন্মলং কথিতং স্বচ্ছং গুরু স্ত[ৎ গুরুতাযুতম স্িগ্ধং রুক্ষবিনিন্মু-ক্ত মরজন্বমবেণুকম্‌ স্রাগং রাগবনুলং মণেঃ পঞ্চগুণা মতাঃ। এতৈযুক্তং মরকতং সর্বপাঁপভয়াপহম্‌॥”

২৮৫

১১৮ র্ব-রহস্ত। - স্বচ্ছ, গুরু ভাবি ), নি অরজঙ্ক। সুরাগ,--এই পাচটী 'মঞ্থাগুণ। এতরৃ-

গুণধুক্ত মরকত ধারণে পাপ মাঁশ হয়। শ্বচ্ছ_নিম্দশল। গুরু--ওজনে ভারি। অরজস্ক-স্রেণুবর্জিত। সুরাগ--বর্ণাধিকা বা সকল দিকে সমাননর8,,

ফলশ্রুত “গ্জবাজিরথান্‌ দত্া বিপ্রেভ্যে। বিস্তরাদ্ধি মে। ততফলং সমবাপ্পোতি শুদ্ধে মরকতে তে ধনধান্যাদিকরণে তথা সৈন্যক্রিয়াবিধো বিষরোগোপখমনে বর্ধন্থথর্বণেষু চ। শশ্ততে মুনিভিধন্মাদয়ং মরকতোমণিঃ ॥৮

ব্রাঙ্মণকে হস্তী, অশ্ব রথ দান করিলে যে ফল হয়, নির্দোষ মরকত ধারণ করিলেও সেই ফল হইয়া থাকে মুনিগণ বলিয়াছেন যে, ধন্ধান্যা্দি-ঘটিত কার্যে, সৈনিককার্ষ্ে, বিষচিকিৎসায় অভিচারাদি কাধ্যে এই মণি অর্থাৎ মর- কতমণি অতি সু প্রশস্ত

* « ক্নানাচমনজপ্যেষু রক্ষ মন্ত্রক্রিয়াবিধো দদপ্তিগ্গোহিরণ্যানি কুর্বাতঃ সাঁধন!নি ॥৮ “দেবপিত্র্য।তিথেয়েষু গুরুসম্পূজনেধু চ। বাধ্যমানেষু বিষমে দৌধজাতৈবিষোদ্তবৈঃ দোষৈহীনং গুণৈষুক্তং কাঞ্চন গ্রতিযোজিতম্‌। সংগ্রামে বিবদপ্তিশ্চ ধাধ্যং মরকতং বুধৈঃ॥৮ সান, আচমন, জপ, রক্গাকাধ্য, মন্ত্প্রয়োগ তদনুষ্ঠানে এবং যাহার! গোহি- রণ্যা্দি দান করিবেন, সাধনা করিবেন, তীহারা দেব,পিত্‌ অতিথি-সৎকারকালে গুরুপুজাকালে সুবরণযুক্ত নির্দোষ গুপযুক্ত মরকত ধারণ করিবেন। যাহার! যুদ্ধে বিবাদ করিবেন তাহারাও উহ ধারণ করিবেন।

পরীক্ষা | তান্তান্ি মণির স্তায় ইহাও কৃত্রিম, কি অকৃত্রিম, জাত্য, কি বিজাত্য, তাহা পরীক্ষা! করিতে হয়।

রৃন্ব-রহহা। ১১৯

রত্বজ্ঞ পণ্ডিতেরা বলিয়। থাকেন যে, রদ রি কি স্বাভাবিক, তাহা সহজেই বুঝিতে পারা যাঁয়। কখন কখন পরীক্ষব্লম্বন করিয়া বুঝিতে হয়। কৃত্রিম কি অকুত্রিযু,গ্টতদ্রপ সন্দেহ হইলে তাহাকে প্রস্তরে ঘর্ষণ করিবে। ঘর্ষণ করিলে বঙ্গ কাউ নীমক কৃত্রিম মানিক্য ভাপ্গয়! যাইবে, অকুন্নিম বা সাচ্চা হইলে ভাঙ্গিবে না। “লেখয়েল্লৌহভূঙ্গেণ চুর্ণেনাথ বিলেপয়েৎ। সহজঃ কাস্তিমাপ্মেততি কুত্রিমো মলিনাঁয়তে ॥৮ অথবা তীক্ষাগ্র লৌহশলাকার দ্বার! উল্লেখন অর্থাৎ আর্টোড়ন করিবেক পরে তাহার সর্বাঙ্গে চূর্ণ লেপন করিবেক। ইহা! করিলে, শ্বাভাবিক মরকত উজ্জল হইবে, আর কৃত্রিম হইলে মলিন হয়া যাইবে। “বর্ণন্তাতিবহুত্বাৎ যন্তযস্তঃ স্বচ্ছকিরণপরিধানম্্‌। সান্দ্রন্িপ্ধবিশুদ্ধং কোমলবহ্‌ প্রভাঁদিসমকাস্তি চলো1জ্ছবলয়! কান্ত! সান্দ্রীকারং বিভাসয়। ভাতি। তদপি গুগবৎ সংজ্ঞামাপ্রোতি হি যাদৃশ।ং পুর্ব্বম্‌॥ সকলং কঠোঁরং মলিনং রুক্ষং পাঁষণককরোপেতম্‌। দিগ্ধঞ্চ শিলাজতুন! মরকতমেব্ংবিধং বিগুণম্‌ ॥৮ অত্যন্ত রঙদার অথচ অভ্যস্তর নির্মল প্রভাপরিপুর্ণ, যাহা নিবিড়, প্রি, বিশুদ্ধ, কোমল কান্তিযুক্ত এবং ময়ুরপুচ্ছপ্রভার গায় কান্তিযুক্ত, এরূপ মরকত উত্তম এবং যাহ অত্যুজ্জল দীপ্তি-ছটার দ্বার! নিবিড়ের ন্যায় দেখায় তাহাঁও গুণবৎ অর্থাৎ উত্তম আখ্য। পাঁইবার যোগ্য অন্তর্ভপ্র, কঠোর, মলিন, রক্ষ, পাষাণ কর্করযুক্ত এবং শিলাঁজতুবিলিখ্ী। এরূপ মরকত নিগুণ অগ্র।হা। ““সন্ধিবিশ্লেষতং র্রমন্তন্মরকতা্তবেৎ। শেয়ফামৈন” তত ধাধ্যং.ক্রেতব্যং বা কথঞ্চন ॥% ধে রত্ব মরকত দ্বার ভেদ প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ ভালিয়! যায় অথবা বাহ বিশ্লিষ্ট- সন্ধি, মঙ্জলাকাজ্ছী ব্যক্তি সে রত্ব ধারণ করিবেন ন!, ক্রয়ও করিবেন না। “ভল্লাতঃ পুজিকা কা চন্তঘর্ণমনুযোগতঃ | মণেম'রকতন্তেতে লক্ষণীয়! বিজাতিক্নঃ ॥% মরকত মণির ভল্লাভ, পুত্রিক। কাঁচ এই তিন প্রকার বৈজাত্য আছে। ২৮৭ ৩৪৯

২৬ রজ-রহস্ত। অর্থাৎ তিন প্রকার দুটা পান! আছে। পণ্ডিতের! তাহা বর্ণ যোগক্রমে পরী করিস থাকেন। ক্ষৌমেথ বাসসা ঘটা দীপ্তিং ত্যজতি পুত্রিক!। লাঁঘবেনৈব কাচন্ত শক্যা কর্তং বিভাবনা। কস্যচিদনেকরূপৈর্ম রকতমনুগচ্ছতোহপি গুণবর্ণৈঃ | ভল্লাতন্ত নির্ণেভুর্বৈশস্মুপৈতি বর্ণস্য ॥৮ ক্ষৌমবস্রদবার! ঘর্ষণ করিলে পুত্রিক! নামক বিজাত মরকতের দীপ্তি লোগ হইয়া যায়। লঘুতর অর্থাৎ ওজন ছার! কাচ নামক বিজাতি মণি জানা যাঁয়। অনেকবিধ গুণবর্ণ-বিশিষ্ট মরকতের সঙ্গে অনুগত করিয়া বর্ণের বৈশগ্ক নির্ণর করিয়া দেখিলে ভর্লাত নামক বৈজাত্যও নির্ণয় করা যায় এতভিন্ন উর্ধগামিনী প্রভার দ্বার! অন্থান্ত প্রকার বৈজাত্য জান! যায়। ইহ! পূর্বে বল! হইয়াছে মূল্য। “তুলয়া পদ্মরাগন্ত ষন্ম,ল্যমুপজায়তে লভ্যতেহভ্যধিকং তক্মাৎ গুণৈর্মরকতং স্মৃতম্‌ রত্শান্ত্রে এরূপ উক্ত হইয়াছে যে, একটি মরকত মণি যদি ওজনে তত্তুল্যা- কার পদ্মরাগের সমান হয়। তাহা হইলে সেই পদ্মরাগ অপেক্ষা মরকত মণিটীর মূল্য অধিক হইবে। “যথাচ পদ্মরাগাণাং দোষৈমুল্যং প্রহীয়তে | ততোহন্মিন্নপি স! হাঁনির্দোষম রকতে ভবেৎ |” ঘে সকল দোষে পল্মরাগ মণির মুল্যের অল্পত! হয়, মরকত মণিতেও সেই সকল দোষে মূল্যহানির কল্পনা কর! হইগ্না থাকে “গুণপিগুসমাঁযুক্তে হরিতশ্তামভাম্বরে। মূল্যং ঘাদশকং প্রোক্তং জাতিভেদেন সুরিভিঃ যবৈকেন শতং পঞ্চ সহজং দ্বিতয়ে যবে ত্রিভিশ্চৈব সহজে ছে চতুর্ভিশ্চ চতুগ্ডণম্‌ ॥” পণ্ডিতের সমূহগুণশালী হরিত বা শামভাশ্বর মরকতমণির জাতিক্রমে মুল্যাধধারণ করিয়া থাকেন যবে ৫**, যবে ১৯০, যবে ২৯৯৭, যবে তাহার চতুত্ণ। | কল কথ! এই যে, পল্পরাগ অপেক্ষা মরকতের মুল্যাধিকা কল্পনা! “ফর! হয় ৮১৬৪

রত্বস্রহন্ত 1 ১২৯,

বটে; কিস্ত কত আধিক্য ত্বাহার কোন নির্দিষ্ট নিক্মম্‌ নাই। রমনীয়ত! হুর্ল- ভ্যতা অন্ুসারেই মূল্যের অ।ধিক্য ঘটন! হইয়া! থাকে, এই পধ্যস্ত নির্ণয় আছে।

ইন্দ্রনীল

ইন্দ্রনীল নীলকান্তমণি এক বস্তঃ। আধুনিক জহরিরা ইহাকে “নীলম্ পনীলা” বলিয়া! থাকেন। ইহার *“পৌরিরত্ব” “নীলাশ্ন? “নীলোপল” “তৃণগ্রাহী” “মহানীল” “নীল” প্রভৃতি অনেকগুলি সংস্ক তদ্নম আছে। শুক্রনীতির মতে ইহ! মধ্যম শ্রেণীর রড, শনিগ্রহের প্রিয় এবং নিবিড়-নব-মেখ প্রভার ন্যায় প্রভাবুক্ত যথা-.” “হিতঃ শনেরিন্দ্রনীলোহাসিতো ঘনমেঘরুক্‌। ইন্ত্রনীলং পুষ্পরাগবৈদূর্ধ)ং মধ্যমং স্মৃতম্‌ ॥” মানসোপ্লাস গ্রন্থে ইহার বর্ণ, ছায়া উৎপতি-স্থান নির্ণীত .হইয়াছে বথা-- *অতসীপুষ্পসংকা শমিন্্রনীলং প্রভাধুতম্‌। রোহিণা্রিসমুভূতং তৃণগ্রাহি মনোহরম্‌ ॥৮ এতস্ডিন্ন অগস্তামুনি-কৃত মণি-পরীক্ষ। গরুড়পুরাণে ইহার বিশেষ বৃত্ধান্ত পাঁওয়। যায় অগন্তিমতের মণি-পরীক্ষায় লিখিত আছে ঘে; “মিংহলে কলিঙগ- দেশে এই মণি উৎপন্ন হয়|?” যথা-_ বিষয়ে সিংহলে চৈৰ গঙ্গাতুল্যা মহানদী তীরঘয়ে তন্মধ্যে বিক্ষিপ্তে নয়নে যথা ঈষন্মাত্রে পৃথক স্থানে কালিঙ্গবিষয়ে তথ|। পতিতে লোচনে ঘত্র তত্র জাতা মহাঁকরাঃ ॥* সিংহল দেশের মধ্যে গঙ্গার ন্যার এক মহানদী আছে। তাহার উভয় কুলে সেই মহাদানধের নেত্রদ্ব় পতিত হুইয়াছিল এবং তাহার কিম্পদংশ কলিঙ্গ- দেশের ভিন্ন ভিন্ন স্থানেও নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল। _ফলতঃ তাহার নেত্র যেখানে যেখানে পতিত হইয়াছিল সেই সেই স্থানেই ইন্্রনীল মণির মহাকর সকল উৎপর্র হইয়াছে তন্মধ্যে প্রভেদ এই যে, যাহ! সিংহলোৎপন্ন, তাহার নাম মহানীল অগস্তিমতের মণিপরীক্ষা ;পুস্তকখানি আমরা হৃতস্ত্র মুদ্রিত করিয্না পাঠক. ২৮৯

১২ রত- রহস্য |

গণকে উপহার দিব; এজন্য তদুগ্রন্থের বচনাবলি উদ্ধার না করিয়া এক্ষণে গরুড়পুরাণোক্ত ব্চনগু।ল উপস্থিত করি।

আকর।

“তত্রৈব সিংহলবধূকরপল্লবাগ্র * * * লবণীকুন্থমপ্রবালে। দেশে পপাত দ্দিতিজস্ত নিতান্তকাস্তং প্রোৎফুল্লনীরজসমহ্যতি নেত্রুগ্মম্‌ তৎপ্রত্যয়াহুভয়শোভনবীচিভাসা বিস্তারিণীজলনিধেরুপকচ্ছভূমিঃ | প্রোন্টিন্নকেতকবন প্রতিবদ্ধলেখা সান্দেন্্রনীলমণিরত্রবতী বিভাতি ॥” সিংহলদেশের পে সেই স্থানে, সেই দৈতোর অত্যন্ত রমণীর সুন্দর প্রোতফুন্ন নীলপদ্মাকার নেত্রমুগল পতিত হইয়াছিল সেই কারণেই তত্রত্য জলনিধির তীরভূমি সকল নীলরত্রময় হইয়াছে বর্ণ বর্ণের সাদৃশ্য |

“তত্র[সিতাজ্জহলভূদ্বসনাসভৃঙ্গ- শাঙ্গীযুধাভ হরকগকলায়পুশ্পৈঃ | শুর্লেতবৈশ্চ কুনুমৈর্ণিরিক পিকায়া- শুশ্মিন ভবস্তি মণয়ঃ সদৃশাবভাসঃ অন্তে প্রসন্নপয়সঃ পয়সাং নিধাতু- রহ্ুত্িষঃ শিথিগণ প্রতিমাস্তথান্তে নীলীরস প্রভ ধুদ্ধদভাশ্চ কেচিৎ কেচিন্তথা সমদকোকিলকভাসঃ নৈকপ্রকারা বিস্পষ্ট-বর্ণশোভাবভাসিনঃ | : জায়স্তে মণয়ন্তশ্মিনিক্রনীলা। মহাগুণাঠ ॥৮ দেই সকল আকরে যে সমস্ত ইন্দ্রনীল জন্মে--তাহাদের মধ্যে কতক নীল- পঞ্সের হ্যার, কতক ব্লরামের বন্ত্রের স্তায়, কতক খডা ধারার স্তাক়্* কতক ভ্রম- রের ন্যায়, কতক শ্রীকৃষ্ণের বর্ণের ন্যায়, কতক নীলকণ্ট অর্থাৎ শিবকণের স্তায়, ইনি

রড'াহস্ত। ১২৩

অথবা নীলকণ্ঠ নামক পক্ষীর গলবর্ণের স্ঠাঁয, কতক ফালায় পুষ্পের বর্ণের স্যার, কতক কৃষ্ণাপরাঁজিত| পুণ্পের ন্যায়, কতক গিরিকর্ণিকার গ্ভায়, €ইহাও এক প্রকার অপরাজিতা পুষ্প) গ্রভাযুক্ত হইয়া থাকে অপর কতকগুলি নির্মল সমুদ্রজলের ন্যায় কতক বা মযুরের কণ্ঠের স্টায়, কতক গুলি নীলীরসের বুদদের হ্যায়, কতক বা মস্তকোকিলের কণ্ঠের স্ঠাকস বর্ণবিশিষ্ট হইয়! থাকে তথায় এবমাঁকারের বহু নীলমণি জন্মে পরস্ত সে সমস্তই মহাঁগুপ-শালী বিস্পষ্ট বর্ণ শোঁভাধারী |

দোষ গু৭।

“মৃৎ-পাঁষাণ-শিলা-বজ্-কর্করাভাসসংযুতাঃ | অভ্রিকাপটলচ্ছায়াবর্ণদোষৈশ্চ দুধিতাঃ ॥৮ মৃত্তিকা, পাষাণ, শিলা, বজ, (অথবা! গিরিবজ--ইহাঁও এক প্রকার প্রস্তর ) কীকর-যুক্ততা এবং অন্রকাপটলাখ্য ছায়াদি দোষ বর্ণদোষে দুষিত মণি সকল উৎপন্ন হয়। “তত এব হি জায়স্তে মণয়ন্তত্র ভূরয়ঃ | শাস্তদংবোধিতধিয়স্তান্‌ প্রশংসস্তি হ্রয়ঃ ॥* গ্ধার্য/মাণন্ত যে দৃষ্টাঃ পল্পরাগমণেণ্ড ণাঃ। ধারণা দীন্ত্রনীলম্ত তানেবাপ্পোতি মানবঃ যথ! পদ্মরাগাণাং জাতু কত্তৃভঙং ভবেৎ। ইন্দ্রনীলেঘপি তথা দ্রষ্টব্যমবিশেষতঃ ॥৮ সেস্থানে তদ্বৎ অনেক প্রকার মণ্ন জন্মে। রদ্বশান্্রজঞানজ-নির্মবলবুদ্ধিসম্পরন পঞ্ডিতেরা সে সকলকেও প্রশংসা কলিম থাকেন ধার্যাম(ণ পদ্মরাগমণির যে সকল গুণ নির্দিষ্ট :আছে--মনুষ্য ইন্দ্রনীল ধারণ দ্বারা সে সমস্তই লাভ করিয়! থাকে পদ্মরাগ মণিতে যে সকল ভয়-সম্ভাবন! আছে, ইন্দ্রনীল মণিতেও সে সমন্তের সম্ভাবনা আছে। পরীক্ষা |

«পরীক্ষপ্রত্যয়শ্চৈৰ পদ্মরাগঃ পরীক্ষ্যতে। এব প্রত্যত্ দৃষ্টা ইন্ত্রনীলমণেরপি ॥৮

কি

২৯১

১২৪. রদ -রৃহ্ত্য।

ঘ্নে সকল. কারণ ব! উপকরণ দ্বারা পল্পরাগের পরীক্ষা সিঞ্ধ হয়, সেই সমস্ত দ্বার! ইন্ত্রনীলের পরীক্ষা! হয়। প্মাবস্তধ ক্রমদমিং পল্পরাগঃ পয়োগতঃ | ইন্দ্রনীলমণিস্তম্মাৎ ক্রমেত সুষহত্তরম ॥% “তথাপি পরীক্ষার্থং গুণানামভিবৃদ্ধয়ে মণিরগৌ সমাধেয়ঃ কথঞ্চিদপি কশ্চন 1” “অগ্নিমাত্রাইপরিজ্ঞানে দাহদোষৈশ্চ দূষিত: | পোহনর্থায় ভবেত্তর্ত,ঃ কঙ্ভঃ কারযিতুস্তথ! ॥% পয়ঃস্থ পদ্মরাগমণি যে পরিমাণে উত্তাপ আক্রম (সহ) করিতে পারে, ইন্দ্রনীল মণি তাহা অপেক্ষ! মহত্তর উত্তাপ মহা করিতে পারে। যদিও অগ্নির ছারা পরীক্ষা হয়, তথাপি তাহা! করিবে না, অর্থাৎ কোনক্রমেই পরীক্ষার জন্য অগ্মিসংযোগ করিবে না। যেহেতু অগ্নির পরিমাণ না জানিতে পাঁরিলে তাহা দাহ-দোষে হষ্ট হয় এবং সেই দূষিত মণি তখন ধাঁরণ বর্তীর পরীক্ষাকর্তার অনিষ্টের হেতু হইয়া দীড়ায়।

বৈজাত্য নির্ণয়

“কাচোৎপলকরবীরম্ফটিকাদ্য। ইহ বুধৈঃ সবেদুর্ধ্যাঃ | কথিতা৷ বিজাতয় ইমে সদৃশ! মণিনেন্দ্রনীলেন গুরুভাবকঠিনভাবাচ্চ তেষাং নিত্যমেব বিজ্ঞেয়ো কাচ।দ্‌ যথাবছুত্তরবিবদ্ধমানৌ। বিশেষেণ ॥" রত্বজ্জ পণ্ডিতের! বলিয়াছেন, যে কাঁচ, উৎপল, করবীর, স্কটিক বৈদৃধ্য নামক কতকগুলি বিজাত মণি আছে--সে সমস্তই দেখিতে ইন্ত্রনীলমণির স্তায়। উহ্থাদের প্রত্যেকটীতেই গুরুত্ব কাঠিন্য--এই ছুটীর অস্তিত্ব সর্বদাই লক্ষ্য করিবে। বিশেষতঃ কাচ অপেক্ষা এঁ ছএর যথাযোগ্য আধিক্যের সম্ভা অন্গতব করিবে। “ইন্দ্রনীলো যদ! কশ্চিৎ বিভর্ত্যাতাম্রবর্ণতাম্‌। রঙ্ষণীষ্মৌ তথা! তামৌ করবীরোতপলাবুভৌ “যন্ত মধ্যগতা ভাতি নীলন্তেন্দ্রামুধ প্রভ| | তদিজ্্রনীলমিত্যাভ্ম হাধ্যং ডুবি ভুর্লভম্‌

৫০

ররপ্রহস্ত | $$৫ যন্ত বর্ণস্ত ভূয়ত্তাৎ ক্ষীরে শতগুণে স্থিতঃ। নীলতাং তন্নয়েৎ সর্বং মহানীলঃ উচ্যতে ॥৮” যে ইন্দ্রনীল অল্প তাত্রবর্ণ ধারণ করে, তাহা! এবং করবীর উৎপল, এই হই তামা ইঞ্জীল রাঁখিবার যোগ্য। যে ইন্ত্রনীলের অভ্যন্তরে রামধনুর স্ায় আভা বিস্ফ,রিত হয়, সে ইন্দ্রনীল মহামূল্য ছুর্লভ। প্রচুর-বর্ণশাঁলী নীলমণি যদি আপন অপেক্ষা শতগুণ হুগ্ধে স্থিত হয় আর সে নিজের বর্ণাঢ্যতাহেতু সেই সমুদাঁয় দুপ্ধকে নীলরঙে রঞ্জিত করে তবে তাহা মহা- নীল নামে উক্ত হয়। অগ্রিপুরাণেও ঠিক এইরূপ উল্লেখ আছে। যথা-_- “ইন্দ্রনীলং গুভং ক্ষীরে রাজতে ভ্রাজতে২ধিকম্‌। রঞ্জয়েৎ ন্বপ্রভাবেণ তমমূল্যং বিনির্দিশেৎ॥৮ যে স্ুশোভন ইন্দ্রনীল রজতপাত্রস্থ-হুগ্ধে স্থাপিত করিলে অধিকতর কাস্তিমান্‌ হয় এবং সেই গাত্রস্থ দুধকে আপনার স্ায় বর্ণে অনুরঞ্জিত করে, সেই ইন্দ্রনীল মণি অতিছুলভি অমূল্য বলিয়। বর্ণনা করিবে মূল্য। “যত পন্মরাঁগন্ত মহাগুণন্ত মুল্যং ভব্ন্মোষসমুশ্িতশ্ত তদিন্্রনীলন্ত মহাগুণস্ত স্বর্ণসংখ্য। তূলিতশ্ত মূল্যম্‌ ॥” ওজনে এক মাঁষা পরিমিত মহাগুণ পদ্মরাগ মণির ষে পরিমিত স্বর্ণ মুল্য উক্ত হুইয়াছে--মহাগুণ ইন্দ্রনীল মণিতেও সেই মূল্য প্রদান করিবে বিষয়ে গুক্রনীতিগ্রস্থের মত এইরপ-_ রুত্তিমাত্রঃ পুশ্পরাগোনীলঃ দ্বর্ণাদ্িমর্হত$ 1 এক রতি ওজনের পুষ্পরাগ নীলকাস্তমণি এক স্বর্ণের অদ্ধ মূল্য পাইবার যোগ্য অবশেষে বলিয়াছেন যে, মনোহারিত! ছুর্লভতা অনুসারে ইহার মূল্য প্চ্ছিক অর্থাৎ ক্রেতার বিক্রেতার ইচ্ছা! অনুসারে অধিক অল্প হইতে পারে।

কর্কেতন-মণি আঁধুনিক জহরীরা ইহাকে “কর্কেতক্‌*” শব্দে উচ্চারণ করিয়া থাকে সমস্ত প্রাচীন রত্বশান্সে ইহার উল্লেখ আছে ; পরস্ত গর্ডপুরাণে ইহার আকার, দৌষ, গুণ, পরীক্ষ। মুল্যাদির বর্ণনা আছে যথা ৯৩

২২৬ রত্ব-রহ্ত।

“বাযুনখান্‌ দৈত্যপতেগৃ হীত্বা চিক্ষেপ সম্পদ্য বনেছু হষ্টঃ ততঃ প্রস্থতং পরনোপপন্নং কর্কেতনং পুজ্যতমং পৃথিব্যাম্‌ বাঁধু হট হইয়া! সেই দৈত্যপতির নখ সকল অরণ্যে নিক্ষেপ করিলেন। সেই পবনপ্রেরিত নখনিচয় হইতেই পৃথিবীতে পুজ্যতম কর্কেতন রূদ্ব উৎপন্ন হইয়াছে শবর্ণেন তদ্রধিরসোমমধু প্রকাশম।তাত্্র পীতদহনোজ্জলিতং বিভাতি। নীলং পুনঃ থলু সিতং পরুষং বিভিন্নং ব্যাধ্যাদিদোষহরণেন তথ্িভাতি ॥+ সেই কর্কেতন-রত্র রুধিরের সায়, চন্দ্রের স্যার মধুর ন্তায়, তারের সায় অখ্থির হ্যায় উজ্জ্রলবর্ণ হইয়! থাকে এবং নীল শ্বেতবর্ণও হইয়া থাকে এই নীল শুভ্রবর্ণের কর্কেতক্‌ কর্কশ বিভিন্ন অর্থাৎ শীকড়দার হয় সুতরাং তাহাকে ব্যাধি দোষ হরণ করিস! উত্তম: দীন্তিশালী-করা যায় ন!।

গুণ |

“ল্সিগ্ বিশুদ্ধীঃ সমরাগিণশ্চ আপীতবর্ণা গুরবো বিচিত্রাঃ। ত্রাসব্রণব্যাধিবিবজিতাশ্চ কর্কেতনান্তে পরমাঃ পবিভ্রাঃ ॥৮ “পত্রেণ কাঞ্চনময়েন তু ঝেষ্টয়িত্বা হস্তে গলেশথ ধৃতমেতদতি প্র কাশম্‌। রোগ প্রণাশনকরং কলিনাশনঞ্চ আযুক্ষরং কুলকরঞ্চ সুখ গ্রদঞ্চ ॥”” «“এবংব্ধং ব্ছগুণং মণিমাবহস্তি কর্কেতনং শুভমলস্কৃতয়ে নর যে। তে পৃঙ্জিতা বহুধনা বহুবাদ্ধব!শ্চ নিত্যে।জ্জল! প্রমুদিতা অপি যে ভবন্তি ॥৮ নিগ্ধ, সুনিন্দূল, সর্বাঙ্গে সমান রঙ, অল্প পীভবর্ণ, ভারি, বিচিত্র, ত্রাস, ব্রণ ব্যাধিবিবজিত,__-এরূপ কর্কেতন উৎকৃষ্ট পবিত্র স্থতাম্থর কর্কেতন সুবর্ণময় পত্রের দ্বার! বেষ্টন করিয়া! বাঁছুতে অথবা গলদেশে ধারখ করিলে রোগনাশ হয়, কলহ বা কলিভয় থাকে না, আব্ুর্ৃদ্ধি হয়, বংশবৃদ্ধি হয়, সুখবৃদ্ধিও হয়। বাহার উক্ত প্রকার গুণশালী স্থুলক্ষণ কর্কেতন অলঙ্কারের নিমিত্ত আহরণ করেন তাহার! সম্মানিত, ধনবান্‌, বন্ধুবান্ববপরিবৃত, উজ্জলত্রীযুক্ত হুটপুই হন। “একে পিনহ্‌ বির্ুতাকুলনীলতাসঃ প্রশ্নান্রাগলুলিতাঃ কলুষ! বিরূপাঃ। | ২৯৪

রত-রহ্ন্া ৯১২৭.

তেজৌহতিদীণ্তিকুলপুষ্টিবিহীনবর্ণাঃ কর্কেতনস্ত সদৃশং বপুরুত্বহস্তি ॥% কোন কোন বিক্ৃতকার় কষ্ণবর্ণ নিস্তেজ দীরপ্তিহীন পুরুষ এই রত্ব ধারণ করিয়! কর্কেতনের লদৃশ শরীর লাভ করিয়াছেন।

মূল্য।

“কর্কেতনং যদি পরীক্ষিতবর্ণরূপং প্রত্যগ্রভান্ঘরদিবাকরসুপ্রকাশম্‌। তকস্তোতমস্ত মৃণিশাস্্রবিদা মহিয়। ভুল্যন্ত মুল্যমুদিতং তুলিতন্য কার্য্যম্‌ ॥৮ কর্কেতন-মণি যদ্দি পরীক্ষাসিদ্ধবর্ণ রূপাদিনিশিষ্ট হয় এবং নবোদ্িত হুর্য্যের জার সুপ্রকাশ স্বভাব হয়, তবে ততসন্বন্ধে মণিশান্ত্রবিৎ পঞ্ডিতগণের মত এই যে, সেই উত্তম কর্কেতনের মহিমার অন্ুরপ মূল্য নিয় করা কর্তব্য।

স্কটিক | ইহ1ও একপ্রকার প্রস্তর এবং একাদশ রত্বের মধ্যে পরিচিত। ইহার এক

জাতি “্হ্ষ্যকাস্ত মণি” নামে বিখ্যাত এবং অন্য এক জাতি “চন্দ্রকাস্ত” নামে প্রসিদ্ধ। যাহাতে কুর্য্যকাস্ত কি চন্দ্রকান্তের গুণ নাই তাহা স্কাটিক। এই রত্বটি স্টক, স্কাটক, স্ফাটিকোপল, ভাঙ্গর। শালিপিষ্ট, ধৌতশিলা, দিতোঁপল, বিমল- মণি, নিশ্নীলোপল, স্বচ্ছ, স্বচ্ছমণি। অম্ররত্ব, নিস্তধ রত্ব, শিবপ্রিয় ইত্যাদি নান! নামে খ্যতি। যাহার সংস্কৃত নাঁম সূর্য্যকীত্তমণি, ভাষায় তাহাকে “আতস্‌ পাথর” বলে। গকুড়পুরাণ কল্পদ্রমধূত যুক্তিকল্নতরু নামক গ্রন্থে এই স্ফটিকরত্বের পরীক্ষা্দি অভিহিত হইয়!ছে, তত্ডিন্ন মানসোল্লাস, অগ্নিপুরাণ মণিপরীক্ষা গ্রশ্থেও ইহার পরীক্ষার্দি বর্ণিত আছে। যথা

“যদগঙ্গীতো য়বিন্দুচ্ছৰি বিমলতম* নিস্তষং নেত্রহাদ্যম্‌

নিগ্ধং শুদ্ধান্তরালং মধুরমতিহিমং পিভৃদাহাত্রহারি

পাঁধাণে যন্িঘৃষ্ং স্ফুটিতমপি নিজাং স্বচ্ছতাং নৈব জঙ্থাৎ

তজ্জত্যং জাতু লভ্যং শুভমুপচিন্থৃতে শৈববন্ধুঞ্চ রত্ুম্‌ ॥%

গরুড়পুরাণ। খ৫ ৪9

১২৮ র-রহন্ট

যাহা গোমুখনিঝ'বনিংস্ত গঙ্গা সলিলবিন্দৃতুল্য, নির্খলঙম, নিস্তষ। তুষবৎ জর্জরচিক্ধবজিত, নেত্রপ্রিয় (দেখিতে সুনার ), নিগ্ধ, নির্ল-অন্তরাল, অত্যন্ত মধুর, হিমবীধ্য, পিত্ৃদ[হ-রক্তদোষ-হারী, যাহা কষনামক পাঁধাণে ঘর্ষণ করিলে স্কুটিত হয় না, হইলেও আপন নৈর্মল্য ত্যাগ করে না, তাহাই জাত্য স্ষটিক। এই শ্রেষ্ঠ শৈবরদ্ব, অর্থাৎ প্ফটিক ঘদি কদাচিৎ পাওয়! যায়, তাহা হইলে প্রাপ্ত ব্যক্তির শুভ বৃদ্ধি হয়।

উৎপতিস্থান বর্ণাদি।

“কাবের-বিদ্ধা-যবন-চীন-নেপাল-ভূমিষু।

লাঙ্গলী ব্যকিরন্মেদে। দানবস্য গ্রযত্ততঃ

আকাশশ্ুদ্ধং তৈলাখামুৎপন্নং স্ষটিকং ততঃ।

মৃণালশঙ্খধবলং কিঞ্চিৎ বর্ণাস্তরান্বিতম্‌

তত্তল্যং হি বত্ধানামথব! পাঁপনাশনম্‌।

সংস্কৃতং শিল্লিন। সদ্যো মূল্যং কিঞ্িল্পভেত্ততঃ ॥৮

বলরাম ঠাকুর সেই দানবের মেদ লইয়া কাঁবেরী-তীরসন্িহিত প্রদেশ, বিদ্ধ্যা-

চল প্রদেশ, যবনদেশ, চীনদেশ নেপাঁলদেশে নিক্ষেপ করিয়ছিলেন। সেই আকাশতুল্য নির্খল তৈলাখ্ মেদ হইতে স্ষটিকের জন্ম হইয়াছে ।* মৃণাল শঙ্খের ম্যায় ধবল; কিন্তু তাহাতে গ্ন্ত বর্ণের কিঞ্চিৎ সংমিশ্রণও অছে। ইহ! অন্যান্য রত্বের ন্যায় পাপন।শক নহে। অন্যান্য বিষয়েও রত্বাস্তরের তুল্য নহে। শিল্পীরা ইহাকে সংস্কার করিয়া মনোজ্ঞ করে বলিদ্! ইহার কিছু মূল্য পায়। বস্তত অসংস্কত স্ষটিকের মূল্য অতি অল্প, সংস্কৃত স্ফটিকের মুল্য কিছু অধিক। যুক্তি কল্পতরু ধার ভোঙ্জদেবের বচনাবলি পর্যালোচনার ছারা জান। যাক যে, এই স্ফটি- কের অন্য ছুই জাতি আছে। যথা---

“হিমলয়ে সিংহলে বিদ্ধাটবিতটে তথা।

স্কটিকং জায়তে চৈব নানান্ধপং সম প্রভম্‌

পাপ পপ পপ পার পপ ৯০ পাপা পপ বা ০৯ পপ

* কেহ ফেহ "তৈলাখ্য" শবটি স্কটিকের বিশেধ মাধ ধলিয়। ব্যাখ্যা করেন। অর্থাৎ যাহাতে বরযন্তরের আঁ! নাই এরূপ আকাশের স্কার শুদ্ধ অর্থাৎ বর্ণহংন বা নির্মল স্বটিকের নাম “টভলাখ্য''। এই তৈলাখা স্টিক রত্বাস্তরের সহিত নি চ্ষন. না, অর্থাৎ রতকমধ্যে গণনীয় হয় না ইন একপ্রকার টান

২৯৬

রত্স্রহহা | ১২%

হিমাত্রে চন্দ্রনাশং শ্কটিকং তৎ দ্বিধা ভবেৎ। সু্ধ্যকাস্তধ তত্রৈকং চক্ত্কাস্তং তথাহপরম. হিমালয় প্রদেশে, সিংহলদেশে বিন্ধ্যাটলসমীপবর্তী স্থানসমুদায়ে স্কটিকের খনি আছে। তাহাতে নান! বর্ণের তুল্যকাস্তিবিশিষ্ট স্টিক উৎপন্ন হয়। পরস্থ হিমলক়্ে ঘে ক্ষ টিক উৎপন্ন হয়, তাহ! চন্দ্রকিরণের ন্যায় শুভ্র বর্ণ। গুণ অনুসারে ইহা আবার হই প্রকার তাহার এক প্রকারের নাম সুর্য্যকাস্ত অপর প্রক1- রের নাম চন্দ্রকান্ত। হৃর্ধযকাস্ত চন্দ্রকান্ত স্ষটিকের লক্ষণ পরীক্ষা এইরূপ--- “মুর্য্যাংগুম্পর্শমাত্রেণ বহ্িং বমতি ষৎ ক্ষণাৎ। সুর্ঘ্যকাস্তং তদা খ্যাতং স্ষটিকং বত্ববেদিভিঃ ॥৮% “পুর্ণেন্দকরসংম্পর্শাৎ অমৃতং অবতে ক্ষণাৎ। চন্দ্রকাস্তঃ তদাখ্যাতং ছুর্লভং তৎ কলৌ যূগে ॥৮ যে স্কটিক সুর্যাকিরণে রাখিলে বৃহ্ছি উদ্গিরণ করে, তাহার নাম “হুর্যাকাস্ত প্কটিক'”। ইহারই নাম আতস্‌ পাঁথর। আর যাহা চন্দ্রকিরণে রক্ষা করিলে জলআ্াব হয়, রত্বতস্ববেতৃগণ তাহাকে *চন্ত্রকান্ত”” আখ্যা! প্রদান করেন। এই চন্্রকান্ত স্ফটিক কলিষুগে অর্থাৎ বর্তমানকালে ছুর্লভ। বোধ হয়, এখন আর উহ্থা জন্মে না। লুশ্রুত নামক বৈদ্যকগ্রচ্থে লিখিত আছে যে,-_ শ্চন্দ্রকাস্তোভবং বারি পিত্ত্ং বিমলুং স্থৃতম্‌ ॥” চন্দ্রকাস্তসন্ভৃত জল অতি নিন্ল, শীতল পিত্তনাশক। যুক্তিকপ্পতকুর মণ্তে স্টিক বর্ণ গুণানুদারে বন্ুপ্রকার। যথা “অশোকপল্লবছায়ং দাড়িমীবীজসনিভম্। বি্ধ্যাটবিতটে দেশে জায়তে মন্দকাস্তিকম্‌ দিংহলে জায়তে কষ্খমাকরে গদ্ধনীলকে পদ্মরাগভবে স্থানে দ্বিবিধং স্কটিকং ভবেৎ অত্যন্তনি্খবলং স্বচ্ছং অ্রবতীব জলং শুচি। জ্যোতিজ্জলনমানিষ্টমুক্তাং জ্যোতীরসং দ্বিজ তদেব লোহিতাঁকারং রাঁজাবর্তমুদাহৃতম্‌। আঁনীলং তত্ব, পাষাণং প্রোক্তং রাঁজময়ং শুভম্‌ ॥') “বিন্স্ত্রমন্ং তত, প্রোক্তং বরন্মময়ং ছিজ।+ বিদ্যারণ্যসমীপন্থ দেশসমুহে যে স্টিক জন্মে তাহা অতি হীনকাস্তি এবং ২৯৭

১৫ রর-্রুহ্হা |

তাহার বর্ণ অশেকপল্লবের এবং দাঁড়িমবীজের তুল্য সিংহলদেশে কৃষ্ণবর্ণ ্কটিক হয় এবং তাহ! “নীলম্” নামক হীরকের খনিতে জন্মে। পদ্মরাঁগ মণির আকরে যে স্ফটিক জন্মে, তাহ! ছুই প্রকার। তাহার এক প্রকারের নাম “্রাজাবর্ড দ্বিতীয় প্রকারের নাম “রাজময়” | রাঁজাবর্ত নামক শ্কটিক অতি নির্শাল, অস্ত. লাল হুচ্ছ, জলআাবীর ন্যায়, অর্থাৎ চন্দ্রকাস্তমণির স্তায়। এরূপ শ্ষটিকের জ্যোতী- রস নাম প্রন্ত্ত হয়। এবং এইবপ গুণযুক্ত স্টিক লোহিত বর্ণ হইলে তাহা “বাজাবর্ড” আখ্যা ধারণ করে এবং নীলবর্ণ হইলে “রাঁজময়” নাম প্রান্ত হয়। এতত্বারা সিদ্ধান্ত হইতেছে যে, “আকরে পদ্মরাঁগাণাং জন্ম কাঁচমণেঃ কুতঃ ?% এই পুরাতন আর্ বাক্যস্থ “ক।চমণি” শব্ষের অর্থ স্টিক নহে। প্রকৃত কাঁচকেই কাচমণি শব্দে উল্লেখ করা হইয়াছে। পদ্মরাগ আকরে স্কটিক উৎপন্ন হওয়া! 'অস- স্তব নহে। বরং কাচ উৎপন্ন হওয়াই সম্পূর্ণ অসম্ভব। কাচমণি শব্দের গ্রকৃত অর্থ, মণিসদৃশ কাচ অর্থাৎ সে কাচ আর স্ফটিক দৃশ্যতঃ প্রায় একরূপ। ন্ুতরা' অনুমিত হইতেছে, যে উক্ত বচনের উৎপত্তিকালে অতিপরিষ্কার কাঁচ উৎপন্ন হইত। _. মানসোল্লাস গ্রন্থে প্রথমে স্ষটকরত্বের, পরে ততপ্রভেদে চন্ত্রকা্ত হুর্য্যকাস্তের লক্ষণ উক্ত হইয়ছে। তাহাও প্রায় এইরূপ যথা--

«অমৃতা ংশুকরপ্রখ্যং হৈমাদ্রিশিখরো ভ্তম্‌।

নির্শালঞ্চ প্রভাঁধুক্তং স্কটিকং পরিকীত্তিতম্‌ তপনস্যাতপম্পর্শীৎ উদ্দিগরত্যনলং হি যঃ। ুর্য্যকান্তং বিজা নীয়াৎ ক্ফর্টিকং রতুমুত্তমম্‌ অমৃতাংশুকরস্পর্শীৎ অবত্যেবামুতোদকম্‌ ছুর্লভং তং মহারত্বং চন্দ্রকাস্তং বিছ্বু'ধাঃ ॥+

অর্থাৎ শশিকিরণের স্।য় ধবলব্র্ণ, হিমালয়াদি পর্বতোতিব, নিণ্মল প্রভা- ুকত প্রস্তরবিশেবই স্কটিক নামে অভিহিত হইয়া! থাকে তন্মধ্যে যে মহাস্কটিক হূর্য্যকিরএম্পর্শে অগ্নি উদ্গিরণ করে সেই স্ফটকের নাম সুর্য্যকাস্ত এবং ইহাই উৎ- কষ্ট এবং যে উত্কষ্ট স্কটিক হইতে চন্দ্রকিরণের সংস্পর্শে অমৃতময় জল ঘর্ম্মাকারে প্রক্রত হয় তাহার নাঁম চন্ত্রকাস্ত। এই চন্দ্রকাস্ত নামক মহরত অতি হুর্লভ, ইহ! রত্ুবিৎ পণ্ডিতের! বলিয়া! থাকেন। অতএব জানা গেল যে, বর্ণ, আকর গুণের তারতম্য অনুসারে ইহার চন্দ্রকাস্ত, কু্যকাস্ত, রাঁজাবর্ত, রাঞময়, ব্রহ্মময়, জ্যোতী- পনস প্রভৃতি অনেক নাম হইয়াছে। ২৯৮

রত্ব-রত্ত। ১১

উপরত্ব।

প্রধান বহুমূল্য রত্বসন্বন্ধে সমস্ত কথাই বলা হইয়াছে এক্ষণে উপরত্ধ সম্বদ্ধে ছুই চ|রিটি কথা৷ বলিয়া প্রবন্ধ শেষ করিব।

উপ্রত্ব--অর্থাৎ মণিহুল্য কাঁচাদি। “উপমিতং রত্বেন'ঠ এই বুৎপত্তি অন্ু- স[রে কাঁচ অন্ান্ত প্রকার সামান্ত মূল্যের গ্রাস্তর সকল উপরত্ব বলিয়! গ্রাহ্‌। কষ্ট(ল, ছুগ্ধপাধাণ প্রভৃতি পাথর-_যাহ! প্রায় রত্ুতুল্য--সেই সমস্তই সংস্কৃতশান্তরে উপরত্ণ নামে খ্যাত পুর্বকাঁলে যুক্ত শুক্তি অর্থৎ মুক্তার বিন্ুক শঙ্খ প্রসৃতিও স।মান্তকারে রত্র নামে গৃহীত হইত সেই জন্তই ভাবপ্রক!শ বলিয়ছেন, যে--

“উপরত্বানি কাচশ্চ কপুরি।শ্মা তথৈবচ। মুক্তা শুক্তিস্তথ! শঙ্খ ইত্যাদীনি বহন্থপি ॥”

ক[চ, কপু:রাশ্ম, অর্থাৎ শ্বেত প্রস্তর ( ইহ(কেই অধুন! মার্বেল বলিয়া! থাঁকে ) মুক্তাশুক্তি, শঙ্খ, ইত্যাদি বহুপ্রকার উপরত্ব আছে। উপরত্ব সকল প্রায় রত্বতুল্য গুণসম্পন্ন। যাহ! জাত্যরত্রের বিজগাত অর্থাৎ ঝুঠাপাথর তাহাও উপরত্ব বলিয়া গণ্য। জাত্যরত্র অপেক্ষা উপরত্বের গুণ অল্প বলিয়া সেই সেই উপরত্বকে স্বতন্ত্র পদার্থ বলিয়! গৃহীত হইয়া থাকে 1 যথা

“গুণা যখৈব রত্বানাং উপরত্েষু তে তথ|। *. কিন্ত কিঞ্িত্ততে। হীন! বিশেষে!হত উদাহৃতঃ ॥”

রাজপট্ট নামক এক প্রকার হীরক আছে। তাহাও অল্প মূল্য বলিয়া উপরত্ব মধ্যে গণ্য। প্রাজপষ্টং বিরাটজম্” বিরাটদেশে।ৎপন্ন অল্প মূল্যের হীবককে রাজ- পট্ট বলে। অপিচ

*উপলানি বিটিত্র/নি নানাঁবর্ণান্তনেকধা। ৃশ্থাস্তে রত্বকল্পানি তেষাং মূল্যং কল্পয়েখ॥”

অনেক বর্ণের অনেক আকারের উপল দেখা যায়-সে সমুদাঁয়ই উপরদ্ধ। সে সকল উপরদ্ব দৃশ্ঠতঃ রদ্বতুলা হইলেও তাহাদের মৃল্যসঘ্বদ্ধে কোঁন বিধি নাই।

অযস্কান্তমণি দুপ্ধপাষাণ ( মার্বেল পাথর ) গ্রভৃতিও উপরত্ুমধ্যে গণ্য।

উপরোক্ত ভাব্প্রকাশের বচনে “কাঁচ” শব দেখিয়া কাচের প্রাটীনত্ব পক্ষে

ংশয় জন্মিতে পারে না। তথাপি অন্থান্ প্রাটীন গ্রন্থ হইতেও ছুই চাক়টি কাচ শষের উল্লেখ প্রদর্শিত হইতেছে। ,

২৯৪

১৩৭ | | রত্ব"রহ্স্। আজকাল কাচেরউন্নতি দেখিয়া অনেকেই মনে করিরা থাঁকেন, যে কাচ ইংরাঁজজাতির আবিষ্কৃত বস্তু বস্ততঃ তাহা নহে। অন্যুন ৩,৯* তিন সহত্ বৎসর পুর্বে এদেশে কাচের ব্যবহার ছিল, ইহ! সপ্রমণ হুয়। উক্ত সময়ের লোকের! কাচের প্ররুতি বিষয়ে অনভিজ্ঞ ছি-লন ন1, ইহাও জান! যায়। পঞ্চতগ্থ ন।মক পুরাতন গ্রন্থে লিখিত আছে যে, “কাচঃ কাঞ্চনসংস্গাৎ ধত্তে মার" কতীং ছ্যতিম্‌।* এই উল্লেথটি পুরাণ হইতে সংগৃহীত এতন্তিন্ন *আকবে পন্মরাগাণাং জন্ম কাচমণেঃ কুতঃ 2? এই ব্চনটিও বনু প্র/চীন। নুশ্রুত নাঁমক প্রাচীন বৈদ্য গ্রন্থেও কাচের ভূয়োভূয়ঃ উল্লেখ দৃষ্ট হয়। যথা--. “পানীয়ং পানকং মদ্যং মুন্ময়েহু প্রদ।পয়েখ। কাচস্ষটিকপাত্রেযু শীতলেষু শুভেষু চ॥৮ জল, সর্বৎ মণ, মৃন্ময়পাত্র, কাচপাত্র স্ফাঁটিকপাত্রে ব্যবহার করিবে। এই সকল পাত্র শীতল শুভ অর্থাৎ দোষাবহ নহে। অপিচঃ-- শঅনুশস্ত্ণি তু ত্বক্সাঁরম্ফটি ক-কাচকুকুবিন্বাঃ |” নূশ্রুত খধি শন্ত্রচিকি ২সাপ্রকরণে প্রধান প্রধান অস্ত্রের উল্লেখ করিয়! অব- শেষে কতকগুলি অনুশন্মের কথা বলিয়াছেন তন্মধ্যে ত্বক্সারঃ অর্থাৎ বাঁশের ট্াচাঁড়ি, কাচ, কুকুবিন্দ নামক প্রস্তরই প্রধান। এই দ্রব্যের দ্বারা আংশিক শস্তকাধ্য সমাঁধ। হয় বলিয়া! অনুশস্ত্র আখ্যা প্রদত্ত হুইয়াছে। অন্যাপি পর্যন্ত পল্লীগ্রামের দাই, বাঁশের ্যাচাড়ি দিয়া নবপ্রন্থত শিশুদিগের নাড়ী-ছেদকার্ধ সমাধা কন্দিসা থকে অনেকের ভ্রম আছে যে, পপ্রাচীনকালে কাচ ছিল না যেখানে যেখানে কাঁচের উল্লেখ আছে-_তাঁহা কাচ নহে। তাহ ক্ষটিক। বর্তমান ক্ষারসম্ভৃত কাচ তখন কেহই বিদ্বিত ছিল ন1।” একথ। যে নিতাস্তই ভ্রমোচ্চারিত তাহা উপরোক গ্লোকে কাচ স্ষটিক পৃথকৃরূপে উল্লিখিত থাকাক় সগ্রমাণ হইতেছে। ক্ষারসন্ভূত কাচ যে তৎকালে বর্তমান ছিল এবং কাঠের প্রক্কৃতি যে ক্ষার তাহা নিরলিখিত মেদিনীকোষের উল্লেখ দেখিলে লপ্রমাণ হয়। প্ষারঃ পুং লব্ণে কাচে |” লব্ধ কাচ অর্থে ক্ষার শব্দ পুংলিঙ্গ মেদিনীকারের মতে ক্ষার কাচ, নামম'্ত্রে ভিন্ন, বস্ততঃ পদার্থ এক। অমরমিংহও “কাচঃ ক্কারঃ৮” এইবপ উল্লেখ

করিস! কাঁচের নামান্তর ক্ষার বলিয়াছেন। নুতর|ং উম বুঝ! গেল বে, প্রাচীন

রু-রিহ্ন্া ১৩৩

কালের লোকের! কাচের প্রকৃতি বা উপাদান সন্ধে অনভিজ্ঞ ছিলেন না। এত্ডিন্ন আমরা কাচের গক্ষারমণি' নামও প্রাপ্ত হইয়াছি। চন্দ্রগুপ্ডের সম- স/ময়িক বাৎস্যায়ন মুনি যে গ্থায়স্ত্রের ব্যাখ্যা প্রচার করিয়া ছাত্রবর্গের মহোপ- বার করিয়াছেন, ব্যাসশিষ্য অক্ষপাদ খষিকৃত সেই ন্তায়স্ত্রেও কাচের উল্লেখ আছে। যথা" “অ প্রাপ্যগ্রহণং কাচান্রপটল- স্টিকাস্তরিতোপলঙ্বেঃ।৮ (৪৪ সুত্র)

এই হুত্র প্রত্যক্ষ প্রমাণ বিনির্ণয় প্রসঙ্গে লিখিত। চক্ষুরিন্দ্রিয় যে কাচ, অন্ত শ্কটিক ভেদ করিয়া গিয়া তদস্তরাঁলস্থ বস্তকে গ্রহণ করে, সুত্রে তাহাই বল হইতেছে সুতরাং কাচ আর স্ফটিক যে বিভিন্ন পদার্থ এবং তাহা ৩০০০ সহ বৎসরের পূর্বের লোকেরা বিদিত ছিল-_ইহা' বল! বাহুল্য। মহাভারত উপনিষদাদি প্রাচীন গ্রন্থে যেভাবে আদর্শ দর্পণাদি শবের উল্লেখ দৃষ্ট হয়, তাহা কাচ বলিয়া গ্রহণ করিলেও করা যায়। অত্যন্ত আদিম অবস্থায় এদেশে তীক্ষ লৌহ অন্ান্ত ধাতুবিশেষকে প্রতিবিশ্বপাতযোগ্য (পলিস ) নির্মল করিয়া তাঁহাকে দর্পণ বা আদর্শ নামে আত্মমূত্তি দর্শনার্থ ব্যবহার করিত বটে, কিন্তু মহাভারতাদির সময় কাচময় শ্ষটিকময় দর্পণের ব্যবহার আস্ত হইয়াছিল সন্দেহ নাই।, অন্ুুরগুরু মহর্ষি শুক্রাচাধ্য শ্বকৃত রাঁজনীতিগ্রন্থে “কাচাদেঃ করণং কলা» ইত্যাদি ক্রমে কাচ প্রস্তত করিবার উপদেশ করিক়াছেন। এতদনু- সারেও কাচ এদেশের বহু প্রাচীন এদেশেরও কৃতিপাধ্য বস্তু

প্রাচীন মিশর দেশে কাচের ব্যবহার ছিল। ১৮০ খুষ্টাবের পূর্বের নৃপতি- গণের সমাধির উপরে নানাবর্ণের কাঁচের কারুকার্য পরিলক্ষিত হয়। রাজী হাতান্ুর সময়ের নীল, লোহিত বিবিধ বর্ণের কাচনির্ষিত পানপাত্র, পুষ্পগুচ্ছাঁধার প্রভৃতি সম্প্রতি “ব্রিটিশ মিউসিয়মে' প্রেরিত হইয়াছে সকল ১৪৪৫ থুষ্টাব্ের পূর্বে প্রস্তত হুইয়াছিল। হিরোভোটস, লিখিয়াছেন, ইখে!- পিয়ন্রা কাচের আধারমধ্যে মৃতদেহ রাখিত, কিন্তু এপধ্যস্ত মিশর দেশের প্র্নতত্ববিদগণ উন্নপ আধার দর্শন করেন নাই! আসেরিয়া নিম্রডের ধ্বংশ মধ্যে বিবিধ আকারের কাচপাত্র মৃভিকা মধ্য হইতে প্রাপ্ত হওয়! গিয়াছে। সকল প্রাচীন সময়ের কাচ প্রভাহীন স্বচ্ছ নহে। ইউরোপীয়গণ দ্বারা কাচের উৎকর্ষ সংসাধিত হইয়াছে এবং প্রতিবৎসর ইহার উন্নতি হইতেছে এমন কি,

%১

১৩৪ বতুস্মহহা।

সম্প্রতি ভাইনায় কাচের কাপড় পর্যস্ত গ্স্তত হুইয়াছে। মিউনিচ, নারেন্বর্জ, পারিশ, বারমিংহ্যাম, এডিন্বরা প্রতৃতি স্থ!নে কাচের উপর [বিবিধ উৎকৃষ্ট চিত্র প্রস্তুত হুইয়৷ থাকে

রুধিরাখ্য রুধিরাখ্য নাঁমধেয় মণিকে কেহ স্বল্পরত্র মধ্যে কেহ ব! উপরত্ব মধ্যে গণন! করিয়া গিয়াছেন। বৃহৎসংহিত1 অগ্নিপুরাণ প্রভৃতি বহগ্রন্থে ইহার উল্লেখ আছে? কিন্তু তাহার কাস্তি, গুণ, বর্ণ কি পরীক্ষা কিরূপ তাহা বার্ণত হয় নাই। কেবল একমাত্র গরুড়পুরাণে ইহার যৎকিঞ্চিৎ বর্ণনা দুষ্ট হয়। যথা__ “ছততূগ-্পমাদীয় দানবস্য যথেপ্সিতম্‌। নর্শাদায়াং নিচিক্ষেপ কিঞ্চিদ্বীনাদি ভূতলে তত্রেন্রগোপকলিতং শুকব্জ্ঞ,বর্ণং সংস্থানতঃ প্রকটপীলুসসমানমাত্রম্‌। নানাপ্রকানবিহিতং রুধিরাখ্যরত্ব- মুদ্ধত্য তন্ত খলু সর্বসমানমেব॥ মধ্যেনদূপা্ুরমতীব বিশুদ্ধবর্ণং তচ্চেন্রনীলসদূশং পটলং তুলে স্ত(ৎ। সৈশ্বধ্যভূত্যজননং কথিতং তদ্দেব পরুঞ্চ তৎ কিল ভবেৎ সুরবজ্জবর্ণম্‌ ॥৮% হতাশন সেই দানবের রূপ যথেপ্সিত গ্রহণ করিয়া নর্খদা নদীতে নিক্ষেপ

করিয়াছিলেন। তাহাতে মকমলীপোকার চিহ্নুবিশিষ্ট শুকচঞ্চুতুল্য এক প্রকার মণি উৎপন্ন

হইয়াছে। ইহ! প্রমাণে প্রায় বড় গীলুফলের সায় হয় এবং তাহা উত্তোলন করিলে পর শিল্পীর! তাহাকে নানা আকারপ্রকারবিশিষ্ট করিয়া থাকে

যাহার মধ্যস্থল জ্যোত্ন।র গ্ভায় বিশ্তদ্ধ শুভ্রবর্ণ পার্থ ইন্দ্রনীল তুল্য হয়, কথিত আছে যে, তাহা ধারণ করিলে এশ্ব্য্য বৃদ্ধি হয়। এই রত্ব পক হইলে বজ্- বর্ণ হইয়। থকে।

০০

রদ্ব-রহস্ক। ১৬৫ ভীত্মরত্ব ভীত্মর়ত্ব বা ভীগ্মমণির উৎপত্তি পরীক্ষার্দির বিষয় গরুড়পুরাণে উক্ত হই- গাছে হিম(লয়ের উত্তর প্রদেশে ইহার জন্ম হয়। ইহার বর্ণ হুপ্ধাপেক্ষাও শুরুবর্ণ এবং ইহা এক প্রকার বিষপাথর মধ্যে গণ্য “হিমবত্যুত্তরে দেশে বীর্ধ্যং পতিতং হুরদিষস্তম্ত। সম্প্রাপ্মুত্তম|নাম।করতাঁং ভীম্মরভ্ানাম্‌ ॥৮ হিমালয়ের উত্তরবর্তী দেশে সেই অস্থুরের বীর্যা পতিত হুইয়াছিল। তাহ! হইতেই সেই দেশে অত্যুত্তম ভীম্বরত্বের আকর সকল উৎপন্ন হইয়াছে “শু্লাঃ শঙ্খীজ্জনিভাঃ শ্রোন।কসন্নিভাঃ প্রভাবস্তঃ | প্রভবস্তি ততশ্তরুণ। বজুনিভ! ভীম্মপাঁষাণাঃ ॥” শু্রবর্ণ শঙ্খ পদ্ম তুল্য আভা বিশিষ্ট, কতক শোণ।লুপুপ্পের ন্যায় ছ্যাতিবিশিষ্ট, এবং তরুণ অবস্থায় হীরকের স্তাঁয় তেজস্বান্‌ ভীম্মমণি সকল প্রাদুভূত হইয়া থাকে “হিমা্রিগ্রতিবন্ধং শুদ্ধমপি শ্রদ্ধয়া বিধত্তে যঃ। ভীম্মমণিং গ্রীবাদিযু সম্পদং সর্বদা! লভতে গুণযুক্তস্ত তণ্তৈব ধারণাবুনিপুজব। বিষাণিতানি নশ্তস্তি সর্বান্ঠেব মহীতলে ব্ষমা না বাঁধতে যে তমরণ্যনিবাসিনঃ সমীপেহপি। দ্বোপিবুকশরভকুগ্জরসিংহব্যা ঘ্বাদয়ে। হিংআঃ তস্তে(খকবলিতকৃতিনেো! ভবস্তি ভয়ং নচাপি সমুপস্থিতম্‌। ভীম্মমণিগড ণযুক্তঃ সম্যক্‌ সম্প্রাপ্তাঙ্ুলিত্রিতয়ঃ। পিভৃতর্পণে পিত ণাং তৃপ্তির্বহৃবাধিকী ভবতি শাম্যস্তযভূতান্তপি স্পাগুজাখুবুশ্চিকবিষাণি। সলিলাগিবৈরিতস্করভয়ানি ভীমানি নশ্তস্তি সৈবালবলাহকাভং পরুষং পীতপ্রভং 'প্রভাহীনম্‌। মলিনহ্যতিং বিবর্ণং দূরাৎপরিবর্জয়েৎ প্রাজঃ মূলযং প্রকল্প মোং বিবুধবরৈরে শকালবিজ্ঞানাৎ দুরেভূতা নাং ব্ছু কিঞ্ধিন্নিকট প্রন্থতানাম্‌।” গরুড়পুরাণ

&১

5৩৬ রত-বুহস্ট

যে ব্যক্তি হিমপর্বতসমুদূত বিশুদ্ধ ভীগ্মমণি শ্রত্ধাপূর্বক গ্রীবাদি স্থানে ধাঁরণ করে সে সর্ধকাঁলে সম্পৃত্তি লাভ করে।

হে মুনিশ্রেষ্ঠ! সেই গুণসম্পন্ন ভীন্মমপি ধারণ করিলে তন্বরা পৃথিবীতে যা প্রকার বিষ আছে তৎসমস্তই নষ্ট হয়।

ভীষণ অরণ্যচর হিংঅ-জন্র! সমীপাগত হইয়াও সেই মণিকে অতিক্রম করিতে পারে না। অর্থাৎ ভীম্মমণিকে ব্যান্রাদি জন্তরাও ভয় করে।

ভীম্মরত্ব-ধারণকর্তার কোন ভয়ই উপস্থিত হয় ন!। গুণযুক্ত ভীন্মমণি অন্থবলি- ত্রয়ে ধারণ করিয়া পিতুলে।কের উদ্দেশে তর্পণ করিলে পিতৃলে।কের ব্হুবর্ষব্যাপিনা তৃপ্তি হয়।

সর্প, বুশ্চিক, অণ্ডজ আখু অর্থাৎ ইন্দুরের বিষ এতত্ারা নষ্ট হয় এবং ভয়- স্কর সলিলভয়, অগ্রিভয় চৌরভয়্ থাকে না।

পণ্ডিত ব্যক্তি সৈবাল বকবর্ণ, কর্কশ, পীতাভ, নিশ্রভ, মলিন, বিবর্ণ ভীম্মমণি দূরে পরিত্যাগ করিবেন।

বিজ্ঞ ব্যক্তিরা ইহার দেশ, কাল পাত্র বিবেচনা! করিয়। মুল্যাবধারণ করি" বেন। দূরোৎপন্ন হইলে কিছু অধিক মুল্য এবং নিকটে (ৎপন্ন হইলে কিছু অগ্গ- মূল্য নির্ণয় করিবেন।

পুলকমণি।

ইহাও এক প্রকার প্রস্তর এবং রত্রমধ্যে গণ্য ইহার ভাষা নাম কি তাহা আমর! জানি না।* পরন্ত কেহ ইহাকে স্বল্পরত্ব মধ্যে কেহ বা উপরত্ব মধ্যে নিবিষ্ট করিয়াছেন ইহার দোঁষ, গুণ পরীক্ষা অন্য কোন গ্রন্থে দেখা যায় না, কেবল একমাত্র গরুড়পুরাণ হইতেই ইহার যৎকাঞ্চৎ বুস্তান্ত জ্ঞাত হওয়! যায়। যথা “পুণ্যেযু পর্ধতবরেষু নিয়গানু স্থানাস্তরেষু চতথোততরদেশগত্বাৎ। সংস্থাপিতাশ্চ নখর। ভূজগৈঃ গ্রকাশং সম্পূজ্য দানবপতিং প্রথিতে প্রর্দেশে ॥*

%* বিশেষ চেষ্ট! করিলে গোরী, পিটোনিয়, মোদ।- প্রভৃতি আঁখুনিক নানা নামের প্রন্তর হইতে কোন এক অনাতম নাম ঠিক করিয়। লওয়! যাইতে পারে।

৩৬৪

বত্বপ্বীহ্্ত ৯৩৭

“দ্বশার্ণবাগৰবমেকলকা'লগাদো।

গুঞ্জজনক্ষৌদ্রমণালবর্ণাঃ | গন্ধর্ব্ববহ্নিকদলীসদৃশাবভাস৷

এতে প্রশস্ত পুলকাঃ গ্রস্তাঁত ॥৮ “শাঙ্ঘ|জভ্ঙগকবিচিত্র ভঙ্গাঃ

শৃত্রেরপেতাঃ পরমাঃ পবিভ্রাঃ। মঙ্গল্যযুক্তা বহুতক্তিচিত্র

বৃদ্ধিপ্রদ।স্তে পুলকা ভবস্তি ॥” “কাকশ্বরাসভশৃগা লবুকীগ্ররূপৈ-

গুটৈঃ সমাংসরুধিররমুখেরুপেতাঃ। মৃত্যু প্রাস্ত বিদিষ! পরিবর্জনীয়।

মূল্যং পলস্ত কথিতঞ্চ শতানি পঞ্চ ॥”

ভুজঙ্গগণ সেই দানবপতিকে সম্যক্‌ পুজা করিয়া! তদীয় নখ সকল পুণ্যজনক পর্বতে, নদীতে অন্তান্তি বিখ্য।ত স্থানে স্থাপন করিয়াছিল; সেই কারণে সেই স্থানে পুলকমণি প্রাদৃভূতি হইয়া থাকে

দশার্ণদেশ, বাগদব অর্থাৎ বোগদদাৎ দেশ, মেকল কাঁলগ! প্রভৃতি দেশে যে কুচফলের কৃষ্ণতাগের স্তায় কৃষ্কব্্ণ, মধুপিজলবর্ণ, মৃণালবর্ণ, গন্ধব্ব ( এক প্রকার উদ্ভিজ্জ ) বর্ণ, বহ্নিবর্ণ (অল্প লোহিত শুরুবর্ণ) কদলীবর্ণ পুলকমণি উৎপন্ন হ্য়, সে সমস্তই প্রশংসনীয়। আর যাহা শঙ্খনর্ণ, পদ্মাবর্ণ, ভূঙ্গবর্ণ, অর্কবর্ণ বিচিত্রাঙ্গ,__তাহও পবিত্র, মঙ্গলাঁবহ উত্তম। এবম্প্রকারের সমস্ত পুলকই নৃদ্ধিকর বলিয়া উক্ত আছে।

কক, কুদ্কুর, গদ্দিভ, শুগাল, ক্ষুত্র ব্যান্ব গৃধের রক্তমাংসবিলিগু মুখের গ্টায় উগ্ররূপ পুলক সকল মৃত্যুকারক, নিমিত্ত জ্ঞানী ব্যক্তি তাহা দুরে পরিহার করিবেন। এই মণির মুল্য প্রত্যেক পলে ৫০* শন টাঁকা (তৎকালের মুদ্রা বলিয় ) নির্দিষ্ট আছে।

৩০$%

১৮ রত-রহ্ষ্ঠ |

পরিশিষ্ট

স্তমস্তকোপাখ্যানম্‌ 1*

শুক উবাচ।

“আ সীৎ সত্রাজিতঃ সুধ্য-ভক্তশ্চ পরম: সখা। প্রীতস্তন্মৈ মণিং প্রাদাৎ তুষ্টঃ স্তমস্তকম্‌ তং বিভ্রন্মণিং কণ্ে ভ্রাজমানো যথা রবিঃ। প্রবিষ্টোদ্বারকাং রাজন্‌ তেজসা নোঁপলক্ষিতঃ। তং বিলোক্য জন দূরাঁৎ তেজসা মুষ্$দৃষ্টয়ঃ | দিব্যতেহক্ষৈর্ভগবতে শশংস্ঃ সুর্য শঙ্কিতাঁঃ এষ আয়াঁতি সবিতা ত্বাং দিদুক্ষুর্জগৎপতে মুষ্$ন্‌ গভস্তিচক্রেণ নৃণীং চক্ষুংষি তিশ্মণ্ডঃ নিশম্য বালবচনং প্রহস্ত।ম্বজলোচনঠ |

প্রাহ নাসৌ রবিদে'বঃ সত্রাজিন্মণিন! জলন্‌ দিনে দিনে স্বর্ণাভারানষ্টৌ৷ গজতি প্রভো। দুিক্ষমার্য্যরিষ্টানি সর্পাধিব্যাধয়োহশুভাঃ

লস্তি মায়িনস্তত্র যত্রান্তেভ্য্চিতো মণিঃ |

যাঁচিতোমণিং কাপি যছ্রাজায় শৌরিণা নবার্থকামুকঃ প্রাদাৎ যান্রভঙ্গমতর্কয়ন্। তমেকদা মণিং কণ্ঠে প্রতিষুচ্য মহা প্রভম্‌

পা পপ

* ভাগবতে বিফুপুয়াণে সামস্তক-সশিসম্বদ্ধে একটি দীর্ঘ উপাখ্যান আছে বিফু- পুরাপৌক্ত উপাধ্যানটা কিছু অধিক বিস্তীর্ণ এবং ভাগবতোক্ত উপাখ্যানটী তদপেক্ষ। সংক্ষিপ্ত বিশেধ প্রয়োজন নাই বলিয়া! আমরা ভাগবতো কত সংক্ষিপ্ত উপাখ্যানটাউদ্ধ করিলাম এবং তাহার বঙ্গানুবাদও সংযোজিত করিলাম আচার্য্য হেমচন্ত্র লিখিরাছেন যে, স্যমস্তক শ্রীকৃওফার হত্তমণি অর্থাৎ শ্রীকৃক উহা হস্তে ধারণ করিতেন যথা--“মপিঃ স্তসস্তকোহত্তে ভুজমধ্যে তু কৌন্তঃ পরস্ত বিফুপুরাণে ভাগবতে দেখ! যায় যে, শ্রীকৃফ উহ! গ্রহখ ককেন নাই মুজপ্রস্তাব পাঠ

ফরিটলই পাঠক্তর্গ উহার লমুগর বৃত্তত্ত জাত হইতে পারিষেন। শঙ্কা

৩৬৭

রত্র-রহস্কয। প্রসেনোহয়মারুহু মৃগয়াং ব্যচরন্‌ বনে।

'প্রসেনং সহয়ং হত! মণিম।চ্ছিপা কেশরী

গিরিং বিশন্‌ জান্ববত1 নিহতোমণিমিচ্ছত

সে|হপিচক্রে কুমারন্ত মণিং ক্রীড়নকং গলে অপশ্ঠন্‌ ভ্রাতরং ভ্রাত! সত্রাজিৎ পর্যতপ্যত। প্রায়ঃ কৃষ্ণেন নিহতোমণিগ্রাবে বনং গতঃ

ভ্রাতা মমেতি তৎ শ্রত্বা কর্ণে কর্ণেহজপন্‌ জনাঃ | ভগবা-স্তহপশ্রত্য ছুর্যশেলিপ্তমাত্বনি

মাষ্টং প্রসেনপদবীমন্বপদ্যত নগরৈঃ |

হতং প্রসেনমশ্বঞ্চ বীক্ষ্য কেশরিনা বনে তমড্রিপৃষ্ঠে নিহত-মৃক্ষেণ দদৃশুর্নাঃ | খক্ষরাজবিলং ভীম-মন্ধেন তমসাবৃতম্‌

একোবিবেশ ভগবানবস্থাপ্য বহিঃ প্রজাঃ। তত্র দৃষ্ট। মণিশেষ্টং বাঁলক্রীড়নকং কৃতম্‌ হর্ভং কৃতমতিস্তন্মিন্নবতস্থেই্ডকাস্তিকে। তমপূর্বং নরং দৃষ্টা ধাত্রী চক্রোশ ভীরুবৎ তং শ্রত্বাভ্যদ্রবৎ তুদ্ধো জান্ববান্‌ বলিনাং বরঃ। বৈ ভগবতা তেন যুযুধে শ্ব'মিন।আনঃ

আসসীত্তদষ্টবিংশাহ-মিতরেতরমুষ্টিভিঃ |

ক্ষীণসত্ঃ ্ষিল্নগাত্রস্তমাহ।তীব বিশ্মিতঃ

জানে ত্বাং সর্বভূতানাং প্রাণা ওজঃ সহো! বলম্‌। বিষুরং পুরাণপুরুষং প্রভবীষুমধীশ্বরম্‌

ইতি বিজ্ঞাতবিজ্ঞান-মৃক্ষরাঁজানমচ্যুতঃ | ব্যাজহার মহারাজ ভগব!ন্‌ দেব্কীস্থৃতঃ

মণিহেতোরিহ প্রাপ্ত বয়মুক্ষপতে বিলম্‌। মিথ্যাভিশাপং প্রমূজন1তবনে! মণিনামুন! ইত্যুক্তঃ স্বাং ছুহিতরং কন্তাং জান্ববতীং মু! অর্হনার্থং মণিন! ক্ৃষ্ণায়োপজহার সঃ

১৪৯ রতরপ্রহন্।

সত্রাজিতং সমাহ্‌য় সতায়াং রাজসন্গিধৌ প্রাপ্তিথখ্যা ভগবান্‌ মণিং তন্মৈ হ্যাবেদয়ৎ সোহনুধ্যায়ংস্তদেবাঁঘং বলবছিগ্রহাকুলঃ। কথং মৃজাম্যাস্মরজঃ প্রসীদেছাহচ্যুতঃ কথম্‌ এবং ব্যবসিতোবুদ্ধ্। সত্রাজিৎ স্বন্ুতাং শুভাম্‌। মণিঞ্চ হ্বয়মুদাম্য কষ্ণায়োপজহার সঃ ভগবানাহ মণিং প্রতীচ্ছ।মোবয়ং নৃপ। তবাস্ত দেবভক্তস্ত বয়ঞ্চ ফলভাগিনঃ শ্রীভাগবত, ১০, ৫৬।

স্তমন্তক মণির ইতিহাস

শুকদেব কহিলেন, মহারাজ !

হুর্য্যৌপাঁসক কুর্য্যভক্ত সত্রাজিৎ নামক জনৈক যাদব ছিলেন। সুর্য্যদেব সন্ত হইয়! তাহাকে শ্তমস্তক নামে এক মণি প্রদান করিয়াছিলেন 1*

সত্রাজিৎ এক দিন সেই মণি কণ্ঠে ধারণ করিয়া, হুর্যের নায় দেদদীপামান হইয়] ছ্বারকাপুরে প্রবেশ করিয়/ছিলেন। ভিনি মণি-কিরণে এরূপ দেদীপামান হইয়াছিলেন যে, দূরস্থ লোকের! তাহাকে সত্রাজিৎ বলিয়া বুঝিতে পারে নাই।

মণিতেজে-অভিভূতৃষ্টি বালকের! তাহাকে দূর হইতে দেখিয়া কুর্ধ্য মনে করিল। ভগবান্‌ বাগ্দেব পাশ-ক্রীড়া করিতেছিলেন, বালকের! তাহার সমীপন্থ হইয়া উক্ত সংবাদ বিজ্ঞাপিত করিল

বালকের গিয়া বলিল, জগৎপতে ! সুর্য্যদেব স্ীয় কিরণাঁবলির দ্বারা লোকের চক্ষু অভিভূত করত আপনার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিতেছেন।

ভগবান্‌ পুণ্ডরীকাক্ষ বালকবৃন্দের পে কথা শুনিয়! হান্ত সহকারে কহিলেন, তিনি হূর্য্য নহেন-_সত্রাজিং | সত্র/জিৎ মণির গ্রভাবে উক্ত প্রকারে উজ্জ্বলিত

হইয়া থাকে

* বিষুপুরাণোক্ত উপাখ্যানে বর্ণিত হইয়াছে যে, হুরধ্য উহা সমুস্ত্রতীরে প্রদান করেন-_ অর্থাৎ সত্রাজিৎ উহ ন্বে্টদেবতার প্রসাদে সমুত্রে পাইয়াছিলেন

পপ পাস

৩০৮

রত -রহ | ১৪৯

সেই মণি প্রতিদিন ভার * সুবর্ণ হি করিয়া থাকে এবং সেই মণি যেস্থানে পূজিত হইয়া! থাকে, সেম্থানে ছুর্ভিক্ষ, মরক, উৎপাত, রোগ, শোক, সর্পভয় প্রভৃতি কোন অমঙ্গল থাকে না। মায়াবী প্রতারক লোকেরাও তথায় বস করিতে পারে না।

স্রীকুষ্ণ কোন এক সময়ে রাঁজ1 উগ্রসেনের নিমিত্ত সত্রাজিতের নিকট উহ! চাহিয়াছিলেন ; কিন্তু অর্থলোভী সত্রাজিৎ তাহ! তাঁহাঁকে প্রদ্দান করেন নাই। রুষ্ণের প্রার্থনা ভঙ্গ করিলে যে দে।ষ হইবে তাহা তিনি তৎকাঁলে মনে করেন নাই।

সত্র(জিতের ভাতা প্রসেন একদিন সেই মহা প্রভান্বিত মণি কণ্ঠে ধারণ করিয়। মুগযার নিমিত্ত অশ্বাবোহণে বনভ্রমণ করিতেছিলেন, এমন সময়ে এক মহাসিংহ অ।সিয়! তাহাকে তাহার অশ্বকে 'বনাশ করিয়! সেই চাকচিক্যময় অদ্ভুত মণি- থণ্ড লইয়! পর্বতো পরি পলায়ন করিল

খক্ষরাজ জাগ্ববান্‌ যদৃচ্ছাক্রমে তথায় আগমন করিয়াছিলেন। তিনিও সেই মণিলোভে সিংহকে বিনাশ করিলেন এবং সেই মণিটী লইয়া স্বীয় শিশু-আত্মজের কতৃষ। করিয়া দিলেন। |

এদিকে সত্রাজিৎ ভ্রাতা প্রসেনের অনাগমনে নিতাস্ত পরিতপ্ত হইয়া এই বলিয়া! বিলাপ করিতে লাগিলেন যে, আম।র ভ্রাতা মণিগ্রীব হইয়া বনে গিয়াছিল, হয় রুষ্ণই মণির লোভে তাহার প্রাণসংহার করিয়াছেন

সত্রাজিতের এই বিরল বিলাপ ক্রমে লোকের কর্ণগেচির হইল। ক্রমে সকল বাক্তিই প্র কথা লইয়া কর্ণাকর্ণি করিতে লাগিল এবং ক্রমে কৃষ্ণও তাহ! শুনিলেন।

কৃষ্ণ নিতান্ত পরিতপ্ত হইয়। সেই অপযশ মার্জটনের উদ্দেশে নাগরিক লোঁক- দিগকে সঙ্গে লইয়! প্রসেন যে পথে গিয়াছিল--সেই পথ অবলম্বন কারয়! চলিলেন।

সকল ব্যক্তিই বনপ্রবেশ করিয় দেখিল, প্রসেন প্রসেনের অশ্ব সিংহকর্তৃক

+* ২* তোলায় এক ভার। ভারে ১৬* তোল! ভাবার্থ এই যে, বিপুল ধনাগমের সময় নিতান্ত উন্নতির সমর ভিন্ন উহা! কাহারও হন্তগত হয় না। **কহিন্ুর্‌” মণিই ইহার দৃষ্টান্ত টি ৬৪০

১৪৭ রত্ধ-রহু |.

বিন হইয়া! পতিত আছে। অনন্তর তাহার! কিয়দ্রে গিয়। দেখিল। সেই ফিংহও এক ভন্তুককর্তৃক হত হইয়া পর্বতোপরি নিপতিত আছে এবং সেই স্থানে এক ভয়ঙ্কর অন্ধকার-পরিপূর্ণ বৃহৎ ভন্নুকের গর্ভও আছে। তদ্দর্শনে শরীর সঙ্গী লোকদগিকে সেই স্থানে রাখিয়! একাকী সেই অন্ধতম- সাচ্ছ্ন তন্লুক-গর্ডে প্রবেশ করিলেন এবং কিয়দ্দ,র গমন করিয়! ভন্গুকেন্জ জাম্ববানের পুরী দেখিতে পাইলেন সেখানে গিয়া দেখিলেন যে, সেই মণিরাঁজ এক বালকের কণ্ঠে ক্রীড়নক ( খেলন! ) হইয়া আছে। দেখিবামাত্র তিনি তাহা কাড়ি! লইবার উদ্দেশে বালকের নিকটস্থ হইলেন বালকের রক্ষিকা ( ধাত্রী) সেই আশ্চধ্য মন্ুষ্কে দেখিয়া ভয়ে কাদিয়্ উঠিল। বলিশ্রেষ্ট জান্ববান্‌ তাহ! শুনিতে পাইয়া ক্রোধে তদ্দভিমুখে দৌড়িয়া আমিলেন এবং আপনার প্রভু ব1 ইষ্টদেব ভগবান্‌ কৃষ্ণের সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন অষ্টাবিংশতি দিন বাহুঘুদ্ধ হইল। ২৮ দিনের পর জান্ববান্‌ দুর্বল হুইলেন। তাঁহার গাত্রে ঘর্ম জন্মিল, তিনি তখন বিশ্রয়াবিষ্ট হইয়া! কৃষ্ণের শ্তব করিতে ল।গিলেন। আমি জানিলাম আপনি সর্ধভূতের প্রাণ, তেজ বলম্বরূপ। আপন্ন সেই পুরাতন পুরুষ বিস্ু। আপনি সেই প্রভুর প্রভু সর্ধজগতের অধিষ্ঠাতা পরমেশ্বর খক্ষরাজের যখন উক্তপ্রকার জ্ঞানোদ্য হইল, শ্রীকুষ্ণ তখন তাহাকে বলিতে লার্গিলেন। হেখক্ষরাঁজ ! প্র মণির জন্য আমি এই গর্ভমধ্যে আসিয়াছি। এই মণি লইয়া! গিয়া আমি আমার মিথ্যা কলঙ্ক দূর করিব। ভগবান্‌ শ্রীকৃষ্ণ এই প্রকার বলিলে জান্ববান্‌ হষ্ট হইয়! শ্রীকুষ্ণকে আপনার সর্বাজ সুন্দরী জান্ববতী নামী হৃহিতা দেই মণি উপহার প্রদান করিলেন - অনস্তর তগবান্‌ শ্রীরুষ্ণ সত্রাজিৎকে রাজসভা! মধ্যে আহ্বান করিয়া, যেরূপে সেই মণি পাওয়। গি্জাছে তদন্ত ব্ণনপূর্বক স্ঠীহাকে দেই মণি প্রদান করিলেন। * এলআছিৎ মণি পাইলেন বটে; কিন্তু তাহার মনে ঘোরতর চিন্তা ব্যাকু- ১৪

বত্ব-রহস্ত | ১৪৩

লতা উপস্থিত হইল। তিনি যে শ্রীকৃষ্ণের উপর অকারণ মিথ্যা কলঙ্কার্পণ করিয়াছেন এবং অতি বলবানের সঙ্গে তাছার যে বিরোধ উপস্থিত হইলঃ ইহাই ভাবিয়া তিনি বাাাকুলচিত্ত হইলেন কিরূপেইব৷ আমি আত্মাপরাধ ক্ষালন করি? এবং কি কার্য করিলেই বা শ্রীকৃষ্ণ প্রসন্ন হন ? এইরূপ বহু- চিন্তার পর তিনি আত্ম-কর্তব্য-নিশ্চয়পুর্ব্বক শ্রীকৃষ্ণকে সত্য ভাম। নাকী কন্ঠ প্রদান করিলেন যৌতুকম্বরূপে সেই মণিও তাহাকে প্রদান করিলেন।

ভগবান্‌ শ্রীকৃষ্ণ সত্যভামার পাণিগ্রহণ করিলেন বটে, পরস্ধ মাণটী লইলেন না। বলিলেন, রাজন! আমি মণি গ্রহণে ইচ্ছুক নহি। ইহা আপনারই থাকুক। আপনি দেবভক্ত অর্থাৎ ধার্মিক ; আপনার নিকট থাকিলেই আমর! ইহার ফলভাগী হইব। *

কৌস্তভোৎপত্ভিঃ +

সৌতিরুবাচ। খু স্ মন্থানং মন্দরং কত্বা তথা নেত্রঞ্চ বাস্থকিম্‌। দেব! মথিতুমারন্ধাঃ সমুদ্রং নিধিমস্তসাম্‌ অমৃতার্থং ততো ব্রহ্মন্‌ তথৈবান্থরদানবাঃ | একমন্তমুপা শ্লিষ্টা নাগরাজ্ঞে মহাস্থুরাঃ | বিবুধাঃ সহিতাঃ সর্ব যতঃ পুচ্ছং ততঃ স্থিতাঃ॥ টি সঃ নারায়ণবচঃ শ্রত্ব। বলিনন্তে মহোদধেঃ | তৎ পয়ঃ সহিতা ভূয়শ্চক্রিরে ভূশনাকুলম্‌

পপ পপ শা কপ শা

* অতঃপর সেই মণি কিছু দিন অক্র,রের নিকট ছিল। কিছু দিন শ্রীকৃষ্ণের হস্তে বিধৃত হইয়াছিল। শ্রীকৃষের মৃত্যুর পর দ্বারকার পূর্ব প্রদেশধাসী দহ্থযরা (ভিলজাতি ) তাহ। অপহরণ করিয়াছিল কেহ বলেন, তাহা পাণগুবগণকর্তৃক হস্তিনায আনীত হইয়াছিল) বস্ততঃ তাহাক় প্রকৃত তথ্য কিছুই জানা যায় না।

1 মহামুনি ব্যাস মহাভারতীয় আদিপর্বেব অমৃত-মম্থন-কথা প্রসঙ্গে কৌন্তভমণির উৎপত্তিকথ। বলয়াছ্েন। এস্থলে স্ব প্রস্তাবের ধহুল অংশ পরিত্যাগ করিয়! উপযুক্ত অংশটুকু লিখিত হইল ৩১১

৪*%

১৪৪ রত্বস্রহস্তা |

| ততঃ শতসহজাংগুন্থ্যষানাতৃ,সাগরাৎ।

প্রসন্নাত্মা সমুৎপন্নঃ সোমঃ সীতা ংশুরুজ্জলঃ শ্রীরনস্তরমুৎপন্। ঘ্ৃতাৎ পাগুরবাপিনী | * স্থুর! দেবী সমুৎপন্না তুরগঃ পাগুরস্তথা। কৌন্ততস্ত মণির্দিব্য উৎপনে। ঘ্ৃতসস্তবঃ |

মরীচিবিকচঃ শ্রীমান্‌ নারায়ণ উরোগতঃ 1 টি

“কৌ্তভন্ত মহাতেজ!ঃ কোটিস্ধ্যসম প্রভঃ 1৮

কৌ স্তুভ্মণির ইতিবৃত্ত সৌতি কহিলেন,__ রঃ অনন্তর দেবগণ মন্দর-পর্বতকে মন্থদণ্ড নাগরাঞ্জ বাস্থকিকে মন্থরজ্জু করির! জলনিধি সমুদ্রের মন্থন আরম্ত করিলেন। হে ব্রহ্মন! অনস্তর অমৃতাথী অস্থরগণ সেই নাগরাঁজের শীর্ষদেশ এবং গ্বেৰবগণ তাহার পুচ্ছদেশ ধারণ করতঃ স্থিত হইলেন

ঝা

অনস্তর বিষণ-বাক্য শ্রবণ করিয়।, বিষ্ণতেজে তেজীয়ান্‌ সেই সকল দেব অনুর পুবর্বার মকরালয় সমুদ্রকে আলোড়িত করিতে লাগিলেন।

অনন্তর সেই মথ্যমান সমুদ্র হইতে শতসহত্র কিরণযুক্ত উজ্জ্বল প্রসন্ন- স্বভাব চন্জ উৎপন্ন হইলেন।

তৎপরে সুশুভ্রবসনধারিণী লক্ষ্মী, সুরা-দেবী, উচচৈঃশ্রবা নামক অর উৎপন্ন হইল

তৎপরে কিরণোজ্জল শ্রীসম্পন্ন দিব্য কৌন্তভমণি উৎপন্ন হইল এবং তাহা ভগবান্‌ নারায়ণের উরোভূষণ হইল। এই কৌত্তভমণি মহাতেজন্বী এবং কোটি সুর্যের স্তায় প্রভাশালী

উস সপ আপ বা পগ পন আসি শা সপ পাপিপকসাাখ সস আট ০০৮ দন ৯৯০৮৮ ০৯ পাকা স্্ পি পপি, পাপী? পপ আসার পল ৫৮৯৪ সপ

: *স্ৃতং জলং তল্মাৎ শ্রীরুৎপন্না। ভ্রমৌষধিরসাঁৎ জলন্য ক্ষীরত্বং ততোঘুতমিতি ক্রমেণ গায়দমাজং বিষক্ষিতম্‌। , $ মরীচিষিকচঃ রশ্মিভিরুজ্বলঃ নারায়ণ উরোগত ইতাত্র সন্িরার্ধঃ |

৩১ৎ

বতুস্রহত্ঞ | ১৪৫

রত্বালঙ্কার | পুর্বকালে যে সকল রত লঙ্কার ব্যবহৃত হুইত, তন্তাবতের একটী সবিবরণ- তালিক! প্রদত্ত হইতেছে অমরবিবেক, মানসোল্লাস * হেমকোষ তষ্টীক! হইতে সংগ্রহ করিয়৷ 'প্রথষতঃ রমণীদিগের ভিসিট: বা মন্তকাভরণগুলির বর্ণনা করা যাইতেছে

শিরোলক্কার। [ গর্ভক-_-ললামক-_বালপাশ্ত__পারিতথ্য--হংসতিলক-_দণ্ডক-_চুড়ামণ্ডন _-চুঁড়িক! লম্বন। ] . গর্ভক ব৷ প্রত্রষ্টক ।-

প্গর্ভকঃ কেশমধ্যগম্‌।”” বন্ধন দৃঢ় রাখিবার জন্ত কেশের মধ্যে এক প্রকার কাট! প্রবেশ করাইয়া থাকে, তাহার নাম গর্ভক। ললামক ।-- £শিখালঘি পুরোন্তস্তং যন্তজজ্ঞেরং ললামকম্।” চুল বাঁধিয়া তাহার মূলদেশে আবদ্ধ অথচ সন্মুখভাগে বিন্যস্ত অর্থাৎ ঝুলিতে থাকে, এরূপ অলঙ্কারকে ললামক বলা যাঁয়। ্‌ বালপাশ্ত “প্রথমং বালবন্ধনং+ চুলে যে পাশারাত রত্বালঙ্কার জড়ান হয়, তাহার নাম বালপাশ্ঠ | পারিতথ্য ।__ “সীমন্তভূষণং তদ্বং পারিতথামুদাহৃতম্‌ ।"+ তন্্রপ প্রকারের সীমস্তভৃষণের নাম পারিতথ্য ইহার ভাষ! নাম “শি খি”। হংলতিলক ।-- “অশ্বথপত্রসংস্ক।শং গুবর্ণেন বিনিন্দিতম্‌ | মাণিক্য ব্রথচিতমায়তৈশ্ৌক্তিকৈধু'তম্‌

* এই মানসোলাস গ্রন্থ চালুক্যবংশীয় রাজ! সোষেশ্বরকৃত এই মোমরাজ ফোন্‌ সময়ে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহ তাহার পুস্তক দ্বারা জান! বার না। কিন্ত ভোবরাজ স্বকৃতযুক্তি- কল্সতরু গ্রন্থে “প্রোক্জং দোম-মহীভূত।” বলিয়। এক সোমরাজের উল্লেখ করিয়াছেন এই মোন আর মানসোল্লাম গ্রন্থকার সোম যদি এক ব্যক্তি হন, ? তাহা হইলে মানমোল্লাস গ্রন্থকার ভোজ- রাজের মমকালিক ঘ| কিঞ্চিৎ পূর্ধবকালবর্তা। ভোজরাজ আনুমানিক খ্রীন্ঠীয় ১*ম শতাব্বীতে

বর্তমান ছিলেন ৩৯৩

২৪৬ বত্বস্রহহ্য

তর মুক্তাফলৈঃ পার্শবৈঃ *** ** বিরাজিতম্‌। তাত্যাং বহির্ধবরালাভং নানারত্বৈঃ গ্রকল্পয়েৎ। তরপ্ধং বজ্রমাণিক্য-মৌক্তিকৈঃ কৃতবন্ধনম্‌। তদিদ্ং হংসতিলকং যোধিৎসীমস্তভূষণম্‌ ॥* অশ্বথপত্রাকৃতি, মণিমুক্তাথচিত, সুবণ নির্মিত শিরোভূষণের নাম হংসতিলক | ইহা! এক্ষণকার পান্পাত, নামক চুঁলফুলের স্তায় ছিল। দও্ডক | “কণৎকাঞ্চনপট্টেন পিনদ্ধং বলয়াকৃতি। মুক্তা'জীলম্তদৃদ্ধে” কৃতং দণ্ডকমুচ্যতে ॥৮ .শব্দায়মান স্বর্ণপত্রে পিনদ্ধ অর্থাৎ গাথা, উচ্চভাগ মুক্তাজালে বিজড়িত, এরূপ বলয়াকৃতি শিরোভূষণকে দণ্ডক নাম দেওয়। হয়। (অদ্যাপি হিন্দুস্থানে ইহার ব্যবহার আছে, পরস্ত তাহার তদেশীয় ভাবা নাম জ্ঞাত নহি )। চূড়ামণ্ডন ।-_ “ক্রমশোবদ্ধমানং তৎ চূড়ামগ্ুনমুত্তমম্‌। কেতকীদ্লসংকাশং কণৎকাঞ্চনকল্িতম্‌। দগ্ডকন্তোদ্ধ ভাগন্ত ভূষণং তছ্‌দাহৃতম্ ॥” সেই দগুকের উপরিভাগের শোভার্থঃচুড়ামগ্ডন নামক অত্যুত্তম অলঙ্কার কল্পিত হইয়া থাকে ইহা স্বর্ণের দ্বার! নিন্দিত এবং ইহার আকার কেতকী* পুষ্পের দলের হ্যায়। চুঁড়িক 1 ৃঁ “সৌবর্ণেঃ কল্পিতং পদ্মং নানারত্ববিরাজিতম্। চুড়িকা পরভাগন্ত ভূষণং পরিকীর্তিতম্‌॥” স্বর্ণের দ্বারা পদ্ম বা তৎসদৃশ পুষ্প নির্মাণ করিয়া নানা প্রকার রত্বের দ্বারা খচিত করিলে তাহ! চুড়িকা নাম প্রাপ্ত হয়। এই চুড়িকা। নন্তকের পরভাগের ভূষণ। (কেহ কেহ বলেন, পুরোভাগের ভূষণ )। লম্বন ।-- “সৌবর্ণেঃ কুন্থমৈঃ ক৯্গং মুক্তাসরসমন্থিতম্‌। বহম্মাণিক্যনীলৈশ্চ লম্বনং চুড়িভূষণম্‌ ॥৮ ছোট ছোট নসোণার ফুল, তাহাতে. ছেটি ছোট মুক্তাহার আবদ্ধ, এবং ৩১৪

বত্ব-রূহ্স্া | ১৪৭

মধা স্থানটা মাণিক্য বাঁ ইন্দ্রনীলযুক্ত। এরূপ ভূষণের নাম লম্বন (ঝুলিতে থাকে বলিয়া! লম্বন ) এবং ইহা পূর্বোক্ত চড়িকার ভূষণ অর্থাৎ ইহা! চুড়িকায় ঝুলান থাকে পূর্বে স্ত্রীলোকের এই সাত প্রকার শিরোভূষণ ধারণ করিত। এক্ষণে ইহা অপেক্ষা সংখ্যায় অধিক হয় নাই, কেখল আকার প্রকার ভিন্ন হুইয়া গিয়াছে। কর্ণাভরণ। [মুক্তাকণ্টক--দিরাজিক--ত্রিরাজিক-_ন্বণমধা-_বজ্ঞগর্ভ-_-ভূরিমগ্ডন-. কুগুল--কর্ণপূর-_কর্ণিক।--শৃঙ্খল-_কর্ণেন্দু। ] মুক্তাকণ্টক ।-_ «“কেধলৈম্মৌক্তিকৈরেব তুল্যপংক্তিনিষেবিতম্। মুস্তাকণ্টকসংজ্ঞস্তৎ কর্ণভূষণমুত্তমম্‌ ॥৮ কেবল মুক্তার দ্বার! মুক্তাকণ্টক নামক উত্তম কর্ণাতরণ প্রস্তুত হর়। উহা! ঠিক সমানাকার মুক্তার পঙক্তিগুচ্ছ। দ্বিরাজিক ।-_- ““ব্লয়দ্বয়বি্তস্তমুস্তাফলবিরাঁজিতম্‌। মধ্যেনীলেন সংযুত্তং দ্বিরাজিকমুদাহৃতম্‌ ॥» স্বর্ণ নির্ষ্মিত বলয়ারুতি ছুই ষ্টনের ছই পার্থ মুক্তা, তন্মধ্যে নীলমণি। এরূপ কর্ণভূষার নাম দ্বিরাজিক। (এক্ষণে ইহা হিন্দুস্থানে “বীর ৰউলী” নামে খ্যাত )। ্বিরাজিক ।-- £“এবং ত্রিরাজিকং প্রোক্তং পুর্ণমধ্যঞ্চ মৌক্তিকং।” তন্দরপ কর্ণাভরণের মধ্যভাগ মুক্তাপূর্ণ হইলে তা ত্রিরাজিক নামে উক্ত হয়। ্বর্ণম্ধ্য | “তত ন্বরমধ্যমা খ্যাতং মুক্তাফলবিভূষণম্‌ 1” সেই কর্ণাভরণ ঘদি দ্বর্ণমধ্য হয়, তবে তাহার নাম ন্বর্ণমধ্য। বজ্রগর্ভ ।-- «মৌক্তিকানি বহিঃ পক্ত্যোস্তদস্তর্নলকং ততঃ বজাণি ততোপ্যন্ত-ব্রগর্তমিতীরিতম্‌ ॥*

ছই পাশে ছুই ছুই মুক্তা-পঙ.ক্তি, মধ্যস্থলে হীরক, তাহাতে রত্ব-নোলক ৩০৫

"১৪৯৮ রতবু-বুহস্ত |

ঝুলান, এরন্টপ কর্ণাভরণের নাম বজ্গর্ভ। ইহার পরিবর্তে এক্ষণে *চৌদানী, বাবহত হইতেছে ভূরিমগন | “এবং বহিঃস্থমু কং'যৎ মধ্যং বজ্ঞশ্চ পূরিতম্‌ 1" মধ্যমাণিক্য সংযুক্তং ভূর্লিমগুনমুচ্যতে ॥* পার্খে মুক্ত!, মধ্যে হীরক, তন্মধ্যে নাণিক্য অর্থাৎ পান্না, এরূপ কর্ণাভরণের নাম ভূরিমগ্ডন কুগুল ।-_ “সোপানক্রমবিন্তস্তং বভ্রপড.ক্তিবিরাজিতম্‌। ষড়ষ্টনেমিভিঃ কাস্তং কুগুলং তৎ প্রচক্ষততে ॥” সোপান ( সি'ড়ী ) পরিপাটার অনুরূপক্রমে গঠিত, হীরক্র পড্ক্তির দ্বার! খচিত কি৮ নেমি অর্থাৎ চক্রপ্রাস্তাকার দ্বারা সুদৃশ্ত, এরূপ কর্ণাভরণকে আলঙ্কারিকের। কুগল বলিয়া! থাকেন। ( এখন কুগুল পর! উঠিয়! গিয়াছে 1) কর্ণপুর 1 ণপুষ্পাককৃতিঃ কর্ণভূষ! কর্ণপুরং প্রচক্ষ্যতে |” পুম্পাককতি কর্ণাতরণের নাম কর্ণপুর। এখনও “পা” ““ঝুম্কা"* প্রতৃপ্তি কর্ণপূরনামক কর্ণাভরণ ব্যবন্ৃত হইতে দেখ যায় কর্ণিক। 1 “কর্ণিক! তাড়পত্রং স্তাৎ ।”” তাড়প্ঞ নামক কর্ণভূষণ আর কর্ণিকা একউ পদার্থ। বি ইহ! “তান্ব্ড়» নামে প্রসিদ্ধ শৃঙ্খল! ।-- “শোধিতেন সুবর্ণেন ক্লচিরেণাতিকাস্তিন! শৃঙ্খলা বিবিধাঃ কার্ধ্যাস্তাটঙ্গকটকানি ॥"+ অতি বিশুদ্ধ স্ুকাস্তি সুবর্ণের দ্বারা নানাবিধ শৃঙ্খল, তাড়ঙ্ক কটক প্রন্তত করিবেক | কর্ণেম্ছ।- “কণেন্দুঃ কর্ণপৃষ্টগঃ কর্ণের পৃষ্ঠদিকে যাহা। স্থাপিত করিতে হয়। তাহার লাম কর্ণেন্দু বালিক!। ৩১৬

বত-বক্স্য | 5৪৪

ললাটভূষণ। ললাটিক। ।__ “পত্রপাশ্ঠ। ললাটিকা1?,

পত্রপাস্থা ললাটিক এই দুই সাধারণ নাম। ফল, নানাপ্রকার ললাট- গুবণ হইয়া থাকে ( পুর্বে ষে টিকা পরিত তাহাই তৎকালের ললাটিক!। এখন আর তাহা পরে না, শিখির ঝোলনা-চাদের দ্বারাই এক্ষণে ললাটিকার কার্ম্য সমাধা হয়

কগভূষণ |%

[ লপস্তিকা,--প্রাল,শ্বকা-উরঃন্ুত্রি কা-_মুক্তাবলী-_-দ্েবচ্ছন্দ---গুচ্ছ--". গুচ্ছ।দ্ব--গোঁন্তন--অদ্ধহার--মানবক-_একাঁললী--নক্ষত্রমাঁল।-_সরি ক।-- বজ্রসঙ্কলিক1।

ললস্তিক1 __

“আনাভিলম্বত। তৃষা লম্বনঞ্চ ললস্তিক1 | নাত পধ্যন্ত লম্ঘত সাধারণ কগভূষার নাম লম্বন ললাস্তিকা | প্রালাশ্বক।-- “স্বণৈ প্রালশ্বিক 1-- তাদৃশ দোণার হার প্রালস্বিক1 নামে উক্ত হয়। উরঃম্থত্র+11-- “উরঃম্ত্রিকা মৌক্তিকৈঃ কৃতা 1১ উক্ত ললস্তিক। যা মুক্ত1 ব্যাপ্ত হয়,তাহ! হইলে তাহাকে উরঃহ্ত্রকা বল। যায়।

মুক্তাবলী। ইহা মুক্তাহারের সাধারণ নাম পরস্ত বরচনাবিশেষে বিশেষ বিশেষ নাম আছে। যথা-_ | দেবচ্ছন্দ ।--

“দেবচ্ছন্দোহসৌ শতবযষ্টিক। 1 শতলতার ুক্তাহারের নাম দেবচ্ছন্দ। ( লতা অর্থাৎ লহর। )

পপপ্পী পপি শ্ণ পাল পাকা শপ সপ পাপা

* ম।নসোল্লাস প্রভৃতি ্রস্থ সর্ব্ধাঙ্গের অলঙ্কারের বর্ণনা আছে, কিন্তু নাঁসিকাভরণের উল্লেখ, নাই ইহাতে বোধ হয় সহস্রাধিক বর্ষ পুর্ধে এতদ্দেশের নারীজাতীর [মধ্যে ইয়ুরোপীয় মহিলা- দিগের হ্যায় নাসিকাভরণ বাখহারের প্রথ। ছিল না, থাকিলে অবশ্তই ফোন না কোন প্রকার উল্লেখ খাকিত।

৩৯৭

১৫০ রত্ব-রহুস্তা |

গুচ্ছ ।--- 'দ্বাত্রিংশদ্‌ যষ্টিকে1 গুচ্ছঃ | ৩২ লহর মুক্তাহারের নাম গুচ্ছ। গুচ্ছান্ধ ।-__ “চতুর্ব্িংশতিযষ্টিকো-গুচ্ছ দ্ধঃ 1১ ২৪ লহর মুক্তাহার গুচ্ছাদ্ধ নামে খ্যাত গোস্তন 1-- “*চতুর্ষষ্িকো গোস্তনঃ 1” লহর মুক্তাহার গোপ্তন নামধেয়। অগ্ধহাঁর।-.- “ছবাদশযষ্টিকোহদ্ধহারঃ 1 ১২ লহর মুক্তহার অপ্ধহার নামে খ্যাত। মানবক ।- " বিংশতিযষ্টিকে। মানবকঃ ২* লহর মুক্তাহারের নাম মানবক। একাবলী ।-- “একা বল্যে কযষ্টিক1 1৮ লহুর মুক্তাহারের নাম একাবলা নক্ষব্রমাল1 1- ““সৈব নক্ষত্রমাল। স্যাৎ সপ্তা বংশতিমৌক্তিকৈ2 1৮ এ&ঁ একাবলী মাল! ষদ্দি ২৭টা স্থুলমুক্তার দ্বারা রচিত হয়, ( ক% আটা হয়) তবে তাহার নাম নক্ষত্রমাল1। মানসোল্লাস গ্রন্থে মুক্তাহার রচন! সম্বন্ধে কিছু বিশেষ নিয়ম আছে। যথা *স্থুলমুক্তীফলৈঃ কার্ধ্য। কণ্ে ত্বেকাবলী বরা মধ্যে মুক্তাফলৈঃ কুর্ষ্যাৎ ত্র/মরং সুবিচক্ষণম্‌ ॥% বড় বড় মুক্তার দ্বার! উৎকৃষ্ট একাবলী মালা! প্রস্তত করিবেক এবং মধ্যমাকার মুক্তার দ্বারা ভ্রমর নামক কষ্ঠী প্রস্তত করিবেক। “তি 1 পঞ্চসরং কুর্যণাৎ নবসপ্তসরং তথা।

উপান্তে নীলমাপিক্যমশ্রিতং স্থমনোহরম্‌ ৩১৮

রত্ব"রহকা ১৫১

কাঞ্চনীভির্মণালীভিঃ পংক্তিস্থাভিঃ সুশোভিতান্‌। ক্রমশো হীয়মানাংশ্চ সবান্‌ কুর্যযান্মনোরমান্‌ গুটীকতমৃণালীভিহারে সর্বন্‌ সমান্‌ সমান্‌। নীলমাণিক্য সংঘুক্তান্‌ পুর্ব্ং হি পরিকল্পয়েত নীলৈমুক্তান্তথা মুক্তা! মধ্যে সিদ্ধাস্তিক যুতাঃ। নীললবণিকা খ্যাতা হরিম্মা্িক্যজীস্তথা নীলমাণিক্যসংযুক্তা, মুক্কাঃ পুর্বং ক্রমেণ চ। কৃত! বর্ণসরো নাম দর্শনীয়ো মনোহরঃ এত এব সর! হীনা মৃণালীভিঃ স্ুদংহিতাঃ। আনাভিলম্বিত। ভূষা ব্রহ্গসথত্রমিতীরিতা। ॥” একাঁবলীর হ্যায় ৫। ৭ও সংখ্যক সর অর্থাৎ লহর বা লতা গ্রন্থন করি- বেক। তাহার উপান্ত স্থানে মনোহর নীলম[ণিক্য সংযুক্ত করিবেক। পংক্কি- গুলি স্থবর্ণময় মৃণ(লিকার দ্বারা সুশোভিত করিবেক। সর বা লহরগুলি ক্রমে ছোট সুদৃশ্য করা আবশ্যক! ইহার যতগুলি সর অর্থাৎ লহর থাকিবেক, সমস্ত গুলিতে গুটিকারুতি মুবাপিকা নীলম্‌ সকল সংযুক্ত ব! গ্রথ্থত করিবেক। সধ্যে পিদ্ধান্তিক| অর্থাৎ “ধুক্ধুক্ী” যোগ করিবেক। এব্নূপ ক%ভুষার নাম “নীললবণি কা? ভরিন্মণি নীলমণির সংযোগে পুর্বোলিখিত পরিপাটীক্রমে “বর্ণসর/ নামক কগভূষ। কৃত হইয়া থাকে। এই বর্ণসর বা কন্ঠী দেখিতে অতীব মনোহর পূর্বোক্ত নীললবণিকায় লহর ন! করিয়া যদি কেবল মৃণালিকার দ্বার! সংহত অর্থাৎ “লপে গীথ” হয়, তবে তাহা বর্ণদর নাম প্রাপ্ত হয়। যেকোন কণ্ঠভূষা হউক, নাভিপধ্যস্ত লম্বিত হইলে তাহা “ত্রন্সথত্র” নামে খ্যাত হয়। সরিক1।-- “নবভির্দপতির্বাপি স্থুলমুক্ত।ফলৈঃ কতা কগ প্রমাণরচিত! সরিক। গলভূষণম্‌ ॥%* কি ১০টী বুহৎ মুক্তার দ্বারা কপরিমাঁণ অর্থাৎ গলায় আয়া থাকে এরূপ পরিমাণের মুক্তাহার “সরিক|” নামে খ্যাত। ২৩১৭

৪8৩

১৫2 রত্বস্রভ্ত্া

ব্জসংকপলিক1 1-- 'তন্ত| বছিশ্চ সংলগ্ন লশ্বনী নীলনির্মিতা বজনংকলিক! শুভা ॥৮ লই টিসি বহির্ভাগে নীলকাস্তনির্মিত লগ্ঘনী অর্থাৎ “থোপ্ন” সংযোজিত থাকিলে তাহার নাম “বজসংকলিক1”।

উরোভূষ্ণ। [পদ্দক বন্ধুক। ]

পদক ।-- স্থবর্ণোপরি বিন্তাস্তরত্বরাজিসমন্বিতম্‌ হরিক্সাণিক্য নীলেন। % খা

মধ্যদেশনিবিষ্টেন মণিনা পরিশোভিতম্‌। পদ্দকং রুচিরং রম্যং বক্ষঃস্থলবিভূষণম্‌ ॥' স্বর্ণের পত্রাকৃতি আকৃতি প্রস্তুত করিয়! তাহাতে নান। রত্বের কারুকার্য করিবেক। হুরিদ্র্ণ, রক্তবর্ণ, নীলবর্ণ মণির দ্বার! প্রাস্তভাগ সমস্ত চিত্রিত করি- বেক এবং মধ্যে কোন এক উজ্জল মণি সন্িবিষ্ট করিবেক। এরূপ বক্ষো-ভূষণের নাম পদক এবং উহ! দেখিতে রমণীয়। বন্ধুক ।-_ “নানারত্ববিচিত্রঞ্চ মধ্যনায়ক সংযু্তম্‌। স্রতৈর্স্বিতং রম্যং পদকং বন্ধুকং বিছুঃ ॥% উক্ত পদক যদি লম্ঘিত অর্থাৎ রত্বজ্জুর দ্বার! বক্ষে ঝুঁপাইবার উপযুক্ত হয়, তবে তাহার নাম বন্ধুক। এই ছুই প্রকার পদক গ্রায় স্ত্রীপুরুষ উভয় জাতির ব্যবস্থার্ধ্য বাহুভৃষণ। [ কেযুর-্৮অঙগদ--পঞ্চকা-কট ক--বলয়-_কঙ্কণ | ] কেযুর 1--- “সিংহবনস্ত,সমাকারং নানারদ্ববিচিত্রিতম্‌ | সুস্থগৈর্লঘনৈূ-ক্তং কেয়ুরং বাহিভূষণম্‌।”

৩২

রত্ব-রছ্ত্ত | ১৫৩

রত্মবিচিত্রিত সিংহমুখ।কৃতি লঘনঘুক্ত বাহুভূষণের নাম কেমুর। কনুয়ের উপরি- ভাগে যে *“তাবিজ১ “বাভু” পরিধান করে, তাহাই পূর্ববকালের কেযুরু ইহার হিন্দুস্থ(নী নাম “বাছুব্ট+ “বাজুবন্দ | “থেপ্না” না থাকিলে তাহা অঙ্গদ নামে উক্ত হয়। এই অঙ্গন আর এখনকার “বাঘমুখো অনন্ত” প্রায় সমন পুর্বে ইহার গাত্রে মুক্তা্ড়িত কর! হইত এখনও বড় ক্রি হয় না। যথা -_

«ন্বর্ণমণিবিন্তস্তমুক্তাজীলকমঙগদম্‌।+ পঞ্চক| ।-_ ্‌ “পঞ্চকা গ্রতিসংযুক্তং বাঁহুসদ্থিবিভূষ্ণম্‌।! স্বতন্ত্র স্বতন্ধ এক একটী রত্ব বান্বর্গুলিফ1 সংঘুক্ত করিয়া গাথিলে তাহ পঞ্চক। আখ্া। প্রপ্ত হয়। ইহা বাহুপদ্ধি বা করদদ্ধির আভরণ। ইহার হিন্দু- স্থানীয় নাম “পোচী” আর বাঙ্গাল! নাম “পোৌইচাঃ? | কটক।-__ “নবণোপরি বিস্তস্তনানারত্ববিরাজিতম্‌। হস্তস্ত কটকং রম্ং স্বপ্রভাপরিশোভিতম্‌ ॥” সুবর্ণময় মুণালাকৃতির উপর নান! রত্ব খচিত কালে তাহা কটক নামে উল্ত হয়। ইহা অতি সুরম্য প্রভ।পরিশোভিত অর্থাৎ “ঝকৃঝকে” এইক্প অলঙ্ক(র এক্ষণে “ভায়মন্ডকাট। বলয়” নামে বাবহৃত হইতেছে অঙ্গদ বলয় ।_- “িংহবত্ত, সম কারো হ্বর্ণরভরবিনিন্মিতো মুক্তান্ক্্মকসংযুক্তৌ নীলমাণিক্যলম্বনো কঞ্চুকৌ কীলকৌ কার্য ভুজভুষণকৌ বধো। নামতো৷ বাহুবলছৌ পুংসি তাবজদ|ভিধো ॥৮ মোণার পবাথমুখো” বলয়, তদগাত্রে মুক্ত! জড়িত, নীলমের লগ্ঘন এবং কীলিত অর্থাৎ “খিল্ওয়াল1৮ এই শ্রেষ্ঠ বাহুভূষণ স্ত্রীহস্তে বলয়, আর পুরুষের হস্তে অঙদ নামে ব্যবহৃত হয়। চুড় | “কাঞ্চনীভিঃ শলাকাতিঃ সসথক্ ভির্কিনির্শিতৌ মণিব্দ্ধমিতাদুর্ধং বলক্ৈর্বহিতঃ ক্রমাৎ ৬২১

১6৬ রতু-রহ্ন্ |

প্রাদেশমাত্কং দৈর্ঘ্যং বিস্তারে বাঁছবেধনম্। দ্বিধ! বিভজ্য কর্তব্যং গ্রথিতং কীলকেন তু অতীব রমণীয়ং তৎ চূড়ম্ত্যভিধীয়তে” গুষ্ষ্-্বর্ণশলাকার দ্বার নির্মিত, প্রাদেশপরিমাণ দীর্ঘ, বাহুপরিমাণ বিস্তার, ছুই থাকে বিভক্ত, কীলক ছার! গ্রথিত অর্থাৎ আবদ্ধ, এই সুন্দর বাহুভূষণের নম চুড় এবং ইহা ৰলয়ের উপরে পরিতে হয়। এই চুড় এক্ষণে অনেক প্রকার হইয়া দ্াড়াইয়াছে। | অধ্ধীচুড় ।--- *অনেনৈব প্রকারেণ তদর্ধেন বিনিশ্মিতম্‌। অদ্দচুড়মিতি খ্যাতং জ্ীণাং প্রিয়তমং সদ! ॥% প্রকার সোণার তারের দ্বারা উহার অর্ধেক পরিমাণে নিশ্মিত হইলে তাহ। অর্ধচ্ড় নামে খ্যাত হয় এবং ইহা স্ত্রীলোকের! সর্বদাই ভাল বাসে। (বাস্তবিক এখনকার বিলাসিনীরাঁও হাপ.চুড় পরিতে ভাল বাসেন। ) এতস্তিন্ন কম্কণ, বলয়, পারিহাস্ত আবাপ নামক কর-ভূুষণ ছিল। এক্ষণে তদপেক্ষা অনেক অধিক প্রকার কর-ভূষণের ক্ষ্টি হইয়াছে।

অঙ্গুরীয় বা অঙ্গুলী-ভূষণ [ দিহীরক--বজ--রবিমগুল--নন্দ্য।বর্ত-_নবরত্ব--বজবেষ্টিত-_ত্রিহীরক-_. শুক্তি-মুদ্রিকা-_-অঙ্গুলী-মুদ্রিক1- সুদ্র।-মুদ্রিক! | ] ছিহীরক ।-_ '“বজদ্বিতয়মধ্যস্থং হরিন্মাণিক্যনীলকম্‌ ছিহীরকমিতি খ্যাতমঙ্্ুলীয়কমুত্তমম্‌ অনেক প্রকার অন্ুরীয় আছে, তন্মধ্যে দ্বিহীরক নামক অঙ্থুরীয়ের লঙ্গণ এই যে, ছুই দ্বিকে ছুই খানি হীরা, মধ্যে হরিন্সণি বা নীলমণি। এই দ্বিহীরক অঙ্গরীর়ক অতি উত্তম। বজ।-- “ত্রিকোণবিনিবিষ্টেশ্চ পবিভিঃ পরিশোভিতম্‌। মধ্যে রডুসমাধুক্তমন্তে বজ্জমিতী রিতম্‌ ॥৮ ত্রিকোণাকার, মধ্যভাগে হীরক, পার্খবত্রয়ে অন্তান্ত রর, এইরূপ অস্ুরীয়ের নাম ব্্র।

৬২২

রত্ব-র্হহ্য | ১৫৫.

রবিষগুল ।-- “বুত্তাকারৈ বিনিবিষ্টঃ কুলিশৈরপি বোষ্টিতম্‌। মধ্যে মণিনা যুক্তং রবিমগ্ডুলমীরিতম্‌॥', গোলাকার, চারিদিকে হীরকথণ্ডে খচিত, মধ্যভাগে মাণ,__এরপ অঙ্গুরীয়ের নম রবিমগ্ুল। নন্দ্যাবর্ত 1-- “খাজায়তচতুক্ষোণক্রমোনতনিবেশিভিঃ | বজমধ্যগমাণিক্যং নন্দ্যা বর্তী্গলীয়কম্‌ ॥% সরল দীর্ঘ অথচ ক্রেমোন্নত,--এনপ চতুক্কোণাঁকার গঠন্রে মধ্যে বৃহৎ হীরক বৃহন্মাণিক্য থাকিলে তাহ। নন্দ্যাব্র্ত নামে খ্যাত হয়। নবগ্রহ বা নবরত্র ।-- “মাণিক্েন সুরঙেণ মৌক্তিকেন সুশোভিন|। প্রবালেনাপি রম্যেণ তথ মরকতেন চ॥ পুষ্পরাগেণ বজেণ নীলেন পরিশোভিন|। গোমেদকেন রত্বেন বৈদুর্যোণা ভিনির্মিতম্ণ। রত্ৈর্মবগ্রহচ্ছাযৈর্নবভিঃ পরিকল্পিতম্‌। নবগ্রহমিতি খ্যাতমন্ুলীয়কমুত্তমম্‌ ॥” সুর(গ মাণিকা, সুন্দর মুক্তা, রমণীয় প্রবাল, সুন্দর মরকত, শোভান্বিত পুষ্প- রাঁগ, উত্তম হীরক, শ্রেষ্ঠ ইন্দ্রনীল উৎকুষ্ট বৈদুর্ধ্য,-_নবগ্রহের এই নবরত্রের দ্বারা মনোহররূপে নির্মিত অস্গুরীক়ক নবগ্রহ নামে খ্যাত। এই অঙ্গুরীয়ক অতি উত্তম (এরূপ অন্ুরী অগ্াপি দৃষ্ট হয় ।) ব্জবেষ্টিত।-_- “মনুলীবে্টকং বজৈর্বেষ্টিতং বজ্বেষ্টিতম্‌ অন্যরত্ৈশ্চ যগ্ভেন তদ্বথেষ্টকমুচ্যতে হীরকের বেষ্টিত বেষ্টক ( বেড়) বন্রবে্টক এবং অন্ত রত্বের দ্বারা বেষ্টিত ব। বেড় হইলে সেই সেই রঙের নামানুরূপ বেষ্টত নাম প্রাপ্ত হইবে। অর্থাৎ মুক্তা- বেষ্টিত, পদ্মরাগ-বেষ্টত ইত্যাদি। ত্রিহীরক ।--- “হীরয়োরুভযোর্মধ্যে কীলিতং হীরমুত্তমম্‌।

ব্রিহীরকমিতি খ্যাতমঙ্কুলীয়কমুত্তমম্‌ ॥/। ৩২৩

১৫৬ রূত্ব-রহগ্ত |

ছুই পার্থখে ছুখানি ছোট হীর! মধ্যে একখানি উত্তম বড় হীরা! যদি কীলিত করিয়া অর্থাৎ তাবের ঘ্বার! বন্ধন করিয়! অঙ্তুরীয়ক প্রস্তুত কর! হয়, তবে তাহার নাম ভ্রিহীরক ইহা! অতি উত্তম গুক্তি-মুদ্রিকা ।-_ “যত, নাগফণ[কারং বহুরত্ববিভূষিতম্‌। অঙ্গুলীবলয়ে বজৈর্বেষ্টিতে শুক্ভি-মুদ্রি ক! ॥% যাহা ফণিফণার আকারে গঠিত বহুরত্বে বিভূধিত এবং যাঁহাঁর বলয়ভ।গ হীরকে বেষ্টিত, তাদৃশ অঙ্গ,রীয়ের নাম শুক্ভি-মুদ্রিকা। মুদ্রা, মুদ্রিক্ক1, অঙ্গলিমুদ। 1 «সাক্গরাহন্থলিমুদ্র। স্তাৎ 15 সেই সেই প্রকারের অস্কুরী যদি অক্ষরযুক্ত অর্থাৎ ন/ম-খোদিত হয়। তবে তাছার তিন নাম মুদ্র।, মু্দ্রিকা অস্গু।লমুদ্রা £ অন্কৈশ্চ বিবিধৈরত্ৈঃ সঙ্নিবেশবিশেষতঃ | নানীরূপাভিধানৈশ্চ কল্পিত! মু্রিকাঃ শুভাঃ ॥% অন্ঠান্ত বিবিধ রত্বের দ্বারা বিশেষ বিশেষ সন্নিবেশ অর্থাৎ 'ভন্ন ভিন্নভাবে সাজান বা গঠনের দ্বারা নানাপ্রকারের নান। নামের মুদ্রিক নির্শি 5 হইয়! থাকে

কটিভূষণ

[ কাঁঞ্ধী__মেখল1-_রসন1--কলাঁপ-_কা্ধীদাম-_শৃঙ্খল ] কাঞ্ধী _ | “'একযষ্টির্বেৎ কাধ্চী--1১

এক “লহর” হাঁরাঁরুতি অথবা রজ্জুর আকৃতি কটিভূষণের নাম কাঞ্চী। এক্ষণে ইহা “গো”, নামে খ্যাত। শ্নেখল! 1-- “মেখ্লাত্বষট্যষ্টি ক। 1+

. লহরী কাঞ্ধীর নাম মেখল!। এখনকার “চন্দ্রহার» আর পূর্বকালের

*মেখল।” প্রায় একাকার | ঙই৪

রত্ব-রহস্থয। ১৫৭

রসনা ।--- “রসন। ষোড়শ জ্ঞেয়। |” ১৬ লহর হইলে তাহার নাম রসন!। কলাপ।- “কলাপঃ পঞ্চবিংশক5 17 ২৫ লহর হইলে কলাপ শাখা! প্রাপ্ত হয় ২৫ লহরের চন্দ্র ব্যবহার কর! এক্ষণকার রমণীর হুঃসাপ্য।

কাঞ্ধীদাঁম !-_ “চতরঙুলনিস্তারং জঘনাভোগবেষ্টিতম্‌। সৌবর্ণরতুরচিত * * লম্বনৈযুতিম্‌

হেমঘর্থরঘণ্টাভিনিম্ষি তং রবনংযু তষ্‌ কাঁধীদামেতি বিথ্যাতং কটিভূবণমুত্তমম্‌ ॥*,

ন্গুল বিস্তৃত, সুবর্ণ অগ্ান্ট রত্বের দ্বার নির্মিত, লম্বনযুক্ত, সুবর্ণ ঘণ্টকাধুক্ত, শব্দার়মান জঘনছয়ের বেষ্টনক।রী, এরূপ কটিভূষণের নাম কাঞ্চাদাম। ইহা এক্ষণে বালক বালিকার ব্যবহাধ্য «“কোমরপান্টা” নাম প্রাপ্ত হইয়াছে।

শৃঙ্খল ।-_ “পুংস্কট্যাং শৃঙ্খলং-- |

পুরুষের টিভূষণের নাম শৃঙ্খল। ইহার গঠনও প্রায় শৃঙ্খলের, অর্থাৎ “শিকলীর?, স্তায়। (হিন্দুস্থানী উড়িয়া ভিন্ন এখন আর কেহ শৃঙ্খল পরেন।। )

পাদভূষণ ! পাঁদডুড়।- “হিন্তচুড়করৎ * * জজ্বাকাও প্রমাণকো নানারত্বৈশ্চ রচিতৌ বিখ্যাত পাদচুড়কো ॥৮ হস্তচুড়ের স্তায় কাঞ্চনী শলাকার দ্বার! নির্মিত, জজ্ঘাদণ্ডের পরিমখানরূপ

পরিম।ণধিশিষ্ট, নানারত্বে খচিত,--এক্প পদভূষণ পাঁদচুড় নামে খ্যাত হার গঠনচ্ছবি ক্ষণে অনুভবারূঢ় হয় না।_ ৩২২

১৫৮ র-রহগ্ত |

পাদকটক।-- | “মুবর্ণরচিতৌ কার্ধে ভ্রিভাগৌ কৃতথগুনৌ সন্ধিদেশেষু সংগ্লিহ্টৌ কীলকেন কীলিতো চতুরজ্রৌ ষড়জৌ ব! তথাষ্টাশৌ কারয়েৎ। সৌবৈরু ছু দৈরম)ঃ পঙ.ক্তিস্থৈররবা বিরাঁজিতৌ শলক্ষৌ বা কুষ্চিসংযুক্তৌ নাদবস্তাবথাপি বা। রতৈর্বা বিবিধৈযুক্তৌ কউকৌ পাঁদভূষণৌ ॥»

স্বর্ণরচিত, ভাগত্রয়যুক্ত অর্থাৎ “তে-থাক1” অথচ খণ্ডিত। সন্ধিস্থান কীলকন্বার| আবদ্ধ, চতুক্ষোণ, ষটুকোণ অথবা আঁটু কোণ, অর্থাৎ “আটপোলে” অথব! স্বর্ণ বুদদের পঙূক্তসমূহদ্বারা শোভিত, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শব্দকাঁরী সুন্দর স্ুৃত্ঠ কুঞ্চিকাধুক্ত,__-এরূপ পাঁদাভরণের নাম পাঁদকটক | হিন্দুস্থানে ইহা “পৈজন্ঠ। বঙ্গদেশে “পাইজোর” নামে বিখ্যাত পাঁদপদ্ন 1 “ত্রিপঞ্চশৃঙ্খপাধুক্কৌ নানারদ্রশতৈঃ কতৌ বীলকাবিব সন্ষিতৌ পাদপস্থ(পিতী রিতো ॥৮ €টী শৃঙ্খলঘুক্ত ( অস্ুলিতে বাধিবার জন্ত ) বহুবিধ বহুরত্বের দ্বার গঠিত, ক।লকের স্তাঁয় সদ্ধিত,_এরূপ পদভূষণের নাম পাদপদ্ম। ইহু। এক্ষণে “ণচরণডপ” পচরণপল্ম” নামে বিখ্যাত পাদঃঘর্থরিক।।-- “কিছ্ছিণ্যঃ দ্বর্ণরচিত। গুণগুম্ফিতবিগ্রহঃ | শাদবত্যঃ সরম্যাস্তাঃ পাঁধঘর্থরিকাভিধাঃ ॥৮

হর্ণের ক্ষুদ্রঘন্টিক সকল স্ষত্রের ছারা গ্রথিত, এরূপ শব্দায়মান পদালঙ্কারের নাম কিন্কিনী পাদঘর্থবিক! অর্থাৎ পায়ের “ঘাধর! “্ঘুংঘুর”? | পাপকণ্টক ।-_ “তাদৃগ্রপসমাকারা নানারত্ৈর্বিনিন্মিতাঃ1 ধ্বনিহীনাঃ সুশোভাঢাঃ কণ্টকাঃ পরিকীন্তিতাঃ 1 ঠিক সেইরূপ আকারের রতবনির্শিত ঘুংঘুর যদি ধ্বনিবর্জিত হয়, তাঁহা হইলে

তাহাকে পাদকণ্টক বলা যায় (ঘুংঘুরগুলি নীরেট করিলেই শবাবর্জিত হয় ।) 0৭

রত্ব-রহস্থয ১৪৯ মুদ্রিক 1-- “আযতাশ্চ স্রক্তাশ্চ কণ্টক। রদ্বনির্মিতাঃ | স্ুলাশ্চ ধ্বনিসংবুক্তাঃ কথিত। মুদ্রিক! বরাঃ1% আরত সথরক্ত বত্বনিশ্মিত কণ্টক ষদি মোট! শব্দকারী হয়, তবে তাহাকে মুদ্রিকা নাম দেওয়! যায় এক্ষণকাঁর “কড়াইদার মল” আর এই মুদ্রিকা প্রায় তুল্য কার্যকারী ।* এই সকল অলঙ্কারের মধ্যে প্রায় সমস্তই স্ত্রীলোকের ব্যবহাধ্য বটে; কিন্তু হিন্দুস্থানী পুরুষদিগকেও এই সকলের কোন কোনটাকে কিঞ্চিৎ বিকৃত করিয়া ধারণ করিতে দেখা যাঁয়। পুরুষের জন্ত শেখর, মুকুল, শিরোবেষ্টন, (শির পেঁচ) এবং কিরীট মুকুট--এই কয়েক প্রকার শিরোভূষণ নির্দিষ্ট আছে মাত্র।

ধাতু রড্বতত্ববেতৃগণ ধাতুকেও রত্ব মধ্যে গণনা করিয়া থাঁকেন। এজন আমরা এতদ্‌ গ্রন্থে ধাতৃসন্বদ্ধেও কতিপয় বিবরণ ব্যক্ত করিতে বাধ্য হইলাম কোন পণ্ডিত বাতপিত্তশ্লেম্মাদি শরীরধারক বস্তুকে ধাতুসংজ্ঞ৷ প্রদান করেন কেহ ঝা! পৃথিব্যার্দি মহাভূতকে, কেহ বা! প্রস্তর-নিকার গৈরিকাদি €( গেরুমাটী ) প্রভৃতি পদ্াার্থকে, কেহ বা গিরিজাত -বহু পদার্থকে ধাতু মধ্যে গণনা করিয়া থাকেন। এক জন প্রস্তর-তত্ববিৎ পণ্তিত একাদশবিধ পর্বত প্রন্তব ধাতুর নামোল্লেখ করিয়াছেন মাত্র ; অবশিষ্ট গৈরিক পদার্থের নামোল্লেখ করেন নাই। যা গন্ুবর্ণরৌপ্যতা ভ্রাণি হরিতালং মনঃশিল! নগরিকাঞ্জনকাসীসং সীনলোহং সহিঙ্গুলম্‌। গন্ষকো তভ্রক মিত্যাস্তা ধাঁতবে। গিরিসম্তবাহ্ঠ ॥%

সপ পার

পর থপ ০০

* পদে স্বর্ণ কি অস্ত কোন রড ধারণ করিতে নাই, সংস্কার কেবল দাঁক্ষিণাতাধাসীদিগের নাই। অদ্যাপি মাড়বাগ্সিরা। নির্ভয়ে বর্ণনিপ্মিত পাঁদভূষণ ধারণ কপ্সিয়! থাকে এবং তাহাঁতে হীরকাি বিন্তপ্ক ক্ষরিতে সংকুচিত হয় না। এই মানসোল্লাস রচগ্লিতা সোমরাঞ্জ এক জন দাক্ষিণাত্যধাসী রাঁজা। সেই জস্থাই তিনি ন্বর্ণরত্রাদির পদাভরণ রচনা করিতে বলিয়াছেন বাল'লী এরঙ্থক্ষার হইঙ্ষে পায়ে সোপ! দিতে নাই” বলিয়াই মুচ্ছি“ত হইতেন।

ত%৭ 88

বত্ব-্রহ্ন্ত |

সুবর্ণ, রৌপ্য, তাত্র, হব্রিতাল, মনঃশিল। ( মনছাল ), গৈরিক'( গেকুমাঁটী ), অঞ্জন ( স্থম্মা ), কাসীস ( হিরাকস ), সীসক, লৌহ, হিঙ্কুল, গন্ধক, অভ ইত্য।দি অনেক প্রকার ধাডু আছে। সে সমস্তই গিরি-সম্ভব অর্থাৎ পর্বতাঙ্গে উৎপন্ন হয়। প্রয়োজন অনুসারে কেহ নব্ধাতুর সম্কলন করিয়াছেন। যথা -_- *“হেমতারারনাগাশ্চ তাঅরঙ্গে তীক্ষকম্। কাস্তকং কান্তলৌহঞ্চ ধাতবে! নব কীর্তিতাঃ ॥৮ স্থখবোধ। স্থুবণ, রৌপ্য, পিত্তল, সীসক, তামা, রাঙ, ইম্পাত, কাংন্ত, কান্ত লৌহ,__ এই নবধাতু “নবধাতু* নামে কথিত হম ইহাঁর মধ্যে কতকগুলি প্রধান ধাতু এবং কতকগুলি সঙ্কর ধাতু বলিয়া গণন1 করা হইয়াছে। প্রয়োজনান্ুরোধে কেহ অষ্ট ধাতুর সঙ্কলন করিয়াছেন। যথ1--" “হিরণাং রজতং কাংস্তং তাম্রং সীপকমেব চ: রজমায়সইরত্যঞ্চ ধাতবো হষ্টো প্রকীত্তিতাঃ ॥% দানসাগর। এ. স্বর্ণ, রৌপ্য, কাংস্ত, তাত, সীনক, বা, লৌহ এবং পিত্তল,_এই অষ্টধা বত “অষ্টধাতু” নামে বিখ্যাত। কেহুব? অন্ত প্রকারে অষ্টধাতুর গণন। করিয়াছেন যথা-_. “ম্থুবর্ণং রজতং তাত্রং লৌহং কুষ্যং সপারদম্। রঙ্গ সীসকধৈব ইত্যষ্টো দেবসস্তবাঃ 1” বৈদ্যক সোঁণা, রূপা, তাঁমা, লোহা, দস্ত!, পাঁর1, রাঙ সীসা,২.এই আট প্রকার ধাতু “অষ্টধাতু” নামে খ্যাত এবং সকলগুলিই দেবতা হইতে জন্ম লাভ করিয়াছে। কোন কোন গ্রন্থে সপ্ত ধাতুর গণনা দৃষ্ট হয়। যথ|-_- “স্বর্ণ রৌপ্যঞ্চ তাঅঞ্চ রঙ্গং ষশদমেবচ | সীসং লৌহ্ঞ্চ সপ্তৈতে ধাতবে গিরিসম্ভবাঃ॥৮ ভাবপ্রকাশ। সৌঁণা, রূপা, তামা, রাঙ, দস্তা, সীসে, লোহ1,--এই সপ্ত প্রকার ধাতু "সৃপত ধাতু” বলিয়া গণ্য এবং ইহাদের লকলগুলিই গিরিসভভূত। ১২৮

বত্ব"রহস্য। ১৬১

শুক্রনীতি নামক গ্রন্থে দেখা যায় যে, গিরিজাত ধাতু সকল তিন শ্রেণীভুক্ত ধাতু, সঙ্কর ধাতু উপধাতু। যাহ! অমিশ্র, তাহা ধাতু যাহা ছুই বা ততো- ধিক ধাতুর সংযোগে জন্মে, তাহা সঙ্কর ধাতু এবং যাহ! অতি সুলভ, ঘনতা বর্জিত সামান্ত, তাহ! উপধাতু। [. *ন্সুবর্ণ রজতং তাত্রং রঙ্গং সীসঞ্চ রঙ্গকম্‌। লৌহঞ্চ ধাতবঃ সপ্ত হোষামন্তেতু সঙ্করাঃ ॥” শুক্রনীতি। সোঁণা, রূপা, তাম!, রাড, সীসে, দস্তা, লৌহ,--এই সাতটা সুল ধাতু) এতত্তিন আর সমস্তই সঙ্কর অর্থাৎ মিশ্র ধাতু। “রঙ্গ তাম্রভবং কাংস্তং পিত্তলং তাম্রঙ্গজম্‌।” শুক্রনীতি। রাঁ তাম। মিশ্রিত করিয়! কাংস্ত এবং তামা! রাঙ বা দস্তা মিশ্রিত হইলে পিস্তল জন্মে। এইরূপ ভিন্ন ভিন্ন ধাতুর সংযোগে ভিন্ন ভিন্ন ধাতু উৎপন্ন করা যায়। কাংস্তে রাঙের ভাঁগ অধিক দ্রিতে হইবে ইহা! বুঝাইবার নিমিত্ত রঙ্গ তাত্র শব্দের সন্নিপাত কর! হইয়াছে।

“সপ্তোপধাতবঃ ন্বর্ণমাক্ষিকং তারমাক্ষিকম্‌। তুল্সং কাংস্তঞ্চ রীতিশ্চ সিন্টুরঞ্চ শিলাজতুঃ ॥৮ স্ব্ণমাক্ষিক, রৌপ্যমাক্ষিক, এই ছুই দ্রব্য প্রস্তরের গাত্রে জন্মে। তুতে, কীসা, পিত্তল, সিন্দুর শিলাঁজত,-এই পাত প্রকার বস্ত উপধাতু, তত্িন্ন সমস্তই ধাতু বলিয়! গণ্য এই সকল ধাতু, উপধাতু, সঙ্কর ধাতু সম্বন্ধে অনেক বক্তব্য থাকিলেও আমরা সংক্ষেপের জন্ত অল্প কথাই বলিব। রাসাক়নিক গুণ দোষ কি উৎপত্তি- প্রক্রিয়া কিছুই বলিব না। কত প্রকার ধাতু আছে এবং তাহাদের কাহার কিরূপ লক্ষণ, এততিন্ন অন্ত কোন কথাই বল। হইবে না। স্বর্ণ ধাতুটা সর্বোৎকৃষ্ট বলিয়া কেবল তাহারই বিষয়ে অধিক কথ! বল৷ হইল তথাপি তাহার উৎপত্তি প্রক্রিয়া ভৈষজ্যোপযোগী গুণ ব্ল। হইল না। শুক্রনীতিকার বলেন যে,₹_ “রিত্ে স্বাভাবিক! দোযাঃ সন্তি ধাতুঘু কৃত্রিমাঃ। যতে। ধাতুন, সম্পরীক্ষ্য ত্য,ল্যং করয়েঘধঃ ১২৯

১৬২ রত্বশ্রহস্য |

রতে স্বাভাবিক দোষই অধিক ; পরস্ত ধাতুতে কৃত্রিম দৌষই অধিক দৃষ্ট হয়। নিমিত পরীক্ষ। করিয়া সে সকলের মূল্য করন! করা! কর্তব্য

স্থবর্ণ।

পর্ণ শ্রেষ্ঠতরং মতম্‌ শুক্রনীতি প্রধান সপ্ত ধাতুর মধো সুবর্ণ শ্রেষ্ঠ মুল্যবান্। রাজনির্ঘন্ট গ্রন্থে ইহার গুণ, দোষ, পরীক্ষা্দি উক্ত হইয়াছে রাঁজনির্ঘণ্টকার বলেন যে, তিন প্রকার সুবর্ণ আছে। এক পারদসম্ভুত, দ্বিতীয় লৌহ-সঙ্কর-জাত এবং তৃতীয় ভূমি হইতে স্বতঃ উৎপন্ন এই তিন প্রকারের মধ্যে * যাহা! আকর ভূমি হইতে স্বতঃ উৎপন্ন হয়, তাহাই উত্তম। যথা “তত্রৈকং রসবেধজং তদ্দপরং জাতং স্বয়ং ভূমিজম্। কিধ্ধান্তদ্বছ লৌহসঙ্করভবং চেতি ত্রিধ। কাঁঞ্চনম্‌ ॥» রসবেধজ অর্থাৎ পারদসংযোগে এক প্রকার স্বর্ণ উৎপন্ন হয়, ভূমি হইতে স্বতঃই এক প্রকার সুবর্ণ জন্মে এবং লৌহের সাঙ্কর্যয হইতে অন্ত এক প্রকার ল্ুবর্ণ জন্মে। এই তিন প্রকার সুবর্ণের ভিন্ন ভিন্ন বর্ণ বা রঙ হইয়া থাকে যথা. “তত্রাদ্যং কন্পীতং রক্তমপরং রক্তং ততোহন্দ্যথা গৌরাভং তদ্দিতিক্রমেণ গদিতং স্লাৎ পূর্ববপূর্ববোত্তমম্‌॥ প্রথমোক্ত প্রকারের সুবর্ণ অল্প পীত বর্ণ, দ্বিতীয় প্রকার ন্বর্ণ, রক্তবর্ণ এবং তৃতীয়বিধ সুবর্ণ ঈষৎ গৌরবর্ণ। এই ত্রিবিধ স্বর্ণের মধ্যে প্রথম অর্থাৎ রসবেধজ স্ুবর্ণই উত্তম, কেবল ভূমিজ স্বর্ণ অপেক্ষারুত অধম এবং লৌহসম্করজাত সুবর্ণ সর্বাপেক্ষা অধম অর্থাৎ অন্লপীত মিশ্রিত রক্তবর্ণের কাঞ্চন যেমন উত্তম, কেবল রক্তবর্ণ কাঞ্চন তেমন উত্তম নহে যে কাঞ্চনে শ্বেত অর্থাৎ শাদা আভা থাকে--তাহ! অত্যন্ত অধম “রসবেধজ” শব্দ শুনিয়। মনে করিবেন ন। যে,

* বর্ণের অপর একটা নাম “অষ্টাপদ” তাঁহার অর্থ “অষ্টঘু লৌহেষু পদং স্থানং ষন্ত” আট প্রকার ধাতুতে যাহার স্থান অর্থাৎ স্থিতি আছে এই নাম নির্বাচন অনুসারে লৌহ মধোও কুষবর্দাংশের অস্তিত্ব অনুভূত হয়। কান্তলৌহ প্রভৃতি আট প্রকার তৈজস পদার্থের সাংকধ্য হইতে যে স্বর্ণ উৎপন্ন হয়, তাহাই “লৌহ-সঙ্করজাত”' লৌহে যে স্বর্ণের পরমাণু আঁচে, তাহা! রা কিন। জানি না কেনন! কোন প্রকার রসায়ন বিদ্যার দ্বারা উহ অদ্যাপি জান। যায়

1

৯?

রত্ব-রহুস্য | ১৬

গ্রন্থকার পারদ দ্বার। কৃত্রিম স্বর্ণের কথা বলিতেছেন। ইহাও আকরসম্ভৃত। পরন্ত আকরে যদি পারদীয় পরমাণু থাকে--আর কনকোৎপত্তিকালে বন্দি সেই মকল পরমাণু তাহাতে অন্ুবিদ্ধ হয়, ৩বে্ই তাঁদুশ কনক জন্মে এবং তাহা কেৰল ভূমিজ কনক লৌহপরমাণুবিদ্ধ কনক হইতে অত্যন্ত পৃথকৃ। পারদীয় পর- মাণুর ঘ্বার| অন্ুবিদ্ধ হয় বপিয়। তাহা অন্ন গীতাভ হয়। আর লৌহ পরমাণুর বেধ হইলে তাহার শাদ। রঙ হয়। আর যাহাতে পারদ কি অন্ত কোন ধাতুর পরমাণুর বেধ নাঁ*থাকে তাহা রক্রবর্ণ হয় *। উত্তম বলিয়া! শান্ত্রকারের! প্রথমোক্ত প্রকারের কনককে “দেবকনক+ বলিয়া থাকেন। এই দ্েবকনকের পরীক্ষা! গুণ এইরূপ-- “দাহেহতিরক্তমথ বচ্চ সিতং ছিদাঁয়াং কাশ্মীরকাস্তি বিভাতি নিকাষপট্রে। নিব গৌরবমুপৈতি যভ্তুলায়াং জানীত দেবক নকং মুদ্ুরজ্ঞপীতম্,) রাজনির্ঘণ্ট। “দাহে রক্তং সিতং ছেদে নিকষে কুস্কুম-প্রভম্‌ তারশুর্লাগ্নিভং ন্গিগ্ধং কোমলং গুরুহেম সৎ ॥* ভাব্প্রকাশ। যখন দগ্ধ হইতে থাকে, তখন রক্তবর্ণ। যখন ছেদন কর! যায়, তখন সেই ছেদন স্থান শুভ্রবর্ণ। খন কষ্টিপাথরে ঘর্ষণ কর! যায়, তখন কুস্কুম-বর্ণ অতএব দাহ, ছেৰ নিকষে ঘর্ষণ দ্বার! যাঁদ উক্ত ত্রিবিধ বর্ণ উপলব্ধ হয়, তবেই তাহ! উত্তম কনক অপিচ দি স্নিপ্ধতা থাকে ওজনে ভারি হয় এবং কোমল হয়, তবে সেই কনকই উত্তম সদোষ স্থবণেণ লক্ষন এইরূপ, “শ্বেতঞ্চ কঠিনং রক্ষং ববর্ণং সমলং দূলম্‌। দাহে ছেত্দেংসিতং শ্বেতং কষে ত্যাজ্যং লু স্কুটম্‌ 11৮

« খুনি সুবর্ণে ভিন্ন ভিন্ন ধাতুর পরমণুর মিশ্রণ থাকা য় শীল্রকারের! উহাকে পাঞ্চভৌতিক বলিক্ব। থাকেন। যাহাতে কাহারও মিশ্রণ নাই, তাহ। অতাস্ত বিগুদ্ধ। তাহ! কেবল তৈজস পরমাণুর দ্বার! উৎপন্ন তাদৃশ কনককে বাম্পাকারে পরিণত করিলে কেবল তৈজস পরমাঁপুই লব্ধ হয়, প্রকারাস্তরের পরমাণু পাঁওয়া যায় না।

৮)

৯৬৪ রত্ব-রহস্য লে

* থে সুবর্ণে কোমলতা নাঈ, যাহাতে ন্গিগ্বতা নাই অর্থাৎ রুক্ষ, যাঁহার বণ মনোহর নহে অথবা বিবর্ণ; যাহাতে মালিন্ত ঝা! শ্টামিক আছে, যাহাতে ধলদোধ আছে) যাহ] দঞ্ধ করিলে কর্তন করিলে কাল বোধ হয়) যাহা কষ্টি পাথরে ঘর্ষণ করিলে শাদ! দাগ লাগে, ওজন করিলে যাহা হালকা হয়, তাড়ন করিলে ঘাহ। স্কষটিত ( ফুটা! , হয়, তাহা! পরিত্যাগ অর্থাৎ সে স্কল স্বর্ণ ভাল নহে। | শুক্রনীতিগ্রন্থে স্বর্ণের অন্তবিধ পরীক্ষা দৃষ্ট হয়। যথা-_ “মানসমমপি স্বর্ণৎ তনু স্যাৎ পৃথুলাঃ পরে” “একচ্ছিদ্রসমাকুষ্টে সমথণ্ডে ছয়োর্যদ। ধাতোঃ স্থত্রং মানসমং নিহুষ্টস্ত ভবেতৃদ্ধা ॥১৮ সম পরিমাণ এক থণ্ড উত্তম সুবর্ণ এক খণ্ড অন্য ধাতু একন্র করিলে দ্ববর্ণথণ্ড অল্পকায় এবং অন্ত ধাতু পৃথুল অর্থাৎ বৃহৎকায় দেখাইবেক। এই স্বভাব অনুদারে সম পরিমাণ দুই খণ্ড স্বর্ণের মধ্যে ষে খণ্ড অ্পকায়, সেই খণ্ডই উত্তম আর যে খণ্ড পৃথুল, সে থণ্ড অধম এক খণ্ড কষ্খয়স অর্থ(ৎ ইম্পাতের গাত্রে ছিদ্র করিয়া থে কোন নির্দোষ ছুই খণ্ড ধাতু তন্মধ্যে প্রবিষ্ট করাইয়া আকর্ষণ করিলে তাহা হইতে যুগপৎ সমপ্রমাণ-সুত্র প্রস্তত ভইনেক। এতব্রপ স্ত্র নিষ্পাদনপ্রণালীর দ্বারাও স্বর্ণাদি ধাতুর ভাল মন্দ পরীক্ষা! হয় “টগ্কনৈশ্চ তথ! সীসঃ শ্তামিক। দুয়তেহগ্রিনা 15 হ্র্ণে রৌপ্যে যদি অন্ত ধাতুর যোগ থাকে--তবে তাহা টঙ্কন অর্থাৎ সোহাগ! সীসক একত্রিত করিয়।-অগ্নিতে ধমন করিলে তাহার শ্রামিক বা সাক্কর্য্য দোষ নষ্ট হইয়! যায়। দ্ববর্ণের ছারা নানাপ্রকার তঁষধ প্রস্তুত হয়। তত্প্রণাঁলী বর্ণনা! করা প্রবন্ধের উদ্দেশ্য নহে বলিয়া পরিত্যক্ত হইল। * নুবর্ণের মূল্য সম্বন্ধে প্রাচীন মত এইরূপ-_

* স্বভাবগাত তিন প্রকার শ্বর্ণের কথ। বল! হইল। এতত্তিন্ন পুর্ববকালে এক প্রকার কৃত্রিম সুবর্ণ ছিল। তাহ! কিরূপ ? এক্ষণে আর তাহা অনুভূত হয ন| এবং সে হিদ্য। ( কিমিরা) এক্ষণে কেহ জানে না পুরাণে তন্ধে স্বর্ণ প্রস্তুতকরণ্র বিবিধ বিধি আছে। পরস্ত তাহার ্রক্রিয্না। বা ইতিকর্ভধ্যতা অতি গুপ্ত পাঠকগণের গোচরার্থ তাহার ছুই একটী বিধির উল্লেখ করিতেছি ঘখ1-_

রত্বস্রহস্য 9৬৫

“রজতং ষোড়শগুণং ভবেৎ স্বর্ণন্ত মূল্যকম্‌ 1৮ শুক্রনীতি। বর্ণের মূল্য যোড়শ গুণ রজত অর্থাৎ ১৬ গুণ রজতের দ্বারা এক গুণ সুবর্ণ ক্রীত বিক্রীত হয়। প্রথ! অর্থাৎ ১৬২ টাকায় এক ভরি সোণ! বিক্রয় হওয়া এক্ষণে উঠিধা গিয়াছে এখন ২০ গুণ মুল্য হইয়া পড়িয়াছে। এরূপ মূল্য রাজার দৌষেই হইয়া থাকে, ইহ! শুক্রাচাধ্য বপিয়াছেন। যথা,__ “'রাজ-দীষ্ট্যাচ্চ রত্বানাং মুলাং হীনাধিকং ভবেৎ।%

বজত |

“তারন্ত নির্মলং শুভ্রং কোমলং কান্তমৎ ঘনম্।” বিশুদ্ধ রূপার বর্ণ শুভ্র *থচ কাস্তি আছে। মুদু অথচ ঘন অর্থাৎ তাঁড়নে প্ুটিত হয় ন]। রূপার কোন দোষ আছে কি না, তাহা অগ্রির দ্বারা জ্ঞাত হওয়া যায়। ইহার মূল্য তা মূলোর উপদেশ স্বর্ণ মূল্যের উপদেশ দ্বার! ব্যক্ত হইয়াছে

“লীতং ধৃস্ত, রপুষ্পঞ্চ সীসকঞ্চ পলং মতম্‌। পাঠা লাঙ্গ লশাখা সা মুলমা বর্তনাৎ ভধেৎ ॥” [ ন্বর্ণমিতিশেষঃ ] ( গরুড়পুরাণ, ১৮৮ অধ্যায় 1) “অথবা পরমেশানি মৃৎপাত্রে স্থাপয়েদ্রমম, | বনীরসেন তব্দ ব্যং শোৎয়েবন্থযত্বৃতঃ | ঘুতনী রীরসেনৈৰ তথৈব শোধনঞচরেৎ এবং কৃতে তু গুটিক! যদি স্তাৎ দৃঢব্দ্ধনমূ। ধৃত্ত রঞ্চ সমানীর মধ্যে শন্তধচ কারয়েৎ। কৃষ্ণখ্যা তূলসীযোগে তথ! দ্বৃতকুমারিকা | এবং কৃতে বহিযোগে ভন্মসাৎ জাঁয়তে কিল। ভশ্মযোগে ভবেৎ স্ব্ণং ধনদারাঃ প্রসাদতঃ | বিবর্ণ, জায়তে ভ্রব্যং বদি পুজাঁং চাচরেত ॥৮ মাতৃকাভেদ তন্ত্র, পটল। ৯৩৩

১৪৬ রততু-রহসা। ভাব্প্রকাশ গ্রন্থকার রৌপ্য রত্বের উৎপত্তি দোষ গুণাঁদি বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি বলেন যে, রৌপ্য রুদ্রদেবতার অশ্রজলে জন্মিয়াছিল। পুরাঁণে বৈদিক শর্তিতেও উক্ত কথ। লিখিত আছে। ভাব প্রকাশে রৌপ্যে লক্ষণ, গুণ পরীক্ষা যেরূপে নির্দিষ্ট হইয়াছে--তাহা! এই - “ন্ুপ্যন্ত ধজত- তারং চন্দ্রকান্তি সিত প্রভম্। গুরু অিগ্ধং মৃছু শ্বেতং দ্াহে ছেদে ঘনক্ষমম্‌ || বর্ণাঢ্যং চন্দ্রবৎ স্বচ্ছং রৌপাং নবগুণং শুভম্‌। রূপাং শীতং কষায়াম্্ং স্বাছ পাকরসং সরম্‌ বয়সঃ স্থাপনং ন্নিগ্ধং লেখনং বাঁতপিভুজিৎ প্রমেহাদ্দিকরোগাংশ্চ নাঁশয়স্ত্যচিরাৎ ঞ্ুবম্‌ 11৮ উত্তম রজতের লক্ষণ এই যে, তাহার কান্তি চন্দ্রকিরণের ন্তায় শুভ্র। দাহ- কালেও সে শুভ্রতা নষ্ট হয় না। ছেদনকালেও কোমলত! শুভ্রতা দৃষ্ট হুয়। দেখিতে সিগ্ধ, ওজনে ভাবি লৌচের দ্বারা তাড়না করিলে অর্থাৎ আঘাত করিলে তাহ! চ্যাপ্টা হইবে, তথাপি স্ষটিত হইবে না। এরূপ লক্ষণাক্রান্ত উত্তম রজতের টা গুণ আছে। ধথা-_শীতলত্ব, কষায়যুক্তত্ব, অগ্নত্ব ( এই কষায়াক রপটী কষ্টিক নামে খ্যাত ), স্বাদুপাকিত্ব, সারকত্ব, রসায়নকরত্ব, গ্গিপ্ধকারিত্ব, লেখনত্ব, বাঁতপিস্তনাশকত্ব এবং প্রমেহ প্রভৃতি বহুরোগনাশিত্ব। খনিজাত উত্তম রৌপা ভিন্ন অন্ত এক প্রকার কৃত্রিম রৌপ্য আছে। তাহা পারদ সীসক প্রভৃতির যেগে প্রস্তুত হয়। সে রূপা দেখিতে রূপার স্তায় হটে, কিন্ত তন্ার। কোন উপকার হয় না। যথা-- “কৃত্রি্* ভবেতৃদ্ধি বঙ্গাদিরদসযো গতঃ 1” কৃত্রিম রূপ! বঙ্গ অর্থাৎ সীসক প্রভৃতি কএক প্রকার দ্রব্য পারদের যোগে প্রস্তত হইয়! থাকে সেই কৃত্রিম রূপা সদৌষ বূপার লক্ষণ এইরূপ | ষথা-_ “কঠিনং কৃত্তিমং রুক্ষং রক্ত পীতং দলং লঘু দাহচ্ছেদধনৈন/স্ং রৌপ্যং হুষ্টং প্র কীন্তিতম্‌ ॥% রুত্রিম রূপা কিংবা ছুষ্ট রূপার : খা্ঈ-মিশিত ) লক্ষণ এই যে, তাহা অতান্ত কঠিন, রুক্ষ (রুক1--অর্থাৎ দেখিতে স্সিগ্ধ নহে ১,কাটিলে বর্তনস্থান রাঙ্গা দেখায়, ওজনে হাল্ক। হয়, দলিত করিলে গীতবর্ণ হয় এবং দ্ধ করিয়া বা ছিন্ন করিয়! আঘাত করিলে ফাটিয়! যায়। দদৌষ রৌপ্য গুষধে লাগে না।

১৩৪

রত্ন ১৪৭

তাস্ত্র

রূপক-প্রিক়্ হিন্দুর! সকল বিষয়েই রূপক বর্ণনা করিতেন। এই তাত্র ধাতু কেও ক্ান্তিকের শুক্র বলিয়া বর্ণনা করিয়! গিয়ছেন যথা-- “শুক্র যৎকাঙিকেয়ন্ত পতিতং ধরণী তলে। তন্ম তাত ্রৎ সমুংপনমিদমাহঃ পুরাখিদঃ ॥'” এইরূপ কল্পনার তাত্পর্যয কিঃ তাহা বোধগম্য হইবার নছে। " জবাকুস্থমসঙ্কাশ' লিগ্ধং মুড খনক্ষমম্। লৌহন।গোঞ্জিতং ভামং মারণায় প্রশন্তুত | কৃধ্, কুক্ষমতিস্ত' শ্বে০াপ ঘনাস£ম। লোহনাগযুতি তঞ্চেশুন্বং ছুষ্টং প্রকীর্তিতম ॥+?

জবাফুলের ন্যায় রক্তক্াান্ত, লিপ্ধ, কোমল, ঘন মর্থাৎ পংহত্ত, আঘাতনঠ, লৌহ কি রাঙ কি সীসের সংশ্রব না থাকে, ( সকল থ।কিলে তামা কিছু কৃঝঃ বর্ণ হয়), এরূপ তাস্রই মারণের উপযুক্ত অর্থাৎ তাদশ বিশুদ্ধ তাত্রদ্বারা ওষধ ্রস্তত হয়। আর বা€। কৃষ্ণবর্ণ, রুক্ষ, অতি কঠিন, আঘাতে স্ফ,টিত হয়, সীপে কিরাঙ্গের সংক্রব থাকে, তাহ। সর্দেষ অর্থাৎ সে তাত্রতাল নহে তারের মূল্য সম্বন্ধে এরূপ লিপি দৃষ্ট হয়। |

“তামং রজ তমূল্যং স্ত/ৎ প্রায়েহুণীতি গুণং তথ |”, শুক্রনীতি।

প্রায় অশ্নতিগুণ তাম্র এক রজতের মুল্য অর্থাৎ এক তোল! রজস্তের

বিনিময়ে অনীতি তোলা তা পওন। যাইতে পারে ।্ী

লৌহ্‌।

লৌহ অনেক প্রকার। ভিন্ন ভিন্ন লৌহের ভীক্ষ, পিগু, কাপায়স কান্ত

প্রভৃতি ভিন্ন নাম লক্ষণ আছে পসেসকল বর্পিতে হঈলে প্রস্তাব বাড়িয়া

যায়। লৌহ অতি অল্প মূল্যের বস্ত বটে, কিন্তু তাহার দ্বারা যন্ত্র কিংবা! অক্ত্রাদি

নিশ্িত হইলে তাহ! মহা।মুঙা হইয়া পড়ে শুক্রনীতিকার বলিয়াছেন ষে, _- “যন্ত্রশস্ত্রান্ত্ররপং যন্মহামুলাং ভবেদয়ঃ |”

নে লৌহ যন্ত্র, শন্্,ও সন্ত্রপপ প্রাপ্ত হয়, তাহ! মহামুলা। এতত্তি রঙ্গ,

৩৩৫ ৪৫

১৬৮ | তস্য |

সীদক, যশদ পারদ প্রস্ৃতি আরও কয়েকটি ধাতু আছে, তাহাদিগকে পরি- ত্যাগ কর! গেল। কেনন!, মেগুলির লক্ষণালক্ষণ জানিবার কোন কুতুহল প্রয়োজন দৃষ্ট হয় ন7া। এই সকল ধাড়ু পরস্পর মিশ্রিত করিয়া বহুপ্রকার মিশ্র ধাতু উৎপাদন কর যাইতে পারে। বৃহৎসংহিতা গ্রন্থে বজ্বদংঘাত নাঁমক এক প্রকার মিশ্র ধাতুর উল্লেখ আছে; তাহ! এস্থলে;শিলিগণের উপকারার্থ উদ্ধত করিলাম।

*অগ্টৌ দীদকভাগাঃ কাংসম্ত ছৌ তু বীতিকাভাগঃ। ময়কথিতো,যেগোহয়ং বিজ্ঞেয়ে। ঘজনংঘাতঃ ॥৮

ভাগ সীসে, ভাগ কাপ! ভাগ পিস্তল একত্রে বিদ্রুত বা গালিত করিয়া যে মিশ নাতু জন্ম, তাহার নাম বজসংঘাত। ধাতুটী *বর্ষসহত্রাধুত- স্থায়ী” দশভাজার বতসবরেও নঈ হয় না এবং “বজাদ্পি কঠিনতরঃ, বজ অপেক্ষাও কঠিন।

১৮178452817 4.0. 2056 তি :2০.৬ ১০)1:076 £2/635। 240, 27020 82207১0০61১ 09102446.

অগ্াতিডিন্নভস্ম্‌

নাম

রত্বশাস্ত্রমূ।

ডাক্তার শ্রীরামদান সেনেন ₹শোধ্য |

"আহার টি পতি.

4030 11006 70০০0166 5 (3097 51১70 01765 2০9০0 709.552,০.৯৮ £

€০/%2/5৮,

কলিকাত। নগর্ধ্যাম্‌ . ১২৭নং মস্জিদ্‌ বাড়ী স্টপ বেদাস্তযন্্রে গ্রীনীলাম্বরবিদ্ধারত্বেন মুদ্রিত প্রকাশিতঞ্চ 4

5883.

বিজ্ঞাপনমূ্‌

স্পট পাপা

প্রাক্‌ চতুঃসন্বংসরাদেকদা খবশ্মাকং মতিরভূৎ ভরতখগবাসিভিঃ পুরাতনৈ- রাধ্যজনৈঃ কৃতং কিমপি বত্বপাক্মিদানাং লভাতে বেতি! অথ তৎপ্রাপুয়ে নয়ং সা্ত্রিসংবৎসরং মাবৎ মহাস্তং যত্বমাস্থিতাঃ | তৎ« আরভ্য তেন মহত যতন ব্যযেন মহত জীর্ণতরং ক্ষুদ্রতবমশুদ্ধ "রঞৈকং পুম্তকমানদমগান্তমতন্নাম | অনন্তর: তালৎ তত্প্রত্রং বা নৃত্রৎ “বতি বাচকৎসা জাতা। ততশ্চ দৃষ্টং কোলাচলম ল্লনাথস্ছরিণা প্রতেন পগ্ুতবষোণ কালিদাসরুত-কুম।রোতৎপত্তি- কাবাব্যাখ্যানাবলরে এতস্টৈবাগন্ডিমত-গ্রন্থন্তোলেখঃ কৃত ইতি সুতরামস্ত প্রাচীনতৈব প্রতিভাত। সোহ্য়মিদানীং প্রাচানতরোগ্রন্থে। . মদীয়াধ্যাপক- বেদাস্তবাগীশোপনামক-শ্রীকালীবন দেবশন্্ণঃ সকাশ।ৎ সহায়তাং লব্ধ যথামতি সংশোধ্য চান্তরান্তরা ক্ষুদ্রটপ পণমুল্িখা যন্ত্াক্ষরৈমুদ্রতঃ |

'অন্রেমন্দিজ্ঞাপ্যতে অভাবে পুস্তকত্রয়মিতি স্ভাষ/। পুরাতনী ৰাঁক্‌ গ্রন্থ শোধনবধৌ বভুপুস্তকদশন মুপদ্দিশতি। তিষ্ঠতু তাবৎ বন্ুপুস্তকদর্শনং প্রত্যুত পৃশ্তকদ্বয়মণি লন্ষম। যচ্চ পুস্তকমেকং লন্ধং তদপাশ্ুদ্ধতমম্। স্থতরামত্রা- বশুদ্ধিসত্তভাব এপ সম্ভাব্যতে ! অতোবয়ং বিছজ্জনস কাশে সানুনয়ং প্রার্থয়ামহে রূপালুভিনিপুণমতির্ভব সত রিদং পরিশোধনীয়'মতালং বুনো

ব্রন্মপুরবাত্বান্ধ শ্ীরাষদাঁস সেনস্থা |

(২ (৩) (৪) (৫) (৩) ৭)

৩৪৯

অগম্তিষতম্‌

অগন্ভিমতং নাম বত্ুশাস্ত্রম্‌

পুচ্ছত্তি মুনয়ঃ সর্ক্বে কৃতাঞ্জ'লপুটাঃ স্থিতাঃ

মুীন।ং তং সুনে! শ্রেষ্ঠঃ অগন্তযা নমোহস্ত তে দেবধানবদৈতোত্দ্র বগ্ত:ধ রমহোরগৈহ কিরীউকঞকুত্রেষু কগ্াদ্ধ। ভরণেষু ২॥ সংযোজিতানাং ৫জান। কথয়োপশুবীরণম্‌।

মুনীনাং বচনং শ্রুহ। মুনিশ্রেষ্টোহব্রবীদদস্‌॥ উৎপাত্মা করান বণান্‌ জাংতপোষ গুণাংস্তথা।

মূন্যং মগ্ডলকঞ্থৈব গ্রাহকং হস্তনংজ্ঞকম্‌॥

অগস্তিরুবাচ। অবধাঃ সর্বদেবানাং বলোনাম।সুরোহভবৎ ভ্রিদবেশে।পকারায় ত্রণৈঃ প্রাথিতো। মথে ততগ্ডেনাআনঃ কায়ে! দেবানাং সম্মুথে ধুভ2 1 দেহে সমপিতে শক্রু শুদ্জেণাহনাচ্ছরঃ জাঁতানি রত্ুকুটানি বস্রেণাহতমস্তকে ব্জসংজ্ঞ। কৃত! দেবৈ: সব্বরত্োত্তমোত্তমে

৪৪ টিকারার পন শশপাশিশিপপিপীশিপীপীপিপাশীপিশট পপি পদ শাপপীপী পাপী আপি জাল ২৩

হে মুনে ইত্যগন্ত্যসপ্দৌধনম | কটি পুংসাং কটিভূষণম।

মুমিশ্রেষ্ঠঃ অগন্ভতাঃ। ইদসিতি পরবচনস্থং রত্বা নামুৎপত্তাদিকম্‌.।

মণ্ডল গ্র'হকযোর্লক্ষণমগ্রে স্ফটাভবিষাতি

উৎপত্তিমীহ অবধ্য ইতি দিদিবেশ ইন্াঃ। ভিদশাও দেবাঃ মখং বজ্ঞঃ। কায়োদেহঃ | ধৃত ইত্যত্র কৃত ইতাপি পঠাতে কচিৎ। সমর্পিত ইতি তদখঃ কাধ্যঃ। কৃটং সমূহ আহতমন্তকে ইতাম্মাৎ তশ্গিন্‌ ইতি পূরণী্ম্‌।

তস্মিন্‌ আহতমন্তকে সতীত্যর্থঃ হীরকে বজমিতি সংজ্ঞা নাস।

বজন্য প্রা শগ্তাতিশয়দ্যোত নার্থমুণ্তস্থয়ম্‌।

শি সিপপাপািশাদি জ্পসপিশিদাশ | তা পল পিপিপি আশ পপি পপ

€$ ৮) €১*) (১১)

(১)

৩৪ *

রত-র্ছশ্র

শীর্দেে্ল্ণোভমোজাতো -ভূজগ্লোঃ ক্ষত্রিয়ঃ স্বৃতঃ | বৈশ্তোনাভিপ্রদেশে তু পড্যাং শুদ্র উদ্াতঃ স্ুরদৈভ্যোরগৈঃ সিদ্ধৈ-ধক্ষরা ক্ষসকিল্রাহ।

গৃহ,ত্বা স্থুলভাঃ সব্বে ব্রেলোক্য বিপ্রকাশিতাঃ ৯) অষ্টে। বা করাঃ শ্রেষ্ঠা যুগচ্ছন্দানুুবত্তিনঃ |

দ্বৌদ্বৌ পরিবর্তেতে ঠাদিযু বথাক্রমম্‌ ১০ | কৃতে কোশলকা'লঙ্গে ত্রেতায়াং বঙ্গঠৈমজৌ।

বাপরে পৌগু,সৌবাচষ্ী কলৌ স্ুপাবেণুগোৌ ১১ (বখা।তিরথ দী'প্তশ্চ যুগাদ্ধেন বিশগ্রযা

নংঞমেতস্ত মাহাজআ্য-মা।বসাপজ্ঠমাপগসম্‌ ১৩ জন্ুদীপাকরাঃ ভগ্রান্তা যুগেধু পরিবন্তিনঃ দীপান্তরাকরৰ। যে তু তেষাং পরিবন্তিতা ১৩

বজং জা(তিবিশেষেশ চতুবর্ণসমান্ তম্‌।

প্রযত্ধেন তু ভদ্বণে।-বচযাশ্চ গৃথক্‌ পুথক্‌ 2৪ শঙ্ঘ/ভঃ স্কটক প্রভঃ শশিরুচিঃ নিদ্ধশ্চ বর্ণোভ্তমঃ আরক্তঃ কাপপিঙ্গচারুবিশপশ্চোব্বাপাতি সংজ্ঞা | বৈশ্ঠঃ স্াৎ পিতপীভবর্ণর/চবে। ধোৌতাগ্রদীপ্তিভবেৎ শত্রোহাপ প্রাতভাবপাৎ বিরাচিতো বণশ্চতুর্থো বুধৈ? ১৫

সপ জি ০০ সপ) পথটি শী 0 পাপা তি এছ শপ লে স্পা শা পি কত কা

রত্কানাং জাতিমাহ শীষ ইতি বর্পোভমঃ ব্রাহ্মণ; ব্র।ঙ্গণঙ্জাতীয়ং রতুমিত্যর্থ; এবমন্ক ত্র প্যুহাম্‌।

আকর্নাহ অগ্টাবিতি। বুগং সত্যাদিলক্ষণ? কাল? ছন্দ; বশত ঘুগবশাৎ পরিবর্তন স্বভাব ইত্যথঃ |

কৃতে সত্যাখ্ যুগে বঙ্গ; বঙ্গাখ্যোদেশ১ | হেমঃ হিমগিরিসসিহিতে দেশ 1 তজ্জৌ আকরৌ ইতি যাবৎ পৌগু,১ যেহারাথে) দেশঃ কুর্পারকোহপি দেশভেদঃ | বেণুব্বংশঃ তদ্ুপলক্ষিতা নদী বেদা। লক্ষিতলক্ষণয়। তত্তীরসন্নিহিতো দেশে। যেণুগ ইতানেনোচাতত “'ব্ণু। তটীয়াঃ শুভ।১ ইত্ান্যত্ দশনাঁৎ

জন্ুদ্বাপস্থ। আকরা যুগে যুগে পারবন্তত্তে হেতু দ্বীণান্তরস্থা আকর। তেষাং পরিধর্তনং নান্তীত্যর্থ৫ |

ঘর্ণহ্যাহ বজরমিতি। বজং হীরকম্‌। ছুঃপ্রমেদজ্ঞানতয়া প্রধত্বেন খিচাধ্যঃ নিরূপণীয় ইত্যর্থঃ!

ঘর্ণেভিষং ত্রাক্মণত | উব্বাপতিঃ ক্ষত্রিয়ঃ | অগ্রিঃ ইন্রগোপাধাঃ কাটঃ তন্বদ্দীপ্তিং স্বেতগীতবর্ণশ্চ। সংজ্ঞয়। নানা বযৈশ্যজীতীয়ং ঘজমিত্যর্থঃ বির্চিতঃ বিখ্যাতিং প্রাপিতঃ

রত্বরহপ্ত ৬.. খ্যাতমেতদ্বিশেষেণ বজাণাং বর্ণলক্ষণম্‌। ধারণাৎ বৎ ফলং পুংসাং কথয়ামি পৃথক্‌ পৃথক্‌ 1 ১৬ চতুর্কেদেষু বজ-জ্ঞানিং সর্বযজ্ঞেযু বৎ ফলম্‌। সপ্ুজন্বন্যবাপ্েতি বিপ্রত্বং বিপ্রধারণাঁৎ॥ ১৭ সর্বাবয়বসম্পূর্ণঃ ক্ষত্রিয়স্ত ধারণাৎ। ভবেচ্ছরোমহাংশ্চৈব হূর্জয়োঠভয়দে দ্বিষাম্‌ ১৮ প্রগল.ভঃ কুশলো! ধন্তঃ কলাবিদ্ধনসংগ্রহী। প্রার্পাতি ফলমেতাবদ্বৈশ্যবর্জন্ত ধারণাৎ ১৯ বহুপাজিতবিত্তশ্চ ধনধান্তসমৃন্ধিমান্। সাধুঃ পরোপকারী স্ঠাচ্ছ্দ্রব্জন্ত ধারণাঁৎ॥ ২০ প্রাপ্ধোতি পরমং মূল্যং শৃদ্রোহপি গুভলক্ষণঃ | পুনব্বর্ণসামর্থ্য-লক্ষণৈর্ববজজিতং যদি ২১ অকালমৃত্যুসর্ণাগ্রিশক্রব্য।ধিভয়ানি চ। দূরাদেব প্রণশ্যাস্তি চতুর্ববর্ণাশ্রয়ে গৃহে ২২ দোঁষাঃ পঞ্চ গুণাঃ পঞ্চ ছায়! চৈব চতুবিবধা মূল্যংঃদাদশশকং প্রোক্তং বজস্যান্ত মহাত্মনঃ ২৩ মলং বিন্বুর্ববোরেখা ভবেৎ কাকপদস্তথা দোষাঃ স্থানবশাদেব শুভাশুভফল প্রদাঃ 11 ২৪ || ধারাস্থু সংস্থিতং কোণে বজন্য।স্তর্বেত্বদা ত্রিস্থানেষু মলং প্রোক্তং রত্বপান্ত্রবিশারটৈঃ ২৫

পসরা (১৬) ফলমাহ খারপাঁদিতি। বিশেষেণ খ্যাতমিত্যনেন তন্ঠ বর্ণাস্তরতাপি ভধতীতি হুচিতম্‌।

(১৭) (১৮) (২১)

(২২) (২৩) (২৪)

ব্র্ণলক্ষণং বর্ণভেদ চিন্তম্‌

বিপ্রধার্ণাৎ ব্রাহ্মণবন্্রধারণাৎ।

ক্ষতিয়ন্ত ক্ষত্রিয়জাতীয়ব্জন্য | ছ্বিষাং শত্রণাম্‌।

পরমম্‌ উৎকৃষ্টম্‌ অধিকমিত্যর্থঃ। শুভলক্ষণাদিহীনং চেৎ পরমং মুলাং প্রারপ্জোতি হীনমেব তসা মুল্যমিত্যর্থঃ।

গৃহে চতুর্বব্ণাশ্রয়ে ব্রা্মণাদিচতুর্জীতীয়হীরকাদ্বিতে সতীতার্থঃ।

পোষা দীন্‌ গণয্সতি দোষ! ইতি মহাত্সিনঃ মহা প্রভাবশালিনঃ |

দৌষান্‌ গণক্কতি মলমিতি দৌষ। অপি স্থানিবিশেষে স্থিত: গুতফলদান্তখা গুণা অপি

স্থানবিশেষাশ্রিত1 অগ্ডভফলদ। ভবন্তীত্যর্থঃ মলং বিন্দুঃ যবঃ রেখ। কাঁকপদম্‌ ইতি পঞ্চ দৌধাঃ। €২৫) মলং ব্যাখ্যাতি ধারাধিতি ধারাহ্‌ কোণে অন্তঃ মধ্যে ইতি জরিযুস্থানেযু সংস্থিতং

৩৩৫

মলং মলাখ্যোদোষ ইতি রত্রশান্্ত: প্রো মৃ।

৪৬

(২৬) (২৭) (২৮)

(২৯)

(৩১) ( ৩৩)

(৩৪) (৩৪)

রত্ব-্হস্ত |

বন্ধে ভরঁয়ং ভবেন্মধ্যে তথ! ধারাস্ু দংষ্টিণ2। রত্রবিতিরিদং জ্ঞেয়ং যশস্যং কোণম।শ্রিতম্‌ ২৬ আবর্তোবন্তিক। চৈব রক্তবিন্র্যবাকৃতিঃ। গুণদোষান্িতে বজ্র বিন্দুজ্ঞে রশ্চতুর্ববিধঃ ২৭ || আযুঃ শ্রীর্ব্িপুলাবর্তে বন্তিকায়াং ভয়ং ভবেৎ। ্্রীপুত্রক্ষয়কৃত্রক্তং দেশত্যাগে। যবাআকে ২৮ রক্তপীতসিতা জ্ঞেয়। বর্ণ। যব্পদা শ্রয়াঃ।

তেষু দোষগুণাঃ সর্ধবে লক্ষিতাশ্চ পৃথক্‌ পৃথক্‌ ২৯।। গজবাজিক্ষয়৷ রক্তে পাতে বংশক্ষযূস্তথা।

আফুধন্তং ধনং লক্ষ্মী; শ্বেতে ববপদাশ্রয়ে ॥| ৩০1, সব্যা চৈবাঁপসব্যা ছেঘাচ্ছেদে|দ্বগাপি বা।

বজে চতুর্বিধ। রেখা বুধৈশ্চৈবোপলক্ষিতা।। ৩১ সব্য চায়ুঃ প্রদা! জ্ঞেয়া-পসব্যা ত্বশুভ1 মতা উদ্ধগাসিপ্রহারায় ছেদাচ্ছেদা বন্ধনে || ৩২ ষটুকোণে লঘুতীক্ষে বৃহদ্দলেইপি ব।

বজে কাকপদোপেতে ঞ্ুবং মৃত্যুং বিনির্দিশেৎ ৩৩ | সবাহ্থাভ্যন্তরে ভিন্নং ভিন্নকোটি সবর্ত,লম্‌

সামধ্্যং ভবেৎ তস্য শুভাশুভফলপ্রদম্‌ ৩৪ লঘু চাষ্টা্ষটুকোণং তীক্ষধারং হুনির্মলম্‌।

গুণৈঃ পঞ্চভিরা যুক্তং তদ্বজং দেবভুষণম্।| ৩৫

কোণমাশ্রিতং মলং যশস্যং যশঃকরম্‌

বিন্দুদোষং বর্ণয়তি আবর্ত ইতি বজে হীরকে।

“তিয়ঃ পুত্রক্ষয়ং রক্তে" ইতি পুস্তকস্তরপাঠঃ | রং ক্রক্তবিদ্দুযূতং বভ্রম্‌। রক্তে ইতি পাঁঠেহপি তখ। অর্থ;

যবপদাখ্যদে বং বিবৃগোতি রক্তেতি দোধগুণাঃ স্থানবিশেষে স্থিত দোষ গুণাশ্েত্ার্থঃ | রেখাদোষং বর্ণয়তি সধ্যেতি। সব্যা বামাশ্রিতা। অপসধ্যা দক্ষিণভাগীশ্রিত৷ | ছেদাচ্ছেদ। উদ্ধগা. ইতি ছেদঃ।

কাঁকপদং কথয়তি ষড়িতি ষটকোণার্দিনপ্তগুণান্বিতমপি ব্জং কাঁকপদধুতং চেৎ তহি তন্ধারণাৎ মৃত্যুমীপ্পোতীত্যর্থঃ।

বাহাভগ্নস্য অন্তর্গত ভিন্নধারদ্য বর্ভলস্য বজন্য শুতাশুভফলপ্রদং সামর্থ্যং নাস্তীতার্থঃ। গুণানাহ লঘিংতি। লঘুত্বং অষ্টাঙ্গত্বং অষ্টদলত্বং ষটুকোণত্বং তীক্ষধারত্বং হুনির্নলত্বঞ্চেতি পঞ্চ বস্তগুণাঃ তদ্যুক্তং বজং দেবভৃষণং গুল ভমিত্যর্থ: |

৩৩৬

(৩৬ ) ( ৩৭) (৩৮) (৩৯)

(৪৭)

(৪৩) (৪৪) ৩৩৭

বতু-রহস্য

শ্বেতা রত্ত! পাতা কৃষ্ণ ছায়! চতুর্বিিধ।। অনিছায়োত্তবাঁঃ সর্ব এষ ছায়াবিনিশ্চয়ঃ 1! ৩৬ || ধারাঙগতলকোটীভিঃ শিরোলক্ষণনংযুতম্‌

তদ্ঙ্গং তুলয়া ধৃত! পশ্চান্দুল্যং বিনির্দিশেৎ ৩৭ অষ্টভিঃ সিতসিদ্ধার্থৈস্তন্ুলৈকং প্রকীর্তিতম্‌ | তত্তন্দুল প্রমাণেন বজ্তৌলাং স্থৃতং বুধৈই ৩৮ পূর্বং পিওসমং কুর্যাঁৎ বজ্কতৌল্যং প্রমাণতঃ | তৎপিওক্তিবিধোক্ঞেয়ে। লঘুলা মান্তগৌরবৈঃ ৩৯ 1 গুরুত্বে চাধমং মুল্যং সামান্তে মধ্যমস্তথ! |

লাঘবে চোত্তমং মুল্য -মুত্তমাধমমধ্যমম্‌ ৪০ গুরুত্বে ত্রিবিধং মূল্যং ত্রিবিধং লাঁঘবে তু বা। সাঁমান্তে ষড়বিধং জ্ঞের-মেতত ছ্াদশধা স্থৃতম্‌ ৪১। মনসা কুরুতে পিগং যবমাত্রিকতন্দুলম্‌।

তৎপিগুং সম্মন্তেন জ্ঞাত! মূল্যং বিনির্দিশেৎ ৪২ গত্রেণ ববমাত্রং স্তাৎ গুরুত্বং তন্দুলেন চ।

মূল্যং পঞ্চশতং তস্ত বন্তন্ত তু বিনিদিশেৎ ৪৩ যবদ্ধয়ঘনং পিণ্ডে লাঁঘবে তন্দুলোপমম্‌।

মূল্যং চতুগ্ুনং ভন্ত ত্রিভিশ্চাষ্টগুণং ভবেৎ ৪৪

ছায়। আহ শ্েতেতি অসিঃ বিশ্বপাতযোগ্যঃ খদগাঃ | লক্ষণযা রে তত ধৃত চায়াবিভাগে। জ্বের় ইতি ভাঁষঃ। যুল্যং বক্ত-মুপক্রমতে ধারেতি। ধারাদিগুণঘুতং বজ্তরং রুলদানিলাদী যন্্বিশেষেণ তোলগিতব। পশ্চাৎ বক্ষাম।ণ প্রণালা মুল্যং কল্পয়েদিত রথ |

বন্রতৌল্যং বজন্ত তুলাধস্্নিশীতপরিমাণস্। তৎ্প্রণালীমাহ অগ্টেত্তি। সিহপিদ্ধার্থঃ স্বেতসর্ধপঃ | িঙূলৈকম্‌, ইতি ঘা পাঠঃ

পিগুং শরীরম্‌ | দৃশ্তাকারমিতি যাবৎ

বজং দৃগ্ততঃ তন্দুলপরিম।ণাকা রং 'গৃহীত্ব। তততন্দুলেন সহ তোলয়েৎ। তত্র বজপিওং যদি গুরু স্তাৎ তদ! অধমমল্পং মূলাং কল্পয়েৎ। সমানঞচেৎ মধ্যমং যুলাং। লঘু চেৎ উত্তমম্‌ অধিকং মূল্যং কলপয়েদিতি ভাব পুনরপি তেষাং ভেদমাহ গুরুত্বে ইতি। যবম।ত্রং ষবপরিমাণম,।

ভ্িভিরিতি ত্রিভিববৈরপমিতঞ্চেত তদা অষ্টগুণ-মূল্যম, |

রতব-রহস্ত।

পিপ্তগাত্রং ভবেছন্ঞং'তৌল্যং পিগুদমং যদদি। পঞ্চাশল্লভতে মূল্য রত্বশাক্ত্ৈকদাহতম্‌ ৪৫ পিগুস্ত:দ্বিগুণং কা্যং তৌলাঞ্চ দ্বিগুণং ভবেৎ। মূল্যং চতুগুণং তস্ক ত্রিভিশ্চাষ্টগুণংভবেৎ ৪৬ চতুতিদ্বদশং প্রোক্তং পঞ্চভিং যোড়শং ভবে বট্পিগুস্ত ভবেন্মল্যং খ্যাপয়েছিংশতিগুণম্‌ ৪৭ সপ্তমে পিগুমূল্যঞ্চ সহন্রৈকং বিনির্দিশেৎ। যাঁবৎপিগুং নিবন্ধধণ্স্থাপয়েচ্চ ষথাক্রমম্‌ ৪৮ পিগুমাত্রং ভবেছজ্রং পাদাংশে লঘুত। যদি।

অষ্টাদশ গুণং মূল্যং স্থাপয়ে্লক্ষণং বুধৈঃ ৪৯ দ্বিপদং লঘু বজং স্তাঁৎ ষট্ত্রিংশৎ স্থাপয়েদগুণীন, ত্রিপাদস্তরতে তোয়ে দ্বিসপ্ততিগুণং ভবেৎ ৫* যাবংপিগুস্ত গাত্রাণি লাঘবেন গুণেন চ।

বজৈস্তৎ পরমং মূল্যং ছিসপুতিসহম্রকম্‌ ৫১ ।। পিওং ষবান্িকং বজং তৌলাং তৎ গুরুতাঁং ব্রজেং। ক্ষীয়তে দিগুণং;সূলাং তেষাঞব ক্রমেণ তু ৫২ দোষ প্রকাশো বজেষু ক্বর্পমাত্রোঘপি যো ভবেৎ। হীনত্বং প্রাপ্যতে তশ্ত মূলাং তাঁবদ্গুণাঁদিহ ৫৩ দোষসংঘুক্গসংস্থানং মহামগ্ডলমধ্যতঃ | কর্মাজৈস্থাপিতঞ্ষৈব লাঘবন্বং চতুর্বিধম্‌ ৫৪

(৪৫) লভতে ইত্যত্র ভবতে ইতি পাঠোহপি দৃশ্তে। তত্র তৃপ্রাপ্তাধাক্মনেপদং ক্েয়ম। অর্থ্ত প্রপ্মোতীতি। (৪৮) খ্যপয়েদিত্যন্্ স্বাপয়েদিতি পাঁঠোহপি (৪৯) পাদদাংশঃ চতুর্থোভাগঃ। («*) ছ্বিপদং অন্ঈপরিষীণম,। তরতে জলে নিমজ্জতীত্র্ঘঃ | (৫২) যবাৎ দ্বিকং ষবদ্য্পপরিমিতাঁকারমিত্যর্থঃ (৫৩) অত্রেদমুক্তং ভবতি তওুলপিগুং বস্তং তুলয়। ধৃতং তৌল্যেন তঙুলপ্রমাণং ষথ। বথ! হীযরতে তথা তথা তন্টোৎকৃষ্টতয়! উৎকৃষ্টমৈব মূল্য ভবতি এবং যথা যথা! গৌরবং তথ! তথ! তক্কাপকৃষ্টতয়! অপকৃষ্টমেব মূল্যং ভবতি। এখং রীতা। পিওং পরিকল্প্য পশ্চাৎ তীলাপ্রহ্থাণতো মূল্যনিশ্চন্ং কুর্ধযাৎ। তথ! গুধদোবাদিকমপি মুল্যাযধারণে কারণং জ্য়ম, |

৩৩৮

(৫৫) (৫৬) (৫৯) (৬১) (৬২) (৬৩) (৬৫)

বত-রহস্ত .

কর্মজ্ঞোলঘুপাণিঃ সন্‌ দৃ়চিন্তবশানুগঃ।

শাক্সসংজ্ঞাং সমাস্থায় তুলাকর্ম সমারভেৎ্ ৫৫ জ্যোতিবিনা! কথং বক্ত,ং কাচতুল্যমরীচিভিঃ |

বেদৈকমেকেনঃবিনা লক্ষণতক্ষণম 1 ৫৬ | কৃত্ব! করতলে বজং শাস্ত্রদৃষ্টেন কর্ণ

কশাঙ্গানি শিরো৷ বিদ্যা বিস্তীর্ণাঙ্গং তলং স্মৃতম্‌ €৭ উত্তমাঙ্গো তৃমস্থানে শোভতে সচরাঁচরে হেমমাঁসাগ্ বজাণি শোভতে নাপ্যধোমুখম্‌ ৫৮ || কোঁণোধারাশ্চ বজন্ত শিবং হি মুখমুচাতে।

কীলয়েদ্বুধস্তেন যদিচ্ছেছুভয়োঃ শিবম্‌॥ ৫৯ যদি কীলয়তে কশ্চিদজ্ঞানাচ্ছান্ত্রবজি তঃ।

তন্ত বজ্ং হি শিরসি পতেদ্বংশ ইবাসিনা ? ৬০ শৃথস্ত মুনয়ঃ সর্ববে রত্রানান্ত পরীক্ষকম্‌

মণ্ডলী নাম বিখ্যাতো যত্র মূল্যং প্রকুর্ব্বতে ৬১ অষ্টধা রত্বশান্ত্েষু পরদ্বীপাস্থিতেষু চ।

সবাহ্থাভ্যস্তরং রত্বং যে জানাতি মণ্ডলী ৬২॥ জাতীরাগন্তথারঙো -বত্তিগাত্রগুণাকরাঃ |

দোষশ্ছায়া মূল্যঞ্চ লক্ষ্যং দশবিধং স্থৃতম্‌ ৬৩॥ আকরে পুর্বদেশে কাশ্দীরে মধ্যদেশতঃ। সিংহলে সিদ্ধুপার্থ্ে তেষু স্থানেষু বিক্রয়ঃ ৬৪ চাতুর্বণ্যেহু যে বাঁহো! তগ্নাঙ্গো। হীনলক্ষণঃ

যোগ্যতা ভবেত্তশম্ত প্রবেশে মগুলেঘপি ৬৫

শান্্রসংজ্ঞাং শান্ত্রজ্ঞানম.। শস্্রমত্র রত্রশীন্ত্রমৎ।

লক্ষণতক্ষণং লক্ষণবিচারণান, | লক্ষণজ্ঞানেনৈব হি মণেজ্ঞানমিতি ভ।বঃ। অতে। ব্জ্গ্ মুখং যত্ততে জ্ঞেয়মিতি ভাবঃ।

মগ্ুললক্ষণমাহ শুণতি। পরীক্ষকং মণ্ডলকম,।

মগ্ডলীলক্ষণমাঁহ অষ্টধেতি অষ্টধা অষ্টপ্রকারেযু।

লক্ষ্যং লক্ষণেন নির্ণের়ম,।

বঃ মণি: চাতুর্বর্ণাবাহাঃ ভগ্রাঙ্গা দিলক্ষণহীনশ্চ তস্য পরীক্ষকেযু প্রবেশে। নাস্তি পরীক্ষকৈরপ্রাহথ ইতি ভাঁবঃ।

( ৬৮)

(4) (৭২) (৭৯১) (৭৫) (4৬)

রত্ন রহস্য

যন্মান্মগলমধ্ তু সৃরদৈত্যোরগগ্রহাঃ।

অবতীর্ণ অথো সাক্ষাৎ তন্মধ্যে নাত সংশয়ঃ ৬৬ এতৈগু ণৈঃ সমা যুক্তো-যোগ্যোমগ্ডলিকোভবেৎ ব্রিদিবৈহ'ল ভো। দেশে। ধন্টে। যব তিষ্ঠতি ৬৭ গ্রাহকে। ভক্ভিপুর্কেণ সমাহ্বয়বিচক্ষণঃ |

আমনং গন্ধমল্যানি মণ্ডলী তন্ত দাপয়েৎ।। ৬৮ বীক্ষ্য সম্যক্‌ গুণ।ন, দোঁষান, রত্বানাঁঞ্চ বিশারদঃ। পাঁদশোরত্রসংজ্ঞ! লক্ষ্যমেটককসন্গিধৌ ৬৯ অজ্ঞানাৎ কথয়েৎ মুল্যং রত্রানাঞ্চ কদাচন।

কৃুর্ধ্যাদিগ্রহং তন্ত ম্গুলী যস্ত বিক্রয়ী ৭০ অধমস্যোর্তমং মূল্যমুত্তমস্যাধমং তথা। ভয়ান্মোহাৎতথা লোভাৎ সদ্য: কষ্টং ভবেনুখে ৭১ পূর্ব প্রসাঁরয়েৎ পাঁণিং ভাগু[দাস্য দাপয়ে। দাঁপয়েৎ করসংজ্ঞাঞ্চ বিক্রয়ং চাতুনঃ গ্রিয়ম্‌।। ৭২।। প্রমাদাদধিকং মূল্যং ভাগাদ্যৈঃ কথিতং কচিৎ।

দোষো গুণস্তেষাং মণ্ডলী তদ্িচারয়েৎ ৭৩ সর্বে তে রত্বশাস্ত্রজ্ঞ। মধ্যং মগুলিনঃ স্কিতাঃ দেশকালবশান্ম,ল্যং বহুনাধশপি সংস্থৃতম্‌ ৭৪ কদাচিৎ সর্বরত্বানাং গ্রন্থার্থকুশলোভবেৎ।

কুর্ধ্যান্মল্যমেকোবৈ বদি সাক্ষাদয়ং ভবেৎ ৭৫ বজাণাং কৃত্রিমঞ্চেব বূপং কুর্ববস্তি যেইধমাঃ। লক্ষয়েততচ্চ শীস্ত্জ্ঞ। শাণক্ষোর্দবিলেখনৈহ ৭৬

গ্রাহকলক্ষণমাহ্‌ গ্রাহক ইতি। সমাহ্বয়বিচক্ষণঃ জনাহ্বান-চতুরঃ। মণ্ডলী পরীক্ষক বিক্রেতা বা

বিগ্রহঃ কলহ: বিরুদ্ধ তয়! গ্রহণং বা।

হস্তসংজ্ঞ।মাহ পূর্ববমিতি | ভাগাদ্যঃ মণিম্ব।নী

মণ্ডলী পরীক্ষকঃ।

ভবেৎ তিষ্ঠতি।

শীণক্ষোদবিলেখনৈঃ শাণঃ তীক্ষতাকারকে ফন্তরভেদ; | ক্ষো৭দ: কর্তনং ঘর্ষণং বা। বিলেখনম্‌ উৎকর্ভনং আঞ্চোড়নং বা। এতৈর্বজস্য কৃত্রিমং রূপং লক্ষয়েৎ।

২০৪৬

রত্-র্হন্ত |

লোহানি যানি সর্বাণি সর্ধরত্ব'নি যানি চ। তানি বজ্রেণ লিখ্যস্তে বরং তৈর্ণ বিলিখ্যতে ৭৭ অভেদ্যমন্থজাতীনাং লোহরড়ানি সন্নিধো। তেযাং ভেদস|মর্থ্যং বজং বজেণ ভিদ্যতে ৭৮ রসেন্দ্রবজৌ হ্যভয়াবভেদৌ স্বয়ং নিরুক্তৌ বলিনা পরেযাঁম্‌। বলিপ্রদেষ্টং বিবুধেষু দেবনম্‌ র্সন খজং জঠরেণ পোষা? ৭৯ ইতি বস্রপরীক্ষা

রাহ “৩৮০০২

অথ মুক্ত]

খায় উচঃ। ক্ুতং বজপরিজ্ঞানং যথোক্তং মুনিপুঙ্গব মৌক্তিকস্য যথো ৎপত্তি-ষখ। তিষ্ঠতি লক্ষণম্‌ ৯। তৌল্যং মৌগ্যং প্রমাণঞ্চ কথয়স্ব পৃথক্‌ পৃথক্‌ ষেন বিজ্ঞানমাত্রেণ তবেং পুজ্যোহবনীপতেঃ।1 ২॥।

অগস্তিরচিবাচ শ্রীয়তাং তদ্যথা তন্ং কথয়াম সমাসতঃ | যেন সিধ্যতি বিজ্ঞ/নং মগুলানাং যথাপুরা ৩॥ জীমুতকরিমৎস্তাহিবংশশঙ্খবরাহজাঃ। শুক্যপ্তবাশ্চ বিজ্ঞেয়া অক্টো মৌক্তিকজাতয়ঞ।

(৭৭) সর্বাণি লোহানি রত্রানি বজৈরপ্িখ্যগ্ডে তু ব্জং তৈরুল্লিখ্যতে ইত্যপি কৃত্রিমাণাং পরীক্ষান্তরম্‌।

(৭৯) অন্তজাতীনাং বিজাতীয়রত্বানাং লোহাদীন।ধ সন্গিধৌ বজং অভেদ্যমূ। তেঘাঁং বজ্জতেদসা মণ্যং নাস্তীত্যর্থঠ।

(২) অবনীপতেঃ রজ্ঞ; পূজো। ভবতি জ্ঞত। ইতি শেষঃ।

(৩) সমাদতঃ সংক্ষেপেণ বিজ্ঞানং মুক্তাবিয়য়কং জ্ঞানম। অপুরা ইতি ছেদঃ।

ইদানীশ্গিতি তদর্থঃ। (8) জীমূতো মেঘ করী গজং। অহিং সর্পঃ।

নত্“র্হস্ত |

ইতি বিখ্যাঁতমুনয়ে! লোকে -মৌক্তিকহেতবঃ।

তেষামেকং মহাধ্যস্ত শুক্তিজ। লোৌকবিশ্রুতাঃ ৫॥

ঘনজং মৌক্তিকং তাবন্মহীং যাবদ্গমিষ্যতি

ত্রিদশা শ্চাস্তরীক্ষেযু হরস্তযা্ড স্বমালয়ম্‌

বিছ্যুৎস্কুরিতসঙ্কাশংঃছুনিরীক্ষ্যং রবির্যথা।

নাশোধ্যং সুরসিদ্ধানাং নান্তোভবতি ভাজনম্‌

গজেন্ত্রকুম্তজাতানি মৌক্তিকাঁনি বিশেষতঃ |

তেষাং গুণাশ্চ বক্ষ্যন্তে রত্রশান্ত্রোদিতাঃ ভ্রমাৎ ৮॥

মন্দা দীপ্তিরভবেততেষাং ধাত্রীফলপৃথনি চ।

আতীম্রপীতবর্ণানি গজকুস্তোত্বানি বৈ ৯॥

গও্বিষয়সংজাত দক্তিকুস্তস মুস্তবাঃ |

মৌক্তিকাশ্চাধম! জ্ঞেস রত্বশান্ত্রবিশারদৈত ১০

তিমিজ! মৌক্তিক! যে নুবৃত্ত। লাথবান্বতা

গুঞ্জাফলপ্রমাণাঃন্থ্য ন'ত্যস্তবিমলপ্রভাঃ ১১

পাটলীপুষ্পসংকাশা দৃশ্যন্তে নাল্লভাগিভিঃ

জ্ঞাতব্যা রত্রশাস্তজ্ৈ-স্তিমিমস্তকমৌক্তিকাঃ ১২ পাতালাধিপগোত্রেযু ফণিষ.ভূতমৌক্তিকাঃ

ছুল ভ! নরলোকেৎন্মিন্‌ ভান্ন পশ্যতি পাঁপরৃৎ ১৩॥

সুবৃন্ধং ফণজঞ্চেব নীলছায়েজ্জল প্রভম্‌ |

রাজ্যং শ্রীরতবসম্পত্তি-গজবাজিপুরঃসরম্‌ ১৪

(৫)

(৬) (৭) চিত) (৯)

বিখাতমুনয়ঃ হে প্রসিদ্ধাঃ খধসঃ | তেষাঁং মধ্যে একং প্রধাঁনং আদ্যমিত্যর্থঃ॥ মহার্ধ্যং মহামূল্যম্‌ গুক্তিজান্ত প্রসিদ্ধাঃ হুলভাশ্চ। যদ্ধ। শুক্তিজং লোকবিশ্রুতমিতি পাঠঃ। জীমৃতজং মৌক্তিকমাহ ঘনেতি। ঘনজং মৌস্তিকং পৃথিব্যাং নায়াতীতি ভাবঃ। অগ্কঃ সুরাদীনামগ্ভঃ ভাজনং তল্লাভরোগ্যপাত্রং ভবতি

করিজম।হ গজেতি গজেন্্রকুস্তগাতানি মহাধ্যাণি ইতার্থ:।

তেষাং গজকুস্তজা তানাং মধ্যে কিঞ্চিন্ৌক্তিকং মন্দ্দীপ্তি জাঁরতে কানি ধাস্রী- ফলবৎ স্কুলানি ভধঘন্তি

(১) গণ ,তদাখায়। প্রসিদ্ধ! বিষয়োদেশঃ | দৃস্তী হত্তী। মৎস্যজমাহ তিমীভি। ৫৯২) অল্পভাগোন? দৃশ্যন্ত ইত্যন্থয়ঃ (১৩) অহিজমাহ পাতালেতি। পাতালাধিপঠগীপ্রেযু বানকিকুলজেু।

৩৪২

বৃত্ু"রহস্ত ১১

কক্কোলীফলমাসাগ্য নিবিড়ং শশিত্প্রভম্‌ প্রাপ্পোতি বংশজং বাপি গৃহে বন্ত স্থমৌক্তিকম্‌ ১৫ সিদ্ধিং পশ্যস্তি ফদ্রত্রে যাতুধানাঃ স্বাস্তথা রক্ষাবলিবিধানানি কুর্ষ্যাততত্র প্রযত্রতঃ ১৬ চতুর্ভিবৈদিকৈত্মান্ত্ে জু হুয়াতদ্ব,তাশনে |

শুভে লগ্নে মুহুর্তেুপি স্ববেশ্মনি নিবেশয়েৎ ১৭ যত্র তন্ৌক্তিকং তিষ্ঠেৎ বাদ শাদিত্যস্থপ্রভম্‌। শঙ্খদুন্দুভিনির্ধোষং ত্রিসন্ধ্ন্তত্র কারয়েখ ১৯

যস্ত হস্তে তদ্রতুং ছুঃথং বিষয়জং রূুজঃ |

দূরতস্তস্ত নশ্যস্তি তমোভানুদয়ে যথা ১৯ খ্যাতেষু কুলভূভৃৎ্তু লিন্মিতেধু শরৈঃ পুরা বেণবস্তত্র জায়স্তে প্রহ্ুতির্মে বক্তিকস্ত তে ৯০ বদরীফলমাত্রস্ত দাণ্ত্যা বঝোপলৈ? সমম্‌ | ত্বকৃ্সারজন্ঞ বিজ্ঞেম্পং প্রমাণং বর্ণতঃ লমম্‌ ২১ দানবাপ্রিমুখম্পশ-পাঞ্চজন্তস্ত সম্ভতিত 1

প্রস্থুতির্মে বক্তিকশ্তাসৌ পবিত্রা পাপনাশিনী ২২ সন্ধারাগসম! দীপ্তি কপোতাও প্রমাণতঃ |

তদ্রপং তেষু সচ্ছায়ং স্র্বদোঁষাপভারকম্‌ ২৩ মর্ত্যানাং ভবেৎ সাধ্যং নালপপুণ্যেন শঙ্খজম্‌ ছুর্গম্যে বিষমস্থানে পয়োধেঃ নংবসভ্যসৌ ২৪

সপ পিল শিিশিপিশীপিশিসিপশিি

সপ পপ পিসি পসপিশীশ শত শিিশি পা পাশাপ পাাপিশীশি

(১৫) ককোলীফলং তদ্বৎপ্রমাণম্‌। বন্য গুহে বুত্তাদিগুণে পেতং ফণিজং স্ুমোক্তিকং

১৬) (১৭) (১৯)

(২৯) (২২) (২২)

(২৪) ১৪৩

ংশজং বেণুজাতং ৰ। মৌক্তিকং দর্ভুতে তৎ আসাদ্য স্ত্রীরত্রাদিপুরঃসরং রাজ্যং প্রাপ্রোতি ইতি ছ্বয়োঠ সন্বন্কঃ | কক্ষোলীফলং বদরীফলম্‌।

পশ্যস্তি জানস্তি। তেষাং প্রলোভনিবারণায় ভত্র রক্ষাদিবিধানানি কুর্ধ্যাৎ | রক্ষাদিবিধানমাহ চতুভিরিতি

রুজঃ ক্নেশাঃ। ছুঃখমিত্যনেন নশ্যতীতি সংখাব্যতায়োনানুষঙ্গঃ তমঃ অন্ধকার$ | ভানুঃ শুধ্যঃ |

ঘেণুজমাহ খ্যাতেতি। কুলভুভূৎ্হ কুলপর্্বতেথস্টন্থ | নুবৈঃ নিশ্মিতেধু উৎপাদিতেযু। প্রন্ুতিঃ উৎপত্তিঃ |

বদরীফলমাত্রং বদরীফলপ্রমাণম্‌। বর্ষোপলৈঃ করকাভিঃ ত্বকৃসারজং বেগুজম্‌। বর্ণতঃ সমং আক রিবর্ণবদ্বর্ণবিশিষ্টম্‌।

শঙ্ঘজমধহ দানেতি দানবারিঃ বিধুর2।

অল্পপুণ্যেন সাধ্যং ছুষ্রীপ্যয্সিতি যাবৎ বরাঁহজমাহ আদীতি |

৪9

১২

(২৬) (২৭) (২৮) €(৩*)

(৩১)

(৩৩)

€৩৪)

পাস পক পপ

রত্ব-রহস্ত |

আদিশুকরবংশেষু সঞজাতাঃ শুকরোস্তমাঃ। জগতীজনিতা বাপি চরস্ত্যেকাকিনে। বনে ২৫ তদ্বরাহশিরোজাতা মৌক্তিকাঃ প্রথিত! ভূবি লোকে পলপ্রমাণাঃ সু স্তদদপ্রীন্নুবসন্নিভাঃ ২৬ ব্রাহজন্ত রত্বন্ত বর্ণোভাতিঃ প্রমাণতঃ।

জ্ঞাতব্যং রত্বশাস্ত্রজ্েঃ খ্যাতমেতৎ সবিস্তরম্‌ ২৭ বজ্বপাতপরিভ্রষ্ট! দৃস্তপঙ.ক্তির্ব্বলন্ত চ।

যত্র যন্ত্র প্রপাত্তান্তে আকরা মৌক্তিকন্ত তু ২৮ পতিত জলধেন্মধ্যে সমুৎপন্নাশ্চ শুক্তিজাঃ।

খ্বা( ৩তপজগ্তসংযোগাছুক্তিগর্ভং বিভর্তি সা ২৯ সিংহলং প্রথমৌজ্ঞেম মারবাটে। দ্বি তীয়কঃ। পারসীকং তৃতীয়ঞ্চ চতুর্থং বর্বরাকরম্‌ ৩০ স্থমিগ্ধং ম্ধুবর্ণঞ্চ সুচ্ছায়ং সিংহলাকরে।

আরবাটং শুচি নিপ্ধ মাপীতঞ্চ শশি প্রভম্‌ ৩১ & শাতলং নির্মলঞব পারসীকাকরোস্তব্ম্‌। বর্বরাকরজং রাক্ষং বর্ণেরাকরমাদিশেৎ ৩২ রুঝ্স(ভা রত্বরুক্শুক্তিত্ততপ্রস্থতিঃ নুছুল ভা আসমুদ্রান্তবিখ্যাতা জ্ঞাতব্য রত্বপারগৈঃ ৩৩ তণ্তবং মৌক্তিকং জ্ঞেয়ং জাতীফলসদৃক্‌ সদা। কুম্থমাভং সুবৃত্তঞ্চ কিঞ্চিতস্িপ্ধঞ্চ কোমলম্‌॥ ৩৪ তন্ত মুল্যং প্রবক্ষ্যামি রত্বশাস্জ্রোদিতং ক্রমাৎ। সহস্পুরুষোৎসেধাং কাঞ্নৈরপয়েন্মহীম্‌ ৩৫

শা পাশীিশিপিপিপিশী।

নি

পলমত্র লৌকিকমানেন সাষ্টরত্তিদ্বিমাফকপরিমাণম্।

ভাতিঃ দীপ্তিঃ। সা তদ্দস্তসদৃশবর্ণ। |

মৌক্তিকন্ত আকরাঃ উৎপতিস্থানানি। প্রপাঁতাঃ জলপতনস্থানানি। ভূগুভুম্যোব!। আরবাটঃ আরব. ইতি খাঁতো। দেশঃ। বর্ধ্বরঃ দক্ষিণসমুদ্রতীরবর্তিদেশঃ | পারসীক- সিংহলৌ প্রসিদ্ধো !

শুচি শুত্রমূ। মধুধর্ণঃ ঈবতপিঙগলবর্ণঃ

রুষ্মং সুবর্ণ, রজতং বা। তদাভ। ঘ। শুক্তিঃ সা রুত্মিণীতুচ্যতে। তৎপ্রস্থতিন্মুক্তা সদুল'ভা স্থবিখ্যাতা চেত্যর্থ;।

তন্তবং রুম্মাতশুক্তিভবম্‌

১৪৪

রতব-রুহস্য |

চোক্তং গুণহীনেষু রত্বশাস্ত্রেযু মূল্যতা। সর্বাবয়বসম্পূর্ণ। উত্তমাধমমধ্যমাহ ৩৬

নব দোষা গুণাঃ পঞ্চ ছাঁয়! ত্রিবিধা মতা

মূল্যং তৌল্যগুণং প্রোক্তং মৌক্তিকম্ত মহামুনে-। চতুর্ভিশ্চ মহাদোষৈঃ সামান্তৈঃ পঞ্চভিঃ স্থৃতম্‌ ৩৭। শুক্তিষ্পর্শন্ত মৎস্তাখ্যং জঠরস্বৃতিরক্তকম্‌ মহাঁদোষাশ্চ চত্থা রস্ত্যাজ্য! লক্ষণবিজ্জনৈঃ নির্বৃত্তং চিপিটং ত্র্যতং দীর্ঘপার্ে যত্কুতম্। সামান্তান্‌ পঞ্চ দোষাংশ্চ রত্বদোঁষান্‌ পরীক্ষয়েৎ ৩৯ শুক্তিষ্পর্শে ভবেৎ কষ্টং মত্ন্ত।খ্যঃ স্থুকৃতং হরেৎ। জঠরে দরিদ্রত্ব-মীরক্তে মরণং গ্রুবম্‌ ৪০ নিবৃ্তে হুর্ভগত্বঞ্চ চাপল্যঞ্চ চিপীটকে |

্র্যশ্রে নৈব শৌর্ধ্যত্বং মতিভ্রংশশ্চ দীর্ঘকে ৪১ আলম্তঞ্চ নিরুদুযোগে। মৃত্যুঃ পাশে যৎকৃতে সামান্তাঃ পঞ্চ দোষাশ্চ রত্বশাস্ত্রে প্রকীর্ডিতাত॥ ৪২ সুতারঞ্চ গুরু শিগ্ধং স্বৃত্তং নিশ্মলং স্ফুটম্‌।

পঠ্যস্তে সর্ববশাস্ত্েধু মৌজ্জিকন্তাপি ষড়গুণাঃ ৪৩॥ সর্বলক্ষণসম্পূর্ণং শাস্ত্রে ক্তং মৌক্তিকং যদি ধারণাত্তস্ত বৎপুণ্যং যত্ফলং লক্ষ্যতেশধুন। ৪8৪ শরতামৃষয়ং সর্ধে রত্রশাস্ত্রেষু দর্শিতম্‌।

সণ্তজন্মকৃতং পাপং ধারণাভ্তন্ত তৎক্ষণাৎ ৪৫ গোবি প্রগুরু কণ্তানাং বধে যত পাতকং ভবেৎ। তৎসর্ব্ং নশ্ততি ক্ষিপ্রং মৌক্তিকস্ত ধারণাৎ ৪৬

(৩৬) গুণহীনানাং যুল্যত। রত্রশীস্ত্রে নোক্তা তেষামতাল্পমূল্যমিত্যর্থঃ তেঘপি উত্তসাধম-

মধ্যমাঃ সম্তীতি বাক্যশেষঃ।

(৩৮) একদেশে চেখ শুক্তিথপুং লক্ষ্যতে তদা তৎ গুভিম্পর্শাখ্যো দোষঃ | (৪০) আ। সম্যক রক্তং অতিরক্তমিতি যাবৎ যদ্ব! অরজ্ঞং রাঁগহীনং। (৪১) চিগীটকে ইআত্র চপাটিকে ইতি পাঠঃ কচিৎ,

(৪২) যৎকৃতে দৌষে মৃত্যুরিত্যনথয়ত |

(৪8৪) সর্ববলক্ষণসম্পন্নং স্ত।দিতি পূরণীরম্‌

১৪৫

৯টি

পা পপ পাপাপাপপা লাদেন পতি পপ পা

(৪৭) (৪৮) (৪৯) (৫*) (৫১)

রতু-বুহস্ত |

মধুর! গীতশুক্রে ছায়া ত্রিবিধা স্বৃতা। জ্ঞাতব্য! রত্বশান্ত্রজ্ঞে রুক্তো চ্ছায়াবিনির্ণয়ঃ ৪৭ আকরোত্তমসঞ্জাতং গুরু ন্গিগ্ধং সুবৃত্তকম্‌। মধুবর্ণাঢ্যস্থচ্ছায়ং তেষাং মূল্যং বিনির্দিশেৎ ৪৮ মঙ্গলীকৃতয়ঃ শাস্ত্রে সপাদরূপকং স্মতম্‌ | রূপকং ধর্মমতুলয়। কলগ্রী্তিব রূপকম্‌ ৪৯ মাঞজালীরুতয়ঃ শাস্ত্রে মষইত্যভিধীয্গতে | মাষাশ্চত্বার একত্র শাণইত্যুচ্যতে বুধৈঃ ৫০ শাণদয়ং কলঞজঃ শ্যাদগন্ত্যপ্যমতং মম রূপকৈর্দশভিনিক্তং কলিঞ্জঃ কথ্যতে সদা ৫১ অত্র ভালপদেনাপ মাষধকশ্চ নিগদাতে। তালৈরষ্টভিরেবাপি কলগ্র ইতি কথ্যতে ৫২ মাঞ্জালযভ্যষিতত্রাসে জলবিন্দৃসমন্ধি তম্‌। অষ্টতালবিধং মুল্যং মৌক্তিকস্য কিনির্দিশেৎ ৫৩ পাঁদছয়ং স্যান্মাঞ্জালী বিঞিনননযযান* ভবেদপি

' মাঞ্জালীত্রিতয়স্যাপি পাদানষ্টো ৰিনিদ্িশেৎ ৫৪

তাঁসাং নামতুলোজ্জেয়ে।- জলবিন্দুষু মৌক্তিকঃ

অষ্টভিঃ পদমুত্,গৈঃ শান্ত্রেজং মূল্যমাদিশেৎ «৫ সপ্তুভিদ্বাদশং প্রোক্তং ষষ্ট্য। যোড়শমাদিশেঘ। পঞ্চাশীতিচতুব্বিংশ-তালৈস্ত পঞ্চবিংশতঃ ৫৬

ত্রিংশে কলগ্রমুদ্ধ ত্য অষ্টতালং বিনিদিশেৎ

ত্রিবিংশতিঃ সপ্ততিশ্চ কলিঞৈমূ'ল্যমাদিশেহ কলিগ্রমৃদ্ধ তে ত্রান গু্ীদেকসমং যদ্দি।

ত্রিভিশ্চাত্র প্রমাণেন তেষাং মৌল্যং বিনিরিশেৎ ৫৮

সপ পিপিপি পি শী পি পপি পিটিসি | জিপ, পিপাসা

মধুর! মধুবর্ণ। পীতশুরে গীতা শুরু! চেতার্থঃ | হুচ্ছার়ং মনোজ্ঞকাত্ভিম্‌।

কলগ্রঃ পরিমাণবিশেষঃ। রূপকমপি তথ! শাস্ত্রে রত্বশান্ে ্‌

নিজ্তং তুলদ্লা তুলিতম্‌।

১৪৬

বত -রহ্হ্য

ত্রিভিগুপঞ্জাদিকং যাঁবন্মৌক্তিকাঁনি ধারয়েৎ। ত্রিগুণং পশ্ঠতে মুল্য-মেকৈকন্ত ক্রমেণ তু ৫৯ গুঞ্জান্দিকৈশ্চতুভিশ্চ পঞ্চাশনুল্যম। দিশেখ |

পঞ্চমে চতুরশীতিঃ ষষ্ঠে ত্ষ্টোত্তরং শতম, ৬* দ্বিশতঞ্চ চতুর্ণাঞ্চ সগ্ডমে বিনির্দিশেৎ

নৈতৎ সপ্তশতাশীতিরষ্টা ধিক্যং বিনির্দিশেৎ ৬১ দশমেকং সহস্রন্ত অষ্টষষ্টিং বিনিদিশেৎ |

একাদশে সহন্রৈক-মষ্টাশীতিচতুঃশতম.॥ ৬২ দ্বাদশে দ্িদহত্রাণি দ্বিশতঞ্চ বিনিদিশেৎ।

সপ্রধষ্ট্যাং শতাধিক্যং দ্বে সহত্রে বিনির্দিশেধ ৬৩ চতুর্দশে দ্বিলহক্সরাণি সপ্ততিশ্চোত্তরে ত্রয়ম.।

পঞ্চদশে ভবেনুলাৎ ... ..৮ ০০ রাশিবর্তকহ ৬৪ অতউর্ধাত্রিকে মধ্যে পাদমূলাং নিবর্তৃতে ৬৫

রী ংজ্তয়াং যাবদষ্টশতানি চ।

সহন্ে শতং বিছ্যাদ্‌-ছি গুণেনোনবিংশতিঃ ৬৬ সহত্ৈকশতং ন্যুনে খ্যাপয়েৎ ভূপদে পদে বিংশমেকোত্তরং স্বাবৎ ক্ষিপেদ্রাশিক্রমেণ তু ৬৭ জাতং পরৈকবিংশত্য! ত্রিগুণং বৈ ক্রমেপ তু | চতুস্ত্িকৈশ্চতুগুন্য। পঞ্চ পঞ্চগুণৈঃ স্ৃতম, ৬৮ গুণ। দশ প্রশংসত্তি যাব্ভিংশাইসম্ত বত

দ্বৌ কলজৌ ত্রিকস্থনে বিংশগুণ্যং প্রয়োজয়েৎ ৬৯ প্রাজ্ঞস্তঞ্চ বিজানীয়াত্রস্ত মুল্যঞ্চ উত্তমম.।

দ্বৌ কলঞ্রৌ ... *"* জলবিন্দূং লভেং ক্কচিৎ ৭* স্থরৈরর্চনষোগাস্তন্নবৈরেতন্ন ধাধ্যতে

লক্ষমেকং ভবেৎ সম্যক্‌ সপ্তশসহম্রকৈ: ৭১ বর্ধতে বদ্ধতে মূল্যং ক্ষীণে ক্ষীণন্তথৈব চ। পর্ণচন্দ্রনিতং কাস্তা। সুবৃত্তং মৌক্তিকং ভনেৎ ৭২

স্পা

পপ ভান আরা

(৫৯) পণ্ঠতে পশ্যতি ধদেত্যর্থ: 1, ১৪৭

১০৮০

রতব-রহহ

্ষীয়স্তে সমভাগানি শেষমেকমবাপ্ন,য়াৎ! যৎ্সর্বাঙ্গময়ে যন্ষিন্‌ মধ্গ্যাখ্যে সদশেহপি বা। ৭৩ অধমস্তদ্বদেদ্িত্বান্‌ তন মূল্যং বিনির্দিশেৎ। রাগশর্কররেখাশ্চ স্ফ,টি 5ং পর্শববেধিতম, ৭৪। অধমং তদ্বদেৎ বিদ্বান্‌ তন্ত মূলাং বিনির্দিশেৎ কুন্মোপি বিমলচ্ছায়ো-বুত্তোমধুনিভো গুরুঃ ৭৫ সিতঙিদ্ধগুরুত্বঞ্চ তজজ্ঞেঘ্ং মৌক্কিকোভ্তমম, | ন্যনাতিরিক্তমূল্যানি বিন! শীস্তেণ (েবলম, ৭৬ | শকোম্যহমাখ্যাতুং প্রলয়ে সমুপস্থিতে কদাচিস্তবতি ছা'য়াগীতত্বং মৌন্তিকস্ত তু ৭৭ বিভবাদিক্ষয়ন্তম্ত বজ্জয়েতৎপ্রযত্র তঃ |

পুর! বিগ্রহতুঙ্গাগ্ধ। সমুদ্াস্তং বিনিদ্দিশেৎ ৭৮ শান্তরোক্তমথ সংখ্যা বুধস্তন্মার্গমাদিশেৎ।

ক্ষীয়তে বদ্ধতে চৈব যুক্তকালপ্রবর্তনম. ৭৯ ত্রিংশছধিগ্রহতুন্গৈশ্চ দিনৈরেকং বিনিদিশেৎ।

হেয়! তত্ববুধঃ প্রাজ্ঞঃ সম্যক শান্্রপ্রয়োগতঃ ৮০ ছায়া দ্ার্থকশ্চৈব রচিক1 সিক্তমেব চ।

রুপ্যং পুর্ব বিজ্ঞে্ং দ্রব্যসংখ্যাপ্রমাণকম, ৮১ ভ্রয়োদশং ধারণঞ্চ র্তসংজ্ঞাং বিনির্দিশেৎ |

বিংশত্য। দার্থকং জ্ঞেয়ং ত্রিংশত্যা সিক্তকং ভবেৎ ৮২ অসিতে ধারণে কুপ।ং পূর্ণ াদ্ধসিতং ভবেৎ। উৎপন্তির্ভাতিরিত্যেবং মৌ'ক্রকানাঞ্চ লক্ষণম. তৌল্যং প্রমাণঞ্চ তথ। শাক্সার্থেন বিচারয়েৎ ৮৩

(৭৩) মৎস্যাথ্যো। দোষবিশেষঃ |

(৭৪) রাগশর্করাদয়োহপি মুক্তীদোষাঃ

(৭৫) সধুনিভঃ মধুবর্ণাভঃ |

("৮১ লীতচ্ছায়মুক্তাধারণে ধনাদিক্ষয়ো জায়তে অতঃ ধার্য! (৮১) রূপ্যমিতাত্র কৃপ্যমিতি ক্ষচিৎ |

১৪৮

রত্ব-বহ্ন্য | ১৭

মৌক্তিকে যদি সন্দেহঃ কৃত্রিমে সহজেইপি চ। পরীক্ষা তত্র কর্তব্য রত্ুশান্ত্রবিশারদৈঃ ৮৪ ক্ষিপেৎ গোমুত্রভাগ্ডেযু লবণক্ষা রনংযুস্ধম। স্বেদয়েদেকরাত্রিঞ্চ শ্বেতবন্ত্রেণ বেইয়েখ ৮৫

হস্তে মৌক্রিকমাদায় ব্রীহিভিস্তদ্বিমর্দয়েখ। বিকৃতিং নৈবমন্ত্রেতি মৌক্তিকং দেবভৃষণম. ৮৬ কৃত্রিমান্‌ মৌক্তিকান্‌ কেচিৎ কুর্বস্তি নিপুণা জনাঃ। প্রগন্তোরত্বশান্ত্রজ্ঞঃ শাস্ত্রোক্তেন বিচারয়েৎ ৮৭

ইতি মৌ' ক্তকপরীক্ষা

জারা পাক পাপা পপ পা পিাপাপপতপা পলিপ পপ কাপ পাপা পাস

(৮৪) সন্দেহ ইতি পরীক্ষ। কর্তব্য তৎপ্রকারমাহ মৌক্তিক ইতি। (৮৭) শাস্ত্রোক্তেন রত্রশাস্ত্রো্ত প্রণালয। ১৪৯

অথ পদ্ররাগপরীক্ষা

অগস্তিরবাচ।

পপ ভি শশ্স

ব্রেলোক্যহিতকামার্থং পুরেন্দ্রেণ হতোহসুরঃ1 বিন্দুমাত্রমস্তক্তস্ত যাবন্ধ পততে ভূৰি

গৃহীত্বা তৎক্ষণীপ্তানুস্তা বদদৃষ্টোদরশাননঃ | তত্তয়ান্তেন বিক্ষিপ্তং অস্যক্তুস্ত মভীতলে নগ্যাং রাঁবণগঙ্গাক্া দেশে সিংহলকো ভবে

তটদ্বয়ে তন্মধ্যে বিক্ষিপ্তং রুধিরং তথা রাত্রৌ তদস্তসাঁং মধ্যে তীরদ্বক্পসমাশ্রিতম.। খগ্ঠোতবহ্রিবদ্দীপ্তং মুদ্ধি, বহ্ি্রীকাশিতম, পদ্মরাগং সমুস্ভূত ব্রিধা ভেদৈকজ[তয়ঃ

্গন্ধিঃ কুরুবিন্দশ্চ পদ্মরাগমনুত্তমম. 1 উত্পত্ভিস্থানমেকন্ত বর্ণভেদৎ পৃথক পুথক্‌ কথয়ামি সমাসেন লোকানাস্ত হিতাঁয় বৈ॥ শৃণুধবং মুনয়ঃ সর্ষ্বে মণিশাস্ত্রন্ত নির্ণয়ম. | উৎপত্তিমকরাংশ্চৈৰ গুণান্‌ দৌধাংশ্চ মুল্যতাম একৈকন্ত পৃথক্‌ বক্ষ্যে ছাঁয়া তেভ্যঃ পৃথক্‌ পৃথক. সিংহলে কালপুরে রছ্ধে, তুম্থুরে তথা

এতে রত্বাকরাঃ সর্কে মধ্যলোকে প্রকাশিতাঃ সিংহলে চাতিবত্বশ্চ পাতং কাঁলপুরে তথ

(১) অন্ক্‌ রক্তম্‌।

(৩) তন্মধ্যে ত্ত রাধণগঞ্গীয়৷ মধ্যে তত্তটদ্বয়ে চ।

(৪) উদ্ভজ্যোতিৰিতার্থঃ।

(৮) একৈকন্ত স্থগন্ধেঃ কুরুবিন্দো; পদ্মরাগস্তেতি প্রত্যেকস্য। কালপুরঃ দেশবিশেষ) | রন্ধেঠহপি তথা তুম্বরুরপি দেশবিশেষঃ।

১৬

১১)

€১৪) (১৬) (১৯) (২৯) ১৫১

(১*) ত্রিবর্গে ব্রিসংখ্যাবিশিষ্টসমুহে স্বগন্ধ্যাদিত্রিকে ইতি যাবৎ ' বিচ্ছায়ং-_বিষিধচ্ছান্নীযুতম্‌। বিকৃতবর্ণং বা ঘ্বিচ্ছায়মিতি বা পাঠ:। দোষাষ্টধা ইত্যত্র বিসর্শলোপেপি সন্ধিরার্য2। বিচ্ছার়মশিধারণাৎ দেশত্যাগোভবেদিতি দোষ? | শিরে ইতি সর্বে্ধ সাস্তা অদন্তা ইতি নিয়মাৎ। কায়ং দেহং আশ্রিতাঃ শরীরে ধৃতা ইতার্থ2

আময়ে। রোগ2। অষ্টোত্তরশতং রোগং উপৈতীতান্বয়ঃ

রত্ু-রহ্গ্ | ১৪

তাম্রভান্ুনিতং রন্ধে, হুরিচ্ছায়স্ত তুম্দুরে। নাম্ধারকরত্বানি তুম্থুরে রত্রজাতয়ঃ ত্রিবর্গে চাষ্টধ! দৌষাস্তদ্র্গে গুণসংযুতম্‌।

ছায়৷ তু যোড়শী প্রোক্তা মূল্যং ত্রিংশাধিকং স্থৃতম্‌ ১০ বিচ্ছায়ং দ্বিপদং ভিন্নং কর্করং লশুনাপদ্ষম্‌। কোমলং জলধূতরে মণিদোধাষ্টধা স্থৃতাঃ ১১। অন্টোন্তমন্থনেকত্বং ত্রিভিম'ধ্যে ঘয়েপি বা। যত্ফলং ধারণাত্তেষ।ং তদ্বক্ষ্যামি বিশেষতঃ ১২ যহুক্তং পূর্বমুনিভিন্মণীনাঞ্চ গুণাগুণম্‌। পল্পরগন্ত মধ্যে তু কুরুবিন্দং স্ুগন্ধিকম্‌ ১৩ যস্ত হস্তে তু তদ্রত্রং ভবেৎ পৃথিবীপতিঃ | বিক্তিচ্ছায়সম্পন্নং ত্রিষু বর্ণেষু ঘৎ কচিৎ ১৪ দেশত্যাগ ভবেত্দ্য বিরেধে। বন্ধুভিঃ সহ সিংহলে সবিতোঞ্জতং দ্বিপদঞ্চ মণিং চিৎ ১৫ ধারয়স্তি যেহজ্ঞানাৎ শৃণু প্রাপ্পোতি যৎ্ফলম্‌। রণেষু প্রাজুখত্বর্চ খড়গিপা তং লভেচ্ছিরে ৯৬ অপ্রাপ্তগুণদেোযন্ত ত্যজেল্লক্ষণবিন্মুনিঃ। ভিন্নদে।ষৈস্ত সংযুক্তো-মৃর্খেধৈস্ত করে ধুহঃ ॥১৭ দৌষন্তেযাং প্রবক্ষামি শৃণুধবং মুনয়ঃ স্কূটম্‌ | পুত্রশোকঞ্চ বৈধব্যং বংশছেদঞ্চ তত্ক্ষণাৎ ১৮ বিন! মূল্যেন তৎ প্রাপ্তং ত্যজেল্পক্ষণবিন্মুনিঃ কর্করাদোষপাষাণৈন ণিয়ঃ কায়ম।শ্রিতাঁঃ ১৯ গৃহীত যানি কুর্বস্তি তানি বক্ষা।ম্যহং মুনে।

বস্ত হস্তে তু তদ্রত্রং শতমষ্টোতরাময়ম্‌ ২০

[এপ শিস | পাপা সপ ৯০৯৫৬ শী

5৮

রতু-রহস্য

পুত্রপতুবান্ধব্যান্থুপৈতি চাক্ষয়ান্‌ গুণান্‌।

গুণেন দোযোহস্তি চার্থো নৈব চাদরঃ ২১ লশুনাপদমন্ত্রত্বং নাধমং নৈব চোত্তম্ম. পক্ককক্কোলকাভানি অশোকপল্লবানিভম. ২২ মধুবিন্দুনিভঞ্ৈব কোমলং ব্রিবিধং স্বৃতম,। ধনায়াশোক পত্রাভং চিরশ্রীশ্বধুনা নিভম. ২৩॥ শিরমাযুঃ ক্ষয়ং যাঁত ককোলীফলননিভে রঙ্গহীনং জলং রত্বং যস্ত বেশ্মনি তিষ্ঠতি ২৪ অতিবাদমমিত্রত্বং চিন্ত(শোকভয়ং সদা

সিংহলে সরিছুডুতো-ধুত্রবর্ণনিভোমণিঃ ২৫ ব্ধচাঁয়।ভয়ং তস্ত যম্ত হস্তে বিদ্যতে

খ্যাতা চাষ্টবিধা দোষ রত্রশাস্ত্রেযু যে স্বতাঃ ২৬ গুণবদ্ধারণাৎ পুণ্যং মুনয়ঃ শৃণুতে। হি তৎ। অপ্ধচ্ছায়। গুরুত্বঞ্চ নিম্মলং রঙ্গংযুতম্‌ ॥২৭॥ প্দ্মরাঁগমণেশ্চৈব চত্বারশ্চ মহাগুণাঁঃ |

গবাং ভূমিষু কন্ঠানাং অশ্বমেধে শতক্রতৌ ২৮ দতেষন্ুঠিতং পুণ্যং পদ্মরাগম্ত ধারণৎ। নানাবিধাশ্চ তে বর্ণ মণীনাং কায়সংস্থিতাঃ ২৯ সান্্! লাক্ষারসাভাশ্চ পদ্মবর্ণাশ্চ দূরতঃ। দাড়িমীবীজসঙ্কাশা লোদ্রপুষ্পসমত্বিষঃ ৩০ বন্ধ,কপুষ্পশোভাঢ্য মাঞ্জিষ্ঠা কুক্ধুম প্রভাঃ। সন্ধ্যারাগযুতাঃ সর্ব ভবস্তি স্ফুটবর্চসঃ ৩১

পতি সপ পর 5

(২২) লশুনাপদকমিতি পাঠভেদত | ফকোলফলং কাঙ্কোল, কাকরোত্ব অথব। বনকপুর ইতিথ্যাতম্‌

(২৩) ধনার খনহেতৰে ভবতি।

€২৫) অতিবাদং কলহ: অমিত্রত্বং শত্রুতা

(২৭) শৃণুত ইতিচ্ছেদঃ। সন্বোধনে।

(২৮) চতুর্ভিশ্চ নহাগুণৈরিতি বা পাঠঃ মহাগুপৈর্বিবিশিষ্টঃ। গবাং গোষ্টেষু। কম্ঠানাং দানে ইতি যোজ্যম্‌।

(৩) সাল্া নিথিড়ী। লাক্ষারসাভা। অলক্তকধর্ণাঃ। ত্বিট, দীস্তিঃ।

ছন্

(৬৩) (৩৪) (২৬) (৩৭) ৩৮)

রত্ব-রুহন্য। ২৯,

পারিজাতকপুষ্পভ। কুনুস্তকুস্থম প্রভা হি্,লছ্যুতিসঙ্কাশাঃ শল্িলীপুষ্পপন্লিভ। ৩২ 1 চকোরসারসাক্ষাভাঃ কোৌকিলাক্ষনিভাঃ পুনঃ প্রশ্থোতা রাগতঃ সর্কে তথর্ণমণয়ঃ স্থৃতাঃ |

তেষ।ং বর্ণবিভাগোহয়ং কথিতশ্চ স্ুবিস্তরম্‌ ৩৩

খষয় উচুঃ

সর্বেষং মণিরতব। নাং ত্বয়োক্তশ্চ সমুচ্চয়ঃ |

তন্তেবং শ্রোতুমিচ্ছামঃ কথয়স্থ যথাতথম্‌ ৩৪ কে! বর্ণঃ পদ্রাগস্ত কুকবিন্দস্ত কো তবেৎ।

কথং সৌগন্ধিকম্তাপি বর্ণভেদাঃ পৃথক্‌ পৃথক 5৫

অগন্তিরুবাঁচ।

পদ্থিনীপু্পনক্ক'শঃ থগ্ভোতাগিসম প্রভঃ কোকিলাক্ষনিভে! যশ্চ সারসাক্ষিনম'গ্রভঃ ৩৬ চক্ষোরনেত্রসম্ভাসঃ সপ্তবর্ণসমন্থিতঃ |

পন্মরাঁগঃ সবিজ্ঞেষ-শ্ছায়াভেদেন লক্ষ্যতে ৩৭ শশাস্যক্লোদ্রসিন্দূর-গুপ্তীবন্ধ,ককিংগুকৈ:। অতিরক্তং স্থুপীতঞ্চ কুরুবিন্দমুদান্ৃতম, ৩৮ ঈষরীলং ুরক্ঞ্চ জেয়ং দৌগন্ধিকং বুধৈঃ | লাক্ষারসনিভঞ্চেব হিঙ্গ,লকুস্কুমপ্রভম, ৩৯ ছায়া! চাত্র রয়াণাঞ্চ কথিতা! স্লবিস্তরম, |

মূলাং তন্ত প্রবক্ষ্যা মি শৃণুধ্বং মুনয়ঃ সদা ৪৯ ব্রিবর্গেণ বিধিমূল্যমেকৈকন্ত ত্রিভিক্জিভিঃ ! কাস্তিরঙগৈকবিংশত্য। মুল্যং ত্রিংশদ্বিধং ভবেৎ ৪৯

পিএ পা পিল শিস সাত কা

রাগ: রাগেণ রক্তবর্ণতয়! প্রদ্যোতাঃ প্রকৃষ্টছাতিম স্তঃ।

সমু্চয়ঃ সমুদয়; সংগ্রহোব। তত্তেদং তেষাং বিশেষম |

খদ্যোতঃ স্বনামখ্যাতঃ কীটঃ |

যঃ মণিঃ প্রোক্তস প্তবর্ণবিশিষ্টঃ সঃ পল্জারাগঃ শশরক্তাদিভিরুপমীয়মানমতিরক্তং হুগীতং ব1 রং চুর খিনাসংজকনিভা্:।

(৩৯) তয়াণাং পর্রাগকুরুবিন্দসৌগন্ধিকানাং ছাঁয়া বর্ণঃ |

১৯৩

হ.

রত্বস্রহস্য

উদ্ধবন্তিস্তথ। দীপ্তিঃ পার্খবর্তিশ্চ যোমণি: | পিওরঙ্গঃ বিজ্ঞেয় উত্তমাধমমধ্যমৈ ৪২ যোমণিমুচ্যতে বাহ বহ্িরাশিসমন্াতিঃ | কাস্তিরঙ্গঃ বিজ্ঞেয়ে! রত্রশান্ত্রবিশারদৈঃ ৪৩ বালার্কদিঙসুখঞৈব দপণে ধারযনেন্মণিম। ছায়ামধ্যে মণীনান্ত কাস্তিরঙ্গং বিনিদিশেৎ ৪৪ তংকান্তিং সর্ষপৈর্গৌরৈঃ প্রমাণৈধরয়েত্ুধঃ | তহক্ষো লক্ষণৈরঙ্গৈঃ সর্ষপৈর্নাভিবিংশকৈঃ ৪৫ মৃদ্ধি.কাস্তিপ্রমাণস্ত কশ্চিভ্ভবতি যোমণিঠ | বিংশমেকোত্তরং রঙ্গে ক্ষত্রিয়ং তং বিনির্দিশেৎ ৪৬ যবার্ং ষবমেকত্ত ছবৌ যব! ... **, টির

মাষ৷ যন্সণয়োৎসর্থং যবমেকন্ত মানসম.॥ ৪৭॥ ? উর্ধবর্তিমণিশ্চৈৰ যবোৎসর্গপ্রমাণতঃ। ঘন্মাত্রমণিবিস্তারং তেষাং মূল্যং কথস্তবেৎ॥ ৪৮ দ্শোভভবরশতে দে পদ্মরাগস্ত মুল্য তাম। কুরুবিন্দে পৰন্যুনং সৌগন্ধে চার্দমূল্যত ৫৯ দ্বিশতঞ্চ শতাদদ্ধং পর্চাশার্দশতাঁধিকম. শতপঞ্চাধিকে পার্থ সপ্তপ্তত্যধোভবেৎ ৫০ সৌগদ্ধিকে উদ্ধবর্তি-সপ্তপঞ্চাধিকোঁভবেৎ। সপ্তসপ্ততিপার্ে পর্চাশাদ্ধৈরধঃ ম্ম.তঃ ৫১ ষবত্রয় প্রমাণেন একৈকং বদ্ধতে যদ্দি |

স্থাপর়েদ্দি গুণং মূল্যং যাবল্সাত্রোহষ্টভির্ভবেৎ ৫২ মণিমাত্রা পাদাংশন্ন্যনা চৈব ভবেৎ চিৎ ক্রীয়তে দ্বিগুণং মুল্যং কথয়াঁমি মহামুনে ৫৩॥ কাস্তিসর্ষপকাস্তিস্ত একৈকং বর্ধতে যদি স্থাপয়েদ্‌দিগুণং তেযাং যাবদ্িংশতিসর্বপাঃ ৫৪

শক

(8৪) উদ্ধৃবর্তিঃ উদ্বীগাঁমিনী প্রভা

(৪৬) একোত্তরং একাঁধিকম | রঙ্গে পরিভাঁষাবিশেষে €৪৯) চভুর্থাংশহীনম্‌।

/ *৩) মাত্র! পরিষাণম্‌ |

রি

রত্ব-রহুস্য।

কুরুবিন্দং স্থগন্ধিশ্চ কাস্তিরঙ্গং ভবেত যদদি। পাদাংশং ক্ষীয়তে মৃল্যং তেষাঞ্চেব ক্রমেণ তু ৫৫ মাত্রাধিকশ্চ কাস্তিশ্চ ,কশ্চিদ্ভবতি যোমণিঃ | উভো তেধাঁঞ্চ মূল্যঞ্চ তনমুলাং স্থাপয়েদ্ধঃ ৫৬। অধম! অধিমাত্রস্ত বিশ্বকাস্তিশ্চ যোভবেৎ। ক্ষীয়তে গাত্রমূল্যানি কাস্তিমূল্যং বিনির্দিশেৎ ৫৭ ষড়বিংশৎকে!টিভিশ্চৈব লক্ষমেকোনবিংশতিঃ |. চতুস্তালসহআণি পল্সরাগঃ পরং স্বৃতম্‌ ৫৮ নুচ্ছায়ানিতগাত্রাণি লক্ষণৈঃ সংমূতানি চ। সিংহলন্তাপি ষড়ভাগং রদ্ধ,তুম্ব,রয়োর্ভবেৎ ?৯ কালপুরাঁকরে যে মণয়োলক্ষণান্বিতাঃ। ত্রিভাগং সিংহলস্তাপি লথুমূল্যং নিয়োজয়েৎ ৬০ দীর্ডিলক্ষণসংযুক্তং প্রাপ্যতে মূল্যমূত্তমম্‌। দীপ্তিলক্ষণহীনঞ্চ কিঞ্চিনুল্যং বিনির্দিশেত ৬১ আঁকরে চোত্তমে জাতো-লক্ষণৈধণ্য্যতে যদি প্রমাণঞ্চ লভেত্তেষাং জ্ঞাত্ব মূল্যঞ্চ নাদিশেৎ ৬২ লবুত্বং কোমলত্বঞ্চ পল্মরাগে পরিত্যজেৎ। লঘু ব্তং প্রশংসস্তি ** ... ০০ ৬৩ সন্দেহোজায়তে কশ্চিৎ কৃ্রিমে নহজেহপি বা। লক্ষয়েত স্থানসংবুক্ত মুভৌ চাপি পরস্পরম্‌ ৬৪ অজাতিনশ্ততে জাত্যা জাতির্ভীতিং প্রকাশয়েৎ। লক্ষণেনৈব লক্ষ্যন্ত সন্দেহানি পরি তাজেৎ ৬৫ নীলং বা পদ্াবাগং বা লক্ষণৈর্ব! বিলক্ষ্যতে চান্তৈর্লক্ষাতে লক্ষাং শাপৈনপি বিলেখয়েৎ ৬৬ তি পদ্মরাগপরীক্ষ!

পা সারা

( ৫৭) অধিমাত্রং অধিকপরিমণস্‌। বিশ্বকাস্তিঃ পূর্ণকাস্তিঃ | (৬*) কালপুরাখাদেশন্থে আকরে। কাঁলপুরাঁকরে ব| পাঠঃ (৬৫) জাত্যমপিন! অজতিননীশংগঙগমাপ্রোতি জাতামণেস্ত দীরপ্তির্ভবেৎ। (৬৬) শীঁপৈর্যস্্বিশেধৈর্ন বিলেখয়েৎ ধর্ষপনি মিত্ক্ষযং প্রাপ্পোতি।

১8.

অথ ইন্দ্রনীল-পরীক্ষা! অগস্তিরুবাচ।

দানবেন্তং সুরেন্েণ হতোবজেণ মস্তকে

তেন বজ্জপ্রহারেণ পতিতো! ধরণীতলে অস্কৃপিস্তানি বিক্ষিপ্তা বিক্ষিপ্তানি দিশোদশ পতিতে লোচনে ত্র দানবস্ত মহাত্বনঃ ২॥ মহাদ্রিশোভনে নীল ... *** ০৮০১

বিষয়ে সিংহলে চৈব গঙ্গাতুল্য! মহানদী তীরঘ্বয়ে তন্মধ্যে বিক্ষিপ্তে নয়নে যথ!। ঈষন্মাত্রে পৃথক্‌ স্থানে কালিঙ্গবিষয়ে তথা পতিতে লোচনে ঘন্র তত্র জাতা ম্হাকরাঃ | সিংহলন্তাকরাদ্ষে সমুডূতাঃ স্থশোভনাঃ মহানীলাস্ত বিজেয়াঃ কলিঙ্গস্ত তথোত্বাঃ | নামধারকবিজ্ঞেয়া-ন্ত্িধু লোকেধু বিশ্রতাঃ সিংহলীয়াকরৌ দৌ উত্তমাধমসংজ্ঞকৌ ! সিংহলন্তাকরোডূত। মহানীলান্ত ষে স্মৃতাঃ চতুর্ববর্ণং বিজানীয়াৎ ছাঁয়াভেদেন লক্ষয়েৎ। ঈষৎসিতশ্চ যোনীলে। জ্ঞেয়োবর্ণোত্তমন্তথ] কিঞ্চ্দািরক্তনীলশ্চ বিজ্ঞেয়ঃ কষত্রিয়স্তথ! | বৈত্ান্ত নীলপীতাভঃ শৃদ্রোযোনীলকৃষ্ণভঃ কালপুরাকরে নীলঃ শ্তেনচক্ষুনিভোমতঃ | চতুর্বর্ৈস্তথা খ্যাতাঃ শৃদ্রবৈশ্ঠনৃপদ্বিজাঃ ১০

€১) দ্বানবেজঃ বলার | (২) অমৃক্‌ বিক্ষিপ্ত, পিতানি বিক্ষিত্ানি। (৩) বিষয়ে দেশে দিংহলে দেশে ইনি সামানাধিকরণ্যেনানবয়ঃ |

১৯৯

০৯৯ পেস্ট ০০০ পপ পপ পপি উপ পা পাপ পা পপ সাপ

(১৪) (১৫) (১৬) (১৮)

(১৯) (২)

১৫৭

রতব-রহুস্থয |

পুর্ববং যথ| ময় খ্যাতং নীলানাং বর্ণলক্ষণম্‌। যৎপুণ্যং ধারণাত্েষাং শুত্রবৈশ্তনৃপদ্বিজৈঃ ১১ আকরোৎপতভিবর্ণানা-মাখ্যাতা মুনিপুঙ্গবৈঃ। দে।যান্তন্ত প্রবক্ষ্যামি গুণাশ্ছাঁযা মূল্যতাম্‌ ১২ নীলন্ত ষড়িধ! দোষ। গুণাশ্ত্বার এব চ। ছায়াশ্চৈকাদশ প্রোক্তা মূল্যং ষোঁড়শকং তথ। ১৩ অভ্রিকাপটলছায়৷ কর্কর! ব্রাসভিন্নকে 1

মু! পাষাণকং ষট. মহানীলম্ত দৃষণম্‌ ১৪ অভ্রছায়স্ত নীলং যো-হৃজ্ঞ!নাৎ ধারয়েৎ কচিৎ। বিভবাযুঃক্ষম্বং াতি বিছ্যুৎপ1তোহপি মস্তরকে ১৫ কর্করাদোষসংযুক্ত-ধারণাচ্চৈব কিং ভবেৎ ? দেশত্যগোদরিদ্রত্বং ধৃতে দোঁষৈন মুচ্যতে ১৬ ধন্বস্তরিঃ স্বয়ং বাপি ব্যাধিদোষান্ন মুঞ্চতি |

ত্রাসেন সহ সংযুক্তঃ কে। দোষস্তম্ত সপ্ভবেৎ ॥? ১৭ ব্য।ঘ্রান্মহাহিথক্ষেভ্যো-দংষ্টি ভ্যশ্চ ভয়ং ভবেৎ। সবাহ্ভিন্নদোষস্ত ইন্দ্রনীলস্ত দৃষণম্‌ " ১৮

বৈধব্যং পুক্রশোকশ্চ ধুতে দোষৈন মুচ্যতে ইন্দ্রনীলম্ত মধ্যে তু মৃদশ্ছাঁয়! বাঁ ভবেৎ ১৯ ধূতে নখাগ্রকেশেষু সদাঃ কু্গি ভবেনরঃ। অগ্ঠপাধাণনীল[নাং কায়মধ্যে ভবেদ্ষদি ২০ রণে পরান্থুখত্বঞ্চ খড়ণপাতশ্চ মস্তকে |

ইন্দ্রনীলম্ত দোঁষাশ্চ খ্যাতাঃ সদ্যঃ সুবিষ্তরম্‌ ২১

পপ পার পপ পপ পাও পপ পিএস আপস | পাপা বাপ পপা চপ,

মৃত ইতি পাঠোহপি।

মন্তকে বিদ্য,ৎপাঁতোহপি ভখেদিতি বাক্যশেষঃ |

কর্করাদোষদুষ্টমপৌ ধূতে সতি |

বাহাভগ্রতা অস্তর্তগ্রতা চেতি দ্বিবিধোতিন্নদৌষ ইতি ধ্বন্ততে। তদ্ধারণে দুষণং দৌধমাহ বৈধব্যমিতি।

মৃদশ্ছাল। যৃতিকা বৎ গ্যামজতা

তস্য কুনখিত্বং পালিত্যঞ্চ জার়ত ইতি ভাখার্থঃ। পাঁধাপাখাদোষমাহ অন্ঠেতি। কারমধ্যে ইন্দ্রনীলস্যাঙ্গে বদি সাঁধারণপ্রস্তরনৈল্যং দৃষ্ঠতে তঙ্থি পাধাণাখ্যোদোষঃ। তদ্ধারণে দৌবঙ্গাহ রণে ইতি

৫৬

(২২) (২৪)

(২৫) (২৬) (২৭৯) (৬১)

রড়-রহপ্ত।

গুণান্তেষাং প্রবক্ষ্যামি শৃণুধবং মুনয়ঃ পৃথক্‌।

গুরুঃ জিগ্ধশ্চ রলাঢ্যঃ শ্বাখ্মবৎপার্খবরঞন্ম, ২২ ইন্্রনীলঃ সমাখ্যাতশ্তুভডিশ্চ মহাগুগৈঃ | ইন্দ্রনীলমণেশ্ছাঁয়াং কথয়্ামি মহামুনে ২৩ নীলীরসনিভাঃ কেচিৎ নীলকগনিভাঃ পরে লক্ষীপতিনিভাঃ কেচিৎ ধবলীপুষ্পসন্নিভাঃ ২৪ অতসীপুষ্পসক্কাশ! কৃষ্তাশ্চ গিরিকণিবৎ। মত্তকোকিলকণ্ঠাভ। মযুরগলবর্চসঃ ;৫ অলিপক্ষমনিভাঃ কেচিৎ শিরীষকুন্গমন্তিষঃ। কৃষ্েন্ত্রীবরভ!ঃ কেচিচ্ছায়াশ্ৈকাদশ স্মতাঃ ২৬ দোঁষহীনং গুণাঢ্যঞ্চ আকারৈশ্চোভ্মং যদি তেষাং মূল্যং প্রবক্ষ্যা্ি শাল্সদৃষ্টেন কর্মণ! ২৭ | পিওস্থোহপি প্রকাশোবা লক্ষণৈঃ সংযুতো। যদি ষোডশং মুল্যমুদিষ্টং রত্রপান্রমনীধিভিঃ ২৮ | ক্গীরমধ্যে ক্ষিপেন্নীল মানীলঞ্চ পয়োভবেৎ। ইন্দ্রনীলঃ বিজ্ঞেয়ঃ শাস্ত্রোক্তেন পরীক্ষিত; ২৯ | শক্তিরেষ। গুণ! ন্ট ইন্দ্নীলম্ত লক্ষণম.। রগ্রয়েদাত্মপার্খস্থো-ন ত্যাজ্যোহাপি হস্তি যঃ ৩০ কাস্তিরক্কেবু যন্থুল্যং পন্মরা গেষু যৎ "্ম.তম্‌-।

তদ যোজয়েদীন্দ্রনীলে যবমাত্রং ভবেদ্যদি ৩১ নিপ্ধঞ্চ নীলবর্ণাঢ্যং পিগুস্থং সম্ কাশিতম. |

হীনং সৌগদ্ধিকং বাপি তন্মুল্যং যোজয়েদ্বধঃ ৩২

জপ | শা পপ শিপ স্পপীশিদ পাপা পপ শি স্পোপীশী পিশািপল কী শত পপি শাপিপাাদি পাপ পাপিসপাস্পিিপ ভ০ পি

শ্বাঝ্ববৎপার্খবরঞ্জনমিতি নীল্য। পাগরস্থবস্ত রঞ্নম্‌।

নীলীরসং নীলনামকক্ষুপনিযাঁসঃ। নীলকণ্ঠঃ স্বনামখ্যাতিঃ পক্ষী লক্ষ্ীপতিঃ বিফুঃ তত্বর্ণশ্চ শ্যামঃ। ধবলীপুম্পং ধববৃক্ষপুষ্পম্। চীনকপুরং ঘ।

অতমী শশঃ "'ভিষি” ইতি যসা ভাষ।। গ্িরিকর্ণিক অপরাজিতা পুষ্পম্‌।

অলি: ভ্রমর? তস্য পঞ্ং তদগাত্ররুহং লোম ইন্দীবরং নীলপদ্ম্‌।

শাস্ত্রোন্জেন শান্সযুক্ত্য।

ঘব্মাত্রং ববপরিমাণম্‌।

১৫৮

অন্যদৌষবিনির্শ্ত-উত্তমাকরসঙ্পিভঃ। পিগুত্ত অর্ধমূল্যানি বাঁলবুদ্ধে নিয়োজয়েৎ ৩৩ পাশ রঞ্জননীলানাং যবমাত্রপ্রমাণতঃ। তবেৎ পঞ্চশতং মূল্যং রত্রশান্জে ব্যুদাহ্ৃতম, ৩৪ যব্মাত্রপ্রমাণেন লক্ষণৈঃ সংযুতং যদি পিগুস্থমে কমূল্যঞ্চ পধগাশদা বিনির্দিশেৎ ৩৫ ষবমাত্রাষ্টরভির্ধাবদিন্দ্রনীলশ্চ যো ভবেৎ। চতুঃযষ্টিসহম্রাণি পরং মুল্যং সমাদিশেৎ ৩৫.। বিস্তরেণ ময়াখ্যাঁতং মহারত্রপ্ত মূল্যকম.। পুনঃ সংক্ষেপমাত্রেণ বালবুদ্ধন্ত লক্ষণম, ৩৬

হিমাংশুসিক্তং হ্যদয়ে কালে

যথ। পুষ্পং ত্বতসীসমুখম, |

তথাসমচ্ছা র়সমৃদ্ধিলক্ষণং

তমিন্ত্রনীলং বিবুধাঃ শ্রয়ন্তি ৩৭

ঘন্মাংশুগুক্ষ ত্বতসীসমুখ্খং

মধা!হুকালে রবিরশ্বিদীপ্তম.।

ংকোচকে কষ্ণবিবর্ণরূক্ষং

সা জীর্ণবর্ণাচ্চ ভবেন দীপ্তিঃ ৩৮

তুষারতপ্তং রখিরশ্মিতপ্তং

সুর্য্যেইস্তমাঁনে পরিপক্ষলুনম.।

আপাও্ছর্বাস্কুরমিগ্ধভাবং

ইশবাঁলনীলাচ্চ ভবেচ্চ দীস্তিঃ ৩৯ নীলচ্ছায়াশ্চ পাষাণ? দৃশ্তান্তে পৃথখিধাঁঃ শান্ত্বান্ে তান্‌ জ্ঞাতুং মঘবাপি শকাতে ৪০ বিভবায়ুষ্যমারোগ্যং সৌভাগ্যং শৌধ্যসম্ততিঃ। ধারণাদিক্্রনীলস্ত সুলীতঃ শতিকোভবেৎ ৪১

ইতি ইন্দজ্রনীলপনীক্ষা।

পস্পপি ১১৯৯১ ৬৪৮7 পতি তত আপি জি তে পি হস শপ তত আআ সপ &. ১০

শিশিশিসিসপপসপলসপাপাপিশ

( ৩৩) বালঃ নবোদ্ভবঃ। বৃদ্ধঃ বহুক।লোত্পনরতরা জীর্ণ: এতকোলক্ষণমপ্রেহস্থি। (৩৪) যঃ পার্খং রঞ্জয়তি নীলঃ পার্বরঞ্জনঃ

(৩৫) গরম্‌ উৎকৃষ্টম্‌।

(৩৬) লক্ষণং চিহ বচ.মীতি বাক্যশেষঃ |

(৪১) মঘব। ইন্্রঃ। শীন্্বাহোন শাঙ্বোক্তপরীক্ষাভ্যপায়ং বিন!

(৪১) শতিকঃ বহুধনশালী। শতশবন্দৌহত্র বহুনাসুপলক্ষকঃ

৯৫৯ ৪9৯

(২) (৩) (&)

(৫) (৭)

অথ মকরত পরীক্ষা

খষয়উচুঃ |

০০

পুনঃ পৃক্ছস্তি তে সবে মুনয়শ্চ মাদরাৎ। কথ্য তাং পঞ্চমং ওত্ং মহামরকতং মুনে ১।।

অগন্তিকুবাচ।

রত্বশ্চি বিবিধা জাতা দানবস্ত শরীরতঃ |

তস্ত পিন্তং গৃহীত্ব। তু পাতাঁল।ধিপতির্যৌ সন্তষ্টশ্চান্তরীক্ষে তু যাবদগচ্ছেৎ স্বমালয়ম্‌। তাবৎসম্পশ্ততে সৌরি-্জন্নীমোক্ষকারণম্‌ তস্ত বেগগতিং জ্ঞাত মুঙ্ছিতঃ পননগাধিপঃ গতিভঙ্োরগোজাতো-বিহ্বলোভ্রাস্তলোচিনই প্রভষ্টং তস্ত তৎপিস্তং মুখস্থং ধরণীতলে।

পতিতং হুর্গমে স্থানে বিষমে দুধ রেহপি ৫॥ তুরুস্কবিষয়ে স্থানে উদধেস্তীরসনিধো ধরণীন্দ্রগিরিস্তত্র ত্রিযু লোকেবু বিশ্রুতঃ তত্র জাতাকরাঃ শ্রেষ্ঠা মরক্তস্ত মহামুনে। আকর! নৈব সিধাস্তি অল্পভাগ্যৈন রৈঃ কচিৎ সাধকাভাগ্যকালেন মহারত্বন্ত পশ্ত'ত।

সপ্ত দোষ গুণাঃ পঞ্চ মরজ্তব্য মহামুনে

পাপী পপ পা শপ পপ

পাঁতালাধিপতিঃ বাঁনুকিনাগঃ

সৌরিঃ সুর্য্যভ্রাত! গরুড়ঃ তন্ত জননী বিনতা। মোক্ষন্ত দাস্তৎ। সুচ্ছিত: ভয়েন মৌহমাপন্নঃ। গতিভঙ্গঃ উরগঃ ইতি ছেদঃ। সন্ধিরাধঃ। বিধ্ধলঃ ভক্কাদ্দিতি যাবৎ। তণ্ঠ বাসুকেঃ সকাশীৎ। প্রত্রষ্টং তৎ পিত্বম্‌।

জাতাঁঃ আকরা ইতি চেছেদঃ| জন্দিস্থার্য: | নৈব সিধ্াস্তি নাঁসাদ্যন্তে

১৭৩

রতরহকক |

রক্ষধথব বিস্ফোটং পাষাণং মলিনস্তথ। 1 শর্করোজঠরশ্চৈব সবলৈঃ সহ সপ্তুমঃ রূক্ষদোবৈশ্চ সংযুক্তো-ব্যাধিরষ্টোত্বরং শতম্‌। বিন্ফোটে খঙ্গঘাতঞ্চ ললাটে হারে শিরে ১০ বান্ধবৈঃ সুহদৈছ৫খং পাঁষাণৈঃ সংষুতেইপি চ। বধিরোহদ্ষেভবেৎ ক্ষি প্রং ধূতে মলিনে ভবে ১১ বৈধব্যং পুভ্রশোকশ্চ কর্করাদোষধারণাৎ। জঠরে দোষসংযুক্তে দংষ্টিনোহি ভয়ং ভবে ১২ সর্ববদোষৈস্ত সংযুক্তঃ মণিস্ত্যজ্যতে ধ্রুবম্‌। ক্বং মৃত্যুমবপ্রোতি যস্ত হস্তে সবিদ্যতে ১৩॥ আকরোঁৎপত্তিদেযা যে কথিতান্তে স্ুুবিস্তরাৎ। গুণাশ্ছায়! মূল্যানি বক্ষ্যামি শ্রয়তাং মুনে ১৪ যানি রত্বানি তিস্তি গুণপঞ্চষুতানি চ। কালকুটাদিসর্বেষং বিষবেগঃ প্রণস্ঠতি ১৫ স্থ চ্ছায়ং গুরুরর্ণশ্চ স্ি্ধচ্ছায়মবেণুকম্‌। গুণ।ঃ পঞ্চ সমাযুক্তং তৈস্তদ্ত্বং বিষাপহম্‌ ১৬ নলিনীদলমধ্যে তুগুজলবিন্দু যথ! স্থিতম.। তথা মরকতঙচ্ছায়! শিল্দলং গুরু সম্ভবেত ১০ কৃত্বা করতলে চৈব ভাস্করাভিমুখঃ ধৃতম্। রঞ্জয়েদাস্মপার্থস্তন্‌ মহামারকতং ন্মুতম,॥ ১৮ গজবাঁজিরখৈৰ ভৈ-ৰি প্রাণাং বিষুবায়নে | ভৎপুণ্যং ধারয়েৎ যঃ মরক্তম্ত সংশয়ঃ ১৯॥ ভূজঙ্গরিপুপক্ষাভং চাঁষপক্ষনিভং ভবেৎ। হরিংকাচনিভং কিঞ্চিৎ শৈবালস্ল্লিভং ভবেৎ ২০ কিঞ্চিৎ শ।দলসস্ক(শং তথ। বালশুকম্ত চ। পক্ষাগ্রবর্চং তদ্বং থগ্যোতপৃষ্ঠবর্চসম্‌ ২* ভান্কম্ত কবে ছিত্ব। যা ছায়। সবল! ভবে কিঞ্চিচ্ছিরীষপুম্পাভ। ছায়া চাষ্টবিধা স্ৃতা ১২ (২*) ভুজঙ্গরিপুঃ মযূরঃ ভ২পিচ্ছবর্ণমিত্যর্থ: | চাষঃ নীলকণ্ঠপক্ষী | ১১

রত্ু-রহন্ত।

সহট্জকা! ভবেৎ ছায়! ত্রিভিঃ শ্ামলিক ভবেৎ। ভেদশ্চতুবিবধাঃ সস্তি মহামারকতন্ত ২২। কা ছায়। সহজ! ভ।তি শুকপক্ষনিভ। কথম.। শিরীষকুন্ুমস্তৈব তুখকম্য কথং ভবেৎ ২৩॥ হরিতছায়মধ্যে তু কৃষ্ণীভ! যদি সংস্পৃশেধ। তুখকঃ ভবেৎ কাস্তি-বি্জ্ঞেয়া কৃষ্ত্ামলা ২৪ হুরিৎকষায়মধ্যে তু সিতাভ। কিঞ্িুভ্তবেহ। শিরীষকুস্ুমাভাতিঃ সা জ্ঞেয়। সিতশ্ামলা ২৫ মহাঁমরক্তমধো তু হেমজ্যোতির্ধদ। তবেৎ।

ত্র্ণঃ শুকপক্ষাভো-জ্ঞা তবা। সা তু শ্তাল। ২৬ ভাঁসহীনস্ত বর্ণঢ্যং সুন্সিক্ঈৈবল প্রভম.।

সদ্রত্রং কাস্তিমন্মধো মরক্তং তদ্বিষাপহম.॥ ২৭ ্রাহ্মণঃ ক্ষত্রিয়োবৈশ্তঃ শৃদ্রশ্চেতি চতুর্থকঃ 1 ছাঁয়াভেদেন বিজ্ঞেয়।-শ্চতুরর্ণক্রমেণ তু ২৮ প্রমাণগুণসম্পন্নং শত মলশ্চ বিশেষতঃ

মূল্যং দাদশকঞ্চেব বক্গ্যাঁমি শ্রায়তাং মুনে ২৯ বথ! পদ্মরাগন্ত খ্যাতং মূল্যঞ্চ সর্ধতঃ |

তথা মরকতত্তাপি শ্তামলে মুলামাদিশেৎ ৩০ বিস্তারকাস্তেস্তন্ুল্যং মরক্তে সহজে ভবেত। শুকাঁভা চোর্ধবর্তিশ্চ পার্থে সিতশ্তামল! ৩১॥ কথিতান্তমধোরগৈ-ধরন্ম/ল্যং তুথকে হি তৎ। ভবেৎ পঞ্চবিধং মূল্যং মরক্তে সহজেহপি বাঁ ৩২

পপি

(২৪) তুথকঃ “'তৃতিয়” ইতি প্রসিদ্ধ উপধাতুঃ |

(২৫) দিতশ্তামলেত্যত্র ছন্দোহনুরোধাৎ তকারগ্ত লঘুতম্‌॥ অথঘ1 শীমল|! ইতি পারি ভাষিকঃ শব্দ; | |

(৩*) খ্যাতং কখিতম্‌।

(২৬) শরক্তং সরকতম।

(২৭ “ক্কাস্িসন্মধ্যে কান্তিমতাং মধ রতকানাং মধো

১২

(৩৪) (৩৫) (৩৭ ) (৩৮)

গুকে শুকপক্ষিপক্ষাভে

রত-রহহ্থা। ৩২

শুকে দ্বিশতং মূল্যং দশোত্তরং বিনিদ্দিশেৎ। শিরীবাভে শতৈকঞ্চ পশশদষ্টকং ভবেৎ ৩৩ শতং পশধিকং মৌল্যং যাবদগাত্রাষ্টকং ভবেৎ। যব্মাত্রপ্রমাণেন একৈকং বর্ধতে যদি ৩৪ স্থাপয়েদ্দিগুণং মূল্যং ষবমা ত্রাষ্টকং ভবেৎ। মাত্রৈরষ্টভিশ্চেৎ যস্ত লক্ষণৈঃ সংযুতোপি ব! ৩৫ চতুঃযস্তিসহত্রাণি পরমং মূল্যমাদিশেৎ দোঁষাচ্চ পল্মরাগাঁণাং যথ। মুল্যং বিহীয়তে ৩৬ তথ। মরকতে মূল্যং ক্ষীয়তে সংশয় | সহজে রঞ্জনে কান্ত সমবর্তে লাঁঘবে তথ! বদ্ধতে মূল্যং মণ্ডলী দ্রাক্‌ প্রদাপয়েত ৩৭ দাঁনবেন্্রাবনীত্যাগান্-মণয়শ্চ বিনির্গতাঃ লোকত্রয়হিতার্থায় ত্রিদশৈশ্চ প্রকাশিতঃ ৩৮ ইতি মরকত-পরীক্ষা '

০০৮ আপি টিপিপি পপ

শা

সাত্রৈ: ববাদিকৈঃ প্রমাণৈঃ রঞ্জনাদাধিক্যে মুল্যাধিক্যমিতি ভাব | দানবেন্ত্রীবনীত্যাগাৎ বলাহ্ুরস্ত মরণাৎপরষিতি ঘাৎ।

অথ প্রকীর্ণকম্‌

অগন্তিরবাচ।

স্কুরস্তী-দাঁড়িমীরাঁগ-মশোকং মধুবর্ভকম.। কাস্ত্যাতিরক্তং গন্ধাঢাং রগগত্রিরয়োঁঃ কনকাভং বিরূক্ষঞ্চ মেখৈস্তন্নীলকাধিকম্‌

গোমেদ কঞ্চ বৈদূর্য/ং মরক্তঞ্চ চতুর্বিধিম্‌ করস্ফটিকগর্ভেষু রাগাণাঁমেকবিংশতি£।

লক্ষ্যতে তেন লক্ষ্যন্ত রাগভেদৈঃ পৃথক্‌ পৃথক্‌ ৩॥ বজ্জমেকং পরিত্যজ্য রত্বানি ইতরে দণ।

লৃত্বং কোমলতঞ্চ শান্সৈর্বরঘ[ন্‌ পরিত্যজেৎ রদ্বমেকাদশং প্রোক্তং সর্বঃ স্ষটিকসংজ্ঞকম্‌। তয়োর্বাহথ।নি তন্রৈব প্রবালং বজমৌক্তিকৈঃ জলবিন্দুশ্চ বজধ্চ পঞ্চরাগেন্বনীলয়োঁঃ |

মরক্তেযু সম্পূক্তং মহারত্রেষু পঞ্চযু পৃষ্পরাগঞ্চ বৈদূর্ধ্যং গোমেছস্ফটিক প্রভম্‌। পঞ্চোপরভুমেতেষাং প্রবালং বজ্রমৌক্তিকৈঃ গুরুত্বং লাঘবত্বধ্চ; বজাণাং মৌক্তিকেষু চ। তৌল্যেন পশ্তুতে মুল্যং শাস্্রোক্তেন তু মণ্ডলী ॥৮॥ পদ্মরাগেন্রনীলানাং মরক্তানাস্তথৈব চ। যবমাত্রপ্রমীণেন মণ্ডলী মূলামাঁদিশেহ

(১) মধুশ্চৈত্রঃ তত্র যজ্জীয়তে তৎ অশোকং পুপ্পম্‌।

(২) বিরক্ষং রূক্ষতাশূম্যম্‌।

(৪) রানি ইত্যত্র সন্ধাভাধ আঃ লঘুত্বমত্র ক্ষুরতমত্তম, | (৫) সর্ষে: রত্বৈঃ সহ ইতার্থঃ |

(4) গোমেদস্ষটিক প্রভং বৈদূষ) মিতান্বয়ঃ কার্ধ্যঃ

(৮) পগ্ঠতে ইত্যাত্মনেপদমার্ষম্‌। মগুলী পরীক্ষকঃ।

৯৬৪

বত্ব-রহস্য

ধত্র গাত্রাষ্টভিশ্চৈব শাঁস্তোকস্ত প্রমাণতঃ অধউন্ধমধঃ কার্যযং কর্্মমধ্যে নিয়োজয়েৎ॥ :* ছেদনোল্লে খনৈশ্চৈৰ স্বাপনে শৌভরুৎ যথা ধাধ্যত্বঞ্চ প্রমাণেন তেনৈব ধর উচ্যতে ১১ গাত্ররঙ্গ গুণ। দোষ! মুলানি হাঁকরাস্তথা শান্্ুহীনা পশ্যন্তি ষদি সাক্ষাদহং ভবে ১০ হি শীস্তং বিন! চক্ষ-রদ্ধানাম।করাদিকম্‌। সাঁধ্যতে ত্রিদশৈ্তম্মাৎ পরীক্ষা রত্রবিজ্জনৈঃ ১৩ শীতলশ্চ তলাশোৌকো-মেরুশূঙ্গশ্চতুন্মুখম্‌। শক্তিনেত্রং রবিঃ পুষ্পং মঙ্গল্যানি বিভূষণা ১৪ স্থাপনা দশধ। প্রোঁক্তা1 দশানাং মার্গতঃ স্বয়ম্‌ | মার্গতঃ ষড়ি ধা জ্েয়াঃ কর্ণন্তাভরণাঃ শুভাঃ ১৫ ব্রগাম।ক রা কীর্তিমে হঃ কুস্ুমচন্ত্রমাঃ | পা রজাতচতুর্থোজৈ-লক্ষ্যস্ছে চ্ছাসহৈদশি ১৬1 চতুধিধ। শিখ| ত্রীণি পঞ্চমঞ্চ ইতি স্থৃতম্‌। কীভরণকং দৃষ্ট। রত্বশীকৈরুদাহতম্‌ ১৭ তন্মিশিতং ছয়োম লা ত্রিভিঃ সারথিরুচ্যতে | কাভরণকে দেয়! বত্রশাস্ত্রবিশীরদৈহ ১৮ পঞ্চভিঃ ক্রমহারশ্চ কনকৈশ্চ চিতানি | তেযাঁং মধ্যে বহুক্তানি তাং সংজ্ঞাং খ্যাপয়েদ্ব,ধঃ ১৯ কর্ণাভরণবৃতো রত্রশাস্ত্রবিশীরদঃ পঞ্চভিশ্চ মহারত্ৈঃ কনকৈঃ খচিতানি চ॥২*

(১১) কর্দ অত্র পরিকর্ণা |

(১১) শোতকৃৎ ভবতীতি পূর্্যম্‌।

(১২) গাত্রং মূলানিশ্চারকং পারিভাষিকং প্রমাণম্‌। রঙ্গং রাগঃ।

আৰঁকর। উৎপত্তিস্থানানি

(১৩) সাধ্যতে জ্ঞা়তে পরীক্ষা কর্তবোতি শেষ; |

(১৪) শীতলেত)াদিকং পারিভাষিকং নাম।

(১৯) পঞ্চভিঃ রত্বৈরিতি যাবৎ

১৬৫

৩৪

রত্বসরহস্

সফোষমন্সমূলাত্বাৎ বহুমূল্যং গুণান্বিতম্‌। পরীক্ষিতঞ্চ দ্রতবং কাঁধ্যং শ্রীন্বথদায়কম. ২১ ভানবে পদ্রাগঞ্চ মৌক্তিকং সোম উচ্যতে। প্রবালোহঙ্গারকে চৈব বুধে মরকতং তথা ২২ বৃহস্পতৌ পুষ্পরাগং গুক্রে বজ্রং তখৈব চ। ইন্দ্রনীলং শনৌ। জ্ঞেয়ং গৌমেদোরাহুরুচ্যতে | বৈদূর্য্ং কেতবে সতত, গ্রহাপামিদমীগ্সিতম ১: ইত্যগস্তিমতং সমাগতম.।

(২২) অঙ্গীরকে মঙ্গলগ্রহে প্রযালঃ প্রবালম. |

গত

অথ রতৃসংগ্রহঃ |

প্রণম্য পরমং ব্রহ্ম সাধুকত্যমহাত্মনাম, | যোগ্যোমহধিসিংহেন ক্রিয়তে রতুসংগ্রহঃ রত্বেষু প্রবরং বজং বং স্তাদৈবতাশন্পম, | তচ্চতৃধ1 সিতং রক্তং গীতং কৃষ্ণং যথাক্রমম. মতঙ্গন্র্পারহিমাচলেষু কলিঙ্গ কচ্ছান্ব'ককোশলেষু। ভবস্তি বজ্ঞাণি তু পীতরুষ্ণ তাত্রাণি পীতোজ্জলশোভনানি গোমেদপুষ্পরাগাভ্যাং কাচস্কটিকরোহিতৈঃ। কত্রিমংজায়তেবজং শাণৈস্তভৎ পরীক্ষয়েৎ & কলক্ক-কাঁকপদক-মল-ত্রাস-বিবজিতম. | কোটিধারাগ্রপাশ্ৈশ্চ সমং বজ্ং প্রশ্তুস্ততে ইতি বজ্জম.। শুক্তিবারাহশঙ্খাহি-বংশাবভ্রতিমিকুঞ্জরাঃ | মুক্তানাং জাতয়োহৃষ্টৌ বহু বেধ্যঞ্চ শুক্তিজম. বুক্তং ভারং গুরু নিপ্ধং কোমলং নির্মলং ভবেৎ। মধুবর্ণ। সিতা! রক্ত! ছায়! শ্লাঘ্য! মৌক্তিকে ৭॥ ইতি মৌক্তিকম.

রন্ধে,কালপুরে চৈব তুম্বরে সিংহলে তথ!

অধম! মধ্যম! হীন। উত্তম যথাক্রমম. গুল্াকুস্কুমমপ্তিষ্ঠা বন্ধ:কচ্ছবিরুত্তম! ( গুরুস্তেজোহধিকঃ শ্বচ্ছন্তেষাং বত্রং প্রশস্ততে

(১) সাধুকৃত্যেন সৎকশ্মণা মহান্‌ আকসা! যেষামিতি বিগ্রহঃ |

1 ৩) মতঙ্গাদিদেশে বজ্রাপণি ভবাস্ভি উৎপদ্াস্ত ইতি তে বজাণামাকরাঃ।

৪) শা্গৈঃ শাণ-ক্ষোদ বিলেখনৈরিতি বাব শাশস্ত ঘর্ষণধন্ত্রং শণস্ত্র নিশ্থ্িতবন্তরবিশেষোবা। (৬) অক্টো জাতনঃ উৎপত্তিস্থ(নানি। বহু প্রচুরম্‌। বেধ্যং ছিদ্রযোগাম, |

১৬৭ ৪৬

৩৬

রত্ব-রহগ্ত

ইতি পদ্মরাঁগঃ ইন্্রনীলো৷ মহানীলে! নীলোনীল ইতি ব্রিধ! ইন্তরনীলোঘনৈর্র্ণৈ-শ্মহাঁনীলোহমুদছ্যতিঃ ১০ নীলভূণরুচিজ্ঞে য়ঃ সিংহলে ্বর্গসিন্ধুজঃ। শ্লাধাঃ কর্কটিরগ্রামে মৃত্তিকা ত্রাসবজিতঃ ১১ ইতি ইন্দ্রনীলম.।

গরুড়োদগারেন্্রগোপ-বংশপত্রকতুথকাঁঃ।

চত্বারশ্চ মারকতাঃ শুদ্ধোয়ঃ স্তাদ্িষাপহঃ ১২॥

শ্লেচ্ছদেশে মহানীলঃ কীরপক্ষনিভোভবেৎ।

বিন্দুকর্ব,বন্ক্ষত্বমলাশ্মরহিতঃ শুভঃ ১৩ ইতি মরকতম।

সর্ববর্ণেষু লশুনোহৃক্কিতোমৃদ্ধিিরেখয় | ভ্রমরেখান্বিতঃ শুদ্ধো-বিকলাক্ষশ্চ মধ্যমঃ ১৪ ইতি লন্মনম. 1

কৰ্কোছুবং ভবেং গীতং কিক্িত্তীত্রঞ্চ সিংহলে।

বিন্দুত্রণত্রাসযুতং নেবাতেহুদীপ্তিমদ,রু ১৫ ইতি পুষ্পরাগঃ |

গোমুত্রাতস্ত গোমেদঃ পুষ্পরাগঃ সুবর্ণভঃ |

শঙ্খাজতুল্যঃ পুলকো-ভবেদ্রক্তং প্রবালকম, ১৬ ইতি গোমেদঃ |

(৯) ছবিঃ বর্ণাট্যতা উত্তম। পদ্মরাগরত্বস্তেতি শেষঃ '

€১*) নীলঃ নীলমণিঃ ইন্্রনীলারিভেদেন ব্রিধ! ঘনৈঃ নিখিড়েঃ। বর্ণেঃ। অনুদছ্যাতিঃ

মেঘকাস্তিও।

(১১) তৃণরুচিঃ তুরক্দেশীয়-নলিকাঁনামক-তৃণকাস্তিঃ সিংহলস্থরাবণ গঙ্গানামকস্থানোভ্িব: কর্কটিরনামকগ্রামোতবশ্চ মণিঃ শ্লাঘ্যঃ প্রশস্যঃ | মৃত্তিকাত্রাসৌ দৌববিশেষৌ

(১২) গরুড়োদগ।রঃ শিথিশ্রীবা। ইন্দ্রগোপঃ বধাকীটঃ।

বংশপত্রঃ প্রসিদ্ধ? তথ কং

তুতিয়া ইতি খাতম১। ইত্যেবং বরণ শতুর্বিধং মরকতং তত্র ষঃ মশিঃ বিষনাশক;

শুদ্ধঃ শ্রেট ইত্যর্থঃ |

- (১৬) কীরঃ শুকপক্ষী। বিন্দুপ্রভৃতি দৌববঞ্জিত শ্রেৎ শুভঃ প্রশস্ত ইত্যর্থঃ | (১৪) বিকলাক্ষ ইত্যত্র বিড়ালাক্ষঃ পাঠঃ সাধুঃ। ভ্রমরেখ। আবর্তীকাররেখ!

১৬৮

রত্ব-রহস্ত। ফি

চন্দ্রকাস্তোংমৃতভ্রাবী সুর্য্যকাস্তোহগ্সিকারকঃ। জলকাস্থোজলন্ফোটী হংসগর্ভোবিষাপহঃ ১৭॥ ইতি ম্ফ0টিকম্‌। ভবেৎ সসারগর্ভস্ত নীরক্ষীরবিবেচকঃ | রুচকঃ শ্তামলছায়ঃ সগর্ভপচলক্ষণঃ ১৮ ইতি রচকম। রত্ববিস্তিশ্চ মুনিভীরত্বানুযুক্তান্তনেকশঃ। ভবস্তি ষবনাদীনাং সৌভাগ্যজ্ঞ'নলঙ্কৃতৌ ? ১৯ ষ্টিনির্নলকুন্ীলং পীতং সৌভাগ্যদায়কম | রক্তরত্বং ভবেদ্বগ্াং মেচকং বিষনাশনম ২০ তন বর্ণযুতা কেচিৎ স্ষটিকাধিকনির্মলম.। _ কৃবিমং জায়তে বত্বং তত্মাত্চ্চ পরীক্ষয়েৎ ২১

ইতি বত্বসংগ্রহঃ সমাপ্তঃ

৯৬৯)

পি

০৫ শরদররিশিখরাসীনং দেবদেবং জগৎপতিম,। পপ্রচ্ছ পার্বতী দেবী তত্বং পরমছ্র্লভম. মণীনাং লক্ষণং দেব কথয়স্য প্রসাতঃ

যেন সিদ্ধান্তি জায়স্তে সাধক গতকলষ[ঃ ২॥ মহাদেব মহাঘোর কুর্বস্তি রিপুমর্দদনম্‌।

কবিত্বং দীর্ঘজীবিত্বং কুরুতেহত্র ধথ! প্রভে। অষ্টৌ গুণাঃ ফলং ঘত্র ত্বপ্রসাদান্মহেশ্বরঃ | জানম'গঁঞ্চ মোক্ষধ্। শুলরোগঞ্চ দারুণম্‌ চক্ষরোগং শিরোরোগং বিষোপপরিতস্তথা স্ফুটং বদ যথাবন্বং প্রপাদান্মে মহেশ্বর উবাচ শঙ্কর! দেবে। তয়! পারপৃচ্ছিতঃ |

ধন্ন কন্তচিদাখ্যাতং তদ্ধধামি বরাঁননে ৬॥ পুরাহং বিষ্ন! যুক্তো -ব্রঙ্গণা সহ সুন্দরি শুক্লুতীর্ঘে গত। দেবি রেবাতীরে সুশোভনে রত্বপর্বতনাম! তত্র তিষ্ঠতি ভূধরঃ।

ইন্দ্রেণ স্থাপিতোঁদে বি রক্ষকঃ স্ুরবনিতঃ তন্ত দর্শনমাত্রেণ সব্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে।

রোগী রোগবিনিম্মুক্তো-জায়তে নাত্র সংশয়ঃ ৯॥ দেব্য আয়তনে যস্ত চিতাং দহতি মানবঃ।

যাতি পরমং স্থানং শিবদর্শনসংযুতম,. ১০ অষ্টম্যাং স্নাতি ষঃ কুণ্ডে পৃজস্বিত্বা' ততঃ শিবম, | সর্বপাপবিনিন্ুুক্তো-মম লোকং সমেতি সঃ ১১॥ ইখখং দেবগণাঃ সর্বে কুণে স্নাত্বা ক্ষণং স্থিতাঃ | গাকুত্বং স্থাপিতং লিঙ্গং সর্বপাপবিমোচকম, |

তন্ত দর্শন্মাত্রং হি ব্রহ্মহত্যাং ব্যপোহতি ১২॥ অষ্টম্যাঞ্চ চতুদস্তাং পৃণিমায়াং বিশেষতঃ

ষঃ পৃজয়তি পুণ্যাত্ম। মম (লাকং গচ্ছতি ১৩॥ ৯৭৪

শি পারিস

রতুস্রহস্ত | ৩৯

কেদারং পূজয়েদ্যস্ত্ পুণ্যাত্ব! ভাগাভাজনঃ |

সর্বার্থসিদ্ধিসম্পনং প্রাপ্মোতি পরমং পদম্‌ ১৪

ইন্দেন স্থাপিতং বং শ্লোকশ্চ ধনদেন তু

ময়াপি স্থাপিত মন্ত্রাঃ কথিতাশ্চ বরাননে ১৫

গরুত্বতঃ সমুদগারান্-মণিকাল! মহান্দী।

বিনিঃস্থত! মহাতেজ। দর্বপাপপ্রণাশিনী ১৬

তস্ত। প্রভাবতোদেবি মণয়ঃ শুভলক্ষণাঃ।

ভোগদা মোঁক্ষদাশৈব রোগবোষবিধাতকাঃ ১৭

শ্রীদেব্যুবাচ।

মণীনাং লক্ষণং ব্রহি যথা বন যতধবজ

কেনোপায়েন তে গ্রান্থা দেবপুজ। কথং বিভে1 ১৮

কীদৃশঞ্চ ব্রতং কাধ্যং কিং দানং কন্ত পুজনম্‌।

কা ভক্তিঃ ক্রিয়! কা সর্ব্ধং মে বদ ভৈরব ১৯॥ শ্রীভৈরব উবাচ।

কেদ্রারভবনং গত্ব! কলশানাং শতাষ্টকম্‌,।

শ্রীমংকেদারনাথায় মনন কৃতভাবনা ২৪

ক্ষেত্রপালং যথাশক্ত্যাউপহারৈরনুত্তমৈঃ।

পৃজয়িত্বা প্রযত্ধেন সাধক: ফলকাক্ষয় ২১

এবং পৃজ্য মহাভক্ত্যা প্রণম্য পুনঃ পুনঃ

বলিং দত্বা বিধানেন দিক্ষু সর্বান্থ যত্বত্তঃ ২২

শিবস্থানে তু কর্তব্য জপঃ সুরসমর্চিতে।

ততোগত্ব। মহানগ্তাং মণিরত্বানি বীক্ষতে ২৩॥

মন্ত্রস্নদ্ধকায়ণ্চ গোজিহ্বালেপভূষিতঃ।

অথ তেষাং মণীনাঞ্চ কর্তব্যং সুপরাক্ষণম্‌ ২৪

আপীল বত পপ তাপ পাপী পপ পপ পা শন পাপী পপ পা বাপ্পা পপি

(১৫) শ্লোকোমন্ত্রঃ। স্থাপিতঃ প্রকাশিতঃ | (১৬) গরুডস্মতঃ গরুডন্ত |

(২১) দিন্ধিমাপ্পোতি ইতি বাকাশেষঃ | (২২) পুজ্য পুজরিত্ব! আর্ষোধপংপ্রতারঃ (২৪) গোজিহ্ব। লতাতেদঃ।

৯৭৯

৪৬

(২৫) গৌঁপিতং রক্সিতং কথিতমিতি বা। (২৮) তারঃ রৌপ্যং পারদং বা 0৩৯) রক্তপাদপঃ হংসপদী রক্তপারদ ইতি পাঠে হিঙ্গুলম। অর্থকার্য্যে প্রযোজ্য ইতি

রত্ব-রছন।

গোপিতং যন্ময়া পূর্ববং তন্মে নিগদতঃ শৃণু। প্রতপ্তহেমবর্ণভো-নীলবেখাসমন্থিতঃ ২৫ শ্বেতরেখাধরোনিত্যং পীতরেখাসমাযুতঃ | রপ্তরেখাসমাধুক্ত: কৃষ্চরেখাবিভূষতঃ ২৬ এতৈশ্চিন্কৈঃ সমা ধুক্তো!-নীলকঞ ইতি স্মতঃ দদাতি বিপুলান্‌ ভোগগান্‌ জ্ঞানমর্গং ুতুর্লভম্‌ ২৭ কবিত্বং দীর্ঘজীবিত্বং কুরুতে নাত্র সংশয়ঃ। তারাভো হেমবর্ণাভ-ম্চতুর্বিন্বুবিভূষিতঃ ২৮ ক্কষ্বিন্দুধরোধস্ত বিড়ীলসমলোচনঃ। ভবেদ্ধনলাভায় নাত্র কার্ধা বিচারণ ২৯ রক্তপাদ্দপবর্ণাভ ইন্ত্রনীলসমুদ্ভব্ঃ। শ্বেতরেখাসমাধুক্তো-হার্থকার্ষেয মহাছাতিঃ ৩০ বিঞুরিতি বিখ্যাতঃ সর্বৈশ্বধ্যফল প্রঃ | শুব্শ্ফটিকসম্কাশো-নীলরেখাবিভূষিতঃ ৩১ রুষ্ণবিন্দুধরঃ শুক্ুঃ সমাধিঃ সর্বকামদঃ। পীতশ্চ শ্বেতরেখা মণিঃ শ্যচ্ছশ্চ দৃশ্ঠাতে ৩২ গুণানাম'করঃ সোহি বহুরোগানিহস্তি চ। ষঃ পারাবতকাভঃ প্যাপ্তোবিন্দুভিঃ শতৈঃ আস্তীকন্ত কুলোতৎপন্নঃ সমপির্ববষদর্পহা ৩৩ তৎপ্রক্ষালিতবারপান|ধধিন। নশ্যেদ্বিষং দারুণম্‌, সারংসাগরমত্প্রভুহ্যতিধরোমত্তেভা বন্দাকৃতিঃ | শ্বেতৈর্বিন্ুভিরন্থিতোবরতনূর্ভাম্বান্‌ মণিব্বিন্দ্ুকঃ। যৎসত্যং বনিতান্ুতো বন্তাব্ধং হন্যাদ্বিষং দারুণম্‌ ৩৪ গ্রামে জয়তে রিপুন্‌ বহুখিধান্‌ ভোগান্‌ সপির্ধচ্ছতি, কিঞ্ক্নিলপদং ততোমাঁণরুচিঃ কিঞ্চিচ্চ বিছ্যুৎপ্রভঃ |

বাঁকাশেবত।

(৩৪) করিবুস্তস্থ'শোপবিন্দৃতুন্যচিহ্ব্যুক্ত ইতি যাবৎ

৯৭

রহ ৪৯

কি।ঞচল্লোচনসুপ্রভোবহুবিধারেখাযুতোবর্ভূলঃ। বিখ্যাতঃ মহামণির্রিষহরোবছ্ধে!। নরাঁণাং করে ৩৫ ভূতানাঞ্চ পতেশ্চ সোমসদৃশস্তম্মাৎ পৃথিব্যাং পরিয়ে নানারতুসমছ্য তি্বন্থ( বধৈরেখাগণৈরস্কিতঃ | সঁদ্ধোবিন্দুগণৈষু তিঃ সুবিমলো নাগেন্দর্পাপহঃ,

সত্যং কাঞ্চনচিত্রলাভকরণে স্ষ্টোময়াসে। মাথঃ ৩৬

রি সঃ রং

প্রখ্যাতশ্চ শ্বসিদ্ধঞন্মজননৈঃ পুণ্য সতাং গোচরঃ ৩৭ নীলবর্ণোভবেদ্যপ্ত বিন্দুপঞ্চকভুষিতঃ | বিশুদ্ধাঙ্গোরণে নত্তঃ প্রমিদ্ধেবনিতাস্ততঃ ৩৮ সিন্দুরবর্ণসঙ্কাশোযস্তনৈরেখকা।শতঃ।

কৃষ্ণবর্ণস্ত দৃপ্তেত নিঃশেযা।বমবদ্দনঃ ৩৯ | কাংস্তবর্ণোভবেদ্যস্ত নানাপেখাঁসমাকুলঃ নাঁনাবিন্দসমাকীর্ণো জরতাপং ব্যপোাতি। ৪০ গীতবর্ণোভবেদ্যস্ত দ্বিরেখঃ (সিতবিন্দুকঃ। স্কজীর্ণবৃশ্চিকন্তা(প বিষং হস্টি স্ুবারুণম্‌ ৪১ শ্বেতা গীত। সম! রেখা ইন্দ্রনীলসমছ্যাতিঃ | নেত্ররোগঞ্চ শুলঞ্চ জলপানাদ্ধযপোহতি ৪২ হরিদ্বর্নোভবেদ্যস্ত শ্বেতরেখাবিভূষিন্ঃ | গীতরেখাসমাষুক্তোবিশেষাদগরলাপহঃ ৪21 গীতগোধুমবর্ণোযষো!৷ গজনেত্রারুতিঃ পুনঃ শ্বেতবিন্দুধরোনিত্যং ভূতগ্তাজীর্ণনাশকঃ: ৪৪ রক্তাঙ্গঃ গুদ্ধরেখশ্চ অদ্ধাঙ্গে বক্ত এব চ।

মণীরক্তশুলঞ্চ বিশেষেণ ব্যপোঁহতি ৪৫

রক্তাঙ্গঃ শুদ্ধরেখশ্চ বিন্দুত্রয়সমন্বিতঃ |

অবিদ্ধে। বধ্যতে হস্তে রাজব্শাবিধায়ক£ ৪৬ | ( ৪১ ) জীরনবৃশ্চিক: “বিচ্ছু ইতিথ্যাতঃ ভি (৪২) জলপানাৎ তম্মণি প্রক্ষালিতজলপানাৎ। (8৪) ভূতন্ত প্রাণিনঃ। (৪৫) রক্তশূলং শৌশিতবিকারজীং ঘেদনাম্‌ (৪৬) বধাতে ধিয়তে।

সীট পি শি শিল্প লন পাশ শষ লাকা? পাশ শি ০০০

৯৭৩

৪২

৪৭) (৫৩) (৫৫) (৫৮) (৫৯)

রত্বস্রহস্ত

রক্তাঙ্গঃ শুদ্ধরেখশ্চ উদ্ধাঙ্গে রক্ত এব চ।

মণীরক্তমূলশ্চেত্তত্র শূলং ব্যপোহতি ৪৭ শুদ্ধম্ফটিকসঙ্কাঁশং কিঞ্চ্চারক্রপীত্ত কম্‌। বৃশ্চিকাণাং বিষং হস্তি মাণঃ সর্বকামিকঃ ৪৮ বৃক্তমন্ধঞ্চ রুষ্ণা্ধং শ্বেতং কিধ্ঃস্তবেৎ যদি এবংরূপো ভবেদ্যস্ত স্পা দিবিষনাশনঃ ৪৯ পীতাঙ্গঃ কষ্ণরেখশ্চ নানাবিন্দুসমাকুল | এবংরূপোভবেদ্ষস্ত মহাতেজোবিষাপহুঃ ৫* নীলাঙ্গঃ পীততরেখশ্চ পীতবিন্বুবিভূষিতঃ | সর্ববাধিহরঃ শ্বেতঃ কথিতস্ত বরাননে ৫১ কুষ্মা গুপুষ্প সঙ্কাশো-নানারপত্ত বিন্দুভিঃ | সর্বব্যাধিহরশ্চায়ং সমস্তবিষমর্দনঃ ৫২ রক্তবর্ণ ভবস্তীহ নানাবিন্দুসমাকুলাঃ | তেজন্বিনোশুভিরূপাঁশ্চ সর্বে তে বিষমর্দকাঃ ৫৩ বিল্দুনাতোমহাকাস্তিঃ কষ্ণবিন্দুবিভূষিতঃ। সর্বরোগবিনাশোহয়ং কথিতস্তে বরাননে ৫৪ মঞ্জিষ্ঠাপীতবর্ণাভস্তাত্রবিন্দুসমন্বিতঃ | সর্বব্যাধিহরোঁনিত্যং ভূতজরবিনাশনঃ ৫৫ দাঁড়িমীপুষ্পসঙ্কাশঃ কষ্ণবিন্দুবিভৃষিতহ | সৌভাগ্যজননঃ শ্রীমান্‌ ভ্রমরেখাত্মকঃ পরিয়ে ৫৬ কুন্দপুষ্পপ্রভাকা শস্ত,লবৎ বর্ভ,লঃ পরিয়ে এবংরূপেণ সংযুক্তঃ সমস্তবিষমর্দিকঃ ৫৭

গজনেত্রারুতির্যস্ত বিড়ালাক্ষিস প্রভঃ | তাক্ষতুলামহাতেজাঃ পূজনায়োষথাচিতঃ ৫৮

তীর্থাকারঃ স্থুতেজাশ্চ হ্য তমানিহ দৃশ্ঠতে সম্ওবিষহোজ্ঞেয়ঃ মশিলীয়তে ঞুবম্‌ ৫৯ ইতি মণিসংগ্রহঃ:সমাপ্তঃ।

কপ্পা্পীশী পিসি

রক্তমূলং অধোভাগে রক্তবর্ণং | অভিনপা মনোজ্ঞ |

ভূতজ্বরঃ ভূতানাং প্রাণিনাং ্বরঃ অথবা ভুতাবেশজ্নিতোঅর: সম্তাঁপঃ। উই গরুড়ঃ সণ তীর্থঃ ঘটত সোপানবৎ চিন্বযুক্ত রঃ

পা পাপা পপ পি আশ শপ পপ পপ পান

,

ড.

সে

এত

রি সন

৬১১

£ চিত

টা 2০ & নু পতি ০2 বদ হা 4 এ) বসি সি গ্ এ, 4 গর্ে 5 লশি রি পা চে 4 ধা. ঢ্ £ জপ | স্। নি রর পা সি নু ন্‌ ৭, £11 পে রি নি ধু 5) টি ছি হু নট৪ 1 ঘি ্‌ সপ পা ন্‌ চি সী চর ফাদ ষঁ ম্ বি) লস 5৮ 6: এর রা নি ? স্ষসী |

শা

৮2 পু পা

আট

//9 1116 2110 79280111165,

13

11115 205 1) 1581 1049 915, মি নয-৪১

18:61771962 0301709,25, 07162)69] 4909%09200, 107:91706 ;

7803)1067। 900:919,-2, 918,0) 09,-105,1193)9,

£]1)2 50111960156 01 0) 58510001076 ৬/০এ,

[070 39001)9---1[১70002 ১1001020008, 5(5150 07) €9111)-- [া ৪16 50 7525 6105 91000 11113 117501019215015, /১11-1591)00052) 15590, 13550, 18956121081 1১610152015 01 বিডিও 200 0116 142

110৬7 017),

পাশা পাপা শাপলা সপপপসপীসসী

51057) 9৪১

1157২4৯1া িএছ,

তাহার জীবনী ধন্মনীতি

৮৬ডাঞ্জার রামর্দান নেন প্রণীত |

স্পপরি সহ 2

৮৮ শা

ঞ“উপশোভদে ত্বং বিশুদ্ধসত্ব চন্্র ইব শুর্ুপক্ষে অভিবিরোচসে ত্বং বিশুদ্ধসত্ব পদ্মমিব বারিমধ্যে। নদসি ত্বং বিশুদ্ধসত্ব ফেশরীব বনে রাজবনচারী বিজ্রাজসে ত্ব মগ্রসত্ব পববতরা ইব সগরমধ্যে ॥৮

৩.৫ পপ ১85 পা

শ্রীহরলাল রায় কর্তৃক

বহরমপুরে প্রকাশিত

মূল্য ১২৬ এক টাকা

পচ লি লাস্ট এটি ওজর বাপ পাস এ: সীল পাপা সস পাস খা আলী পাপা স্পপিসপসিপ আপি লব পা লিল সপাস্পীশ পাস লািপীসশ সপ

কলিকাতা,

২নং গোয়াবাগান স্ত্রীট্‌, ভিক্টোরিয়া প্রেসে শীমণিমোহন রক্ষিত দ্বার মুদ্রিত

সপন পলা তত প৬ পি সিকি অলির এজ পনিউনপ পা, খন

আমার

স্বর্গগত পরম পুজনীয়

পিতৃদেবের অভিলাধান্ুপাঁরে

তাহার পরমবন্ধু পূজ্যপাদ

শ্রীযুক্ত বাবু বঙ্কিমচন্দ চট্টোপাধ্যায়

মহাশয়ের শ্রীচরণে এই গ্রন্থ

ভক্তি সহকারে উতসর্গীকৃত হইল

জ্ীমশিমোহন সেন

বিজ্ঞাপন |

স্বর্থগত পুঁজনীয় পিতৃদেবের আদরের ধন “বুদ্ধদেব”, সাধারণের হস্তে অর্পণ করিয়া জীবন সার্থক করিবার ইচ্ছ। চারি বৎসর হইতে হৃদয়ে পোষণ করিতেছিলাম। তিনি সমস্ত জীবন বৌদ্ধশীস্ত্র অধ্যয়ন বৌদ্ধধর্ম আলোচনা করিয়া ইহ1 প্রণয়ন করিয়াছেন, ইহাই তাহার শেষ পুস্তক ইহার কিয়দংশ প্রচারাদি পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছিল ১২৯৪ সালের ভাদ্র মাসে যখন পিতৃদেৰ পরলোক গমন করেন তখন এই পুস্তকের চারি ফরম। মাত্র মুদ্রিত হইয়াছিপ। তাহার আশীর্কাদে এবং তদীয় অধ্যাপক পুজ্যপাদ পণ্ডিত কালীবর বেদাস্তবাগীশ মহাশয়ের বিশেষ সাহায্যে অবশিষ্টাংশ মুদ্রিত প্রচারিত করিয়া আমার সে ইচ্ছ। পুর্ণ হইল। ইহার প্রচার সম্বন্ধে বেদাপ্ত- বাগীশ মহাশয্ যথেষ্ট যত্র করিয়াছেন এবং অনুগ্রহ করিক়। ইহার মুখবন্ধটি পিখিক়্। দিয়াছেন। তাহার নিকট মামার হৃদয়ের কৃতজ্ঞত। প্রকাশ বাহুল্য মাত্র মুদ্রাঙ্কণ বিষয়ে আমার হস্তে পড়িন্াা “বুদ্ধদেব” অগ্গহানি প্রান্ত হইয়াছে বলিল্না আমার বিশ্বীস। যাহাই হউক, “বুদ্ধদেব” এক্ষণে সাধারণের প্রীতিভাজন হইলেই হন্ত্র শ্রম সফল জ্ঞান করিব।

জীযণিমোহন সেন, বহরমপুর

পুত্তকের বিষয় ব1 সুচী

সস টি পাশ

প্রথম পরিচ্ছ্দে-বুদ্ধের আবির্ভাব-কাল, শাক্যবংশের উৎপত্তি, শাক্য- নামের কারণ, কপিলবস্ত নগর তাহার ইতিবুন্ত।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদদে--শাক্যপসিংহের মাতামহবংশ, শাক্য পিংছের জন্ম বাল্য- জীবন, মুর্ছি, অঙলক্ষণ লিপিশিক্ষা |

ভূতীয় পরিচ্ছেদে__শাক্যসিংহের কৌমার জীবনের অপর একটি বৃত্তান্ত এবং বিবাহ।

চতুর্থ পরিচ্ছেদে-শাক্যসিংহের প্রতি পূর্ববুদ্ধগণের সঞ্চোদন।, শুদ্ধোদনের বপুদর্শন, শাকাসিংহের উদ্ভানযাত্র! বৈরাগ্যাতিনয় |

পঞ্চম পরিচ্ছেদে--শাক্যগণের ছুনিমিত্তদর্শন, গোপার স্বপ্ন, শাকাসিংহের নিক্মমচিস্তা, শুদ্ধোদনের সহিত তাহার কথোপকথন, অন্তঃপুরের রবনথা, শাক)সিংহের পুর-পরিত্যাগ ছন্দক-সংবাদ

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদে-_-শাক্যদিংহের বৈশ[লীগমন, মগধপ্রবেশ, রাজগৃহ নগরে বাস, বিঘিসার রাজার সহিত সাক্ষাৎ, পুনবৈবৈশালীগমন, মগধে পুনরাগমন মগধ-বিহার।

সপ্তম পরিচ্ছেদে--শাক্যসিংহের তপন্তা, বোধিবৃক্ষতলে গমন ধ্যাানযোগের অনুষ্ঠান

অষ্টম পরিচ্ছেদে--শাক্যসিংহের বোধিদ্রমমূলে বাস, মারবিজয়, ধ্যানযে|গ ব| সমাধি-অনুষ্ঠান নির্বাণ-জ্ঞান-লাভ |

নবম পরিচ্ছেদে__বুদ্ধের বোধিবৃক্ষতলে অবস্থান, দেবগণের আনন্দ, মার গ্রলৌভন, মুচিলিন্দনাগভবনে গমন, তারারণবনে ভ্রমণ, বিহার, বণিকসংবাদ, ধর্ম গ্রচারের ইচ্ছা, বনদেবতাগণের উল্কি মগধন্রমণ, বারাণলীগমন, শিষ্যলাত ধর্ধপ্রচার।

দশম পরিচ্ছেদে - ধর্ম প্রচার বা বৌদ্ধধর্মের উন্নতি, বুদ্ধের শিষ্য শিষযানু- শাসন মগ্গধবিহার, কপিলবস্তনগরে গমন, পুত্রকলত্রার্দির সহিত সাক্ষাৎ).

1 ২] শাক্যপরিবারের বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ, মগধে আগমন, শ্রীচণ্ভীগমন, শুদ্ধোদনৈর যৃতা, বুদ্ধকর্তৃক তাহার সৎকার, সন্গযাসিনীৰল, শিষাগণের প্রতি বুদ্ধের শেষ উপদেশ বুদ্ধের নির্ব্বাণ। একাদশ পরিচ্ছেদে--ধর্মমসংগ্রহ বা বৌদ্ধধর্মের মুল হুত্র। পরিশিষ্টে--বৌদ্বংশ্সংক্রান্ত নানা কথা

পপ (0

খু /ি র্‌ সা ১৭ সি র্‌ | টি ্‌ (পে, (পে সূ চু চি রা রী 2 রর টি / ধু, রর ট্গ ধু _তোপিগ রর ধু শক্ট চি রি সত সে এর ডর পূ | 0 রি ৯১৭ গিরি ্‌ , স্ক্ রর ডি

ইছা নূতন, তাঁছা নূতন, কথা কথা-মাব্র; চিন্তাচক্ষে দেখিতে গেলে আকণ্রিক অভিনবোৎ্পন্ন সম্পূর্ণ নূতন কিছুই নাই। মানুষকে অনেক দিন না দেখিলে সে নৃতন মানুষ, জিনিসের রূপান্তর হইলে তাহা নুতন জিনিস। দেশ পুর্বে প্নেখা না থাকিলে সে দেশ নুতন দেশ। এইন্দপ নৃতন ব্যতীত অন্ত কোন রকমের নূতন পধ্যস্ত ব্বেখা যায় নাই। নূতন শাস্ত্ঃ নূতন মত, নূতন ধর্ম, নৃতন শিল্প, সমস্তই এরূপ অবস্থান্বিত। ইহা! যখন ভাবি, চিন্তা করি, তখন আমার নিয়লিখিত শ্লৌোকটা মনে পড়ে এবং বড় ভাল লাগে।

“যুগে যুগে সমূচ্ছিনা। রচনেরং বিষস্বতঃ | প্রসাদাৎ কস্যিড়ুয়ঃ প্রাহুর্ভষতি কামতঃ ॥”

[ সুর্য্যসিদ্ধাস্ত।

যদি কিছুই সম্পূর্ণ নৃতন ন1 থাকে তবে বুদ্ধের মত বা বৌদ্ধ ধর্দ সম্পূর্ণ নৃতন নহে, ইহা আমর! মুক্তকণ্ঠে সাহসের সহিত বলিতে পারি। তবে বে লোকে বলে, বৌদ্ধধর্ম বেদধন্মীপেক্ষা নূতন, আমার মতে তাহ! প্রোক্ত প্রকারের নূতন, সম্পূর্ণ নূতন নহে কেহ কেহ বলেন-_খ০ 62০৪ ০£ ৮01১8৩%৩1: ০১0560 151016 6129 11065 800 7091100 ০0£ 17380010213 ৮০ ৮০ 1091) ০1100. কথা যদি শিল্পকার্ধয লক্ষ্য করিয়৷ উচ্চারিত হৃইয়! থাকে, তবে আমাদের প্ঁ কথার উপর তর্ক নাই, নচেৎ ত্র কথা নিতান্ত অসার আমরা দিব্যচক্ষে দেখিতেছি, বুদ্ধ-মতের হস্ত, পদ, হৃদয়, প্রাণ, মস্তক, সমন্তই প্রাচীন বৈদিক মতের মধ্যে বিভিন্ন সংস্থানে. লুক্কাধ়িত ছিল; বুদ্ধ সেই গুলি যোড়!

লাগাইয়া লইয়াছিলেন মাত্র বুদ্ধদেব অর্থাৎ শাঁক্যসিংহ তত প্রাচীন হউন বা না হউন, তৎপ্রবর্তিত

ধন্ম বা মত সমধিক প্রাচীন বলিয়! মনে হয়। অধিক কথ; কি বলিব, বান্সীকি রামায়ণে বৌদ্ধধর্মের উল্লেখ আছে। €২

[ 1 “খা হি চৌরঃ তথাহি বৌদ্ধ: তথখাগতং নাস্তিক মত্র বিদ্ধি 1” [ ইত্যাদি অযোধ্যাকাও দেখ।

এতৎ প্রমাথে বৌদ্ধধর্খের প্রাচীনত্ব অনুমান কর যাইতে পারে; আবার প্র গ্লেরককে পক্ষান্তরে প্রক্ষিপ্ত বলিয়া মনে কর! যাইতে পারে। প্রক্ষিপ্ত হইলে ধপ্লোককে নুশ্তন রচিত বলিতে হইবে। ইচ্ছা হয় বল, কিন্তু শাক্যসিংহ যখন শেষ মর্ত্য বুদ্ধ; তাহার পূর্বেও যখন ৫৫ জন বুদ্ধ ছিলেন, স্বর্গেও পদ্মো" স্তর প্রভৃতি ৪৯ বুদ্ধ আছেন এবং হ'হারা শাক্যসিংহের অনেক পূর্বে মর্ত্য- লোকে অবতীর্ণ হুইয়াছিলেন বলিয়। প্রথিত, এবং আমাদের বাযুপুরাঁণ, কক্িপুরাখ, গণেশ শস্তু প্রভৃতি উপপুরাণ মধ্যেও যখন বৌদ্ধধর্মের বুন্ধাবতারের কথ। লিখিত আছে, তখন আর আমর বুদ্ধোক্ত ধর্শনিচয়কে শাকাসিংহ অপেক্ষা অধিক পুরাতন ন! বলিয়! থাকিতে পারি না। শাক্যসিংহ শেষ মর্ত্য বুদ্ধ, তিনি “বহুঞ্জনহিতায় বহুজনকৃপাঁয়ৈ” এই মর্ত্যূমে মর্ত্য শরীর পরিগ্রহ করিয়াছিলেন তাহার জন্মসময়ে দেশ বৈদিক কর্মকলাপের স্রোতে প্লাবিত হইতেছিল ; জ্ঞানকাঁও না! থাকার স্তায় হইয়াছিল, এইমাত্র ঘটনা

শুনিতে পাঁওয়! যায়, বুদ্ধদেব ন1-টক বেদ-নিন্পা করিয়াছিলেন। আমর! সাধ্যমত তদীয় জীবন পর্যালোচনা করিয়া দেখিয়াছি, তাহার পবিত্র জীবনে উদ্জ নিন্দাবাদের লেশমাত্রও দেখিতে পাই নাই। তাহার মনে কেবল খেদ --কেবল ক্ষোভ! জীবগণ যে বৃথা কষ্ট ভোগ করিতেছে তদৃষ্টে তাঁহার মনে সর্বদাই ক্ষোভের উদয় হইত। বিদ্বেষ বাঁ নিন্দা করা তাহার প্রকৃতি- বিরুদ্ধ। পরবর্তী অসাধুচিত্ত বৌদ্ধেরাই বেদকে তগুনিশ্মিত বলিয়া ঘবণ। করিয়।- ছিল, তিনি কখনও ঘুণাক্ষরে বেদ-নিন্দা করেন নাই। তিনি ব্রাহ্মণদ্িগের স্য/য় বেদের অন্রান্তত। স্বীকার করিতেন কি-ন। তাহ! এখন স্থির বলা যায় না। তিনি অনিংস্যধর্প্রিয়। অহিংসাঁ ধর্মের উপদেশক, সুতরাং হিংসাঘটিত বৈদিক ক্রিক্জাকলাপ (যাগযদ্র ) তাহার মতবহিভূততি। তিনি সংসারত্যাগের পরি- পোৌঁধক চিত্তনৈর্মল্যকারী শুরু ধর্মের পক্ষপাতী, তাই তিনি হিংসাঘটিত কামনাঘটিত বৈদিক কর্দ করেন নাই এবং করিতে অন্তকেও নিষেধ করি- তেন। কিন্তু যেসকল কর্ম তাহার মতের অনুকূল, সে সকল কর্দে তাহার নিষেধ ছিল বলিয়৷ বোধ হয় না। এতদ্দেশীয় জয়দেব কবি বিষয়ে ঠিক

[ ]

কথাই বলিক্ গিয়াছেন।-_প্নিন্গাসি যজ্ঞবিধেরহ্হ শ্রুতিজাঁতং সদয়হদয় দরশিত- পগুঘাতম্‌।” ইহার অর্থ এই যে, যে সকল শ্রতিতে পশুধাতঘটিত যজ্ঞের বিধান, তুমি দয়ার্ঘ হইয়! সেই সকল শ্রুতির নিন্দা করিয়াছ। ভয়দেব নিশ্চিত বুঝয়াছিলেন যে, বুদ্ধদেব সমুদয় বেদের নিন্দা করেন নাই--কেবল যজ্ঞবিধির দোষোদেবাষণ করিয়াছিলেন। এই স্থলে আমরা আবার বলি, তিনি যজ্ঞবিধির নিন্দ] করেন নাই। লোকের যে ততদ্বিষয়িণী প্রবলা প্রবৃত্তি গাঢ় অন্গরাগ ছিল, তিনি তদ্দর্শনে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হইয়াছিলেন। তিনি প্রকৃত বেদবিছেষ্টা হইলে ব্রাহ্মণের! তাহাকে কখনই নারায়ণের অবতার বঁলয়। মান্ত। করিতেন ন|। আমরা সাহস করিয়! বলিতে পারি, যে সকল যজ্ঞে হিংসাি দোষ নাই-_ যাহ। জ্ঞান প্রাপ্তির উপায়--আধ্যাত্মিক ঝ| উপাসনাত্মক যন্র-_-সে সকল যজ্ঞ করিতে তীহার নিষেধ ছিল না। কেনন। তিনি নিন্জেই তাদৃশ যজ্ঞ করিয়| ছিলেন, ইহা বৌদ্ধদিগের ললিতবিস্তর প্রভৃতি গ্রন্থে লিখিত আছে বথা-_ “আত্ম পরহিত প্রতিপনীহনুত্তর প্রতিপত্তি শুরঃ * * * সর্বববস্ত নিরপেক্ষ পরিত্যাগ: দানে সন্বিভীগ রতঃ সতত পীংণিত্যাগশুরঃ যষ্টফজ্ঞঃ 1”

বুদ্ধদেব স্বয়ং কোন গ্রন্থ লিখেন নাই। তিনি শিষ্যদিগকে প্রশ্নানুরূপ উপদেশ প্রদান করিতেন, শিষ্যের! তদর্থ ধারণ বহু বিস্তার করতঃ প্রকাশ করিতেন। ইহ! ধর্মবকীন্তি নামক জনৈক বৌদ্ধাচার্যের নিকটেও শুনা যাঁয়। £তছ্িনেয়াঃ প্রচক্রিরে”- তাহার বিন্যুগণ অর্থাৎ শিষ্যগণ গ্রন্থ প্রস্তুত করিয়া ছিলেন।

বৌদ্ধগণ বলিয়। থাকেন, এতাদৃশ ধর্দ পৃথিবীতে আর কখন প্রকাশিত হয় নাই। সেই জন্ত ইহার অন্ত নাম নবধর্ম। এই নবধর্ধান্গরাগিগণ বুদ্ধকে “জরা-মরণ-বিঘাতী ভিষগ্বর৮ বলিয়! জ্ঞান করেন। তাহার্দিগের মতে মনুষ্য জন্ম কেবল কষ্টুময়, জন্মিলেই জর! ব্যাধি মরণের অধীন হইতে হয়, তন্সিবারণার্থ সতত নির্ব্বাণ কামনায় রত থাক! অবস্ত কর্তৃব্য। বৌদ্ধ মাত্রেরই পূর্ববজন্ম পর জন্মে বিশ্বাস আছে। জীব নিঞ্জ শিজ কর্মের দ্বারা পুনঃ পুনঃ বিবিধ যোনি পরিভ্রমণ করে। কথিত আছে, দ্বয়ং শাক্য সংহ হস্তী মুগ প্রভৃতি পণ্ড যোনি ভোগ করিয়া! অবশেষে মানুষ) প্রাপ্ত হইয়াছিলেন।

বুদ্ধদেব যত দিন জীবিত ছিলেন ততদিন তাহার মত তত অধিক প্রকাশ প্রাপ্ত হয় নাই। ত্বাহার মৃত্যুর পর তদীয় শিষ্য গ্রশিষ্যগণ কর্তৃক বৌদ্ধধর্ম

[ ]

জগতের হিত্তের জন্ঠ দেশে দেশে প্রচারিত হইয়াছিল। তাহার প্রধান তিন শিষ্য ত্রিপেটক রচনা করেন। ব্রিপেটকের প্রথম অংশ অভিধর্ম, তাহা কাশ্তপ-রচিত দ্বিতীয় অংশ শুত্র, তাহ! আনন্দের রচিত তৃতীয় অংশ বিনয়, তাহা উপাঁলি নামক শিষ্যের দ্বারা রচিত। ইহা। খুষ্টজন্মের অনুযুন ৫৫* বৎসর পূর্বে রচিত হই ৫** পণ্ডিত ভিক্ষুর সাহাষ্ প্রচারিত হইয়াছিল। ব্রিপে, টক প্রচারের পরে তিন বার বৌদ্ধপঙ্গম আহৃত হয়। সেই সকল সঙ্গমে ধর্মের অনেক সন্দিগ্ধ কথার মীমাংস। হইয়াছিল এবং তৎসন্বন্ধীর় অনেক গ্রন্থ রচিত প্রচারিত হইয়াছিল।

মগধরাজ অশোক বৌদ্ধধর্মের প্রধান উন্নতিকারক। ইনি বিন্দুপরের পুর এবং চন্তুপ্তপ্তের পৌল্র। বৈর-নির্যাতনে স্থিরপ্রতিজ্ঞ ছিলেন বলিয়া লোকে ইহাকে প্রচগ্ডাশোক নামে খ্যাত করিয়াছিল। অশোক রাজসিংহাস্* প্রাপ্ত হইক্স! বৌদ্ধধর্মের বিশেষ উন্নতি করিতে প্রবৃত্ত হইলেন, তাহা দেখিয়! লোকে ইহাঁকে ধর্মাশোক আখ্যায় অভিহিত করিতে লাগিল। চারি বৎসরের মধ্যে ইনি সমুদায় ভারতবর্ষ জয় করিয়াছিলেন, মহাচীন করতলস্থ করিয়াছিলেন, অন্তান্ত মহাঁদেশও বশীভূত্ত করিয়াছিলেন। ইনিই বৌদ্ধগণের «“দেবানাং প্রিয়ঃ প্রিয়দর্শী 1৮ অসংখ্য প্রচারক ইহারই আঁজ্ঞায় দেশে দেশে, গ্রামে গ্রামে, নশরে নগরে, বৌদ্ধধন্্র প্রচারিত করিয়াছিল। ইহারই প্রভাবে অল্নকাল মধ্যে ভারতবর্ষের প্রায় সমুদায় জাতি বৌদ্ধ হুইয়ংছিল। খুঃ পুঃ ২২২ বৎসরে ইহার সৃত্যু হয়, তৎপরে ভারতবর্ষে আর বৌদ্ধধর্মের প্রকৃত উন্নতি হয় নাই। অশোক পুক্র মহেন্দ্র; কেব্ল মাত্র ইনিই সিংহলে বৌদ্ধ ধর্মের বল অংশ প্রচারিত করিয়াছিলেন।

বুদ্ধদেব কপিলের নায় নিরীশ্বর | * কারণ, কোনও স্থানে তিনি ঘুণাক্ষরে ঈশ্বর প্রসঙ্গ করেন নাই। তিনি জগতের কার্যকারণ ভাব ষেরূপে পধ্যালোচন! করিয়াছিলেন তাহাতে তাহাকে ম্বভাববাদী মধ্যে গণা করা যাইতে পারে।

বুদ্ধের নীতি অত্তীব মনোহর তাহা পাঠ করিলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি ভক্তির উদ্রেক হয় এবং তাহার যথাযথ অনুনরণ করিলে প্রকৃত মনুষ্যত্ব লাভ কর! যায়। সেই জন্ই সমস্ত জগতে বুদ্ধ-নীতি সমাদৃত। এমন কি, সভ্য ইউরোপ খণ্ডেও বৌদ্ধ জ্ঞানের বৌদ্ধ নীতির বিশেষ আদর দেখিতে পাওয়। যায়।

[ & নেপালীয় বৌদ্ধগণের নিকট গুন! যায়, পৃথিবীতে না-কি অগ্ঠাপি ৮* সহমত বৌদ্ধগ্রস্থ আছে সে সকলের মধ্যে এই সকল গ্রন্থ নাকি নবধর্দ নাষে খ্যাত। অষ্টসাহত্রিক, কারগুব্যুহ। দশতৃমীশ্বর, সমাধিরাজ, লক্কাবতার, সন্বন্মপুগুরীক, তথ|গতগুস্থক, শলিতবিস্তর সুবর্ণ প্রভাস। তাহারা আরও বলেন যে, সমুদায় বৌদ্ধপগ্রস্থ দশ শ্রেণীতে বিভক্ত স্যার, গের, ব্যাকরণ, গাথা, দান, নিদান, ইত্যুক্ত, জাতক, বৈপুল্য, অভিধন্মন, অবদান উপদেশ। বৌদ্ধগ্রস্থ অধিকাংশই পাঁলী প্রাকৃত ভাষায় লিখিত। কেবল এই কয়েকটা গ্রন্থ সংস্কতে লিখিত। প্রজ্ঞাপার মিতা, স।রিপুত্র দেবপুত্র কৃত অভিধর্, ধশ্বস্কদ্ধ, কারওব্যুহণ ধর্ম বোধ, ধর্মসং গ্রহ, সপ্ত বুদ্ধন্তোত্র, বিনয়ন্থত্র, মহান্থসুত্র, মহান্ন্ব্রালঙ্কার, জাতক- মালা, চৈত/মাহাত্মা, অনুমান খণ্ডন, বুদ্ধশিক্ষসমুচ্চয়, বুদ্ধচরিত কাব্য, বুদ্ধকপাঁল তন্ত্র সঙ্গীর্ণ তন্ত্র। আমরা সর্বদর্শন সংগ্রহ পাঠকালে প্রকার বৌদ্ধ থাকার কথ! শুনিয়া- ছিলাম য্থা--সৌত্রান্তিক, বৈভাপিক, যোগাঁচার মাধ্যমিক। ধর্ম-কীণ্ডি নামক বৌদ্ধাচার্্যও তই কথ! বলেন। কিন্তু খুঁজিয়! পাই না এবং বৌদ্ধগ্রস্ দেখিয়া বুঝিতেও পারি না যে, এই গ্রন্থ সৌত্রান্তিকের, এই গ্রন্থ বৈভাসিকের, এই গ্রন্থ যোগাচারসম্মত এবং এই গ্রন্থ মাধ্যমিকদিগের যাহাই হউক, ৪জন শিষের দ্বারা যে তাহার মত বিভিন্ন প্রস্থানে প্রস্থিত হইয়াছিল, সে পক্ষে আর সন্দেহ নাই। বৌঁধিচিত্তবিবরণ নামে এক বৌদ্ধগ্রস্থ আছে। তাহাতে লিখিত আছে “দেখনা লোকনাথানাং সত্বাশয়বশানগাঃ। ভিদ্যন্তে ঘছধ। লোকে উপায়ৈবহুভিঃ পুনঃ গৃন্তীরোত্ীনতেদেন কচিচ্চভো য়লক্ষণ! | হভিন্নাপি দেশন। ভিন্ন শূন্যতা হবরলক্ষণ |” পুজ্যপাদ লোৌকনাথের (বুদ্ধের) উপদেশ একরূপ হইলেও তদ্দীয় শিষা- দিগের বুদ্ধি একরূপ ন! থাকায় বুদ্ধমত বিতিন্নাকার প্রাপ্ত হইয়াছে। আমরা দেখিতেছি, সত্য সত্যই বুদ্ধমত বিভিন্নাকাস ধারণ করিয়াছে বৌদ্ধ- ধর্মের মূল গ্রত্রবণ এক হইলেও তাঁহা আচাধ্যগণের মতের দ্বার! বিকৃতভাব ধারণ করিষাছে। এমন কি, শাক্যমিংহের মত কিরূপ ছিল তাহা এখন সহজে বোধগম্য কর যায় ন7। ফল, বুদ্ধের নিজের মত অতি পবিত্র ছিল বলিয়াই

[৮৬ ]

অনুমিত হয়। তাহা না হুইলে ব্রাহ্মণের! তাহাকে নারায়ণের অবতার বলিয় সম্মানিত করিতেন না।

নিশ্চিত বুদ্ধের নিজের মত অতি পবিত্র ছিল, এই বিশ্বাসের বশীভূত :হইয়! ্বগীয় রামদাস বাবু বিবিধ পুর1তন বৌদ্ধগ্স্থ আহরণ পূর্ব্বক বুদ্ধের জীবন ধর্ম অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হন। £ এই ক্ষুত্ত গ্রন্থ তাহার সেই অসাধারণ চেষ্টার অধ্যবসায়ের ফল, সমধিক পরিতাপের বিষয় এই যে, তিনি ফল ভোঁগ করিয়া গেলেন না। এগ্রন্থ কোন ইংরাজি পুস্তকের অনুবাদ নহে; প্রবাদ বাক্য শুনিয়াও লিখিত নহে নব্য হিন্দুদিগের দ্বারা বিকৃভাবস্থ! প্রাপ্ত বৌদ্ধ. মত দেখিয়াও লিখিত নহে। ইহ! ভূরি ভূরি পুরাতন বৌদ্ধগ্রস্থ পরিদর্শনের পর লিখিত হুইয়াছে। ইহা! পাঠ করিলে বুদ্ধের প্রকৃত বা অবিকৃত জীবন ধর্ম অবগত হওয়া যায়। সেই জন্যই অন্থান্ত পুস্তক অপেক্ষা এই পুস্তক আমাদের অধিক আদরের বস্ত। বৌদ্ধগ্রস্থ পধ্যালোচন| করিয়! যত দুর বুঝিতে পারি- য়াছি, তাহাতে সাহস পূর্বক বলিতে পারি, বুদ্ধজীবন বৌদ্ধধশ্্ নিন্দনীয় নহে এবং তছুক্ত ধন্ম সম্পূর্ণ নূতনও নহে। আমাদের দেশের যোগশান্ত্রের অধ্যাত্শান্ত্রের সহিত মূল বৌদ্বধর্মেন প্রায় মিল আছে। কথা সত্য কি মিথ্যা, পাঠকগণ তাহ! মনোৌষোগ সহকারে মাত্র এই পুস্তক পাঠ করিলে জানিতে পারিবেন। ইংরাজি ভাষায় লিখিত বুদ্ধচরিতের অন্ুভাষ! প্রচারিত হওয়ায় তৎপাঠে অনেক লোক বুদ্ধজীবনের প্রকৃত আদর্শে সন্দিহান হইতে- ছিলেন। বুদ্ধজীবন বুদ্ধধন্ম ঠিক অন্ভাধিতানুরূপ কি না তাহা জানিতে ইচ্ছ৷ করিতেছিলেন। সেই কারণে লেখক অনেকগুলি মূল বৌদ্ধগ্রস্থ পর্যযা- লোচনা পূর্বক এই পুস্তক লিখিতে প্রবৃত্ত হন। তাহার আশা! ছিল, লোকে আমার প্রচারিত "বুদ্ধদেব" পুস্তক পাঠ করিয়া অসন্দিগ্বরূপে বুদ্ধজীবন বুদ্ধধন্্ম বুঝিতে সক্ষম হইবে অনুমান করি, ইহার প্রচারে তাহার সেই সদভি গ্রায় সিদ্ধ হইয়াছে অলমতিবিশ্ুরেণ !

বেদাভ্তবাগীশে(পনামক-

আীকালীবর শর |

প্রথম পরিচ্ছেদ

বুদ্ধদেবের আবির্ভীব-কাল--শীক্যবংশের উৎপাত্ত--শাকা নামের কারণ-..কপিলবস্ত নগর--ও তাহার ইতিবৃত্ত

বুদ্ধদেব কোন্‌ সময়ে জন্মিয়াছিলেন তাহা স্ুক্রূপে নির্ণয় কর! ছুঃসাধ্য। শাস্ত্রোন্ত ইতিহাস পরম্পর| অনুসন্ধান করিলে এবং তছুক্ত যুক্তির আশ্রয় লইলে কতকটা জানা যাঁয় বটে $ কিস্তু তাহাতে এমন স্থির হয় না ষে, শাক্য- সিংহ ঠিক এত বৎসর পূর্বে জন্মিয়াছিলেন। অনেকানেক ইউরোপীয় পণ্ডিত বিষয়ের বিশেষ অনুসন্ধান করিয়াও কৃতকাধ্য হইতে পারেন নাই, ইহ আমর! সাহস করিয়! বলিতে পারি অনেক ইউরোপীয় পণ্ডিত স্থির করিয়া- ছেন যে, বুদ্ধদেব তাহাদের খুষ্ট জন্মের অন্যান ৫০ বৎসর পূর্বে জীবিত ছিলেন। কোন কোন পণ্ডিতের মতে তিনি খুষ্টের ৫৪৩ বৎসর পুর্বে জদ্িয়া- ছিলেন। অন্তে বলেন, তিনি খুষ্টের অন্ন ৫৫* বতনর পূর্বে উৎপন্ন হুইয়া- ছিলেন। ইংরাঁজগণের নির্ণয় কিং-মূলক তাহা! আমরা জানি না, কাষেই আমাদিগকে সম্বন্ধে পৃথক অনুসন্ধান করিতে হইল।

কাশ্ীরের ইতিহাস লেখক কহুলণ পণ্ডিত এক স্থলে প্রসঙ্গক্রমে বলিয়া- ছেন, তুরুষ্ষবংশীয় হুষক, ক্ুষ্ষ কনিক্ক, এই তিন ব্যক্তি যখন কাশ্মীরের রাজ! ) কাশ্মীর তখন বৌদ্ধপরিব্রাজকে পরিপূর্ণ। ভগবান্‌ লোকনাথের অর্থাৎ বুদ্ধের পুরপ্রয়াণের ১৫০ বৎসর পরে কাশ্মীরে রূপ ঘটন। হইয়াছিল। * সমগ্নে নাগাজুনন নামক জনৈক বৌদ্ধ ভূপতি জন্মিয়াছিলেন।

পপি

* অথাভবন, স্বনামান্কুপূর বয়বিধারিনঠ। হুফ জুক্ষ কনিক্ষাখ্যান্্যন্তত্রৈঘ পার্থিবাঃ

বুদধদেষ।

কহলণ পণ্ডিত ১*৭০ শকাবে সুব্রত পণ্ডিতের বাঁজকথা, ক্ষেমেন্দ্রের রাজা. ব্লী, নীলম্তপুরাণ, পুর্ব-রজগণের প্রতিষ্ঠাপিত বস্ত, অনুশাসন প্রশস্তি পটু প্রস্থৃতি অবলম্বন ক্রিয়। স্থপ্ম বিচর পূর্বক রাজতরঙ্গিণী গ্রন্থ প্রস্তত করেন। সুতরাং তাঁহার গ্রস্থে অধিক ভ্রম থাকিবাঁর সম্ভাবন। নাই তিনিও বলিয়াছেন, প্শাস্তোহশেষভ্রমক্লমহ* আমার গ্রন্থে সমস্ত ভ্রমদোষ উপশাশ হইয়াছে তিনি যখন স্বপগ্রন্থে উপরি উক্ত কালের উল্লেখ করিয়াছেন, তখন অবশ্তই আমর1 উক্ত কাল সাদরে গ্রহণ করিতে পারি, বিশ্বাস করিতেও পারি। এই কাল অন্রাস্ত বলিয়া গ্রহণ করিলে, দত্য বলিয়! বিশ্বাস করিলে, গণনায় কত বৎসর হয় তাহ দুই করুন।

কল্যব্বের অতীত *"" *** ৬৫৩1৯ গোনদ রাজা নর টি ৩৫৬ দামোদর টি তি ৩৫।১ বাল গোনদী টি ৩০1৪ ক্রমিক ৩৫ জন রাজ তি ১২৬৬০ লিক. নি তা কুশেশয় রী টি ৩৮ থগেন্স রে রর সথরেন্র রি কি গোধর 2 তা

হরণ ৪৩৪ ৪৪৬ ৬৯৩ ৬০|ও

সবিহারস্য নিশ্মাত। জুফ্ষোজুক্ষপুরস্য যঃ। জয়ন্বামিপুরন্যাপি শুদ্ধধীঃ বিধায়ক? তে তুরু্ষান্বয়োত্ত.ত। অপি পুণ্য ৮রয়া নৃপাহি শুফলেত্রাদিদেশেধু :মঠচৈত্যাদি চক্তিরে প্রাজো রাজ্যক্ষণে তেষাং প্রাঃ কাশ্ীরমণ্লম্‌। ভোম্যমাস্তে বৌদ্ধানাং প্রব্রজ্যোজি ততেজপাম্‌ ততো ভগবতঃ শীক্যসিংহস্য পুরনিবু তেঃ | অন্মিন,সহ লোকধাত সার্দং বর্ষশতং হাগাৎ ইত্যাদি।

প্রথম পরিচ্ছেদ

জনক কত ৪৬ ৬1৩ শচীনর মি তর শ১1০ অশোক 2৯০ 5৩৪ ৬২৬ জলৌক -* হিঃ দ্বিতীয় দামোদর ... -০* ২৪৯৩০

এঁ রাজ্যকাল সঙ্কলন দ্বার! স্থির হইয়াছে যে, যুধিঠিরাদির সমকালিক গোনদ্দ রাজার রাজ্যকাল আরস্ত করিয়! দ্বিতীয় দামোদর রাজার বাজ্যকাল সমাপ্ত হইতে কলির প্রারস্তাবধি ২৪১১৯ বদর মাদ লাগিয়াছিল। ইহার পরেই হুষ্ষজুফাদি রাজার রাজাকাল? তাহার সংখ্যা ৬;০। সমুদায় একত্রিত করিলে ২৫৫২।৯ লব্ধ হয়। ইহার ১৫০ বৎসর পূর্বে শাক্যসিংহ রাজ্যপরিত্যাগ পূর্বক সন্ন্যাপী হন। ২৫৫২৯ বৎসরের ১৫০ বাদ দিলে ২৪২৯ থাকে। নুতরাং কহলণ পণ্ডিতের গণনাঁয় কলির ২৪*২।৯ মাসের কিছু পুরে মহাত্ম। শাক্যসিংহ সন্নানী হন, ইহ। নিণীত হয়। ধারাবাহিক পঞ্জিগণনার দ্বার! জানা যায় যে, কলার এখন ৪৯৮৬ হইয়াছে ৪৯৮৬ হইতে ২৪০২ বাদ দিলে ২৫৮৪ থাকে ; কাধে কাষেই বলিতে হইতেছে, ভগবান্‌ বুদ্ধ ২৫৮৪ বৎসরের পূর্বে জন্মিয়াছিলেন এবং তিনি খুঃ পৃঃ ৬৯৯ বৎসর সময়ে জীবিত ছিলেন। 1

বৌদ্ধ দিগের মহাবস্ত গ্রন্থে অন্ত এক সন্ধান পাওয়। যায়। গ্রন্থে লিখিত আছে, ভগবান্‌ শাকাপিংহ মগধের রাজা বিখিসারেব প্রার্থনায় রাজগৃহ নগরে কিছুকাল বাস করিয়াছিলেন | স্থতরাং বৌদ্ধপ্রস্থের প্রমাণ মনুসারে মহা বুদ্ধ শাক্যমুনি রানা বিদ্বিলারের সম্নানদ্ষিক রাজা বিথিসার চন্দ্রগুপ্টের উদ্ধাতন

সপ্তম পুরুষ। যথা --

সী শপপীপাীস্পী পিপি

* অশোক চন্্রগুপ্তের পৌনত্র অশৌক নহে ইনি শচিনয়ের পিতৃবাপুজ্র শকুমির প্রপৌত্র এবং কাশ্ীরের রাজা চন্ত্রগুপ্তের পৌংত্র অশোক অশোকবদ্ধন প্রচণ্ডাশোক নামে বিখ্যাত + কেহ কেহ বলেন, রাজতরঙ্গি ণীর এই নির্ণয় সম্যক শুদ্ধ না হইতেও পারে। কেন-ন!, অন্যন্য প্রমাণের সভিত উক্তনির্ণয়ের মিল হয় ন। এবং মুক্রিত রাজতরজিণী পুস্তক থানি বিশেষ শুদ্ধ নহে; ইহাতে অনেক ভুল আছে। 1 পশচ্ছ রাজগৃহং তহিং বুদ্ধো! ভগব। প্রতিবসতি।

শ্রেণীয়স্য রাজ্ঞো বিশ্বিসারপ্য যাচিহবাঁসো প্রীতবদতি |” [ মহাবস্ত্র অবদান

€ত

বুদ্ধদেব। বিদ্বিসার। অজাতশক্র। | চার | টির | মহানন্দী নন্দ (৮ পুত্রসমেত )1 চন্্রগুপ্ত।

চন্দ্রগুপ্ডের পুর্বে নন্দগণ ১০৭ বর্ষকাঁল সিংহাসন ভোগ করেন। নবনন্দের অন্যন ২০০ ব্তসর পূর্বে রাজ] খিশ্থিসাঁবের্‌ রাজ্যাধিকার ছিল * বিষু্পুরাণের লিপি উক্ত প্রকার অনুমান সত্য হইলে,ইহাও সত্য হইবে যে,ভগবান্‌ শাক্যসিংহ চন্্রগুপ্ত রাজার অন্ন ৩০০ তিন শত বৎসর পুর্ব্বে উৎপন্ন হইয়াছিলেন। বিষুপুরাণের এক স্থলে উক্ত হইয়াছে যে, রাজ! পরীক্ষিৎ যখন রাজ্য করেন, কলি তখন ১২০ বৎসর অতিক্রম করিয়াছে যথা-- “তদ। প্রবৃত্তশ্চ কলিহদশাব্দশতাত্মকঃ 1” এই সময়ের পর, সপ্তধি মণ্ডল যখন পুর্ববাষাঢ়া নক্ষত্র গত হইবেন, নন্দ তখন সিংহাসন প্রাপ্ত হইবেন এবং কলিও সেই সময় হইতে প্রবল হইবে ষথা-_ পপ্রযাসান্তি ষদচৈতে পূর্ববাধাঢাং মহর্ষয়ঃ | তদ। নন্দাৎ প্রভৃত্যেষ কলিবৃ দ্ধিং গমিধ্যতি |” সপ্তর্ধিণণ পর।ক্ষিতের বাজ্যকালে মঘা নক্ষত্রে ছিলেন। তৎপরে ত্াহাদ্দিগকে পুর্ববাধাঢ়ানক্ষত্র অতিক্রম করিতে অন্ন ১১০* বৎসর লাগিয়াছিল। পূর্বের বারো শত, আর এই এগাঁর শত, সধুদায় একত্রিত করিয়া কলির ২৩০০ শত বৎসর পরে নন্দরাজ্য হইয়াছিল, ইহা নিশ্চিত হয়| এই নির্ণয় সত্য হইলে ইছাও সত্য হইবে যে, কলির ২৩০০ বৎসর পরে, ২৪** বৎসরের মধ্যে বুদ্ধাবতার

পপ ক!

শপ পিসী

মি

* বিফুপুরাণে লিখিত আছে, শিশুনাগ হইতে মহানন্দী পর্যন্ত ১* জন রাজা ৩৬২ বৎসর রাজ্য করিয়াছিলেন দশ জন রাজার রাজ্যকাল ৩৬২ বৎসর হইলে তন্গধ্য হইতে শিশুনাগ, ক্ষেমধরন্দী, ক্ষত্রোজ, এই তিন ধ্যক্তির রাজ্যকাল হতে ১৫* বৎসর বাঁদ দিলে তৎপরবর্তী খিশ্বিসার প্রভৃতি জন রাজার রাজ্যকাল ২** বৎসরের কিঞিৎ অধিক, ইহ! সহজেই অনুমিত হইতে পারে।

প্রথম পরিচ্ছেদ।

ঘটনা হইয়াছিল। অতএব আমাদিগের পুরাণ শাস্ত্র অনুসারেও বুদ্ধদেবের আমু এক্ষণে ২৬০* বৎসরের কিঞিৎ অধিক হইক্বাছে। এস্কলে ইহাও বল উচিত যে ইউরোপীয় পণ্ডিতগণের মতে ইহার আযু ২৪০, শতের অধিক হয় নাই। ভাগবত মহাপুরাণে ভাবষ্য অবতার প্রসঙ্গে বুন্ধদেবের জন্মকাল নিক. লখিত প্রকারে উক্ত হইয়াছে। যথ1-_ “ততঃ কলৌ সম্প্রবৃত্তে সন্মোহায় স্রছিষাঁম, বুদ্ধে নায়াজিনন্তঃ কীকটেবু ভবিব্যাতি 1” «কলৌ সম্প্রবৃত্তে*ঠ এই কথার “কলির সম্যক্‌ বৃদ্ধি আরস্ত হইলে, এইক্প তাৎপধ্য লব্ধ হুয়। ম্ৃতরাং বিঞ্ুপুরাণের উল্লেখ অনুসারে অর্থাৎ__ “তদদ। নন্দাৎ প্রভৃত্যেষ কলিবদ্ধিং গমিষতি |” মহাপন্ম নন্দ রাজ! হইলেই তৎসময়ে কলির বৃদ্ধি হইবে ;--এই বচন আন্ধ- সারে স্থির হয় যে, নন্দের সময় অথবা তাহার কিঞ্চিৎ পূর্বে বুদ্ধাবতার হইয়- ছিল। পূর্বোক্ত ভাগবত-বচন এই খিষ্ুপুবাণ-বাক্য তুল্যার্থ করিয়। বা মিলা- ইয়া লইলে অবশ্তই স্থির হইবে, জিনপুত্র বুদ্ধ প্রথম নন্দের কিঞিতি পুর্ব্বে মধ্যগয়া প্রদেশে আবিভূতি অর্থাৎ খ্যাতিমান্‌ হইয়াছিলেন। প্রমাণ সত্য ' হইলে শাক্যসিংহকে চন্ত্রগুপ্তের অনধিক ১৫০ বৎসরের পূর্বের লোক বলা যাইতে পারে এবং ইহাতে ইংরাজ পণ্ডিতগণের অন্ুমানকে কিছু পরিমাণে সত্য বলা যাইতে পারে। বৌদ্ধদিগের ললিতবিস্তর নামক গ্রন্থে লিখিত আছে, শীক্যসিংহের আবি- ভাবের পুর্বে মগধ দেশে প্র্োতন নামে এক রাজবংশ বিদ্যমান ছিল! * নন্দের পূর্ববন্তী প্রদ্যোতন বংশ সত্য সত্যই বৌদ্ধ আবির্ভাবের পূর্বে বিদ্- মান ছিল, ইহ! আমরা আমাদের বিষুণপুরাণেও দেখিতে পাই 1 প্রস্মোতন- বংশ শেষ হইলে ক্ষত্রৌপ্1, ক্ষেমধর্ম্না, কাকবর্ণ শিশুন[গ, «ই চারি, জন মাত্র রাজ] ক্রমপ্রাপ্ত সিংহাসন ভোগ করিয়াছিলেন। তাহাদের অবাবহিত পরে

* “অপরে ত্বেবমাহুঃ | ইদং প্রদ্যোতনকুলং মহাঁবলঞ্চ মহাবাহনঞ্চ প্রচমুশিরসি বিজয়লব্ধাঞচ। তৎ প্রতিরপমস্ত বোধিসন্ধস্য গত প্রতিসংস্থানায়েতি 1” [ললিত বিস্তর, অং। 1 নন্দিবর্ধনাস্তাঃ পঞ্চ প্রদো।তনাঃ পৃথিবীংভোক্ষান্তি ততশ্চ শিশুনাগাদয়ঃ। ইত্যাদি। [ বিফুপুরাণ জং, ২৪ অং।

শু বুদ্ধদেব

রাজা বিদ্বিদার তৎপদে প্রতিষ্ঠিত হন। এই সময়ে ভগবান্‌ শাক্যসিংহ বুদ্ধ হইয়া! মগধে ভ্রমণ করিয়াছিলেন, ইহা! আমর! মহাবস্ত প্রভৃতি বৌদ্ধ গ্রন্থ দেখিতে পাই

এই সকল অনুসন্ধানলব্ধ প্রমাণের দ্বারা যাহা! উপলব্ধি হয়, তাহাতে বুদ্ধ দেবকে কোনও প্রকারে খৃঃ পৃঃ €৫* বৎসরের অব্যবহিত পূর্ববর্তী বলিতে পারা যায় না। উহার অধিক পুর্বে তিনি ভূমগণ্ডলে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন; ইহাই স্থির হয়।

শাক্যবংশেৰ উৎপত্তি শাক্য নামের কাঁরণ।

প্রসিদ্ধি আছে, বুদ্ধদেব শাক্য নামক রাজকুলে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন; সেই নিমিত্ত তাহার শাক্যসিংহ শাক্যমুনি এই ছুই পৃথক নাম প্রচারিত আাছে। শাক্যবংশের উৎপত্তি তাহার ইতিহাস অতীব অন্ুত। বৌদ্ধদিগের প্রধান প্রধান গ্রন্থে এই বংশের উৎপত্তি ইতিহাস বর্ণিত আছে। বৌদ্ধেরা যেরূপ বলে, তাহাতে স্থির হয়, শ।ক্যবংশ কোন এক পৃথক বংশ নহে; আমা- দিগের পৌরাণিক সৃুর্য্যবংশের একটি পৃথক শাখ| মাত্র। সৃর্য্যবংশীয় ইক্ষাকু রাজ! ষে বংশের স্ষ্টি করিয়াছিলেন, সেই বংশের এক ধারা হইতে শাকা- বংশের উৎপত্তি হইয়াছিল। একখানি প্রাচীন বৌদ্ধ গ্রন্থে লিখিত আছে, ইক্ষাকু বংশীয় সুজাত নামক রাজার পুজের। কোন এক কারণে নির্বাসিত হইয়। “শাক” এই অভিধ] প্রাপ্ত হইয়াছিল।

বৌদ্ধদ্িগের “মহাবস্ত অবদানং» নামে * এক বিস্তীর্ণ গ্রন্থ আছে। এই গ্রন্থে রাজবংশের আদি” এতন্নামক অধ্যায়ের মধ্যভাগে শাক্যবংশের উং- পত্তি ইতিহান এইবূপে বর্ণিত হুইয়াছে। +

“পুর্বে অযোধ্যা মহানগরে স্জাত ন।মে এক ইক্ষা কুবংশীয় মহ! রাঁজ! ছিলেন। এই ইক্ষণাকু রাজা সুজাতের (বা সঞ্জানের ) পাচ পুত্র পাচ কন্ত1 হইয়াছ্িল। পুক্রগণের' নাম ওপুর, নিপুর, করকগুক, উদ্কামুখ হুস্তিকশীর্ষয। কন্টা পঁচ- টার নাম শুদ্কা, বিমল, বিজিত, জলা! জঙ্গী এতত্িনন, তাহার “জেন্ত”

সপ পাকি

* গ্রচ্থ খানি বহুপুরাতন সমধিক মান্তা ফরাশীশ পণ্ডিত পিন।ট ৯২* সম্ৎ অন্দের একখানি হস্ত লিখিত পুস্তক অবলম্বন করিয়। ইহার মুদ্রণ কার্ধ্য সমাধ| করিয়াছিলেন তাহা দেখির| অনুমান হয় যে, এই গ্রন্থ বহুপুরাতন। আমাদের বিবেচন।য় মহাবস্ত গ্রন্থথানি অনুন ১১১৬ বৎসরের পূর্বের |

+ পশ্চিমকো। শাকেতে মহানগরে ন্গজাতে। নাম ইক্ষাকুরা'জ অভুষি

| ইত্যাদি ক-চিহিত পরিশিষ্ট দেখুন।

প্রথম পরিচ্ছেদ

নামে আর এক পুত্র হইয়াছিল, সেটা তাহার সবীপুত্র সথীর নাম জেস্তী, ততৎকারণে তৎপুক্রকে লোকে ““জেন্ত” বলিত। প্রথিত আছে, রাজ সুজাত এক সময়ে জেস্তীকে স্ত্রীভাবে আরাধন। করিয়।ছিলেন। জেস্তী তীহার অভিমত পুরণ করিয়াছিল। রাজ জেন্তীর প্রতি পরিতুষ্ট হইয়। একদ! তাহাকে বর- প্রার্থনা করিবার অন্থরোধ করেন। বলিলেন, জেস্তি। আমি তোমাকে বর প্রদান করিব। তুমি যাহ! চাঙিবে, তাহাই দ্বিব। জেস্তী বলিল, মহারাজ ! আমি আমার পিতা মাতাকে জিজ্ঞাস করিয়া পশ্চাৎ আপনার নিকট বর প্রার্থনা করিব এই কথ! বলিয়া সে তন্ুহুর্তে নিজ পিতা মাতার নিকট গমন করিল বরবৃত্তান্ত বর্ন করিল। বলিল, রাজা আমাকে বর দিতে চাহিয়াছেন। আমার ইচ্ছ! আপনারা যাহ! বলিয়া দিবেন, আমি তাহাই রাজার নিকট প্রার্থন! করিব। এই কথা শুনিয়া জেন্তীর পিতা মাত, আপন আপন অভিমত ব্যক্ত করিল। কেহ বলিল, একখানি উত্কুষ্ট গ্রাম চাহিয়া লও। কেহ বলিল, অনেক ধন রত্বু চাহিয়! লও

সেই নমন্সে সেই স্থানে এক পরিব্রাজিকা উপস্থিত ছিল। এই ভিক্ষুকী চতুরা, বৃদ্ধিমতী পণ্ডিতা। দে বলিল, জেন্তি! তুমি বেশকারিণীর কন্ঠ।, এজন্য রাজ্যের কথ! দুরে থাকুক, তোমার গভজাত পুজ্র রাজদ্রবোরও অংশভাগী হইবে না রাজার পাচ পুভ্ত আছে তাহার! ক্ষত্রিয় কন্ত।র গর্ভজাত; সুতরাং তাহারাই পিতৃরাজ্যের পিতৃধনের অধিকারী হইবে? এক্ষণে রাজা স্থজাত তোমাকে বর দিতে চাহিয়াছেন রাজ স্থজাত সত্যবাদী, মিথ্য। বলেন না, যাহ! বলেন তাহাই করেন, এনিমিত্ত আমি বলি, তুমি রাজার নিকট এইরূপ বর চাঁও। “মহারাজ! আপনার পাঁচ পুত্রকে রাজ্য হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিউন-_ তাহাদিগকে বনবাসী করিয়। আমার পুত্র জেস্তকে যুবরাজ করুন। তাহা হইলে আপনার আমার এই পুত্র জেন্ত অবেধ্যা মহানগরে রাজা হইতে পারিবে ।” জেস্তি! এই বর লইলেই তোমার সব সফল হইবে। অনস্তর দ্েস্তী ভিক্ষুকীর পরামর্শে তাহাই করিল। রাজা সথজাতি জেস্তীর প্রার্থন। গুনিয়! বাথিত হইলেন, পুক্রন্নেহে কাতর হইলেন ; কিন্তু কি করেন, কোন ক্রমেই স্বীকৃত প্রধানে বিমুখ হইতে পারিলেন না| “যাহা চাহিবে তাহাই দ্বিব+ এই- রূপ বলিয়া! এখন আর তাহা অন্ঠথ! করিতে পারিলেন না বলিলেন, জেস্তি ! তাহাই হউক, তোমাকে ত্র বরই দিলাম। অনস্তর, নগরবাসী জনপদবাসী সকলেই রাজার বর প্রদানের কথা শুনিল। সকলেই গুনিল, রাজ! স্থীয়পুত্র-

বুদ্ধদেব

দিগকে রাজ্যবহিষ্কত বনবালী করিয়! বিলাসিনীপুক্র জেস্তকে যৌবরাজ্যে অভি- ষিক্ত করিবেন তখন, সমন্ত লোক সংবাদে উত্রুষ্ঠিত হইল। রাজপুত্র- গণের গুণ মহিমা মনে করিয়া! কাতর হইতে লাগিল এবং সকলেই বলিল, কুমারগণের যে গতি, আমাদিগেরও সেই গতি, আমরাও কুমারগণের সঙ্গে নির্বাসিত হইব। রাজ! সুঞ্জাত শুনিলেন, কুমারগণের সঙ্গে অযোধ্যানগরের সকল লোকই বনগমন করিবে শুনিয়া হুঃখিত হইলেন না, বগং হ্ৃষ্টই হই- লেন। তখন তিনি নগরে ঘোষণ করিয়া দিলেন, যে যে কুমারগণের সঙ্গে প্রবাসগমন করিবে, মে সে যাহা যাহ! টাহিৰবে আম তাহাদিগকে তাহা তাহাই শিব। যাহার হস্তীতে প্রয়োজন, তাহাকে হস্তীই দিব। অশ্বের প্রয়োজন থাকলে অশ্ব দিব, রণ চাহিলে রথ দিব, যান চাহিলে যান দিব, শকট চাহিলে শকট দিব, বুষ চাহিলে বুষ দিব, ধন চাহছিলে ধন দ্িব, বস্ত্র চাহিলে বন্ত্র দিব, অলঙ্কার চাহিলে অলঙ্কার দিব, দাঁস দাসী চাহিলে দাস দাসীও দিব। অগ্ রাজপুরুষের! আমার আজ্ঞায় যে যাহ! চাহে তাহাকে তাহাই প্রদান করিবে। অনন্তর রাজ-আজ্তা প্রচারিত হুইলে রাঁজামাত্যগণ ধনাগার মুক্ত করিল এবং ষে যাহা চাহিল, তাহাকে তাহাই প্রদান করিল। এইরূপে সেই রাজকুমারের। সহস্র সহত্র সৈনিক পুরুষ লইয়া ধনরত্রার্দি লইয়া অযোধ্য মহানগরী হইতে নির্বাসিত হইয়া উত্তরাভিমুখে গমন করিল। অনস্তর কাশী- কোশল-দেশের রাজ! তহত্তাস্ত শ্রুত হইয়। রাজপুভ্রদিগকে আপন রাজ্যে আন- যন করাইলেন। কাশীকোশলদেশের * মন্ুষাগণ পুর্ব হইতেই কুমারদিগকে ভাল বাপিত, এক্ষণে তাহারা আরো.ভালবাসিতে লাগিল অত্যন্ন দিন পরেই কাশীকোশলের রাজার ঈর্ষা জন্মিল। তিনি ভাবিলেন, প্রজাগণ কুমারগণের গুণে অধিক মুগ্ধ হইলে আমার প্রাণবিনাশ করিতেও পারে, কুমারদ্িগকে রাজ করিতেও পারে। অতএব, ইহদ্িগকে স্থান দেওয়া আর আমার উচিভ নহে। এই ভাবিয়! কাশীকোশলের রাজাও তাহাদিগকে রাজ্যবহিষ্কত নির্বাসিত কৰিয়া দিলেন। কুমারের! তখন তদ্দেশীয় স্বদেশীয় বহুলেক সঙ্গে লয়! উত্তর.দিকে গমন করিলেন কোথায় গেলেন, কোন্‌ দেশে গিয়া প্রবাস-বাস

স্পেশাল

* অযোধা! রাজ্যের পূর্বভাগ কাশীরাজোর পশ্চিমভাগ পূর্বে “কাশ্ীকোশল” নামে অভিহিত হইত। ভাগকে পূর্বের পূর্বকোশলঞ ঘলিত এবং কাশীরাঞ্যর শাঁসনাথীন থাকায় কাশীকোশল বলিত। |

প্রথম পরিচ্ছেদ

করিলেন, ভাহাও মহাবস্ত অবদান গ্রন্থে লিখিত আছে। * তাহার অনুবাদ এইরূপ

অনুবাদ ।-_হিমালয়-সমীপে, কপিল + নামে এক মহাঁনুভব মহৈশর্য্যশালী মহাজ্ঞানী খধি বাস করিতেন। তাহার আশ্রম স্থানটা অতি বিস্তীর্ণ, রমণীয়, পত্রপুষ্পািসম্পন্ন স্বচ্ছ'সলিলনুক্ত ছিল। এই কপিলাশ্রমের 'এক অংশে এক মহান শাকোট বন ছিল। কুমারের কাশীকোশল রাজ্য অর্থাৎ অযোধ্যা রাজ্যের পুর্ব্বাংশ পরিত্যাগ করিয়। বহুদূর উত্তরে গমন পূর্বক সেই কপিলাশ্রমের অন্তঃসীমাসন্নিবিষট বিস্তীর্ণ শ[কোট বনে গিয়। বাদ করিলেন। তাহার্দের তাদৃশ বনবাস অযোধ্যাদেশে কাশীকোশলদেশে ক্রমে বাণিজ্যব্যব- সায়ী জনগণের দ্বার! প্রচারিত হইল

একদ। সেই প্রর্দেশের বণিক্গণ কাশীকোশল দেশে আগমন করিলে, কাশীকোশল দেশের লোকেরা জিজ্ঞাস করিল তোমর! কোথা হইতে আপিয়াছ? তাহারা বলিল, আমর হিমালয়ের নিকটস্থ শাকোটবন হইতে আসিয়াছি। ক্রমে অযোধাদেশের বণিকেরাও সেই দেশে যাতায়াত আরস্ত করিল। অন্ত লোকে তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করে, ততোমর1 কোথায় যাইবে? তাহারা বলে আমরা হিমালয়ের নিকটস্থ কপিলাশ্রমের সীমান্তঃপ্রদ্দেশের শাকোটবনে ধাইব। এবং ক্রমে, সেই স্থানটা এদেশীয়দিগের পরিচয়গোচর হইয়া পড়িল। কুমারগণ দেই স্থানে বাস করিলেন, ক্রমে তাহাদের বিবাহকর্ম আবশ্যক হইল তাহারা সে দেশের লোকের কন্তাগ্রহণ সে দেপের পাত্রকে কগ্তাদান করিতে ইচ্ছুক হইলেন না। পাছে তাহাদের জাতির্োষ ঘটে, দেই ভয়ে তাহারা আপনাদিগের মধোই বিবাহ প্রঝ। প্রচলিত করিলেন। কিছুকাল পরে শাকেতবাসী রাজ সুজ।- তের মনে হইল, তাহার নির্বাসিত পুক্রগণ এখন €কাথায় এবং কি করিতেছে।

“রাজা স্থজাতে! অমাত্যানাং পৃচ্ছতি। ভে! অমাত্য। কুমার! কহিং আবসম্ভি ।” ইত্যাদি। +

পাপ পপ পপ শম্পা সপ পপ শী পপ

সপ

*. খচিহিংত পরিশিষ্ট দেখুন

+ এই কপিল সাষ্খ্যবস্ত। সগরসম্ত।নগ্ণের দাহকর্ত।! কপিল:হইতে পৃখক্‌ ব্যক্তি। তাহার কারণ এই যে, ইনি গোতমগোত্রীয় বলিল্প। বিশেধিত হইয়াছেন। যথা--

“পিতৃশাপেন কশ্চিদিক্ষকুবংশীয়ে। গ্রোতমবংশজ-কপিলমুনেরাশ্রমে শাকবৃক্ষষনে কৃতবাসাঃ শকা ইত্যভিধাং প্রাপ।

(ভারত) এততিন্, মহাবস্ত অধদীন গ্রন্থেও এইকপিল গোঁভম বংশজ বলিয়। পরিচিত আছেন

[ গ-চিক্ছিত পরিশিষ্ট দেখুন। "

১০ বুদধর্দেব।

অন্থবাদ্দ ।--রাজা সুজাত একদিন অমাত্যদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, অমাত্যগণ! আমার নির্বাসিত পুভ্রগণ এখন কোথায় আছে ? তাহারা বগিল, রাঞজন ! হিমালয়ের নিকট এক স্ুবিস্তীর্ণ শাকোট বন আছে; শুনিয়াছি, কুমারগণ সেই স্থানে বাস করিতেছেন। রাজা পুনর্ব্বার অমাত্যদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, কুমারগণের বিবাহের কি হইতেছে? কোথা হইতে তাহার! দা আনয়ন করিতেছে? অমাত্যগণ প্রত্যুত্তর করিলেন, মহারাজ! শুনিয়!ছি, কুমারের! জাতিনাশ ভয়ে তর্দেশীয়দিগের সহিত মিলিত না হইয়া পরস্পর পরস্পরের ভগিনী ভাগিনেয়ী প্রভাতির সহিত বিবাহ প্রথা প্রচলিত করিয়াছেন।

রাজা সুজাত অমাত্যগণের মুখে কুমারগণের বিবাহ বুত্বাস্ত শুনিয়। সাশ্চর্যা হইলেন। পুরোহিত অন্তান্ত ব্রহ্ষণপঞ্ডিতদিগকে আহ্বান করিয়া জিজ্ঞাস করিলেন, মহাশয়গণ, কুমারের! যাহ! করিয়াছে বা করিতেছে, তাহা! কি তাহাঝ৷ করিতে পারে? পুরোহত পণ্ডিতগণ বলিলেন, মহারাজ ! কুমারের! পারে সেরূপ কারণে তাহারা দোষছ্ষ্য হইতেছে না। রাজা সুজাত পুরোহিত পণ্ডিতগণের শক্য অর্থাৎ পারে, এই কথায় নিতান্ত পরিতুষ্ট হইলেন এবং তাহারা শক্য হইল এই কথ! হইতে সেই অবধি তাহার! শক্যা এবং তৎকালের চলিত ভাষায় “শাকিয়1' এই সমাখ্য! প্রাপ্ত হইল।

হুর্যযবংশীয় ইক্ষ'কুরাঁজার বংশধর সুজাত রাজ! স্বীয় পুক্রদ্িগকে অযোধ্যা প্রদেশ হইতে নি'বাপিত করিয়। দিলে পর তাছার। হিমালয়ের সমীপস্থ শাকো- টবনে গিয়। বাদ করিয়াছিল এবং স্বসব্বন্বীয় দিগের মধ্যে বিবাহ প্রথা প্র চলিত করিয়াছিল। ্রর্ূপ বিবাহ করিতে পারে কি না এই প্রশ্নের প্রত্থান্তরে পুরো- হিতও পণ্ডিত সকলেই শকা অর্থাৎ পারে, এই কথ! বলিয়াছিলেন | ক্রমে নেই কথ। হইতে নির্বাসিত সুজাত পুত্রের। শক্য শক্য শাকিয় এই অভিধায় অভিহিত হুইয়াঁছলেন। অতএব শাক্য-বংশ কোন এক পৃথক বংশ নছে। সর্বববিদিত ইক্ষাকুবংশই প্রোক্ত কারণে শাক্যবংশ নামে প্রথিত হইয়াছে

রাজ। স্থজাত পুরাণ-প্রথিত ইক্ষাকুর বংশধর কিনা তহছিষগ্নে কাহারও সন্দেহ হইতে পারে না। তাহার কারণ এই যে, মহাবস্ত অবদান গ্রন্থে রাজা ন্থজাতের পুর্ববপুরুষগণনায় মান্ধাতা নরপতির উল্লেখ মাছে * সুতরাং ইনি ুর্য্যবংশীয় ইক্ষ/াকু রাঁজার বংশধর ভিন্ন অন্ত কোন পৃথক্‌ বংশজাত নহেন।

সারা

পপ পপ পাপ পপ পাপী

+ ঝীজ্ঞ| মান্ধীতস্য পুত্র রিনি নন্ত প্রনস্তিচায়ে। বুনি বাজ সহন্াণি ইত্যাদি (মহাবন্ত অযদ।ন দেখ )

প্রথম পরিচ্ছেদ ১১

শাব্দিকাচার্্য ভরত, শাক্য-নাম-নির্বাচনপ্রসঙ্গে, পূর্ববপ্রোক্ত ইতিবৃত্তের পরিপোষক একটা বচন উল্লেখ করিয়াছেন, তদনুসারেও শাক্যবংশ ইক্ষণাকু বংশের শাখ| বিশেষ' বলিয়! স্থিরীকৃত হয়। যথা, “শাকবৃক্ষপ্রতিচ্ছন্নং বাঁসং যম্মাৎ প্রচক্রিরে তন্মাদিক্ষ1কুবংগ্1ন্তে ভূবি শীক্য। ইতি শ্রুতাঃ।? অনুসন্ধান পর্যালোচনার দ্বার স্থির হইল যে, ইক্ষাকুবংশীয় স্থজাত রাজার পুত্রপঞ্চক হইতেই শাক্যবংশের উৎপত্তি হইয়াছিল এবং সুজাত রাজার জ্যোষ্ঠ পুত্র “ওপুরই" শাকাবংশের প্রথম বা আদি শাক ওপুরের অধস্তন সপ্তম পুরুষ পরে মহা শাক্যসিংহ পৃথিবীতে উৎপন্ন হইয়াছিলেন। ভিন্দুদিগের বিষ্ুপুরণ অনুসন্ধান করিলেও ইক্ষাকুবংশমধ্যে শাঁক্যবংশের মূলপুরুষ সুজাত রাজাকে দেখিতে পাওয়। যায়। বিষ্ুপুরাণের মতে রাজা গুজাত বা সঙ্জাত ইঙ্ষ্যাকুবংণায় বৃহদ্বল রাজার অধস্তন দ্বাবিংশ পুরুষ এবং রামপুত্র কুশের বংশধর | যথ!,---

রাম। | |

রি | রঃ 1

অতিথি গা | নিষধ। | পু 1 1 টি | উতর | পীর | বজ্জনাভ। গন 1 শঙ্খনাভ। মী | গা | বিশ্বসহ রী | পা |

উর

পপ পিস

পূর্ব্বে ইক্ষাকুবংশীয় দশরথ রাজা স্ত্রীর প্রার্থন।য় পুত্রদ্দিগকে বনবাপী করিয়াছিলেন, কলিতেও আবার সুজাত রাঁজ। তাহাই করিলেন। বামনির্ববাদনের সহিত ইহার লাদৃপ্ত থাক! মন্দ বিস্ময়-জনক নহে।

৫৪

১২ বৃদ্ধদেব।

| ঞ্রুবস্ন্ধি

রি | অগ্নিবণ

শীঘ। ) মরু

| প্রশুশ্রুত।

| | রর | ন্‌

বৃদ্ধল

এই রামবংশীয় বৃহদ্বল রাজা ভারতযুদ্ধে অভিমন্ার বাণে গ্রাণত্যাগ করেন। তংকালে ইহার বুছতকর্ণ নামে এক শিশু পুত্র ছিল, সেই শিশু পুত্রই তৎকা€প রাজ্যাধিকার বংশ উভয়ের পরিরক্ষক হইয়।ছিল। আমাদের বিষুপুরাণে এন

বৃশদ্বলের বংশও গণিত হইয়াছে যথা, বুহদ্বল। না | তর | বৎস। ননী | চিনি | দিবাকর সহদেব। বৃহদশ্ব। তুর

বি 1

মরুদেব। রন ডি | অশ্রীক্ষ। সু রনির | বৃহজরাজ রা কয় বণকয়!

] সঞ্জাত বা সশজাত।*

শকা

* দেশভেদে উচ্চারণের ভেদ বর্ণলিপির আঁকারভেদ খাঁকায় এবং নাঁগরী অক্ষর দেখিয়! বাঙ্গাল। অক্ষর লেখার ব্যতিক্রম ঘটনা হওয়ায় দেশের কোন কোন পুস্তকে সথজাত, কোন পুস্তকে সঞ্জাত এবং কোন কোন পুত্তকে সপ্তায় এইরূপ পাঠ দৃষ্ট হইলেও সুজাত সঙ্জাত

সগ্তয় একই ব্যক্তি বলিয়৷ অনুমোদন করিবার বাধ! হয় ন।

প্রথম পরিচ্ছেদ ১৩

বিষুপুরাণোক্ত এই বংশাবপীর মধ্যে সঞ্জাতের পরেই “শাক্য” নাম থাকার অবস্তই আমর! বুদ্ধদেবের আদপুরব সুজাতকে সঞ্জয় নঞ্জাত বলিয়া! গ্রহণ করতে পারি এ৭ং পূর্ব্বোক্ত বৌদ্ধ ইতিহানকে অন্রান্ত বপিয় শ্বীকার করিতে পারি। বুদ্ধদেব ক্ষত্রিয়কুলে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, ইহা! ব্যক্তি মাত্রেই জানেন। তিনি ষে সুর্ধ্যবংশীয় ইক্ষণাকু-কুলে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহ! নকলে বিদিত ন। থাকিতে পারেন; একারণ আমর! বহু অন্থসন্ধান দ্বার! তাহার আদ্িবংশ নির্ণয় ক'রলাম।

কপিলবস্ত নগর তাহার ইতিবৃত্ত

মজাত রাজার নির্বাসিত পুত্রের বহুলোক সমভিব্যাহারে হিমালয়ের উৎ- সঙ্গপ্রদেশে কপিল নামক খর আশ্রমনিকটস্থ শাকোট বনে বাস করিলে, ক্রমে তথায় অন্তান্ত লোক গতিবিধি আরম্ভ করিল, নানাদেশীয় বণিক্‌ তথায় গৃতিবিধি করিতে লাগিল। তখন তাহ'দের ইচ্ছা হইল, আমরা এই স্থানেই থাকিব, অন্য কোথাও যাইব না। এখানে যখন বহুলোকের গমনা- গমন আরস্ত হইয়াছে, তখন এই স্থানেই আমাদের নগর-নিন্নাণ করা সহজ হঙ্ণে ) কিন্তু কপিল খধির অনুজ্ঞ। ব্যতীত আমরা আমাদের ঈপ্সিত কার্ধ্য নিব্ধাহু করিতে পারিব না। খষি যদ আমাদিগকে এই স্থানে নগর নির্মাণ করিতে দেন, তাহা হুইপেই আমরা নগরনিন্মাণ নির্বাহ করিতে পারিব, অন্যথা পারিব না। কুমারগণ এইরূপ মন্ত্রণার পর খধির নিকট আপনাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলে, খধি তাহাতে অনুমোদ্দন করিলেন। অনস্তর তাহার! সেই শাকোট বন কর্তন করিয়া! অতি উত্তম এক নগর প্রস্তুত করিলেন কপিল নিজ আশ্রমে কুমারগণকে বাসস্থান নিম্মাণ করিতে দিয়াছিলেন, তৎ- কারণে সেই নবপ্রস্তত নগরের “কপিলবস্ত” নাম প্রচারিত হইয়াছিল। এই ৃন্তান্তটী বৌদ্ধদ্িগের মহাবস্ত অবদান নামক প্রাচীন পুস্তকে £তেষাং দানি কুমারাণাং এতদভবৎ। ইত্যাদিক্রমে বণিত হহয়াছে।

সেই অংশের অন্ুবা যথা -_-কিছু দিন পরে কুমারেরা মনে করিলেন, আমর! এই শাঁকোটবনে নিবাঁপ রচন। করিব। বহু মনুষ্য এখানে আগমন করিতেছে ; এজন্য নিশ্চিত আমরা এই স্থানে নগর প্রস্তত করিতে পারিব। পরে কুমারের কপিল খধির *'নিকট গমন করিলেন। তাহার খষির

3১৪ বুদ্ধৰেব।

পদবন্দধন। করতঃ কহিলেন, বদ্দি ভগবান কপিল অনুমতি দেন, তাহ! হইলে আমরা এই স্থানে খষির নামে কপিল-বস্ত নামে) নগর নির্মাণ করি। খধষি বলিলেন, ষদ্দি আমার এই আশ্রম তোমরা নগর রাজধানী কর, তাহা হইলে আমি অনুমতি দ্িই। কুমাঁরগণ খধিকে বলিলেন, যাহা খাঁষর অভিপ্রায়--তাহাই করিব। এই আশ্রম রাজধানী করিব, নগর প্রস্তুত করিব। খধষি তখন কমগুলু হইতে জলগ্রহণ করিয়া রাজপুত্রদ্দিগের বাসের জন্ত আপ- নার সেই আশ্রম রাজপুরদিগকে দান করিলেন। কুমারেরাও ক্রমে সেই স্থানে রাঁজধানী নগর প্রস্তৃত করিলেন। কপিল খষি রাজপুত্রর্দিগকে বসতি করিতে দিলেন, তৎকারণে সেই প্রস্তত-নগর কপিলবস্ত নামে খ্যাত হইল। এইরূপে কপিলবস্ত নগর স্থাপিত হইলে, ক্রমে তাহা সমৃদ্ধ হঈল, বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, সখের স্থান হইল, স্ুুভিক্ষ হইল, জনাকীর্ণ হইল, ধনীর বাসস্থান হইল, অনেক পরিবার-যুক্ত হইল, দেঁশবিদেশে বিখ্যাত হইল, উৎসবযুক্ত হইল, সমাজবন্ধ হইল, একটী প্রধান বাণিজ্যস্থান বণিকিগের প্রিয়স্থান হইয়া উঠিল।

কপিল খধির নামে কপিলবস্ত নগর রাজধানী প্রস্বত হইলে তথায় পূর্ববোজ্জ রাঁজপুত্রগণের সর্বজ্যেষ্ঠ “ওপুর” 'অভিষিক্ত-রাজ! হইলেন

“ওপুরস্য রাজ্জে। পুত্রো নিপুরে। নিপুরস্য রাক্ঞোপুত্রো। ক্রকণ্ডো করকগুস্য রাজ্ঞোপুে। উক্কা মুখে! উক্ষামুখস্য পুত্রো হস্তি শীর্ষে! হস্তিকশীর্বকস্য পুত্রো সিংহহনুঃ সিংহহনুস্য রাজ্জে। চত্বারি পুক্রাঃ-_শুদ্ধোদনে। ধোতোদনে শুক্লোদনে! অমুতোদনো! অমিত। নাম দারিক11”

রাঞ্জা ওপুরের পুত্র নিপুর, নিপুরের পুত্র করকগুক, করকণ্ডকের পুত্র উক্কামুখ, উন্ধা ঘুখের পুন্র হন্তিকশীর্ষ, হস্তিকশীর্ষের পুত্র রাজা সিংহ্ভ্ন্ব এই সিংহহনুর চারি পুত্র হইয়াছিল এবং এক কন্তাও হইয়াছিল। পুত্রগণের নাম শুদ্ধোদিন, ধোৌঁতোদন, শুরলোদন, অমুতৌদন এবং কন্তার নাম অমিতা। শুদ্ধোদন সর্বজ্যেষ্ঠ বলিয়া সিংহহন্ধুর পরলোকের পর পৈতৃক সিংহাসন প্রাপ্ত হন। এই শুদ্ধোদন রাজার ওরসে কোলিক্স বংশীয় ভার্যয মায়াদেবীর গর্ভে ভগবান্‌ বুদ্ধদেব জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। ইক্ষকুবংশীয় “্নুজাত” রাজার জ্যেষ্ঠ পুত্র *ওপুর” স্বিখ্যাত শাক্বংশের মুলপুরুষ। এই মৃলপুরুষের অধস্তন ষষ্ঠ পুরুষ অতীত হইলে - মহাত্মা ,শাক্য মুনির

উদয় হইয়াছিল। তাহার বংশান্ুত্রমণী এইরূপে প্রদশ্লিত লিখিত হইতে পাবে।

প্রথম পরিচ্ছেদ ১৫

নি | ওপুর।

| নিপুর

|

করকণক। | উন্কামুখ। হুস্তিকশীর্ষ।

সিংহ তনু | | শুন্ধোদন, পৌতোদন। শুক্লোদন। অমৃত্যৌদন

| বুদ্ধদেব বা আনন্দ।

পিদ্ধার্থ।

রাতুল বা রাহুল রাতুল নাম সত্য হইলে বিষ্পুরাণের সভিত একা হয়। ফল, অক্ষর-ব্তিক্রম উভয় গ্রন্থে হইতে পারে।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

শক্যমিংহের মাতামহকুলের ইতিহ।স- শাক্যপিংহের জন্ম _বালা-জীশন -. মন্তি, অঙ্গগঠন লিপিশিক্ষা।

শাক্াসিংহের মাতামহকুলের ইতিহাস নিঃস্ত অদ্ভিত। বাজ শুদ্ধোদন যে কুলে বিবাহ করেন, সে কুল লা দে বংশ শাক্য হইলে তাহার পাণিগুগাতী ভার্1 “কো।লিয়” ণশের ধৌঁহত্রী ছিলেন। এই কোলিক কুল বাঁ কোলিয় বংশ শাক্য বংশের এক কগ1 ভ্ইতে উৎপন্ন হইয়াছিল। এক পারিতাক্ত শাক্য কন্যার গর্ভে কোল/-নামক জনৈক খষির গুরসে এই বংশের মুল পুরুষ উৎপন্ন হইয়াছিল, উহা আমরা মহাবস্ত অবদান গ্রন্থে দেখিতে পাইতেছি। কোলিয় বংশ উৎপত্তির ইতিবৃত্ত এইবপ $--

স্থজাত রাজার পৃত্রেরা ভতৎসহাগত অন্তান্ি ক্ষত্রিয়ের শাক্য আখা প্রাপ্ত ভইলে, ক্রমে তাহাদের বংশ বিস্তার হইল করকণ্ক শাকোর রাঙ্গয কাছে কোন এক শাকাকন্ঞার গলব্কুষ্টবাপ্রি হইয়াছিল বৈদ্ভেরা 'অনেক চেষ্ট| করিল, কিছুতেই '্তাহার বাধিশপ্জি হইল না। ক্রমে কন্তাটীব অঙ্গ- প্রতাঙ্গ সমস্তই একব্রণ হইয়া মেল, কোনিও স্থান মক্ষত থাকিশল না। ভভ- ভাগিনী কন।1 গলৎকুষ্ঠিনী হইয়া গ্রহ্যেক লোকের দ্বণার্া হইলেন। তাহার ভ্রাতিগণ তাহাকে পর্বতে পরিহাগ করা বি বোধ করিলেন। অনন্তর তাছার ভ্রাতগণ তাহাকে এক শকটে আরোভণ করাইয়া মালয় নমীপে লয় গেল হিমালয়ের ক্রোড় পর্বতের একটা গুহার মধো তাহাকে প্রবেশ করাইয়া, তন্মধ্যে প্রভৃত খানা, বহুতর ক্ষ্য, প্রচুর পানীয়, কতকগুলি কম্বল অন্যবিপ শযা! প্রদান করিয়! গুহার মুখ কাষ্ঠরাশির দ্বারা প্রচ্ছন্ন করতঃ বালুকারাশির ছারা তাহার ছিদ্রভাগ রুদ্ধ করিয়া দয়! কপলবস্ত নগরে ফিন্িয়া আসিল

“তশ্ত। দানি দারিক।য়ে তহিং গুহাধে বসস্তীয়ে তেন নিবাতেন সংরোধেন তম্য! গুহায়ে উদ্মেন সর্ববঞ্চ কুষ্ঠবা(ধিং বিক্রুতং শরীরং চৌক্ষং নিব্রণং সংবৃত্বং উত্তমরূপং সঞ্জাতং নাপি জ্ঞায়তে মানুযিক? এষা |”

মৃতকল্পা! শাক্যছুহিতা। কয়েক [দণস সেই গুহামধ্যে বাস করিয়!, বায়ুহীন শ্বানে বাসের দ্বারা অথবা তাঁদুশ নিরোধেষ দ্বারা কিংবা সেই গুহার উদ্মার

দিতীয় পরিচ্ছেদ! ১৭

দার। "তাহার একপ নৃতন শরীর এরূপ মনোহর বপ হইল যে, দেখিলে তাহাকে আর মান্ুষী ব'লয়। বিবে১না হয় নাঁ।+

একদ1| এক ব্যাত যদৃচ্ছাক্রমে সেই স্থানে আপিলে, অতুাত্তম মন্তুষ্য-গম্ধ তাভাকে ব্যাকুলিত কিল কথিত আছে পশুর গদ্ধ দারা জানিতে পারে। ব্যা্র আজ মন্ুষ্যগদ্ধ পাইন] গুহামধো মানুব আছে, ইহ! অন্ূমান করিল মলুষ্য- লোলুপ ব্যা গুহার মুখস্থিঠ পাংশুরাশি পদের দ্বারা আকর্ষণ করিতে প্রবৃত্ত হইল। ক্রমে সমস্ত বালুক! পদের দারা প্রক্ষিপ্ত করিল! এই স্থানের অনতি- দুরে “কোল”, নামে জনৈক বাঁজধি বাঁস করিতেন খধি ফল-আহরণার্থে সেই স্থানে আসিয়া দেখেন, এক ব্যান্ব গুহামুখস্থ পাতশু বাঁশি অপকর্ষণ করিতেছে তুর্শনে খ'ষর কৌতুহণ জন্মিল। [তুনি ক্রমে তাহার নিকটগামী হলেন পির প্রভাবে ব্যাস পলায়ন কপিপে, খষপেই গুহাারে গিয়া দেখেন, গুহাদ্বারে বালুকারা(শ বাঘ্ব কর্তৃক উৎসারিত হুইম।ছে, কিন্তু তাহ কতক গুলি কাষ্টের দ্বারা আবৃত আছে। তদ্দশনে খাষ আরও কুতুহণী হইলেন। কৌতুকাবিষ্ট খষি গুহাদ্রারস্থ কাষ্টগুলি একে একে উৎসারিত করিলেন। দেখিলেন, তন্মধ্যে যেন এক দেবনন্তা উপ1৭৮1 আছে। খাঁধ জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কে? কন্ত। প্রত্যুন্তর করিল, অমি কপিপপস্ত নগণেগ অমুক শাকোর কন্তা ; আমার গলৎ- কুষ্ঠ রোগ হই-বাছিল, তংকারণে আমার প্রতি মামার ভ্রাতগণের দ্বণ। হওয়ায় আমাকে এইস্থানে জীবিতাবস্থায় খিসজ্ঞন দিয়া গিরাছল। কয়েকদিন মধ্যে আমার সে রোগ সারিরা গিয়াছে; এক্ষণে আপনার অন্ধগ্রহে আম আজ মঞ্ুষ্য মুখ বেখয়| টির বোপ করিলাম

ধা পপ পপসসিপ পপ পাপীপিপদিটাগ পশপীিশিশীশিপি পাপ শত শা শশী পিপিপশিশাপ শশী ৮৮টি তি শীপপষ্পীপিপীিপশ শিপসজপপাপীপাসাপাপ শাপলা লন শপ কিনি

* মূলত(ন:দেশে এক চি আছে সে কুষ্ট বা।ধির চিককিৎ। কিয় থাকে শুন। বায়, অনেক লে।ক তাহার চিকিৎদাঁয় আবোগ্যলাভ করিয়াছে আমার জনৈক বন্ধু তাহার পরিচিত এক বাক্তিকে ফকিরের চিকিতৎসাঁষধ অরোগী হইতে প্রত্যক্ষ কবির়াছেন। ফকিরের চিকিৎসা প্রণালী এইরূপ 2.-

ফকির প্রথমে রোগীর গান্রে একপ্রকার ভশ্ম মাখাইয়। দেয় ততৎপরে রোগীর গাত্র এক কথখনে। বা দুই থণ্ড কম্বলের দ্বার আচাপিভ কে অনন্তর তাঁহাকে এক পর্বত মধ্যে শে়াইয়া দেয়। রোগীর গাঁ হতে অধিক গরিমাণে দঞ্জ নির্শত হইলে রোগী যখন অসহা যাতনা অঞ্ভব করে, তখন শ্রাহীকে বাহিরে সামিয়া গাছের কম্বল খুলিয়া দেয়। তৎপরে তাহার আহারের ব্যবস্থা করে ৩1৪ দিন বাবস্থামত আহার কবাইয়া বাটা যাইতে খলে।

এই চিকিৎসা-প্রণালীর সিত উপরি উক্ত মাখ্যাফিকার সম্পূর্ণ মিল আছে ফকির বোধ হয়, আখারিকাটী জাঁনিতেন, তাই তিনি উত্ত প্রকৰ অনুমান চিকিৎ্না করিয়া থাকেন কোন কোন নৈদ্যক গ্রঞ্থেও উক্ত প্রকার টিকিত্নার বাবস্থা থাকা দৃষ্ট হয়। আমাদের বিবেচন। হয়, 'ণ প্রকার বানস্থা অবলম্বন কারখ; 15শিৎপিত হইতে পারিলে এখনও ঝুষ্টগ্রস্ত

লোক কুষঠরোগ হইতে পরিমুক্ত হইতে পরেন

১৮ বুদ্ধদেব

রাজধি কোল সেই কন্তার রূপে মুগ্ধ হইলেন। ক্রমে তাহার ধ্যান, জ্ঞান, সমন্তই অন্তহিত হইল। তিনি সেই শাক্যকন্ত! লইয়া আশ্রমে গাহস্থ্য করিতে লাগিলেন।

ক্রমে সেই শাক্যহুহিতাঁর গর্ভে কোল খধষির ওুরসে ষম্জক্রমে ১৬ সন্তান জন্মিল। খাবি-পুত্রের! যখন পদ্সঞ্চারযোগ্য বয়োলাভ করিল; তখন তাহাদের মাতা তাহাদিগকে কপিলবস্ত নগরে যাইবার জন্ত অনুরোধ করিল। ৭পুত্রগণ কপিলবস্ত নগরের অমুক শাকা আমার পিতা, তোমাদের মাতামহ, অমুক তোমাদের মাতুল এবং আমার ভ্রাতা এক্ষণে তোমরা সেই স্থানে তীহাদের নিকট যাও-অবশ্তই তাহারা তোমাদের বৃত্তি বিধান করিবেন। তোমার মাতামহ বংশ মহদ্ংশ ; অবস্ঠই তাহারা তোমাদিগকে গ্রহণ করিবেন

শাক্যকন্তা এরূপ বলিষ! পুত্রদিগকে শাক্যবংশের আচার, ব্যবহার, বীতি, নীতি, ধর্ম, সমস্তই বলিয়। দিলেন। তাহারা মাতৃকুলের আচার ব্যবহার শিক্ষা করিয়া কপিলবস্ত নগরে গমন করিল। খধষিকুমার আগমন করিতে দেখিয়। পথিমধ্যে জনসম্বাধ উপস্থিত হইল। খঁষবালকের! ক্রমে শাক্যপ্দিগের মহাসভায় গমন করল। মাতার নিকট ধেরূপ যেরূপ শিক্ষা করিয়াছিল, সেইরূপ সেইবূপ নিয়মে শাক্য-সভায় প্রবেশ করিল আত্মপরিচয় প্রদান করিল শাক্যগণ খষিকুমা গণের শাকাচার দেখিয়। বিশ্মিত হইয়া, জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমর! কোথা হইতে আমিতেছ, এবং কাহার বংশধর? তাহার৷ প্রত্যুত্তর করিল, আমর! কোলাশ্রম হইতে আসিতে ছি। আন্াদের মাতা অমুক শাকের কন্তা, আমাদের পিতা কোল খধষি। আমাদের মাতার কুষ্ঠ ব্যাধি হইলে অমুক শাক্য তাহাকে গ্রিরিগহ্বরে পরিত্যাগ করেন, অনন্তর তিনি অবরোগিনী হইলে রাঁজধি কোল তাহাকে বিবাহ করেন। আমর! তাহার পুত্র, সম্প্রতি আমর! আমাদের মাতামহকে মাতুলদিগকে দেখিতে আপিয়াছি।

উক্ত বালকবুন্দের মাতাঁমহ এপর্যস্ত জীবিত ছিলেন এবং তিনি তাহার পুত্রপৌন্রগণ সেই মহাসভায় উপস্থিত ছিলেন। কথিত বৃণ্তাস্ত শুনিয়া তাহারা সকলেই বিম্মিত আনন্দিত হইলেন। আনন্দের বিশেষ কারণ 'এই যে, রাজধি “কোলকে” তাহার! জানিতেন। রাজধি কোল বারাণসীর রাঞ্জ! ছিলেন তিনি জোষ্টপুত্রের প্রতি রাজ্যভার অর্পণ করিয়া হিমালয়ে তপস্তার্থ গমন করিয়া ছিলেন তাহাকর্তৃক শাক্যকন্তা পরিগৃহীত হইক্জাছে এবং তাহারই গওরসে দেঁহিত্র উৎপন্ন হইয়াছে, ইহা! অবশ্তই আনন্দের বিষয়।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ১৯

শাকাগণ তখন গ্রীত হইয়া সেই দৌহিত্র ভাগিনেয়দ্রিগকে গ্রহণ করিলেন এবং যথোচিত বৃত্তি প্রদান করিলেন যে বালকের যে নাম সেই বালককে মেই নামে এক একখানি ক্ষুদ্র গ্রাম কিছু কিছু কৃষিযে।গ্য ভূমি প্রদান করিলেন. যাহার নাম করভদ্র' তাহাকে “করভদ্রনিগম” এই নামে গ্রাম দেওয়। হহল। এরূপ কারণে, প্রদত্ত সকল গ্রামই তাহাদেন স্ব স্ব নামে প্রসিদ্ধ হইল এবং তাহারা কোল খষি হইতে জন্মগ্রহণ করিয়াছে বলিয়া “কোলিয়» নামে খ্যাত হইল |

এইরূপে শাক্যকন্তা হইতে কোলিয় বংশ উৎপন্ন হইয়াছিল। স্থভুতি নামক জনৈক শক এই ০কোলিয় বংশের এক স্থন্দরী কন্ট।র পাণিগ্রহণ করেন। তদগর্ভে মায়াদেবীর জন্ম হয়।

কপিলবস্ত নগরের অদূরে “দেবড়ছে।”' নামক গ্রামে স্থভৃতিশাক্য বাদ করিতেন। গ্ভৃতি এই গ্রামের অধিপতি শাস্তা। ইনি পুর্বোক্ত করভদ্র গ্রামের কোলিয় কুলের যে কন্ঠ(র প1ণিগ্রহণ করেন, স্ুুভ়ৃতি সেই কোল কণ্তার গর্ভে সাত কন্ত। উৎপাদন করিয়ািলেন। তাহার পুত্র হইয়াছিল কি ন1, তাহ! জান| যায় না। কন্াগুলির নাম যথাকত্রদে বণিত হইতেছে মায়।, মহানায়!, অতিমায়া, অনন্তমায়!, চুপীয়া, কোলাসোব! মহাপ্রজাবতী।

রাজ! সংহ্হনু পরলোক গমন করিলে পর, তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র শুদ্ধোদন রাজ্যাধিকার প্রাণ হইয়া উপরি. উক্ত স্থভূতি শাকের প্রথমা কন্ঠ ময়, এবং তাহার কনষ্ঠা কন্ঠ। মহ! প্রঞাব ভী, এই ছুই কন্তার পাণিগ্রহপণ করেন। তাহার ভ্রাতৃগন মহামায়া, অুমায়!, অনন্তমায়া, চুলায়া €কোলাসোবা, ইহাদগকে বিখাহ করিয়াছিলেন এই |ববাহের দ্বাদশ বর্ষ পরে মহারাজ শুদ্ধোঘনের রসে মায়াদেবীর গভে ভগবান্‌ শাক্পিংহের জন্ম হইয়।ছিল | *

শ।ক্যসিংহের জন্ম বাল্াযজীবন। শ।কাসিংহ পৌষ মাসের পুষ্যান ক্ষত্রযুক্ত1 পৃর্ণমা। তিথিতে লুংক্ধনীবনে জন্ম-

গ্রহণ করিয়াছিলেন ; হহ! আমরা বৌদ্ধদিগের ললিতবস্তর মহাবস্ত অবদান এই ছই গ্রন্থের দ্বারা জানিতে পারি

« এই ইতিহাদ বৌদ্ধদিগের অবদান গ্রস্থে লিখিত আছে। ৌদ্ধদিগের গাথ| ভাষ। ছুবেবধ্য ককশ; এজন্য ইহার মূল শ্লেরক গুলি উদ্ধত করিলাম না। মুদ্রিত পুস্তকে “মহ! প্রজাপতি” শব্ধ আছে; কিন্তু অন্য পুস্তকে *প্রজ(বতী” পাঠ আছে।

1 “অথ খলু মায়াপেবা লুম্ধি নী বনমনু প্রবিহ্ঠ” ইত্যাদ ইত্যাদিঃ ল'লতবিস্তরের ৭ম অধ্যায় দেখ এবং মহাবস্ত অবদানের দীপঙ্গর ঘস্ত €দগ।

৫৫

বুদ্ধদেব

লুদ্বিনীবন রাজ! শুদ্ধোদনের উদ্ভান, (বাগান বাটী)। ইহা কপিলবস্ত নগ- বের প্রান্তঘীমায় অবান্থত ছিল। রাজী মহাদেখী গর্ভের দশম মাস আবরলে আপন ইচ্ছায় এই উদ্ভানে আপিয়। বাল করিয়াছিলেন, এবং এই স্থানেই ভগব!ন্‌ শ/ক্য সিংহকে প্রসব করেন। ললিতবিস্তরগ্রন্থে লিখিত আছে,--

“পরিপূর্ণানাং দশান।ং মাসানামতায়েন মাতুর্দক্ষিণপার্ান্িক্ষমতিদ্য তশ্ত স্থৃতঃ সম্প্রজানন্‌ সনুপলিপ্তো গর্ভমলৈর্ষথ। নান্থঃ কশ্চিদুচ্যতে অন্যেষাং গর্ভ মল ইতি ।”

সেই বুদ্ধদেব পুর্ণ দশ মাস জঠরবাস সমাপ্ত করিয়া জননীর দক্ষিণ কু হইতে নিজ্্রান্ত হইলেন মন্ত বালক যেমন গর্ভমলে অনুলিপ্ত হইয়! গ্রাস্থত হধ, ইনি সেরূপ গর্ভমলে লিপ্ত হন নাই। অন্ত বালক যেমন অজ্ঞান অবস্থা লইয়! ভূমিষ্ঠ হয়, ইনি সেরূপ অজ্ঞানাবস্থ। লইয়া প্রস্থত হন নাই। জন্মকালেও ইহার স্থতি প্রজ্ঞা বিদ্যমান ছিল। তাই ইনি লোকগতি ম্মরণ করিতে করতে ভূমিষ্ঠ হইয়াছিলেন।

এতগ্তিন্ন আরও অনেক অলৌকিক বর্ণনা আছে। যে সকল কথা এক্ষণে তৃপ্তিকর নহে। ইন্দ্র ব্রহ্ম! প্রভৃতি দেবগণ আসিয়া! তাহার পরিচর্য) করিয়া, ছিলেনঃ অগ্চারা দেবীগণ আপিয়। তাহার ধাত্রীর কার্য করিয়াছিলেন, নাগগণ আসিয়! তাহার স্গানকার্যা সমাধা! করিয়াছিলেন এবং জাত-মাত্রেই তিনি দিব চক্ষু- দ্বারা ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান লৌকচরিত বিজ্ঞাত হইয়াছিলেন। এতত্িন্ন, (তিনি নাকি ভূমিষ্ঠ হইয়াই কুশলমুল জানিয়াছিলেন। পূর্বদিকে সপ্তুপদঃ দাক্ষণ পিকে সপ্তপদ* পশ্চিমদিকে সপ্তপদ উত্তরদিকে সপ্তপদ্দ পরিচালন করিয়াছলেন * এবং আনন্দকে অনেক ধর্মরহস্ত লে।করহস্ত জ্ঞানর্হ্স্ত উপদেশ করিয়া- ছিলেন; ইত্যাদ ইত্যার্দি। 7

লুম্বিনীবনে কথিত প্রকার আশ্চর্য শিশু ভূমিষ্ঠ হইলে রাজা শুদ্ধোদনের নিকট

* পূর্বদিকে পদসঞ্াালনের উদ্দেপ্ত, আমি প্রািমাত্রের কুশলমূল, ধর্মের পুর্ববগামী (শেঠ পথপ্রনর্শক )। দক্ষিণটদিকে পদবিস্তাসের দ্বার তিনি জানাইয়াছিলেন, অ।মিই দেব মনুষ্ের দক্ষিণী অর্থাৎ প্রি পশ্চিমদিকে পদক্ষেপ করিয়া জানাইয়(ছিলেন, আমিই মনুষোর পশ্চিম জ।তীয় অর্থাৎ জরামরণুখের অন্তকণ্ত। এবং উত্তরদিকে পদক্ষেপ করিয়া জানা ইয়ছিলেন, আমি জীবের জীবন, সত্ত্বের শ্রেষ্ঠ জোন্ত ইত্যাদি

+ লিখিত আছে, যে দিন বুদ্ধদেব পৃথ্বিবীতে অবতীর্ণ হন। সেই দিনে নাকি মধ্যগয়াপ্রদেশে একটি আশ্চর্ধ্য অশ্বথবৃক্ষ অন্কুরিত হইয়াছিল। যে অশ্বথের মূল দেশে উপবিষ্ট হইয়া! তিনি কেবধ্লী জ্ঞানলাভ করিয়াছিলেন, সেই অন্থথ তাহার জন্মদিবচে বুদ্ধগয়া। প্রদেশে উৎপন্ন হইয়াছিল যথাকাজে সেই অঙ্গথ বৃক্ষ বোধিদ্রম নামে খ্যাত হইয়াছিল এরং ভাভিও তাহার বংশধর বৃক্ষ বিদ্যমান আছে।

'দ্বতীয় পরিচ্ছেদ।

সংবাদ গেল। তৎশ্রবণে রাঙ্গ! শুদ্ধো্ন যারপর নাই হষ্ট তুষ্ট হইলেন। দান- (ক্রয়। সমারন্ধ হইল $ লোক সকল হ্ৃষ্ট তুষ্ট প্রফুল্ল হইয়! বিঃবধ আনন্দ উৎসবে নিমগ্ন হইল কুমারের পরিচর্্যার্থ রক্ষণ।বেক্ষণার্থ শত শত দাস দাসী রাক্ষপুরুষ দেই লুদ্বিনীবনে প্রোরত হইল। রাজ। শুদ্ধোদন এখন আনন্দমগ্ন- চত্তে ভাবিতেছেন,-

“কিমহং কুমারন্য নামধেয়ং করিষ্য।মি ?” কুমারের কি নাম রাখিব? কিয়ৎক্ষণ পরেই তাহ।র মনে হইল,--

“অস্ত হি জাতমাত্রেণ মম সর্ববাথসমুদ্ধাঃ সংসিদ্ধাত। অতোঁহহমন্ত “সর্ববার্থসিদ্ধ'” ইতি নাম কুষ্যাম্‌ ॥"*

যে ক্ষণে আমর এই কুমার জান্ময়াছে, আম দেখতেছি, সেই ক্ষণেই আমার সক্চল অভীষ্ট, সকল কামন!, সকল প্রয়োজন সকল উদ্দেশ্য মাসন্ধ হইয়াছে অতএব, কুমারের পসব্বার্থপিদ্ধ” এই নাম রাখিব

অনন্তর রাজ! শুদ্ধোদন মহাসমারোহে কুমারের নামকরণ নির্বাহ কবিলেন। “সর্ব[র্থসিদ্ধ'* এই নাম রাখ! হইল। আজ হইতে শাক্যগণ কুমারকে প্পর্বার্থপিদ্ধ” নামে ড[করা আনন্দ অনুভব করিতে লাগিল।

বুদ্ধবেবের জন্মগ্রহণের সাত দিবস পরে তাহার জননীর মৃত্যু হুয়। সাতদিন নগরে বনে কোথাও অনুৎ্সব ছিল না। মায়ানেবার মুঠ সম্বন্ধে বৌঁদ্ধগণের মধ্যে এইরূপ তর্ক বিতর্ক প্রবন্ধ থ[কা দুষ্ট হয়।

“সপ্তরাত্রজাতদ্য বোধিসন্বম্য মাত। মায়াদেবী কালমকরোৎ। স। কালগত। ত্রয়গ্্রিংশদ্দেবেষু- পপন্ন। স্ত/ত। অথ খনু পুনরিক্ষুবে। বুকাকমেবং বোধিদন্বাপরাধেন মায়াদেবী কালগতেতি খল্লেয়ং দ্রষ্টব্যষ। তৎ কম্মাদ্ধেতোঃ ? এতৎ পরষ্ং হি তস্তাযুঃপ্রমণমভুৎ। অতীতান।মপি বোধিদস্ব।নাং সপ্তরাত্রজাতানাং জনয়িত্র্যঃ কালমকুর্ববন্‌। তৎ কল্মাদ্ধেতোঃ? বিবৃদ্ধন্ত হি বোধি- নন্বপ্ত পরিপূর্ণেন্দরিয়স্তাভিনি্ক।মতোমাতৃহদয়মস্ফ,টৎ।”

বোধিসত্বের জন্ম দিবস হইতে সপ্তম দিবলে তাহার মতা মায়াদেবী কালগত। হইয়ছলেন। সেই কালগতা মায়াদেবী মানব দেহ পরিত্যাগ করিয়া দ্েখলোকে গমন করিয়।ছিলেন। হে ভিক্ষুগণ! তোমরা মনে করিতে পার যে, বো।ধপত্তের অপরাধে তাহ।র জননী মায়াদেবীর মৃত্যু হইয়াছিল, (€ প্রসবের দোষেই মৃত্যু হই- য়াছিল,) এরূপ মনে করিও লা। কেন-নাঃ মায়াদেবীর এরূপ আফুঃগরমাণ

2২ বুদ্ধদেব

অবধাপিত ছিল। কেবল মায়াদেবীর নহে, পূর্বপূর্ব্ব বুক্গগণের জননীরা গ্রপবের পর সপ্তম দিবসে প্রাণত্যাগ কয়া স্বর্গ গামিনী হইয়াছিলেন। তাহাদের মৃত্যুর উপলক্ষ্য বা কারণ এই যে, বোধিসত্বগণ পূর্ণ-ইন্দ্রিয় না হইয়া, পূর্ণজ্ঞান না হইয়া ভূমিষ্ট হন ন1। তাহার! পুর্ণোন্্রয় পূর্ণাবয়ব হইয়াই নির্গত হন, তাই তীহাদে: জননী দিগের হৃদয় স্ফ.টিত হয়, তৎক।রণে ভীহারা কালগত হন।

শাক্যসিংহের জন্মের পর সপুম দিবসে তাহার জননী মায়াদেবী পরলোক- গামিনী হইলে, কাযেই তাহার আর লুম্বিনী উদ্যানে থাকা হইল না1। (ই দ্িব- সেই তাহাকে রাজভবনে আনয়ন করিবার উদ্যোগ হইতে লাগিল। গঞ্চ সহজ সজ্জিত পুরুষ পুর্ণকুস্ত লইয়া! অগ্রগামী হইবে, তৎপশ্চাৎ পঞ্চ সহন্্র পুরকন্ঠ। মযুরপুচ্ছের বাজন হস্তে ধারণ করতঃ গমন করিবে, তৎপরে তালবৃন্তধিণী কন্তাগণ যাইবে, তংসঙ্গে অন্ান্ত কন্ঠ।গণ গদ্ধোদ কপূর্ণ ভূঙ্গার হস্তে অবস্থান করিবে, রাজ- পথ জলপিক্ত কর! হইবে, পঞ্চ সহত্র বাঁপিক পতাকা ধারণ করিবে, পঞ্চ সহস্র কন্তা বিচিত্র প্রলম্বনমালায় বিভৃষিতা হইয়া সঙ্গে যাইবে, পঞ্চ শত ত্রাঙ্গণ ঘণ্টাবাদা করিতে করিতে সঙ্গে যাইবেন, বিংখশতি সহস্র হস্তী, বিংশতি সহস্র অশ্ব, অশীতি সহজ রথ, তান চত্বারিংশ নহ্ত্র পদাতিসৈগ্ সঙ্জীভূত হইয়! কুমারের অনুগমন করিবে *। অনন্তর নগরবানীরা সকলেই স্ব স্ব গৃহের দ্বারদেশ অন্তগৃহ সজ্জিত স্থশেোভিত করিতে লাগিল। তাহাদের সকলেরই ইচ্ছা, কুমারকে তাহারা এক এক দিন নিজ (নজ গৃহে রাখিবে।

অভিযান সঙ্জ! সমাপ্ত হইল। রাজপুরুষগণ কুমারকে লইয়া লুম্বিণীবন পরি- ত্যাগ করিলেন | নগরবাপিগণের অনুরোধে বা প্রার্থনায়, কুমারকে এক একবার গ্রক এক ভবনে লইয়! যাইতে ক্রমে চারি মাস অতীত হইল।

চাবি মাস পরে কুমার রাজভবন প্রাপ্ত হহলেন। শাকারুদ্ধগণ কুমারের রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য। জননী স্থানীয় রমণীর অগ্ুসন্ধান করিতে লাগিলেন পরে স্থির হইল, কুমারের মাতৃঘস ( মানী ) মহা প্রঙ্গাবতী ;তিনিই কুমারের রক্ষণমোগ। মাতৃন্বরূপা হইতে পারেন মৃহা প্রজাব হা তদ্বার্তাশ্রবণে হ্ৃষ্টা তুষ্ট। হইলেন এবং কুমারের মাতৃস্থানীয়া হইয়া! প্রতিপালনভার গ্রহণ করিলেন ' লাজ শুদ্ধোদন কুমারের পরিচর্ধ্যার্থ ৩২ জন ধাত্রী নিযুক্ত করিলেন। জন অঙ্গধাত্রী, জন

পোপ

৯০৩০

* জলিতবিস্তরের এই বর্ণন। সত্য হইলে কপিলধস্ত নগরকে মহানগর বলায় দোষ হইবে না এবং ইহার সারা তৎকালর ভ্ীসমৃদ্ধির সভ্যতার শ্বীরিমাণ অনুভূত হইতে পার্দিবে।

দ্বতীয় পরিচ্ছেদ ২৩

গ্লীরধাত্রী, জন মলধাত্রী 'মাটজন ক্রীড়াধাত্রী নিযুক্ত হইল * তগবান্‌ শাক্যদিংহ রাজা শুঞ্োদনের গৃহে উঞ্জরূপে প্র তপ।লিত, পরিরক্ষিত পরিধদ্ধিত হইতে লাগিলেন। শাক্যগণও কুম।রের ভাবষ্যৎচিন্তায় নিমগ্ন খাকিয়। কাল গ্রতীক্ষ! করতে লাগিলেন

পপ্বতরাজ হিমালয়ের পার্থ প্রদেশে "অণিত” নামে এক জার্ণতম মহর্ষি বাস করিতেন নরদত্ত নামে তাহার এক ভাগিনেয় ছিল। নরদত্ত বালক, এবং বদাধ্যায়ী মানবক ভগবান শাক্পিংহ যখন কপিলবস্ত নগরে প্রবেশ করেন, নরদন্ত তন মাতুল মপিত মুনির নিকট বেদাধায়ন করিতেছিলেন। লময্নে হিমালয় প্রদেশে মনেক প্রকার অদ্ভুত দৃশ্য আবভৃতি হইয়া তাহাদের উভয়কেই বিমোহিত করল। দেখগণ আকাশ পথে সানন্দে “বিবেক” বুদ্ধ” শব্দ উচ্চারণ পূর্বক এদক ওদিক গতায়াত কবিতেছিলেন। অপিত মুনি তাহ! দেখিতে পাইলেন। মুনির দেবগণের সেই সানন্দ ব্যাপাবের কাবণ জানিবার জন্য প্যানপ্ত হঈলেন। ধ্যানবলে ভীহার দিব্য চক্ষু উন্মীলিত হইল; তন্বারা তিনি ভন্থুন্ীপের সমুদয় ঘটনা জানিতে পারিলেন এ'ং দেৰগণের আনন্দের কারণও জাত হইলেন। ধ্যানভঙ্গের পব তিনি নরদন্তুক্চ ডাকিলেন। বলিলেন, নরদন্ত এট জদ্ুপ্বাৌপে এক মহানত্র জন্মনাছে। কপিলবস্ত্ব নগবে শুগ্ধোদন রাজার গুছে এচ মছুত বালক জন্মিগাছে। এই বালক সর্বলোকপুজা এবং দ্বাত্রংশৎ্ মহা" শক্ষণে লঙ্ষিত। ইনি গৃহে থাকিলে চক্রবন্তী রাজ। হইবেন, ত্য।গী হইলে বুদ্ধ হঈবেন। অতএব চল, মামবাও সেই অন্থপম বালককে নয়নগোচর করিয়! জীবনের সার্থক্য সাধন করিব।

অনস্তর অর্সত খষি ভাগিনেয়ের (নরদত্তের) সহিত রাজহংসের ন্যায় আকাশ মার্ আবলম্বন করিয়! কপিলবস্ক মহানগবে আসিলেন নগর প্রান্তে লোকের সমাগম দেখিয়। যোগবল উপসংহার পূর্বক সাধারণ মানবের ন্যায় পদ- ব্রজে রাজদ্বারে গিয়া উপনীত হইলেন। দ্বারপালকে বলিলেন, দ্বারপতে ! থাঞজাকে গিয়া বল, দ্বারে একজন খধি উপশ্থিত। তিনি আপনার সন্দশন ইচ্ছ| গাবেল।

সপ শত

* অঙ্গধাতরী--যাহার। অঙ্গ দংস্্(র করে, বেশ ভুন। পরায় এবং স্বাস্থ্য সংরক্ষণ করে।

ক্ষীরধাত্রী--যাহার! শিশুকে কেবল স্তম্ত পান করাধ।

মলধাত্রী--য।হারা শিশুর মলমুত্রাদি পরিক্ষার করে

ক্রীড়াধাত্রী--যাঁহারা শিশুকে হাষ্ট রাখে, থেল। করায় উৎ্সঙ্গে লইয়া শিশুর ইচ্ছানু- গামিনী হয়।

২৪ বুদ্ধদেব

দৌবারিক রাজসমীপে গমন পূর্বক তব্ব-্তাস্ত নিবেদন করিল। রাজ! ইষ্ট হইয়! বলিলেন, খষকে আনরন কর এবং তীহার জন্ত আসনাদি আহরণ কর।

অনন্তর দ্বারবান্‌খ ষকে লইয়! রাজসমীপে গমন কাঁরল। রাজা যথো'চন্ অভ্যর্থনসহকারে খধিকে আমন্ত্রণ করঙ্ধিলেন। খধিও সানন্দচত্তে আশীব্বাদ উচ্চারণ করিয়! উপবিষ্ট হইলেন। রাজ! জিজ্ঞাসা করিলেন প্মহর্ষে ! আমার মনে হয় না, আপনি আর কখন আমাকে দর্শন দিয়া কৃতার্থ করিয়াছেন এক্ণে বলুন, কি উদ্দেশে আমার নিচট আপনার আগমন খধি ব'পলেন, তোমার একটি পুত্র হইয়াছে, তাহাকেই দেখিবার ইচ্ছায় আসিয়াছ।

রাজ! বলিলেন, কিয়ৎকাঁল বিশ্রাম করুন, কুমার নিদ্রিত আছে, উঠিখেই আপনাকে দেখাইব। খর্ষ খপিলেন, রাজন! মহাপুরুষেরা দীর্ঘকাল শিদ্রত থ[কেন না, জাগ্রত থাকাই ভাহদের স্বভাব। আপনি অন্তঃপুরে যান, দেখিণেন, কুমার উঠিম্নাছেন।

অনন্তর রাজা শুদ্ধোদন পুর প্রবেশ পূর্বক কুমারকে ক্রোড়ে করিষ্া খ'ষ- সন্নিধানে আনয়ন করিলেন। খাধি সেই দ্বাত্রংশল্লক্ষণানিত বালককে দেখিয়! মনে মনে কি অনুধ্যান করিলেন। অনন্তব সনন্ত্রমে “অদ্ভুত বালক--দু 5 বালক*» এইরূপ বলিয়া উঠিলেন। সেই বৃদ্ধতম খষ তখন অপস্কোচ-ঠিতে সেই বালককে প্রদক্ষিণ, নমস্কার স্ত'তবন্দনাদি করিয়া আসনোপার উপগিষ্ট হইয়া কি ভাবিতে লাগিলেন, আর আবরলধারে অঞ্ বর্ষণ করিতে লাগিলেন।

খষির সেই নীরব রোদন দেখিয়। রাজা শুন্ধোদন কিছু ভাত হইলেন। জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহর্ষে! রোদন কেন? দীর্ঘনিখান ত্যাগ করিতেছেন কেন? বালকের কি কোন অমঙ্গল দেখিলেন ?

খাব বলিলেন, মহারাজ ! আমি বালকের জন্ত কাঁদিতে না) বালকের কোন অমঙ্গলও দেখি নাই আমি আমার নিজের জন্তই কীণিতে'ছ। মহাগগ আম বুদ্ধ হইয়াছি, আর অপ্নিককাল বাঁচি না। তোমার এই বালক বুদ্ধ হইবেন | বুদ্ধ হইয়| ধর্চক্র প্রবৃত্ত করিপেন। যে ধশ্ম কোনও শমণ। কোনও ব্রাঙ্ষণ। কোনও দেব, কোনও দেবপুত্র, অথব। অন্ত কেহ প্রবর্িত করিতে পাবেন নাই, সেই অনুন্তম ধর্ম ইনি সব্বলোকের ভ্িতের জনক, সর্ধলোকের সুখের জনা, সর্বলোকের কল্যাণের জন্য প্রচারিত করিবেন। মূলে কল্যাণ, মধ্যে কল্যাণ, শেষেও কল্)াণ, শুদ্ধ, নিন্মল ব্রহ্ষচর্খসংযুও অনুত্তম ধর গচাপিত করিখেনা ইঞ্গার ধর্শখ শুনিয়া জাতিধন্মা। এগ

ছিতীয় পরিচ্ছেণ | ২৫

সকল মুক্ত হইবে। ইনিই লোকদ্দিগকে জরা, ব্যাধি, মরণ, শোক, পরিবেদন, ছুঃখ, দৌম নস্ত পাপ হইতে রক্ষা কর্রিবেন। রাগদ্েষ- মোহাদিসন্তপ্ুজীবনিবহকে ধর্মমজলবর্ষণের দার! সুখী কাঁরবেন। মহারাজ! উড়্বর পুষ্প যেমন কদাচিৎ কখন এক আধট। উৎপন্ন হয়, ইহলোকে বুদ্ধ গুরুষও তেমাঁন কল্পকল্লান্তকাল অতীত হতে হইতে কদাচিৎ কখন একবার উৎপন্ন হন। বহুকাল পরে সেই বুদ্ধ পুরুষ তোমার কুমাররূপে উৎপন্ন হইয়াছেন, অবশ্ঠ ইনি সমাক্‌ বুদ্ধ হইবেন। অবশ্তই নষ্টপ্রায় জীবনিবহকে নংসারসমুদ্র হইতে উদ্ধার করিবেন, নির্ববাণে স্থাপিত করিবেন। আমরা বৃদ্ধ হইয়[ছি, ভতকারণে আমরা আর এই বুদ্দরত্বের বুদ্ধাবস্থা দে'খতে পাইব না। সেই জন্যই আমি রোদন করিতেছি, সেই জন্যই আ.ম শ্বাস ত্যাগ করিতেছি আঁমি ইহ।র আরাধনা করিতে পাঁইব না, এই ভাবিয়াই আমি রোদন করিতেছি, সেই জন্য আমার অশ্রনিগপিত হইতেছে মহারাজ আমাদের মন্ত্রশান্ত্রে বেদশান্পে আমরা যাহ দে'থতেছি, তাহাতে ইনি নিশ্চিত বুদ্ধ হইবেন, প্ররজ। গ্রহণ করিবেন, গৃহে থাকিবেণ না। মহাপ্রাজ! দেখুন, আপনার এই কুমারে দাত্রংখৎ মহাপুক্ষলক্ষণ মুম্পষ্টরূপে বিরা'জত আছে।* অতএব, হে শুক্ধোদন 1 তোমার এই কুমার সম্যক্‌ সন্থুদ্ধ হইনেন ; গৃহবাসা হইবেন না। নিশ্চিত ইনি প্রব্রস্যাতেজ ধারণ করিবেন লোকহিশ প্রচার করিবেন।

রাজা শুদ্ধোদন অসিত খ'ষর নিকট কুমারের স্বরূপ বর্ণন শ্রবণ করিয়া তুষ্ট হইলেন_প্রীত হইলেন। তাহার মনের আপরণ বিদৃরিত হইল, জ্ঞান ক্কুত্তি পাইল, তান আপন হইতে উখিত হইয়। বোধসন্ত্ের চরণে প্রণিপতিত হইলেন এবং একটি গাথার দ্বার মনোভাব বাক্ত করিলেন।

““বন্দিতস্ত্রং হুরৈঃ সেন্্ৈখ্ধ1ষভিশ্চাপি পুজিতঃ | বৈদ্োোসব্বগ্ত লোকস্ত বঙ্দেইহমপি ত্বাং বিভে। ॥” 7

পরে রাজা শুদ্ধোপ্ন হিনালয়বাসী অসিত খষিকে তাহার ভাগিনে নরদন্তকে আহারাদির দ্বারা পরিতৃপ্ত করিয়। খিদায় প্রদান করিলেন এবং অসিত মুনিও ভাগিনেয়ের সহিত সেই স্থান »ইতে অস্তহিত হইলেন।

স্পা পাপা

* ছৃত্রিংশৎ প্রকার মহাপুরুষলক্ষণ অশীততিপ্রকার অনুব্ঞন। পৃথক প্রস্তীবে বণিত

হঃষে। + শিষাগপ গুরুকে কিন্পপে বড় কর তাহা এই সকল বর্ণন! দেখিলে বুঝাতে পারা যায়।

অদ্ধোদন এতদুর করুন ব! ন| করুন, বুদ্ধ শিষাগণ তাহাকে এরূপ করাইয়াছেন সন্দেহ নাই।

২৬ বুদ্ধদেব

অ'গত মুনি নব্দন্ত যোগ শক্তি উদ্ভাবন পুণ্ধক অন্যের অলক্ষো আকাশ পথে শীঘ্রই [হমাচলপার্খস্থ স্বীয়াশ্রমে গিয়া উপনীত হইলেন। অপিঠ মুনি ভাগিনেয়কে আহ্বান করিয়া বলিলেন নরদত্ত! আমি তোমায় এন হিত্ত- কথা বল, শ্রবণ কর। যে দিন তুম শুনিবে, ইহলোকে বুদ্ধ আবির্ভৃত হইয়াছেন, :সেই দিনেই তাহার শান অবলম্বন করিবে, শিষ্য হইবে তাহা হুইলেছ তোমার হিত হইবে, সুখ হবে, দীর্ঘ জীবনের সাফপা হইবে।

বৌন্ধাচাধ্যের! বুদ্ধের বাল্যলীল। সম্বন্ধে এইরূপ অনেক অলৌকিক কথ বলিয়া গিগ্লাছেন। লপিতবিপ্তর নামক বৌদ্ধ গ্রন্থের অষ্টমাধ্যায়ে বুদ্ধের বাল্য- লীলা বরিত হইয়াছে তাহাতে এমন সকল ঘটণার উল্লেখ আছে, যাহা পাঠ করিলে অনুবাদ করিতে আদৌ ইচ্ছা হয় না। এস্থলে তাহার নিদর্শনের স্বরূপ একটি মাত্র বিষয়ের অনুবাদ করিলাম

অসিঠ খষি গমন করিলে, কিছু দিন পরে, শাক্যগণ মমবেত হইয়। রাজাকে গিয়া বলিল, মহারাজ! কুমারকে দেবকুলে উপনীত করিবার সময় আগত হইয়াছে শুভদিন স্থিণ করয়া কুমারকে দেবদর্শন করান হউক রাজ বুদ্ধ অমাত্যগণেব উপদ্দেশ ক্রমে মহামহোৎ্সবে কুমারকে দেবতা স্থানে লইয় গেলেন। মন্দিরস্থ দেবপ্রথতম। মনল বালকরূপী বোধসত্বকে দেঁখবামাত্র আপন আপ। স্থান পাপতাগি পুর্দক বালকের চরণে আসিয়া! দণ্ড প্রণ।ম কারপ। এই অদ্ভুত ব্যাপাণে শাক্যগণ সকলেই শিশ্মিত হইল, আনন্দিত হইল, অন্তরীক্ষে দিব্যএস্পবর্ষণ দিব্যণাস্ত প্রভূ'ত আবিভূতি হইতে লাগিণ। ইত্য।দি ইতি

শিষ্ের দোষে-_মলখাপর্ণনায়_ম(তভক্তির প্রভাবে গুরুর প্রকৃত চরিত্র প্রচ্ছন্ন হইয়। যায়_:এ কথ অবশ্ত স্বীকার্ধা। বুদ্ধাণষোর! যদি বাড়।বাড়ি করিয়! ন! লিখিতেন--তাহ।! হইলে অবশ্যই আমরা বুদ্ধদেবের বাল্যগ্গীবন ভাঁলক্ূপে বুঝতে গারিতাম বলিতে পাবিতাম যাহা হউক, তৎসম্বন্ধীয় অন্যান্য কথায় মনোনিবেশ করা যাউক।

শাক্যসিংহের মুস্তি জঙ্গলক্ষণ

শাকাসিংহের আকার, প্রকার শরীরের গঠন কিরূপ ছিল, তাহা বৌদ্ধ" শন্সে বণিত হইয়াছে বো'ধচর্যাবতাপ, ললহবিগ্তর, মহাবস্তব অবদন ধন্মসংগ্রহ প্রভৃতি বৌদ্ধগ্রন্থে বুদ্ধদেবেদ ছ্[তিংশৎ মহালক্ষণ অশীত অনুব্যঞজীনা বণিত আছে দেই বর্ণন। পাঠে বুদ্ধদেবের মুস্তি অঙ্গগঠন কিরূপ ছিপ,

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ২৭

তাহ! উত্তমরূপে বোধগম্য করা যায় এবং তাহা! দেখিয়। বুদ্ধের চিত্র চিত্রের পরিমাপ প্রস্তত করা যাইতে পারে

দ্বা।ত্রংশৎ মহাপুরুষলক্ষণ অশীতি অনুব্যঞ্জনা যথাক্রমে লিখিত হইতেছে, দৃষ্ট করুন

“চক্রাক্ষিতপাণিপাদতলত। (১) হু প্রতিষ্ঠিত পাঁণিপাদ্বতলত। (৫২) জালাবলবদ্ধ।সুলিপাঁণিপাঁদত- লত1 (৩) মৃছতরুণহস্তপাদতলতা। ৪)১সপ্তে।খসেধত। (৫) দীর্ঘ।সুিতা (৬) আয়তপাষিঃ তা (৭).খজুঁ- গাত্রতা (৮) উৎসঙ্গপাদত। (৯) উদ্ধীশ্ররোমত। (১০) এ্রণেয়জজ্ৰ ঠা (১১) প্রলম্ববান্থুত1! (১২) কোঁষ- গতবস্তিগুহ্য 51 (১৩) স্থবর্ণবর্ণত। (১৪) শুর্লচ্ছবিত। (১৫) প্রদক্ষিখাবর্তেকরোমত। (১৬) উর্ণালস্থৃতি - মুখত। ৫১৭) পিংহপূর্ববান্ত কায় ত1 ৫১৮) নংবৃতক্ষদ্ধত1 (১৭) চিস্তাগ্ুরাংশত। (২০) রদরসা গ্রতা (২১) বাগ্রেধপরিমগুলতা (২২) উ্ণ্যাশরক্কত। (২৩) প্রভু তাজিহ্ৃত। ২৪) পিংহহন্ুত। (২৫) গুক্রহনুত! (২৬) সমদস্তত। (২৭) হংসবিক্রাস্তগামিত। (২৮) আব্রঙ্গদস্তত। (২৯) দমচতাগিংশদস্ত ত। (৬*) অভি- নালনেত্রতারকত। (৩১) গো।পনেত্রত্রত। চেতি (৩২) ।--ধনুসংগ্রহ

লিতবিস্তর গ্রন্থে এই লক্ষণ সকল বিশ্তৃতন্ধপে বখিত হইয়াছে তদনু- সারণী বাজাল! ব্যাখ্যা এইরূপ-_

১। কুমার সব্বার্থসন্ধের পদতলে রেখাময় চক্র (চিহ্ন ছিল। তাহা ভাম্বর, তেজন্বী শুভ্রবর্ণ এবং সহস্র অর, নেমি নাভিযুক্ত

২। স্প্রতিভিতসমপাদোমহারাজ ! সববার্থসিদ্ধঃ কুনারঃ | (ল, বি)

৩। কুমারের পধতল স্ুপ্রতিষিত অর্থাৎ লমতল ছিল। হস্ততলও স্থপ্রতিষ্ঠিত অর্থ।ৎ উচ্চনীচরহি ত। হস্তে, পদে শিরাজাল শিরাগ্রন্থি ছল না।

৪1 হ্ম্ততল পদতল কোমল অরুণবর্ণ ছিল

হি! অংশদয় * নাস। প্রভৃতি সপ্ত স্থান উন্নত ছিল।

৬। কুমারের অঙ্কু দীর্ঘ বৃত্ত (গোল) ছিল।

৭। পাঞ্চি অর্থাৎ পদ-পশ্চাঙ্ভাগ কিছু আয়ত বা বিস্তৃত ছিল

৮। দেহ্যাষ্ট ব! মধ্যকায় খজু অর্থাৎ অবক্রণ বা অভুগ্র ছিল।

৯1 উপবেশনকালে তাহার পদদ্বয় উৎসঙ্গে অর্থাৎ ক্রোড়ে নিহিত হইত।

১০। তাহার গাবরোম উদ্ধ।গ্র ছিল!

১১ জজ্ব!দয় হরিণ-রাজের জঙ্ঘ।র ন্যায় ছিল।

৯২ তাহার ছই বাহু জানু প্ধাস্ত প্রলন্বিত ছিল।

পপ কউ

স্পা আপ পাপা স্পা সপ প্প্প

শা শান

* ক্কক্ছের উপগ্িতাগকে অংশ বলে। €₹ত

২৮ বুদ্ধদে? |

১৩। তীহা'র ধস্তি গুহ কোযোঁপগত ছিল

৯৪। তাহার বর্ণ সুবর্ণের সদৃশ অর্থাৎ শুরু, পীতভাশ্বর ছিল।

১৫। তাহার ছবি অর্থাৎ লাবণ্য বা কান্তি শুক্ুভাশ্বর ছিল।

১৬। ক্তীহার প্রতি রোমকুপে এক একটি রোম, এবং তাহ! প্রদক্ষিণক্রমে ( দক্ষিণাবর্তে) শোতিত ছিল। |

১৭। তাহার ভ্রধ্যে তুষারভাশ্বর উ্ণা (জড়লচিহ্ন) ছিল।

১৮। তাহার ষধ্যদেশ বা পূর্বকায় সিংহের সদৃশ

১৯। স্বদ্ধদেশ মাংদল।

২৭। তাহার অংশযুগল পৃথু উন্নত।

২১। তাহার বসন! সরস রক্তবর্ণ।

২২। তাহার মস্তক পরিমগুলাকার।

২৩। শীর্ষদেশ উ্ণীষতুল্য

২৪। তাহার জিহ্বা তনু (পাতিল) আয়ত ( লম্বা )।

৫। তাহার হচ্ুদ্ধম় সিংহের হচ্চুর ন্যায়।

২শ। তাহার হনুদ্বয় শুভ্রকাস্তিবিশিষ্ট।

২৭ দত্ত সমুদায় সমান।

২৮। হংসের অথবা সিংহের ন্যায় গতি।

২৯। দস্তপউক্তি অবিরল অর্থাৎ পরস্পর অসংস্পৃষ্ট অথচ সংলগ্ন

৩০। তাহার দ্তসংখ্যা

৩১। তাহার নেত্রতারা মনোহর নীলবর্ণ।

৩২। তাহার চক্ষু বুধভচক্ষুর সদৃশ মনোহর

ললিতবিস্তর গ্রন্থেও দ্বাত্রিংশৎ মহালক্ষণ গণিত হইয়াছে ; পরন্ত সে সকলের সহিত ইহার প্রান তুল্যত। আছে। যথা

উষ্কীষণীর্ধবে! মহারাঁগ! সর্দনার্থসিদ্ধঃ কুমার; অনেন মঙ্তারাগ ! প্রথমেন মহাপুর্ষলক্ষণেন সন্বগতঃ সর্ধার্থসিদ্ধঃ কুমারঃ। প্রভিন্নাঞ্জন মযুরকলাপাভিনীলবেলিত প্রদক্ষিণ।বর্তীকেশঃ। গনবিপুলললাঢঃ। উন্না মহারাছদ! সর্ববার্থাসদ্ধন্ত ক্রবোদ্ধধ্যে জাতা হিমরজত প্রকাশ গোঁপনেত্রাভিনীলনেওঃ | ব্রহ্মস্বরোমহারাজগ ! ব্বার্থসদ্ধ- কুমারঃ1 বসরভাগ্রবান, প্রভৃত- তনিহবঃ | নিংতহনুঃ। আসাবৃতগ্ষন্ধঃ সপ্াইদোছিতাংশঃ। আ্বলর্ণ বর্ছিবিঃ। স্থির; অন্নভপ্রসম্ববাছঃ। সিংহপুর্বাদ্ধিকায়ঃ। গ্যগ্রেধপরিমগুলে। মহারাজ! সর্বার্থসিদ্ধঃ কুমীরঃ | একৈকায়াএগ্বগ্রাহিপ্রদক্ষিণম। কোঁশোপগতবন্তিগুহাঃ। সবিবতিতোরঃ। ধইীণেষমৃগরাজজদ্ধ; দীর্যাজুলিঃ| সায়তপাপিপাদঃ। মৃছুতরণহস্পাদঃ। জীর্জলিক হস্তপাদঃ দ্বীর্ঘানুলিধরঃ

দ্বিতীয়, পরিচ্ছেদ ২৯

গাঁদতলয়োর্দহারাঁজ ! সবর্ববার্থসিদ্ধন্ত কুমারস্ত চক্রে জাতে চিত্রে হর্বিিষ্যাত! প্রজাস্বরে দিতে সহশ্রারনেমিকে সনভিকে স্থ্প্রতিঠিতে। সমপাদে। মহারাজ ! সর্ববার্থসিদ্ধঃ কুমারঃ। অনেন মহারাজ ! দ্বাত্রিংশম্মহাপুরুষলক্ষণেন * সমন্ব(গতঃ সর্বার্থসিদ্ধঃ কুমার: ন.চ মহারাজ চক্রবর্তিনামেবংবিধানি লক্ষণানি ভবস্তি বোধিসত্বানাঞ্চেতাদুশানি লক্ষপানি ভবস্তি ॥* + [ ললিতবিজ্ঞর। ]

হিম্বালয়বাসী অসিত মুঝি যখন নরদরন্ত ভাগিন্ধেসের সহিত, শুদ্ধোদন, বাঁার্‌ গ্হে বুদ্ধদেবকে দেখিন্তে আগমন করিয়াছিলেন, তখন তিনি এই সকল মহা" পুরুষ-লক্ষণ রাঁজ। শুদ্ধোৰনের নিকট বর্ণনা করিয়াছিলেন। তিনি আরও বলিয়া- ছিলেন, মহারাজ ! সকল লক্ষণ রাজলক্ষণ নহে; ইহা বোধিসত্বের লক্ষণ বোধিসত্ব মহাপুরুষেরাই এইরূপ লক্ষণাক্রান্ত হইয়া থাকেন। অতএব, হে মহারাঙ্গ! আমার নিশ্চয় বোঁধ হইতেছে, ভবিষ্যতে ইনি রাজছত্র পরিত্যাগ করিয়া] প্রত্রজ্যা ( সন্াস ) গ্রহণ করিবেন, সমাক্‌ সমুদ্ধ ভইবেন। এতভিন্ন ইহার অশীতি প্রকার অন্ব্যঞ্জনা আছে, ( ইভাঁও লক্ষণবিশেষ ) তাহা দেখিয়াও বুঝিলাম, ইনি গৃহবাসী হইবেন শা, প্রবরজ্যার্থ নির্গত হইবেন

অশীতি অনুব্যগ্রন।

অনুব্যগ্লনা অর্থাৎ শরীরের মাহাত্মাজ্ঞাপক বিশেষ চিহ্ৃ। চিত্রকরের৷ প্রথমে রেখাচিত্র অঞ্ষিত করিয়া পশ্চাৎ বর্ণপুরণের দ্বারা সজীবতা। ধন্ম আনয়ন করে এবং সেই বর্ণপুরণকে তাহার! অনুব্যঞ্জন! বলে। অতএব বুদ্ধমূত্তি বুঝিতে হইলে, বুদ্ধের প্রতিমৃত্তি প্রস্তত করিতে হইলে, প্রোক্ত মহালক্ষণের পর অন্গু- ব্ঞ্জক লক্ষণ অনুসন্ধান করিতে হইল অন্ুব্যঞ্রক লক্ষ ব্যতীত্ত অবৈকল্য অর্থাৎ ঠিক মূর্তি হইবে না

বুদ্ধদেবের শরীরাশ্রিত অন্ধব্যগ্ক লক্ষণ সমূহ ললিতবিস্তর গ্রন্থে উত্তমরূপ বণিত আছে এবং ধন্মনসংগ্রহগ্রন্থেও আছে। মহাবস্ত অবদান অন্তান্ত বৌদ্ধ গ্রন্থে প্র সকল লক্ষণের উল্লেখ আছে মাত্র, বুঝিবার উপযুক্ত বর্ণনা নাই। অতএব প্রথমে ধর্মসংগ্রহগ্রন্থের বর্ণন! ব্যক্ত কি, পশ্চাৎ ললিতবিস্তরের বর্ণন। উদ্ধৃত করিব।

তাম্রনখতা (১) রিগ্ধনথতা (২) তুঙ্গনখতা। (৩) ছত্রাঙ্থুলিতা (৪) চিত্রাঙ্গুলিতা (৫)

পপ

*. গণন1 করিলে ৩২শের অধিক হয়। কুতরাং বিবেচন! হইতেছে, এিয়াটিক সোসাইটার যুদ্রিত পুস্তকের পাঠ ঠিক নহে। + ইহার অর্থ অব্যধহিত পূর্বেবে ধলা হইয়াছে।

৩৪ বুদ্ধদেব

অনুপূর্ধবঙ্গুলিত! (৬) গুঢশিরভ। (৭) নিগ্রাস্থশিরত1 (৮) গুঢ়গুলফফত। ( ৯) অবিষমপাদতা (১০) সিংহবিস্রান্তগামিতা (১১) নাগবিক্রান্তগামিত! (১২) হংসধিক্রান্্রগামিত1 (১৩) বুরত- বিক্রান্তগামিতা (১৪) প্রদক্ষিণগামিতা (১৫) চারুগামিতা (১৬) অবক্রগাগিতা (১৭) বৃত্তগাত্রতা (১৮) মৃষ্টগাত্রতা (১৯) অনুপূর্ববগান্্রতা (২*) শুচিগাত্রতা (২১) মব্গাত্রত! (২২) বিশুদ্ধগীত্রত। (২৩) পরিপূর্ণব্যগ্রীনতা (২৪ )পৃথুচারুমণ্লগাত্রতা। (২৫) সমগ্রমতী (২৬ ) বিশুদ্ধনেত্রত। (২৭) স্ুকুমারগাত্রতা (২৮ ) অদীনগাত্রত। (২৮ ) সোৎসাহগাত্রতা (৩) গম্ভীরকুক্ষিত। (৩১) প্রসন্নগাত্রতা (৩২) স্ুবিভল্তাঙ্গপ্রতাঙ্গতা (৩৩ ) বিতিমিরশুদ্ধালোকতা (৩৫) বৃত্তকুক্ষিতা (২৭) মৃষ্টকুক্ষিতা (৩৬) অতুগ্রকুক্ষিতা (৩৭) ক্ষামকুক্ষিতা (৩৮) গভীরনাভিত। ( ৩৯ ) প্রদক্ষিণাবর্তনাভিতা (৪* ) দমস্ত প্রানাদিকতা। (৪১) শুচিসমুচ্চাঁয়তা (৪২) ব্যপগততিলকগী ত্রতা (৪৩) তুলসদৃশক কুমারগাত্রত! (৪৪) নিদপাণিলেখতা (8৫) শস্তীপপাণি- লেখতা (৪৬) আফতপাঁণিলেখত| ৩৭ ) নাত্যায়তবচনতা (৪৮) বম্বপ্রতিিহ্বে্টতা €৪৭ মুদুজিহ্বতা (৫০) তনুজিহবতা (৫১) রক্তভিহবতা (৫২) মেঘগজ্জিঘোধত] ( ৫৩) ম্ধুরচারু মধুহরত। (৫৪) বৃত্তদংস্ইভ1 (6৫) তীক্ষদংষ্টত। (৫৬) শুরুদংষ্ীত। (৫৭) সমদ:স্টতা (1৮) তুঙ্গনাদতা (৬*) শুচি- নাসতা। (৬১) বিশালনেত্রত (৬২) চিড্পদ্ধতা (৬৩) 1৬তাসিতক মলদলনয়নত! (৬৪ আয়তত্রকত! ( ৬৫ ) শুক্লুভ্রকত| (৬৬) সুন্সি্ধজীকতা। (৬৭) গীনায়তভুজত1 (৬৮) সমক্র্ণ ঠা) (৬৯) অনুপহতকর্ণেকত্দ্িয়ত। ) (৭*) অধিয়ানললাটত। (৭১) পৃথুললাটতা। (৭২) সুপরিপূর্ণোতমাত। (৭৩ ) ভ্রমরসদৃশকেশতা। (৭৪) চিত্রকেশতা (৭৫ ) গুড়কেশতা বা (গুড়াকেশতা) (৭৬) অসমুচ্ছি তকেশতা (৭৭) অপর ষকেশত। (৭৮) স্পভিকেশতা ( *৯) ্রীবৎসন্বস্তিকনন্দ]।ধর্ত.

লক্ষিভপাপিপাদতলতা। চেতি |” [ ধশ্মসংগ্রহ

এই অশ্ীতি প্রকার অন্ুব্যঞ্জনার বাঙ্গাল! অর্থ এইরূপ £-- ১1 নখ তাহ্ববর্ণ অর্থাৎ আরক্ত।

২। নথ নিপ্ধ অর্থাৎ আর্বৎ।

৩) নখ উচ্চ অর্থাৎ মধ্যভাগ উচ্ভিত।

৪1 অঙ্গুলি ছাত্রচিহনবিশিষ্ট।

অন্গুলি চিত্র অর্থাৎ প্রাকৃতলোকের অঙ্কুলির ন্যায় নহে ৬। অস্ুলি পূর্ববাপরক্রমে স্বিভক্ত |

৭। শিরা দেখা যায় ন। |

৮। শিরাগ্রন্থি দৃষ্ট হয় ন1।

৯। গুল গুঢ়।

১০। ছুই সমান অর্থাৎ ছোটবড় নহে।

১১। সিংহের স্তায় গত্তি( পাদক্ষেপ)

দ্বিতীয় পরিচ্ছে্। ৩১

১২। নাগের ম্যায় গতি। পদচালন। )

১৩। হংসের স্ভায় পদবিস্তাস্‌ |

১৪। মত্ত বৃষভের হায় শ্বচ্ছন্দগতি |

১৫.। দক্ষিণক্রমে গমন (দক্ষিণ চরণ প্রথষে বিন্যাস )

১৬1 মনোহর অর্থাৎ লীলাযুক্ত গতি।

১৭) লসরলগতি।

১৮। গাত্র বৃত্ত অর্থাৎ গোল মাংসল। (সকল স্থাঁন মাংসল নহে, উরু প্রভৃতি স্থান )।

১৯) গাত্র পরিমুষ্ট ( যেন এইমাত্র পরিমাজ্জিত কর! হইয়াছে )।

২091 অঙ্গ সকল পুর্বাপরক্রমে স্থবিভক্ত

২১। গ্াত্রকাস্তি উজ্জ্বল।

২২। অঙ্গ কোমল

২৩। সকল অঙ্গ শুদ্ধ অর্থাৎ পবিত্র বা পরিফার।

২৪। সকল অঙ্গ সকল লক্ষণ পূর্ণ (খণ্ডিত নহে )।

২৫। শরীর স্থল, মনোহর স্থবৃত্ত

২৬। ক্রম অথাৎ পদবিক্ষেপ সমান

২৭। চক্ষু বিশুদ্ধ অর্থাৎ পবিত্রতাঁভাব-পরিপূর্ণ।

২৮। শরীর কোমল।

২৯। দেহে দৈন্য থেদ লক্ষিত হর না।

৩০। শরীর উৎসাহযুক্ত।

৩১1 কুক্ষি গম্ভীর (ভুঁড়ি ছিল না)।

৩২1 অঙ্গ সকল প্রসন্ন। (যেন হাসচে )।

৩৩) অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সুবিভক্ত | (যেখানে বা! ষে অঙ্গ যেমন হওয়! উচিত সে স্থানে বা দে অঙ্গ সেইরূপ

৩৪। শরীরের জ্যোতি বা কান্তি নিস্তিমির আলোকের নায়

৩৫। কুক্ষি বৃত্ত অর্থাৎ চ্যাপট1 নহে

৩৬ কুক্ষি মাজ্জিত অর্থাৎ ওজ্জল্য বিশিষ্ট

৩৭। কুক্ষি অক্তগ্র অর্থাৎ কোল-কু জে! নছে।

৩৮। কুক্ষি ক্ষীণ অর্থাৎ কুশ (স্থূল নহে )।

৩৭

৩৯ | ৪% 1 ৪১ ৪২।

বুদ্ধদেব

নাভি গম্ভীর

নাভির আবর্ত দক্ষিণ দিকে

অঙ্গ সকল দর্শকের আনন্দজনক।

আচার ব্যবহার বিশুপ্ধক (বিশুদ্ধাচারেব দ্বার! অঙ্গের এক প্রকার

অসাধারণ পৌষ্ঠব জন্মে। সে সৌষ্ঠটব অনির্ববচলীয় )।

৪9৩

গাত্রে তিল ছিল না

৪৪8 হ্স্ততল তুলনদৃশ কোমল।

৪৫ হস্তে রেখ! অিদ্ধ।

৪৬। হস্টতের রেখ! গম্ভীর।

৪৭1 হৃস্তের রেখা দীর্ঘ

৪৮। বচন স্বর আত উচ্চ নহে, কর্কশও নহে, অথচ গাস্তীর্য যুক্ত

৪৯। ওঠ বিষ্বেরন্তায়। (বিশ্ব এক প্রকার ফল, তাহার বর্ণ আরক্ত )।

৫০ িহ্বা কোমল।

৫১। জিহ্বা তনু অর্থাৎ পাতল। (মোটা নহে। ইহা ঘোগীর লক্ষণ )।

৫২। জিহ্বা রঞ্ বশ।

৫৩। গলার স্বর ম্ঘেগঞ্জিতের গ্থায় গভার।

৫৪1 স্বর মি মনোহর

€৫। দাত সুবৃত্ত।

৫৩। তি তীক্ষ।

৫৭ | দত শুভ্রবর্ণ।

৫৮। দৃস্তপংক্তি সমান

৫৯। দত্ত সকল পূর্বাপর ক্রমে জ্বিভক্ত বা সাক্গান

৬*। লাপিক] উন্নত।

৩১ | নাসা উজ্জ্ল।

৬২। নেত্র বিশাঙ।

৬৩। নেত্রের পক্ষ (চোকের ভয়) অদ্ভুত অর্থাৎ অত স্ুবৃস্ত |

৬৪1 চোখের খেত মণি বাঁ তার! শ্বেতপন্মের নীলপন্মের পাবাড়র হায় সুশোভন।

৬৫। ত্রাধুগল আঁদত

দ্বিতীয় পগিচ্ছেদ। ত৩

৬৩। ত্র উদ্ভ্প। ৬৭। ভ্রস্তুত্সিগ্ধ। ৬৮। বাছু পীন আম়ুত। ৬৯। কণদ্বয় সমান ৭০। কণেক্ছিষ় তেজস্বী। ৭১ ললাট স্ুপ্রসন্ন ।( মান নহে )। প২। ললাষ্ট পৃথু অর্থাৎ বিস্তীর্ণ উচ্চ। ৭৩। উত্তমাঙ্গ বা মস্তক পরিপূর্ণ অর্থাৎ কোন স্থানে উচ্চ নীচ ভাব নাই। ৭৪ | কেশ ত্রময়ের গ্ভাষ রুষ্বর্ণ। ৭৫। কেখ আশ্চর্ধ্য (অগন্ঠের সেরূপ কেশ নাই )। ৭৬। নিদ্র। স্বাধীম। ৭৭। কেশ ঈষৎ কুঞ্চিভ। ধ৮ 1 কেশ নিগ্ধ (রুক্ষ নহে )। ৭৯1 কেশন্টিগন্ধ। ৮০1 হস্ততলে পনতলে শ্রী'ৎস শ্বস্তিক নন্দ্যবর্ড, এই তিন প্রকার চিক আছে? (স্বন্তিক অর্থাৎ ভ্রিকোণ )। ললিতবিশ্তর গ্রন্থে বুদ্ধশরীরের অশীতি অনুব্যঞ্জন। এইকপে বর্ণিত হইয়াছে “তদ্‌ যথা -__তুঙ্গনথণ্চ মহারাজ! সর্ধবার্থসিদ্ধ কুম।রঃ | তাম্রনখশ্চ খ্িদ্ধনথশ্চ বৃত্বাুলিশ্চ 'অবুপূর্ববচত্রশুলিশ্চ গুচগুলফণ্চ ঘনসন্ধিশ্চ অনিষমসমপাদশ্চায়তপাঁদপফিশ্চি মহারাজ ! সর্ববার্ধসিদ্ধঃ কুম।২। জিপ্ধপাঁণিলেখশ্চ তুলপ।ণিলেখশ্চ গম্তভীকপাঁণিলেখশ্চাজিক্মপ।ণিলেখশ্চ আন্ুপূর্ববপ(ণিলেখশ্চ বিশ্বোষ্টানুচ্চশব্দধচনশ্চ মুদ্ুতকুণতাম্জিহবণ্চ গ্জগর্জিতাতিস্তনিতমেব খরমঘুরমণ্ুঘোষশ্চ পরিপূর্ণ ব্যঞ্জনশ্চ মহারাজ | সর্ববার্থসিদ্ধঃ কুমারঃ।৮স-ইত্যাদি ।* আসত মুনি রাজ। শুদ্ধোদনকে বলিয়াছিলেন, মভারাজ! এই সকল অন্ুব্যগ্ন চিহ্ন থাকিলে সে ব্যক্তি নিশ্চিত প্রব্রজ্যা গ্রহণ করিবে, গৃহবাসী হইবে না। সকন চিহ্ন বোধিসত্ব ভিন্ন প্রাকৃত মনুষ্যপ থাকে না

শীকাসিংহের লিপিশিক্ষা | কুমার শাকাসিংহ শুদ্ধোদনের গৃহে দিন দিন বাঁড়িতে লাগিলেন। ক্রমে

* মমন্ত অংশ উদ্ধৃত করিবার আবগ্তক লাই। প্রবন্ধের বৃথ| কাঁকপ্ত নিন্দনীয়। কতক গুলি সংস্কৃত দিলে প্রব্ধটী কর্কশ হইতে পারে, কর্কশ হইলে পাঁঠক মাত্রেই বিরক্ত হইতে পারেন

৩৪ বুদ্ধাদেব।

তাহার বিদ্যারস্ত কাল আগত হইল। রাজা শুদ্ধোদন শুভদিনে মহামহোঁৎসষ- সহকারে কুমারকে লিপিশালায় €প্ররণ করিলেন। আজ রাজপুত্র সিদ্ধার্থের বিদ্যারস্ত হইবে, লিপি শিক্ষা আরম্ভ হইবে। গুনিয়। ন্গরবাপী জনগণের, বিশেষতঃ বালকবৃন্দের আহ্লাদের পরিপীম! নাই, কপিলনগর আজ ঘেন হর্ষে _মাতিয়। উঠিয়াছে। লিপিশালার প্রধান শিক্ষকের নাম বিশ্বামিত্র আজ. বালকাচার্ধা বিশ্বামিত্র মনে মনে “স্থ প্রভাত” প্রভৃতি স্থখ-ভাবনা ভাবিতেছেন, এদন সময়ে তাহার লিপিশালাসম্মুখে মহাসমারোহ উপস্থিত হইল। অগ্রে শত শত শাক্যবালক, মধ্য রাঁজা রাজপুল্র সিদ্ধার্থ, পশ্চাতে অসংখা জনসম্বাধ হয় হস্তী প্রভৃতি যাঁন যাত্রিগণ লিপিশালা অভিমুখে আগমন করিতেছে বালকরূপী বোধিসত্বব যথাসময়ে যথানিয়মে পাঠশালায় প্রবেশ করিলেন করিয়া! তত্রস্থ প্রধান শিক্ষক বিশ্বামিত্রের সমীপবন্তী হইলেন বিশ্বামিহ অল্লক্ষণ পুর্বে ভাবিতেছিলেন, “রাজপুত্রের গুরু হইব, এক্ষণে তাহার সে মোহ অপগত হইল। তাহার জ্ঞান হইল, কোন বালক তাহার নিকট শিষা হইতে আইসে নাই, এক অনিবার্য অপূর্ব তেজ তাহাকে প্রবুদ্ধ করিবার জন্ত তাহার সম্মথে আবিভূত্ত হইয়াছে বালকরূপী বোধিসত্বের অঙ্গ শ্রী তেজ দেখিবামাত্র তাহার দর্শনপথ অবরুদ্ধ হইল। তিনি বিস্ময়ে মোহে লীনচিত্ত হইলেন এবং মৃচ্ছা প্রাপ্ত হইলেন। ললিতবিস্তরনামক বৌদ্ধ ইতিহাসে লিখিত আছে, বালকাচাধ্য বিশ্বামিত্র শাক্যসিংহের তেজে অভিভূত ভূপতিত হইগে পর শুভাঙ্গ নামক দেবপুত্র সহস! তথায় আবিভূত হইস্স! বিশ্বামিন ব্রাহ্মণকে হস্তধারণ পূর্বক উত্থাপিত হিসি এবং নিম্নলিখিত গাঁণ! গান করিয়াছিলেন পলান্্রণি যানি প্রচরন্তি দেবলোকে, সংখা! লিপিশ্চ গণনা পি ধাতুতশ্ম্‌। যে শিল্পযোগ পৃথু লৌকিক অপ্রমেয়া, স্তেথেমু শিক্ষিতু পুর বহু কজকোট্যঃ 4 কিন্ত, জনস্য অনুধর্ভনতাঁং করোতি, লিপিশালমাগন্তং নুশিক্ষিতশিক্ষণার্থস্‌। পরিপাচ নার্থং বহুদারক অগ্রযানেঃ অন্যাংশ্চ সন্বনিযুতানমূতে বিনেতুম্‌

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ৩৫

নৈতন্ত আচরিতু উত্তরি ব! ত্রিলোকে, সব্ধ্বেষু দেবমনুজেধয়মেব জোট নামানি তেষু লিপিনাং নহি বেখ ফুয়ং,

যত্রৈষ শিক্ষিতু পুর! বছুকল্পকোটাঃ 1১" [ ললিতবিস্তর

তাৎপর্য এই যে, ইহলোকের কথ! দূরে থাকুক, দেবলোকেও যে সকল শান্তর, সংখ্যা, লিপি গণনা প্রভৃতি প্রচলিত আছে, সে সমস্ত ইনি পুর্বে শিখিয়াছেন

ইনি কোটিকোটি কল্প লোকশিক্ষার নিমিত্ত মন্ুধ্যগণের অনুকরণ করিতেছেন, এবং শিক্ষিতশিক্ষার নিমিত্ত বুবালক অগ্রগামী করিয়া এই লিপিশালায় আগমন করিয়াছেন। তীহার এইরূপ করিবার উদ্দেশ্য কেবল লোকশিক্ষা, সত্বপরিপাক স্তুন্যান্ত সমস্ত প্রাণীকে বিনীত কর! মুক্ত করা!

তিন লোকে যাঁা প্রচারিত আছে, তাহার কিছুই উহার 'অবিদিত নাই। কি দেব, কি মনুষা, সকলের মধ্যে ইনি শ্রেষ্ঠ ইনি বহুকল পুর্বে বাহ! শিখিয়া রাখিগাছেন, তোমরা তাভার নামও জান নাঁ। সে সকল লিপির কিছুই জান না।

অনন্তর, মেই দেব্পুবর এই গাত্রাত্রপ্ন গান করিয়া তনুহ্র্তে দেই স্থানেই অন্তহিত হইলেন এই অদ্ভুত ব্যাপারে তত্রস্থ জনগণ মুগ্ধ প্রায় হইল অনস্তর, রাজ! শুদ্ধোদন অমাত্যবর্ণ কুমারকে লিপিশালার অধ্যক্ষ বিশ্বামিত্রের নিকট অর্পণ করিয়া যথাগতস্থানে গমন করিলেন, কেবল দাস দাসী ধাত্রীগণ কুমারের রক্ষণার্থ তথায় অবস্থান করিল।

ললিতবিস্তরনামক বৌদ্ধ গ্রন্থে এই স্থানে এক অদ্ভুত বর্ণনা আছে, তাহা দেখিয়। বিবেচন! হয়, প্রাচীনকালের সকল লোকই অলৌকিক বর্ণনা ভাল বাসিত যথ।--

বালকাচার্য্য বিশ্বামিত্র শুভ মুহূর্ত দেখিয়া কুমারকে আহ্বান করিলেন কুমার বোধিসন্ত চন্দন কাষ্ঠনির্মিত লিপিফলক*হস্তে করত বিশ্বামিত্রকে বলিলেন

“কতমাং ভে! উপাধ্যায়। লিপিং মে শিক্ষরিষ্যলি ? ব্রাঙ্গীং খরোস্ত্রীং পুক্ষরসারীং অঙ্গলিপিং বঙ্গলিপিং মগধলিপিং মাঙ্গলালিপিং মনুষালিপিং অঙ্গুলীয়লিপিং শকারিলিপিং ব্রহ্মবন্তিলিপিং ভ্রাবিড়লিপিং /কনারিলিপিং দক্ষিণলিপিং উগ্রলিপিং মংখ্যালিপিং অনুলোমলিপিং অর্ধধনুলিপিং

পপ উপ পক পাপ

* অতি প্রাচীনকাল হইতে বর্তমানকালের কিছু পূর্ব পধ্যগ্ত কাষ্ঠফলকে লেখার প্রথ! প্রচলিত ছিল। এমন কি আমরাও বাঁলককালে দোকাঁনদারদিগকে পাঠশালার হাত্রদিগহ্ক কাষ্ঠফলকে লিখিতে দেখিয়াছি রঃ

রও

৩৬ বুদ্ধদেব

দরদলিপিং খাস্তলিপিং চীনলিপিং হণলিপিং মধ্যাক্ষর-বিস্তরলিপিং পুষ্পলিপিং দেষলিপিং নাগলিপিং যক্ষলিপিং গন্ধর্রবলিপিং কিন্নরলিপিং মহোরগলিপিং অন্গরলিপিং গরুড়লিপিং মুগচক্রলিপিং চক্রলিপিং বারুমরুলিপিং ভৌমদেবলিপিং অস্তরীক্ষদেখলিপিং উত্তরকুরুত্বীপলিপিং অপরগৌড়ানলিপিং পূর্বববিদেহলিপিং উৎক্ষেপলিপিং নিক্ষেপলিপিং বিক্ষেপলিপিং প্রন্মেগলিপিং সাগরলিপিং বজ্রলিপিং লেখপ্রতিলেখলিপিং অভ্রদ্রতলিপিং শাস্ত্রীবর্তলিপিং গণনাবর্তুলিপিং উৎক্ষেপাবন্তলিপিং নিক্ষেপাধর্তলিপিং পাঁদলিখিতলিপিং দ্বিরুত্তরপদসন্ধিলিপিং যাঁধদ্দশোত্ুরপদ- সন্দিলিপিং অধ্যাহারিণীলিপিং তর্ধ্বরতসংগ্রহণনিলিপিং বিদ্যানুলোমালিপিং বিমিশ্রিতলিপিং খবিতপন্তপ্তাং রোচমানাং ধরণীপ্রেক্ষণলিপিং সর্ববৌষধিনিংষ্যন্দাং সর্ধবনারসংগ্রহণীং সর্ব ত- রুতগ্রহণীং আসাং ভে৷ উপাধ্যায় ! চতুঃষষ্টিলিপীনাং কতমাং লিপিং মাং ত্বং শিক্ষয়িষাসি ?”

হে গুরো ! আমাকে কোন্‌ লিপি শিখাইবেন? ব্রাঙ্মী লিপি? না ক্ষরোস্তী লিপি ? অথব! অঙ্গলিপি, বঙ্গলিপি, মগধ লিপি প্রভৃতি চৌষটি লিপির কোন লিপি শিখাইবেন |*

* সংস্কতলিপিতাঁলিকাটির সম্পূর্ণ অনুবাদ দিতে পারিলাম না| কারণ, & সকল লিপি- বোধক শব্দের প্রকৃত অর্থ কি? তাহ! আমরা বুঝি না। ৬৪ প্রকার্লিপির উল্লেখ আছে; কিন্তু তন্মধো অমর! ব্রান্ষী, ক্ষরোস্্বা, অঙ্গলিপি, বঙ্গলিপি, মগধলিপি,. শকারিপিপি, দরদলিপি, দ্রাবিড়লিপি, চীনলিপি, হুণনিপি, খাশ্যলিপি বা! খশলিপি,--এই বারটি মাত্র শব্দের যৎকিঞ্ধিং ভান বা অর্থ বুঝিতে পাঁরি, অবশিষ্ট গুলির কিছুই বুঝিতে পারি ন।। কাধেই উহার বঙ্গানু- বাদ পরিত্যক্ত হইল। যদি কোন বিজ্ঞ পাঠক এসকল শব্দের অর্থ ব! তাৎপর্য বুঝিতে পারেন, তাহ। হইলে উহার! যেন আমাকে অনুগ্রহ করিয়া জানান। গুলি বুঝিতে পাগ্িলে উহার '্বার৷ ভারতব্ষাঁয় ভাষার দেশের প্রাচীনত্ব উত্তমরূপে সমর্থিত হইতে পারে যদি কেহ খলেন, উহা বুদ্ধদেবের কথা নহে, উহা৷ গ্রন্থকারের বর্ণনামাত্র, তাহ। বলিলেও উহার প্রাচীনত্ব সপ্রমাপ হইবে। কেনন।, অনু[ন সার্দক সহস্র বংসরের পুরেরবর মহাবস্ত অবদান নামক অন্য একখানি গ্রচ্েও সকল দেশের সকল টি উল্লেখ আছে। যথা বুদ্ধশিষ্য মহাকাশ্যপ মহাকাত্যায়নকে বলিতেছেন,

“যা ইম! লোকে সংজ্ঞ। ব্রাহ্ম, নারী থরোস্তী। যাঁবনী, ব্রন্মবাণী, পুষ্পলিপি, কুতলিপি। শক্তিনলিপি, ব্যত্যস্তলিপি, লেখলিপি, মুদ্রালিপি, উকর-মাধুর দরদ-্চীন-হুণ-পর1, অঙ্গর বঙগ। ড্রাধিড়া, সীহলাএমিদা, দুর রমঠ ভয়--বৈচ্ছেতৃক, গুল্সলা, হস্তদ!ঃ কমলা, কেতকা, কুন্ধুরা, লতিকা, জজরিদেধু, অকখরদদ্ধং সর্ববা এষ। বোধিসত্বানাং নীতি? ।”

এই গণনার মধ্োপণমুদ্রালিপির” উল্লেখ আছে। উহা ধদিঠিক নামান্ুরূপ তাৎপর্য্য প্রযুক্ত হইয়। থাকে, তাহ! হইলে আমর! সাহস করিয়। বলিতে পারি, বুদ্ধদেবের অথব! তাহার . পূর্ব্বে অর্থাৎ তিনসহস্রাধিক বর্ষের পূর্বে মুদ্রালিপি প্রচলিত ছিল। তথন কাষ্ঠফলকে অক্ষর দোদিত করিয়া অন্থিত করা ভইত। বৌদ্ধগ্রশ্থের এই প্রমণ আমাদের ব্যবস্থা শাঙ্জ দেখিলে অবশ্যই বলবান্‌ ইইবে। কেনন!, আমাদের দেশের প্রাচীন স্মৃতিশান্ত্রেও মুদ্র(লিপির উল্লেখ অ।ছে। চত্তীপাঠ পুরাণপারারণ-ব্যবস্থ। প্রনঙ্গে লিখিত হইয়াছে, মুঞ্জালিপি পাঠ করিলে পুণ্যফল হয় নী মুদ্রালিপি না থাকিলে কি প্রকারে তাহ! নিষিদ্ধ হইতে পারে? সুতরাং বিবেচন! করিতে হইবে স্মতিকালেও মুদ্রলিপি ব। ছাপার অক্ষর প্রচলিত ছিল। স্মৃতিতেও মুদ্রা লিপির প্রসিদ্ধি আছে।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ। ৩৭

শুনিয়! বিশ্বামিত্র অবাঁকৃ। তিনি বিল্ময়ে পরিপূর্ণ হইলেন». তীহার বিদ্যা- ভি্ান তিরোহিত হইল, দর্প অন্তহিত হইল তিনি ভাবিলেন, ইনি বালক নন্‌, নিশ্চিত ইনি কোন জ্ঞানমূর্তি অব! বিদ্যার অবতার কিয়ৎক্ষণ পরে তিনি নিম্নলিখিত গাথাটি গান করিলেন আশ্চর্ধ্যং শুদ্ধসত্বস্ত লেকে লোকা নুবস্তিনঃ | শিক্ষিতঃ সর্ববশান্ত্রেকু লিপিশালামুপাগতঃ যেষামহং নামধেয়ং লিগীনাং প্রজানমি। তত্র শিক্ষিত: মন্থো লিপিশালামুপাগতঃ বক্ত,ং চাস্ঠ পশ্যামি মুর্ধীনং তস্ত নৈবচ | শিক্ষয়িষ্যে কথং শ্যেনং লিপিপ্রজীপারণতম্‌ দেবাতিদেবে! হাতিদেবঃ সর্ববদেবোভমোবিভুঃ অসমশ্চ বিশিষ্টুশ্চ লে।কেধপ্রতিপুদ্গলঃ অস্তৈব ত্বন্ুভাবেন প্রজ্ঞোপায়ং বিশেষতঃ | শিক্ষিতং শিক্ষয়িষ্যামি সর্ববলোকে পরায়ণম্‌ [ ললিতবিস্তর | ইহলোঁকে মনুষ্যর্ূপধারী শুদ্ধসত্বের লিপিশালায় আগমন হওয়া অতি আশ্চর্য কেন না, তিনি সর্কালে সর্বশাস্ত্রে স্রশিক্ষিত। আমি যে সকল লিপির নামও জানি না, সেই সকল লিপিতে সুশিক্ষিত থাঁকিয়াও ইনি লিপি” শালায় আগমন করিয়াছেন। আমি ইহার মুখপানে চাহিতে অক্ষম, মন্তক দেখিতেও অক্ষম, কি প্রকারে আমি এই লিপি-জ্ঞান-পারদর্শীকে লিপিশিক্ষা দিব। ইনি দেব, অতিদেব, সকল দেবতার মধ্যে উত্তম দেবত1। উহার সমান নাই এবং ইহার সদৃশ সত্ব জীন নাই। ইউন্ারই প্রভাবে প্রজ্ঞালভের উপাক্স শিক্ষা করা যায় এবং এই সর্ধলোকাশ্রয়কে আমি কি শিখাইব ? মহাত্মা শাক্যসিংহের বিদ্যারস্ত কালের এইরূপ ইাত্হাসপ আমাদিগকে টমতকৃত করিতেছে এবং আমাদিগকে সত্যমিথ্যাসংশয়ে বিলোড়িত ' করিতেছে যাহাই হউক, এই ঘটনার পর কি হইয়াছিল, একবার তাহার অনুসন্ধান কর! যাউক। বালক-গুরু বিশ্বামিত্র ভয়ে, মোহে বিস্ময়ে জড়ীভূত হইলে ভগবান্‌ শাক্মুনি তৎপরে আর তাহাকে কিছুই বলেন নাই সামান্ত বালকের ন্যায় লিপিফলকহস্তে গুরুর অভিমুখে উপবিষ্ট হইয়া যথানিয়মে উপদেশ প্রতীক্ষা

৩৮ বুদ্ধদেব।

করিয়াছিলেন। মোহ্ভঙ্গের পর গুরু বিশ্বামিত্র প্রোক্তঘটনাঁকে জাগ্রৎস্প্র অথবা ভ্রমের £প্রতারণা ৪বিবেচন। টকরিলেন। অনস্তর যথানিয়মে অ-কারাদ বর্ণ সকল একে একে উপদ্দেশ করিতে লাগিলেন

কথিত আছে, ভগবান ( শাক্যসিংহ) যখন যে-বর্ণ উচ্চারণ করিয়াছিলেন, তখনই সেই বর্ণের এক একটা. বৈরাগ্যস্চক রহস্ত অর্থ আকাশ হইতে প্রতি, ধ্বনিত হইয়াছিল।

গুরু উপদেশ কারলেন, অ।

শাকা(সংহ বলিলেন, অ।

আকাশে ধ্বনিত হইল,--“অনিত্যঃ সর্বঃ সংসারঙ্কন্ধঃ |” সমস্ত সংসার

অনিত্য

গুরু উপদেশ করিলেন, আ।

বুদ্ধদেব উচ্চারণ করিলেন, আ।

আকাশে ধ্বনিত হইল,--“আত্মপরহিতঃ কার্ধ/: আপনাঁব পরের হিত

করিবেক।

গুরু বলিলেন, ই।

শীক্য বলিলেন, ই।

আকাশে ধ্বনিত হইল,_-“ইন্দ্িয়বৈপুলযম্‌ মা কুরু। ইন্ট্িয়দিগকে পুষ্ট

করিও ন!।

গুরু উপদেশ করিলেন, ঈ।

শীক্য উচ্চারণ করিলেন, ঈ।

আকাশে উচ্চারিত হইল,--“জঈতিবহুলং জগৎ।”' জগৎ ঈত পরিপূর্ণ অর্থাৎ]

বিত্রপরিপুর্ণ।

গুরু বলিলেন, উ।

সিদ্ধার্থও বলিলেন, উ।

আকাশে শঙ্গ হইল, “উপদ্রববহুলং জগৎ।» জগতে উপদ্রবই অধিক।

প্রতে'ক বর্ণের উচ্চারণকালে আকাশে এনক্ একটী প্রতিশব উত্থিত হুইয়াছিল।* সেই সকল অমানুষ বাক্য শ্রবণ করিয়! গুরু শিষাবুন্দ যারপর

পুস্তক-কার] ঘাঁড়িয়। যাইবে, এই ভয়ে সকল অক্ষরের প্রতিশব্দ দিলাম না ফল, ৫*টা অক্ষরের ৫*্টা প্রতিশব্দ আছে এখং ৫*টিই ধ্ীমূলক | এই সকল কথা ললিতবিস্তর গ্রন্থ হইতে উদ্ধ হইল

তৃতীয় পরিচ্ছেদ ৩৯

নাই বিশ্মিত হইয়াছিলেন। বৌদ্ধ শাস্ত্রে ইভাও লিখিত আছে, ত্র সকল অমানুষ বাক্য বুদ্ধের প্রভাবেই আকাশে অভিব্যঞিত হইয়াছিল এবং সকল অমানুষ প্রতিশব্দের এক একটা প্রতিশব্দ ধর্মবীজ অথবা! বৌদ্ধধর্মের অঙ্গ শেষ কথ। এই যে, ৫০ অক্ষরে ৫*টী আকাশ বাণী হইয়াছিল এবং সেই ৫০ আকাশবানীই বৌদ্ধধর্মের সার

কুমার শাক্যসিংহ লিপিশালায় থাকিয়! প্রোক্তপ্রকারে প্রথমে বর্ণ, তৎগরে বাকা-যোজন, তৎপরে শাস্ত্র সমুদয় শিক্ষা করিলেন পরস্ত এই সকল শিক্ষা করিতে তাহার অধিক সময় অতিপাতিত হয় নাই।

বৌদ্ধগ্রন্থে, আরও লিখিত আছে, ভগবান্‌ বুদ্ধদেব যখন লিপিশালে থাকিয়' লিপিশিক্ষা করেন, তৎকালে সেই পাঠশালায় নাকি দ্বাদশ সহত্র বালক লিপি- শিক্ষার্থ উপস্থিত ছিল এবং সেই দকল বালকদিগকে তিনি গোপনে সম্যক জ্ঞান উপদেশ করিতেন। সমাক্‌ জ্ঞান কি? বুদ্ধদেবের অভিমত সম্যক জ্ঞান কি? তাহ পশ্চাৎ ব্যক্ত হইবে।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ |

শীকাদিংহের কৌমার জীবনের অপর একটা কথ। এবং বিবাহ

বুহ্দেব শিশুকাঁল হইতেই ধ্যানশিক্ষা করিয়৷ আসিতেছিলেন এক্ষণে তাহার দেই শিক্ষা সেই ধ্যান যৌবনআগমে পরিপাক গ্রাপ্ত হইল। ইতিহাস- লেখকের! ইহার বাল্যজীবনের ইতিহাদেও অলৌকিক ক্ষমত। প্রবেশ করাইয়া- ছেন, কাঁষেই ইহার প্ররুত চরিত্র প্রচ্ছন্ন আছে। ললিতবিস্তর নামক বুদ্ধ- ইতিহাস গ্রন্থে ইহার কৌমারচরিত্র সম্বন্ধে অনেক অলৌকিক বর্ণনা আছে, তন্মধ্য হ্টতে একটা মাত্র কথা আমর! উদ্ধৃত করিলাম। এই কথাটাই ইহীর ভবিষাদৈরাগ্যের সোপান অথবা বীজ

শাক্যপিংহ ক্রমে বয়ঃপ্রাপ্ত হইলেন সময়ে অনেক কুমার তাহার ধহচর হইল। একদা তিনি বয়ন্তদ্িগের সঙ্গে এক কৃষি গ্রাম পরিদর্শনে গমন কারলেন। সেখানে তিনি কৃষকদিগের কাধ্য স্বভাবচরিরাদি পধাবেক্ষণ করিয়া তথ! হইতে এক উগ্ভানমধ্যে প্রবেশ" করিলেন। সহচরের। এদিক ওদিক গমন

৪৬ বুদ্ধদেব

করিল, ক্রীড়াসক্ত হইয়া কুমারের সঙ্গ পরিত্যাগ করিল ; এই অবকাঁশে ভগবান, বোধিসত্ব সেই উদ্যান হইতে বহিহ্ত্াস্ত হইয়া! তন্নিকটগ্ত কোন এক রমণীয় প্রদেশে একাকী ভ্রমণ করিতে লাগিলেন দেখিতে পাইলেন, অদূরে একটা রমণীয় জঘঘ,বৃক্ষ ছায়াবিস্তার করতঃ বিরাজিত আছে। দেখিয়া গ্রীত হইলেন এবং ধীরে ধীরে তাহার তলদেশে গিয়া! উপাবষ্ট হইলেন

ধ্যানোপযুক্ত রমণীয় প্রদেশ দেখিয়! তাহ!র ধ্যানেচ্ছা ভইল। প্রথমে তিনি চিন্তকে একাগ্র করিলেন। চিত্তের কামনা! অন্যান্ত অকুশলবৃত্তি সকল শিরুথান করিয়া সাবতর্ক সবিচার ধান সবলম্বন পুর্ববক প্রথমতঃ প্রীতিন্ুখ নামক ধান-ম্থথ অন্থভব করিতে লাগিলেন। সবিশুরক সবিচার ধ্যানের দ্বার! আত্ম প্রসাদ আগত হইলে তাহার চিত্ত তখন এক অখগ্ডাকার বৃত্ত ধারণ করিল। তখন তিনি নির্বিতর্ক-নির্বিচার নামক দ্বিতীয় ধ্যানে নিমগ্ন হইলেন, হইয়! অনির্ধচনীয় গ্রীতিসুথ প্রাপ্ত হইলেন। অল্পক্ষণ মাত্র প্রীতিহ্থথ অনুভব করিয়! তদৃদ্ধবর্তী তৃতীয় ধান আচরণ করিলেন। তৃতীয়ধ্যানে প্রীতিস্থথেও উপেক্ষা হয়, যাবজ্জীবনের যাবজ্জন্মের দৃষ্ট, শ্রুত 'ও অনুমিত পদার্থরাশির ম্মরণ হয় এবং প্রতিসন্বেদন নামক প্রপ্ঞ। বিশেষের উদয় হয়। লোকে যাহাকে নির্দদল প্রজ্ঞা অথবা অপ্রতিহত জ্ঞান বলে,যে জ্ঞান আবিভূতি হইলে, জগত্রয় করামলকবৎ প্রতিভাত হয়, পেই জ্ঞানের অন্ত নাম প্রতিসন্বেদন সম্প্রজ্ঞা।

অনস্তর তিনি এতদৃদ্ধবন্তী নির্মল চতুর্থ ধ্যান আহরণ করিলেন। চতুর্থ ধ্যানে সুখের নাশ, হুঃখের অস্ত, সৌমনস্তের দৌন্ধনস্তের অভাব, সুখ-দুঃখের উপেক্ষা, প্ররণশক্তির পরিশুদ্ধি শগীরাদির অবর্শন হয়। কুমার শাক্যসিংহ এখন সেই জন্ববৃক্ষমূলে উপবিষ্ট হইয়া এতাদৃশ চতুর্থ ধ্যালে নিমগ্ন হইলেন।

বুদ্ধদেব জন্ব,মূলে চতুর্থ ধ্যানে নিমগ্ন আছেন, এমন সময়ে পাঁচ জন মহানুভব খষি দক্ষিণ দিক্‌ হইতে আকাশপথে সেই জদ্ববনের উপর দিয়! উত্তর দিকে ঘাইতেছিলেন ( যেই মাত্র তাহার! জম্ববনের উপরে আসিয়াছেন, অমনি তাহার! শক্তিহীন, ক্ষমতাহীন প্রত্যাহত হইলেন আর যাইতে পারিলেন না। স্রাহার। আশ্চর্য্য হইয়া ভয়ে বিস্ময়ে অভিভূত হইয়! নিঙ্নলিখিত গাথায় বলাবলি করিতে লাগিলেন ।--

“ষয়মিহ মণিবজ্রকুটং গিরিং মেরুমত্যুঙ্গতং তির্যযগর্থং বিস্তারিকম্‌!

তৃতীয় পরিচ্ছেদ ৪১

গজইব সহকারশাখাকুল।ং বৃক্ষবৃন্দাং প্রদারিত নিধণীবিত। নেকশঃ বয়মিহ মরূনাং পুরে চাঁপি শক্ত! গত বক্ষগন্ধর্ববেশ্বনি চোর্ধং নভে নিশ্রিতাঃ | ইমং পুনর্বনথগুম।ন।দা সীদাঁম ভে? কল্ত লক্ষ্মীনিবর্তেতি খদ্ধেবলম্‌।” আমর! মভাঁগজের শ্যায় স্থমেরুমন্তকস্থিত বন বিদীর্ণ করিয়! গমন করিয়!

থাকি। বায়ুপুরে, ইন্ত্রপুরে ক্ষগন্ধর্বাদির নগরে গমন করিয়া থাকি। কিন্ত আজ আমরা এই জন্ববনে আমিয়! অবদন্ন হইলাম ! ইহা কাহার যোগবল ?

কাহার প্রভাব ? কাহার প্রশ্বর্যাবলক্লমে আমাদের অপ্রমেয় প্রশ্বর্ষবল প্রতিহত হইল ? শুনিয়! সেই বনের বনদেবত1 অলক্ষ্যে গ্রতুত্তর করিলেন £- “নুপতিকুলোদিতঃ শাক্যরাঁজাত্মজে।বালনূরধা প্রকশপ্রভঃ | স্ষ,টিতকমলগর্ভবর্ণ প্রভশ্চরুচন্দ্রাননো লৌকে জোঠ্ে! বিডঃ। অয়মিহ বনমা শ্রিতে। ধ্যাানচিন্ত(পরে। দেবগন্ধব্বনাগেন্দ্রবক্ষ।চিতঃ | ভবশতগচণকোটিসংধদ্ধিতস্তম্ত লক্ষ্মী নিবর্তেতি খদ্ধের্বলম! 1৮ যিনি রাজকুলে জন্মিয়|ছেন, ধিনি শাক্যরাজার আত্মজ, যাহার শরীর প্রভ। নুরয্য-প্রভাঁব তুলা, ধাহার বর্ণ প্রফুলকমলের গর্ভবর্ণের সমান, যিনি সর্ধলোকের শ্রেষ্ঠ, তিনিই এই বনে ধ্যান করিতেছেন, তিনিই তোমাদের যোগবল প্রতিহত করিয়াছেন। খধষিগণ দৈববাণী শুনিয়া! অধস্তল অবলোকন করিয়! দেখিলেন যে, শোভায় তেজে জাজ্বল্যমান এক নব বালক নিমীলিতনেত্রে উপবিষ্ট আছেন। দেখিয়! তাহারা মনে ভাবিলেন, ইনি কে? ধনাধিপতি কুবের? অথবা রুদ্র? কিংব৷ সহতরশ্মি স্্য্য ? অথব! ইনি নিষ্পাপ বুদ্ধ? পুনর্বার দৈববাণী হইল,__-“ষে শ্রী কুবেরে, যে শ্রী ইন্দ্রে, যে শ্রী ত্রহ্ায়, যে শ্রী গ্রহনক্ষত্রে, সেই শ্রী এই শাকাতনয়ের কান্তি হইতে অপগন্ত নহে ।১ অনস্তর খষির! ধরণীতলে অবতরণ করতঃ ধানস্থ বুদ্ধদেৰকে স্তুতি কর্মিতে লাগিলেন। এক খাঁধ বলিলেন,---

“লোকে ক্রেশা গ্রিসন্তপ্ডে প্রাছতূ ভোহায়ং হুদ্ঃ। অনলং তং প্র।পস্ুতে ধর্শং বজ্জগন্মোচয়িষ্যতি ॥""

লোক সকল ক্লেশরূপ অগ্নিতে উত্তপ্ত ভইয়াছে। তাহাদের জন্ত এই সুশীতল হুদ প্রাহ্ভূত হইয়াছে যে ধর্ম জ্গংকে মুক্ত করিবে, ইনি সেই ধর্ম পাইবেন।

৪২ বুদ্ধদেব

অন্য খধি নলিলেন,-_ “অজ্ঞানতিমিরে লোকে প্রাহুভ্‌ তঃ প্রদীপকহ। অয়ং তং প্রাপ,সাতে ধন্মং যজ্জগন্মোচয়িষ্যতি ॥", লোক সকল অজ্ঞান-অন্ধকারে পরিপূর্ণ হইয়াছে যে অন্ধকার বিনাশের জন্ত এই প্রদীপ আবিভূতি। যে ধর্মে জগতের মুক্তি হইবে, ইনি সেই ধন্ম পাইবেন। অপর খধি বলিলেন, “শোকলাগরকান্তারে যানশ্রেষ্টমুপস্থিতম্‌ অয়ং তং প্রাপত্ভতে ধর্মং যজ্জগতারক্িষ্যতি ॥" ম্পার শোকসমুদ্রের নৌকা আগত হইয়াছে অথবা ছুর্গম সংসার- গহনের বান আগত,হইয়াছে বে ধর্শ জগৎকে উত্তীর্ণ করিবে, শোকসমুদ্রের পরপারে লইয়। যাইবে, ইনি সেই ধর্ম পাইবেন শান্য খষি বলিলেন, -- “রাব্যাধিকিলিষ্টীনাং প্রাদুভু তোভিষগ্বরঃ। অয়ং তং প্রাপ এতে ধন্থং জাতিমৃতুযুপ্রমোচকম্‌ ॥” জরাব্যাধিক্ি্| সংসাররোগীদিগের জন্ত বৈগ্ভরাজ আবিভূতি হইয়াছেন। যে ধর্ম জরামৃত্যু হইতে বিমুক্ত করে, ইনি সেই ধর্ম পাইবেন খষিগণ:-এইরূপ গাথাগান করিয়া প্রদক্ষিণপূর্ববক প্রণাম করিলেন ) তৎপরে পুনর্বার আকাশপথে গমন করিলেন এদিকে রাজ। শুদ্ধোদন কুমীরকে না দেখিয়া উদ্দিগ্ন হইয়াছেন। তিনি জানেন না যে, তাহার কুমার কৃষিগ্রামের জদ্ববনে গিয়। ধান করিতেছেন। রাজ। কেন, ঘটনা! কেছুই জানেন না। রাজ! নিতাত্ত .উদ্দিগ্র হইয়া অমাত্য- দ্রগকে আহ্বান করিলেন এবং জিজ্ঞাসা করিলেন, কুমার কোথায়? অনস্তর অমাত্য অন্ুচর সকলেই কুমারের অন্বেষণে প্রবৃত্ত হইল। এক জন অমাত্য ক্ৃষাণগ্রামের জদ্ববনে গিয়া দেখিল, কুমার নিবিড়শাখ জন্ব বৃক্ষের তলদেশে তৃণনির্িত আসনে উপবিষ্ট হইয়া গভীর ধ্যানে নিমগ্ন আছেন। আরও এক আশ্চর্যা দেখিল।--মধ্যাহৃকাল অতীত হইয়াছে, অপরাহৃতা প্রযুক্ত ভন্যান্তবৃক্ষের £*ছায়া পরিবস্তিত হইয়াছে ;. কিন্তু সেই জন্ব বৃক্ষের ছায়া কিঞ্চিন্মাত্র পরিবর্তিত হয় নাই। কুমারের শরীর শীতল করিস

তৃতীয় পরিচ্ছেদ ৪৩

রাখিয়াছে। এই অন্ভুত ব্যাপার সন্র্শনে অমাতোর মনে প্রীতি বিশ্ময় উভয়ই উৎপন্ন হইল। অমাত্য আশ্চর্ধযান্বিত হইয়া দে সংবাদ তৎক্ষণাৎ রাঁজ- সকাশে বহন করিল

রাজ! শুদ্ধোদন অমাত্যমুখে ওঁ অদ্ভূত বার্তা শ্রবণ করিয়া অবিলম্বে সেই জন্বংতলে গমন করিলেন। কুমার তখনও ধ্যানস্থ। রাজ) দেখিলেন, যেন এক অনির্ধ্বাচ্য তেজোরাশি রমণীয়তম মুক্তিতে কোন এক অনির্বাচ্য ভাব ধ্যান করিতেছেন দেখিয়া রাজার চৈতন্য হইল, পুত্রভাব অপগত হইল। কে যেন তাহাকে অন্থুরোধ করিল,_-আকর্ষণ করিল,__তাই তিনি পুত্রভাব ভুলিয়া গিয়া! বুদ্ধভাবে বুদ্ধদেবকে প্রণাম করিলেন

কুমার শাক্যসিংহ প্রাতঃকাপাবধি অপরাহু পর্যন্ত ধ্যানস্থ থাকিয়া! সৌগত জ্ঞানের দ্বারা শাক্যগণের খন্ধি পরিদর্শন পৃর্ব্বক প্রতিবুদ্ধ হইলেন অর্থাৎ তীহার সমাধি ভঙ্গ হইল সমাধিভঙ্গের পর, ততস্থানে পিত। সমাগত হইয়াছেন দেখিয়া, প্রথমে কাহার চরণ স্পর্শ করিলেন, অনস্তর্ন তাহার সহিত :নিম়লিখিত প্রকারে আলাপ করিতে লাগিলেন

“পিতঃ ! আপনি হিংসাময়ী কৃষি পরিচ্যাগ করুন। এই কাধ্য নিতান্ত গহিত। ইহাতে পদে পদ্দে হিংসা ঘটন। হয়। স্বরণে প্রয়োজন থাকিলে সুবর্ণ বৃর্টি করিব, বন্ত্রের প্রয়োজন হলে বন্ত্রর্ষণ হইবে, অন্ত যা! কিছু চাহেন-. সমস্তই পাইবেন-_-আপনি এই হিংসারূপ! কৃষি পরিত্যাগ করুন | সর্ধজগতের স্থখোদ্দেশে উদ্বাক্ত হউন |”

কুমার শাক্যসিংহ পিতার কুষিগ্রাম দেখিতে গিয়া হংখিত হইয়াছিলেন। সঁহার চিত্ত পরদুঃখে বিচলিস্ত হইয়াছিল। তাই তিনি ধ্যানস্ত হইয়া, সমাহিত হইয়া, চিত্রচাঞ্চল্যের অবরোধ, দুঃখের বিঘাত, শাক্যকুলের ভবিষ্য খান্ধি, সম্যক্‌ জ্ঞানের লাভোপায়, জগতের দুঃখবিনাশ/_এই সকল বিষয়ের অনুসন্ধান করিতে- ছিলেন। পিতা আগমন করিলে, স্তাহার ধান ভঙ্গ হইল! তিনি ষে আপনার বোধিত্বলাঁভের জন্ত জগতের হিতের জন্য চিত্তৈকতানতা উত্থাপন করিয়া" ছিলেন, ধ্যানভঙ্গ হইলেও তাহার বেগ তখন পর্বাস্তও ছিল। তাই তিনি পিতাকে সমাগত শীক্যদ্দিগকে হুঃখাস্তকর উপদেশ সকল দিয়াছিলেন। উপদেশ দেওয়া শেষ হুইলে, তিনি শ্বজনসমূহে পরিবৃত হইয়া! প্রফুলপমনে কপিল- বন্ত নর্গরে পুন£প্রবেশ করিয়াছিলেন।

৫?

৪৪ বন্ধদেব।

শাক্সিংহের বিবাহ

.শাক্যগণ যে দিবস শাক্যসিংহকে কৃষিগ্রামের জদ্ঘ,বৃক্ষমূলে সমস্ত দিব ধ্যানন্থখে অতিবাহিত করিতে দ্েখিয়াছিল--সেই দিন হইতেই তাহাদের মনে কুমারের গার্থস্থা সম্বন্ধে বিশেষ অভিশঙ্ক! জন্মিয়াছিল। তদবধি তাহারা সর্বদাই ভাবিত, মৌহূর্তিকগণের গণনার ..প্রথম পক্ষ * সত্য হইলে, নিশ্চিত এই রাজবংশ উচ্ছেদে প্রাপ্ত হইবে |

রাজা শুদ্ধোদন একদ। প্রধান প্রধান শীক্যের সহিত সভামধ্যে উপবিষ্ট আছেন, এমন সময়ে তাহার অমাতাগণ তাহাকে বলিতে লাগিল £--

“মহারাজ ! কুমার ভূমিষ্ঠ হইলে মৌহৃত্তিক গণ যাহা বলিয়াছিল,তাহ। আপনার প্ররণ থাকিতে পারে। কুমারের অঙ্গ-লক্ষণ পরীক্ষা করিয়া তাহারা বলিয়া- ছিলেন।--

' “বদি কুমারোইভিনিফ মিষাতি তথ।গতে। ভবিষ্যতি অন্‌ সম্যক্‌ সন্থদ্ধযঃ উত নাঁভি- নিষ্ধ মিব্যতি রাজ ভবিষ্যতি চত্রুবত্তী সপ্তরত্রমন্বাগতঃ1”

এই কুমার যদি গৃহ হইতে নিষ্রান্ত হন, গৃহত্যাগ করেন, তাহা হইলে ইনি তথাঁগৃত অর্থাৎ বুদ্ধ হইবেন। আর যদি গুহে থাকেন, তাহা হইলে ইনি ধার্শিক গ্রবর চক্রবর্তী য়াজা হইবেন এবং সপ্তরত্ব + প্রাপ্ত হইবেন। অতএব হে.মহাঁরাজ। আমাদের বিবেচনায় কুমারকে শরীঘ্র শীপ্ব গৃহনিবি অর্থাৎ বিবাহিত কর! উচিত। ক্ত্রীগণবেষ্টিত থাকিলে কুমার রতি বা সুখ অনুভব করিবেন, তাহা হইলে আর নিজ্্রান্ত হইতে পাঁরিবেন না। এই কার্ধ্য শাগ্র নির্বাহ কর। উচিত। করিলে অবস্তই এই চক্রবর্তী বংশ অনুচ্ছেদ-দশ! প্রাপ্ত হইবে, আমরাও অন্তান্ঠ রাজগণের নিকট সম্মানিত থাকিব ।”

রাঁজা বলিলেন, “তবে আপনার! কুমারের উপযুক্ত! কন্তা অনুসন্ধান করুন।”

বলিবা মাত্র শত শত শাকা, হর্ষে উৎফুল্ল হইয়া উঠিল এবং “আমার কন্তা কুমারের অনুরূপা,__আমার-কন্ত! কুমারের অন্ুরূপ1।” এই বলিয়া! উচ্চরব করিতে লাগিল।

রাজ। শুদ্ধোদন কিছুক্ষণ মৌনী থাকিয়া! অবশেষে বলিলেন, «বড়ই ছুক্ষর 1

পা শি পস-০৯ পাপ পা পা লাশ পাপ পাপা িপপীশিপপিপল

* শাকাসিংহ ভূমি হইলে গণকগণ গণনা করিয়া বলিয়াছল, এই কুমার ষদি অভিনিষ্ক.ম করেন, অর্থৎ গৃহত্যাগ করিয়! যান, তাহ! হইলে ইনি বুদ্ধ হইবেন। আর যদি গৃহে থাকেন, তাহ! হইলে চক্রবর্তী রাজ! হইবেন + অশ্বরত্র, ছত্ররত্ব, অমাত্যরত, প্রস্ততি

তৃতীয় পরিচ্ছেদ ৪৫

কুমার নিতান্ত ছুরাসদ !-_আঁপনাঁর! যাঁন,-কুমারকে গিয়! বলুন,_তুমি কোন্‌ কন্তার পাণিগ্রহথ করিবে ।””

অনন্তর শাক্যগণ কুমারের নিকট গমন করিল রাজার প্রস্তাব বিজ্ঞাপিত করিয়া বলিল “কুমার! আপনি কোন্‌ কন্ঠার পাণিগ্রহণ করিতে ইচ্ছুক, তাহা বলুন 1৮

কুমার প্রত্যুত্তর করিলেন, “সপ্তাহ পরে প্রত্যুত্তর দিব।” শুনিয়া অমাত্যগণ যথাগত স্থানে গমন করিল

অমাত্যগণ গমন করিলে, কুমর মনে মনে বিচার করিতে লাগিলেন ।-- কামের অনন্ত দেষ, তাহ! আমি জানি কামই সকল ছুঃখেয়। সকল শোকের মূল, ইহ! আমি বিদিত আছি। কাম ভয়ঙ্কর খড়ীপারার তুলা, প্রজ্লিত অন্নিবম, ইহাও আমি জ্ঞাত আছি। আমার কামভোগে ইচ্ছা! নাই, তাহাতে অনুরাগও নাই। যে আমি প্রতিদিন বৃক্ষমূলে সমাধিস্থথে শান্তচিত্তে বাস করিব, সেই আমি কিপ্রকারে স্ত্ীগৃহে থাকিব? যে আমি মৌনত্রয়* অবলম্বন করতঃ বিজন বনে শোভ। পাঁইব, সেই আমি কি স্ত্রীসংবৃত হইয়। গৃহমধ্যে শোভা পাইতে পারি? পুনব্বার অন্তদ্দিক্‌ ভাবিয়া দেখিলেন। ভাবিলেন, না,বিকারের মধ্যে থাকিয়! নির্তিকাঁর শিক্ষা দেওয়াই কর্তব্য,__সন্বপরিপাক প্রদর্শন করাই উচিত,-_-পরিবারদিগকেও বিনয় শ্রিখান ভচিত। পদ্ম কর্দমেই বৃদ্ধি পার, জলমধ্যেই শোভ।1 পায়। অতএব, বোধিসত্ব বদি পরিবার লাভ করেন, তথাপি তিনি শত শত প্রাণীকে মুক্ত করিতে পারেন পুর্ব পুর্বব বোধিসত্বেরাও ভার্ধ্যা- পুভ্র গৃহধন্্ দেখাইয়া! গিয়াছেন, অথচ তাহার! অনুরাগী ছিলেন না, বিষয়ব্যাসক্ত ছিলেন না,_-ধ্যানত্রষ্টও হন নাই,_সুখচ্যুতও হন নাই। কি থেদ ! যাঁহাই হউক, আমিও পূর্ব বুদ্ধের দৃষ্টান্তে লোক শিক্ষা দিব, তাহাদেরই গুণ প্রচার করিব!

এইরূপ স্থির করিয়৷ তিনি একটা গাথা গান করিলেন ।1 সপ্তদিবস আগত হইলে তিনি অন্ত একটা গাথ! পত্রাব্ঢ় করিয়া পিতৃসমীপে প্রেরণ করিলেন গাথাটা এই +--

2815755িনিারযারার রানার টিনার রর * খাঁক্যমৌন, ইঞ্জিয়মৌন চিত্তমৌন অর্থাৎ কথা না বল।, সুথেশ্ড্িয় পরিচালন না কর! এবং চিত্তবৃত্তিনিরোধ কর!। + গাথাটা ললিতবিস্তর গ্রন্থে আছে। ইচ্ছ। হয়ত ঘ-চিহিত পরিশিষ্ঠ দেখুন। প্রবন্ধ কর্কশ হইবে ভাঁবিয়। গাঁথাটা অন্ত স্থানে দিলাম।

8৬

বুদ্ধদেব।

নি প্রকৃত মম ব্ধূরনরূপ বা শ্তাৎ যন্তা৷ ঈব্যাদিগুণাং সদ সত্যবাক্যা য! মহ চিত্তমভিধারয়তেই প্রমতী। রূপেগ জন্মকুলগোত্রতয়। স্মুদ্ধ1

যা গাথলেখলিখিতে গুণ অর্থ যৃত্ত।,

য! কগয ঈদৃশ ভবেন্সম তাং বরেখাঃ | মমার্থ প্রাকৃত জনেন অসংস্কৃতেন, যস্ঠা গুণা কথমমী.মম তাঁং বরেখাঃ ॥২ ঘা রূপযৌধনবরা বপমণ্তা,

মাত। স্বসা বৈ যথ বর্ততি মৈত্রচিত্বা | ত্যাগে রত! শ্রমণত্রাহ্গণদা নশীল।,

তাং তাদৃশীং মম বধূং বরয়ন্ তাত ! ॥৩ যন্তাবমান্ুরখিল। দোষমন্তি,

শাঠা ঈধ্য নচ মায় ব্রহ্গত্রষ্টী। সবপ্রীস্তরেহপি পুরুষে পরেভি রক্ত, তষ্টা স্বকেন পতিনা সদ সংযত অপ্রমত্তা ॥৪

গব্বিত অপি উদ্ধত প্রগল ভা,

নিমীনমানবিগতাপি চেটাভুতা।

পানগৃদ্ধ রসেষুন শবগন্ধে, নিলে ভিক্ষ ধিগত৷ শ্বধনেন তুষ্ট। সতো স্থিত পিচ চঞ্চল নৈব ভ্রান্ত, নচ উদ্ধতা চস্থিতা হিরিবস্ত, ছন্ন।। দৃষ্টিমঙ্গলরতা। সদ ধর্মাযুকত] | কায়েন বাচ মনসা সদ সদ্ধভাবা নচ স্ত্যানমিদ্ববহুল! মানমুড়া, মীমাংসযুক্ত সকুত। সদ ধশ্মচারী।

স্বশ্রৌ তণ্ত শ্বশুরে যথ শান্ত প্রেমা, ' দ্বাদী কলত্র জনি যাদৃশমাত্মপ্রেম ॥৭

শাস্ত্রে বিধিজ্ঞ কুশল। গণিকা যখৈব, পশ্চাৎ হ্বপেৎ প্রথমমুখিততে শধ্যাৎ। সৈচানুষন্তি অকুহাপি মাতৃভৃতা, এতাদৃশীপি নৃপতে ! বন্ুকাং বৃণীঘ ॥৮

দ. রঃ সব সং

তৃতীয় পরিচ্ছেদ। ৪৭ ্রাহ্মণীং ক্ষত্রিয়াং কন্াং বৈগ্তাঁং শুদ্রীং তখৈবচ বস্তা! এতে গুণাঃ সম্তি তাং মে কন্তাং প্রবেদয়'' ॥৯ যিনি প্রারুতা রমণী নহেন, যাহার ঈর্ষাদি মন্দগুণ নাই, যিনি সর্ধকালে সত্যবাদিনী, যিনি সদা সাবধান থাকিয়। আমার প্রতি চিভ্তধারণ করিবেন, ধাহার রূপ, কুল, গোত্র জন্ম, সমস্তই বিশুদ্ধ, সেই রমণী আমার অনুপ! বধু। যে কন্ত। গাঁথা লিপির অর্থ গুণ জ্ঞাত আছে, নেই কন্ঠ! আমার পতী হই- বার যোগ্যা, এবং আমার নি'মত্ত সেই কন্টাকে বরণ করুন। যে কন্ত! আমার অনুরূপ! হইবে, সেই কন্তার গুণ কহিতেছি। সেই সকল গুণ যাহাতে থাকিবে, তাহাকেই আমার নিমিত্ত প্রার্থনা করুন, অসংস্কৃত ও. প্রাকৃত (অশুদ্ধ) মনুষ্য আমার প্রয়োজন নাই | যে, রূপে যৌবনে উত্তম] অথচ রূপমন্তা বা যৌবনমন্তা নহে, যে মাতার স্তায় অথব। ভগিনীর স্টায় মৈত্রচিন্তা অর্থাৎ সর্বদ] কল্যাণ প্রাথিনী, যে ত্যাগশীল1, যে শ্রমণ ব্রহ্ধণদ্গকে* দান করিতে ভালবাসে, হে পিতঃ ! তাদৃশী কন্তাই আম্রবধূ হইবার যোগ্যা, তাহাকেই বরণ বা গ্রহণ করুন। সমশ্ত দোষ যাহার নিকট তিরক্কৃত এবং যাহার কোন দৌষ নাই, শঠতা, ঈর্ষা, মায়া, সকল কিছুই নাই, যে স্বপ্নেও পর-পুরুষে আসক্ত হয় না, এবং স্বীয় পতিতে সদা স্তষ্টা থাকে, এবং সদ! সাবধান সংযতচিত্ত থাকে যে গর্বিত! নহে, উদ্ধত! নহে, প্রগল্ভা নহেঃ মানিনী নছে, অথচ চেটার ন্যায়ও নহে, পানাভিলাধিণী নহে, রস, গন্ধ শব, সকল অভিলাষিণী নহে, নির্লোভ, প্রাথিনী নহে, আপন ধনে স্সন্তষ্টা থাকে | ৫-- সত্যলিষ্ট। অচঞ্চল1, অন্রান্তা, অনুদ্ধতা, লজ্জাবতী, মঙ্গলদর্শনে অভিরতা, সর্ব! ধর্পরায়ণ।, সদাসর্ধদ! কায়মনোবাকো শুদ্ধভাবা। ৬-- ধর্মে ধ্যানে আলম্তশুন্যা, খদ্বযুক্তা, মানমুঢ়! নহে, সর্বদা মীমাংসাধুক্তা অর্থাৎ বিচারদপিনী, ধন্চারিণী, শ্বশ্ধুর প্রতি শ্বশুরের প্রতি বথাশযস্তপ্রণয়ব্তী, দাস দাসীর প্রতি অন্যান্য জনগণের প্রতি আত্মসমদশিনী

স্পা সপ পপর লস পা শপ আপ াসপপপী পাস পপ পপ পপ

* শ্রামণ সন্যালী ! বুদ্ধদেব ব্রাহ্গণদ্েষা ছিলেন, এইরূপ কুসংস্কার অনেকের মনে আছে। কতকগুলি অজ্ঞলোক ইহার মূল কোনও বৌদ্ধ গ্রস্থে বুদ্ধকে ব্রাহ্মণনিন্দা করিতে দেখা যার ন।, বরং ভক্তি করিতেই দেখ! বার। উপরোক্ত বুদ্ধ বাকাটী তাহার অন্ততম নিদশন। স্লোকে “ন চব্রঙ্গলষ্ট1” কথ। আছে, তদনুসারে ইহাকে বেদজ্ঞানপ্রিয় বলিতে পারা যায়।

৪৮ বুদ্ধদেব

শাস্ত্রে শান্ত্রোক্ত কার্যে কুশলা, পশ্চাৎ শয়ন অগ্রে উত্থান কর্ধে, সর্বব- ভূতে মৈত্রী স্থাপন করে, কুহক জানে না, মাতার ন্যায় কল্যাণবতী হয়, হে মহারাজ! আপনি ঈদৃশী বধূ আমার নিমিত্ত প্রার্থনা করুন।

ব্রাহ্মণকন্য।, ক্ষত্রিয়কন্য|, বৈশ্তকন্যা, অথবা শূদ্রকন্যা, যাহাতে সকল গুণ থ|কিবেক, সেই কন্যার সহিত আমার বিবাহবন্ধ নির্বাহ করুন।

গাথ। লিপি পাঠ করির1 সভাস্ক শাক্যগণ প্রমুদিত হইল। রাজা শুদ্ধোদন পুরোহিতের হস্তে গাথালিপি অর্পণ করিয়া বলিলেন, কপিলবস্ত মহানগরে ঈদৃশী গুণবতী আছে কি ন! অনুসন্ধান করি! দেখুন।

কুলেন গোত্রেণ কুমাকে। মম বিম্মিতঃ। গুণে সত্যে ধন্দে তত্রান্ত রমতে মন

আম।র কুমার কুল গোত্র প্রভৃতিতে বিদ্মিত নহে যাহাতে গুণ, সত্য ধন্ম আছে, তাহাতেই কুমারের মন রত

পুরোহিত গথালিপি লইয়া কপিলবস্ত্ত নগরের গৃহে গুহে ভ্রমণ করিলেন 3 কিন্তু কুমারের অন্ুুরূপা কন্যা দেখিলেন না অনন্তর সর্বশেষে দণ্ডপাঁণি- শ্বাফ্যের গৃহে গিয়া দেখিলেন, দগ্ডপাণি-শাক্যের গোপা নায়ী এক :কন্য! আছে, সেই কন্যাটীই যখোক্ত-রূপগুণসম্পন্না পুরোহিত উপবিষ্ট হইলে, গোপা তাহার সমীপগামিনী হইল। চরণবন্দনপুর্রবক বলিল, মহাবাঙ্গণ ! কি কাধ্যে আপনার আগমন হইয়াছে? পুরোহিত বলিলেন, শুদ্ধোদনের পুত্র পরমরূপবান্, তেজ গুণযুক্ত ; তাহাতে দ্বাত্রিংশৎ মহাপুরুষ-লক্ষণ বিদ্ধমান আছে। তিনি গাথ। লিখিয়! দিকাছেন, এবং বলিয়াছেন, যাহাতে এই সকল গুণ থাকিবে, সেই কন্য। আমার পত্বী হইবে।

পুরোহিত এই কথা বলিয়া গথালিপি গোপার হস্তে ন্যস্ত করিলেন গাথা- লিপি পাঠ করিয়া গোপ। ঈষৎ হাস্য করতঃ গাথাভাষাক্ প্রত্যুত্তর করিলেন,-_

“মহ্যতি ব্রাহ্মণ গুগ! অনুরূপ সর্ষে দৌমে পতির্ভবতু সৌম্যন্থরূপবূপঃ। ভণপ হি কুমার যদি কার্যে মা বিলম্বং ম! হীন প্রকৃত জনেন ভবেয় বাস ॥”

হে ব্রাহ্মণ! আমাতে সমস্ত অনুরূপ গুণ আছে। সেই স্ুশোভন সৌম্য" মুত কুমার আমার পতি হউন। আপনি কুমারকে গিয়া বলুন, যদি তিনি

তৃতীয় পরিচ্ছেদ 9৯

আমাকে পত্বীত্বে গ্রহণ করেন, তবে যেন বিলম্ব না৷ কবেন এবং আমার যেন হীন- জনের সঙ্গে বসতি করিতে ন| হয়। ্‌

অনস্তর পুরোহিত রাজার নিকট গমন করিলেন এবং সমুদয় বৃত্তান্ত বিজ্ঞাপিত করিলেন

রাজ! তখন মনে মনে বিচার করিলেন, কুমার নিতান্ত ছুরাস! কি জানি, পাছে কোন অন্যথ! ঘটন! হয়! অতএব এমন কার্য কর! উচিত-_যাহাঁতে আর অন্যথ! হইবার সম্ভাবনা নাই। বহু কন্যা সম্মিলিত হউক, তন্মধ্যে ষত্প্রতি কুমারের চক্ষু নিবিষ্ট হবে, তাহাকেই আমি বধুত্বে গ্রহণ করিব। এরূপ করিলে অবস্থাই সকলদিক্‌ রক্ষিত হইবে।

অনন্তর তিনি নগরে ঘণ্ট! ঘোষণ। করিয়! দ্রিলেন। এইরূপে ঘোষিত হইল, সগ্তম দিবসে কুমার সিদ্ধার্থ কন্যার্দিগকে পুরস্কার প্রদান করিবেন, সেই দ্বিবস নগরের সকল কন্যাকেই পুরস্কার গৃহে যাইতে হইবে |

সপ্তম দিবস আগত হইলে ভগবান বোধিসত্ব পুরস্কারগৃঙ্ে গমনপূর্ব্বক ভর্রাসনোপরি উপবিষ্ট হইলেন। অনন্তর নগরের কুমারিকাগণ একে একে বোধিসত্ত্কে দেখিতে পুরস্কার লইতে প্রবেশ করিতে লাগিলেন। পুরস্কা রগুহে যত কন্য। প্রবেশ করিল--কেহই কুমারের তেজ শ্রী সহা করিতে পারিল না সকলেই পুরস্কার লইয়! তন্ুতূর্তেই প্রত্যাবর্তন করিল; কেহই তাহার সমক্ষে দাড়াইতে পারিল না।

অনন্তর দণ্ডপাণি-তনয়! গোপা দ্বাসীগণপরিবৃভ। হইয়! পুরস্ক'র সভায় প্রবেশ পূর্ব্বক অতি বিনীতভাবে বোধিসত্বের সন্মুখে গিয়া দীড়াইলেন এবং অনিমেষ নয়নে বোধিসত্বের তেজং্রী দেখিতে লাগিলেন বোধিসত্বও তাহার গুপ শ্ত্ী অনুভব করিতে লাগিলেন। পুরস্থার্ধ্য দ্রব্য তখন নিঃশেষিত হইয়া গিয়াছিল, কিছুই ছিল না, তৎকারণে মনে মনে বিচার করিতেছিলেন ) ইহাকে কি পুরস্কার দেওয়! উচিত। এদিকে গোপা! পুরস্কার লাভে বিলম্ব দেখিয়! হাস্তপ্রভা বিস্তার করতঃ কুমারের নিকটগামিনী হইয়া বলিলেন, কুমার ! কি আপরাধ করিয়াছি? আপনি আমাকে দ্বণা করিতেছেন কেন ?

কুমার বলিলেন, আমি তোম!কে দ্বণা করিতেছি না। তুমি বিলম্বে আসিয়াছ, তাই মনে মনে বিচার করিতেছি, তোমাকে কি দিয় পরিতু্ই করিব। এই বলিয়! তিনি নিজ বহুমুল্য অঙ্গুরীয় উন্মোচনপূর্ধবক গোপার হস্তে অর্পণ করিলেন।

৫, বুদ্ধদেব

গোঁপা প্রসন্নবদনে গ্রহণ করিলেন এবং বলিলেন, ইহাই আমি আপনার নিকট আশ! করিতেছিলাম গোপা কথ! বলিয়। স্বীয় অন্গুরীয় উন্মোচন পূর্বক বলিলেন, কুমার ! আপনিও আমার এই অন্ুরীয় গ্রহণ করুন। আমি আপনাঁকে নিরলহ্কা'র দেখিতে ইচ্ছুক নহি।

অনন্তর এই বৃত্তান্ত রাজার নিকট নিবেদিত হইলে, রাজা শুদ্ধোদন পুরোহিত ব্রাহ্মণের দ্বার! দগুপাণিকে বলিয়! পাঠাইলেন, আপনার কন্তা আমার তনয়কে প্রদান করুন। দওপাণি-শাক্য রাজার সে প্রস্তাবে সম্মত হইলেন নাঁ। তিনও বলিয়! পাঁঠাইলেন, আমরা শিল্পজ্ঞ ব্যতীত অন্যপাত্রে কন্। সমর্পণ করি ন।, ইহ! আমাদের কুলধর্ম। আপনার পুত্র স্থে পরিবন্ধিত ; কোনও প্রকার শিল্প জানেন না! যুদ্ধাদি জানেন না, নিমিত্ত আমি কুমারকে কন্তাপ্রদান করিব ন1।৮

পুরোহিত এই বার্ভা রাজসকাশে নিবেদন করিলে, রাজ! শুদ্ধোদন বিমনা দুঃখিত হইলেন এদিকে কুমার তদ্ত্তাত্ত শ্রুত হইয়! রাঁজসকাশে গমন করিলেন। কৃতাঞ্জলিপুটে নিবেদন করিলেন, “মহারাজ! কি জন্ত আপনি বিনা দুঃখিত হইয়াছেন ?৮ রাজা প্রত্যুত্তর করিলেন, “তাহা তোমার শুনিতে নাই | কুমার পুনর্বার জিজ্ঞাস! করিলেন, বাজাও পুনর্ববার বলিলেন "না, তাহা তুমি শুনিও না 1” অনন্তর পুনঃ পুনঃ জিজ্ঞসত হইতে লাগিলে, রাজ! আর ব্যক্ত না করিয়া থাকিতে পারিলেন ন। |

কুমার বোধিস্ব পিতাকে দগ্ুপাণি-শাক্যের প্রস্তাবে দুঃখিত দেখিয়া হাস্ত- সহকারে বলিলেন, “মহারাজ ! নগরে আমার সমান শিল্পজ্ঞ কে আছে? আাপনি দুঃখিত হইবেন নী। আমি সমস্ত শিল্পই জ্ঞাত আছি শুনিয়া রীজার মুখকমল বিকসিত হইল। তিনি বলিলেন, পুত্র! তুমি শিল্প দেখাইতে পারিবে ? কুমার বলিলেন, পারিব, আপনি শিল্পীদিগকে আহ্বানঃকরুন।

অনস্তর রাজা শুদ্ধোদন কপিলবস্তব মহানগরে ঘণ্ট| ঘোঁধণ। করিয়া দিলেন। খধোঁধিত হইল, সপ্তম দিবসে কুমার আপন৷র শিল্পপ্রদর্শন করিবেন, শিল্পিমাত্রেই যেন এর দিবস শিল্পপ্রদর্শন গৃহে সম্মিলিত হন

সপ্তম দিবস আগত হইলে শিল্পবাঁটিকা সজ্জিত হইল। ক্রমে পঞ্চশত শাক্যকুমার শিরপ্রদর্শনার্থ সমাগত হইল। একদিকে শিল্লিগণ, অন্তদ্দিকে দর্শকগণ) মধ্যে জয়পতাক1। একজন বুদ্ধ শাক্য উঠিয়া মহাসভামধ্যে উচ্চৈশ্বরে

তত।য় পরিচ্ছেদ | রহ

নিশ্নলিখিত বাক্য শুনাইল।--“যে কুমার আজ. এই সভায় অসি, ধনুর্ব্বাণ, যুদ্ধ অন্যান্ত কর্মশিল্ল দেখাইয়া জয়লাভ করিতে পারিবে, দণ্ুপাণিশাক্া, স্বীর গোপ! নামী কন্তাকে সেই কুমারের সহধশ্মিণী করিবেন।

অনস্তর কুমারগণ আপন আপন বল, বীর্ধ্য শিক্ষা প্রভৃতি দেখাইতে প্রবৃত্ত হইল প্রথমে দেবদত্ত, পরে সুন্দরনন্দন, তৎপরে কুমার বোধিসত্ব শিল্প প্রদর্শন গৃহে প্রবিষ্ট হইলেন। দেবদত্ত আগমন কালে নগরদ্বারাবস্থিত এক মত্ত হস্তীকে চপেট প্রহারে বধ করিয়াছিলেন।* তৎপরে সুন্দরনন্ৰ তাহাকে দ্বারদেশ হইতে স্থানাস্তরিত করিয়াছিলেন। অনন্তর বোধিসত্ব তাহাকে পদাঙ্গুলির দ্বার নগরবহির্ভাগে নিক্ষেপ করিয়াছিলেন এইরূপে কুমার বোধিসত্ব সব্বপ্রথমে বল-পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া যশোভাজন হইয়াছিলেন।

সভা প্রবেশের পর সর্বপ্রথমে লিপিশিল্লের লিপিজ্ঞানের আলোচনা হইল কুমার ৰোধিসত্্ব তাহাতেও শ্রেষ্ঠ হইলেন। শাক্য কুমারগণের গুরু বিশ্বামিত্র মধ্যস্থ ছিলেন, তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন, মন্ুষ্যলোকে অন্তান্তলোকে যে কোন লিপি আছে,--কুমার বোধিসত্ব সে সমস্তই বিদিত আছেন। কুমার বেধিসত্ব যাহ! বিদিত আছেন--আমরা তাহার নামও জানি না।

কুমার লিপিজ্ঞানে জয়লাভ করিলে সংখ্যাশিল্পের আলোচন! আরম্ভ হইল। ইহাতেও তিনি জয়লাভ করিলেন। অজ্জুন-নামক গণক সংখ্যাজ্ঞান বিচারের সাক্ষী ছিলেন, তিনি গাথা ভাষা অবলম্বন পূর্বক উচ্চৈঃস্বরে বলিয়া উঠিলেন, এই জ্ঞানসাগর কুমার গণনাপথে সর্বশ্রেষ্ঠ

অনস্তর যুদ্ধশল্পের প্রস্তাব হইল। নন্দ, আনন্দ, সুন্দরনন্দ দেবদত প্রভৃতি শাক্য কুমারগণ একে একে কুমার বোধিসত্বের সহিত যুদ্ধ করিলেন, পরস্ত সকলেই পরাজিত হইলেন। সকলে একত্রিত হইয়! যুদ্ধ করিলেন, তাহাতেও তাহার! জয় লাভ করিতে পারিলেন না। পরে বাণক্ষেপ পরীক্ষা আরব্ধ হইল। কুমার বোধিসত্ব তাহাতেও জয়লাভ করিলেন। পরে ধনুঃ- পরীক্ষা! আরম্ভ হইল। শত শত কঠোর ধনু আনীত হইল, কুমার বোধিসস্থ সে সমস্তই করাযন্ত করতঃ গুণযুক্ত করিয়া দিলেন। এই কার্ধা অন্ত কেহ পারে নাই। এই অবসরে কুমার উচ্চৈঃন্গরে সভাস্থ জনগণকে জিজ্ঞাল! করি"

দাপ্ি

* এই হস্তী যে স্থানে পতিত হইয়াছিল, সেই স্থানে গর্ভ হইয্াছিল। অদ্যাপি ভাহ। হত্তি গর্ত নামে বিখ্যাত আছে। ৫৯

৫২ ' বুদ্ধদেব।

লেন, “এই নগরে এমন কোন ধন্তু আছে--যাহ। আমার বল সহ করিতে পারে ?% শুনিয়। রাজ প্রতুৃত্তর করিলেন, “পুত্র! তোমার পিতামহ লিংহহন্থ ; তাহার এক ধনু আছে, শাকাগণ পুষ্প চন্দন দিয়! তাহার পৃ! করিয়। থাকেন। সেই ধনুতে অদ্ভাবধি কেহ গুণযোজন। করিতে পারেন নাই। গুণযে!জন। দুরে থাকুক, তুলিতেও সমর্থ নহেন। অনস্তর সেই ধনু সভামধ্যে আনীত হইল। কুমারগণ একে একে চেষ্টা করিলেন, জ্যা-ষোজনা দূরে থাকুক, কেহই তাহ। তুলিতেও শক্ত হইলেন না। কিন্তু কুমার বোধিসত্ব তাহ! অবলীলা- ক্রমে উঠাইলেন, গুণষোজন1! করিলেন, তাহাতে বাণযোজনাও করিলেন। অনস্তর আকর্ণ-অকর্ষণপুব্ব দশ ক্রোশ দুরে সেই বাণ পরিত্যাগ করিলেন ।*

এবং লক্ষিতে, প্রাকৃচলিতে, লিপি-মুদ্র-গণনা-সংখ্যা-সাঁলভ্ত-ধনুর্ব্েদে, জধিতে, গ্রবিতে, তরণে, ইঘস্ত্রে, হস্তিশ্রীবায়াং অশ্বপৃষ্টে, রথে, ধনুক্ষকলাপে, স্তে্ষ্য, স্থায়ি সুশোৌর্যে, বাহুব্যায়ামে, অন্কুশগ্রহে, পাশগ্রহে, উদ্যাননির্ধাণে, জবযানে,ুষ্টধন্ধনে,শিক্ষাবন্ধে, ছেদ্যে, ভেদ্যে, তরণে,স্ফীলনে, অক্ষুপ্রবেধিত্বে, দৃঢ়প্রহারিত্বে, অক্ষ ক্রীড়ায়াং, কাব্য-ব্যাকরণে, গ্রস্থরচিতে, রূপে, কপকম্মণি, অধীতে , অস্মিকম্মণি ধীণায়াং, বাদানুত্যে, গীতজবিতে, আখ্যাতে, হস্তে, লাস্তে, নাট্যে, বিডস্থিতে, মাল্যগ্রস্থনে, সংব।হিতে, নণিরাগে, বস্ত্ররাগে, অযোকৃতে, ্বপ্নাধ্যায়ে, শকুনিরুতে, ভ্রীলক্ষণে, পুরুষ- লক্ষণে, অশ্বলক্ষণে, হস্তিলক্ষণে, গেলক্ষণে,অজলক্ষণে, মি শ্রিতলক্ষণে, কৈটভেম্বরলক্ষণে, নিঘন্টো, নিগমে, পুরাণে, ইতিহাসে, বেদে ,ব্যাকরণে, নিরুক্তে; শিক্ষায়াং ছন্দসি, যজ্ঞকল্পে, জ্যোতিযি- সাথে, যেগে, ক্রিয়াকলে, বৈশে ধিকে, অর্থবিদ্যায়াং, বাহংস্পতো, আশম্চর্যো, আহ্বরে,সুগচেষ্টি তে, হেতুবিদ্যায়াং .জতুষনন্রে মধুচ্ছিষ্টকৃতে, সুচীকর্মমণি, বিদলকন্মণি, পত্রছেদ্যে, গন্ধযুতো,_ ইত্যেবমাদ্যান্থ সর্বকর্দমকলাস্থলৌকিকবৈদিকেধু দিধ্য মানুষ্যকাতিত্রীস্তাস্থ সর্বত্র বোধিনত্ব এব বিশিষ্যতে | 1

ভগবান্‌ বৌধিসত্ব এবংক্রমে সর্ধপ্রকার কর্ম্নকলায় সর্বশ্রেষ্ঠ বলিয়! পরি- গণিত হইলেন। শাক্যগণ তাহাকে সাহলাদে পোৎসাহে সম্মানিত করিলেন। গোপার মন নয়ন কুমারের প্রতি একান্ত অনুরক্ত হইল। তীয় পিত| দ্বগুপাণি তখন হব হইয়! কুমার সিদ্ধার্থকে কন্তাসম্প্রদান করিলেন। মহাসমা- রোহে কুমারের বিসাহকার্ধয সমাপ্ট হইল। কিরূপ প্রথা ব1 কিন্তিধ বিধান

সপ শ্পশি রা পপ পাপা আপা পাশপাশি পপি পিপিপি পিস শিস পপ পাপ কপ

% যৌন্ধশাস্ত্ে লেখ। আছে, এই বাণ যে স্থানে পতিত হইরাছিল, সেই স্থানে একটী মহান্‌ গর্ত হইয়াছিল। সেই গর্ত এক্ষণে 'শরকুপ' নামে প্রসিদ্ধ হইয়াছে

+ অতি প্রাচীন কাঁলে অর্থাৎ বুদ্ধদেবের সময়ে কি কি শীস্ত্র কর্মশিল্প খিদ্যমান ছিল, তাহ! এই শিল্পতালিকার দ্বার! জান। যায় পাঠকগণ বিষেচন। করিয়। দেখুন, পূর্ব্বে দেশ কি পরিমীপ কিরূপ উন্নত ছিল।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ ৫৩

অব্লম্বন করিয়া কুমারের বিবাহ হইল, তাহা! কোনও গ্রন্থে সবিশেষ লিখিত হয় নাই ইহাতে অনুমান হয়, তদানীস্তন কালের ক্ষারবিধান অনুসারেই কুমারের বিবাহ কার্ধা সম্পন্ন হইয়াছিল

ললিতবিস্তর গ্রন্থে লিখিত আছে, কুমার শাক্যসিংহের সহশ্র স্ত্রী ছিল। তন্মধ্যে গোপাই শাকাপিংহের প্রধান মহিষী ছিলেন। শাকাসিংতের অনেক ভার্ধা ছিল, কথ! সাধারণ লোকের অজ্ঞাত আছে

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

শাক্যসিংহের প্রতি পূর্ব বুদ্ধগণের অথব! দেবগণের সঞ্চোদন।-. শুদ্ধোদনের শ্বপ্রদর্শন--শাক্যসিংহের উদ্যানযাত্র। ধৈরাগ্যকারণ।

মাত! শাক্যসিংহ দারপরিগ্রহপূর্বক কিয়ৎকাল পরমন্থুথে অন্তঃপুরবাস করিলেন। বাল্যকাল হইতেই তীনার মনে বৈরাগা-বীজ অস্কুরিত ভ্ইয়! আসিতেছিল, ক্রমে তাহা এখন পরিপুষ্ট হইল বৌদ্ব-ষযতিগণ বগিয়। থাকেন, এবং তাহাদের গ্রস্থেও লিখিত আছে, দেবগণ বোঁধিসত্বের দীর্ঘকাল অন্তঃপুর- বাস সন্্শন করিয়! ভীত, ত্রস্ত দ্রঃখিত হইয়াছিলেন পরে তাঁহারা এইকূপ পরামর্শ স্থির করিয়াছিলেন যে, “সঙ্গী তিতূর্যনিনাদৈরেবৈভিরেবংরূটপধধ্মুচ্ৈঃ সঞ্চোদয়িতব্যাঃ 1৮ অর্থাৎ অন্তঃপুর মধ্যগত ভগবান বোধিসত্বকে তুর্য্যনিনাদ উপলক্ষে ধর্দ্মবিষয়ে সঞ্চোর্দিত করা আবশ্ঠক

একদা তিনি অন্তঃপুরমধো রমণীজনের বেণুবীণাদিস্ধ্বনিসমন্থিত সংগীত শ্রবণ করিতেছেন, এমন সময়ে এক মহদাশ্চর্য্য ঘটনা হুইল জনৈক হুন্দরী বেণুনিনাদ করিতেছিলেন, তাঁহার সেই বেখুনিনাদ হইতে সহসা বৈরাগ্যো্দীপক গাথা নির্গত হইল। রমণী তাহা জানিলেন না, কেবল রাজপুত্র তাহা শুনি- লেন। রমণী আপন মনে বংশীনিশ্বনে গাঁন করিতেছেন, কিন্তু শাক্যসিংহ তাহার অন্যথ। শুনিতেছেন। তিনি শুনিতেছেন, বাশী তাহাকে সঙ্দোধন করতঃ কতিতেছে,--,

€৪ বৃদ্ধদেব।

“পুর্বস্তে অযুকৃতু প্রণিধী অভূষি বীর ৃষ্টেমাং জনত সদ অনাথভুভাং। শোচিষো জর মরণং তথান্ডছঃখান্‌ বুদ্ধিত্া! পদমজরং পরমশোকম্‌ ৪৮ “তৎসাধে! পুরবরত ইতঃ শীত্্ং নিকষ মা। পরম খষিভিশ্চ চী্ণং। আক্রম্য ধরণিত লপ্রদেশং-_ সং সং সন্বুদ্ধ্যা অসদৃশ জিনজ্ঞানম্‌ |” “পুরে তে ধন রতন বিচিত্র তাত্ত! ভূৎ কর চরণ প্রয়াত এযোইযং তব সময়! মহর্ধে ধন্োঘং জগি বিভজ অনস্তম্‌ ॥৮ “শীলং তে শুভ বিমল মথণ্ডং পূর্ববস্তে বরশত তম ভাবী। শীলে নানতি সদৃশ মহর্ষে | মোৌচেহি জণ্ড বিবিধ কিলোশৈঃ ॥” সং তাং পূর্ববাং গিরবরমনুচিস্ত্য নিষ্ক,ম্যা পুরবরত ইতঃ শীঘ্বং। বুদ্ধিত্ব। পদমম্ৃতমশোকং তর্পিষ্যে অমুতরসেন তৃষার্তীন্‌ ॥” র্ “তথ প্রণিধী পুরীমে বহুকল্পং লোকে প্রদীপ জর মরণ শ্রীসিতে অনু লোকফেত্রানু ভবিষ্ে শ্মর পুরিম প্রণিধী নরসিংহপতে অযু সয়ে! ত্বমিহ! দ্বিপদেন্্র। নি, মায় ॥* *

* ললিতবিস্তরগ্রস্থে এইরূপ অনেকগুলি বৈরাগ্যোন্দীপক গাথা! লিখিত আছে প্রস্তাধ- কার্কগ্য ভয়ে সে সফল লিখিত হইল না। ফল কথ! এই বে, প্রত্যেক গাথায় বুদ্ধদেবের পূর্বব- প্রতিজ্ঞা, সংসারের অসারতা! অনিত্যতা, বৈরাগ্যের শুভকাম, নিক্র্মের উপায়, তাহার পুর্ব্ব- সাধন প্রভৃতি বার্ণত হইয়াছে বৌদ্ধগণ বলেন, শাক্যদিংহ সংগীত শ্রবণ প্রসঙ্গে সকল দেবগাথ! শুনিয়। তনুহূর্তেইই ত্যাগধর্মগ্রহণের সংকল্পধারণ করিয়াছিলেন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ ৫৫

সং সঃ সং

“ইয়মীদৃশ গাথ নিশ্চরী তৃর্ধংগীতিরধাত্ত নারীণাষ্‌ বং শ্রুত মিদং বিবপ্জিয়! চিত্তপ্রেমেতি বরাগ্র। বোৌধয়েতি 8 অর্থাৎ কে বীর! পূর্ব্বে তুমি জনসমূহকে অনাথ প্রায় দেখিয়।, তাহাদের অর! মরণ অন্ঠান্ত হুঃখ দেখিয়া, তাহাদের ছুঃখে ছুঃখিত হইয়া, এইরূপ প্রণিধান করিয়াছিলে যে, আমি ইহাদের নিমিন্র মজর অমর অনুঃখপদ প্রকাশ করিব। হে সাধো ! সেই জন্তই আমরা বলিতেছি, এই পুরশ্রেষ্ঠ হইতে শীঘ্র নিক্ষান্ত হও এবং এই পৃথিবীতে পরমধিগণের আচরিত অন্থপম বুদ্ধ জ্ঞান উপদেশ কর।

পূর্ব্বে তুমি বিচিত্র ধনরতাদি পরিত্যাগ করিয়াছিলে। হে মহর্ষে ! এ-ই আপনার ধোঁগা সময়, এ-ই নিয়ম, এক্ষণে আপনি এই জগতে অনস্ত বা অনশ্বর ধর্ম বিতরণ করুন।

তোমার শীল (চরিত্র ) শুভ, মলরহিত অথগ্ড। পুর্বে তুমি বর শত ব! শত শত প্রার্থন। প্রদান করিয়াছিলে। হে মহর্ষে তোমার সদৃশ শীলবান্‌ অন্ত কেহই নাই এক্ষণে তুমি জগৎকে বিবিধ ক্লেশ হইতে মুক্ত কর।

পূর্বের সেই বর--দেই কথা--সেই প্রতিজ্ঞ।-স্মরণ কর। এই পুরবর হইতে শীঘ্ নির্গত হও | অক্ষয়, অব্যয়, অশোক অমৃত ( মোক্ষ ) পদ বুদ্ধি- গমা করিয়। তৃষ্ঠার্ভদিগকে অমুতরসে পরিতৃপ্ত কর।

পুক্দে তোমার বহুকল্পব্যাপী প্রণিধান (দৃঢ় সংকল্প ) হইয়াছিল। হে নর- সিংহপতে! পূর্বে তুমি জরামরণগ্রস্ত এই লোক আমি 'ন্কুভব করিব- বুঁ্ধগম্য করিব--এইরূপ প্রণিধান করিয়াছিলে। হে মণ্ষ্যন্ত্র! তোমার নিজ্্রমণ সময় এই

নারীদিগের তুর্যানিনাদ হইতে পুএইরূপ গাথা সকল নির্গত হইল। গাথা গান শুনিয়া! ভগবান্‌ শাক্য-সিংহ এই অনিহ্য অগ্রুব জশ্বৎ ত্যাগ করিয়া চিত্তকে শরে্জ্ঞান লাভের জন্ত অতিশয় প্রেমধুক্ত করিলেন অর্থাৎ তাহার চিত্ত গাথারবে অতান্ঠ উদ্দীপ্ত হইয়! উঠিল-_তিনি সংসারতাযাগ মনঃস্থ করিলেন

দেই রাত্রিকালের নিবিড আনন্দের সময় বুদ্ধদেব তুর্যযসংগীতির পরিবর্তে

৫৬ বুদ্ধদেব

গাথা সংগীত গুনিতে পাইলেন বংশী গাথা গান করিল, বীণাও গাথাগান করিল, মৃদক্গও গাথ! ধ্বনি বান্ত করিল,--গুনিষ! শাক্য-সিংহের মুখবর্ণ পরিবর্তিত হষ্টল। তিনি তুষণীন্তাব অবলম্বন করিলেন। ক্রমে অস্তঃপুর নিস্তব্ধ হইল। পুরাঁঙ্গনাগণ :নিদ্রিত "হইল বুদ্ধদেব অমনি ধ্যান নিমীলিত নেত্রে কর্তবাচিস্তায় নিমগ্ন হইালেন। অল্পক্ষণ পরে সেই দিবসের সেই রাত্রিতেই তিনি সংসার- তাগ্োর দৃঢ়ঘংকল্প ধারণ করিলেন

দিন নিশাশেষে রাজা শুদ্ধোদন স্বপ্প দেখিতেছেন,-_-পঅর্ধরাত্র অতীত হইয়াছে, জগৎ নিস্তব্ধ, জীবগণ নিদ্রায় অভিভূত, এমন সময়ে কুমার সিদ্ধার্থ অঙ্গাভরণ উন্মোচনপুর্র্বক পরিব্রাজ কবেশে বাজপুরী পরিত্যাগ করিয়! দক্ষিণাঁভি- মুখে গমন করিতেছেন এবং সমস্ত দেবগণ সানন্দে তাহার পশ্চাঁ পশ্চাৎ গমন করিতেছেন”

বহুকাল হুইতেই রাজার মনে সন্দেহ সঞ্চিত হইতেছিল, আঁজ সেই চির- সন্দিগ্ধ বিষয় হ্বপ্নগোচর হইল প্যেমন তিনি স্বপ্ন দেখিলেন, যেমন তিনি দেখি- লেন, ভীাহার কুমার রাঁজা ধন স্ত্রী পুত্র সমস্ত পরিত্যাগ করিয়! চলিয়া! গেল, অমনি তাহার নিদ্রাভঙ্গ হইল। ভয়ভীত হইয়া এদিক্‌ ওদিক্‌ চতুর্দিকে দুষ্ট পরিচালন করিতে লাগিলেন হৃদয় শুষ্ক হইল এবং কীপিয়া উঠিল। মুখ শুষ্ক হইয়! আসিল। কষ্টন্বরে কঞ্চুকীকে ডাকিলেন। বলিলেন, কঞ্চকি ! শীঘ্ব বল আমার কুমার কোথায় শীন্ব বল। কুমার, মন্তঃপুরে আছে কি না, শীঘ্র জানিয়' আইস 1”

কঞ্চুকী বলিল, মহারাজ! কুমার :অন্তঃপুরেই আছেন, ইহা আমি জ্ঞাত আছি।

রাজা মনে মনে স্বপ্রবৃষ্ট বিষয়ের আন্দোলন করিতে লাগিলেন তার সুখ ঘেন চিরকালের জনা অস্তহিত হইল্‌। হ্বদয়ে শোঁক-শল্য প্রবিই হইল। তাহার স্থির বিশ্বাস হইল, হার কুমার গৃছে থাকিবে না, রাজা হইবে না, বাজ্যভোগ করিবে না, নিশ্চিত সন্যাসী হইবে তিনি আরও ভাবিলেন, আমার কুমার অচিরাৎ সন্গ্যাপী হইবে, তাই আমি স্বপ্নে এই সকল পুর্বনিমিত্ত দেখিতেছি।

অনস্তর তিনি মনে যনে বিচার করিয়! অবশেষে এই রূপ স্থির করিলেন যে, '্মাঞ্জ হইতে কুমারকে আর উদ্যানভুমে অথব1 গ্রামান্তসীমায় যাইতে দেওয়।

চতুথ পরিচ্ছেদ ৫৭

হইবে না | কুমারকে এই পুরবরবধ্যে স্ত্রীগণমধ্যে ক্রীড়ারত রাখিতে হইবে। তাহা হইলে আর কুমারের নিজ্দ্রম প্রবুত্ভি উদ্দীপিত হইতে পারিবে ন1।

পরদিন প্রভাতে রাজ! শুদ্ধোদন কর্মমকরদিগকে কুমারের জন্ঠ গ্রীষ্প। বর্ষ হেমন্ত,_এই ভ্রি-খতু-যোগ্য স্ুরম্য প্রাসাদ প্রস্তত করিতে আদেশ করিলেন। কর্করের1 রাজাজ্ঞা প্রাপ্ত হইয়। শীঘ্রই শ্রীন্মকালের জন্ত শীতলগৃহ,» বর্ধাকালের জন্য সাঁধারণ গুহ এবং হিমকালের জন্য ঈষছুঞ্চ গৃহ প্রস্তুত করিল। পুরপ্রবেশের সোপান সকল এরূপ কৌশলে প্রস্তুত করা হইল যে, সোপানে পদক্ষেপ মাত্রেই যেন তাহার শব্দ অর্ধ যোঁজন দূরে গমন করে এবং সোপানারাঢ় পুরুষ যেন উৎক্ষিপ্ত নিক্ষিপ্ত হয়। এরূপ সোপান প্রস্তত করিবার উদ্দেশ্ত এই বে, কুমার জনসাধারণের অগোচরে বা অজ্ঞাত অবস্থায় পলায়ন করিতে সমর্থ হইবেন ন। পুবেব দৈবজ্ঞগণ ব্লিয়াছিলেন,' কুমার মঙ্গল দ্বার দিয়া নিঙ্্রান্ত হবেন, সেই কথা শ্মরণ করিয়া! তিনি মঙ্গল দ্বারে স্থমহুৎ লৌহ- কবাট সংলগ্র করাইলেন এরূপ কবাট প্রস্তুত করান হইল যে, তাহার এক এক কবাট পাঁচ শত বলবান্‌ পুরুষ ব্যতীত উদ্যাটিত অবঘাটিত হইতে পারে না এবং তাহার শব্দ যেন অর্দযোজন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। কুমার ঈদৃশ ছ্র্লজ্ঘা- পুরে বাঁ করিতে লাগিলেন এবং গীত, বাগ, নৃত্য স্বন্দরী ললনা সদা সর্ব! সাহার উপাসনায় প্রবৃত্ত থাকিল।

উদ্যানযাত্রা বৈরাগাকারণ।

বোধিসত্বের চিত্ত দিন দিন বৈরাগ্োের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল। রাজ- ভোগ তাহার বিষতুল্য বোধ হইতে লাঁগিল। রাজা শুদ্ধোদন যে দিন কুমারের সন্নাস-স্বপ্র দেখিয়া কাতর হইয়াছিলেন, সেই দিন অবধি তাহার চিত্ত কুমারের গৃহবাস সম্বন্ধে নিতান্ত সন্দিহান হওয়ায় তিনি সর্ব শাকাগণকে আহ্বান করিয়া ব্লিয়াছিলেন, দেখিও-_কুমার যেন বহিরুদ্ঠানে গমন না করে. আমার কুমার যাঁহাতে গৃহবাসী হয়, রাঁজধর্ম্ে অন্ুরক্ঞ হয়, ভোগন্ুখে ভুলিয়া থাকে, তোমরা সতত সাবধান থাকিয়া তাহাবই যত্ব করিবে। তাহা হইলে আমার পরম হিত হইবে।

একদ! সিদ্ধার্থ প্রাতঃ-প্রবুদ্ধ হইয়। সারথিকে আহ্বান করিয়া বলিলেন, সারথি! রথ যোজনা কর,-_আঁমি উদ্ভানদর্শনে গমন করিব। সারথি তদন্ত

€৮ বুদ্ধদেব

রাজগোচর করিলে রাজ! মনে মনে চিন্তা করিলেন, কুমারকে আমি উদ্ভানযাত্রায় যাইতে দেই না, ইহা ভাল হইতেছে না। কুমার যদি স্ত্রীগণের সহিত সুভূমি দর্শনার্থ উদ্যান ভূমে গমন করে, তাহা হইলে তাহার আনন্দ অনুভূত হইবে, আনন্দ অনুভূত হুইলে নিক্ষমচিস্ত। দূর হইলেও হইতে পারিবে

এইক্নপ চিন্তার পর রাজ। সাঁরথিকে বলিলেন, সারথি ! কুমার অদ্য হইতে সপ্তম দিবসে উদ্যানযাত্রা করিবেন, তন্নিমিত্ত নগর সমলস্কৃত হউক!

অনস্তর রাজ। শুদ্ধোদন পুত্রস্নেহে সমাকৃষ্ট হইয়। নগরমধো ঘণন্টাঘোষণ! করিলেন ।--“অন্য হইতে সপ্তম দিবসে কুমার সিদ্ধার্থ উদ্যানদর্শনে গমন করিবেন, সমস্ত শাক্যকুল সাবধান হউক ।--যেন কোন প্রতিকূল দর্শন না! হয়।

নির্দিষ্ট দিবস আগত হইলে নগর সমলঙ্কৃত হইল। উদ্যান ভূমি ধ্বজপতা- কাদির দ্বার শোভিত হুইল। পথ সকল সিক্ত কুস্থমাবকীর্ণ হইল। স্থানে স্থানে পুর্ণকুস্ত কদলীবৃক্ষ স্থাপিত হইল এবং তোরণ বহিস্তোরণ প্রতৃতি পত্র পুষ্প বিতানে মণ্ডিত হইল। সৈন্ত সকল সুসজ্জিত এবং সমস্ত রাজপরিবার অনুগমনে উদ্‌যুক্ত শাক্য নগর আজ, উৎসবমন! কেন না, কুমার আজ, উদ্দ্যান দর্শনে গমন করিবেন ! নির্দিষ্ট সময় আগত হইলে সারথি আক্রীড়- রথ আনয়ন করিল এবং কুমার সিদ্ধার্থ তাহাতে আরোহণ করিলেন। সারথি আজ্ঞাপ্রাপ্ত হইবা মাত্র, অশ্বপরিচালন আরম্ভ করিল, দেখিতে দেখিতে নগরের পূর্বদ্ার অতিক্রম করিলেন

পথে, পাছে কোন প্রতিকূল দর্শন হয়, নিমিত্ত রাজা শুদ্ধোদন পূর্বব হইতেই নগরব।সীদিগকে সতর্ক করিয়াছিলেন, পরন্ত তত সতর্কতার মধ্যেও অবশ্যন্তাবী প্রতিকৃলদর্শন অনিবাধ্যরূপে উপ্রস্থিত হইলে। কোথ! হইতে এক গলিতাঙ্গ বৃদ্ধ তাহার সন্মুথে অবতীর্ণ 'হইল। * অন্ুযায়িগণ' অনেক পশ্চাতে পড়িয়াছে, সারথি বুদ্ধদেবকে লইয়া অগ্রবর্তী হইয়াছেন, এমন সময়ে পথিমধ্যে বুদ্ধের নয়নাগ্রে প্র গলিতকায় বৃদ্ধ উদ্দিত হইল। বুদ্ধদেব দেখিতেছেন __

লি পিস উস অপ

খোঁন্ধেরা“্বলে, এবং “ললিতবিস্তর” নামক বৌদ্ধপ্রস্থে লিখিত আছে, এই বৃদ্ধ প্রকৃত নহে, ইহা বোধিসত্ত্বের প্রভাব বা দেবমার়1। বুদ্ধদেবের ইচ্ছানুলারে কোন এক দেরতা এরূপ মারামু্তি গ্রহণ করিয়া তদীয় নেত্রপথে উপস্থিত হইয়াছিল। ইহাই তাহার প্রব্রজ্যার প্রথম উপলক্ষ্য হউক, এই অভিপ্রায়েই বুদ্ধদেব না-কি নিজে মী়া বিস্তার করিয়াছিলেন

চতুর্থ পবিচ্ছেদ। ৫৯ “জীর্ণোবৃদ্ধে। মহল্লকে। ধমনীসন্ততগাত্ডঃ থণ্ডনৃস্তে। ধলীনিচিতকায় পলিতকেশ: কৃজে! গোঁপানসীবক্তে বিভগ্রে! দণ্ডপরায়ণঃ আতুরো। গতযৌবন:ঃ থুরখুরাবসক্তকণ্ঃ পুরতঃ প্রাগভারেণ কায়েন দণমবষ্ঠভ্য প্রবেপয়মানঃ সর্বব্গপ্রত্যন্গৈঃ পুরতোমাগঁম্যোপদশিতোইভুৎ।” | ললিহ বি, ১৪ অ, এক জীর্ণদেহ পুরুষ --তাহার সর্ব।ঙ্গে শিরাজাল। দত্ত নাই, পড়িয়! গিকাছে, --শরীরের সমস্ত মাংস চর্ম লোল, ঝুলিয়! পড়িয়াছে,_কেশ সকল শার্দা, সুখ খোঁদল,_ অঙ্গসন্ধি ভগ্র বা শিথিল ভইয়! গিয়াছে,--যষ্টি অবলম্বন করিয়! ইাটিতেছে,_-কুজ রুগ্ন কোল্‌ কু'জে। হইরা যষ্টিধারণ পুর্ব্বক অতিকষ্টে দেহভার বহন করিতেছে ইপাঈতেছে ব1 কাপিতেছে.-_-ইাটিতে পারিতেছে না। ব্যক্তি কে, বোধিলত্ব তাহা জানেন, জানিয়াও তিনি সারথিকে ধিজ্ঞাস! করিলেন, “কিং সারথে ! পুরুষ দুর্বল অল্পস্যাম উচ্ছুক্ষমীংসরুধিরত্বচস্ন যুনদ্ধঃ।

শ্বেতশিরো বিরলদন্তকৃশাঙ্গরূপ: আলম্বয দণ্ডং ব্রজতেহই সুথং লন

সারথি, এত দুর্ধল কেন? অল্পবল অল্লবীর্ধযা কেন? ইহার রক্তমাংম চর্ম শুকাইয়! গিয়াছে কেন? মস্তক শ্বেতবর্ণণ দস্ত বিগলিত, অঙ্গ কশ, ব্যক্তি যষ্টির আশ্রয় লইয়া! কেন 'এত কষ্টে গমন করিতেছে ?

সারথি বলিল,__

“এষ হি দেবপুরুষে৷ জরয়াভিভূতঃ ক্লীণেন্ট্রিয় সুদুঃখিতে। বলবীধ্যহীনে | ন্ধুজনেন পরিভূত অনাথতৃত? কার্ধ্যাসমর্থ অপবিদ্ধ খনেব দারু ॥*?

কুমার! এই পুরুষ বৃদ্ধ হইয়ছে, জরা প্রতাবে জীর্ণ অভিভূত হইয়াছে,

ইহার ইক্ত্রিয়গণ এখন নিস্তেজ ক্ষীণ, এখন বলবীর্ধযবিহীন অত্যন্ত

দুঃখিত এখন বন্ধুজন, স্ত্রা, পুত্র পরিবার কর্তৃক পরিভূত--তিরন্কৃত-_ তু

বুদ্ধদেব

নুতরাং অনাথ যেমন বনস্থ জীর্ণ কাষ্ঠ অকর্মণয, এও এখন তদ্রুপ অকর্মণ্য। তাই ইহার অত কষ্ট। বোধিসত্ব পুনর্ব।র জিজ্ঞাস! করিলেন। “কুলধন্ম এষ অযমস্ত হিতং ভরাছছি অথচাপি সর্্বজগতোহস্য ইয়ং হ্াব্স্য।। শীস্ং ভণাহি ঘচনং খতুযুতমেতৎ শ্রুত্ব। তথার্থমিহ যোনি সঞ্চষিষ্তয়িষ্যে ॥”' সারথি! শীঘ্ব বল, এরূপ হওয়। কি উহার কুলধন্ম ? অথবা সকল জগতের এইরূপ অবস্থ।? সত্য কথা বল, শীঘ্ব বল, শুনিয়। আমি অনুরূপ (উৎপত্তিস্থানের ) বিষয় ভাবিব।

সারথি প্রত্যুত্তর করিল,__ - নৈতশ্ত দেব কুলধম্ম রাইধন্মঃ

সর্ব্বে জগন্ত জর যৌবন ধধয়াতি। তুভ্যংপি মাতৃ পিতৃ বান্ধব জ্ঞাতি সঙ্গো জরঙ্ক অমুক্তং হি অন্যগতির্জগন্ত ৪” কুমার! ইহা উহার কুপধন্্ব নহে, দেশধর্্ম নহে, তোমার রাজ্যের ধর্মও নহে। সকল জগতের এইরূপ অবস্থা জর! জায়মান মাত্রেরই যৌবন নষ্ট করিয়! থাকে, তুমিও উহার হস্ত হইতে পরিত্রাণ পাইবে না। তোমার পিতা মাতা বন্ধু কেহই জরামুক্ত নহে। জগতের গতি এইরূপ, অন্ঠ গতি নাই।

শুনিয়। বোধিসত্ব বলিলেন,-- “ধিক সারথে ! অবুধবাঁলজনস্ত বুদ্ধিঃ

যদ যৌবনেন,মদত্ত জরাং পশ্ঠো।। আবধর্তয়াশ্বিহ রথং পুনরহং প্রবেক্ষ্যে কিং মহ ক্রীড়রতিভির্রয়াশ্রিতস্ সারথি! অবোধ মুর্খ জনের বুদ্ধকে ধিকৃ! যেহেতু তাহার! জরা না দেখিয়াই মাতিয়। উঠে। শীঘ্র রখ ফিরাও, ক্রীড়1! সুখে আমার প্রয়োজন নাই; আমি পুনর্ধার পুর প্রবেশ করিব। জরাগ্রস্তের আবার ক্রীড়া কি? জরাজীর্ণ বৃদ্ধ পুরুষ দেখিয়া! কুমার সিদ্ধার্থের পূর্বসঞ্চিত বৈরাগ্য অধিকতর উদ্দীপ হইগ। কিন্ৎুক্ষণ তিনি সমাধি অবলম্বন করিয়া আপনার কর্তব্য অৰধারণ করিলেন এবং সারথিকে বলিলেন, রথ ফিরাও, আমি ক্রীড়ান্থ চাহি

চতুর্থ পরিচ্ছদ .... &১ না। সে দিন আর তাহার উদ্যানে যাওয়া হইল না, প্রত্যাবর্তিত হইয়। পুর প্রবেশ করিলেন।

কতিপয় দিবস অতীত হইল, পুনব্বার রাঁজ-আজ্ঞয় কুমারের উদ্যান যার! বিহিত হইল। পুনর্ব্বার কুমার মহাসমারোহে আক্রীড়রথে আরোহণপূর্ববক শাক মহানগরের দক্ষিণ দ্বার দিয়! উদ্যানাঁভিমুখে নিক্ষাস্ত হইবামাত্র পুনরপি পথিমধ্যে পূর্ব্বাপেক্চ৷ অধিকতর প্রতিকূল নেত্রগোচর হইল। দেঁখিলেন,__ এক ব্যাধিগ্রস্ত মন্বা,--তাহার সর্ববাঙ্গ জঙ্গরিত,--শরীর বিবর্ণ,-জক্তাপ্রভাবে অভিভূত,--দেহ বলহীন,_-তাহাঁর সকল শরীর ঝিষ্ঠামৃত্রক্ষত,--তাহার চিত্ত দুঃখে নিমগ্ন,_উখখানশক্তি নাই,--সে অতি ঝষ্টে শ্বস প্রশ্বান তাগ করিতেছে। বুদ্ধদেব জানেন, তথাপি তিনি এই মূতকল্প মনুষ্যকে দেখিয়া সারথিকে জিজ্ঞস। করিলেন, কিং সারথে ! পুরুষ রূপ বিবর্ণ গাত্রঃ স*সর্ববজ্রিয্নেভি বিকলো গুরু প্রশ্থনস্তঃ। সর্ববাঙ্গশুফ উদ্রাকুল প্রাপ্ুকৃচ্ছ, মুত্রে পুরীষ স্বকি তিষ্ঠতি কুৎসনীয়ে সারথি! একি? এপুরুষকে? রূপহীন বিবর্ণগাত্র পুরুষ কে। ইহার ইন্দ্রিয় সকল এত বিকল কেন? কষ্টে শ্বাস প্রশ্বাস ত্যাগ করিতেছে কেন? ইহার অঙ্গ সকল শুক কেন? এএত বাকুল এত কই্টদশ। প্রাপ্ত হুইল কেন? কেন স্বকীয় কুৎসিত ঝিষ্টামূত্রে অনুলিপ্ত হইয়। কষ্ট পাইতেছে ?. সারথি বলিল, 'এষে।ছি দেব পুরুবঃ পরমং গিলাঁনে। ব্যাধী ভয়ং উপমতো মরণাস্ত প্রাপ্ত; আরোগ্যতেজরহিতে। খলবীর্যযহীনো অভ্রাণবিপ্রশরণে। হাপরায়ণশ্চ। হেদেব! পুরুষ অতিশয় গ্লানিযুক্ত-__ব্যাধিভড় প্রাপ্ত হইয়াছে। ইহার মৃত্যু নিকট। পুরুষ আনোগ্যতেজ অর্থাৎ রাস্তিরহিত বলহীন হুইয়াছে। ইহার আঁর ত্রাণ নাই এবং শীঘ্রই অনাশ্রয় হইবে। শুনিয়া বোধিসত্ব বলিতে লাগিলেন;

৬২ বুদ্ধদেব

“আ(রেোগাত। ভবতে যথ স্বপ্রক্ীড়। ব্যাধির্ভয়ঞ্চ ইম ঈদৃশ ধীররূপং। কে। নাম বিজ্ঞপুরুষে। ইন দৃষ্ট বন্থ্যাং ক্রীড়া রতিঞ্চ জনর়েৎ শুভসংজ্িতাঁং বা?” আরোগ্য স্বপ্নক্রীড়ার ম্যায় মিথ্য। এরূপ বা|ধভয় এরূপ ঘোর ছুরবন্ছ দেখিয়, জানিয়। শুনিষ্ণা কোন্‌ অভিজ্ঞ পুরুষ ক্রীড়াকে ভাল বলিতে পারে ? সখ মনে করিতে পারে ? এবং ক্রীড়ার রতি অ।সক্তি জন্মাইতে পারে £ সারথি! রথ ফিরাও--আমি উদ্যান প্রীড়ায় যাইব ন1। এইরূপে সে দিনও ভগবান্‌ বোধিসত্ব গ্রতিনিবৃত্ত হইয়া! পুনরপি পুরপ্রবেশ করিলেন। পুনরপি কতিপয় মহ অতাঁত হইলে পুনর্বার উদ্যানধাত্র। অনুষ্ঠিত হইল। সেদিন ভগবান বোধপল্জ নগরের পশ্চিম দ্বার দিয় নিক্ষান্ত হইলেন; হইবামাত্র সে দিনও পূর্বাপেক্ষ! অধিক অনিষ্টদর্শন হইল। দেখিলেন, সম্মুখভাগে রোরুদ্যমান জ্ঞাতিগণকর্তক এক শব-দেহ বাহিত হইতেছে জ্ঞাততন্ত শাক্যরাজ তাহার মন্ম জ্ঞাত থাকিয়াও সারথিকে জিজ্ঞাস করিলেন,-- “কিং সারখে! পুরুষ মঞ্চে পরি গুহিতো। উত্ভ,ত কেশ নথ পাংশু শিরে ক্ষিপঞ্তি। পরিচারঙ্িত্ব বিহরস্ত্য রন্তাড়য়স্তে| নানা ধিলাপ বচনানি উদীরয়ন্তঃ ?, সারথি! একি? কেন সকল পুরুষ এক নিম্পন্দ পুরুষকে খাটের উপর রাখিয়! লইয়া যাইতেছে? কেনই বা উহার রোদন করিতেছে? কেশলুগচন করিতেছে ? মন্তকে ধুিনিক্ষেপে করিতেছে? বক্ষে করাঘাত করিতেছে £ এবং নানাপ্রকার বিপাপ বাক্য বলিতেছে 2 সারথ প্রত্যুত্তর করিল,__ এযোহি দেব পুরুষে মৃতু জন্বৃত্বীপে নহি ভূয় মাতৃ পিতৃ দ্রক্ষ্যতি পুত্র দারাং। অপহ্থায় ভোগ গুহ মাতৃ পিতৃ মিত্র জ্ঞাতিসংজ্ৰং পরলোকে প্রাপ্ত, নহি ত্রক্ষতি ভূয় জ্ঞাতিং।” রাজন! পুরুষ মৃত হইয়াছে, আর পিত৷ মাতা স্্ পুত্র দেখিবে না। ব্যক্তি ভোগ, গৃহ, পিতা, মাতা, বন্ধু জ্ঞাতিগণ পরিতাগ করিয়! পরলোক গমন করিয়াছে, পুনর্বার জ্ঞাতিগণ দেখিতে পাইবে 11

পঞ্চম পরিচ্ছেদ। ৬৩

শুনিয়৷ বোধিসত্ব বলিতে লাগিলেন,__ “ধিক যৌবনেন জরয়! সমভিদ্রুতেন আরোগা ধিক্‌ বিবিধ ব্যাধি পরাহতেন। ধিক্‌ জীবিতেন পুরুষে! চিরস্থিতেন ধিক্‌ পণ্ডিতম্য পুরুষস্য রতিপ্রদঙ্গ 21, “যদি জর ভবেয়! নৈব ব্যাধিন মৃত্যুঃ তখপিচ মহা্দ,খং পঞ্চ্বন্দং ধরস্তে কিং পুন জর ব্যাধি স্বৃতুযু নিত্যানুবদ্ধা: নাধু প্রতিনিবত্ত্য চিন্তরিষ্য প্রমোচং।”” যাহা জরায় অভিদ্রত হয়,-_গলিয়! যায়,_তাদৃক্‌ যৌবনকে ধিক! যাহ! নান! গ্রকার ব্যাধিতে পরাহত,-_ তাদৃশ আরোগ্যকে ধিকৃ। যাহা চিরস্থায়ী নছে,__ক্ষণভঙ্গুর,_তাদৃশ জীবনকে ধিকৃ! এবং পঞ্ডিতগণের অভিজ্ঞ গণের র্তিপ্রসঙ্গকেও ধিক! যদি জর! ন] হয়, ব্যাধি ন! হয়, মৃত্যু না হয়, তথাপি মহৎ কষ্ট ! মহৎ ঢঃথ ! কেননা, দেহীরা পঞ্চস্দ্বধধারী। * যথন জরাব্যাধি হইলেও হুঃখ-তখন আর জরাব্যাধিগ্রস্তের কথা কি? সারথি! রথ ফিরাও--আমি আর উন্সপ্ততার পথে যাইব না,-- গ্রতিনিবৃন্ত হইয়া উত্তমরূপে মুক্তি চিস্তা করিন। এইরূপে সে দিনও তিনি প্রতিনিবৃত্ত হইলেন। তৎপরে পুনর্ধার একদিন্‌ পনির্যণকালে পথিমধ্যে এক প্রশান্ত ভিক্ষুমুহি দেখিতে পাইলেন।1 দোঁথবা মীত্র সারথিকে জিজ্ঞাসা করিলেন।-_ “কিং সারথে ! পুরুষ শান্ত প্রশান্ত চিতে! নোৎক্ষিগুচক্ষু ব্রজতে যুগমাত্রদশ কাষায়বন্ত্রবসনে। সু প্রশান্তচারী পাত্রং গৃহীত্ব উদ্ধত উন্নতে। বা” সারাথ ! শাস্ত শান্ত-চিত্ত পুরুষ কে? উহার চক্ষু উৎক্ষিপ্ত হইতেছে না,_-সমদৃষ্টিযুক্ত এবং পুরুষ চারিহস্ত মাত্র দেখিয়া! গমন করিতেছে উনি কেন» পরিধান কাঁায়-বস্্র, চধ্যার স্ুপ্রশাস্ত, হস্তে একটী জলপাত্র মাত্র। উনি উদ্ধত উন্নত নহেন ) উনি কে?

* এই পঞ্চম্বব্ধ তদনুগত ছুঃখ বুদ্ধের ধশ্মনির্ণয় প্রকরণে বল! হইবে। + বৌদ্ধেরা বলে, সুন্তিও মায়ামুহ্তি।

বুদ্ধাদেব।

সারথি ঝলিলেন,__ “এফোহি দেব পুরুষ ইতি ভিক্ষু নামা অপহাঁয় কামরতয়ঃ সুুবিনীতচারী প্রব্গয প্রাপ্ত; সমমাকন এবমানো। সরাগদ্ধেষ বিগ্তো! তিষ্তি পিগুচধয। |" যুবরাজ! পুরুষ ভিক্ষু, উনি কাম ক্রীড়। রূতি পরিভ্যাগকরিয়! বিনীত- চারী হইয়াছেন; সমাস ব| প্রব্রজ্য অবলম্বন করিয়া আত্মার শমত্ব ইচ্ছা করিতেছেন। উহ্ীর রাঁগ দ্বেষ কিছুই নাই। উনি কেবলমাত্র পিওচধ্যায় অবস্থিত আছেন, অর্থাৎ শরীর ধারণের উপবুক্ত ভিক্ষালন্ধ আহার মাত্র ইচ্ছা করেন, অন্য সমস্ত পরিত্যাগ করিয়াছেন।

এবার বোধিসত্ব প্রফুল্লমুখে বলিলেন, “সাধু সভাধিত মিদং মম রোচতে

প্রব্রজ্য নাস বিছুমিঃ সততং প্রশস্ত1 | হিতমাত্মনশ্চ পরসত্বহিতঞ্চ ঘত্র হুখজীবিতং সুমধুর মমূতং ফলক ।” সাধু সারথি! সাধু। উত্তম কথাই বলিয়াছ। ইহাতেই আমার রুটি, ইহাই প্রশংস্ত। বিদ্বান পুরুষেব। প্রব্রজ্যাকে নিরস্তর প্রশংসা করিয়াছেন। যাহাতে আত্মহিত পরহিত উভয়ই আছে, যে জীবন স্থখজীবন,যাহার ফল সুমধুর অমৃত (অর্থাৎ অক্ষয় অবায়,) সেই প্রব্রজ্য। অর্থাৎ সন্ন্যাস অভিজ্ঞগণের সব্দদ! গ্রশংন্ত | রথ ফির(ও--আমিও এই উত্তম পথ আশ্রয় করিব। শ!ক্যসিংহ আজ নিতান্ত বিষ. পুরনির্যাণ হইতে প্রতিনিবৃত্ত হইয়া নির- স্তরিত বৈরাগ্য-ভার বহনের সন্কল্প ধারণ করিলেন। এদিকে রাজ! শুদ্ধোদন তথ ত্তাস্ত জ্ঞাত হইয়া! নিতান্ত খেদ প্রাপ্ত হইলেন। পুরমধ্যে ক্রমে হাহাকারকারিত সস্তাপাগ্রি গ্রজলিত হইল। রাজপুর সিদ্ধার্থ যাহাতে পুরবধ্িগ্িত হইতে না পারেন, পুনরশি তাহার দৃ়তর উপায় বিহিত হইতে লাগিল। ভয়প্রাপ্ত রাজ! রাজ.পুরুষর্দিগকে পুররক্ষাথ আদেশ করিলেন। আজ্ঞা প্রাপ্ত রাজপুরুষগণের ছ্বারা নিয়-লিখিত কার্য অনুষ্ঠিত হইতে লাগিল ।-_ ভূয়সা। মাত্রয়। বোধিসত্বস্য পরিরক্ষণার্থং প্রাকারান্‌ মাপয়েতে ম্ম। পরিধাঃ খানক্সতি ্ম।

চতুর্শ পরিচ্ছেদ ৬৫

ঘবারাণি গাচানি কারগ্গতি শ্ম। আরক্ষান্‌ স্বাপয়তি শ্ম। শুরাংশ্চোদয়তি ম্ম। চতুর্ষু নগরস্থারেযু চতুরে৷ মহানেনাবহান্‌ স্থাপযর়তি ল্স। বোধিসন্তপ্য পরিরক্ষণার্থং এনং রাত্রিন্দবং রক্ষত্তি ল্ম। মা বোধিসত্হভিনিষ্ক,মিষ্যতীতি অস্তঃপুরে আজ্ঞ।ং দদাতি ম্ম। মান্স সদাচিৎ সঙ্গীতিং ধিচ্ছেতস্তথ। স্ত্রীমায়াশ্চো পদর্শয়ত। নিবরীত কুমারং যথান্ুরক্তচিত্রে। নির্গজ্ডেত প্রব্রজ্যায়ৈ 1" বোধিসন্বের রক্গার্থ প্রাকার সকল উচ্চ হইতে উচ্চতর কর! হইল। পরিথা নকল খানিত হইল। দ্বার সকল দৃঢ় কর! হইল। রক্ষিপুরুষ স্থাপিত হইল। নগরদাবে মেনাবুাহ স্থাপিত হইল। তাহারা দিবারাত্র অতন্দ্রিতচিতে বোধি- সন্বের বক্ষার্থ জাগরিত থাকিল। অন্তঃপুরমধ্যে আজ্ঞ। প্রচারিত হইল যে, ক্ষণ- কালের নিমিত্রেও যেন সঙ্গীতবিচ্ছেদ ন! হয় এবং স্ত্রীমায়া যেন অনুক্ষণ প্রদশিত হয়। কুমার যাহাতে স্ত্ীমায়ায় বদ্ধ নিঝিষ্টচিন্ত হয়, প্রত্রজ্যার নিমিত্ত বহির্গমন ন1 করে, সতত তাহারই চেষ্টা করা হউক। কথিত আছে, প্র দিন শাক্য-মহানগর কুমারের নিশ্রুমশঙ্কায় অত্যন্ত ব্যাকুল হইয়াছিল এবং সর্বশ।ক্যগণ মিলিত হইয়া সেই দিবস সেই রাত্রি নিদ্রালন্তাদি রহিত, ভীত, ব্রস্ত উদ্দিগ্ন হইয়। অতিবাহিত করিয়|ছিল।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ

শাঁকাগণের ছুর্নিমিত্ত দশন-_ গোপার স্বপ্ন _শাকাসিংহের নিষ্ধ মচিত্ত|_- শুদ্ধোদনের সহিত কথোপকথন--অন্তঃপুরের অধস্বা-_ পুরপরিত্যাগ ছন্দক-সংবাদ |

রাজা চারি দ্বিন চারিবার উদ্যাঁন-যান্রার উদ্দোগ করিলেন, কিন্তু শাক্যসিংহ চারিদিনই প্রতিনিবৃত্ত হইলেন। তিনি দিব্য চক্ষে দেখিতেছেন, জগৎ অনিত্য অঞ্রব স্থপ্ুতুল্য। সেই চারি দিনের শেষ দিনই তাহার শেষ দিন--সংসার- বাঁসের শেষ দিন--ভোগের চরম দ্িন। সেই দিন হইতেই তিনি নির্জনসেবী,

৬৩ বুদ্ধদেব

ধ্যান-রত নির্বাপ-প্রাপ্তির উপায়চিন্তায় অভিনিবিষ্ট। প্রবল নিক্রম-চিত্ত তাহাকে আক্রমণ করিয়াছে; সেই জন্তই তিনি নিরন্তর নির্জনবাসী। নির্জনে বসিয়। একাকাঁ কি চিন্তা করেন, কেহ তাহার নিকট গগনে সক্ষম হয় ন]।

ক্রমে রাজা, প্রজা, রাজপরিবার, সমস্ত লোকই শঙ্কাসন্কুল হইয়া! উঠিল। সক- লেই নান! ছুনিমিত্ত দেখিতে লাঁগিল। কিংবর্তব্যবিমূঢ় হইয়। অন্ধের স্টায়, বধিরের স্যায় পনর স্ঠাঁয়, খগ্ের স্ত।য়, মুকের ন্যায়, উন্মত্তের ন্যায় জড়ের ন্যায় হতচেতন হইতে লাগিল।

রাজ। শুদ্ধোদন ভবিষ্য-অনিষ্টের শুচক ছুণিমিত্ত সকল লক্ষা করিয়া! কাতর হইলেন এবং শাক্যকুলের সমৃদ্ধি অচিরাঁৎ উচ্ছেদ প্রাপ্ত হইবে ভাবিয়া আপনাকে ধিক্কার প্রদান করিতে লাগিলেন

ললিতবিষ্তর প্রভৃতি বৌদ্ধ পুস্তকে লিখিত আছে, শাকাসিংহের সংসার- ত্যাগের পূর্বে নিয়লিখিত দুমিমিত্ত নগরের ছুরবস্থা সংঘটন হুইয়াছিল। যথ।--

১। হংদ, ক্রৌঞ্চ, মযুর, শুক, সাবিকা,--ইহারা রূব-পরিত্যাগ করিয়া- ছিল এবং প্রাসাদ-মস্তকে তোরণ প্রভৃতি স্থানে বমিত না।

২। কিক্রবজন্ত, কি অক্র,র জন্, সকলেই ছুঃখিত, ছুর্মনা চিন্তাকুল হইয়। অধোসুখে কাল-কর্তন করিয়াছিল।

৩। সরোবরে পুক্রিণীতে পদ্মফুল ফুটে নাই যাহ! ফুটিয়াছিল, তাহা ফুটিবামাত্র মান বিশীর্ণ হইয়া! গিয়াছিল।

৪। বুক্ষের পত্র, পুষ্প, ফল, সমস্ত রিয়া গিয়াছিল; মার পল্লবত, পুম্পিত ফলিত হয় নাই।

৫। অকন্মাৎ গীত-গুভশস্থিত বীণা প্রভৃতি তন্ত্রষঙ্ধের তন্ত্র (তার) ছিন্ন হইরা- ছিল, বানাইতে গেলে বাদিত ন1।

৬। ভেরী ওমুদ্গ প্রভৃতি চর্মনদ্ধ বাদ)যন্্ সকল বাজিত না, কেহ বাঁজা- ইতে গেলে ছিণড়িয়। যাইত !

৭। সমস্ত নগর নিদ্রায় অভিভূত, মোহে আচ্ছন্ন, কর্তব্যজ্ঞনে বঞ্চিত এবং সর্ব] নুব্যাকুল বা চঞ্চলচিন্ত 1

৮1 কাহারও মনে গান-বাস্ত-নৃত্য-ক্রীড়।র অন্যান্য আমোদের ইচ্ছা হয়

নাই।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ ৬৭

,৯। তদ্দর্শনে রাজ। শুদ্ধোদন ভীত, ত্রস্ত, দীন অত্যন্ত দুর্দনা হইয়া ঘোর দ্রণিমিত্ত দর্শনে অপার বিপদ সমুদ্র অন্নুতব করিয়াছিলেন

গোপার স্বগ্নদর্শন |

১৭। সেই দিবস অদ্ধরাত্র অতীত চইলে শাকাবধু গোপা শাকাসিংহের সহিত এক শয্যায় শয়।না গাঁকিয়া ভয়জনক ত্রাসজনক কম্পজনক এক অদ্ভূত স্বপ্ন দেখিতে পাইলেন দেখিলেন,__

সর্ধেয়ং পৃথিবী প্রকম্পিতমতৃৎ শৈলাসকুটাব্তী

বৃক্ষ মাকত ঈরিতাঃ ক্ষিতি পতি উৎপাটা মলোদ্ধ,তাঃ। চন্দ্রা শুধ্য ভাত ভূমিপতিতৌ সঙ্জয।তিযাং লক্ষিতৌ কেশানদূশি লন দক্ষিণভূজে মুকুট বিধ্বংমিতং।

হস্ত ছিন্ন তখৈব ছিন্নচরণৌ নগর দৃশী আত্মনং | মুক্তীহাঁর তথৈব ভে বরম্ণীশ্চন্না দুশী আজ্মনঃ | শয়নসা।7শি ছিন্ন পাদ চতুরী ধরণীতস্মিং ম্বপী।

ছত্রে দণ্ড সচিত্র শ্রীমরচিরং ছি] দৃশী পার্থিবে।

সর্বেব আঁমণ। বিকীর্ণি পতিতা মুহ্তত্তি তে দারিণ।

ভন শ্চাভরণ। সবস্ত্রমুকুট।ং শযা।ং গতো বাকুল।।

উক্ষ।ং পশ্ঠতি নিপু নন্তি নগরাৎ তমসাভিভূতং পুরং। ছিন্নাপ্ালিসদৃশাতি স্থপিনে রত্বামিকাঁং শোভনাম্‌। মুক্তাহারুপ্রলম্মমান পতিতা ক্ষভিতো! মহাসাগরে

মেরুং পর্ববতরাজমদূশি তদা স্কাঁনাতত, সংকম্পিতং।

এত নীদৃশ শাকাকণ্ঠ স্থপিনাং হুপিনাম্তরে অদূশি।

দুষ্ট! স! প্রতিবুদ্ধ ধূর্ণনয়না স্বং স্বামিনং অব্রধীৎ।

দেব। কিং ভবিষাতে খলু তণ। হুপিনান্তরাণীদৃশাং। ত্রাস্তা মে স্মৃতি নো পণ্তমি পুনঃ শোকাদ্দিতং মে মন21”

গোপ| স্বপ্ন দেখিতেছেন__

গ্রাম নগর পর্বত প্রভৃতির সহিত সমগ্রা পৃথিবী কাপিতেছে--প্রবল বাু বহমান হইয়। বৃক্ষকুল উৎক্ষিপ্ত করিতেছে-_তাঁহরা একে একে সমূলে উৎপাটিত হইয়। ভূগতিত হুইতেছে--আকাঁশে চন্দ্র সুর্য গ্রহ প্রস্ৃতি নিশ্ীভ--নক্ষত্র সকল থসিয়। পড়িতেছে-_দক্ষিণহস্তেয় দ্বার আপনিই আপন!র ৮কশ ছিন্ন করিয়।ছেন- মুকুট বিধ্বস্ত করিয়াছেন-__-আপনার হস্ত পদ যেন আপনা আপনি ছিন্ন হইয়া

৬৯

৬৮ বুদ্ধদেব।

গেল-_বস্ত্রহীনা ব| নগ্ন হইয়ছেন-মুক্তাহার ছিন্ন হইয়া! গিয়াছে--খট্রার পদচতু- টর় নাই,--ভগ্ন হইক়্াছে--তিনি ধরায় শয়ন করিয়া! আছেন। রাজার ছত্রদণ্ড চামর সকল ছিন্ন ভিন্ন ভূপতিত হইয়াছে--আপনার স্বামীর স্ুরুচির আভরণ ইতস্ততো বিক্ষিপ্ত এবং ভূপতিত। রাজার রাজমুকুট নাই-_তাহ। দেখিয়! তিনি ব্যাকুল! হইতেছেন। পরে দেখিলেন, নগরদ্বার দিয় এক ঞ্রোতিঃপিও নিক্কান্ত হইতেছে--নমস্তপুরী ঘোর অন্ধকারে পূর্ণ হইগসাছে--জালক সকল ছিন্ন শোভন রত্ররাজি বিকীর্ণ__মুক্তাহার খাঁনয়া পড়িল-_মছাপাগর উচ্ছুলিত হই- য়াছে--পর্দতর(জ সুমেক স্থানত্রষ্ট হইয়া কম্পমান হইতেছে !

শ[ক্যবধূ গোপা! অর্দরাত্র সময়ে ঈদৃশ ভীষণ স্বপ্ন দেখিলেন, তৎক্ষণাৎ তাহার নিদ্রাঙচ্ছেদ হইল। প্রতিবুদ্ধ হইয়! তিনি ভয়ে বিহ্বল! হইয়! স্বামীকে বলিতে লাগিলেন,--“দেব ! বলুন, শীঘ্ বলুন, আমার কি হইবে! আমি এইরূপ (কথিত প্রকার ) গ্বপ্প দেখিয়াছি, দেখিয়। জ্ঞান-হার! হইয়াছি। কিছুই বুঝিতেছি না আমার মন শোকে, হূঃথে ভয়ে ব্যাকুল হইয়াছে !,,

গুনিয়! বুদ্ধদেব সান্ববাক্যে বলিতে লাগিলেন,--

“ভব প্রমুদ্দিতা পাপং তে বিদ্যতে যে সত্বাঃ কৃত পুন পুর্বচরিতে! ভ্রক্ষ্যন্তি স্বপ্ন ইমে, কোহন্যঃ পশ্ঠ অনেক দুঃখ বিহিত স্বপ্রীত্তরাণোদশাং ৷”

গোপে! তোমার ভয় নাই। তুমি যাহা! দেখিয়াছ, তাহ! ভয়হেতু নহে, প্রঠ্ত পুণ্যহেতু। ভয় পরিত্যাগ কর, প্রমুদিত হও, তোমার কিছু মাত্র পাপ নাই। পূর্বে ধাহার! অনেক পুণা করিয়াছে তাহারাই এররপ স্বপ্ন দেখে, পাপ- মতির এরূপ স্বপ্ন হয় না। তুমি যাহ! দেখিয়াছ, তাহার ভবিষ্য ফল বলিতেছি, শুন--

তুমি যে পৃথিবীকে কীপিতে দেখিয়াছ, তাহার ফলে দেব, ষক্ষ, ন।গ, রাক্ষস এবং অন্যান্য দকল জীব তোমাকে অচিরাৎ পৃজ্যা শ্রেষ্ঠ! করিবে।

তুমি বৃক্ষমূল উৎপতিত কেশপাশ ছিন্ন হইতে দেখিয়াছ, তাহার ফলে তুমি শীত্রই ক্লেশজাল ছিন্ন করিবে এবং দৃষ্টিজাল ( জ্ঞান ) উদ্ধৃত করিবে।

তুমি যে চন্দ্রন্ুর্্য নিশ্রভ জ্যোতিফমণ্ডল বিক্ষিপ্ত হইতে দেখিয়াছ, তাহার ফলে তুমি শীত্্ই ক্লেশশক্র বিনাশ করিয়া! পৃজ্যা প্রশংসনীয় হইবে।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ ৬১

তুমি ষে মুক্তাহার বিকীর্ণ আপনাকে নগ্ন হইতে দেখিয়াছ, তাহার ফলে তুমি অচিরাৎ এই স্ত্রীকায়া পরিত্যাগ করিয়! পুরুষকায়া (যাহা আত্মার শ্বব্ধপ তাহাই )লাভ করিবে। তুমি যে মস্তক চরণ গ্রভগ্ন এবং ছত্রচামরাদির শীর্ণত! দর্শন করিয়াছ, তাহারই ফগে তুমি অবিলদ্গে পাপচতুষ্টয় হইতে উত্তীর্ণ হইয়া! আমাকে ত্রিলোক- মধ্যে একছত্র হইতে দেখিবে। তুমি আমার ভূষণাদি উন্মোচিত হইতে দেখিয়াছ, তাহারই ফলে তুঁমি আমকে দ্বাব্রিংশল্লক্ষণে ভূষিত লোঁকপুজ্য হইতে দেখিবে। গোপে ! তুমি যে নগর হইতে সম্মিলিত কোটা দীপ নির্গত হইতে দেখি- যাছ, তাহার ফলে তুমি দেখিবে, শীপ্ই আমি লোকের মোঁহান্ষকার নষ্ট করিয়া! তাহাদের প্রতি প্রজ্জালোক বিস্তার করিব। গোপে! তুমি দেখিয়াছ, আমার মুক্তাহার বিশীর্ণ হইয়াছে, স্ববর্ণশত্র ছিন্ন হইয়।ছে, ইহার ফলে তুমি শীঘ্রই দেখিবে, আমি ক্লেশজাল বিধ্বস্ত করিয়া জ্ঞান-সথত্রের উদ্ধার সংস্কার করিয়াছি ! “হ্র্যং বিন্দ। মাচ খেদং জনেহি তুষ্টিং বিন্দ! ভ্জহী শ্রীতিং। ক্ষিপ্রং ভেষ্যে প্রীতি প্রমোদ লম্ভতী মেহি গোপে! ভদ্রকান্থে নিমিত্তাঃ 11!" গোপে! তুমি ভীত হইও না, আহলাদিত1 হও শোক করিও না, হর্ষ আহরণ কর। তুমি যাহ! দেখিম।ছ, তাহা ছুনিমিন্ত নহে, সুনিমিত। শীঘ্রই তুমি প্রীতিন্থে স্থখিনী হইবে, পাণজাল ধ্বপ্ত করিয়৷ আক্মোদ্ধারে ক্ষমবতী হইবে। ভগবান্‌ শাক্যসিংহ এই রূপে তয়-ভীতা গোপাকে সাত্বনা করিলেন। বুদ্ধিমতী গেপ! বিশ্বস্তচিত্তে পতিবাক্য শ্রবণ করিয়া আব্বস্ত এবং প্রমুদিতচিন্তে পুননিদ্রাগত। হইলেন

নিফ,ম-চিন্ত1। বাত্রি গভীর, পুরবাসিগণ নিত্রিত, কেবল কুমার সিদ্ধার্থ একাকী সেই নিঃশব নিশীথনময়ে চিস্তা্িত। কিসের চিত্ত! £ নিক্ষমণের চিন্তা--পুরপরিতা।গের

প৬ বুদেব।

চিন্তা তিনি ভাবিলেন, পিতা শুদ্ধ োদনের অজ্ঞ।তসারে বিন! অন্ুজ্ঞায় পুরপরিত্যাগ করা আমার বিধেয় নহে। করিলে অকৃতজ্ঞতা অন্তায় কর! হয়। অতএব, আমি পিতর নিকট ননুজ্ঞাত হইয়াই নিঙ্শস্ত হইব

অনন্তর তিনি সেই অদ্ধরাত্রসময়ে একাকী অলঙ্গ্যে পিতৃভবনে গমন করি, লেন। তাহার গমনে শুদ্ধোদনের শয়ন-কক্ষ আলোকিত হষ্টল এবং রাজাও তত্প্রভাবে প্রতিবুদ্ধ হইলেন। শুদ্ধোদন নেত্র উন্মীলিত করিয়া দেখেন, গুহ আলোকময় হইয়াছে। ব্গ্র হইয়া কঞ্চুকীকে আহ্বান করিলেন এবং জিজ্ঞস৷ করিলেন, কঞ্চুকিন্! সুষ্য উদিত হইয়াছে? কণ্চুকী প্রত্যুত্তর করিল, মহা- রাঞঙ্জ। এখনও বাত্রর শেষ অদ্ধ ব্যতিক্রান্ত হয় নাই। ক্ুর্য্যপ্রভা উদ্দিত হইলে ভিত্তিতে ছায়া দর্শন হয়, শরীর উঞ্ণ হয়, দেহে ঘন্দন উৎপন্ন হয়, হংস, মধুর, শুক, কে।কিল, চক্রধাক প্রভৃতি পক্ষিগণ রব করে, সকল লক্ষণ এখনও লুপ্ত আছে মহারাঞ্জ! প্রশা সুধ্য প্রভা নহে, প্রভা সুখম্পশা মনোছারিণী। আমার জ্ঞান হইতেছে, আমাদের গুণধর রাজপুত্র এখানে মাসিতেছেন।

রাজা শুদ্ধোদন চকিত-নয়ন বিস্ফারিত করিলেন এবং তনুভূর্তে দেখিলেন, কুমার গুণধর তাহার অভিমুখে দণ্ডায়মান। রাজ! তখন সসম্ত্রমে সম্নেহে নিকটাগত পুত্রের সন্মানাথ শব্যাপরিভ্যাগ কবিলেন। কুমার সিদ্ধার্থ পিতৃ- গৌরবে নিয়ন্ত্রিত হইয়া হবীরচরণে দণডবং প্রণাম করত করপুটবিধানে বিনয়্- বাক্যে বলিতে লাগিলেন ।--

কথোপকথন।

"মহারাঙ! আমায় বাধ। দিবেন ন। এবং আমার জন্ত থে করিবেন ন1। হে দ্দেব! আপাঁন আমায় রাজ্যের সহিত স্বজনগণের সাহত ক্ষমা করিবেন। এক্ষণে মামার নিক্রমকাল আগত হইছে, আশীর্বাদ করুন, যেন আমার মনোরথ সিদ্ধ নির্বিদ্র হয়।

শুনিয়। রাঁজা শুদ্ধোদন বলিতে লাগিলেন,

“তমশ্রুপূর্ণ নয়নে নৃপতিরবভ।ষে

কিঞ্চিৎ গরযয়োজন ভবেৎ বিনিবর্তনে তে। কিং যাচসে মম বরং বদ সর্ধ্ব দস্যে অনুগৃহ রাজকুল মাঞ্চ ইদক রাম্‌ ॥”

পঞ্চম পরিচ্ছেদ ৭১

রাজ! শুদ্ধোদন অশ্রুপুর্ণ নয়নে বাঁললেন--পপুত্র ! তোমার বিনিবৃভি-বিষয়ে আমার কি কর্তব্য আছে, বল। তুমি আমার নিকট কি বর চাও-_বল। আমি সমস্তই দিব, যাহ! চাহিবে তাহাই দিব, অন্তথ। করিব না এই র|জকুলের প্রতি, আমার প্রতি, এবং এই রাঙ্গোর প্রতি, অনুগরঠ কর,_ইহা অন্যথা করিও ন1। “তদ বোধিমন্ত্ব অবচী মধ্রপ্রলাপা ইচ্ছামি দেব! চতুরে! বর তান্সি দেহি মদি শক্যতে দিতু মন্ বমোতি তত্র তদ্রক্ষনে দদ গৃহে নিচ মিনা,” “ইচ্ছ।মি দেখ! জর মহা আক্রমেয়! শুভবর্ণ যৌবনস্থিতে। ভবি নিত্য কাঁলং। আরোগ্য প্রাপ্ত, ভবি নৌচ ভবেত ব্যাধি রমিতাবৃষ্চ ভবি নে। ভবেত মৃত্যুঃ ॥৮ “সম্প'ত্ততন্ঠ বিপুল! ভবেছ্িপত্তী রাজ শুণিত্ব বচনং পরমং ছুখাত্তঃ। অস্থান যাচসি কুমার! মেহত্র শক্তিঃ জর ব্যাধি মৃত্যু ভয়তশ্চ বিপত্তিতণ্চ ॥"" সং ৪, সং সং কল্পস্থিতীয় ধষয়ে। হি জাঁতু মুক্তা 3”? শুনিয়া নধুরভাঁষী ভগবান্‌ বোধিসন্ব বললেন, দেব! যদি পারেন আমকে ঢারিটি মাত্র বর দ্রিউন। ঘদ্দি আপনার শক্তি থাকে, আর আমাকে পশ্চাহুঞ্ত বরচতুষ্ট্ দিতে পারেন, তাহ! হইলে আমি গৃহবাসে থাকিতে পারি এবং তাহ। হইলে আপন আমাকে নদ। সব্বদ। গৃহ দব'খতে পাইনেন। আঁমি নক্ষাস্ত হইব ন1। হেদেব! আমি ইচ্ছ। করি, যেন জরা আমাকে আক্রমণ ন। করে, অভি- ভূত ন। করে, এবং শুভ্রবর্ণ (লাবণাপোভী) যৌবন থেন অনন্তকালের নিমিত্ত স্থির থাকে। (১) আমি অরে।গিতা প্রাপ্তি ইচ্ছ। কার। কোনও কালে যেন আমার ব্যাধি লা হয়। (২) আঁমি অপরিমিত আয়ু প্রথন। কা, অনরত্ব বাঞ্চ। করি, কখনও যেন আমার মৃত্যু না হয়। (৩)

হত বুদ্ধদেব

আমি বিপুল সম্পত্তি ইচ্ছা করি। সে সম্পত্তি যেন অন্তের অতুল্য হ্‌ইয়া চিরস্থায়িনী হয়, কোনও কালে ষেন তাহাতে বিপত্তি না হয়। (৪) বৌধিসত্বের ঈদৃক্‌ বাঁকা ঈদৃক্‌ প্রার্থন! শুনিয়া রাজ! যার পর নাই দুঃখ- কাতর হইলেন। বলিলেন, পুত্র! যাহ! হইবার নছে--পাইবার নহে-_তুঁমি তাহাই চাহিতেছ। আমি বর দিতে অশক্ত__জরা-ব্য।ধি-মৃত্যু-ভয় হইতে বিপদ্প্রাপ্তি হইতে উদ্ধার করিতে অক্ষম। করণ্দকল্পান্ত কাল তপোনুষ্ঠান করিয়া খষিরাও সকল হইতে মুক্ত হইতে পারেন নাঁই। বোধিসত্ব্ পুনর্বার বলিলেন,-_- “হস্ত শৃণুষ নৃপতে ! অপরং বরৈকম্‌ অস্যাচাতদ্য প্রতি সন্ধি মে ভবেয়। 1” মহারাজ! যদি বর দিতে না পারেন, তবে অন্ত এক বর দিউন। দে বর এই যে, আমি এই সংসাঁর হইতে গ্রচ্যুত হইলে আপনি কাতর হইবেন না এবং আমার ফেন পুনর্বধার বিষয়ে ( সংপারবিষয়ে ) প্রতিসদ্ধান ন! হয়। শ্রুতৈধমেব বচনং নরপুঙ্গ বন্য উষ্ণ। তনুঞচ করি ছিন্নতি পুত্রস্সেহম্‌। অনুমোদনী ছিভকর! জগতি প্রমোক্ষম্‌ অভিপ্রায় তুভ্য পরি পুধ্যতৃ ষল্মতন্তে ॥)'? বাঁ! তখন নিতান্ত কাতর হইর! শ্বাস পরিত্যাগপুর্বক পুত্রন্নেহ চ্ছেদ করতঃ প্রত্যুত্তর করিলেন, হে হিতকর! তুমি যে জগতের মোক্ষ ইচ্ছ। করিয়াছ, তোষার সে ইচ্ছা-সে মা প্রায়-_পৃর্ণ হছউক। তুমিযাহা! মনে করিম্নছ, তাহ! সিদ্ধ হউক। অন্ত একটা ঘটন।। সেই অর্থরাত্র সময়ে অনুজ্ঞাপ্রাপ্ত শাক্যসিংহ পিতৃভবন হইতে ক্গভবনে প্রত্যাগত হইলেন। এই কার্য ব1 এই ঘন! পৌরজনের অজ্ঞাতসারে সাধিত হইল। রাঁজ। অত্যন্ত হুর্মন! হইয়া কিয়ৎক্ষণ কর্তব্যচিস্তা করিলেন, কিন্তু কর্তব্য স্থির করিতে পারিলেন না। অনস্তর তিনি সেই রাত্র্দ্সময়ে সমুদয় শাক্যগণকে আহ্বান করিয ততত্াস্ত জ্ঞাপন করিলেন এবং বলিলেন, আমার কুমার নিশ্চিত পুরপরিত্যাগ করিবে-_সন্ন্যাসী হইবে --এ ক্ষণে আমাদের কর্তব্য কি?

পঞ্চম পরিচ্ছেদ ৭৩

, শাক্যগণ বলিল, মহারাজ! ভয় কি, আমর! অনেক, কুমার একক তাহার কি শক্তি আছে যে তিনি বলপুর্বক গৃহবহির্গত হইতে পারিবেন ?

অতঃপর সেই রাত্রেই নগরদঘারে শত শত কতান্ শাক্কুমার স্থাপিত হইল। অস্তঃপুরপথে বহিঃপুরপথে প্রধান পুরুষেরা বোধিসত্বের রক্ষার্থ নিয়োজিত হইল। রাজ! স্বপন স্বগৃহে জাগরিত থাকিলেন।

এদিকে অতঃপুরমধ্যগত! মহাপ্রজাবতী চেটাদিগকে ডাকিয়| আজ্ঞা প্রদান করিলেন, সমস্ত অন্তঃপুর আলোকিত কর--কোনও স্থানে যেন অল্পমাত্রও অন্ধকার না থাকে এবং তোমরা! সকলেই সর্কাদ। সাবহিত হুইয়। রাত্রি জাগরণ ক্র।

গসঙ্গীতি ষেজয়খ| জাঁগরথ অতন্ধিতা ইমাং রজনীং প্রতিরক্ষথ| কুমারং বথ। অধিদিতো। গচ্ছেয়। 11৮

সঙ্গীত আরম্ভ হউক, রাজা, রাজপুরুষ পুরবাঁসিগণ তন্দরাশূন্ত হইয়া জাগরণ করুক,--কুমারকে রক্ষ/ করুক যাহাতে কুমার অলক্ষ্যে বা অজ্ঞ/তসারে বনগমন করিতে না! পারে, সকলে সতর্ক থাকিয়। তাহাই করুক

ক্রমে সেই নিষ্রম'রাত্রি অতি ভীষণাকার ধারণ করিল। অন্তঃপুরে নগরে শোক, মোহ, ভয়, বিষাদ হাহাকার প্রবিষ্ট হইল। নগরদ্বার, পুরদ্বার, গৃহদ্বার, সমস্তই অবরুদ্ধ। দ্বারে দ্বারে, পথে পথে, গৃহে গৃহে, রক্ষিপুরুষ নিধুক্ত। দীপের উজ্জল আলোকে কপিলবস্ত নগর আজ দিবাতুল্য হইয়াছে কিন্তু সকলেই শোকমে!ছে ব্যাকুল, কর্তব্যবিমূঢ় মৌন হইয়া ঘোর বিপদ অনুভব করিতেছে।

ললিতবিস্তরনামক বৌদ্বগ্রস্থে লিখিত আছে, ভগবান্‌ শাক্যসিংহ যে-রাত্রে পুরপরিত্যাগ করেন,--দে রাত্রে অন্ত এক অদ্ভুত ঘটনা! হইয়াছিল। সমস্ত শাক্যকুল সর্বপ্রকার চেষ্টার সহিত সর্বদা সাবধান থাকিয়াও বোধিসত্বকে রঙ্ষ। করিতে পারেন নাই। তাহার কারণ এই যে, সেই সময়ে এক অভূতপূর্ব দেবমায়! প্রাদ্ভূতি হইয়। সমস্ত নগর হতচেতন করিকাছিল। সেই কারণে তাহার পুর-নিক্রম বা গৃহপরিত্যাগ কেহ জানিতে পারে লাই। ললিত-বিস্তর. গ্রন্থে এই স্কানটিতে এইরূপ বর্ণন। আছে ।__

কপিলবস্ত নগরের সেই শোঁকরাস্রি ারপর নাই ভীষণভাব ধারণ করিলে, দেবগণের মধ্যে নিম্নলিখিত প্রকার আন্দোলন হইতে লাগিল ।-_

বুদ্ধদেব

ইন্দ্র বৈশ্রবণ বলিলেন, দেবগণ! অগ্য ভগবন্‌ নিঙ্ধান্ত হইবেন, তোমর! তাহার পুজার্থ সাহীষ্য কর।

ললিতব্যহ্-নমক দেবপুত্র বলিলেন, আমি এই মুহূর্তেই কপিলবস্ত নগবের স্ত্রী, পুরু, বাঁলক, বালিকা, বৃদ্ধ, সকলকেই মনা গ্রন্থাপনে নিমগ্ন করিব।

শান্ত-ম্মতি-নামক দেবপুত্র বলিলেন, আমি অশ্বের হস্তী প্রভৃতির শব্দ অস্তহিত করিব ্‌

ব্হমতি-নামক দেবপুন্ধ বলিলেন, আমি আকাশে পথ-স্থষ্টি করিব, সেঈ পথে ভগবন্‌ নিন্্রাস্ত হইবেন।

হন্তিরাজ এ্ীরাবত বলিলেন, আমি আমার শুগ্তাগ্রভাগ বিস্তীণ করিব, তাহাতে চতুর্দোল স্থাপিত হইবে, ভগব:ন্‌ তপবি মারোহণ করিয়া! পুর নিজ্্রমণ নির্বাহ করিবেন।

ইন্্র বলিণেন, আমি স্বয়ং নগরদ্বার বিবৃত করিব এবং পথ দেখাইয়। অনুগামী হইব।

ধন্মচারি-নামক দেবপুত্র বলিলেন, আমি আজ রাজান্তঃপুর বিরুত বীভৎস- ভাবে পারিণত করিব। তাহা হইলে অবশ্তই বোঁধিসব নিক্রুমার্থ ত্বরাবন্‌ হইবেন।

সঞ্চোদকশ্নামক দেবপুত্র বলিলেন, আমি ভগবান্‌কে শয্যা হইতে উত্থাপিত করিব।

পরে বরুণ স।গর প্রভৃতি দেবগণ বলিলেন, আমরাও বোধিসত্ত্বের পৃজার্থ সময়ৃনুরূপ সাহাষ্য করিব এবং চন্দনচূর্ণ বর্ষণাদি করিব

অনন্তর সেই মধ্যরাত্রসময়ে ভগবান্‌ সিদ্ধার্থ স্বীয় শয়নকক্ষে উপবিষ্ট থাঁকিয়। পূর্ববুদ্ধগণের চরিত্র, সর্ধজীবের ছিত প্রাণিগণের সংসার-গতি ভাবিতে লাগিলেন। সেই সময়ে কপিলবস্ত মহানগরে মহাপ্রস্থপন উপস্থিত হইল। দেবমায়াতিভূত জীবগণ যেন মহানিদ্রায় ইতচেতন হুইল। ধর্মচারি নামক দেবপুত্র সেই মুহূর্তে অস্তঃপুরগত নর-নারীর বৈকৃত্য উৎপাদন করত নিয়লিখিত গাথাবাক্যের দ্বারা ভগবান্কে প্রতিবোধিত করিতে লাগলেন।-_

“কখং তবাশ্মিন্,পজ।য়তে রৃতিঃ শ্বশ[নমধৈয সমবস্থিত প্য।"” +

পল ২০

পা পপ পপ পা

*. এই সকল দেবত! বৌদ্ধগণের মতে বৌদ্ধা। | 1 প্রভো ! এই শ্শান মধ্যে খাকিতে আপনার আসজি কেন

পঞ্চম পরিচ্ছেদ ধ৫

_ গাথ।গান শ্রবণ করিয়! ভগবান্‌ শাক্যমুনি অস্তঃপুরের চতুদ্দিকু অবলোকন করিতে লাগিলেন ততকাঁলে ধাহ! দেখিলেন, তাহাতে তাহার নির্বধেদ দ্বিগুণি- তবেগে বদ্ধিত হইল। যাহ! দেখিলেন, তাহ! সমস্তই বীভৎস

অন্তঃপুরের অবস্থা

যে সকল রমণী শ।ক্যপুরে সুন্দরী বলিয়া প্রথিত ছিল, মায়া-নিদ্রার প্রভাবে আজ তাহার! অতান্ত ঘোররূপা হুইয়ছে। ফলতঃ সকল নারীই চেতন-হাঁর! হইলে বিকৃতাকার হয়। বোধিপত্ব অস্তঃপুরশায়িনী রূনণীগণের বিরৃতাবস্থ। দেখিতেছেন --

কেহ বিবস্ত্র, কেহ বিকৃতবর্সা, কাহার কেশ অস্ত, ভষ্ট, লুগ্চিত,_কাহার অঙ্গাভরণ বিশ্কীর্ণ বিনীর্ণ,__কেহ্‌ জষ্ট মুকুট, কেছ বিহতত্দ্ধা, কেহ ঘ্বণ্যদেহ।, কাহার মুখ বিকৃত, কাহার চক্ষু বিবন্তিত, কাহার মুখ দিয়া লালাল্রাব হইতেছে, কেহ বিকৃত-আন্তে সশব্দ হান্ত করিতেছে, কাহার মুখদিয়া প্রলাপবাক্য নির্গত হইতেছে, কেহ দন্ত কড়মড় করিতেছে, কেহ বিকৃতমুখে নিড্রিত, কাহার রূপ বিগলিত, কেহ হস্ত লন্বমাঁন করিয়! পতিত, কেহ বদন বাকাইয়া আছে, কেহ শীর্ষ উচ্ছিত করিয়া আছে, কেহ মুখের অবগুঠঠন মস্তকে দিয়াছে, কাহার গাত্র তুগ্ন, কাহায় মুখ বিসর্িত, কেহ কুক, কেহ খুর খুর করিয়৷ কাসতেছে, কাহার নাসাবায়ু গ্রবল*শব্দে নির্গত হইতেছে, কাহাবুও বা অপান বাধু ঘোরশবে বহির্গত হইতেছে, কেহ মুদ্জ আলিঙ্গন করিয়া পরিবপ্তিতমস্তকে পড়িয়া আছে, কেহ দস্তদ্ধার। বন্দনস্থ বংশী চর্বণ করিতেছে, কেহ বিরুতান্ত হইয়া (| করিয়া ) পতিত, এবং কেহ ব! বিবন্তিতনয়নে নিদ্িত।॥ ইত্যাদি

এই সকল দেখিয়া বোঁধিসত্বের মনে অধিকতর দ্বণা নির্বেধ জন্মিল। তিনি তখন তাহার সেই অন্তঃপুরকে শ্মশান বলিয়। স্থির করিলেন। ভাবিলেন, হায়! আমি এতদিন এই বাক্ষলীগণের রতিতে বুথ। মুগ্ধ হইয়! বঞ্চিত হইয়াছি। আরও ভাবিলেন, মূর্খেরাই এই সংসারে বধ্যের স্তান্প বিনষ্ট হয়,--অজ্ঞানীরাই বিষ্টাপূর্ণ চিত্রঘটে অন্থুরক্ত হয়,মূর্থেরাই চৌরের ন্যায় অবরুদ্ধ হয়,_-বরাহের ন্যায় অশুচিমধ্যে নিমগ্ন থাকে,--কুক্ধুরের ন্তান় অস্থিকঙ্করমধ্যে প্রবিষ্ট থাকে, পতঙ্গের ন্যায় দীপশিখায় পুড়িয়! মরে, --ইত্যাদ্দি।* অনন্তর ম্বীয় শরীরের বিষ চিন্তা করিতে লাগিলেন তাহাতে ভিনি দেখিলেন/* টি তন

স্পা শা পাদ পাবা

শপ পট ইসা পপ উপ উপ পাপা পাত জা 1 পি

* জলিতবিস্তরগ্রস্থে এইরূপ অনুক কথা আছে। ৬২

বুষ্ধলেব।

সম্ভবমণ্ডচিশ্রবন্নিতযমনিত্যম্‌।”” শরীর মাত্রেই অগুচি পদার্থে উদ্ভূত, অপুচি- পদার্থে লিপ্ত পরিপুর্ণ এবং সর্বদাই ইহ! হইতে অগুচি-নিস্রাব হইতেছে। শরীর অতি ত্বণ্য ! এই মময়ে আকাশ প্রদেশে নিয়লিখিত গাঁথা গীত হইতে লাগিল ।--

“কশ্মক্ষেত্ররুহং ভূষ্ণাসলিলজং মৎকায়সংজ্জীকৃতং

অশ্রু খেদক দাহ মুত্র বিকৃতং শোশিতধিন্বাকুলং

বস্তি পুর বসান্য মস্তক রসৈঃ পূর্ণ তথ। কিন্বিষৈঃ

নিত্য প্রঅধিতং হামেধ্যসংকুলং হুর্গন্ধি নানীবিধং

অন্থী দত্ত সকেশরোমধিকৃতং চশ্সীবৃতং লোমশং

অস্তঃগ্লীহ যকৃৎ বসোঁধ রননৈ রেভিশ্চিতং দুর্বধলম্

মজ্জ! শ্রায়ু নিবদ্ধ যন্ত্রসদৃশং মাংসেন শোভীকৃতং

নানাব্য।ধিপ্রকীর্ণ শৌকক লিলং ক্ষত্র্ষসম্পীড়িতং

জন্তুনীং নিরয়ং অনেকন্থধিরং মুত্যুজরাধাশ্চিতং

দুশ। কোহি বিচক্ষণে। রিপুনিভং মগ্ভে শরীরং স্বকং 2”

এটা কি? শরীরটা কি? ইহা তৃষ্তারপ সলিলের সেচ কর্মরূপক্ষেত্রে

উৎপন্ন ।-__-“দৎ» এতদ্রপ সংজ্ঞায় সংজ্ঞিত। ইভ কেবল অএ স্ব মূত্র পুরীষ- প্রভৃতিবিকাঁরে বিরুত, প্রপূরিত, শোণিত বিন্দুতে আচিত, বসা অস্থক মন্তক- রসে পরিপূর্ণ, পাপপরিপুর্ণ, সর্ববদ৷ শ্রবমাণ, অমেধ্যব্যাপ্ড, ছুর্গদ্ধময়, অস্থি দত্ত কেশ রোম প্রভৃতিতে অচিত, চশ্মে আবৃত এবং ইহার উপরে লোম, ইহার মধ্যভাগ কোমল শ্লীহা যক্কৎ রদ রক্ত মল প্রনৃতি কুৎসিত পদার্থে পরিপূর্ণ, ইহ! নিতান্ত তর্ববল, এবং মজ্জ! স্বাযু পেশী প্রভৃতিতে গ্রথিত বা আবদ্ধ, যন্ত্রাকার মাংসের

ছারা শোভিত বা! সজ্জিত, নানাপ্রকার ব্যাধি শোঁক প্রস্ভতিভে আবিল,-_- ক্ুধাভৃষ্ণায় প্রপীড়িত, কীটসমূহের আলয়, নরকের আধ।র, বহুছিদ্র, মৃত্া জরার

আবাসম্থান ॥। এবংবিধ শরীর শত্রতুল্য মহাপকারী। ইহার প্রকৃত তথ্য জানিয়!

শুনিয়া, বুঝিতে পারিমা, কোন্‌ বুদ্ধিঘান্‌ ইহাকে আপনার বস্ত মনে করিতে

পারে? কে ইহাতে আমিত্ব বন্ধন করিক। স্থির থাকিতে বা নিশ্চিন্ত থাকিতে পারে? ইহাতে আমিত্ববোধ না থাকাই শ্রেরস্কর | পুরনিধাণ ছন্দক-সংবাদ

অর্ধরাত্র অতীত, পুরবাসিগণ মায়ানিদ্রায় অভিভূত, শাক্যানংহ ভাবিলেন,

অয়মেব সময়১--এই আমার উত্তম সময়, এই আমার পুরনিজ্রমণের উত্তম

জবনর। অনস্তর তিনি মনে মনে সন্ন্যাস সংকপপ করিয়া! শয্য।ভত পর্যস্ক হইন্ডে

পঞ্চম পরিচ্ছেদ ৭৭

অবতরণ করিলেন। পূর্ববাভিমুখে দণ্ডায়মান হইয়!, দক্ষিণ হস্তের স্বার! রত্ব- জালিকা অবনামিত করিলেন। অর্থাৎ শরীরস্থ রত্বাভরণ সকল উন্মুক্ত করি- লেন। অনন্তর দ্বারদেশে দাড়াইয় হস্তদ্বয় পুটবদ্ধকরতঃ পূর্ববুদ্ধদিগকে স্মরণ নমস্কার করিলেন। “নমঃ সর্ববুদ্ধেভ্যঃ 1” আমি লমুদয় বুদ্ধদিগকে নমস্কার করি, এই বলিয়! পূর্ববুদ্ধদিগকে নমস্ক'র করিলেন। স্ময়ে গগনতলে দুষ্টিনিক্ষেপ করিয়! দেখেন, আকাশে দেবগণ তাহার পূজার্থ আগমন করিয়া! নতকায়ে অবস্থান করিতেছেন এবং নক্ষত্ররাজ চন্দ্র পুধানক্ষত্রের সহিত একত্রাবস্থান করিতেছেন কার্যাপাধক নুপময় সমাগত দেখিয়, তিনি ছন্দক-নামক ম্বানুচরকে আহ্বান করিলেন এবং বলিলেন,_- “ছন্দক! খলু ম| বিলম্ব হে অশ্বরাজ দদ মে অলঙ্কৃতং দর্নবনিদ্ধি মম এতি মঙ্গল! অথপিঞ্চি ফবমদ্য ভেষ্যতে ॥৮

হেছন্দবক ! বিলম্ব করিও না, শীত্ব আমাকে একটা সজ্জিত অশ্ব দাও, আমার সমুদয় সিদ্ধি আগত ব| নিকট, নিশ্চিত অন্য আমার '্মভীষ্টসিদ্ধি হইবে।

শুনিয়া ছন্দরু উদ্দিগ্রমনে কিয়ৎক্ষণ কি চিন্তা করিলেন। অনন্তর বলিলেন, নুপসিংহ ! রাজন! কোথায় যাইবেন

বোঁধিসত্ব বলিলেন,--ছন্দক ! যাহার জন্য আমি পুরে বারবার শরীরপর্যাস্ত পরিত্য।গ করিয়[ছি, রাজ্য ধন উত্তম। ভাধা। পরিত্যাগ করিয়াছি, এবং শীল, ক্ষমা, দয়া প্রত! প্রভৃতি পরিগ্রহপুর্বক ধ্যান-রত থাঁকিরা কালকর্তন করিয়াছি, অদ্য আমার সেই সময় বা সেই উদ্দেশ্য উপস্থিত।

আমি পিগ্তরাবস্থিত জীবনিবহের জরা-মরণ-রূপ-পাপ-মোচনার্থ বহুকল্প ব্যাপিয়৷ যে শিবশাস্তি বোধ লাভের ম্পৃহ! করিয়! আসিতেছি, আজ আমার সেই শিবশাস্তি বোধ লাভের সময় উপস্থিত হইগাছে।

ছন্দক বলিলেন,--আমি শুনিয়ছি, আপনি প্রস্থত হইবামাত্র দৈবজ্ঞ ব্রাঙ্ধ- ণের সন্মুথে নীত হইয়াছিলেন এবং তাহারাও আপনার ভবিষ্য বৃত্ান্ত ব্যক্ত করিয়াছিলেন। আপনি দৈবজ্ঞগণের সম্মুখে নীত হইলে, দৈবজ্ঞগণ মহারাজ শুদ্ধোদনকে বলিয়াছিলেন, “মহারাজ ! আপনার এই রাঁজকুলের উন্নতি উপ- স্থিত। আপনার এই পুত্র শতপুণ্যলক্ষণে লক্ষিত হইতেছেন ; সুতরাং ইনি চক্র- বন্তী,চতুর্থীপেশ্বর সপ্তরতলমন্থিত হইবেন যন্ধি ইনি জীবগণের ছঃখে ছঃখিত হইয়। অন্তঃপুর পরিতাগ করেন, তাহা হইলে ইনি বুদ্ধ হইয়া, এই পাপদগ্ধ

৭৮ বৃদ্ধদেব।

প্রজািগকে ধর্মসলিলে অভিষিক্ত তৃপ্ত করিবেন। যাহাই হউক, এক্ষণে আমার একটী কথ! শুনিলে আমি সুখী হইব, কৃতার্থ হইব

শুনিয়৷ বোধিসত্্ বলিলেন, বল।

ছন্দক বলিতে লাঁগিলেন,_-দেব! ইহ সংসারে লোক দমকল ষে উদ্দেশে অনেক প্রকার ব্রত তগপশ্তার্দি করিয়া থাকে, আপনি সেই দেব-মন্ষ্য-সম্পত্তি বিনা তপস্ত!য় লাভ করিয়ছেন। আপনি রাঁজা রাজপুত্র, ষুবা দর্শনীয়, তরুণ কোমল শরীর, আজও আপনার কেশপাশ ভ্রমরকৃঞ্চ আছে আজও আপনার ক্রীড়া কৌতুক কামভোগ অসমাপ্ত আছে। এই জন্তই ব্লিতেছি, এখন আপনি অমরাধিপতি ইন্দ্রের স্তাঁয় রাজম।ন থাকুন, সুখবিশেষ ভোগ করুন পশ্চাৎ যখন ষাঁইবেন, বখন আপনি নিষ্ষণ্টকে যাইতে পারিবেন, তখনই আপনি সন্নাসার্থ পুরপরিত্যাগ করিবেন, বাধ! বিদ্ব হইবে না। নিশ্চিত তখন আপনার মনোরথ সফল ভইবে। কিন্তু এখন না

বোধিসত্ব বলিলেন,--“ছন্দক ! কাম্য কাম সমস্তই অনিত্য অস্থির অশাশ্বত। সমস্তই অপরিণামধর্মী, নাহাবের ন্যায় ক্ষণস্তায়ী, রিক্তমুগ্টির ত্যাঁয় অসার, কদলীকাগ্ডেব ম্যায় ভঙ্গুর দুর্বল, অপক্কভোজনের ন্তায় পরিণামদুঃখদ, মারুতলভার গ্যায় অন্থথপ্রদ, ফেনবৃদ্ধদের স্তাঁয় বিপরিণামী, মায়ামরীচিদদৃশ, জ্ঞানবিপর্ষায় হইতে উদ্ভূত, স্বপ্নের স্াঁয় ছুর্ভোগ্য, ছুঃখপূরিতসাগরের স্তায় দূরৰ- গাহ, এবং সর্পমস্তকের হ্যায় ছুল্পশ্ত ইহা দেখিয়! পণ্ডিতগণ ইহাকে সভয়, সদবোষ বিবর্জনীয় বলিয়া উপদেশ করিয়া থাকেন। প্রাজ্ঞগণ ইহার নিন্দা করেন, অজ্ঞান মূর্খ লোকেরাই ইহার পরিগ্রহ করিয়! থাকে ।*

ছন্দক দগ্াহতের ন্যায় শল্যবিদ্বের ন্যায় বেদন! প্রাপ্ত হইয়া সাশ্রনয়নে পুনর্ধার বলিলেন ;--দেব! সংসারের শত লোক তীবতর ব্রত নিয়ম ধারণ করিতেছে, অজিনপরিধায়ী, জটাধর, কেশশ্বশ্রুধর পিণ্যাক-ভক্ষ হুইয়! গোব্রত প্রভৃতি বহন করিতেছে। তাঁভাদের কামনা-_মামর! শ্রেষ্ঠ হইব, বিশিষ্ট হইব, লোকপালক হইব, দেবত্বলাভ করিব, অথবা দেবগণেব সহচর হইব হে নরবর্ধ্য ! আপনি সে-সমন্তই লাভ করিয়াছেন। আপনার বাজ্য স্ফীত, স্ভিক্ষ নিরু- পঞ্জব। আপনার উদ্যান মনোহর, প্রাসাদ স্থুরম্য, সী স্থন্দরী, এই জন্তই অন্ধু- রোধ করি, আপনি সকল ত্যাগ করিয়! যাইবেন না, যথাস্ুথে স্বচ্ছন্দে সকল ভোগ করুন, দেবরাজের স্ঠায় বিহার করুন

পঞ্চম পরিচ্ছেদ খ৯

বোধিসন্থ বলিলেন, ছন্দক! শুন, পুর্বজন্মে আমি অসংখ্য ছুঃখ ভোগ করিয়াছি পূর্বে সকল কাম্য কামন! দোষে বন্ধন, অবরোধ, তাড়ন, তর্জন জরা ব্যাধি প্রভৃতি শত শত ছুঃসহ যন্বণা অনুভব করিয়াছি। ছন্দক !.এ সম- স্তই মিথা, মিথ্যা প্রত্যায়-সমুৎপাদি ত, অজ্ঞ(নমূলক, অত্রের স্তাঁয় অনিত্য, বিছা তের তাঁয় ক্ষণিক, নীহারের স্তাঁর লয়শীল,'এবং রিক্ত, তুচ্ছ ও' অসার ।ইহা আত্মা নহে, সকল আত্মাতে নাই, আত্মার সহিত্ত ইভাদের সম্পর্কও নাই | সমস্তই অসার অঞ্চব। এই নিমিত্ত আমার মন বিষয়ে অনুরন্র সংসক্ত হয় না অত- এব হে ছন্দক ! তুমি আমাকে শরীঘ্ব একটি সজ্জিত অশ্ব দাও, বিলম্ব করিও না!

ছন্দক পুনরূপি বাম্পাবরদ্ধ কে প্রত্যুনর দান করিল। বলিল, শক্যপাঁজ। কিছুকাল সকল ভোগ করুন, সুখ অন্তভব করুন, পরে আঁপনি বনে যাইবেন।

বোঁধিসত্ব বলিলেন,ছন্দক ! সকল কাম্যকাম 'আামি অপরিমিত অনস্ত কল্প অনেক প্রকারে উপভে!গ করিয়াছি রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব',-_-এ সম- স্তই অন্ুভবগোচর করিয়াছি দিব্য-ভ্ে।গ মানুষ-ভোগ উপভোগ করিয়াছি তথাপি আমার তৃপ্তি হয় নাই 1 তৃষ্ণার অন্ত নাই। পুর্বে আমি চতুদ্দীপের রাজ! হুইয়। স্ত্রী-গৃ-মধ্যে বসতি করিয়াছি ইন্্রত্ব করিয়াছি, যমত্বও করিয়াছি আমি অনস্তকাম উপভোগ করিয়াছি, কিন্তু আমার তৃপ্ডি হয় নাই। ছন্দক! পূর্বে যখন অত্তেও তৃপ্ত হই নাই, আজ কেন এই অল্পতর কামে তৃপ্তি হইবে ? ছন্দক ! আমি যাইব, নিশ্চিত যাইব, সংবিৎপদ্দে গমন করিব। ছন্দক আমি দৃঢ়তর ধর্মরূপ নৌকায় আরোহণ করিয়া এই ভয়ানক ভবার্ণব উত্তীর্ণ হইব। জগৎকাও উত্তীর্ণ করিব, নিজেও উত্তীর্ণ হইব, তুমি বাধ! দিও না।

ছন্দক এবার অনেক রোদন করিলেন। অনস্তর বলিলেন, “তবে কি যাওয়াই নিশ্চয় ?”

বোধিসত্ব বলিলেন, নিশ্চয় শুন, ছন্দক ! জীবের মোক্ষার্থ হিতার্থ আমি যাহা নিশ্চয় করিয়াছি তাহা দঢ় ; মুমেরুর হায় দু কিছুতেই তাহ! বিচলিত হইবে ন1।

ছন্দক পুনর্ব।র দীর্ঘনিশ্বাস সহকারে জিজ্ঞাস|,করিলেন, আর্যাপুত্রের নিশ্চয় কিরূপ দু?

বোধিসত্ব বলিলেন, বজের হ্যায়, অশনির ন্যায়, শক্তির হায়, কুঠারের স্তার প্রাস্তরের স্যায় দৃঢ়

৮০ বু্ধদেব।

বজ্রপাত, অশনিবৃষ্টি, কুঠার, শক্তি, শর শীলাবর্ষণ হইলেও আমি স্বাভিলীষ হইতে প্রচ্যত হইব না। মন্তকে বিদুৎ, বন্, তণ্তলৌহ প্রজলিত শৈলশিখর নিপতিত হইলেও পুনর্ধ্বার গৃহাভিলা'ষ উৎপাদন করিব না।

গুনিয়৷ ছন্দক অবাঁক্‌, নিম্পন্দ সংজ্ঞাহীন

এই স্থানে বৌদ্ধগণ বলিয়া থাকেন, ভগবান্‌ শাক্যসিংহের তা দৃনিশ্চয় দেখিয়! বিমানবাহী দেবগণ হর্ষে পুষ্পবৃষ্টি আনন্দ নিনাদ করিয়াছিলেন এবং

নিযম়লিখিত গাথা গান করিয়াছিলেন 'ন রজ্যতে পুরুষবরস্য মানসং নভে। যথা তম রজ ধূমকেতৃভি2। লিপ্যতে বিষয়সুথেষু নির্মল

জলে যখ। নবনলিনং সমুদগতম্‌ ॥"? [ এই শ্রেষ্ঠ পুরুষের মন কিছুতেই অন্ুরক্ত নে আকাঁশে তম ব! অন্ধ-

কার, রজঃ ব! ধুলি, এবং ধুমকেত প্রড়তি কেবল দশা হয়, অন্তে দেখে মাত্র কিন্তু আকাশে সংসক্ত হয় না। ভগবান্‌ শাকাসিংহের চিত্তও তদ্রপ। যেহেতু ইনি বিষয়ন্বথে লিপ্ত ভন না, পূর্ণনিম্ল, সেই হেতু, জলে যেমন নবনলিন

উদগত .হয়, অথচ তাহ! জলে অলিগ্ু, তেমনি আমাদের এই ভগবানেরও চিত্ত বিষয়ে সঞ্চারিত, অথচ তাহাতে অলিগ্তু।

রাত্রি এখন অনেক অর্ধরাত্র আগত। আজ. ভীষণ অর্ধরাত্র সময়ে কপিল- বন্ত মহানগর মহ! প্রস্বাপনে অভিভূত | জীবমাত্রেই নিদ্রিত অচেতন কেবল মাত্র ভগবান শাক্যসিংহ ছন্দক জাগরিত। ছন্দক অনেক রোদন করিলেন, অনুনয় বিনয় করিলেন, কিছুতেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ভগবানের মনঃ প্রতিনিবৃত্ত হুইল না। ছন্দক একান্তে দণ্ডায়মান থাকিয়া নীরবে রোদন করিতেছেন। ভগবান পুনঃ পুনঃ “অশ্ব দাও” বলিয়া উত্তেজনা করিতেছেন। সমস্ত নগর সপ্ত, মহাপ্রস্বাপনে অভিভূত অর্দরাত্র পরিপূর্ণ হইল, চক্র নির্শল-আকাশে পুষ্যনক্ষতের সহিত উদ্দিত হইলেন, শাক্যসিংহ দেখিলেন, পুরনিক্রমের শুভক্ষণ বা শুভ সময় আগত হইয়াছে! তাহা দেখিয়া! ভগবান্‌ শাক্যসিংহ রোরুয়মান ছন্দককে পুনর্বার বলিলেন

ণ্ছন্দক ! আর কেন ছুঃখ দাও? আর কেন বিলম্ব কর? শীঘ্ব আমার একটি সজ্জিত অশ্ব দাও-বিলম্ব করিও না” শুনিপ়া ছন্দক প্ুনর্ববার বলিলেন।_

পঞ্চম পারচ্ছেদ্। ৮১

_আধ্যপুত্র! আপনি কাপজ্ঞব-কোন্‌ কালে কি করিতে হয়, তাহা উত্তম রূপ জানেন। আপনি সময়ুজ্--কোঁন সময়ে কি করিতে হয় তাহ। বিশেধরূপ জানেন। আপনি নিয়মন্্র--কোন কার্য কি নিয়মে করিতে হয়, তাহা জানেন। আমি দেখিতেছি, এই কাল আপনার গমনের উপযুক্ত নহে। তবে কেন আপনি বার বার আমাকে আদেশ করিতেছেন ? শুনিয়া বোধিসত্ বলিলেন, “ছন্দক ! ইহাই আমার সেই কাল--লেই শুভক্ষণ। ইহ! অকাল বা অসময় নহে

ছন্দক বলিলেন, দেব! ইহা! কোন্‌ বিষয়ের কাল? বুদ্ধদেব বলিলেন, ছন্দক ““যন্ময়। গ্রার্থিতু দীর্ঘ রাত্রংসন্বত্রাণার্থ পরিমার্গতাহি। অবাপ্য বোধিসজরামরং পদং মোচে জগত্স্য ক্ষণ। উপস্থিত ॥।" আমি যাহা জীবপরিত্রাণের জন্ত বহুকাল অন্বেষণ করিতেছি, প্রার্থনা করি- তেছি, হে ছন্দক ! সেই অজর অমর বুদ্ধপদ লাভ করিয়! জগত ত্রাণ করিবার উপযুক্ত শুভক্ষণ এত দিন পরে অন্ধ উপস্থিত হইয়াছে আর বিপম্ব করিও না, থেদ করিও না, বাধ! দিও না, শীঘ্র আমায় একটি সজ্জিত অশ্ব দাঁও। এত্ব। ছন্দক অশ্রপূর্ণ নয়ন স্তং স্বামিনম ব্রীৎ, ত্বংষাপ্যসি সত্তসাঁরথিবর ' কি মণ কাধ্যঞ্চ তে £ দবারাস্তে পিহিতা দৃহার্গল কৃত? কো! দাঁন্যতে তান্‌ তব?! গুনিয়। ছন্দক রোদ্ধন করিতে লাগিলেন এবং বলিলেন, আপনি কোথাগ্ন যাইবেন ? অশ্ব লই কি করিবেন? সমস্ত দ্বার পিহিত --আবদ্ধ; কে আপ- নাকে তাহা খুলিয়া! দিবে? ছন্দক এই কথ! বপবামাত্র_ “শক্রেণ মনস।ধ চেতনব্সাত তে দ্বর মুক্তা কৃতাঃ ॥” ইন্ত্র কতৃক সমস্ত বার উন্মুক্ত হইল, ছন্দক দেখিলেন, সমস্তদ্বার উন্মুক্ত “দৃ্। ছন্দক হার্ধতঃ পুন দুখী অক্রুণি সোহবর্তয়। |" স্বার উনুক্ত দেখিয়। ছন্দক হৃষ্ট হইলেন, পরক্ষণেহ আবার হুঃখিত হইলেন। তাহার চক্ষে অঙ্গত্র অশ্রু নির্গলত হইল 1 দেবাঃ কোটি সহত্র হষ্ট মনসঃ স্তং ছন্দ কমক্রবন্‌। সাধু ছন্দক ! দেহি কণ্ঠকবরং ম। খেদয়ে। নায়কম 1”

প্র সময়ে আক্াশবাণী হইল। অন্তরীক্ষচর দেবগণ হ্ৃ্টচিত্তে ছন্দককে সম্থে ধন" পূর্বক বলিলেন, ছন্দক ! আর কেন, শীন্ত অশ্ব দাও, প্রতুকে ছুঃখ দিও ন।।

৮২ বুদ্ধদেব

বোধিসত্ব বলিলেন, ছন্দক ! দেখ, আকাশে শ্বগীয় জ্যোতির শোঁভ। দেখ। দেখ, শচীপতি ইন্দ্র তোমার দ্বার দেশে উপস্থিত।

ছন্দাক তখন অদৃষ্টচর দেবগপের তাদৃশ বচন শ্রবণ করিয়া থাকিতে পারি- লেন না, সুজাত নামক একটি সজ্জিত অশ্ব আনিস দিণেন। রোদন করিতে করিতে বলিলেন, প্রভে। ! এই অশ্ব, গ্রহণ করুন। আপনর অভীষ্ট নিরব হউক, সিদ্ধ হউক

আরূঢঃ শশিপূর্ণমগুলনিভং তমখর।জোত্মম্‌, মাল। পাণি বিশুদ্ধ পদ্ম বিমল শ্যগ্তঞ অঙ্বে।তমে,

ভগবান্‌ শক্যসিংং আব বিলম্ব করিলেন না, হষ্টচিত্ে অশ্বেপার আরোহণ করিলেন খেদ, দন্ত, ভয়, এস্ক1, মায়া, মমতা) কিছুমাত্র পরিলক্ষিত হইণ না, কিছুতেই তিনি বাথিত পা কাতর হইলেন না, অনায়!সেই প্রকুল্লচিন্তে অশ্বোপরি আরোহণ করিলেন ! সেই পূর্ণচন্দ্র প্রভ জখরাঁছের পৃষ্ঠদেশে হস্ত(পণ পূর্বক তছুপরি আরোহণ কারলেন।

কথিত আছে, ভগবান শাক্যসিংহের গমনকালে ইন্দ্র ব্রহ্মা তাহার পথপ্রদশক হইয়া অগ্রে অগ্রে গমন করিয়াছিগেন। দেই সময়ে তাহার গন্তবা- পথে পৃষ্পবর্ষণ হইয়।ছিল, দিব্য বাঁদএবাধিত হইয়।ছিল, দেবগণ অস্গুরগণ তাহার স্ততি পাঠ করিয়াছিল এই লোমহর্ষণ; ব্য।পার সেই অদ্বরাঞ্ত সময়ে সংঘটিত হুইল, ছন্দক ভিন্ন মন্ত কেহ জানিল না। শাক্যপুরের পুরদে বতা (রাজলম্ধী) মুক্তিমতী হ্ইয়। এই মছাপুঞ্ষের নেরপথে উাদত হইয়াছিলেন, তিনিও রোরুগ্ভমানা হইয়া করুণ বিলাপ করিয়া ছলেন, * কিছুতেই এই মহাপুক্ষবের দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। শিথিল হয় নাই। রোরুগ্তমান ছন্দক পশ্চাতে, তিনি অগ্রে। ছন্দক পাঁদচারে,ঃতিনি অশ্বপৃষ্ঠে। সমস্ত নগর মহ! প্রস্বাপনে অচেতন, গ্ুতরাং তিনি নির্কিদ্রে বিন| বাধায় স্বভবন হইতে এরূপ বিধানে ধহির্গত হইয়াছিলেন। বহির্গত হইয়া একবার রাজভবনের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়াছিলেন এবং নিয়লিখিত প্রকার প্রতিজ্ঞা সম্ভাষণ করিয়াছিলেন।

“ব্যবলোক্য চৈব ভবনং মতিমান্‌ মধুরন্বরোগির মুদীরিতবান্‌ )

* এসকল কথ। ললিতবিস্তর গ্র্থে বিস্তুতরূপে বর্ণিত জাছে, অনাবস্থকবোৌধে পরিতাক্ত

হইল।

পঞ্চম গর ০৩

নাচ: প্রবেদ্দি কপিলসা পুর অপ্রাপ জাতি ফপণ। করম 1 ভ্ান[গানং শয়ন হঞ্মণং

কারিমোহ' হ্পিল্খৃন্তু হণ মারল লজং বরপোধি মঘ! লজরামরং পদ বসং হা তম্‌

ঝাজ্যন্্থে প্রলোভন, জী পুনাঁদির স্নেহ, ইন্দ্রিয় সেবার সুখ, সমন্তই তিনি মনোঁবলে পরাভূত করিয়াছিলেন। তাঁার অশ্ব দক্ষিণপুর্দভিয়াখে চলিল, ছন্দক তাহার পশ্চাৎ গশ্চাৎ প্ৰনকারে চলিলেন ক্রমে খাজধানীর সীমা অতিক্রান্ত হইল নগরসীমা রাজ্যদীম! পশ্চাৎ পাতিত হইল, তথাপি রাত্রের শেষ হইল না। তাহার তশ্ব অবিশ্র'স্ত পদচঃলনা করতেছে, ছন্দকও সমবেগে পদচালন1 করিতেছেন ।। ক্রমে ইহারা হ্বরাজাসীমা অফিক্রম করিয়! ক্রোড্য দেশে প্দাপণ করিলেন। ক্রমে ক্ষোঢাদেশ অতিক্রান্ত হইল? সন্যুখে মলদেশ অচিরাঁৎ তাহা অতিক্রম কখিলেন। যখন ঠাহাপা মঈীদেশ অতিক্রম করিয়। মৈনেয় দেশের পেপুবন্মমীপে আগমন কাঁরলেন, তখন তাহাদের লাত্রি প্রভাত! হইল। লল্লিতবিতপ্তর গ্রন্থে পিখিত মাছে, এই স্থান কপিলবস্ত নগর হইতে যোজন দূর 1

রাত্রি প্রভাত হুইল ভগবান বুদ্ধ এই অনন্নে অশ্বপৃ্ঠ পরিত্যাগ করিয়া যুত্তিকোপরি উপবিষ্ট হইলেন। কিসৎক্ষণ পরে ছন্দককে বলিজেন ছন্দক ! তুমি এই অশ্ব 'ও আভরণ গ্রহণ কর এবং গুঁঠে গমন কর। এই বলিক্সট একে একে সমুদয় আভরণ উন্মোচন করিলেন এবং ছন্দকের হন্তে অঙ্গন করিলেন। ছনক অনেক রোদন কগ্গিলঃ অভুনস্ব করিল, অঙ্গরোধ কিল, প্রার্থন। করিল, বিনয় বচন বলিল, কিন্তু প্রভু বুদ্ধ লে সকল কথায় কণপাত না করিয়া পুনর্ব।র বলিলেন-_

পশলা পা পা পরা». জপ দা পি

ঘর শপ বক

পাটি

* প্রশত্তচেতা রাঁজকুষার নগরমুখ নিরীক্ষণ পুর্বক মধুরহ্থরে বলিলেন, যর দিন না আমি অজর অমর মোক্ষপদ প্রাপক বুদ্ধগ্জোান লাভ করিশ, ৯ত দিন এই কপিলপুরে প্রযেশ, উপবেশন, ভ্রমণ, ভোজন, কিছুই করিব না অধিক কি ইহার অহ্িমুখেও আসব না।

+ ক্রেশে এক যোজন, মোঁজনে :৪ জ্রোশ কোন লেখক লিখিয়াছেন, ৪৫ ক্রোশ দুরে অনোসা নদীর তীরে ভাহাদের রাত প্রভাত হইয়াছিল শ্ান্বদী লা হুক কখা। কতদূর আদরতীয, তাহা পাঠস্কগণ বিশেচন] করিতেন

৬৩

৮৪ বুদ্ধদেব

ছন্দে! গুহীত্ব কপিলপুরং প্রযাহি মাতা পিতৃণাং মম বচনেন পৃচ্ছে,ঃ গতঃ কুমারো। নচ পুনঃ শোচিথাঃ বুদ্ধিতব বোধি পুনরহ ম।গমিষো ধন্মং শুনিত্ব ভবিষ্যথ শান্তচিত্তাঃ | ছন্দক ! তুমি এই অশ্ব এই আভতরণ লইয়া! কপিলপুরে ঘাঁও, আমার পি মাতা যাহাতে শোকসন্তপ্ত না! হন, তাহা করিও বলিও, কুমার গিয়াছে বলিয়| আপনারা শোক করিবেন নাঁ, কুমার বোধি অর্থাৎ সম্যক জ্ঞান জ্ঞাত হইয়া পুন. বর্বীর আসিবেন, তখন পে ধর্ম শুনিয়া আপনার! শান্তচিত্ত হইবেন, স্থৃণী হইবেন। “নে মস্তি শক্তি বলপবাকমে ঘা হনেযু মহা নরবন জ্ঞতি সংঘাঃ ছন্দা কক নীতো গুণধর বোধসত্বঃ 2 ছন্দক কীদিয়! বলিল, প্রভো ! আমার শক্তি নাই--নিঃশক্তি হইয়াছি। ঘল নাই-_ছুর্বল হুইয়াছি। পরাক্রম নাই-_নিস্তেজ হইয়াছি। হে গ্রভে|! রাঁজপ রবারগণ, রাজার জাঁতিগণ,শাক্যগণ মামাকে প্রহার কবিনে, আঁর বলবে “তুই গুণধরকে কোথায় লইয়! গিয়াছিলি? এবং কোথায় রাখিয়া! আইলি ?” বোধিসত্ব বলিলেন, ভয় কি? ভীত হইও না, আমি বলিতেছি, তোমাকে কেহ মারিবে না। আমার জ্ঞাতিগণ-_রাঁজা রাজপুরুষগণ--কেহ তোমাকে মারিবে না, সকলেই তোমার প্রতি তুষ্ট ভইবে। আমার প্রেমে তাহারা সকলেই তোমাকে আদর করিবে। ছন্দক আর কিছুই বলিতে পারিল না, তাহার অবরুদ্ধ হইয়া গেল। বার বার গ্রভৃ-মাজ্ঞ। অবহেলা অসঙ্গত ভাবিয়া! ছন্দক অগত্যা রোদনসহকারে প্রদত্ত 'অ।ভবণাদ্ি গ্রহণ করিল, অতি কষ্টে শাক্যপুর গমনে সম্মত হইল লঙ্িতবিস্তর নামক বৌদ্ধ গ্রন্থে লিখিত আছে, ছন্দক যে স্থান্ন হইতে ফিরিয়াছিল. সেই স্থানে এক চৈতা (ম্মারক স্তত্ত ব! বৃক্ষ ) স্থাপিত হইয়াছিল সেই চৈত্য অদ্যাপি বিদ্যমান আছে * এবং লোকে তাহাঁকে “ছন্দকনিবর্তন* নামে খ্যাত করিয়াছে |

০১৯৬১ ১দপি পচাারা্++উ

* ললিতবিস্তর লেখকের সমর পর্য্যন্ত ছিল, কিন্তু এখন আছে কিন! তাহ! আমরা জানিন! !

পঞ্চম পরিচ্ছেদ। ৮৫

ছন্বক কিয়দ্দুর গমন করিলে সিদ্ধার্থ মনে মনে বিচার করিলেন, আমি সন্যাসী হইলাম অথচ চুড়! (নুদীর্ঘ কেশ) থাকিল হৃহা কি প্রকার হইবে? ভাবিয়া তিনি এক খড্ো? * ছা ভ্রধরকৃষ্ণ দীর্ঘকেশ ছেদন করিয়া অস্থরাক্ষে নিক্ষেপ করিলেন

বৌদ্ধ গ্রন্থে লিখিত আছে, ভগবান্‌ বুদ্ধদেব কেশ পাশ ছেদ্দন করিয়া দূরে নিক্ষেপ করিলে, দেবগণ তাহা পুজার [নমিন্ত গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং সেই চড়া" চ্দস্কানে চৈত্য স্থাপিত হইবায়: সে চৈত্য চুড়াপ্রাতগ্রহণ নাম প্রাপ্ত হইয়া" ছিল।

শগীর নিরলহ্ক(র মস্তক কেশবিহীন হইল, তথাপি সিদ্ধার্ষের মন পরিতুষ্ট হইল না। ঠান স্বপরিধেয় কৌ।বক বা কাশিক বন্ত্রের 1 প্রাত দৃষ্টি 9.5 লাগলেন। ভাবিলেন বস্ত্র সন্গানীদের বন্ত্র নহে। বর্দি বনবাসের উপযুদ্ছ কাৰায় বস্ত্র পাই, তাহা হইণে ভাল হয় এই সময়ে এক ন্যাধ্ধ তীাহায় সুখে কাঁষায়বন্ত্র পরিধানপুর্বক পসাগত হইল। তাহা দোথয়। ভগবান্‌ বোধিসত্ব হু চিত্তে ব্যাধকে সপ্ষেধন পুন বাঁললেন, মগাশয় ! আপনি ঘি আমাকে অপনার পরিহিত বস্ত্র দেন, তাহা হইলে আমি এই তৌশিক বস্ত্র আপনাতে দেই £। ব্যাধ ঝলল হা--এই বস্তু আপনার শোভনীর এবং বস্ত্র আমার শোভনীয়। বুদ্ধদেব বলিলেন, সেই জগ্তই উহ! আমি যাচঞা করিতেছি।

ব্যাধ তন্মুতর্তে আপনার পরিহিত কাঁধায় বস্ত্র উন্মোচন পুর্বক বুদ্ধদেবকে প্রদান করিল, বুদ্ধদেবও আপনার কৌধিক বস্ত্র ব্যাঁধকে প্রদান করিলেন।

ললিতা বস্তর গ্রন্থে লিখিত আছে, এই ব্যাধ প্রকৃত ব্যাধ নক, ইনি এক দেবপুক্র। ব্যাধরূপ্মী বেবপুত্র ভগবানের প্রদত্ত বস্ত্র মস্তকে ধারণ পূর্বক দ্রেব- লোকে গমন করিল, ছন্দক তাহ! নাকি দূর ভঈতে দেখতে পাইয়াছিল। সেই বস্ত্র প:রবর্তনের স্থ!নেও এক উচ্চতর চৈত্য স্থ'শিত হইয়াছিল। সেই চৈত্য নাকি অছ্/.পি কাষায়গ্রহণ নামে খ্যাত আছে।

পেশা শত পপি পি পাপে এসপি সপে | সক চি ০৩ সপ নর

ক্* খাডী কোথার ছিলঃ তাহ। লিখিত নাই

1+ কৌধিক--রেশ,মি ক।পড়। কাশিক--কাশীদেশের বস্ত্র।

] এই বস্ত্র পরিব্তদকথা নানাজনে নানারপ লিখিয়ে কিন্ত মূল গ্রন্থে যাহা আছে তাহাই লিখিত হইল।

৮৬ বুদ্ধতদন।

এইরূুপে ভগবান বুদ্ধদেখ গাজা, রাজভোগ, স্ত্রী, পুত্র, বন্ধু, বন্ধ”, দাঁস, দাসাঁ, সকল পরিত্যাগ করিয়া! সমুদাঁয় সংসারবন্ধন ছিন্ন করিয়া অশোঁন্চ অমুতপদ্র কুন্থেদণাথ ভিক্ষু-বশ ধারণ করিলেন। তাহার পনুচর ছন্দক দূর হইতে প্রতুর তাদৃশ,বেশ অন্দর্ণন করিয়া বার পর নাই বাথা প্রাপ্ত হহয্না অধিরল ধারে রোদন কগিতে করিহে কপিলনস্ত নগরে গমন করিল। কন্টকনাস। তাহার অশ্ব প্রভূবহহে কত হইয়া .লতাবে কোন বাডে করিতে অভি- কণ্ঠে ন্দকের অনুগামী হইল।

বষ্ঠ পরিচ্ছেদ

শৃকাসিংহের বৈশালী গুসন-সগধ্প্রবেশ-রাঁজগৃহ নগরে বাস বিদ্বিলার রাঁজার সহিত সাক্ষাত-.পুনবৈশলীগদন -মগধে পুনরাগমন এবং মগধবিভার। “ইতি হি বোধিসন্তো লগ্ধক-রূপাক় দেখগ্ু্রায় কাশিকালি বাণ দন্ত তল সকাশাত কযাশাদি বন্াণে নগীতা স্য়মের শুরা জো শানুপর্থনাং উপাদায়

তান্থ'নুলম্পার্য সতপরিপাচনাখধ

ভগবান শাকাদিংহ লাছা, রাও পুল, ফু! দর্শনীয়, কোন কপ অভাব

ধস প্রপার্টি 3. এসি সি মি] পচা | লং স্পর্শে ৬] পর গে ছে ভে

'ভাহাকে স্পর্শ কে নাউ) শর কোনরূপ করে নাই, তথাপি তিন গ্রহে খাপণিতে পাদলেন না-সহ্গাসা হইলেন! রাত্রিকলে পৌরবর্গ প্র্প হইলে ঠিনি যে দন্দকেন সাগাষা গু বতির্থত হগ্াছলেন, এক্ষণে বাতি প্রভাছে ভিন তাহাকে পরিত্াগ কিলেন। ছন্দক কাদিহে কীদিশে ১৭ ভমুখে গমন করিল--শ।ক্যদিংহ এখন কক সঙ্গে কেহই নাউ, তথাপি নভীক গু লশিশস্ক। রাজপারিচ্ছ্দ পরিহিত ভিল, তাহ! তিনি এক ব্যাধকে দিয়াছেন, ব্যাধের শিকট হতে গৈরিকরঞ্জিত কৌগীন বস্তু গ্রহণ করিয়া পাহধান করিসংছেন। মুন্তকে সুন্দর কেশ ছিল, তাকাও ছিন্ন করিমাছেন। এক্ষণে লোকানুপর্তন লোকহিত জ্ঞানপাভ উদ্দেশে সন্ভযাপরুতে দীক্ষিত হঈয়া।ছ ন। কপিলবস্ত নগর পরিভাগ করিয়া পুর্ব দক্ষিণ ছয় যোজন পথ অতিক্রমের পর ঈৈনেয় দেশের জহুইবনের লাম ক্ষুদ্র গ্রামে উহাদের রাত্রি প্রভাত!

যষ্ট পরিচ্ছেদ। ৮৭

হইয়াছিল। সেই স্থানে তিনি ছন্গককে বিসঞ্জন দেন এবং কথিত প্রকারে সন্যাসবেশ ধারণ করেন। সেদিন মধ্যাহ্ৃকালে তিনি "শাকিয়া” নামী ত্রাহ্মণীর আশ্রমে আূতিথ্য স্বীকার দ্বারু। মাধ্যাহ্িক আহার সমাপ্ত করিয়৷ পুনপূপি পূর্বব- দিকে গমন করিলেন। পরদিন পণ্মানা্ী ব্রাহ্মণীর আলয়ে মাধ্য/হিক ভক্ষণ নির্বাহ করিলেন। তৎপর দিবস পুর্রভিমুথে গমন করত মধ্যাহকালে রৈবত-্ধষির আশ্রমপ্রাপ্ত হইলেন। সে ধিবন বৈরতাশ্রমে আতবাহিত হইল। তত্পরদিন ত্রিমদপ্ড নামক রালপুত্রের গৃহে ভিক্ষা লাভ কাঁরয়া দৈশালী নানী * মহাঁনগরাতে গমন করিলেন যে সমজ্ষে ভগবান্‌ শাক্যাসংহ বৈশালী গমন করেন, সেই লময়ে সেই নগরে আরাড়কালাম নামক জনৈক খ্যাত্যাপন্ন সর্যাসী বাস করিতেন। এই সন্্যাসীর তিন শত শিষ্য ছিল। ভগবান্‌ বোধিপত্ব নগরমধ্যে গমন করিতেছিলেন, ধন্ম গুরু আরাড় কালাম তাহ। দেখিতে পাইলেন বো.ধসত্বের আকার প্রকার দেখিয়। তিনি বান্মত মোহিত পরিতৃপ্ত হইয়া শিষ্যবর্গকে বলিলেন, দেখ দেখ, কি আশ্যধ্য রূপ! কি অভুত আকৃতি! অনন্তর তিনি ভগবানকে আহ্বান করিলেন, ভগবান্‌ তৎ্মমীপগানী হইলেন।

বু্ধঙ্েব আবাঁড়কালামের শিষ্যত্ব স্বীকার কারয়। কিছুদিন তৎদনিধানে বাস করিলেন, কিন্তু অভিলবিন শিক্ষা বা জ্ঞানসাভ করিতে পারিলেন না। আরা- ডকালাম আকিঞ্চম্াব্ত শিক্ষ; দিতেন ব! স্বেচ্ছাঁবিহারসিদ্ধিসাঁধন উপদেশ করি- তল, এুক্ধবেন তাহা আন পিবসেই অধিগত করিলেন একদা তিনি গুরু আবাড়ক্রালামের নিকট গমন করিয়া খলিলেন, আপনি কি এত|বৎ ধর্মই জানেন? অধিক জানেন না? গুরু গ্রতুান্তর করিলেন, আমি এই পর্যন্তই জানি, অধিক জান না। শু'নগা] ভগবান বশিলেন, আমিও আপনার ধর্ম সাক্ষাৎ করিয়।ছি।

অনন্তর আরাড়কালাম বলিলেন, ম্মাইস, এক্ষণে আমরা দুই জনে এই সকল শিষ্য অনুণাসন করিব।

কিছু দিন গেল, বুদ্ধ ভাবিলেন, আরাড়ের ধর্ম নৈর্ববাণিক অর্থাৎ নির্বণ- লাভের উপায় নহে এক্ষণে সমাক্‌ দুঃখ বিনাশের জন্য অগ্ত কোন গুরুর

পপ সপ্ন

সপ পসপ্প পা

সস শপ বকা

₹. ধৈশ।লী নগর পাটনাঁর উত্তর পশ্চন গঙ্গার পারে অবস্থিত ছিল। এই নগর 'এক সমযে বিলক্ষণ সমৃদ্ধশালী ছিল। ইহার আধুনক মাঁদ বিসার। বৈশাশীর অপত্রংশে বিসায়শব হইয়।ছে।

৮৮ বুদ্ধদেব

নিকট ক্রশ্মচর্ধ্য করিব, সর্ধোত্তর ধর্মের অনুসন্ধান করিব। এইরপ চিত্তার পর তিনি বৈশালী পরিত্যাগ করিয়া মগধে আগমন করিলেন।

তখন মগধের রাজধানী ব1 প্রধান নগর রাজগৃহ। রাঁজার নাম, বিদ্বিসার। নগরের . প্রান্তদীনায় পাগ্ডবশৈল। * একক অসহায় সর্বত্যাগী শাক্যসিংহ নির্জনবাস মনোনীত করিয়া এই পাগুবশৈলের পার প্রদেশের আশ্রয় লইলেন.।

একদ। তিনি ভিক্ষার্থ রাজগুহ মহানগরে প্রবেশ করিলে, নগর-বাসী জনগণ ভাহার অভ্ভুতমুত্তি দেখিয়! মুগ্ধপ্রায় হইল এই অপরূপ রূপ অদ্ভুত সন্াসী য'হার যাহার নেত্রপথে পতিত হইলেন, তাহারা আর নয়ন ফিরাইয়। অন্তর্দিকে নিক্ষেপ করিতে সমর্থ হইল না। সকলেই এবৃষ্টে সেই মোহনীয় সন্নয'সমুস্তি দেখিতে লাগিল। গৃহীর গৃহ কাধ্য গেল, পাঁথক্ের গস্তব্স্থানে যাওয়া হইল না, বণিকের ক্রয় বিক্রয় বন্ধ হইল, নাগীগণ 1চত্রা্পিহরূপিণী হইল কেহ মনে করিল--দ্রেবরাজ ইন্দ্র আগমন করিয়াছেন; অন্যে মনে করিল-_দেবপুজ্র ; অপরে মনে করিল-বৈশ্রবণ; কেহ কেহ পিবেচনা করিল,--পব্ষতরাজ বিন্ধ্যের অধিষ্ঠাতরী দেবতা! পাচারে ভ্রমণ করিতেছেন।

রাজ! বিদ্বিপার শুনিলেন, নগরে এক অপরূপরূপ ভিক্ষু আগমন করিয়াছে। অতুযচ্চ প্রাসাদ্দ তল হইতে ভিক্ষুকের তাদুশ জলন্ত মুন্তি দেঁখয়া রাজার নয়ন মন মুগ্ধ হইল। তিনি ভিক্ষুককে ভিক্ষাদান করিলেন, এবং পার্খন্থ রক্ষী পুরুষকে জনাস্তিকে বলিয়া দিলেন, দেখ, এই পুরুষ কোথায় যায়।

অনস্তর লব্ধভিক্ষ শাক্যসিংহ পাগুবশৈলাভিমুখে গমন করিলে বিশ্বিঘারের প্রেরিত পুরুষ অলক্ষ্যে তাহার পশ্চ(দৃগ[মী হইল। কিয়ৎন্মণ পরে সে প্রত্যা- বর্ভিত হইয়া সংবাদ দিল, “ভিক্ষুক পাগডবশৈলে বাস করে ।১

পরদিন গ্রাতে রাজা বিষ্বিপার পরিজন বর্গের সহিত পা বশৈল গমন করি- লেন। দেখিলেন, দ্েবরূপী বোধিসন্ব গুহ1সমীপে স্বস্তিবাঁসনে উপবিষ্ট আছেন। রাজ! ভক্তিসহকারে “অঙ্গ-নমন পুর্নক' হার চরণ বন্দনা করিলেন, পরে বিবিধ কথা উত্থাপন করিলেন। কথাপ্ডে প্রস্তাব করিলেন, আপনি অমর এই রাজ্য গ্রহণ করুন, করিয়! এই স্থানেই সুখে কালাতিপাত করুন।

সি সপ্পও পপ পপ

* রাঁজগৃহ এক্ষণে রাজগির নামে খ্যাত। এখানে অদ্যাঁপি প্রাচীন মহানগরের [ঘবিধ ংসচিহ্ বিদ্যমান আছে বাজগির্‌ পাহাড়ের দাক্ষণ গশ্চিমদিকে ষে রত্বগির্‌ নামক পাহাড় আছে, বুদ্ধের দদয়ে মেই পাহাড় পওবখৈল নামে খুরি চত ছিল।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ | ৮৯

. শাকাসিংহ বলিলেন, মহারাজ! আপনি চির।যু হউন, চিরক।ল রাজ্যপালন করুন, আমি শান্তি-কামনায় রাজা পরিত্যাগ করিয় সন্যাসী হইয়াছি শুনিয়৷ মগধেশ্বর ধিশ্বিসার পুনর্বার বলিলেন.

“পরম প্রমুদিতৌহস্মি দর্শনাৎ তে নং সং ফু ভবছি মস মহথাযু সর্ধ্বরাজ্যং | অহ তব দাস্তে প্র তং ভূ, কাঁমাঁন্‌॥” আপনাকে দেখিয়া আমি যৎপরোঁনাস্তি গ্রীন হুইয়াছি। আপনি আমার এই সমুধায় রাজ্যের সহায় হউন। আমি আপনাকে প্রচুরততর কাম্য প্রধান করিব, আপনি তাহ! ভোগ করুন। “'ম| পুনর্বনে বনাহি শুন্তে মাড়ৃশ্চ তৃণেষু বসাহি ভূমিবাঁসং। পরম সুকুমার তুশ্যকারঃ ইহ মম রাজ্য বসাহি ভূওজ্ষং কামান ॥" আপনি আর এই জনশুন্ত বনে থাকিবেন না। তৃণাঁসনে বসিবেন না। ভূমিবাস পরিত্যাগ করুন। আপনার শরীর অতি স্থকুমার_অতি কোমল। আমার এই রাজ্যে বা ধাঁজসিংহাপনে বস্থুন এবং কামভোগ করুন| বুদ্ধ বলিলেন, “মস্তি ধরণীপাঁল ভেস্ব নিত্যং অহং কাঁমগুণেভিরধীংকোন্সি |” হে ধরণীপতে! তোমার কুশল হউক, আমি কামগুণের প্রার্থী নহি। “কামং বিষ-সম অনস্ত-দোঁষ নরকে প্রপাতন প্রেত তিধ্যক যোনী খিছুতিবিবিগহিতী। চাপ্যনাংয্যকামাঃ জহিত ময়া ষশ্চ পক্কখেট পিগুং ॥” কাম বিষতুন্য, কামের অশেষ, দোষ, কামই মন্ুযাকে নরকে পতিত করে, প্রেত যোনিতে তির্য্যক ষোনিতে নিপাতিত করে। কাম অতি অশ্রেষ্ঠ--. অপদার্থ--তজ্জন্ত জ্ঞানী লোক উহাঁর নিন্দা করিয়া থাকেন। আমি উহ। ব্যধা- ন্নের ন্।য় অথবা গ্রতিদোষ-ছুষ্ট পশুমাংসের স্তায় পরিত্যাগ করিয়াছি।

১০ বুদ্ধদেব

“কাম জ্রমধল। যথ! পতপ্তি

যথ। ইব ত্র বলাহ্‌ক। ব্রজন্তি। অঞ্চষ চপলগামি মারুতং ঘ। বিকিরণ সর্ব শ্ুভশ্ত বঞ্চনীয়াঃ ৫”

কাম বৃক্ষফলের ন্যায় গলিতবৃস্থ হয়, কাম চর্চন বাধুপাশী মেঘের স্তায় বিকীর্ণ হইয়। যায় এবং সমুদয় মঙ্গলের প্রতারক কাম অলভম'না দহাস্তে তথাপি লব্ধ! ভূপ্তি বিন্দবন্তি। যদা পুরে অবশগ্ত তজ্ডয়ন্তে তদ মহদ,ঃখ জনেন্তি ঘে।র কাম 1? কাম জন্ধ না হইল শরীর, মন দগ্ধ করে, লব্ধ হঈবেও পরিতৃপ্তক্কর তয় না। কাম যখন বেগবান হনব তখন আর তাহাকে গম করা যাঁয়না। কান বন্ধন জন্গেয় হয়, তখন তাঞা নহহ দুঃখ জন্ময়। কাম অতি ভয়ানক “কাম ধরণিণ।ল ষে দিব্যা? তথ অপি মানুষ কাম যে প্রণীতা:। একু নরু লভেতি দরব ক।মাং নচ সে তৃপ্তি লভতে ভুয় এবঃ 8", ছে মহারাজ! কাম দিব্য মানুষ (স্বর্গলোকের মনুধা লোকের ) অন্ু- সারে অনেক, কিন্তু এক জনকেও সকল কাম লাভ করিতে এবং তদ্দারা পরিহৃপ্ন হইতে দেখা যার না। যে তু ধরুণিপাঁল শাস্ুদা স্থাঃ আধ্যা নাশ্রব ধন্ধ পুর্ণ দংজ্ঞ।ঃ প্রজ্ঞ বিছুষ তৃপ্ত তে নুতৃপ্ত।ঃ। পুন কাম গুণেষু কাচি ভৃপ্তিঃ ॥” হে ভূপাল! যাহার! শান্ত, দান্ত, আর্ধ্য, যাহারা আশ্রব হইতে অর্থাৎ কর্ম্মাশম হইতে বিধুক্ত। ধর্পূর্ণ, সম্যক্জ্ঞানযুক্ত, প্রজ্ঞাবিৎ, তাহারাই তৃপ্ত হয়ঃ তৃপ্তি লাভ করে, অন্ত নহে কানে কিছুমাত্র বা কোনক্ষপ তৃপ্তি নাই | কাম ধরণিপান সেবমান। পুর্ধ মনু নবিলাতি কোটি সংস্কতন্ত

যষ্ঠ পরিচ্ছেদ ৯১

লবণ জলযথাহি নর পিত! ভূষ তৃষু ধর্ধতি কাম সেবমাঁনে 1” ছে ধরণীপতে ! কোটি কোটি বিদ্তা থাকিলেও কামসেবকের কাম: সমাপ্ত হুয় না। যেমন লবণাক্ত জল পান করলে মনুষ্যের পিপাস! শান্তি হয় স, নিবৃত্তি হয় নাঃ প্রত্যুত অধিক পিপাঁন। হয়, কামভোগও সেইরূপ

“অপিচ ধরণিপাল পণ্ঠ কারং

অক্রব সংসারকু দুঃখ বস্ত্রমেতৎ |

নষভিব্রণযুখৈঃ সদ। শ্রবস্তং

মম নরাধিপ কাম ছন্দরাগঃ ॥”

আরও দেখুন, মহারাজ! এই শরীর নিতান্ত অঞ্চব, অসার কুৎ্সিত।

ইছা একটি হুঃখের যন্ত্র। সর্বদাই ইহার নবছর শ্রবিত হইতেছে। হে নরনাথ! কামে আমার অনুরাগ নাই।

“অহমপি বিপুলান্‌ বিজহা কামান্‌।

তথ পিচ ইস্ত্রি সহশ্রান্‌ দর্শনীয়।ন্‌।

অনভিরণভবেধু নির্গতো হাহং

পরমশিব! ধরবো বি প্রাপ্ত,কাসঃ 1”

আমি বিপুল ভোগ সাধক মহারাজ্য (কাম) এবং সহস্র সুন্দরী নারী পরিজ্যাগ করিয়৷ উৎকৃষ্টতম বোধ উপার্জনের ইচ্ছায় বঠির্গত হুইয়।ছি

মগখরাঞ্জ বিদ্বিসার সন্যাসীর বাণ্থিন্ত:লে মুগ্ধ হইলেন তাহার চৈতন্টোদয় হইল কিয়তক্ষণ পরে জিজ্ঞান! করিলেন, আপনি কোথা হইতে কোন্‌ দিক্‌ হইতে আসিয়াছেন? আপনর হন্মস্থান কোথান? আপনার পিতার নাম কি? মাতার নামকি আপনি ত্রাঙ্ষণ ন! ক্ষত্রয়? আপনিকি রাজ।? ছেসযাসিন্! অনুগ্রহ করিয়া এই সকল কথ! আমাকে বলুন |

বুদ্ধ বলিলেন,_মহাবাজ ! বোধ হপ্ন আপনি শাকাদিগের রাজ! রাজ- ধনী কপিলবস্ত নগরের কথা গুনিয়াছেন। তাহা! পরমসমুন্ধ শ্রেষ্ঠ। তাহার অধিপতি রাজ! শুদ্ধেদন আমার পিতা আমি সেই স্থান হইতে প্রব্রজজত হইয়ছি

শুনিবামা রাজ! বিশ্বিদার উৎফুররনর়নে হাসাবদনে বলিলেন, আঞ্জ আমার পরম পৌভাগ্য ! ভাগাক্রমেই মা আপনার দর্শন পাঈলাম। ধাহ। হইতে

৬৪

৭২ বুদ্ধদেব

আপনার জন্ম হইয়া, ম।মর! ভাহারই। এক্ষণে আমার অপরাধ ক্ষমা করুন| আম আমার এই প.বুজন সনুয়ই আপনার শান্ত। এক্ষণে আমার প্রার্থনা, আপনি বোধিপ্রাপ্ত হইলে, আমাকে দর্শন দিবেন এবং অনুগ্রহ করিবেন। হে গ্রতো ! হে ধর্মপ্বামিন! আমার দ্বিতীয় অভিলাষ এই যে, কিছু দিন এই স্থানে ধা!কয়! আমাদিগকে সুচরিতার্থ করুন।

রাঞ্জ বিদ্বিসার এইরূপে ভিক্ষুবেণী বুদ্ধদেবের সন্দর্শন লাভ করিয়া এবং বক্তব্য শেষ করিয়া পুনরপি দগুবৎ প্রণাম করিলেন, অনন্তর স্বভবনে গমন করিলেন

বৌন্ধদিগের মহাবস্ত-অবর্ধান নামক পুরাতন গ্রন্থে পিখিত আছে, ভগ বান শকাসিংহ রাজা বিশ্বিলারের প্রার্থনায় দীর্ঘকাল রাজগৃহে বা করিয়াছিলেন। বুদ্ধের রাজগৃহ বান কালে, খৈশাপ্ী নগরীতে ঘোরতর মারীভর হইয়াছিল। জনৈক সন্াপীর পরামর্শে বশিষ্ঠ বংশীয় জনগণ কর্তৃক তিনি মারীভয় বিনাশার্থ বৈশাণী নগরে নীত হইয়াছিলেন এবং বিখ্িসারও তাহার অন্ুগমন করিয়াছিলেন। বৃন্তান্তটি শুনিতে তাল লাগে, এঙ্ন্য তাহা এস্থলে উদ্ধৃত করা গেল। এই গল্পের দ্বার তাৎকালিক লোকের বিশ্বাসের বিষয় জান। যায়।

হিমগিরির ক্রোডপর্বতে কুগুলা নায়ী এক যন্ষিণী বাস করিত তাঁহার এক সহস্র পুগ্র হইয়াছিল যক্ষিণী মৃত! হইলে তাহার পুত্রের! বৈশালীতে আসিয়া অলক্ষ্যে তদর্ধিবাসিগণের তেজোঠরণ করিতে লাগিল। তাহাতে তদ্দেশের লোক

ক্রামক পীড়ায় আক্রান্ত হইয়! মরিতে লাগিল। যখন তাহার! দেখিল», অমা-

মুষু ব্যাধি উৎপন্ন হইতেছে, ওষধে তাহার্‌ শাস্তি হইতেছে না, তখন তাহার! দ্বেবারাধনায় প্রবৃত্ত হইল যখন তাহাতেও মরক নিবৃত্ত হইল না, তখন তাহারা কাশ্প-পুরণ নামক জনৈক খধিঃক আহ্বান ক্রিল। কাঁশ্তপ পুরণ বৈশালীতে আফিলেন; কিন্তু মরকনিবৃত্তি হষ্টল না। পরে পরিব্রাজক গোশাল'!র পুল্রকে আনা হইল, তিনিও মরক নিবারণ করিতে সক্ষম হইলেন না। অনন্তর মরক- নিবরণার্থ কাঁত্যায়নগোত্রীয় কুমুদ মুনিকে আনা হইল, তিনিও বিফল গ্রযত্র হই” লেন। ইহার পরে কেশকম্বল নামক জনৈক সন্নাসী আগমন করিলেন, তিনিও কোন প্রতিকার করিতে পারিগেন না। এইবপে নিগ্রস্থ প্রভৃতি অনেক মুন খধির স্মাগম হইল ; অগচ মরকনিবৃত্তি হইল না। পরে এক দিন দৈবব'ণী হইল, সকল লোকের ছার। মরকনিবুছ্ধি হইবে না। ভগবান বুদ্ধ বিখিসারের প্রাথনায়

যষ্ঠ পরিচ্ছেৰ। ৯৩

রাজগৃহে বাস করিতেছেন, তাহারই প্দস্পর্শে বৈশ[লী দেশের সমস্ত উপদ্রব নষ্ট হইবে; অমানব-ব্যাধি নিবৃত্ত হইবে।

তৎকালে বৈশালীদেশে যে সকল ভদ্রবংশ বাস করিতেছিল, সে সকল বংশ লেচ্ছবী বাঁসিষ্টাহ এই ছুই শ্রেণীতে ধিখ্যাত ছিল। লেচ্ছব!দিগের রাজার নাম তোমর। বাপি বংশের কোন রাঙা ছিল না। লেচ্ছবা রাজ তোমর দৈববাণী শ্রবণের পর বনুবত্রে রাজগৃঠ হইতে বুদ্ধদেবকে আনয়ন করিয়াছিলেন। রাজ! বিছিলারও ভগবান্‌ বুদ্ধের অনুগামী, হইয়ছিলেন।

মহা বস্তগ্রন্থে পিখিত আছে, রাঁজগুহ হইতে গঙ্গানদী পর্যান্ত যে প্রণস্ত পথ ছিল, তাহা উত্তমরূপে সিক্ত, পরিমাজ্জিত সজ্ভ্বিত কর! হইয়াছিল এবং ছুই ক্রোশ ম্মন্তর এক একটি মগ্ুপ-সংবিধান অর্থ/ৎ পউমণ্ডপ বা বাসোপযুক্ত স্থান প্রস্তুত কর! হইয়াছিল বৈশালী দেশের প্চ্ছেবীরাও বৈশালী হইতে গঙ্গানদী পর্যান্ত রূপ সংবিধান করিয়ছিল। অনন্তর ভগণাঁন্‌ গঙ্গাতীর্ঘে গমনপুর্বক নৌকারোহণ করিলেন নৌকার দ্বার! গঙ্গানদী উত্তীর্ণ হইয়! গলার পশ্চিম- তীরে এক দিন বাস কখিলেন। অনন্তব লেচ্ছনী বাসিঈখণে পরিণত হইয়া বৈশালী-দেশে গমন করিলেন *। বুদ্ধের আগমনে দেশ স্ভিক্ষ নিরুপদ্রব হইল এবং মরক'ভয়ও বিনাশ প্রাপ্ত হইল

বৌদ্ধগণ বলিয়! থাকেন এবং মঙ্থাবস্থগ্রন্থেও লিখিত আছে, বুদ্ধদেব বৈশাপী গমন করিয়া মরকভয় নিনারণার্গ স্বস্তায়ন গাথা গান করিয়াছিলেন। ইশা'র দ্বার] অনুমান করা যায় থে, পৃর্ন্বে জ্ঞানী অক্ঞানী সকল লোকেরঈ স্বস্তাথন-কাধ্যে বিশ্বাম ছিল বুদ্ধদেব সৈশালী গমন করিয়া! মরক-ভক়্ নিবারণার্থ মে শ্গস্ত/য়ন গাথা গান করিয়াছিলেন, পাঠকবর্গের গোচরার্থ আমরা এস্কলে তাহার কিধ্দংশ উদ্ধূত করিলাম।

ভগব।নং দানি বৈশলীয়ে গ্মাভান্তর বাঁহিরায়ে স্বস্তায়নং করে।তি। স্বস্তারন গ।থাং ভাঁষতি।

নমোস্ বুদ্ধায় নমোস্ত বেধয়ে নমে। (বিমুক্তায় নমো! বিশুক্তুয়ে |

পপ পিপাসা আরা

* রাজগৃহের উত্তরে পাটনাৰ নীচে গঙ্গ(নদী। সেই গঙ্গার পশ্চিম পরে, অন্যান ৬৭ ক্রোশ-দুরে বৈশাঁগী নগর ছিল, ইহা! মহীবগ্ত অবদান গ্রস্থের বর্ণনা অগ্চনারে ভাহুমিত হয়। মহাবন্ত গ্রন্থের ছত্রবস্ত প্রকরণের আরন্তে লিখিত আছে, “অথ ভগবান্‌ অননুপূর্দ্বেণ বৈশালী- মন্তুপ্রাপ্তঃ।”" আনস্তর ভগবান পৃব্ধদিকের বিপগীত দিক্‌ আভিমুখ্যক্রমে গমন কগয! ধৈশালী” দেশ প্রাপ্ত হইলেন। ইহা দেখিরা অনুমান হয়। বৈশালীনশর রাঙজগৃহ হইতে পশ্চিমোত্বর দিকে অনস্থিত ছিল।

নগর বুদ্ধদেব।

নমোস্ত জ্ঞানস্য নমোস্ত জ্ঞানিনো লোকাগ্র শ্রেষ্ঠায় নমো করোথ ষানীহ ভূত।নি সমাগতানি ভূম্যানি বা যানি অন্তরীক্ষে সর্ববানি বা আত্তমনানি ভূত্বা শণৃন্ত সম্তায়নং জিনেন ভাবি তম্‌ ইমন্মিং বা লোকে পরশ্মিং ব! পুনঃ স্বর্গে বাধং রতনং পৃণীতং | নতং সমং অস্তি তথাগতেন দেবাতিদেবেন নরেতমেন ইসং পি বুদ্ধে রতনং প্রণীতং এতেন সতোন হ্ৃম্তি ভোু অন্ুবাতো। বা অমনুয্যুতো। ব।

ফা সং শু

যং বুদ্ধশ্রেষ্ঠো! পরিবর্ণযং শুচিং যমাহ আনন্তরিয়ং সমাধিং | সম্ভাধিনে। তস্ঠ মনে! বিদ্যুতে রং সং সং ইদং পি ধরবে রতনং প্রণীতং এতেন সত্যেন জু স্বস্তি ভোছু। মন্মঘাতে। বা অমনুষুতো বা * রঙ ইত্যাদি ।* লিখিত আছে, ভগবান এই স্বস্ত্যরূন গাথ! গান করিলে বৈশালীদেশের সমস্ত উপদ্রব শাস্ত হইয়ঃছিল। তথায় তিনি কতিপয় :অহ বাস করিয়া, পুনর্ধার মগধ দেশে আগমন করিয়াছিলেন

পট শপ পপ পা ্্ পপ উবার ০৯ পপ পপ আস পপ ডাই শপ পপ জীপ শা

* মহবস্ত অবদান গ্রন্থের ছত্রধস্ত প্রকরণ দেখুন এই ঘটন! অর্থাৎ বৈশালীগমন তন্দেশের মরকনিবারণ যদিও শাক্যপিংের বুদ্ধ হইবাঁর পরে হইয়াছিল, পূর্বের হয় নাই, তথাপি কোন এক্ষ উদ্দেঠ রক্ষার জন্চ এতংস্থলে প্রকটিত কর! হইল। পরে আর অংশ লিখিত হইবে না।

সপ্তম পরিচ্ছেদ

শাকাপিংহের রামপুত্র-কদ্রকের নিকট গমন--শিষালাভ---রাঁজ গৃত্য।গ করিয়া গয়ায় গমন-- কর্রব্যচিন্কা_জ্ঞানসোপান --উরুবিললিগমন--তাৎকালিক ধর্্মভাব বর্ণন|।

শাকাসিংহ যখন মগধস্থ পাওবশৈলের গুহায় বাস করেন, সেই সময়ে রামপুত্র- রুদ্রক নামা জনৈক সংঘপতি পরিব্রাজক রা'জগুহ-নগরে আগমন করিয়াছিলেন ইহার সঙ্গে সাত শত শিষ্য ছিল। কদ্রক সাত শত শিষোর নেত| ধর্ম্মোপ- দেষ্টা। শাকাসিংহ শুনিলেন, রুদ্রেক নাম! জনৈক বহুষানাস্পদ পণ্ুত পুজিত আচার্য্য-রাজগৃহ নগরে আসিয়া বাস করিতেছেন, এবং তিনি সন্তু শত শিষ্যের জ্ঞান গুরু একদ| কুদ্রকের মহিত শাকামুনির সাক্ষাৎ ঘটনা হইলে শাক্যমুনি মনে করিলেন, পঅহমস্তাস্তি কমুপলংক্রম্য ব্রততপমারভেম়ম 1” আমি ইহার নিকটে থাকিয়! ব্রত তপ সমাধি প্রভৃতি কপিব। অনুষান হয়, ইনি আমা অপেক্ষা! বিশিষ্টজ্ঞানী নহেন; তথাপি আমি ইহার শিষ্য হইয়া ইহার জ্ঞান সমাধি প্রত্যক্ষ করিব। এতদ্বিজ্ঞাত সংস্কৃত সমাধির অসারতা প্ররশন করিব। এবং নিজ সমাধির গুণবিশেষ উদ্ভাবন করিবার চেষ্টা করিব *। এইরূপ চিন্তা করিয়! ভগধান্‌ শাকাসিংহ পরিব্রাজকাচাধ্য রামপুত্র কুদ্রকের শিষ্য হইলেন

একদ! শাক্যসিংহ রুদ্রককে জিজ্ঞাসা করি:লন, * আপনার উপদেষ্টা কে? এবং আপনি কিরূপ ধন্ম জ্ঞাত আছেন £

রুদ্রক বলিলেন, “আমি স্বয়ংশিক্ষিত স্বয়ংজ্ঞাত ।»

শাকামুনি পুনর্বার দিজ্ঞাসা করিলেন, “আপন কিরূপ ধর্ম জ্ঞাত আছেন ।”

রুদ্রক বলিলেন, “নৈবসংজ্ঞান” “অনংজ্ঞায় তন” “নামক সমাধির উপায় জ্ঞাত আছি!”

শাক্যমুনি বলিলেন, “আমি তাহ! আপনার নিকট লাভ করিতে ইচ্ছুক ।”

রুদ্রক বলিলেন, “তাহাই হউক, তাহাই লাভ কর ।”

স।

*রুদ্রকন্ত রামপুত্রস্ত সকাশ মুপসংক্রম্যান্ত সমীধিগুণবিশেঃষাভাবনার্থং শিষ্যত্ব মভুঃপগম্য সংস্কতসমাধীনাং অসারতা মুপদশয়েয়ম্‌ ।” ইত্যাদি ললিতবিস্তর ১৭ অধ্যায় দেখ

৯৬ বুদ্ধদেব

অনস্তর শাক্যমুনি রুদ্রকের নিকট উপদেশ গ্রহণ না করিয়! কোন.প্রস্ক নির্জন প্রদেশে গমন পূর্বক ধ্যানস্থ হইলেন পুর্বোপাঁঞিত পুণ্যবিশেষের বলে, তপশ্চরণের প্রভাবে, ব্রহ্মচর্্য সহকত প্র ণধান সহম্রের ফলে, শত শত প্রকারে সমাধি তাহার জ্ঞানগোচর হইয়াছিল $ এক্ষণে তিনি ধ্যানস্থ হইয়া রুদ্রকের সমাধি বিনা উপদেশে আপন! আপনি জ্ঞাত হইতে পারিলেন। এক দিন রুদ্র কের অভিমুখীন হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহাশয়! ছুই সমাধির পরে আর কোন জ্ঞাতব্য আছে কি না।” শুনিয়া রুদ্র বলিলেন, “নাই |”

বোধিসত্ব মনে মনে চিন্তা করিলেন, “রুদ্রকের শ্রদ্ধা, বীর্য, স্বৃতি, সমাধি প্রজ্ঞা অতিতুচ্ছ-_-অতি অকিঞ্রিৎকর | রুদ্রকের জ্ঞেয়-পথে নির্বেদ, বিরাগ, নিংরাধ, উপশম, সন্বোধ নির্বাণ লাভের সম্ভাবন! নাই অতএব *“অলং মমা- নেন”, ইহাতে আমার প্রয়োজন নাই | এইরূপ চিন্ত। করিয়া জ্ঞান প্রবীর শক্য- সিংহ সেই সশিষ্য রুদ্রক রামপুনকে পরিভ্যাগ করিয়া স্থানান্তর গমন করিগেন।

শাঁক্যসিংহ কদ্রকের নিকট অধিক দিন থাকিলেন না, শিষাও হইজেন না, অথচ হ্বল্লায়াসে রুদ্রকের বিদ্যা অধিগত করিয়! চলিয়া গেলেন,এই ব্যাপার দেখিয়া রুদ্রকের পাচ জন প্রধান শিষা, পরস্পর বিচার করিল, চিস্তা করিল, “আমর! যাহার জন্য বহুকাল ব্রততপঃ করিতেছি, ত্র করিতেছি, অথ5 লাভ করিতে পারিতেছি না, গৌতম তাহা অত স্বল্পদিনে সামান্য কষ্টে লাভ করিল, অথচ তাহা তাহার রুচিকর-তৃপ্টিকর হইল নাঁ। সে ইহা অপেক্ষাও অধিক জ্ঞান অন্বেষণ করে গৌতমের ধেরূপ ক্ষমত।-_-তাহাতে বোধ হয় গৌহম শীন্বই লোকাতীত, সব্বোত্তর পথ দেখিতে পাইবে, সর্বোৎকৃষ্ট উপদেষ্টা হবে | যদি এখন হইতে গৌতমের শিবা হই, তাঁহ! হইলে গৌতম অশ্শ্তই আমা দগকে স্বীয়সাক্ষাৎকৃত ধর্ম উপদেশ করিবে” অনন্তর সেই শিষাপঞ্চ পরম্পর এরূপ পরামর্শ করিয়া অবশেষে কুদ্রকের শিষাতা তাগ করিয়! গৌতম শক্যসিংহের শিষ্যত। গ্রহণ করিল।* ভগবান শাকাসিংহ এত দিন একাকী ভ্রমণ করিতেন, এক্ষণে তি'ন শিষ্যপঞ্চকে পরিবৃত হইলেন। শিষাপঞ্চক লাভের পর তাহ'র রাজগৃহ-বাস ভাল লাগিল না; সুতরাং তিনি মগধের নানা স্থান ভ্রমণ করিতে লাগিলেন

রা

৮৯

* এই পাঁচ জন শাক্যসংহের প্রথম শিষ্য--বুদ্ধ হইবার পূর্বের শিষা | হাদেয় নাগ পরে ব্যক্ত হইবে।

সপ্তুম পরিচ্ছেদ | ৯৭

রাজগৃহ নগরের পশ্চিম দক্ষিণ ক্রোশ দূরে স্থপ্রসিদ্ধ গয্প! নাঁমক স্থানে * অন্য এক দল সন্ন্যাসী বাদ করিত তাহার। কোন এক পন্বেৎসব উপলক্ষে বোধিসত্বকে আহ্বান কখিলে, বোধিসত্ব শিষাসহ গয়ায় আগমন করিয়াছিলেন ! তৎকালে গয়। অভি সুরম্য স্থান ছিল ( এখনও ঘটে )) সুতরাং তিনি এক্ষণে রমণীয় গয়াবাস মনোনীত করিলেন

মুক্তিপ্রার্থী শাক্যদিংহ সব্ধদাই চিস্তা করিতেন, কি উপায়ে তাঁহার মুক্তি- লাভ হইবে। পাচ জন শিষা ছায়ার ন্যায় তাহার অন্ুবর্তন করিত। তিনি শিষ্য সহ ধ্যানপরায়ণ ভিক্ষা ব্রহী হইক্স! রমলীগ গয়পর্ধতে বাস করিতেন

এক্ দ্দিন সহস1 তাহার মনোমধো এই. জ্ঞান উদ্দিত হইল যে, “যে সকল বঙ্ষণ শ্রমণ (সন্নাসী ) শরীরে মনে কামনার বিষয় হইতে দূরে গমন করিতে পারে নাই, অথচ কামনার নিষম় সমূহের আনন্দাদি হইতে শিবুন্ত হইঙ্সা- ছেন, নিবৃত্ত হইয়া! আম্ম! শরীর সম্পকীয় বিবিধ দুঃখ অনুভব করিতেছেন, তাঁহারা কখনই মন্যাধন্ম হইতে উত্তীর্ণ হইর! আর্ধ্যবিজ্ঞানবিশেষ সাক্ষাৎকার করিতে সমর্থ হংবেন না। যেমন অগ্নিপ্রার্থী পুরুষ আর্রকাষ্ঠ লইয়া আর্দরকাষ্ঠে ঘর্ষণ করিলে অগ্নি পায় না, সেই রূপ, ধাহার! কামনার বিষয় হইতে দরে গমন করেন লাই, অথবা গমন করিয়াছেন, কিন্তু কামকে কামনার আনন্দাদিকে অতিক্রম করিতে পারিতেছেন লা, তাহার! মনুষ্য ধর্ম্ম(তীত আর্ধ্য- জ্রানদর্শনবিশেষ লাভ করিতে পারেন না। যে আগ্ন চাহিবে-_তাহাকে শুক কাষ্ঠ লইফু! শুষ্ক কাষ্ঠ ঘর্ষণ করিতে হইবে কিন্ত আমি এখন কামনার বিষয় হুইতে-__অধিকার হইঙ্ডে__-শরীরে মনে দূরে অবস্থিতি করিতেছি--আনন্দাদি হতেও নিবৃত্ত হইয়াছি--মুতরাং এক্ষণে আম যন্বারা আমর পুনরাগমন হয়-- পুনরুংপত্তি হয়__যন্ত্রা শরীরে ক্রনাদি হনব --সেই বেদনা (জ্ঞান জ্ঞানসংস্কর) আগ্ষি নিকদ্ধ করিতে ব। বিনাশ করিতে সনর্থ ভইব নিশ্চিত আমি মনুষ্য ধর্ম হইতে উত্তীর্ণ হয়া আর্য্যজ্ঞানবিশেষ সাক্ষাৎকার করিতে পারক হইব।”

গল্সবিহারী তপঙ্গী বুদ্ধদেবের মনে বর্ণিতপ্রকার গ্রতাতি দৃঢ়তর অস্কিত

পদ পা পপ পা প্লাজা পাস পা লি সি

* গয়া অতি প্রাচীন প্রসিদ্ধ গ্বান। বুদ্ধের সময়েও এই ছ্থান প্রসিদ্ধ ছিল গয়।র বিষুপাদপন্ম পূর্ধরে তত প্রমিদ্ধ ছিল না মহাভারতে দেখ! যায়, যুখিটির তীর্ঘযাত্র! প্রসঙ্গে গয়ায় আসিয়া গয়-পর্ধ্বতে বান ফন্তুতীর্ধে ক্সানদানাদি করিয়াছিলেন | বিষ্ুপদের শ্রাদ্ধাদি করেন লীট। ইহান্টে কেহ কেহ অনুমান করেন, বিঞুপদ বুদ্ধের পরে প্রখ্যাত হইগ্সাছে।

৯৮ বুদ্ধদেব

হইল। তখন তিনি এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হইলেন যে, যেমন ইন্দ্িযপিগকে চিন্তুকে বিষয় হইচ্ডে আনন্দাদি হইতে নিবৃত্ত করিতে হইবে, তেমনি, তদনু- কূপ কঠোরনির্ধ্যাতন দ্বার। আত্মাকে, চিত্তকে শরীরকে কৃশদুর্ঘল করিতেও হইবে) তাহার ভখন এইরূপ দৃঢ় শ্বাস হইল যে, কচ্ছপাধনে ম্ুযোর অনুন্তম অলৌকিক শক্ত জন্মে, তদ্ধলে তাহার সম্পূর্ণরূপ আত্মদৃষ্টি প্রস্থত হয়।

একদ। তিনি যদৃচ্ছাক্রমে ভ্রমণ করিতে করিতে উক্কবিল্প গ্রামের নিকটে এক স্থরম্য স্থানে গিয়া! উপনীত হইলেন '' দেখানে দেখিলেন স্বচ্ছসলিলা নৈরগ্কান। অনল্পবেগে প্রবাতি হইতেছে। তাহার অবতরণ স্থান (শ্নানের ঘাট) অভি পরিপাটী! তীরদ্রম সকল নিবিড় লতাকুষ্জে শোভিত। ইহার অনতিদুরে ভনেকপগুলি গোচরগ্রাম। যতদুর চক্ষু যায়--তত দুরই শ্তামবর্ণ শস্তাক্ষে র, দেখিলে শরীর মন শীতল হয়।* এই ন্ুরম্য স্থান দেখয়া ভগবান্‌ বোধিসত্তের মন বড়ই প্রদুল্ল হইল এবং এইট স্থানে থাকিয়! ধ্যান ধারণ। সমাধিন্নপ তপশ্চর্ধা কর! মনস্থ করিলেন। রও ভাপিলেন, এই ভূপ্রদেশ অত্যন্ত রমণীয়, এই স্থানে থাকিলেই মনের মনোবৃত্তর লয় সাধিত হইতে পারিবে আর আমার অন্ত প্রয়োজন নাই, এক্ষণে, ইহাই আমার অনুরূপ যথেষ্ট এইরূপ চিন্তার পর তিনি শিষ্যপহ তপন্তার্থ এই মনোরম] স্থান গ্রহণ করিলেন

প্রথম দিনে তিনি আপনার উদ্দেগ্ত, আপনার প্রথম কর্তব্য, জগতের অবস্থা তাঁকালিক লোকের জানধন্মী্দির প্রণালী, পর্যালোচনা করিলেন। তিনি ভাবিলেন, আমি পুর্ণপাপকালে 1 জন্বদ্বীপে অবতীর্ণ হইঙ্জাছি। এই কালের লোকের নোহ ব৷ মিথ্যাদৃষ্টিবশত: অনুপযুক্ত কচ্ছসাধন দ্বারা বৃথা শুদ্ধি ইচ্ছ!

ক. উন্লবিলল। এক্ষণে ইহা উরাইল নামে পরিচিত এই উরাইল বর্তমান বুধগয়ায় পূর্বদিকে অদ্বক্রোশ পরিমিত দুরে অবস্থিত আছে। পূর্ধ্বে ইহাকে উর্ুবিপ্প বলিত। উরবিল্- নামক জনৈক সেন।পতি এই স্থানে বান করিত বলিয়া প্রথমে উকুবিল্ল সেনাপতি গ্রাম বলিয়। বিখ্যাত হয়, তৎপূরে কেবল মাত্র উর্ুবিল্প নামে পরিচিত হয়। এখন ইহ। উরাইল। “যেনো- কুবিল্লপ দেনাপতিগ্রামক শ্দনুহথ তন্তদনপ্রাপ্তোহতুৎ' ইতাদি ললিতবিস্তর দেখ। নৈরগ্রনা _ ইহা ফন্তনদীর একঢ! শাখা গোচরগ্রম--গ্রোপপলী। গোয়ালের! প্রত তৃণপত্রাদিযুক্র স্থানেই বাস করে।

+ পূর্ণপাঁপকাল অর্থাৎ কলিকাল। “পঞ্চকবারকালেহহমিহ জন্বত্বীপে ইবতীর্ণঃ1/ এই ললিতবিস্তরের লিখিত বুদ্ধবাক্যটির অর্থ “আমি কলিকালে জদ্দ্বীপে অবতীর্ণ হ্ইয়াছি।"*

বুদ্ধদেব জাঁনিতেন, আমি কলিকালে জন্সিযাছি এবং এই কালপাপকাল।” বুদ্ধদেবের এই জ্ঞানে বিশেষ রহস্ত আছে।

সপ্ত পরিচ্ছেদ ৯৯ করিতেছে। বার্থ বস্ত কি? শুদ্ধি কি]? পথ কি? বার্থ তপশ্তা কি? তাহা! জানি- তেছ ন।। তদ্যদ!---কেহ মন্ত্রবিচার, কেহ মন্ত্রবর্জন; কেহ মত্ভ্তমাংস ত্যাগ, কেহ' বার্ষিক ভ্রত, কেহ মাসিকক্রত, কেহু স্থুরাপানত্যাগ, কেহ ফলপত্রতক্ষণ, কেহ অবাচিতান্ন ভক্ষণ, কেহ ভিক্ষাননভোজন, কেহ শাঁকভোঁজন, কেহ কুঈপত্রশায়ী, কেহ পঞ্চগব্যপায়ী, কেহ গার্হস্থা, কেহ বানপ্রস্ত, কেহ গোব্রত, কেহ মীন, কেহ বারাসনাদি, কেহ একাহার, কেহ নিরাহার,ক্হে ২৩৪৫৬ দিন অন্তরে ভোজন, কেহ দ্বাদশাহসাধ্য ব্রত, কেহ পঞ্চদশাহত্রত, কেহ চান্দ্রায়ণ কেহ পক্ষিপক্ষ ধারণ, কেহ মুঞ্জনামক তৃণের আসন, কেহ কুশানন, কেহ বন্ধণাসন, কেহ কম্বপাসন, কেহ সৃগচম্মাসন, কেহ আর্দ্রবন্ধু, কেহ কৌপীনবস্ত্, বেহ ভন্মশমন, কেহ স্থপগ্ডিল" শয়ন» কেহ প্রস্তরশয়ন, কেহ চম্মশব্যাশয়ন,কেহ 'এক বস্ত্র, কেহ দ্বিবস্ত্র, কেহ নগ্ন, ০*হ তীর্থস্থান, কেহ পুণ্যস্থান, কেহ কেশধারণ, কেহ জটাধারণ, কেহ ধুলি- অক্ষণ, রেহ ভন্মস্রক্ষণ, কেহ যুত্তিকালেপন, কেহ রোমধারণ, কেহ মুজলামক তূণের মেখলা! ধারণ, কেহ হস্তে করঙ্ক ধারণ, ত্রিদগুধারণ,কপালপা ত্রধারণ; খট্টাঙ্গ- ধারণ, প্রভৃ.ত দ্বার! শুদ্ধি হয়--পাপক্ষপ্ন হপ--মনে করিতেছে। ' কেহ ধুম- প'ন, অগ্নি সেবা, কুর্ধ্যানরীক্ষণ পূর্বক তপন্ত। করিতেছে কেহ বা পঞ্চতপা, কেহ একপদ, কেহ উদ্ধাপদ, কেহ উদ্ধবাহ হইনা তপঃসঞ্চয় করিতেছে। তুষাগ্রি- মরণ, কুস্তকদ্বারা মরণ, তৃগুপতন, অগ্রিপ্রবেশ, জল প্রবেশ, অনশনমরণ তীর্ঘমরণের দ্বার! অভীষ্টলাভ অন্বেষণ করিতেছে কেহ প্রণবজপের 'দ্বারা, কেহ বষট্‌কাঁরের অর্থাৎ যজ্ঞের দ্বারা, কেহ স্বধার দ্বারা অর্থাৎ শ্রান্ধের দ্বারা, কেহ বা. স্বাহাকারের অথাৎ হোমের দ্বারা নিষ্পাপ হইবার চেষ্টা করিতেছে কেহ প্রার্ধুন!, স্ততি, নমস্ক।র দেবতার্চন, মন্ত্রপ, অধ্যয়ন নির্মম ল্যা দিধারণে পবিত্র হইবার ইচ্ছ! করিতেছে অনেক লোকেই অহংপবিজ্র শ্রমে ব্রন্ধা, ইন্দ্র, রুদ্র, খিষুঃ, দেবী, কুমার কার্তিকের, মাতৃগণ, কাত্যারনী, চন্দ্র, হুর্য্য, কুবের, বরুণ, বাপব, অিনীকুম।র, নাগ, যক্ষ গন্ধবর্বং অনুর, গরুড়, কিন্নর, মছানদর্প, রাক্ষস, প্রেত, ভূত, পিশাচ প্রভৃতিকে নমস্কার করিতেছে এবং দকলর্কে নার বিবেচন! করিতেছে

পুণ্যলাভ প্রত্যাশাঘ্প অনেক লোকেই গিরি,নদী, উৎস, সরো বর, ঙ্দ, ভড়াগ, সাগর, পল্পল, পু্করিণী, কূপ, চত্বর, প্রভৃতি স্থানের আশ্রয় লইতেছে এবং. ত্রিশুল ্‌ ধ্রহতিকে নমস্কার করিতেছে দধি, স্বৃত, সর্ধপ, বব, দুর্ববা মণি কনক ও. ৬৫

১৬৩ বুদ্ধদেব।

রজত প্রভৃতির দ্বার মঙ্গল হয় বিবেচনা করিতেছে। এই উত্কট পময়ে প্রতেক অজ্ঞানাচ্ছন্ন জীব সংদারভয়ে ভীত হইয়া তৎপরিত্রাণার্থ এরূপ প্র্নপ ক্রিয়াকলাপের আশ্রয় লইতেছে ; কিন্তু হাঁয়! ্ঁ সকল হইতে যে সংসারভয় নিষাকিত হয় না--তাহ! তাহার একবারও মনে করিতেছে.ন!।

কেছ মনে করিতেছে, পুত্রের দ্বারাই আমাদের স্বর্গ অপবর্গ হইবে। সমন্ত জীবলোক এবস্রাকার মিথ্যাপথে গমন করতঃ অশরণে শরণ, অমঙ্গল মল অশুদ্ধে শুদ্ধ জ্ঞান করিয়া! নষ্ট হইতেছে এই সময়ে ইহাদিগকে প্রকৃত পথ কি ? প্রক্কত মঙ্গলকি? প্রকৃত শুদ্ধতা কি?-তাহা জানাইব। যথার্থ ব্রত-তপন্ত! কি্ূপ? তাহা আমি শিপাইব, ধ্যান কি তাহাও শিখাই, ধর্ববিনাঁশ- পুর্ব্বক ভববদ্ধান-নাশক যথার্থ ফোগ কি? তাহাঁও দেখাইব | *

এইন্বপচিস্তার পর লোকহিতপ্রার্থী ভগবান শাক্যসিংহ সে নির্্মলসলিল৷ নৈরঞ্জনার তীরবনে সুঢ্চর যাড্বার্ষিক তগস্তায় মনোনিবেশ করিলেন এবং তাহার সেই পা জন শিষ্য তীহার দেহ রক্ষার্থ যত্ততৎপর থাকিল।

অষ্টম পরিচ্ছেদ

শাক্যসিংছের তপন্তা-বোধিমূলে গমন-ধ্যানযোগ--মারবিজয়-_নির্বাণ লাভ__ ধর্ম-প্রচার-চিন্ত/--আহার:গ্রহণ। কথিত আছে, বুদ্ধদেব নৈরঞ্জনানদীতীরে বৎসর পধ্যস্ত উৎকটতর তগশ্ত। করিয়াছিলেন এবং অবিচ্ছেদে বৎসর তাদৃশ উৎকট তপন্ত। করিয়াও তিমি নির্ধবাণ ব! 'স্বাভিমত জ্ঞান লাভ করিতে পারেন নাই। অবশেষে বোধি-ঃম তলে গমন পূর্বক ধ্যানের অভিনব পথ উত্তাবন করতঃ কেবল বিশুদ্ধ নির্বাণ জান প্রাপ্ত হইয়াছিলেন।

পিউ পপ

রনি রিট রোজার তি

* এই অনুঘাদিত বুদ্ধবাক্য পাঠ করিয়। দেখুন, বুদ্ধদেষের সময় এদেশে কিরূপ ধর্মভাব কিক়প ধার্দিক সপ্পরদায় বিদামান ছিল। এই বুদ্ধ ধাক্য পাঠে জান| ঘায়, তৎকালে এদেশে সমুদয় বৈদিক ধরন, প্মতধর্ম পৌরাণিক ধর্ম বিদ)মান প্রচলিত ছিল। কেবল মাত্র আধু- নিক তক্্ো্ত অনুষ্ঠান ছিল না তৎকালে তন্্শান্্র অধিক প্রচারিত থাকিলে অবশ্তই তাহার কেনি”ন! কোন অংশ সকল বাকোর সহিত সংকলিত হইত। এই বুদ্ধবাক্য দেখিয়| অনু মিত হয; বর্তমান তন্তরশান্্র বৃদ্ধের পরে এবং শ্বৃতি পুরাণ, বুদ্ধের অনেক পুর্বে রচিত হইয়াছিল দ্ুএকটী কথ! বাহ! আছে। তাঁহা। পৌরািক অর্থাৎ পূরাখাদিতেও আছে।

অম্‌ পরিচ্ছেদ | | ১০১

উগবান্‌ শাক্যসিংহ ধেন্ধপ উৎকট তপন্তা করিয়াছিলেন সেবপ উৎকট তপস্ত|! কেহ কখনও করিতে পারিয়াছিলেন, কি না সন্দেহ বৌদ্ধেরা বলে, যাহার! ভবিধাতে বুদ্ধ হইবে এবং যাহারা আক্ষানক-ধ্যান করিতে সমর্থ, তাহারাই কেবল তাদৃশ হুশ্চর তপন্ত। করিতে পারে, অন্তে পারেনা ( আক্ষানক ধ্যান কি তাহা পরে ব্যক্ত হইবে।)

বুদ্ধদেব শিষ্যগণের নিকট বলিয়াছিলেন--“শষ্যগণ! আমি ইহলোকে অদ্ভুত অনুষ্ঠান দেখাইব(র জন্য, শান্ত্রকীরগণের দর্পবিঘাতের জন্য, পর প্রবাদী- ধিগকে নিগ্রহ করিবার জন্তা, কর্মক্রিয়াপরিত্যাগীদিগের কর্ধে প্রবৃত্তি জন্মইবার জন্ত, পুণ্য উদ্ভাবনের জন্য, জ্ঞানবল লাভের জন্ত, বুদ্ধভ্ঞান সাক্ষাৎকারের জন্ত, ধ্যানের অঙ্গবিভাগ স্থির করিবার জন্ত, চিত্তের স্থিরতা মনের প্রভূত বল উৎ- পাঁদনের জন্য, তাদৃশ উৎকট তপন্ত! করিয়াছিলাম।”* বুদ্ধের এই কথায় বেশ বুঝ। যাইতেছে, বুদ্ধদেব তপস্থ।কে সফল বলিয়! জানিতেন বা মনে করিতেন, এবং তপন্ত। করিলে যে সকল ফল অবস্তস্তাবী, ইহাও তাহার বিশ্বাস ছিল।

হিন্দুদিগের পুরাণাদি-শান্ত্রে খবিমুনিদিগের যেন্ধপ দুশ্চর তপস্তা প্রণালী শুন যায়, শাক্যসিংছের তপন্া প্রণালীও প্রায় সেইরূপ। পরস্ত তীহার উদ্দেশ্ত্ের সহিত পুর্ববমুনিদিগের উদ্দেস্ের একরূপত| ছিল কিন! সন্দেহ। শাক্যলিংহের তপন্তায়, আর পূর্বমুনিগণের তগন্তায়, উদ্দেস্তবিষয়ে প্রভেদ থাকাতেই বিভিন্ন বলিয়া! প্রতীত হয়, কিপ্ত'বাহ্িক অনুষ্ঠানে কিছুমাত্র বিভিন্নত! দেখা যায় ন1।

শ[ক্যসিংহের তপশ্ড। কিন্ধপ? তিনি কি প্রকার তপন্তার অনুষ্ঠান করিয়া" ছিলেন ? তাহ! অন্থপৃববা ক্রমে বর্ণিত হইতেছে তদ্‌ যথা-_

, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শাক্যসিংহ বুদ্ধসংক্কল্পধারণ প্রবগ উৎনাহ আহরণ পূর্বক নৈরঞ্ছনাতীরে ভূনমন্স ভূমিতে যোগ।সন স্স্ত করিনা উপবিষ্ট হইলেন। পরে প্রবলবগ চিত্তের দ্বার ্ববীর শরীর নিগৃহীত করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। যেমন ব্লবান্‌ পুরুষ ছূর্বল "পুষ্কষের গলদ্বেশ ধারণপুর্ধবক নিষ্পীড়িত করে, তগবান্‌ শাক্যসিংহ তব্্রপ ইচ্ছাবেগসমুদ্দীপিত প্রবলবল চিন্তের ছারা শরীরকে নিম্পীড়িত নিগৃহীত করিতে লাগিলেন। শরীরক্রিয়৷ ইন্দিয়বৃত্তি যতই নিশ্পীদ্ষিত

ধ* ললিতবিস্তয়ের ১৭ অধ্যায় দেখ। + অর্থাৎ লারীরিক ক্রিয়া রুদ্ধ করিতে লাগিলেন।

3৪২ | বুদ্ধদেব হইতে লাগিল, নিরুদ্ধ হইতে লাগিল, ততই হার কক্ষ ললাট দিয়! ধর্ম নিশ্রাৰ হইতে লাগিল। নিদারুণ শীতকাল, বিশেষত: রাত্রি, তাহাতে আবার নিরাচ্ছাদিত নন্দীতীর,-_তথাপি তাহার দেহে ঘর্খুশ্রোত বহিল। *

নিগ্রহযোগ আয়ত হইলে, শাকাসিংহ ভাবিলেন, এখন আমি আশ্ষানক ধ্যান করিব। কুস্তকযোগে মনোবৃত্তির লয় করার অথবা বাহাচৈতন্ত লুপ্ত করার নাম জাম্ষানক ধ্যান। এই ধ্যানের কোনরূপ অবলম্বন নাই; সুতরাং ইহা নিরালক্ব- ধ্যান। শ্বাস প্রশ্বাস রুদ্ধ করিয়া, মনোবৃত্তির অন্গথান করতঃ এই ধ্যান নিষ্পন্ করিতে হয়। লপিতবিস্তর গ্রন্থে লিখিত আছে, “আশ্বাস-প্রশ্থাসানুপরোধয়তি »-সন্গিরোধয়তি। অকন্প্রং তদ্ধ্যানম্‌ অবিকল্প্রমানঙ্গমমগ্রনীতমস্পন্দনং সর্বত্রান্গতঞ্চ সর্বত্র চানি মৃতম্‌।” আম্কানকধ্যানে শ্বাস প্রশ্বাস রুদ্ধ করিতে হয়। ধ্যান নিধম্প, নিশ্চল, নিস্পন্দ, সর্বান্গত সর্বত্র অনিঃস্যত অর্থৎ পুর্ণ। “আকাশসমং তভ্ধ্যানং তেন চোচ্যতে আক্ষানকমিতি।” এই আস্কানক ধ্যান আকাশের স্তায় অর্থাৎ আকাশের স্ষ,রণ যন্রপ ইহাতে চিত্তের অবস্থা তদ্রপ। 1 অনস্তর আস্কানক ধ্যান অনুষ্ঠিত হইলে তাহার মুখ নাসিকার বায়ু অর্থাৎ শ্বাস প্রশ্বাস অবরুদ্ধ হইল। মুখনাসিকাপথ অবরুদ্ধ হইলে, শরীরে কুস্তবৎ পরিপূর্ণ বা বাষু গ্রবলবেগে মহাশবে কর্ণ ছিদ্র দিয়! বহির্গত হইতে লাগিল। তাহা দেখিয়া! তিনি পুনরপি আস্কানক ধ্যান মবলম্বন করিলেন অর্থাৎ কুস্তিত বায়ু যাহাতে কর্ণপথে না যায়, তছুপযোগী উপায় অবলম্বন করিলেন। এই দ্বিতীয় আস্ষানক ধ্যানে তাহার মুখ, নাসিকা, শ্রোত্র, সমস্তই রুদ্ধ হইল। কুস্তিত বাযু তখন উত্থগামী হইয়া, তাহার শিরঃকপালে গিয়া (মাথার খুলির অভ্যন্তর ভাগে গিয়া) আঘাত করিল। : এই ।তৃতীয় উদ্ঘাত কালে তাহার কুগুলী (চেতন! শক্তি) শিরঃ কপালে অর্থাৎ চিত্তস্থানে (মন্তিফে ) গিয়া একীভূত ব| বিলয় প্রাপ্ত হইল |. এখন ভিনি নিশ্চল, নিষ্পন্দ।% বুদ্ধদেবের এই কুস্তকসমাধি পিখিতে গিয়! আর্ধ্যযোগীর নিম্নলিখিত কথাটা মনে পড়িল ।-_

* আমাদের যৌগশাত্ে যাহাকে শম-দম-সাধন বলে, বৌদ্ধের! তাহাকে শরীরনিগ্রহ বলে

শাক্যমিংহ কয়েক মাস ব্যাপিয়। এই নিগ্রহ সাধন করিলেন এবং তাহাতে দিদ্ধিলাভও করিলেন + আমাদের যোগ শাস্ত্রে ইহাকে কুস্তক-সমাধি ঘলে। 1 গতদ্‌ যথপি নাম ভিক্ষবঃ পুরুর্ষঃ কুগুয়! শক্ত শিব: কপালমুপহন্কাৎ 1” ইত্যাদি লং। কেহ কেহ কৃণ্ড! শব্দের মৃৎ্পাত্র অর্থ লক্ষ্য করিয়! এইরূপ অর্থ করিয়! থাকেন। “যেমন কোন পুক্কৎ বলপু ধর্ষক মন্তকে কৃত যাঁত করে, অবরুদ্ধ বাযুও সেইরূপ আধাত করিল ।»

অষ্টম পরিচ্ছেদ 3০৩

“যং ধ্যায়স্তি বৃধাঃ সমাধিসময়ে শুদ্ধ; বিরৎ-সন্গিভম্‌” ইত্যাদি এই সময়ে কোন দর্শক লোক তীহাকে মৃত বিবেচন। করিয়াছিলেন। বৌদ্ধেরা বলে, এবং ললিতবিস্তর গ্রন্থেও লিখিত আছে, এই দিবসের অর্ধরাত্রে বৃদ্ধমাত1 মায়াদেবী স্বর্গ হইতে বোধিসত্বকে দেখিতে আসিম্মাছিলেন | পুত্রের তাদৃশ অবস্থ৷ দেখিয়! তিনিও রোদন করিয়/ছিলেন। তদ্‌ যথা-- পু

“যদা জাতো২সি মে পুত্র! খনে লু্ষিনিসাহ্বয়ে। সিংহবচ চাগৃহীত স্তং ক্রান্তঃ সপ্ত পদান্‌ স্বয়ম্‌ দিশফালোক্য চতুরে। বাচা তে বাহৃত। শুভ1। ইয়ং মে পশ্চিম। জীতিঃ সা তে পরিপুরিতা অসিতেনীসিনি দৃ'ষ্ঠ! যুদ্ধোলোকে ভবিষ্যতি। ক্ষুনং ব্যাকর্ণং তন্ত দৃষ্টা। তেন নিত্যতা চক্রবস্তিশ্রিয়ং পুত! নাপি ভুক্ত মনে।রম1। বে।ধিমন্ুপ্রাপ্তা। জাতোইপসি নিধনং বনে পুত্তার্থে কং প্রপদ্যামি কন্ত ক্রন্দামি দুঃখিত ঞঃ নু ্ট সং পুত্র। তুমি যখন লুর্বিনি-বনে জন্মগ্রহণ কর, তখন তুমি সিংহবিক্রমে সপ্ত পদ গমন করিয়াছিলে। চতুর্দিক নিরীক্ষণ কিয়! বলিয়াছিলে, এই আমার শেষ জন্ম, আর আমি জন্মগ্রহণ করিব না কিন্তু হায়! তোমার সে বাক্য সফল হইল না অসিত মুনি বলিয়াছিলেন, তুমি বুদ্ধ হইবে ; কিন্তু এক্ষণে দেখিতেছি। সেই খধিবাক্য মিথ্যা হইল। পুত্র! তুমি মনোরম রাজশ্রী ভোগ করিলে না, বুদ্ধও হইলে না বনে জন্মিয়/ছিলে, এখন বনেই নিধন প্রাপ্ত হইলে! এখন আমি পুত্র বলিয়। কাহার নিকট যাইব, কাহার নিকটেই বা কা্দিব ! রোহুনশবে বুদ্ধের ফোগভঙ্গ হইল--নিমীলিতনেত্র উম্মীলিত হইল। তিনি দেখিলেন, এক দিব্যরূপ। নারী রোদন করিতেছেন জিজ্ঞাসা করিলেন,--

“কৈষাঁতীব করুণং দদতে প্রকীর্ণকেশী বিবৃততশোভ1। পুত্বং হ্যতীব পরিদেব্যন্তী বিচেষ্টমানা ধরণীতলম্থ। ॥1

কে তুমি আলুলাফ়িতকেশে হুঃখে অশোতমান্! হইয়! অত্যন্ত করুণ বিল!প করিতেছ? পুত্র পুত্র বলিয়া রোদন. করিতেছ ? আর ধুল্যবলুষ্ঠিতা হইতেছ ? মায়াদেবী প্রত্যুত্তর করিলেন,--

১০৪. | বুর্ধদের।

“ময়! তু দশ মাঁসান্‌ বৈ কুক্ষে। বজইব ধৃতঃ। সাতেহহং পুত্তক। মাত! বিলপামি স্থছঃখিত। ৪1 পুত্র! আমি তোমাকে দশ মাঁস গর্ভে ধারণ করিয়াছিলাম, আমি তোঁম।র মাতা। অতি ছুঃখে বিলাপ করিতেছি ! শুনির। বোধিসত্ব দয়ার্জ হইলেন এবং আশ্বসবাঁক্য উচ্চারণ করিলেন। বলিলেন, “ন ভেতব্যম্‌--আম তে সফলং করিষ্াযামি 1, ভয় নাই--আমি আপনার কষ্ট দুর করিব। অসিত মুনির বাক্য মিথ্যা হইবে না-_নিশ্চিত আমি বুদ্ধ হইব।

“অপি শতধা বন্ধ! বিকীর্য্যতে মেক; প্রবে চাম্ভসি রডু-শৃঙ্গঃ। চন্ত্রারক তারাগণ ভূপতেত পৃথগ জনে! নৈব অহং ভিয়েইহম্‌ ॥? ধদি পৃথিবী শতধা বিকীর্ণ হয়, সুমেরু পর্বত জলে প্লবমান হয়, চন্দ্র স্য্য গ্রহ তারক। ভূপতিত হয়, তথাপি আমি প্রাকৃত মনষোর ন্যায় মরিব ন!। আপনি শোক করিবেন না, আমার জন্ চিন্ত। করিবেন না, শীপ্রই দেখিবেন, আমি বোধিপ্রাপ্ত হইয়াছি। এইরূপে ভগবান্‌ বোধিসত্ব ছুঃখিনী জননীকে আশ্বাসিত করিয়াছিলেনঃ এবং মায়াদেবীও কথফ্ৎ আশ্বস্ত হইয়া অগ্পরোগণ সহ পুনর্ধার তুষিতপুরে গমন করিয়াছিলেন কিছুকাল গত হইল . একদা শাক্যসিংছের মনে হইল, ব্র।ক্ষণগণ যতিগণ বলিয়। থাকেন, অল্পাহার দ্বার! চিন্তশুদ্ধি হয়; অতএব আমিও অল্লাহার আশ্রয় করিব। অনস্তর তিনি কোন দ্বিন একটা মাত্র কোলফল, একটী মাত্র তিল, কখন একটা তঙুল, কখন ব! বারি্মাত্র আহার করিয়। তীবন ধারখ, করিতে লাগিলেন এবং অহরহ নিরন্তর আক্ষানক ধ্যানে নিমগ্ন থাকিলেন। ক্রমে তাহার শরীর অত্যন্ত ক্ষীণ হইল, তথাপি ধ্যান পরিতাগ করিলেন না এবং আহা গ্রহণও করিলেন ন]॥। কিছুকাল অতীত হইলে, পুনর্বার তাহার মনে হুইল, শ্রম ব্রাহ্মণের! অনাহার দ্বারা বুদ্ধি নিম্মল হওয়ার কথ! বলিয়া থাকেন অতএব আমিও অনাহার ব্রত অবল্ধন করিব। পরে অনাহারশ্ব্রতেও কয়েক বদর অতিবাহিত হইল। শ্রই সময়ে উহার শরীর এতরুশ দুর্ধল হইগ্লাছিল যে, কেবলমাত্র কয়েক থানি শুঞ্ধ অস্থি ভিন্ন অন্ত কিছুই তাহার শনীন্গে পর্দিদৃশ্ঠ হুইত ন! এবং ঈদ্ৃুক্‌ অবস্থাতেও তিনি ধ্যানচাত হন নাই

অষ্টম পরিচ্ছেদ ১৫

ললিতবিস্তর গ্রন্থে পিখিত আছে, ভগবান্‌ শাক্যসিংহ বুদ্ধজ্ঞন লাভের প্রত্যাশায় ছয় বৎসর অন্পমশন অনশন ব্রত অবলম্বন করিয়। নিযনতকাল অচ- লব, প্থিরবৎ, স্থাখুবৎ নিম্পন্দ জড়বৎ স্থিরভাবে বাহাজ্ঞানশুন্ত পমাধিতে অব- স্িত ছিলেন। শত শত শীত, বাত, আতপ, বর্ষা, ঝঞ্ধা, বিদ্যুৎ, বজ,--ত্বাহার শরীরের উপর দিয়! চলিয়! গিয়াছিল, তথাপি সে সমন্তে তাহার ভ্রক্ষেপণ্ড হয় নাই গ্রতিজ্ঞপূর্বক এক!সনে কালকর্তন করিয়াছিলেন, একদিনও ভাল করিয়। জানু প্রসারণ করেন নাই। তাহার শরীর এত নির্মাংস, কশ দুর্বল হইয়।ছিল যে, একগাছি তৃণ বা কার্পাসম্ত্র তাহার নাঁস। দিয় প্রবিষ্ট করাইয়া কর্ণ দিয়! বাছির কর! বাইত এবং কৃর্ণ দিয়া প্রবিষ্ট করাইয়া! মুখদিয়া বাহির কর! যাইত। তাহার আকার এমনই বিকৃত হইয়াছিল যে, গোপবালক প্রভৃতি াহাকে পাংশু-পিশাচ মনে করিয় তাহার গান্রে ধূলিনিক্ষেপ পু্্বক কৌতুক করিত। তাদৃক্‌ কঠোর তপঃসাধনে তাহার কাঞ্চননিভ কান্তি কালিমায় পরিণত হইয়ছিল। শরীরের রক্তমাংস শুকাইয়! গিয়াছিল। নয়ন কোটরমগ্ন, ক% রহিরাগত, পঞ্জর দৃশ্তমান এবং মেরুদণ্ড উখিত হইয়াছিল। বখন ছয় বৎসর পূর্ণ হয়, তখন তাহার উঠিবার শক্তি ছিল ন|।

গ্রন্থে ইহাও লিখিত আছে যে, রাজ! শুদ্ধোদন চরপুরুষের দ্বারা শাক]- সিংহের এই তপোবৃত্বস্ত জ্ঞাত হইয়! প্রতিদিন তাহার সংবাদ লইতেন এবং তাহার পরিদর্শনার্থ লোক নিযুক্ত করিয়াছিলেন

কথিভ'আছে, এই সময়ে কামাধিপতি মার তাহাকে তপস্কা হইতে প্রতি- নিবৃস্ত করিবার চেষ্টা করিয়াছিল এবং নিম্নলিখিত প্রক্কারে প্রতিলোভিত করিয়া- ছিল। ,যথ!,--

“শাক্যপুত্র! সমুতিষ্ঠ কায়খেদেন কিং তব। জীবতো৷ জীবিতং প্রেয়ে। জীবন্‌ ধর্ম চরিধাসি কৃুশে। বিবর্ণ! দীনত্বং অস্তিকে মরণং তব। . সহশ্রভাগে মরণং এক ভাগে জীবিতম্‌ ছুংখোমার্গঃ প্রহাণসা দুক্ষর শ্চিত্তনিগ্রহঃ | ইমাং খাচং তদ| মারো বোধিমত্মধীত্রবীৎ ॥”

জ্ঞানবীব্র শাক্যসিংহ কামের ঈদৃক্‌ প্রলোভনে যুদ্ধ হন নাই; প্রত্যুত ুর্ববা- পেক্ষা অধিকতর উৎমাহ আহরণ করিয়াছিলেন তিনি কুদ্ধ হইয়! বলিয়া- ছিলেন

১৬৩ বুদ্ধদেব |

“প্রমত্তবন্ধে।, পাগীয়াং শ্বেনার্ঘেন দ্বমাগতঃ : অণুমাত্রং হি মে পুণ্যৈর৭থো মার! বিদ্যুতে & অর্থে। েষাস্ত পুণোন তানেবং বক্ত,মর্হসি 8৮

ইত্যাদি প্রমত্ত পুরুষের বন্ধু অরে পাপিষ্ঠ কাম! তুই স্বকার্ধ্য সাধন করিতে আমসির়াছিন। আমি পুণ্যপ্রার্থ নছি। যে পুণ্য কামন! করে, তাহাকে গিয়! তুই প্র সকল কথা বল্‌। তুই আমার মরণের কথ! বলিতেছিস্‌ কিন্তু আমি মরণ মানি না। কেন না, মরণাস্তই আমার জীবন। 'মামি তোর কথা শুনিব না, ব্রহ্ধর্ষোই অবস্থান করিব। সমাহিত ব্যক্তির শরীর শু হইলে মাংস শুষ্ক হয়, মাংস ক্সীণ হইলে চিত্ত নির্মল হয়, চিত্ত নির্খল হইলে প্রজ্ঞা জন্মে, প্রন্ত। জন্মিলে শক্তিভাক্‌ উৎসাহ জন্মে, তদ্ধলে তখন সমাধি প্রতিষ্ঠা (স্থিতি) লাভ করে। আমিও এঁরূপে তপন্তা করিব এবং সর্বোত্তম বুদ্ধজ্ঞান লাভ করিব ।* এইরূপে তিনি কামকে পরাভূত করিলেন কাম প্রতিগমন করিলে তিনি মনে মনে চিন্ত। করিলেন,

“নায়ং মার্গোবোধের্নায়ং মার্গে। আধত্যাং জাতিজরামরণসন্ভবানামস্তংগমায়।” আমি যাহা করিতেছি, ইহা! (এই আশ্ফ।নক ধ্যান) বোধ-লাভের পথ নহে স্থতরাং ভবিষ্যৎ জন্ম“জরা-মরণ-নিবারণের উপায়ও নহে। পরে এই ভাব মনে উঠিল যে, *যোনহুং পিতুরুগ্ভানে জুচ্ছায়ায়াং নিষঞে! বিবিক্তং কামৈবিবিক্ত' পাপকৈরকুশলৈর্্ৈঃ সবিতর্কং সবিচারং বিবেকজং গ্রীতিসখং প্রথমং ধ্যানং উপসম্পদ্য যাবৎ চতুর্থধ্যানমুপসম্পঞ্ঠ ব্যহার্ষং স্যাৎ মার্শ! বোধেজাতিজরামরণ- হঃখসমুদয়ানামসম্ভবাকাস্তং গমায় ।”

পূর্বে আমি যে পিতার উদ্ভানে জদ্ু-বৃক্ষ-ছায়ায় উপবিষ্ট হইয়া! কীমমুক্ত, পাপমুক্ত অকুশলধর্মবর্জিত হুইয্া বিবেকজাত সবিতর্ক সবিচার নামক প্রথম সমাধি করিতাম, পরে চতুর্থধ্যানে অর্থাৎ নিবীজ সমাধিতে নিহাঁর করি" তাম, তাহাই বোধিলাভের, নির্বাণজ্ঞান লাভের, ভবিষাৎ-জন্ম-জ রা-মরণ-বিনাশের

পথ বা উপায়। কিন্ত, সে পথ একপ ছুর্বল শরীরের গপ্তব্য নহে, প্রাপ্যও

সপ

পা সপ পপ পাপ পপ সস পারা পা পা

* কোন এক লক্ষা লাভের উদ্দেশে কষ্ট্রকর কার্ষ্য প্রবৃত্ত হইয়। শীঘ্র লক্ষ্য লাভ না হুইলে, সনের নীন। প্রকার লক্ষ্যবিপধ্যয়ক।রী আন্মোলিতাবস্থা জন্মে) কষ্ট করিতে ইচ্ছা হয় ন। সেট সকল আন্দোলনের নাম কাম বা হুখ প্রলোভন শাক্যসিংহেয় মনে চকিতের স্থার এরূপ আন্দোলন উপস্থিত হইরাছিল; কিন্তু তিনি তাহা বিরুম দ্বার দূরীকৃতকরিয়াছিলেন। :

অষ্টম পরিচ্ছেদ। ১৯৭

নহে। শরীরে আমি বোধিদ্রম-তলে যাইতে অক্ষম | এজন, এক্ষণে আমার ওঁধরিক '্সহার দ্বার! অগ্রে বলসঞ্চার করা আবশ্তীক। মনে মনে এইক্নপ বিচার করিয়া! বোধিসত্ব শিষ্যদিগকে ভাকিয়! বলিলেন, আমি উদ্দর পুর্ণ করিয়া আহার করিৰ। পরে প্রথম দিনে তিনি মুদ্গযূষ পান করিলেন অনস্তর দিসে কুল্সাষ- যুক্ত অন্ন ভক্ষণ করিলেন

তাহার সেই শিষ্যপঞ্চক শাকাসিংহের তাদৃশ আহারতৎপরতা দেখির! ভাবিল এই গৌতম ছয় বৎসর এত কঠোর তঁপস্তা করিয়াশ মনুষোত্তর ধর্ম সাক্ষাৎকার করিতে পারিল নাঁ। এক্ষণে ওঁদরিক হইল। এখন আর এই ওদরিকের নিকটে থাকিয়। ফলকি ? এট! নিতান্তই বালক, স্তখপ্রপত্ত কপট এই- রূপ চিস্তা করিয়। সেই শিষ্যপঞ্চক তাহাকে তাগ পূর্বক কাশী গমন করিল, এবং তত্রস্থ মুগদায় খধিপত্তন নামক স্থানে গিয়া তপশ্চরণে প্রবৃত্ত হইল

উর্ুবিল্লের নিকটে নন্দিক নামে এক গ্রাম ছিল। সেই গ্রামের অধিপতির একটী কন্ত। ছিল কণগ্ঠাটার নাম সুজাত | সুজাতা অতিশয় সাধবী, ব্রত- পরায়ণ! পতিব্রতা। সাধু সন্ন্যাসী শ্রমণদিগের প্রতি তাহার অতিশয় ভক্তি ছিল। এমন কি তিনি সাধু সন্ন্যাসীর সেবা না করিয়। জলগ্রহণ করিতেন না। এই সুজাতা, যে দিন শুনিয়াছিল, নৈরঞ্জনাতীরে একজন পরম তপন্বী আসিগ্লাছেন, সেই হইতেই তিনি প্রতিদিন নিজ সর্খীগণসহ এই নব ষপ্নযাসীর সেব। বন্দনা করিতে নৈরঞ্জনাতীরে আসিতেন তাহার সঙ্গে ন্ঠান্ত কণ্তাও আসিত। শাক্যসিংহ যখন কেবল মাত্র তিল, তুল কোল ফল ভক্ষণ করিতেন, তখন এই স্ুক্সাতাই তীহাকে প্র সকল উপস্থিত করিয়া দিত এক্ষণে এই সুজাতাই আবার তাহাকে মুদগযুষ অন্ন আনিয়া দিতে লাগিল। সুজাতার প্রদ্দভ্ত অন্নভোজনে ক্রমে তাহার দেহে পুর্ববৎ বলবর্ণাদি আগমন করিল। শরীরে বলসঞ্চার হইলে তিনি আর সুজাতার আনীত ভক্ষ্য গ্রাহণ কষেন নাই, নিকটবর্তী গোচর গ্রামে গিয়া অন্নুভিক্ষা! করিয়া তদ্বারা আহাবকাধ্য নির্বাহ করিতেন।

একদিন দেখিলেন, তাঁহার পরিধেয় কাধায় বসন ছদ্ন বৎসরের বর্ষায় এক - বারে গলিত হইয়! গিয়াছে তদ্দর্শনে তাহার বস্ত্র আহরণের ইচ্ছা! জঙ্বিল। পূর্বোক্ত সুজাতার রাখানায়ী এক দাসী ছিল, সে মৃতা হওয়ায় তাহার বন্ত্রবেষ্টিত শবদেহ শ্মশানে নিক্ষিগ্ত ছিল। শাক্যদিংহ তাহা দেখিতে পাইয়া! সেই শবমপৃষ্ট

১১.

১৩৮ বুদ্ধদেব

বস্ত্র গ্রহণ করিলেন এবং পুফরিণীজলে প্রক্ষালন পূর্র্বক পরিধান করিলেন। এইরূপে কতিপয় দিবস অতিবাহিত করিয়া গুতদদিনে শুভক্ষণে নৈরঞ্জনাজলে অবগাঁহনপূর্বক শুচি লীতল হইয়! বোধিজ্ঞান উপার্জনের উদ্দেশে বোধি- বৃক্ষের অভিমুখে যাত্র। করিলেন *.

০০০০

নবম পরিচ্ছেদ

শাক্যসিংহের বোধিবৃক্ষমূলে গমন--মার বিজয়--ধানযোগ নির্বাণ-জ্ঞান-লাভ।

“ইতি ঘোধিসত্বে। নদাাং নৈরগ্রনায়াং স্বত্ব ভু কায় বলম্থামং সঞ্জনব! যেন ষোঁড়শাকরসন্পরন্নপৃথিবীপ্রদেশে মহাবোধিক্রমরাঁজমুলং স্ভেন প্রতস্থে ।” [ ললিত বিং। মহানুতব শাক্যপিংহ সম্যক্‌ সমুদ্ধ হইবার জঙ্ত এবার অধিকতর দৃঢ় সংকল্প ধারণ করিপেন। হ্বচ্ছজল| নৈরঞ্জনায় বান যথেগ্দিত ভোজন করায় তাহার শরীরে বল-সঞ্চার হইয়াছে, এখন তিনি সহজে বোধিবুক্ষমূলে যাইতে সক্ষম মহাপুরুষগণ যেন্ধপ পদ্থাবক্ষেপে গমন করেন, জ্ঞ।নবীর শাক্সিংহ আজ সেইরূপ পদ্দবিক্ষেপ অবলম্বন করিয়! বোঁধিবৃক্ষমূলে গমন করিলেন। নৈরঞ্জনাতীর হইতে এক ক্রোশ দুরে সেই বৃক্ষরাজ শাখাবিস্তার করতঃ বিস্ত- মান ছিল। এই এক ক্রোশ পথ তিনি মুছুপদসঞ্চারে অতিক্রম করিশেন, তাহাতে অল্পম।ত্র ক্রেশান্ভব হইল না। কথিত আছে এবং বৌদ্ধদিগের গ্রন্থ লিখিত আছে, ভগবান্‌ শাক্্যদিংহ যখন বোধিবৃক্ষমূলে গমন করেন, তখন তাহার শরীর হইতে এক অলৌকিক অদ্ভুত প্রভ। নির্গত হইয়াছিল এবং সমস্ত জীবলোকের হুঃখ অন্তহিত হইয়াছল।

(ক সপ ৮৯ সপ

*' ঝালিতবিত্তর গ্রশ্থে লিখিত আই্ে, ভগধ।ন্‌ বলিষ্ঠ হইলে নন্দিকগ্রামপতিছুহিতা হৃজাত। একদিন ফ্াহাকে ভে।জনার্থ নিমগ্তরণ দ্বগৃছে আহ্বান করিয়াছিল এখং ভগবান্ও ভীহাঁর ভক্তিতে গঞ্িছুষ্ট হই! হজাভার গৃহে একদিন ভোজন করিয়াছিলেন

নন্ম পরিচ্ছেদে। ১০৯

বৃক্ষমূলে যাইবাম'ত্র তাহার চিত্ত প্রফুল্প হইল! তিনি তাবিতে লাগিলেন, এবার আমি কিসে বসিয়, কোন্‌ আসনে বপিয়া, বুদ্ধগ্ঞান সাধন করিব? পরে স্থির করিপেন, এবার তৃণাননে বসিয়া বুদ্ধজ্ঞ/ন অনুসন্ধান করিব। অদুরে স্বন্তিক নামক জনৈক যাবদিক (ঘাস্থুড়ে ) ঘাস কাটিতেছিল, ভগবান, শাক)িংহ তাহ! দেখিতে পাইয়। তাহার নিকটে গমন করিলেন এবং, বিনয় মধুর বচনে বলিলেন, ভাই ! যদি তুমি আমাকে কিছু ঘাস দাও তাহা হইলে আমার মহা'ন্‌ উপকার হয়। শ্বস্তিক মহাপুরুষের বাক্য অবহেল! করিল না, বাছিন বাছিয়৷ কোমল সুগন্ধ ময়ুরগ্রীব! সদৃশ স্দৃষ্ঠ তৃণপুল প্রদান করিল। তিনি তাহ হৃষ্টচিন্তে গ্রহণ করিলেন এবং সে সকল বহন করিয়! মুক্ষমূলে আনয়ন করিলেন প্রথমে তিনি সাতবার বৃক্ষরাজকে প্রব্ক্ষিণ করিলেন, নমস্কার করিলেন, অনন্তর তন্মংলে সেই আহত তৃণের আসন প্রস্তুত করিলেন। তৃণের অগ্রভাগ মধো, মুলভাগ বাহিরে, এতদ্রুপ করিয়া! ক্রমে আসন প্রস্তুত হইল। সেই আননে যোগাসন কল্পনা করিয়৷ ভগবান্‌ শাক্যসিংহ পূর্ববভিমুখে খন্ুকায়ে উপবিষ্ট হইলেন। নেত্রদ্বয্ নিমীলিত হইল, প্রণিধান বল আন্বত হুইল, স্থৃতি- বল উন্নীত হুইল, মনোমধ্য সংকল্প পরিপুরিত হইল, প্রতিজ্ঞ বাক্যে তাহ! প্রকটিত হইল। প্রতিজ্ঞা বাক্যটা এই ---_--- “ইহা সনে শুধ্যতু মে শরারং ত্বগন্থিমাংনং গ্রলয়ঞ্ বাতু অপ্রাপ/ বোধিং বহুকল্পহ্বলভাং নৈবাসনাৎ কারমিতশ্চলিষাতে ॥” শনীর শুধুই হউক, মার ত্বক অস্থি মাংস প্রলয় প্রাণ্তই হউক, বু কল্প দুর্নভ বুদ্ধগ্ঞান ন| পাওয়। পর্য্স্ত যেন শরীর বিচলিত ন। হয়। মার ধিজয়। কধিত আছে এবং ললিত বিস্তর প্রস্ৃৃতি বৌদ্ধগ্রস্থে লিখিত আছে, সেহ দময়ে ভগবানের নছিত মার-পেনার ( কামণসৈগ্তের ) ঘোরতর "বুদ্ধ হইয়াছিপ এবং ভগবান্‌ সে বুদ্ধে জয়লাভ করিয়াছিলেন মার পুর্নে ইহাকে বার বার ভুলাইবার চেষ্টা করিয়াছিল, এবার ভুলান নবে প্রলোভিত কর! নহে; এবার যুদ্ধ। কাম এবার সসৈন্ঠে বদ্ধপরিকর হইয়! ভগবানকে নানা প্রকার বিভীষিক: দেখাইতে লাগিল এবং বিনাশ করিবার চেষ্টায় ছিদ্র:খুঁজিতে লাগিল কিন্ত

১১৬ বুদ্ধদেব।

কিছুতেই সে কৃতকার্য হইতে পারিল না অবশেষে দে নিজেই পরাস্ত হইয়। পলায়ন করিল। ভূত, প্রেত, ভাকিনী, শঙ্ষিনী, নিংহ, বাঘ, নাগ, যক্ষ, প্রসৃতির সদৃশ ভীষণ কামানুচর কামটপন্থগণ ছিন্ন ভিগ্ন মৃত পলায়নপয় য়ণ হল, কেহই তাহার তেজ সহ করিতে সমর্থ হইল ন1। * | ধ্যানঘোগ নির্ববাণজ্ঞান লাভ

স।নুচর মার ( কামাধিপতি ) পরাজন্ন অস্তে তাহার চিত্ত কামবিমুক্ত হুইল, সমস্ত অকুশলমূল উন্ম.লিত হইল, এখন তিনি সবিতর্ক সবিচার নামক প্রথম ধানে ( সমাধি ) নিবিষ্ট হইলেন। এই ধ্যান বিবেকপ্রভব গ্রীতিম্থখপ্রকা- শক | অর্থাৎ সাত্বিক প্রকাশ বিশেষের উদ্দীপক ঝা উৎপাঁদক। যথা-_-

“সবিতকং সবিচীরং বিবেকজ শ্রীতিসুখং প্রথমং ধ্ানমুপসম্পদ্য বিহরতি স্স।" 1 [ ললিতবিস্তর, ২২ অধ্ায়।

অনস্তর সবিতর্ক সবিচার সমাধির বলে অধ্যাত্মপ্রসাদ উপস্থিত হইলে চিত্তের একোতিভাব অর্থাৎ একত্বপ্রযুক্ত নিবিতর্ক নিধিচার নামক দ্বিতীয়াবগ্ত! উপস্থিত হইল $1 এই অবস্থার পরেই প্রীতি বিরাগী£ও উপেক্ষক হইলেন যথা _-

নখিতর্ক সবিচারাণাং ব্যুপসমাদধ্য আত্মসম্প্রমাদাৎ চেতস একো তিভাবাৎ অধিতরকমবিচারং সমাধিজং প্রীতিস্থথং দ্বিতীয়ং ধ্যানমুপসম্পদ্য ধিহরতি ম্ম। [ ললিতবিস্তার. ২২ অধ্যায়।

১১৯০১১১১১১১

* কষ্টগ্রদ ছুশ্চর তপন্ঠার দুই প্রকার প্রাতবন্ধক দেখ। যাঁয়। এক ভোগের প্রলোভন, ভোগ ছাড়িতে না পার। ; দ্বিতীয় ন।ন। প্রকার ভয়--ছুঃখ মরপত্রাস প্রভৃতি পুর্বে ভোগ- দ্গৃহ! জয় করিয্কীছিলেন, এবার মরণত্রাস প্রভৃতি জয় করিলেন অহ্‌ং মম জ্ঞানই কাম। এই কামই লোককে তপন্যা করিতে দেয় না . বদিও কেহ প্রলোভন পরিত্যাগে সমর্থ“ হয়, তখাপি ভয়ও মরণত্রাদ পরিত্যাগ করিতে পারে না বৃদ্ধদেষ এবার তাহাও॥পরিত্যাগ করিলেন

+ বুদ্ধদেব কিরূপ ধ্যান.করিয়। নির্ব্বাণ আনলাত কবিয়াছিলেন, বঙ্গীঘ্ কোনও লেখক তাহা বুঝাই! দেন নাই অপি5, মিথ্যা লোক প্রবাদ রটিয়াছে যে, বুদ্ধদেব স্বাধীন পথে অর্থাৎ নিঙ্জ উদ্ভাবিত উপায়ে নির্বাণ তত্বজ্ঞান লাঁভ করিয়াছিলেন। কিস্তু আমর! দেখিতেছি, বুদ্ধদেব কিছুমাত্র নিজে উদ্ভাধন করেন নাই 1 তিনি যে-প্রথ।লী অবলম্বন করির়। মোক্ষতত্ব জাত হইয়াছিলেন মুক্ত হইয়াছিপেন, সে-প্রণালগী সমস্তই পাহগ্রপহ্ত্রের প্রণালী একথ। কেন বলি? তাহ! এই প্রন্তাষেই ব্যক্ত হইবে

4 জাক্সপ্রসীদ---চিত্বস্থ সর্ব প্রকার'ক্েশবাদন। সুপ্ত হওয়ার নাম আক্-প্রদাৰ। একোঁতি” ভাধ--এক হপ্রাপ্তি। যতক্ষণ চিত্তে ঘ।সন। (জ্ঞানকর্মের সংস্কায় ) থাকে 'ততক্ষণ তাহা এক নহে কনেক। ফ্রেশবাসন। নষ্ট হইলেই চিত্ত এক হয় অর্থাৎ চিত্তের ন্বপ্নপসত্ত। মাত্র থাকে; ডান্ক কিছু থাকে না। কাযেই এক হয়।

নবম পরিচ্ছেষ। ৯১১

অনন্তর তাহার নিল্রতীক নামক তৃতীন্ ধ্যান বা সমাধির তৃত্তীয়াব স্থ! উপস্থিত হুইল। ক্রমে এই ধ্যান সুখ ছুঃখাদি সুখগ্ঃখাদির সংস্কারশুন্ত নিরবাজ নামক চতুর্থ ভূমিতে স্থিত হইল। যথা “স উপেক্ষকং স্থৃতিমান্‌ সখবিহারী নিশুতীকং তৃতীয়ং ধানমুপসম্পদ্য বিরতি স্ম। হুখসা প্রহানাৎ ছুংখস্য প্রহানাৎ পূর্্বষেব দৌমনসদৌর্দন্যয়ে | রস্তংগমাৎ অছুঃখাস্থমু পক্ষাস্মুতিবিশুদ্ধং চতুর্থং ধ্যানমূপসম্পদ্য বিহরতিম্ম |”). [ ললিতবিস্তর, ২২ অধ্যায় ধ্যানের «ই চতুর্থ অবস্থ। উৎপন্ন হইলে, আত্মসাক্ষাৎ দর্শনগোচর হইলে, জীবের জীবত্বনাশ হৃতরাং স্বরূপনাক্ষাৎকার হয় এবং নির্বাণ বা মোক্ষপদ লব্ধ হয়। মহাযোগী শাক্যপিংহ একণে এই চতুর্থাবস্থা সাক্ষাৎকার করিয়! সম্যক্‌ সন্ুদ্ধ হইলেন, কৃতার্থ হইলেন, এই স্থানেই তীহার প্রয়োজন শেষ হইল এত দিন পরে তিনি পূর্ণমনোরথ হইলেন যাঁইর। বলেন, শাক্যসিংহ হিন্দুর্দিগের যোগ প্রণালী লইয়া পিদ্ধ হন নাই, নিজ-উপ্ভাবিত উপায়ে সিদ্ধ হইয়াছিলেন ; বিবেচনা হয়,ঠাহার! হিন্দুযোগ জ্ঞাত নহেন। কেন-না, পাগল প্রভৃতি হিন্দুষোগ সন্মুখে রাখিয়! ললিতবিস্তর এবং মহাবস্ব অবদান প্রড়তি উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট :বৌদ্ধগ্রস্থ অলোচন। করিলে স্পষ্টই দেখ! যায়, শাক্যসিংহের ধ্যান বা! ষোগ পতঙ্জলির প্রদর্শিত ধ্যান যোগ সম্পূর্ণরূপে সর্বাংশে সমান শাক্টপিংহ এবার যে বোধিদ্রমমূলে তৃণসংস্কৃত আসনে উপবিষ্ট হইয়াছিলেন, আসন উপবেশন পাতঞ্জল মতের বহিভূর্তি নছে *। শাক্যসিংহ যে প্রথমে সবিতর্ক সবিচার (সমাধি ), পরে নিধ্বিতর্ক নিধিচার সমাধি, তৎপরে নিষ্প্রতীক ধ্যান ব1 সমাধি, তৎপরে হৃখহঃখাদিশুগ্ত স্বৃতি পরিহীন চতুর্থ সমাধি. করিয়া কৃতকৃতার্থ হইয়াছিলেন, ক্রম বাঁ প্রণালী পাতঞ্জল শান্পেও উক্ত আছে। মহাঁধুনি পতগ্রলি যাহা! বপিয়। গিয়াছেন, ভগবা ন্‌ বদ্ধদেব ঠিক তাহাই করিস ছিলেন, কিছুমা বাতিক্রম করেন নাই। পতগ্রলি বলিয়ছেন, *“অবিশুদ্ধিক্ষয়ে জ্ঞানদীপ্রিঃ” চিত্তের অশ্ুদ্ধত। নষ্ট হইলে প্রথমে জ্ঞানশক্তি উদ্দীপিত হইবে, অনন্তর তাহ! সেই সেই ধানের বঝ| সমাধির

টব সত

জী পপ পপি

* ধাঁহার। বুদ্ধের প্রস্তরমুর্তি দেখিয়!ছেন, তাহারা মিলাইয়। দেখিবেন, বৃদ্ধাদেষ বোগশা প্রো গল্মাসনে উপবিষ্ট আছেন

১১২ বৃদ্ধদেব।

উপযুক্ত হইবে। বন্ততঃ চিত্তের কামাদি দোষ ক্ষত প্রাপ্ত না হইলে, কায়িক বাচিক মানসিক কর্মসংফ!র নিঃশক্তি ন! হইলে, সে চিত্ত ভাবাপদার্থে স্থিরলগ্র হইতে পারে না। শাকামুনিও প্রথমে চিত্তকে কাদাদিমুক্ত করিয়াছিপেন এবং অকুশল ধর্ম সকল ক্ষীণ করিয়া! ছিলেন।

পতঞ্জলি উপদেশ কারয়াছেন, “বিতর্কবিচারানন্দাশ্মি ানুগমাৎ সম্প্জ্ঞত:, অর্থাৎ যোগিগণের প্রথমে সবিতুর্ক, সবিচার, সানন্দ সান্মিত। নামক সংগ্রজ্ঞাত সমাধি হয়। শাক্যমুনিরও ঠিক তাহাই হইয়াছিল। *

পতঞ্জলি বলিয়াছেন, 'স্থৃতিপরিশুদ্ধো স্বরূপশূন্তে বাইর্থমাত্রনির্ভাসা নিধিতর্ক।, এবং এতয়ৈব নিধিচার। সুক্ষবিঘষয় ব্যাখ্যাত। তাহারই পরে ভাব/বস্তুর নামাদি বিস্মবণ হওয়ায়, চিত্তের তন্মাত্রাকারত। দৃঢ় হওয়ায়, নিধিতর্কও নিবিচার সমাপত্তি হইয়। থাকে ভগবান্‌ শাক্যমুনিরও তাহাই হইয়াছিল 1

পতঞ্জলি বলিয়াছেন, “তাঁএব সজীব সমাধিঃ*, “নিবিচার বৈশাবন্ভেহধ্যাত্ম- প্রলাদঃ 1” খতভ্তর তত্র প্রজ্ঞা! 1” অর্থাৎ প্র সকল সমাধি সবীজ অর্থাৎ সপ্রতীক। নিধিচার সমাধি হইলে আত্ম প্রদাদ উপস্থিত হয়, তখন পূর্বপ্রতীক লুপ্ত হইয়া যায়) এই সময়ে খতস্তরা নামক এক প্রকার প্রজ্ঞালোক উদ্দিত হয়। এই ঘটনা ভগবন্‌ শাক্যমুনিরও হইয়াছিল। £

ভগবান্‌ পতঞ্জলি মুনি বলিম়াছেন, “তন্তাপি নিরোধে সর্ববৃর্তিনিরোধাৎ নিবীজঃ সমাধিঃ৮ অর্থাৎ তৎপরে সম্প্রজ্ঞাতাঙ্গ সে বৃত্তিটিও লুপ্ত হয়, সুতরাং তখন সর্ববৃত্তি নিরোধ হেতু প্রত নিবীজ ঝা নিশ্রত্ীক সমাধি জন্মে। চিন্ত তখন নিরালম্ব অর্থাৎ স্বরূপশুন্তের গ্ায় অভাব প্রাপ্তের স্টাক়, (না থাকার মত ) হয়, তৎকারণে তখন সুখছহুঃখ উপেক্ষা! স্থৃতি সংস্কার সমন্তই তিরোহিত হয়। ইহাই সর্বযোগের শেষ প্রান্ত, ইহাই ঘোগীর পরম প্রার্থনীয় এই পর্য্স্ত উঠিতে পারিলেই মোক্ষ ল/ভ হইয়! থাকে মহাযোগী শাক্যসিংহ এক্ষণে এই চরম প্রান্তে আসিয়াছেন, তাহার চিরসম্ভূত আশ! আজ, এই প্রান্তে আসিয়৷ পুর্ণ হুইয়াছে।

“পবিতর্কং সধিচারং বিবেকজং প্রীতিসথং প্রথমং ধ্াানং উপসম্পদ্য বিহরতি স্ম। বিবেকজং শ্রীতি্থখং এই দুই শব্ধ পাতপ্রলোক্ত সাম্মিতা »নন্দ শব্দের সমানার্ক সবিতর্ক কি? সবিচার কি? সকল কুতুহল পাতঞ্জলানুবাদ দেখিলে ধিনিবৃন্ত হইবে + আত্মপ্রসাদাৎ চেতস একোকফ্িভাবাৎ অবিতকমবিচারং সমাধিজং প্রীতিহ্থখং গ্বিতীক্সং ধ্যানামত্যাদি! ল. বি, দেখ। £ উপেক্ষকঃ ম্মৃতিমান্‌ খধিহারী নিল্প্রতীকং ভূৃতীর়ং ধ্যানমুপসম্পদ্য বিহরতি ম্ম : ল, বি দেখ। “ছ&ঁ সহুখসাচ প্রহানাৎ ছুঃখসাচ প্রহানাৎ পুর্বমেধচ নৌমননা দৌর্দধনসাক্ষোরন্তংগমাৎ অদ্ুঃথ।- স্থখং উপেক্ষ। শ্বতি বিশুদ্ধং চতুর্থধ্যনি মুপহপ্পদ্য বিহরতি "্ম। ল,বি।

নবম পরিচ্ছেদ ১১৩

পাঠকগণ এক্ষণে আপনার। পতগরলির উপদেশ শাক্যসিংছের সাধন প্রণালী নিপুণ হইয়! বিচার করিয়া দেখুন, উভন়্ প্রণালী এক কিনা। আর এক কথা জিজ্ঞাস করিতে পারেন। তিনি কি ভাঁবিয়াছিলেন? অর্থাৎ আমি কি? দেহ কি? দেহের সহিত আমার সম্বন্ধ কি? গুথ ছুংখ কি? আমিত্বের সহিত সকল কেন উপস্থিত হয়? এই সকল ধ্যান করিয়াছিলেন? ন৷ অন্ত কিছু ধ্যান করিরাছিলেন ? প্রশ্নের প্রত্যুত্তর শাকাসিংহের বুখানকালের কথার দ্বারা জানা ধায় তিনি যে শ্যাদিগের নিকট আপনার জ্ঞাতব্য সাক্ষাৎ কারের উপায়, প্রণালী বিবরণ ব্যক্ত করিয়াছিলেন, সেই বিবরণের দ্বারা তাহার মনে কি ছিল তাহ। জানা যায়।

মহামুনি পতঞ্জলি বলিয়াছেন, যোগিদিগের ভাব্য ছ্বিবিধ। এক ঈশ্বর, অপর তত্ব। তত্ব আবার ছুই প্রকার। এক জড়তন্ব, অপর অজড়-তত্ব অর্থাৎ চেতন- তত্ব। চেতন আত্মা তুল্য কথ।। ভূত, ভৌতিক, ইন্দ্রিয়, ইহাদের কার্য্য- কারণভাব, সকল জড়তত্ব মধো গণা। সমৃস্তই যোগীদিগের ভাব্য অর্থাৎ ধ্যানের বিষয় এই সকলের স্বরূপ প্রত্যক্ষ করিবার জন্য যোগীর! সমাধি অনুষ্ঠান করিয়া থাকেন। মহাযোগী শাকাসিংহ ঈশ্বরতত্ প্রত্যক্ষ করিবার জন্য তত কষ্ট করেন নাই। তিনি চিজ্জড়ের সংযোগ বিনাশার্থ চিত্তত্ব জড়তত্ত ভাবিয়াছিলেন। কথ! এই জন্য বলি, তিনি নির্বাণ-জ্ঞান লাভের পর চিজ্জড়- তত্ব ভিন্ন ঈশ্বরের কথ! কিছু মাত্র বলেন নাই নিয়ম এই যে, যেযে বিষয়ে সমাধি প্রয়োগ করে, সে সেই বিষয়ই জানিতে পারে, জানিয়৷ কতার্থ হয়। অনস্তর সে শিষাকে তাহাই উপদেশ করে। অতএব, শাক্যসিংহ ধন কেবল মাত্র আত্মতত্ব জগত্বত্ব জানিয়াছিলেন এবং শিষাদিগকে কেবল তাহাই বলিয়াছিলেন, তখন স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে, ঈগ্বরতত্ব তাছার লমাধির ভাব্য বা আলম্বন ছিল ন!। একমাত্র আত্মতত্ই তাহার সমাধির মুখ্য ভাব্য ছিল এবং শেষে তিনি তাহাতেই রুতার্থ হইয়।ছিলেন। তিনি কথিত প্রকার ষোগের প্রভাবে যেরূপ জ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন, সে সমন্তই বিবিধ বৌস্কপ্রন্থে বর্ণিত আছে। তন্মধ্যে ললিত বিস্তরের বর্ণনা কিছু অধিফ বিশদ বিস্তৃত; কারণ ললিত বিস্তর হইতে আমর! বুদ্ধজ্ঞনের ক্রম ব! প্রণালী অনুবাদিত করিয়! পাঠকগণকে উপহার দিলাম। অন্ঠান্ত গ্রন্থের ক্রমও গ্রন্থশেষে অর্থাৎ বৌদ্ধধর্ম বিভাগে বল! হইবে : অধিক প্রসঙ্গা- গত কথার প্রয়োজন নাই, এক্ষণে পুনঃ প্রস্তাবিত বর্ণনান়্ প্রবৃত্ত হওয়। ঘাউক।

১১৪ বুদ্ধদেব

“এবং ধলু ভিক্ষবে! যোধিসতে। রাত্রযাং প্রথমে যামে বিদ্যাং সাক্ষাৎ করোতি শ্ তষো- ধিহস্তি পপ আলোকমুৎপাঁদগ্ধতি ম্ম।'

সমস্ত দিবদ ধ্যানে অতিবাহিত হইলে রাত্রের প্রথমপ্রহরে ভগবানের জ্ঞান- দর্শন হইল, অজ্ঞ।নান্ধকার নষ্ট হইল, আলোক বিশেষ সাক্ষাৎকৃত হইল, তদ্দার। তিনি সমস্ত জীবলোকের স্থুগতি ছুর্গতির কারণ পুর্বজন্মবৃত্তান্ত জানিতে পারিলেন। &

“রাত্র্যাং মধ্যমে যামে পূর্বনিধাসানুম্মৃতিজ্ঞানদর্শনবিদ্যাসাক্ষাৎ ক্রিয়ায়ৈ চিত্তমভিনি হরতিস্ম নির্নাময়তি স্ম। আ্মনঃ পরসন্বানাঞ্চ অনেক বিধপূর্ব্বনিষাসাননুস্মরতিম্ম

অনন্তর তিনি রাত্রির মধ্যম প্রহরে আপনার অন্তান্ জীবের পূর্বব জন্ম

দেখিবার জন্ত, জানিবার ল্গ, চিত্বপ্রয়োগ বা. সংযম করিলেন। করিবামান্র

তিনি আপনার অন্তান্ত প্রাণীর অসংখ্য প্রকার পূর্বজন্মবৃত্বাত্ত জানিতে পারিলেন। +

দ্রাত্রযাং পশ্চিমে যাঁমে অরুণোপঘ।টনকালসময়ে নন্দীমুখ্যাং রাত্রো ছুঃখসমুদয়ান্তংগতায় আশ্রবঙ্ষনর্শন ঘিদ্! সাক্ষাক্রিয্ামু চিত্তমভিনির্হরতিস্ম নির্নায়তিপ্ম ৷” £

অনন্তর তিনি রাত্রির শেষ প্রহরে নন্দী মুখীরাত্রিতে (প্রত্যুষ সময়ের কিছু পূর্বে) সর্বছঃখ বিনাশের জন্ত, আশ্রয় ক্ষয়কারী জ্ঞানের সাক্ষাৎকার জন্ক, চিত্তকে তদ্দভিমুধী করিলেন, নিনামিত করিলেন অর্থাৎ প্রত্যক্প্রবণ করিলেন। অনন্তর ছঃখ মূল কি? তাহ! জানিবার জন্ প্রণিধান করিলেন। সেই মুহূর্তেই দেখিতে পাইলেন,__

কৃচ্ছোবভারং লোকে উৎপরে। যহুত জীবতে (জীক্পতে) থ্রিরতে চ্যবতে উপপদ্যতে অথচ পুনরশ্ মহতে। ছুঃখস্বন্ধত্ত নিঃলন্লণং জানাতি। জরাধ্যাধি মরন ধিকগ্যান্তঃক্রির। প্রজনায়তে_।"

অনবরত কষ্ট সংসারমআোত প্রবাছিত হইতেছে, অনবরত লোকসকল জন্মিয়'ছে, জন্মিতেছে, বাঁচিতেছে, অরিতেছে, চ্যত হইতেছে; কিন্তু এই মহান্‌

শা আকার পাপ পপ পিপিপি পাপী পি পপি পাপী 4 পপি শশী পি পপ | পিপি শি শিপ শপ পাপ উপর

* আমাদের পারল ধেগেও লেখ! ছে, “তজ্জাং প্রশ্কাতনাক" নক্ন্তাত পম বিজিত হইলে, বশীভূত হইলে, জ্ঞাতব্য প্রধিবেক কায আলোক ব! প্রকাশ বিশেষ জন্মে তত্র! যোগী সংসারগতি জানিতে পারেন

+ আমাদের পাতঞজলেও “সংক্কারনাক্ষাৎকরণাৎ পূর্ন [তিজ্ঞ।নম্‌” প্রতৃতি সিদ্ধির কথ! আছে। পাতঞ্লল শান্্র উদ্তমন্ধপ আলোরিত হইলে বুদ্ধ যোগে 1 সহিত পাঁতগ্রলযোগের পতাক্স লি দুষ্ট হইঘে ন!।

£ বুদ্ধের এই সংঘম, এই জ্ঞানপ্রবাহ, মাসাদের পতল তে বিবেক খ্যাতির অর্থ? আত্ম- তত্ব জানিবার পূর্ববান্ণ ইহার পাতগলোক্ত নাম তারকজ্ঞান। পতঞ্রলি মুনি শ্বকুত গ্রন্থের বিভূতিপা্দের চৌত্রিশ স্তরে ছত্রিশ সুরে তারক-জনের স্বরূপ ফল ধর্শন করিক্কাছেন দৃষ্ট ফরিবেন।

*নবমাপরিচ্ছেদ | ৯৯৬

ছঃধ স্বন্ধ হইতে নিঃন্ত হইবায় পথ জানিতেছে না বা পাইভেছে না! জরা- ব্/ধিমরণ[দির অন্তঃক্রিয়। ( নাশক কাধ্য ব1 উপ্গায় ) জানিতেছে না! অন্ত প্রণিধান করিলেন, “কন্মিন সতি জরামরণং ভবতি ? কিগ্রত্যয়ধ পুনজ'রা মরণম্‌ ?” কি থাকাতে জরামরণাদি হয়? জরামরণাদির মূল কি? কারণ কি?

প্রণিধান মাত্র প্রতিভাত হইল, “জাত্যাং সত্যাং জরামরণং ভবততি জাতি- প্রতায়ং ছি জরামরণম্‌।”-_জাঁতি থাকাতেই জর! মরণ হইতেছে, সুতরাং জাতিই জরামরণাদির কারণ (জাতি-জন্ম বা শরীরে।ৎপত্তি ) অনস্তর কি থাকাতে জাতি, জন্ম বা শরীর হইতেছে? জাঁতির মুল কারণ কি? এতজপ তৃতীয় প্রণিধানে জানিতে পারিলেন, “ভবে মতি জাতিভবতি ভব-প্রত্ায়! পুন- জাতিঃ।'” ভব থাকাতেই জাতি বা জন্ম হয়, সুতরাং ভবই জ!তির বা জগ্গের কারণ। ! ভব-কন্মমূলক ধর্মাধশ্ম, ভাবনাপ্রভব সংস্কার )। অনস্তর ভবের মুল জানিবার জন্য চতুর্থ প্রণিধান আহরণ করিলেন তাহাতে দেখিতে পাইলেন, “উপাদানে সতি ভবো৷ ভবতুযুপাদানপ্রত্যয়ে! ভবঃ |” উপাদান থ।কাতেই জীবের ভব অর্থাৎ ধর্ম্ীধর্ম সঞ্চিত হয়, তৎকারণে উপাদানই তবের মূল। (উপাদানস্ত কায়িক, বাঁচিক মানসিক ব্যাপার বা! চেষ্টা )। কি থাকাতে উপাদান হই. তেছে? উপাদানের মূল কি? তত্বও তাহার প্রত্যক্ষ হইল। তিনি দিব্য- চক্ষে দেখিতে পাইলেন, “তৃষ্ণায়াং সত্যাং উপাদ্দ!নং ভবতি ভূষ্গা প্রত্যয়ং হাপা- দানম্1” তৃষ্ণা থাকাতেই উপাদান অর্থাৎ কায়িক, বাচিক মানপিক চেষ্টা জন্মিতেছে। আতএব, তৃষ্চাই উপাদানের কাঁরণ। (তৃষ্ » মানসম্পৃহ!। অথবা সুখম্পৃহা! )। পুনর্বার জিজ্ঞাস! জগ্মিল, তৃষ্ণার মুল কি ? ভূষণ! কেন হয়? তৃষ্কোৎপত্তির বীজ কি ? অশ্নি প্রতিভাত হইল, “বেদনায়াং সত্যাং তৃষ্ণা ভবতি বেদনা প্রত্ুয়। হি তৃষা বেদন। থাকাতেই তৃষ্ণা জম্মিত্ডেছে ; সুতরাং বেঙ- লাই ভূষ্চার বীজ। (বধেদসা- অনুকূল-গ্রাতিকূল অদ্গুভব অর্থাৎ দুখ ছংখাদির বোধ )। | মা |

বেদনা কিংমূলক ? ফেল বেদনা! জন্মে ?' প্রণিধানমাত্র দেখিতে পাই- লেন, “ম্পর্শে সতি 'বেদন! ভবতি স্পর্শপ্রতায়া হি বেদন। 1” স্পর্শ থাকাতেই বেদন! জন্মিতেছে, সুতরাং স্পর্শই বেদনার এক-মাত্র কারণ ( স্পর্শ. লাম, রূপ ইঞ্জিয়--এই তিনের সমাহার বা সংযোগ 1 অর্থাৎ ইন্দিক্গণ যে নামবপাদির আকার গ্বরূপ প্রকাশ করে, সেই প্রকাশক্রিয়াই বৌদ্ধ মতের প্পর্শ.)। | রঃ

১১৬ বুদ্ধদেব

স্পর্শের কারণ কি 2 কি থাকাতে এরন্ধপম্পর্শ হইতেছে? তাহাঁও তিন সেই সমাধিবলে জানিয়াছিলেন ।.ভিদি দেখিতে পাইলেন, ““্ষড়ায়তনে সতি স্পর্শে! ভবতি বড়ায়তনপ্রত্যয়ো হি পুনং ম্পর্শঃ1৮ অর্থাৎ বড়ায়তন আছে বলিয়াই, তদেকদেশে স্পর্শ আছে; সুতরাং ষড়ায়তনই স্পর্শের হেতু ( ষড়ায়- তন _ নামরূপসন্মিশ্রিত ইন্দ্রিয় অর্থাৎ শরীরাকারে পরিণত ভৌতিক কায়ার অন্তর্গত ইন্দ্রিয় )।

কি থাকতে ষড়াপ্নতন জন্মিয়াছে জন্মিতেছে ? ষড়ার়তনের বীজ কি? তাহার সমাধি প্রজ্ঞ। প্রশ্নেরও প্রতুাত্তর প্রদান করিল তিনি দিব্য জ্ঞানে দেখিতে পাইলেন, “নাম নামরূপে সতি যস্ভায়তনং নামরূপং প্রত্য়ং হি ষড়ায়তনম্‌ 1” নামরূপ থাকাতেই ষড়ায়তনের উৎপত্তি হয় নামরূপন্ ক্স বা পরমাণু নামক ক্ষিতি জল বামু তেঞজজ। এই সকলই রূপ বস্ত-আকারে পরিণত হয় )।

অবশেষে দেখিলেন, প্রান্ত নামরূপের মুল কারণ বিজ্ঞান। একমাত্র বিজ্ঞা- নই নামরূপ নির্বাহ করিতেছে! (অর্থাৎ বাহ্ৃবস্ত মকলের উৎপাদক পৃথক নহে, সত্যও নহে, এক বিজ্ঞানই বিবিধ আকারে গ্রকাশ পাইতেছে )

বিজ্ঞানের মূল সংস্কার বা ( পুর্বপূর্কক্ষণবিনাশী বাসনা বাসন।_ বিজ্ঞানের বিনাশ সহ তত্তবিজ্ঞানের অগ্ুবৃত্তাকার সংস্কার )।

এবন্প্রণিধানের চরম প্রান্তে গি্ক। দেখিলেন, সর্বব মূল বিজ্ঞান-বাসনার অদ্ধি- তীয় কাঁরণ অবিদ্যা “'অবি্ধ্যায়াং সত্যাং সংস্কার! ভবস্তি অবিদ্যা প্রত্যয় হি

ংস্কারাঃ 1” ইহার অর্থ এই যে, অবিদ্যা থ্কাতেই জীবের ক্ষণে ক্ষণে প্রোক্ত-

লক্ষণ সংস্কার প্রবাহীকারে জন্মিতেছে এবং দেই জন্তই পুনঃপুনঃ বিষয়-উগলক্ষে রাগ দ্বেষ মোহ প্রভৃতি হইতেছে

অবিদ্যা অহং মম | জীবের অহং মমই যাবৎ অনর্থের, মূল, সংস্কারবীজ যাবৎ বিজ্ঞানের আধার অবিদ্যাকে নষ্ট করিতে পারিলে, অহংকার মম-কার নিক্ষগ্ধ করিতে পারলে, এই অনর্থ সংসার হইতে পরিজআাঁণ পাওয়া! ধাপ আমি- ত্বের নিরোধ হইলেই জীবপ্ব নির্বধাপিত হর কিন্তু আমত্ব-বিনাশ নিরোধ ব্যতাত সন্ত উপায়ে হয় ন1। ' ন্লান্ত্ির শেষ যাষে মহাযোগী শাক/সিংহ রূপে প্রতিবুদ্ধ হইলেন। তাধা তুদ্ধিম্ধ তান্বর হইল। [তিপি স্পষ্ট দেখিতে পাইলেন,--

নবম পরিচ্ছে। ১১৭

“জধিদাপ্রতায়াঃ সংস্কারাঃ, সংক্কারপ্রতয়ং বিজ্ঞানং, বিজ্ঞানগ্রত্যয়ং নাম রূপং, নামরপ- প্রতারং বড়ায়তনং বড়ায়তনপ্রত্যয়ঃ স্পরশ:, স্পর্শ প্রতায়! বেদন, বেদনা প্রত্যয়। তৃষা, তৃষ্ণা প্রত্যয়. মুগ।দানং, উপদান প্রতায়ো ভবঃ ভবপ্রত্যর়। জাতি, জাতিপ্রত রা জর। মরণ শোক পরিদেবন ছুঃখ দৌর্দবনস্টো পায়াশাঃ সভ্ভ বন্ট্যেবং কেবলন্ত মইতে। ছুংখস্বন্ধন্ত সমুদয়: 1”

অহুং মমাকার মিথ্যা প্রত্যর হইতেই সংস্কার জন্মে, সংস্কার. হইতে বিজ্ঞান- ধার! প্রবাঞ্িত হয়, বিজ্ঞান নামরূপের নির্বাহক, নামরূপের পরিবর্তনেই' যড়ায়- তন অর্থাৎ সেন্তরিয় দেহ হয়, দেহ মূলক স্পর্শ, ম্পর্শহইতে বেদন!, বেদনা হইতে তৃষণ, তৃষ্ণাই জীবকে ধর্দ্মাধর্থ করাইতেছে, ধর্্মীধর্ন হইতেই জন্ম ব৷ শরীরোৎপন্তি এবং শরীরছেতুক জরামরণ, শোক পরিদেবনা, দুঃখ, ছুম ন্কত। আয়াস প্রত্ৃতি হুইতেছে।

অবশেষে উহার ব্যুতক্রমও দেখিতে পাইলেন তিনি দেখিলেন, জাতি- নিরোধ হইলে অর্থাৎ জন্মনিবারণ হইলে জর! মরণাদি নিবারিত হয় এবং ধর্মা- ধর্ম ত্যাগ হইলে জন্মও নিবারিত হয়। ইত্যাদি ।-__

অবিদ্যায়।মসভ্যাং সংস্কার! ভবস্তি, অবিদ্যানিরোধাৎ বিজ্ঞান-নিরোধং। এবং যাঁবজ্জাতি- নিরোধাৎ জরানরণ শৌকপরিদেবনছুঃখদৌর্মনন্যাপায়াসা নিরধ্যস্তে এবমস্ত মহতো। ছুঃখন্দনাত্য নিরোধে। ভবতি ।”

অবিদ্যা না থাকিলে অর্থাৎ অহং মম ন। থাকিলে সংস্কার হইবে না, সংস্কারের

অভাবে বিজ্ঞানাভাব হইবে, এবং জন্ম না হইলে জরা, মরণ শোক, পারদেবন! (ক্রন্দনা্দি পরিতাপ, ) দুঃখ, দৌর্খনস্ত, অপায় মায়াস, সকল কিছুই ভোগ করিতে হইবে না।

রাবির শেষ যামে শাক্যমুনির চিত্তে এবস্ৃত মনুষ্যোত্র জ্ঞান বা মহান্‌ আলোক গ্রাহভূতি হইল। তাহার বহুজন্মের আশ! আজ সম্পূর্ণ হইল। তিনি বুদ্ধ হইলেন, বুদ্ধ-জ্ঞান পাইলেন, এখন আর অবিদ্যা ( অহং মম ) তাহাকে অভিভূত করিতে পারিবে ন|। পু

বুদ্ধ হকার কিছুকাল পরে তিনি শিষ্যিগকে এই বৃত্তাস্ত বলিয়াছিলেন তিনি

ব্লিয়াঞ্িপেন, ভিক্ষুগণ ! আমি এইরূপে এত কষ্টে সংস্কারস্কদ্ধের যথার্থতত্ব তাহ! হইতে নিঃম্হত হইবার উপায় পরিজ্ঞাত হইয়াছি।

এইরূপে মহ।যেণী শাকাপিংহ গরপর্ধত নিকটস্থ অলৌকিক লক্ষণ-সম্প্র অশ্ব তরুমুলে উপবিষ্ট হহয়। প্রথমে সম্প্রজ্ঞাত স্মাধির দ্বার! আত্মতত্ব সংস্কার- তত্ব পরিজ্ঞাত হুইয়াছিশেন, অবশেষে অসংপ্রজ্ঞাত বা নির্বাজ সমাধি সাধন করিয়া অহং মম নামক 'বিদ্য। বীজ দগ্ধ করিয়া! কতার্থ হটয়াছিলেন।

$৮ ুদ্ধদেষ। কথিত আছে, শীকাসিংহ যখন বৃক্ষমূলে নির্বাচ্ছ সাধি সাধন. করিয়া সম্যক্‌ সংবৃদ্ধ হন, তখন সমুদয় দেবগণ আকাশে পুষ্পবৃষ্টি করিয়াছিলেন ।*

দশম পরিচ্ছেদ

বে।িবৃদ্ষতলে ব।স--দেবগণের আনন্দ --পুনর্ববার মার স্দ্শন-_মুচিলিন্গনাগ ভবনে গমন *- ভারাপণধনে ভ্রমণ-+ তথায় বিহার--্বণিক সংবাদ--ধর্প্রচারের ইচ্ছ। -.বনদে বতাঁগণের উদ্ভি--মগধভরষণ- বারাণসী-গমন--শিষ্যলাজ ধর্্প্রচার।

ভগবান্‌ শাক্যসিংহ বুদ্ধজ্তান লাভ করিয়! সপ্তাহ পর্যন্ত সেই আমনে সেই বুক্ষমূলে অপার আনন্দে নিমগ্ন থাকিলেন। ভাবিলেন, অহে।! আম আজ, এই স্থানে যার পর নাই শ্রেষ্ঠ সম্যক্‌ সম্বোধি লাভ করিয়াছি! এই স্থানেই আমি আজ. জন্ম-জরা-মরণ-ছুঃখের অস্ত করিয়াছি!

কথিত আছে, বৌদ্ধগ্রন্থে লিখিত আছে, ভগবান বোধিগ্তান লাভ করিলে নেই মুহূর্তে না-কি তাহান বুদ্ধবি ক্রীড়িত বেদ্ধচেষ্টা) উপস্থিত হুইয়াছিল। অপিচ, ধর সময়ে উক্তস্থানে শুদ্ধবাস-কাগ্লিক, আভাম্বর, সুব্রন্গ, শুরুপাক্ষিক ও.পরি- নির্িত বশী প্রভৃতি দেবগণ সানন্দে পুষ্পবধণ, গাথাগান স্তুতি নমস্কারাদি করিয়াছিলেন এবং কিন্করের ন্যায় আজ্ঞাপ্রার্থী হইয়। 'করপুটে তাহার সম্মুখে উপস্থিত হুইগাছিলেন। প্রথমে গুদ্ধবস কায়িক দেবগণ এইরূপ গথা গান

করিয়াছিলেন উৎপন্নো লোক প্রদ্যোতে। লোকনাথ: প্রভঙ্করঃ।

অন্ধীভূতত্ত লোকত্য চক্ুর্দীতা র্ণগ্রহঃ ভগবান্‌ বিজিতসংগ্রাষঃ পু্যেঃ পুর্ণোষনোরথ:ঃ। সম্পূর্ণ; শুরুধর্দেশ্চ জগত্তি তর্পয়িয্যতি (ইত্যাদি, ললিতবিস্তর গ্রন্থের ২৩ অধ্যায় দেখ )। দেবগণ স্ততি করিতেছেন, কিস্তু ভগবান্‌ নিনিমেষ নয়নে সেইদ্রমরাঙ্গের আতলবীর্ষ অবলোকন করিতেছেন। এইরূপে সপ্তাহ অতীত হইল।* সপ্তাহের পর দেবপুত্রগণ ভগবানের অঙ্কমতি ক্রমে গন্ধোঞ্কপূর্ণ সহশ্র সহস্র কুস্ত *ইয়! ভগবানের বোধিবৃক্ষের অভিষেক কাধ্য সম্পন্ন করিলেন। অনন্তর দ্বিতীয় * শাক্যসি'হের এই বুদ্ধজ্ঞান সাধনপ্রণালী প্রাচীন হিন্দুদিগের তত্বজ্ঞানের তন্বজ্ঞান মাঁধনের বছির্ভ.ত খলিয়! বোধ হুয় না। ভ-চিহত পরিশিষ্ট দেখুন, তাহাতে দেখিতে পাইবেন,

বৃদ্ধের নি্বধাণের সহিত ঘা সমাক্‌ সম্বোধির প্রাচীন খাঁধদিগের তত্বজ্ঞানের তন্বজ্ঞানের ফলের বিলেষ বৈলক্ষণ/ নাই।

দশম পরিচ্ছেদ। | ১১৯

সপ্তাছে নিকটস্থ সমস্ত শুতদেশ ভ্রমণ করিলের। তৃতীয় সপ্তাছে পুনর্ধার ঘোধি- ৃক্ষমূলে আগমন করিয়া সঙ্জল নয়নে, স্েহৃষ্টিতে, সামগুযাগ সম্পৃহচিত্তে 'অনিমিষে চক্ষে বৃক্ষরাজকে দেখিতে লাঁগিলেন--আর “আমি ইহীরই মূলে সারও শ্রেষ্ঠ সম্যক্‌ বৃদ্ধজ্ঞান লাভ করিয়াছি” ভাবিয়া আনন্দিত হইতে লৃগিলেন। ক্রমে ভূৃতীয় সপ্তাহ গত হইল। চতুর্থ সপ্তাহ আগত হুইলে, ভগবান্‌ পুন" ব্বার পর্যটনে প্রবৃত্ত হইলেন। এইট সময়ে ভগবানের চিত্ত আর একবার বিচলিত হইয়াছিল। বিচলন অন্তরূপ নহে; বিচলন «এখন নির্বাপিত হইব কি না”, এতজ্জপ চিত্তাবিশেষ এই বিচলনভাবৰ বর্ণনার জন্ত বৌদ্ধগণ বলিয়া থাকেন যে, বুদ্ধ হইবার পরেও ভগবানের সহিত মার-দেবের পুনঃসাক্ষাৎ হইয়া-

ছিল। . বিষয়ে ললিতবিস্তর গ্রন্থের লিপিপরিপটী এইরূপ-- “মার? খলু পাগীয়ান যেন তথাগতঃ তেন উপসংক্রমা তথ(গতমেতদ বোচৎ পরি নির্ববাতু ভগবান্‌ পরি নির্র্ধাতু সুগত সময় ইদানীং ভগবতঃ পরিনির্বাণায় ॥”

অর্থ এই যে, পাপিষ্ঠ কাম আসিয়। সময়ে ভগবান্কে বণিল, হে তগবন্। হেস্থুগত! আপনি নির্বাপিত হউন,-_নির্বাপিত হউন। ভগবানের নির্বাণ-

প্রাপ্তির শুভকাল এই | গুনিয়া, ভগবান প্রতুত্তর করিলেন, 'ন তাব্দহং পাপীয়ন! পরিনির্বা-

স্যামি যাবন্সে স্থবিরা ভিক্ষবে! তবিষাস্তি দাত্তা ব্যক্ত! বিনীত! বিশারদ বহশ্রতা র্্ানুধর্মপ্রতিপর্লাঃ (৮--অর্থ এই যে, রে পাপিষ্ঠ ! যতদিন না আমার, উপ- দেশ দানে সক্ষম, দমগ্ুণধুক্ত, ভিক্ষু, বিনীত, বিশারদ, পণ্ডিত ধর্মমণরহস্য জ্ঞাত বৃদ্ধিমান্‌ শিষ্য হইবে ততদিন আমি নির্ববাপিত হইব না” ইত্যাদি ক্রমে চতুর্থ সপ্তাহ গত হইল। পঞ্চম সপ্তাহে তিনি মুটিলিন্দ নাগের ভবনে গমন করিলেন। বৌদ্ধগণ বলিয়! থাকেন, বৌদ্ধদিগের গ্রস্থমধ্যেও লেখ৷ আছে, এই পঞ্চম,সপ্তাহে না-কি অনবরত মেঘ, জলবর্ষণ, বজপাত, ঝঞ্চাপাত হইয়াছিল এবং সেই স্র্ধণালোকরহিত অকাল দুর্দিনে তিনি নাগভবনে বাস করিয়াছিলেন

নাগরাঁজ মুচিলিন্ের মনে হইয়াছিল, তগবান্‌ শীতবাতে রুট হইতেছেন। এরূপ ভাবে পরিতাবিত হুইয়! নাগরাজ মুচিলিন্দ এবং অগ্যান্ত নাগগণ না-কি তাহার

শরীর পরিবেষ্টনপূর্ববক তাহাকে শীত বাতাদি ' কেশ হইতে মুক্ত করিয়াছিল। অকাল ছুদ্দিন নষ্ট হইলে নাগগণ তীয় চরণে দণডবৎ প্রণাম করিয়া স্ব স্ব আলয়ে গমন করিয়াছিল, সংবাদ বৌদ্ধমণ্ডলীয় পরিজ্ঞাত আছে

১২৯ বুদ্ধদেব।

বষ্ঠ সগডাহ আগত হইলে তিনি বুদ্ধজ্ঞানে দেখিতে পাইলেন, লোক সকল অনবরত জন্ম, জর, ব্যাধি, শোক. পরিদেবনা, দৌর্দনস্য মরণাদি বিবিধ ক্লেশে দগ্ধ হইতেছে, কিস্তু কেহই পরিত্রাণের উপায় জানিতেছে না। এই সমন্ন তাহার মুখ হইতে নিয়লিখিত মহাবাক্যট্রী নির্গত হইয়াছিল--_

'অয়ং লোকঃ সন্তাপজাতঃ শবম্পর্শ রসরূপ সর্্বগন্ধে: ভবভীতে। ভবং ভুয়ে। মার্গতে ভবতৃঞ্ণয়! ॥”

এই মকল লোক নিরস্তর শব্দ, স্পর্শ, রস, রূপ গন্ধের দ্বার! সন্তপ্ত হুইতেছে। একদিকে ইহারা, সংসারভয়ে অত্যন্ত ভীত, অন্টপ্িকে আবার সংসারতৃষ্ণায় ব্যাকুল (অর্থাৎ ইহারা সংসারকে তয়ও করে, আবার ভালও বাসে )। ইহার! সংদার ভয়ে ভীত হইলেও সংসার-হ ঢায আক্রান্ত হইয়। পুনঃ পুনঃ ভিন্ন ভিন্ন সংসার কামন! করিতেছে--অন্বেষণ করিতেছে

ষষ্ঠ স্তাহ এরূপ চিন্তায় অতিবাহিত হইল। অনন্তর সপ্তম সপ্তাহ আগত হইলে তিনি নৈরগুন(তীরস্থ তারায়খবনে গমন করিলেন। ভগবান্‌ যখন তারায়ণ-বুক্ষ-তলে বাস করেন, তথন দাক্িণাত্য দেশ হইতে 'ত্রপুষ' “ভল্লিক: নামধেয় ছুইজন বণিক্‌ সেই বন দিয়া উত্তর দেশে যাইতেছিল। বণিক্দয় পণ্ডিত কাধ্যদক্ষ। ইহার উত্তরদেশবাসী, দগ্ষিণদেশে বাণিজ্য করিতে গিয়াছিল, এক্ষণে তাহার! স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করিতেছে সঙ্গে রথ, শকট, পাতি সৈম্ত অশ্বারোহী অনেক আছে। তাহাদের প্রচুর সম্পত্তি শকটের ছারা বাহিত হষ্টতেছে। তাহারা তারায়ণ-সমীপে আমলে সহসা তাহাদের শকটবাহ; বলী- বর্দের গতি অবরুদ্ধ হইল। শকটচক্র মুত্তিক। মধো নিমগ্ন হইল বরত্রাদি ছিন্ ভিন্ন হই গেল। সকল ঘটন1 কেন হইল, তাহ। কেহই বুঝিতে পারিল, না। বণিকেরা ভয়ভীত বিশ্মিত হইয়া! পরস্পর বলাবলি করিতে লাগিল ভাঁবিতে লাগিল, ইহার কারণ কি! আমাদের উ.কৃষ্ট বলব যখন শকট বহনে অক্ষম হইল, দৃঢ়োত্তম শকট যখন ভূমিমগ্ন হইল, তখন, নিশ্চিত কোন অমঙ্গল নিকটাগত অব! অগ্রপখে কোন মহাভয় বিদ্যমান আছে, সনোহ নাই। 'নস্তর তাহারা অগ্রপথ অনুসদ্ধানার্থ অশ্বারোহী দূত প্রেরণ করিল। তাহার! কিয়দ্দ.র পর্যবেক্ষণ করিয়! প্রত্যাগত হইলে, বণিক্‌্গণ জিজ্ঞাস করিল, কি দেখিলে? অগ্রপথে কি কোন মহাভয় উপস্থিত আছে? দৃতগণ প্রত্াত্তর করিল, প্রো ! ভন্ব পাইবেন ন।। দেখিলাম, অগ্রপথে এক অগ্নিকল্প মাপুরুষ উপবিঈ আছেন।

দব্ম পরিচ্ছেদ ১২১

অনুমান হয়, তাহারই প্রভাবে আমাদের গতিরোধ উপস্থিত হইয়াছে অনস্তর দূতবাক্য শ্রবণে সমুদয় বণিক্‌ সসম্ত্রমে ভগবানের সমীগবন্তী হইল। তাহার! দেখিল, যেন অচিরোদিত দ্বিতীয় দিবাকর ভূপৃষ্ে বিরাজ করিতেছেন তু ্টে বণিকগণ মনে মনে তর্কণ। আরম্ত করিল। কাহারও মনে হইল, ইনি ইক্কু। অন্তে মনে করিল; কুবের। অপরে মনে করিল, হুর্ধ্য অথবা চন্দ্র। কেই কেহ মনে করিল, বনদেবতা! অথব| গিরিদেবত1। এইরূপ বিতর্কে কিযুৎক্ষণ অতিবাহিত হইল। অনন্তর তাহার। তৎপরিধেয় কাষায় বসন দৃষ্টে বুঝিল, সমীপবত্তী' পুরুষ দেবতা নহে, বনদেবতাও নহে। তিনি একজন তেজন্বী সন্ন্যাসী তখন তাহারা! সানন্দচিত্তে আশ্বস্তচিত্তে বল'বুলি করিতে লাগিল, ইনি পরম তেজস্বী ভিক্ষাভোজী সন্যাসী। সম্প্রতি আহারকাঁল উপস্থিত। সঙ্গে যতিযোগ্য কোন খাদ্য আছে কি না,দেখ। থাঁকে তন্ধারা ইহার তৃপ্তি উৎপাদন করিয়! অ।মর। ধন্য হই- বার চেষ্টা করিব। অনভ্তর তাহারা মধু ইক্ষুখণ্ড ভগবানের সমীপে উপস্থাপিত করতঃ পু্টাঞ্জলি হস্তে নিবেদন করিল, ভগবন্! সেবকগণের নিকট এই যৎকিঞ্চিৎ ভিক্ষা! গ্রহণ করুন। ভগবানও দয়াপ্রকটনাথ বণিকৃ্গণ প্রদত্ত সেই ভিক্ষা গ্রহণ করিবার ইচ্ছা করিলেন ভাবিলেন, ভিক্ষুগণের হস্তে ভিক্ষা গ্রহণ সাধু নহে দেবগণ ভগবানের আত প্রায় জ্ঞাত হইয়! সুবর্ণ পাত্র, রজত পাত্র, কাষ্ঠপাত্র প্রস্তরপাত্র ভগবৎ সমীপে উপস্থাপিত করিলেন। ভোজন পাত্র উপস্থিত দেখিয়া ভগবান্‌ শাক্যমুনি মনে মনে বিচার করিতে লাঁগিলেন-_পূর্বা বুদ্ধগণ কোন্‌ পাত্রে ভিক্ষ। গ্রহণ করিতেন! আবার ৫সই মুহুর্তেই তাহার মনে হইল, তাহারা প্রস্তর পাত্রে ভিক্ষ। গ্রহণ করিতেন, আমিও প্রস্তরপাত্রে উপস্থিত ভিক্গ) গ্রহণ করি।* এইকব্প (বিচার করিয়া ভগবান্‌ দেবদত প্রস্তরপাঞ্র গ্রহণ" পূর্বক বণিক্‌ প্রদত্ত মধু ইক্ষুখণ্ড গ্রহণ করিপেন। ভগবান্‌ শাক্যমুনি তারায়ণমূলে সপ্ত দ্িবদ অভুক্ত ছিলেন, কিছুমাত্র পান ভোজন 'করেন নাই, সপ্তাহের পর আজ বণিকপ্রদত্ত ভিক্ষার দ্বার! পরিতৃপ্ত হুইলেন। বণিকগণও ভগবান্‌কে ভোজন করাইস়া স্ততি নতি বন্দনাদির দ্বারা তাহার পরিতোষ উৎপাদন করতঃ আজ্ঞা গ্রহণাস্তে স্বশিবিরে গমন করিল বণিক্গরণ

সন সবাক

* বুদ্ধদেব শিলাগাত্রে ভিক্ষা গ্রহণ করিয়াছিলেন ঝলয়। খেদ্বগণের মতে শিলাপাজই প্রশন্ত। অভাবে কাষ্ঠ পাত্র

১২২. বুদ্ধদেব

কতিপয় দিবস মহামুনি সমীপে বাস করিয়াছিল, পঁরে তাহার! আল্ঞাপ্রাপ্ত হইয়। দেশে গমন করিয়াছিল, সংবাদ ললিত বিস্তর গ্রন্থে পাওয়া যাইতেছে

বণিকৃগণ গমন করিলে, ভগবান্‌ একাকী দেই তারাক্ণবৃক্ষ-মূলে বাস করিতে লাঁগিলেন। একদিন তাহার মনে হইল, আমার এরূপ নির্জনবাস যোগ্য কি অযোগ্য,? উচিত কি অন্গচিত? আমি যে ধর্ম প্রাপ্ত হইয়াছি, তাহ অতি গম্ভীর আত দুর্বোধ্য! ইহ গ্রহথ করে, এরূপ জীবই বাঁকে? আমার নির্বাণ শুন্ভতার অনুপলব্ধি, তৃষ্ণানিরোধ বিরাগনিরোধ, এতৎস্বরূপ। আঁম যদি ধর্ম অন্তকে না বলি, উপদেশ না করি, তাহা হইলে ধর্ম কেহই জানিতে পারিবে না) যৰি বালিতে হয়. তবে ইহার গ্রহণোপধুক্ত :পাত্র পাওয়| আবশ্ঠক। তাহাই বা কোথার পাই! আমর নির্জন-বাসই শ্রেয় * ** অতএব) এই সময়ে দৈববাণী হইল--

“নস্তাতি বতাহয়ং লোকঃ প্রণন্ঠতি বতাইয়ং শোক যত্র হি নাম তথাগতোহনুত্তরাং সম্যকলন্বোধিং অভিসম্ৃধ্য 'অল্লোৎহ্বকতারৈ চিত্ুমতিনাময়তি _ ধর্দরদেশনায়াং, তৎসাধু দেশায়তু ভগবন্‌। দেশয়তু সুগত ! ধর্শম্‌। সম্ভি সত্বাঃ স্বাকারাঃ সুবিজ্ঞ।- পকাঃ শত্ত! ভক্তাঃ শ্রতিবলা ভগবত! ভাধিতন্তার্থ মাজীতুম্‌॥”' ইত্যাদি ললিত বিস্তর গ্রন্থ দেখ

কিখেদ! এইঃলোক নাশগ্রাপ্ত হইল! এই লোক প্রনষ্ট হইল ! কারণ ভগবান্‌ তথাগত (বুদ্ধ) সর্বশ্রেষ্ঠ বোধিজ্ঞান বা সম্যক্‌ জ্ঞান পাইয়া'ও নির্জনবাঁস মনোনীত করিতেছেন, উপদেশদানে মনোনিবেশ করিতেছেন না। হে তগবন্‌ হে সুগত! আপনি উত্তমরূপে ধর্ষ্মোপদেশ করুন, করুন, করুন এেখনও 'এরপ গ্রাণী অনেক আছে, যাহার! আপনার আজ্ঞা! পালন করিতে, আপনার উপদেশ, আপনার কথা, গ্রহণ কল্সিতে বুঝিতে সমর্থ হইবে :

". সেদিন গেল। অন্ত দিন পুনর্বার ভাবিলেন, আমার জ্ঞাত ধর্ম অস্তকে উপদেশ করিব কিনা। আমি দেখিতেছি, লুক্কায়িত থাকিয়া আল্লোৎন্বকতা অবলম্বন করাই ভাগ। কারণ, আমি যে ধর্ম বুবিয়াছি, জানিয়াছি, তাহা অতি 'াস্তীর। অতি সুক্ষ, হুর্ববোধ, অতর্ক/, তর্কপহায়। পঙিত-জ্েয়। কেবল অন্গু- ভবষোগ্য, সর্ধলো কবিরুদ্ধ স্থৃতরাং লোকশক্র, শূন্যতাগুপলম্ত-স্বরূপ, * ভুষ্কাক্ষয়।

.** অষেকে যনে করেন, নির্ধ্বাণ পুন্ধ সমান কথা কিন্তু তাহ! নছে। ধুদ্ধদেষ ঘলিতেছেন, জাঁধায নির্বাণ পুস্তত। নছে |

নবম পরিচ্ছেব। | ১২৩

রাগসন্বদ্ষরহিত, নিরোধরূপ নির্বাণ। যদি আমি ধর্ম বপি, উপদেশ করি, তাহ! হইলে, হয় ইহা কেছ বুঝিবে না। ধদ্দি না বুঝে, তাহ! হইলে আমাকে গ্বণা করিবেক, অবজ্ঞা করিবেক। অত্তএব, আরম অল্লোৎন্থকত। অবলখন পূর্বক নির্ন-বিহার করিব, প্রচার-চেষ্ঠী করিব না। |

বৌদ্ধগ্রস্থে লিখিত আছে, ভগবান্‌ লোকনাথ রাত্রিকালে তারায়ণ মূলে উক্ত প্রকার চিন্তা করিতেছেন, এমন সময়ে দেবগণ তাহর চরণসমীপে সমাগত হইয়া স্তরতি নমস্কারাদি করিতে লাগিলেন অনন্তর তাহাদের প্রার্থনায় অগতা| ধর্মম- প্রচারে সম্মত হইলেন। দেবগণ তখন আনন্দে পরিপুর্ণ হইয়া বলিতে লাগিলেন,

“অন্য মার্ষাস্তথাঁগতেনাহতা নম্যক সম্বদ্ধেন ধন্ম- চক্র প্রবর্তনাঁয়ে প্রতিএ্রতম্‌। তত্ভধিষ/তি বছজন হিতায় বছজন সুখায় লোকান্তকম্পায়ৈ মহতোজন- ঘস্তাথায় হিতায় সখায় দেবানাঞ্চ মনুষ্যানাঞ্চ। পরিহান্তান্তে বত তে। মার্ধা আহ্রাঃ কাঁয়াঃ বিরজি- ব্যস্তে বহবশ্চ সত্ব লোকে অপি নির্্াস্তস্তীতি |"

হে মহাভাগ সকল! আজ সম্যক্‌ সন্ুদ্ধ তথাগত (বুদ্ধ) ধর্ম্মপ্রচার করিতে সম্মত হইলেন, প্রতিশ্রুত হইলেন। ইস্থীর ধর্ম বহু জনের হিত মুখ প্রদান করিবেক। লোকান্ুগ্রহের নিমিত্তই ইহার ধর্ম প্রচার ইহার ধর্মে বছ জনের, ব্ছ মনুষ্যের বহু দেবতার হিত স্থুখ হইবে ছুঃখের বিষয় এই যে, অন্ু- রের! পরিহাস করিবেক.। কারণ, ইস্ার ধন্মে অনেক প্রাণী প্রজ্ঞ[সম্পন্ন হইবেক এবং অনেক প্রাণী নির্বাণ প্রাপ্ত হইবেক।

এই স্থানে বৌদ্ধগণ বলিয়। থাকেন, বুদ্ধদেব নবধর্ম প্রচারের সঙ্থর ধারণ 'করিলে, দেবগণ হষ্ট হইয়াছিলেন এবং কোন্‌ স্থানে সর্বপ্রথমে নবধর্, প্রচারিত হইবে, তাহ! জানিবার জন্য তথাগত-সকাশে আগমন করিয়াছিলেন। দেবগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, ভগবন্। প্রথমে কোন্‌ স্থানে ধর্মচক্র প্রবর্তিত হইবে? ভগবান্‌ ্রতান্তর করিলেন, বারাঁণসীর খধিপতনে মৃগদায়ে। দেবগণ বলিলেন, ভগবন্! বারাণসী জনপরিপুর্ণ এবং মৃগদায় অরণ্য, এজন্য অন্ত কোন সমৃদ্ধ নগরে ধর্মচক্র পরিবর্তিত হউক। ভদ্রমুখ-নামক দেবতা বলিলেন, বারাণসী সহ সহজ পুরাতন খধির পরিষেবিত,পূর্বববুদ্ধগ্ণর পুঁজিত, অতএব বারাণসীতেই ধম চক্র প্রবর্তিত হউক। তগবান্‌ বলিলেন, তোমাদের ইচ্ছা পূর্ণ হউক ।*

পাতি শাপিখকজাতাশিপিপসপিন পাপা পপি পপি কাশি সত পিল উপ সিন তত পাপা কারস সাবাস | সব জপ ০৮

চা

ধাঁরাপসী অভি পুরাতন নগর, ধ্ুকাল হইতে প্রসিদ্ধ, বিদ্য। ধর্ম চর্চার প্রধান গাম, | ৬৮

১২৪ | বুদ্ধদেব। দ্বেবগণথ শ্তিগমন করিলে শাক্যযুনি চিন্তা করিতে লাগিলেন, “কঞ্মদহং

সর্ধপ্রথমং ধর্সং দেশয়েয়ম্‌ ?' এক্ষণে আমি কোন ব্যক্তিকে সর্ধপ্রথমে আমার স্বোপাঞঙ্জিত নির্ব্বাণ ধর্ম উপদেশ কেরি! শ্রদ্ধাবান, অপরোক্ষজ্ঞানী বিনয়ী রাগাদিধৌষ শৃন্ত ধার্মিক মোক্ষমঁ(ভিমুখ ব্যতীত অন্ত নর আম।র ধন্ম বুঝতে পাঁরিবেক না) প্রত্যুত অবজ্ঞা করিবেক ঘষে ব্যক্তি মৃদীয় ধন্ম গুনিবেক, শুনিয়া বুঝিবেক, বুঝিয়। গ্রহণ ধারণ করিবে), অবজ্ঞা করিবেক না, সেই বাক্তিকেই সর্বপ্রথমে ধন্মোপদেশ দিতে পারিব। কিন্তু সেরূপ সৎপাত্র কে? কিন়ৎক্ষণ চিন্তার পর ম্মরণ হুইল, প্লামপুত্র রুদ্রক এর সকল গুণে অলন্কত ছিলেন। কুদ্রক মদীয় ধর্ম শুবণ করিলে, বুঝিবেন, গ্রহণ করিবেন; এবং ধারণ করিবেন। অবশ করিবেন না। তিনি এখন কোথায় ? ধ্যান করিয়া দেখিলেন, জাঁনিলেন, তিনি সপ্ত দিবল অতীত হইল, কালগত হইয়াছেন। রুদ্রক নাই, কালধন্্ প্রাণ্ত হইয়াছেন, জানিয়। শাক্যমুনি ছুঃখিতের ন্যায় হইয়া নিম্নলিখিত কএকটী কথ! উচ্চারণ করিলেন।

পরুদ্ত্রক যে আমার ধর্ম না শুনিয়া কালগত হইয়াছেন, ইহাতে আমি

£খিত হইলাম। তিনি যদি আমার ধর্ম শুনিতেন, তাহ হইলে তিনি নিশ্চিত আসার ধর্ম গ্রহণ করিতেন, ত্যাগ বা অবজ্ঞ। করিতেন ন11%

পুনর্ধার চিন্তা করিতে মনে হইল, আরাঁড় কালাম * শুদ্ধমন্্র বিনেয়গুণ-

সম্পন্ন আরাড় কালা মদীয় ধর্ম গুনিলে অবশ্তই গ্রহণ করিবেন ,তিনিই বা কোথায় ? ধ্যান-নিমীলিত নেত্রে অনুসন্ধন করিয়া দেখিলেন, জানিতে পারিলেন, তিনিও অগ্থ তিন দিবদ কালগত তইয়/ছেন। আরাঁড় কাঁলাম্‌ মাই, জালিয়! হুঃখিত হইলেন মনে মলে বলিলেন, হা! কালাম আমার ধঞ্জ না গুনিয়! কালগত হইয়াছেন ! অন্ত বার চিন্ত। করিতে ম্মরণ হইল, নৈরঞ্জনা-্তীরে তিনি বখন উৎকট কুস্তক ধোগের অনুষ্ঠান করেন, তখন যে তীহ্বার পাঁচ

০০০

সপ সপ

পা

| লরি

মুনি খধি পগ্ডিতগণের আবাস ভূমি, এই স্থানের লৌকদিগকে বশীভূত দীক্ষিত করিতে পারিলে। অন্য স্থানের জনগণকে সহজে বিনের ( শিষ্য ) করা যাইতে পারিবে এই স্থানে প্রতিষ্ঠালাভ করিতে পাঁরিলে, তচ্চতুদ্দিক সহজেই হস্তগত করা যাইতে পারিবৈ। বুদ্ধদেষ এই অভিপ্রায়ে প্রথমে কাণীগমন মনোনীত করি ছিলেন

বুদ্ধ জ্ঞান লাভের পূর্বে শাকাসিংহ এই ছুই মহীপুরুষের (রুদ্রকের কালামের ) শি স্বীয় পূর্বক কিছুদিন জবস্থিতি করিয়াছিলেন

তক

নবম পরিচ্ছেদ ১২৫

জন শিষা বা সহচর ছিল, সেই শিষ্য বা সহচর পাচ জন তাহার নবধর্দ উপ- দেশের যোগ্যপাত্র। বুষ্ধদেব এবারও ভাবিলেন, তাহার! সকলেই স্ুবিজ্ঞ, অপরোক্ষ জ্ঞানী, ব্রহ্মচারী মোক্ষানেষী। * তাহার! য্দি আমার নবধর্ম গুনেন-ত বিশ্মিত হইবেন না। গ্রহণ ধারণ করিবেন, অবহেলা করিবেন না।' তীহার। এখন কোথায় 8 গ্রণিধান বলে জানিতে পারিলেন, তাহার! বারাণসীর 'খঝবিপতন মুগদায়ে (এই স্থান এক্ষণে শারনাথ নামে পরিচিত) বাস করিতেছেন। এতক্ষণ পরে বুদ্ধের চিত্তে উৎসাহ আপিল, বিলঘ্বে অনিচ্ছ! হইল তিনি আর বিলম্ব করিলেন না, সেই মুহূর্তেই তিনি বোধিমূল পরিত্যাগ পু্ধক কাণীর উদ্দেশে উত্তর মুখে ষাত্রা করিলেন। কাশী যাইব, কাশী গিয়া শিধ্য পঞ্চককে নবধর্থে দীক্ষিত করিব, এই ভাব তাহার হৃদয়ে সবেগে উদ্দীপিত হইল

বোধিবৃক্ষের উত্তরে গয়া দক্ষিণে বোধিদ্রম। বোধিবৃক্ষ গয়া, মধ্যে দুই ক্রোশ পথ। ইহার মধ্যপথে আজীবক নামে জনৈক পও্ডিত ব্রাঙ্গণ বাস করিতেন। বুদ্ধদেব উন্তরাভিমুখে এক ক্রোশ পথ অতিক্রম করিয়৷ আন্দীবকের আশ্রমের নিকটস্থ হইলে, আজীবক দূর হইতে ত্রাহাকে দেখিতে পাইলেন। আজীবক বুদ্ধের মুখী, শরীরের কান্তি চক্ষুর অনির্বমচনীয় ভাব সন্দর্শনে মুগ্ধ বিন্মিত হইয়াছিণেন, এক্ষণে তিনি নিকটে পাইয়া কিয়তক্ষণ বিশ্রামের জন্য আনুরোধ করিলেন। বুদ্ধধেবও আজীবকের অন্থরোধ রক্ষা! করিলেন। সানন্দসম্ভাবণ সমাপ্ত হইলে আজীবক বুদ্ধদেবকে গ্রিজ্ঞস। করিলেন, আযুগ্ধন,! গৌতম! তোমার ইন্জিন, গাত্রবর্ণ মুখকাস্তি অত্যন্ত নির্মল দ্বেখিতেছি। এজন্য আমি জিগ্ঞান। করি, তুমি কাহার শিষ্য? কাহার নিকট এরূপ* আশ্চর্য্য ্হবচরঘ্য শিক্ষা করিয়াছ? |

বুদ্ধদেব উত্তর করিলেন-- একে |হহমন্মিং সম্বন্ধ: শীতিভূতো নিরাশ্রবঃ।

আমি একক, সবুদ্ধ হইয়াছি, আশ্রবক্ষয় করিয়াছি, মলপরিশূন্ত হইয়াছি স্বতরাং শুভ্র হইয়াছি।

, আজীবক পুনঃ প্রশ্ন করিলেন,_- “অর্হন্‌ থলু গৌতম শ্বাতানং গ্রতিজানীষে রি

তুমি কি আপনাকে অর্হৎ বলিয়! জানিয়াছি!

১২৬ বুদ্ধদেব

শাক্যমুনি বলিলেন).

“অহমেবাহহং লোকে শা হাছুমনুত্তরঃ | সদেবানু রগন্ধর্ষেবো নাস্তি মে প্রতিপুত্থলঃ 1*

অহ্যমব--কেবল আমিই, লোকে আমিই শাস্ত! ( শিক্ষক )। আমা অপেক্ষ। শ্রেষ্ঠ নাট দেব অসুর গন্ধব্ব কোনও সত্ব (জীব) মত্তুল্য নহে। *

প্র। তুমি কি আপনাকে প্রত্যভিজত। জ্ঞানে 'জিন বলয় জান?

উ। যাহারা আশ্রন-্ষয় প্রাপ্ত হইয়াছে তাহার! মৎসত্বশ জিন। কিন্ত আমি সমুদয় পাপ ধর্ম জয় করিয়াছি, সেই কারণে আমি জিন।

আজীবক শাক্যমুনির এই সতেজ প্রত্যুত্তর শুনিয়। হতপ্রভ হইলেন। তিনি বে বুদ্ধ, ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ভাবিয়! গর্বিত ছিলেন, তাহার সে গর্ব তিরোহিত হুইল।- পুনরায় তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন_-ছে গৌতম! অধুনা আপনি কোথায় গমন করিবেন

তথাগত উত্তর করিলেন,--

“বারানসীং গমিব্যামি গত্বা। বৈ কাশিকাং পুরীস্‌ ।”" “অন্ধভৃতন্ত লোকন্ঠ কর্তীক্মাহং সদৃশীং প্রভাম্‌ বারানসীং গমিষ্যামি গত্বা বৈ কাশিকীং পুরীম্‌। শব্দহীনত্য লোকম্ত তাড়য়িষ্যেহমৃতহুণ্দুতিম্‌ বারানসীং গমিষ্যামি, গত্বা! বৈ কাশিক।ং পুরীম্‌। ধর্মচক্তং প্রবর্তিষ্যে লোকেঘপ্রতিবর্তিতম্‌ ॥”

আমি বারাঁণসী যাইব। কাশী নগরীতে গমন করিয়! অন্ধ প্রায় লোকদিগকে দৃষ্টি দান করিব। বধিরকে অমৃত ছুন্দুতি শুনাইব। লোকমধ্যে ষে ধর্ম প্রবপ্তিত হয় নাই, সেই ধর্ম সেখানে প্রবর্তিত করিব।

আরজীবক এই অগ্নিতুল্য সতেজ প্রত্যুত্তর শুনিয়। অবাক হইলেন। কিয়ৎ- ক্ষণ পরে বপিলেন, গৌতম আমি চলিলাম। এই বলিগ্না আজীবক দক্ষিণাভিমুখে গমন করিলেন, তথাগত উত্তরাভিমুথে যাত্র! করিলেন। *

বুদ্ধদেব অজীবকের আশ্রম পশ্চাৎ করিনা গয়া নগরে উপস্থিত হইলেন। স্দর্শন-নামক নাগরাঞ্ শাহর সপর্ধা করিল। তথা হইতে তিনি রোহিত বন্্ নামক স্থানে, তথা হইতে উরুবিষ্লতূল্য অনাল-নাষক গ্রামে, ততপরে

* ইহা'বুদ্ধের সাহঙ্কার বাক্য নহে। আব্মজ্ঞানী আত্মাতিরিজ পদার্থ স্বকীয় জ্ঞান দেখে না, তাই তাহারা এরূপ বাক্যে স্বকীয় জ্ঞান প্রকাশ করেন? অপিচ, তিনি যে নিজ চেষ্টার জানী হইয়াছেন তাহাও বাকোর দ্বারা বলা হইয়াছে

নবষ পরিচ্ছেদ ২৭

সারখিপুষে, তথ। হইতে গঙ্গানদীতীরে উপনীত হইলেন। গঙ্গ। এখন পর্ণ বস্থায় গ্রবাহিত হইতেছেন বুদ্ধদেব পারগমনার্থ পারঘাটে উপস্থিত হইলে, মাবিক পার-প্ণ্য চাহিল। বুদ্ধদেব পাঁর-পণাঃ নাই, 'এই বলিয়া! নাৰিকের অধীনত ভ্যাগ করিয়! যোগবলে উভীযমাঁন পক্ষীর সায় আকাশ পথে গঙ্গা নদী উত্তরণ করিলেন। নাবিক ত্রাহার সেই মনুষ্টপূর্ব অশ্রুতপূর্বব অদ্ভুত কার্ধয "প্রত্যক্ষ করিয়া হতজ্ঞান হইল এবং তদুত্থান্ত রাজা বিশ্বিপারকে বিজ্ঞাপিত করিল। বিদ্বিদার পূর্ব হইতেই তথাগত্তকে জানিতেন, এক্ষণে তিনি তাহার সেই অলৌ- কিক কার্য শ্রবণে তত অধিক বিন্মিত হইলেন না অতঃপর সেই দিবসেই ভবিষ্যতের জন্য বিদ্িসাঁর কর্তৃক ষতি সন্ালিগণের নিকট হইতে নাবিকগণের পারপথা গ্রহণ কর। নিষিদ্ধ হইল।

বুদ্ধদেব কথিত প্রকারে গঙ্গা নদী পার তয়, গ্রামের পর গ্রাম, দেশের পর দেবেশ, জনপদ্দের পর জনপদ অতিক্রম করিয়া বারাণনী নগরী প্রাপ্ত হইলেন। মধ্যাহফন আগত দেখিয়! নগরের বাহিরে ম্ানরুত্য মমাপন পূর্বক ভিক্ষার্থ নগর- গ্রাবেশ করিলেন। ভিক্ষার ভোন্দনের পর কিয়ৎকাল বিশ্রীম করিয়। খাষিপতম মৃগদায় অভিমুখে যাত্রা করিলেন যে স্থানে তাহার পূর্বশিষোরা বসতি করিতে ছিল, দেই স্থান নিকট হইলে, দূর হইতে তাঁহার সেই পাঁচ জন পূর্ব্বশিষ্য তাঁহাকে দেখিতে পাইল। দেখিয়৷ পরস্পর বলাবলি করিতে লাগিল, দেখ দেখ ! প্রী পেই উরিক যোগী আদিতেছে। 'এই ব্যক্তি পূর্বে অতি কঠোর তপস্তা করিয়াও মগুষাধন্ম্ের উত্তরবর্তী জ্ঞান বিশেষ সাক্ষাৎকার করিতে সমর্থ হম্ম নাই। ব্যক্তি তর, গুদরিক আড়গ্রপ্রিয়। অনুমান হয়, আমাদের এখানে থাকিতে চাহিবে যাহাই হউক, আর আমর! ইহাকে আদর করিব না। মিকটে আসিলেও আমরা প্রত্যুদগমন করিব না। সেই পঞ্চজনের মধ্যে যাহার নাম জ্ঞাতকৌগিস্ধ, কেবল তিনি উক্ত ব্যবহারে সম্মত হইলেন না, অন্ত চারি জন কথিত ব্যবহার মনোনীত করিলেন। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, ভগবান তথাগত যেই তাহাদের নিকট সম্মুখীন হইলেন, অমনি ভীহার! মুগ্ধপ্রীয় হইলেন। কে যেন তীহ্বা্দিগিকে বলপুর্বধক উঠাইয়! দিল, কিছুতেই উহার! স্থির থাকিতে পারিলেন ন|। তীহার! যেন অবশ হইয়। প্রতাদগমন যথাযোগ্য সন্মান সপর্য্যা করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। বুদ্ধদেব আসন পরিগ্রহ *করিলে,গ্রাহাদের মধ্যে নাঁন। প্রকার সন্মোদনী সংরঞ্জনী কথ! হইতে লাঁগিল।

১১৮ বুদ্ধাদেব।

পয়ে সেই শিষ্যপঞ্চক জিজ্ঞাসা করিলেন,_-আযুশ্মন, গৌতম! তোমার ইন্দ্রিয়, বর্ণ, কান্তি ছাতি নিতান্ত প্রসন্ন দেখিতেছি। তুমি কি মনুষ্যধর্দের অতীত জ্ঞানদর্শন সাক্ষাৎকার করিয়াছ? «

বুদ্ধদেব বলিলেন, হে আযুন্সদগণ ! তোমর! আমাকে বাদকথাঁয় প্রতিক্ষিণ করিও না। তোমাদের প্রষ্মোক্গন লাভের জন্ত, হিতের জন্ত, সুখের জনতা যেন অধিক দিন অতিবাহিত না হয়। আমি অমৃত সাক্ষাৎকার করিয়াছি, আমি যাহা সাক্ষাৎকার করিয়াছি, তাহাই অনত--অমুতের ( মোক্ষের ) প্রাপক | আমি বুদ্ধ হইয়াছি। সর্বজ্ঞ, সর্বদা, স্গুত্র আশ্রব-বর্জিত হইয়াছি। সর্বধর্ম বশীভূত করিয়াছি। আইস, আমি অগ্ভই তোমাদ্দিগকে ধর্ম্োপদেশ করিব। তোমর! অনন্ভচিত্ত হইয়া শ্রবণ কর বুদ্ধিগোচর কর। তোমর! আইস ! আমি বলিব-- উপদেশ করিব। 'আমি তোমাদ্দিগকে সম্যক্রূপে জানাইব, উত্তমরূপে বুঝাইব, সমাক্‌ অনুশাসন করিব, তোমরাও চিত্তকে ( আত্মাকে ) আশ্রববিমুক্ত দেখিতে পাইবে। মনুষ্যোত্তর ধর্ম সাক্ষাৎকার করিবে, করিয়া! বুদ্ধ হইবে আমাদের সকলেরই জর! জাতিক্ষয় ( প্রুনর্জন্ম বিনাশ ) নিকটাগত হইয়াছে ব্রহ্ম পূর্ণ হইয়াছে। করণীয় সকল করা হইয়াছে হে ভিক্ষুগণ! তোমর। আমাকে দুর হইতে দেখিয়া! মনে মনে স্থির করিয়াছিলে যে, গৌতম আসিতেছে ; কিন্ত গৌতম ওদরিক ভ্রষ্ট। গৌতমের সহিত আমর! বাক্যালাপ করিব না। বৌদ্ধগণ এই স্থানে বলিয়! থাকেন, বুদ্ধদেব এরূপ বলিতেছেন, ইতাবপরে সহস। ভীহাদের সম্মুখে ত্রিচীবর ভিক্ষাপাত্র প্রাদভূতি হল তদ্র্শনে সেই শিষাপঞ্চক মনে করিলেন, এই সকল সম্াসচিহ্ন সন্ন্যাসী করিবার জন্যই প্রাবিভূ তি হইয়াছে।

বুদ্ধের শ্রী, কান্তি, তেজ, যোগবল জ্ঞান অনুভব করিয়া সেই ভদ্তরবংণীয় করাজ্মণ-পঞ্চকের চৈতন্টোদয় হ্টল। তাহার! বুদ্ধচরণে দণ্ডবৎ প্রণাম * করিলেন এবং রলুতাপরঃধের প্রায়শ্চিত্ত ন্বরূপ ক্ষম প্রার্থন। করিলেন। সেই মুহূর্তেই তান্থার। গৌতমকে শান্তা অর্থাৎ গুরু-সংজ্ঞ প্রদ্ধান করিলেন। সেই মুহুর্তেই তাহাদের চিত্তে ল্লীতি, প্রসন্নত৷ গুরুত্বুদ্ধি অধিন্ন্ট হইল ন্ানকাল আগত দেখিয়া, তীহ্থারা গুরুকে জ্লানাদ্দি করাইলেন। ন্নানাস্তে বুদ্ধদেব মনে করিতে লাগিলেন, পূর্বা বুদ্ধগণ কোথায় বসিয় শিষ্যশাসন করিয়াছিলেন? অনন্তর যে স্থানে পুর বৃদ্ধগণ ধর্মোপদেশ্‌ করিয়াছিলেন, দেই স্থানে সপ্তরভ্রময় 'আসন-চতুষটর প্রাহভূতি,

নবম পরিচ্ছেদ ১২৯

হইল। তাহা দেখিয়া শাক্যমুনি পৃর্বব বুদ্ধগণকে সন্মান-প্রদর্শনার্থ পর পর তিন আসন প্রদক্ষিণ করিলেন, পরে সিংহের স্তায় নির্ভয় চিন্তে চতুর্থ আমনে গিয়। উপবেশন করিলেন। তাহ। দেখিয়া সেই ভদ্রবংশীয় ব্রাঙ্মণপঞ্চক ভক্তিভরে নম হইয়!, সেই মুহূর্তেই তদীয় চরণে শিষাতা! স্বীকার করিলেন বুদ্ধদেবও তীহা- দের মস্তক ম্পর্শ করতঃ শিষাত্বে গ্রহণ কগিলেন। তীহার! বুদ্ধের সন্তুণভাগে ধন্মশ্রবণোতন্থ ক-চিত্তে বিশীতভাবে উপবি্ হইলে, বুদ্ধ তাহাদিগকে ধর্মশুশামু দেখিয়! সংক্ষেপ-বিদ্তার প্রণালী অবলম্বন পূর্বক ধর্মের মূলতন্ব সকল বুঝাইতে লাগিলেন। ক্রমে তান আজ এক অংশ, কাল অন্ত অংশ, তৎপর দিন অপ- রাংশ, এবং-ক্রমে সমুদয় ধর্মচক্র প্রবর্তন-সথত্র উপদেশ করিলেন। যদিও আমরা বুদ্ধের ধন্ম পৃথক বিভাগে বলিব, তথাপি স্কুলে দিগৃদর্শনের নিমিত্ত তাহার কতিপয় উপদেশ উল্লেখ করিলাম

ভগবান্‌ শাকাপিংছ এক দিবস র|ত্রর শেষ প্রহরে শিষ্যিগকে আহ্বান করিয়া! বলিতে লাগিলেন,--"ণভক্ষুগণ ! বাহার! প্রব্রজিত তাহাদের দ্বিবিধ ক্রম দেখা যায়! যে ক্রমে কাম্সম্পর্ক (কাম -সঙ্কল্প ব! ইচ্ছা! ) আছে, সে ক্রম অত্যন্ত হীন। তাহ! অনর্থের নির্ধান। তাহাই ব্রঙ্র্য্যের, বৈরাগ্যের, নিবে! ধের, সন্গে।ধির ( সম্যক্‌ জ্ঞানের ) নির্ব।ণের পরিপন্থী অর্থাৎ শক্র।* ষে ক্রমে আপাততঃ আত্মক্রেশ, কায়ক্লেশ অনুযোগ প্রভীত হয়, সে ক্রমে পেক্ষে) যদিও বর্তমানে. ছুঃখযোগ আছে, তথাপি, তাহার পরিণামে ছুঃখের অস্ত হইতে দেখ! যয়। তথাগতগণ এই দ্বিতীয় ক্রম (পথ) অবলম্বন করিয়। ধন্মোপদেশ করিয়া খু(কেন এই দ্বিতীয় ক্রমে নিরবাণ সাধনের আটটা মঙ্গ উপদিষ্ট হয়। তদ্‌ যথা -*

“সমাক্‌ দৃষ্টিঃ সম্যক্‌ সংকল্প: সম্যক বাক্‌ সম্যক্‌ কর্পান্তঃ সম্যগনাজীবঃ সম্যক ব্যা।মঃ সম্যক স্থৃতিঃ সম্যক্‌ সমাধি;

সত্যদর্শন বা! শ্রমত্যাগ, সাধুসংকল্প বা শুভেচ্ছা, সত্যবাকা, সম্ধ্যবছার কাম্যকর্মের পরিত্যাগ, সছুপায়ে জীবিকা নির্বান, সম্যক ব্াফ়াম (ধ্যান যে।গা্ছি), সমাক্‌ স্বৃতি সম্যক সমাধি,-নিবণ সাধমের এই আটটী অঙ্গ

০৭ সা উবার পপ তাপ সা ৬৬৯০

* অভিপ্রায় এই যে, নির্বাণের অনুকূল প্রতিকুল,*দুই প্রকার পধ। তন্মধো প্রতিকূল বঙ্গ প্রকার। যথা--আত্মভ্রম) ধা] খ্বৈত ধোধ সংশয়, ক্রিয়াকলাপে অনুরাগ, কাষন।, ব্দ/মান জীবনের প্রতি অনুরাগ, ব্য জীবনে আনুরত্তি, মান, উদ্ধতা অবিদা।। সকল নিবারিত রা বিনষ্ট করিতে হয়। ন1 করিলে নিবণ লাভ হয় না। কাজেই এই পথ নিব্বাণের প্রতিকূজ। প্লই প্রতিকূল পথ তাগ করিয়া! অনুকূল ঠাথে অবস্থান কর! নিধিবিৎসু জীবের অবস্কর্ডধা।

১৩ ুদধদেহ

প্রধান এবং আটটীই নিবাণ গমনের প্রধান পথ | ইহা! অবলগ্বন করি! নির্বাণের পরম শক্র পাপ গুলিকে চিত্ত হইতে অপসারিত করিতে হয়। 'চত্বারীমানি ভিক্ষবং আধ্যলত্যানি। ছুঃখং ছুঃখসমুদয়ো ছুংখনিরোধে। ছুঃখনিরোধগামিনী প্রতিপৎ। জাতিরপি £থং জরাপি ব্যাধিরপি মরণমপি অপ্রির়সম্গ্রয়োগোপি প্রিরবিয়োগোপি ছুঃখম্‌। যদপি ইচ্ছন্‌ পর্যেষমানোন লভতে তদপি ছুঃখম্। সংক্ষেপতত পঞ্জোপাদানম্বন্ে। ছঃখমিদমূচযতে ছুঃখম্‌1--যেরং তৃষ্ণ1 পৌনর্ভবিকী নন্দিরাগ সহাগত। তত্র তত্রাতিনন্দিন্যোয়মুচ্যতে ছুঃখসমুদয়ঃ।-_-যৌহস্ত এষ তৃষণয়াং পুনভখিকা। নন্দিরাগনহগতায়। স্তত্র তত্রাভি- নন্দিন্তা জনিক।র় নিবর্তিকা য়া অশেষে। বিরাগে নিরোধোহয়ং দুঃখনিরোধঃ 1-_দমাক্‌ দৃষ্টিবাঘৎ সম্যক সমাধিরিতি ছুঃখ- নিরোধগামিনী প্রতিপৎ। এষ এবাধ্যত্যাসাষ্টঙ মা? * * ইতি হি ভিক্ষবে! যাঁবদেব এধু চতুর্য আর্ধমত্যেযু যো নিসে। কুর্ব্বতে এবং ত্রিপরিধিতং ্বাদশাকারং জ্ঞানদর্শন মুৎপদ্যতে * * * যতশ্চ মে ভিক্ষব এধু চতুর্ব, আয্যসত্যেঘু এবং ত্রিপরিবর্তিতং হ্বাদশাকারং জ্ঞ।নদর্শনমুৎপন্নম্‌। অকোপা। মে চেতিবিমুকি! প্রজ্ঞাধিমুক্তিশ্চ সাঁক্ষাৎ কৃত।। ততোহহং ভিক্ষবোনুতবরাং সম্যক্‌ সম্বোৌধিমভিসম্থ,দ্ধোশ্ি 1” ইত্যাদি। €ে ভিক্ষুগণ : দুঃখ, ছুঃখসমুদ্রর়। ছু; নিরোধ দুংখনিরোধ-গামিনী প্রতিপত, এই চারি প্রকার আর্ধয সত্য--শ্রেষ্ঠ তথ্য। অর্থাৎ ধর্মচক্রের প্রধান প্রতিপাদ্য। জন্ম, জরা, ব্যাধ, ম.ণ, অপ্রিয়সংষোগ, প্রিয়বিয়োগ, অুভিলধিত ভ্রব্যাদির লাভ, 'সমস্তই দুঃখ অসংখ্য অনন্ত দুঃখ জগতের সমস্তই £খ। সংক্ষেপে বলিতে গেলে, পাঁচ উপ।দান স্বদ্ধই হুঃখ (উপাদান স্ব কি তা€ ধন্্বরবিভাগে বলা হইবে )-। ছঃখ সমুদয় কি? তাহা গুন। যাহা হইতে দুঃখের উদয় হয়, যাহ! প্রোক্ত ছুঃখের মুল তাহাই ছুঃখসমুদয় সুখের ইচ্ছা _-ইহ| হউক, তাহ! হউক এতদ্রপ স্পৃহা__ধাহার অন্ত নাম ভূষ্ট--সেই তৃষ্জাই ছুঃখমমুদর তৃষ্ণা থাকাতেই দুঃখের উদয়াস্ত হইতেছে। আনন্দ অনুরাগ তাহার অনুগত, অধ্ীন। তাদৃশী তৃষ্চায় যে বৈরাগ্য বা বিরাগ, তাহাই দুঃখনিরোধগামিনী প্রতিপৎ অর্থাৎ ছুঃখনিরোধের উপায় |. ছুঃখনিয়োধের

উপায় অষ্টাঙ্গ অর্থাৎ আট অংশে বিভক্ত তাহা সম্যক্‌ দৃষ্টি সম্যক সংকর

4৮ পসরা পপ পপ ইজ পা

* ললিত বিস্তর দেখ। এখানে অনেক লেখা আছে, পুস্তক বৃদ্ধি ভয়ে সে সফল উদ্ধত করিলাম ন।। বিশেষতঃ ধর্মাবিভাগে সংক্ষেপে সমুদয় ধা।ম বলিবায় ইচ্ছা! আছে।

দশম পর্িরিচ্ছেদ ১৩৯

ইত্যাদি ক্রমে বলা হইয়াছে সেই আট অঙ্গের মধোর সম্যক সমাধিই ছঃখ- নিরোধের সাক্ষাৎ উপায়। হে ভিঙ্ষুগণ! তোমর! নিরন্তর মছৃক্ত আধ্যসত্য- চতুষ্টয়ের বিচার কর ধান কর। করিল্তোমাদেরও ত্রিপরিবর্তিত দ্বাদশ/কার জ্ঞানদর্শন হইবে। হেভিক্ষগণ! আমিও এই উপায়ে সমাকৃপম্যধিততৈে সম্থুদধ হইয়াছি।*%

বুদ্ধদেব এবংক্রমে শিষাদিগকে দিন দিন ধর্মের নূতন নৃতন অঙ্গ বুঝাইতে লাগিলেন, শিষাগণও "মতি শ্রদ্ধ! সহকারে সে সকল শ্রবণ ধাঁরণ করিতে লাগিলেন।

দশম পরিচ্ছেদ

বৃদ্ধের ধর্মপ্রচার--শিষাসংগ্রহ--মগধবিহ।র--কপিলবস্ত নগরে গমন--পুত্রকলব্রাদির সহিত সাক্ষাৎ_-শাকাপরিধারে বৌদ্ধধন্দর গ্রহণ-_মগধ দেশে পুনরাগমন--শ্রীচঙীগমন-- শদ্ধোদনের মৃহ্া--বুদ্ধ কর্তৃক তাহার সৎকার--সন্নাসিনীদল স্থ(পন-. শিষ্যগণের প্রতি শেদ উপদেশ বৃদ্ধের নির্বাণ লাভ।

বুদ্ধদেব বারাণসীর খষিপতন মৃগদায়ে অত্যান্ত উৎদাহ অনুর/গের সহিত র্মতত্ব বুঝাইতে আরম্ভ করিলে, তাহা শুনিস্টর জন্দ শত শত মানব তথানম আগ- মন করিতে লাগিল। মনোষুগ্ধকর উপদেশ শ্রবণে অনেক মানব তাহার শিষ্য হইল; এবং অনেক গৃহস্থ বুদ্ধের নির্বাণধর্ম্মেবশ্বাস করিয়া দেবপুজাদি পরি- ত্যাগ করিল। দ্রিগৃদিগন্ত হইতে শত শত নরনারী তাহার নবধর্তবের বৃত্তান্ত জ/নিবার জন্ঞ সমাগত হইলে, মুগদায় এক অপুর্ব অনির্বাচ্য শোভা ধারণ করিল। , নিধন, ধনী, পণ্ডিত, মূর্খ, সকলেই বুদ্ধের নির্ব্বাণ ধর্ম শ্রবণে মুগ্ধ হইতে লাগিল এবং অনেকেই তাহার নেই নব ধর্মে দীক্ষিত হইল। বারাণসী মতি পুরাতন কাল হইতে প্রসিদ্ধ স্থান। এখানে প্রতিষ্ঠাল।ভ 'নিতাস্ত সহজ নহে। কিন্তু বুদ্ধ এখানে অতি সহজেই প্রতিষ্ঠিত হইলেন এই স্থান হইতেই ঠাহার নাম বশ চত্তদ্দিকে বিস্তৃত হইল এব" সকলেই জ[নিল, গৌতম একজন

পপ জা পথ হন

* বুদ্ধের সমস্ত উপদেশ দাঁখোর, পাতঞ্জলের বেদান্তের অবস্থাত্তর মাত্র বা রূপান্তর বৃদ্ধের উপদেশ শব্ধের প্রভেদ ঘ্য চীত অর্থতন্তবের অধিক প্রভেদ দেখ! যা না।

তক্

১৩২ বুদ্ধদেব |

অলৌকিক জীবন প্রাপ্ত মহাপুরুষ এই সময়ে মগধরাজ তাঁহাকে নিজ রাজ- ধানীতে পদার্পণ করিবার অনুরোধ করিয়া পাঠান, তছুপলক্ষে তিনি সশিষ্যে পুনর্ধার মগধাগমন করেন মগর্ধে আসিয়া উরুবিল্লের নিকটবর্তী মনোরম কখননে বিহার স্থাপন করেন। এই স্থানে ছবিজতনয় কাণশ্তপের সহিত তাহার পরিচয় হয়। কাণ্তপ মগধের এক জন প্রসিদ্ধ লোক। ইনি দার্শনিক পণ্ডিত অগ্নিহোত্রী ছিলেন। ইঞ্ার ভ্রাতৃদ্বয়ও বিলক্ষণ মান্ত গণ্য ছিলেন এবং ত্তাহা- রাও গৌতমের বিশ্রন্ধ প্রণয়ালাপে নির্ববাণ ধর্মের মূল সুত্র শ্রবণে মুগ্ধ হইয়া গৌতমের নির্ব্বাণ ধর্মে বিশ্বাস স্থাপন করিলেন কেবল বিশ্বাস স্থাপন নহে, গৌতমের নিকট দীক্ষিত হইয়া তদীয় নির্ব্বাণ ধর্ম গ্রহণপুর্র্বক ভিক্ষপজ্ঘ মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়াছিলেন।

এক দিন বুদ্ধদেব নবদীক্ষিত শিষার্দিগকে সঙ্গে লইয়া গয়ার নিকটবত্তী গন্ধ- হস্তী পর্বতে বপিয়া আছেন, এমন সময়ে অদূরে এক প্রজলিত দাবানল তাহা- দের নয়ন গোচর হইল। গৌতম এই উপলক্ষে নবশিষ/দিগকে অনেক গুলি মনোহর উপদেশ প্রদান করিলেন।

“কাশ্প ! দেখ, কেমন বেগে দাবানল জ্বলিতেছে। ষত দিন নর নারী বাসন! তৃষ্চ। অবিগ্তার অধীন থাকে, তত দিন তাহাদের চিত্ত ধ্ীরূপ প্রজ্জলিত থাকে। মানব যতই সুন্দর দৃষ্ত দেখে, অনুভব করে, ততই তাহাদের অজ্তরে নখন্পৃহ! বৃদ্ধি পায়। যেমন যেমন স্থৃথম্পৃ্া বাড়ে, তেমনি তেমনি তাহাদের ঃখমূল দৃঢ় ঘনীভূত হয় বিষয়জ্ঞান যতই বাঁড়িবে, তাহার! ততই বৈকারিক ছুঃখ সুখে লিপ্ত হইবে। তাহাতেই তাহার! জন্ম, মৃত্যু, জরা, ব্যাধি, দুঃখ,* ঘৌন্মনস্ত শোক মোহ প্রভৃতি তাপে তপ্যমান হয়; কিন্তু ষাহারা বোধিমার্ে পদ্দা্ণ করেন, তাহারা আত্মনিগ্রহের দ্বারা বাঁসনা অহংবিজ্ঞানরূপ বহ্নিকে প্রজবলিত হইতে দেন ন। তাহার! সমুদায় অস্তরিন্ত্রয়দিগকে সংহত করিয়! ক্রমে ক্রমে শান্ত হয়েন। অন্তর পরিশুদ্ধ হইলে,তখন আর এট সকল বিষয় (রূপরদাদি) অন্তরকে উদ্ভেজিত করিতে পারে না। বহ্ছি যেমন ইন্ধন না পাইলে আপনা আপনি নির্বাপিত হয়, সেইরূপ জীবের তৃষ্ণা-বহ্ছি বিষয়েন্ধন অভাবে ।নর্ববাপিত হইয়া থাকে 1” ইত্যাদি

'প্রবূপে 'কিছু দিন গয়া বিহারের পর তিনি রাজগুঁহে (রাজগির পাহাড়ে) গিয়া বাঁ করিয়াছিলেন। এই সময়ে সগধের রাজ! বিশ্বিসার বুদ্ধের নবধর্শো ,

ধশম পরিচ্ছ্দে। ১৩৩

নীক্ষিত হন। মগধের প্রসিদ্ধ লোক কাঁশ্তপ বৌদ্ধ হইলেন, মহাবিচক্ষণ রাজাও বৌন্ধ হইলেন, ইহ! দেখিয়! অনেকেই বুদ্ধের আশ্রয় গ্রহণ করিল। এই সময়ে শারিপুত্র মৌদগলায়ন নামক ছইজন সন্ক্যসী স্বমত পরিত্যাগ পূর্ববক বৌদ্ধমত গ্রহণ বৌদ্ধসন্ন্যাসী হইয়াছিলেন। |] দিকে রাজ! শুদ্ধোদন শুনিতে পাইলেন, তাহার পুত্র গুণধর সিদ্ধ হইয়! অলৌকিক জীবন প্রাপ্ত হইয়াছেন শত শত নর নারী তাহার অমৃতাক্মান উপদেশ শ্রবণে পবিত্র--হইতেছে। এমন কি, পাপীও সাধু হইতেছে এই বৃন্তান্ত শ্রবণে তিনি কুমারকে দেখিবার নিমিত্ত যপরোনান্তি ব্যাকুল হইলেন একজন বিশ্বস্ত ভদ্র পুরুষের দ্বার! বলিয়া পাঠাইলেন, “রাজা তোমাকে একবার দেখিতে চাহেন, মৃত্যুর পূর্বে তুমি তাহাকে একটাবার দেখ! দিয়! আইস।” গৌতম এই পিতৃআজ্ঞা লঙ্ঘন করিলেন না, শ্রবণমাত্রেই সশিষ্যে কপিলবস্ত, যাত্রা করিলেন। কপিলবস্ত নগরে উপস্থিত হইয়! ব্রন্মচর্য্য বৈরাগ্য ধর্মের নিয়মানুনারে নগরের বাহিরে বাসস্থান মনোনীত করিয়া! লইলেন এবং স্থির করিলেন যে, ভিক্ষাঁকাল ব্যতীত নগর প্রবেশ নগরে অবস্থ।ন করিব ন!। অনন্তর ভোঞজন কাল আগত হইলে, ভিক্ষা পাত্র হস্তে নগর দ্বারে আসিয়। মনে মনে চিন্ত! করিতে লাগিলেন--""ভিক্ষার্থ রাজদ্বারে যাইব কি না!” অবশেষে মনে মনে সিদ্ধান্ত করিলেন--“যখন দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা! করাই সন্নাপীর ধন্ম, তখন তার না যাইবই, ব| কেন? ইহাতে আবার মানাপমান কি ৮, এইরূপ 6স্তার পর তিনি রাজ প্র/সদাভি মুখে যাইতেছেন, 'এমন সময়ে রাজার কর্ণগোচর “হইল, কৃমার দ্বারে দ্বারে অন্নভিক্ষা! করিতেছেন তশশ্রবণে তিনি ব্যথিত : প্রাসাদ হইতে নিশ্র্াস্ত হইয়। দেখিলেন, সতা সত্যই তাহার কুমার শিষাসহ অন্ন- ভিক্ষ। করিতেছেন। তাহ! দেখিয়! রাজার চক্ষে ধারা বহিল। বলিলেন, «প্রভু ! আমি কি এইগুলি সন্নযানীর আহার দিতে অক্ষম ?% গৌতম অনি বিনীতভাবে প্রত্যুন্তর করিলেন, প্মহারজ! আমরা! সন্ন্যাসী, দ্বারে ঘারে ভিক্ষা করা আমাদের ধর্ম, ইহার জন্য আক্ষেপ কর! বিধেয় নহে 1” রাজা পুনশ্চ বলিলেন, “আমরা বার রাজবংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছি। বংশে কেহ কখন এরূপ ভিক্ষা! করে নাই ।” গৌতম বারেও প্রত্যুত্তর দান করিলেন। বলিলেন, "রাজন! আপনার! রাজবংশসম্ভৃত বলিয়া অভিমান করিতে পারেন; , কিন্ত আমার জন্ম পুরাতন বুদ্ধদস্্যাপী হইতে। তাহার! দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করি.

১৩৪ বুদ্ধদেব

তেন। আঁমি পৈতৃক ধন পাইয়াছি। যাহা! আমি পাইয়াছি, তাহ! অ।পনাকে উপহার দেওয়া কর্তব্য ।৮এই বলিয়! গৌতম রাজাকে অনেক ধর্ম কথা বলিলেন। সে সকল শুনিয়! শুদ্ধোধনের মন প্র্বাধ মানিল না তিনি তাহার ভিক্ষাপান্র নিজ হস্তে গ্রহণ পূর্ববক তাহাকে সঙ্গে লইয়! অস্তঃপুর প্রদেশে গমন করিলেন।

ধিনি রাজপুত্র ছিলেন, তিনিই আজ ধর্মরাজ। তাহার সেই রাজদেহে স্বগীয় আত্মার আবেশ বা সংযোগ হওয়াতে তাহ! দ্বিগুণিত অপূর্ববশোভান্বিত হইয়াছে মস্তক কেশহীন, পরিধেয় গৈরিক বস্ত্র, হস্তে ভিক্ষাপাত্র, চরণদ্য় পাদুকাবিহীন, অঙ্গ আভরণশুন্ত, তথাপি এই নবসন্ন্যাসীর অত্যুত্তম শী দর্শক মণ্ডলীর মন প্রাণ শীতল করিল। বিমাতা গৌতমী অন্তান্ত নারীগণ তাহার নিকটে আসিয়! অবিরলধারে অশ্রু বর্ষণ করিলেন ! বুদ্ধদেব দেখিলেন, তন্মধ্যে গোপা নাই গোপা অন্ুপন্থিত। গোপার সহচরী আগমন কালে গোপাকে ডাকিয়াছিল, কিন্তু গোপা বলিয়াছিলেন, “আমি ঘাইব না আমার বর্দি ভক্তি থাকে আমি এই স্থানে বমিয়াই গুণধরকে দ্রেখিতে পাইব 1৮

'সহধর্দিণী অনুপস্থিত দেখিয়া! গৌতন দুইজন অন্তরঙ্গ শিষ্য সহ গোপার গৃহ'- (ভিমুখে যাইতে লাগিলেন শিষ্য দ্িগকে বলিয়া দিলেন, এই রমণী য্দি আমাকে স্পর্শ করে তোমর! বাধ! দিও ন। | ব্রহ্মচর্যাব্রতধারিণী গোপা দুর হইতে দেখিলেন, এক জন অপূর্বমৃত্তি সন্ন্যাসী তাহার প্রাণের মধ্যে প্রবেশ করি- তেছে। গোপা অমনি সসন্্মে দৌড়িয়া গিয়া অভ্যাগত সন্নযাসীর চরণতলে নিপতিত হইলেন বুদ্ধের চরণম্পর্শে গোপার জ্ঞান হইল, তিনি যেন এক প্রদীপ্ত চতাশনেব সন্নিহিত হইয়াছেন। আবার সেই মুহূর্তেই মনে হইল, গুণধর তাহার জাতীয় নহেন, গুণধর এক ন্বর্গীয় দেবাঝ্মজ। কাহাকে স্পর্শ করিলাম ? করিয়া 'অপরাধিনী হইলাম ? এই ভাবিয়া অমনি তিনি পদ্দতল ত্যাগ করিয়া এক পার্ে গিন্ন। ঈাড়াইলেন।

বুদ্ধদেব লন্ন্যাস গ্রহণ অবধি স্ী-শরীর স্পর্শ করেন নাই। স্ত্রী-শরীর স্পর্শ কর! সন্গাস-ধর্দের নিষিদ্ধ। আজ যে তিনি পত্বীকে চরণ স্পর্শ করিতে দিলেন, নিবারণ করিলেন না, ইহাতে কিছু মর্থ কথ! আছে। তিনি মনে করিয়াছিলেন, & রূপ করিতে দিপে, তিনি তাহাকে বৈরাগ্যের দিকে আকর্ষণ করিতে পারি" বেন। সহধর্শিনীকেও নির্বাণনাগরে উপনায়্িত কর! তাহার অভিপ্রেত। তাহার প্আভিপ্রার় কালে পূর্ণ হইয়াছিল।

দশম পরিচ্ছেদ। ১৩৫

বুদ্ধদেৰ বাঁ করতে কপিলবস্ত নগরের অনেক লোক তাহার ধর্শে আকুষ্ট হইল। তাহার বৈমাত্রেয় ভ্রাত| নন্দ সর্বপ্রথর্মে তদীয় ধর্শগ্রহণ করেন। রাজ- পুত্র নন্দ সন্ন্যাসী হইলেন, দেখিয়া বৃদ্ধ রাজা, শুদ্ধোদন নিতান্ত ব্যথিত হইলেন শাক্যানংহ অন্য এক দিন ভিক্ষার্থ রাজনভবনে আসিয়াছেন, এমন সমগ্ন গোপা রাহুলকে উত্তম পরিচ্ছদে ভূষিত করিয়৷ বলিলেন, "তুমি ভোমার পিতাঁন্প নিকট গিয়া পৈসৃক ধন চাও।”” 'শাক্যসিংহ যখন গৃহত্যাগী হন, রাহুল তখন শিপ্ত। রাহুল যেমন মা চেনে, পিতাকে তেমন চেনে না সে এখন বলিল, “কে আমার পিতা ৪শুনিয়া গোপ। অঙ্গুলি নির্দেশ পুর্ব্বক বলিলেন,” যে সন্ন্যাসী দেখিতেছ, উনিই তোমার পিতা। উনি আমাদিগকে পরিত্যাগ করিয়া যাওয়া অবধি আমর! আর উইকে দেখি নাই! তুমি উহ্শারই নিকট গিয়া দ্বীয় অধিকার প্রার্থন! কর। উহার অনেক ধন আছে ।” রাহুল বুদ্ধের নিকট গিয়া, জননী যাহা শিখাইয়া দিয়াছিলেন, পুনঃপুনঃ তাহাই বলিল। বুদ্ধ বালকের কথায় কর্ণপাত ন৷ করিয়া ভোঙ্জনান্তে স্কগ্রোধ বনে গমন করিলেন বালক অন্ুগমন করিল এবং সেথনে গিগ্নাও সে কথা বলিল। বুদ্ধ দেথিলেন, কোনও শিষ্য বালককে নিবারণ করিতেছে না। তখন তিনি; মনে করিলেন। বালক, কিছুই জানে না, কেবল জননীর কথায় ধনের ভিথারী হইয়াছে, হয়ে বুদ্ধের সঙ্গে সঙ্গে চলিতেছে, আর ধনের কথ! উল্লেথ করিয়া বিরক্ত করিতেছে বাছাই হউক, আমি যে বোধিদ্রমতলে সপ্তুরদ্ূ পাইয়াছি, ইহাকে তাহারই অধিকারী করিয়া যাইব *“ বুদ্ধদেব প্ররূপ চিস্ত/র পব স্বীয় অন্তরঙ্গ শিষ্য শারীপুত্রকে আদেশ করিলেন, এই বালককে দলভুক্ত করিয়। লও পরমুহূর্তেই রাজ। শুদ্ধোদন গোপ। রাহু- লের মন্তকমুগ্ডুনের সন্যপিদলভূক্ত হওয়ায় সংবাদ শুনিতে পাইলেন শাকাসিংহ যত দিন কপিলবগ্ততে ছিলেন, প্রায়ই পিতার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইতেন এবং নানা ধর্ম প্রসঙ্গ করিতেন দেইরূপে দ্রীর্ঘকাল অতি- বাহন করিয়া পুনর্কবার মগধের বাজগৃহে আগমন করেন। রাঁজগুহে আসিবার সময় রাহুল, নন্দ, দেবদত্ত, অনিরুদ্ধ উপালী তাহার অন্থসরণ করিয়াছিল। রাছুল তাহার পুত্র, উপালী এক নরন্ুন্দর-তনয়! আর সকল গুলিই রাজার ড্রাতুষ্পত্র। কিছুকাল পরে রাজগৃহ হুইকরে তিনি অনাথপিগুদ নামক জনৈক বিক যুব!

১৩৬ বুদ্ধদেব

কতৃকি আহত হইয়া শ্রীবন্তীতে গমন করেন। শ্রাবন্তী অতি পুরাতন প্রসিঘ নগর, কাশীর উত্তর পশ্চিম অন্যন ৫৭ ক্রোশ দূরে অবস্থিত। এই স্থানে থাকিয়। তিনি শিষ্য দিগকে বৌদ্ধ ধর্মের মুলগ্রস্থ ত্রিপেটকের প্রতিপাদ্য সকল উপদেশ করেন 1 এই স্থানে রাছলকে ভিক্ষপদ প্রদত্ত ইয়। রাহুলের বয়ম এখন অষ্টা- দশ বর্ধ। বুদ্ধদেব এই স্থানে থাকিয়া রাহুলকে যে গভীর উপদেশ প্রন করিয়া ছিলেন, দে সকল এখন রাহুলস্ত্র নামে প্রসিদ্ধ বুদ্ধ যখন শ্রাবস্তী হইতে বৈশালীর মহাঁবনে বিহারার্থ গমন করেন, তখন উগ্রসেন নামক জনৈক প্রসিদ্ধ যাছবকর তাহার বক্তৃতায়, মুগ্ধ হইয়! নিজধর্্ম ত্যাগ করিয়াছিল। শাক্যদিংহ কৌশাম্বীতে থাকিয়া শুনিলেন, পিতা অত্যন্ত পীড়িত। পিতার পীড়ার সংবাদ শুনিয়া! পুনর্বার কপিলবস্ত নগরে আসিলেন। আসিয়া: দেখিলেন, পিত| মুমূর্য,। তিনি শোকে, তাপে বাদ্ধক্যে জীর্ণ হইয়াছেন পুত্রকে সন্মুখাগত দেখিয়া! বৃদ্ধ রাজার মনে যৎকিঞ্চিৎ আনন্দবিকার জন্মিল। পর দিবস তিনি পুত্রমুখনিরীক্ষণ পূর্বক কলেবর পরিত্যাগ করিলেন বুদ্ধ স্বয়ং পিতার অস্তোষ্টিকার্যা নির্বাহ করিয়াছিলেন এতদ্দিন পরে আজ রাজা গুদ্ধোদনের মৃত্যুতে শাক্যরাজ্য উচ্ছেদ দশ! প্রাপ্ত হইল। ইতিপূর্বে গৃহের সমুদায় যুবা বালক বুদ্ধের উপদেশে সন্ন্ানী হইয়া চলিয় গিয়াছে, কেবল রাজ! একমাত্র বিদ্যমান ছিলেন, তিনিও আজ ইহলোক ত্যাগ করিলেন। কিছু দিন পৃর্ব্বে যে কপিলবস্তর শোতাসমুদ্ধির পরিসীম] ছিলনা, সেই কপিলবস্ত আজ শোকাচ্ছন্ন নারীবৃন্দের আর্তরবে পরিপূর্ণ হইয়া শ্শানতুল্য আকার ধারণ করিল।

বাজার মৃত্যুতে আজ রাজপরিরারম্থ নারীগণ নিতান্ত অসহায় হইল। তাহ! দেখিয়া খুদ্ধ তাহাদিগকে মহাবনবিহাঁরে লইয়। গেলেন। .গৌতমী, গোপা ও: অন্তান্ত রমলীগণ সেই সঙ্গে গমন করিলেন। প্রভু ধর্মরাজ গৌতম এই সকল নারীর সতীত্ব, বরন্গচর্যা পবিক্রত। রক্ষার জন্ত সবিশেষ চিস্তিত [হইলেন | পরি- শেষে, ইচ্ছ1 না খাকিলেও, প্রিয়তম আনন্দের অনুরোধে ইহার্দিগকে লইন্া এফ নয্ন্ংসিনী দল স্থাপন করিলেন শুদ্ধমতী গোপ! এই দলের অভিনেত্রী পদে অভিষিক্ত1 হইলেন। বুদ্ধদেব মধ্যে মধ্যে এক থাকিতে ভাল বাঁসিতেন, সঙ্গ ত্যাগ করিয়া বিজন বনে যাইতেন, এবং অপার সমীধিসাগরে নিমগ্ন থাকিতেন, সংপ্রুতি বর্তমান ঘটনার পর, বৈরাগিনীদল মহাবনবিহারে রাখিয়া, কৌশানীর মুকুল পর্বতে সমাধি সাধনার্থ প্রস্থান করিলেনগ।

দশম পরিচ্ছেদ। ১৩৭

কিছুকাল মুকুল পর্বতে অবস্থান করিয়। পুনর্ধার ঝাঁজগৃহে আসিলেন। এবার রান্ধা বিদ্বিদারের পত্বী ক্ষেমা বৌদ্বধর্থে মুগ্ধী হইয়! সন্নয।পিনী হইল রাঁঞ- রাণীও সপ্স্যাসিনী হইল, ইহ! দেখিয়। নগরের বীন। নারীগণের স্বামীরা সশঙ্ষিত হইল। তখন বুদ্ধের উপদেশের এমনই মোহিনী শক্তি ছিল যে, যে একবার মন নিয়। শুনিত, সে আর কোনও ক্রমে গৃছ্থে থাকিতে পারিত না। পর বৎসর ভগবান্‌ বুদ্ধ বর্ষ খতুতে কপিলবস্তর সমীপবর্তী সংন্মর পর্ব্ধতে বিছার।র্থ গমন করেন। কিছুকাল পরে পুনঃ কৌশান্বীতে আইসেন। এৰার এখানে ভরঘাজ নামক জনৈক খ্যাতনামা ব্রাঙ্গণ বৃদ্ধমত গ্রহণ পৃর্বক দলভুক্ত চইল। রা শ।ক্যসিংহু পুনর্ষ। খতুতে “চালিয়াঃ গ্রামে তিন মাস বাঁদ করিয়া শ্রাবন্তী গমন করেন। তৎপরে কপিলবস্তর স্তগ্রোধ বনে গিয়। কিছুকাল বাস করিলেন। মহানাম নামক তাহার এক খুল্লপতাত-পুত্র রাজ! শুদ্ধোদনের উত্তরাধিকারী হইয়া রাজ রক্ষ। করিতেছিল, এবার সেও বুদ্ধের উপদেশে রাজ্যত্যাগ সন্ন্যাস গ্রহণ করিল। এই বার শক্যরাজ্য যথার্থতঃই ধ্বংস প্রাপ্ত হইল। এইবার রাজ! গুক্ধোদন সত্য সত্যই উত্তরাধিকারিশূন্ত হইলেন ! রা স্থান হইতে তিনি পুনর্বার রাজগৃহে গমন করেন। পর্য্যন্ত তিনি স্বয়ং ছারে দ্বারে ভিক্ষা করিতেছিলেন ) কিন্তু তিনি এত কাল পরে বার্ধক্যবশতঃ ক্ষার ভার এক শিষ্যের প্রতি অর্পণ করিলেন। শিষ্য কার্ধ্য করে বলিয়| আপনাকে গৌরবান্বিত মনে করে, তাহ! দেখিয়। সে তার তিনি প্রিয়তম * আনন্দের প্রতি অর্পন করিলেন; এবং আনন্দকেই অনুগত সঙ্গী করিলেন। 'কিছুকাঁল পরে দূর দেশ ভ্রমণের ইচ্ছ! হওয়া সেই শেষ দশাতেও তিনি দক্ষিণ দেশ ভ্রমণ করিতে গিয়াছিলেন। ত্র রূপে বুদ্ধদেব প্রায় ৪৪ বৎসর প্রবাস-বাস 'ও ধর্ধপ্রচার করিয়াছিলেন ইনি সমুদয় মগধ, অযোধ্যা! উত্তরপশ্চিম দেশের দাক্ষণাত্যের নানাস্থান ভ্রমণ করিয়াছিলেন, সর্বশেষে কৌশান্বীতে গিয়া! অবস্থান করিয়াছিলেন একদিন তিনি আব্মদৃষ্টির সাহায্যে জানিতে পারিলেন,ঠাহর জীবনের কার্ধা শেষ হইয়াছে। অনভ্তর তথাগত সমুদয় শিষ্যদিগকে ডাকিয়া! বলিলেন, *ভিক্ষুগণ ! তোমরা সর্বদা সাবধান থাকিয়া স।ধন কর এবং সুখে নির্বাণ লাভ কর। আমিযে ধর্ন এগ্লুকাশ করিলীম, সে ধর্মী মানব-ঝ$জ্যে প্রচার কর। পবিত্র নির্বাণ ধর্শ যেন

১৬৮ বুদ্ধদেব।

চিরস্থায়ী হয়। শত শত নর নারী যেন কল্যাণে অবস্থান করে। হে ডিক্ষুগণ | তথাগত আর দীর্ঘকাল দেহে থাকিবেন না। ভিন মাসের যধ্যে নির্বপিভ হুইবেন। তাহার বয়স পূর্ণ হইয়াছে, জীবনের কার্ধা শেষ হইয়াছে, দেহও জীর্ণ হইয়াছে তথাগত শ্রীপ্রই তোমাদদিগকে ছাড়িয়া বাইবেন এবং শীঘ্রই নির্ধাপিত হইবেন। তাই অন্য বিদায় প্রার্থনা! করিতেছি»

শিঘ্যগণ সকলেই বুদ্ধের এই বাক্যে ব্যথিত বিশ্মিত হুইল এবং অনেক ক্ষণ পর্য্যস্ত সকলেই নীরবে রহিল। পরে গম্ভীর-প্রকৃতি তথাগত্ত কাশ্তপকে নিজ্জনে ডাকিয়। বলিলেন, “কাগ্তপ ! তোমার লহিত আমি বন্জ্রপরিবর্ীন করিব। তোমাতে আমি আমাতে তুমি, এই ভ!বে উভয়ে উভয়ের মপো অবস্থান করিব। তুমি আম!র প্রতিনিধি হইয়া সকলকে পরিচালন করিবে ।» কাশ্তপ নিতাস্ত দীনভাবে তাহা! অঙ্গীকার করিল। এই কার্ষ্ের পরেই তিনি কুশী- নগরা ভিমুখে যাত্র! করিলেন তাহার ইচ্ছা, তিনি কুশীনগরে নির্বাপিত হইবেন

পথিমধো তিনি চণ্ড নামক জনৈক নীচ জাতি ( চগ্ডাগের অথবা ব্যাধের ) গুছে আতিথ্য গ্রহণ করেন। চগ্ড আত্মবৎ সেবার অনুশাসনে তাহাকে মাংসান্র ভোজন করায় ॥। এই উপলক্ষে হার পণিমধ্যে উদরভঙ্গ পীড়া জন্মে পরে তিনি অতি কষ্টে কুশীনগরে উপনীত হন।

যে দিল কুশীনগরের শালতরুতলে দেহ পরিত)াগ করিবেন, সেই দিন কুশী- নগরে স্ুভব্র নামক জনৈক দার্শনিক পণ্ডিত তন্বঞ্জিজ্ঞান্ু হইয়া তাহার সমীপদ্থ হন। ভগবান্‌ তথাগত মৃত্যুশ্য্যায় শয়ন করিয়াও স্থতদ্রকে ধর্তত্ব উপদেশ এবং দীক্ষিত করেন। এই স্থভদ্রই তাহার শেষ শিষ্য

ধর্মরাঁজ আজ, নির্বাণ কাল নিকট জানিয়! ভাঁবিতে. লাগিলেন। ভাবিলেন, এই আমার শেষ। এখন কিছু গুঢ় কথ! বলিয়া যাওয়া! আবপ্তক। অনস্তর তিনি শিষ্যদিগকে ধর্ষ্বের অবশিষ্ট গুড় কথ! সকল বলিলেন। প্রিক্ক শিষ্য আনন্দকে কাছে বসাইয়া, তিরোভাব হইলে যেরূপে অস্ত্েষ্টিক্রিয়া করিতে হইবে, তাহার প্রণালী বলিয়৷ দিলেন। ভিক্ষুকী রমণীগণের প্রতি দৃষ্টি াখিতে বিলেন। তাহাদের শুদ্ধতা বৈরাগ্য যাহাতে স্থির থাকিতে পারে, তদ্বিষয়ের বিবিধ উপদেশ প্রদান করিলেন। স্থবিরগণের সহিত সন্নযানিনীদিগের ব্যবহার- সম্বন্ধেও অনেক গভীর কথ! বলিলেন বলিতে বলিতে তাহার ইন্দ্রিয় স্ষল শিথিল হইল। সকলেই বুঝিল, তাহাদের গুরু নির্বাপিত হইতেছেন। .

দশম পরিচ্ছদ ১৩৯

| বুদ্ধদেব অণীত বর্ষ বয়সে কুশীনগরের বিখাঁল শাল-তরুতলে ৫** শিষ্য রাখিয়। নশ্বর দেহের ক্মভিযান ত্যাগ কিম! নির্বাপিত হইলেন। তাহার শিষা- গণ তীহার বিচ্ছেদে নিতাস্ত কাতর হইল। *রভাহার সেই মৃত দেহ চন্দনকাষ্ঠের চিতায় স্থাপিত নববঙ্থে পরিবৃত হইল। অনন্তর মহাকাস্তপ ্রস্কৃতির দ্বারা তাহার সেই মৃতদেহ অগ্নির দ্বারা সংকৃত অর্থাৎ ভন্মপাৎ কক্। হইল ভগবান্‌ বুদ্ধ নির্বাপিত এবং তাহার দেহ তন্মীভূত হইলে, তাহার তক্তগণ সেই চিতাভস্ম আদরপুর্ব্মক গ্রহণ করিয়াছিল। তাহার দস্তও পরিগৃহীত হইয়! সিংহলে নীত মহাঁসমারোহে, প্রতিষ্ঠীপিত হইয়াছিল। সকল পরবত্তী বৃত্তাস্ত আমর] পৃথক্‌ পৃ্থক্‌ প্রস্ত।বে লিপিবদ্ধ করিয়।ছি, সে জন্ত সে সকল কথা আর এতণ গ্রন্থে বলিলাম না। এই স্থানেই বুদ্ধের জীবনের ইত গ্রস্থের অব" যব পরিসমাপ্ত হইল।

একাদশ পরিচ্ছেদ

ধপ্্সংগ্রহ বা বৌদ্ধধর্মের মূলসূত্র

বুদ্ধদেব স্বয়ং কোন ধশ্পুস্তক প্রণয়ন করেন নাই তিনি বুদ্ধ হইয়া শত শত শিষ্যকে ধর্খোপদেশ দান করিয়াছিলেন, সেই সকল উপদেশ অবলম্বন করিয়।, তর্দীযন শিষ্যপ্রশিষাগণ বুদ্ধধর্ম্ের বিবিধগ্রন্থ প্রচার করিয়া গিয়াছেন। আম্রা! এখন সেই সকল শ্রন্থই দেখিতে পাই এবং বুন্ধমুখোচ্চারিত খণ্ড ৰাক্যও কিছু কিছু ভিন্ন ভিন্ন গ্রন্থে উদ্ধত দেখিতে পাই বুদ্ধের শিষ্যানুশিষ্যগণ তাহাকে লোক সমাজে ঘে ভাবে উপস্থাপিত করিয়াগিয়াছেন, আমরা তাহাকে আজ সেই ভাঁবেই দেখিতে পাইতেছি ; কিন্তু তাহার প্রন্কত ভাব তাহার নিজনির্দিত পুস্তক নম! খাকান্স আমানের নিকট কিয়ৎপরিমাণে প্রচ্ছন্ন বা অজ্ঞাত আছে। বুদ্ধের প্রশিবাগণ বেদ মানিতেন না, বেদের প্রামাণ্য খণ্ডন করিয়া গিয়াছেন, বেদকে অজ্ঞ মানবের প্রলাপ-থাক্য বপিয়াছেন,এই মকল 'দেখিয়! আমর! এখন মনে করি, উহ! শাক্ষযসিংহের অভিমত কিন্তু ভগবান্‌ শাকানিংহ বেদকে যে কি ভাবে দ্েখিতেন, কি জন্তই তিনি বেদমার্গের অন্ুগমন করেন নাই, অন্তকে করিতে “মেন নাই, তাহা এখন কে বলিতে পায়ে? কেইব! তাহা ঠিকু বুঝাইয়! দিতে

শও

বুদ্ধদেব পারে ? 'কাখেই এখন ' আমাদিগুকে বলিতে হইতেছে, বদ্দেব বেদী ছিলেন। অগত্যা বদ্ধপিষ্যগণের গ্রন্থ দেখিয়া মানিতে হইতেছে, স্বীকার করিতে হইতেছে, বুদ্ধ পৃধকৃচরিক্র এবং তাহার ধর্মও পূর্থস্বিধ ছিল। কাষেই 'মানিতে হইতেছে, ুদ্ধশিষাগণের গ্রন্থে যাহ! লেখা আছে তাহ! বুদ্ধের অভিমত যাঁহাই হউক, বুদ্ধ বেদবিত্বেষী ছিলেন ্ি না, তদ্বিষয়ে আমাদের বিশেষ সন্দেছ আছে। বোধিচ- ধর্যাবতার প্রভৃতি গ্রন্থে বুদ্ধের অভিমত পদাথ ধর্মের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বর্ণিত আছে। দেই সকল ধর্মগ্রসন্থের মধ্যে ধর্মমনংগ্রহখানি সর্বপ্র!চীন সর্বোৎকৃষ্ট আমর! সেইজন্য নাগার্জুন কৃত ধর্মসংগ্রহ গ্রন্থ হইতে বৌদ্ধধর্মের সুত্রভূত প্রধান প্রধান অংশ সকল সংগ্রহ করিলাম। *. প্রথমে বত্বয়ের শরণ লওয়া। ““রতত্রয়ং মে শরণম্‌” বত্রত্রয় আমার ভ্রাণ- কর্তা, এইব্ূপ স্থিরতর বুদ্ধি উৎপন্ন না হইলে, বৌদ্ধ ধন্দে অধিকারী হওয়। যায় না। বৌদ্ধধর্ম অধিকারী হইবার জন্ত প্রথমতঃ রত্বত্রয়ে বিশ্বাস ভক্তি স্থাপন পূর্ধ্বক তর্দনুবর্তীন করিতে হয়। ইহারই অন্ত নাম ধর্মাগ্রহণ দীক্ষ। | রতুত্রয়__ বুদ্ধ, ধর্ম সংঘ। সংঘ শব্দের অর্থ সন্ধ্যাসীর দল

ত্রীণি তাবৎ কুশল-মূলানি। কোধিচিন্রোৎপ|দ-আশয়বিশুদ্িরহংকার মমকারত্যাগশ্চেতি ।--বোধিচিত্তের উৎপাদ্দ অর্থাৎ উৎপত্তি, আশয় শুদ্ধি অহংকার মমকার ত্যাগ, এই তিনটা কুশল লাতের মূল অর্থাৎ নির্বাণ লাভের প্রধান উপায় , জ্ঞানন্বরূপের অবরোধ “* বোধিচিত্ত নামে খ্যাত। বোধিচিত্ত বিবরণ গ্রন্থে ইহার উপায়াদি বণিত আছে।. আশয়স্ুদ্ধি অর্থাৎ চিত্তস্থ হিং সািদৌষ-. সংস্কারের নিরোধ বা বিনাশ। ফলিতার্থ, চিত্তনৈর্শল্য। অহংকার মমকার তাাগ, কথার অভিপ্রেতার্থ এইরূপ--বাস্তবপক্ষে আমি স্থিরতর, বস্ত নহি, কিছুই নহি এবং কিছুই আমার নহে। এবংবিধ ভাবনার বার! উক্ত দ্বিবিধ মিথ্যা! দর্শনের বিনাশ সাধিত হইলে, তও্গ্রকর্ষে অহঙ্কার মমকার ত্যাগ করা

হয়. অপ্তবিধানুতরপূর্জা। তদ্ধথ-_বন্দনা, পুজনা, পাপ, দেশনা, অন্গুমোদনা,

অধ্যেষণা, বোধিচিত্তোৎপাদ, পরিণমন এই সাত শ্রকার বা সপ্াঙ্গ বৌদ্ধা- (ভিমত পৃক্তা। বুদ্ধের সমীপে প্রণমামাহং ইত্যাদি বিধানে নতি ক্রিয়া অনু- 'িত হইলে 'তাঁধ বন্দন! আখ্যা প্রা হয ধূপাদি ' প্র্নান করিলে 'ভাঁহা

দশম পরিচ্ছদ ১৪১২

পৃজ। মাম প্রাপ্ত হয়ৎ বুদ্ধঘধীপে পাপধ্যাপন আার্থনার, নাম, পাপহদশমা $. পাপধ্যাপন প্রার্থনা; এইরূপ--"“মামি বালচাপল্যে মোগ্গ্রস্ত হুইয়৷ ষে১ সকল পাপ করিয়াছি, সে সক্কল বিনই হউক”৯* ইন্ত্যা্ি।: সুত্র, গেয়,. ব্মুকরণ, গাথা, উদ্দান, জাতক উপদেশ প্রস্ততি অধ্ায়ন এবং বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি, ইত্যাদি বাক্য সর্বদ] উচ্চারণ কর! অধ্োেষণানামে পরিচিত। বোধিজ্ঞান পাইবার জন্য যে চিন্তক্ষস্তি, তাহার নাম বোধিচিত্তোৎপাদ। ইহা! “অদ্য মে সফলং জদগ্ম জীবিতঞ্চ স্ুজীবিতং ।৮--আ'জ আমার জম্ম সফল, জীবনও সফল, ইত্যাদিক্রমে বহিঃপ্রকটিত হইয়।, থাকে পরিণমন]1 অর্থাৎ বিনর়। অনুমোদন! অর্থাৎ পুগ্যানুমোদন। পুণ্যান্ুমোদনের স্বরূপ "অপার-হুঃখ-বিশাম, সর্বত্ৈঃ কৃতং. শু্ম্” ইত্যাদি ক্রমে উপদিষ্ট আছে।' অভিপ্রায় এই যে, সমুায় প্রাণী মব্রণছঃখ অতিক্রম করুক, সকলেরই শুভ শুভ হউক ইত্যাদি প্রকার সন্কল্প : ধারণ করা ০. ৯৯ দশ অকুশল-মূলানি'। তদ্যথা_-প্রাণাতিপাতোহদত্বাধানং রামমিথ্যাচারী মুষাবাদো পৈশুগ্তং পারুষাং সন্ভিন্ন প্রলাপোহ্ভিধ]! ব্যাপাদো মিথ্যানৃষ্টিশ্চেতি।. হিংসা, অবত্তবস্ত গ্রহণ ( চৌর্য্য ), বথেচ্ছাচার, মিথ্যাচার মিথ্য! বাকা, পৈশুস্ (খল-বৃত্তি), পারুষ্য, বিরুদ্ধভাবতাঃ মিথাাভিনিবেশ, প্রাণিবধ মিথ্যা দি অর্থাৎ নাস্তিকতা * এই দশ প্রকার অকুশলের মূল। এই মূল হইতে জীবের- জরামরণাদি হঃখসস্কুল সংসারগতি হয়। কোন কোন বোদ্বগ্রন্থে ইহ! “দশমী লা,» নামে কথিত ও.বিবৃত হইয়াছে $ হিন্দুদিগের শাস্্েও ইহা! “দশবিধ পাপ্গণন। মধ্যে -পিরিপঠিত হইতেও দেখা যায় পঞ্চ আনস্তর্যাণি।--মাতৃবধঃ পিতৃবধঃ নুহ্ৃদধন্তথাগত হিংসাছুষ্ট চিন্তরুধিরোৎ পার সঙ্খভেদশ্চেতি মাতৃহত্য, পিতৃহতা, সুহ্বত্ধধ বৌদ্ধহত্যা, বৌদ্ধগণের প্রতি বিদ্বেষ তাড়ন। এবং সংঘভেদ,এই গুলি আনন্তর্য্য অর্থাৎ বিশেষ, নিন্দিত ংঘভেদ শবে দলভঙ্গ অর্থাৎ দলের মধো বিদ্বেষ উৎপাদন কর! '€ দলাদলির

সৃষ্টি কর1-).1- | অষ্টলোকধর্্াঃ। লাঁভোহলাভঃ হুখং ছুঃখং *যশোহ্ষশো নিন্দ। . প্রশংসা,

পাপা

« বৌদ্ধেরাও নাস্তিকতার নিন্দা করে। ইহার দ্বার। বুঝুন, প্রকৃত নান্তিকত। কি এবং বুদ্ধদেব কিরূপ নাস্তিক ছিলেন।

৮৪২ বুদ্ধদেব

চেতি।--লাত, অলাত, সুখ, দুঃখ, বশ, অবশ, নিন, প্রশংসা, এগুলি লোকধর্ম। ধর্ম বর্জনীয় অর্থাৎ সকলের প্রতি লক্ষ্য না করাই ভাঁল।

ঘটক্লেশাঃ। রাগঃ প্রতিঘে! মানোৎবিদ্য! কুদৃষ্টিবিচিকিৎসা চেতি। রাগ অর্থাৎ বিষগ়াপক্তি। প্রতিঘ অর্থাৎ পর বিদ্বেষ। মান অর্থাৎ অহং-মম-জ্ঞান। কুদৃষ্ি অর্থাৎ কুজ্ঞান।--কর্মফল নাই, মরণই মুক্তি, ইত্যাদি প্রকার জ্ঞান। বিচিকিৎস৷ অর্থাৎ সন্দেহ।-_বুদ্ধের উপদেশ ঠিক্‌ কি না,নির্ব্বাণ হয় না, ইত্যাদি প্রকার চিত্ত! এই ছয়টী ক্লেশ নামে পরিচিত। গুলি থাঁকিতে নির্ব্বাণাধিকার হয় ন1।

চতুর্করিংশতিরূপরেশাঃ তদ্যথা--ক্রোধঃ উপনাহঃ ভ্রক্ষঃ প্রদ্থাশ ইষা। মাৎসধধ্যং মদঃ শাঠ্যং মায়! বিহিংস! হীং অনপত্রপ। স্ত্যানমশ্রাদ্ধ্যং কৌসীদ্যং প্রমান! মুযিতস্থতিঃ বিক্ষেপো সম্প্রঞ্জনা কৌরকৃত্যং মিদ্ধং বিতর্কে বিচারশ্চেতি।-_ইহার অর্থ এই যে ক্রোধ, উপনাহ, ভ্রক্ষ (1), প্রদাশ €) ঈর্ষা মাৎসর্য্য, শঠতা, মায়! অর্থাৎ পরবঞ্চন।, মদ, হিংসা, নিলজ্জতা, স্ত্যান অর্থাৎ অনুৎসাহ, শ্রদ্ধাহীনতা, কোলীদ্য অর্থাৎ কুসীদবৃত্তিষ্* প্রমত্ততা, স্থতি- বিলোপ, চিত্ববিক্ষেপ ( চাঞ্চল্য ), সংগ্রজন্ত ৫), কুৎসিত কর্থে রতি, মিদ্ধ অর্থ! ওষ্ধত্য, বিতর্ক বিচার এই ২৪টি উপরেেশ 1 নামে খ্যাত।

পঞ্চ মাৎসর্ধ্যাণি।--ধর্মমাৎসর্ধয-_আমি ধার্মিক, ইত্যার্দিবিধ। লাতমাৎসর্ধয --আমি অন্তাপেক্ষ। অধিক লাভবান্‌ ইত্যাদি প্রকার। আবাপমাৎসধ্্য-_ গৃহাদি বিষয়ক আধিক্যবোধ। কুশলমাতসর্ধ্য-লোকোত্বর ধর্দের অভিমান বণমাতসর্ধ্য ব্রাহ্মণত পবিভ্রত্বাদি ঘটিত শ্রেষ্ঠতা বোধ ইহার ছার! বুঝ গেল যে, জাত্য- ভিমান বৌদ্ধধর্মের অনভিমত। অর্থাৎ বৌদ্ধের জাত্যভিমান ত্যাগ কর! বিধেয়

চতশ্রঃ শ্রন্ধাঃ। তদ্যথা--আধ্যসত্যং ত্রিরত্বং কর্ম কর্মীফলঞ্চেতি ।--চতুর্বিিধ জার্ধয মতা পরে বল! হইবে। ত্রিরতু বল! হইয়াছে সেই ছুই এবং কর্ম কর্মের ফল। এই চারি প্রকার শ্রদ্ধ। অর্থাৎ শ্রদ্ধার যোগ্য ফলিতার্থষ সকল অব্যর্থ বিশ্বান্ত |

দানং গত্রিবিধং | তদ্যথা-- ধর্মদানং মামিষদানং মৈত্রীদানঞ্চেতি। দান ভিন প্রকার ধর্মদান, দ্রব্যদান মৈত্রীদান বা অভয় দান।

ত্িবিধং কর্ম্ম। তদ্যথা-_দৃষ্টধশ্মবেদ নীয়ং উৎপদ্যবেদনীয়ং অপরবেদনীয়-

টাকার ব্যবসা নুদ গ্রহণ কর! বৌদ্ধধর্থে নিষিদ্ধ উপরেশ অর্থাৎ সংসারছুঃখ উৎপত্তির সহকারী কারণ

দশম পরিচ্ছেঘ। ১৪৩

ফেতি।-_কর্ণ শবের রা ্শনষ্ঠান তজ্জনিত সংস্কার। এই সংস্কার পুণ্য পাপ নামে খ্যাত। তাহু। ভ্রিবিধ অর্থাৎ তিন প্রকার। কোন কোন কর্শের ফল দৃষ্টধর্মবেদনীয় অর্থাৎ এতৎ শরীরে অনুভুত হয়। যাহা এততশরীরে ভোগ বা অনুভূত হয় তাহ! দৃষ্টধর্মবেদনীয়। কোন 'কোন পূর্বকৃত কর্মের ফল বীজভাব প্রাপ্ত হইয়া! এই শরীর ব৷ শরীরান্থুর জন্মায়্। যাহা! শরীর জন্মাইয়াছে শারীর বিনাশ করিবে তাহা বৌদ্ধশান্ত্রে উৎপদাবেদনীয় নামে পরিভাবিত। যে সকল কর্ম এতৎশরীরে সঞ্চিত হইয়া আগামী জন্ম প্রসব করিবে অর্থাৎ জন্মাইবে-_সেই সকল কর্ম তৎশাস্্ে অপরবেদনীয় নামে কথিত হয়। আমাদের শাস্ত্রে এবংবিধ ধর্মত্রয় প্রারন্ধ, সঞ্চিত আগামী নামে পরিভাধষিত। পাত্ঞুল যোগশাস্ত্েও ইহ! “দৃষ্টাদৃষ্টবেদনীয়” ইত্যাদি ক্রমে কথিত হইয়াছে।

ত্রীণ্যকুশলমূলানি। তদ্যথা।-লোভোমোহেো দ্েষশ্েতি। এতদ্বিপ" পর্ষ্যয়াং ত্রীণ্কুশলমুলানি। তদ্যথ1।--অদ্বেষো২লোৌভোহমোহুশ্চেতি ।-- নির্বাণই পরম কুশল। তদ্বিপরীত সংসার অকুশল। অকুশলের মূল তিন” প্রকার। লোভ, মোহ, ঘ্বেষ এবং কুশলের নিদ্দান অলোভ, অমোহ অন্বেষ। চিত্তস্থ লোত মোহ ঘ্বেষ পরিত্যাগ করিতে না! পারিলে নির্ববাণ ধর্মে অধি- কারী হওয়া যায় না।

তিশ্রঃ শিক্ষা 1 তদ্যথা-_-অধিচিত্তশিক্ষাহধিশীলশিক্ষাইধি গ্রজ্ঞাশিক্ষাচেতি 1--- শিক্ষ! "তিন প্রকার। তদ্যথ1-_চিত্তনন্বন্ধীয়, লীপসন্বন্ধীয় প্রজ্ঞ[সন্বন্ধীয় চিত্ত, শীল, প্রজ্ঞ॥ এই তিন প্রকার পদার্থ শিক্ষাধিকারে ব্যবহৃত আছে। "অর্থাৎ বুদ্ধের উপদেশ মাল! অবলম্বন করিয়া তিন পদার্থের সমস্ত অধিকার শিক্ষা করিতে বা আয়ত্ত করিতে হয়। ইহার অবান্তর প্রভেদ দশ প্রকার; তাহ! বুদ্ধতীবন উপদেশে কথিত হইয়াছে

চত্বারোব্রদ্ষবিহারাঃ। মৈত্রীকরুণামুদিতাপেক্ষা চেতি।-_সর্বভৃতে সৌহার্দ স্বাপন করার নাম মৈত্রী পরছুঃখ হরণেচ্ছারূপিণী কপার নাম করুণা পুণ্য বাপের পুণ্যে হষ্ট হওয়ার নাম মুদিতাঁ। অপুণ্যশীলের প্রতি হর্ষবিষাদাদি বর্জন করার নাম উপেক্ষা একাধারে এই চারিটা অবস্থান করিলে তাহ! ব্রহ্মবিহার নাষে খ্যাত। (ইহাই আমাদের গীতাশান্্রের ব্রাহ্গী স্থিতি )। |

যট্পারমিতা। তদ্যথা-_দানপারমিতা শীলপারমিত! ক্ষান্তিপারমিতা বীর্ধ্য-

» পারমিত| ধ্যানপাঁরমিত। প্রজাপমরমিতা চেতি।- পারমিতা অর্থাৎ পরমভাব।

১৪৪. বুদ্ধদেব -..

অখব! উৎকর্ষ (কাষ্ঠা প্রাপ্তি) দান অর্থাৎ ত্যাগ। দান; শীল, ক্ষমা, বীর্য কারা; ধর্দমলাভে উৎসাহ, ধ্যান, প্রজা, এই ছত় প্রকীর পদার্থ বৌদ্ধনিদদিষ্ট পারমিতা) চত্বারি সংগ্রহবন্তনি। দানং শ্পি্বচনমর্থচ্ধযা সমানার্থতা চেতি।” দাঁন, প্রিয়বাঁকা, অর্থচর্ধ্য! অর্থাৎ বস্তততব্বান্বেষণ, সমানার্থত। অর্থাৎ মুমদশিত।,. এই চারিটী সম্যক্রূপে গ্রহণীয় অর্থাৎ স্বীকাধ্য বা আঁদরণীয়। চ্বারধ্যাধ্যসত্যানি। তদ্যথা-_-ছুখং ' সমুদয়! নিরোধে! মার্গস্চেতি 1-- দুঃখ, উৎপত্তি, নিরোধ অর্থাৎ বিনাশ মার্ঁ। (প্র দকলের পথ বা নিমিত্ত ) এইও চারিটী আর্ধ্যসত্য নামে পরিভাষিত ++ চতলোধারণ্যঃ | তদ্যথা--আত্মধারণী, গ্রস্থধারণী, ধর্মধারণী, মন্ত্রধারণী - চেতি।--আত্মধারণী অর্থাৎ আত্মজ্ঞানে রতি এইরূপ, গ্রন্থে রতি, ধরে রতি. মন্ত্রে রতি * | যড়নুস্থৃতয়ঃ। বৃদ্ধানুস্থৃতিঃ ধর্ানুস্থৃতিঃ সংঘাস্থৃতিষ্তাগান্তস্থৃতিঃ শীলানুশ্মু তিরেবানুস্থতিশ্চেতি ।-_অনুস্থতি শব্লের অর্থ অনুসরণ বুদ্ধের অনুসরণ, ধর্মের গঅনুসরণ, সংঘের অর্থাৎ ধান্মিক বৃদ্ধের অনুসরণ, ত্যাগের অনুসরণ, শীলের অনুদরণ, দেবাগুসরণ, এই চতুর্কিধ অনুদরণ। ( অনুস্থৃতি » অনুষ্যতি ) চত্বারি ধর্মপদানি। তরদ্যথ!--অনিতা2 সর্বসংস্কারাঃ। দুঃখাঃ সর্ব- সংস্কারাঃ। নিরাত্মানঃ সর্বসংস্কারাঃ। শাস্তং নির্বাণঞ্চেতি ।-- সংস্কার বা ভাববিকার মাত্রেই অনিতা & সমস্তই ছুঃখ, সমস্তই নিরাত্মা অর্থাৎ দিংস্বরূপ (খ-পুষ্পাির স্তায় তুচ্ছ) এবং শান্ত নির্বাণ পরমার্থ। এই চারিটা ধর্ম্পদ নামে খ্াত। এই চারিটার তথ্য বাঁ বথাযথরূপে গ্রতীত হইলে তাহা হইতে * মনুযোর অমানুষ্য ধর্ম লব্ধ হয়। মনুষ্যোত্বর ধর্মলাভ বুদ্ধ হওয়া সমান কথা। গতয়ঃ টু তদ্যখা-_নরকক্তীর্ধ্যক্‌ প্রেতে হস্থুরে! মনুষ্যো দেবশ্চেতি 1 নরকগতি, তির্ধ্যকৃগতি, €প্রেতগতি, অস্থরগতি, মঙ্গষ্যগতি দেবগতি। গতি শবের অর্থ প্রাপ্তি। নরকগতি অর্থাৎ নরকপ্রাপ্তি। তিথ্যকগতি -তীর্য/ক্‌ দেহপ্রান্তি ইত্যাদি। 1

৮৫১৫--225 * হিন্দুদিগের স্যার বৌদ্ধেরাও মন্ত্র মানে মন্ত্র পাঠ করে। সন্তরজপও করে) তাহাদের এক প্রকার মন্ত্রের নাম শন্তযয়ন গাথা এই স্বস্ত্যরন গাথা মহাবন্ত অবদান গ্রন্থে দেখিতে পাইরেন। ব্বস্তযয়ন গথা গাঁন করিলে উৎপাত নিবারণ মঙ্গল হয় . + ইহার বায়! জান! গেল হে বৌদ্ধের! কর্ম মানে, কর্মের ফলও মানে কর্মের ফল দ্বর্গ নরকাঁদি গতি, তাহাও মানে অস্ত শৃত্রে কথ। যিশ্পষ্টক্প কথিত আঁছে।

দশম পরিচ্ছেদ | ১৪৪

ষড়ধাতবঃ। পৃথিব্যপ-স্তেজৌ বায়ুরাকাশে বিজ্ঞানঞ্চেতি।-_পৃথিবী, জল, তেজ, বায়ু, আকাশ বিজ্ঞান। এই ছয়টা ধাতু। অর্থাৎ শরীর ধারণোপ- যোগী পদার্থ অষ্টটো বিমোক্ষাঃ। তদ্যথারুপা কপাণ পণ্তাত শন্তন। অধ্যাত্ম রুপদংক্ঞী বহিধণ রুপানি পশ্ততি শূন্যম। আকাশানন্তায়তনং পশ্ততি শ্ন্তম্‌। বিজ্ঞানানস্ত্যায়তনং পশ্ঠতি শূস্তম্। আকি্চন্তায়তনং পশ্ততি শৃন্তম্‌। নৈবসংজ্ঞানা- জ্ঞারনতনং পশ্ঠতি শুন্তম.। ' স্ংজ্ঞাবেদয়িতনিরোধং পশ্ঠতি শুন্তম.।--মোক্ষ বা মুক্তি ছয় প্রকার। রূপ শূন্য দর্শন (সাক্ষাৎকার ), আধ্যাত্মিক অরূপ অবস্থা সাক্ষাৎকার; আকাশানস্তয সাক্ষাৎকার, অনন্তবিজ্ঞানের আয়তন সাক্ষাৎকার, আকিঞ্চন্ত আয়তন সাক্ষাৎকার, নৈবসংজ্ঞানাসংজ্ঞায়তন দর্শন অর্থাৎ সাক্ষাৎকার এবং সংজ্ঞাবেদনানিরোধসাক্ষ।/ৎকার। এই মোক্ষ ষটকের মধ্যে চরম মোক্ষ নির্মাণের সমানার্থক | বৌদ্ধেরা যাহাকে নির্বাণ বলে, হিন্দুরা তাহাকে কৈবলা বলে। হিদ্দুরাও নির্ব্বাপ শব্ধ ব্যবহার করে) কিন্তু তাহা নববৌদ্ধাভিমত 'আত্মনিরোধরূপী নহে। তাহ। আত্মকৈবল্য। ভগবান শাক্যসিংহ নির্বাণকে আত্মকৈবল্য বলিয়া জানিতেন, ( পরিশিষ্ট দেখ )। দ্বাদশ ধৃতগুণাঃ। পৈগুপাতিকস্ত্েচীবরিকঃ খলু পশ্চান্ুক্তিকো৷ বথ! সং রিকে। বৃক্ষমূলিক একাসনিক আত্যাকামিক আরণ্যকঃ শ্তাশাণিকঃ পাংশুকুলিকো নাম- তিকশ্চেতি '-_-ধৃত শব্দের অর্থ ভিক্ষু তাহ দ্বাদশ প্রকার। পিওপাতিক--গ্রাস- যোগা অন্ন ভিক্ষা করিয়া জীবন ধারণ করে। ত্রেচীবরিক অর্থাৎ অন্তর্বাস "বহি মাত্র ধারণ করে। পশ্চান্তক্তিক অর্থাৎ (দিবাশেষে ভিক্ষা লন্ধ অন্নের দ্বারা আহার নির্ধযাহ করে। নৈষদ্যিক অর্থাৎ এক স্থলে থাকিয়া! যদৃচ্ছালব অন্েয় দ্বারা জীবন ধারণ করে। যথা সংস্তরিক অর্থাৎ যদৃচ্ছালন্ধ শখ্যায় শয়ন করে। বৃক্ষমূলিক, একাসনিক, ছুটীর অর্থ সহজ। অভ্যককাশিক, যাহার! বিরল বাস করে। আরণ্যক, শ্মাশানিক, এই ছুই শবাও সহজ। পাংগুকুলিক অর্থাৎ ধুলিশয্যাশায়ী। নামতিক অর্থাৎ নানাতিক্রমী--নাম প্রকাশ করে না। চত্বারি ধ্যানানি। তদ্‌যথ।-_ সবিতর্কং সব্চারং বিবেকজং গ্রীতিম্থথশ্চেতি প্রথমং ধ্যানম্‌। অধ্যাত্ম গ্রসাদাৎ শ্রীতিনুখমিতি ছ্বিতীয়ম্‌। উপেক্ষা স্বৃতিসংপ্রজন্তং স্থখমিতি তৃতীমম্। স্থৃতিপরিশুদ্ধিরহুঃখাহসুখ। বেদনেতি চতুর্থং ধ্যানমিতি * --বুদ্ধাভিমত এই ধ্যান চতুষ্কস বুদ্ধের জীবনীভাগে বিশদরূপে বল! হইয়াছে।

১৪৬ বুর্ধদেব।

দশ ভূময়ঃ(--ভূমি শবের অর্থ ধ্যানারূচ পুরুষের পর উন্নত অবস্থা ইহা দশ প্রকার প্রমুদিতা, বিজলা, প্রভঙ্করী, অঙ্গিম্মতী, সুূর্জয়া, অভিমুখী, দূরং গমা, অচলা, সাধুমতী, বা মধুমতী, সর্বশেষে ধর্মামেঘ কেহ কেহ সমস্তপ্রভা, নিরুপম| জ্ঞানবতী, এই তিন ভূমিও বলেন। সকলের আংশিক বিবরণ পশ্চাৎ*বলা হইবে। পাতঞ্জল যোগশাস্ত্রোক্ত ভূমির সহিত বৌদ্ধাভিমত ভূমির

অনেক স্থলে প্রক্য দেখা যায়।

ত্রীণি বৈশারদ্যানি।--অভিসম্বোধি বৈশারদ'* আশ্রবক্ষয়জ্ঞন বৈশারদা, নৈর্বাণিকমার্গাবতরণৰৈশারদ্য, এই তিন বৈশারদ্য |

চত্বারে। মারাঃ।--মার শবে কাম। অথব! ভয়াদির উদ্বোধক দেবতা বৌদ্ধ মতে ইহ! প্রকার স্বদ্ধমার, ক্লেশমার, দেবপুত্র মার মৃত্যুমার। বুদ্ধ এই চার প্রকার মার জয় করিয়া মারজিৎ নামে প্রখাত হইয়াছিলেন। জীবনী দেখ)

বোধিসত্বানাং দশ বশিত| ।--আযুর্বশিতা, চিত্তবশিতা, পরিফাঁরবশিতা, ধর্মবশিত1, খদ্ধিবশিতা, জন্মবশিত!, অধিমুক্তিবশিতা, প্রণিধানবশিত1, কর্দ- বশিতা জ্ঞান্বশিতা। অর্থাৎ আয়ু, চিত্ত, ধর্ম, খন্ধি, জন্ম, অধিমুক্তি, প্রণিধান, কণ্ম, জ্ঞান, সমস্তই তাহাদের বশীভূত বা অধীন।

চত্বারে! যোনয়ঃ। তদ্যথা--অগুজঃ শ্বেদজঃ জরাযুজঃ উপপাদ্রকশ্চ ।--. চারি প্রকার যোনি অর্থাৎ উৎপত্তি স্থান বাদেহ। অগুজ, দ্রেদজ, জরাযুজ উপপাছুক পক্ষী প্রভৃতি অগুজ, দংশ মশকাদি শ্বেদজ, মনুষ্যাদি ,জরাযুজ এব* দেবদেহ সকল উপপাছক। এতন্মতে উদ্ভিজ্জ দেহ শ্বেদজ দেহের অন্তর্গত

দ্বেসত্যে। তদ্যথা--সংবৃতিসত্যং পরমার্থ-সত্যঞ্চেতি।--সত্য দ্বিবিধ। এক সংরৃতি সত্য অর্থাৎ ব্যবহারিক সত্য; দ্বিতীয় পরমার্থ সত্য। [ এই স্থানে বেদাস্তের মত স্থান পাইতে পারে।]

শ্রীলং ত্রিবিধং। তদ্যথা-_সস্তারশীলং কুশলসংগ্রহশীলং, সত্বার্থক্রিয়- শীলঞ্চেতি 1--ধর্্সম্ভার, কুশলকার্ধ্য পরোপকার। এই তিন প্রকার শীল অর্থাৎ বুদ্ধগণের চরিত্র বা স্বভাব।

ক্ষান্তিস্রিবিধ! | তদ্যথা_- ধর্ম্মনিধ্যানক্ষাস্তিছু ঃখা ধিবাসনক্ষাস্তিঃ পরোপকার- ধর্মক্ষাম্তশ্চেতি।-- ক্ষান্ত অর্থ।ৎ ক্ষমাগুণ বা সহা করা। তাহা ত্রিধিধ। ধর্থের কঠোরত। সহ করা, শীতোফণাদিজনিত দুঃখ সহা করা পরোপকারারথ ক্লেশ হ্ীকার করা

একাদশ পরিচ্ছেদ নয

প্রজ্ঞা ভ্রিবিধা। তদ্যথা--শ্রুতময়ী চিন্তামগ়ী ভাবনামর়ী চেতি।-_-প্রজ্ঞা তিন প্রকার ১ম। ক্রতময়ী--যাহ! শাস্্রশ্রবণে জন্মে ২য়। চিস্তামরী--যাহ। চিন্তাবলে জন্মে। : শগ্। ভাবনাময়ী--যাহা।প্রণিধান বলে প্রকাশ পায়। জানং ভ্রিবিধং | তযথা--অবিকল্পকং বিকল্পসমভাববোধক ; সত্যার্থাপায়ো- পরভ্রঞ্চেতি।-_নির্ষিকল্প, সবিকল্প.ও পরমার্থসত্যোপরক্ত, এই তিন্‌ প্রকার জ্ঞান। নৈরাস্মাং দ্বিবিধং। ধর্মনৈরাস্তযং পুর্গলনৈরাত্যঞ্চেতি ।-_-নৈরাস্থ্য অর্থাৎ শৃন্যত1। তাহ! দিবিধ। ধর্মনৈরাত্য পুগলনৈরাস্ম্য পুদগল শবের অর্থ দেহ। এতন্মতে দ্বেছাধিষ্ঠাত। আত্ম! স্থিরশ্বভাব নহে ; সুতরাং তাহাও শুন্তকল্প। চত্বারো দ্বীপাঃ। পূর্ববিদেহঃ জঙ্ব,দ্বীপং অপরগোদানিঃ উত্তরকুরু দ্বীপ- শ্চেতি।--দ্বীপ ৪টী পূর্বববিদেহ, জদ্ুদ্বীপ, অপরগোদানিক উত্তরকুরু। অষ্টাবুষ্ণনরকাঃ1 তদ্যথ|-_সংজরঃ কালহুত্রঃ সংঘাতো। রৌরবে! মহারৌরব স্তপনঃ প্রতাপনোহ্বাচিশ্চেতি ।--৮ প্রকার নরক। সঞ্জর, কালহ্ত্র, সংঘাত, রোৌরব, মহারৌরব, ভপন, প্রতাপন অবীচি। বৌদ্ধদিগের মহাবস্ত অবদান গ্রন্থে এই নরক অতি চমৎকার রূপে বর্ণিত হইক্সাছে। পাঠ করিলে স্বৎকম্প রোমাঞ্চ জন্মে ষটু কামাবচর1 দেবাঃ। তদ্যখা--চাতুর্শহারাজকায্িকা স্তরয় স্তিংশতুধিত। যাম্া। নিশ্মীণরতয়ঃ পরিনিশ্মিতবশবর্তিনশ্চেতি (--কামচর দেবত। ছয় শ্রেণী, তুক্ত। চতুর্মহারাজিক, তুধিত, ঘাম, নির্্মাণরতি, কারিক পরিনিন্মিত- *“বশবর্তী। আমাদের যোগ শাস্ত্রে এই চারিশ্রেণীর দেবতা বর্ণিত আছে। অষ্টাদশ রূপাবচর| দেবাঃ। তদ্যথা-_ব্রন্ষকায়িকা ব্রদ্দপুরোহিত| বহ্ধ- পার্ধগ্া মহারক্ষাণঃ পবিত্রাভ। অগপ্রমাণাভা আভাম্বরাঃ পাবত্রগুভাঃ শুতরুত্ম। অনত্রকাঃ পুণ্যপ্রসঝ বৃছৎকালা অসজ্ঞিসত্ব। অবৃহ! অতপাঃ সুদৃণাঃ সুদশন! অকানিষ্ঠাশ্চেতি। চস্থারোৎ রূপাবচরাঃ। তদ্যথা--মকাশানজ্ত্যা়তনোপগ। বিজ্ঞানানস্ত্যায়তনোপগ! অকিশ্চ ভ্যায়তনোপগা নৈবসংজ্ঞানাসংজ্ঞার়তনোপগা। শ্চেতি ।--এ সকল দেবতার কিছু কিছু বৃত্তাত্ত পরিশিষ্টে বল! হুইবে। পঞ্চ স্বন্ধাঃ(__ রপস্থন্ধ, বেদনাস্বন্ধ। সংজ্ঞান্দ্ধ, সংস্কারস্বন্ত বিজ্ঞানমবক্ধ। জগৎ এই পাঁচ স্দ্ধে ঘা! পাঁচ বিভাগে বিভক্ত। বিভাগ বৌদ্ধদিগের দর্শন শাস্ত্রের মধে) প্রদর্শিত আছে এবং পুস্তকেও সংক্ষেপে বলা হইতেছে।

১৪৮ বুদ্ধদেব

ছাদশার়তনানি | চক্ষু, শ্রেজ, ত্রাণ, জিহব!, কায অর্থাৎ ত্বক, মন।*এ

গুলি রূপ) গন্ধ, শব, রস, স্পর্শ; ধর্ম, এই বার আয়তন 1 ' অষ্টাবশ ধাতবঃ।--চক্ষু, শ্রোত্র, ঘ্রাণ, জিহ্বা, কার বা ত্বক, মন, কূপ,

গন্ধ, শব্ধ; বস, স্পর্শ, ধর্ম, চক্কুথিজ্ঞান, শ্রোত্রবিজ্ঞান, আ্ণবিজ্ঞান, জিহ্বাবিজ্ঞান, দ্বকৃবিজ্ঞা্ধ মনোবিজ্ঞান। মিলিত এই অষ্টাদশ গণ্য বিভাগও দার্শনিক |

হতৈকাদশ বধপন্থন্ধাঃ ।-_-চক্ষুঃ, রো, ভ্রাণ না ত্বক, রূপ, শব, গন্ধ, ঝসস্পর্শ ওবিজ্ঞান। এই একাদশ রূপস্কন্ধের অন্তনিবিষ্ট। এইরপে রূপ- সকব্বের বিভাগ ঝ| বিচার হইয়। থাকে বেদনাস্কন্ধের বিভাগ এইরূপ-_-

বেন! ভ্রিবিধা ।-_-বেদন!-শবের অন্ত নাম অনুতব। তাহা তিন প্রকার। সখ, দুঃখ উভয়াতীত। | এই স্থানে বেদীন্তের বিশেষ সম্মতি দেখা যায় ]1

সংজ্বন্ধের বিভাগ নিমিত্তের অনুযায়ী অর্থাৎ কারণোদ্রেক অনুসারী।

সংস্কার স্কন্ধের বিভাগ এইরপঃস্সংস্কার ছই প্রকার। প্রথমতঃ এক প্রকার, দ্বিতীয়তঃ অন্ত প্রকার চিত্তপ্রযুক্ত চিন্তবিযুক্ত। চিত্তপ্রযুক্ত সংস্কার ৪৭ যথ1---

বেদনা, সংজ্ঞা, চেতনা, ছন্দঃ, স্পর্শ», মতি, স্মৃতি, মনগ্কার, অধিমোক্ষ, সমাধি, শ্রদ্ধা, প্রসাদ, প্রশ্রন্ধি, উপেক্ষ!, লজ্জাসামান্ত, লজ্জাবিশেষ, লোভ, অদ্েষ, অহিংস, উৎসাহ, মোহ, প্রমাদ, কৌসীদ্য অর্থাৎ ভোগ তৃষ্ণা, অশ্রনধ, আলস্ত, ওদ্ধত্য, অলসভাব, অনপত্রত্ব, ক্রোধ, উপনাহ, শাঠ্য, ঈর্ষা, প্রদ্দাশ, অক্ষ ?, মাৎসর্ধয, মায়া, মদ, বিহিংসা। বিতর্ক বিচার। এতত্তিন্ন, চিত্রবিপ্রযুক্ত , সংস্কার ১৩! ““চিন্তবি প্রযুজ্সংস্করান্ত্রয়োদশ ! ধধ।-স্প্রাপ্ডি, অপ্রাপ্তি, সভাগতা, অমংজ্ঞিক, সমাণ্ডি, জীবন, জন্ম, জরা, স্থিতি, আনিত্যতা। নামকার, পদ্কার ব্ঞ্জনফার।

বিজ্ঞানবিন্তাগে প্রকার অবাস্তর বিভাগ আছে। বথা-_-“ষট্বিষয়া, রূপ, শব, গন্ধ, রস, স্পর্শ ধর্মা। এসকল আলয়বিজ্ঞান মূলক

রূপং বিষযন্বভাবম্‌1--রূপ শব্দের অর্থ দৃপ্ত, তাহ! বিষয়ন্থভাব। বিষয়- খঁডাৰ রূপ নীগ, পীত, লোহিত, অবদাত, হুরিত, দীর্ঘ, ইশ্বর পরিমণ্ডল, উন্নত, অধ্ধনত, সাত, বিসাত, অস্ছ, ধুত্্, রজন, মহ্কা, ছক আন্তপ, আলোক অন্ধকাযাস্বক,।

একাদশ পরিচ্ছের। ১৪৯

সপ্ত প্ুরুষবাকৃশব্বাঃ। সপ্ত পুকুষহস্তাদিশক! এত এব মনোজ্ঞাংমগোজ-. ভে্দেনাষ্টীবিংশতিঃ--পুকষোচ্চারিত বাক্যন্ধপ শব টুপ্রকার। হস্তাদিজনিত শব্বও প্রকার। সে সকল মনোজ্ঞ অমনোজ্ঞ ভেদে দ্বিবিধ। সর্বসমেত ২৮ প্রকার পরিষ্কার কথ! অর্থাৎ বাকৃশক্তি সমুখ শব নির্গীবপত্যর্থস দুখ শব্ধ উক্ত উভয়প্রকারে বিভক্ত

রসঃ ষড়ব্ধঃ1--রস প্রকার। মধুর, অন্ন, লবণ, কটু, তিক্ত কার

চত্বারোগন্ধাঃ ।--গন্ধ চতুর্বিধ! সুগন্ধ, দুর্গন্ধ, মমগন্ধ বিষমগন্ধ

এই সমূদায় বিভাগ বৌদ্ধদর্শনের অনুযায়ী এবং সকলের বিশেষ বিবরণ প্রত্যেক প্রধান বৌদ্ধ গ্রন্থে লিখিত আছে। প্র সকল পদার্থের সন্বদ্ধ জ্ঞানের নিমিত্ত একটা চিত্র প্রদত্ত হইল, মনোযোগ সহ দেখিলে পাঠ করিলে অধিকাংশ বোধগম্য হইতে পারিবে।

পূর্ণতাপ্রাপ্ত্যবস্থা দশ। -পুর্ণতা লাভের উত্তরোন্তর দশ প্রকার অবস্থ। শ্রেণী আছে। বথা--প্রমুদ্দিতা, বিমল, প্রভাকরী, অর্চিষ্মতী, সুহূর্জয়া, অভিমুখী, দৃরঙ্গমা, অচলা, মধুময়ী বা সাধুমভী, ধর্মমেঘ। এই দকল অবস্থা বর্গ ভূমি নামেও পরিভািত হইয়াছে !

এতাঃপারমিতাঃ---

দানং শীলরু শাস্তিশ্চ ধ্নং বীধ্যং বলং তথ! উপাগ়ঃ প্রণিধিঃ প্রজ্ঞ! জ্ঞ।নং সর্বগতং হি তৎ

দান অর্থাৎ ত্যাগ স্বীকার শীল-সাধুতা, ইহা দশপ্রকার। ইতিপূর্বে তাহা বর্ণিত হইয়াছে শাস্তি -অলংবুদ্ধি। ধ্যান বলা হইগ্ছাছে। , বীর্য্য--- নির্বাণ লাভে উৎসাহ। বল দশ প্রকার, তাহা পরিশিষ্টে .বল! হইবে। উপায়ও বলা হইবে। প্রণিধিনিগুঢ় জ্ঞান অধবা হুক দশন। প্রজ্ঞ/--জ্ঞানের উন্নত অবস্থা ব! একপ্রকার সর্বগত জ্ঞান যাহ] সার্বভৌমিক সত্যের বা লোকে! ভর ধর্মের প্রতীতি আখ্যায় প্রসিদ্ধ

ক্রয়মৌন্রত্যম্‌ ।-_ নির্বাণ জ্ঞান লাভ হইলে ত্রিবিধ উন্নতির অবস্থা! আইসে। প্রথমে বোধিসত্ব, পরে অর ততপরে বুদ্ধ বুদ্ধ হওয়াই চরম উন্নতি

উপায়ে! ছিবিধঃ।--উপায় ছুই প্রকার। প্রতিকূল অনুকূল। এই উপায় ছয়ের বিবরণ এইবূপ-_. * প্রথমে প্রতিকূল, পরে অনুকূ্ী। প্রথমোটা দশ প্রকার? ছিতীরটা অষ্টা্

অক বুদ্ধদেব প্রতিকূল খখস্-আদ্ধুদ্রম বা শ্থকীয় দ্বৈতৈ ভাব। সন্দেছ। লীলত্রক্ষপর়ামর্শ ঝা ক্রিয়াকলাপে আহুরক্তি। কাম। ক্রোধ। রাগ (ইহ জীবনের স্বর্গীয় জীবনের" স্পৃহা )। মান। ওদ্ধত্যদ আধিক্য। অনুকূল বথা--সম্যক্‌ দুষ্ট ইন্তাদি সম্যক্‌ দৃষ্টি প্রভৃতির স্বরূপ বল! হইয়াছে।

ছঃখং পঞ্চবিধম্‌ ।--বাগ, স্বেষ, মোহ প্রভৃতি পীঁচ প্রকার মানস বিকার ছুঃথ নামে খ্যাত। সকল তাববিকারই দুঃখ ছুঃথ প্রঠণিমাত্রেরই প্রতিকূল বেদনীয়। ছুঃখের বিনাশ হইলেই চিত্ত নির্বাণ লাতে ক্ষমবান্‌ হয়। চিত্ত হইতে নকল বিকার অপদারিত করিতে ন! প্রারিলে ছুঃখের অবদান হয় না দুঃখের অবসান অর্থাৎ নিরোধ ( অনুখান ) না হইলেও নির্বাণ লাভ হয় না।

বদ্ধ-বুদ্ধতাবৌ ।-_বুদ্ধ প্রাপ্তবুদ্ধভাব। তাঁৎপর্যার্থ এইরূপঃ-_মুলে এক আদিববুদ্ধ আছেন। তিনি নিত্যসিত্ব, অনাদি, অনন্ত, চিৎস্বরূপ, অশরীরীঃ মূলাধার সকলের কারণ।* তাহ! হইতে পৃথক পঞ্চ বুদ্ধ আবিভূ্তি হয়। সেই সকল বুদ্ধ আদি বুদ্ধের অধীন। ইহার! পঞ্চভৃত পঞ্চেক্দ্িয় পঞ্চ মনো- বৃত্তির সাক্ষাৎ কারণ। সেই পাঁচ আত্মরূ্প হইতে ব্রিবিধ সৃষ্টি হ্ইয়াছে। পৃথিবীর রূপ বিভিন্ন, জাতিও বিভিন্ন পণ্ড, পক্ষী, কীট, পতঙ্গ, মানব মানবীয় রচনা! বোধিসত্বদ্দিগের ক্রিয়া এবং বোধিসত্বেরাই প্র সকলের শাস্তা। এই জড়াজড় অর্থাৎ চেতনাচেতন বাহিত জগৎ উল্লিধিত পঞ্চ বুদ্ধ হইত জন্মলাভ. করিয়াছে। আদি বুদ্ধ এতৎসমূহের উদাসীন ত্রষ্টা অর্থাৎ সাক্ষিরগী। ষ্ঠ বুদ্ধ ব্নব। এই বজ্জসত্ব আদি বুদ্ধ হইতে উদ্ভূত হইয়! মানবের, চিত্ত। তাজ 'বেদন। অনুভব ) উৎপাদন করিয়৷ থাকেন। রত্বপাণি, বজপাণি, সমুস্তভঙ্, শন্পপাঁপি, এইট বুদ্ধ পঞ্চক বা পাচ তোধিসত্ব পর্যায়ক্রমে বিশ্বমগুলের স্থষ্থি শাসনকর্তা ছইয়। থাকেন। বর্তমান যুগের শাসন রক্ষাকর্তা পদ্মপাণি আবলোকিত্েশ্বর সকল কথ! নাগার্জুন কৃত ধর্শসথত্জ গ্রন্থে না থাকিলেও গঅভিধর্মচিন্তামণি সন্ধর্দপুগ্ুরীক নামক বৌদ্ধপ্রস্দ্ধয়ে আছে, সে জন্ত সকল কথ! বল! এতত্প্রবন্ধের অনুপযোগী নহে

ধস আত পা পপর

পসরা

.. * বাদি জুনের এই কএকটি লক্ষণ বেনাযোজৎ ব্রদ্মলক্ষপের সছিত সমান। ধক পচ বুদ্ধের সহিত বেণাস্তোঞ্জ হিরপাগর্ভাির রূপ সমান অনুভূত হয়।

ডাটা

এই বুদ্ধদেব পুস্তক লিখিতে সে সকল কাঁধ! অবস্ঠ বক্তব্য বলিয়া স্থির ছিল--- তাহার অনেক কথা সেই সেই স্থানে সন্নিবেশিত হয় নাই এবং অনেকগুলি বর্জব্য “পরিশিষ্ট, দেখুন” বলিয়া ফুট্নেটে বরাৎ দেওয়। হুইয়াছে। সুতরাং তদনুরোধে এই সংক্ষিপ্ত পরিশিষ্ট প্রস্তুত হইল। ইহাতে যে সকল তথ্য সন্নিবিষ্ হইল, বিবেচন! হয়, তন্বারা এতৎ পুস্তকের বিশেষ পুষ্টি প্রপাধিত হইবে।

(ক) সুজাতশ্য খলু ঈক্ষাক্ষু রাজ্ঞে। পঞ্চ পুত। অভূঘি। ওপুরোনিপুরো৷ করকওকো। উচ্া মুখে হস্তিক শীর্ষে।_

| ইত্যাদি মহাবস্ত অবদান গ্রন্থ দেখ।

(খ) অন্ুহিমধন্তে কপিলে। নাম ধষিঃ প্রতিবসতি পশ্চাঁভিজ্ঞ চতুধ/ানলাতে। মহদ্ধিকো মহানুভাবে। তন্ত

তং আশ্রমপদং মহাবিস্তীর্ণং রমণীয়ং মূলপুস্পোপেতং পঞ্রোপেতং কফলোপেতং পানীয়োপেতং মূলসহস্র উপশোভিতম্‌ মহং চাত্র শাকোটবনখণ্ডম্‌। ইত্যাদি

[ মহাবস্ত অব্দান। (গ) চমাত্া। আহন্ন্ঃ। মহারাজ অনুহিমবন্তে মহাশকোটবনখণ্ডং

তাহুং কুমার! প্রতিবসস্তি | পু [ ইত্যাদি মহাবস্ত গ্রন্থ দেখ

»€(ঘ )ঘ চিন্তিত পরিশিষ্টে ললিত বিস্তরের গাখ৷ উদ্ধৃত করিবার অভিপ্রান্থ ছিল ; কিন্তু নিশ্রয়োজন বিধান্ন তাহ। পরিত্যাগ করা হইল। সর্ভক্ত, সুুগত, বৃদ্ধ, ধন্বরাজ, তথাগত, সমস্তভদ্র. ভগবান, লোকজিৎ, মার- জিৎ. জিন, জিন্‌, বড়ভিজ্ঞ, দ্শবঙ্গ, অদ্থয়বাদী, বিনায়ক, মুনীন্্র, *ভ্ররঘন, শান্তা মুনি, - এই সকল নাম পূর্ব্বাপর সমুদয় বুদ্ধের আর শাক্যসিংহ, সর্ববার্থ সিদ্ধ, শৌদ্ধোদনি, গৌতম, অর্কবন্ধু মায়াদেবীন্ুত,৮-এই ৬টা নাম কেবলমাত্র শাক্য- সিংহের শাক্যসিংহ শেষ বুদ্ধ, নে জন্য তাহারও ১৮ নাম ব্যবহৃত হ্য়। বৌদ্ধমতে তথ। শকের অর্থ সত্য; তাহা তিনিই জানিক্লাছিলেন। সে কারণে

তাছার নাষ * হথাগত” |

১৫২ বুদ্ধদেব।

দিব্য চক্ষুঃ শ্রোজ, পরচিত্তজ্ঞান, পূর্বনিবাসান্ুস্থতি অর্থাৎ জাতিশ্বরত্ব, আত্ম- জান, আকাশগমন কায়বুহসিদ্ধি, এই শ্টী সম্যকৃরূপে জানিতেন বলিয়। তাহার ন্যম ফড়ভিজ্ঞ। দান, শীল, ক্ম। বীর্য অর্থাৎ ধর্দবীরত্ব, ধ্যান, ' প্রজ্ঞা, উপায় ( অনুকূল প্রতিকূল পথন্বয় ), প্রণিধি সর্বব্যাপী জ্ঞান অর্থাৎ সর্ব জ্রতা ;--এই দশ প্রকার বল অর্থাৎ সামর্থা থাকায় বুদ্ধ মাত্রেই “দলবল” নামে খ্যাত।

পুর্বে বলা হইয়াছে, বুদ্ধ বোধিসত্ পৃথক |. বুদ্ধলক্ষণও সে স্থানে বল! হইয়াছে; কিন্তু বোধিসত্বের একটি পৃথক লক্ষণ আছে, তাহা বলা হয় নাই। সেটা এই-- “লোকে ভগধতে -্লোক-নাখাদারস্ত কেবলম্‌। যে জন্তবে। গতক্লেশ। যোধিসত্বানধেহি তান্‌ সাগসেপি কুপ্ন্তি ক্ষময়। চোঁপকুর্বতে ঘোধিং শ্বক্তৈব নেচ্ছন্তি তে বিশ্বধরণোদামাঃ ভগবান লোকনাথ অর্থাৎ মহাভাগ শাক্যসিংহ হইতে আরস্ত করিয়। পর্য্যস্ত যে সকল জীব ক্রেশমুক্ত (নির্বাণপদ প্রাপ্ত ) হইয়াছে---তাহা দিগকে তোমরা বোধিসত্ব বলিয়া! জানিবে। বোঁধিনত্ব-বোধিপ্রাপ্ত জীব। বোধি অর্থাৎ সম্যক জ্ঞান। কেহ অপরাধ করিলেও বাহার! কোপ করেন না, প্রত্যুত ক্ষমা গুণে উপ- কার করেন, সদ1 অন্তকেও গতর্েণ (মুক্ত ঝ। নির্ব্বাপিত) করিতে সতত ইচ্ছুক, ভাহারাই বোধিসত্ব এবং তাহারাই বিশ্ব উদ্ধারার্থ উদ্যমগীল |

বৌদ্ধেরা বলে, বৌদ্ধধর্ম নবধন্প। ধর্ম পূর্বে লোকে প্রকাশ ছিল না, ভগবান্‌ শাকাসিংহ এই অশ্রুতপূর্বব ধন্ম পৃথিবীতে প্রচার করিয়! গিয়াছেন। তগবান্‌ শাঁকাসিংহ বুদ্ধ হইয়া নির্বাণ ধর্ম প্রচারিত করায় জগতের তাপ পাপ নিবারিত হইয়াছে, এই £বিশ্ব(দে বৌদ্ধেরা তাঁহাকে “জরামরণবিঘাতী ভিষগর” বলিয়া থোষণ। করে

বৌদ্ধদিগের মতে নন্ুত্যজন্ম অত্যন্ত কষ্টদায়ক জক্মিলেই জীবকে জরা-

পরিশিষ্ট। ১৫৩

মরণ ব্যাধির মৃত্যুর অধীন হইতে হয়। এজন মনুষ্য মাত্রেরই নির্বাণ কামনা করা অতীব কর্তব্য |

টি বৌদ্ধের! পুর্ববজন্ম পরজন্ম মানে একথা পুনঃ পুনঃ বল! হইয়াছে ইহা- দের মতে মানব নিজ কর্মের ফল ভোগার্থ বিবিধ যোনি পরিভ্রমণ করে। এমন কি, ভগবান্‌ শ।ক্যসিংহও হস্তী মৃগ প্রভৃতি পশু যোনিতে অন্তান্ত তির্যক্‌ যোনিতে উৎপন্ন হইয়া শেষে মগ্ুষাজন্ম -প্রাণ্ত হইয়াছিলেন। সংসার কষ্টে পরি- পূর্ণ, (নর্ববংণই সুখ কষ্টের শাস্তি।* | [ মহাবস্ত অবদান

বুদ্ধের উপদেশমালা মধ্যে ঈশ্বরের উল্লেখ দৃষ্ট হয় না। সেই জন্যই পরবতী বৌদ্ধরা প্রায়ই স্বভাববাদী। তীহারা বলেন, স্বভাব স্ষ্ট হয় নাই, চিরকালই এক অবস্থায় আছে। অনেক ইংরাভ পণ্ডিত এই মতে মত দিয়া থাকেন। পরবস্তী কোন বৌদ্ধাচার্্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিষেধাথ কৌশলময় কুটতর্কপূর্ণ গ্রস্থ প্রচার করির! গরিয়াছেন। তদ্ৃষ্টে আমর! আধুনিক বৌদ্ধদিগকে ঈশ্বর-নাস্তিক বলিয়! থাকি। কিন্তু ভগবান্‌ শাক্যসিংহের মনে যে কি ছিল--তাহ। আমর এখন অনুমান কর! ছুঃসাধ্য বোঁধ করি। পরবস্তী বৌদ্ধরা যে কয়েকটী বাক্যকে বুদ্ধ বাক্য বলিয়া প্রচারিত করিয়াছে বৰ! পরিচয় দিয়াছে - সেই বাক্যগুলি যূদ্দ সত্য সত্যই বুদ্ধমুখোচ্চারিত হইয়। থাকে, তবে অবশ্তই সেই বাক্যের তাৎপর্ধয অনুসারে বুদ্ধদেবকে স্বভাববাদী বলিয়া স্থির করা যাইতে পারে। বাক্যগুলি এই--

“উৎগাদাঘ। তথাগতানামনুৎপাঁদাছা স্থিতেশ্চৈযাং ধর্মানাং ধর্মিতা ধন স্থিতিতা ধন্মনিয়ামকত! প্রতীতাসমুৎপাদানুলোমেতেতি। অথ পুনরয়ং প্রতীত্ত- সমুৎপাদে! দ্বাত্যাং কারণাভ্যাং ভবতি হেতুপনিবন্ধতঃ প্রত্যয়োপনিবন্ধতশ্চেতি। যদিবং বীজাদস্কুরোহস্কুরাৎ পত্রং পত্রাৎ কাওং কাগ্ডাননালং নালাদগর্ভো গর্ভাচ্ছুক্রং শুক্রাৎ পুষ্পং পুষ্পাৎ ফলমিতি। অসতি বীজেহস্করো ভবতি যাবদসতি পুণ্পে

বস ইটস সপ হজ এনা

* ললিতবিষ্তর মহাবজ্ত গ্রথ দেধে।

১৫৪ বুদ্ধদেব

ফলম্প তবতি সতি তু বীজেহস্ক,রো, ভবতি যাবৎ পুষ্পে সতি ফলমিতি। তত্র বীজন্ত নৈবস্তবতি জ্ঞানং অহ্মক্ক,রং নির্র্তয়ামীত্যন্ক,র স্তাপি নৈবং ভবতি জ্ঞানং অহং বাঁঃজন নির্বস্তিত ইতি 1* ইতুযুক্তো হেতৃপনিবন্ধঃ। প্রত্যয়ে! -নিবন্ধঃ প্রতীতানমুতৎপাদন্তোচ্যতে প্রত্যয়ো হেতৃনাং সমবায় ইতি ধণ্নাং ধাতৃন্াং সমবায়াৎ বীজহেতুরস্কুরে৷ জায়তে তত্র পৃথিবী ধাতুঃ বীজস্ত সংগ্রহকৃত্যং করো'তি। বথাধস্কুরঃ কঠিনেো৷ ভবতি। অপ. ধাতুব্বাজং সেহয়তি তেজে| ধাতৃর্বাজং পরিপাচয়তি বাধুধাতুর্বাজমভিনিহ্রতি যতোহস্ক,রে! বীজানির্গচ্ছতি। আকাশ ধাতুবীজন্তানাবরণকৃত'ং করোতি। রূপ ধাতুরপি বীজন্ত পরিণামং করোতি। তদেতেষাং ধাতুনাং স্মবায়ে বাজে রোহত্যন্কুরে! তদ্জাক়তে নান্তথ1। তত্র পৃথিবীধাতে। নৈবং ভবতি জ্ঞানং তাবৎ অহমেব বীজন্ত সংগ্রহকৃত্যং করোমীতি। * * আধ্যাত্মিকঃ 'প্রতীত্যসমুৎপাদে। দ্বাভযাং কারণাভ্যাং ভবতি হেতৃপনিবন্ধতঃ প্রত্যয়োপনিবদ্ধতশ্চেতি। তত্রাস্ত হেতুপনিবন্ধো! বথা-যদিদ্রম- বিদ্ধ! প্রত্যয়াঃ সংস্কার। যাবজ্জাতি প্রত্যয়ং জরামর্ণাদীতি। আবগ্তাচেন্- ভবিষ্যৎ নৈবং সংস্কার! অজনিষ্যস্ত * * * *। তত্রাবিস্তায়া নৈবং ভবতি জ্ঞানমহং সংস্কারানতিনিবর্তয়ামীতি। * গ্গ * অথ সংস্বপ্যবিদ্ভাদিযু স্বয়মচেতনেষু চেতনাস্তরান ধিতিষ্ঠৎঘপি সংস্কারাদীন। মুৎপত্তিতৃ শ্ততে বীজাদিত্বিব সংস্বপাচেতনেধু চেতনাস্তরান ধিষ্টিতেঘপ্য্কুরাদ্ীনামিতি। ইদং প্রতীত্যং প্রাপোদমুৎখপদ্যত ইতি এশাবস্মাত্রন্ত দৃষ্টত্বাং চেতনাধিষ্ঠানস্তান্পলবেঃ | সোহ্য়মাধ্যাত্মিকন্ত এতীত্যলমুদায়স্ত হেতৃপনিবন্ধঃ। অথ খলু, প্রত্যয়োপ নিবন্ধ: --পৃথিবাপ তেজে! বাধা কাশ বিজ্ঞানধাতুনাং সমবায়াস্তবতি কায়ঃ। তত্র কায়স্ঠ পৃথিবীধাতুঃ কাঠিন্তং নিবর্তয়তি অপ. ধাতুঃ ন্নেহয়তি কায়ম্* গ্গ * বদ ধ্যাত্মিকাঃ পৃথিব্যাদিধাতবে! ভবস্তাবিকলান্তদ। সর্কেষাং সমবায়ান্উবতি কায়গ্তোৎপত্তিঃ। তত্র পৃথিব্যাদিধাতৃনাং নৈবং ভবতি জ্ঞানং বয়ং কান্ত কাঠিগ্তাদিকং'অভিনিরর্তয়াম ইতি। অথচ পৃথিব্যাদিধাতুভ্যোহচেতনেভ্যশ্চেতন!- স্তরানধিষ্িতেভ্যোহন্কুরক্কেব তবতি কাযক্তোৎপত্তিঃ। পসোহন্নং প্রতীত্যসমুৎপাদে। দৃষ্টত্ান্নান্ধথয়িতব্যঃ। * ** * ইত্যাদি।

শ্রই সমুদয় কথার নক্ষত্র-চিহ্ন-চিহ্িত পরিলুপ্ত পরিত্যক্ত কথার অভিত্রেতার্থ এইব্ধপ-

এই পরিদ্ৃশুমান বিশ্বের জ্ঞানপূর্ববক রচফ়িত৷ কেহ নাই। ভাহ! সগ্রমাণ

পরিশিষ্ট ১৫৫

করিবার জন্ত ভগবান্‌ শাক্যসিংহ শিষ্যগণের নিকট জগতের কার্ধযকারণভাব বর্ণন করিতেছেন বস্তমাত্রেই প্রাতীতিক অর্থাৎ প্রতীতিজিম্মিত।, সেই জন্য, সকল প্রতীত নামে ব্যবহত। লমুদাঁয় কাধ্যের অর্থাৎ জন্ত বস্তর ছুই প্রকার কারণ দৃষ্ট হয়। এক প্রকার কারণের নাম হেতৃপনিবন্ধ, দ্বিতীক্ প্রত্যয়োপনিবন্ধ। হেতৃপনিবন্ধের লক্ষণ এই যে, কার্ষ্যোৎপত্তিকালে কেবল মাত্র কতিপয় হেতুভাব বিগ্ধমান থাকা। যেমন অস্কুরোৎপত্তিরূপ কার্যে বীজের হেতুভাব বিদ্যমান থাকে প্রতায়োপনিবন্ধের লক্ষণ এই যে, কার্যোতপভির পূর্বক্ষণে কারণদ্রবোর সম- বায় অর্থাৎ মিলিতসংযোগের অস্তিত্ব থাকা যেমন অন্কুরোৎপত্তির পূর্ববক্ষণে পৃথিবী ধাতু, জল পবনাদির সমবায় থাকে এই দ্বিবিধ কারণ বাহা জগতে অধ্যাত্ম জগতে উভয়ক্রই বিদ্যমান আছে। তন্মধ্যে বাস্থপ্রতীত বিষয়ে অর্থাৎ ঘট পট বৃক্ষ লতাদির উৎপত্তিসম্বন্ধে এইরূপ নিয্মম ৃষ্ট হয়। প্রথমতঃ বীজ হইতে অস্কুর, পরে অস্কুর হইতে পত্র, পত্র হইতে কাণ্ড, কাণ্ডের পর নাল, তৎ- পরে গর্ভ, শূক ( পুষ্পের ফলের কোষ ), পুষ্প ওফল। এই ফল পুনর্বার বীজত্ব প্রাপ্ত হয়। এইকপ ক্রমপরিপাটী অবলদ্বিত পরিণাম হইতে যে একটার পরে আর একটা জন্মলাভ করে, তাহ! প্র ছেতুভাব অবলম্বনেই করে। গুলিই দৃষ্টহেতু। সেই জন্য গ্রর্ূপ হেতুভাব হেতুপনিবন্ধ নামে পরিভাষিত। বীজ ব্যতিরেকে অন্কুর জন্মে না, পুষ্প ন! থাকিলে ফল জন্মে না, বীজ থাকার অস্কুর পুষ্প থাকায় ফল জন্মিতে দেখ! বায়। এই বাতিরেক অন্বন্ন যুক্তি “বীজ্যদ্বির হেতুভাব অবধারপ করায় এই স্থানে ভাবিয়া দেখ, বীজে অস্কুর জন্মায়, অথচ বীজের এমন জ্ঞান হয় না নাই যে, আমি বীজ হইতে অন্কুর জম্মাইতেছি। পুষ্প, ফল, সকলেরই এন্সপ নিয়ম জানিবে | অতএব, বীজা- দ্বির চৈতন্ত ন। থাকিলেও, তাহাতে অন্ত কোন চেতনের অধিষ্ঠান ( অধ্যক্ষত।.) ন। থাকিলেও, কাধ্যকারণ ভাবের ব্যতার হয় না। প্রত্যুত তাহা "নিয়মিতরাপেই নির্ধাহ পায় অর্থাৎ সকল আপন! আপনি উৎপন্ন হয় উৎপাদন করে। কোনরূপ ব্যতিক্রম ব৷ অন্যথা হয় না। অস্কুরোঁৎপত্তির প্রতি হেতুভাব যন্ত্রপ প্রত্যন্নভাবও তদ্দপ 1 £.প্রত্যরভাবস্বন্ছ কারণ দ্রব্যের সমবায় ব। সংযোগ )1 পৃথিবী, জল, বায়ু, তেজ, আকাশ রূপ,-এই ছয়টার সমবায় উক্ত অস্থুর জদ্মে। তন্মধ্যে পৃথিবী ধাতু সুগ্রহ কার্ধ্য ( জমাট ) করে কাঠিন্ জন্মায় ণ২

১৬ বৃদ্ধংদব। জল ধাতু অন্যকে দিগ্ধ রাখে, শুকাইতে দেয় না অঙ্জুরে উচ্ছুনত। জদ্মাস্ক। তেজ ভাহাকে পরিপাক করে, পরিণামিত করে, বাষু ধাতু অস্কুরকে বহির্গত করা, দ্লাকাশ স্থান দান কুরে, বাঁড়িবার অবসর ধ্বেয়। রূপ ধাতু তাঁহাকে রূপাস্তরে স্থাপন করে। অর্থাৎ দৃশ্ত করায়। এইকপে পৃথিব্যা্দি ষড়ধাতুর সম- বায়ে অদ্কুরাদি কার্ধ্য আত্মলাভ করিতেছে। সকলের সমবায় ( সংযোগ ) ব্যতীত কোন কার্ধ্য আত্মলাভ করে না! এখানেও পৃথিবী ধাতুর এমন জ্ঞান নাই বা হয় না যে, আমি অস্কুবিত করিবার জন্ঠ বীজকে কঠিন করিতেছি, উচ্ছুন করিতেছি অস্কুয়েরও এমম জ্ঞান হয় না যে, আমি প্র্থিবীকর্তৃক জ্ঞানপূর্ব্বক উৎপাদিত হইয়াছি বা হইতেছি অথব! পৃথিবীকর্তৃক সংগৃহীত হইতেছিলাম। স্থলেও চেতনের কর্তৃত্ব দৃষ্ট হয় না। বাহ্াবস্ত যেমন চেতনকর্তৃক : জ্ঞানপূর্ব্বক উৎপার্দিত নহে। অর্থাৎ সে সকলের যেমন কোন চেতন অঙ্ট। নাই, তেমনি, আধ্যাত্মিক পদার্থও কাহার কর্তৃক জ্ঞানপূর্ববক সৃষ্ট হয় নাই। ফেনন1, আধ্যা- ঝ্িক ক্লার্খাবিভাগও পূর্বোক্ত দ্বিবিধ কারণে উৎপন্ন হয়। আধ্যাত্মিক কার্ধা- লমুৎপাদপক্ষে পূর্বোক্ত কারণদ্বয় যেরূপে কার্যকারী হয় তাহাও বলিতেছি। অবিদ্তা, সংস্কার, জাতি ( জন্ম ), জরা মরণ প্রভৃতির উত্তপ্বোত্তর বা পর পর হেতৃ-হেতুমস্তাক আছে। তত্তি্ন পৃথিবী, জল, তেজ, বানু, আকাশ, বিজ্ঞান, এই বড়বিধ কারণ দ্রবোর সমবায়ও আছে। সমবায় ব্যতীত দেহোৎপত্তি হয় না। অবিধয। ব্যতিরেকে সংস্কার জন্মে না, সংস্কার ব্যতীত জন্ম হয় না, জন্ম না হইলেও জর! মরগ হয়না এখানেও দেখ, বিদ্য| যখন সংস্কার জন্মায়, তখন তাহার এমন জ্ঞান হয়, না যে, আমি সংস্কার জন্মাইতেছি। সংস্কারেরও এমন জ্ঞান" হয় না যে, আমি অবিদ্যা হইতে আত্মশাভ করিতেছি ব! করিয়াছি। এখানেও বীঞ্জাদির গ্ঠ।য় অবিদ্যা প্রভৃতির চৈতন্ত ন! থাকিলেশড এবং স্বতন্ত্র চেতনের অধিষঠান নল! খাকিলেও, অবিদ্যাদি হইতে সংস্কারাদির জন্মলাভ হইতে দেখা বায়। এই আঁধ্যাষ্মিক হেতৃপনিবন্ধ যেরূপ, প্রতায়োপনিবন্ধও সেইরূপ জানিবে। পূর্বোক্ত যড়ধাতুর 'লমবাঁয়ে শরীরের উৎপত্তি হয়। তাহাতে পৃথিবী ধাতু শরীরের কাঠিন্ত জন্মায়, জল ধাতু শরীরকে দ্গিগ্ধ রাখে, 'তেজ ভূজান্ন পরিপাক করে, যামু শ্বাসক্জিয়! সম্পার্ঘন করে, আকাশ ইছার ছিদ্র জন্মায় (ছিত্র-দেহস্থ শ্োতোদ্বার ) এবং বিজ্ঞান ধাতু ইহাতে নামরূপ আহিত করে। বিজান ধাছু পঞ্চ স্বন্ধাত্বক ( পঞ্চ সবদ্ধ বল! হইয়াছে )। বড় ধাতু অবিকল স্সহযায়

পরিশিষ্ট | ৫৭

প্রাপ্ত হইয়! শরীর জন্মায়, অবিকণ সমবায় প্রাপ্ত না হইলে শরীর হয় না। স্থলেও পৃথিবী ধাতুর জ্ঞান হয় না যে, আমি শরীরে কাঠি জন্মাইতেছি এরং কাঠিন্তেরও এমন জান হদ্দ ন! যে, আমি পৃষ্থিবী ধাতব হইতে নিষ্পন্ন হুইতেছি বা হইয়াছি। শরীর হইতেই বিজ্ঞানের বিজ্ঞানাস্তরের জন্ম হর, জ্মখচ শরীর জানে নাযে, আমি বিজ্ঞান (চৈতন্ত বা আত্মা) জন্মাইতেছি। পুথিব্যাদি সমস্তই অচেতন, স্বয়ং অচেতন, স্বয়ং অচেতন হইলেও এবং চেতনাস্তরের আঁধষ্ঠান'ন! থাকিলেও, উক্ত ধাতুনিচয় হইতে শরীরের উৎপতি হয়, অন্ডথ| হয় না। ইহা! প্রত্যক্ষসিদ্ধ, সুতরাঃ অন্যথা! করিবার উপার নাই।

উক্ত ধাতুষট্কের সমবায়কে দেহ, পিগু, নিত্য, সত্ব, পুদখল মনুজ প্রভৃতি বলে। আবার সেই পিগডের স্ত্রী, পুত্র, পিতৃ, মাতৃ, হহিত্‌ প্রত্ৃতি সংজ্ঞ! কল্পিত হয়। ইহাকেই আবার অনর্থশতসস্তার সংসার বলে, ইহার মূল অবিদ্য।। অবিদ্যা হইতে বিষয়ানুরাগ, দ্বেষ মোহ জন্মে। পদার্থাকার বিজ্ঞানবিশেষের নাম বিষয় বিষয় আবার চারি প্রকার। (এ সকল দেখান হইয়াছে ) রূপবিশিষ্ট উপাদান স্ন্ধ, নাম প্রভৃতি গ্রহণ করিয়া উৎপন্ন হুয়। ছুই বিজ্ঞানের একীভাব নামরূপেন্র আশ্রন্র শরীর। শরীরের কলল বুদধদাদি, অবস্থা আছে। সে সকল নাম, রূপ, তন্মিশিত ইন্দ্রিয় সকল 'এই দৃশ্ঠ দেহের আশ্রিত বলিয়া, দেহ ষড়ায়তন নামে খ্যাত। ইতাাদি।*

বুদ্দের এই বাক্য গুনিলে আপাততঃ তাহার ঈশ্রর-নাস্তিকত1 ছিল বলিয়! বোধ হয় বটে, কিন্তু বাক্য ষে বুদ্ধমুখোচ্চারিত তাহার প্রমাণ কি? আমরা বাক্যকে বুদ্ধবাক্য বলিয়! বিশ্বাম করি না। অনুমান হয়, উহ! পরবন্তী কোন এক বৌদ্ধ আচার্যের বাকা যাহাই হউক, বাক্যে ইহাই দেখান "হুইয়াছে যে, কোন মেধাবান্‌ শ্বতন্তর স্থির পুরুষ এতজ্জগতের কর্তা নহে।

মর

« যৌদ্ধগণের নির্দিষ্ট বৃদ্ধবাক্য-_যাহ। উদ্ধত করিরা মর্দানুবাদ কর! হইল-_তাহা' প্রবৃত্ত বুদ্ধবাঁক্য বলির বিশ্বাস হয় না। কারণ, বুদ্ধ কৌনও সমগ্জে সংস্কৃত ভাষায় উপদেশ দেন নাই। সমন্তই প্রাকৃত, পালী বা তৎকাঁলে তদ্দেশ প্রচলিত ব্যথহাধ্য মাগধী ভাষায় বলিয়াছিলেন। ধৌদ্ধদিগের “ত্রিপেটক” পালি ভাবার রচিত, তাহাতে লেঞ্জা আছে ““বুদ্ধস্াক্য সক নিরুক্তি' অর্থাৎ বৃদ্ধবাকা সকল প্রা কৃত ভাষায় কথিত এতভিন্ন, বুদ্ধ এক স্থাদে ধলিয়াছিলেন, আমার বাক্য সংস্কৃত ভাবায় অনুবাদ করিও না। করিলে অপরাধ হুইবে। আমি যেধন প্রাকৃত ভাষার বলিভেছি, ইহ! এইয়প রাখিও। গ্রস্থাদিতে ইহ! এই রাগ ব্যবহার করিও। অতএব, আতদনুসারে উদ্ধ,ত বাকা বৃদ্ধবাক্য নব! হই] যৌদ্ধাচাধ্য-বাকা বলিগ্াই স্থির করা গেল

১৫৮ বুদ্ধদেব।

ব্রিপেটক বা ত্রিরত্ব। * 'অভিধর্ঘ, হুত্র বিনয়; এই তিন গ্রস্থকে ত্রিপেটক ত্রিরত্ব বলে। বুদ্ধদেব নিজে গ্রন্থ রচন! করেন নাই। তাহার মৃতার পর তদীয় শ্রিষা কাশ্ঠপ নামক ব্রাহ্মণ অদ্ভিধর্ম, তাঁহার ভ্রাতুপ্পুত্র আনন্দ সুত্র এবং উপালী নামক তীয় একজন শূত্র শিষ্য বিনয় নামক গ্রন্থ প্রচারিত করেন। এই রত্বতরয়ে বা ত্রিপেটকে ভগবান্‌ শাক্য সিংহের সমুদ্বায় কথা সংগৃহীত হইয়া- ছিল। ইহাই বোদ্ধদিগের মুল গ্রন্থ ' এই গ্রস্থত্রিতয়ের গর্ভস্থ প্রত্যেক বাক্য ভগবানের মুখ বিনিঃস্ঘত বলিয়া! তিক্ষুমণ্ডলী তাহার সমূহ সমাদর করিয়! থাকেন। এই ব্রিপেটকের অর্থ কথা মহারাজ মহেন্দ্র কর্তৃক প্রথমে সিংহুল- দ্বীপে প্রচারিত হুইয়াছিল। বিনয় পেটকে শাক্যসিংহের জীবন বৃত্তান্ত বৌদ্ধদিখের সৎকর্মপদ্ধত্ি সংকলিত আছে। স্থত্র পেটকে শাক্যসিংহের উপদেশ মাল! সংগৃহীত আছে। অভিধন্মম পেটকে বৃদ্ধ-মতের নিগৃঢ আত্মতত্বাদি নিরূপিত আছে

বুদ্ধের বৌদ্ধশাস্ত্রের উদ্দেশ্ট |

বৃদ্ধের বৌদ্ধ শাস্ত্রের প্রতিপাদ্য ব1 উদ্দেশ্য অতি শুনদার। নির্বাণলাভ করাই বৌদ্ধ জীবনের উদ্দেস্ট ;) নির্বাণপ্রান্তির জন্তই বৌদ্ধেরা নানাবিধ শারীরিক মানপিক ক্লেশ শ্বীকার করিয়া থাকে। ভগবান শাক্যসিংহও পুনঃ পুনঃ জন্মবন্ত্রণা হইতে মুক্ত হইবার প্রত্যাশায় বাড়বার্ধিক মহাযোগ অনুষ্ঠান

করিয়াছিলেন ইহাদের মতে জগ্বগ্রহণই কষ্ট এবং নির্বাণই পরম স্ুখ। যখা-_.

“জিগ,খত। পরময়োগ সংকর পরমম্‌ ছুখম, 1 এতম,নতা বথাভূতম, নিব্বাণম. পরমষ, সুখম, ॥”

অর্থ এই যে, যেমন ক্ষুধা রোগ অপেক্ষাও ক্লেশদায়ক, সেইরূপ, জীবন £থ অপেক্ষাণ্ড ক্লেশদায়ক একমাত্র নির্বাণই পরম সুখ

খহিধারতেত্ররত

আজ্ঞ| দশক। বিশুত্রীঃ্টর ভ্যায় বৃদ্ধদেবেরও শিষ্যগণের প্রতি দশটা আজ্ঞ! প্রচারিত আছে তাহ! এই-_

কিস সস

£ পেটকস্পেটরা (বেত্রনির্দিত দি্কুক )। রে অর্থাৎ তিন্টা পেটর।। বুদ্ধ থাকা রাখিখার সিষুক রড শব্দে তো তিনটা শেঠ গরসথ

পরিশি্ই . ১৫৯

১1 জীব হিংসা করিও না

২। চুরি করিও ন|।

৩। পরদার ইচ্ছ। করিও ন।।

৪। মিথ্যা বলিও না।

€। মাদক সেবন করিও ন1।

এই পাঁচ আজ্ঞা সাধারণের প্রতি, এতস্তিক্ ভিক্ষুর্দিগের প্রতি আর পাঁচটা আজ্ঞ। আছে সে পাঁচটা এই-_-

১। দ্বিতীয় প্রহর অতীত হইলে আহার করিবে

২। নাট্য, ক্রীড়। সঙ্গীতাদি বিষয়ে বিরত থাকিবে

৩। অলঙ্কারাধি নুগ্ধ দ্রব্য ব্যবহার করিও ন1।

৪। ন্ুখসেবা কোমল শয্যায় শয়ন করিও না।

€। মণি মুক্তা ত্বর্ণ রৌপ্য কি অন্য কোন ধাতু গ্রহণ করিও ন|।

“কৃত্তিঃ কমগুলু মৌগুযং চীরং ূ্ববাহ্মজ্জনম_ | সজেেরক্তাপ্বরত্বক শিশ্রিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুভিঃ 1”

চীন, কমগুলু, মুণ্ডন, চীরবন্ত্র, পুর্ববাহ স্নান অর্থাৎ প্রাতঃস্গঘন, সঙ্জ অর্থাৎ বহুনমধন্মিসহবাদ গৈরিক বস্ত্র। এই কয়েকটা বৌদ্ধদিগের যতি- ধর্মের বাহক চিহ্ন

মালা জপ। বোৌদ্ধেরাও মাল! জপ করে। তাহার! মালা জপিবার সময় “অনাত্য ছুঃথম্‌ অনাতা” এই পালী বাক্য উচ্চারণ করে। বৌদ্ধেরা মাল! অপ্িবার সময় “মণি পঞ্সে হুং” এই মন্ত্র উচ্চারণ করে।

উপাসনা বৌদ্ধের! হিন্দু্দিগের ন্যায় উপাসন। করেনা তাহারা কেবল বিধারে বুদ্ধমুন্তিসমীপে ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে। খুদক পাঠ আবৃত্তি করে এবং পৃব্ষোক্ত অনুষ্ঠান করে। কেহ কেহ ধৃপাি দানও করে। খুদ্ধক পাঠ যথা--

“নমত ভাঁগবত অর্থত সম সম বৃদ্ধয়ঃ

বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি ধশ্মং শরণং গচ্ছামি,

সংঘং শরণং গচ্ছামি, ছ্যতম্পি বুদ্ধম, শরণম, গচ্ছামি, ছ্যুতম্পি বুদ্ধম, শরণম. গচ্ছামি,

ছাতম্পি ধল্মং শরণং গচ্ছামি, তীতম্পি বৃদ্ধম্‌ শরণম, গচ্ছামি, ভীতম্পি ধন্মং শরপং গচ্ছামি, তীতল্পি সংঘম, শরণম,ঈীচ্ছামি ইত্যাদি।

'পাপদেশন।। যেমন খৃষটায় ধর্্াবলহবীর( রোমান্‌ কাথলিক পাপ্রির নিকট গ্রতি, সপ্তাহে আপন আপন পাপকার্ধয স্বীকার করির! আইসে, ছ্ষেমনি বৌদ্ধেরাও পুর্ববকালে ধর্মনঙ্গমমধ্যে গুমন করিয়া! স্থবিব্গ্ণের নিকট স্ব স্ব পাপ কার্ধা স্বীকার করিয়। আদিতেন। তদবধি বৌদ্ধগণের মধ্য আজিও মাসে তুই বার সত! করিবার লিয়ম প্রচারিত আছে।

নীতি। বুদ্ধের নীতিও আত চমতকার তাহা পাঠ করিলে বৌদ্ধধর্থের প্রতি ভক্তির উদ্রেক হয়। ধশ্মপদ গ্রন্থে বৌদ্ধনীতি বিবৃত আছে:।

অর্থশান্স্ (রাজকীয় ব্যবহার শাস্ত্র (বৌদ্ষদ্রিগের .স্বতন্ত্প্রকার। তাহাদের ব্যবহার শাস্ত্র অর্থাৎ দঘারভাগ এতদেশে নাই। চীন বর্মা প্রভৃতি দেশে প্রচালিত আছে। |

তীর্ঘসেবা ।--বৌদ্ধেরাও তীর্থ পর্যাটন করে ভগবান্‌ শাক্যসিংহ যে যে স্থানে বাঁস করিয়াছিলেন, দেই সেই স্থান বৌদ্ধগণের তীর্থ ভূমি অধিকন্ত বিহারস্থান গুলি তাহাদের অত্যন্ত প্রিয্ন অত্যন্ত বিখ্যাত। যে স্থলে শাক্য- সিংহ বুদ্ধ হইয়াছিলেন, বুধ-গয়াস্থ সেই স্থান বৌদ্ধদিগের প্রধান তীর্থ

দ্বেবতা। -+বৌদ্ধমতে সংক্ষেপতঃ চারি শ্রেণীর দেবতা আছে। সেই,চারি শ্রেণীর অবান্তর বিভাগ বা! অবাস্তর শ্রেণী অনেক। সে সকল বলা হইয়াছে

চারি শ্রেণী দেবতার বিধার ভূমি কানন বা উদ্যাম বথাক্রমে মিশ্রবন, নন্দন * চৈত্ররথ সুমানস নামে খাত আছে। ইহাদের মতে, দেবসভ। স্তুধর্মী নামে প্রসিদ্ধ। দেবপুরীর অন্ত লাম সুদর্শন এবং তাহাদের প্রাসাদের নাম বৈজয্ত |

কাম[বচর দেবভার জাতি ছগ্ন, ইহা ব্লা হইয়াছে সেই ছয়ের বিবরণ ।-_- চাতুম হারাজ কাস্সিক, তরয়ন্ত্ংশ, তুষিত, যাম্য, নির্্ীপরতি, পরিনর্মিতবশবর্তা | কোন কোন গ্রন্থে দেখা যায়।-জিদশ,. আগ্িস্থাত, যাম্য, তুমিত, পরিনির্মিত্" বশী অপরিনির্মিতবশী। ইহার! মহেন্্রলোকে বাস করেন এবং ইহারা সকলেই কামাবচর অর্থাৎ সংকল্পসিদ্ধ। সংকল্প. মাত্রে ভোগ্য বিষয় সকল, ইহাদের সন্নিহিত হয়, তাই ইহার! পুজ্য এবং কামাবচর অর্থাৎ সংকরপিদ্ধ। সছারা অন্পরঃ পরিৰৃত হয়! বাস ,করেন। অর্াৎ এই লোকে অপ্চরাগণ

পরিশিষ্ট ১৬১

বা করে। ইহাদের দেহ ওঁপপাদিক অর্থাৎ শুক্রশোণিত সংযোগঞজাত নহে। বিশুদ্ধ ভৌতিক পরমাণু প্রভব। বলা হইয়াছে যে, রূ্ীবচর দেবতার জাতি অুষ্টাদশ। তাহাদের বিবরণ যথ!,_ব্র্গকার্িক প্রভৃতি অষ্টা্বশবিধ দেবজ1তির মধ্যে সকলেই মহাতৃতবনী | অর্থাৎ সকল দেবতা! যখন যাহ ইচ্ছা! করেন, মহাভূত তখনই তীহাদের ভোগার্থ সেই সেই রূপে পরিণত হয় এবং প্রী কারণে 'তাঁহার রূপাবচর নাষে খ্যাত। সকল দেব জাতি ধ্যানাহার অর্থাৎ ধ্যান মাত্রে পরিতৃপ্ত | (ভক্ষণ করেন না, ধান করিয়। ভক্ষণের ফল তুণ্তি পুষ্টি লাভ করেন)। ইহাদের মধ্যে কোন কোন শ্রেণী ইন্জ্িয়শী। কোন কোন শ্রেণী ভূতেন্দ্রিয়ধণী এবং কোন: কোন শ্রেণী ভূতেক্জিক়প্রকৃতিবশী 1 ইহাদের মধ্যে অনেকেরই জ্ঞান অধর- ভূমিতে আইসে না এবং অনেকেই উর্ধারেত্তা অপ্রতিহতগ্তান। কোন কোন গ্রন্থে অন্তরূপ ব্ভাগও দেখা যায়। যথা,--প্রাজাপত্য লোকের অস্তর্গত মহন্নামক লোকে পাঁচ শ্রেণীর দেবতা বাস করেন। কুমুদ, খভব, প্রতর্দীন, অঞ্জনাভ বা অপ্রমাণাভ প্রচিতাভ বা পবিভ্রাত। ইহীর! মহাভূঙ্ড বশী, অপিমাদি পরশ্থ্যয সম্পন্ন ধ্যানাহার। ব্রহ্মার জননামক লোকে চারিজাতি, দেবতা বাস করেন। ব্রহ্মপুরোহিত, ব্রন্মকারিক, ব্রহ্মমহাঁকায়িক অমর বা মহাব্রন্দ ই“হারা ভূতেন্দিয়বণী ব্রহ্মার হ্যায় এশ্ব্্যসম্পন্ন। ব্রহ্মার তপো- নামক লোকে তিন প্রকার দেবতা বাস করেন। আভাম্বর, মহাভাশ্বর সত্যমহাভাম্বর ইহার! সকলেই ভূতেক্জিয়প্রকৃতিবশী, ধ্যানাহার, উদ্ধা বেত! অমোঘজ্ঞানসম্পরন এই মতে পূর্বোক্ত ঘটুক এতৎসঙ্গে সংযোজিত হইবে। পূর্বে বলা হইরাছে যে, অরূপাবচর দেবঙাতি প্রকার তাঁহাদের বৃত্তান্ত এইরূপ--+অরূপাব্চর দেবতারা হুন্ধার সত্য নামক লোকে বাঁস করেন। ইহারা রূপবিহীন ইহাদের প্রচরণ স্থান আধারপরিহীন। সেইজন্ত ইহার! অরূপাবচর নামে বিখ্যাত ইহারা কেহই গৃহমধ্যে বাস করেন না এবং সকরলই শ্বমহিমায় স্ুপ্রতিষ্ঠ। ( মাত্র আপন শরীরেই অবস্থিতি করেন )। মহাপ্রকৃতি ইহাদের বশীভূত এবং ইহারা মহাসংহারকাল পর্যান্ত গ্লায়ী। ইহাদের প্রথম শ্রেণী অচাত নামে প্রপিদ্ধ। অগ্াতের! সবিতর্কধ্যানস্থে নিমগ্ন | সবিততর্কধ।ানসিদ্ধি আর বৌন্ধদিগের মতের “আকাশীনস্তযারতনোপগ” তুল্যার্থ জানিবে। ত্বিতীর শ্রেণী গুষ্ধনিবাস আখ্যার পরিচিত : শুদ্ধনিষাস দেবড়াবা সবিচারধ্যাননুখে,.

১৬২ বুদ্ধদেব।

সুখী সবিচাঁরধ্যানে সিদ্ধ হওয়! বা সেক়প মোক্ষভাব প্রাপ্ত হওয়া! “বিজ্ঞানা- নস্ত্যায়তনোপগ”, নামক সিদ্ধির সহিত সমান। তৃতীয় শ্রেণী সত্যাত নামে পরিচিত সত্যাভ দেবজাঁতি জ্লানন্দমাত্রধ্যানসিত্ধ*। আনন্ধ্যানসিদ্ধি বা তাদৃশ মোক্ষ এতদীর শাস্ত্রে “আকিঞণ্তা়তনোপগ” নামে কথিত হইয়াছে। চতুর্থ শ্রেণীর দেবজাতি “সংস্তাসংজ্ঞিন” নামে পরিচিত ইহারা অন্মিতামাত্র- ধ্যান-রত। অন্মিতাসিদ্ধ দেবতারা ও" ধোশীর! এতদীয় শাস্ত্রে “নৈবসংজ্ঞ। নাদংজ্ঞায়তনোপগ*+ নামে কথিত হইয়াছেন। এই শ্রেণীর দেবতা এতক্মতে সূর্বশ্রেষ্ঠ এবং মহাবৌস্ধ বলিয়! গ্রথিত আছেন।

শাক্যাসংহ যখন আরাড়কালাম প্রভৃতি গুরুর শিষা হন, তখন তিনি তাহাদের জ্ঞানের বা নিদ্ধির অল্পতা দেখিয়া! তাহাদিগকে পরিত্যাগ করেন। সেই স্থানে দেখিবেন, লিখিত আছে, তাঁহার! “আকা শানস্তায়তনোপগ* ““বিজ্ঞানানস্ত্যা়তনোপগ” “আকিঞ্চন্তায়তনোপগ” ণনৈবসংজ্ঞানাসংজ্ঞায়।- তনোপগ”” ইত্যাদি প্রকার সিদ্ধি জানিতেন। প্র সকলশব্দবের অর্থ অন্ত কিছু নহে) উপরে যাহা বলা হুইল--তাহাই ত্র সকল শব্ষের অর্থ। অর্থাৎ তাহাদের কেহ সবিচারসমাধিসিদ্ব, কেহ বা সবিতর্কসমীধিসিদ্, কেহ আনন্দ- সমাধি জানিতেন, কেহ বা অন্রিতা-সমাধি জানিতেন। সংজ্ঞাবেদনীয়নিরোধ নামক চরম সমাধি-যাহার দ্বার! জীবের নির্বাণ লাভ হয়--+তাহা! তাহাদের কেহুই জানিতেন না। সেই জন্তই ভগবান্‌ তাহাদিগকে পরিত্যাগ “করিতে বাধ্য হুইয়াছিলেন।

+ 2০০০

মুক্তি-বিভাগ

বৌদ্ধমতে মুক্তি প্রকার হিন্দুদিগের মধ্যে যেমন সাঁধুজ্য, সালোকা, সারপ্য, সাষ্টিঃ এই প্রকার এবং কোন কোন মতে তরদতিরিক্ত নির্বাণ নামক পঞ্চম প্রকার মুক্তি কথিত আছে; সেইন্সপ, বৌদ্ধমতে প্রকার মুক্তি কথিন্ত হইয়াছে সিদ্ধি অনুসাঁর়েই মুক্তিলক্ষণ বিভক্ত হয়; সুতরাং তাহা প্রকার হওয়। অসম্ভব নছে। বুপসিদ্ধ অর্থাৎ বিষয়সিদ্ধ হইতে পারিলে তাছাও এক প্রকার মোক্ষ। (১ম)। আধ্যাত্মিক অরূপ জ্ঞান অব্লম্বনে বহিঃস্থ রূপের (বাহ্বস্তর) শূন্তত। বিষয়ে সিদ্ধি লাভ করিলে তাহা অন্ত প্রকার মোক্ষ |

পরিশিষ্ট। ১৩৬৩

(২য়). এইক্প, পর পর আর মোক্ষ এতম্মতে অভিহিত হইয়াছে তন্মধ্যে চরম মোক্ষ নির্বাণ। ধর্শাসংগ্রহ গ্রন্থে প্রকার মোক্ষের কথাও আছে, তাহ ্র৮ প্রকার মোক্ষের সংক্ষিপ্ত বিভাগ *

নির্ব্বাণ ।-বুদ্ধের নির্বাণ হিন্দু যোগীদিগের কৈবল্য একই তত্ব। বুদ্ধ যাকে নির্ব্বাণ আধ্যায় অভিহিত করিতেন, হিন্দু যোগীরা তাহাকেই 'কৈবল্য ( কেবল ভাব) বলিতেন। অতএব বুদ্ধের নির্বাণ নিতাস্ত অভিনব পদার্থ নহে।

বিখ্যাত পণ্ডিত গোল্ডষ্টকার .পাঁণিনি ব্যাকরণের “নির্বাণ, ?তে” এই একটা সুরে দেখিয়া অত্যাম্চর্য্য সাহসের সহিত বলিয়! গিক়্াছেন যে, নির্ব্বাণ শব বুদ্ধের পুর্বে বাঁত-বিরহিত অর্থেই ব্যবহৃত হইত, মোক্ষবিশেষ (নির্ব+৭) অর্থে ব্যবস্ৃত হইত না। বৈদেশিক প্রসিদ্ধ পণ্ডিতের এই অদূরদর্শিতার বিষয় ৩য় ভাগ খ্রতিহাসিক রহস্তের “পাণিনি” নামক প্রস্তাবে বিশেষরূপে সমালোচিত হইয়াছে : বুদ্ধ বৌদ্ধগণ বলেন, “নির্বাণং পরমং স্ুখম্ঠ। আমাদের ব্যাসমুনি

বলিয়াছেন-_ “নিবেদাদেব নির্ববাণং কিঞ্িদ্বিচিস্তযেৎ |

মুখং বৈ ব্রাঙ্গপো তরঙ্গ নির্বেদেনীধিগচ্ছতি ॥, নির্বাণং--অণ্ড গমলম, | নির্বতিঃ। ইতি মেদিনী। বিশ্রান্তিঃ। ইতি হেমচন্দ্রঃ। মুক্তিঃ। ইতামরঃ লোকমধ্যে “দীপ নির্বাপিত হইল” এইরূপ প্রয়োগ থাকায় নির্ব্বাপ-শবের দনিভিয়! যাওয়!” এইরূপ ভাবের অর্থ প্রখাত আছে। বস্ততঃ নিভিয়। যাওয়াও শুন্যতা নহে। নির্বাণ যে শূস্ততা নহে, তাহ। বুদ্ধদেব নিজ মুখে বলিয়াছিলেন। কেবল,অদ্বর়। একরস হওয়া ব। অহং-প্রবাহের নিরোধ, বিশ্রাস্তি বা বিচ্ছেদ লাভ করা.বুদ্ধাভিমত নির্বাণ বুদ্ধভিমত নির্ববাণের সহিত এত্রহ্গনির্বাণমুচ্ছতি”” “টৈবল্য মতে” ইত্যাদি কথার মিল বা খীক্য আছে। |

বি

* প্রকার প্রকার মোক্ষ এইরূপে লিখিত আছে! যথা-_

রূপী বূপাণি পণ্ঠতি শৃন্তম,। অধ্যাস্মারূপসক্জী বহিধু। রূপাণি পশ্ঠতি শুগ্তম,। আকাশী- নন্ত্যারতনং পঠ্ঠতি শুস্তম,.। বিজ্ঞানানন্ত্যার়তনং পঠ্ঠতি শুগ্তম.। আকিঞ্গারতনং পশ্থতি নৃশ্যাম,|

পারত পপ পপ আজ

বৈধ সংজ্ঞানাসংজ্ঞায়তনং পশ্াতি শুন্তম, 1 সংজ্ঞাবেদয়িতনিবুধং পদ্ঠতি শৃন্যম, শূন্যতা! অনিষিত্বঃ। অপ্রশিহিতশ্য ইত্যাদি।

১৬৪ বুদ্ধদেব!

_'বৌদ্ধমতে "চতুধঠানলাভী” প্রকার ধ্যান বা সমাধি নির্দিষ্ট আছে। াঁমাদের যোঁগশান্তেও প্রক!র ধ্যান ব! সমাধি কথিত আছে। প্রকার সমাধির,নাঁম স্বরূপ পুনঃ পুনঃ বল! হইয়াছে। বুষ্ধ' যে বাঁড়বার্ধিক যোগ অগ্ুষ্ঠান করিয়াছিলেন,তাঁহ! আমাদেরই যোগশান্ত্রম্মত। তৎপরে তিনি যে উপায়ে বোধিবৃক্ষমূলে নির্বাণ-জ্ঞান লাভ করেন,_-সে উপায় আমাদেরই যেগ- শাস্ত্রের নিব্বীজ-সমাধি লাভের উপীয়। সকল কথা দেই দেই স্থানে বিশদ করিয়! বলা হইয়াছে।

বুদ্ধদেব আপনার জান জ্ঞানলাঁভের পর পর-পর অবস্থা-নিগয় শিষ্যদ্িগকে বুঝাইয়! দিয়াছিলেন। তাহা এই--

সম্যক্‌ দৃষ্টি, সম্যক সংকল্প, সমাক্‌ বাঁক্‌, স্ম্কৃ কর্ধাস্ত, সম্যক ব্যায়াম, লম্যক্‌ স্থৃতি সমাধি, এই প্রকার সাধনের দ্বার! নির্বাণের পরম শক্রু পাঁপ চিত্ত হইতে অপশ্যত হয়। বুদ্ধের কথ! নূতন নহে, কোনও হিন্দুশান্ত্ের অপরিচিত নহে।

বুদ্ধ বলেন, সমাধির আবস্থিক ফল চতুবিধ। বিবেক, একোতীভাব, উপেক্ষকত্ব স্থৃতিপরিশুদ্ধি। আমাদের প্রাচীন যোগশাস্ত্রেও চতুধিধ ফলের উপদেশ অ।ছে; কেবল নাম কএকটী নাই। স্মৃতিপরিশুদ্ধি উপেক্ষকত্, ছুট প্রকারাস্তরে অভিহিত আছে বলিলেও বলিতে পারি। ( পাতঞ্জলদর্শন দেখুন )। 2 _ বুদ্ধ যে বলিয়াছিলেন-_“প্রথমাবস্থায় প্রকৃত তত্বের্‌ প্রকাশ অসংপদার্থের মূলপরিদর্শন হয় অর্থাৎ নির্বাণ, মোক্ষ, শাস্তি সমাধির প্রকৃত জ্ঞান প্রতীত বা উপলব্ধ হয়; তৎপরে অবিদ্যা, অজ্ঞানতা, মোহ, অনিত্যতী, ক্ষণনশ্বর বিষয়ের অসারত। প্রতীত হইয়! খাকে,সেই জ্ঞান পরিফার নির্মল চক্ষুর স্বরূপ এবং তাহ! এক প্রকার লোকোত্তর জ্ঞান বাঁ অলৌকিক জ্যোতিঃ। এই জ্যোতি পূর্বোক্ত বিষয় সকল আলোকিত হয়, তাবৎ সন্দেহ তিরোহিত হয় অতুাজ্জ। গুত ক্ষ বিশ্বাস সণাগত হয় ।” বুদ্ধের কথ! পাতপগ্জলের “তারক সর্ববিষয়ম্ '*ততৎ সর্ধার্থম্” ইতাদি কথার সহিত সমান

তিনি আরও ব'লয়াছেন, ধ্যানের দ্বিতীয় অবস্থায় চিত্ত বহুত্ব হইতে একত্বে অর্থাৎ বাঙ্টি হইতে সমষ্টিতে পরিণত হয়। (ইহারই অন্ত নাম বা পরিভাষা একোতীতাব।) তৎকালে ভিন্ন বস্তর জ্ঞান থাকে ন!॥ . তাহা একই পরম

পরিশিষ্ট। | ১৬৫

পদার্থ, একই ধ্যান, একই জ্ঞান, একই প্রভীতি, একই ইচ্ছা, একেতেই অনুরাগ প্রতীতি। তদ্যতীত বস্তম্তরে টি থাকে না, জ্ঞানও থাকে না, সুতরাং ভাবাভাব' বা ভাবনা থাকে ন1 বুদ্ধে্ঘম কথাও পাতঞ্জলোক্ত যোগশান্ট্রেক্ত “একাগ্রতা পরিণাম” “সমাধি পরিণাম” কথার সহিত সমান “তৃতীয় প্রকার সমাধিতে চিন্ত উদাসীন হয়। জ্ঞান অজ্ঞান, ভাব অভাব, রাগ-বৈরাগ্য, সুখ ছুঃখ, আনন্দ নিরানন্দ, সম্পদ বিপদ, নিত্য অনিত্য, সমুদয় বোধাঁতীত হয়, আত্মা অবস্থায় মধ্যব্যবস্থায় অবস্থিতি করে। নিল্িপ্ত, উপেক্ষক, অম্পৃষ্ট, অক্রিয় অম্পন্দ হয়। আত্ম তখন কোন প্রকার বোধে আসক্ত নহে, অধীন নহে ক্রিয়াহীন |”, বুদ্ধের উক্তিও যোগশাস্ত্রসম্মত নিরোধ পরিণামের ফল ব! নামান্তর মাত্র শাক্যসিংহ বখিত হইয়া অর্থাৎ সমাধি ভঙ্গের প্র বা বোধিজ্ঞান লাভের পর-_আর একটী কথা বলিয়াছিলেন, তাহা এই--“চতুর্থ সমাধিতে অর্থাৎ সমাধির চরমাবস্থায় আত্মন্মরণ তিরোহিত হয়, আমিহ বা অহংভাব (ইহাই বৃদ্ধমতের আলঙ় বিজ্ঞান জীবাত্ম ) বিদুরিত হওয়াতে চিত্ত যৎপরোনান্তি নিরাপ হয়, না থাকার গ্তায় হয়। অহঙ্কারই পাপের সংসারের মূল, তাহার অতাবে পুণ্যের উদয়, পাপ জীবনের সংসারের মৃত্যু এবং ধর্মীজীবনের বা মনুয্যোত্তর জ্ঞানের ল।ত, ইহাই চরম--এই অবস্থা আমিলেই ছুঃখের অবসান, "মুক্তিপাভ, শাস্তির উদয়, নির্বাণরূপ পরম তত্বের আবির্ভাব হর। অনস্ত জ্ঞান সব্বদর্শন হয়। সত্ব তখন প্রক্ৃতিস্থ অমর ইহাই অমরত্ব। আর জন্স নাই, মৃতু" নাই, জীবন নাই, জরা নাই, বন্ধমোক্ষ নাই। সত্ব অচ্যুত রাজ্যে খিচরণ, পরমানন্দ প্রাপ্ত অমর হয়।” বুদ্ধের কথা আর হিন্দুষোগী- দিগের নিব্বীজ সমাধির ফল আত্মবিমোক্ষ সমান। হিন্দুযোগীদিগের কৈবল্য- লাভের লক্ষণ, বুদ্ধের সত্বদর্শন, বেদাস্তের ব্রহ্ধদর্শন, সমস্ত সমান। সবশব্বও হিন্দুমতে পরমীত্মবাঁচী ব্রহ্ষবাচী। বৌদ্ধের বোধিসত্ব "আর হিন্দুমতের জীবন্মক্ত পুরুষ একই কথা। বুদ্ধ বলেন, শেষার্গ সমাক্‌ মমাধি, তাহ। হইতে শাস্তি ফল উৎপন্ন হয়, সেই শাস্তি সব্ধবপ্রকান্ত রিপু বশীডৃত হওয়ার পর উদ্দিত হয়। চিত্ত তখন স্থির, অচঞ্চল, প্রতিকূল অনুকুল কোন ব্যাপারে বিকৃত হয় না। চিত্ত তখন নিরম্তর একই অবস্থায় অবস্থিতি করে। ইহাই শম অর্থাৎ শান্তি এই শান্তি নির্দধাণ গুজানের স্বাছু ফল। চিত্ত নির্বাণ জ্ঞানের প্রভাবে

১৬৬ বুদ্ধদেব

পারমিতার অধিকার বশীভূত করে, এবং হ্ৃদক্ন পারমিতার উপরেই সর্বদা অব- স্থিতি করে। দান, শীল, শাস্তি, ধ্যান, বল, বীর্য, উপায়, * প্রণিধি, প্রজ্ঞা, সমুজ্ল সর্বব্য।পী জন, এই সকল প্টর্মিত। আখ্যার় সভিহিত হুইয়া থাঁকে। বুদ্ধের কথাও আমাদের বেদাস্তাদিশ/ক্মো্ত স্থিত প্রা লক্ষণের অনুরূপ

* শীলস্মসাধুত। বীর্য. ইন্দ্রিয়াদির উপর অন্ভুত কর্তৃত্ব * ধ্যানাদিতে অত্যুতৎ্নাহ।

প্রণিধিস্ত নিগুঢ় দশন

ধা শপ ১২৯৩ সাজে

ভিত

সমালোচনা রত্বরহস্য |

০৪109656৮26, 1884. 1২2(1781515299 8,

1), [20 109১৯ ১০716001055 110 1000- ৭0061017 00 01১6 162.061. 118 1125 2176202০020 2. 01501020151) [10০ 11) 361)8511 1166156515, 52108817595 200. 2705150155016 50061) 01 11181) 21161001055) 156 1085 00501021117 00150941500, 8/101) (1) 517£16 5০61901017 01 1017, 7২916000511 1165- 35 10 15, 27 0110 1০91১2০6 2 275265£ 0970509,0600 6০ 1015 0০000 (0212 6৮৪7 1). 11109, 00177 [10525 200058020 এ002055 25 2 5621800090৮ 60 10180950110 1070 1806 05105115175 1017 বিনা [093 61১75 21701015212) ৮৮101065875 00961) 00 0055 51১0 1070৬ 011৮ 13217571185 51] 25 6০ 61705 %/1)09 110009৬/ 15751551101 50175 70:5১০০৮ ৮০0, 1096 79559591109 ১০৩1) ৪০001212170 ৮2104 1107 (91551 25 115 56191917250 4১101002511: (5008552) 155৮6100016 $৯11210 61১20 €1)6 1266570% £68901) 01 (1 [07091010015 ০0109 200 201501610657550 12101 56010950010 5 068059 01) 41171000105 20701৮01009 56015655 17615001102 009 ৮10/5 01766 (21100 21১98 60956 01,0109 200 09501 0995655101)5 01 21) 1) 501001 2098765 200 1690760 0090101595715 [7 8,00761)1 11)012.. 6176 ৮0110 01061 106106 15 51101915 20৮21981016, 1707 276 50002861915 8 3690 01 1১22]5 21)0 [0:6010945 5601)95 17) 0) 11810001076 01161019105 210 01190610905 00176211)50 117 (1715 500 28825 (০ 06 01891960121 ৮৪10০, 2100 1615 06511721019 01780 60008160 1111)005 91)01010 0০ 90116 (12105 6০ 01০270966 11)15 9180 ,

[776 011 1:05565595 21) 1১1560110৭1 5৪1065 5চ10101) 0271001 05 013061-156৩0 ৬/০ 020 006 001701006 (1715 1)7101 1701106 ৮/1610111 50075591778 01 8.00717807 007 076 100৭6 210076৭০21০) ০1 ৬1101) 015 06780156195 11165 15111

[২ |

ভারতী, পৌষ ১২৯২।--পাঠকগণ বুঝিয়। [ছেন--এখানি পুরাতত্ব সম্বন্ধীয় পুস্তক, শান্জে কত প্রকার রত উল্লেখ আছে, পুক্নীকালে বত্বের কিন্ধীপ মর্যাদা ছিল, কিরূপ করিয়া! রত্ধের দোষ গুণ বিচার হইত, দরদাম হইত, সুম্পষ্ট সরল ভাষায় অতি জুন্দররূপে এই পুস্তকে তাহা ব্যাখ্যা কণা হইয়াছে আমর! ষে দিকে চাহিয়! দেখি পুরাকালের আধ্যগণের শেষ্ঠতা দেখিতে পাই। পুস্তকথানি তাহারি অন্যতম প্রমাণ। কত পুরাকালে যে আধ্যগণ রত্বের আদ্র জানিতেন গঘাহা এই পুত্তকে জদয়ঙ্গম হয়। * * এখন এই বলিয়া আমরা সমালে।চনাটি শেষ করি--রামদাস বাবুর হাতে পড়িয়া রতুরহাস্তর রডুগুলির ওজ্জ্রল্য বড় বাড়িয়াছে, তাহার যথার্থ শোভা বিকাশ হইয়াছে

বুদ্ধদেব।

106 1100050010150, 85) 71892, 0100191১৮00], 1 ঘ. (01006 01) 1017, 1২917) 1055 56175 13000110106). 10176011165 710 10761))1755 01 30001)8,

/1) 1111)0118711 8100 ৮61 (2001 24016101710 1)100111910 11161

ঞি

(016 1595 10151 1১061) 101206 11) (6 05011071017) 2৮ 02104008) 01 2৬ [)০১11)01))0705 13০102911 071 0 0৭1 6710169 01610 200 10016 1116950010150, 0791516089৬ [জয় 1025 300) চি, 1,৯01 03001200- [)০076. £100176 017161)1211515 1)6 29100001007 1015 681 €া0০- (1017) 71)0 1 ০81) 16911 001) 1)61501)2111)51)00610) 10 0176 17101777655 01)15 [)01৮516 110ছাচা 11) 01 0621102 ঘ])00 06 সিন 1)101702 01 71571001101) 1010] 1015 17120৮69111) 8770 0010)1)7610917৯1%6 1:70510066 11506771715 1) 00 ৫011506, 01751010561 ৬০0 5০০71511101) 0 601121106 1015 11167219810 50179175170 161১0151101) 810 10051751701) 1106 0096166 11) 076 100181) )১11001 00 776 216 01016 91১01) ()6 1501607 28001৮ 911) 508065028191) $/1101185 ৮/716601) 21671717760 200. 10651650108 1716906- 116

| ]

চি রি

165671011৩8 91138 [২210 [088 5০) [011% 90])1)0170 (1) 1)05161011 (161) 10 ১০170 (02100119855 800 2] 01) তন 1700706ণ [01501১11021 00৮ ০2017110550 00401)2 ৬৩7০006 81008501150 ৮0 016 1)1176 [911016৮6100 91 116 ১1041 170118191) 01 ঠা 13210101035, 1516 01015 09 1015 1017৮80৮ 214 09700136105 2 77৮59111109 11) 111৯1011725 270 0৮011000101 থর৯,1১207016 (50111)87 [30118 08৮ হন] টিক 2000017)00৮08 05 » 6716) 01 (006৮৭ 28101900158) টার [0001 মনন 00) 008৮0৭ স0) 065 00) 10001 01516581091 000 07106206501 1752856001) 7 ঠ100 00138091255 (০701)1701)2.01)01) ৭001-৬611৩৮১৩ 1)17101))1175 ৮0910 00607256 1০5210৩0111) 2৯ 1) 4£৯৮৫৪০01 টিজানট৭0, 010৭ 0000)911206 00০7৩ 511010 1)0 2 01006 (81)51006) 10691761151), ভত্ববোধিনী পত্রিকা ত্রয়োদশ কল্প, প্রথম ভাগ, অগ্রহায়ণ বান্ধ সম্বৎ ৬২ টু _আমর। রুতজ্ঞতা সহকারে স্বীকার করিন্তেছি যে, লোকাস্তরস্থ ডাক্তীৰ রামদাস সেন প্রণীত বুদ্ধদেবের জীবনী সমালোচনার্থে প্রাপ্ত হই- যাছি। * % তিনি “এতিহাসিক রহস্ত” প্রভৃতি গ্র্ সকল রচন। করিয়া বঙ্ধপাহিত্যকে প্রত্র-তস্ব বিষয়ে বিশেষ পুষ্ট করিয়াছেন, জগতকে দ্রেখাইয়াঁছেন যে, বঙ্গপাহত প্রত্ততত্ প্রভৃতি কঠোর আয়াস সাধ্য বিষয়ে হম্তক্ষেপ করিতে কু্ঠিত নহে কিন্তু রাম্দাম সেনের পরে আর কাহাকেও দেখিতে পাইনা, যিনি বিষ য়েজনুসন্ধিংস্ গোকান্তরগত ডাক্তার রাজেন্্রলীল (মর বগদেশীয়দিগেব মধো সাহিত্যের এই বিভাগে যদিও দিশেষ খ্যাতিলাভ করিয়াঁছলেন তথাপি দুঃখের বিষয় এই যে,ঙিনি বঙ্গভাষায় তেমন কিছুই লিখিয়া যা॥। নাই! বামর্দাপ সেনের এই শেষ পুস্তক দোখয়া আমাদের হৃদয় প্রুরার শোক পরিপূর্ণ হইয়া উঠিতেছে। *% * * প্ররুতই আমরা ইহা পড়িয়। এই কারণে সখী হইলাম যে, ইহ। বুদ্ধের অপরাপর জীবনচরিতের স্ায় কেন বিদেনীয় লেখকেব অনুকরণে লিখিত নহে। এই পুপ্তকখানি, পড়িতে পড়িতে গ্ন্থকারের সত্যাঙ্গদদ্ধিংসার পুনঃ পুনঃ প্রণংসা না করিয়া থাকা যাঁয় না * আরও ছুই এক স্থানে এই জীবন চরিতের বিশেষ নৃতনদ্ব দেখিতেছি। €বীদ্ধমতের যেধপ গুন্দর সমালোচনা হই- »যাছে আশা করি তাহ! পাঠ করিষু সকলেই পরিভূপ হইবেন

[ ]

সাধন! ১ম ভাগ, ২য় সংখ্য] পৌষ ১২৯৮ 1-- শাল ভারতবর্ষে রীতিমত ইতিহাস ছিপ না, সেই জন্য আমাদের প্রক্টীন মহাপুরুষদিগের * সম্বন্ধে -নিঃসংশয়ে কিছু জানিবার বড় অন্থবিধ!। ' অনেক সময় ষে সকল কথার উপর নির্ভর, করিনা আমরা তাহাদের মতামত নির্ণয় করিতে ব্সি, সে সকল কথা কর্পনার অতিরঞ্জন বা অন্ধতাঁর ভ্রান্ত সংস্কার, মাত্র রামদাস বাবু তাই অতি সাবধানে এই সকল কথার প্রামাণিকতা ৰিচাঁর করিয়! বুদ্ধদেবের একখানি সুন্দর জীবনী প্রকাশ করিয়াছেন রামদাস বাবুর রচনার প্রধান গুণ এই যে, ইহাতে কোথাও গায়ের ঞোরে কথা বলা নাই, পাঠকের সম্মুথে তিনি ঘাবতীয় ঘটন| এবং বিবিধ কাহিনী উপস্থিত করিয়া স্বাধীনভাবে চিস্ত। করিবার অবসর দিয়াছেন * রঃ

* রামদাস বাবু বিস্তারিত আলোচন! পূর্বক স্পষ্টই দেখাইয়াছেন যে, বুদ্ধের সাধন প্রণালী তত্বজ্ঞানের সহিত খুষিদিগের দাঁধনা তত্বজ্ঞানের বড় ব্ঞ্জেফ..প্রভেদ নাই। রামদাস বাবু ঘটনার পর ঘটন! এবং গল্পের পর গল্প সাপ্গাইয়। বুদ্ধচরিত্র ফুটাইয়! তুলিয়াছেন দু গেড়ামি না থাকায় বুদ্ধের বাক্য এবং কার্ধ্যের মধা হইতে টানিয়া টানিয়। আপনার মনোমত মত থাড়! ক্রয়! তুলিতে চেষ্টা করেন নাই ইহাতেই * আপন৷ হুইছেই স্ঞামার্দের সহিত বুদ্ধের নিকট সম্বন্ধ অনেকট! পরিষ্কট হইয়া! উঠিন্লাছে। এবং বিদ্বেষের ফল নহে জানিয়! বৌদ্ধধর্থের প্রতি আমাদের সঙ্কীর্ রঃ অবিষ্বাদের হাস হইবে আশা করা যায়। বৌদ্ধগণও এই গ্রস্থ হইত্তে বুদ্ধের প্রকৃত মতামত নির্ণয় প্রণালী সম্বন্ধে |ভস পাইতে পারেন। এবং এইরূপে ধীরে ধীরে ধিবেছনার সহিত ধর্মকে বিদ্বেশুন্ত বোষশূন্ অজ্ঞানশুন্ত করিয়| সেই মা পুরুষের মহৎ উদ্দোস্তয সাধনে অধিকতর লক্ষম হইতে পারেন